Imam Abu hanifa - rh. Trust
শিক্ষা এবং সহায়তা ট্রাস্ট।
তথ্য-01518463333
অনুদান দিন 01650035108 (নগদ/রকেট/বিকাশ)
মেয়েদের জন্য ছয়টি সাজ হারাম।
১। ঝুনঝুনযুক্ত নুপুর পড়া।
---ঘন্টি বাজা ঘুঙ্গুর শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।
(সহীহ মুসলিম:২১১৪)
২। কপালে টিপ পড়া।
---ইব্রাহিম (আঃ) এর যুগে নর্তকীরা কপালে চিহ্ন দিতো,যা এখন টিপ হিসেবে পরিচিত।(আস্তাগফিরুল্লাহ)
৩। কৃত্রিম চুল লাগানো।
(সহীহ বোখারি ৫৯৩৩)
৪। ভ্রু প্লাগ।
---রাসুলের অভিশাপ পায় ঐসব নারী যারা চোখের উপরের লোম উঠায়, চেঁছে সরু করে, আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন ঘটায়।
(বুখারি হাদিস ৪৮৮৬)
৫। শরীরে ট্যাটু করা।
---আল্লাহর লানত ঐসকল নারী পুরুষদের উপর যারা শরীরে উল্কি (ট্যাটু)আঁকে এবং অন্যদের এঁকে দেয়।
(আবু দাউদ ৪১৭০)
৬। পারফিউম(সেন্ট)ব্যবহার।
---কোনো নারী যদি (কোন প্রকার) সুগন্ধি ব্যবহার করে (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে যায়, তবে সে নারী ব্যাভিচারিণী। (আস্তাগফিরুল্লাহ)
(আবু দাউদ,তিরমিযী,নাসাঈ,সহীহুল জামে,৪৫৪০নং)
গওহরডাঙ্গা মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস
আল্লামা আব্দুর রউফ ঢাকার হুজুর আর নেই।
ইন্নালিল্লাহ।
আলেমদের কথা/লেখাগুলো মুতালা'আ নির্ভর হোক।তবে নব্য বিদয়াত নিপাত যাবে ইনশাআল্লাহ।
রমজানের তিন ভাগের ফযীলত সম্পর্কিত হাদীসটির হুকুম প্রসঙ্গে
প্রশ্ন
রমজানের প্রথম ভাগ রহমত, দ্বিতীয় ভাগ মাগফিরাত এবং শেষ ভাগ জাহান্নাম থেকে মুক্তির এ বক্তব্য নির্ভর হাদীসটি নাকি জাল? এ বিষয়ে আপনাদের মতামত জানতে চাই।
উত্তর
بسم الله الحمن الرحيم
আমাদের সমাজে মাহে রমজান সম্পর্কে নিন্ম হাদীসটি খুব প্রসিদ্ধ, কিন্তু সাম্প্রতিক কালে আমাদের আহলে হাদীস ভাইগণ না বুঝেই ফেৎনা সৃষ্টি করছে আর বলছে এটি জাল হাদীস। দেখুন হাদীসটি-
❖ صحيح ابن خزيمة (3/ 191)
1887 – ثنا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، ثنا يُوسُفُ بْنُ زِيَادٍ، ثنا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ سَلْمَانَ قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ شَعْبَانَ فَقَالَ: ….. وَهُوَ شَهْرٌ أَوَّلُهُ رَحْمَةٌ، وَأَوْسَطُهُ مَغْفِرَةٌ، وَآخِرُهُ عِتْقٌ مِنَ النَّارِالخ
[التعليق] 1887 – قال الأعظمي: إسناده ضعيف علي بن زيد بن جدعان ضعيف
অর্থ : হযরত সালমান ফারসী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন এবং বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমাত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত/ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। ইবনে খুজাইমা-৩/১৯১, হাদীস-১৮৮৭, শুয়াবুল ঈমান-৫/২২৩, হাদীস-৩৩৩৬। (হাদীসটি অনেক দৈঘ এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।)
❀হাদীসটির মান : ❀
বিখ্যাত মুহাদ্দেস আল্লামা মুস্তফা আল আজমী ইবনে খুজাইমার তাহকীক করতে গিয়ে বলেন, উক্ত হাদীসটি যয়ীফ (যা ফাজায়েলের ক্ষেত্রে আমল যোগ্য) কেননা উক্ত হাদীসের সূত্রের মাঝে একজন বর্ণনাকারী হলেন ‘‘আলী ইবনে যায়েদ ইবনে জুদআন’’ তিনি একজন দুর্বল বর্ণনাকারী। তাই হাদীসটি যয়ীফ।
❏এছাড়াও ইমাম আহমদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল ইজলী (রহ.) তার সম্পর্কে বলেন- وَقَال أحمد بن عَبْد اللَّهِ العجلي : يكتب حديثه তার হাদীসগুলো সংগ্রহ করার মত আর অনত্র তিনি বলেন-لا بأس به. তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। ইমাম ইয়াকুব ইবনে শায়বা (রহ.) বলেন-وَقَال يعقوب بْن شَيْبَة: ثقة، صالح الحديث তিনি নির্ভরযোগ্য, হাদীসের ক্ষেত্রে সৎ আর বিখ্যাত ইমাম, ইমাম তিরমিযী (রহ.) বলেন-وَقَال التِّرْمِذِيّ : صدوق তিনি সত্যবাদী। তাহযীবুল কামাল-২০/৪৩৯।
কিন্তু আমাদের আহলে হাদীস ভাইগণ জাল আর যয়ীফ হাদীস এর পার্থক্য বুঝে না। প্রকৃত পক্ষে জাল কোন ভাবেই হাদীস না তা রাসূল (সা.) এর উপর মিথ্যারোপ শুধু। কিন্তু যয়ীফ হাদীস যা রাসূল (সা.) থেকে সাব্যস্ত কিন্তু সূত্রে মাঝে কোন বর্ণনাকারীর কারণে তা যয়ীফ হয়েছে।
✏ উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে হুবহু অর্থে হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে অন্য একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে । যা আল্লামা উকাইলি (রহ.) তার ‘‘আয যুয়াফাউল কাবীরের-২/১৬২ এর মাঝে ও আল্লামা ইবনে আদী (রহ.) আল কামেলের-৩/৩১১ এর মাঝে, ইবনু আবীদ দুনিয়া তার রচিত ‘‘ফাযায়েলে রামজান’’ এর মাঝে ও খতিবে বগদাদী ‘‘আল মু’দেহ’’ এর-২/১৪৭ এর মাঝে عن سلام بن سوار عن مسلمة بن الصلت عن الزهري ، عن أبي سلمة عن أبي هريرة এই সনদে উল্লেখ করেছেন।
এই সনদ এর মাঝেও مسلمة بن الصلت একজন অধিক দুর্ভল বর্ণনাকারী যার কারণে এই হাদীসটিও যয়ীফ। তার জীবনি সর্ম্পকে দেখুন ‘‘আল জারহু ওয়াত তাদীল’’-৮/২৬৯ ও লিসানুল মিযান-৬/৩৩।
✔ মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক দ্বীন বুঝে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
উত্তর লিখনে
মুফতী সানাউল্লাহ
দুআ কবুল হওয়ার বিশেষ কয়েকটি মুহূর্ত
১। ফরয নামাযের পর।
২। শেষ রাতে।
৩। রমযান মাসের দিবারাত্রির সব সময়, বিশেষভাবে ইফতারের সময় ।
৪। কোন নেক কাজ সম্পাদনের পর।
৫। সফরের অবস্থায়। বিশেষ ভাবে যদি আল্লাহ্র দ্বীনের রাস্তায় সফর হয়।
৬। শবে কদরে।
৭। আরাফার দিনে।
৮। জুমুআর রাতে ।
৯। জুমুআর দিন বিশেষ কোন এক মুহূর্তে। অনেকের মতে এ সময়টি
জুমুআর দিন আসরের পর থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার মধ্যে রয়েছে।
১০। জুমুআর খুতবা শুরু হওয়া থেকে নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত, তবে খুতবা চলাকালীন দুআ করলে মনে মনে করতে হবে অথবা ইমাম খুতবার মধ্যে যে দুআ করবেন তাতে মনে মনে (মুখে কোন প্রকার শব্দ করা ছাড়া) আমীন বলতে হবে।)
সবাই পেজে লাইক দিয়ে সহযোগিতা করবেন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
প্রশ্ন: ১৫ রমজান শুক্রবারে বিকট আওয়াজ হবে। এই মর্মে কি কোন হাদিস আছে? থাকলে এর গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু?
ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
উত্তর: এই মর্মে ইবনে মাসউদ রা. থেকে একটি হাদিস বর্ণনা করা হয়। শহর বিন হাওশাব থেকেও মুরসাল একটি বর্ণনা আছে। এতে কিয়ামতের আগের বেশ কিছু আলামত বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ১৫ রমজান শুক্রবার হবে। এতে বিকট আওয়াজ হবে। ইত্যাদি।
এই বর্ণনাটি নুআইম বিন হাম্মাদ আল ফিতানের মধ্যে এনেছেন। হাকিম নিশাপুরিও মুস্তাদরাকের মধ্যে এনেছেন। এর অধিকাংশ রাবীরা মুতাকাল্লাম ফিহি। কাউকে কাউকে তো মুনকার ও পরিত্যাজ্য বলা হয়েছে। আবার কাউকে হাদিস জালকারী বলা হয়েছে।
* ইবনুল জাওযী রহ: হাদিসটিকে জাল বলেছেন।
* ইমাম জাহাবীও রহ: জাল বলেছেন।
* ইমাম সুয়ূতী রহ: হাদিসটি মাওজুওয়াতের মধ্যে এনেছেন।
আরো অনেকে সরাসরি জাল না বললেও মুনকার ও অগ্রহণযোগ্য বলতে কোনো দ্বিধাবোধ করেননি।
তাছাড়াও অতীতে অনেক রমজান এমন গেছে যেখানে ১৫ রমজান শুক্রবার ছিলো।
সুতরাং এটা যে জাল বর্ণনা, এতে কোন সন্দেহই থাকল না৷
পরিশেষে, দলিলযোগ্য নয় এমন আছারের বর্ণনা করাটা সমীচীন নয়। এর থেকে বেঁচে থাকা চাই।
কিয়ামতের আলামত সম্বলিত অনেক সহিহ হাদিস আছে। যথাসম্ভব ঐ সমস্ত হাদিস নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দিন।
👉মধ্য রমাযানের বিকট শব্দের হাদীস বাতিল ও নবী সাঃ এর নামে মিথ্যাচার।
حديث النفخة / الصوت في نصف رمضان المصادف يوم الجمعة موضوع و باطل لا اساس له من الصحة.
হঠাৎ করেই শুনলাম এ সংক্রান্ত একটি জাল ও বাতিল হাদীস নিয়ে ফেসবুক পাড়ায় বেশ হৈচৈ শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হলেও প্রায় সকল বর্ণনাকারী ইমামগণ সে হাদীসগুলিকে বাতিল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হাদীসটি নিম্নরূপ :
" يَكُونُ فِي رَمَضَانَ صَوْتٌ , قَالُوا: فِي أَوَّلِهِ أَو فِي وَسَطِهِ أَو فِي آخِرِهِ؟ قَالَ : لا ؛ بَلْ فِي النِّصْفِ مِنْ رَمَضَانَ ، إِذَا كَانَ لَيْلَةُ النِّصْفِ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ؛ يَكُونُ صَوْتٌ مِنَ السَّمَاءِ يُصْعَقُ لَهُ سَبْعُونَ أَلْفاً ، وَيُخْرَسُ سَبْعُونَ أَلْفاً ، وَيُعْمَى سَبْعُونَ أَلْفاً ، وَيُصِمُّ سَبْعُونَ أَلْفاً . قَالُوا: فَمَنِ السَّالِمُ مِنْ أُمَّتِكَ؟ قَالَ : مَنْ لَزِمَ بَيْتَهُ ، وَتَعَوَّذَ بِالسُّجُودِ ، وَجَهَرَ بِالتَّكْبِيرِ لِلَّهِ . ثُمَّ يَتْبَعُهُ صَوْتٌ آخَرُ . وَالصَّوْتُ الأَوَّلُ صَوْتُ جِبْرِيلَ ، وَالثَّانِي صَوْتُ الشَّيْطَانِ. فَالصَّوْتُ فِي رَمَضَانَ ، وَالمَعْمَعَةُ فِي شَوَّالٍ ، وَتُمَيَّزُ الْقَبَائِلُ فِي ذِي الْقَعْدَةِ ، وَيُغَارُ عَلَى الْحُجَّاجِ فِي ذِي الْحِجَّةِ"
এখানে বলা হয়েছে যখন মধ্য রজনীতে জুমার দিন হবে তখন আকাশ হতে বিকট শব্দ শোনা যাবে যাতে করে ৭০ হাজার লোক অজ্ঞান হয়ে যাবে, ৭০ হাজার লোক বধির হয়ে যাবে, আর ৭০ হাজার লোক অন্ধ হয়ে যাবে। লোকেরা জিজ্ঞেস করলেন হে নবী সাঃ কারা এই আযাব হতে রক্ষা পাবে? নবী সাঃ বললেন যারা নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং সিজদাহ রত অবস্থায় মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং সশব্দে তাকবীর প্রদান করবে। প্রথম শব্দের পরে আরেকটি বিকট শব্দ হবে। প্রথম আওয়াযটি জিবরীল আমীন আ: এর হবে আর দ্বিতীয়টি হবে শয়তানের।
রমাযানে এই বিকট শব্দ হবে আর শাওয়ালে বিশাল অগ্নি কান্ডের শব্দ হবে যেমন যিলকদ মাসে বিভিন্ন গোত্রের লোকেরা বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে এবং জিলহজ্জ মাসে হাজ্বীদের উপর আক্রমণ করা হবে।
ইমাম সুুয়ুতী রহ: আল লাআলী গ্রন্হে ও ইমাম হাকিম আল মুস্তাদরাকে এই হাদীসটি বর্ণনা করেন।
ইমাম উকাইলী রহ: বলেন:
" ليس لهذا الحديث أصل من حديث ثقة ، ولا من وجه يثبت " انتهى .
" الضعفاء الكبير " (3/52) .
অর্থাৎ এই হাদীসটির নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী হতে কোন ভিত্তি নেই অনরুপ কোনভাবেই এটি টিকে না। (আয যোআফা আল কাবীর ৫২/৩)
ইমাম ইবনুল জাওযী রহ:বলেন:
" هذا حديث موضوع على رسول الله صلى الله عليه وسلم " انتهى .
" الموضوعات " (3/191)
অর্থাৎ এই হাদীসটি নবী সাঃ এর নামে জাল হাদীস। ( আল মাওযুআত ১৯১/৩)
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহ: আল মানারুল মুনীফ এর ৯৮ পৃষ্ঠায় বলেন এটি কোনক্রমেই সহীহ হতে পারে না।
শাইখ আলবানী রহঃ বলেন এটি জাল ও বানাওয়াট হাদীস।.
ইমাম হাকিম রহ: বলেন
وقال الحاكم : حديث غريب المتن ، ومسلمة ظن لا تقوم به الحجة .
এর বিষয়বস্তু ব্যতিক্রম ধরনের আর এর বর্ণনাকারী মাসলামা দ্বারা কস্মিনকালেও কোন প্রকার দলীল কায়েম হতে পারে না। ইমাম যাহাবী রহ: বলেন:
قلت : ذا موضوع ، ومسلمة ساقط متروك .
আমি স্পষ্ট ভাবেই বলতে চাই যে এটি জাল হাদীস। আর মাসলামা অগ্রহণযোগ্য।
শাইখ বিন বায রহঃ ও বলেন এই হাদীসটি বাতিল, জাল ও নবী সাঃ এর নামে মিথ্যাচার। তিনি আরো বলেন এমনিভাবে অনেক বছর ১৫ই রামাযান শুক্রবার হয়েছে কিন্তু কখনো কিছু ঘটে নাই এবং ইন শা আল্লাহ ঘটবেও না।
সুতরাং এই ধরনের বাতিল ও জাল হাদীস দ্বারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোন অর্থ হয় না। এগুলো অনর্থক কাজ। মহান আল্লাহ ও তদীয় নবী সাঃ এ ধরনের ফাল্তু কাজ হতে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
জাল হাদীস কোনক্রমেই বর্ণনা করা বৈধ নয়। তবে এত্থেকে কেবলমাত্র সতর্ক করার উদ্দেশ্যেই এ সব ফাল্তু ও ভিত্তিহীন হাদীস বর্ণনা করা জায়েয আছে।
মহান আল্লাহ আমাদের এ সব ফেতনা ও ফেতনাবাজ হতে রক্ষা করুন, আমীন।
ছোটদের উপর রোজা রাখা ফরজ নয়। কিন্তু রমজান আসলে শিশু-কিশোরদের মাঝে দেখা যায় অন্যরকম এক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
ছোট ছোট শিশুরা আনন্দ-উৎসাহের মাধ্যমে ভোর রাতে সাহরী খায়। সারাদিন উপোস থেকে রোজা রাখে, যাতে রয়েছে উপকারিতা ও সাওয়াব।
ইফতারের সময় শিশুদের কলরব কার না ভালো লাগে। শিশুরাও ইফতার সাজানো এবং ইফতারের সময় মজা করে ইফতার খেতে পছন্দ সকরে।
রোজা না রাখলেও তারা ইফতারের সময় রোজাদারদের মতো ইফতারের আনন্দ উপভোগ করে। চমৎকার একটি পরিবেশ বিরাজ করে প্রতিটি মুসলিম ঘরে।
অল্প বয়স থেকে রোজা রাখার চেষ্টা করার মাধ্যমে অভ্যাস গঠন করা অনেক বড় উপকার। আর যে কোনো ভালো কাজর চেষ্টায় রয়েছে জন্য উপকারিতা। এতে অভ্যাস গঠন হয়। বড় হলে রোজা পালনে তাদেরকে কোনো প্রতিবন্ধতার মুখোমুখি হতে হয় না।
যাদের রোজা রাখা ফরজ নয়, তারা যদি রোজা রাখে তবে তাদের রোজা শুদ্ধ হবে এবং তারা রোজার ঘোষিত সব ফজিলত ও সাওয়াব পাবে।
রোজা রাখা নাবালক শিশুরাই সাওয়াব পাবে না বরং ভালো কাজের অভ্যাস গঠনে নির্দেশ ও সহযোগিতা করার কারণে শিশুদের বাবা-মাদের জন্যও রয়েছে সাওয়াব।
সুতরাং প্রত্যেক শিশুর অভিভাবকদের উচিত, ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে যারা রোজা রাখতে সক্ষম কিন্তু ফরজ হয়নি তাদের রোজা রাখার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে উৎসাহ দেয় এবং রোজার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবাগণ নিজেদের নাবালক ছোট বাচ্চাদের রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করতেন। হাদিসে এসেছে- হজরত রুবাইয়ি বিনতে মুআওবিয রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার দিন সকালে মদিনার উপকন্ঠে বসবাসরত আনসারদের কাছে এ খবর পাঠালেন, যারা ফজরের আগে থেকে রোজা রেখেছে, তারা যেন তাদের রোজা পূর্ণ করে।
আর যারা রোজা না রাখা সত্বেও ফজর অতিক্রম করেছে, তারাও যেন বাকি দিন রোজা পালন করে।
সুতরাং আমরা তার পর থেকে রোজা রাখতাম এবং আমাদের ছোট ছোট শিশুদের রোজা রাখাতাম এবং তাদেরকে নিয়ে মসজিদে যেতাম। তাদের জন্য তুলা দ্বারা পুতুল বানাতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কান্না করলে তাদেরকে সেই পুতুল দিতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত।
#পেজে ফলো দিন #
মুফতিয়ে আজম রহ.এর অন্যতম খলিফা, দারুল উলুম হাটহাজারী'র প্রধান মুফতি আল্লামা নূর আহমদ ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
রাব্বী কারীম জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দাও।
মুক্তি পেলেন শিশুবক্তা খ্যাত মাওঃ রফিকুল ইসলাম মাদানি
""শোক সংবাদ""
হাটহাজারী মাদরাসার প্রবীণ উস্তাদ,আল্লামা মমতাজুল করীম (বাবা হুজুর) ইন্তেকাল করেছেন!
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 😥
রহিমাহুল্লাহু রহমাতান ওয়াসি'য়াহ্
একটি সতর্কবার্তা..!
কাল সকলের এই চাঁদের ছবি তোলা দেখতে দেখতে ক্যামন একটা লাগছিল, ততটা খেয়াল করিনি,, ভাবছি দেখে সবাই খুশিতে ছবি দিচ্ছে। কিন্তু এটা দেখুন সবাই,,
- হতে পারে হাদিসে বর্ণিত সেই জুলফি বিশিষ্ট তারকা যে তারকা সকলেই দেখতে পাবে, এবং এই তারকা দেখার পরে এক বছরের খাদ্য মজুদ রাখতে বলা হয়। যেখানে রমজান মাসের প্রথম রোজা শুক্রবার এবং মধ্য রোজার শুক্রবার হওয়ারও কিছু আলামত হাদিসে পাওয়া যায় ' এবারের রোজার মাস প্রথম রোজা শুক্রবার এবং মধ্য রোজার শুক্রবার আল্লাহ জানে সামনে কি দুর্ভিক্ষ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে !! 😥🌻✨
সকলে সজাগ থাকুন, এ বছরের পবিত্র রমজান মাসের ১৬ তারিখ জুম্মার রাত। নিজেকে ও পরিবারের সবাইকে হেফাজতে রাখুন। আল্লাহ আমাদের সকলকে দ্বীন মেনে চলার তওফিক দান করুক।
আমিন।
❤️©️কপি করা
আলহামদুলিল্লাহ, বেশ কিছু টাকা আমাদের বিকাশ একাউন্টে এসেছে।আপনারাও সামর্থ্যানুযায়ী এগিয়ে আসুন। আর আপনাদের জন্য সুখবর হল "আমরা ট্রাস্টের সৌজন্যে সারা বছর মানবতার সেবা করে যাব ইনশাআল্লাহ। এবং ট্রাস্টের পক্ষ থেকে মাদরাসা পরিচালিত হচ্ছে। তাই আপনাদের যাকাত,ফিতরা এবং মানত সহ সকল প্রকার অনুদান প্রেরণ করুন আমাদের ট্রাস্টে।
পহেলা রমজান জুমু'আর দিন।
আলহামদুলিল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ
২৩-০৩-২০২৩
এইচ এম মিরাজুল ইসলাম
❤️দুবাই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম।
ফী-আমানিল্লাহ্
★রমজানের ৩০ টি আধুনিক মাসআলা★
পবিত্র মাহে রমজানের রোজা ভঙ্গ হওয়া এবং না হওয়ার বিষয়ে মুফতী তকী উসমানী কর্তৃক সময়োপযোগী ৩০ টি মাসআলা।
১. ইনজেকশন (Injection): ইনজেকশন নিলে রোযা ভাঙ্গবে না। (জাওয়াহিরুল ফতওয়া)
২. ইনহেলার (Inhaler): শ্বাসকষ্ট দূর করার লক্ষ্যে তরল জাতীয় একটি ঔষধ স্প্রে করে মুখের ভিতর দিয়ে গলায় প্রবেশ করান হয়, এভাবে মুখের ভিতর ইনহেলার স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙ্গে যাবে। (ইমদাদুল ফতওয়া)
৩. এনজিও গ্রাম (Angio Gram): হার্ট ব্লক হয়ে গেলে উরুর গোড়া দিয়ে কেটে বিশেষ রগের ভিতর দিয়ে হার্ট পর্যন্ত যে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয় তার নাম এনজিও গ্রাম। এযন্ত্রটিতে যদি কোন ধরনের ঔষধ লাগানো থাকে তারপরেও রোজা ভাঙ্গবে না। (ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা)
৪. এন্ডোস কপি (Endos Copy): চিকন একটি পাইপ যার মাথায় বাল্ব জাতীয় একটি বস্তু থাকে। পাইপটি পাকস্থলিতে ঢুকানো হয় এবং বাইরে থাকা মনিটরের মাধ্যমে রোগীর পেটের অবস্থা নির্নয় করা হয়। এ নলে যদি কোন ঔষধ ব্যবহার করা হয় বা পাইপের ভিতর দিয়ে পানি/ঔষধ ছিটানো হয়ে থাকে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে, আর যদি কোন ঔষধ লাগানো না থাকে তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)
৫. নাইট্রোগ্লিসারিন (Nitro Glycerin): এরোসল জাতীয় ঔষধ, যা হার্টের জন্য দুই-তিন ফোটা জিহ্বার নীচে দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখে।ঔষধটি শিরার মাধ্যমে রক্তের সাথে মিশে যায় এবং ঔষধের কিছু অংশ গলায় প্রবেশ করার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। অতএব- এতে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)
৬. লেপারোস কপি (Laparoscopy): শিক্ জাতীয় একটি যন্ত্র দ্বারা পেট ছিদ্র করে পেটের ভিতরের কোন অংশ বা গোশত ইত্যাদি পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বের করে নিয়ে আসার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র। এতে যদি ঔষধ লাগানো থাকে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে অন্যস্থায় রোযা ভাঙ্গেব না। (আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)
৭. অক্সিজেন (Oxygen): রোজা অবস্থায় ঔষধ ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোযা ভাঙ্গবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)
৮. মস্তিস্ক অপারেশন (Brain Operation):রোজা অবস্থায় মস্তিস্ক অপারেশন করে ঔষধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙ্গবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)
৯. রক্ত নেয়া বা দেয়া : রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের করলে বা শরীরে প্রবেশ করালে রোজা ভাঙ্গবে না। (আহসানুল ফতওয়া)
১০. সিস্টোসকপি (cystoscopy): প্রসাবের রাস্তা দিয়ে ক্যাথেটার প্রবেশ করিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় এর দ্বারা রোজা ভাঙ্গবে না। (হেদায়া)
১১. প্রক্টোসকপি (proctoscopy): পাইলস, পিসার, অর্শ, হারিশ, বুটি ও ফিস্টুলা ইত্যাদি রোগের পরীক্ষাকে প্রক্টোসকপ বলে।মলদ্বার দিয়ে নল প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। রোগী যাতে ব্যথা না পায় সে জন্য নলের মধ্যে গ্লিসারিন জাতীয় কোন পিচ্ছল বস্তু ব্যবহার করা হয়। নলটি পুরোপুরী ভিতরে প্রবেশ করে না। চিকিৎসকদের মতানুসারে ঐ পিচ্ছিল বস্তুটি নলের সাথে মিশে থাকে এবং নলের সাথেই বেরিয়ে আসে, ভেতরে থাকে না। আর থাকলেও তা পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে। যদিও শরীর তা চোষে না কিন্তু ঐ বস্তুটি ভিজা হওয়ার কারণে রোজা ভেঙ্গে যাবে।(ফতওয়া শামী)
১২. কপার-টি (Coper-T): কপার-টি বলা হয় যোনিদ্বারে প্লাস্টিক লাগানোকে, যেন সহবাসের সময় বীর্যপাত হলে বীর্য জরায়ুতে পৌছাতে না পারে। এ কপার-টি লাগিয়েও সহবাস করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।কাযা কাফফারা উভয়টাই ওয়াজিব হবে।
১৩. সিরোদকার অপারেশন(Shirodkar Operation): সিরোদকার অপারেশন হল অকাল গর্ভপাত হওয়ার আশংখা থাকলে জরায়ুর মুখের চতুষ্পার্শ্বে সেলাই করে মুখকে খিচিয়ে রাখা।এতে অকাল গর্ভপাত রোধ হয়।যেহেতু এতে কোন ঔষধ বা বস্তু রোযা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য খালি স্থানে পৌছে না তাই এর দ্বারা রোযা ভাঙ্গবে না।
১৪. ডি এন্ড সি (Dilatation and Curettage): ডি এন্ড সি হল আট থেকে দশ সপ্তাহের মধ্য Dilator এর মাধ্যমে জীবত কিংবা মৃত বাচ্চাকে মায়ের গর্ভ থেকে বের করে নিয়ে আসা। এতে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অযথা এমন করলে কাযা কাফফারা উভয়টি দিতে হবে এবং তওবা করতে হবে।(হেদায়া)
১৫. এম আর(M.R): এম আর হল গর্ভ ধারণের পাঁচ থেকে আঁট সপ্তাহের মধ্যে যোনিদ্বার দিয়ে জরায়ুতে এম,আর সিরন্জ প্রবেশ করিয়ে জীবত কিংবা মৃত ভ্রণ নিয়ে আসা। যারপর ঋতুস্রাব পুনরায় হয়। অতএব মাসিক শুরু হওয়ার কারণে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা করতে হবে। কিন্তু যদি রাতের বেলা করা হয় তাহলে দিনের রোজা কাযা করতে হবে না। (ফতহুল কাদীর)
১৬. আলট্রাসনোগ্রাম (Ultrasongram):আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় যে ঔষধ বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সবই চামড়ার উপরে থাকে, তাই আলট্রাসনোগ্রাম করলে রোযা ভাঙ্গবে না। (হেদায়া)
১৭. স্যালাইন (Saline): স্যালাইন নেয়া হয় রগে, আর রগ যেহেতু রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা নয়, তাই স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না, তবে রোজার কষ্ট লাঘবের জন্য স্যালাইন নেয়া মাকরূহ। (ফতওয়ায়ে দারাল উলূম)
১৮. টিকা নেয়া (Vaccine) : টিকা নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, টিকা রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তায় ব্যবহার করা হয় না। (আপকে মাসায়াল)
১৯. ঢুস লাগানো (Do**he): ঢুস মলদ্বারের মাধ্যমে দেহের ভিতরে প্রবেশ করে, তাই ঢুস নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। ঢুস যে জায়গা বা রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে এ জায়গা বা রাস্তা রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য স্থান । (ফতওয়া শামী)
২০. ইনসুলিন গ্রহণ করা: (Insulin): ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, ইনসুলিন রোযা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালী জায়গায় প্রবেশ করে না।(জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)
২১. দাঁত তোলা: রোজা অবস্থায় একান্ত প্রয়োজন হলে দাঁত তোলা জায়েয আছে। তবে অতি প্রয়োজন না হলে এমনটা করা মাকরূহ। ঔষধ যদি গলায় চলে যায় অথবা থুথু থেকে বেশী অথবা সমপরিমান রক্ত যদি গলায় যায় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (আহসানুল ফতওয়া)
২২. পেস্ট, টুথ পাউডার ব্যবহার করা : রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় টুথ পাউডার, পেস্ট, মাজন ইত্যাদি ব্যবহার করা মাকরূহ। কিন্তু গলায় পৌঁছালে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)
২৩. মিসওয়াক করা : শুকনা বা কাঁচা মিসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজার দ্বারা রোজার কোন ক্ষতি হয় না। চাই যখনই করা হোক না কেন। (ফতওয়া শামী)
২৪. মুখে ঔষধ ব্যবহার করা : মুখে ঔষধ ব্যবহার করে তা গিলে ফেললে বা ঔষধ অংশ বিশেষ গলায় প্রবেশ করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। গলায় প্রবেশ না করলে রোজা ভাঙ্গবে না। (ফতওয়া শামী)
২৫. রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। তবে খুব বেশী পরিমাণে রক্ত দেয়া যার দ্বারা শরীরে দুর্বলতা আসে, তা মাকরূহ।
২৬. ডায়াবেটিসের সুগার মাপার জন্য সুচ ঢুকিয়ে যে একফোটা রক্ত নেয়া হয়, এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না।
২৭. নাকে ঔষধ দেয়া : নাকে পানি বা ঔষধ দিলে যদি তা খাদ্য নালীতে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা করতে হবে। (ফতওয়া রাহমানিয়া)
২৮. চোখে ঔষধ বা সুরমা ব্যবহার করা : চোখে ঔষধ বা সুরমা ব্যবহার করার দ্বারা রোজা ভাঙ্গবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় অনুভব হয়। (হেদায়া)
২৯. কানে ঔষধ প্রদান করা : কানে ঔষধ, তেল ইত্যাদি ঢুকালে রোযা ভেঙ্গে যাবে। তবে গোসল করার সময় অনিচ্ছায় যে পানি কানে ঢুকে তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যেন পানি গলায় না চলে যায়। (মাকালাতুল ফিকহীয়া)
৩০. নকল দাঁত মুখে রাখা: রোজা রেখে নকল দাঁত মুখে স্থাপন করে রাখলে রোজার কোন ক্ষতি হয় না। (ইমদাদুল ফতওয়া)
আলহামদুলিল্লাহ,
গাজীপুরে একজন ইমাম সাহেব কে ৫৩ বছর ইমামতি শেষে, বিদায় বেলায় রাজকীয় সংবর্ধনা,
পেলেন ১০ লাখ টাকা পুরস্কার...
এইচ এম মিরাজুল ইসলাম
চট্টগ্রামে আপন দুই ভাই -বোন এক সাথে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে।
আল্লাহ উনাদের কে ইমানের সাথে রাখার তৌফিক দান করুক আমিন।
Sheikh Mirajul Islam
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Barguna Press Club
Barisal, 8700
Only dire willing and try can reach one to success.
Barisal, 8200
Al Quran, not only a book, but also a complete code of our lives. Each and every verse is an epic, each and every sura is a pinnacle of thousands of wonders, each and every essence...
Gournadi Upazilaget
Barisal, 8230
একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রযুক্তি ব্যবহার নয়, আমরা প্রযুক্তির ভিতরে বসবাস করি।
Barishal Sador
Barisal, 8200
বিনা খরচে শুরু অনলাইন ব্যবসা - অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে।