বিল্ডিং প্লান এন্ড ডিজাইন হাউজ

আধুনিক ডিজাইন পেতে সাথে থাকুন

16/10/2023
14/10/2023

ছাদ ঢালাইয়ের হিসাব।

১৫০০ বর্গ ফিট একটি ছাদ ঢালাই এর ইট, বালু, সিমেন্ট এবং রড এর পরিমান বের করার হিসাব

মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট
এবং ছাদের প্রস্থ = ৩০ ফিট
ছাদের পুরুত্ব= ৫ ইঞ্চি

তাহলে ছাদের ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য X প্রস্থ = ৫০ X ৩০ = ১৫০০ বর্গ ফিট
এবং ছাদের আয়তন = দৈর্ঘ্য X প্রস্থ X পুরুত্ব = ৫০ X ৩০ X ০.৪১৬৬ (৫/১২ ইঞ্চি কে ফিট হিসেবে)
= ৬২৪.৯ বা ৬২৫ ঘনফিট/সিএফটি

আদ্র অবস্থায় আয়তন মোট আয়তনের চেয়ে দেড়গুন বেড়ে যায় তাই
আদ্র আবস্থায় আয়তন = ৬২৫ X ১.৫ = ৯৩৭.৫ বা ৯৩৮ ঘনফিট/সিএফটি

সিমেন্ট বালু ও খোয়ার অনুপাত = সিমেন্ট: বালু: খোয়া = ১: ২: ৪
অনুপাতের যোগফল = ১+২+৪ = ৭

সিমেন্ট এর পরিমান = (আদ্র অবস্থায় আয়তন X সিমেন্ট অনুপাত) ÷ অনুপাতের যোগফল
= (৯৩৮ X ১) ÷ ৭ = ১৩৪ ঘনফিট/সিএফটি
= ১০৮ ব্যাগ (১.২৫ ঘনফিট/সিএফটি = ১ ব্যাগ)

বালু এর পরিমান = (আদ্র অবস্থায় আয়তন X বালুর অনুপাত) ÷ অনুপাতের যোগফল
= (৯৩৮ X ২) ÷ ৭ = ২৬৮ ঘনফিট/সিএফটি

খোয়া এর পরিমান = (আদ্র অবস্থায় আয়তন X খোয়ার অনুপাত) ÷ অনুপাতের যোগফল
= (৯৩৮ X ৪) ÷ ৭ = ৫৩৬ ঘনফিট/সিএফটি
= ৭৮৮২.৩ বা ৭৮৮৩ টি ইট থেকে তৈরি খোয়া (১ টি ইট = ০.০৬৮ ঘনফিট/সিএফটি)

রড এর পরিমান = শুকনো অবস্থায় আয়তন X ২২২ X ১.৫% (রডের একক ওজন ২২২কেজি/ সিএফটি)
= ৬২৫ X ২২২ X (১.৫ ÷ ১০০)
= ২০৮১.২৫ বা ২০৮২ কেজি
= ২.০৮২ টন

আয়তন, রড বসানোর দুরত্ব ও রডের মিলিমিটার অনুসারে রডের হিসাব
ছাদে সাধারনত ১০ মিলিমিটার, ১২ মিলিমিটার, ১৬ মিলিমিটার রড ব্যবহার করা হয়
এবং ছাদে রড থেকে রডের দুরত্ব ৫ ইঞ্চি থেকে ৭ ইঞ্চি হয়ে থাকে

মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট
এবং ছাদের প্রস্থ = ৩০ ফিট

আমরা যদি ৫ ইঞ্চি পর পর রড বসাই তাহলে

৫০ ফিট এ মোট রডের পরিমান
= ৫০ফিট/ ৫ ইঞ্চি +১
= ৬০০ ইঞ্চি / ৫ ইঞ্চি +১
= ১২০+১
= ১২১ পিস (প্রতি পিস ৩০ ফিট দৈর্ঘের)
= ৩৬৩০ ফিট

৩০ ফিট এ মোট রডের পরিমান
= ৩০ফিট/ ৫ ইঞ্চি +১
= ৩৬০ ইঞ্চি / ৫ ইঞ্চি +১
= ৭২+১
= ৭৩ পিস (প্রতি পিস ৫০ ফিট দৈর্ঘের)
= ৩৬৫০ ফিট

মোট রডের পরিমান = ৩৬৩০ ফিট+ ৩৬৫০ ফিট
=৭২৮০ ফিট

রডের ওজন = D²/৫৩২.২ কেজি (D হল রডের ডায়া বা মিলিমিটার)
= ১২²/ ৫৩২.২ কেজি (১২ মিলিমিটার রড এর ক্ষেত্রে)
= ০.২৭ কেজি (প্রতি ফিট এ)

মোট ওজন= ৭২৮০ X ০.২৭ কেজি
= ১৯৬৫.৬ বা ১৯৬৬ কেজি
= ১.৯৬৬ টন (আরও ৫-১০% অপচয় এর জন্য বাড়তি রডের দরকার হবে)
= ২০৬৪.৩ বা ২০৬৫ কেজি(৫% বাড়তি ধরে)ছাদ ঢালাইয়ের হিসাব।

১৫০০ বর্গ ফিট একটি ছাদ ঢালাই এর ইট, বালু, সিমেন্ট এবং রড এর পরিমান বের করার হিসাব

মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট
এবং ছাদের প্রস্থ = ৩০ ফিট
ছাদের পুরুত্ব= ৫ ইঞ্চি

তাহলে ছাদের ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য X প্রস্থ = ৫০ X ৩০ = ১৫০০ বর্গ ফিট
এবং ছাদের আয়তন = দৈর্ঘ্য X প্রস্থ X পুরুত্ব = ৫০ X ৩০ X ০.৪১৬৬ (৫/১২ ইঞ্চি কে ফিট হিসেবে)
= ৬২৪.৯ বা ৬২৫ ঘনফিট/সিএফটি

আদ্র অবস্থায় আয়তন মোট আয়তনের চেয়ে দেড়গুন বেড়ে যায় তাই
আদ্র আবস্থায় আয়তন = ৬২৫ X ১.৫ = ৯৩৭.৫ বা ৯৩৮ ঘনফিট/সিএফটি

সিমেন্ট বালু ও খোয়ার অনুপাত = সিমেন্ট: বালু: খোয়া = ১: ২: ৪
অনুপাতের যোগফল = ১+২+৪ = ৭

সিমেন্ট এর পরিমান = (আদ্র অবস্থায় আয়তন X সিমেন্ট অনুপাত) ÷ অনুপাতের যোগফল
= (৯৩৮ X ১) ÷ ৭ = ১৩৪ ঘনফিট/সিএফটি
= ১০৮ ব্যাগ (১.২৫ ঘনফিট/সিএফটি = ১ ব্যাগ)

বালু এর পরিমান = (আদ্র অবস্থায় আয়তন X বালুর অনুপাত) ÷ অনুপাতের যোগফল
= (৯৩৮ X ২) ÷ ৭ = ২৬৮ ঘনফিট/সিএফটি

খোয়া এর পরিমান = (আদ্র অবস্থায় আয়তন X খোয়ার অনুপাত) ÷ অনুপাতের যোগফল
= (৯৩৮ X ৪) ÷ ৭ = ৫৩৬ ঘনফিট/সিএফটি
= ৭৮৮২.৩ বা ৭৮৮৩ টি ইট থেকে তৈরি খোয়া (১ টি ইট = ০.০৬৮ ঘনফিট/সিএফটি)

রড এর পরিমান = শুকনো অবস্থায় আয়তন X ২২২ X ১.৫% (রডের একক ওজন ২২২কেজি/ সিএফটি)
= ৬২৫ X ২২২ X (১.৫ ÷ ১০০)
= ২০৮১.২৫ বা ২০৮২ কেজি
= ২.০৮২ টন

আয়তন, রড বসানোর দুরত্ব ও রডের মিলিমিটার অনুসারে রডের হিসাব
ছাদে সাধারনত ১০ মিলিমিটার, ১২ মিলিমিটার, ১৬ মিলিমিটার রড ব্যবহার করা হয়
এবং ছাদে রড থেকে রডের দুরত্ব ৫ ইঞ্চি থেকে ৭ ইঞ্চি হয়ে থাকে

মনেকরি ছাদের দৈর্ঘ্য = ৫০ ফিট
এবং ছাদের প্রস্থ = ৩০ ফিট

আমরা যদি ৫ ইঞ্চি পর পর রড বসাই তাহলে

৫০ ফিট এ মোট রডের পরিমান
= ৫০ফিট/ ৫ ইঞ্চি +১
= ৬০০ ইঞ্চি / ৫ ইঞ্চি +১
= ১২০+১
= ১২১ পিস (প্রতি পিস ৩০ ফিট দৈর্ঘের)
= ৩৬৩০ ফিট

৩০ ফিট এ মোট রডের পরিমান
= ৩০ফিট/ ৫ ইঞ্চি +১
= ৩৬০ ইঞ্চি / ৫ ইঞ্চি +১
= ৭২+১
= ৭৩ পিস (প্রতি পিস ৫০ ফিট দৈর্ঘের)
= ৩৬৫০ ফিট

মোট রডের পরিমান = ৩৬৩০ ফিট+ ৩৬৫০ ফিট
=৭২৮০ ফিট

রডের ওজন = D²/৫৩২.২ কেজি (D হল রডের ডায়া বা মিলিমিটার)
= ১২²/ ৫৩২.২ কেজি (১২ মিলিমিটার রড এর ক্ষেত্রে)
= ০.২৭ কেজি (প্রতি ফিট এ)

মোট ওজন= ৭২৮০ X ০.২৭ কেজি
= ১৯৬৫.৬ বা ১৯৬৬ কেজি
= ১.৯৬৬ টন (আরও ৫-১০% অপচয় এর জন্য বাড়তি রডের দরকার হবে)
= ২০৬৪.৩ বা ২০৬৫ কেজি(৫% বাড়তি ধরে)

Photos from বিল্ডিং প্লান এন্ড ডিজাইন হাউজ's post 26/09/2023

আলহামদুলিল্লাহ! মাত্র ১১৫০ স্কয়ার ফিটের মধ্যে সেমি পাকা বিল্ডিং বাড়ির ডিজাইন।
ক্লায়েন্ট : জামিউল রহমান।
লোকেশন : চট্রগ্রাম ।
বাড়িটির ফ্লোর সাজানো হয়েছে মাত্র ১১৫০ স্কয়ার ফিটের মধ্যে।

বাড়িটিতে আছে
বেড রুম ৩ টি
ড্রইং
ডাইনিং
কিচেন
২ বাথ
বারান্দা

যে কোনো ধরনের ডিজাইন এবং ড্রইং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে

Photos from বিল্ডিং প্লান এন্ড ডিজাইন হাউজ's post 24/09/2023

#ডিজাইন #প্লান

01/09/2022

#নিয়োগ_বিজ্ঞপ্তি
একজন ফ্রেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন............
(১০০% শেখার মন মানসিকতা থাকতে হবে)
থাকাঃ ফ্রি
খাওয়াঃ নিজ দায়িত্বে
কাজঃ প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারের সহকারী
সেলারিঃ আলোচনার মাধ্যমে (তবে আউট ইনকামের সুযোগ আছে)
অগ্রাধিকার পাবেনঃ নামাজি, সকল ধরনের নেশা মুক্ত, সততা,
রেজাল্টঃ গুরুত্বপূর্ণ নয়।
যোগাযোগ নাম্বারঃ 01724038987
ইমেইলঃ [email protected]
আরও বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করুন আমাদের
ফেসবুক পেইজঃ
https://web.facebook.com/skhdc.official.fb
ওয়েবসাইটঃ
www.skhdconsultants.com
লোকেশন লিঙ্কঃ
https://g.page/r/CVgxs7PJRliGEAE
অফিসের ঠিকানাঃ জিয়া সরণি, ৯ নং রোড, নূরে মদিনা জামে মসজিদ (নিচ তলা), স্মৃতিধারা কদমতলী, শনির আখড়া, ঢাকা-১২৩৬।

S.K. House Design & Consultants বাড়ি নির্মান করার কথা ভাবছেন?
আমরাই দিতে পারি আপনাকে অসাধারন সব ডিজাইন।

Photos from Bulding Plan & Design House's post 29/08/2022
28/08/2022

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
**************
পদের নাম: ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার (অটোক্যাড)

যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল

অভিজ্ঞতা: যে কোন কন্সট্টাকশন ফার্মে ০৩বছরের অটোক্যাডের কাজ করার

জব লোকেশন: ঝালকাঠি

সিভি,শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও জাতীয় পরিচয় পএ ইমেল করার জন্য অনুরোধ করা হলোঃ
uddingias192@gmail .com

যোগাযোগের ঠিকানা:
সরদার কনস্ট্রাকশন, পূর্ব চাঁদকাঠি,ভিআইপি রোড়,ঝালকাঠি।

31/07/2022

Ground floor plan Area 30' X 45'

21/07/2022

আলহামদুলিল্লাহ একটি টিন শেড বাড়ির ডিজাইন । উঁচু নিচু ডিবির মত পাহাড়ি টিলা ঘর টিকে অনেক সুন্দর লাগবে। গ্রামে যারা কম বাজেটের মধ্যে টিন শেডের ঘর বানাতে চান তারা এই ভাবে ডিজাইন করে করতে পারেন। কম বাজেটে গ্রামিন পরিবেশের জন্য অনেক সুন্দর ও ইউনিক হবে।

বাড়িটিতে আছে
১। ৪ টি বেড রুম
২। ২ টি বারান্দা
৩। ১ টি এটাস্ট টয়লেট
৪। ১ টি কমন টয়লেট
৫। ড্রয়িং, ডাইনিং
৬। ১ টি কিচেন।
বাড়ি নির্মান ও যে কোনো পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন
📱মোবাইলঃ 01757594693
🌬ইমো অথবা হোয়াটসঅ্যাপ

Photos from Bulding Plan & Design House's post 08/06/2022

ইন্টেরিয়র স্হাপত্য শিল্প কেবলমাত্র 3D Image কেন্দ্রিক নয়, পাশাপাশি Space LIGHTINGS (আলোকসজ্জা )Plan , ডিজাইনের নিষ্প্রভতা কাটিয়ে , স্বপ্নের আঙিনায় নৈস্বর্গিক অনুপ্রেরনার আবেদনে সৃস্টি হয় আলো-ছাঁয়ার মায়ায় দোলা অহর্নিশ আভার কারিশমা!

ইন্টেরিয়র স্হাপত্যের শৈল্পিক আলোকসজ্জা পুরো স্পেস জুড়ে আনন্দ,উৎসাহ,উদ্দিপনা আর সৌন্দর্যের প্রভায় উষ্ণ আভার বিচ্ছুরণ ঘটায় !

ইন্টেরিয়র স্হাপত্য আলো এবং ছায়া দ্বারা সংজ্ঞায়িত যেখানে উপযুক্ত প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম আলোর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্পেসে উষ্ণতার পরশ আনতে আলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য । স্পেস ডিজাইন যতই অত্যাধুনিক বা যুগপযোগী হোক লাইটিং সঠিক না হলে পুরো আয়োজনটাই ফিকে মনে হয় ।

লাইটিং ডিজাইনের ছন্দময় কৌশলী সমন্বয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইনে তৈরী হয় রহস্যময় আভিজাত্য, চক্ষু শীতলকারী নান্দনিক স্নিগ্ধতা, মনোমুগ্ধকর নান্দনিক অনুষঙ্গ।

নান্দনিকতার ক্ষেত্রে, প্রাকৃতিক আলো কৃত্রিম আলোর চেয়ে রঙ ফুটিয়ে তোলার জন্য উওম প্রভাবক। দেওয়ালের পেইন্টিং বা আর্ট অবজেক্ট গুলো এনহ্যান্স করতে প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করা উচিত। ব্যক্তিগত রুচির সঙ্গে মাথায় রাখা জরুরি রঙ এবং আলো। মানসিক স্বাস্থ্য, আনন্দ আর ভালোলাগার সঙ্গে জড়িত রঙ আর আলো ।

মানসিক স্বাস্হ্য ও আলোর প্রভাব:
রেস্টুরেন্টে বা হোটেলে আলো ছায়ার কারিশমা ব্যবহার করে ওয়ার্ম লাইট ফেলা হয় মানুষের ওপর যা আমাদের ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

একজন মানুষকে যদি সবসময় লাল আলোর কোন কক্ষে রাখা হয়, তখন তার মধ্যে ক্রোধের উন্মেষ ঘটে। অনেক মানুষ দিনের পর দিন লাল ও হলুদ আলোর কক্ষে থাকার ফলে ধীরে ধীরে খিটখিটে মেজাজের হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে আলোক উৎস পরিবর্তন করলেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়। ঘরের বেশিরভাগ অঞ্চল অন্ধকার থাকলে শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বৃদ্ধি কমে যায়। মানুষ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে সহজেই। একটি সুন্দর আলোকিত ঘর মানুষকে দিতে পারে সুস্থ একটি জীবনধারা।

প্রতিটি স্থাপত্যের মাঝেই যেন সঠিকরূপে আলো ও বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেভাবেই ডিজাইন করা হয় ।স্পেসের প্রতিটি কোণে আলো প্রবেশ করবে। প্রতিটি আসবাবপত্রে আলো পড়বে। সেই আলো যেখানে পৌঁছাবে না, সেখানেই কেবল আর্টিফিসিয়াল আলোক ব্যবহার করা হবে।

এটাই সকল প্রকার স্থাপত্যের মূল অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত। তবুও কিছু অংশ যেমনঃ Dinning স্পেস বা কোন করিডোর স্পেসে ঠিকমতো আলো প্রবেশ না করলে আলোকিত করার জন্য নানা রকম বাতির ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে আলো ব্যবহারের জন্যে বিভিন্ন রাস্টিক ম্যাটেরিয়েল ব্যবহার করে সেই স্থানের দেয়াল ও ছাদের নানা রকম মাত্রা দেয়া যায়। ফলে সেই জায়গাটির সৌকর্য বেড়ে যায় বহুগুণ।

আলো দুই প্রকার:

► ন্যাচারাল লাইট (সানলাইট, মুনলাইট),

► আর্টিফিসিয়াল লাইট।

প্রতিটি স্থাপত্যের মাঝেই যেন সঠিকরূপে আলো ও বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেভাবেই ডিজাইন করা উচিত। প্রতিটি কোণে আলো প্রবেশ করবে। প্রতিটি আসবাবপত্রে আলো পড়বে। সেই আলো যেখানে পৌঁছাবে না, সেখানেই কেবল আর্টিফিসিয়াল আলোক ব্যবহার করা হবে।এটাই সকল প্রকার স্থাপত্যের মূল অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত।

তবুও কিছু অংশ যেমন Dinning স্পেস বা কোন করিডোর স্পেসে ঠিকমতো আলো প্রবেশ না করলে আলোকিত করার জন্য নানা রকম বাতির ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে আলো ব্যবহারের জন্যে বিভিন্ন রাস্টিক ম্যাটেরিয়েল ব্যবহার করে সেই স্থানের দেয়াল ও ছাদের নানা রকম মাত্রা দেয়া যায়। ফলে সেই জায়গাটির সৌকর্য বেড়ে যায় বহুগুণ।

আর্টিফিসিয়াল লাইট সোর্সঃ

► ডাইরেক্ট লাইট সোর্স
► ইনডাইরেক্ট লাইট সোর্স
►মিলো লাইট
► স্পট লাইট
► ডেকোরেটিভ লাইট

ডাইরেক্ট লাইট সোর্সঃ

Direct light source কে সিঙ্গেল লাইট সোর্স ও বলা হয়। একটি কামরায় একটি আলোক উৎস থাকে যা সরাসরি ঘরকে আলোকিত করে। এটিই ডাইরেক্ট লাইট সোর্স। আমরা ঘরে যে সব আলোক উৎস খুব সাধারণভাবে ব্যবহার করে থাকি যা পুরো ঘরকেই আলো দেয় তাকে বলে ডাইরেক্ট লাইট সোর্স। যেমন: আমরা যে এনার্জি বাল্ব বা টিউব লাইট ব্যবহার করি, এটাই হল ডাইরেক্ট লাইট সোর্স। এই ডাইরেক্ট লাইট সোর্স আমাদের ঘর পুরো আলোকিত করে দেয়। কোন বস্তু বিশেষভাবে দেখা যায় না। সব কিছুই সাধারণ মানের আলোতে আলোকিত হয়। কোন স্পট লাইট ইফেক্ট থাকে না বলে প্রতিটি বস্তুর ওপর সমান আলো পড়ে।

যখন একটি কক্ষে শুধুমাত্র একটি বা দুইটি লাইট থাকে, তখন ব্যক্তির ওপর আলো পড়লে দুটি বিষয় ঘটে। এক হলঘর এর ভেতর আলোক উৎস একটি বা দুটি হওয়ার ফলে বেশ কিছু ছায়া তৈরি হয়। সাধারণ এনার্জি সেভার লাইট বা টিউব লাইটের ক্ষেত্রে সেটি কম ছায়া তৈরি করলেও অন্য আলোগুলো, যেমন টাংস্টেন বা অন্যান্য বাতিগুলো কিন্তু ঠিকই এমন আলো দেয় যা নিখুঁত ছায়া তৈরি করে। এতে ঘরের বিভিন্ন কোণে অন্ধকার অঞ্চল তৈরি হয়। আসবাবগুলোর কোণায় তৈরি হয় বিচ্ছিন্ন সব ছায়া অঞ্চল যা ঘরের সৌন্দর্যকে ব্যাহত করে। তাই অনেক দামী আসবাব ব্যবহারের পরও সৌন্দর্যটা ঠিকমতো অনুধাবন করা যায় না।

ডাইরেক্ট লাইট সোর্স হিসেবে বহুল ব্যবহার হয় টিউব লাইট। বাজারে পাওয়া যায় চার ফিট থেকে দু ফিট বা এক ফিট লম্বা টিউব লাইট। এসব টিউব লাইটের আলো সহনশীল হলেও এদের আলো একমুখী। ফলে বেশ কিছু মধ্য ছায়া অঞ্চল তৈরি হয় ঘরে। বর্তমানে অবশ্য এলইডি টিউবও পাওয়া যায় যা সাধারণ টিউব লাইটের চাইতে প্রায় চারগুণ বেশি আলো দেয় এবং এটি অনেক বছর চলে।

LED লাইট ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার মাধ্যমে সারা বিশ্বে একটি বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে এক দশক আগেই। বর্তমানে বাংলাদেশে এই আলোক উৎস ব্যবহার বেড়েছে। একটু দামী হলেও এই আলো সাধারণ আলোর চেয়ে অনেক বেশি জোরালো এবং চোখ সহনীয়। এর স্থায়ীত্বও অনেক বেশি।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী আরেক বাতির নাম হল এনার্জি সেভার লাইট। এটি টিউব লাইটের ছোট্ট রুপ। দামে তিন থেকে পাঁচশ টাকা। এটি টিউব লাইটের মতোই আলো দেয়। তবে ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে এর আলো কমতে থাকে। ফলে এক সময় ঘর অন্ধকার হয়ে যায়।

ইনডাইরেক্ট লাইট সোর্সঃ

যেসব আলোক উৎস এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যেন আপনার ঘরে কোন আলোক উৎস দেখা যাবে না অথচ আলো দেখা যাবে, তখন তাকে বলা হয় ইনডাইরেক্ট লাইট সোর্স।

এ ধরণের আলোর ব্যবহার প্রধানত শুরু হয় যখন ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রচলন ঘটে। প্রচলিত এই ধারায় স্থপতি ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা প্রধানত গুরুত্ব দেন আলোর দিকেই। পুরো ঘর আলোকিত হবে কিন্তু একটা আলোক উৎসও দেখা যাবে না– এটাই হল মূলনীতি। প্রতিটি বস্তু সমান আলোকিত হয়। প্রতিটি ছায়া একই রকম হয় বলে ঘরের মাঝে একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়।

বাসাবাড়ি বা অফিসে ইনডাইরেক্ট লাইটিং বেশ প্রচলিত। বাসাবাড়িতে লিভিং রুম বা ডাইনিং স্পেস এ ইনডাইরেক্ট লাইটের ব্যবহারটা বেশি। ঘরের ভেতর যে নকল ছাদ থাকে, তাতে এই ইনডাইরেক্ট লাইট ব্যবহার করা হয়। এটি বেশ আরামদায়ক আলো প্রদান করে।

এক সময় এই ইনডাইরেক্ট লাইটিং এর জন্য টিউব লাইট ব্যবহার করার প্রচলন ছিল। বর্তমানে এলইডি স্ট্রিপ ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি এডাপ্টর ব্যবহার করে লাইট স্ট্রিপ শুইয়ে দেয়া হয় ডিজাইন করা সিলিং বা দেয়ালের ক্লাডিং-এ।

মিলো লাইটঃ

ডাইরেক্ট ও ইনডাইরেক্ট লাইট ব্যবহারের মাধ্যমে একটি অন্যরকম পরিবেশ তৈরি করে যে লাইট, তাই মিলো লাইট হিসেবে পরিচিত। এই লাইটিং সাধারণত অফিস বা রিডিং টেবিলের আশেপাশে ব্যবহার করা হয়। যেখানে পড়াশোনা বা কাজ করা হয়।

মিলো লাইটিং এর ক্ষেত্রে ইনডাইরেক্ট লাইট সোর্স থেকে বেশ দূরে ডাইরেক্ট লাইট সোর্স বসিয়ে সান লাইট বা সূর্যের আলোকের মতো সাদা আলো তৈরি করার চেষ্টা করা হয় যা চোখের জন্য উপকারী।

সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে এক এক সময় এক এক ধরণের আলো তৈরি হয়। মিলো লাইট এর ক্ষেত্রে দুপুরের বা বিকেলের আলোটাকে বিবেচনা করা হয় চোখ সহনীয় সুন্দর আলো হিসেবে। এরপর একে তৈরি করা হয় বিভিন্ন লাইটের আলো মিশিয়ে। বিভিন্ন রকমের আলোক উৎস বসিয়ে দেয়া হয়। ফলে বস্তু বা পদার্থের আসল রঙ বোঝা যায়। চোখ তার সঠিক কাজ করে মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয় সঠিক সিগন্যাল।

ফোকাস লাইটঃ

কোন একটি বস্তুকে সবার চোখের সামনে তুলে ধরার জন্য এই লাইট ব্যবহার করা হয়। একে স্পট লাইট ও বলা হয়। স্পট বা ফোকাস যে নামেই একে নামাঙ্কিত করা হোক- এর কাজ হল ঘর বা প্রতিষ্ঠানের যেকোন বস্তুর ওপর আলো ফেলে একটি ‘আলোক অঞ্চল’ তৈরি করা যাতে আলোক অঞ্চলে থাকা বস্তু বা দেয়াল সবার নজরে আসে। এক্ষেত্রে ফোকাস লাইট হিসেবে এলইডি বাল্ব এর ব্যবহার বেড়েছে।

বাসায় কোন পেইন্টিং বা কোন দামী ছবির ওপর ফোকাস লাইট ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে ট্রেইল ধরে লাইট বসানোর ব্যবহারও দেখা যায় মাঝে মধ্যে।

ঘরের কোন দেয়ালে পাথর বা মার্বেলের ক্ল্যাডিং থাকলে সেটার উপরও দেয়া হয় ওয়াল ওয়াশ স্পট লাইট যা ঘরের মাঝে বাড়তি মাত্রা যোগ করে।

ঘরের বিভিন্ন আসবাবের ওপর লাইট ব্যবহার করে একে ফুটিয়ে তোলার কাজটিও করা হয় এই স্পট লাইট দিয়েই। প্রতিটি কোণে চলে যায় আলো- তাতে ছায়ার অংশ কমে যায়। ঘরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায় অনেক বেশি মাত্রায়।

ডেকোরেটিভ লাইটঃ

যখন কোন আলোক উৎস নিজেই একটি ডেকোরেশন পিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন তাকে ডেকোরেটিভ লাইট বলা হয়। আমরা প্রাচীন কাল থেকে এই ডেকোরেটিভ লাইট ব্যবহার করে আসছি। বিভিন্ন রাজবাড়িতে যে ঝাড়বাতির প্রচলন ছিল, তাই এখন ডেকোরেটিভ লাইটের খোলসে আবির্ভূত হয়েছে।

এসব লাইট যে কত ধরণের ডিজাইনের হয় তার কোন শেষ নেই। ঘরের মাঝে যদি এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়, তখন এই সব লাইট সোর্স হয়ে ওঠে কক্ষের মধ্যমণি। এটাই আভিজাত্যের মূর্ত প্রতীক। একই সাথে লাইট সোর্স। একই সাথে এটি ডাইরেক্ট ও ইনডাইরেক্ট লাইটসোর্স হিসেবে কাজ করে।

আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দৃশ্যমান তিন রকম সাদা আলোঃ

► ওয়ার্ম হোয়াইট
► ডে লাইট
► কুল হোয়াইট

সচরাচর বেশ কয়েক রকম লাইটের ব্যবহার দেখা যায় ,এসব লাইটের টেম্পারেচার আলাদা। এই টেম্পারেচারের সাথে ঘরের তাপমাত্রার কোন মিল নেই।

লাইট টেম্পারেচার হিসেব করে কম টেম্পারেচারের লাইটকে বলা হয় ওয়ার্ম লাইট। এটা অনেক হলুদাভ আলো দেয়। এতে যেকোন দেয়াল হলদে হয়ে ধরা পড়ে চোখে।

ধীরে ধীরে টেম্পারেচার বাড়তে থাকলে ডে লাইট তৈরি হয়। ডে লাইট হল সূর্যের মধ্যদিবসের আলো। এই আলোতে সব বস্তু তার সঠিক রঙে চোখে পড়ে।

আবার টেম্পারেচার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকলে আলো নীলাভ হয়ে যায়। তখন একে বলা হয় কুল হোয়াইট লাইট। দুই নামকরণের কারণ আগুন দেখতে হলুদাভ। আর বরফাচ্ছাদিত অঞ্চল দেখতে নীলাভ সাদা।

যখন আমরা টিউব লাইট ব্যবহার করি, তখন আমরা আসলে কুল হোয়াইট লাইট ব্যবহার করি। বাজারে অনেক ওয়ার্ম হোয়াইট টিউব লাইটও পাওয়া যায়। আবার স্পট লাইটের ক্ষেত্রে ওয়ার্ম স্পটের জয়জয়কার! অফিস বা বাসার কাজের জায়গাগুলোতে ডে লাইট ব্যবহার করা হয় বেশি। রান্নাঘর বা টয়লেটে কুল লাইটের ব্যবহার বেশি হয়। ফয়ার বা ডায়নিং-এ ওয়ার্ম লাইট ব্যবহার করা হয়।

প্রফেশনাল লাইটিং ডিজাইনে ছোট স্পেসকে আরো বড় আকারে দেখানোর কৌশলঃ

► ড্রইং রুমের দেয়ালে কিছুটা অংশে কাঁচ বসিয়ে দিলে বাড়তি আলো পাওয়া যায়।

► লিভিং স্পেসের লাইটগুলো এমন হওয়া উচিত যেন ঘর গরম না হয়ে ওঠে।

► ঘরে নান্দনিক সৌন্দর্য আনতে ব্যবহার করতে পারেন স্পট লাইট চাইলে কোনো মাটির মটকা, বেতের ঝুড়ি অথবা বাঁশের খোলের মধ্যে রাখতে পারেন আলোর ব্যবস্থা।

► দেয়ালগুলো আলোকময় করতে দেয়াল ঝুলিয়ে কিছু বাতি সেট করতে পারেন। একটি বড় কিংবা অনেকগুলো ছোট ছোট আয়রনের মোমবাতির স্ট্যান্ড রাখা যেতে পারে তবে বাতিগুলো যেন অবশ্যই দেয়াল থেকে দূরে রাখা উচিত দেয়ালে ডার্ক শেড থেকে রক্ষা পেতে।

► দেওয়ালের পেন্টিং বা আর্ট অবজেক্ট গুলো এনহ্যান্স করতেও এইভাবে আলো ব্যবহার করা উচিত। বেডরুমের ক্ষেত্রে বেডসাইড টেবলে কভারড ল্যাম্পও ইমপর্ট্যান্ট। এতে একটা সফ্ট মুড তৈরি হয়।

► এছাড়া ওয়াল লাইটের জন্য ব্র্যাকেট বা হোল্ডার যাই ব্যবহার হোক সেখানে একটা ব্যালেন্স রাখা উচিত ।একই মেটাল ব্যবহার করলে দেখতেও ভাল লাগে। যত সিম্পল ডিজ়াইনের লাইট ব্যবহার করা যায় ততই ভাল,এতে অবজেক্ট হাইলাইট করতে সুবিধা হয়।

স্প্লিট লাইটিংঃ

লাইটিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সঠিকভাবে আলোকে ডিস্ট্রিবিউট করা। আগে সাধারণত ঘরে টিউবই প্রধান আলো হিসেবে ব্যবহার করা হত। আজকাল অবশ্য এলইডি লাইটই বেশি জনপ্রিয়। আলোর সোর্স যদি একটাই হয়, সেক্ষেত্রে তা চোখে সরাসরি পড়ার চান্স বেশি। তাই সারা ঘরে যদি লাইট সোর্সগুলো ভাগ করে দেওয়া যায়, তাহলে সামঞ্জস্য বজায় থাকে। এতে প্রয়োজন অনুযায়ী লাইটের ইন্টেনসিটিও কন্ট্রোল করতে পারবেন। একটু কোজ়ি ফিলিংয়ের জন্য হয়তো একটা লাইট জ্বালালেন, বা কোনও স্পেশ্যাল এরিয়া হাইলাইট করতে চাইলে, শুধু সেখানকার আলো জ্বালতে পারেন। আবার ফর্ম্যাল মুডের জন্য সবক’টা লাইট সোর্সও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কাস্টোমাইজ়েশনগুলোর জন্য লাইট স্প্লিট করা জরুরি।

পরিকল্পিত লাইটিং প্ল্যান স্পেসের আবহাওয়াকে মুহুর্তেই পরিবর্তন করেঃ

সাধারণ আলো বা GENERAL LIGHTING:
লাইটিং স্কিমের মূল ভিত্তি সাধারন আলো , যা সম্পূর্ণ স্পেসে অভিন্ন আভা প্রদান করে এবং নান্দনিক কারণে পুরো স্পেস কার্যকরীভাবে আলোকিত করে।সাধারণ আলো সরাসরি হয় এবং দিনের আলোতে পরিবর্তনের জন্য একটি সুইচ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

মুড লাইটিংঃ
লাইটিংয়ের প্রথম কথা মুড সেট করা। আলোর কালার প্যালেট যদি খুব স্ট্রং হয়, তবে তা মাইন্ডকে ডিস্টার্ব করতে পারে। সুতরাং লাইটিং করার ক্ষেত্রে মানসিক স্তর অনুধাবনের সক্ষমতা জরুরী।

মুড লাইটিং স্পেসের পার্সপেক্টিভ লুকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ মুড লাইটিং ছাড়া পরিপূর্নতা পায় না । মুড লাইটিং আলোর মিলনমেলা তৈরি করে এবং একটি স্পেসকে আনন্দদায়কভাবে আমন্ত্রিত করে তোলে যা সাধারণ আলোর কারণে সৃষ্ট ছায়াকে প্রতিরোধ করে।

ঘরের যে কোনও একদিকে একটা বেশি পাওয়ারের আলো ব্যবহার না করে, যদি পুরো ঘরে সেটা ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে ভাল হয়। পেন্টিং বা আর্ট অবজেক্টগুলো এনহ্যান্স করতেও এইভাবে আলো ব্যবহার করা উচিত। বেডরুমের ক্ষেত্রে বেডসাইড টেবলে কভারড ল্যাম্পও ইম্পর্ট্যান্ট। এতে একটা সফ্ট মুড তৈরি হয়।

অ্যামবিয়েন্ট লাইটিংঃ

রুমের কতটুকু অংশ আলোকিত তার উপর নির্ভর করে লাইটিং। কিছু ডিজাইন জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ভালো লাগে, আবার কিছু ডিজাইন ভালো লাগে সামান্য আলো আঁধারির খেলায় তাই ডিজাইনের সাথে ম্যাচ রুমের এম্বিয়েন্ট লাইটিং করা হয় ।

রুমের দেয়ালকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য দেয়ালে সাথে লাইটের ব্যবহার করা যায় ।জার লাইট অথবা LED স্ট্রিং লাইটের ব্যবহার দেয়ালকে যেমন সুন্দর করে তুলবে তেমনি সারাদিনের ব্যস্ততার শেষে ঘরে ফিরে পাওয়া যায় শান্তির পরশ। ঘরে আলোক বাতির যথযথ ব্যবহার রুমের আবহ পরিবর্তন করে।

টাস্ক লাইটিংঃ

নির্দিষ্ট কাজের উদ্দ্যেশ্যে টাস্ক লাইটিং ব্যবহার হয় : পড়াশোনার জন্যে রিডিং লাইট, বুক শেলফ বা কিচেন কাউন্টারের উপর ঝুলন্ত পেন্ডেন্ট লাইট টাস্ক লাইটিং এর মধ্যে পড়ে অথবা ঘরের কোণে ফুলের টবের পাশে টাস্ক লাইটিং স্পেসের পরিবেশকে করে তুলে আরো বেশি আকর্ষণীয়।

অ্যাকসেন্ট লাইটিংঃ

স্পেসের কোন বিশেষ অংশকে ফুটিয়ে তুলতে। ওয়াল পেইন্টিং বা ছবির আশেপাশে একসেন্ট লাইটিং রুমে একটা ক্লাসিকাল আবহ তৈরি করে।ফ্ললোরাসেন্ট বাতির পরিবর্তে ওয়ার্ম রিসেসড সিলিং লাইট ব্যবহার করা উচিত। এই লাইটের ব্যবহার ঘরের পরিবেশকে করে তুলবে আরও সুন্দর।

এই ধরনের আলো ঘরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য, প্রসাধন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন, ছবি উপরে ওভারহেড লাইট , রিসেসড লাইটিং ইত্যাদি।এই তিনটি প্রকারের সমন্বয় ঘটালে তা আপনার ঘরকে একটি সম্পূর্ণ সাজ প্রদান করবে।

এই পাঁচ ধরনের আলোর সমন্বয় ঘটলে ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্পেসকে একটি পরিপূর্ন নান্দনিক সাজ প্রদান করে!

রং বুঝে আলো (Colour Management):

ইন্টেরিয়র ডিজাইনে কালার প্যালেট, ফার্নিশিং, ডেকোরেশন ইত্যাদির পাশাপাশি রঙ এবং লাইটিং প্ল্যান Vital Element কারণ এই দুটো পরিকল্পনার মাধ্যমেই স্পেসকে মৌলিকভাবে সজ্জিত করে, যদিও লাইটিং সচরাচর পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না।

কালার প্যালেট, ফার্নিশিং, ডেকোরেশন ইত্যাদির পাশাপাশি আলো ইন্টেরিয়র ডিজাইনের অন্যতম অলংকার।শুধু দামি আসবাবপত্রই ঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইনে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে না বরং রঙিন দেয়ালে আলো-ছায়ার ছোটাছুটি পুরো ঘরের চেহারটাই আমূল বদলে দিতে পারে।

আলোর সোর্স যদি একটাই হয়, সেক্ষেত্রে তা চোখে সরাসরি পড়ার চান্স বেশি। তাই সারা ঘরে যদি লাইট সোর্সগুলো ভাগ করে দেওয়া যায়, তাহলে সামঞ্জস্য বজায় থাকে। এতে প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা লাইটের ইনটেন্সিটিও কন্ট্রোল করতে পারি।

একটু Cosy Feelings এর জন্য হয়তো একটা লাইট জ্বালালেন, বা কোনও স্পেশাল এরিয়া হাইলাইট করতে চাইলে, শুধু সেখানকার আলো জ্বালতে পারেন। আবার ফর্মাল মুডের জন্য সবক’টা লাইট সোর্সও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কাস্টোমাইজ়েশনগুলোর জন্য লাইট স্প্লিট করা জরুরি।

দেওয়ালে যদি খুব বড় কোনও পেন্টিং থাকে, সেক্ষেত্রে গ্যালারি লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। দেওয়ালে লাইট রিফ্লেক্ট করে বেশ নস্ট্যালজিক একটা অ্যামবিয়েন্স তৈরি করবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শ্যান্ডেলিয়র কেনার আগে, স্পেসের কথা খুব একটা ভাবা হয় না। খুব জমকালো বা ভারি ডিজ়াইনের বদলে সিম্পল ডিজ়াইনের শ্যান্ডেলিয়র বাছাই ।আতিশয্যের কথাও মাথায় রাখবেন, অন্দরের স্বাভাবিক স্বাচ্ছন্দ্যটুকু যেন নষ্ট না হয়।

ডার্ক কালার বেশি লাইট অ্যাবসর্ব করে, ফলে একধরনের মানসিক অস্থিরতারও সৃষ্টি হয়। তাই রং বুঝে আলো বাছাই করা উচিত। দেওয়ালে যদি ব্লু বা হোয়াইট ইত্যাদি শেড থাকে সেক্ষেত্রে সাদা আলোর দিকে গেলে ভাল। অন্যান্য রঙের ক্ষেত্রে ওয়র্ম লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে।

ঘর যদি খুব বড় হয়, তাহলে শ্যান্ডেলিয়র ব্যবহার করা যেতে পারে।খুব জমকালো বা ভারি ডিজ়াইনের বদলে সিম্পল ডিজ়াইনের শ্যান্ডেলিয়র বেটার।

লক্ষ্যনীয়ঃ

► ওয়র্ম লাইট বেশ কোজ়ি এনভায়রমেন্ট তৈরি করে। তবে স্টাডিরুমের ক্ষেত্রে সাদা আলোই ভাল, কারণ পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজন। এছাড়া কোনও সরু প্যাসেজ বা সিঁড়িতেও সেফটির জন্য সাদা আলো ব্যবহার করা ভাল।

► প্রয়োজন ছাড়া বেডরুমে খুব স্ট্রং লাইট না ব্যবহার করাই ভাল। আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে চাইলে রিসেসড লাইটিং ব্যবহার করুন। বাচ্চাদের ঘরে অবশ্যই নাইট ল্যাম্পের ব্যবস্থা রাখবেন।

► লিভিং স্পেসের কোণ ঘেঁষে ল্যাম্পস্ট্যান্ড রাখা যায় ।ডাইনিংয়ের ক্ষেত্রে নানা ইন্টেনসিটির আলো ব্যবহার করা উচিত।

► বেডরুমের লাইটিং ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে। ঘরের অন্যান্য রুমের লাইটিং ডিজাইনের সঙ্গে, বেড রুমের লাইটিং প্ল্যানিং ও ডিজাইন সম্পূর্ন আলাদা।সাধারণত চোখে বিরক্তি ধরায় না- এমন লাইটিং বেডরুমের জন্য পারফেক্ট। ঘরের কোণে পেন্ডেন্ট লাইট, ডিমার লাইট একটা মুগ্ধকর আবেশ তৈরি করবে। অর্থাৎ দেয়ালে সাদামাটা রঙ এবং সাদামাটা আলো মিলিয়ে, যেন শুভ্রতার কম্বিনেশন যা আপনার প্রশান্তির ঘুম আনতে সহায়ক হবে।

ইন্টেরিয়র ডিজাইনে লাইটিংয়ের প্রভাব(Lighting Effects):

1. ডাউনলাইটিংঃ

ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্পেসে লাইটিং প্ল্যানে ডাউনলাইটিং খুব গুরুত্বপূর্ন এবং জনপ্রিয় । ডাউনলাইটিং সাধারণত সুরক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং এটি সূর্য বা চাঁদের মতো উপরে থেকে আসার ন্যাচারাল প্রাকৃতিক প্রভাব তৈরি করে। ওয়াকওয়ে এবং ড্রাইভওয়ে হাইলাইট করতে ডাউনলাইটিং ব্যবহার হয় ।

2. আপলাইটিংঃ

ইন্টেরিয়র লাইটিং ডিজাইনে আপলাইটিং হল ডাউনলাইট করার একটি Soft Alternative way .আপলাইটিং প্রত্যক্ষ্য ভাবে সিলিং থেকে বাউন্স করে এবং রুমে ফিরে প্রতিফলিত করার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে স্পেসে আলো প্রবর্তন করে।

3. ওয়াল ওয়াশিংঃ

রাতের বেলা আলো যখন Wall এ নেমে আসে তখন এই আলো Wall এর প্রতিটি কোণে সমানভাবে Soft উপায়ে দেয়ালের ভার্টিক্যাল সার্ফেসকে আলোকিত করে Wall Washing Light . দেয়ালের উপর পানি বা কুয়াশার মতো একটি পাতলা Layer তৈরী করে। বিভিন্ন রঙের সাথে, দেখতে দূর থেকে অনেকটা কল্পলোকের রূপকথার ন্যায় আবহ তৈরী করে।

4. ওয়াল গ্রেজিংঃ

ওয়াল গ্রেজিং লাইটিং আলোকে Surface এর কাছাকাছি (12 ইঞ্চির বেশি দূরে নয়) এমন ভাবে রাখা হয় যেন এটি আলোকিত হয়ে কার্যকরভাবে এর টেক্সচারকে হাইলাইট করে এবং বের করে আনে।Wall এর সামগ্রিক উচ্চতা থেকে লুমিনিয়ারের দূরত্বের ভারসাম্য নির্ধারণ করে।

5. স্পটলাইটিংঃ

একটি স্পেসের ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টাইল হাইলাইটের উদ্দেশ্যে স্পটলাইট,টাস্ক এবং অ্যাকসেন্ট লাইটিং ব্যবহার করা হয়।

লাইটিং ডিজাইনে করনীয়ঃ

► ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্পেসটি কিজন্য ব্যবহৃত হবে এবং এতে কোন ধরনের ফার্নিচার অন্তর্ভুক্ত করা হবে সে অনুযায়ী কোন অংশের জন্য নির্দিষ্ট আলোর প্রয়োজন হবে তেমন প্ল্যান করা উচিত।

► ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্পেসের লাইটিং প্ল্যানে একটি Dimmer সিস্টেম রাখা উচিত - যেন এটি স্পেসের আলোকে প্রতিক্রিয়াশীল হতে দেয়৷

► লাইটিং প্ল্যান করার সময়,আলাদা আলাদা রুমের মধ্যে সম্পর্ক ও ফাংশন বিবেচনা করে, উজ্জ্বল আলো থেকে ম্লান অন্ধকারের তীক্ষ্ন পরিবর্তনগুলি বিভ্রান্তি এবং চোখের ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে ইত্যাদি মাথায় রেখে ডিজাইন করা ।

► ছোট দেয়ালে ওয়াল লাইট লাগালে তা ঘরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং লম্বা দেয়াল থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেয়।

► আলো ছায়ার আস্তরণের রেখার দিকে মনোযোগ দিলে আস্তরণের পুরুত্ব এবং রঙ নির্গত আলোকে আরো প্রভাবিত করবে।

► লাইটের wattage সম্পর্কে সাবধান হওয়া উচিত 60 Watt বা 75 Watt এর বাল্বগুলি যেখানে মুড লাইটিং এর জন্য খুব উজ্জ্বল সেখানে একটি 40 Watt বাল্ব অনেক বেশি আবেদনময়।

► নিজের পছন্দ অনুযায়ী সাদা বা ওয়র্ম লাইট, দু’টোই ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, কোনও আলোই যেন আমাদের চোখে সরাসরি না পড়ে। ঘরের যে কোনও একদিকে একটা বেশি পাওয়ারের আলো ব্যবহার না করে, যদি পুরো ঘরে সেটা ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে ভাল হয়।

► ওয়াল লাইটের জন্য ব্র্যাকেট বা হোল্ডার যাই ব্যবহার হোক না কেন, সেখানে একটা ব্যালেন্স রাখা উচিত। একই মেটাল ব্যবহার করলে দেখতেও ভাল লাগে। যত সিম্পল ডিজ়াইনের লাইট ব্যবহার করা যায় , ততই ভাল। কারণ এতে অবজেক্ট হাইলাইট করতে সুবিধা হয়।

"প্রফেশনাল ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ,শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশের আবহ তৈরীর পরিপ্রেক্ষিতকে সামনে রেখে ডিজাইনের মাধ্যমে মানুষের পার্সপেক্টিভ লাইফস্টাইল এবং দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করেন।

সুদক্ষ ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদেরই কেবল এমন অবিশ্বাস্য প্রতিনিধিত্ব করার সক্ষমতা আছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা শুধু মানুষের দৈনন্দিন জীবনকেই প্রভাবিত করছে না বরং চূড়ান্তভাবে সমগ্র মানব অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করছে।

ইন্টেরিয়র ডিজাইনের বিশেষ শক্তির এই বার্তাকে যত বেশি সূক্ষভাবে কাজে লাগানো যাবে ততটাই বিভিন্ন পেশার মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করাও সম্ভব হবে। আপনার স্পেসের স্হাপত্য ডিজাইনের অনিমেষ মূর্চ্ছনায় আনুন পরিবর্তনের অনুরণন।"

03/06/2022

আপনি কি আপনার স্বপ্নের বাড়ীর ডিজাইন/নির্মাণ নিয়ে ভাবছেন?

আপনার সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণ করার আগে সঠিক পরিকল্পনা করা খুবই জরুরি,কারণ একটি পরিকল্পনা বাচিয়ে দিবে আপনার কষ্টার্জিত মুল্যবান অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ সময়।
আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়ের মূলে রয়েছে আমাদের অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা, আর্কিটেক্ট ও ইঞ্জিনিয়ার।
আমরা দিচ্ছি স্বল্প খরচে সর্বোচ্চ মানের কাজের নিশ্চয়তা।

আমাদের সেবাসুমহ:
পৌর প্লান /উপজেলা প্লান
আর্কিটেকচারাল এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন
কন্সট্রাকশন
সয়েল টেস্ট এবং সার্ভে
ইন্টেরিয়র ডিজাইন
ইত্যাদি

Office Address:
Building plan & Design House
12/Court road Jhalakathi
Arc Hasan
01647762793

Photos from Bulding Plan & Design House's post 02/06/2022

Maszid

13/10/2021

১০” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে।

০৫” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে।

গাথুনী এব প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়।
নিচের ছলিং এ প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে।পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়।

০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়।সিএফটি অর্থাৎ ঘনফুট।

এসএফটি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে।কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়।

ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। ( ১০” ÷ ১২ = ০.৮৩৩)এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়।

* ১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ওজন ১৯২০ কেজি।

* ১ ব্যাগ সিমেন্টে পানি লাগে ২১ লিটার।

* ১০০ এস,এফ,টি প্লাষ্টারে ১:৪ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ২ ব্যাগ।

* গাথুনীর প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়। সিলিং প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়।

* প্রতি এস,এফ,টি নিট ফিনিশিং করতে = ০.০২৩৫ কেজি সিমেন্ট লাগে।

* মসলা ছাড়া ১ টি ইটের মাপ = (৯ ১/২”*৪ ১/২”*২ ৩/৪”)

মসলাসহ = (১০”*৫”৩”)10 mm =1 cm
100 cm = 1 m (মিটার)Convert
1″ = 25.4 mm
1″ = 2.54 cm
39.37″ = 1 m
12″ = 1′ Fit
3′ = 1 Yard (গজ)
1 Yard = 36″
72 Fit = 1 bandil.
রডের পরিমান নির্ণয় করার পদ্ধতি
10 mm = 0.616 kg/m = 3 suta
12 mm = 0.888 kg/m = 4 suta
16 mm = 1.579 kg/m = 5 suta
20 mm = 2.466 kg/m = 6 suta
22 mm = 2.983 kg/m = 7 suta
25 mm = 3.854 kg/m = 8 suta
রডের ওজন
৮ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১২০ কেজি।
১০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১৮৮ কেজি।
১২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.২৭০৬ কেজি।
১৬ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৪৮১২ কেজি।
২০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৭৫১৮ কেজি।
২২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৯০৯৭ কেজি।
২৫ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন =১.১৭৪৭ কেজি।
উপরে যে কনভার্ট সিস্টেম দেয়া হয়েছে, এর প্রতিটি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে বাস্তবে কাজ করা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেমে রডের আন্তর্জাতিক হিসাব করা হয় kg/m এ।আবার বাংলাদেশে সাধারন লেবারদের সাথে কাজ করার সময় এই হিসাব জানা একান্তই জরুরী এছাড়া ও নিম্নোক্ত বিষয় টিও জেনে রাখুন . . . .
8 mm -7 feet -1 kg
10 mm -5 feet -1 kg
12 mm -3.75 feet – 1 kg
16 mm -2.15feet -1kg
20 mm -1.80feet -1kg
22mm -1.1feet -1kg
রডের মাপ ফিট মেপে kg বের করা হয় ………
এই সুত্রটি মনে রাখুন ( রডের ডায়া^2 / 531,36 ) যেকোনো ডায়া রডের এক ফিটের ওজন বাহির হবে . এখনে অবশ্যই রডের ডায়া মিলি মিটারে উল্লেখ করতে হবে।

খোয়ার হিসাব
* ১ টি ইটে = ০.১১ cft খোয়া হয়।

* ১০০ টি ইটে = ১১ cft খোয়া হয়।

* ১০০০ টি ইটে = ১১১.১১ cft খোয়া হয়।
বালির হিসাব

* ১০৯ ফিট = ১২.২৫cft,

* ১০০ sft ৫” গাথুনীতে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ২ ব্যাগ।

* ১০০ sft ১০” গাথুনীতে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ৪ ব্যাগ। বালু লাগে ২৪ cft।
ঢালাই এর হিসাব

* ১০০ cft ঢ়ালাই এ ১:২:৪ অনুপাতে সিমেন্ট ১৭ ব্যাগ, বালু ৪৩ cft, খোয়া ৮৬ cft লাগে।

* ১ cft ঢ়ালাই এ ১:২:৪ অনুপাতে সিমেন্ট ০.১৭, বালু ০.৪৩ cft, খোয়া ০.৮৬ cft লাগে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রাথমিক হিসাব নিকাস জানুনঃতপু

1. এক ঘনমিটার ইটের গাঁথুনীর কাজে প্রচলিত ইটের প্রয়োজন= ৪১০ টি।

2. এক ঘনফুট ইটের গাঁথুনীর কাজে প্রচলিত ইটের প্রয়োজন=১১.৭৬=১২ টি

3. এক ঘনমিটার ইটের গাঁথুনীর কাজে মেট্রিক ইটের প্রয়োজন= ৫০০ টি।

4. এক ঘনফুট ইটের গাঁথুনীর কাজে মেট্রিক ইটের প্রয়োজন= ১৪.২৮ টি।

5. এক বর্গমিটার জায়গায় একস্তর ইটের ফ্লাট সোলিং এর জন্য ইটের প্রয়োজন=৩১ টি।

6. এক বর্গমিটার সোলিং এ চিকন বালির প্রয়োজন=০.০১৫ ঘনমিটার

7. এক বর্গমিটার জায়গায় একস্তর ইটের হেরিং বোন বন্ডের জন্য ইটের প্রয়োজন=৫২ টি।

8. এক বর্গমিটার হেরিং বোন বন্ডের জন্য চিকন বালির প্রয়োজন=০.০৩ ঘনমিটার

9. ইটের গাঁথুনীর কাজে শুকনা মসল্লা এর পরিমাণ=৩৫%

10. এক ঘনমিটার সিমেন্ট=৩০ ব্যাগ….

11. এক বর্গমিটার নীট সিমেন্ট ফিনিশিং এর জন্য(NCF) সিমেন্টের প্রয়োজন=২.৭-৩ কেজি

12. ডিপিসি এ পাডলোর পরিমাণ সিমেন্টের ওজনের ৫% অর্থাৎ প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের জন্য ২.৫ কেজি।

13. এক ঘনমিটার এম,এস রডের ওজন =৭৮৫০ কেজি বা ৭৮.৫০ কুইন্টাল

14. এক ব্যাগ সিমেন্টের ওজন=৫০ কেজি এবং আয়তন=০.০৩৪৭ ঘনমিটার

15. এক ব্যাগ হোয়াইট সিমেন্টের ওজন=৪০ কেজি

16. আবাসিক দালানের জন্য বাসযোগ্য ক্ষেত্রফল প্লিন্থ ক্ষেত্রফলের ৫০%-৫৬% হওয়া উচিত।

17. ১ রানিং মিটার দৈর্ঘে এন্ড এজিং এ ইটের পরিমাণ=১/.১২৭=৮ টি।

18. আর.সি.সি কাজে ব্যবহৃত প্রতি মিটার এম.এস.রড এর ওজন নির্ণয়ের সুত্র =d2/১৬২.২ কেজি।

19. এক ঘনমিটার ছোট সাইজের খোয়ার জন্য ইটের প্রয়োজন ৩২০ টি এবং বড় সাইজের খোয়ার জন্য ৩০০ টি।

20. আর.সি.সি কাজে ব্যবহৃত প্রতি কেজি এম.এস.রড এর র্দৈঘ্য নির্ণয়ের সুত্র =১৬২.২/d2 মিটার

21. নির্মাণ সামগ্রী বহনের জন্য চালনা দুরুত্ব ৩০ মিটার এবং উত্তোলন দুরুত্ব ১.৫ মিটার।

22. কম্প্রেশন বারে হুক ছাড়া ল্যাপিং ২৪D এবং হুকসহ ৪৪D আবার, টেনশনে হুক ছাড়া ল্যাপিং ৩০D এবং হুকসহ ৬০D.

23. জলছাদের কাজে খোয়া,চুন,সুরকির অনুপাত=৭:২:২

24. সেপটিক ট্যাংক এর নুন্যতম প্রস্থ ৬০সেমি এবং তরলের নুন্যতম গভীরতা ১ মিটার।

25. সোক ওয়েলের নুন্যতম ব্যাস ৯০ সেমি এবং গভীরতা ইনভার্ট সমতল হতে ১.৫ মিটার।

26. কালভার্ট এর স্প্যান ৬ মিটারের কম এবং ব্রিজের স্প্যান ৬ মিটারের বেশি

27. ব্রিজ এর স্ল্যাবকে ডেকস স্ল্যাব বলে।

28. ঢেউটিনের প্রমাণ দৈর্ঘ্য: (১.৮০,২.২০,২.৫০,২.৮০,৩.২০)মিটার এবং প্রস্থ ০.৮০মিটার এবং ঢেউয়ের গভীরতা ১৮ মি.মি

29. এক মিটার এম.এস অ্যাঙ্গেলের ওজন=০.০০৭৮৫A কেজি

30. একটি এক টনি ট্রাক পাকা রাস্তায় সিমেন্ট বহন করে ২০ ব্যাগ

31. একটি এক টনি ট্রাক পাকা রাস্তায় ইট বহন করে 333 টি

32. একটি এক টনি ট্রাক কাঁচা রাস্তায় সিমেন্ট বহন করে ১৩.৩৩ ব্যাগ।

Want your business to be the top-listed Hardware Service in Barisal?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

Website

Address

Barisal

Other Building Material Stores in Barisal (show all)
Best - con Construction materials co; ltd Barguna sodor Barguna. Best - con Construction materials co; ltd Barguna sodor Barguna.
Barisal

বিল্ডিং এর কলাম,বীম এর স্থায়িত্ব বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করতে ব্যাবহার করুন আমাদের Best Con Matarials

Seven Rings Cement - Barishal Seven Rings Cement - Barishal
Nur Manson, C & B Road
Barisal, 8200

বরিশাল বিভাগের সকল জেলা ও থানায় সেভেন রিংস্ সিমেন্ট দরকার হলে যোগাযোগ করুন। ০১৭৩০-৩৭৭৬৩৭