গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran, Food Delivery Service, Bamna, Barguna, Barisal.
মাঝে আর একটা দিন। এরপরই ঢাকা ইং শা আল্লাহ।
এই সুখী সুখী পোস্টগুলো হয়ত একটু মন খারাপের পোস্টে রূপ নেবে। কিংবা হয়ত লেখাগুলোই পালটে যাবে একদম। হয়ত ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে যাব।
তবে ইনবক্সে আমায় খুঁজে পাবেন, প্রোডাক্ট পাবেন ইং শা আল্লাহ।
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran পেইজে কী কী পাওয়া যায় মনে আছে তো? লাল আটা, আতপ চালের গুড়া, চালতার আচার এবং কাঁচা সুপারী।
ভোরে উঠে দেখলাম বেশ কুয়াশা পড়েছে। নামাজ-কালাম সেরে তাড়াতাড়িই বাইরে এলাম, ভাবলাম কুয়াশা ঘেরা শীতের একখানা ছবি তুলি। ও মা, বাইরে এসে দেখি এরইমধ্যে সূর্য উঁকি দিয়েছে। কী আর করা! পুরোনো ছবিই আপলোড দিই!
তবে আমার জন্য ছবিটা পুরোনো হলেও আপনাদের জন্য কিন্তু নতুনই। এর আগে এই ছবি আপলোড করা হয়নি।
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran
ঘরে চালের গুড়া থাকলে ঝটপট কিছু একটা করে ফেলা যায় তাই না? আর শীতকাল মানেই তো পিঠাপুলি...
ডিম, চিনি আর চালের গুড়ায় তৈরি সুন্দর ফুল ফুল এই পিঠাগুলো।সঙ্গে অবশ্য সামান্য আটাও দেওয়া হয়েছিল যেন নরম থাকে।
চালের গুড়া এবং আটার জন্য আপনাদের সঙ্গে আছে গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran
প্রকৃতির তাণ্ডব নৃত্য...
আলহামদুলিল্লাহ,
আমার অনূদিত প্রথম বই।
আমার বইটা পাবেন আমারই আরেক পেইজ, প্রথম পেইজ কাব্যকথার ঘর Kabbbokothar Ghorয়ে।
লোকে সবসময় যা ভাবে তাই কি হয়?
বলেছিলাম একটা পার্সেল রিসিভ করার আছে সুন্দরবন কুরিয়ার থেকে। আমার এখান থেকে বেশ দূর। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে, অন্য জেলায় গিয়ে আনতে হবে। কারণ আমার জেলা সদরের চাইতে ওটা আবার কাছে।
সেদিন নিরুদ্দেশ হতে ইচ্ছে করেছিল বলেছিলাম না? বলেছিলাম পার্সেল যেদিন আনতে যাব সেদিন একটা ভ্যান রিজার্ভ করে সেটার পেছনে বসে পা দোলাতে দোলাতে, প্রকৃতি দেখতে দেখতে যাব আর আসব। দুবোনে মিলেই যাব। বেচারিও আশা করে বসে ছিল। কিন্তু বৃষ্টি এসে সব পণ্ড করে দিলো🥲। মুখ পাংশু করে বসে আছে। এরমধ্যে গিয়ে হবেটাইবা কী?
সারাদিনভর ট্যাঁপট্যাঁপানি আর ভালো লাগছে না একদম।
তবে মনটা এক্কেবারে ফুরফুরে আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাদের কী অবস্থা?
Jui Tiya
Mahiyã Mahi
Ayeasha Siddika Asa
রোকসানা সরকার চম্পা
এই চারজন কন্টেস্টের সবগুলো নিয়ম ঠিকঠাক মেনেছিলেন। কিন্তু ইনভাইট কাউন্ট করতে গিয়ে পড়লাম এক ঝামেলায়। একই আইডি একাধিকবার ইনভাইট করা হয়েছে। ফেসবুক বাগের কারণেই হয়েছে নিশ্চয়ই। আর এতগুলো ইনভাইট থেকে কোনটা ডাবল গেল সেটা পিনপয়েন্ট হিসেব করা সম্ভব বলে আমার মনে হয় না।
এছাড়াও আরো কিছু বিষয় ছিলো যেগুলো বলতে চাইছি না। সবমিলিয়ে আমি ভীষণ কনফিউজড। আর আমি আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার ভয় করি।
বিজয়ীকে ১০০ টাকা বিকাশে ক্যাশ অন বা রিচার্জ দেবো বলেছিলাম। আরো বলা হয়েছিল দশ জনের কম অংশগ্রহণকারী হলে মূল্যমান কমে যেতে পারে। সেদিক থেকে কমাতেই পারি আমি।
তো যা হোক, সিদ্ধান্তটা জানাই,
এই চারজনের প্রত্যেককে ৫০ টাকা করে মোবাইল রিচার্জ দেওয়া হবে।
আমার ১০০ টাকা বেশি খরচ হলেও আমার মনে হয় আল্লাহর কাছে দাঁড়াতে পারব আমি ইং শা আল্লাহ।
প্রত্যেকেই নিজের মোবাইল নাম্বারটা ইনবক্সে দেবেন প্লিজ!
আরো যারা যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাদের সকলের প্রতি আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করতে পারলে আমি সত্যিই ভীষণ খুশি হতাম। কিন্তু চাইলেই কি সবার পক্ষে সব করা সম্ভব হয়?
সকলের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং কৃতজ্ঞতা রইল...
ধন্যবাদান্তে
Salina Akter
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran
কখনোই অন্যের দেখাদেখি কিচ্ছু করতে নেই। করিও না আসলে তেমন কিছু। তবু এবার ভুল একটা করে ফেলেছি। সেই ভুলের মাসুল ঠিক কীভাবে দেবো, কী করলে সঠিক বিচার হবে বুঝতে পারছি না একদমই।
কন্টেস্ট তো একটা দিয়েছিলাম ঠিকই। কেউ কেউ অংশগ্রহণ করেছেনও। অবশ্যই দশ জনের কম৷ বলেছিলাম এর কম হলে মূল্য কমে যেতে পারে। আর আমি খুশি হয়ে গেলে বেড়ে যেতে পারে। আর এরমধ্যে চারজন নিয়ম মেনে সব করেছেন। বাকিরা যে ভুলটা করেছেন তা হচ্ছে, ইনভাইট দিয়ে সেটুকুর শটটা দিয়েছেন কেবল। মানে, আপনি কতজনকে ইনভাইট দিয়েছেন আমি সেটা জানতে পারলেও কাকে কাকে ইনভাইট পাঠিয়েছেন সেটা জানতে পারছি না৷ এখানে ওনারা ডিসকোয়ালিফাইড। কিন্তু যে চারজন সব ঠিকঠাক করেছেন তাদের বেলায় আবার অদ্ভুত এক সমস্যা ফেইস করছি। তা হচ্ছে, একই মানুষকে একাধিকবার ইনভাইট পাঠানো। এটা কীভাবে হয় আমার জানা নেই আসলেই৷ কিন্তু হয়েছে। আবার ফেইক আইডি নির্ধারণ নিয়েও ঝামেলায় পড়েছি।
এখন আমার কী করা উচিত বলে মনে করেন?
জীবনে আর কোনোদিন কন্টেস্ট দিলে ইনভাইটের ব্যাপার রাখব না ইং শা আল্লাহ৷
ছবিটা বেশ কদিন আগের। বড় আন্টির জন্য কাদায় মাখামাখি হয়ে ফুল তুলে এনেছিল বাচ্চাটা। বড় আন্টি তখন বাজারে যাওয়ার জন্য বেরোচ্ছে।
কী আর করা! ফটাফট দুটা ছবি তুলে ফেলল বড় আন্টি...
মাঝেমধ্যে মন চায়, কীসের ব্যাবসাপাত্তি!
ফেসবুক থেকেই বের হয়ে যাই।
সারাদিন শুধু পড়ব আর লিখব। তেমন হলে মন্দ হতো না আসলে।
কোনদিন হয়ত সত্যি সত্যিই সব ছেড়েছুড়ে দেবো। ভালো লাগে না। পড়াশোনার প্রতি সত্যি সত্যি মন লাগলে হয়ত সত্যিই ছেড়ে দেবো সব। তাছাড়া দুই পেইজ চালানোতে আরো সময় দিতে পারি না। এখন মনে হয় একটা পেইজে সব রাখলেই ভালো করতাম।
আসলে বইয়ের সাথে আর কিচ্ছুকে রাখতে চাইনি আমি🥲
আমার পিচ্চু বুকশপ কাব্যকথার ঘর Kabbbokothar Ghor
আর গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran পেইজে কী পাওয়া যায় তা তো জানেনই। লাল আটা, চালের গুড়া, কাঁচা সুপারি এবং লোভনীয় চালতার আচার😋😋
আজ আমরাই রাজমিস্ত্রী হয়ে গেলাম।
এইটুকুনি কাজ বাকি ছিলো৷ মিস্ত্রী আবার এক ফাঁকে এসে করে দিয়ে যাবেন বলেছিলেন। মা বলেছিলেন, আপনি আর আসবেন না। তিনি বলেছিলেন, আমি এক কথার মানুষ। সেই এক কথার মানুষের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ছমাস বাদে আমার মাতাশ্রীই দুজন হেল্পারের সাহায্য একটা সিঁড়ি বানিয়ে ফেললেন।
এই ইজি কাজে বিজি ছিলাম বলে আজ আমায় দেখতে পাননি...
আমাদের এখানে দুইটা বাজারে দুদিন করে মোট চারদিন হাট বসে। আমরা সাধারণত একটা হাটে যাই। অন্যটা কেমন যেন একটু অচেনা অচেনা লাগে। কিন্তু ওই হাটে যাওয়ার পথটা বেশি সুন্দর। একদম ছবির মতো সুন্দর যাকে বলে। আজ ভ্যানে চড়ে সেই ছবির মতন সুন্দর পথ দিয়ে ওই হাটটাতে যাচ্ছিলাম৷ চারিপাশের ভয়ংকর সুন্দর পরিবেশ দেখে আমার ভীষণ নিরুদ্দেশ হয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল। এক একবার মনে হচ্ছিল, ছেলেটাকে বলি, নিরুদ্দেশে নিয়ে চল তো বাবা একটু! ভাবছিলাম, জীবন তো একটাই। একটু নাহয় শুনলামই নিজের কথা। কিন্তু ভাবতে ভাবতেই এক ভদ্রলোক উঠে গেলেন ভ্যানে। আর বলা হলো না।
এরপর ভাবলাম, পরিচিত কোনো গাড়ি পেলে বাজারটুকু দিয়ে দেবো। বোনকে ফোন বলব রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে নিয়ে যেতে। আমি সুন্দর সেই পথে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরব।
এরপর সব ভাবনায় ইস্তফা দিয়ে নিজের কাজ করে চলে এলাম৷ তবে নিজের মনের এই ছোট্টো বিলাসী ইচ্ছেটুকুর কথা আমি শুনব ইং শা আল্লাহ৷ আল্লাহ চান তো এ সপ্তাহেই এক পরম আকাঙ্ক্ষিত জিনিস আনতে সুন্দরবন কুরিয়ারে যাওয়ার আছে আমার৷ সোজা পথে যাওয়া যায়। তবে ঘুরপথও আছে একটা। ভাবছি একখানা ভ্যান রিজার্ভ করে সেই ঘুরপথে যাব আর আসব। বোনটা চাইলে ওকেও নিয়ে যাব। সে নিশ্চয়ই শুনেই লাফ দেবে। একা একা নিরুদ্দেশ হওয়ার চাইতে দুবোনে মিলেই না হয় ভ্যানের পেছনে পা দোলাতে দোলাতে প্রকৃতির মাঝে মিশে গেলাম! সেই পথটা আরো বেশি সুন্দর। ছবির চাইতেও বেশি...
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran
Salina Hawladar
কন্টেস্ট তো শেষ হয়েই গেল আরো দুদিন আগে। এখন আস্তেধীরে সবারটা কাউন্ট করতে হবে...
এখন শীতকাল। এই সময়টায় গ্রামে থাকতে ভালো লাগে আমার। এই সময়ের কিছু পরে গ্রামে আসি আমি। এবার আগে এসে পড়েছি আর প্রথমদিককার সময়গুলো চরম বিরক্তিতে কাটিয়েছি। এখন ভালো লাগতে শুরু করেছে আর এখনই চলে যেতে হবে...
বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু ছিলো। অথচ ওটাই এখন আমার চরম অপছন্দের। এদিকে শীত হয়ে উঠেছে আমার সবচাইতে প্রিয়। এই সময়টায় প্রকৃতি কেমন যেন শান্ত হয়ে ওঠে। এত ভালো লাগে! প্রচুর মাছ আর মজার মজার শাকসবজি পাওয়া যায়। খেয়েদেয়েও শান্তি। সবদিক থেকেই আসলে শান্তি।
আর হাদীসে এসেছে, "শীতকাল মূমিনের জন্য বসন্ত।" (আলিম নই তাই রেফারেন্স দিতে পারব না। সনদের ব্যাপারেও জানি না)
শীতকালের রাত অনেক বড়ো হয় তাই রাতে ইবাদাতে কাটানো যায় বলেই এটাকে বসন্ত বলা হয়েছে।
আমি তো আর মূমিন হতে পারিনি তাই খানাপিনার কথা বলি আর গোটা রাত বেঘোরে ঘুমাই।
আল্লাহ আমাদের সকলকে মূমিন হিসেবে তৈরি করুন, কবুল করুন....
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran
বাজার কথন
আজ বাজারে গিয়েছিলাম। প্রায়ই যাই। আলাদা করে বাজার কথনের প্রয়োজনীয়তা কী?
আসলে আজ বাজার করে মনটা ফুরফুরে। এজন্যই লিখতে বসা আমার হাসি আনন্দ আর আজগুবি বাজারের গপ্পো।
দীর্ঘদিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় পাঙ্গাস খেতে খেতে ত্যক্তই হয়ে গিয়েছিলাম বলা যায়। আচ্ছা, অন্য কোন দেশে পাঙ্গাস খেলে ত্যক্ত হয় না মানুষ? আমার বোন মনে হয় সেখানকার। কুঁড়িয়ে পেয়েছি তো! ওর আবার রুটি পরোটার মতো পাঙ্গাসও হেব্বি পছন্দের। আর কোনো মাছ না দিয়ে কেবল পাঙ্গাস দিলেই খুশি ও। যা হোক, দীর্ঘদিন পর মাছ ধরতে পারায় অনেক অনেক মাছ উঠেছে বাজারে। দামও কমে গিয়েছে অনেকটা।
বাজার ভরা শিম ফুলকপি আর শীতকালীন সবজিতে। ব্যাগ ভরে মাছ আর শাকসবজি কিনে এনেছি আজ আলহামদুলিল্লাহ। বছর পাঁচেক ধরে শাকসবজি খাই তো খাই, এখন আর এ ছাড়া বাঁচি না। কিন্তু এর আগে এক্কেবারে কিচ্ছু খেতাম না। সে গল্প আগামীকাল করা যাবে আল্লাহ চাইলে।
বাজার এনেই মাকে বলেছি, শিম আলু ফুলকপি মিশাইয়া রান্না করবা। আর যেদিন এইটা করবা সেদিন তিন বেলা ভাত খামু আমি (যেহেতু এখন দুইবেলাই রুটি খাই)।
বুঝতেই পারছেন, কতো খুশি আমি। মাছও কিনেছি আলহামদুলিল্লাহ৷ বাসায় এসে আম্মুকে বলছি, মা কাউয়া মাছ চেনো? মজা? সস্তা গেছে অনেক। নাম শুইনাই ভাল্লাগে নাই। এইজন্য আনি নাই। আম্মু বললেন, "কাউয়া মাছ খাইছি মনে হয়। আমি ভালো চিনি না।" বর্ণনা দিয়ে বললেন, এমন এমন? বললাম, চাইয়া দেহি নাই। নাম শুইন্নাই ভাল্লাগে নাই। আম্মু বললেন, এরা তো সবাই বলে মজা মাছটা। কাকীও বললেন মজা। এখন একটু একটু আফসোস হচ্ছে। বেশি হচ্ছে না কারণ ওইটার নাম 'কাউয়া'।
আমি মাছ খাই। বেশ অনেক পদের মাছই খাই। তবে সেই মাছ অবশ্যই দেখতে সুন্দর হইতে হবে। এখন অবশ্য সেই অটল অবস্থা থেকে কিছুটা বের হতে পেরেছি মনে হয়। কারণ, এখন আমি লইট্টা মাছও খাই। তবে এটাও বুঝলাম, কেবল দেখে শান্তি পাইলেই চলে না আমার, নামটাও সুন্দর হওয়া চাই😁
এটা কেবল মাছের বেলাতেই কিন্তু। মানুষের বেলায় আমার ভিন্ন নীতি। মানুষের জ্ঞান আর আচরণই আমায় বেশি টানে...❤️
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghranয়ে আমি গাঁওয়ের কথা কই, আমার কথা কই, মাটি ও মানুষের কথা কই, গাঁওয়ের জীবনের কথা কই আর মাঝেমধ্যে আমার লাল আটা, চাউলের গুড়া, সুপারি আর চালতার আচারের কথা কই...
আমি আপাদমস্তক ভেতো বাঙালি। মোটা ভাত, চিকন ভাত, বিনি ভাত, খুদের ভাত, ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত, পান্তা ভাত সবই আমি গোগ্রাসে এক থাল খেতে পারি।
কিন্তু রুটি পরোটা চলে না। রুটি তো এক্কেবারেই চলে না। সেই আমি দুই বেলা লাল আটার রুটি খাচ্ছি। ঢাকা গেলে অবশ্যই দুই বেলা ভাত খাব আর সকালে নুডলস, সিঙারা বা পরোটা কিছু একটা। সেজন্যই এখন রুটি খাচ্ছি দুবেলা।
আজ ভোরে মা বলছেন, তুই আর দুই বেলা রুটি খাবি না তো! গায়ে পায়ের দিকে তাকাইলে তো ভালো লাগে, চোখ মুখের দিকে তাকানো যায় না।
সেদিনও একই কথা বলেছেন। বলেছেন দাঁত বের হয়ে গেছে, চোখ বের হয়ে গেছে।
আয়নাটায়না দেখি না আমি। গতকাল দেখলাম আসলেই তাই। আমায় দেখতে আর ভালো লাগছে না একদম৷
কিন্তু শরীর আসলেই কমেছে অনেক আলহামদুলিল্লাহ! এদিকে আমার বোনের কমেইনি বলতে গেলে। কারণ ওনাকে কুঁড়িয়ে এনেছি তো৷ মনে হয় বাঙালি না। ভাত পছন্দ করেন না। রুটি আবার অতিমাত্রায় পছন্দ করেন। সকালে আর রাতে তো খাবেনই, এখন আবার ওনার দুপুরের আগে আর রাতের আগে আরেকবার করে একটা রুটির ক্ষুধা পায়😁। কমবে কেন?
পরিমিত পরিমাণে গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran লাল আটার রুটি খেলে আপনার স্বাস্থ্যও কমবে ইং শা আল্লাহ। গাঁওয়ের ঘ্রাণের আটায় আলাদা কিছু নাই৷ লাল আটায় যা থাকে তাই আছে এবং সেটা একদম ঠিকঠাক আছে। কোনো ভেজাল নাই আলহামদুলিল্লাহ। সেজন্যই এত কাজে দিচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
আস্ত আর ঝুরা, দুই ধরনের চালতার আচারই কিন্তু পাচ্ছেন গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran পেইজে।
মনে আছে তো?
ছবিটা দেখে আফসোস হচ্ছে না?
মনে হচ্ছে না, আহারে! আমিও যদি এমন একটা জায়গায় টেবিল পেতে বসে পড়াশোনা বা এই সম্পর্কিত কাজকর্ম করতে পারতাম!
আসল ঘটনা শোনেন তাহলে :
মাচা থেকে বহু কষ্টে টেবিলটা নামিয়ে পুকুরের ওই পাড়ে নিয়ে যেতেই পুকু বাবু চলে এলেন। গায়ের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি করলেন। পড়াশোনার তো খবরই নেই। হঠাৎ দেখলাম বা হাতের কনুয়ের নিচে জোঁক চুমুক বসিয়েছে। আমি তো দে চিল্লানি! সেইসঙ্গে হাত ঘষতে থাকলাম টেবিলে। খানিক পর হাত উঠিয়ে দেখি আরেকটু নিচে লেগে আছে। এরপর আবারও একই কাজ করলাম। দেখলাম আরেকটু নিচে আটকে আছে। এরপর আবার ঘষতে থাকার পর পড়ে গেল জোঁকটা। এরমধ্যে মাও চলে এসেছিলেন।
যা হোক, এই টেবিলের সঙ্গে হাত ঘষতে গিয়ে হাতের ছাল-চামড়া সব উঠিয়ে ফেলেছি। দুইদিন ব্যাথা ব্যাথাও ছিলো হাতে। আর এমন জোরে 'চিল্লিয়েছি' (😁) যে আরেকটু হলেই গলা ভেঙে ফেলতাম...
এরপর আবার টেবিল নিয়ে চলে এসেছি। টেবিলটা আপাতত রান্নাঘরের দুয়ারে ফেলে রেখেছি।
এবার বলেন,
আমার মতোন জঙ্গলে বসে পড়তে মন চাইছে?
এই শীতে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা পিঠা...
আহ!
কিন্তু পিঠার জন্য তো চালের গুড়া লাগবেই, তাই না?
চালের গুড়া কোথায় পাবেন?
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran তো আছেই...
বলেন তো কী?
নারকেল আর চিনি...
আরাম করে বসে খাব এখন...
দোষ গুণ মিলাইয়া মোরা বরিশাইল্লারা যেমন😁
#গাঁওয়েরঘ্রাণ #বরিশাইল্লা
বলেন তো এটা কী?
খাওয়াদাওয়ার পর ছবি তোলার কথা মনে হয়েছে।
খেয়েছিও অবশ্য অনেএএএক দিন আগে এক দুপুরবেলা। আজ মনে হলো শেয়ার করি৷ এখন শেয়ার করলে তো আর পেটে অসুখের ভয় নাই😁😁
কন্টেস্টের সময় বাড়লো আরো তিন দিন! অর্থাৎ ৮ তারিখ পর্যন্ত কন্টেস্ট চলবে ইং শা আল্লাহ।
#অ্যাটেনশন!
১. আলাদা আলাদা স্ক্রিনশট দেবেন। অর্থাৎ আপনি ১০০০ মানুষকে ইনভাইট করলে আমি যেন তাদের প্রত্যেকের নাম দেখতে পাই৷ (এই জায়গাটাতেই বেশির ভাগ ভুল করেছেন)
২. এই পোস্ট শেয়ার না বরং নিজের আইডিতে গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran পেইজকে মেনশন করে পোস্ট করবেন। আর অন্য কোনো গ্রুপে পেইজকে মেনশন করে পোস্ট করলে এক্সট্রা পাঁচ পয়েন্ট করে যোগ হবে৷
৩. কন্টেস্টের মূল পোস্টে ৫ জন বন্ধুকে মেনশন করবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : অংশগ্রহনকারী সকলের জন্যই সেই অর্থে উপহার না থাকলেও বিশেষ একটা ফেভার থাকবে ইং শা আল্লাহ।
#কন্টেস্ট #কন্টেস্ট #কন্টেস্ট
পেইজে প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছি ছোট্টো একটা কন্টেস্ট।
বিজয়ীর জন্য থাকবে ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ অথবা বিকাশে সেন্ড মানি।
নিয়ম খুবই সাধারণ
১. মেম্বার ইনভাইট (প্রতি মেম্বার ইনভাইটে ১ পয়েন্ট। যত খুশি মেম্বার অ্যাড করতে পারবেন। ফেইক আইডি গ্রহণযোগ্য হবে না। চাইলে একাধিক আইডি থেকেও ইনভাইট করা যাবে)
২. এই পোস্টে পাঁচজন ফ্রেন্ডকে আবশ্যিকভাবে মেনশন করতে হবে।
৩. গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran পেইজকে মেনশন করে নিজের আইডিতে পাবলিক করে ভালো বা মন্দ একটা পোস্ট করতে হবে। পেইজটা সম্পর্কে আপনার ভালো বা মন্দ অনুভূতি থাকলে সেটা লিখবেন। বা কী কী পাওয়া যায় সেসবও লিখতে পারেন। চাইলে অন্যান্য গ্রুপেও লিখতে পারেন। তাতে এক্সট্রা পাঁচ পয়েন্ট করে পাওয়া যাবে। আইডি বা গ্রুপ যেখানেই লিখুন না কেন, চব্বিশ ঘন্টা রাখতে হবে পোস্ট।
এই তিনটা সিম্পল রুল ফলো করলেই আপনি একজন প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন। সমস্ত কিছুর স্ক্রিনশট শেয়ার করতে হবে পেইজের ইনবক্সে। অল সিলেক্ট করে তারপর শট দেবেন না৷ আলাদা আলাদা স্ক্রিনশট দেবেন যেন ফেইক আইডি আছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারি এবং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে বিজয়ী নির্ধারণ করতে পারি।
সময় ৮ই নভেম্বর পর্যন্ত
কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে নির্দ্বিধায় প্রশ্ন করতে পারেন।
বিঃ দ্রঃ সর্বনিম্ন দশজন প্রতিযোগী না হলে কন্টেস্টের মূল্যমান কমে যেতে পারে। আর প্রতিযোগীর সংখ্যায় আমি খুশি হয়ে গেলে বেড়ে যেতে পারে পুরস্কার।
যে কবারই আমি কন্টেস্ট দিয়েছি প্রবল আগ্রহ নিয়ে দিয়েছি। ভেবেছি, রেগুলার দিতে থাকব।
আর সেকবারই আমার মন ভেঙেছে আর এরপর বহুদিন আর দিইনি।
এবারেও তাই হলো।
আজই শেষ দিন।
সময় বাড়াব ভাবছিলাম। কিন্তু লাভ কী?
#কন্টেস্ট #কন্টেস্ট #কন্টেস্ট
পেইজে প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছি ছোট্টো একটা কন্টেস্ট।
বিজয়ীর জন্য থাকবে ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ অথবা বিকাশে সেন্ড মানি।
নিয়ম খুবই সাধারণ
১. মেম্বার ইনভাইট (প্রতি মেম্বার ইনভাইটে ১ পয়েন্ট। যত খুশি মেম্বার অ্যাড করতে পারবেন। ফেইক আইডি গ্রহণযোগ্য হবে না। চাইলে একাধিক আইডি থেকেও ইনভাইট করা যাবে)
২. এই পোস্টে পাঁচজন ফ্রেন্ডকে আবশ্যিকভাবে মেনশন করতে হবে।
৩. গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran পেইজকে মেনশন করে নিজের আইডিতে পাবলিক করে ভালো বা মন্দ একটা পোস্ট করতে হবে। পেইজটা সম্পর্কে আপনার ভালো বা মন্দ অনুভূতি থাকলে সেটা লিখবেন। বা কী কী পাওয়া যায় সেসবও লিখতে পারেন। চাইলে অন্যান্য গ্রুপেও লিখতে পারেন। তাতে এক্সট্রা পাঁচ পয়েন্ট করে পাওয়া যাবে। আইডি বা গ্রুপ যেখানেই লিখুন না কেন, চব্বিশ ঘন্টা রাখতে হবে পোস্ট।
এই তিনটা সিম্পল রুল ফলো করলেই আপনি একজন প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন। সমস্ত কিছুর স্ক্রিনশট শেয়ার করতে হবে পেইজের ইনবক্সে। অল সিলেক্ট করে তারপর শট দেবেন না৷ আলাদা আলাদা স্ক্রিনশট দেবেন যেন ফেইক আইডি আছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারি এবং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে বিজয়ী নির্ধারণ করতে পারি।
সময় ৮ই নভেম্বর পর্যন্ত
কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে নির্দ্বিধায় প্রশ্ন করতে পারেন।
বিঃ দ্রঃ সর্বনিম্ন দশজন প্রতিযোগী না হলে কন্টেস্টের মূল্যমান কমে যেতে পারে। আর প্রতিযোগীর সংখ্যায় আমি খুশি হয়ে গেলে বেড়ে যেতে পারে পুরস্কার।
যাদের একটা করে ব্যক্তিগত মাটির হাঁড়ি আছে তারা লাল আটার রুটি খেতে শুরু করেন।
একদিন মাটির হাঁড়িটা ভ্যানিশ হয়ে যাবে ইং শা আল্লাহ।
আমরা দুই বেলা গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran এর লাল আটার রুটি খাচ্ছি।
এক সপ্তাহেই আমার মাটির হাড়িটা ছোটো হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!
মাটির হাঁড়ি কী সেটা জিজ্ঞেস করবেন না প্লিজ! সবকিছু এত ভেঙে বলা যায় না😶
এইমাত্র ১৫ কেজি গম ভাঙিয়ে ঘরে ফিরলাম। এখন পায়ে যন্ত্রণা হচ্ছে🥲 হাতেও জোর পাচ্ছি না।
চাইলেই দোকান থেকে কিনে সাথে সাথে ভাঙিয়ে বাড়ি ফিরতে পারতাম৷ খরচ অনেক কমে যেতো। পরিশ্রমও অনেক অনেক কম হতো। দামও কমাতে পারতাম। হয়ত বাজার দরেই দিতে পারতাম।
কিন্তু কিন্তু কিন্তু....
দোকানের মতো জিনিসই যদি আমি দেবো তবে দোকান থেকে না কিনে ডেলিভারি চার্জ খরচ করে আমার কাছ থেকে কেন কিনবেন? বরং যারা একটু দুই পয়সা বেশি দিয়ে হলেও পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে চান, তাদের জন্যই গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran
সবচাইতে বড়ো কথা, একই জায়গা থেকে আমরাও খাবো আর আপনারাও...
আচার দেখে জিভে জল?
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran তো আছেই!
অর্ডার করে ফেলুন দ্রুতই!
কন্টেস্টের কথা মনে আছে তো?
কন্টেস্ট সম্পর্কে জানতে পেইজের পিন পোস্ট দেখুন...
ভাষা অ্যাডপ্ট করতে পারা অবশ্যই চমৎকার একটা স্কিল। আমি যদি দেশের প্রতিটা অঞ্চলের ভাষা বলতে পারতাম, আমার সত্যিই ভীষণ ভালো লাগতো। আমি যে অবলীলায় বরিশাইল্লা, গাজীপুইরা আর প্রমিত একসঙ্গে একইসময়ে বলতে পারি, তা নিয়ে আমি আসলেই গর্ব করি।
কিন্তু জাস্ট দুদিনেই নিজের শেকড় ভুলে যাওয়াটা এক প্রকার চরিত্রহীনতা লাগে আমার। আপনি বরিশাইল্লা, বা নোয়াখাইল্লা বা ঢাকাইয়া যাই হোন না কেন যদি নিজের অঞ্চল ছেড়ে অন্য কোথাও থাকার কারণে জাস্ট ছমাসেই আপনার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সেই ভিন্ন অঞ্চলের ভাষায় একদম কড়কড়া টানে কথা বলেন, তবে আপনার কথা আমার সত্যিই কানে বাজে বিশ্বাস করুন।
আমার এক কাজিন, বিয়ে হয়েছে এখানেই তবে গাজীপুর থাকে। গাজীপুইরা যে জানি সেটা তো আগেই বললাম। কিন্তু এত কড়কড়া টানে নিজের লোকের সাথে কথা বলে যে আমি জাস্ট ওর সঙ্গে আর কথা বলতে পারি না৷
এদিক থেকে সিলেটি আর চিটাগাইঙ্গাদের সমীহ করি আমি।
আপনি সারাজীবন পুকুরে গোসল করেছেন। শীতকালে যখন পানি একদম তলানিতে পৌঁছে যায় তখনও মগ ভরে ভরে ওই পানিতেই গোসল করেছেন, দুদিন শহরে থেকে বা বাড়িতে টিউবওয়েল হয়েছে বলে ওই পুকুর এখন আপনার নোংরা লাগে? বিশ্বাস করেন আপনাকেই আমরা নোংরা লাগে।
জন্ম অবধি বাড়ির মোটা চালের ভাত খেয়ে এসেছেন। ছয় মাস শহরে থেকে বাড়িতে এলে যদি আপনার মুখ থেকে এই কথা বেরোয় যে, "এত মোটা চাউল খাও কেমনে" বা আপনার জন্য যদি আপনার বাবা-মাকে অন্য কারো কাছ থেকে চাল বদলে আনতে হয় বা বাজার থেকে চাল কিনে আনতে হয় তবে আপনাকে বলার মতো ভাষা আমি সত্যিই খুঁজে পাই না...
বিশেষ দ্রষ্টব্য : মানুষ পরিবর্তন হবেই। শেকড়ও হয়ত ভুলে যাবে। কিন্তু সেই ভুলে যাওয়ারও ধরণ আছে। আমি আশা করি না, দশ বছর চিকন চালের ভাত খেয়ে দেশে এসে কেউ মোটা চালের ভাত খেতে পারবে। কিন্তু সেই দশ বছর পরও তার নাক সিঁটকানো চলে না। কারণ এই ভাত খেয়েই বড়ো হয়েছে সে। ভাষাও পরিবর্তন হতেই পারে। হবেও। কিন্তু সেটা ছমাস বা বছরেই না...
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran
আজ যে সারাদিনে একটা পোস্ট করলাম না, কেউ একটু মনে করছেন আমারে?
একটা আপাতঃ একান্ত ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কী কাজ সেটা এক্ষুণি প্রকাশ করতে চাইছি না। তবে প্রকাশ হলে অনেকেই উপকৃত হবেন ইং শা আল্লাহ৷ আমায় দোয়ায় রাখবেন সকলে।
পাশের বাসায় ঘরের মধ্যে এই মালটা ছিলো। রাতে টের পেয়েছে। সবাই এসে হৈহৈ করে মারলো। ভাবলাম, যাই একটু ছবি তুলে আমার জামাইটারে দেখাই। কতখানি বিষধর, জানি। পরে জানলাম এটা জলঢোঁড়া। তেমন বিষ নাই।
বড়ো উঠানে রোদের অপেক্ষা করতে করতে শেষে না পেরে সামনেই রোদে দিলাম।
এখন বসে বসে মুরগী পাহাড়া দিই। সঙ্গী হিসেবে আছে 'প্রোডাক্টিভ মুসলিম' বই।
রোদে শুকিয়ে, ঝেড়ে, বেছে একদম পরিষ্কার করে ভাঙিয়ে প্যাকেট করে আপনাদের কাছে পাঠানো হবে স্বাস্থ্যকর লাল আটা...
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran পেইজে আরো পাচ্ছেন-
আতপ চালের গুড়া
চালতার আচার
কাঁচা সুপারি
সেদিন
মা : তোর নাহের ফুলডা দিবি?
আমি : না না না, আমার ভাল্লাগে না। দিমু না।
মা : তোরে ক্যামন লাগে তুই দ্যাহো? নাহে নাই, কানে নাই, আতে নাই, গলায় নাই। ব্যাডা ব্যাডা। চলাফেরা, আডাচলাও ব্যাডা ব্যাডা। এ, তুই অ্যাহন হইতে ব্যাডাগো পোশাক পিন্দিশ।
সুমি : চুলডিও কাইট্টা হালাইস।
আজকে আবার...
ক্যানরে ভাই? আমি নাহয় নাই পরলাম কোনো গয়নাগাটি, চুলগুলাও নাহয় হইলো কাউয়ার বাসা। তাই বইলা এমন কওয়া লাগবে?🫤
প্রতিদিন মাইকে গান বাজিয়ে বাজিয়ে আইসক্রিমের অ্যাড দিয়ে দিয়ে রাস্তা দিয়ে যায়। ভাগ্নেটা প্রতিদিন দৌড়ে সুপারি দিয়ে আইসক্রিম রেখে খায়। আমারও মন চায়। আইসক্রিম খেতে না, ছেলেবেলাকে ফিরে পেতে মন চায়।
কিনি কিনি করে ঠান্ডা লেগেছে বলে কিনতেও পারছিলাম না। এরপর আজ কিনেই ফেললাম৷
খেতে অতিমাত্রায় বদখত।
অথচ এই বদখত আইসক্রিমের নামে এত এত সুপারি হাতিয়ে নেয়। আহারে! চল্লিশ পঞ্চাশ টাকার সুপারি নিয়ে পাঁচ টাকার আইসক্রিম ধরিয়ে দেয়।
ব্যাটারা আমাগো গরু ছাগল বানাই দিলোরে🥲
গত হাটে অনেক কাজ হাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাছাড়া সব গম শুকাতেও পারিনি। তাই ৯ কেজি গম ভাঙিয়েছি। সে গল্প করেছিলাম এক পোস্টে।
ও মা! ভাঙানো এত খারাপ হয়েছে! চাললে মনে হয় এক কেজিও বের হবে না। বোধহয় ভেবেছিল গরু ছাগলে খাবে। কী আর করা! তাই খাচ্ছি আমরা🥲। গরু ছাগলের খাবার। এতগুলো গম তো ফেলে দেওয়া যাবে না। নাইবা আবার নিয়ে যাওয়া যায়। বাড়ির পাশে তো নয়!
আপনাদের জন্য ভালোভাবে ভাঙিয়ে দেবো অবশ্যই ইং শা আল্লাহ। ছবির এই এটার মতোন।
গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran
পাখি খাবেন নাকি?
জ*বাই করতে হবে না, কাটাকুটি লাগবে না, খালি ধরবেন আর খাবেন। ভালো না?
শুধু বানিয়ে খেতে হবে একটু৷
আসলে দেখতে পাখির মতোই হয়েছিল৷ কেবল ছবিটা তোলার সময় গুরুত্ব দিয়ে তোলা হয়নি। সেটা আবার খেয়াল করলাম এখন🫤
গতকাল সারাদিনে কোনো পোস্ট করিনি৷ বেশ বিধ্বস্ত একটা দিন গেছে। বাজারে গিয়েছিলাম অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়ে। এরমধ্যে একটা ছিলো গম ভাঙানো। এসব ভাঙানোর জন্য ভ্যান থেকে নেমে একটু দূরে যেতে হয়। যেহেতু একটা ভালো সময় লাগে আর হাতে কাজও ছিলো তাই গম দিয়ে রেখে গেলাম। বললাম, ভাঙিয়ে রাখতে। আড়াই ঘন্টা পর গেলাম, দেখি মিলে কেউই নেই আর গমও ভাঙানো হয়নি৷ ছেলেটা এসে বলল আধ ঘন্টা আগে কারেন্ট গেছে তাই ভাঙাতে পারিনি। মানে দুই ঘন্টায়ও ভাঙানোর সময় হয়নি। আম্মু আবার বসে ছিলেন অন্য জায়গায়, এক মামার দোকানে। গিয়ে বললাম, "নিয়ে এসে রেখে দিয়ে যাই? পরে এসে আবার একসময় ভাঙাবো৷" কারণ কারেন্ট কখন আসবে তার ঠিক নেই, এদিকে একটার বেশি বেজে গেছে৷ খানিক বাদে গাড়িও পাওয়া যাবে না। পেটে ছুঁচো ডন মারছে। আবার যাচ্ছি আনতে। পথিমধ্যে একজনের সঙ্গে দেখা, ভ্যান চালান, কাক্কু বলে ডাকি৷ অত্যন্ত অমায়িক আর ভালো একজন মানুষ। বললেন, কই যাও? বললাম বিত্তান্ত। বললেন, "আনবি ক্যা? আবার আবি নাকি? মোর নাম লেহাইয়া থুইয়া যা। দিয়ামুআনে।" এরপর গিয়ে তাই করলাম আর তিনি সন্ধ্যার খানিক পর দিয়ে গেলেন আলহামদুলিল্লাহ!
কিন্তু বিধ্বস্ততা শেষ আসলে হয়নি। আসার পর থেকে হাঁটু ব্যাথায় টনটন করছে। পা ফেলতেই পারছি না। এমনিতেই কোনো এক অজানা কারণে কদিন ধরে হাঁটুতে ব্যাথা হচ্ছিল। গ্রাহ্য করিনি। কাল আর না করে পারলাম না। বিকেলে গরম সেঁক দিলাম৷ লাভ হয়নি। পরে ব্যাথার ওষুধ খেলাম। এখন ব্যাথাটা বেশ কমে আগের অবস্থায় এসেছে আলহামদুলিল্লাহ।
#কন্টেস্ট #কন্টেস্ট #কন্টেস্ট
পেইজে প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছি ছোট্টো একটা কন্টেস্ট।
বিজয়ীর জন্য থাকবে ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ অথবা বিকাশে সেন্ড মানি।
নিয়ম খুবই সাধারণ
১. মেম্বার ইনভাইট (প্রতি মেম্বার ইনভাইটে ১ পয়েন্ট। যত খুশি মেম্বার অ্যাড করতে পারবেন। ফেইক আইডি গ্রহণযোগ্য হবে না। চাইলে একাধিক আইডি থেকেও ইনভাইট করা যাবে)
২. এই পোস্টে পাঁচজন ফ্রেন্ডকে আবশ্যিকভাবে মেনশন করতে হবে।
৩. গাঁওয়ের ঘ্রাণ - Gaoyer Ghran পেইজকে মেনশন করে নিজের আইডিতে পাবলিক করে ভালো বা মন্দ একটা পোস্ট করতে হবে। পেইজটা সম্পর্কে আপনার ভালো বা মন্দ অনুভূতি থাকলে সেটা লিখবেন। বা কী কী পাওয়া যায় সেসবও লিখতে পারেন। চাইলে অন্যান্য গ্রুপেও লিখতে পারেন। তাতে এক্সট্রা পাঁচ পয়েন্ট করে পাওয়া যাবে। আইডি বা গ্রুপ যেখানেই লিখুন না কেন, চব্বিশ ঘন্টা রাখতে হবে পোস্ট।
এই তিনটা সিম্পল রুল ফলো করলেই আপনি একজন প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন। সমস্ত কিছুর স্ক্রিনশট শেয়ার করতে হবে পেইজের ইনবক্সে। অল সিলেক্ট করে তারপর শট দেবেন না৷ আলাদা আলাদা স্ক্রিনশট দেবেন যেন ফেইক আইডি আছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারি এবং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে বিজয়ী নির্ধারণ করতে পারি।
সময় ৮ই নভেম্বর পর্যন্ত
কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে নির্দ্বিধায় প্রশ্ন করতে পারেন।
বিঃ দ্রঃ সর্বনিম্ন দশজন প্রতিযোগী না হলে কন্টেস্টের মূল্যমান কমে যেতে পারে। আর প্রতিযোগীর সংখ্যায় আমি খুশি হয়ে গেলে বেড়ে যেতে পারে পুরস্কার।
প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কাজ করার সবচাইতে বড়ো অসুবিধা হচ্ছে, ডেলিভারিতে। ডেলিভারিম্যানের মন মর্জি হলে পিক আপ হবে না হলে হবে না। তার উপর বাড়িতে তো এসে নিয়ে যাবে না। পাঠাও বাজারে, রাখো কারো দোকানে। তাদের যেদিন মনমর্জি হবে সেদিন যদি কোনো কারণে দোকান বন্ধ থাকে তো করো আবার অপেক্ষা....
আশায় আছি, কোনো একদিন তারা নিজেরাই ফোন করে বাড়ি এসে পণ্য নিয়ে যেতে চাইবে ইং শা আল্লাহ। ততদিন হাতে একটু সময় নিয়ে অর্ডার করবেন প্লিজ...
ভুল করে করেই মানুষ শেখে। তবে কিছু ভুলের মাশুল যেন একটু বেশিই দিতে হয়...
ছবিতে কী এটা বলেন তো?
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Barisal
945, Uttar Bogura Road Sh*tlakhola, Walton Showroom Er Opposite
Barisal
Assalamuwalaikum. All type 100% genuine,hygienic, fresh & reasonable prices foods available here.We
Barisal
সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে হাইজিন মেনটেন করে খাবার ও আচার তৈরি করা হয়।
Barisal
Barisal, 8200
Nothing brings people together like good food, so let's give a try 'Naazbox' homemade food.
Pach Peer Jame Mosque Dorgabarir Pol
Barisal, 8200
বাংলা খাবারের পুরোনো স্বাদ নতুন করে ফেরানোর প্রচেষ্টা।