I am back
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from I am back, Real Estate, Dhaka-Chittagong Highway, Chittagong.
কি অসম্ভব ভয়ংকর একটা ছবি😱😱😱
কুড়াল টা Mark করা..
সে তাকে কাটার পূর্ণ চেষ্টা করেছে অবশেষে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তখন তারই ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে! 😕
কিছু মানুষ আপনার সাথে এমনিই করবে আপনি এতে অবাক হবেননা..
আমাকে ক্ষয়ে ক্ষয়ে শেষ করবে আবার আমার ই কাছে আশ্রয় নিবে!! কি অদ্ভুত!! কি অদ্ভুত!!
for chattogram
#চমেক হাসপাতালের পাশাপাশি পার্কভিউসহ সহ অন্যান্য নিকটস্হ হাসপাতালে রক্ত দিন অযথা চমেকে দাঁডিয়ে না থেকে।ইতিমধ্য পার্কভিউ থেকে রক্তের আহ্বান করা হয়েছে।
#সম্মলিত সামরিক হাসপাতালও উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।সেখানেও রক্তের প্রয়োজন।
# #দয়া করে রক্তের আহ্বানে সাড়া দিন।রক্তের অভাবে কোন ভাইকে যেন আমরা না হারাই।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানাধীন কাশেম জুট মিল সংলগ্ন বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিকট বিস্ফোরণের সাথে আগুনের লেলিহান শিখায় পুরা এলাকা আচ্ছন্ন, অনেক হতাহতের আশঙ্কা।
"আমাদের কোনো ধারণাই নেই এই আগুনের ব্যাপারে। নিজ থেকে না নিভলে আগুন নেভানোর উপায় নেই এই মুহূর্তে।"
- ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র
"এই আগুন নেভানোর সক্ষমতা আমাদের নেই। একটি পুকুর থেকে পানি নিচ্ছি। এছাড়া আর কোনো পানির উৎস নেই। আগুন কখন নেভাতে পারবো জানি না। দমকলের ৯ জন কর্মী হাসপাতালে। চারদিকে অন্ধকার। কেউ আটকে আছে কিনা বলতে পারছি না। কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরণ হচ্ছে। তাই খুব ভেতরে আগানো যাচ্ছে না।"
- ফায়ার সার্ভিস টিম
পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এক পুলিশ কনস্টেবলের। চট্টগ্রাম হাসপাতালে করুণ দৃশ্য ।
আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। কন্টেইনার আরও আছে, যদি এগুলো ব্লাস্ট হয় তাহলে পুরো এলাকা জনশূন্য হয়ে যাবে!
বেড়েই চলেছে লেলিহান আগুন। মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা।
এখনো হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের অনেক মজুদ আছে যেগুলো এখনো বিস্ফোরন হলে ব্যাপক হ্ময়হ্মতি হতে পারে।
এই লাইভ ভিডিওটি যিনি করেছেন তিনিও সম্ভবত বেঁচে নেই 💔(ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) ৪০ মিনিটের পরের বিস্ফোরণের সময় তিনি সম্ভবত আহত/ নিহত হয়েছেন।
# for Chattogram
# foy Chattogram
প্রতিটি মেয়ের গল্পটি পড়া উচিত।
তিন বছরের রিলেশনের বিয়ে ছিল আমাদের। বাড়িতে না জানিয়েই দুজন বিয়ে করে নিয়েছিলাম। আমি দেখতে তেমন ভালো ছিলাম না, কিন্তু সে মাশাল্লাহ। আমার চেহারা নিয়ে নাকি তার কোন নালিশ নেই, সে আমার মনটাকে ভালবাসে। আমিও তাকে ভালবাসি। ভালবাসি বলেই পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করতে সাহস পেয়েছিলাম। বিয়ের প্রায় উনিশ মাস পর ওদের পরিবার আমায় মেনে নেয়৷ সে এবং আমি ভীষণ খুশি। ভাবলাম, যাক সময় ব্যাপার না৷ দুই পরিবার যে আমাদের মেনে নিল, আমাদের ভুলকে ক্ষমা করল, এটাই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। সব কিছু ভুলে আমরা নতুন ভাবে সুন্দর একটা জীবন শুরু করলাম।
শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মনে হলো এমন সুন্দর একটা পরিবার পেয়ে সত্যিই আমি ভীষণ খুশি। শ্বশুর, শাশুড়ি, তিন ননদ যদিও দুজনের বিয়ে হয়ে গেছে, তবে তারা এখানেই বেশি থাকে, এক ভাসুর ও তার স্ত্রীকে নিয়ে খুব সুন্দর দিন কাটছিল আমাদের। কখন যে দেড় বছর চলে গেল টেরই পেলাম না। এর মধ্যে আমার এক মেয়ে হলো। একদিন আমার শ্বশুর বললেন, এবার বৌমা তুমি বাপের বাড়ি থেকে একবার ঘুরে আসতে পারো। মেয়ে হওয়ার পর আর যাওয়া হয় নি বাবার বাসায়। আমার মাও তার নাতনীকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেক পীড়াপীড়ি করছিলেন৷ তাই আমিও রাজি হয়ে গেলাম।
যেদিন আমি শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাসায় আসার জন্য ব্যাগ গুছাচ্ছিলাম, দেখলাম আমার শাশুড়ির সে কি কান্না। কিছু বুঝে উঠতে পারতেছিলাম না। আমি তো কিছুদিনের জন্য বাবার বাসায় বেড়াতে যাচ্ছি, তাও আবার শ্বশুর চাইতেছেন বাবার বাসায় কিছুদিন থেকে আসি সেজন্য। এতে শাশুড়ির এত কান্নার মানে বুঝি নাই তখন, ভাবলাম আমাকে তিনি নিজের মেয়ের মতো ভালবাসেন আর নাতনীর জন্য হয়তো উনার খারাপ লাগছে, তাই কান্না করছেন।
কিন্তু আমার সকল ধারণা এতটা ভুলে পরিণত হবে ভাবি নাই। বাবার বাসায় আসার দুই দিন পর শ্বশুর কল দিয়ে বলল ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যেতে যাওয়ার সময়। সঙ্গে এও বলে দিলেন, টাকা যোগাড় না করতে পারলে যেন আর ওখানে ফিরে না যায়। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। এত আদিখ্যেতা করে আমায় বাবার বাসায় পাঠানোর উদ্দেশ্যে তাহলে এই ছিল। অথচ ওখানে থাকাকালীন কেউ কখনো টাকার ব্যাপারে কোন কথা বলে নি। এত টাকা কোথায় পাবো! বাবা একটা ছোট্ট ফার্মেসি দিয়ে সংসার চালায়। এখানে পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়া তো অসম্ভব ব্যাপার। কোন উপায় না পেয়ে আমার স্বামীকে কল দিলাম। বললাম তুমি একটু বাবাকে(শ্বশুরকে) বুঝাও, এত টাকা আমি কোথায় পাবো। সে কোন কথা বলেনি। কিছু না বলেই ফোন কেটে দিল। বুকের মধ্যে তীব্র আঘাত পেলাম আমি। একি সেই মানুষ! যে একদিন আমার কন্ঠ শুনতে না পেলে পাগলের মতো এসে বাড়ির সামনে হাজির হতো! বলতো, ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই চাই না তোমার কাছে।
পৃথিবীর সব পরিবর্তন মেনে নেওয়া যায়, কেবল ভালোবাসার মানুষটার পরিবর্তন মেনে নেওয়া যায় না। বার বার কল দেওয়ার পরও যখন সে কেন রেসপন্স করতো না। আমি অবাক হয়ে মোবাইলটার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। ভাবতাম আর কল দিবো না। রাগ করে থাকবো৷ সে আমায় নিতে আসলেও যাবো না। তখন বুঝবে আমায় কষ্ট দেওয়ার পরিণাম। কিন্তু সে কোথায়! পনের দিন হলো সে কোনরকম কথায় বলছে না আমার সাথে। নিজে রাগ করে নিজেই রাগ ভাঙানোর জন্য গেলাম তার কাছে। শাশুড়ি আমায় দেখে কেঁদে ফেললেন, তার নাতনীকে কোলে করে নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে অনেক আদর করলেন। আর আমি তার সামনে বসে আছি এক ভিখারীর মতো। ভালোবাসার ভিখারী, সংসার রক্ষা করার ভিখারী। কিন্তু সে যেনো পাথর। সে তো আমার আগের সেই ভালবাসার মানুষটি রইলো না।
আমার শ্বশুর যখন আমায় বললেন, তুমি টাকা না দিতে পারলে দিও না। সমস্যা নাই। কিন্তু এ বাড়িতে আসতে পারবা না৷ আমি ওরে দ্বিতীয় বিয়ে করিয়ে পাঁচ লক্ষের চেয়ে আরো বেশি টাকা আদায় করতে পারবো। তুমি তার বিয়ে করা বউ৷ তাই তোমার কাছে বেশি চাই নাই। এখন তুমি যদি চাও সংসার তুমি করবে, তাইলে টাকা যোগাড় করো। নয়লে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করবো।
দ্বিতীয় বিয়ে! ভেতরটা মোচর দিয়ে উঠল আমার। সেকি পারবে করতে! আমি তার দিকে তাকালাম, সে নিশ্চুপ বসে আছে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার কি মত? তুমিও কি তাই চাও? সে তার বাবার দিকে তাকিয়ে বলল, বাবা যা বলেন তাই হবে। সেদিন রাত আমি শ্বশুর বাড়িতেই কাটালাম৷ স্বামীর রুমটায় আমার শেষ রাত। আমি সে রাতে তাকে পায়ে ধরে অনেক কান্না করলাম। যেন সে আমায় না তাড়িয়ে দেয়। বললাম, এই টাকার ব্যাপারটা ছাড়া তুমি যা বলো তাই করবো। সে কোন কথা বলে না। তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম, থাকতে পারবে তুমি আমায় ছাড়া? সে নিরুত্তর। আমি তখন পাগলের মতো কান্না শুরু করে দিলাম। বললাম, প্লীজ, তুমি আমায় ছেড়ো না। আমি পাগল হয়ে যাবো। আমি থাকতে পারবো না তোমায় ছাড়া। এই পৃথিবীতে তুমি আর আমার মেয়েটাই সব। আমি পিছনের সমস্ত দুনিয়াকে ফেলে কেবল তোমার কাছেই থাকতে চাই। তুমিই আমাকে সুখী করতে পারো। তুমি চাইলেই সব সম্ভব। তুমি মুখ ফেরালে সত্যিই আমরা মরে যাবো। আমার বুকটা ভেঙে যাচ্ছিল কথাগুলো বলতে। কিন্তু আমার ভালোবাসা টাকার কাছে হেরে গেল। এতদিনের সমস্ত প্রেম, ভালোবাসা, বিশ্বাস সব তলিয়ে গেল টাকার কাছে। খুব অভিমান নিয়ে সেদিন রাতেই আমি আমার মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি ছাড়লাম।
বাড়িতে এসে মাকে সব বললাম। মা বললেন, দ্বিতীয় বিয়ে করতো সে, তুই চলে আসলি কেন, তোর স্বামী সে৷ ওই ছেলে দুই বউ নিয়ে সংসার করতে পারলে তোর সমস্যা কি! তুই ফিরে যা আবার। আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করেছিলি৷ এখন কেন সব শেষ হয়ে গেলে আমাদের কাছে ফিরে আসিস। তখন যেমন একা বিয়ে করেছিলি, আজকেও একায় সংসারের হাল ধরবি। আমাদের পছন্দমতো ছেলে বিয়ে করলে আজ তোর এই দশা হতো না।আমি জানি, মায়ের এসব রাগের কথা। মাকে না জানিয়ে বিয়ে করার জন্য এগুলো বলছে আমায়। কিন্তু আমি মাকে কি করে বুঝাবো, ভালোবাসা যেদিন মরে যায়, সংসার কি আর টিকে থাকে!
ওইদিন রাতটা আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর রাত ছিল বলা যায়। ভালোবাসার মানুষটা আমার থেকে মুখ ফেরালো, অথচ মা আমাকে তার কাছেই চলে যেতে বলছে। রাগে ক্ষোভে সেদিন আত্ম*ত্যা করতে ইচ্ছে করছিল। পরে ভাবলাম, আমি মারা গেলে আমার মেয়ের কি হবে! তার জন্য আমায় বাঁচতে হবে। কিন্তু বাঁচতে গেলে তো টাকা লাগবে। চাকরী ছাড়া টাকা কোথায় পাবো! আর চাকরীই বা কোথায় পাবো! অনেক ভেবে চিন্তে একটা পথই খোলা পেলাম। মাকে গিয়ে বললাম, মা, বাবার সম্পত্তিতে ভাইদের যেমন অধিকার আছে, আমারও কিন্তু আছে। আমি কোনদিন এই সম্পত্তি চাইতাম না, যদি না আজকের মতো এমন দিন আসতো। মা ভীষণ রেগে গেলেন। বাবাকে ডেকে বললেন এমন হতভাগী মেয়ে কেন হলো আমাদের। জন্মের সময়ই কেন মেরে ফেললে না। নয়লে মেয়েরা কি কখনো বাপের বাড়ির সম্পত্তি চায়। আমি তো কোনদিন আমার বাবার কাছে সম্পত্তি চাই নাই। তুইও কোন সম্পত্তি পাবিনা৷
আমি তেড়ে বসলাম, বাবাকে বললাম, বাবা এই সম্পত্তি আমার চাইই। জীবনে কিছু করতে গেলে টাকার দরকার৷ তুমি পারবে হয়তো আমার আর আমার মেয়ের ভরণপোষণ করতে। কিন্তু আমি চাই না কারো উপর বোঝা হয়ে থাকতে। হাদিসেও আছে, মেয়েরা বাবার সম্পত্তির অংশীদার। আমাকে তুমি দিয়ে দাও আমার অংশ। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে চায়।
বাবা মা ভাই বোন মিলে সেদিনই আমাকে আমার সম্পত্তির অংশ দিয়ে দিলো। ভাইয়েরা সেদিন আমায় মনে মনে অনেক বদদোয়াই দিল। বোনেরা নাক ফুলিয়ে বসে আছে কেননা তাদের কোন অযুহাত নেই সম্পত্তি চাওয়ার। বাবা মাও মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এখন আমি দুই পরিবারকেই হারালাম। কিন্তু এই ভেবে সান্ত্বনা পেলাম যে, আমার মেয়েটার একটা গতি এবার আমি করতে পারবো।
বিয়ে যখন করি, তখন আমি অনার্স থার্ড ইয়ারে ছিলাম। বিয়ের পর পড়া কনটিনিউ করিনি৷ তাই ভালো একটা চাকরির জন্য পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ায় ছিল আমার প্রথম কাজ। তাই বাবা থেকে নেওয়া সম্পত্তির অর্ধেক অংশ আমি বিক্রি করে দিলাম। তা দিয়ে আমার মেয়ের খরচ, আর আমার পড়াশোনার খরচ চালাতে লাগলাম। মাস্টার্সে উঠার পর নিজের এ্যাকাডেমিক প্লাস চাকরির পড়াশোনার চাপ বেড়ে গেলে মেয়ের দেখাশোনার জন্য একজন কাজের বোয়াও রাখলাম। তখন বাকি অর্ধেক সম্পত্তিও আমায় বিক্রি করতে হলো। দুয়েকটা টিউশনিও করাতাম যেন মেয়ে কোনদিক থেকে অভাব টের না পায়৷ সিঙ্গেল মাদার হয়ে জীবন কাটানো একটা সহজ কাজ নয়৷ অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। বহুকষ্ট, বহুধকল, বহুসাধনার পর অবশেষে আলহামদুলিল্লাহ, একটা ভালো জব পেয়ে গেলাম।
আর আমাকে ছেড়ে দেওয়া সেই কাপুরুষটার কথা কি বলবো! শুনলাম সে নাকি তিন লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। একটি ছেলেও হয়েছে তার। কিন্তু আমার শ্বশুরমশায় নাকি পাঁচ লক্ষ টাকার জন্য তাকে তৃতীয় বিয়ে করানোর জন্য বউ খুঁজতেছে। হয়তো তাও করে নিবে। তাতে আমার কি! সে দশ দশটা বিয়ে করুক, আমার পিছন ফিরে তাকানোর সময় নেই। তাকে ভীষণ ভালোবেসেছিলাম। তাই ডিভোর্স দেওয়ার সাহস করে উঠতে পারি নাই। কিন্তু আমাদের মধ্যে কোন প্রকার যোগাযোগ নেই। এই পৃথিবীতে সম্পূর্ণ অচেনা দুটি প্রাণী হিসেবে দুজন দুইদিকে বাস করছি। তাকে আমি ঘৃণা করি, আবার তাকে আমি ভালোওবাসি। বলা যেতে পারে, ঘৃণাভরে ভালোবাসি।
আমার মেয়েটাকে আমি সম্পূর্ণ নিজের মতো করে গড়ে তুললাম। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল আমাকে ডাক্তার বানাবে৷ সেই স্বপ্ন আমি আমার মেয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করলাম। আমার মেয়ে বড় ডাক্তার হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার মধ্যে কোনরকম অহংকারবোধ কাজ করতো না। একদম সাধাসিধে জীবন যাপন করতো। প্রতি সপ্তাহে আমার মেয়ে আর তার টিম বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে গরীবদের ফ্রিতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতো। তাকে দেখলে গর্বে বুকটা ভরে যায়৷ একজন ভালো সন্তান আমি হতে পারিনি, ভালো স্ত্রী হতে পারিনি, ভালো পুত্রবধু হতে পারিনি৷ কিন্তু একজন ভালো মা হতে পেরেছি। এটিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।🖤
বউ এসেছিল হাসবেন্ডের নামে থানায় কেইস করতে বাট হাসবেন্ড তো হাল ছেড়ে দেবার পাত্র নন, গান গেয়ে রোমান্টিক মোমেন্ট তৈরি করে বউকে পটিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন 😍😍😍
শেখার আছে অনেক কিছু...
বাজারের ব্যাগটা খুলে জাহানারা বেগমের মনটা খারাপ হয়ে গেল।ব্যাগের এক কোনায় পরে আছে ফিনফিনে পাতলা সাদা পলিথিনে কিছু গুড়া মাছ আর একটা পলিথিনে জলপাই আর কাঁচামরিচ।
জলপাই দিয়ে ছোটমাছের চচ্চরি করতে হবে বোঝাই যাচ্ছে। জাহানারা বেগমের রান্নার হাত মাশআল্লাহ ভালো। কিন্তু পাঁচজনের পরিবারে এই একপদের তরকারি কি দুবেলা যাবে, মুখ কালো করে বটিটা নিয়ে পুকুরপাড়ের দিকে যায় জাহানারা।
পুকুরপাড়ে ঘাটের পাশ দিয়ে সে কয়েকটা পুঁইশাকের ডাটা পুতে দিয়েছিলো, ভেজা মাটিতে তরতর করে পুঁইশাক বেড়ে উঠেছে। জাহানারা তিন চারটা ডাটা কেটে নিলো।
পুকুরের ঘাটটা বাঁশ দিয়ে বানানো হয়েছে। চার পাঁচটা বাশ একসাথে করে দুপাশে তক্তা পেরেক মেরে পুকুর ঘাট তার স্বামী আর ছেলে মিলে গতবছর বানিয়ে দিয়েছিলো।
এই পুকুর তাদের নয়, পুকুরের ওপারে থাকে তাদের বাড়িওয়ালা, শফিক চেয়ারম্যান।
পুকুর তারই, ঘরটাও তার, জাহানারা বেগমের স্বামী সালেক মাস্টার স্থানীয় হাইস্কুলের শিক্ষক। তারা এখানে ভাড়াটে। দুটো বারান্দা নিয়ে একটা কাঠের ঘরে পাচজনের সংসার।
জাহানারা বেগম পুকুরপাড় পেরিয়ে পেছনের ব্যাড়ের দিকে আগায়। এই ব্যাড় দিয়ে পুকুরে জোয়ার ভাটার পানি ঢোকে, ব্যাড়ে জাহানারা একটা চাই পেতে রাখে।
মাঝে মাঝে টেনে তুললে সাত আটটা চিংড়ি মাছ লাফাতে থাকে, কপাল ভালো হলে দু একটা ট্যাংরা বা টাকি মাছও উঠে পরে।আজ যেমন চিংড়ি মাছ পাওয়া গেল বারোটা আর দুটো ট্যাংরা মাছ। হাতের ঝাপিতে মাছ গুলো নিয়ে চাইটা আবার ব্যাড়ে ঢুবিয়ে দেয় ইট দিয়ে।
তারপর হেঁটে হেঁটে রান্নাঘর এর দিকে আসে।
তার তিন সন্তান। বড় ছেলে কলেজে ডিগ্রি পড়ে, মোটামুটি ছাত্র, মেঝ মেয়েটা ক্লাশ টেনে, রোল চার।
ক্লাশ এইটে সাধারণ কোঠায় বৃত্তিও পেয়েছিলো।
কোন প্রাইভেট পড়াতে পারে না, একা একা পড়ে এত ভালো করে মেয়েটা। অথচ বাড়িওয়ালার মেয়েটার দুটো মাস্টার বাসায় এসে পড়ায় তাও রোল চব্বিশ।
জাহানারার মেয়েটার চেহারা ভারী মিষ্টি, ডাগর ডোগর হয়ে উঠেছে ইদানীং। মেয়ের বাবা চাইছে মেয়ে সুন্দরী আর কমবয়েসী থাকা অবস্থায় বিয়ে দিয়ে দিতে।
গত সপ্তাহে পাত্রপক্ষ এসে দেখে গেল।পাত্র ভালোই, প্রাইমারী স্কুলের মাস্টার।তার বাপ মা বোনের কত প্রশ্ন মেয়েটাকে, রাঁধতে পারে কিনা, সুরা কয়টা জানে, চুল কত লম্বা আরো কত কি!মেয়েটা খুব কাঁদছিলো, এখনি বিয়ে করতে চায়না সে।
তার খুব ইচ্ছে বড় চাকরি করবে, ঢাকায় গিয়ে পড়াশোনা করবে। কিন্তু টানাটানির সংসারে এই কথা বলতে সাহস পায়নি জাহানারা।তার স্বামী স্কুলের পরেও তিনটা টিউশনি করে।গ্রামের বাড়িতে শ্বশুর শাশুড়ীকে দেখতে হয় তাদেরই।এই অবস্থায় মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়া ভালো।
ছোট মেয়েটা ফোরে পড়ে।এই মেয়েটা আদরের বলে একটু সৌখিন।কয়েকদিন ধরে আবদার করছে একটা চার্যার লাইট কিনতে হবে।রাতে প্রায় দু ঘন্টা কারেন্ট থাকেনা।
বাড়িওয়ালার বাড়িতে সাদা রঙের চার্যার লাইট জ্বলে।
আর জাহানারা বিকেলে হ্যারিকেনের চিমনি মুছে কেরোসিন ভরে রাখে।একটা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে ওদের পড়ার টেবিলে দিয়ে দেয়।
জাহানারা রাঁধলো পুঁইশাক দিয়ে চিংড়ি মাছ।দুটো ট্যাংড়া মাছ ভেজে আলু দিয়ে রাঁধলো স্বামী আর ছেলেকে দেবে।
আর ছোট মাছের চচ্চড়ি জলপাই দিয়ে।
রাতে কারেন্ট চলে গিয়েছিলো খাওয়ার সময়। ছেলেমেয়েদের আগেই খাইয়ে দিয়েছে জাহানারা।
স্বামী ফিরলেন রাত দশটার দিকে।ছোট্ট মফস্বল শহরে অনেক রাত।
পুই শাকের ঝোল দিয়ে ভাত খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলেন, শাক কই পাইলা, বাজারে যে আগুন দাম তরিতরকারির, কিচ্ছু কিনতে পারি নাই।
জাহানারা উত্তর দিলো, পুকুর পাড়ে লাগাইছিলাম, চাইরটা ডাটা। ওগুলা বড় হইছে। আর চিংড়ি মাছ চাইয়ে উঠছে।
খেতে খেতে সালেক সাহেব বললেন, ছেলেপক্ষের অনেক দাবী, ত্রিশ হাজার টাকা নগদ, গয়না তিন ভরি আরো মটর সাইকেল দিতে হবে।
এত কিছু কিভাবে আয়োজন করবে বুঝতে পারছে না। তবে সরকারি চাকরি করা ছেলে, দুই বোনের এক ভাই এমন ছেলে পাওয়া যাবে না সহজে।
খাওয়া শেষ করে পান মুখে দিয়ে বসলেন সালেক সাহেব।
জাহানারা পাখা দিয়ে হাওয়া দিচ্ছিলো।
মেজ মেয়েটা এসে দাঁড়ালো, বাবার হাতে আটশ টাকা দিয়ে বললো, আব্বা বৃত্তির টাকা দিছে আজকে পাঁচশ , আর গত সপ্তাহে উপবৃত্তি দিছিলো তিনশ টাকা।
ছাত্রীরা উপবৃত্তি পায় স্কুল থেকে পরিমানে সামান্য হলেও বছরে দুবার।
-মোট আটশ টাকা জমছে, পুতুলের জন্য একটা চার্যার লাইট কেনেন আব্বা।
সালেক সাহেব টাকাটা হাতে নিলেন। জাহানারা বাতাস করছিলো। আজ এখনো কারেন্ট আসছে না।
রাত বাড়ছে। আজ কারেন্ট আসে নি।সালেক সাহেবের ঘুম আসছে না গরমে৷ এপাশ ওপাশ করে উঠে বসলেন।
জাহানারা, ঘুমাইছো নাকি?
না, কিছু বলবেন? পানি দিবো?।
জাহানারা উত্তর দিলো।
বুঝলা, মেয়েটার বিয়া দিবো না এখন, কালকে পাত্র পক্ষকে না কইরা দিবো।ও পড়তে চায় পড়ুক।
কি আর এমন খরচ হয়, তুমি তো পুইশাক আর চিংড়ি মাছের জোগাড় করতেই পারবা বলো!
জাহানারা পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো।
তার চোখের কোণায় চিকচিক করছে অশ্রু।
তাতে মিশে আছে কষ্ট নাকি আনন্দ, সে জানে না হয়তো।
#পুইঁশাক_চিংড়িমাছ_এবং_একটি_চার্যার_লাইটের_গল্প
শানজানা আলম
বাসার সামনে রাস্তার বিপরীতে একটা স্কুল আছে। আজ সেখানে এস এস সি বিদায় অনুষ্ঠান হচ্ছিলো।
মাইক চলছিলো তাই মেয়ে বায়না ধরল সে বারান্দায় গিয়ে দেখবে। কাজ সেরে ওকে নিয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম।
স্কুলের ছেলে মেয়ে গুলো কত সুন্দর সুন্দর ড্রেস পরে এসেছে। টান টান সবার ত্বক। নিষ্পাপ খুশির হাসি। কয়েক জন কে দেখলাম পেছনে পিন লাগানো ব্লাউসে শাড়িও পরেছে। লম্বা হিলে হাল্কা লিপস্টিকে তাদের মোটেও যুবতি লাগছিলো না, না কোন বাচ্চা মেয়ে।
কেউ হাসতে হাসতে গড়িয়ে পরছে, একজন আরেক জনের সাথে প্রতি মাসে দেখা করার প্রমিজ করছে।
ওরা হয়ত জানেও না এইটাই অনেকের কাছে শেষ খুশি এইসব বন্ধুদের সাথে।
আমার বাসা টায় আসতে স্কুল পার হয়ে একটা গলি আছে। একটা পাঞ্জাবী পরা ছেলে অনেক ক্ষন অপেক্ষা করছে এইদিক ওদিক তাকিয়ে। হাতে নিশ্চয় কিছু আছে। কিছুক্ষন পর বেগুনী শাড়ি পরা আঁচল টা কয়েক ভাজ করে তুলে দিয়েছে টাইট পিনে আটকে দেওয়া সুন্দর মেয়েটা আসল। সে আসতেই ছেলেটা তাকিয়ে থাকতে সে এদিক ওদিক তাকিয়ে লজ্জা পাচ্ছে।
এই স্কুলের প্রেম গুলো ভীষণ আদুরে। না কোন খারাপ উদ্দেশ্য, পিওর ইমোশন। বড্ড বেপরোয়া।
আজকাল হয়ত অনেক পাল্টে গিয়েছে। কিন্তু এইদিক টায় একটু গ্রাম্য ছোঁয়া আছে বলে হয় ওদের আমার এত কিউট লাগছিলো।
এই সর্ম্পক গুলো প্রায়শ শীতের পরে ঝরা পাতার মতো ঝরে যায়। যা কিছু টেনে চলে তা একসময় ক্লান্ত হয়।
কারণ আর তিন চার বছরের মেয়েটা সবার কাছে উপযুক্ত হয়ে যাবে ছেলেটা হয়ত হাত খরচের জন্যেও রোজ মায়ের কাছে বকা খাবে।
হাতে থাকা রঙ্গিন প্যাকেট টা এগিয়ে দিতে মেয়েটা ও কিছু একটা এগিয়ে দিলো।
ছেলেটা চলে যেতেই দ্রুত মেয়েটার গালে লাল জরি লাগিয়ে দৌড় দিলো। মেয়েটা এদিক ওদিক তাকালো আমি সড়ে গেলাম বারান্দা থেকে।
মন টা ভার হয়ে যাচ্ছিলো। আজ সবার চোখেই কিছু না কিছু হওয়ার স্বপ্ন কারো আজকের দিনে একবারেই জন্যও গৃহীনি হওয়ার কথা মাথায় আসবে না। একবার ও না। না কোন ছেলের মাথায় আসবে বেকারের তকমা নিয়ে বছরের পর সরকারী চাকরীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা। কিংবা বাবা ছোট্ট দোকানে বসার কথা।
সবাই ভাবছে এ প্লাস পেয়ে ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারলে লাইফ সেট।
কিন্তু কলেজে যাওয়া পর তারা বুঝবে এস এস সি রেজাল্ট টা কেউ জিজ্ঞেস ও করে না। বড় কলেজে ভর্তি হলে তাকে কোন স্যার চিনবেও না। গুটি কয়েক বান্ধবী জুটবে তাও যদি স্কুল ফ্রেন্ড থাকে শেষ মেষ ওরাই রয়ে যাবে বাকিরা হারিয়ে যাবে শীতের ঝরা পাতার হাওয়ার মতো।
যে বান্ধবীকে রোজ পেটের কথা না বললে ভাত হজম হবে না। এক সময় তার চেহেরাও বেমালুল ভুলে যাবে। মনেই পড়বে না তার গালের কোন দিকে তিল ছিলো।
আমার বিদায় অনুষ্ঠানে আমি যেতে পারি নি। মা যেতে দেয় নি। তখন কোন অনুষ্ঠানেই মা যেতে দিতো যে কয় টা টাকা দিতে হতো সে অনুষ্ঠানের জন্য তার চেয়েও বেশি খাতা খরচ হতো চার পাঁচটা টিউশনের জন্য।
ক্লাস সেভেনে আর নাইনে নাকি টেনে একবার গিয়েছিলাম পিকনিকে তাও আমার বান্ধবী পুষ্পা দুইদিন এসে মায়ের কাছে ঘ্যানঘ্যান করার জন্য।
এরপর আর কোন বান্ধবীই পাই নি যে মায়ের কাছে এসে ঘ্যান ঘ্যান করবে। যখন কর্ণফুলিতেও বেড়াতে যাওয়া পারমিশন আমি পেতাম না আমার ক্লাস সেভেনে পড়া ভাই রাঙ্গামাটি ঘুরে আসতো।
এখন চাইলে আর যাওয়া যায় না।
এইসব মন খারাপের জন্যেও আমার সময় নেই। বাসায় গেস্ট এসেছে। তেলে মাছ ভাজিতে দিয়ে পেয়াজ কেটে মাংসের জন্য মরিচ তুলে দিতে দিতে আমি আবার ভাবনা থেকে বের হয়ে ঘরের বউ হয়ে উঠি। যা দশ এগারো বছর আগে এমন দিনে আমারো মনে আসতো না।
মাইকের একটা আওয়াজে আবার আমি চমকে উঠি,
-আমি জানি তুই অনেক বড় আর্স্টিট হবি।
মাছ টা হাত থেকে ছুটে গিয়ে তেল ছিটে পরে। দ্রুত পেস্ট লাগাতেই হাতের বদলে বুক টা জ্বলছিলো। এমন কথা আমরাও মনে প্রানে বিশ্বাস করতাম।
আমার বান্ধবী নিপার দারুণ মুখস্ত বিদ্যা ছিলো , দারুন বক্তব্য দিতো, বুঝাতেও পারতো দারুন। সব মনে থাকতো। ওর ঘরের দেওয়া জুড়ে শুধু সার্টিফিকেট আর সার্টিফিকেট বৃত্তির। ওকে বলতাম দেখিস তুই অনেক বড় টিচার হবি।
বিয়ের পর অনেক কান্না কাটি করেও ও ডিগ্রীতে ভর্তি হতে পারে নি। এখন ছেলে মেয়ে হয়েছে। নিশ্চয় ওদের ভালো পড়াই।
প্রায় বিকেলে সামনের বিল্ডিং চার তলায় আমার মেয়ের বয়েসী একটা বাচ্চা নিয়ে দাঁড়ায় আমার মতো একটা মেয়ে। আজ সেও দেখলাম বার বার বারান্দায় এসে এক দৃষ্টিতে দেখছে উৎসব চলা সে স্কুলের দিকে। তার ও এমন আনমনা লাগছে আজ।
হয়ত দুজনেই স্কুল পার করেছি দশ এগারো বছর আগে। স্বপ্ন গুলো নিশ্চয় কোন নেইম প্লেটে আটকে ছিলো। এখন ঘোরপাক খাচ্ছে তেল নুন পেয়াজে।
আমি আবার ব্যস্ত হই, সবাইকে আবার নাস্তা দিতে ছুটে। সবাই বসে একে ওকে বসতে বলছে সাথে নাস্তা করতে।জোড়াজুড়ি করছে।
কেউ এনে দেওয়া মানুষ টাকে বসতে বলে না তারাও জানে সে বসলে ওদিক টা সামলাবে কে?
মিষ্টি কিংবা কেক মুখে পুরে মাছ ভাজা পিঠ উল্টাতে উল্টাতে আবার পেয়াজ কাটতে বসি। প্রতিবারেই চোখ জ্বলে। আজ বড্ড বুক জ্বলছে।
#আহা_স্কুল
#দোলনা_বড়ুয়া_তৃষা
ধর্ষিতা নয়; ধর্ষকদের ছবি প্রচার করুন।
যেনো তারা আত্মীয়-স্বজনদের মুখ দেখাতে লজ্জা পায়। এ-ই ধর্ষকের নাম শাকিল।
৭১ টিভির ফারজানা রূপার স্বামী।
আলেমদের নামে সামান্য দোষ পেলেই স্বামী-স্ত্রী মিলে মিডিয়া কাঁপাতো। আজ বের হলো থলের বিড়াল.....।
মাসুদা ভাট্টি ইস্যুতে তো বেশ লাফালাফি করেছেন ফারজানা রূপা। এবার চরিত্রহীন সোয়ামিকে নিয়ে ড্যান্স হবে কি! ছিহ্। জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকতা আজ লম্পটদের দখলে।
দেশ তো রসাতলে যাবেই...😡
মানসিক ভাবে শক্তিশালী মেয়েগুলো অন্য দশটা মেয়ে থেকে আলাদা হয়।এরা কথায় কথায় কাঁদতে পারেনা, ন্যাকামো করে কারো মন ভোলাতে পারে না,কাউকে খুশি করার জন্য অভিনয়টাও ঠিকঠাক করতে পারেনা।
এই মেয়েগুলো কষ্ট গুলো বুকের ভিতর জমা করে রাখে।সবার থেকে লুকিয়ে রাখে কষ্টগুলো।তারা কষ্টের পাহাড় নিয়ে হাসিমুখে ঘুরেফিরে,যেন কিছুই হয়নি। তাদের হাসি মুখ দেখে সবাই মনে করে এদের বুঝি কষ্টই হয় না,অনুভূতি শূন্য।
এই মেয়েরা হেরে যায় না কখনো,সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে তারাও নিজেদের পরিবর্তন আনে,যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা উঠে দাঁড়ায়।
জীবনে যে কোনো বাধাই আসুক না কেন, যত ঝড় উঠুক না কেন তারা কারও ওপর নির্ভরশীল হয় না। নিজেরাই যুদ্ধে নেমে পড়ে,জয়ী না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকে।কষ্টগুলো হাসিমুখে সহ্য করে যায় দিনের পর দিন।
যখন কাউকে ভালবাসে,নিজের সবটুকু দিয়ে তাদের ভালোবাসে,তাদের জন্য অসম্ভব কে সম্ভব করে। সমাজ সংসারের কোনো বাধাই তাদের পায়ে বেড়ি পরাতে পারে না।
এরা দুর্বল কে সাহস যোগায় সামনে এগিয়ে যাওয়ার।এরা অহংকারী হয় না কিন্তু নিজের উপর বিশ্বাস থাকে অটুট।
কিন্তু ওদের ও কষ্ট হয়, প্রচন্ড,তীব্র কষ্ট। এইসব মেয়েরা খুব একা হয়।কাছের বন্ধু বলতে তাদের কেউ থাকেনা।ভলোবাসার মানুষদের কখনো কাছে পায় না।
বেশিরভাগ মানুষই তাদের ভুল বোঝে।
সময়ের প্রয়োজনে ব্যবহার করে।আর এই বলে ছেড়ে চলে যায়,ও অনেক স্ট্রং ও পারবে নিজেকে সামলে নিতে।
কিন্তু এই মেয়েগুলো প্রতি রাতে কাঁদে, নির্ঘুম রাত কাটায় অন্য দশটা মেয়ে থেকে বেশি যন্ত্রণায় কাতর হয়। এই মেয়ে গুলোও চায়,তাদের কেউ যত্ন নিক,বুকের মাঝে আগলে রাখুক।ঘুমিয়ে গেলে কপালে একটু চুমু দিক,শক্ত করে জড়িয়ে ধরুক।কেউ তার দায়িত্বটা নিক, খুব করে চায়।
দিন শেষে মেয়েগুলো একলা থাকে সকল মানুষের ভিড়ে,তখন কান্নাভেজা চোখে ঘুমিয়ে যায়।সকাল হলে আবার নতুন করে ঠিকই উঠে দাঁড়ায়।
এদের উঠে দাঁড়ানোতেই মানুষগুলো ভয় পায়।
এই মেয়েগুলো মনটা যে বুঝতে পারে তার মত সৌভাগ্যবান মানুষ কমই হয়।কারণ এইসব মেয়েরা শুধু মানুষকে দিতে জানে বিনিময়ে কিছু চায় না।যাকে সে ভালোবাসে সে যেমনই হোক না কেন তাকে কখনো ভুলে যেতে পারেনা, প্রতারণা, ছলনা করতে জানে না।
কারও অধিকার নষ্ট করে নিজের জীবন সাজাতে জানেনা। বরং বারবার তাদের ভালোবেসে সেবা করে যায়, যারা তাকে ভেঙে চূর্ণ করেছে প্রতিনিয়ত।
মানসিকভাবে শক্তিশালী মেয়েরা জীবনের পদে পদে, ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় কিন্তু প্রতিবার'ই উঠে দাঁড়ায় আর জয়ী না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকে।
প্রকৃতপক্ষে এরাই অগ্নিকন্যা।
,©
বাড়িতে প্রচুর বিয়ে নিয়ে ঝামেলা করতেছিলো।
ভদ্রলোককে ম্যাসেজ দিয়ে বলেছিলাম বাসা দিয়ে বিয়ের জন্য অনেক প্রেসার দিচ্ছে। আমি কি তার কথা বাসায় বলবো? হা অথবা না যেকোনো একটা কিছু আমাকে বলতে তাহলে আমি একটা ডিসিশন নিতে পারবো। যেহেতু বিয়ে একটা করতে হবেই...
দেন তিনি আমাকে কিছু বলেন নি, তার বেস্টফ্রেন্ডকে আমার দেয়া ম্যাসেজটা স্কীনশট নিয়ে পাঠায়।
পরের দিন তার বেস্ট ফ্রেন্ড দুপুরে আমাকে কল দিয়ে, কাপড় কাঁচার মতো ধুয়ে দিছে।
আমি নিজের অবস্থান আর তার অবস্থানের দিকে তাকাতাম, তার ফ্যামিলি হাই স্ট্যান্ডার অপরদিকে আমরা গরীবই..
আমার লজ্জা লাগা উচিত কিভাবে তাকে বিয়ে করার কথা বলতে পারি। মুখে যা আসছে, যেমনে আসছে বলে ফেললো..
আরও অনেক অপমানজনক কথা। যেসব কথা চিন্তা করতে ও আমার মন চায় না..
যখন তার ফ্রেন্ডকে বললাম এসব কথা আপনাকে কে বলতে বলছে, তার বন্ধুর উত্তর ছিলো এগুলো নাকি ভদ্রলোকেরই কথা।
তিনি আমাকে ডিরেক্টলি মানা করে দিলেই হতো। আমি কিছুই মনে করতাম না.. যথেষ্ট স্ট্রং মেয়ে আমি।।
শুধু শুধু ফ্রেন্ড কে দিয়ে আমাকে অপমান করিয়েছিলো..
অনেকদিন আমার কথাগুলো মনে থাকবে।।
মানুষের আত্মসম্মান সবচেয়ে বড় তারপর ভালোবাসা...
আরেহ ভাই আমার ফ্যামিলি গরীব হতে পারে, অবস্থান নিচু হতে পারে কিন্তু কারো কাছে তো হাত পাততেছে না..
মানুষ ইচ্ছে করে গরীব ঘরে জন্ম নেয় না...
তারপর যা বুঝলাম কাউকে ভালোবাসতে হলে আগে নিজের অবস্থান তারপর যাকে ভালোবাসবো তার অবস্থানের দিকে তাকিয়ে ভালোবাসা উচিত। নইলে দিন শেষে মারাত্মক অপমানিত হতে হবে।🙂
আমার এই গরীব চেহারা তাকে কখনও দেখতেও হবেনা।
আর কখনো আমার মুখ তার দেখতে যেনো নাহয়।
খুব ভালোবাসাতাম তো, সহ্য করতে পারবো না।
©জারিন জান্নাত🥀
এরকম ভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা না জানালে আরেকটা বিয়ে করবো প্রিয়!
আল্লাহ চেয়েছিলেন বলেই আপনি হারিয়েছেন, পাওয়ার সময় হলে আবার আল্লাহই দিবেন!'🖤
স্বামী ব্যাংকে জব করে স্যালারি পায় ৪০ হাজার।
স্ত্রী ঘরে বসে অনলাইনে সেল করে ড্রেস, মাসে ইনকাম ৭০ হাজার।
লাইক আ বস 😎
স্বামী আগে খোটা দিত।
সংসারে টাকাতো আর তুমি দাওনা। ওইটাতো আমাকেই জোগার করতে হয়।
আজকাল বউ উল্টা বলে, টাকা লাগলে আমাকে বইলো 😉
লাইক আ বস 😎
বাবা ব্যবসা করে মাসে ইনকাম ৫০ হাজার।
মেয়েকে আগে দিনে ৫০ টাকা হাত খরচ দিতো, মেয়ে এখন রেস্টুরেন্টে ৬ ঘন্টা ডিউটি করে।
মাসে ইনকাম ১০ হাজার।। ওইদিন বাপে তো বলেই ফেলল -
" কি ব্যাপার তুই আজকাল টাকা টুকা নিস না"
মেয়ে হাসে - লাইক আ বস 😎
প্রেমিক অলস বেকার ঘুরে, আগে জিএফ কে খোটা দিত।
রিলেশন করে রেস্টুরেন্টের বিল দিতে দিতে আমি শেষ 😫
আজকাল জিএফ নিজেই হাতে বানানো অর্নামেন্টসের পেজ চালায়। টুকিটাকি দিয়ে বানানো অর্নামেন্টস সেল করে তার ইনকাম মাসে ৮-১০ হাজার।
এর মধ্যে ৪ হাজার আলাদা করে জিএফ প্রেমিক কে বলে'
"এইটা হইলো আমাদের মাসিক প্রেম খরচ"
প্রেমিক হা 😳
প্রেমিকা - লাইক আ বস 😎
স্বামী বিসিএস ক্যাডার
আগে বউকে খোটা দিত,
" আমি ক্যাডার বলেই তোমার বাপ আমার কাছে বিয়ে দিছে।"
স্ত্রী পলিটিক্সে যোগ দিয়ে আজকে বড় যুবনেত্রী।
মানুষ স্বামীকে দেখলে উল্টা বলে,
" আরে অমুক আপার হাজব্যান্ড না এইটা"
এইখানেও বউ - লাইক আ বস 😎
তাই বলি
এখন মেয়েদের আটকায় রাখবা কেমনে ???
বাংলাদেশী মেয়েরা এখন ছেলেদের চাইতে বেশী এক্টিভ, দিস ইজ আ ফ্যাক্ট 😄
প্রত্যেক টা মেয়ের কিছু না কিছু করা উচিত কারন Boss ফিলিংস টা সত্যিই অসাধারণ।
বিয়ের আগে পাত্র পক্ষের কাছে থেকে আসা সবচেয়ে মধুর আর আশাবাদী প্রস্তাবগুলো হচ্ছেঃ
* আপনারা চিন্তা করবেন না ও আমাদের মেয়ে হয়েই থাকবেই।
*আরেকটা প্রস্তাব থাকে যে হ্যাঁ কোনো সমস্যা নেই বিয়ের পরেও যতদূর পর্যন্ত পড়তে চায় পড়বে।
আমার অমুকও তো বিয়ের পর মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে।
*যখন খুশি তখনই চলে আসবে সামান্য দুরত্ব সমস্যা নেই প্রয়োজন পড়লে আমিই দিয়ে যাবো এ বাড়িতে।
*রান্না এখনকার কোনো মেয়েই খুব একটা পারে না তবে বিয়ের পর অবশ্যই শিখে যায়।
*আমাদের বাসায় তো তেমন কাজই নেই মা মেয়ে মিলে ঠিক সামলে নিবো।
*কোনো দেনা পাওনার বিষয় নেই।আমাদের পছন্দ হয়েছে।এটাই যথেষ্ট।
*বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে কি হবে ব্যবহার টাই আসল।
*আমরা বাড়িতে বৌ নয় মেয়ে নিয়ে যাবো।
*ও চাইলে জবও করতে পারবে কোনো সমস্যা নেই।
তারপর দিন গড়ায় বিয়ের মাস ছয়েক পূর্ণ হয় আস্তে আস্তে তাদের সকল অভিযোগ পাহাড় গড়ায়।
সব মেয়ে এত কপাল করে জন্মায় না যে শ্বশুর শাশুড়ীর মেয়ে হতে পারে।
যে পর্যন্ত পড়েছো থাক অনেক হয়েছে চাকরী করে আমার ছেলেকে খাওয়াতে হবে না।
দুদিন পর পর বাবার বাড়ি বাবার বাড়ি যাবা করো না এখন এটাই তোমার সংসার তাছাড়া তুমি বাসায় গেলে আমার বাবুর খাবার দাবারে কষ্ট হয়ে যায়।
কি হাবিজাবি রান্না করো কোনো দিন লবণে পোড়া কোনোদিন ঝালে চূড়ান্ত সবজিও কাটতে পারো না মা কি কিছুই শিখায়নি?
সারাদিন কাজ শেষ করে একটু পড়তে বসলেই ডাক পড়ে বৌ মা একটু চা করো তো!
পাশের বাড়ির কোনো সঙ্গী আসলেই শুরু হয়ে যায় কিচ্ছু দেয়নি বাবুর শ্বশুর বাড়ি থেকে কিচ্ছু দেয়নি।
নেহাত বাবু পছন্দ করেছে নাহলে ওমন কালো মেয়ে ঘরে আনি নাকি।
হ্যাঁ এসব রোজকার ঘটনা।
রঙিন প্রতিশ্রুতি দিতে সবাই জানে কিন্তু রাখতে পারে ক'জন।
তবে প্রতিটি মেয়ের নিজের একটা পরিচয় দরকার।
অন্তত গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে বিয়ে করা উচিৎ।
(বিঃদ্রঃ সবার গল্প এক নয় তাই বলে কারো সাথে হয় না এমনও নয়।যাদের সাথে এসব হয় নি তারা নিসন্দেহে ভাগ্যবতী।তবে অনেক মেয়েপক্ষও কম যায় না রসালোভাবে মেয়ের গুণ প্রচার করে অথচ কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা)
লেখাঃস্মৃতিকথা দত্ত
শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা ও বাচ্চার জন্ম দেওয়ার জন্য মানুষ সংসার করে না।
সংসার একটা অভ্যেস, যা একসাথে থাকতে থাকতে গড়ে ওঠে, একে অপরের সাথে কথা বলতে বলতে, একে অপরকে সহ্য করতে করতে এই অভ্যেস গড়ে ওঠে।
সংসার মানে হলো একসাথে থাকতে থাকতে একে অপরের গায়ের গন্ধটা আত্মস্থ করে নেওয়া। সংসার মানে হলো মানুষটা মুখের সামনে এসে দাঁড়ালেই মানুষটার মনের ভেতর কি চলছে, সেটা বুঝে ফেলা।
সংসার মানে হলো বর অফিস থেকে ফিরলে এক গ্লাস জল রোজই মুখের সামনে তুলে ধরা।
সংসার মানে হলো ছেঁড়া বোতাম সেলাই করতে করতে নিজেদের ভেতর ভুল বোঝাবুঝি গুলো মাঝেমধ্যে সেলাই করে নেওয়া।
সংসার মানে হলো এডজাস্টমেন্ট, "তোমার আমার" থেকে আমাদের হয়ে ওঠা। সংসার মানে মাছের ঝোলে নুন বেশি হলেও চুপচাপ হাসিমুখে খেয়ে ফেলা, সংসার মানে হলো রোজই বিছানার উপর রাখা নিজের পার্টনারের ভেজা টাওয়ালটা মেলে দেওয়া।
সংসার মানে হলো বিয়ের ডেট, একে অপরের জন্মদিনের তারিখ ভুলে গেলেও মানিয়ে নেওয়া।
সংসার মানে গাঢ় নীল রং নিজের পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও পার্টনারের পছন্দ বলে একদিন নীল রঙের পাঞ্জাবিটা পরে ফেলা, আবার তেমনি শাড়ি পরতে একটুও ভালো না লাগলেও এক দুটো দিন নিজের পার্টনারের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে একটা লাল টকটকে শাড়ি পরে পার্টনারের সামনে এসে দাঁড়ানো।
সংসার হলো একটা প্রতিজ্ঞা, যার ভেতর মান, অভিমান, রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ, ব্যথা সবই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে একে অপরের মুখের সামনে ভাতের থালা তুলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাটা একে অপরকে করতে হবে।
সংসার মানে হলো মাসের শেষে টাকাপয়সার হিসেব করতে করতে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বলা "আজ তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাবো, আজ আমায় একটু ঘুম পাড়িয়ে দাও"
সংসার মানে হলো মাঝরাতে বরকে ঘুম থেকে তুলে শিশির ভেজা রাস্তায় হাঁটতে যাওয়ার বায়না ধরা।
সংসার করা সহজ, কিন্তু একটা সংসারকে প্রতি মুহূর্তে যাপন করা সহজ নয়
সংসার মানে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও একবার অন্তত ফোন করে জিজ্ঞেস করা "খেয়েছো"
সংসারে ওঠানামা, ভাঙাগড়া থাকবেই, কিন্তু হাঁপিয়ে গেলে চলবে না, একে অপরকে মানিয়ে নিতে হবে, একে অপরের সমস্যায় পাশে থাকতে হবে, একে অপরকে সাহস যোগাতে হবে
সংসারে কেউ কারোর থেকে ছোট বা বড় হয় না, দুজনেই দুজনের পরিপূরক হয়, তাই সংসার করতে গেলে একে অপরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা বড্ড জরুরি....
Bangladesh
🦠 সাধারণত #করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে হালকা জ্বর, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়
🦟 ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় জ্বর, গায়ে ফুসকুড়ি ও প্রচন্ড মাথাব্যাথা হয়।
আপনার ডেঙ্গু বা করোনাভাইরাস হয়েছে সন্দেহ হলে, সাথে সাথে ফোনে ডাক্তারের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন এবং তার পরামর্শ মেনে চলুন 🙏
( #সংগৃহীত)
আজ থেকে ২০০ বছর পর আমার বাড়িতে, আমার ঘরে যারা বসবাস করবে, যারা আমার জায়গা জমি ভোগ করবে আমি তাদের চিনিনা।
তারাও আমাকে চিনবেনা।
কারন তাদের জন্মের অনেক আগেই আমি কবর বাসি হয়ে যাব।
আর ততদিন মুছে যাবে আমার নাম নিশানা।
কবরটাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
আমার সন্তানরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তারা হয়ত মনে পড়লে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলবে!
কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা তাদের যতটুকু মিস করবে আমাকে ততটুকু মিস করবে না।
হয়ত বাবার কবর জিয়ারত করে দোয়া করার সময় দাদার জন্যও একটু করবে।
কিন্তু তার পরের প্রজন্ম আর মনে রাখবে না।
প্রায় ২০০ বছর আগে মারা গেছে আমার দাদার দাদা।
যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্য ঘর বাড়ি, জায়গা জমি রেখে গেছেন। একিই বাড়ি, একিই জায়গা জমি আমরা এখন ভোগ করছি।
কিন্তু উনার কবরটা কোথায় সেটা আমরা জানি না।
হয়ত আমার দাদার পিতা জানতেন।
কিন্তু দাদার পিতা তো বেঁচে নেই, দাদাও বেঁচে নেই, বাবাও বেঁচে নেই।
আর এমন সময় প্রায় ২০০ বছর পর আল্লাহর হুকুমে উনি একদিন কবর থেকে জীবিত হয়ে নিজের বাড়িতে এসে দাবী করলেন যে এই বাড়ি , এই জায়গা-জমি সব আমার।
পরিচয় দিয়ে বললেন আমি অমুক, এই বাড়িতে আমার সন্তানদের রেখে গিয়েছিলাম।
তোমরা কারা?
আমার বাড়ি ঘর ছেড়ে দাও।
তখন হয়ত আমরা সোজা উত্তর দিব আপনাকে তো চিনিনা, নামও শুনিনি কোনদিন!
কিন্তু দেশে যদি আইন থাকে যে কোন কারনে মৃত ব্যক্তি যদি আল্লাহর হুকুমে জীবিত হয়ে এসে তার রেখে যাওয়া জায়গা জমি দাবী করে তাহলে তার জায়গা জমি ফেরত দিতে হবে।
তাহলে জায়গা জমি ছাড়বোই না বরং পুরো গুষ্টি শুদ্ধ একত্রিত হয়ে ঐ ব্যক্তিকে পিটিয়ে বের করে দিব।
এর পর শুরু হবে মামলা মকদ্দমা।
কাকে পিটাব?
যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্ম দিয়ে লালনপালন করে নিজের তীল তীল করে গড়া জায়গা জমি দিয়ে গিয়েছিলেন তাকে!
এখন হয়ত ভাবছেন আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে? অথবা মেয়াদ উত্তীর্ণ গাজা খেয়ে লিখছি?
তা না হলে ২০০ বছর আগের মৃত মানুষ কি করে জীবিত হয়ে সম্পত্তির দাবী করবে?
না, জীবিত হয়ে আপনার সম্পত্তি দাবী করার কোন সম্ভাবনা নেই।
নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন।
তবে সাত পাঁচ করে যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সেটা কবরে নিয়ে যেতে পারবেননা।
আর যাদের জন্য রেখে যাচ্ছেন তারা ও আপনাকে মনে রাখবেনা এটা নিশ্চিত!
অন্যের সম্পত্তি জবর দখল করে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?
সুদ, ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়ে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?
তাহলে আপনি আস্ত একটা বোকা !
এই শব্দটা ব্যবহার করার জন্য স্যরি!
ক্ষমা করবেন।
আমাদের সময় খুব কম! তাই এই সুদ, ঘুষ ,দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার , সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ইত্যাদি । কোন লাভ নেই ভাইজান ।। সময় থাকা কালীন ভালো হয়ে কবরের খোরাক সংগ্রহ করুন ঐটাই বুদ্ধিমানের কাজ।। আসুন নিজেকে সৎ মানুষ হিসেবে তৈরি করি পরকালের জন্য পূর্ণতা সঞ্চয় করি।। ঐটাই আপনার জন্য প্রকৃত সম্পদ।। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করার তৌফিক দান করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন।
আমিন।
আমাদের বাংলা ভাষায় একটা প্রবাদ আছে,
বারবার মরা কে মারো কেন ? নড়েচড়ে না তাই ?
নায়িকা পরিমনির অবস্থা এখন ঠিক এমনই!
একটা সমাজ এবং সেই সমাজের মানুষ গুলো
কতটা কুরুচিপূর্ণ বিকৃত মানসিকতার হলে
একজন মেয়েকে নিয়ে এইভাবে পড়ে থাকতে পারে।
যতদূর দৃষ্টিপাত করছি দেখছি শুধু অসুস্থ সমাজ, অসুস্থ চিন্তাভাবনা, অসুস্থ আমাদের সমাজব্যবস্থা।
মনে রাখবেন প্রতিটা মানুষেরই সবকিছুর আড়ালে
একান্ত ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু একটা আছে।
মেয়েটারে নিয়ে সবাই যেভাবে উঠে পরে লেগেছে,
মনে হচ্ছে যেন পরিমনি ছাড়া জীবনে কেউ মদ স্পর্শ করে নাই, পরিমনি কার সাথে কি সম্পর্ক করবে
সেটা তার একান্তই মেয়েটির ব্যক্তিগত বিষয়,
কিন্তু এজন্য তো সে পানিশমেন্ট ডিজার্ভ করে না,
চারপাশে এমন ভাব যেন এদেশে পরিমনি ছাড়া
আর কেউ অসৎ সম্পর্কে জড়ায় নি কখনো,
বাংলার সবার চরিত্র একদম ফুলের মত পবিত্র।
আমাদের রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাও পরীমনির ক্ষেত্রে আমাকে বিস্মিত করেছে,
পরিমনিকে ধরতে যেভাবে অভিযান চালানো হয়েছে
মনে হয়েছে বিরাট কোন মাফিয়াকে ধরা হয়েছে।
ছোটবেলায় পরীর বাবা মায়ের মৃত্যু,এই শহরে আসা,
ছোটবেলার স্মৃতি নামটি পাল্টে স্মৃতি থেকে পরিমনি হওয়ার গল্প, তারপর ধীরে ধীরে নায়িকা হওয়া,
হঠাৎ করে বোট ক্লাবের অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনা,
এরপর গর্জে উঠে প্রতিবাদ আবার জেলে যাওয়া!
সব দেখে মনে হয়েছে, অনেক ভুল বা মিথ্যা হয়তো আছে, কিন্তু দিনশেষে পরিমনিই সত্যিকারের নায়িকা। শুধু সিনেমা না, বাস্তবের নায়িকা যে কী না ভয়াবহ প্রতিহিংসা আর ঘৃণার শিকার যাকে এই সমাজ পরিমনি বানিয়ে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
পরীমনির ঘটনায় ফেসবুকজুড়ে মানুষের কমেন্ট
আর নারীর প্রতি আমাদের যে মনোভাব ফুটে উঠেছে সেটাকে অসুস্থতাই মনে হয়েছে। বিশেষ করে অনেক পুরুষকে এই ঘটনায়বিকৃত আনন্দ পেতে দেখেছি।
পিছিয়ে ছিলেন না নারী সমাজও। খুব কম মানুষকেই এই ঘটনায় সংবেদনশীল আচরণ করতে দেখেছি।
আজকের এই পরীমনির আসল নাম কিন্তু স্মৃতি।
ছোট বেলায় তার মা আগুনে পুড়ে মারা যায়।
আগুনে পোড়ার সাথে সাথে তার মা মারা যায়নি।
দীর্ঘ দুই মাস দহনে ভুগে তারপর তিনি মারা গেছেন।
এরপর হঠাৎ একদিন মারা যায় পরীমনির বাবা।
তাঁর বাবার মৃত্যুও মায়ের মতো স্বাভাবিকভাবে হয়নি,
ব্যবসায়িক কারণে সে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন।
অতএব আমাদের বাংলা সিনেমার গল্পের মতো
আজকের পরীমনিও খুব শৈশবে এতিম হয়ে যায়।
অসহায় এতিম পরীমনি পালিত হয় নানার সংসারে।
স্কুলজীবনে পরীমনি বরিশালের একটি স্কুল থেকে
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। এর আগে কেউ কখনোই
এই স্কুল থেকে বৃত্তি পায় নি।
শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত ওই স্কুল থেকে
আর একজন শিক্ষার্থীও বৃত্তি পায়নি।
সাংবাদিকরা একটি ভালো কাজ করেছেন। তারা পরীমনির স্কুলের শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছেন। পরীমনির শৈশবের স্কুল শিক্ষকরা জানিয়েছেন,
তারা পরীমনিকে এখনো স্নেহ করেন।
শৈশবে পরীমনি ছিলো নম্র, ভদ্র এবং
সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এক মেয়ে।
এরপর যা হয়। পরীমনিকে বিয়ে দেয়া হয়
ওই গ্রামের একজনের সাথে। সুখের আশায় বিয়ে
হলেও পরীর সেই সংসার দুই বছরের বেশি টেকেনি।
আরে না, আপনারা যা ভাবছেন তা কিন্তু নয়।
এই সংসারটি কিন্তু পরীমনির কারণে ভাঙ্গেনি।
স্বামী যৌতুকের জন্য দুই লাখ টাকা চেয়েছিলেন পরীমনির নানার কাছে। নানা টাকা দিতে পারেননি,
তাই সেই অর্থলোভী স্বামী পরিমনীকে তালাক দেন।
এই পর্যন্ত লেখাটি পড়ে বিবেক দিয়ে একটু ভাবেন।
একটি মেয়ের জীবনে এর চাইতে চরমতম ভয়াবহ,
একের পর এক ধারাবাহিক দূর্ঘটনায় পরিপূর্ণ,
অভিশপ্ত জীবন আর কী হতে পারে ?
তখনো কিন্তু পরীমনির নাম স্মৃতি।
যেহেতু স্মৃতির রূপ ছিলো, একই সাথে ছিলো এক সাগর দুঃখ। একজন রূপবতী দুখী মেয়ে, শিকারের জন্য এর চেয়ে ভালো হরিণ আর কী হতে পারে ? কাজেই স্মৃতি ক্রমান্বয়ে পরীমনিতে পরিণত হয়।
বিবেকের কাছে কেউ একবারও জিজ্ঞাসা করেছেন,
কারা সহজ সরল স্মৃতিকে পরীমনি বানালো ?
আসলে মাঝে মধ্যে এই ধরনের ঘটনায়
একটা রাষ্ট্র ও সমাজের পুরো চরিত্রটাই ফুটে উঠে। বোঝা যায় আমরা কোথায় আছি!
আজ আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে পরীমনি চিৎকার করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, 'আমি নির্দোষ।
ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।'
পরীমনি তো বাংলাদেশের কারো ঘাড়ে বন্দুক ধরে বলেনি আমাকে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় নিয়ে যাও।
আজ পরীমনিকে যারা 'রাতের রাণী' বলে
আখ্যায়িত করেছে তাদের কাছে প্রশ্ন রইলো
তারা কি পারবে এবার 'রাতের রাজাদের' আসল পরিচয় সমগ্র জাতির সামনে উন্মোচন করতে ?
রাতের রাজারা এভাবে পর্দার অন্তরালে থেকে যাবে
কারণ দিনশেষে নির্বাক পরীমনি বোতলের ভিতরে,
বোতল পুলিশের ভিতরে, পুলিশ পরীমনির ভিতরে,
জিন ধরা ছোয়ার বাহিরে, ভুত আইনের উপরে,
গিরগিটির মতো সাংবাদিকেরা লকডাউনের বাহিরে,
করোনা দেশের ভিতরে আর দেশ মহামারির ভিতরে।
সবদোষ এখন পরিমনির,বাকিরা ধোয়া তুলসিপাতা।
Cp
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Chittagong
Forum Centrul (6th Floor), M. M. Ali Road
Chittagong, 4000
I cordially invite you to enjoy its beauty.
VIP Tower (2nd Floor), 125 Chatteshwari Road, Kazir Dewri
Chittagong
With the percept "Luxury in Your Plan", Misuk Holdings Ltd. was formed in 2015 & got its REHAB membership in 2018. Despite the number of years of its establishment, the Managing Di...
2 No. Devpahar
Chittagong, 4203
A Masterpiece Planned in a 71 Katha Land Area at Dev Pahar, Chattogram.
Gec More, Central Plaza
Chittagong, 4225
Soil properties are a real estate agent company based in Chittagong, Bangladesh. We help buyers and sellers of Land/Flats/Apartment owners to buy/sell property.