تَوَكُّل
Nearby media companies
Chittagong, Bangladesh
Bani Yas, Abu Dhabi
4000
B.Nag.Lane,Goshaildanga,Bandar,Chittagong
Dhaka,Bangladesh, Mirpur
Akborshah
8080
Sanmar Monabi, House 14, Road 2, North Khulshi
South
Panchlaish
firojshah
Teknaf
Chawbazar
“Islam” means “submission to the will of Allah".Muslims are monotheistic and worship one, all-knowing God, who in Arabic is known as Allah.
Followers of Islam aim to live a life of complete submission to Allah. facebook/youtube/islam one dot
🌙
সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।
তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
বিখ্যাত ফিলাস্তিনি স্কলার ও খতীব মাহমুদ আল-হাসানাত
ইতিহাসের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত জুমুয়ার খুতবায় বলেন,
"যদি ৩০হাজার শহীদ, ৭০হাজার আহত,
এবং ২০লক্ষ গৃহহীন ফিলাস্তিনী মুসলিম
আপনাদের জাগাতে না পারে,
তবে কিভাবে আশা করবো যে আমার কয়েকটি কথায়
আপনারা জাগ্রত হবেন?
খুতবাহ শেষ।
কাতার সোজা করুন।
স্বলাতে দাঁড়িয়ে যান।"
বলেই তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন।
কথাগুলো পড়তে গিয়ে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল।
বিলিভ মি!
©
এতো পরিষ্কার লেখা, এটা পড়েও যদি বোঝার ক্ষমতা না হয় আর কিসে হবে !!
---
আপনি ভাইবেন না দাজ্জাল আপনার সামনে এসে বলবে, ‘আমারে অনুসরণ করো৷’ দাজ্জাল আসার পূর্বে ফেতনার মাধ্যমে প্রথমে আপনার চিন্তা শক্তি ইসলাম থেকে দূরে সরাবে৷ চিন্তা শক্তি দূরে সরাতে না পারলেও ফেতনায় আপনার চারপাশে এমন এক পরিবেশ বানাবে, যে আপনি চাইলেও মুখ দিয়ে আল্লাহর নাম নিতে পারবেন না৷
আপনার দৈনন্দিন অভ্যাস চেঞ্জ করাবে৷ আপনার মতো হাজার হাজার, বিলিয়োন মানুষ যখন দাজ্জালের ফেতনায় ডুবে যাবে৷ তখন অই ফিলিস্তিনের আল আকসা ভেঙে যে টেম্পল বানানোর প্লান ইসরায়েলের, সেই টেম্পল দিয়ে আবির্ভাব ঘটবে দাজ্জালের৷
দাজ্জালের ফেতনা এত ভয়ানক যে আল্লাহর কাছে আপনি ক্ষমাও চাইতে পারবেন না কারণ আপনি তখন উঠে পড়ে যাবেন হারামকে হালালের জন্য, হালালকে হারামের জন্য৷ সমাজে হারাম, এমনভাবে হালাল হবে আপনি বুঝবেনও না কোনটা হারাম, কোনটা হালাল৷
আপনি জানবেনও না আপনি দাজ্জালকে কিভাবে অনুসরন করছেন, কিন্তু একনিষ্ঠভাবে দাজ্জালের সৈনিক হয়ে যাবেন৷ আপনার আল্লাহর নাম নিতে লজ্জা লাগবে৷ যে আল্লাহর নাম নিবে, তাকে আপনার ক্ষ্যাত মনে হবে৷ কোনো বন্ধু গ্রুপে আল্লাহ নিয়ে কথা হবে না৷ অস্বস্তি কাজ করবে সবার৷ আল্লাহ ও তার রাসুল যা মানা করেছে, সেসবে আপনার স্বস্তি কাজ করবে৷
নবীর ওয়ারিশ আলেম৷ আলেমদের প্রতি ঘৃণা তৈরি হবে৷ একশটা আলেমের মধ্যে দশটা জাহান্নামি আলেমের কারণে নব্বইটা আলেমকে দেখলেই নাক চেটকানো শুরো করবেন, গালাগালি করবেন৷ একদল উঠে পড়ে লাগবে আলেমদের দোষ ধরার পিছনে৷ এভাবে আস্তে আস্তে আলেমদের থেকে বিশ্বাস উঠিয়ে নিবে৷ আপনাকে বানাবে ধর্মীয় জ্ঞান শূন্য৷
আপনার ইসলাম থেকে চিন্তা শক্তি দূরে সরে যাবে৷
আপনাদের কি দাজ্জালের ফেতনা জোকস মনে হয়? দেবর ভাবির মতো পবিত্র একটা রিলেশন৷ এটা যে খারাপ এঙ্গেলে যাচ্ছে, গিয়েছে৷ এটা কি জোকস মনে হয়? স্টেপ ফাদার, মাদার ইসলামে বৈধ জিনিস যে ইয়াং জেনারেশনের ব্রেইনে সেক্সুয়েল ফান এর পর্যায়ে গেছে এটাকে কি জোকস মনে হয়?
দাজ্জালের ফেতনা আপনার জোকস মনে হয়? অথচ আপনি বুঝতে পারছেন না৷ আপনি হাসতে হাসতে, চেতনার নামে৷ আধুনিকতার নামে আপনার আল্লাহকে নিয়ে মস্করা করছেন৷ যে আল্লাহ আপনার রিযিকের ভাতের দানার পরিমানও লিখে রাখছে৷ আপনার জীবন সঙ্গী কে হবে লিখে রাখছে৷ আপনার মৃত্যু কবে হবে সেটা লিখে রাখছে৷ আপনার আজকের কর্মের কারণে দশ দিন পর বিপদে পড়বেন, অই বিপদ দেখেও যে আল্লাহ এটা অপেক্ষায় থাকে যে আমার বান্দা একটা ভালো কাজ করুক তার বিপদ আমি কাটায়ে দিব৷ দোয়াতে একবার বলুক বিপদ কাটায়ে দেয়ার জন্য, কাটায়ে দিব৷
কাজে, কর্মে কথায়, দুই লাইন ইংলিশ বলতে পেরে অই আল্লাকে অপমান করেন৷
দাজ্জালের ফেতনা আপনার জোকস মনে হয়? মস্করা করছেন সেই নবী (সা:) এর জন্য৷ যে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত আপনার, আমার তার উম্মতের জন্য কেঁদে গেছে৷ সারাটাজীবন কষ্ট সহ্য করে গেছে৷ যে নবী হাসরের ময়দানে বলবে, আল্লাহ আমি আমার একটা উম্মতকে ছাড়াও জান্নাতে যাবো না৷ যে নবীকে অস্বীকার করলে জান্নাত হারাম! হারাম! হারাম!
আপনি খেয়াল করে দেখেন, দুনিয়াতে ১৯৩ দেশ৷ ৮০০ কোটি মানুষ৷ প্রতিটা দেশের প্রতিটা মানুষের পাপের সুতা এক জায়গায়৷ বাংলাদেশে দাজ্জালে ফেতনায় ডুবে থাকা মানুষের যে বৈশিষ্ট্য, চিন্তাধারা৷ বাংলাদেশের একদম অপজিটে, কালচারে, লাইফস্টাইলে সব আলাদা হলেও ওদেরও দাজ্জালের ফেতনায় ডুবে থাকাদের বৈশিষ্ট্য একই৷
প্রতিটা ঈমানদারদের সূতা এক জায়গায়, কুরআন এবং হাদীস, আল্লাহ এবং তার রাসুল৷
একটা কথা মাথায় রাইখেন, দাজ্জালের ফেতনা আপনার মস্তিষ্ক কন্ট্রল করে আপনার চিন্তা শক্তি দাজ্জাল তার দাস বানাবে৷ আপনি, আমি আমরা যে স্বাধীনতার কথা বলি, (রাস্ট্রীয় স্বাধীনতা বলিনি৷ ব্যক্তি স্বাধীনতা৷) এটা মূলত ইসলাম থেকে স্বাধীনতা চেয়ে দাজ্জালের মনস্তাত্ত্বিক দাস হইতে চাচ্ছি আমরা৷
এই ফেতনায় আপনার লাভ নাই৷ কোনো লাভ নাই৷
আল্লাহ চাইলেই দাজ্জাল আটকাতে পারতো৷ তা না করে বরং আরো সব গায়েবী শক্তি দিয়ে পাঠাবে৷ শুধু মাত্র আপনাকে, আমাকে পরীক্ষার জন্য৷
আল্লাহ রিযিক ফিক্সড করে দিয়েছে৷ আপনি আল্লাকে গালি দিলেও (নাউজুবিল্লাহ) খেয়ে পড়ে বাঁচবেন৷ আল্লাহ আপনার হাতে দিয়েছে চিন্তা শক্তি৷ আপনি কি চিন্তা করছেন এখানে আল্লাহর হাত নাই৷ আপনার চিন্তা শক্তিই আপনার পরীক্ষা৷ আর এই দাজ্জালের ফেতনা ঠিক আপনার এই চিন্তা শক্তিই দখল করে নিবে৷
আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না দাজ্জালের ফেতনা কি৷ অথচ আপনার কল্পনার জগৎ ভরে যাবে দাজ্জালের ফেতনায়৷ আপনি বুঝতে পারবেন না কি কি ফেতনা আসতে যাচ্ছে৷
আমার নবী (সা:) জানতেন, বুঝতেন৷ আল্লাহ নবীজিকে জানিয়েছেন৷ দাজ্জালের ফেতনা কত ভয়ানক৷
হাদীসে কি আসছে জানেন? নবীজি এভাবে বলে গেছে, "এমন সময় আসবে৷ আমার উম্মত সকালে মুসলিম থাকবে৷ সন্ধ্যায় অমুসলিম হয়ে যাবে৷”
আপনি দাজ্জালের ফেতনা নিয়া মস্করা করেন৷ আর আমার নবী ডাইরেক্ট নির্দেশ দিয়েছে তার উম্মতদের, "তোমরা চারটা দোয়া ছাড়া নামাজে সালাম ফেরাবে না৷ শেষ বইঠকে, সালাম ফেরানোর আগে- ১. আল্লাহ তুমি আমাকে আমার কবরের আযাব থেকে মুক্ত রাইখো৷ ২. তোমার জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্ত রাইখো৷ ৩. জীবন ও মৃত্যুর ফেতনা থেকে হেফাজতে রাইখো৷ ৪. দাজ্জালের ফেতনা থেকে আমারে হেফাজতে রাইখো৷”
দাজ্জালের ফেতনা কোনো মস্করা না ভাই৷ এর ফেতনা ভয়বাহতা আমাদের কল্পনারো বাইরে৷ একবার শুধু চিন্তা করেন, যেই হারাম জিনিসে আপনার শরীর রি রি করে উঠে ঘেন্নায়৷ সেই জিনিস আপনার নেক্সট জেনারেশন হালাল মনে করলো! স্বাভাবিক হয়ে গেল সমাজে!
দাজ্জালের ফেতনা কোনো জোকস না৷ আল্লাহ আমাদের ফেতনা থেকে হেফাজতে রাখুক৷
~ রাব্বানী মাসায়েখ পনি
যাকাত সংশ্লিষ্ট আলোচনা
------------------------------------
◑ যাকাতযোগ্য সম্পদ পাঁচ ধরণের: ১. স্বর্ণ-রুপা ২. টাকা-পয়সা ৩. ব্যবসায়িক পণ্য ৪. পশু-জন্তু
৫. উশরী জমি।
প্রথম প্রকারের ব্যাখ্যা:
স্বর্ণ-রুপা গয়না হোক বা না হোক, ব্যবহার হোক বা না হোক। সোনা-রুপার সামগ্রী, কাপড় বা লেইস ইত্যাদি।
দ্বিতীয় প্রকারের ব্যাখ্যা:
মৌলিক প্রয়োজন বাদে উদ্বৃত্ত টাকা নেসাব পরিমাণ হলে। চাই তা জমা থাকুক বা ব্যবসায় খাটানো হোক, ব্যাংকের ব্যক্তি মালিকানাধীন সকল প্রকার একাউন্ট। কারেন্ট, সেভিংস, ডিপোজিট, ফিক্সড ডিপোজিট, লকার, লাইফ ইন্সুইরেন্স সহ সব ধরণের একাউন্ট, এফডিআর এবং সিকিউরিটি মানি, এডভান্সের টাকা (যা পরে ফেরত পাবে) ও প্রভিডেন্ট ফান্ড (যেটা বাধ্যতামূলক নয়), এমনকি হজ্ব, বাড়ি নির্মাণ ও বিয়ের জন্য জমা করা হলেও।
◑ বায়না নামার টাকার মালিক বিক্রেতা। তাই এগুলো বিক্রেতার মালিকানার সাথে হিসাব হবে এবং তার উপর উপর যাকাত আসবে।
◑ ঋণ বা বিক্রিত পণ্যের বকেয়া টাকার যাকাত ঋণদাতা ও বিক্রেতার উপর আসবে।
◑ পেনশনের টাকা হস্তগত হলে যাকাত দিতে হবে, যদিও উত্তলন না করা হয়।
তৃতীয় প্রকারের ব্যাখ্যা:
দোকান বা অন্য কোথাও রাখা ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে যা কিছুই থাকুক না কেন, যেমন ব্যবসার নিয়তে জমি বা ফ্ল্যাটের ন্যায় স্থাবর কোনোকিছু ক্রয় করলে অথবা মুদি সামগ্রী, কাপড়, স্বর্ণ-রুপা, গরু-ছাগল, গাড়ি, ফ্রিজ, মোবাইল, কম্পিউটার, বই বা ফার্ণিচারের ন্যায় অস্থাবর কোনোকিছু ক্রয় করলে।
◑ মিল/কারখানা, বিল্ডিং, ভাড়ার ফ্ল্যাট অথবা প্লটের উপর যাকাত না আসলেও উৎপাদিত পণ্য, কাঁচামাল ও আয়ের উপর যাকাত আসবে।
★ প্রশ্ন: ব্যবসায়িক পণ্যের মূল্য তো তিন ধরনের: খুচরা, পাইকারি, গড় মূল্য, তাহলে কোনটা দিবে?
উত্তর: পাইকারি মূল্য উত্তম, তবে গড় মূল্যও দিতে পারবে।
★ প্রশ্ন: মূল্য কোন দিনের ধরা হবে? উত্তর: আদায়ের দিনের।
যাকাত ফরয হওয়ার জন্য পাঁচ শর্ত
-------------------------------------------------
প্রথম শর্ত:
সুস্থ মস্তিষ্ক, বালেগ, মুসলিম হওয়া।
দ্বিতীয় শর্ত:
মৌলিক প্রয়োজন উদ্বৃত্ত নেসাবের মালিক হওয়া। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনের অতিরিক্ত যাকাতযোগ্য সম্পদ তথা স্বর্ণ-রূপা, টাকা পয়সা, ব্যবসায়িক পণ্য ইত্যাদি নেসাব পরিমাণ থাকা।
আর মৌলিক প্রয়োজনের বস্তু দ্বারা উদ্দেশ্য হল, যা জীবনধারণকে সংকটময় করা থেকে নিরাপদ করে। যেমন: খাবার-দাবার, বসবাসের ঘর, ফ্রিজ, ব্যবহারের মোবাইল ও কম্পিউটার, সমরাস্ত্র, শীত ও গরম থেকে বাঁচার প্রয়োজনীয় পোশাক ইত্যাদি। অথবা সংশ্লিষ্ট পেশার হাতিয়ার বা আসবাবপত্র, বাহন-জন্তু, জ্ঞানী সমাজের প্রয়োজনীয় বই।
একথা স্বতসিদ্ধ যে, সবার প্রয়োজন এক পর্যায়ের হয় না। যেমন যে ব্যক্তি আলেম নয়, তার জন্য ইলমী কিতাব মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত নয়। তেমনিভাবে, কারো নিকট মেহমান বেশি আসে। তাই অনেক বিছানাপত্র তার প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু অন্যের ক্ষেত্রে তা প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিবেচিত হবে। মোটকথা, ঐসব আসবাবপত্র, যেগুলো কখনো ব্যবহারের সুযোগই আসে না বা আসলে বৎসরে দু' এক বার, তা নিত্যপ্রয়োজনের অতিরিক্ত।
নেসাব
---------
নেসাব হলো, সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ ও সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা।
◑ টাকা-পয়সা ও ব্যবসায়িক পণ্যের ক্ষেত্রে রূপার নেসাব তথা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্য হিসাব করবে। যেমন রূপার তোলা যদি ১০০০ টাকা হয়, তাহলে সাড়ে ৫২ হাজার টাকা নেসাব হবে। (এ বছর ২০২৪ সালে ৭৫ হাজার টাকা নেসাব)
◑ কিছু স্বর্ণ আর কিছু টাকা থাকলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার সমতুল্য হলে যাকাত আসবে।
তৃতীয় শর্ত:
সম্পদগুলোর উপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া। তবে চাইলে অগ্রিম দিতে পারবে।
◑ বছরের শুরু ও শেষে নেসাব পূর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হবে অর্থাৎ বছরের মাঝে ও শেষে যা যোগ হবে, তা পূর্ণ হওয়া লাগবে না।
◑ বছরের হিসাব আরবি মাস এবং যে মাস থেকে মালিক হবে তখন থেকে শুরু ধরতে হবে, ইংরেজি মাস বা রমযান মাস থেকে শুরু নয়। আর যেদিন/তারিখ নেসাবের বছর পূর্ণ হবে, তখন থেকে ধরতে হবে।
উল্লেখ্য, অনেকে শুধু রমযানকে যাকাতের বছর মনে করেন, আবার এর জন্য কোন নির্দিষ্ট দিন বা তারিখ ঠিক করেন না। এগুলো ভুল পদ্ধতি।
চতুর্থ শর্ত:
নেসাবের ক্ষেত্রে সাধারণ ঋণ প্রতিবন্ধক না হওয়া।
মোহরের ঋণ, ব্যাংক লোন/ডেভলপমেন্ট লোন প্রতিবন্ধক নয়। ডেভেলপমেন্ট লোনে কিছু ব্যাখ্যা আছে কোন আলেমের থেকে জেনে নিবেন।
পঞ্চম শর্ত:
সম্পদ হালাল হতে হবে। কেননা হারাম সম্পদের উপর যাকাত আসে না। বরং তা মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে।
◑ হালাল ও হারাম সম্পদ মিশ্রিত থাকলে শুধু হালাল পরিমাণ সম্পদের উপর যাকাত আসবে।
যাকাত আদায় সহিহ হওয়ার জন্য এবং পূর্ণভাবে দায়মুক্ত হওয়ার জন্য শর্ত
------------------------------------------------------------------------
১. যাকাত প্রদানের সময় নিয়ত করা জরুরী। তবে পৃথক করে রাখলে নতুন করে করতে হবে না।
◑ যাকাতের টাকা চুরি হলে বা নষ্ট হলে পুনরায় দিতে হবে।
২. বংশগতভাবে নিজের উপরের ও নিচের দিকের কাউকে দিতে পারবে না। যেমন মাতা-পিতা, দাদা-নানা ও ছেলে-মেয়ে, নাতি- নাতনি। তবে মেয়ের জামাই ও ছেলের বউকে দিতে পারবে।
৩. নির্দিষ্ট খাত তথা আটটি খাতে দিতে হবে।
◑ নির্দিষ্ট খাতের ব্যক্তির কাছে যাকাতযোগ্য সম্পদ নেসাব পরিমাণ নেই, কিন্তু অন্যান্য সম্পদ, যেমন- ঘরের আসবাবপত্র, পরিধেয় বস্ত্র, জুতো, গার্হস্থ সামগ্রী ইত্যাদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত আছে, যার মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাকেও যাকাত দেওয়া যাবে না। তবে এ ব্যক্তির ওপর কুরবানী ও সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।
সারকথা, যার উপর কোরবানি ও সাদকায়ে ফিতর ওয়াজিব, সে যাকাত খেতে পারবে না।
* যে ব্যক্তির কাছে যাকাতযোগ্য সম্পদ নেসাব পরিমাণ নেই, কিন্তু অন্যান্য সম্পদ, যেমন- ঘরের আসবাবপত্র, পরিধেয় বস্ত্র, জুতো, গার্হস্থ সামগ্রী ইত্যাদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত আছে, যার মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাকেও যাকাত দেওয়া যাবে না। এ ব্যক্তির ওপর কুরবানী ও সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব। (আল-মুহীতুল বুরহানী ৩/২১৬)
* যে ব্যক্তি এমন ঋণগ্রস্ত যে, ঋণ পরিশোধের পর তার কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে না, তাকে যাকাত দেওয়া যাবে। (আল-মুহীতুল বুরহানী ৩/২১০)
৪. মুসলমান ও প্রাপ্ত বয়স্ককে দিতে হবে।
৫. পারিশ্রমিক হিসেবে দিতে পারবে না। যেমন কাজের লোককে, ইমাম-মুয়াজ্জিন...
৬. যাকাত গ্রহণকারীর মধ্যে মালিক হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে এবং তাকে পূর্ণ মালিক বানিয়ে দিতে হবে।
◑ মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফন, জনকল্যাণ মূলক কাজ, মসজিদ মাদরাসা নির্মাণ, টিভি চ্যানেলের জন্য যাকাত দিলে আদায় হবে না।
৭. আরবি বছর হিসেবে দিলে শতকরা ২.৫% দিতে হবে। আর ইংরেজি বছর হিসেবে দিলে ২.৬% দিতে হবে।
◑ বিকাশের মাধ্যমে দিলে খরচ নিজেকে বহন করতে হবে।
◑ যাকাতের জন্য নিম্নমানের আলাদা কোন কাপড় শাড়ি লুঙ্গি ইত্যাদি নেই।
মনে রাখবেন, যাকাত গরিবের উপর আপনার অনুগ্রহ নয়; বরং এটা তার হক, যা আপনার কাছে রয়েছে। কাজেই হকদারকে তার হক সম্মানের সাথে প্রদান করা উচিত।
©
এ গুলো দেখে মনে হচ্ছে বিশ্বে ব্যাঙের ছাতার মত মুসলমান বেড়ে গেছে। সত্যি কারে মুসলমান নাই। যে কালেমার পতাকা শক্ত করে ধরে ইমলাম শান্তির জন্য যুদ্ধ করবে। কিভাবে আমার নবিজীর কাছে তার উম্মত দাবি করবো।বর্তমানে পৃথিবীতে ১৯৫ টি দেশ রয়েছে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত। আর এই ১৯৫ টি দেশের মধ্যে প্রায় ৩১ টি দেশ রয়েছে যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা মুসলিম।যাদের মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি। এই ২০০কোটি মুসলাম যদি ইসরায়েলের (২০,৭৭০ বর্গ কিলোমিটার)শুধু থু থু নিক্ষেপ করে ইহুদি, কাফেরে বাচ্চারা পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না। ২০০ কোটি মুনলাম আজ ৭১লক্ষ৮১হাজার ইহুদির কাছে নত হয়ে রয়েছে। এই ইহুদির বাঁচার সাহস পায় কি করে আপনার আমার ভাই বোন পরিবার কে আক্রমন করার। এরা শুরু আপনাকে আমারকে আক্রমণ করছে ইসলামর কালেমার আক্রমণ করছে। আমার কি করছি। কি জবাব দিবো, এই ছোট ছোট বাচার গুলোকে কিয়ামত এর দিন আল্লাহ সামনে।এত এত মুসলাম থাকা সত্যেও তারা নির্ভয়ে প্রতি নিয়ত নির্বিচারে হত্যা করে যাচ্ছে।আর মুসলাম আমার কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করে যুদ্ধ করছি। আমার কাপুরুষ এর দল সামান্যা থু থু মার সৎ সাহস টুকু নেই ঐ যালিম ইহুদির কাফের দের মুখে।
হে আল্লাহ তোমার ২০০ কোটি মুসলিম কাপুরুষ কে দিয়ে হবে না, তুমি আল্লাহ আমার ফিলিস্তিনি ভাই বোনদের কে রহম কর, তাদের এই জালেম ইহুদি কাফেরদের হাত থেকে রক্ষা কর। তুমিই তাদের জন্য যথেষ্ট। আপনি তাদের হেফাযত করুন।
মুনাজাত
মিশারি র.আল আফাসি'র মুনাজাত 😥😥🥰
চাঁদ দেখার দোয়াটি পড়ে নিন।
اَللهُ أَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، رَبِّىْ وَرَبُّكَ اللهُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ, তুমি ওই চাঁদকে আমাদের ওপর উদিত কর নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে। (হে চাঁদ) আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহ।
সলাত সম্পর্কিত ৪০ টি গুরুত্তপুর্ন হাদিসঃ কেন সালাত আদায় করবেন না?
১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, বান্দার ঈমান ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হল নামায ত্যাগ করা। -আহমদ।
২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় আমল হল ওয়াক্তমত নামায় আদায় করা।- বোখারী।
৩। সালমান ফারসী থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে, ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে চল্লিশ দিন যাবত প্রথম তাকবীরের সাথে জামাতে নামায পড়বে, তার জন্য দু’টি পরওয়ানা লেখা হয়, একটি জাহান্নম থেকে অপরটি মোনাফেকী থেকে মুক্তির।- তিরমিযী।
৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযূ করে নামায পড়ার আশায় মসজিদের দিকে যায়, অথচ মসজিদে গিয়ে দেখে জামাত শেষ, তবু সে জামাতের সওয়াব পাবে।- আবু দাউদ।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যতক্ষণ মানুষ নামাষের প্রতীক্ষায় থাকে, ততক্ষণ নামাযের সওয়াব লাভ করতে থাকে।- বোখারী, মুসলিম।
৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যারা রাতের অন্ধকারে বেশি বেশি মসজিদে গমন করে, তাদের কেয়ামতের দিন পূর্ণ নূরের সূসংবাদ দান কর।- ইবনে মাজা।
৭। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন বান্দার আ’মলসমূহ থেকে সর্বপ্রথম ফরয নামাযসের হিসাব নেওয়া হবে।- তিরমিযী।
৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে নামাযের কেরাআত লম্বা তাই শ্রেষ্ঠ নামায।- বায়হাকী।
৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি শীতের সময় নামায আদায় করতে অভ্যস্ত, সে জান্নতী।- বোখারী।
১০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কোন ব্যক্তি জামাতে নামাযের মাত্র এক রাকাত পেলেই সে জামাতের সওয়াব পেয়েছে।- বোখারী।
১১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আছরের নামায ছেড়ে দিয়েছে, তার সব নেক আ’মল বরবাদ হয়ে গেছে।- বোখারী।
১২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামায ভূলে যায়, স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করবে, তা না করলে এ গুনাহ মাফ করাবার কোন উপায় নেই।- বোখারী।
১৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, লোকেরা যদি ফজর ও এশার নামায জামাতে পড়ার ফযীলত জানত, তা হলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও নামাযদ্বয়ের জামাতে হাজির হত।- বোখারী।
১৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কাতার সোজা করা নামাযের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।- বোখারী।
১৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন সাত প্রকার মানুষকে আল্লাহ পাক ছায়া দান করবেন, যার মধ্যে এক প্রকার হচ্ছে, যাদের মন নামাযের ওয়াক্তের সাথে লটকে থাকে, কখন নামাযের ওয়াক্ত হবে এবং মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করবে।- বোখারী।
১৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল মসজিদে যায়, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য প্রতি সকালে বিকালে ওই পরিশ্রমের প্রতিফলস্বরূপ বেহেশতে মেহমানদারীর সামগ্রী তৈরী করে রাখেন।- বোখারী।
১৭। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, ইমাম আল-হামদু সূরা শেষ করে যখন আমীন বলবে, তুমিও তখন আমীন বলো, এ সময় ফেরেশতাগণ আমীন বলে থাকেন। যার আমীন ফেরেশতাদের আমীনের সাথে হবে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।- বোখারী।
১৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহ পাক সাত অঙ্গের উপর সেজদা করতে আদেশ করেছেন। দুই হাত, দুই হাঁটু, দুই পায়ের সম্মুখভাগ এবং কপালের সঙ্গে নাকেও ইশারা করে দেখিয়েছেন। আরো আদেশ করেছেন, কাপড় ও মাথার চুল টেনে রাখবে না ।- বোখারী।
১৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমরা সুন্দররূপে স্থিরতার সাথে সেজদা করো। সেজদার সময় দুই হাত কুকুরের ন্যায় যমীনের উপর বিছিয়ে দিও না ।- বোখারী।
২০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, সে কি ভয়ংকর যে ইমামের আগে মাথা উঠায়? আল্লাহ তার মাথা গাধার মাথার ন্যায় করে দিতে পারেন।- বোখারী।
২১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যারা কাতারের ডান দিকে থাকেন, নিশ্চয় আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতগণ তাদের উপর দরূদ পাঠান।-আবু দাউদ।
২২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের প্রতি নির্ধারিত পাঁচটি নামায পড়, এতে তোমরা তোমাদের রবের বেহেশতে প্রবেশ করবে।- আহমদ, তিরমিযী।
২৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের সন্তানদের নামাযের জন্য আদেশ করবে যখন তাদের বয়স সাত বছরে পৌঁছবে, আর নামাযের জন্য পিটাবে যখন বয়স দশ বছর হবে।- আবু দাউদ।
২৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আমাদের ও মোনাফেকদের মাঝে যে পার্থক্য রয়েছে তা হচ্ছে নামায। সুতরাং যে নামায ত্যাগ করবে সে প্রকাশ্য কাফের হয়ে যাবে।- আহ্মদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজা।
২৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যার আছরের নামায ছুটে গেল, তার পরিবার ও সব ধন-সম্পদ যেন লুট হয়ে গেল।- তিরমিযী।
২৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে এশার নামায জামাতের সাথে পড়েছে, সে যেন অর্ধরাত নামায পড়েছে, আর যে ফজরের নামায জামাতে পড়েছে সে যেন পূর্ণ রাত নামায পড়েছে।- ইবনে মাজা।
২৭। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে সকালে ফজরের নামাযের দিকে গেল সে ঈমানের পাতাকা আর যে সকালে নামায না পড়ে বাজারে গের সে শয়তানের পতাকা নিয়ে গেল।- ইবনে মাজা।
২৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তির নামায ঠিক থাকবে, কেয়ামতের দিন তার সব আমলই ঠিক থাকবে।- বোখারী।
২৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, ঘরে নামায পড়ে ঘরকেও ফযীলত দান কর।- বোখারী।
৩০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে লোক রুকু সেজদায় পিঠ সোজা করে না, তার নামায পূর্ণ হয় না।- বোখারী।
৩১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, একামতের সময় আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়। তখন সকর দোয়াকরীর দোয়াই কবুল করা হয়।- মেশকাত।
৩২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে পবিত্রতা হাসিল করে এবং সুগন্ধ ব্যবহার করে মসজিদে যায়, আর কাউকে কষ্ট না দিয়ে যেখানে জায়গা পায় সেখানেই বসে যায়, ভাগ্যে লেখা পরিমাণ নামায পড়ে, চুপ করে ইমামের খোতবা শোনে, সে জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ কর দেয়া হয়। বোখারী।
৩৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, দাঁড়িয়ে নামায পড়া উত্তম। বসে পড়লে অর্ধেক সওয়াব আর শুয়ে পড়লে বসে পড়ার অর্ধেক সওয়াব।- বোখারী।
৩৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, প্রথমতঃ নামায দাঁড়িয়ে পড়বে আর সম্ভব না হলে বসে পড়বে, তাও যদি সম্ভব না হয় তা হলে শোয়া অবস্থায় পড়বে।- বোখারী।
৩৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় ও প্রিয় নামায হল দাউদ (আঃ)- এর নামায। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন, রাতের তৃতীয়াংশে নামায পড়তেন এবং পুনরায় ষষ্ঠাংশে ঘুমাতেন।-বোখারী।
৩৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, প্রত্যেক রাতের যখন এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আল্লাহ পাক দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বান্দাকে আহবান করে বলতে থাকেন, কে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব।- বোখারী।
৩৭। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, নামাযের মধ্যে ইমামকে কোন ঘটনায় সতর্ক করা আবশ্যক হলে পুরুষগণ সুবহানাল্লাহ বলবে।- বোখারী।
৩৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের কেউ নামাযে দাঁড়ালে শয়তান এসে নানা প্রকার বাধা সৃষ্টি করে, ফলে নামাযী কত রাকাত পড়েছে তা ভূলে যায়। কেউ এ অবস্থার সম্মুণীন হলে শেষ বৈঠকে দুটি সেজদা করবে।- বোখারী।
৩৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহ তা’আলা মুসাফির থেকে চিরতরে অর্ধেক নামায উঠিয়ে দিয়েছেন।- আবু দাউদ, তিরমিযী।
৪০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, ফরয নামাযের পরে রাতের নামাযই শ্রেষ্ঠ।- মুসলিম।
সূরা আল ওয়াকিয়া🤲😥
আপনাকে কেউ অবহেলা করলে কি করা উচিত_ দারুণ উপায়সমূহ জেনে নিন _ Abrarul Haque Asif _
★ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম:-
ঈদুল ফিতর রমজানের এক মাস রোজা ও আল্লাহর অন্যান্য ইবাদত বেশী বেশী পালন করার খুশিতে উক্ত মাস শেষ হলে শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে মুসলমানগণ যে আনন্দ-উৎসব উদযাপন করে, তা-ই ঈদুল ফিতর। এই দিন সকাল বেলা ময়দানে গিয়ে জামায়াতের সহিত সশব্দে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর ও সরবে কিরআত পাঠ-সহকারে দুই রাকআত ওয়াজিব নামাজ পড়তে হয় (শুধুমাত্র পুরুষরা)। এই নামাজকে ঈদুল ফিত্রের নামাজ বলে। এই নামাজে আজান ও ইকামাত নাই। সূর্যোদয়ের অল্প পর হতে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত ঈদের নামাজের সময়। ঈদুল ফিত্রের দিন
ভোরে ফিত্রা আদায় করতঃ নীরবে নিম্নলিখিত তাকবীর বলতে বলতে নামাজের ময়দানে যাওয়া এবং ফেরার সময় অন্য পথে বাড়ি ফেরা মুস্তাহাব।
★ঈদুল ফিতরের তাকবীর:- আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবর। আল্লাহু আকবর। ওয়া লিল্লাহিল হামদ্। অর্থঃ আল্লাহ্ মহান, আল্লাহ্ মহান, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই, আল্লাহ্ মহান। আল্লাহ্ মহান। সকল প্রশংসা তাঁর জন্য।
★ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত:- নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালাতিল ঈদিল্ ফিত্রি মা’আ সিত্তাতি তাক্বীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা ইক্তাদাইতু বিহাযাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি- আল্লাহু আকবর। অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহ্র (সন্তুষ্টির) জন্য
অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দুই রাকআত ওয়াজিব নামাজ এই ইমামের পিছনে আদায়ের নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবর।
★ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার নিয়ম:-
প্রথমে ইমাম ও মুক্তাদিগণ ইদুল ফিত্রের দুই রাকআত নামাজের নিয়ত করে তাকবীরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধবেন (অন্যান্য নামাজের নিয়ম অনুযায়ী)। অতঃপর মনে মনে ছানা পড়বেন তারপর ইমাম সরবে ও মুক্তাদিগণ নীরবে পরপর তিনটি তাকবীর বলবেন। এই তাকবীর তিনটির প্রথম দুইটি বলার সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানোর পর নিচের দিকে ছেড়ে দিবেন (ঝুলিয়ে রাখবেন)। তৃতীয় তাকবীর বলার পর হাত বাঁধবেন। তারপর ইমাম যথানিয়মে (অন্যান্য নামাজের নিয়ম অনুযায়ী) আউযুবিল্লাহ্ ও বিসমিল্লাহ্-সহ সূরা ফাতেহা এবং অন্য একটি সূরা পড়ে প্রথম রাকআত শেষ করবেন। দ্বিতীয় রাকআতেও যথানিয়মে ইমাম
কিরআত পাঠ করবেন। তারপর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে তিনটি তাকবীর বলবেন এবং দুই হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে আবার ছেড়ে দিবেন। চতুর্থ তাকবীর বলে রুকুতে যাবেন। অতঃপর যথানিয়মে (অন্যান্য নামাজের নিয়ম অনুযায়ী)
জুম্মার দিনের ফজিলত
কান্নারত তিলাওয়াত! রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী স্বগিরা
সূরা ইসরাঃ২৩- ২৭ • মিশারি আল আফাসি
"তারা বলল, ‘হে মারইয়াম! তুমি তো এক অদ্ভূত বিষয় নিয়ে এসেছ’!‘হে হারূনের বোন! তোমার পিতা তো খারাপ লোক ছিল না। আর তোমার মা-ও ছিল না ব্যভিচারিণী’।তখন সে শিশুটির দিকে ইশারা করল। তারা বলল, ‘যে কোলের শিশু আমরা কিভাবে তার সাথে কথা বলব’? শিশুটি বলে উঠলো, ‘আমি তো আল্লাহর বান্দা; তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী বানিয়েছেন’। (সূরা মারইয়াম:২৭-৩০)
সাইয়াদুল আম্বিয়া
allahhuakber🥰
জাহান্নাম 😭
সূরাতুল দোহা
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Address
Chittagong
Tarakhow Banorupa Government Primary School
Chittagong, 4355
Hi This is Kader Media. I am a vlogger.I have a YouTube Channel. Please me to my videos.
125, Sugandha Housing Society, Road-1, Block-D
Chittagong, 4002
Leading Online News Portal Of Bangladesh.
Chittagong
It's an islamic media.For get update like the page ang turn on the bell notification.