Fish farming suggestion and helpline
How can I help you cultivate fish easily.
বাংলাদেশের_নদ_নদী_বিস্তারিত!!!
💠 ী
1. মোট নদ-নদী- প্রায় ৭০০টি
2. ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা নদী- ৫৫টি
3. মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা নদী- ৩টি
4. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদী- ১টি (পদ্মা)
5. মোট আন্তঃসীমান্ত নদী- ৫৮টি
6. বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া নদী- ১টি (কুলিখ)
7. বাংলাদেশে উৎপত্তি ও সমাপ্তি এমন নদী- ২টি (হালদা ও সাঙ্গু)
8. বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে- আত্রাই
9. বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে বিভক্তকারী নদী- নাফ
10. বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী- হাড়িয়াভাঙ্গা
11. হাড়িয়াভাঙ্গার মোহনায় অবস্থিত- দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ (ভারতে নাম পূর্বাশা, এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।)
12. প্রধান নদী- পদ্মা
13. দীর্ঘতম নদী- সুরমা (৩৯৯কিমি)
14. দীর্ঘতম নদ- ব্রহ্মপুত্র (একমাত্র নদ) (দীর্ঘতম নদীর উত্তরে ব্রহ্মপুত্র থাকলে ব্রহ্মপুত্র-ই উত্তর হবে)
15. প্রশস্ততম নদী- যমুনা
16. সবচেয়ে খরস্রোতা নদী- কর্ণফুলী
17. বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক নদী- পদ্মা
18. চলন বিলের মধ্য দিয় প্রবাহিত নদী- আত্রাই
19. জোয়ার-ভাঁটা হয় না- গোমতী নদীতে
20. প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র- হালদা নদী
21. বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে বিভক্তকারী নদী- নাফ
22. বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী- হাড়িয়াভাঙ্গা
23. বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে- আত্রাই
24. বরাক নদী বাংলাদেশে ঢুকেছে- সুরমা হয়ে (পরে মেঘনায় গিয়ে মিশেছে)
25. যমুনার সৃষ্টি হয়- ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে
💠বিভিন্ন নদীর পূর্বনাম
1. বর্তমান নাম --> যমুনা
2. পূর্বনাম --> জোনাই নদী
1. বর্তমান নাম --> বুড়িগঙ্গা
2. পূর্বনাম --> দোলাই নদী (দোলাই খাল)
1. বর্তমান নাম --> ব্রহ্মপুত্র
2. পূর্বনাম --> লৌহিত্য
26. নদী সিকস্তি- নদী ভাঙনে সর্বস্বান্ত
27. নদী পয়স্তি- নদীর চরে যারা চাষাবাদ করে
28. ফারাক্কা বাঁধ- গঙ্গা নদীর উপরে (বাংলাদেশে এসে গঙ্গা ‘পদ্মা’ নাম নিয়েছে)
29. বাকল্যান্ড বাঁধ- বুড়িগঙ্গার তীরে (১৮৬৪ সালে নির্মিত)
30. টিপাইমুখ বাঁধ- বরাক নদীর উপরে (ভারতের মণিপুর রাজ্যে)
31. কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র- কর্ণফুলী নদীর উপর (১৯৬২ সালে নির্মিত)
32. চট্টগ্রাম বন্দর- কর্ণফুলী নদীর তীরে
33. মংলা (খুলনা) বন্দর- পশুর নদীর তীরে
34. মাওয়া ফেরিঘাট- পদ্মার তীরে
35. প্রধান নদীবন্দর- নারায়ণগঞ্জ
36. নদী গবেষণা ইন্সটিটউট- ফরিদপুর
37. নদী উন্নয়ন বোর্ড- ঢাকায়
💠বিভিন্ন নদীর উৎপত্তিস্থল-
1. নদী --> পদ্মা
2. উৎপত্তিস্থল --> হিমালয়ের গঙ্গৌত্রি হিমবাহ
1. নদী --> ব্রহ্মপুত্র
2. উৎপত্তিস্থল --> তিব্বতের মানস সরোবর
1. নদী --> যমুনা
2. উৎপত্তিস্থল --> তিব্বতের মানস সরোবার
1. নদী --> মেঘনা
2. উৎপত্তিস্থল --> আসামের লুসাই পাহাড়
1. নদী --> কর্ণফুলী
2. উৎপত্তিস্থল --> মিজোরামের লুসাই পাহাড়
💠নদী তীরবর্তী শহর ও গুরুত্বপূর্ণ/ঐতিহাসিক জায়গা-
1. শহর/জায়গা --> ঢাকা
2. নদী --> বুড়িগঙ্গা
1. শহর/জায়গা --> চট্টগ্রাম
2. নদী --> কর্ণফুলী
1. শহর/জায়গা --> কুমিল্লা
2. নদী --> গোমতী
1. শহর/জায়গা --> রাজশাহী
2. নদী --> পদ্মা
1. শহর/জায়গা --> মহাস্থানগড়
2. নদী --> করতোয়া
1. শহর/জায়গা --> বরিশাল
2. নদী --> কীর্তনখোলা
1. শহর/জায়গা --> খুলনা
2. নদী --> রূপসা
1. শহর/জায়গা --> টঙ্গী
2. নদী --> তুরাগ
1. শহর/জায়গা --> চাঁদপুর
2. নদী --> মেঘনা
1. শহর/জায়গা --> গাজীপুর
2. নদী --> তুরাগ
1. শহর/জায়গা --> সুনামগঞ্জ
2. নদী --> সুরমা
1. শহর/জায়গা --> মংলা
2. নদী --> পশুর
1. শহর/জায়গা --> ভৈরব
2. নদী --> মেঘনা
1. শহর/জায়গা --> রংপুর
2. নদী --> তিস্তা
1. শহর/জায়গা --> টাঙ্গাইল
2. নদী --> যমুনা
1. শহর/জায়গা --> পঞ্চগড়
2. নদী --> করতোয়া
1. শহর/জায়গা --> কক্সবাজার
2. নদী --> নাফ
1. শহর/জায়গা --> নাটোর
2. নদী --> আত্রাই
1. শহর/জায়গা --> দৌলতদিয়া
2. নদী --> পদ্মা
1. শহর/জায়গা --> কুষ্টিয়া
2. নদী --> গড়াই
শীতের আগে মাছ চাষীদের করনীয় কাজগুলোঃ
==================================
বর্ষা শেষ হয়ে শীত প্রায় আসন্ন। এই সময় অনেক পুকুরে আগামী বছরের জন্য চাষের পোনা,শেষ সময়ে উৎপাদিত ধানী,ও বাজার অস্থিতিশীলতার কারনে বিএূয় না করা বড় মাছ ও আছে।শীতে মাছ চাষীদের সামান্য অসতর্কতায় ঘটতে পারে বিপদ। তাই
চাষীদের এ সময় সজাক দৃষ্টি রাখা আবশ্যক
শীতে পুকুরের বদ্ধ পানিতে মাছ চলাফেরা খুবই কম করে। ফলে মাছের খিদে কম পায়, রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। দিন ছোট হওয়ায় রোদ অল্প সময় পুকুরের পানিতে পড়ে। ফলে পানির চরিত্রগত পরিবর্তন শুরু হয়।
# শীতে আসলে কি কি সমস্যা হয়?
১) শীতে পানির তাপমাত্রা কমতে থাকে। পানির তাপমাত্রা ২৮-৩২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হলে মাছের বিপাক ক্রিয়া ভাল হয়। এর কম হলে বিপাক ক্রিয়া কমে যাওয়ায় বৃদ্ধির হার কমে।
২) অক্সিজেন উৎপাদন কমে যাওয়ায় মাছের শ্বাসকার্য চালাতে কষ্ট হয়। মাছ জলের উপরের দিকে ভাসতে থাকে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে মারা যায়।
৩) পুকুরের মধ্যস্থিত উদ্ভিদকণার প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় পানিতে দ্রবীভূত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলেও মাছের শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
৪) উদ্ভিদকণা ও প্রাণিকণা কমে যাওয়ায় মাছের খাবার কমে আসে।
৫) পানির পিএইচ স্বাভাবিক থাকে না। মাছের বৃদ্ধির জন্য পিএইচের মান ৬-৮ এর মধ্যে থাকা উচিত। যদি এর থেকে কম হয়, তাহলে পানি অম্ল হবে এবং মাছ খাবার খেতে অনীহা দেখাবে। আবার বেশি হয়ে গেলে পানি ক্ষারীয় হবে এবং কিছু ক্ষেত্রে রোগ দেখা দিতে পারে।
ক্ষতি এড়াতে মাছচাষিদের এই সমস্ত সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে।করনীয় কাজ গুলোঃ
১) পুকুড়ের পাড় যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুকুরে সূর্যের আলো পড়ে।
২) পুকুরের পানিতে পিএইচ ৬-৮ এর মধ্যে থাকলে বিঘা প্রতি প্রতি মাসে ৫-১০ কেজি চুন প্রয়োগ করতে হবে। পিএইচ কম থাকলে চুনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। পিএইচ বেশি থাকলে চুন দেওয়ার দরকার নেই।
৩) জৈব সার দিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, জৈব সার পচনের জন্য প্রচুর অক্সিজেনের খরচ হয়। তাই মেঘলা দিনে বা সূর্ষের আলো তেমন না পড়লে জৈব সার দেওয়া চলবে না।
৪) পুকুরে উদ্ভিদকণা বৃদ্ধির জন্য অজৈব সার বিশেষ করে ইউরিয়া (বিঘা প্রতি মাসে ৪-৫ কেজি) টি,এস,পি(বিঘা প্রতি মাসে ৫-৬ কেজি) প্রয়োগ করতে হবে। কিন্তু পুকুরের পানির উপর থেকে দৃশ্যতা ২৫-৩০ সেমির কম হলে বা জল ঘন সবুজ রঙের হয়ে গেলে অজৈব সার দেওয়া চলবে না।
৫) মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য চালের কুঁড়া, ভূট্টার গুঁড়ো ইত্যাদির সঙ্গে সমপরিমাণে খোল যেমন, সর্ষে, বাদাম, তিল ইত্যাদি মেশাতে হবে। মূল খাবারের সঙ্গে অতি অবশ্যই ১% খনিজ লবণ বা ২% সাধারণ লবণ মেশাতে হবে।
৬) মাছের হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতি কুইন্ট্যাল খাবারে ৫০-১০০ গ্রাম উপযুক্ত উৎসেচক বা এনজাইম বা হজমি প্রয়োগ করা যেতে পারে। যখনই হজমশক্তি বাড়বে তখনই মাছ খাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করবে।
৭) প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর পুকুরে জাল টানতে হবে ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। জাল টানলে মাছের সংখ্যা ও ওজন সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে। এছাড়া জাল টানার ফলে পুকুর থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাস বেরিয়ে যাবে যা মাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
৮) পুকুরে পানি কম থাকলে গুইসাপ, উদবিড়ালরা শিয়াল মাছ খেয়ে ফেলতে পারে। এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীত কালটা আসলে মাছ চাষীদের জন্য একটা বিশেষ
সময়।এসময় একটু কৌশলী না হলে একজন মাছ চাষিকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
It is one of floating feed extruder machine. Having this machine give a huge benefit by saving the cost of feed on fish rearing production and also help fish farmer to formulate their desired nutrition feed for their fish.
TILAPIA FISH FARMING.
Monosex tilapia farming; this is the farming method of growing only the male tilapiaFISH.
Female tilapia fish are very reproductive,and don't grow big. They can give birth to 300-1000 fingerlings in few months,these takes 4-6 months to become adult. imagine if you have 100 females in you farm.
WHY MONOSEX IS PREFERRED
1, MALES GROW FAST AND BIG.
2, THEY BECOME MARKETABLE FROM 3/4 MONTHS.
3, THEY CAN REACH 500-600g @4-6 MONTHS.
4, THE MALE GROW @ 30 % HIGHER THAN FEMALE.
5, IT CAN BE FARMED AT SHALLOW PONDS, CLEAR WATER, EVEN SALTY WATER,(NOT ALL SPECIES)
6, IT'S HIGHLY IMMUNE FISH WITH VERY LOW MORALITY RATE.
7, MANAGEMENT IS EASY AND GIVE HIGH PROFIT MARGIN.
Pangasius hypophthalmus
#মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান,২০২২
আগামী ০৭ অক্টোবর হতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ আহরণ (ধরা), পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আমার পুকুরে প্রথম মাছ চাষ।
দিনের বেলায় অতিরিক্ত সূর্যের তাপমাত্রা, এর মাঝে হঠাৎ মেঘ করে এক পশলা বৃষ্টি কিছুক্ষণ পর আবার রোদ!
রাতের বেলায় ভ্যাপসা গরম।
সব মিলিয়ে মাছ চাষিরা খুবই বিপদে আছে।
ইতিমধ্যে অনেক পুকুরে এসব কারণে অক্সিজেন ফেল করে অনেক মাছ মারা গিয়েছে এবং সকাল ৮/৯ টা পর্যন্ত মাছে খাবি খাচ্ছে।
বিপদ এড়াতে সূষম ঘনত্বে মাছ মজুদ করুন, পানির গভীরতা বাড়ান।
প্রয়োজনে রাতের বেলায় পুকুরে পানির সেচ দিন।
পুকুরে গ্যাস তৈরী হয় এমন কিছু প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন।
এখন এই আবহাওয়ার খারাপ পরিস্থিতিতে কারো পুকুরে যদি গ্যাস তৈরী হয়, তাহলে মাছ বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।
অতিরিক্ত প্লান্কটন তৈরী করতে যাবেন না।
হাতের কাছে অক্সিজেন পাউডার, গ্যাসোনিল বা ইউকা রাখুন।
প্রোবায়োটিক পরিচিতি ও মাছ চাষে এর ব্যবহার :
👉👉 প্রোবায়োটিক কি?
প্রোবায়োটিক হলো উপকারী/অনুপকারী অনুজীব বা ব্যাকটেরিয়ার গাজন প্রক্রিয়া।
👉👉 প্রোবায়টিক এর কাজঃ
মাছ চাষে প্রোবায়োটিক এর মূল কাজ হল অপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলোকে নষ্ট করে উপকারী প্রোটিন সেলে রূপান্তরিত করা। পুকুরে মাছের বিষ্ঠা এবং খাদ্যের পচে যাওয়া অংশ থেকে অ্যামোনিয়া দূর করে প্রোটিনে রূপান্তর করে। মাছ চাষে প্রোবায়োটিক প্রয়োগ করা হলে ক্ষতিকর বা রোগ সৃষ্টকারী ব্যাকটেরিয়া তার সক্রিয়তা হারায় এবং নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। আর উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনে ।
👉👉 প্রোবায়োটিক ব্যবহারে কিছু উপকারীতাঃ
👍 মাছ ও চিংড়ির রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও প্রোটোজোয়া ধ্বংস করে, মাছ ও চিংড়িকে মড়কের হাত থেকে রক্ষা করে।
👍 পুকুরে খাদ্য ও পচঁন ও অতিরিক্ত এর কারণে সৃষ্ট বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস দূর করে।
👍 পুকুরের তলায় জমে থাকা পচাঁ জৈব কনা দ্রুত ডিকম্পোস্ট করে পুষ্টি গুনে রূপান্তর করে। যার ফলে প্রচুর প্রাকৃতিক খাদ্য সৃষ্টি হয়।
👍 পানির পরিবর্তন এর প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে।
👍 রাসায়নিক উপাদান এবং এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কমায় ।
👍 মাছের অধিকাংশ জীবাণুবাহী রোগ থেকে মুক্তিপেতে সহায়তা করে।
👍 ক্ষতিকর অনুজীবের বৃদ্ধি প্রতিরোধে বলিষ্ঠ কার্যকারিতা প্রদর্শন করে ।
👍 জৈব বর্জ্যের ভাঙন ও শোষণকে ত্বরান্বিত করে ।
👍 ডি-নাইট্রিফিকেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
👉👉 ব্যাবহার বিধিঃ-
প্রোবায়োটিক দুইটা নিয়মে ব্যাবহার করা যায়।
➡️ প্রতিকার হিসেবে
➡️ প্রতিরোধ হিসেবে।
👉👉 সাধারণত প্রতিকার হিসেবেঃ-
প্রোবায়োটিক পুকুরে প্রতি পনের দিন অন্তর অন্তর ব্যবহার করা যায়। ক্যাটফিশ জাতীয় মাছের জন্য প্রতি দশ দিনে একবার ব্যাবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। অন্যান্য মাছের জন্য মাছের ঘনত্ব অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়। প্রতিকার হিসেবে রোদ থাকা অবস্থায় প্রতি শতকে ০২ গ্রাম করে ব্যাবহার করতে হবে এবং প্রতিরোধের জন্য শতকে ১ গ্রাম ব্যবহারই যথেষ্ট ( কোম্পানি এবং মানভেদে প্রয়োগ মাত্রা ভিন্ন হতে পারে )।
👉👉 প্রতিরোধ হিসেবেঃ-
প্রোবায়োটিক পুকুরের পানির প্যারামিটার এবং মাছের সমস্যা অনুযায়ী ব্যাবহার করা হয়। প্রতিরোধে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে, সে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ চাষি অথবা মৎস ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া ভালো।
✊ মাছ চাষে প্রয়োজন অনুযায়ী অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে প্রোবায়োটিক ব্যবহার করা ভালো✊
Health Benefits of Fish
Healthy Diet
Fish is a low-fat high quality protein. Fish is filled with omega-3 fatty acids and vitamins such as D and B2 (riboflavin). Fish is rich in calcium and phosphorus and a great source of minerals, such as iron, zinc, iodine, magnesium, and potassium. The American Heart Association recommends eating fish at least two times per week as part of a healthy diet. Fish is packed with protein, vitamins, and nutrients that can lower blood pressure and help reduce the risk of a heart attack or stroke.
Healthy Fish Recipes
Learn how to properly cook fish and try some healthy recipes.
Healthy Fish Guide
Choose seafood that's low in contaminants and high in health benefits.
Healthy Heart and Brain
Eating fish is an important source of omega-3 fatty acids. These essential nutrients keep our heart and brain healthy. Two omega-3 fatty acids found in fish are EPA (eicosapentaenoic acid) and DHA (docosahexaenoic acid). Our bodies don't produce omega-3 fatty acids so we must get them through the food we eat. Omega-3 fatty acids are found in every kind of fish, but are especially high in fatty fish. Some good choices are salmon, trout, sardines, herring, canned mackerel, canned light tuna, and oysters.
Omega-3 Fatty Acids:
Help maintain a healthy heart by lowering blood pressure and reducing the risk of sudden death, heart attack, abnormal heart rhythms, and strokes.
Aid healthy brain function and infant development of vision and nerves during pregnancy.
May decrease the risk of depression, ADHD, Alzheimer's disease, dementia, and diabetes.
May prevent inflammation and reduce the risk of arthritis.
Some interesting facts about fish:
👉Fish have been on the earth for more than 450 million years
👉Fish were well established long before dinosaurs roamed the earth
👉There are over 25,000 identified species of fish on the earth.
👉It is estimated that there may still be over 15,000 fish species that have not yet been identified.
👉There are more species of fish than all the species of amphibians, reptiles, birds and mammals combined.
👉40% of all fish species inhabit fresh water, yet less than .01% of the earth's water is fresh water.
👉The spotted climbing perch is able to absorb oxygen from the air and will crawl overland using its strong pectoral fins.
👉Some fish like sharks don't posses an air bladder to help keep them afloat and must either swim continually or rest on the bottom.
👉Some fish make sounds by grating their teeth and others like some catfish make sounds from their air filled swim bladder.
👉Some species of fish can fly (glide) others can skip along the surface and others can even climb rock.
👉Fish have a specialized sense organ called the lateral line which works much like radar and helps them navigate in dark or murky water.
👉The largest fish is the great whale shark which can reach fifty feet in length.
👉The smallest fish is the Philippine goby that is less than 1/3 of an inch when fully grown.
👉Some species of fish have skeletons made only of cartilage.
👉Fish have excellent senses of sight, touch, taste and many possess a good sense of smell and 'hearing'.
👉Fish feel pain and suffer stress just like mammals and birds.
👉Tropical fish are one of the most popular pets in the U.S.
👉95% of tropical fish mortality results from improper housing and nutrition.
👉Many tropical fish sold in the United States are harvested from the wild in Africa, Asia, and Central and South America.
#পটকা মাছ – ভয়ংকর সুন্দর
Fish: Deadly and Beautiful
বাংলাদেশের নদী-নালা, খালে-বিলে ৩-৪ প্রজাতির আর বঙ্গোপসাগরে ৮-১০ প্রজাতির পটকা মাছ পাওয়া যায় । ইংরেজিতে মাছগুলি পাফার ফিশ নামে পরিচিত । জাপানে জনপ্রিয় এই মাছটিকে বলা হয় ফুগু । মাছগুলির উপরের ও নিচের চোয়ালে দুইটি করে দাঁত থাকার জন্য এরা Tetraodontiformes (গ্রীক ভাষায় tetra হচ্ছে চার আর odous হচ্ছে দাঁত) বর্গের অন্তর্ভূক্ত। বিশ্বব্যাপী এই বর্গের অধীনে ১০ টি পরিবারে প্রায় চারশো’র বেশী পটকা মাছ রয়েছে । প্রজাতিভেদে মাছগুলির ওজন কয়েক গ্রাম থেকে কয়েক কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।
গবেষণার কাজে আর পার্সোনাল ইন্টারেস্ট থেকে আমি প্রায়ই দেশ-গ্রাম, পাহাড়, জঙ্গল, জলাশয়, মাছ, বন্যপ্রাণী দেখার জন্য বেরিয়ে পড়ি । প্রাণ ভরে দেখি বাংলার মুখ, কত শত মানুষের যাপিত জীবন, মহিলা আর শিশুদের নিরন্তর ব্যস্ততা বা অবসর । আর নিজের ভালোলাগা, ভালোবাসা থেকে মাছের ছবি তুলি, নতুন হলে মাছটি সংগ্রহ করি বা কৃ বি ক্যাম্পাসে অবস্থিত ফিশ মিউজিয়াম ও বায়োডাইভার্সিটি সেন্টারের জন্য ।
২০১৪ এর ফেব্রুয়ারীতে আমার বন্ধু, প্রখ্যাত ব্রিটিশ মৎস্যবিজ্ঞানী, বেন বেল্টনের সাথে একটা ইঞ্জিন-চালিত নৌকা ভাড়া করে, মাঝি-মাল্লা, রান্নার লোক, দুইজন বন্দুকধারী রক্ষী নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম দুবলার চরের উদ্দেশ্যে । বন বিভাগের পারমিশন পেতে খুব বেগ পেতে হয়েছিলো । দুবলার চরে ছিলাম ৫ দিন । সে এক বিশাল অভিজ্ঞতা । সে কাহিনী আর একদিন বলা যাবে ।
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন – দুবলার চর আসলে অনেকগুলি আলাদা আলাদা চর নিয়ে গঠিত – আলোরকোল, মেহেরআলী, মাঝেরকিল্লা, অফিসকিল্লা, নারকেলবাড়ী, অফিস কিল্লা, শ্যালারচর, মানিকখালি প্রভৃতি । একটা চর থেকে আরেক চরে যেতেও বেশ সময় লাগে । তো একদিন সবচেয়ে বড় যে চর – আলোরকোলে জেলেদের মাছ ধরা দেখছিলাম । হঠাৎ দেখি লম্বাটে গোলাকার একটা বড়সড় মাছ, অসম্ভব সুন্দর গায়ের রঙ, বর্ণবৈচিত্রে ভরা, একটু অচেনা মনে হোল । মনে হচ্ছিলো পটকা, কিন্তু প্রজাতিটা ঠাহর করতে পারছিলাম না । বেনকে জিজ্ঞেস করলাম – ‘বেন, ডু ইউ নো দ্য ফিশ?’ ও উত্তর দিলো – ‘ইট’স অভিয়াসলি এ পাফার, বাট আই ডুন্নো দ্য স্পিসিস’ । মাছটি ওজনে পাঁচ-ছয়শো গ্রামের মত হবে । ছবি তুললাম অনেকগুলি । মাছটার মুখটা খুলে দেখি – একেবারে টিয়া পাখির ঠোঁটের মত – উপরে নিচে চারটা বড়বড় দাঁত, চকচক করছিলো । মনে হচ্ছিলো মাছটা প্রতিদিন দুইবেলা নিয়ম করে দাঁত ব্রাশ করে । মাছটি সংগ্রহ করলাম । ল্যাবে নিয়ে এসে নিয়ম মাফিক স্টাডি করে জানা গেলো মাছটি একটি সামুদ্রিক পটকা মাছ, বৈজ্ঞানিক নাম - Takifugu oblongus, ইংরেজিতে বলে Oblong blow fish, আর আমাদের উপকূল অঞ্চলের লোকেরা বলে ডোরা পটকা । এর পর আমি বাংলাদেশের অসংখ্য জায়গায় – নদী-নালা, খালে-বিলে, হাওরে, পুকুরে, সুন্দরবনে, কক্সেসবাজারে, চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধরণের পটকার ছবি তুলেছি । রূপ-রঙয়ের প্রতিযোগিতায় এরা অনেক মাছকেই হারিয়ে দিবে। সত্যিকারের একটা ব্লিসফুল নয়ন-মনোহর প্রাণী ।
২০২১ এর জানুয়ারী । করোনার বাড়বাড়ন্ত অল্প একটু কমেছে । চলাফেরার রেস্ট্রিকশন একটু কম । গৃহবন্দী জীবনে একেবারেই হাপিয়ে গেছি । দুজন সহকর্মীর সাথে নিয়ে হাওর অঞ্চলে গেছি শুটকি মাছ দেখার জন্য – মানে কোন কোন মাছ দিয়ে শুটকি হয়, চ্যাপা বা শিদল কি ভাবে বানায় আর শুটকি তৈরির কোন পারিবেশিক প্রভাব আছে কি না – এই সব দেখা, লোকজনের সাথে একটু কথা বলা ।
জামালগঞ্জের সাচনা বাজারের একটা শুটকি ডাঙ্গিতে, মালিকের সাথে কথা বলছি । হঠাৎ দেখি একটা ১০-১২ বছরের বাচ্চা ছেলে একটা টুকরীতে ডিম নিয়ে ডাঙ্গিতে ঢুকলো । অবাক হলাম একটু , শুটকির ডাঙ্গি তে এত ডিম দিয়ে কি হবে । ছেলেটা কাছে আসতে দেখি, আরে এ তো ডিম নয়, অন্য কিছু । ডালি ভর্তি শ্বেত-শুভ্র পেটফুলানো পটকা মাছ । একসাথে এত পটকা আমিও মনে হয় আর কখনো দেখিনি । ছেলেটা জীর্ণ-শীর্ণ, আমাদের দেখে একটু ভয়ও হয়তো পাচ্ছিলো । হয়তো নাস্তা খাওয়া হয়নি সকালে । এই পটকা মাছ ডাঙ্গিতে বিক্রি করে কটা টাকায় বা পাবে । তাই দিয়ে হয়তো পুরো পরিবারের আজকের অন্নসংস্থান হবে । ছেলেটিকে অভয় দিলাম । একটু কথা বললাম । মাছগুলি দেখেই চিনলাম । বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কম-বেশী পাওয়া যায় । Ocellated pufferfish, বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে, Tetraodon cutcutia. খুব বেশী বড় হয় না, মাত্র কয়েক গ্রাম । সারা দেশেই পটকা বা ট্যাপা মাছ নামে পরিচিত । অন্তত আমি তাই জানতাম । তো সেদিনের তোলা ছবিগুলি থেকে একটা ছবি শখের লিখিয়েদের ফেসবুক পেইজ পেন্সিলে পাঠিয়েছিলাম ২০২২ মার্চের ২৭ তারিখে । একটু রহস্য করে লিখেছিলাম – এগুলি কিসের ডিম । পেন্সিলারদের রেসপন্স আর কমেন্টস পড়ে আমি অভিভূত । মাশরুম, টিকটিকির ডিম, ব্যাঙের ডিম, কচ্ছপের ডিম, পাথর আরো কত মজার মজার কমেন্টস । যারা সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছেন তারা অনেকগুলি নতুন নাম বলেছেন, আমি আগে জানতাম না, যেমন - ফুটকানা, ফুটকা, ভোটকা, ঝিনি কট কট, ট্যাপটেপি, টেঁপা আরও কত কি । অনেকে পটকা মাছ নিয়ে কয়েকটি প্রচলিত ছড়াও লিখেছেন । আরো অনেক মজার কমেন্ট আছে । কিছু নিষ্ঠুরতার কথাও বলা হয়েছে । ছোটবেলায় পটকা মাছ দিয়ে ফুটবল খেলা, ইটের উপর রেখে অন্য একটি ইট দিয়ে পটকার মত ফুটানো – এই সব । একটু হলেও কষ্ট পেয়েছি আমাদের প্রাণী-অবান্ধব ছেলেবেলা, কাষ্টম-কালচারের কথা ভেবে ।
সবচেয়ে বড় কথা, অনেকেই এই মাছটি যে বিষাক্ত, সেটি বলেছেন । আমি পেন্সিলারদের এই রেসপন্সটাই জানতে চেয়েছিলাম । এই সুন্দর মাছটির ভয়ংকর দিকটি অনেকেই তুলে ধরেছেন । আমি কৃতজ্ঞ সচেতন সব পেন্সিল পাঠকদের কাছে । এই অতিব জরুরী বিষয়টা নিয়ে দুটি কথা বলে আজকের লেখা শেষ করবো ।
পটকা বা পাফার ফিশ একটি বিষাক্ত মাছ । এদের বসবাস মিঠাপানি থেকে শুরু করে লোনাপানি অর্থাৎ মোহনা এবং সমুদ্র । এদের অনেক প্রজাতিই ভয়ঙ্কর বিষাক্ত। বিষের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশী থাকে মাছের চামড়ায়, পরিপাক তন্ত্র (নাড়িভুঁড়ি), লিভার (যকৃত বা কলিজা) আর ডিম্বথলী/শুক্রাশয়ে । আর প্রজনন ঋতুতে এই মাছের শরীরে বিষের পরিমাণ ব্যপকভাবে বেড়ে যায় । আমাদের দেশের জন্য এই সময়টা – এপ্রিল থেকে আগস্ট ।
এই ভয়ংকর বিষের নাম - টেট্রোডোটক্সিন (Tetrodotoxin বা TTX) । এর কেমিক্যাল ফরমুলা হচ্ছে C11H17N3O8 - এটি একটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিন এবং সরাসরি নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রমণ করে । এই বিষ সোডিয়াম চ্যানেলকে অকেজো করে দেয়, ফলে সোডিয়াম ব্রেন থেকে পেশীতে মেসেজ নিয়ে যেতে পারে না । যার জন্য পটকার বিষে আক্রান্ত মানুষের বিভিন্ন অংগ-প্রতংগ নিস্তেজ হয়ে পড়ে । এর পরের স্টেজেই বিভিন্ন পেশীগুলি প্যারালাইজড হয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় ।
পটকা মাছ রান্নার আগে যদি ঠিকমত পরিস্কার করা না হয়, মাছের শরীরের যে সমস্ত অংশে বিষের আধিক্য রয়েছে সেগুলি ফেলে দিয়ে মাছটা যদি ঠিকমত ধোয়া না হয়, যদি লিভার বা ডিম্বাশয়ের একটু অংশও থেকে যায়, তাহলে যে খাবে তার মৃত্যু মোটামুটি অবধারিত । এরপরও জাপান, কোরিয়া ও চীনে পটকা মাছ সুস্বাদু খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। জাপানীরা এই মাছকে ফুগু বলে এবং জাপানে এই মাছ অনেক উচ্চ দামে বিক্রি হয় । জাপানে পটকা মাছের কাটা-বাছা ও রেসিপি তৈরির জন্য রাঁধুনীদের দীর্ঘমেয়াদী ও যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। এই সব সাবধানতার কারণে, জাপানে পটকা মাছ খেয়ে মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যতে নেমে এসেছে । কিন্তু এর পরেও প্রতি বছরই কিছু মানুষকে পটকা খাওয়ার পর মাইনর ফুড পয়জনিং-জনিত কারণে হসপিটালে ভর্তি হতে হয় ।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে এই বিষ মারাত্বক বিষাক্ত সায়ানাইডের চেয়েও বারো’শ গুণ বেশী শক্তিশালী। পটকা মাছের বিষে আক্রান্ত হলে মানুষের ঠোঁট ও জিহ্বা অবশ হয়ে পড়ে, অতিমাত্রায় বমি হয়, হৃদস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয় এবং শরীরের পেশীসমুহ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। প্রায়শই আক্রান্ত ব্যক্তি পটকা মাছ খাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মারা যায়। মানুষের জন্য টেট্রোডোটক্সিনের প্রাণঘাতী (Lethal) ডোজ বা মাত্রা হচ্ছে প্রতি এক কেজি দেহ ওজেনের (Body weight) জন্য মাত্র ০.৩৩ মিলিগ্রাম । তার মানে হচ্ছে ২৫ মিলিগ্রাম টেট্রোডোটক্সিন একজন ৭৫ কেজি ওজনের মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট । আজ পর্যন্ত এই বিষের কোন চিকিৎসা (Antidote) আবিষ্কৃত হয় নি । যদি একেবারেই প্রথম দিকে পটকা পয়জনিংয়ের বিষয়টা টের পাওয়া যায়, তবে আক্রান্ত ব্যক্তির পাকস্থলি কয়েকবার পাম্প করলে কিছুটা উপকার পাওয়া যেতে পারে ।
আমাদের দেশে এটি একটি পুরাতন সমস্যা । প্রায় প্রতি বছরই বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে, উপকূল অঞ্চলে বেশ কিছু মানুষ পটকা মাছ খেয়ে মারা যান । এই মৃত্যুর সংখ্যাটা নেহাত কম নয় । আমি আগে একটু হিসাব রাখতাম । মানে যেগুলি পত্রিকায় প্রকাশিত হতো । কথা হচ্ছে পটকার বিষের অনেক মৃত্যুই তো পত্রিকায় আসে না । তাই আমার ধারণা বাৎসরিক এই মৃত্যুর সংখ্যাটা ২০ থেকে ৪০ এর মধ্যে উঠানামা করে । এই তো সেদিন, মানে ২০২২ এর মার্চের ১৪ তারিখের ইত্তেফাকে দেখলাম পিরোজপুরের কাউখালীতে পটকা মাছ খাওয়ার পর সুশীল দাস (৫০) ও রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৬০) নামে দুইজন জেলে মারা গেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হীরা লাল (৩২)। সেই একই পটকা খেয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন সমীরণ বিশ্বাস (৪০), সুমন (২৭), গৌতম (৩৮)। অসুস্থদের পরে কি হয়েছিলো – সেই খবর তো আর পাই নি । এই ভাবে প্রতি বছরই গ্রামের হত-দরীদ্র লোকজন, বিশেষত উপকূল অঞ্চলে, যেখানে পটকা মাছের আকার ও ওজন অনেক বড় – এই মাছ খেয়ে মারা যান । অনেকেই বলেন আমরা তো আগেও খেয়েছি, তখন তো কিছু হয় নি । সেটা তো হতেই পারে, তখন হয়তো মাছে বিষের পরিমাণ ছিলো নগন্য, মাছের নাড়িভুঁড়ি, কলিজা ফেলে দেওয়া হয়েছিলো, রান্নার আগে খুব ভাল ভাবে পরিস্কার করা হয়েছিলো ।
যাই হোক, এই অপ্রয়োজনীয় মানব-মৃত্যু রোধে আমাদের সচেতনতা বাড়ানো দরকার । দেশব্যাপী গণ-সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে । একটা গাইডলাইন তৈরি করা দরকার । যেখানে বিস্তারিত ভাবে বলা থাকবে - বছরের কোন সময়ে পটকা মাছ খাওয়া যাবে, কখন যাবে না । কি ভাবে খেতে হবে । কি কি ফেলতে হবে, কি ভাবে পরিস্কার করতে হবে । প্রথম দিকেই টের পেলে রোগীর পেট কি ভাবে পাম্প করতে হবে । সমগ্র দেশে বিশেষ করে উপকূল ও হাওর অঞ্চলে লিফলেট বিতরণ, পোস্টার টাংগানো, টেলিভিশন ও বেতারে সতর্কতাবাণী প্রচার, জেলে ও কৃষক সমাবেশ – এই অনাকাংখিত মৃত্যু অনেকাংশে কমিয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস । আমাদের কখনোই পটকা মাছ দেশ থেকে দূর করা বা বিনাশ করার কথা চিন্তা করা উচিত নয় । কারণ, এই মাছ আমাদের প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ । এই মাছ অনেক ক্ষতিকর জলজ কীটপতংগ খেয়ে থাকে, আবার এই মাছকে অন্যান্য বড় মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে । অনেক দেশেই বৈজ্ঞানিক উপায়ে পটকার বিষ সংগ্রহ করে খুবই উচ্চ মূল্যে বিক্রী করা হয় । বিভিন্ন উন্নত দেশে কোটি কোটি টাকা মূল্যে এই বিষ আমদানী করে ব্যাথানাশক ও অন্যান্য প্রাণঘাতী অসুখের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় । বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও পলিসি মেকাররা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পটকা মাছের এই দিকটার কথাও বিবেচনায় আনতে পারেন । আমরা যদি প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে পটকার বিষে মৃত্যুর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে পারি, দেশের পটকা মাছের জীববৈচিত্র সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারি আর দেশের দরিদ্র জেলেদের কাজে লাগিয়ে পটকা মাছের বিষ সংগ্রহ করে মানব কল্যাণের কাজে লাগাতে পারি তাহলেই দেশে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে । বিশেষ করে SDG গোল ১৪ যেখানে বলা হয়েছে “টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার” সেটি অর্জনে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাবো ।
একটি জরুরি ঘোষণা;
বৈশাখ মাসের প্রথম বৃষ্টিতে সদ্য প্লাবিত জলাশয়ের অগভীর অঞ্চলের স্বচ্ছ পানিতে টাকি (Channa punctatus), শোল (Channa striatus), গজার (Channa marulius) ও রাগা (Channa gachua) মাছ ডিম ছেড়ে থাকে।
ডিম ফুটে বাচ্চা /রেনু (Spawn) হওয়ার পর বাচ্চা গুলো স্বচ্ছ পানিতে স্কুল ফর্ম (Schooling) করে মা বাবার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে (Parental Care) এই ভাবে ঘুরে বেড়ায়।
দেশের অনেক অঞ্চলে এটাকে "বাইশ" (Baish) বলে। আমরা মানুষ, প্রথমে কুচ/ টেডা/ হারপুন দিয়ে টাকি/শোল/ গজার মাছের মা বাবা কে মারি ভর্তা খাওয়ার জন্য।
এর পর খুইয়া জাল/ মশারীর জাল/ গামছা দিয়া বাইশ / বাচ্চা ধরি, ভাজি খাওয়ার জন্য। মা, বাবা ও বাচ্চা মানে বংশ শেষ।
এই বাইশ ধরা মৎস্য আইন ১৯৫০, ১৯৮৫ এবং ২০০০ অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। বাইশ ধরা অতীতে ব্রিটিশ ভারতের Indian Fisheries Act 1897 এও নিষিদ্ধ ছিলো।
আসুন বাইশ ধরা থেকে বিরত থাকি।
আগামী প্রজন্মের জন্য মৎস্য সম্পদ রক্ষা করি।
Copied post
এ্যামোনিয়া কমানোর কয়েকটা পদ্ধতি রয়েছে আপনি যেকোন একটা চয়েস করতে পারেন:
১। হড়রা টানা (ন্যাচারাল উপায়ে) সব থেকে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে এ্যামোনিয়া কমাতে। কোন প্রকার ক্ষতিকর দিক ছাড়াই এমোনিয়া কমানো যায়।
২। রিভার্স পদ্ধতি অবলম্বন করা। এটা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন পাম্প/ সেলিমেশিন এক জায়গায় বসিয়ে পুকুরের পানি পুকুরে দেওয়া। অথবা সেলোমেশিন ডোঙ্গায়/ নৌকাতে নিয়ে পুকুরে পানি পুকুরে দেওয়া। এতে করে অক্সিজেন সরবরাহ হয় এবং এ্যামোনিয়া কমে। একসাথে ২ কাজ। বিষয়টি জটিল হলেও খুব সুন্দর পদ্ধতি।
৩। বিভিন্ন ধরনের প্রোবায়োটিকস আছে ব্যাহারে এ্যামোনিয়া কমে।
৪। বিভিন্ন ধরনের medicine ব্যবহার করে এ্যামোনিয়া কমে । তবে সাইড ইফেক্ট থাকতে পারে। যেটা পরবর্তিতে অজ্ঞাত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
বিঃদ্রঃ ঘের ভালো করে শুকিয়ে আমাদের গ্রুপের নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয় এবং যদি মাসে ২ বার Baccilus and lactobacillus group probiotics use করা হয়, সাথে গরীবের জুস, আর ওভারফিডিং কন্ট্রোল করা যায় তাহলে এ্যামোনিয়া সমস্যা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই।
তবে ন্যাচারাল উপায়ে কমাতে পারলে খরচ অনেক কম উপকার অনেক বেশি।
এটা আমাদের গবেষনা করে দেখা।
প্রশ্নঃ শীতকালে মাছের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং নিরাপত্তায়
--------------------------------------------------------------------------
কি কি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি?
-----------------------------------------
অভিজ্ঞতায় লব্ধঃ
★নিয়মিত পানি দেয়া,
★নিয়মিত ২৫-৪৫ দিন অন্তর চুন প্রয়োগ,
★জৈব-ফার্মেন্টেশন খাদ্য প্রয়োগ না করা। ★প্রিবায়োটিক ব্যাবহার থেকে বিরত থাকা।
★চাহিদা অনুযায়ী খাবার প্রয়োগ করা।
★রেডিফিড কিংবা হাতে বানানো ভাসমান খাদ্য প্রয়োগ করা।
★সকাল ১০-১১ টা এবং ৩-৪ টার মধ্যে খাবার প্রয়োগ করা।
★জাল টানায় সতর্কতা অবলম্বন করা,
★হররা না টানা,
★পর্যাপ্ত আলো বাতাস যেনো পুকুরে পায় তার জন্য পুকুরের চারধার পরিষ্কার রাখা, গাছপালা ডাল ছাটাই এবং কর্তন করা।
★যদি ইলেকট্রিসিটির ব্যবস্হা থাকে তাহলে
পুকুরের উপর আলোর ব্যবস্হা করা।
★পুকুরে পানিতে জায়গায় জায়গায় বাঁশের খুঁটি স্হাপন -এতে করে মাছ তার মিউকাস অপসারণ এবং নিরাপত্তায় বিশাল ভূমিকা রাখবে।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Telephone
Address
Mohanagar
Chittagong, 4310
Rahat agro LTD trying to deliver everyone fresh and healthy food
Brickfild Road Chittagong
Chittagong, GPA-4000
নতুন নতুন ভিডিও পেতে পেইজটি ফলো করে রাখুন ধন্যবাদ।
Chittagong, Hathazari
Chittagong, 4333
“কৈ কার্প মাছ” যার সমগ্র শরীর জুড়ে রয়েছে অপূর্ব রঙের কারুকার্য। আমাদের সামনে এলেই মন ভরে উঠে আনন্দে
Colonel Hat, Kyballadham R/a, Ferozsah, Akbarsah
Chittagong, 4207
আমরা ময়মনসিং এর উচ্চ মানের দেশীয় শিং ম
502 Strand Road, Sadarghat
Chittagong, 4000
Order your desired fish fresh and pure through us staying at home. Order also taken for various part
Thanda Mia Market, Old Brijghata Karnafuli
Chittagong
A fishing firm. We provide all kinds of fishes.