Iab bayezid bostami

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Iab bayezid bostami, Political organisation, Chittagong.

14/10/2023
18/06/2023
05/08/2022

দেশে সঙ্কট ক্রমেই আরো ঘণীভূত হচ্ছে
- শায়খে চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেছেন, ৫১ বছরের বাংলাদেশের আজ এক বিপদজনক পরিস্থিতি। এই বিপদজনক পরিস্থিতির সুরাহা করতে হলে ভোটারবিহীন সরকার পরিবর্তন করে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে একর পর এক সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছেই। কৃষিপ্রধান দেশে সারের দাম কেজি প্রতি ৬ টাকা বৃদ্ধি করায় দেশে নতুনভাবে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। খাদ্য সঙ্কট দূর করতে এবং কৃষিকাজে উৎসাহিত করতে কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা দিতে হবে। সেইসাথে সারের বর্ধিত দামের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে সঙ্কটের অন্যতম খাত হবে দেশের কৃষি উৎপাদন। দেশের কৃষক পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদন করলেও সবসময় ফসলের লাভজনক মূল্য পান না। সারের মূল্য বৃদ্ধিতে ফসলের উৎপাদন খরচ বাড়বে। এর প্রভাব পড়বে উৎপাদিত মূল্যের ওপর। এর ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্কট বাড়বে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কমমূল্যে প্রকৃত কৃষকের কাছে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। দেশে ভয়াবহ বন্যায় বেশ কয়েকটি জেলার কৃষক তাদের কৃষি ফসল নষ্ট, বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে এক মহাসঙ্কটে নিপতিত। এরমধ্যে সারের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকদের চরম বিপাকে ফেলে দিবে।

আজ ৫ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার, সকাল ১০টা থেকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে নগর সদস্য তারবিয়াতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তারবিয়াতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ ওমর ফারুক, মাওলানা এইচএম সাইফুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন আহমদ, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বরকত, মো. হায়দার আলী প্রমুখ।

তিনি বলেন, রেল ও সড়পথ দুর্নীতি ও মৃত্যুর বিভীষিকাময় আধারে পরিণত হয়েছে। আদমশুমারীতে ভুল তথ্য, রিজার্ভের প্রকৃত মজুদ নিয়ে ছলচাতুরী, বিদ্যুৎ উৎপাদনের তথ্যে কারসাজী, প্রাথমিক জ্বালানী সংগ্রহে ভঙ্গুর অবস্থা।

[ প্রেস বিজ্ঞপ্তি ]

29/11/2021

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব
আল্লামা নূরুল ইসলামের ইন্তেকালে
পীর সাহেব চরমোনাইসহ নেতৃবৃন্দের শোক ও দোয়া

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদীর ইন্তেকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন।
পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক ও দোয়া করেছেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীশ শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সেক্রেটারী আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদার, উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।
এক শোক বার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী সাহেব একজন বরেণ্য ও প্রথিতযথা আলেমেদীন ও শায়খুল হাদীস ছিলেন। তিনি ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষে ব্যাপক কাজ করেছেন। ফেরক্বায়ে বাতিলা, বিশেষ করে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর দুশমন কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম ভুমিকা পালন করেছেন। আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এর ইন্তেকালের পর তিনি হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নির্বাচিত হয়ে সকলস্তরের আলেমদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আন্তরিক চেষ্টা করেছেন। তিনি চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলেও অংশগ্রহণ করে মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে মূল্যবান বয়ান করেছেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মরহুম নূরুল ইসলাম জিহাদী সাহেব দীনের বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। তিনি অসংখ্য মাদরাসা, মসজিদসহ দীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার হাজার হাজার ছাত্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। তার ইন্তেকালে দেশবাসী দীনের একজন দরদি অভিভাবককে হারালো। যার অভাব দীর্ঘদিন অনুভুত হবে। মহান রব্বুল আলামিন এ মহান বুজুর্গের সকল নেককাজকে কবুল করে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। সেইসাথে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, ছাত্র-শিক্ষক, ভক্ত-অনুরক্ত সকলকে সবর করার তওফিক দান করুন, আমীন।

28/11/2021

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, হামলা, প্রকাশ্যে নৌকায় সীলের নিন্দা
- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে দেশ এক চরম পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সচেতন মহল উদ্বিগ্ন। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছে না। জনগণ তাদের পছন্দের প্রাথীদের প্রতি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় ৫১ জন মানুষের মৃত্যু হওয়া অশুভ ইঙ্গিত বহন করে।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আজকের তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনেও বিরোধী দলের এজেন্টদের প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে জাল ভোট দেয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। মির্জাপুরের আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদে হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাবাকে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বেদড়ক পিটুনি দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। লক্ষীপুরে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ২জনকে গ্রেফতার করেছে। মধুপুরে প্রকাশ্যে নৌকায় সীল মারার মত ঘটনা ঘটেছে। কালিয়ায় ভোটকেন্দ্র দখল করে নেয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।

বিভিন্ন জায়গায়হাতপাখার প্রার্থীকে মারধর করার ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশ এক ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে যাওয়ার অশুভ ইঙ্গিত বহণ করে। বর্তমান সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি শেষ করে দিয়েছে। বলা যায় নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নির্বাসনে দিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার আজ চরমভাবে ভুলুণ্ঠিত। এভাবে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ চলতে পারে না।

আজ রোববার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিসয়ষক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম।

Photos from Iab bayezid bostami's post 24/11/2021

ইউপি নির্বাচনে হাতপাখাকে
ঠেকাতে সকলে ঐক্যবদ্ধ
ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নেই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব
-শ্রমিক আন্দোলনের শুরা অধিবেশনে পীর সাহেব চরমোনাই.............................................................................
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ঠেকাতে বড় দলগুলো একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে। সরকার দলীয় দস্যুরা নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে। প্রশাসন দস্যুদের না থামিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় বিজয়ী ঘোষণা করতে সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, বিনা চ্যালেঞ্জে এবং খালি মাঠে গোল দেয়ার পথ রুদ্ধ করতে হবে। তিনি সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, দলীয় মাস্তানদের থামান। অন্যথায় ধৈয্যের সীমা ভেঙ্গে গেলে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
আজ বুধবার বিকেলে বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা মিলনায়তনে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের মজলিসে শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাাদানী, নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মাওলানা আব্দুল আউয়াল পীর সাহেব খুলনা, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারি মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, নবনির্বাচিত চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম প্রমুখ। শুরা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের তত্ত্বাবধায়ক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সকল শ্রমিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একমাত্র ইসলামী শ্রমনীতিই পারে কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নত জীবন যাপনের নিশ্চয়তা প্রদান করতে। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ সা. শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে প্রণয়ন করেছিলেন ইসলামী শ্রমনীতি। ইসলামী শ্রমনীতির মূল কথাই হলো শ্রমজীবি মেহনতি মানুষের উপরে কোনো ধরণের জুলুম নির্যাতন, অধিকার বঞ্চিত করা যাবে না। শ্রমিকদের সাথে কোনো ধরণের খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগে তার মজুরি প্রদান করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইতিহাসের সকল উত্থান-পতনে শ্রমিকদের ভুমিকা অনস্বীকার্য। শ্রমিকরা ইচ্ছে করলে মুহুর্তেই পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারে। মালিক শ্রমিকের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। মালিক যা খাবে শ্রমিক তাই খাবে। মালিক যা পরিধান করবে শ্রমিকদের তাই পরিধান করার ব্যবস্থা করতে হবে।
শুরা সম্মেলনে সারাদেশ থেকে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের শতাধিক শুরা সদস্য অংশ গ্রহণ করেন। অধিবেশনে আলহাজ্ব মোঃ আমিনুল ইসলামকে কেন্দ্রীয় সভাপতি, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রহমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমানকে সেক্রেটারি জেনারেল করে কমিটি ঘোষণা করেন দলের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, শ্রমিকরা আমাদের সমাজে প্রতিটি স্তরে অবহেলিত। তারা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। রাসূল সা. ছিলেন শ্রমজীবীদের কাছের মানুষ। তিনি শ্রমজীবী মানুষদের খুব ভালোবাসতেন। রাসূল সা. ঘোষণা দিয়েছেন, শ্রমিকরা আল্লাহর বন্ধু। আল্লাহর রাসূল সা. শ্রমিকের অধিকার কায়েম ও তাদের প্রতি ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমান সময়ের দুর্ভাগ্য শ্রমিক মেহনতি মানুষ সবদিক থেকে অধিকার বঞ্চিত। অথচ আমাদের কাছে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অনুপম আদর্শ রয়েছে। তাই শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাসূল সা.-এর শ্রমনীতি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

প্রিন্সিপাল মাদানী বলেন, শ্রমিক বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে ইসলামী বিপ্লব কায়েম করতে হবে। শ্রমিকগণ দেশের অন্যতম শক্তি। শ্রমিকরা ইচ্ছে করলে অনেক কিছু করতে পারেন। জ্বালানি তেল বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা সারাদেশ মুহুর্তেই অচল করে দিয়েছে। তেমনিভাবে বিনা ভোটের সরকারকে পতন ঘটাতে শ্রমিকদের ভুমিকা পালন করতে হবে। যে কোন পরিবর্তনের আন্দোলনে শ্রমিকরাই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তিনি বলেন, নারী নেতৃেত্বর অবসান করে আগামী জাতীয় নিবৃাচনে হাতপাখাকে ক্ষমতায় নিয়ে যেতে শ্রমিকরা আরো বেশি ভুমিকা পালন করবে।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, সারাদেশে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন শক্তিশালী নেতৃত্ব সৃষ্টি করেছে। দীন বিজয়ের আন্দোলনে আগামীতে আরো বেশি ভুমিকা পালন করবে। তিনি নতুন নেতৃত্বকে দীন বিজয়ের আন্দোলনে আরো শক্তিশালী ভুমিকা পালনের আহ্বান জানান। দ্বীনকে বিজয় করতে যুগে যুগে শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আমাদের দেশেও দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শ্রমিকরা অগ্রগামী। ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে শ্রমিকরা বর্তমান সময়েও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে জাতীয় নির্বাচনের মত বিনা ভোটে চেয়ারম্যানদেরকে বিজয়ী করতে সরকার মরিয়া। হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রাথীদের হুমকি-ধমকি এবং নির্যাতন করে বিজয় ছিনিয়ে নিচ্ছে। মনে রাখবেন এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে। কাজেই জোর জবরদস্তি করে কেউ রেহাই পায়নি, ইতিহাস সাক্ষী। তিনি সাধারণ ও শ্রমিক সমাজের প্রতি লক্ষ্য রেখে নিত্যপ্রয়োজণীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবি জানান।

02/11/2021

দস্যুতা বন্ধ না হলে ইসলামী আন্দোলন
সবধরণের নির্বাচন বর্জন করবে
-নির্বাচন মনিটরিং কমিটির সভায় মহাসচিব

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, চলমান ইউপি নির্বাচনে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা নজীরবিহীন হয়রানী করছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা সরকারদলীয় দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে কোন রকম ভুমিকা পালন না করে বরং তাদের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় বিজয়ী হতে সহযোগিতা করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বর্তমান সরকারের অধীনে সবধরণের নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নির্বাচন মনিটরিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মু. বরকত উল্লাহ লতিফ, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, শেখ ফজলুল করীম মারূফ, এডভোকেট লুৎফুর রহমান, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা মকবুল হোসাইন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী ।

সভায় ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন-এর প্রার্থী মোঃ ওমর ফারুকের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী সশস্ত্র হামলা করে তাকে প্রাণনাশের চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

সভায় আজকে ঘোড়াশাল, পাকুন্দিয়াসহ ১০টি পৌর নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীদের চিরাচরিত গুন্ডামী ভোট ডাকাতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

আজকে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে কুমিল্লার হোমনা থানার নিলখি ইউনিয়নে হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ময়নাল হোসেনকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র নিয়ে ছিড়ে ফেলে এবং প্রার্থীকে মাঠে নামিয়ে বেধরক মারধর করে হোমনা থানা যুবলীগ সভাপতি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর হাতপাতপাখার প্রার্থীদের মনোনয়ণপত্র জমা প্রদানে বাধাদান ও হুমকি-ধমকি ও হয়রানীর করা হয়। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের এসব দস্যুতা বন্ধ না হলে আগামীতে দেশে সঙ্কট আরো ঘুনীভূত হবে। যে সঙ্কট থেকে অনিবার্য গণবিস্ফোরণ তৈরী হবে বলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব সরকারকে সতর্ক করে দেন।

Photos from Iab bayezid bostami's post 31/10/2021

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নের হাতপাখার প্রার্থী-কে নৃশংস হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

Photos from Iab bayezid bostami's post 29/10/2021

াওয়াতি_সভা _অনুষ্ঠিত _হয়
আজ ২৯ অক্টোবর শুক্রবার বাদে এশা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বায়েজিদ বোস্তামী থানার মাসিক দাওয়াতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

থানা সভাপতি মুহাম্মদ ওসমান গণি-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন-এর সঞ্চালনায় মাসিক দাওয়াতি সভায় প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর এর সহকারী-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি রিদোয়ানুল হক শামসী।
#সভা শেষে নতুন সদস্যদেরকে শপথ পড়ানো হয়।

Photos from Iab bayezid bostami's post 23/10/2021

সাংবাদিক সম্মেলনে মুহতারাম আমীর পীর সাহেব চরমোনাই'র বক্তব্য!

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লিয়ালা রাসুলিহিল কারীম।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
স্বাধীনতার ৫০তম বছরে দেশের একটি সংকটময় মুহূর্তে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের উপস্থিতির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়া সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করীম রাহিমাহুল্লাহসহ দেশপ্রেমিক প্রয়াত সকল উলামা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
আজকে ব্যথিত হৃদয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে, তা আমাদের প্রত্যাশা ছিলো না।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
সাম্প্রতিক বাংলাদেশের ঘটনা আপনারা সবাই জানেন। হাজার বছর ধরে হিন্দু-মুসলিমরা এই ভূখণ্ডে পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। একই রাস্তায়, একই মহল্লায় মসজিদ আর মন্দির বছরের পর বছর অবস্থান করছে। মানুষ যার যার ধর্ম পালন করছে। মাঝে মধ্যে ছোটখাটো বিবাদ হলেও এই বছরের মতো ব্যাপক বিবাদ স্মরণকালে ঘটে নাই। কুমিল্লার একটি মন্দিরে পবিত্র কুরআন পাওয়াকে কেন্দ্র করে এবং ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর স্ট্যাটাসকে ইস্যু করে দেশের বিভিন্ন জেলায় যে সব অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত বিচার চাই।
সাম্প্রতিক ঘটনায় কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ-
১) এ ধরণের ঘটনা বাংলাদেশের সাধারণ চরিত্র না। বাঙ্গালীর হাজার বছরের ইতিহাস এবং মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষা এ ধরণের ঘটনাকে সমর্থন করে না। এটা ইতিহাস বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা।
২) ঘটনার সূত্রপাত থেকে পরবর্তী প্রত্যেকটি ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতার ছাপ অতি স্পষ্ট। ৫০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে এ ধরণের ব্যর্থতা কল্পনাতীত। আমরা মনে করি, জন প্রশাসনে অতিমাত্রায় রাজনীতি প্রবেশের কারণে সামগ্রিকভাবে দেশের প্রশাসন ব্যবস্থায় এক ধরণের অদক্ষতা তৈরি হয়েছে। যার খেসারত এসব ঘটনা।
৩) কুমিল্লার ঘটনার পরে জনরোষ তৈরি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। সেই রোষে মানুষ বিক্ষোভ করবে তাও স্বাভাবিক। বেসামরিক বাহিনীগুলোকে এই ধরণের গণবিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষিত করার কথা। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করছি, ৫০ বছরের স্বাধীন একটি দেশের বেসামরিক বাহিনী গণবিক্ষোভ দমনে গুলি করার মতো চরম সিদ্ধান্ত সহজেই নিয়ে নিচ্ছে। যার প্রতিফলন নিকট অতিতে ভোলায়, হাটহাজরীতে ও বি-বাড়িয়ায় দেখা গেছে। চাঁদপুরেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একই রকমভাবে চরমপন্থা অবলম্বন করে বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে অন্তত পাঁচজনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর অল্পতেই এমন চরমপন্থা গ্রহণ করার প্রবণতা জন স্বাধীনতা, নাগরিক বোধ ও সভ্যতার জন্য ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে।
৪) কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে প্রতিবেশী দেশের একশ্রেণীর মিডিয়া, সরকারী দলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সুশীল সমাজ যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের সব ধরণের নীতি-নৈতিকতা ছাড়িয়ে গেছে। তাদের এই ধরণের আগবাড়ানো প্রতিক্রিয়ালশীলতায় এই ঘটনার অন্তরালে আন্তর্জাতিক রাজনীতির নোংরা কৌশলের আভাস পাওয়া যায়।
৫) কুমিল্লার ঘটনার পরে বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মিডিয়া, রাজনৈতিক সংগঠন ও সুশীল সমাজ যেভাবে ঘটনাকে কেবলমাত্র সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে ব্যাখ্যা করেছে, তা হতাশাজনক। দেশের ইতিহাস, বাঙ্গালীর চরিত্র ও ধর্মপ্রবণতা নিয়ে তাদের এমনতর ভুল ব্যাখ্যা হয়তো মূর্খতা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
কুমিল্লার ঘটনার যে ব্যাপ্তি তা নজীরবিহিন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রায়শই কুচক্রিমহল সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মকে অবমাননা করে এক ধরণের উত্তেজনা তৈরি করে ঘোলা পানিতে স্বার্থ হাসিল করতে চায়। আমাদের বিশ্লেষণ বলছে, কুচক্রী মহলের এমন সুযোগ দেশের ক্ষমতাসীনরাই তৈরি করে দিয়েছে। কারণ-
১) এই ধরণের ঘটনার কখনোই সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হয় না। প্রায় সকল ক্ষেত্রেই অনেক কথা হয়, আশ্বাসবাণী শোনানো হয় কিন্তু বিচার হয় না। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতিই অপশক্তিগুলোকে বারংবার ধর্ম অবমাননা করে উত্তেজনা তৈরির কৌশল ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে।
২) বাংলাদেশে ধর্ম অবমাননা করার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নাই। ফলে যে ধর্মের অবমাননা করা হয় সেই ধর্মের অনুসারীরা এক ধরণের অসহায় বোধ করে। সেই অসহায় বোধ থেকেই তারা তৎক্ষণাৎ বিক্ষোভ দেখানো এবং ক্ষেত্র বিশেষে সহিংস বিক্ষোভ প্রদর্শনে উৎসাহিত হয়।
৩) ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা ও মন্ত্রীরা প্রায় নিয়মিত বিরতিতে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে থাকেন। সাম্প্রতিক একজন অপরিণামদর্শী প্রতিমন্ত্রীর বালখিল্যতা জাতি দেখেছে। অপরিপক্ক সেই প্রতিমন্ত্রী যেভাবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তাতে জন-ক্ষোভ আরো বেড়েছে।
৪) দেশে যখন একদলীয় শাসন চলে, সরকার যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কোণঠাসা করে রাখে তখন অনিয়ন্ত্রিত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কুমিল্লা ও দেশব্যাপী তারই বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে।
৫) রাষ্ট্রের সরকার যখন স্বৈরাচারী ও শক্তি নির্ভর হয় তখন যেকোনো সামাজিক সমস্যার সমাধানে জনতার মাঝেও শক্তি নির্ভর পন্থার প্রাবল্য দেখা দেয়। সাম্প্রতিক ঘটনাতেও তাই দেখা গেছে।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
এই বাস্তবতায় আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব করতে চাই।
১) কুমিল্লার ঘটনা ও তৎপরবর্তী ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি করতে হবে। এখানে কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা, বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও মূর্তি ভাঙ্গা, রংপুরে আগুন দেয়া এবং চাঁদপুরে বিক্ষোভে গুলি করে হত্যা করার বিষয়টি পুঙ্খানু-পুঙ্খানু তদন্ত করতে হবে এবং সেই কমিটির তদন্ত রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনসন্মুখে প্রকাশ করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
২) ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আইন করতে হবে। সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে কোন ধরণের ধর্ম অবমাননার ঘটনা ঘটলে জনতা আর সহিংস হয়ে উঠবে না।
৩) রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের অতি বাচাল প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। মানুষের আবেগ-অনুভূতির জায়গায় আঘাত করে মন্তব্য করার প্রবণতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে অতি বাচাল তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
৪) দেশের স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরাতে বিরোধী দলগুলোর ওপরে দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। আটক রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৫) শাসন ব্যবস্থায় জনতার মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে এবং সহনশীল, বহুদলীয়, মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
৬) বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধ করে এবং তাদের নিয়োগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করে বাহিনীগুলোকে পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে।
৭) গণবিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে গুলি করার মতো চরমপন্থা অবলম্বন করার প্রবণতা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
৮) ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও সংখ্যালঘুদের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ী সরকারীভাবে নির্মাণ করে দিতে হবে এবং চাঁদপুরে পুলিশের গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্ত সকল ব্যক্তি ও পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৯) দেশের একশ্রেণীর মিডিয়া, রাজনৈতিক সংগঠন ও তথাকথিত সুশীল সমাজ এই ধরণের ঘটনায় যেভাবে ধর্মকে কেন্দ্র করে একচোখা বয়ান দাড় করায়, তা বন্ধ করতে হবে। বাঙ্গালী জাতির ইতিহাস ও মনস্তত্ত্ব বিরোধী তাদের এই ধরণের বয়ান নির্মাণের পেছনে কোন দুরভিসন্ধি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
১০) প্রতিবেশী দেশকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর বার্তা দিতে হবে।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার প্রভাবে দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার (আপার প্রোভার্টি রেট) বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
বিআইডিএস-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, করোনায় বাংলাদেশে ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে। আগের হিসাব যোগ করে গরিব মানুষের এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ কোটির বেশি।
অন্যদিকে ক্যাবের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৬.৮৮%। গত ৩ বছরের ভেতর এটি সর্বোচ্চ। আর ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মতে, গত একমাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ১৯.৬৪%।
একদিকে করোনার কারণে মানুষের আয় কমে যাওয়া, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের এই সীমাহীন বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
নিত্যপন্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের প্রধান কাজগুলোর একটি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বলে, সরকার এই দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এখানে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ-
১) পণ্যের প্রাক উৎপাদন ধাপসমূহ এবং উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে একদল মধ্যস্বত্ত্বভোগী রয়েছে। যারা কোন ধরণের মূল্য সংযোজন না করেই কেবল হাত বদল করার মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়ায়। ফলে উৎপাদক ও ভোক্তা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা জানি, এই মধ্যসত্ত্বভোগী শ্রেণীর প্রায় পুরোটাই রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই দলীয় মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের তুলে দিতে হবে। এবং উৎপাদক ও ভোক্তার মাঝে পণ্যের দামের পার্থক্য নিয়ে সুনির্দিষ্ট আইন করতে হবে।
২) বাইরে থেকে আমদানিকৃত পণ্যের দাম নিয়ে কারসাজি করা হয়। এই কারসাজি বন্ধে টিসিবিকে আধুনিকায়ন ও দক্ষ করে তুলতে হবে। কাস্টমস ও শুল্ক বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
৩) দেশের নীতি নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের আধিক্য কমাতে হবে। কারণ কল্যাণ রাষ্ট্র ও ব্যবসায়িক মুনাফা বিপরীতমুখী। একই ব্যক্তি উভয়টার সিদ্ধান্ত নিতে গেলে জনকল্যাণই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪) পরিবহন খাতে মাসে ৩০০ কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি হয়। যার প্রভাব গিয়ে সরাসরি ভোক্তার ওপরে পরে। সেজন্য দব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচন কমিশন। একটি শক্তিশালী ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন নির্বাচন কমিশন দেশের সংবিধান রক্ষা ও জনতার সরকার প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
আর আমরা বাংলাদেশে দেখলাম, এই নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করেই ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় নির্বাচন করা হয়েছে। গত কয়েকটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে যে, এই নির্বাচন কমিশন কতটা নির্মমভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে। চলতি ইসি ও তাদের নিয়োগকর্তারা যে ইতিহাসের কালো স্থানেই থাকবেন, তা বলাই বাহুল্য।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ প্রায়। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি নিয়োগ করা হবে। সার্চ কমিটির বাছাই করা ইসি যে কত জঘন্য হতে পারে তার নজীর তো এখনো চলমান। আসলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে এসব সার্চ কমিটি আর আইন কোনটাই ফল দেবে না।
সেজন্য আসন্ন ইসি গঠনে আমরা আহবান জানাচ্ছি; সকল দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি সার্বজনীন ইসি গঠন করুন। অথবা প্রতিনিধিত্বশীল দলগুলো থেকে একজন করে নিয়ে একটি সর্বদলীয় ইসি গঠন করুন।
অন্যথায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অবস্থার প্রেক্ষিতে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলবে, তারপরেও জনতার ভোট নিয়ে আর কোন ছলচাতুরী করতে দেয়া হবে না।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
দলীয় কোন সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার মতো রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনো এদেশে গড়ে ওঠে নাই। তাই অবশ্যই নির্বাচনকালীন সরকার হতে হবে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ। আমরা বলি, এখনো সময় আছে। আইন সংশোধন করে হলেও নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় দেশে আবারো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
দেশজুড়ে দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচন চলছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রথম দফার মতো এই দফাতেও দেশজুড়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু সরকারদলীয় স্থানীয় মাস্তানরা আগের দফার মতো এবারও মনোনয়ন ফর্ম জমাদানে বাঁধা, প্রার্থীদের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভয়-ভীতি দেখানোসহ নানা রকম মাস্তানি করেই যাচ্ছে।
আমরা মনে করিয়ে দিচ্ছি, আমরাও এই মাটির সন্তান। এখানে মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নেতা নির্বাচনে অংশ নেয়া আমাদের অধিকার। এই অধিকার বারংবার কেড়ে নিতে চাইলে পরিণতি ভালো হবে না।
নির্বাচন কমিশনকে বলবো, পাপের খাতা অনেক ভারি হয়েছে। শেষকালে এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু করে সেই পাপ খানিকটা মোচন করে যান।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
মামলা হলো অপরাধী সংশোধনের আইনি প্রক্রিয়া; কিন্তু বাংলাদেশে মামলা ভিন্নমত দমনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। চলতি ঘটনাকে কেন্দ্র করেও বহু মামলা হয়েছে এবং তাতে হাজার-হাজার বেনামী আসামী দেখানো হয়েছে। এরকম বেনামী আসামী করার মাধ্যমে মানুষকে হয়রানী করা হয় বলে আমরা অতিতে দেখেছি।
এক্ষেত্রে পরিষ্কার বক্তব্য হলো, প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন। কোন নিরীহ মানুষকে যাতে হয়রানী করা না হয়। এখানে প্রসঙ্গত দেশে বিভিন্ন কারাগারে শত শত ওলামায়ে কেরাম আটক অবস্থায় আছেন। মামলা মাথায় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার ওলামা। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অপরাধের প্রমাণ নাই, এমন ওলামা ও রাজনৈতিক বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিন এবং মামলা প্রত্যাহার করুন।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
বাক স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক ও বিশ্বজনীন অধিকার। বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা হরণের জন্য তথ্য প্রযুক্তি আইনের যথেচ্ছা রাজনৈতিক ব্যবহার সর্ব-মহলে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল করীম আকরাম এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের দায়িত্বশীল গিয়াস উদ্দিন পরশের বিরুদ্ধেও এ আইনে ভিত্তিহীন একটি মামলা করা হয়েছে।
আমরা অবিলম্বে সেই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ!
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি জন সম্পৃক্ত শান্তিকামী সংগঠন। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সবকিছুর সমাধান করতে চাই। পেশি শক্তি নির্ভর হঠকারি রাজনীতি আমরা করি না। আমরা জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই।
সেই অনুভূতি থেকেই চলতি বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হলো। আমরা আশা করবো, দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। যদি তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন এবং দেশের পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপের দিকে যেতেই থাকে, তাহলে জন মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল সংগঠন হিসেবে ইসলামী আন্দোলন চুপ করে বসে থাকবে না ইনশাআল্লাহ।

কর্মসূচী:-
আগামী ২৭ অক্টোবর দেশের চলমান সংকট ও তা থেকে উত্তরনের লক্ষে দেশের সর্ব-মহলের শীর্ষস্থানীয় পীর-মাশায়েখ, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও সমাজকর্মীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ।

আমরা চাই সমস্যার সমাধান হোক শান্তিপূর্ণভাবে। পারস্পরিক সৌহার্দ ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে। বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার সুফল পাক। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হোক এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
আপনাদের সবাইকে আবারো আন্তরিক মুবারকবাদ জানাচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ।

মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম
(পীর সাহেব চরমোনাই)
আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

20/10/2021

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত প্রেরণ করেন। হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁর প্রতি যথাযথ সালাত ও সালাম পেশ করো।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৬)

আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ১০টি রহমত বর্ষণ করেন।’ (মুসলিম, মিশকাত, হাদিস : ৯২১)

13/10/2021

#ধর্মপ্রাণ জনতার প্রতিবাদ মিছিলে গুলি ও লাঠিচার্জের নিন্দা

মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কুরআন অবমাননা করে দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা হাঙ্গামা বাঁধানের চক্রান্ত চলছে।
-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান কুমিল্লার নানুয়ার দিঘীরপাড় পূজা মণ্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কুরআন রেখে অবমাননা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আজ ১৩ অক্টোবর ২০২১ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, পূজা মণ্ডপে দেবতার পায়ের নিচে পবিত্র কুরআনের অবমাননা করে দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধানোর চক্রান্ত রুঁখে দিতে হবে। তারা বলেন, পূজা মণ্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন রেখে অবমাননার নিন্দা ও প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। শতকরা ৯২ ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যে নিরাপত্তা ও অতিমাত্রায় নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে, বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন।

তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষী চিহ্নিত মহল বারবার ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি ষড়যন্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এহেন পরিস্থিতিতে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব প্রশাসনের। প্রশাসন যত দ্রুত ঘটনার মূল রহস্য বের করতে পারবে ততই দেশ এবং জাতির জন্য মঙ্গল হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের গুলিতে বহুসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ আহত হওয়ার ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে কুমিল্লায় পূজা মণ্ডপে পবিত্র কুরআনের অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় উদ্ভুত যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই এর দায়ভার গ্রহণ করতে হবে।

06/10/2021

৫ দফা দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
দুই প্রতিষ্ঠানের রেষারেষি ও দায়িত্বহীনতায় চট্টগ্রাম শহর অনিরাপদ নগরীতে পরিণত হয়েছে।
- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়াসহ,সম্প্রতি নালায় পড়ে নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর ২১) আগ্রাবাদ মোড থেকে দেওয়ানহাট মোড় পর্যন্ত বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের নগর সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে অকালেই ঝরে পড়ছে বহু তাজা প্রাণ। এত এত দুর্ঘটনার পরও কর্তৃপক্ষের কোন ধরণের সচেতনতা আমরা দেখছি না। ফলে সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা আজ উদ্বিগ্ন।

এই দুই প্রতিষ্ঠানের রেষারেষি ও দায়িত্বহীনতায় চট্টগ্রাম শহর অনিরাপদ নগরীতে পরিণত হয়েছে। অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম পথচারীদের জন্য মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ সময় নগর সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম বলেন বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়ার মৃত্যুর পর সচতেন নাগরিক সমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সিটি কর্পোরেশন মেয়র ও সিডিএ একে অন্যের উপর দায় চাপাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের এমন দায়িত্বহীনতায় আমরা হতাশ না হয়ে পারছি না। অনিরাপদ ফুটপাত, ঢাকনা বিহীন ড্রেন, পর্যাপ্ত ফুট ওভারব্রীজ না থাকায় সাধারণ পথচারীরা নিত্য বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সমাস্যা হলো জলাবদ্ধতা। সিটি মেয়র এবং সিডিএ কর্তৃপক্ষ বার বার জলাবদ্ধতা নিরসনের কথা বললেও বাস্তবে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ চোখ পড়ছে না।দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামের এমন বেহালদশা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে অবিলম্বে দায়িত্বহীন এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যাক্তিদের শাস্তির মুখোমুখি করা হোক। নয়তো চট্টলার নাগরিক সমাজকে সাথে নিয়ে নগর বাঁচানোর স্বার্থে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নগর সহ সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতবর, নুরুল ইসলাম বিএসসি, সেক্রেটারী আল মুহাম্মদ ইকাবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক, ডা. রেজাউল করীম রেজা, রেদওয়ানুল হক শামসী, মাওলানা তরিকুল ইসলাম, মুফতী ইবরাহীম আনোয়ারী, যুবনেতা তাজুল ইসলাম শাহীন, শ্রমিক নেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, নোয়াব মিয়া, মুহাম্মদ ইবরাহীম প্রমুখ।

এ সময় আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর এর পক্ষ থেকে চার দফা দাবী পেশ করা হয়-
১। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীন কারনে শিক্ষার্থী সাদিয়াসহ সম্প্রতি নালায় পড়ে নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২। দায়িত্বহীনতার দায়ে সিটি কর্পোরেশন এবং সিডিএ কর্তাদের সুষ্ঠ বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৩। দেওয়ানহাট-এয়ারপোর্ট রোড এবং পোর্টকানেংক্টিং রোডে উন্নয়ন চলাকালীন যাতায়াত উপযোগী করতে হবে এবং জনগণের চলাচলের জন্য নিরাপদ ও দখলমুক্ত ফুটপাত ব্যাবস্থা করতে হবে।
৪। সকল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫। অবিলম্বে চট্টগ্রামের স্থায়ী সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পরিকল্পিত মেগা সিটি হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে হবে।

বার্তা প্রেরক
মাওলানা তরিকুল ইসলাম
প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম মহানগর।

Want your organization to be the top-listed Government Service in Chittagong?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Telephone

Address

Chittagong

Other Political Organizations in Chittagong (show all)
শেখ ফজলে শামস ও মাঈনুল হোসেন খান এর সমর্থক- চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ শেখ ফজলে শামস ও মাঈনুল হোসেন খান এর সমর্থক- চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ
Chitttagong
Chittagong

This is the official page s supporters of Sheikh Fazle Shams Parash, the Chairman & Mainuddin Hossain Khan ,The Gr.Secretary of Bangladesh Awami Jubo League.

আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম শাখা আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম শাখা
International Islamic University Of Chittagong
Chittagong, 4318

তোমাদের কলম হোক শোষন মুক্তির হাতিয়ার। -জাতির পিতা বঙ্গবন্

Islami Andolon FirozShah পশ্চিম ফিরোজশাহ Islami Andolon FirozShah পশ্চিম ফিরোজশাহ
Akbarshah
Chittagong, 4209

Bangladesh Islamic Political Party (Akbarshah Thana)

Zafar & Son's Zafar & Son's
Chittagong, 4003

চরম ত্যাগ স্বীকার ছাড়া কোন দিন কোন জাতির মুক্তি আসেনি *শেখ মুজিবুর রহমান*

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ১১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ, হালিশহর থানা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ১১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ, হালিশহর থানা
I-Block, Halishahar
Chittagong, 4217

নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার

Akramul hoque Rasel Akramul hoque Rasel
Chittagong

সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্র?

BNP News 24.Com BNP News 24.Com
Chittagong, 7431

BIJOY SQUAD BIJOY SQUAD
Chittagong

এ পথের যাত্রা বহুদূর, সঙ্গী হও বলবোনা তবে মনেপ্রাণে পাশে চাই তোমাদের সবসময়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খুলশী থানা শাখা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খুলশী থানা শাখা
Chittagong

মুক্তির মূলমন্ত্র, ইসলামী শাসনতন্ত্র!

দোহাজারী থানা শাখা দোহাজারী থানা শাখা
Chittagong

দোহাজারী পৌরসভা, ধোপাছড়ি ও খাগরিয়া ইউনিয়নের সমন্বয় দোহাজারী থানা শাখা চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।