Central Library, Southern University Bangladesh
To know about learning materials of Southern University Bangladesh.
Southern University Bangladesh
Annual Sports 2023
Admission Fair Spring-2023
13th Sep-16th Sep 2022
Southern 2nd Convocation 2022
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
Southern Undergraduate Programs
BBA Total Cost=3,00,000/-
LLB Total Cost= 3,00,000/-
ELL Total Cost= 2,25,000/-
CSE (4 years) Total Cost= 3,45,000/-
EEE (4 years)Total Cost= 3,45,000/-
ECE (4 years)Total Cost= 3,45,000/-
Civil (4 years)Total Cost= 3,45,000/-(IEB)
B. Pharm Total Cost= 4,05,000/-
Undergraduate Programs(For Diploma Holders)
CSE (3.6years, 7 sem,) Total Cost= 3,05,000/-
ECE (3.6years, 7 sem,) Total Cost= 3,05,000/- EEE (3.6years, 7 sem,) Total Cost= 3,05,000/-
CIvil (3.6years, 7 sem,) Total Cost= 3,05,000/-
বি.দ্রঃ এখানে প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট এর টোটাল খরচ দেওয়া হয়েছে।SSC and HSC/Diploma মোট রেজাল্ট এর উপর ভিত্তি করে আথির্ক সহযোগিতাতো থাকছেই।
Admission Going on Spring 2022
ভর্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলী।
১। SSC / সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ২.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ।
২। HSC (ভোকেশনাল) উত্তীর্ণ শিক্ষারথীরা ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে শূন্য আসনে ৪র্থ পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
৩। HSC (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শূন্য আসনে ৩য় পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
৪। ২০১০ সলের পর থেকে ছাত্র-ছাত্রীরাও আবেদন করতে পরবে ।
শর্তাবলী
১. ভর্তি আবেদন গ্রহন হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভর্তি ফি প্রদান করতে হবে।
২. ভর্তি ফি অফেরৎযোগ্য
৩.বিকাশ পেমেন্ট করার পর প্রাপ্ত ট্রানজেকশন আইডি এসএমএস মাধ্যম জানাতে হবে।
৪. ভর্তি কার্যক্রম সম্পন হলে ইমেইল বা এসএমস এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভর্তি রোল জানিয়ে দেওয়া হবে ।
৫. ভর্তি বাতিল করতে চাইলে সরাসরি ক্যাম্পাসে এসে যোগাযোগ করতে হবে।
All activities are now at permanent campus.
Admission, Classes, Examination
ADMISSION Session 2021-2022
4 Years Diploma In Engineering
Diploma In Computer
Diploma In Civil
Diploma In Electrical
Testimonial
I had completed my graduation in spring 2021 Department of EEE Southern University Bangladesh. I have taken part CUET post graduation admission test 2020-2021 Session in 3 depertments . By the mercy of Allah (swt) I have selected all 3 depertment and got admitted in M.Sc in Electronics and Telecommunication Engineering. This success is dedicated by support and motivation of our all teachers and staffs of Southern. I am grateful to (EEE)Southern University .
If you be honest and hard Working, success will surrender to you.
Mohammad Anwar Hossain
Graduated from EEE
Hult Prize at Southern University Bangladesh.
• হাল্ট প্রাইজ কি?
- বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব্যাবসায় উদ্যোগ প্রতিযোগিতা হিসেবে "হাল্ট প্রাইজ" পরিচিত। এই প্রতিযোগিতাকে "শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার" হিসেবে আখ্যায়িত করেন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্ট। হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন হলো জাতিসংঘ ও বিল ক্লিংটন ফাউন্ডেশনের একটি সম্মিলিত আয়োজন। এই প্রতিযোগিতার সম্পৃক্তিতে প্রতিবছর বিল ক্লিংটনের (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট) আমন্ত্রণে ১২১টিরও বেশি দেশ, ৩০০০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী এক একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জে নেমে পড়ে। সমস্যার চমৎকার সমাধানের সাথে ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করার এই দারুণ প্রচেষ্টার প্রতিযোগিতায় ১মিলিয়ন ইউএস ডলার জিতে নেয় বিজয়ী দল। যা বাংলাদেশের অর্থ ব্যবস্থায় প্রায় "সাড়ে আট কোটি" টাকার সমান। ২০০৯ সালে, Hult International Business School এর MBA শিক্ষার্থী আহমেদ আশকার(Ahmed Ashkar) বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের জন্য যুগান্তকারী এই ধারণার প্রস্তাব করেন।
• বাংলাদেশে হাল্ট প্রাইজ :
- হাল্ট প্রাইজ বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার লোক নিয়ে দেশের এক নাম্বার স্টার্ট-আপ প্রোগ্রাম হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই যাত্রা ২০১৫ সালে বুয়েটে শুরু হয় এবং একই বছর ৩ টি ক্যাম্পাস রাউন্ডের আয়োজনও করা হয়। ২০১৭ সালে ১৯ টি ক্যাম্পাস রাউন্ড ইভেন্টের মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া লাভ করার পর ২০১৮ সালে তা হয়ে যায় ৫১ টি ক্যাম্পাস রাউন্ড। ২০২০ সালে ১০১ টি ক্যাম্পাস রাউন্ড ইভেন্ট সফলভাবে আয়োজন করে হাল্ট প্রাইজ বাংলাদেশ। এইভাবে হাল্ট প্রাইজ বাংলাদেশ এখন বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা, প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বিনিয়োগকারীদের নিজস্ব সম্প্রদায় তৈরি করেছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মে তার সার্থকতা দেখিয়েছে যেখানে আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে ১০০ টিরও বেশি দল ছিল।
হাল্ট প্রাইজের যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশে ২০১৫ সালে। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রত্যেক বছর অত্যন্ত সফলতার সাথে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বব্যাপী এই আয়োজন। সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে হাল্ট প্রাইজ বিজনেস কম্পিটিশন।
• হাল্ট প্রাইজ সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ :
- আপনি যদি সাউদার্নে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, সহজেই আপনি 'হাল্ট প্রাইজের' আয়োজক দলের একজন হয়ে উঠতে পারেন। ইতিমধ্যে হাল্ট প্রাইজ সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি এ আয়োজক দলের জন্য সদস্য নির্বাচন শুরু হয়েছে।
• যেসকল ক্যাটাগরিসমূহে আয়োজক দলটি নির্বাচিত হবে :
★ Co campus director
★ Chief of Staff
★ Judges and Experts Management
★ Team Management
Event Management
★ IT Management
★ Marketing and Promotion
★ Creative Visuals(Graphics+Videography+Content Writing)
★ Sponser management
★ General Volunteer
• ক্যাটাগরিসমূহের বর্ণনাঃ
★ Chief Of Staffs :
1. Maintaining the co-ordination between each depts (প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের মধ্যে সমন্বয় সাধন)
2. The primary solvation of a problem (যেকোনো সমস্যার প্রাথমিক সমাধান)
3. Ensuring that everything is handled properly on the day of the event (ইভেন্টের দিন সবকিছু সঠিকভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে তা নিশ্চিত করা)
4. Reporting every step to the Director (প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে ডিরেক্টর অবহিত করা)
5. Hosting Department Sessions (ডিপার্টমেন্ট সেশন উপস্থাপন করা)
★ Judges & Experts Management :
1. Manage Judges and experts (বিচারকমণ্ডলী এবং বিশেষজ্ঞ নির্বাচন)
2. Providing them best information about the event (ইভেন্ট সম্পর্কে তাদের যথাযথ তথ্য প্রদান)
3. Choosing them wisely as related to the topic (উত্তম বিবেচনার মাধ্যমে বিষয় সম্পর্কিত অভিজ্ঞ নির্বাচন)
★ Team Management :
1. Supporting every team with tidings (প্রতিটি দলকে সঠিক তথ্য প্রদান করা)
2. Answer all the queries of the participants (অংশগ্রহণকারীদের প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর প্রদান)
3. Hosting Training Sessions and workshops for the Team (টিমের জন্য ট্রেনিং সেশন এবং কর্মশালার আয়োজন ও উপস্থাপন করা)
★ Event Management :
1. Make sure every depts. submit their work before deadline (প্রতিটি বিভাগ যেন সময়সীমার পূর্বে তাদের কাজ জমা দেন তা নিশ্চিত করা)
2. Maintaining the schedule (সময়সূচী বজায় রাখা)
3. Make a financial plan (একটি আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন)
4. Planning the event outline (ইভেন্টের রূপরেখা পরিকল্পনা করা)
5. Documentation of the whole Event (webinar recordings, forms etc) (সম্পুর্ণ ইভেন্টের ডকুমেন্টেশন)
★ IT Management :
1. Dynamic Mailing (ডাইনামিক মেইলিং)
2. Excel Sheet Management (এক্সেল শিট মেনেজ)
3. Web Page Management (ওয়েব পেজ মেনেজ)
★ Marketing and Promotion (Unikorn Curator) :
1. Marketing Through social media (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা করা)
2. Finding and Managing suitable Sponsorship (যথাযথ পৃষ্ঠপোষক ব্যবস্থাপনা )
3. Manage posts at the Unikorn platform (হাল্ট প্রাইজের ডিজিটাল মিডিয়া ইউনিকর্ণ এ পোস্ট ব্যবস্থাপনা)
4. Manage publication in Printing and Electronic Press (প্রিন্টিং এবং ইলেকট্রনিক প্রেসে প্রকাশনা পরিচালনা করা)
★ Creative Visuals (Graphics + Videography + Content Writing) :
1. Posters for the page and each OC members (সামাজিক মাধ্যম এর পোস্ট এবং আয়োজক দলের জন্য পোস্টার তৈরী)
2. Maintain graphical aesthetics (গ্রাফিক্যাল নান্দনিকতা বজায় রাখা)
3. Editing Video enhanced with animation (এনিমেশন এর সাথে ভিডিও সস্পাদনা)
4. Writing Contents for Posts and Email (পোস্ট এবং ইমেইলের জন্য বিষয়বস্তু লিখা)
Application Deadline: Will be published soon.
Application link: https://forms.gle/pXKusAmU1VzptY3g9
Admission Fair September 7 & 8 at permanent Campus
Welcome to Southern University !
Admission Fair, Fall 21 will be started on 7 & 8 September at Arefim Nagor,
Southern Permanent Campus.
Taking Application for Fall 2021
জাতি কোন শিক্ষকদের কথা শুনবে
ভদ্রতা ও সৌজন্যতা শিক্ষা পরিবার থেকে পেয়ে থাকলেও শিক্ষকের আচার—আচরণই অনেক বেশি প্রভাবিত করে শিক্ষার্থীদের। তাদের কাছে শিক্ষকের আদর্শই অনুকরণীয়—অনুসরণীয়। যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। শিক্ষার্থীরা যখন খারাপ আচরণ করে, তখন বুঝতে হবে শিক্ষক তাঁর আচার—ব্যবহার, ব্যক্তিত্ব দ্বারা শিক্ষার্থীদের মন—মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারেননি। সমাজে দুনীর্তি অনৈতিকতা বিস্তার হওয়ার অন্যতম কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুদ্ধ চর্চার বিকাশ না হওয়া ও প্রকৃত শিক্ষকের অভাব । আজ সামাজিক বাস্তবতার দৃশ্যত চিত্রই বলে দিচ্ছে তাঁদের ব্যবহার, ব্যক্তিত্ব দ্বারা শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত নয় অথচ সুন্দর সমাজ গঠনে শিক্ষকের ভূমিকাই মুখ্য।
শিক্ষক সমাজ হলো আদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি সুশিক্ষিত জাতি গড়ার কারিগর। সুশিক্ষা একটি জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দেয়। সমাজে আলোকিত মানুষ গঠনে একজন শিক্ষকের অবদান অনস্বীকার্য। আলোকিত মানুষ তৈরি করার মাধ্যমেই কেবল গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন সম্ভব। যেহেতু শিক্ষকগণ দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক তৈরি করেন সেহেতু একজন শিক্ষকই তৈরি করতে পারেন একজন ভালো শিক্ষক, বিচারক, প্রশাসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী ।
অমরা ঐ ধরনের শিক্ষকের কথাই শুনতে চাই। যারা সরকার বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন নীতিমালায় নৈতিক আচরণ—বিধি মেনে চলেন। প্রত্যেক শিক্ষকের দেশপ্রেম, রাষ্ট্রীয় সংবিধানের প্রতি সম্মান, দেশিয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করা এবং শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে উজ্জীবিত এবং দৃঢ় প্রতীজ্ঞ করে তুলবে । দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও সুশাসিত স্বদেশ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করবে। একজন শিক্ষক শিক্ষা ও গবেষণামূলক বা পরীক্ষামূলক কাজে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবেন তবে এমন কিছু করবেন না যা রাষ্ট্র এবং সমাজের স্বার্থের পরিপন্থী । শিক্ষক সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ব—ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও মানুষে মানুষে সহমর্মিতাবোধ এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলবে ।
প্রত্যেক শিক্ষককের দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকবে । ইতিহাসের প্রতিটি ইতিবাচক অর্জনের কথা যেমন বৃটিশবিরোধীসহ, ’৫২—এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২—এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯—এর গণ—অভ্যুত্থান, ’৭১—এর মুক্তিযুদ্ধ ও ’৯০—এর গণ—আন্দোলন, তরুণদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা শিক্ষার্থীদের জানানো। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, লক্ষ্য ও চেতনাকে অর্থাৎ দেশাত্মবোধ, জাতীয়তাবোধ, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সততা, নৈতিক মূল্যবোধ, নিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িক—চেতনাবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃঙ্খলা, সৎ জীবনযাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্য, অধ্যবসায় নারী—পুরুষের সমান অধিকার ইত্যাদি মূল্যবোধগুলোর প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকা।
শিক্ষকের কাজ বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা তথা সামাজিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, আইনগত বিচার বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখা।
শিক্ষক কোন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরণ বা প্রচারণা চালাতে পারেন না এবং কোন রাজনৈতিক দলের সদস্যও হতে পারেন না। নিজস্ব ধর্ম পালনে বা উপাসনালয়ে যাওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা তিনি ভোগ করবেন। কিন্তু অন্য আদর্শ বা বিশ্বাসের বিরূদ্ধে কোন নেতিবাচক মতামত বা প্রভাব বিশেষভাবে বর্জনীয়। তাঁর পদ , প্রাতিষ্ঠানিক বা রাজনৈতিক শক্তির অপব্যবহার করতে পারেন না।
অধিকার লঙ্ঘন, নারী—পুরুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে বিরত থাকা সহ সকল শিক্ষার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন। শিক্ষা—প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন শিক্ষার্থী বা অভিভাবককে কোনরূপ বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন না করা । ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী—পুরুষভেদ, অর্থনৈতিক অবস্থান বা জন্মস্থানের কারণে কারো প্রতি বৈষম্য, কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের সুবিধা প্রদান না করা ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কোন শিক্ষার্থীর সাথে কোন শিক্ষক বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন না। শিক্ষার্থী—সহকর্মী অথবা অন্য কারো সাথে কোন অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন, দৃষ্টিকটু মেলামেশা বা অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উদ্বুদ্ধ বা প্ররোচিত করা, অর্থাৎ একজন শিক্ষক সামাজিক রীতি—নীতির মধ্যেই থাকবেন ।
মাদক বা নেশা জাতীয় দ্রব্য, জুয়া, আত্মমর্যাদা বিঘ্নিত হয় বা সামাজিকভাবে হেয় বলে প্রতীয়মান এ ধরণের অনৈতিক কার্যক্রম থেকে একজন শিক্ষকের বিরত থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।
প্রত্যেক শিক্ষককে অবশ্যই শারীরিক, মানসিক এবং নৈতিকভাবে যোগ্য হতে হবে। মানসম্মত দক্ষ নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকই পারেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ ও দুর্নীতিবিরোধী চেতনা সৃষ্টি করতে।
একজন নিবেদিত কর্মনিষ্ঠা শিক্ষক নিজস্ব নৈতিক মূল্যবোধ উপস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উন্নত চরিত্র গঠনে, জনগণ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করতে অবশ্যই সহায়তা করবেন। তাঁর নিজ দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে পালন করবেন। নিয়মানুবর্তিতা তাঁর এক অন্যতম যোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।
শিক্ষকের আচরণ রূঢ় না হয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ হবে। পাঠদানে থাকবে সৌজন্যবোধ এবং শিষ্টাচার । আচরণে শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষুদ্ধ, বেদনাহত বা অপমানিত না হয় এ বিষয়ে সচেষ্ট হতে হবে শিক্ষকের। স্বার্থপরতা ও নিষ্ঠুরতা উপেক্ষা করে মমতা, সহানুভূতি, ইত্যাদি সুকুমার বৃত্তিগুলোর প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা। অশুদ্ধ ভাষায় শিক্ষাদানে বিরত থাকা। এজন্য ভাষায় পারদর্শিতা অর্জনে সচেষ্ট হওয়া। প্রত্যেক শিক্ষককে মননশীল, যুক্তিবাদী, নীতিবান, নিজের এবং অন্যান্য আদর্শ—বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কুসংস্কারমুক্ত, পরমতসহিষ্ণু, বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার দক্ষতা অর্জন করা একজন শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য।
জোর না করে শিক্ষক এমনভাবে শিক্ষাদান করবেন যাতে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হয় এবং সৃজনশীল, দক্ষ ও পেশাদার মানবসম্পদে পরিণত হয়। মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে বিকশিত ধারা বা কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধিৎসু মননের অধিকারী করতে শিক্ষকদের উদ্যোগী হওয়া। শিক্ষককে কখনই শিক্ষার্থীরা যেন ভীতিকর না ভাবে। শিক্ষক শ্রেণীকক্ষকে শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয়, নিরাপদ ও আনন্দময় করে তুলবে। শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাসকে জোরদার করতে তাদেরকে সম্মানের সাথে সম্বোধন করা এবং শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে সহযোগী ভূমিকা পালন করে পাঠদান করা।
বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে প্রত্যেক শিক্ষক নিজে উপস্থিত থাকবেন এবং শিক্ষার্থীদেরকে দিবসগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সম্পৃক্ত করে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ—সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা।
শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ কালে একে মহান পেশা হিসেবে গণ্য করা। পাঠদানে উচ্চতম মান বজায় রাখতে গতানুগতিক পদ্ধতি পরিহার করে আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত, যুগোপযোগী, যুক্তিসম্মত বিষয়ে পাঠদান এবং নিত্যনতুন সমাজ উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন যাতে তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে জ্ঞাত হতে পারেন। কোন ক্রমেই কারো বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা অভিযোগ আনবেন না। কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে এবং অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলেও তিনি শুধুমাত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে গোপনে সেটা জ্ঞাত করবেন। আত্ম—উন্নয়নের জন্য অন্যান্য শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। ব্যক্তিগত যে কোন সমস্যা সমাধানকল্পে গোপনীয়তা বজায় রেখে পরামর্শকের ভূমিকা পালন করবেন।
শিক্ষক ব্যক্তিস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন কাজে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে পারেন না। একজন শিক্ষক তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষার্থীকে নিজের কাছে প্রাইভেট পড়ানো এবং কোচিং সেন্টারে পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন না। প্রতিষ্ঠানের আদিষ্ট হয়ে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে শিক্ষক আত্মপ্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় জনগণই তাঁকে মূল্যায়ন করবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে কোন সাফল্যকে নিজের একক সাফল্য বিবেচনা না করে যৌথ সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা উচিৎ।
শিক্ষকতা শুধু একটি বৃত্তি বা পেশা নয় বরং এটি একটি আরাধনা। অতি প্রবিত্র দায়িত্ব । আদর্শ ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকের জ্ঞান ও গুণে মুগ্ধ শিক্ষার্থী শিক্ষককে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করে। যদি একজন শিক্ষক বিধি—নিষেধ মেনে চলেন এবং এর ইতিবাচক দিকগুলো প্রয়োগ করেন, তবেই তিনি যথার্থ শিক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন । মানুষ গড়ার কারিগরদের কাছ থেকেই দেশ আশা করে নিবেদিত, আদর্শবান, প্রকৃত দেশপ্রেমিক, বিজ্ঞানমনস্ক আলোকিত মানুষ। তাঁর আলাপে বা কথোপকথনেও থাকবেনা কোন অশ্লীলতা, সহিংসতা, উগ্রতা বা অশোভনীয়তা ।
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানুষ গড়ার কারিগরদের কারখানা । বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সরকারি—বেসরকারি বিভাজন করা যেমন বৈষম্য তেমনি বেসরকারি শিক্ষার্থীদেরকে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে বাধা দেওয়াও বৈষম্য তৈরি করে এবং তা অনৈতিক । বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর আরোপ করা মানে শিক্ষাকে বিভাজন করা , শিক্ষাকে বাণিজ্যে পরিণত করা এবং মুনাফা অর্জনের পথকে আরও প্রশস্ত করা । নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি সুশিক্ষিত জাতি গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে স্ব স্ব স্থান থেকে বিভাজন বৈষম্য পরিহার করে শুদ্ধ চর্চার মানষিকতা গড়ে তুলা ।
প্রফেসর সরওয়ার জাহান
প্রতিষ্ঠাতা, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি ও টেকসই উন্নয়নকর্মী
(দখিনা; পূর্বদেশ)
Professor Dr. Ishrat Jahan, Joined as Dean of Business Administration
Professor Dr. Ishrat Jahan joined as Dean Faculty of Business Administration. She started her teaching career in the year 1999 as an Instructor.
Professor Dr. Ishrat Jahan has over 22 years of experience within the education sector, research, teaching design, and implementation of projects in the field of higher education in Bangladesh. In the year 2002 Professor Dr. Ishrat Jahan joined Southern University, shortly after she had organized the Department of Business Administration. Under her leadership and close supervision, the Department of Business Administration is one of the leading Business schools in Chattogram.
Professor Dr. Jahan currently serving as a professor and the Head of, Department of Business administration and the coordinator of General Education (GEd) at Southern University. She is also holding Director of Institute of Quality Assurance Cell (IQAC) at Southern.
Professor Jahan received her Bachelor's and Master’s Degree in Public Administration from the University of Chittagong. She completed her MBA in Finance. Dr. Jahan received her MPhil & Ph.D. from the University of Chittagong in Finance and Banking. Her Ph.D. research title was “Portfolio Management Policy and Performance of Some Asset-Management Company in Bangladesh – An Evaluative Study”. She is the co-author of Finance, Banking, and Insurance under NCTB (XI & XII class Book). Over 20 journal articles and other research papers on an array of finance and economics topics. Professor Jahan’s research focuses on Financial Institutions, assessing the sources of productivity growth and sustainability Development of Higher Education.
She has been involved in the Higher Education Quality Enhance project (HEQEP) as a team leader. HEQEP is a joint project of the World Bank and the Ministry of Education. Her responsibilities have ranged from financial and administrative management of projects, designing and managing projects; monitoring, auditing and evaluating; developing training material; facilitating workshops and giving presentations at conferences.
Professor Ishrat is involved in many social and cultural welfare activities. She attended and gave a number of research presentations during past years in local & International seminars and conferences and has had many publications in peer-reviewed journals during the past twenty-two years.
She teaches several graduate & undergraduate courses on Mathematics for Decision Making, Financial Management, Statistics, and Research Methodology, etc. In 1992 Dr. Ishrat was financially awarded from the University of Chittagong and 1989 from Comilla Board for academic performances.
She visited over 15 countries throughout North America, Middle East & Asia.
Let's welcome Dr. Ishrat Jahan as the Dean, Faculty of Business Administration and wish her all the best.
Registrar
Southern University Bangladesh.
Eid Mubarak
তরুণ উদ্যোক্তা এবং কোরবানির গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই মূলত পশু কোরবানি। ঈদ এলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা গবাদিপশু সংকটে বা কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। একসময় পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যেত, সীমান্ত বন্ধ, গরু আসবে কিনা সন্দেহ, সীমান্তে বাংলাদেশিদের অপহরণ, গুলি করে হত্যা। আবার কোন সময় দেখা যেত পথে পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি ইত্যাদি, যা কোরবানির সময় নানাবিধ মৌসুমী সমস্যা। আর এখন কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষার অভাবে কোরবানির গরু কেনা-বেচা সকলের কাছে সমস্যা হয়ে গেছে। তবে কথায় বলে যত মুশকিল, তত আসান। অর্থাৎ সমস্যা যতই হোক না কেন সমাধানের উপায়ও আছে। প্রয়োজনের তাড়নায় নতুন নতুন সম্ভাবনা দেখা যায়। বিভিন্ন দুর্যোগ থেকে আমরা উঠে এসেছি। তলা বিহীন ঝুড়ি থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণে পরিণত হয়েছে দেশ। অনেকের ধারণা ছিল বিদেশ থেকে গরু না আসলে কোরবানি হবে না। সময় পাল্টেছে, বাংলাদেশিরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সেদিন আর বেশি দূরে নয় পৃথিবী বলবে, আমরা বাংলাদেশীদের মত হব। ঘুরে দাড়ানো বাংলাদেশ অনেকের কাছেই বিস্ময়। ২০২১-২০৪১ মধ্যেই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে তরুণরাই। শুধু প্রয়োজন প্রশাসনিক উদারতা এবং শ্রেণী বিন্যাস, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা, ন্যায় এবং আইনের শাসনের বাস্তবায়ন। তখন এই দেশের উন্নয়নকে কেউ ধরে রাখতে পারবে না। সঠিক পরিকল্পনাই নিয়ে যাবে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে। শত বৎসরে সুযোগ একবারেই আসে। ২০৪১-এর পর তরুণরা আর তরুণ থাকবে না ।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর বেশি মুনাফার আশায় অসাধু পশু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটা-তাজাকরণ করে বাজারে নিয়ে আসে। স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা গরু দেখতে আকর্ষণীয়, চকচকে ও হৃষ্টপুষ্ট হয়। বিভিন্ন ধরনের ঔষধ, ইনজেকশন ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে কোরবানির পশুকে মোটাতাজা করে থাকে অসাধু ব্যবসায়ীরা, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে পানি জমে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মূত্রনালি ও যকৃতের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব ক্ষতিকর উপাদান রান্নার পরও মাংসে থেকে যায়। এই মাংস খেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। দেশে প্রায় এক কোটি গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া কোরবানি দেওয়া হয় যার প্রায় ৭০ ভাগই গরু। সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী সুন্দর মোটাতাজা গরু কোরবানি দিতে চান। অনেক সময় গরু মোটা পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু সুস্থ পাওয়া যায় না।
কিছু বিষয় জানা থাকলে সুস্থ এবং ঔষধ খাইয়ে কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা পশু চেনা যায়। পশুকে স্টেরয়েড বা হরমোন প্রয়োগ করা হলে তা পশুর প্র¯্রাব বন্ধ করে দেয়। ফলে পশুর চামড়ার নিচে পানি জমতে থাকে এবং তা ফুলে যাওয়ায় পশু স্বাস্থ্যবান দেখায়। মৎস্য খাদ্য পশু খাদ্য আইন ধারা ১৪তে বলা হয়েছে, গবাদি পশুর হৃষ্টপুষ্ট করণে কোন প্রকার হরমোন স্টেরয়েড এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। অসাধু পশু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করলেও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন শিক্ষিত তরুণ খামারিরা।
বিদেশ থেকে গরু আসা নিয়ে সংকট, অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য, অস্বাস্থকর পশু কোরবানী থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যই দেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা গবাদিপশু লালন-পালনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। অনেকে মূল পেশার পাশাপাশি এসব খামার গড়ে তুলছে। ঢাকায় ছাদের উপর গরুর খামারের সংবাদ পাওয়া যায়। নানা প্রতিবন্ধতকতাকে উপেক্ষা করে প্রতিবছর দেশে নতুন গবাদিপশুর খামার যুক্ত হচ্ছে। মূলত, কোরবানির হাট ও দুধ বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে শুরু হওয়া এসব খামারের বেশির ভাগ উদ্যোক্তা হচ্ছে শিক্ষিত তরুণ। এসব তরুণ কোরবানির হাটে যে পরিমাণ গরু-ছাগলের যোগান দিচ্ছে, তাতে বিদেশ থেকে আর আমদানির দরকার হবেনা। উল্টো দেশের গরুর চাহিদা মিটিয়ে গরু উদ্বৃত্ত সম্ভব হবে।
উচ্চশিক্ষিত এসব তরুণের গরুর খামার কেউ যদি দেখতে চান, তাহলে খুব বেশি দূর যেতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তিনজন শিক্ষার্থী নিজেদের প্রয়োজন মিটাতে পছন্দমতো গরু কিনে আরেফিন নগরে এফ এন এফ অ্যাগ্রো ফার্মের নামে গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করে। গত তিন-চার বছরে গড়ে ওঠা এসব খামারে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। এসব যন্ত্র ও প্রযুক্তি দিয়ে খামারের বাইরের ও ভেতরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রত্যেকটি গরু সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে কাঁচা ঘাস, খড়, তিলের খৈল, ছোলার খৈল, মটরসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়। গরুর চাহিদা থাকায় প্রতিবছর অনেকে খামার থেকেই গরু কিনতে চায়। বিশেষ পদ্ধতিতে পালন করা এসব গরু প্রতি শহুরে ক্রেতাদের কাছে অনেক আগ্রহ দেখা যায়। অন্তত: ছয় মাস আগে থেকে বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত বাজার থেকে এই গরুগুলো নিয়ে আসা হয়। তবে বাজারের প্রচলিত ধরনের গরুর চেয়ে এ ধরনের গরুর দাম একটু বেশি। কোন ধরনের ঔষধ ব্যবহার না করে, স্টেরয়েড না খাইয়ে যে গরুটা পালা হচ্ছে, এটাই অর্গানিক গরু। খড়, ঘাস, ভুষি, তারপর ভুট্টার সাইলেজ খাইয়ে সুস্থ রাখা হয় গরুগুলোকে।’ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ার কারনে অর্গানিক পদ্ধতিতে পালন করা গরুর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। দেশীয় খাবার ছাড়া অন্য কোনো ভিটামিন খাওয়ানো হয় না। এতে খামারের গরুর শরীরে চর্বি কম, মাংস বেশি থাকে। ফলে খামারের গরুর মাংস স্বাদ বেশি। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ঠিক কতগুলো খামারে অর্গানিক পদ্ধতিতে গরু পালন করা হচ্ছে তার সঠিক হিসেব নেই। অর্গানিক পদ্ধতিতে পালন করা গরুকে যেসব জিনিস খাওয়ানো হয়, সেসবও তো আমাদের দেশেই তৈরি হয়। এ খাতে যদি সহযোগিতা পাওয়া যায় খামারিরা উৎসাহিত হবে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমবে, সর্বপরি সুস্থ গরু পাওয়া যাবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে খামারে আসা ক্রেতার সংখ্যা কম এবং মানুষ নানা সঙ্কটে। এবারের ঈদে অর্থ সংকটের কারণে অনেকেই কোরবানি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে। আর পশুর হাটে মানুষের ভিড় বেশি হওয়ার সম্ভাবনায় করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকেই হাটে আসবে না। আর অনলাইনে আস্থার অভাবে পশু বিক্রি কেমন হবে তা নিয়েও অনেকে শঙ্কায় রয়েছে। যে কারণে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর সংখ্যা বেশি থাকা সত্তে¡ও পশু কম বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। আর গত বছরের তুলনায় এবারের গো খাদ্যের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। এজন্য পশু পালনে তাদের খরচও অধিকাংশে বেড়ে গেছে।
সা¤প্রতিক বছরগুলিতে কোরবানির প্রাণী বেচা-কেনার জন্য ই-কমার্স প্লাটফরমগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা দেখা যাচ্ছে । যত্র-তত্র হাটের চেয়ে খামারিদেরকে আরও বেশি গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে, ই-কমার্স প্লাটফরমগুলো আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। গরুর হাটগুলোতে প্রচুর নগদ লেনদেন ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেবে। অর্থ প্রদানের সুবিধার্থে এবং এই ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য, মোবাইল মানি অ্যাপের মতো ডিজিটাল সেবাগুলোর ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে রাজনীতিবিদরা ঠিকাদারিসহ শিল্প কারখানা ও বিভিন্ন ব্যবসায় মনোনিবেশ করলেও অনেক তরুণ চলছেন ভিন্ন পথে। বর্তমানে দেশের অনেক তরুণ এগ্রোভিত্তিক খামারে বিনিয়োগ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে অর্থনীতির অন্যান্য খাত চাপের মুখে থাকলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রতিবছর যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারের সংখ্যা। এ কারণেই গবাদি পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। কোরবানিকে সামনে রেখে বিশুদ্ধ উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণের যে উৎসাহ খামারিদের তৈরি হয়েছে, খামারিদের এই উৎসাহ ধরে রাখতে হবে। শুধু কোরবানি নয়, সারাবছরের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে মাংস রফতানি করারও উদ্যোগ নিচ্ছেন এ খাতের বিনিয়োগকারীরা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে হালাল মাংস আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ।
লেখক: বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর এবং টেকসই উন্নয়ন কর্মী
https://dailypurbodesh.com/তরুণ-উদ্যোক্তা-এবং-কোরবা/
চাকরীতে সন্তুষ্টির জন্য প্রয়োজন সঠিক লক্ষ্য ও পরিকল্পনা |
জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষকে কোনো না কোনো পেশায় নিয়োজিত থাকতে হয়। পেশা হিসেবে অনেকে চাকরিকে বেছে নিলেও কর্মক্ষেত্রে সবাই যে আত্মসন্তুষ্টিতে থাকেন এমন কিন্তু নয়। দেশে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত অনেকেই তাদের চাকরিতে বিবিধ কারণে সন্তুষ্ট নন। আর এই অসন্তোষের পেছনে প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী কাজের পরিধি, প্রত্যাশিত বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা, কর্মপরিবেশকে দায়ী করছেন তারা। তবে মানব সম্পদ উন্নয়ন গবেষকদের মতে চাকরিতে সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির বিষয়টি নির্ভর করে প্রত্যেকের লক্ষ্য ও পরিকল্পনার উপর।
দেশে ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সের জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয়, তারা মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা ৬৮ ভাগ বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুন করে ২২ লাখ কর্মক্ষম লোক চাকরির বাজারে প্রবেশ করে৷ কিন্তু কাজ পায় মাত্র সাত লাখ কর্মক্ষম মানুষ। কর্মক্ষম মানুষ যদি লক্ষ্য এবং সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে কর্মক্ষেত্রে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা আরো বাড়ানো সম্ভব বলেও মনে করেন মানব সম্পদ উন্নয়ন গবেষকরা।
কর্মক্ষেত্রে অসন্তুষ্টির অন্যতম কারণ হলো কর্মজীবী মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে পেশাদারিত্ব গড়ে না ওঠা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট কর্মজীবী প্রায় ৫ কোটি ৬৮ লাখ। এর মধ্যে সরকারি কর্মজীবীর সংখ্যা প্রায় ২১লাখ ও বেসরকারি খাতে রয়েছেন প্রায় ৫ কোটি ২০লাখ মানুষ। এই জনসংখ্যার কত জন সন্তুষ্টি নিয়ে বা খুশি মনে চাকরি করেন তা হয়তো জানা যাবেনা। তবে সন্তুষ্টি নিয়ে কিভাবে চাকরিতে মনোনিবেশ করা যায় তা জানা জরুরি।
জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা যদি সঠিক না হয় তাহলে চলার পথে অনেক সময়েই হোঁচট খেতে হবে নয়তো কাজের প্রতি আগ্রহ থাকবেনা। অনাগ্রহ থেকে শুরু হয় কাজের প্রতি অনীহা। আর অনীহা থেকেই সৃষ্টি হয় নেতিবাচক আচরণ। আবার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সম্পর্কের টানা পোড়েন থাকলেতো কথাই নেই। অনিহার কারণে একসময় নিজেকে ব্যর্থ মনে হবে। নিজের অবস্থার জন্য অন্যের উপর দোষ চাপানোর নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি হবে। সবচেয়ে বড় কথা শরীর মন ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যাবে।
কাজে সন্তুষ্টি দৃষ্টিভঙ্গি বা ব্যক্তিগত চাহিদার উপর নির্ভর করে।কাজের সন্তুষ্টির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। যেমন কাজের পরিবেশ। আবার অনেকের ক্ষেত্রে কাজের সন্তুষ্টি মাপা হয় কাজের ফলাফল কতটা ভাল-মন্দ তার ওপর। পারিশ্রমিক ও পুরস্কারের ব্যবস্থা সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অধিকাংশ কর্মীরা প্রায়শই জানেন না বা উপলব্ধি করতে পারেন না তাদের চাওয়া কি? অনেকে পদবী এবং যোগ্যতার ভারসাম্য বুঝতে অক্ষম। বিবেচনায় আনেন কেবল প্রতিষ্ঠানের সুযোগ সুবিধা ও বেতন-স্তরের বিষয়টি এবং কর্তৃপক্ষ কিভাবে তাদের অবদানকে মূল্যায়ন করে তার উপর।
তবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের তার নিজস্ব পদোন্নতির ব্যবস্থা থাকে যা কাজের সন্তুষ্টিতে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। যেমন, কেউ জ্যেষ্ঠতার জন্য পদোন্নতি পেয়ে কাজের সন্তুষ্টি উপভোগ করেন। আবার কেউ কাজের মূল্যায়নের উপর পদোন্নতি পান । এই পদোন্নতি কাজের সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টিতে বেশ ভাল ভাবে প্রভাব বিস্তার করে। আমাদের দেশের চাকরীজীবীদের বদ্ধমূল ধারণা হলো প্রতি বছরই বেতন বৃদ্ধি বা পদোন্নতি তাদের একটি অধিকার। অথচ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়মের সাথে কেবল জ্যেষ্ঠতা নয় বরং আর্থিক সম্পর্ক, কর্মদক্ষতা, কাজের প্রতি আন্তরিকতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত যা কর্মীরা বুঝতে চান না। অনেক সময় দেখা যায়-একজন ভালো কর্মী প্রতিষ্ঠানে টানা এক বছর ভালো কাজ করার পর হঠাৎ অমনযোগী হয়ে আগের মতো দক্ষতা দেখাতে পারছেন না। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো কাজের প্রতি অনিহা বা অসন্তুষ্টি। একজন কর্মী যখন তার লক্ষ্য অর্জনে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হন তখন কাজের ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হবেই । অসন্তুষ্টি শুধু অর্থেই সীমাবদ্ধ নয়, এর সঙ্গে জড়িত কর্মক্ষেত্র, ব্যক্তিগত সমস্যা ও পারিবারিকসহ নানা বিষয়।
প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে যারা কাজ করেন, তাদের ভালো রাখাও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক মনোভাব, সদিচ্ছা জরুরি। প্রতিষ্ঠান বলতে শুধু কোনো বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানই নয়, হতে পারে তা যেকোন অফিস। নিয়োগকর্তাকে বিবেচনায় নিতে হবে কর্মীদের চাহিদা কি এবং তা কতটুকু ন্যায্য । সন্তোষজনক পর্যায়ে থাকলেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকবেন। যদি বেতন বা সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে, কর্মীকে জানানো উচিত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা বা কর্মীর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে বেতন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় । উচ্চবিলাসী বা অলসরাই কেবল ভুল বুঝবে অন্যরা নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আর কর্মীদের মাঝে কোন দূরত্ব সৃষ্টি হওয়া উচিত নয়। এই দূরত্বও অনেক সময় কাজে অসন্তোষের কারণ হয়ে থাকে।
মনে রাখতে হবে চাকরিতে গতকালের কোন স্থান নেই, এখানে সব সময় ভাবতে হবে আজ এবং আগামী নিয়ে। ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় প্রতিষ্ঠান কি চায়, প্রতিষ্ঠানের আয়ের স্তর, কাজের স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নিয়েই চাকরি করা উচিত। কর্মক্ষেত্রে যদি কেউ মনে করেন তার গুরুত্ব নেই বা জ্যৈষ্ঠতার কারণে সময় কম দিবেন অথবা কাজে আগের মত পরিবেশ নেই তাহলে মন খারাপ না করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করা উচিৎ। ফলপ্রসূ আলাপ না হলে বিকল্প হিসেবে নতুন কর্মক্ষেত্র খোঁজা যেখানে খুশিমনে কাজ করা যায়।
চিকিৎসাবিদ ও গবেষকরা বলছেন, চাকরিতে অসন্তুষ্টি স্বাস্থ্য ও মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে। একজন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে চাকরির প্রতি তার অনুভূতির উপর। কর্ম জীবনের চাকরি নিয়ে যাদের সন্তুষ্টি কম, তারা হতাশা এবং দুশ্চিন্তায় ভুগেন বেশি। এতে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়েবেটিকসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে জটিলতায় রুপ নেয়। কর্মক্ষেত্রে অসন্তোষের কারণে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি কারো কাম্য নয়। সন্তুষ্টির প্রধান উৎস অবশ্যই কাজ। কাজের স্বাধীনতা, সফলতা এবং দায়িত্ববোধ কর্মীকে প্রতিষ্ঠানে আকর্ষণীয় করে তুলে।
কোনো প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ দিন কাজ করার পরেও অনেকের পদোন্নতি হয়না কিংবা বেতন বাড়েনা। এনিয়ে মানসিক চাপে থাকেন অনেকে। যার প্রভাব পড়ে পারিবারিক জীবনেও। চাকরিতে পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি নিয়ে কর্মীর নিজের প্রচেষ্টা না থাকলে প্রতিষ্ঠানেরও আগ্রহ থাকে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মনে করতে পারে পদোন্নতি প্রয়োজন নেই। তবে নিষ্ঠাবান কর্মী যেকোন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে হবে। কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট কিনা সেটি জানা দরকার। কর্মীর কাজে প্রতিষ্ঠান সন্তুষ্ট থাকলে কোনভাবেই পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধিতে কর্তৃপক্ষ সাধারণত কার্পণ্য করে না। কর্মীদের কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ দেখে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয় ।
জীবনের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সময় ব্যয় হয় কর্মক্ষেত্রের নানা কাজে। অধিকাংশ চাকরিজীবীর চাহিদা থাকে কাজের শর্ত, বেতন-সুযোগ সুবিধার প্রতি। এটি অবশ্যই গুরত্বর্পূণ। তবে কাজের প্রতি আন্তরিকতা, করণীয় কাজের দায়বদ্ধতাও গুরত্বর্পূণ যা অনেকে অবহেলা করেন। চাকরিতে মূলত সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টির কারণ হলো:- কাজের সঠিক পরিবেশ, ব্যবস্থাপনা, কর্তৃপক্ষের আচরণ, পারিশ্রমিকসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, দলগত কর্মীবাহিনী, কাজের স্বীকৃতি, বৈষম্য, কাজের চাপ ইত্যাদি। সুখ মনের একটি অবস্থা আর সন্তুষ্টি হ’ল ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা। উভয়ই একে অপরের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। অনেকেই চাকুরির পর কাজকে বা প্রতিষ্ঠানকে অবহেলা করে, অথচ প্রবাসীরা যেকোন কাজ আন্তরিকভাবে ঝুঁকি নিয়েই করেন। সঠিক পেশাদারত্ব নিয়ে দেশের মানুষ যদি দেশে আন্তরিকতার ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতো তাহলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হতো।
প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে ভালমন্দ নিয়ে চলে, কর্তৃপক্ষ কোন অবস্থাতেই চায় না তার কর্মীবাহিনী অসন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করুক। দায়িত্ব এড়িয়ে চলার অভ্যাস, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সমালোচনায় জড়ানোর কারণে কর্মীদের কাজের উপর প্রভাব পড়ে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা না থাকায় কিছুদিন কাজ করার পর অনেকের কাজে একঘেঁয়েমি চলে আসে, ফলে দায়িত্বে অবহেলা বিভিন্ন ধরনের অপেশাদারী অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। কর্মী যদি মনে করে এই কাজ বা প্রতিষ্ঠান বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে যথাযত মূল্যায়ন করছে না তাহলে মন খারাপ না করে অন্যত্র কাজ করাই ভাল । এতে মানসিক ও শারীরিক শান্তি আসবে এবং সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও টেকসই উন্নয়নকর্মী
https://dainikazadi.net/চাকরিতে-সন্তুষ্টির-জন্য/
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the organization
Address
Chittagong
4000
Opening Hours
Monday | 09:00 - 17:00 |
Tuesday | 09:00 - 17:00 |
Wednesday | 09:00 - 17:00 |
Thursday | 09:00 - 17:00 |
Friday | 09:00 - 17:00 |
Sunday | 09:00 - 17:00 |
10, NandanKanan
Chittagong, 4000
Hello beautiful people! We are here to serve you the best quality Paper Solution and the incredibly
Khaiyachara School Road, Baratakia-4320, Mirsarai
Chittagong
যাবতীয় অনলাইন সংক্রান্ত কাজ, ছবি,প্রিন্টিং,লেমিনেটিং ও ফটোকপি করা হয় এবং শিক্ষা সামগ্রী বিক্রয় করা হয়
Chittagong
Due to financial problems, many people are not able to develop their talents and move forward. We have taken the initiative to bring the help of knowledge to the people by building...
Hera
Chittagong, 400
HELLO FRIEND IAMCHANNEL- OR SUBASCRIBE MY CHANNEL--- মাষ্টার গ্রুপ প্যাকেজ মিডিয়া---ok thank u all...& BY.....
নিউমার্কেট এলাকা, চট্টগ্রাম
Chittagong, 4000
চট্টগ্রাম শহরে বই পড়তে/ পাঠাগারে বই পাঠাতে/ অর্থ সহযোগিতা করতে যোগাযোগ করুন ০১৬২১৯৯৯৩৩১
In Front Of Mohila Technical Training Centre, Polytechnical College Road
Chittagong, 4209
Lohagara
Chittagong, 4397
Sharing ideas and meet technological knowledge of veterinary medicine with the undergraduate students of different university of Bangladesh.