Islamic online for women
এটি শুধুমাত্র বোনদের জন্য
আল্লামা ইবনুল জাওযী রহ. বলেন, আমি একবার মসজিদে শুয়ে ঘুমাচ্ছিলাম। এক মৃতব্যক্তির জানাযা আমার ঘুম ভেঙ্গে দিলো। আমি মনে মনে দৃঢ় ইচ্ছে করলাম, আমি মৃতব্যক্তির জানাযায় শরীক হবো, বস্তুত যেমন ইচ্ছে করেছিলাম ঠিক তেমনই তার জানাযার নামাজ আদায় করলাম। জানাযার নামাজের পর পুনরায় ইচ্ছে করলাম, লাশের খাটের সাথে গিয়ে মাটি দিয়ে আসবো।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেন, ইবনুল জাওযী মৃতব্যক্তিকে চিনতো না, এমনকি কখনো তার চেহারাও দেখেনি।
এরপর ইবনুল জাওযী বলেন, লোকের দাফনের কাজ সুসম্পন্ন করে যার যার আপন নীড়ে ফিরে যায়। আমি তখনো একাকী গভীর মনোযোগ সহকারে নতুন কবরের পাশে বসা ছিলাম। আমি মনে মনে আল্লাহর কাছে এই বলে দোআ করতে লাগলাম, হে আল্লাহ! সবেমাত্র যে লোকটি আপনার সমীপে হাজির হয়েছে সে আপনার মেহমান। লোকটিকে আমি চিনি না, কখনো তার চেহারাও দেখিনি কিন্তু সে যদি কোনদিন আমার বাড়ীতে আসতো তাহলে সে আমার মেহমান হতো। আর আমি তাকে সর্বোত্তম আতিথিয়েতার ব্যবস্থা করতাম। আজ সে আপনার কাছে মেহমান অবস্থায় উপস্থিত হয়েছে আপনি তাকে সর্বোৎকৃষ্ট আতিথিয়েতার ব্যবস্থা করুন। আপনি তার দোষ, ত্রুটিগুলো মার্জনা করুন। আর আপনি তো সম্মানিতদেরও সম্মানিত।
ইবনুল জাওযী রহ. বলেন, আমি গোরস্থান ত্যাগ করে পুনরায় পূর্বের মসজিদ এসে ঘুমিয়ে পড়ি। আর আমি ছিলাম একজন মুসাফির। স্বপ্নে দেখলাম সাদা, দীপ্তিময়, উজ্জ্বল পোশাকে একজন লোক আমার কাছে এসে আনন্দময় চেহারায় জিজ্ঞাসা করলো, আপনি কি আমার জন্য নেক দোআ করেছিলেন, আমার মাগফিরাত কামনা করেছিলেন? আমি তাজ্জুব হয়ে অপলক দৃষ্টিতে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কে? প্রতিত্তোরে আগন্তুক লোকটি হাস্যজ্জ্বাল চেহারায় বললো, আমি ঐ মৃতব্যক্তি যার কবরের পাশে বসে আপনি কান্নাকাটি করেছিলেন। আল্লাহর কসম! আপনার দোআ আল্লাহ তায়া’লা কবুল করেছেন যার ফলে তিনি আমার দোষ ত্রুটিগুলো মার্জনা করেছেন।
সূত্র, মানারতু ইবনিল কাইয়্যিম।
#ফুআদমুবতাসিম (দিল খুশ কার দিয়া)
©
এই আইডির মালিক আর জীবিত নেই- এ ধরনের খবর যদি কখনো পান, অবাক হবেন না। নির্ধারিত হায়াত শেষে সে তার রবের কাছে ফিরে যাবে, এটা তো পুর্ব নির্ধারিত। বরং তার জন্য দুআ করুন, আল্লাহ যেন তার কবরের সুআল জবাবকে সহজ করে দেন। অন্ধকার কবর, তার জন্য একদমই নতুন এক স্থান। সে সেখানে একাকী নি:সঙ্গ। আল্লাহকে বলুন, আল্লাহ! তোমার বান্দা ভয় পাবে। তুমি তার সাথী হয়ে যাও।
তার দেয়া কষ্টগুলো দয়া করে মনে রাখবেন না। আপনার এসময়ের একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাসও হয়তো তার জন্য এত ভয়ানক শাস্তির কারন হবে, আপনি যদি আজ তাকে দেখতেন, রাগ ক্ষোভের পরিবর্তে তার জন্য মায়ার উদ্রেক ঘটতো।
যদি সম্ভব হয়, কিছু সাদাকাহ করুন। ৫টা টাকা করলেও চলবে। কোন একটি মসজিদ বা মাদরাসায়। ছোট্ট করে আল্লাহকে বলে দিয়েন, এর সাওয়াব যেন চলমান থাকে ইয়া আল্লাহ! পেতে থাকে যেন সে কবরে।
তার কোন ছবি পোস্ট করবেন না। তার প্রশংসার স্ততি গাইবেন না। এগুলো তার কবরে কোনই কাজে দিবে না।হয়তো উল্টো তাকে জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হবে। তার কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে, মানুষ যা বলছে, আসলেই কি তুমি ছিলে এমন?
তার কাছে যদি আপনার পাওনা থাকে, পরিবারকে বলুন। তারা শোধ করে দিবে। তার গীবত করবেন না, তার দোষ- দুর্বলতা নিয়ে আলোচনায় সময় নষ্ট করবেন না। সে আজ এসব থেকে বহু দুরে।
বিশাল জান্নাতের একটি কোনায় মাত্র ৫/৬ ফুট দেহের একজনকে যদি স্থান দেয়া হয়, জান্নাতীদের জায়গার কোন সংকীর্ণতা হবে না। আপনার রবকে বলুন- তাকে যেন নাজাত দেয়া হয়। যেন তার জন্য ফায়সালা করা হয়, চিরস্থায়ী জান্নাতের।
লেখাঃ Rizwanul Kabir ভাই
কিন্তু আমাদের জন্যও দোয়া করবেন প্লিজ।
মৃত্যুশয্যায় ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লহি আলাইহির শেষ পঙক্তিগুলোঃ
"হে সৃষ্টিকর্তা!
আপনার কাছেই আমি আমার একান্ত বাসনাগুলো তুলে ধরি।
এমনকি যদিও আমি একজন বদকার ও অপরাধী হয়ে থাকি।
হে পরম দয়াশীলতা ও অসীম করুণার ধারক!
যখন আমার অন্তর সংকুচিত হয়ে যায়, আর আমার চলার পথ সংকীর্ণ হয়ে পড়ে
তখন আপনার মার্জনা ও ক্ষমার মাঝেই আমি আশার আলো দেখি।
আপনি ই সেই সত্তা যিনি আমাকে আমাকে পথ প্রদর্শন করেছেন, আপনি আমার প্রতি সদয় হওয়া থেকে কখনো বিরত হননি এবং সকল সুযোগ-সুবিধাই আমাকে দিয়েছেন।
তাই, অসীম ক্ষমাশীলতায় আপনি আমার ভুলগুলো ক্ষমা করবেন এবং আমার কৃত অপরাধ ও অন্যান্য যা কিছু (গুনাহ) আমার দ্বারা হয়েছে সেগুলো ঢেকে রাখবেন এই আশা নিয়েই রয়েছি।
সুতরাং যদি আপনি বিচার দিবসে আমাকে ক্ষমা করে দেন তবে নিশ্চয়ই আপনি একজন পাপী ব্যক্তিকেই ক্ষমা করবেন...
যে নিজের উপর জুলুম করেছে,
এক বিদ্রোহী পাপী যে এখনোও পাপ করে চলেছে...
আর যদি আপনি আমাকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে আমি নিরাশ হবো না...
এমনকি যদিও তারা (ফেরেশতারা) আমার গুনাহের জন্য আমাকে জাহান্নামে প্রবেশ করায়...
আমার অপরাধ গুলো অতি ব্যাপক, অতীত ও বর্তমানের...
তবে বান্দার প্রতি আগত আপনার ক্ষমাশীলতা তার চাইতেও অনেক প্রসারিত ও ভীষণ ব্যাপক।
আপনিই একমাত্র সত্তা যিনি পরম ক্ষমাশীলতা ও অসীম অনুগ্রহের গুণে অনুগ্রহ ও ক্ষমা করে থাকেন।
তাই যদিও আমি একজন বদকার ও অপরাধী হয়ে থাকি, তবুও আপনার কাছেই আমি আমার একান্ত বাসনাগুলো তুলে ধরি, ওহ আমার প্রতিপালক!
হে পরম দয়াশীলতা ও অসীম করুণার ধারক!
যখন আমার অন্তর সংকুচিত হয়ে যায়, আর আমার চলার পথ সংকীর্ণ হয়ে পড়ে
তখন আপনার মার্জনা ও ক্ষমার মাঝেই আমি আশার আলো দেখি।
আপনিই একমাত্র সত্তা যিনি গুণাহগসমূহ ক্ষমা করে থাকেন।
আপনার পরম ক্ষমাশীলতা ও অসীম অনুগ্রহের গুণে আপনি আমাকে অনুগ্রহ ও ক্ষমা করুন।"
(ঈষৎ পরিমার্জিত)
#রবের_দরবারে_আরজি
শয়তান খুব ভালোভাবেই জানে, পৃথিবী বুড়ো হয়ে গেছে। যখন তখন মুখ থুবড়ে পড়বে রবের আদেশ অনুযায়ী। শোনা যাবে ইসরাঈলের গগনবিদারী ফুঁৎকার। তাই সেও প্রাণপণে চেষ্টা করে যাচ্ছে শেষ মুহূর্তে দলভারী করার৷ বলা যায়, সে এখন মরিয়া - তার সাথে যতজনকে সাথে নিয়ে যেতে পারে।
তারই এক সফল অস্ত্র হলো, ইসলামের নাম করে অনৈসলামিকতার প্রচার৷ এ ক্ষেত্রে শয়তান বিশেষতঃ স্বল্প জ্ঞানীদের ব্যবহার করছে। স্বল্প কিছু কিতাব পড়ার পরেই, তাদের মনে সে এ বিশ্বাস প্রোথিত করে দেয় - আমি অনেক জেনে গেছি। এবার জানানো প্রয়োজন।
ব্যস, এবার সে যা জানে সেটাই ইসলাম। যা জানে না, সেটাই কুফরী।
এর জাল শুধু জেনারেল শিক্ষিতদের মাঝেই আছে, এমনটা ভাবলে ভুল হবে। এখন শহরে-গ্রামে, অলিতে - গলিতে কওমী নাম নিয়ে প্রচুর মাদরাসা হচ্ছে। এদের সিংহভাগের উদ্দেশ্য, ব্যবসা। দেওবন্দিয়্যতের নাম করে এরা সার্টিফিকেট আর ডিগ্রি বিক্রি করে। এক বছর বা দু'বছর পড়েই 'আলেম' সার্টিফিকেট পাওয়া যায় এখন। ইফতায় কোনমতে ভর্তি হলেই বছর শেষে মুফতী ডিগ্রি পাওয়া যায়। মুফতী নামধারী খুব কম মুফতীই 'ইফতার আদব' সম্পর্কেই নাওয়াকিফ। ইফতার উসূল তো দূর কী বাত!
প্রতি বছর ফেল করে আসা ছাত্রটিও উপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়ে যায়, বোর্ডে গড়ে ৩৫ পেয়ে আলেম হয়ে যায়। এই ৩৫ সে কিভাবে, কতটুকু যোগ্যতাবলে হাসিল করেছে - সে কথার দিকে আর নাই গেলাম।
এখন এমন একটা সময়, বুঝার উপায় নেই কে আসলেই আলেম আর কে নামধারী/ডিগ্রিধারী। এমনকি আসলেই জ্ঞানী ব্যক্তিদের আমলের কারণে বুঝার উপায় থাকে না, আসলেই সে অনুসরণযোগ্য নাকি না। এমন অবিশ্বাসের ও মূর্খতার সময় আমরা পার করছি যে, নিজের নিঃশ্বাসকেও বিশ্বাস করার জো নেই। সামান্য টাকার ব্যাপারে বিশ্বাস যেখানে দুর্লভ, জ্ঞানের বিশ্বাস সেখানে বড় সস্তা। অজান্তেই হয়তো আমরা নিজের জ্ঞানের বিশ্বাস তুলে দিচ্ছি এমন কারো হাতে, যে জ্ঞান নিয়ে বিশ্বাসের সওদায় বড় সিদ্ধহস্ত!
আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, ইলমের ক্ষেত্রে তবে বিশ্বাস করবো কাকে? বিশ্বের মাঝে শ্রদ্ধেয় ক্বারী, আলেম আজ নিজে থেকে মুছে দেন সুন্নাহর আলামত, সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমের যবান থেকে বের হয় অবিশ্বাস্য বাক্য! অবশেষে তবে শুনবো কার কথা?
খুব জটিল এক প্রশ্ন। উত্তরটা আরও বেশী জটিল। একটা, দু'টো পরামর্শ হতে পারে -
১. সনদ বলে একটা ব্যাপার আছে ইলমে। সালাফের কাছে এ সনদের গুরুত্ব ছিলো অনেক। আমি অমুকের ছাত্র, তিনি অমুকের ছাত্র - এভাবে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত ইলমের সনদ যাচাই করে নিতেন তাঁরা। তাঁদের জন্য তা সহজও ছিলো। আমাদের জন্য বড় কঠিন। কঠিন হলেও আমাদের সনদের দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত। যাকে অনুসরণ করছি তার সনদ জানা উচিত। যথাসম্ভব আলেমদের থেকে সনদের গ্রহণযোগ্যতা জেনে নেয়া উচিত।
এক্ষেত্রে, দ্বীনী ইলম জানার জন্য দুয়েকজন আলেমকে নির্দিষ্ট করে নিলে সহজ হয়। কারণ, মানুষ যত বেশী, সনদ তত বেশী আর অধিক সনদ যাচাই করা অনেক কঠিন।
২. যার থেকে ইলম নিচ্ছি, তার ব্যক্তিসত্ত্বাকে জানা। অবশ্যই তা ফেইসবুক বা ভার্চুয়াল কোন মাধ্যমে নয়। বাস্তবিক জীবনে, বন্ধু-বান্ধব থেকে। তিনি আমলদার কি না শুধু এটুকু জানাই যথেষ্ট নয়, ইলম দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি আসলেই পড়াশোনা করে ইলম দিচ্ছেন কি না এবং সে পড়াশোনা সে ইলমের ক্ষেত্রে 'আলেম' পর্যায়ের কি না তা জেনে নিতে হবে।
আপনি তাকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন, তিনি তার উত্তর দিলেন। সেক্ষেত্রে আপনার জেনে নেয়া উচিত, কী কী কিতাব পড়ে তিনি এ উত্তর দিচ্ছেন। এটা আপনার অধিকার এবং তারও সেটা জানানো উচিত।
আর হ্যাঁ, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা করে আলেম হলে তিনি কোন পর্যায়ের ছাত্র ছিলেন এবং এখন তার পড়াশোনার পর্যায় কতটুকু সেটাও যাচাইয়ের একটা বিষয় হতে পারে।
দু'টোই একটু কঠিন। কিন্তু জীবিকা উপার্জনের জন্য আমরা যতটা কষ্ট, তার চেয়ে অবশ্যই সহজ। অথচ জীবিকা শুধু আমার দুনিয়া দেখবে আর ইলম আমাকে জাহান্নাম থেকে হেফাজত করবে। এবার ভেবে দেখুন, কোনটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন।
৩. আল্লাহর কাছে সঠিকটা চাইতে থাকা। আল্লাহ যদি না চান, আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, সঠিকটা জানতে পারবেন না।
ব্যক্তিগতভাবে আমি ফাতাওয়ার বিভিন্ন কিতাবাদির পাশাপাশি পাকিস্তানের মুফতী তাকী উসমানী দা.বা. ও দারুল উলূম করাচী, জামিয়া বানূরিয়া, জামিয়া উসমানিয়া; ভারতের মুফতী সাঈদ আহমাদ পালনপুরী দা.বা. ও দারুল উলূম দেওবন্দ; বাংলাদেশের মুফতী আবদুল মালেক দা.বা. ও মারকাযুদ্দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার ফাতাওয়াকে নিজের জন্য আমলযোগ্য মনে করি।
ফেইসবুক এবং ভার্চুয়াল্যি ইলম অর্জনকে অনেক বেশী অপছন্দ করি, তিনি যত বড় শায়খ আর উস্তাযই হোন না কেন! তাদের মধ্যে আলেম নেই এমন বলছি না, কিন্তু তাদের মধ্যে কয়জন আসলেই আলেম তা আমি জানি না৷ কাউকে গ্রহণযোগ্য আলেম মনে হলে অনলাইনে চেষ্টা না করে কিছুদিন অফলাইনে সম্পর্ক রক্ষা, দেখা-সাক্ষাৎ করে তার অবস্থান স্পষ্ট হয়ে নেয়া উচিত।
সঠিক বিষয় সম্পর্কে আল্লাহ অধিক অবগত। আমরা কেবল তাওফীক চাইতে পারি৷
©
তাওবা-ইস্তেগফার এর জন্য কী কী দুয়া রয়েছে?
হাদিসে বর্ণিত তাওবা ও ইস্তেগফার এর কতিপয় দোয়া প্রদান করা হল (মূল আরবী টেক্সট, উচ্চারণ ও অনুবাদ সহ)
:
দোয়া-১:
মূল আরবীঃ أَستَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হ।
অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
প্রতি ওয়াক্তের ফরয সালাতে সালাম ফিরানোর পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। [মিশকাত-৯৬১]
:
দোয়া-২:
মূল আরবীঃ أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি।
অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবা ও ইসতিগফার করতেন। [বুখারী-৬৩০৭]
:
দোয়া-৩:
মূল আরবীঃ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলায়হি।
অনুবাদঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবাহ্ করি।
এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন-যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়নকারী হয়। [আবু দাউদ-১৫১৭, তিরমিযী-৩৫৭৭, মিশকাত-২৩৫৩]
:
দোয়া-৪:
মূল আরবীঃ رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ / الغَفُوْرُ
উচ্চারণঃ রাব্বিগ্ ফিরলী, ওয়া তুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম। দ্বিতীয় বর্ণনয় “রাহীম”-এর বদলে: ‘গাফূর’।
অনুবাদঃ হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাওবা কবুলকারী ও ক্ষমাকারী।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন। [আবূ দাঊদ-১৫১৬, ইবনু মাজাহ-৩৮১৪, তিরমিযী-৩৪৩৪, মিশকাত-২৩৫২]
:
দোয়া-৫: (সাইয়েদুল ইস্তিগফার-বা আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দুআ:
মূল আরবীঃ اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা
অনুবাদঃ হে আল্লাহ তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।
এই দোয়া সকালে পড়ে রাতের আগে মারা গেলে অথবা রাতে পড়ে সকালের আগে মারা গেলে সে জান্নাতে যাবে। [বুখারী-৬৩০৬]
এ সকল দুয়া ছাড়াও কুরআন ও হাদীসে আল্লাহর তাআলা নিকট ক্ষমা প্রার্থনার আরও বিভিন্ন দুয়া বর্ণিত হয়েছে। সেগুলো পড়ার চেষ্টা করতে হবে। এমনকি নিজের ভাষায় নিজের মত করে মহান আল্লাহর নিকট নিজের অপরাধগুলো তুলে ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও তিনি ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ।
পবিত্র কোরআনুল কারীমে তাওবা করার ব্যপারে তাগিদঃ
====================
• যে কেউ দুষ্কর্ম করে অথবা স্বীয় জীবনের প্রতি অত্যাচার করে পরে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থী হয়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পাবে। [সূরা নিসা ৪/১১০]
• নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে অবস্থান করবে এবং তুমি কখনও তাদের জন্য সাহায্যকারী পাবে না। কিন্তু যারা তওবা করে ও সংশোধন হয় তারা ব্যতীত। [সূরা নিসা ৪/১৪৫-১৪৬]
• যারা ঈমানদান নর-নারীর উপর যুলুম-নির্যাতন করেছে এবং পরে তওবা করেনি, তাদের জন্যে জাহান্নামের আযাব ও দহন যন্ত্রণা রয়েছে’ (সূরা বুরূজ ৮৫/১০)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, وَتُوْبُوْا إِلَى اللهِ جَمِيْعاً أَيُّهَا الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হ’তে পার। [সূরা নূর ২৪/৩১]
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল অপরাধ মার্জনা করে তার প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে দিন। আমীন।
▪▪▪▪▪▪▪▪▪
সংগ্রহে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব l
আল্লাহ না quantity দেখে না তোমার আমলের quality!!!
আল্লাহ তোমার প্রচেষ্টা দেখে।
উনি এটা দেখে যে তুমি কতটুকু নিজেকে ওনার বান্দা, ওনার গোলাম ভাবতে পারতসো।
হেদায়েতে অটল থাকার দোয়া
[৩:৮]আল ইমরান
رَبَّنا لا تُزِغ قُلوبَنا بَعدَ إِذ هَدَيتَنا وَهَب لَنا مِن لَدُنكَ رَحمَةً إِنَّكَ أَنتَ الوَهّابُ
বায়ান ফাউন্ডেশন:
হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।
সালাফে সালেহীনগণ তাকওয়া অবলম্বন করার পরেও কাঁদতেন,
আর তুমি গুনাহ করেও হেসে-খেলে সময় ব্যয় করো।
- ইমাম ইবনুল জাওযী রাহিমাহুল্লাহ
🌿👉কাল আরবি ১৩ তারিখ,মানে কাল থেকেই আইয়্যামে বীজের রোজা শুরু। যারা রোজা রাখতে চান আজ রাতেই সাহারি খাবেন।
♦আইয়্যামে বীয কি?
উত্তরঃ প্রতি চন্দ্র মাসের (প্রত্যেক আরবী মাসের) ১৩,১৪,১৫ তারিখ,এগুলোকে আইয়্যামে বীজ বা আলোকিত দিনসমূহ বলা হয়। কারন এই দিনগুলোতে চাঁদ সবচেয়ে বেশি আলোকিত থাকে।
♦আইয়্যামে বীযের দিনগুলোর বিশেষ ফযীলত কি?
উত্তরঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসের এই ৩দিন নিয়মিত রোযা রাখতেন। তাই মাসের ৩টা রোযার জন্য এই তিনদিনকে বেছে নিলে ভালো।
১। আবু দরদা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার প্রিয় বন্ধু (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে ৩টি কাজের অসীয়ত করেছেন যা আমি যতদিন বেঁচে থাকবো কখনোই ত্যাগ করবো না। সেগুলো হচ্ছে প্রতি মাসে ৩টি করে রোযা রাখা ( আইয়্যামে বীযের ৩দিন, চাশতের নামাজ পড়া এবং বিতির না পড়ে ঘুমাতে যাওয়া। (সহিহ মুসলিম-৭২২, আবু দাউদ-১৪৩৩, আহমাদ-২৬৯৩৫)
২। আবু যর রদ্বিয়াল্লহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে, প্রত্যেক মাসে রোযা পালন করলে (আরবী মাসের) ১৩,১৪,১৫ তারিখে রাখো।
(তিরমিযি-৭৬১, নাসায়ী-২৪২৪, শায়খ আলবানীর মতে হাসানসহীহ, তাহকীক রিয়াদুস সালেহীন)
৩। ক্বাতাদাহ ইবনে মিলহান রদ্বিয়াল্লহু আনহু হতে বর্নিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে চাঁদের ১৩,১৪,১৫ তারিখে ( এটাকে শুক্লপক্ষ / আরবী মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখ ও বলা হয়, কথা একই শুধু বুঝে নিতে হবে) রোযা রাখার আদেশ করতেন।।।
(আবু দাউদ-২৪৪৯, নাসায়ী-২৪৩২)
৪। আবদুল্লাহ ইবনে আ'মর ইবনে আ'স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, " প্রতি মাসে ৩টি করে রোযা রাখা সারা বছর ধরে রোযা রাখার সমান" ( সহীহুল বুখারী-১১৫৯, ১৯৭৫)।।।
যেহেতু আল্লাহ তা'আলা যেকোন ভালো কাজের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ বা তার রহমত অনুযায়ী চাইলে আরো বেশি দান করেন তাই প্রতিমাসে ৩টি করে রোযা রাখলে সারা বছর ধরে নফল রোযা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। (সুবহান আল্লাহ)।
আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মারওয়ান ঈদের দিন ঈদের মাঠে মিম্বার বের (স্থাপন) করলো এবং ঈদের সালাতের পূর্বে খুতবা দিলো। এক ব্যাক্তি বলল, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাতের বিপরীত করেছো, তুমি আজকের এই দিনে মিম্বার বের (স্থাপন) করছো, অথচ এই দিন তা বের করা (ঈদের মাঠে মিম্বার নেয়া) হতো না। উপরন্তু তুমি সালাতের আগে খুতবা শুরু করছো, অথচ সালাতের পূর্বে খুতবা দেয়া হতো না। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, এই ব্যাক্তি তার দায়িত্ব পালন করেছে। আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখলে এবং তার দৈহিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা সেভাবেই প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের কথা দ্বারা তা প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মনে মনে ঘৃণা করে। তা হলো সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। [৩৩৪৫]
[৩৩৪৫] সহীহুল বূখারী ৯৫৬, মুসলিম ৪৯, তিরমিযী ২১৭২, নাসায়ী ৫০০৮, ৫০০৯, আবূ দাঊদ ১১৪০, ৪৩৪০, আহমাদ ১০৬৮৯, ১০৭৬৬, ১১০৬৮, ১১১০০, ১১১২২, ১১৪৬৬।
দুই ঠোঁট দিয়ে এমন কিছু উচ্চারণ করবেন না যেটার জন্য আপনাকে জবাবদিহিতা করতে হবে।
Ayat💕 Surah Mariam💕
জীবনে অনেক মুহূর্ত আসবে
ভালো মুহূর্ত ,খারাপ মুহূর্ত
স্মৃতির পাতায় অনেক বেমানান মুহূর্ত
যে মুহূর্ত গুলো আপনাকে সব সময়
প্রচন্ড রকম -
খারাপ লাগা দিয়ে আঁকড়ে ধরে থাকবে
হাজারো রকম সমস্যা আসবে ,দুর্দশা আসবে
হ্যা তারপরও
আপনাকে দোয়া করে যেতে হবে
আপনার আমার সবচেয়ে কাছের
আপনার আমার নিঃশ্বাসের কাছের
মা বাবার চাইতে যিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন
প্রিয় রবের কাছে দোয়া করে যেতে হবে💌
হে আল্লাহ
আপনার ভয়ে তো চোখের পানি ফেলেছি।
আমার দুঃখ গুলো তো
আমি আপনার কাছে দোয়াতে বলেছি।
আমার হৃদয়ে ভালোবাসার এই
অগ্নিশিখার প্রতি অনুগ্রহ করুন।
আপনিতো বলেছেন
তোমরা শুনে নাও, আল্লাহর সাহায্য একান্ত নিকটবর্তী ।
[ সূরা বাকারা - ২১৪]
একবুক যন্ত্রণা নিয়ে যখন আপনি হাসতে যাবেন,
তখন বুকের বাঁ পাশটায় ব্যথা অনুভূত হবে।
ঐ যন্ত্রণা নিয়েই যখন আপনি কাঁদতে চাইবেন,
তখন আপনার গলা ধরে আসবে।
কিন্তু যদি ওযু করে কুরআন খুলে বসতে পারেন,পেইনকিলারের কাজ হয়ে যাবে।
বিশ্বাস না হলে একবার করেই দেখুননা!
Italy has lived 2 months in hell already won the sympathy of the world!
Syria which has been living in hell for 9 years And the world has closed its eyes.
Allah save us please.
Allahumaghfirli.
আচ্ছা, যখন তোমার বান্ধবী তোমার দ্বীনের ব্যাপারে কোন ভুল ধরিয়ে দেয়,তখন কী খুব কষ্ট পাও?তার উপর কোন অভিমান হয়?
কিন্তু না,,শোন,নিশ্চয়ই সেই আয়নাটা ই তোমার অধিক পছন্দ যেটাতে তুমি তোমার প্রতিচ্ছবি ঠিক দেখতে পাও,তাই নয় কী? আয়নাতে তো তোমার বাহ্যিক সব কিছুরই প্রতিচ্ছবি পরে,আর তুমি সেই হিসেবে তোমার অগোছালো অংশকে সাজিয়ে নাও,কাজলটা আরো একটু ঠিক করে নাও,কোন অপ্রত্যাশিত ময়লা,যা লোকচক্ষুর সামনে লজ্জায় ফেলবে, তা ও তো আয়নায় ধরা পরে,,আর ধরা পরে বলেই তুমি আয়নাতে নিজকে দেখে নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্যতে আরো একটু শোভিত কর।
বলতো এমন একটা আত্মিক আয়না সাথি থাকলে কেমন হয়! যে চায় তুমি তোমার রব্বের সামনে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন হয়ে দাড়াও,যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ত্রুটি যা রব্বের নারাজের কারন, সব কিছু যে ধরিয়ে দেয়।তুমি যার সামনে দাড়িয়ে তোমার আত্নিক প্রতিচ্ছবি দেখতে পাও,,সলাতে খুশু কতটা কম হচ্ছে, কোথায় গীবত করে ফেললাম,অপ্রয়োজনীয় খরচ করলাম কী না,যুদুহের শিক্ষা, পর্দাতে আর কী পরিবর্তন আনলে রব্বের আরো প্রিয় হওয়া যায়,সবকিছু যে ধরিয়ে এবং শুধরে দেয়, এমন এতটা বন্ধু থাকলে কেমন হয় বলো তো!
এবার ভাবো, এমন আয়না সাথির উপর কী রাগ হওয়া চলে?বরং আজ হতে আরো ভালোবাসি তারে যার মাঝে আমি আমার রূহের কাজল ঠিক করতে পারি।
এমন একটা সঙ্গী খুব করে চাই,যে বিনয়ী তবে আমার ভুল ধরে শুধু এই জন্য যে, আমি যেন তা শুধরে নেই।
মিথ্যা বলা মহাপাপ, তা যে অবস্থাতেই, যে কারণেই বলা হোক না কেন তা কবীরা গুণাহ। আর মিথ্যাবাদীদেরকে আল্লাহ সঠিক পথ প্রদর্শন করেন না। সুতরাং মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকুন, মিথ্যা কাজ করা থেকে বিরত থাকুন, প্রতারণা করা থেকে বিরত থাকুন। হোক শুধু তা বিনোদনের জন্য, হোক তা ৫ মিনিট বা ১ মিনিট বা ১ সেকেন্ডের জন্য। হোক তা এক লাইন বা হোক তা এক শব্দের (হ্যা/না)। মৃত্যুর পরের জীবনকে ভয় পান। মৃত্যু এত সহজ নয় যত সহজ একে দেখতে মনে হয়। সঠিক পথপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারা কোন নর্মাল জিনিস না। মিথ্যাবাদী প্রতারক হয়ে অন্যদের বিনোদনের উৎস হতে পারলেও, অন্যের হাসির কারণ হতে পারলেও আপনি কখনো আল্লাহর রহমতের ভাগী হতে পারবেন না। সুতরাং মিথ্যাবাদী হওয়া থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখুন।
#فنت
দিল থেকে তা মনে করতে পারা হাকীকতে কিছু হওয়ার আলামত! মাওলা যাকে কিছু দান করেন তাকেই কিছু না হওয়ার ইহসাস দান করেন। জানা-অজানা ভুল-ত্রুটির জন্য শরমিন্দা হও এবং ইস্তেগফার করো। আর আল্লাহর রহমতের কাছে এই আশা করো যে, তিনি এই টুটাফাটা আমল কবুল করেছেন। ভয় 'করন' চাই আবার ভয়ের সাথে আশাও 'করন' চাই। শুধু ভয় বা শুধু আশা দু'টাই শয়তানের হাতিয়ার। ভয় দ্বারা শয়তান নিরাশ করে আর আশা দ্বারা গাফেল করে। দিলে যখন আশা-ভয় দু'টাই থাকে তখন আল্লাহর দরবারে কবুলিয়াত হাছিল হয়।"
বইঃ বায়তুল্লাহর মুসাফির
ভয় আশা দুটোই হয় 💔
Aslaf Arabic Academy
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=536367197255536&id=776232985917906
রমজানের প্রস্তুতি-১
রমজানের ফজিলত
কাউকে হেয় করে আর যাই হোক
নিজের অসাধারণ প্রতিভা জারি করার মাঝে আদৌ কোনো সার্থকতা আছে কি না আমি সন্দিহান.. ভদ্রলোকেরা নিজের গুণ আর পরের দোষ গোপনই রাখে..
কোথাও মন ভালোর খবর নেই। পাশের গাছে বাসা করে থাকা কাকের বাচ্চাটাও মারা গেছে। মৃত্যুর এক গন্ধ আছে, আমি এখন চারপাশে কেবল মৃত্যুর গন্ধই পাই। অসহ্য, অনিবার্য গন্ধ।
এত এত দূরের সূর্যেরও কী তাপ! মাথার এত শক্ত তালু ভেদ করে পেটের ভিতরেও কেমন তাপ ছড়িয়ে দেয়। নাড়িভুঁড়ি সব ছিঁড়ে বেরিয়ে এসে শীতলতা পেতে চায়৷ কিন্তু তা আর হয় কোথায়!
শহরের কোলাহল কখনও ভালো লাগে নি, কিন্তু এই নীরবতাও যেন অসহনীয়, অচেনার অস্বস্তি। এই যে এত মন খারাপের সাতকাহন, এর পিছনে দায়ী আমার হাতের কামাই। আমার অন্তর ভালো না থাকা। নিজেকে শুদ্ধ না রাখা।
আমরা ভালো থাকতে চাই, কিন্তু ভালো হতে চাই না। দুর্দিন কেটে গেলেও এ সমীকরণ সম্ভবতঃ পাল্টাবে না। এখানেও মন ভালোর খবর নেই। মন খারাপের খবরের চেয়ে খবরহীন কিছু দিন কাটানোও বড়ই দুরূহ মনে হচ্ছে।
#তিতিন_মুগ্ধকর_কথন
"শাইতান তোমাদের প্রত্যেকের শিরা-উপশিরায় প্রবাহিত হয়।"
[ইবনে মাজাহ/১৭৭৯, তিরমিযী/৯৩৫]
বিশ্বাস করুন কারো সাথে উত্তম ব্যবহার করলে আপনার একটা টাকা খরচ হবে না সব সময় উত্তম ব্যবহার করে যান 🌸
The month of Sha'ban is here
Don't forget to fast!
কার সাথে বেশি জুলুম করেছি এই পর্যন্ত?
-- অন্য কোনো মানুষকে ততটা আঘাত করিনি, যতটা নিজের রূহকে করেছি...
আসুন কীভাবে কুরআন পড়তে হয়, তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ দেখি। কীভাবে কুরআনের একটি আয়াত আবু দাহদা (রা.)-কে উজ্জীবিত করেছিল!
“কে আছো এমন, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান করবে?” (সূরাহ বাক্বারা ২:২৪৫)
আল্লাহকে ঋণ! বান্দা দেবে আল্লাহকে ঋণ! আবু দাহদা (রা.) এই আয়াত শুনে বিস্ময়ের সাথে নবিজি (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আল্লাহ আমাদের কাছে ধার চাচ্ছেন?’ নবিজি (ﷺ) বললেন, ‘হ্যাঁ’। আবু দাহদা (রা.) বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার হাতটি দিন, আমি কথা দিচ্ছি আমার খেজুর বাগানটি ধার দেব। আবু দাহদা (রা.) নবিজি (ﷺ)-কে ৬০০টি খেজুর গাছ সমৃদ্ধ সবচেয়ে ভালো খেজুর বাগানটি দিয়ে দিলেন। আবু দাহদা (রা.)-এর অনেকগুলো বাগান ছিল, তিনি ধনী ছিলেন। তিনি তাঁর সবচেয়ে উত্তম বাগানটিতে গেলেন। কোন বাগানটিতে জানেন? যেখানে তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে থাকতেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকে বললেন, ‘সবকিছু গুছিয়ে নাও, আমরা এই বাগান থেকে চলে যাচ্ছি। এই বাগান এখন আর আমাদের নয়, কারণ এই বাগানটি আমি উত্তম ঋণ হিসেবে আল্লাহকে দিয়েছি।’ এ কথা শুনে তাঁর স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? তাঁর স্ত্রী কি অভিযোগ করেছিলেন? বলেছিলেন, কেন, কী হচ্ছে এসব! না, তিনি কোনো অভিযোগই করেননি, কোনো পাল্টা প্রশ্নও না। তিনি চুপচাপ উঠে দাঁড়ালেন এবং তাঁর বাচ্চাদের হাত ধরলেন। তিনি বুঝলেন যে, এই বাগানটি উত্তম ঋণ হিসেবে আল্লাহকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই এর মধ্যে যা আছে সেগুলাও আর তাঁদের নয়। কাজেই তিনি বাচ্চাদের হাতে যে খেজুরগুলো ছিল, সেগুলো নিয়ে নিলেন, এমনকি বাচ্চাদের মুখে যা ছিল তাও বের করে রেখে দিলেন। একেবারে শুন্য হাতে বাচ্চাদের নিয়ে তিনি বাগান থেকে বের হয়ে গেলেন।
আল্লাহকে পেতে চাওয়ার তীব্র আশা আকাঙ্ক্ষার প্রকৃত মানে হচ্ছে এটাই—আল্লাহর কথাকে (কুরআনকে) বুঝতে পারা। কুরআনে যে আদেশ নিষেধ আছে, তা মেনে নেয়া এবং বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের ইতস্তত ভাব বা বাধা সৃষ্টি না হওয়া। যখন নবিজি (ﷺ) আবু দাহদা (রা.)-এর প্রতিশ্রুতির কথা শুনলেন, তিনি বলেন,
“আবু দাহদা -এর জন্য জান্নাতে এমন অনেকগুলো বাগান আছে।” (মুসলিম: ২২৮৩)
ধূলিমলিন উপহার: রামাদান, পৃ ২১-২২
শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীল
কুরআনে বলা হয়েছে...!
" তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য পোশাক স্বরূপ আর তোমরা তাদের পোশাক স্বরূপ "। (আল বাকারাহ -১৮৭)।
রাসূলুল্লাহ( সাঃ) বলেছেন : পূর্ণ ইমানদার ব্যক্তি সেই যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর। আর তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। ( তিরমিজী - ১১৬২)।
-তাই আমি চাই তুমিই আমার সম্পদ হও। দুনিয়ার থেকে সবচেয়ে মহা মূল্যবান সম্পদ। ♥️
রাসূলুল্লাহ( সাঃ) বলেছেন: গোটা দুনিয়া সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম সম্পদ হল পূন্যবতী স্ত্রী। ( মুসলিম)
জানেন নেককার মহিলগন কারা..?
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন - আল্লাহ ভীতির ন্যায় নিয়ামত অর্জনের পর মুমিন বান্দার জন্য নেক স্ত্রী ব্যতিত আর কোনো উত্তম জিনিস হতে পারে না। স্বামি কোনো কিছু বললে সে তা শোনে। স্বামী তারদিকে তাকালে তাকে তুষ্ট করে।
স্বামী তাকে কোনো বিষয়ে কসম দিলে সে তা পূর্ণ করে। স্বামী বাহিরে কোথাও গেলে তার জান মালের নিরাপত্তার জন্য কল্যান কামনা করে। ( মিশকাত- ২৬৮)।
আপনি কি জানো কোন কোন কাজে আপনাদের জন্য জান্নাতের ৮ টি দরজাই খুলা থাকবে?
রাসূলুল্লাহ( সাঃ) বলেছেন - যে সমস্ত মহিলা আল্লাহকে ভয় করে । স্বীয় মান সম্ভ্রমের হেফাজত করে এবং স্বামীর অনুগত্য করে, নামাজ পড়ে তাদের জন্য জান্নাতের ৮ টি দরজাই উম্মুক্ত থাকবে।
এত সহজ কাজ কিন্তু বেশির ভাগ মহিলারা এই সব মানেন না তাদের জন্য এগুলো পাহাড় সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘরের কাজকে কখনো ছোট মনে করবে না। আল্লাহ কিন্তু আপনাদের এই ঘরের দায়িত্বের জন্য পাকড়াও করবে। আর এই ঘরের কাজের জন্য আল্লাহ আপনাদের কতটা সম্মান দিয়েছে জানো...?
হযরত আনাস (রা) বলেন ; একদিন মহিলারা নবী কারীম ( সাঃ) এর দরবারে এসে বলেন - হে নবী কারীম ( সাঃ) জিহাদ করে তো পুরুষরা সব ফজিলত নিয়ে গেল। আমাদের মহিলাদের জন্য এমন কি আমল আছে যাতে জিহাদের ফজিলত পাওয়া যাবে..? তখন নবিজী (সাঃ) বললেন- হ্যাঁ গৃহের কাজে আত্ন নিয়োগ করা জিহাদের ফজিলতের সমান। ( বায়হাকী- ৬/ ৪২০)।
আর স্বামীর সেবাকরা প্রতিটা স্ত্রীর জন্য সদকা স্বরূপ। হযরত ইবনে ওমর (রা) মারফু বর্ননায় বলেন - নবী কারীম ( সাঃ) বলেছেন - স্বামীর সেবা স্ত্রীর জন্য সদকা সমতুল্য। ( কানয - ১৬/১৬)।
নির্ঝরা তোমার কি ঘুম পাচ্ছে?
হেদায়াতের মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা' আলা।
কপাল পুড়া কথাটা কুফুরি কথার মত। কারণ কপাল বলতে আমরা ভাগ্য বুঝাই। অর্থাৎ কদর বা নসিব, যেটা আল্লাহ নিজে লিখেছেন। তো আল্লাহর ফয়সালা কে পোড়া/ফাটা ইত্যাদি বলা কুফুরি কথার শামিল
sometimes when you're in love with someone, you act like you're his future one. Just like pushing yourself too close to him, creating undefined relationship with him, and making long conversation with him without a reason cause you ensure that you and him will be together. when the fact is there's no one knows what is written on the 'lauhol mahfud' except Allāhﷻ. What if you're not the one who will be his future wife? And he's another women's future husband. so it means you're just building your sins up? cause you and him aren't mahrams and that's haram. Plus, you outran the plans of Allāhﷻ, same with men.
Sometimes, we need to calm our demons down and just wait for our qadr as well. Wadeeh?🖤
He married a 15 years elder woman. She was married twice before. He didn't care about her past. She gave Him a beautiful future with 6 children. She helped Him in His most difficult times. He often visited her grave and missed her so much that His other wife was extremely jealous about her, even though she passed away a long time ago.
•আয়েশা রা. বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একবার মহামারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি উত্তর করেন—মহামারী ছিল একটা আযাব, আল্লাহ যার ওপর ইচ্ছা পাঠাতেন। তারপর আল্লাহ তাআলা মহামারীকে মুমিনদের জন্য রহমত বানিয়ে দিয়েছেন। কোনো বান্দা যদি মহামারী আক্রান্ত এলাকায় থাকে এবং সেখানে অবস্থান করে, তাহলে সেই অঞ্চল থেকে সে বেরুবে না। ধৈর্য ধারণ করবে এবং সওয়াবের প্রত্যাশায় থাকবে; এবং এই বিশ্বাস রাখবে—আল্লাহ তাআলা যদি তার তাকদিরে লিখে না থাকেন, তাহলে মহামারী তাকে আক্রান্ত করতে পারবে না। আর যদি আক্রান্ত হয়েই যায়, তাহলে তার জন্য রয়েছে একজন শহিদের সমপরিমাণ আজর ও প্রতিদান• (সহিহ বুখারি, হাদিস নং-৬৬১৯, ৫৭৩৪)
Assalamualaikum wah rahmatallahi wah barakatuhu.
It’s a Sunnah to ask forgiveness from everyone in this crisis moment.
Forgive me, if I have hurt you knowingly or unknowingly.
If I had ignored you intentionally or unintentionally.
If I had said something bad about you directly or through someone else.
I am sorry for all the pain I have caused you and if you had cried any day because of me.
It’s better to clear our souls so that our salat and duas are accepted by Allah (swt).
I will do the same for you, inshaAllah.
Ya Rabbul Alamin, please grant us all Hidayat, Imaan, Taqwaa and Sabor & protect all human beings from Corona Virus.
Ameen.
(Though collected but felt the words)
সাদা কাফনে মোড়ালে কেন আমায়
বাধা দিয়ে দে ওপারেতে যাওয়ার এখনো আমার হাজার কথা বাকি!
যখনই কষ্ট লাগবে যখনই খারাপ লাগবে নামাজে দাড়িয়ে যান না হয় একদম চুপ থাকুন।
খারাপ লাগাগুলো আপনার
আল্লাহ কে বলুন 💕
মৃত্যু আসার আগেই আপনার পরিবারকে যে সমস্ত বিষয়ে ওসিয়ত করে যাবেন!!
• মসজিদের মাইকে আমার মৃত্যুর খবর বলবেন না..
• আমার মৃত্যুর সংবাদ শুনলে পড়ুন "ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন"
• আমার মৃত্যুকে অকাল মৃত্যু বলবেন না, কারণ আমি আমার নির্ধারিত রিযিক ভোগ করে ফেলেছি।
• আমাকে নিয়ে বিলাপ-মাতম করবেন না কারণ এটা সুন্নাহ বিরোধী কাজ,
• আমার মৃত্যুতে চল্লিশা, কুল-খানি, মিলাদ করবেন না .. কারণ এটা স্পষ্ট বিদ'আত,
• যারা আমার মৃত্যুর খবর শুনবেন বা যারা আমার মৃত্যুর সময় থাকবেন তারা অবশ্যই আমার জানাজায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করবেন।
• আমার লাশ মাহরাম ছাড়া অন্য কাউকে দেখাবেন না
• আমার লাশকে সুন্দরভাবে গোসল করার ব্যবস্থা করে দিবেন,
• লাশ দাফনে ইসলামিক রীতিনীতি অবলম্বন করবেন.... সমাজের নয়
• আমাকে কবরস্থ করার পর কিছুক্ষণ সেখানেই থাকুন আর পড়ুন আল্লাহুম্মা সাব্বিতহু আল্লাহুম্মা সাব্বিতহু।
• আমার কবরের আজাব লাঘবের জন্য ও মুনকার নাকিরের প্রশ্নের উত্তর যেন দিতে পারি সেই দোয়া করবেন আল্লাহুম্মা সাব্বিত হু আলাল ইমান।
• আমার হয়ে দান-সাদাকা করবেন
• আমার সাদাকায়ে জারিয়া চালু থাকলে সেটার খবর নিয়েন,, সে গুলোকে সমুন্নত করার চেষ্টা করবেন।
• আমার পরিবারের খবর নিয়েন
• আমার মৃত্যু থেকে এই শিক্ষা নিয়ে ফিরে যাবেন... আপনার সময়ও অতি নিকটে..!!!
• আমার পাওনা আমার পরিবার কে ফিরিয়ে দিবেন, না পারলে সাদকাহ জারিয়া করবেন আমার জন্য, তাও না পারলে আজিবন আমার জন্য দুয়া করবেন আমি ক্ষমা করে দিব ইন শা আল্লাহ ।
আপনি আমার কাছে পেয়ে থাকলে আমার জীবিত অবস্থায়ই চেয়ে নিবেন আমার কাছে, আর যদি মরে যাই পরিবারের কাছে চাবেন। তারা না দিলে ক্ষমা করে দিবেন আল্লাহর জন্য আল্লাহ ও আপনাকে ক্ষমা করবেন ।
اللهم إني أسألك حسن الخاتمة مع كلمة التوحيد موتا شهيدا وأدخلني الجنة الفردوس الاعلي بلا حساب ولاعذاب يا رب العالمين.
আল্লাহ তোমার কাছে কালিমা নসিব করে উত্তম শহিদি মরন চাই। কোন প্রকার আযাব হিসাব ছাড়া জান্নাতুল ফেরদৌসের প্রবেশ করতে দিও হে পৃথিবীর মালিক।
© শাহীনা ইসলাম সানি
প্রিয় দেশ বাসী,
সবার কাছে বিশেষ অনুরোধ -
জ্বর, ঠান্ডা,কাশির রোগীরা বাসায় বসে চিকিৎসা নিন... হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকুন....সদর হাসপাতালে বা চেম্বারে ভীড় করে অন্যদেরকে ঝুকির মুখে ফেলবেন নাহ...
চিকিৎসা...
. Napa (500mg)
১+১+১-ভরা পেটে যদি জ্বর,ব্যাথা থাকে,প্রয়োজন মতো...
. Fenadin or Tab.Fexo (120mg),
০+০+১=৭ দিন
Nasal drop
১ ফোটা,২ নাকের ছিদ্রে, যদি নাক বন্ধ থাকে।
উপদেশ:
★ ঘরে অবস্থান করুন....
★ প্রচুর পানি পান করুন....
★ সবুজ ফলমূল খান....
★ মাস্ক ব্যবহার করুন....
★ হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন...
★ পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন....
রোগ যাতে না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখুন, রোগ প্রতিরোধ করুন...
(Copied)
চার বন্ধু একবার তাবুক থেকে ষাট কিলোমিটার দুরে ‘নিমাতু রাইত’ নামে এক জায়গায় বেড়াতে গেলো । সকাল নয়টায় তারা পায়ে হেঁটে এমন এক জায়গায় পোঁছালো যেখানে ‘শুক’ নামক এক গভীর খাদ দেখতে পেলো । এটা এতটাই গভীর ও ঝুঁকিপূর্ণ খাদ যে সেখানে নামা মানে জীবনের মায়া ত্যাগ করে বিলিয়ে দেওয়া ।
অ্যাডভেঞ্চারের নেশা তাদের পেয়ে বসলো । আধা ঘন্টার মধ্যে তারা ঐ খাদের তলানিতে পৌঁছে গেলো । মাগরিব পর্যন্ত তারা উপরে ওঠার চেষ্টা করতে থাকলো । পাথরগুলো আঁকড়ে ধরলো কিন্তু মসৃণ পাথরখন্ডে তারা বারবার পিছলিয়ে পড়ে যাচ্ছিলো । পায়ের নিচে পাথরখন্ড ভেঙ্গে যেতে লাগলো ।
এভাবে চেষ্টা করতে করতে তারা এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়লো । তাদের পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেলো । তীব্র পিপাসায় তারা পরাজিত হয়ে পড়লো । চোখের সামনে সাক্ষাৎ মৃত্যু দেখতে পেলো । তবে তাদের অন্তরগুলো ছিলো আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত । তারা দৃড় বিশ্বাসী ছিলো যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন রক্ষাকারী নেই ।
তাদের একজন(বাকিরাও সাক্ষ্য দেয়) আল্লাহর কাছে বিনয়াবনত হয়ে চাইলো । পিপাসায় বুকের ছাতি ফেটে যাচ্ছে, মৃত্যু কামনার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে । কোন মানুষ সেখানে কখনও পা রেখেছে এমন সম্ভাবনাও একেবারেই নেই । এ অবস্থায় হঠাৎ তাদের একজন একটি পানির বোতল দেখতে পেলো । বোতলটি পরিস্কার ও স্বচ্ছ টলটলে পানিতে পরিপূর্ণ । এই পানি তারা বন্ধুরা ভাগাভাগি করে পান করে বেশ আনন্দ পেলো কিন্তু তার চেয়েও বেশি আনন্দের ব্যপার ছিলো ঐ সময়ে আল্লাহ তাদের সাথে ছিলেন । আল্লাহ-ই এই বোতলটা ঐ সময় পাঠিয়ে তাদের রক্ষা করেছিলেন নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ।
এই বোতলটি ছিলো আল-হাফিয তথা মহারক্ষকের হিফাযতের এক অনন্য দৃষ্টান্ত ।
অতঃপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ঐ যুবকেরা আবার উপরে ওঠার চেষ্টা করতে লাগলো । এভাবে মাগরিবের পূর্ব মুহূর্তে তারা ছাদে পৌঁছে যায় । ততক্ষণে তাদের মুখগুলো কালো রং ধারণ করেছে, পোশাক ছিন্নভিন্ন, পা থেকে রক্ত ঝরছে । তবুও আল্লাহর প্রতি তাদের ঈমান তখন পাহাড়সম !!
“ নিশ্চয় আল্লাহ ঈমানদারদের রক্ষা করেন । “
[ সুরা হাজ্জ, ৩৮]
নবী ইউনুস আলাইহিস সালামের কথা আমরা জানি । তাঁর দুশ্চিন্তা আর দুর্ভাবনার সমপরিমাণ দুশ্চিন্তা আর কারও হতে পারেনা । তিনি তিন ধাপ অন্ধকারের ভেতর ছিলেন । গভীর সমুদ্রের অন্ধকার, ঘনকালো রাতের অন্ধকার এবং মাছের পেটের অন্ধকার । কী ভয়াবহ একটা সময় তিনি পার করছিলেন মাছের পেটে আবদ্ধ হয়ে ।
অন্ধকার !
সংকীর্ণতা !
শ্বাসরোধ !
তারপরও এই ভয়াবহ বিপদে তিনি আশ্রয় চাইলেন সেই সত্তার নিকট যিনি সমগ্র সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক, মহারক্ষক । তিনি বলে উঠলেন -
“ লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনায যলিমীন ।
-তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, পবিত্র তোমার সত্তা, অবশ্যই আমি নিজের উপর জুলুমকারীদের একজন ।”
দুর্বল এই আওয়াজ মাছের পেট-সমুদ্র-আর রাতের অন্ধকার ভেদ করে আসমানে উত্থিত হয়ে গেলো । উদ্ধারের পর্ব ঘনিয়ে এলো । তাকে এবার রক্ষা করার পালা । ক্ষমার চাদরে আচ্ছাদিত হলেন তিনি । তিমি মাছ ইউনুস নবীকে ফেলে দিলো সমুদ্রের তীরে । মহারক্ষক তার পাশেই ‘ইয়াকতীন’ গাছের চারা গজিয়ে দিলেন ।
আপনার দুর্বলতার উপর ভরসা রাখুন । আপনি যে কতটা ক্ষুদ্র সেটা বিশ্বাস করতে শিখুন । কোন দুর্ঘটনা বা বিপদ আপদে যদি কোন মানুষ বেঁচে যায় তবে তার পেছনে অবশ্যই একজন সংরক্ষণকারী থাকেন - যিনি তাকে বাঁচান ।
আমরা এন্টিস্লিপ, গাড়ির ব্রেক, প্রতিরক্ষামূলক বেলুন আর সিটবেল্টের উপকারিতা জানি ঠিকই কিন্তু আমাদের কী দুর্ভাগ্য ! এর সক্ষমতা ও অক্ষমতা সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা আল-হাফীয (মহারক্ষক) কে আমরা ভুলে যাই ।
“ তাদের বলে দাও, “আল্লাহ আমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা ছাড়া আর কোন (ভাল বা মন্দ) কিছুই আমাদের স্পর্শ করতে পারেনা । আল্লাহই আমাদের হিফাযতকারী এবং ঈমানদারদের তাঁর ওপরই ভরসা করা উচিত।”
[ সুরা আত-তওবা, ৫১]
[ ‘তিনিই আমার রাব্ব’- বই থেকে কিছু অংশ হুবহু তুলে দেওয়া হলো পাঠকের জন্য ]
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Khaiyachara School Road, Baratakia-4320, Mirsarai
Chittagong
যাবতীয় অনলাইন সংক্রান্ত কাজ, ছবি,প্রিন্টিং,লেমিনেটিং ও ফটোকপি করা হয় এবং শিক্ষা সামগ্রী বিক্রয় করা হয়
Chittagong
Due to financial problems, many people are not able to develop their talents and move forward. We have taken the initiative to bring the help of knowledge to the people by building...
Hera
Chittagong, 400
HELLO FRIEND IAMCHANNEL- OR SUBASCRIBE MY CHANNEL--- মাষ্টার গ্রুপ প্যাকেজ মিডিয়া---ok thank u all...& BY.....
নিউমার্কেট এলাকা, চট্টগ্রাম
Chittagong, 4000
চট্টগ্রাম শহরে বই পড়তে/ পাঠাগারে বই পাঠাতে/ অর্থ সহযোগিতা করতে যোগাযোগ করুন ০১৬২১৯৯৯৩৩১
In Front Of Mohila Technical Training Centre, Polytechnical College Road
Chittagong, 4209
Lohagara
Chittagong, 4397
Sharing ideas and meet technological knowledge of veterinary medicine with the undergraduate students of different university of Bangladesh.