Ziva Style
মা-বোনদের সালাত/ নামায আদায় হোক সহি-শুদ্ধভাবে এটাই আমাদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সহি-শুদ্ধভাবে নামায আদায় করার তাওফিক দান করুক ।
✅অধিকাংশ মা বোনেরাই বাসার সাধারণ জামা কাপড় শাড়ি, থ্রিপিস কিংবা স্যালোযার কামিজ ইত্যাদি পারিধান করে সালাত আদায় করে থাকেন অথচ এ সকল জামা কাপড়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সতর ঢেকে রাখা সালাত আদায় সম্ভব হয়না যার করণে সালাত সহি শুদ্ধ হচ্ছে না ।
আর এই সমস্যার সবচেয়ে সহজ সমাধান হতে পারে এই সালাহ লং খিমার গুলো। কেননা এই খিমার গুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে চেহারা এবং দুহাতের পাতা ব্যতীত বাকি সমস্ত শরীর অনায়াসে ঢেকে রাখা সম্ভব হবে।
✅যে কোন জিনিসের প্রাইস নির্ভর করে তার মানের উপর
🤔দাম শুনেই অবাক এত দাম মার্কেটে তো অনেক কম
কিছুদিন পর আবার নক মার্কেট থেকে একটা কম দামে নিয়েছিলাম। বাসায় এনে ধোয়ার সাথে সাথেই কাপড়টা কেমন হয়ে গেছে। আমার হাইটেও অনেক ছোট হয়
দাম কম মানেই যে খারাপ বা ভালো এমনটা না, যেকোন জিনিস কেনার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে
এই গরমে দরকার হয় পাতলা পোশাক। এক্ষেত্রে সুতি কাপড়ের বিকল্প নেই। সুতি কাপড়ের খিমারগুলো আরামদায়ক হয়, সুতি কাপড়ে বাতাস চলাচলের সুবিধা থাকে।
✅জুমার দিন বা শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক বেশি।
✅ফজিলতের কারণে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
✅আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪)
✅আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম।
✅এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়াছে। এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)
✅ইস্তেগফার 👉 আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।
✅জিকির👉 সুবহানআল্লাহ ,আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ,
আল্লাহু আকবার
✅তওবা👉 আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।
✅দোয়া ইউনুস👉 লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জোয়ালীমিন।
✅দুরুদ শরীফ👉সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ
লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।
✅জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়াঃ
👉আল্লাহুম্মা ইন্নীআস আলুকাল জান্নাতা,ওয়া আউযুবিকা মিনান্নার।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ।
🟢পড়ে শেষ হলে আলহামদুলিল্লাহ।
✅নামায না পড়াকে যারা ছোটখাট বিষয় মনে করেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি- আসুন যেনে নেই নামাজ না পড়ার ভয়াবহতা কত ।
আল্লাহ কুরআনে বার বার জোর দিয়ে বলেছেনঃ
"যালিকা ইয়াওমুল হাক্কু" - এই দিন নিশ্চিতই আসবে!
যারা নামায পড়বেনা তাদের মাথা পাথর দিয়ে আঘাত করে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেওয়া হবে...
🟢নেক্সট টাইম ফরয নামায ত্যাগ করার আগে চিন্তা করবেন, আমি কি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কথা বিশ্বাস করি?
যদি বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে আপনি ফরয নামায কোনোমতেই ত্যাগ করতে পারবেন না।
🟢আর যদি ত্যাগ করেন, তাহলে আপনি কি আল্লাহর কথা বিশ্বাস করলেন?
একটু চিন্তা করে দেখুন - এই আয়াতে আসলে কাদের কথা বলা হয়েছে...
"আর মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।" (বাক্বারাহঃ ৮)
🟢এই আয়াতে যাদের কথা বলা হয়েছে এরা আসলে মুনাফেক, মুখে দাবী করে আমরা ঈমানদার অথচ তাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঈমান নেই...
🟢ফরয নামায না পড়ার শাস্তিঃ
একবার এক স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে কয়েকটি পাপের শাস্তি দেখানো হয়। উল্লেখ্য, নবী-রাসুলদের সব স্বপ্ন ওহী, অর্থাত আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য স্বপ্নঃ
একদিন সকালে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ "আজ রাতে আমার কাছে দুইজন আগন্তুক এসেছিল। তারা আমাকে বললো, আমাদের সাথে চলুন। আমি তাদের সাথে গেলাম। আমরা এমন এক লোকের কাছে পৌঁছলাম, যে চিত হয়ে শুয়ে ছিলো। অপর এক ব্যক্তি পাথর নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে পাথর দিয়ে শুয়ে থাকা ব্যক্তির মাথায় আঘাত করছে এবং থেঁতলে দিচ্ছে। যখন সে পাথর নিক্ষেপ করছে তা গড়িয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। লোকটি গিয়ে পাথরটি পুনরায় তুলে নিচ্ছে। এবং তা নিয়ে ফিরে আসার সাথে সাথেই লোকটির মাথা পুনরায় পূর্বের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। সে আবার লোকটির কাছে ফিরে আসছে এবং তাকে পূর্বের মতো শাস্তি দিচ্ছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আমি আমার সংগী দুইজনকে জিজ্ঞাস করলামঃ সুবহা’ন-আল্লাহ! এরা কারা? তারা পরবর্তীতে উত্তর দেন, সে হচ্ছে এমন ব্যক্তি যারা কুরান মুখস্থ করে তা পরিত্যাগ করে এবং ফরয নামায না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে”।
সহীহ বুখারী, রিয়াদুস সালেহীনঃ ১৫৪৬।
নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক, হে আল্লাহ আমাদের অতীতের ভুল ত্রুটিগুলো মাফ করো এবং ভবিষ্যতে সমস্ত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তোওফিক দান করো, আমীন।
🟢নামায ওয়াক্ত অনুযায়ীই পড়তে হবে, নিজের মন মতো সময়ে পড়লে গ্রহণযোগ্য হবেনাঃ
"ইন্নাস-সালাতি কানাত আ'লাল মুমিনিনা কিতাবান মাওক্বুতা।"
অর্থঃ নিশ্চয়ই নামায মুমিনদের জন্য সুনিদিষ্ট সময়ের সাথেই ফরয করা হয়েছে।
সুরা আন-নিসা, আয়াত ১০৩।
🟢ওয়াক্ত অনুযায়ী নামায না পড়লে তার শাস্তিঃ
"ফাওয়াই লুল্লিল মুসাল্লিন, আল্লাযীনা হুম আ'ন-সালাতিম সাহুন।"
অর্থঃ অতএব দূর্ভোগ ঐ সমস্ত নামাযীদের জন্য, যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে উদাসীন।"
সুরা আল-মাউন, আয়াত ৪-৫।
👉লক্ষ্যণীয় বিষয়ঃ এখানে উদাসীন বলতে যারা নামায পড়ে, কিন্তু দেরী কড়ে পড়ে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে। যেই ব্যক্তি নামায পড়ে কিন্তু দেরী করে পড়ে, তাকেই যদি জাহান্নামের ওয়াইল নামক স্থানে (জাহান্নামের একটি চূড়াতে) যেতে হয়, তাহলে যেই ব্যক্তি নামায পড়েই না তার জাহান্নামের কোন কঠিন ও ভয়াবহ স্থানে যেতে হবে...?
কথা হলো ঈমান......
🟢কেউ যদি সত্যিই বিশ্বাস করে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে - আর মৃত্যুর পরের জীবন দুনিয়ার জীবনের মতোই আরেকটা জীবন, বরং সময়ের দিক থেকে সেটাতো অনন্ত - তাহলে অবশ্যই সে যত যাই থাকুক অন্তত ফরয নামাযটা হলেও আদায় করার চেষ্টা করবে...
আর যার ঈমান শুধু মুখে, অন্তরে নাই - সে বলবেঃ এই পড়বো, পড়া দরকার, কাপড় খারাপ ব্লা ব্লা। কিন্তু পড়ার জন্য যে উদ্যোগ ও চেষ্টা করা দরকার সেটা কোনোদিন করবেনা।
আল্লাহ আমাদেরকে পূর্ণ ৫ ওয়াক্ত নামাযী হিসেবেই মৃত্যু দান করুন, আমীন
আসসালামু আলাইকুম
যারা ফজর এর নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকে তাদের রিজিক ও ঘুমিয়ে থাকে।।আল্লাহ বলেছেন তোমরা ফজর এর নামায এর পড়ে রিজিক এর অন্বেষণ করো।। নিজেরদের জমিনে ছড়িয়ে পড়ো।।যারা ফজর এর নামায না পড়ে ঘুমায় তারা কোনো কাজে বরকত পাবে না।।।তাদের রিজিক এবং বরকত ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।।।সকালে না ঘুমিয়ে হাটাহাটি করলেও শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।। তাই সকালে না ঘুমিয়ে ফজর এর নামায পড়ে আমাদের উচিৎ রিজিক এর অন্বেষণ করা।।।সত্যি মহান আল্লাহর দেয়া নিয়ম খুব ভালো।।
প্রশ্ন: কাযা নামায কিভাবে আদায় করতে হয়?
প্রশ্ন:
১. ঘুম থেকে উঠে যদি দেখি যে, সূর্য উঠে গেছে। তাহলে ফজরের কাজা কিভাবে পড়তে হবে? সূর্য উঠার পর ১৫/২০ মিনিট পর নাকি সূর্য যে অবস্থায় থাকে সাথে সাথেই ফজরের কাজা আদায় করে নিতে হবে?
২. ঘুম থেকে উঠে যদি দেখে যে, সূর্য উঠে গেছে, তাহলে সকালে যদি ফজরের কাজাটা না পড়ে জোহরের নামাজের সাথে একসাথে পড়ে নেয় তাহলে কি তা জায়েজ হবে?
৩. কাজা নামায কি সিরিয়াল অনুযায়ী পড়তে হয়? যেমন: ফজর আর জোহর যদি কাজা হয়, তাহলে যখন আসরের নামাজ পড়ব তখন আসরের নামাযের পূর্বে কি ফজর অত:পর যোহরের নামাযটা আদায় করে নিতে হবে? আর তা না করে যদি এশার সময় ঐ কাজাগুলো একসাথে পড়ে নেই তাহলে কি হবে?
উত্তর:
■ ১) ঘুম থেকে জাগার পর পবিত্র হয়ে অনতিবিলম্বে ফজরের নামায আদায় করে নিতে হবে সূর্য যে অবস্থায় থাকুক না কেন। সূর্য উঠার ১৫/২০ বিলম্ব করবে না।
কেননা, সূর্য উদিত হওয়া শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৫/২০ মিনিট পর্যন্ত এই নিষিদ্ধ সময়ে কেবল সাধারণ নফল নামায আদায় করা নিষেধ। ফরয নামায কাযা করা দোষণীয় নয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম বা ভুলে যাওয়ার কারণে নামায কাযা হয়ে গেলে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার বা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে অনতিবিলম্বে তা আদায় করতে বলেছেন।((বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬০৩ নং)
■ ২. ফজরের কাযা নামায ইচ্ছাকৃত ভাবে বিলম্ব করে যোহরের সাথে আদায় করা জায়েয নয়। অন্যথায় গুনাহগার হতে হবে। সুতরাং ওজর বশত: কোন নামায ছুটে গেলে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি তা আদায় করে দায়িত্বমুক্ত হওয়া জরুরি।
■ ৩. একাধিক ওয়াক্তের নামায ছুটে গেলে সেগুলো পরবর্তীতে কাযা করার সময় ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব অর্থাৎ আগেরটা আগে এবং পরেরটা পরে আদায় করতে হবে। (এটি জুমহুর বা অধিকাংশ আলেমের অভিমত)
আরও পড়ুন:
কাযা নামাযের কতিপয় বিধি-বিধান:
● ক. ঘুম বা ভুলে যাওয়ার কারণে কারও নামায ছুটে গেলে তার করণীয় হল, ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া বা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা কাযা করে নেয়া। তাহলে এতে কোন গুনাহ হবে না। কিন্তু স্মরণ আসা বা ঘুম ভাঙ্গার পরও কাযা করতে বিলম্ব করলে গুনাহ হবে। যেমন নিম্নোক্ত হাদিসটি:
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
مَنْ نَسِىَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا لاَ كَفَّارَةَ لَهَا إِلاَّ ذَلِكَ
“যে ব্যক্তি কোন নামায পড়তে ভুলে যায়, সে যেন তা স্মরণ হওয়া মাত্র পড়ে নেয়। (এই কাযা আদায় করা ছাড়া) এর জন্য আর অন্য কোন কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত) নেই।” (বুখারী ৫৯৭, মুসলিম ১৫৯৮, মিশকাত ৬০৩ নং হাদীস)
● খ. অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি যদি বিনা ওজরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে নামায ছেড়ে দেয় তাহলে সে আল্লাহর নিকট তওবা করবে এবং উক্ত নামায কাযা করবে অন্যথায় তার উপর অর্পিত দায়িত্ব থেকে মুক্ত হবে না। (যদিও এ বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে তবুও কাযা করে নেয়াই অধিক নিরাপদ)
● গ. একাধিক নামায ছুটলে আগেরটা আগে; পরেরটা পরে- এই পদ্ধতিতে ধারাবাহিকভাবে নামায আদায় করবে।
● ঘ. ফরযের পাশাপাশি সুন্নতে রাতেবা বা ফরয নামাযগুলোর আগে বা পরের নিয়মিত সুন্নত নামাযগুলো পড়ার চেষ্টা করবে।
● ঙ . কাযা নামায নিষিদ্ধ সময়েও পড়া যাবে।
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার। সউদী আরব
✅✅اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
✅✅হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে রিযিক দান কর, আমাকে নিরাপদে রাখ, ক্বিয়ামাতের দিনের সংকীর্ণ স্থান থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।(নাসায়ী ১৬১৭)
✅✅اللَّهُمَّ أَحْسَنْتَ خَلْقِي فَأَحْسِنْ خُلُقِي
হে আল্লাহ! তুমি আমার আকৃতি ও অবয়বকে সুন্দর করেছ। অতএব আমার চরিত্রকেও সুন্দর করে দাও।[(নাসায়ী ১৬১৭) ]
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে ভালো আছেন। আমাদের সম্মানিত সকল সদস্য বিন্দুর অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বিশেষ কারণে আমাদের পেইজের নাম Salat khimar house থেকে Ziva Style নামে নামকরণ করা হয়েছে। আশা করি সবাই Ziva Style সাথে থেকে আমাদের পথযাত্রার সাথী হবেন। Ziva Style এর পক্ষ থেকে আপনাদের ও আপনাদের পরিবারের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো।🖤
✅✅হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-‘তিন ব্যক্তির দুআ ফেরত দেওয়া হয় না : রোজাদার ব্যক্তির ইফতারের সময়ের দুআ, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দুআ ও মজলুমের দুআ। এ তিন ব্যক্তির দুআ আল্লাহ তাআলা মেঘমালার উপরে উঠিয়ে নেন। এবং এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। তখন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমার ইযযত ও মহাসম্মানের কসম! বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব।’ -সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৩৪২৮
✅হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-‘রোজাদার ব্যক্তির আনন্দ উপভোগের দুটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে। একটি ইফতারের সময়, অপরটি স্বীয় প্রভূর সাথে সাক্ষাতের সময়।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১/১৬৪
✅✅হাদীস শরীফে এসেছে- ‘যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস সহকারে সওয়বের উদ্দেশ্যে রমজানের রোজা রাখে, আল্লাহ পাক তার জীবনের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০১
✅✅শবে কদর অন্বেষণ : ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করে সহস্র রজনী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও উত্তম রাত-লাইলাতুল কদর তালাশ করা কর্তব্য। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-
✅✅‘নিঃসন্দেহে কদরের রাতে আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি। আর আপনি কি জানেন শবে কদর কী? শবে কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ রাতে ফেরেশতা ও রুহুল কুদ্স (জিবরাঈল আ.) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে (পৃথিবীতে) অবতরণ করে। (এ রাতের) আগাগোড়া শান্তি যা ফজর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’ -সূরা কদর
🟢🟢দান-সদকা করা : দান-সদকা সর্বাবস্থাতেই উৎকৃষ্ট আমল, কিন্তু রমজানে দান-সদকার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমযান মাসে তাঁর দানের হস্ত আরো প্রসারিত হত।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০২
✅✅হাদীস শরীফে এসেছে- ‘হযরত জিবরাইল আ. রমজানের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে নবী করিম (সা.)-এর সাথে সাক্ষাত করতেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কুরআন মজীদ শোনাতেন।’-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০২
🟢অতএব আমাদের সকলের উচিত রমজানে অধিক পরিমাণে কুরআন তেলাওয়াত করা। অন্তত একবার হলেও কুরআন খতম করা।
✅* নফল ইবাদত : রমজান মাসে শয়তান শৃংখলাবদ্ধ থাকে। এই সুযোগে অধিক পরিমাণে নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করা যায়।
✅অপরকে খাদ্য খাওয়ানো: রমাদান মাসে লোকদের খাওয়ানো, বিশেষ করে সিয়াম পালনকারী গরীব, অসহায়কে খাদ্য খাওয়ানো বিরাট সাওয়াবের কাজ ।
✅কুরআনে এসেছে: তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে। [সূরা আদ-দাহর: ৮]
✅🟢অপরকে খাদ্য খাওয়ানো: রমাদান মাসে লোকদের খাওয়ানো, বিশেষ করে সিয়াম পালনকারী গরীব, অসহায়কে খাদ্য খাওয়ানো বিরাট সাওয়াবের কাজ ।
🟢কুরআনে এসেছে: তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে। [সূরা আদ-দাহর: ৮]
👉✅রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘‘হে মানবসকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ এবং ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর আমি দিনে তাঁর নিকট একশত বারের বেশি তাওবাহ করে থাকি’👉[সহীহ মুসলিম : ৭০৩৪]👈
আলহামদুলিল্লাহ
✅বেশি বেশি দান-সদাকাহ করা:
এ মাসে বেশি বেশি দান-সাদাকাহ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ইয়াতীম, বিধবা ও গরীব মিসকীনদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ও বেশি বেশি দান খয়রাত করা।
🟢হিসাব করে এ মাসে যাকাত দেয়া উত্তম। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি দান খয়রাত করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমাদানে তাঁর এ দানশীলতা আরো বেড়ে যেত’’ [সহীহ আল-বুখারী : ১৯০২]
আলহামদুলিল্লাহ। নামাজ শুদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে হেল্প করতে পেরে নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি।
👉মা-বোনের নামায শুদ্ধ হচ্ছে তো?
✅অধিকাংশ মা-বোনেরা নামাযে এ ভুলটি করে থাকেন যার কারণে তাদের নামায শুদ্ধ হচ্ছে না, অথচ তারা নিজেরাও জানেনা যে, তাদের সালাত শুদ্ধ হচ্ছে না।
কেন জানেন? এ ভুলটির কারণে। নামাযের বাহিরে সাতটি ফরয রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম ফরয হচ্ছে সতর ঢেকে নামায আদায় করা।
সতর হচ্ছে নামাযে শরীরের যে অংশ অবশ্যই ঢাকতে হবে, অন্যথায় নামায আদায় শুদ্ধ হবে না। নামাযে পুরুষের সতর হচ্ছে নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত আর নারীদের সতর হচ্ছে সমস্ত শরীর।
المرأة عورة الا وجهها وكفيها
✅নারীদের সমস্ত শরীরই সতরের অন্তর্ভুক্ত, শুধুমাত্র চেহারা এবং দু হাতের পাতা ব্যতিত।
অতএব কোন নারী যদি চেহারা এবং দু হাতের পাতা ব্যতিত অন্য কোন অঙ্গ খোলা রেখে নামায আদায় করে তাহলে তার নামায আদায় শুদ্ধ হবে না।
✅ হাদিসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
إِذَا كَانَ الدِّرْعُ سَابِغًا يُغَطِّي ظُهُورَ قَدَمَيْهَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
✅নারীদের নামায তখনি শুদ্ধ হবে, যখন তারা এমন জামা গায়ে দিয়ে নামায আদায় করবে, যা তাদের পায়ের পাতা পর্যন্ত ঢেকে দিবে।( আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৪০)
👉কেন মা-বোনদের সালাত শুদ্ধ হয় না?
🟢বাসার সাধারন ওড়না দিয়ে সম্পুর্ন সতর ঢাকা কস্টকর।
🟢মাথার চুল বের হয়ে যায়।
🟢কখনো থুতনি থেকে গলার অংশ বের হয়ে যায়।
🟢সালোয়ারে রুকু/সিজদায় টাখনু বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
🟢ছোট বাচ্চাদের টানাটানিতে কাপড় সরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
🟢থ্রি-পিস পরিধান করলে হাতের কব্জি থেকে জামার হাতা পর্যন্ত সতর খোলা থাকে।
👉কিভাবে সম্পূর্ণ সতর ঢাকা সম্ভব হবে?
মাথা এবং হাত ঢাকার জন্য নামাযের লং হিজাব ব্যবহার করা যেতে পারে, আর পায়ের পাতা ঢাকার জন্য পা মোজা অথবা এমন লম্বা জামা যার মাধ্যমে পায়ের পাতা পর্যন্ত ঢেকে রাখা সম্ভব হবে।
🟢👉সালাত খিমারটি কাদের জন্য?🟢👈
🟢যারা চায় আলাদা হিজাব এবং পা মোজা ব্যবহার না করে আরো সহজে পরিপূর্ণভাবে সতর ঢেকে নামায আদায় করার এমন একটি পোশাক, যার মাধ্যমে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সতরের প্রত্যেকটি অংশ পরিপূর্ণভাবে ঢেকে রাখা সম্ভব হবে।
✅আমাদের অভিজ্ঞ কারিগরদের মাধ্যমে সালাতের এই লং খিমারটি তাদের জন্য কাষ্টমাইজ করে তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সতরের প্রত্যেকটি অংশ ঢেকে রাখা সম্ভব হবে।
👉সালাত খিমারটি অর্ডার করতে সম্পূর্ণ ঠিকানা এবং ফোন নাম্বারটি ইনবক্স করুন।
🤙প্রয়োজনে কল করুনঃ- 01863367790
✅রমজান সিয়ামের পাশাপাশি কিয়ামেরও মাস, অর্থাৎ নফল নামাজের মাস। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে (রাতের বেলা নফল) নামাজে দাঁড়িয়ে থাকে, ইমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশায় তার পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (সহিহ বুখারি : ৩৭)।
✅অন্য হাদিসে কিয়ামুল লাইল তথা রাতের নামাজের আদেশও দেওয়া হয়েছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে তারাবির নামাজ আর এর চূড়ান্ত পর্যায় হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। তাই আমাদের উচিত গুরুত্বের সঙ্গে রাতে তারাবির নামাজ আদায় করার পাশাপাশি তাহাজ্জুদের নামাজ এবং অন্যান্য নফল নামাজেও নিয়মিত হওয়া।
✅🟢আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পানাহার করিয়ে ইফতার করাবে, সে তার অনুরূপ সওয়াব লাভ করবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক : ৭৯০৬)।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Cumilla
3573