Hajj and Umrah Service bd-হজ্ব ও ওমরা সার্ভিস বাংলাদেশ
Nearby travel agencies
A. R Mollick Tower Room
Dhaka
Dhaka
55 Purana Paltan
1000
Purana Paltan
Ramna
1100
Suit/102
Bijoynagar
Purana Paltan
Purana Paltan
1000
Purana Paltan
Hajj and Umrah Service bd, হজ্ব ও ওমরা সার্ভিস বাংলাদ?
আলহামদুল্লিলাহ আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে 2022 সালের হাজি সাহেবদের ভিসা প্রিন্ট হল।
সকলকে অস্যংখ ধন্যবাদ।
সুরা বাকারার ২১-২৫ নং আয়াতের বাংলা ও আরবি
2:21
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱعْبُدُوا۟ رَبَّكُمُ ٱلَّذِى خَلَقَكُمْ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে মানুষ [১] ! তোমরা তোমাদের সেই রবের [২] ‘ইবাদাত করো যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন [৩], যাতে তোমরা তাকওয়া অধিকারী হও [৪]।
2:22
ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ فِرَٰشًا وَٱلسَّمَآءَ بِنَآءً وَأَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَأَخْرَجَ بِهِۦ مِنَ ٱلثَّمَرَٰتِ رِزْقًا لَّكُمْ ۖ فَلَا تَجْعَلُوا۟ لِلَّهِ أَندَادًا وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
যিনি যমীনকে তোমাদের জন্য বিছানা ও আসমানকে করেছেন ছাদ এবং আকাশ হতে পানি অবতীর্ণ করে তা দ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফলমূল উৎপাদন করেছেন। কাজেই তোমরা জেনে-শুনে কাউকে আল্লাহ্র সমকক্ষ [১] দাঁড় করিও না।
2:23
وَإِن كُنتُمْ فِى رَيْبٍ مِّمَّا نَزَّلْنَا عَلَىٰ عَبْدِنَا فَأْتُوا۟ بِسُورَةٍ مِّن مِّثْلِهِۦ وَٱدْعُوا۟ شُهَدَآءَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمْ صَـٰدِقِينَ
আর আমরা আমাদের বান্দার প্রতি যা নাযিল করেছি তাতে তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকলে তোমরা এর অনুরুপ কোনো সূরা আনয়ন কর [১] এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তোমাদের সকল সাক্ষী-সাহায্যকারীকে [২] আহ্বান কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও [৩]।
2:24
فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا۟ وَلَن تَفْعَلُوا۟ فَٱتَّقُوا۟ ٱلنَّارَ ٱلَّتِى وَقُودُهَا ٱلنَّاسُ وَٱلْحِجَارَةُ ۖ أُعِدَّتْ لِلْكَـٰفِرِينَ
অতএব, যদি তোমরা তা করতে না পারো আর কখনই তা করতে পারবে না [১], তাহলে তোমরা সে আগুন থেকে বাঁচার ব্যবস্থা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর [২], যা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে [৩] কাফেরদের জন্য।
2:25
وَبَشِّرِ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ أَنَّ لَهُمْ جَنَّـٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَـٰرُ ۖ كُلَّمَا رُزِقُوا۟ مِنْهَا مِن ثَمَرَةٍ رِّزْقًا ۙ قَالُوا۟ هَـٰذَا ٱلَّذِى رُزِقْنَا مِن قَبْلُ ۖ وَأُتُوا۟ بِهِۦ مُتَشَـٰبِهًا ۖ وَلَهُمْ فِيهَآ أَزْوَٰجٌ مُّطَهَّرَةٌ ۖ وَهُمْ فِيهَا خَـٰلِدُونَ
আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করেছে তাদেরকে শুভ সংবাদ দিন যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত [১]। যখনই তাদেরকে ফলমুল খেতে দেয়া হবে তখনই তারা বলবে, ‘আমাদেরকে পূর্বে জীবিকা হিসেবে যা দেয়া হত এতো তাই’। আর তাদেরকে তা দেয়া হবে সাদৃশ্যপূর্ণ করেই [২] এবং সেখনে তাদের জন্য রয়েছে পবিত্র সঈিনী [৩]। আর তারা সেখানে স্থায়ী হবে [৪]।
সুরা বাকারার ১৬-২০ নং আয়াতের বাংলা ও আরবি
2:16
أُو۟لَـٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ٱشْتَرَوُا۟ ٱلضَّلَـٰلَةَ بِٱلْهُدَىٰ فَمَا رَبِحَت تِّجَـٰرَتُهُمْ وَمَا كَانُوا۟ مُهْتَدِينَ
এরাই তারা, যারা হেদায়াতের বিনিময়ে ভ্রষ্টতা কিনেছে [১]। কাজেই তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়নি। আর তারা হেদায়াতপ্রাপ্তও নয়।
2:17
مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ ٱلَّذِى ٱسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّآ أَضَآءَتْ مَا حَوْلَهُۥ ذَهَبَ ٱللَّهُ بِنُورِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِى ظُلُمَـٰتٍ لَّا يُبْصِرُونَ
তাদের উপমা [১], ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে আগুন জ্বালালো; তারপর যখন আগুন তার চারদিক আলোকিত করল, আল্লাহ্ তখন তাদের আলো নিয়ে গেলেন এবং তাদেরকে ঘোর অন্দকারে ফেলে দিলেন, যাতে তারা কিছুই দেখতে পায় না।
2:18
صُمٌّۢ بُكْمٌ عُمْىٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ
তারা বধির, বোবা, অন্ধ, কাজেই তারা ফিরে আসবে না [১]।
2:19
أَوْ كَصَيِّبٍ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ فِيهِ ظُلُمَـٰتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصَـٰبِعَهُمْ فِىٓ ءَاذَانِهِم مِّنَ ٱلصَّوَٰعِقِ حَذَرَ ٱلْمَوْتِ ۚ وَٱللَّهُ مُحِيطٌۢ بِٱلْكَـٰفِرِينَ
কিংবা আকাশ হতে মুষলধারে বৃষ্টির ন্যায়, যাতে রয়েছে ঘোর অন্ধকার, বজ্রধ্বনি [১] ও বিদ্যুৎচমক। বজ্রধ্বনিতে মৃত্যুভয়ে তারা তাদের কানে আঙ্গুল দেয়। আর আল্লাহ্ কাফেরদেরকে পরিবেষ্টন করে রয়েছেন [২]।
2:20
يَكَادُ ٱلْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَـٰرَهُمْ ۖ كُلَّمَآ أَضَآءَ لَهُم مَّشَوْا۟ فِيهِ وَإِذَآ أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُوا۟ ۚ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَـٰرِهِمْ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
বিদ্যুৎ চমকে তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়ার উপক্রম হয় [১]। যখনই বিদ্যুতালোক তাদের সামনে উদ্ভাসিত হয় তখনই তারা পথ চলে এবং যখন অন্ধকারে ঢেকে যায় তখন তারা থম্কে দাঁড়ায় [২]। আল্লাহ্ ইচ্ছে করলে তাদের শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি হরণ করতে পারেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান [৩]।
সুরা বাকারার ১১-১৫ নং আয়াতের বাংলা ও আরবি
2:11
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ قَالُوٓا۟ إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করো না’[১], তারা বলে, ‘আমরা তো কেবল সংশোধনকারী’ [২]।
2:12
أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلْمُفْسِدُونَ وَلَـٰكِن لَّا يَشْعُرُونَ
সাবধান ! এরাই ফাসাদ সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা বুঝে না [১]।
2:13
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ ءَامِنُوا۟ كَمَآ ءَامَنَ ٱلنَّاسُ قَالُوٓا۟ أَنُؤْمِنُ كَمَآ ءَامَنَ ٱلسُّفَهَآءُ ۗ أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلسُّفَهَآءُ وَلَـٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ঈমান আন যেমন লোকেরা ঈমান এনেছে’[১] , তারা বলে, ‘নির্বোধ লোকেরা যেরূপ ঈমান এনেছে আমরাও কি সেরুপ ঈমান আনবো[২]?’ সাবধান ! নিশ্চয় এরা নির্বোধ, কিন্তু তারা তা জানে না।
2:14
وَإِذَا لَقُوا۟ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَوْا۟ إِلَىٰ شَيَـٰطِينِهِمْ قَالُوٓا۟ إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِءُونَ
আর যখন তারা মুমিনদের সাথে সাক্ষাত করে, তখন বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি‘[১], আর যখন তারা একান্তে তাদের শয়তানদের [২] সাথে একত্রিত হয়, তখন বলে, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমরা তো কেবল উপহাসকারী।’
2:15
ٱللَّهُ يَسْتَهْزِئُ بِهِمْ وَيَمُدُّهُمْ فِى طُغْيَـٰنِهِمْ يَعْمَهُونَ
আল্লাহ্ তাদের সাথে উপহাস করেন [১], এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতার মধ্যে বিভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়াবার অবকাশ দেন।
সুরা বাকারার ৬-১০ নং আয়াতের বাংলা ও আরবি
2:6
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ سَوَآءٌ عَلَيْهِمْ ءَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
যারা কুফরী [১] করেছে আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন বা না করুন [২] , তারা ঈমান আনবে না [৩]।
2:7
خَتَمَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ ۖ وَعَلَىٰٓ أَبْصَـٰرِهِمْ غِشَـٰوَةٌ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
আল্লাহ্ তাদের হৃদয়সমূহ ও তাদের শ্রবণশক্তির উপর মোহর করে দিয়েছেন [১], এবং তাদের দৃষ্টির উপর রয়েছে আবরণ। আর তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
2:8
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلْيَوْمِ ٱلْـَٔاخِرِ وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ
আর [১] মানুষের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ্ ও শেষ দিবসে ঈমান এনেছি’, অথচ তারা মুমিন নয়।
2:9
يُخَـٰدِعُونَ ٱللَّهَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ
আল্লাহ্ এবং মুমিনদেরকে তারা প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা নিজেদেরকেই নিজেরা প্রতারিত করছে, অথচ তারা তা বুঝে না [১]।
2:10
فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ ٱللَّهُ مَرَضًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌۢ بِمَا كَانُوا۟ يَكْذِبُونَ
তাদের অন্তরসমূহে রয়েছে ব্যাধি। অতঃপর আল্লাহ্ তাদের ব্যধি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন [১]। আর তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি, কারণ তারা মিথ্যাবাদী [২]।
সুরা বাকারার ১-৫ নং আয়াতের বাংলা ও আরবি
الٓمٓ
১. আলিফ- লাম- মিম [১],
ذَٰلِكَ ٱلْكِتَـٰبُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
২. এটা [১] সে কিতাব যাতে কোনো সন্দেহ নেই [২], মুত্তাকীদের জন্য [৩] হেদায়েত,
ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِٱلْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقْنَـٰهُمْ يُنفِقُونَ
যারা গায়েবের [১] প্রতি ঈমান আনে [২], সালাত কায়েম করে [৩] এবং তাদেরকে আমরা যা দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে [৪]।
وَٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِٱلْـَٔاخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ
আর যারা ঈমান আনে তাতে যা আপনার উপর নাযিল করা হয়েছে এবং যা আপনার পূর্বে নাযিল করা হয়েছে [১], আর যারা আখেরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী [২]।
أُو۟لَـٰٓئِكَ عَلَىٰ هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ ۖ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ
তারাই তাদের রবের নির্দেশিত হিদায়াতের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম[১]।
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-39.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -39 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -39, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-38.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -38 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -38, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-37.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -37 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -37, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/rabbana-dua-36.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -36 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -36, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
সূরা বাকারার শেষের দুই আয়াতের বাংলা অর্থ ও ফজিলত
এ দুটি আয়াতের ফজিলত প্রসঙ্গে নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে এ দুটি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এটাই যথেষ্ট।’
জুবাইর ইবনু নুফাইর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুরা আল-বাকারাকে আল্লাহ তাআলা এমন দুটি আয়াত দ্বারা শেষ করেছেন, যা আমাকে আল্লাহর আরশের নিচের ভান্ডার থেকে দান করা হয়েছে। তাই তোমরা এ আয়াতগুলো শিখবে। তোমাদের স্ত্রীদেরও শেখাবে। কারণ এ আয়াতগুলো হচ্ছে রহমত, (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের উপায় ও (দীন দুনিয়ার সকল) কল্যাণলাভের দোয়া।’ [মিশকাতুল মাসাবিহ: ২১৭৩]
বদরি সাহাবি আবু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুরা বাকারার শেষে এমন দুটি আয়াত রয়েছে, যে ব্যক্তি রাতের বেলা আয়াত দুটি তিলাওয়াত করবে, তার জন্য এ আয়াত দুটোই যথেষ্ট। অর্থাৎ রাতে কোরআন মজিদ তিলাওয়াত করার যে হক রয়েছে, কমপক্ষে সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত তিলাওয়াত করলে তার জন্য তা যথেষ্ট।’ [সহিহ্ বুখারি: ৪০০৮]
হজরত আলী (রা.) বলেছেন, ‘আমার মতে যার সামান্য বুদ্ধিজ্ঞান আছে, সে এ দুটি আয়াত পাঠ করা ছাড়া নিদ্রা যাবে না।’
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যখন আমাকে সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তিনটি জিনিস দান করা হয়। ১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, ২. সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, ৩. এ উম্মতের মধ্যে যারা শিরক করে না, তাদের কবিরা গুনাহ মাফ হওয়ার সুসংবাদ।’ [মুসলিম, তাফসিরে মাজহারি]
আয়াতর দু্ইটির আরবি ও বাংলা অর্থ নিচে দেওয়া হলঃ
ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَـٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦ ۚ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ
আয়াতর দু্ইটির আরবি বাংলা অর্থ
রাসূল তার প্রভুর পক্ষ থেকে যা তার কাছে নাযিল করা হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহ্র উপর, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের উপর। আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে: আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। হে আমাদের রব! আপনার ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্তাবর্তনস্থল।
لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا ٱكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ إِن نَّسِينَآ أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦ ۖ وَٱعْفُ عَنَّا وَٱغْفِرْ لَنَا وَٱرْحَمْنَآ ۚ أَنتَ مَوْلَىٰنَا فَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَـٰفِرِينَ
আল্লাহ্ কারও উপর এমন কোনো দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না যা তার সাধ্যাতীত [১]। সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তারই, আর মন্দ যা কামাই করে তার প্রতিফল তার উপরই বর্তায়। ‘হে আমাদের রব! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের উপর তেমন বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব, কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন [২]।’
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/rabbana-dua-34.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -34 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -34, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/rabbana-dua-33.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -33 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -33, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-32.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -32 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -32, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-31.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -31 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -31, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-30.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -30 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -30, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-29.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -29 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -29, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/rabbana-dua-27.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -27 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -27, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/rabbana-dua-26.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -26 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -26, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-25.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -25 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -25, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-24.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -24 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -24, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-23.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -23 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -23, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/09/Rabbana%20Dua%20-22.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -22 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -22, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana-Dua%20-21.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -21 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -21, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana-Dua%20-20.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -20 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -20, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/rabbana-dua-19.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -19 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -19, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-18.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -18 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -18, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
https://allahiaekmattroobhibhabok.blogspot.com/2021/08/Rabbana%20Dua%20-17.html
রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -17 রাব্বানা দোয়া - Rabbana Dua -17, বাংলা এবং আরবি উচ্চারণ সহ মোনাজাতের অর্থ ও ফজিলত
জিয়ারতে মদিনার দোয়াসমূহ
১. সবুজ গম্বুজ নজরে পড়ামাত্র গাড়ি হতে নেমে দরুদ পড়ুন এবং এ দোয়াটি পড়ুন-
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি মাশাআল্লাহু লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, রাব্বি আদখিলনী মুদখালা সিদকিউঁ ওয়া আখরিজনি মুখরাজা সিদকিউঁ। আল্লাহুম্মাফতাহ লি আবওয়াবা রাহমাতিকা।
অর্থ : আল্লাহর নামে (এ শহরে প্রবেশ করছি) আল্লাহ যা কবুল করেছেন। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া নেক কাজ করা এবং গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। হে আল্লাহ, আপনি আমাকে সত্য পথে প্রবেশ করান এবং সত্য পথেই বের করে আনুন। হে আল্লাহ আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন।
২. রওজা শরিফের কাছে এসে এভাবে সালাম পেশ করুন-
উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
অর্থ : হে আল্লাহর রসুল, আপনার প্রতি সালাম বর্ষিত হোক এবং বর্ষিত হোক আল্লাহর রহমত ও বরকত।
৩. অধিক হারে দরুদ ও কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করুন এবং নবীজীর সামনে আল্লাহর নিকট তাওবা ইস্তেগফার পাঠ করুন।
ইস্তেগফার : আস্তাগফিরুল্লাহা মিন কুল্লি যানবিও ওয়া আতুবু ইলাইহি, লা-হাওলা ওয়ালা-কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
অর্থ : আমি আল্লাহর নিকট সব গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আমি তাঁরই অভিমুখী হই। মহান পরাক্রমশালী আল্লাহর সাহায্য ছাড়া নেক কাজ করা ও অন্যায় কাজ হতে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।
৪. অতঃপর রসুলের (সা.) শাফায়াত কামনা করুন। এভাবে বলুন-
উচ্চারণ : ইয়া রসুলুল্লাহ, সামি’তুল্লাহা ইয়াকুলু-“ওয়ালাও আন্নাহুম ইয যালামু আনফুসাহুম, জা-উকা, ফাস্তাগফারুল্লাহা ওয়াস্তাগফারা লাহুমুর রসুলু-লাওয়াজাদুল্লাহা তাওওয়াবার রাহীমা।” কাদ জি’তুকা মুস্তাগফিরান মিন যুনূবী। মুস্তাশফিআন বিকা ইলা রাব্বি।
অর্থ : ইয়া রসুলুল্লাহ আমি শুনেছি আল্লাহতায়ালা বলেন, আর যদি তারা নিজেদের ওপর জুলুম করার পর আপনার নিকট উপস্থিত হতো এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইত এবং রসুল ও তাদের জন্য ক্ষমা চাইতেন, তবে অবশ্যই তারা আল্লাহকে তাওবা কবুলকারী, করুণাময় পেত। তাই আপনার কাছে আমি এসেছি, আল্লাহর নিকট তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনাকারী হয়ে এবং আমার রবের কাছে আপনার সুপারিশ কামনাকারী হয়ে।
৫. হজরত আবু বকর (রা.)-এর মাজারের সামনে এসে সালাম পেশ করুন-
উচ্চারণ : আস সালামু আলাইকা ইয়া খলিফাতা রাসুলিল্লাহ। ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। জাযাকাল্লাহু আন্না খায়রাল জাযা।
অর্থ : হে আল্লাহর রসুলের খলিফা, আপনার প্রতি সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক। এবং বর্ষিত হোক আল্লাহর রহমত ও বরকত। এবং আমাদের পক্ষ থেকে আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
৬. হজরত উমর ফারুক (রা.)-এর মাজারের সামনে এসে সালাম পেশ করুন-
উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকা ইয়া আমীরাল মু’মিনীন, ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। জাযাকাল্লাহু আন্না খায়রাল জাযা।
অর্থ : হে আমিরুল মুমিনীন, আপনার প্রতি সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক। এবং বর্ষিত হোক আল্লাহর রহমত ও বরকত। এবং আমাদের পক্ষ থেকে আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
৭. আল্লাহ তায়ালার ফেরেশতাদের ওপর সালাম দিয়ে বলুন-
উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়্যিদানা জিবরাঈল, আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়্যিদানা মিকাঈল, আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়্যিদানা ইসরাফিল, আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়্যিদানা আজরাঈল, আসসালামু আলাইকুম ইয়া মালায়িকাতাল মুকারবাবিনা, মিন আহলিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদিনা কাফফাতান, আ-ম্মাতান আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
অর্থ : হে আমাদের সরদার জিবরাইল, আপনার প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। হে আমাদের সরদার মিকাঈল, আপনার প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। হে আমাদের সরদার ইসরাফিল, আপনার প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। হে আমাদের সরদার আজরাইল, আপনার প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। আসমান ও জমিনে বসবাসকারী আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত হে ফেরেশতাগণ, আপনাদের সবার প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। এবং বর্ষিত হোক আল্লাহর রহমত ও বরকত।
৮. জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে সাহাবিদের নাম নিয়ে সালাম পেশ করুন। এরপর সকলকে উদ্দেশ করে বলুন-
উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকুম আহলাদ দিয়ারি মিনাল মুমীনিন ওয়াল মুসলিমীন। ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন। নাসআলুল্লাহা লানা ওয়া লাকুম আফিয়া। জাযাকুমুল্লাহু আন্না খায়রাল জাযা।
অর্থ : হে পবিত্র স্থানের মুমিন ও মুসলমান অধিবাসীগণ, আপনাদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলিত হব। আমরা আল্লাহর কাছে আপনাদের ও আমাদের সকলের জন্য মাগফিরাত কামনা করছি। আমাদের পক্ষ হতে আল্লাহ তায়ালা আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।
৯. হজ-ওমরা থেকে ফেরার সময় এ দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। আ-য়িবুনা, তা-ইবুনা সাজিদুনা লিরাব্বিনা হামিদুনা। সাদাকাল্লাহু ওয়াদাহু ওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া হাযামা আহযাবা ওয়াহদাহু।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তাঁর কোনো শরিক নেই। তাঁরই জন্য সকল রাজত্ব ও প্রশংসা এবং তিনি সব কিছুর ওপর সামর্থ্যবান। আমাদের পালনকর্তার কাছে আমরা আবার ফিরে আসব, তাঁরই কাছে আমরা অভিমুখী হই এবং তাঁর প্রতি সিজদা আদায় করি। আল্লাহ তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন এবং বান্দাকে সাহায্য করেছেন। -সহীহ বুখারী, হাদিস-১৭৯৭
হজের সময় মক্কা-মদিনায় দোয়া কবুলের বিশেষ স্থানসমূহ
১. মাতাফ-তাওয়াফের জায়গা। ২. মুলতাযাম-কাবা ঘরের দরজা ও হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থান। ৩. মীযাবে রহমতের নিচে। ৪. জমজম কুয়ার কাছে। ৫. মাকামে ইবরাহিমের পেছনে। ৬. সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের উপরে। ৭. রুকনে ইয়ামানি ও হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে। ৮. মিনার মসজিদসমূহে ও মিনার ময়দানে। ৯. মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে। ১০. জাবালে রহমত, জাবালে নূর ও জাবালে সাওরে। ১১. কংকর মারার স্থানে। ১২. রিয়াযুল জান্নাতে। উমরাহর সকল দোয়া
হজ ও ওমরাকালীন দোয়াসমূহ
১. তাওয়াফ শুরু করার আগে হাজরে আসওয়াদের কোনায় এসে এভাবে নিয়ত করুন- ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে হজ/ওমরার তাওয়াফ করছি। আমার জন্য তা সহজ করুন এবং কবুল করুন।’
২. এরপর হাত দ্বারা হাজরে আসওয়াদের দিকে ইশারা করে পড়ুন-
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলুল্লাহ্।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি মহান। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক আল্লাহর রসুল মোহাম্মদ (সা.)-এর ওপর।
৩. তাওয়াফ শুরু করার আগে সম্ভব হলে এই দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ঈমানান বিকা, ওয়া তাসদীকান বিকিতাবিকা ওয়া ইত্তিবায়ান লিসুন্নাতি নাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন (সা.)।
অর্থ : হে আল্লাহ (আমি তাওয়াফ শুরু করছি) আপনার প্রতি ঈমান এনে আপনার কিতাবকে সত্যায়ন করে এবং আপনার নবী মোহাম্মদ (সা.)-এর অনুসরণ করে। (মাজমউয যাওয়াইদ, ৫৪৭০)। বি.দ্র. তাওয়াফে এমন কোনো নির্দিষ্ট দোয়া নেই, যা ছাড়া তাওয়াফ সহি হবে না। অতএব, যেকোনো দোয়া পড়া যাবে। তবে এখানে হাদিস ও আসার থেকে কিছু দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো পড়া উত্তম।
৪. রসুলুল্লাহ (সা.) রুকনে ইয়ামানি ও হাজরে আসওয়াদের মাঝে এ দোয়া পড়তেন-
উচ্চারণ : রব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনয়া হাসানাহ ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাহ। ওয়াকিনা আজাবান্নারি।
অর্থ : হে আমাদের রব, আপনি আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন ও আখিরাতে কল্যাণ দান করুন এবং আমাদের জাহান্নামের আজাব হতে রক্ষা করুন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা)।
৫. রসুল (সা.) হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহিমের মধ্যে এই দোয়া পড়তেন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা কান্নি’নী বিমা রাজাকতানী ওয়া বারিকলী ফীহি। ওয়াখলুফ আলা কুল্লি গাইবাতিন লী বিখাইর।
অর্থ : হে আল্লাহ, যে রিজিক আপনি আমাকে দান করেছেন, তাতেই আমাকে তুষ্ট রাখুন ও এতে বরকত দান করুন এবং আমার থেকে যেসব নেয়ামত দূর হয়ে গেছে এর উত্তম বদলা আমাকে দান করুন। (মুসতাদরাকে হাকেম)।
৬.পূর্ণ তাওয়াফে এই দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরিক নেই। বিশ্বময় তাঁর রাজত্ব আধিপত্য। সব প্রশংসা তাঁরই। আর তিনিই সর্বশক্তিমান। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা)।
৭. জমজমের পানি পানের সময় শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলুন এবং পান করার আগে-পরে এই দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়া, ওয়া রিজকান ওয়াসিয়া, ওয়া শিফাআম মিন কুল্লি দা-য়ি।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী ইলম, প্রশস্ত রিজিক ও সব রোগ থেকে শেফা প্রার্থনা করছি। (মানাসিক ১৩৯)।
৮. সাঈ শুরু করার আগে এভাবে নিয়ত করুন- ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ওমরা/হজের সাঈ করছি। আমার জন্য তা সহজ করুন এবং কবুল করুন।’
৯. সাফা পাহাড়ে ওঠার সময় এ দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা’আ ইরিল্লাহ, ফামান হাজ্জাল বাইতা আও ইতামারা ফালা জুনাহা আলাইহি আই ইয়াত্তাওওয়াফা বিহিমা। ওয়ামান তাতাওওয়াআ খাইরান, ফাইন্নাল্লাহা শা-কিরুন আলীম।
অর্থ : নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে ব্যক্তি বায়তুল্লায় হজ কিংবা ওমরা করবে, এই দুটির তাওয়াফে (সাঈতে) তার জন্য দোষ নেই। কেউ স্বেচ্ছায় ভালো কাজ করলে নিশ্চয় আল্লাহ পুরস্কারদাতা সর্বজ্ঞ।
১০. সাফা পাহাড়ে উঠে বায়তুল্লাহর দিকে ফিরে তিনবার ‘আল্লাহু আকবর’ বলে এই দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, য়ুহয়ী ওয়ায়ুমীত বিয়াদিহিল খায়রু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরিক নেই। বিশ্বময় তাঁর রাজত্ব আধিপত্য। সকল প্রশংসা তাঁরই। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান, সব কল্যাণ তাঁর হাতে। আর তিনি সর্বশক্তিমান। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ১২১৮)
১১. সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার সময় সবুজ পিলারদ্বয়ের মধ্যে দ্রুত চলার সময় এই দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতাল আ আযযুল আকরাম।
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন। আপনি মহাপরাক্রমশালী। মহাসম্মানী। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস-১৫৮০৭)
১২. সাঈর প্রত্যেক চক্করে কোরআন হাদিসে বর্ণিত যেকোনো দোয়া পড়তে থাকুন।
১৩. আরাফার ময়দানে বিশেষ কোনো দোয়া বা জিকির পড়া জরুরি নয়। সুবাহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবারসহ যেকোনো দোয়া ও জিকির নিজ ভাষায় করা যেতে পারে।
তবে হাদিস ও আছারে এক্ষেত্রে কিছু দোয়া পড়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। যেমন :
ক) উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহু লা-শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদির। -জামে তরিমিযি, হাদিস-৩৫৮৫।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরিক নেই। বিশ্বময় তাঁর রাজত্ব আধিপত্য। সকল প্রশংসা তাঁরই। আর তিনিই সর্বশক্তিমান।
খ) বর্ণিত আছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) উকুফের সময় দোয়ার জন্য হাত তুলে তিনবার ‘আল্লাহু আকবার ওলিল্লাহিল হামদ’ বলতেন। এরপর এ দোয়া পড়তেন-
উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওলাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদির। আল্লাহুম্মাহদিনী বিল হুদা ওয়া নাক্কিনী বিত তাকওয়া, ওয়াগফিরলি ফিল আ-খিরাতি ওয়াল উলা। -মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদিস-১৪৯২৩
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি অদ্বিতীয় তাঁর কোনো শরিক নেই। বিশ্বময় তাঁর রাজত্ব আধিপত্য। সকল প্রশংসা তাঁরই। আর তিনিই সর্বশক্তিমান। হে আল্লাহ, আপনি আমাকে হেদায়েতের পথে পরিচালিত করুন। আমাকে তাকওয়ার মাধ্যমে পবিত্র করে দিন এবং দুনিয়া ও আখিরাতে আমাকে ক্ষমা করে দিন।
১৪. রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করার সময় এ দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর, রাগামান লিশ শায়াতিন, ওয়া রিদাআন লিররাহমান, আল্লাহুম্মাজ আলহু হাজ্জাম মাবরূরান, ওয়া যানবান মাগফুরান ওয়া সা’ইয়াম মাশকুরান। ওয়া তিজারাতান লান তাবূরা।
অর্থ : সেই আল্লাহর নামে, যিনি মহান। শয়তানকে অপদস্থ করার উদ্দেশ্যে এবং মেহেরবান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমি এ কঙ্কর মারছি। হে আল্লাহ আমার হজ কবুল করুন, গোনাহরাজি ক্ষমা করুন। প্রচেষ্টাকে ফলবতী করুন এবং এই ব্যবসায়কে এমন ব্যবসায় পরিণত করুন যাতে ক্ষয় নেই।
হজ্জ ও উমরাহর সকল দোয়া
একজন মুমিন মাত্রই দিদারে বাইতুল্লাহ ও জিয়ারতে মদিনার স্বপ্ন লালন করে থাকেন। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ঘরের পবিত্র স্পর্শ ও প্রিয় নবীজীর রওজা শরিফে সালাম জানানোর পবিত্র বাসনায় ঝড় ওঠে মুমিন বান্দার হূদয়রাজ্যে। অবশেষে প্রতীক্ষার প্রহর কাটিয়ে একসময় ডাক আসে আল্লাহর ঘরে হাজিরা দেওয়ার। সেই ডাকে লাব্বাইক বলে আমরা হাজিরা দিই পবিত্র কাবার সামনে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গার গুরুত্বপূর্ণ দোয়া মুখস্থ না থাকায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে না প্রেম ও পুণ্যে ভরা আমাদের পবিত্র হজ। হজ্জ ও উমরাহর সকল দোয়া
হজ্জ ও উমরাহর সকল দোয়া
এক. সফরকালীন দোয়াসমূহ-উমরাহর সকল দোয়া
১. পরিবার ও আত্মীয়দের থেকে বিদায় নিয়ে ঘর হতে বের হওয়ার সময় এই দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি, লা-হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি।
অর্থ : আল্লাহতায়ালার ওপর ভরসা করে তাঁর নামেই শুরু করছি। তাঁর সাহায্য ছাড়া নেক কাজ করা ও অন্যায় কাজ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।
২. বিসমিল্লাহ বলে গাড়িতে উঠে এই দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হাজিহি ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনীন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনকালিবুন।
অর্থ : পবিত্র সেই সত্তা, যিনি আমাদের জন্য এই বাহনকে বশীভূত করে দিয়েছেন। তাঁর সাহায্য ছাড়া একে বশীভূত করার ক্ষমতা আমাদের ছিল না। আমরা সকলে তাঁরই কাছে ফিরে যাব।
৩. বাসা বা বিমানবন্দর থেকে ইহরামের কাপড় পরুন এবং এই নিয়ত করুন- ‘হে আল্লাহ আমি আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ/ওমরার নিয়ত করেছি। তা সহজ করুন এবং কবুল করুন।’
৪. নিয়তের পর অধিক হারে তালবিয়া পড়তে থাকুন-
উচ্চরণ : লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা। লাব্বাইকা লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাকা।
অর্থ : আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির। আপনার কোনো শরিক নেই। আমি হাজির। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও নেয়ামত আপনারই এবং সকল রাজত্ব আপনার। আপনার কোনো শরিক নেই। (বুখারী, ১৫৪৯)
৫. বিমানে ওঠার সময় উপরোল্লিখিত সফরের দোয়া পড়ুন এবং বিমান থেকে জেদ্দা বিমানবন্দর নজরে এলে এই দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খায়রা হাজিহিল কারয়াতি ওয়া খায়রা মা ফিহা, ওয়া আউজুবিকা শারবাহা ওযা শাররা মা ফীহা।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এই শহরের এবং এর অভ্যন্তরস্থ সব জিনিসের মঙ্গল কামনা করছি। এবং এর ও এর অভ্যন্তরস্থ সব অকল্যাণ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
৬. জেদ্দায় অবতরণের সময় এই দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : রাব্বি আদখিলনী মুদখালা সিদকিউঁ ওয়া আখরিজনি মুখরাজা সিদকিউঁ ওয়াজাআললী মিললাদুনকা সুলতানান নাসীরা
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক, যেখানে যাওয়া শুভ ও সন্তোষজনক, আপনি আমাকে সেখানে নিয়ে যান এবং যে স্থান হতে বের হয়ে আসা শুভ ও সন্তোষজনক, আপনি আমাকে সেখান থেকে বের করে আনুন এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তিদান করুন।
৭. হারাম শরিফে প্রবেশের সময় এ দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাজা আমনুকা ওয়া হারামুকা। ওয়ামান দাখালাহু কানা আ-মিনা ফাহাররিম লাহমি ওয়া দামি ওয়া আজামি ওয়া বাশারি আলান্নার।
অর্থ : হে আল্লাহ, এটা আপনার সুরক্ষিত পবিত্র স্থান। এখানে প্রবেশকারী যে কেউ আপনার নিরাপত্তা পায়। সুতরাং আমার গোশত, রক্ত, অস্থি ও চর্মকে আগুনের জন্য হারাম করে দিন।
৮. মসজিদে হারামে প্রবেশের সময় অন্যান্য সুন্নাত আদায় করে এই দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফির লী যুনূবী, ওয়াফতাহ লী আবওয়াবা রাহমাতিকা।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমার গোনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আপনার রহমতের দরজাসমূহ আমার জন্য খুলে দিন।
৯. কাবা শরিফ দেখে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ুন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা যিদ হাযাল বাইতি তাশরীফান ওয়া তাযীমান ওয়া তাকরিমান ওয়া মাহাবাতান। ওয়া যিদ মান শাররাফাহু ওয়া কাররামাহু মিমমান হাজ্জাহু আও ই’তামারাহু তাশরীফান ওয়া তাকরীমান ওয়া তাযীমান ওয়া বিরবান। আল্লাহুম্মা আনতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালাম। ফাহায়্যিনা রাব্বানা বিসসালাম।
অর্থ : হে আল্লাহ, আপনার এই ঘরের বড়ত্ব, সম্মান ও মর্যাদা এবং শান শওকত বাড়িয়ে দিন। এবং হজ ও ওমরাকারীদের মধ্যে যে এ ঘরের সম্মান ও ইহতিরাম করবে, তার সম্মান, মর্যাদা, মহত্ব ও নেকি বাড়িয়ে দিন। হে আল্লাহ আপনি শান্তির মালিক, সকল শান্তি আপনার পক্ষ থেকেই। হে আমাদের রব, শান্তির সঙ্গে আমাদের বাঁচিয়ে রাখুন। (আল কিরা, ২৫৫)
আভিধানিক অর্থে হজ্ব
ইচ্ছা করা ও কোনো গন্তব্যের দিকে গমন
শরয়ী পরিভাষায় হজ্ব
বিশেষ ইবাদত আদায়ের উদ্দেশে সুনির্দিষ্ট সময়ে মক্কার উদ্দেশে গমন ।
হজ্বের হুকুম ও ফজিলত
হজ্ব ইসলামের একটি স্তম্ভ, যা আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের উপর ফরজ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে:
(وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلۡبَيۡتِ مَنِ ٱسۡتَطَاعَ إِلَيۡهِ سَبِيلٗاۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٩٧)
{এবং সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ্ব করা ফরজ। আর যে কুফরী করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী।} [সূরা আলে ইমরান:৯৭]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, «ইসলাম পাঁচটি জিনিসের ওপর নির্মিত: এ সাক্ষ্য দেয়া যে আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম. আল্লাহর দাস ও রাসূল এবং নামাজ কায়েম করা, জাকাত দেয়া, বায়তুল্লাহর হজ্ব করা ও রমজানের রোজা রাখা।»(বর্ণনায় তিরমিযী) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যত্র বলেছেন,«যে ব্যক্তি হজ্ব করল এবং অশ্লীল কথা পরিত্যাগ করল এবং কোনো গুনাহ করল না, তার অতীতের সকল পাপ মাফ করে দেয়া হলো।
হজ্বের শর্ত
১- ইসলাম
সে হিসেবে অমুসলিমের উপর হজ্ব ফরজ নয়, অমুসলিম ব্যক্তি হজ্ব করলে তা শুদ্ধও হবে না|
২- সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া
অতএব পাগলের ওপর হজ্ব ফরজ নয়; কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,«তিন ব্যক্তির ওপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে: ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হবে, শিশু যতক্ষণ না সে প্রাপ্তবয়স্ক হবে, পাগল যতক্ষণ না সে সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন হবে।»(বর্ণনায় আবু দাউদ)
৩- প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া
অতএব অপ্রাপ্তবয়স্কের ওপর হজ্ব ফরজ হবে না। তবে যদি সে হজ্বের উদ্দেশে বের হয় তবে তার হজ্ব শুদ্ধ হবে, তবে ইসলামের ফরজ হজ্ব আদায় হবে না। বরং তার হজ্ব নফল বলে গণ্য হবে। ইবনে আব্বাস রাযি. বলেন, জনৈকা মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একটি বাচ্চা দেখিয়ে বলেন,«এর কি হজ্ব হবে?» তিনি বলেন,« হ্যাঁ, আর তুমি ছাওয়াব পাবে।» (বর্ণনায় মুসলিম)
৪- স্বাধীনতা
অতএব দাসের ওপর হজ্ব ফরজ হবে না। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,«দাসদের মধ্যে যদি কেউ হজ্ব করে, অতঃপর তাকে আযাদ করে দেয়া হয়, তাহলে তার উপর আরেকটি হজ্ব থেকে যাবে।»(বর্ণনায় বায়হাকী)
৫- সামর্থ্য থাকা
আর তাহলো হজ্বের খরচা ও বাহন থাকা। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
(وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلۡبَيۡتِ مَنِ ٱسۡتَطَاعَ إِلَيۡهِ سَبِيلٗاۚ )
{মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ্ব করা ফরজ। আর যে কুফরী করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী।} [সূরা আলে ইমরান:৯৭]
৬- নারীর সাথে মাহরাম থাকা
ইবনে আব্বাস রাযি. বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খুতবা দেয়া অবস্থায় বলতে শুনেছি,«আর নারী সফর করবে না তবে মাহরামসহ।»(বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)এ সময় এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার স্ত্রী হজ্বের উদ্দেশে বের হয়েছে, আর আমি ওমুক যুদ্ধে নাম লিখিয়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,«তুমি যাও, তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্ব করো।»(বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম) বদলি হজ্ব
বদলি হজ্ব:
যে ব্যক্তি বার্ধক্য অথবা আরোগ্যহীন ব্যাধিজনিত কারণে অথবা এমন শারীরিক দুর্বলতা হেতু যা তাকে যানবাহনে উঠতে অসামর্থ্য করে দিয়েছে, এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আবশ্যক হলো অন্য কাউকে দিয়ে হজ্ব ও উমরা করানো। বদলি হজ্বকারী হজ্ব অথবা উমরার ইহরাম করার পর যদি সে সুস্থ হয়ে যায়, তবু তার পক্ষ থেকে বদলি হজ্ব শুদ্ধ হবে।
ফাদ্ল ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খাছআম গোত্রের জনৈকা মহিলা বললেন,«হে আল্লাহর রাসূল, আমার পিতার ওপর হজ্ব ফরজ হয়েছে, তবে তিনি অশীতিপর বৃদ্ধ এবং উটের পিঠে ঠিকমতো বসতে পারেন না। তিনি বললেন,«তুমি তার পক্ষ থেকে হজ্ব করে দাও।»(বর্ণনায় তিরমিযী )
কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে যিনি বদলি হজ্ব করবেন তার কয়েকটি শর্ত রয়েছে:
১- উপরোল্লিখিত হজ্বের যাবতীয় শর্ত বদলি হজ্বকারীর মধ্যেও বাস্তবায়িত থাকতে হবে।
২- বদলি হজ্বকারী এমন হতে হবে যিনি ইতঃপূর্বে নিজের হজ্ব করেছেন। যদি নিজের হজ্ব করে না থাকেন তবে বদলি হজ্ব শুদ্ধ হবে না। এমতাবস্থায় বদলি হজ্ব তার নিজের হজ্বে পরিণত হবে। এর প্রমাণ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীস। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন, «শুবরামার পক্ষ থেকে লাব্বায়েক। তিনি বললেন, শুবরামা কে? সে বলল, আমার ভাই, অথবা আমার আত্মীয়। তিনি বললেন, তুমি কি নিজের হজ্ব করেছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি নিজের হজ্ব করো, তারপর শুবরামার পক্ষ থেকে হজ্ব করবে।»
উমরা
আভিধানিক অর্থে উমরা
যিয়ারত
শরয়ী পরিভাষায় উমরা
যেকোনো সময় বায়তুল্লাহ শরীফের যিয়ারত করা, বিশেষ ইবাদত আদায়ের উদ্দেশে।
উমরার হুকুম ও ফজিলত
জীবনে একবার উমরা করা ওয়াজিব। কারো কারো নিকট সুন্নত। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, , «ইসলাম হলো তুমি এ সাক্ষ্য দেবে ে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। আর নামাজ কায়েম করবে, যাকাত দেবে, বায়তুল্লাহর হজ্ব করবে ও উমরা করবে, জানাবতের গোসল করবে, উজু পূর্ণাঙ্গরূপে করবে ও রমজানের রোজা রাখবে।» (বর্ণনায় ইবনে খুযায়মা )
অন্যত্র তিনি বলেছেন, «এক উমরা থেকে অন্য উমরা, এ দুয়ের মাঝে যা ঘটে, তার কাফফারা। আর মাবরুর হজ্বের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত অন্যকিছু নয়।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Dhaka
1000
Opening Hours
Monday | 09:00 - 18:00 |
Tuesday | 09:00 - 18:00 |
Wednesday | 09:00 - 18:00 |
Thursday | 09:00 - 18:00 |
Saturday | 09:00 - 18:00 |
Sunday | 09:00 - 18:00 |
House # 05, 3rd Floor, Road # 17, Block # E, Banani
Dhaka, DHAKA-1213
Tour Operator, Travel Service Provider, Travel Agent, Hotel Booking and Car Rental in Bangladesh
House: 57, Road: 5, Ground Floor, Banani Old DOHS
Dhaka, 1206
::::: Our Services ::::: >> Airline Ticketing >> City Sightseeing >> River Cruise >> Domestic Packag
30, Purana Paltan Lane, Gulf Tower (7th Floor), Nayapaltan
Dhaka, 1000
We are a visa consultancy firm. Our aim is to increase job opportunities abroad.
31/1, 7th Floor, Sharif Complex, Purana Paltan
Dhaka, 1000
Foorti Tours & Travel is working with maximum efficiency to make your travel easier than ever. We al
80/3, Siddheswari Circular Road (Opposite Of CID Headquarter), Malibagh
Dhaka, 1217
All Airlines Air-Ticket(International & Domestic),Air Ticket Date Change,Visa Processing,Hajj & Umrah
74/B/1, Green Road
Dhaka, 1207
We are a travel agency catering to all your travel need anywhere in the world.
Ka-42, J. B Tower, Pragati Sarani, Nadda Bus Stand, Baridhara, Vatara
Dhaka, 1229
Raju auto tours and travels for all your travel solution.
B-88 Arambag Mirpur 7, Pallabi, Dhaka, 1216
Dhaka
Just Travel 4k and HD videos
Dhaka, DHAKA1205
Our services 🏠 Resort & Hotel 🛳 Ship Ticket 🛩️ Air Ticket 🏝️ Holiday Package 🎢 Corporate Tour