ইসলামের বাণী-IslamerBani

ইসলামের বাণী-IslamerBani

প্রতিদিন কোরআনের আয়াত হাদীসের বাণী ?

14/08/2023

শহীদ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন আমিন।

17/04/2023

রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান

মুসলিম উম্মাহর নায়না ও শাসক হিসেবে আল্লাহ আরেকবার সুযোগ করে দিক আমিন।

তুমি মুসলিম বিশ্বের আসল নায়ক
সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার শাসক।
তুমি রাজত্ব করে দেখিয়েছ,
ইসলামের পতাকা সর্বদা উদীয়মান।
ইসলামের শত্রুরা মাথা নত করতে বাধ্য কিয়ামত আসার আগ পর্যন্ত।

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বজায় রাখতে
তোমার মত নির্ভীক দেশপ্রেমী নায়ক প্রয়োজন।

দুর্দান্ত কাজকে সম্পূর্ণ সফলতা আনতে
যেমন তুমি পারো
তেমনি শত্রুকে নিজের আয়ত্তে আনতেও
তুমি সক্ষম।

তুমি ইসলামী শাসনব্যবস্থা পুরো বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে যেভাবে কাজ কর, সকাল মুসলমান তোমার প্রতি সর্বদা রবে কৃতজ্ঞ ।

তুমি মুসলিম উম্মাহর গৌরব ও মহান জনসেবক।

আল্লাহর রহমত তোমার উপর সর্বদা বর্ষিত হোক।
আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক ও তোমার সকল সিদ্ধান্ত মুসলিম উম্মার পক্ষে হোক ও তা সফলতার সাথে প্রতিষ্ঠিত হোক।

আল্লাহ তোমার মাধ্যমে মুসলিম উম্মার চলার পথ
সরল ও সহজ করে দিক।

মুসলিম উম্মাহর নায়না ও শাসক হিসেবে আল্লাহ আরেকবার সুযোগ করে দিক এবং সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার তৌফিক দিক । আমিন।

22/12/2022

আলহামদুলিল্লাহ,
বিশ্বের ১০০ শ্রেষ্ঠ মুসলিম
লিডারদের তালিকায় বাংলাদেশের
মাওলানা ডঃ মিজানুর রহমান (আজহারীর) নাম।

22/12/2022

জাতিকে বিভ্রান্ত শিক্ষা দেওয়ার, তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এসব ফালতু প্রশ্নের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে, পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দিতে হবে।

Photos from ইসলামের বাণী-IslamerBani's post 21/12/2022

তাফসির মাহফিলের অগ্রযাত্রাকে ভা*রতীয় প্লানিং অনুযায়ী রুখে দেওয়া হয়েছে!

কোন অঞ্চলে চুড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে হলে প্রথম যে বিজয়টি হয় বা বিজয়ী হতে হয়। তা হলো সাংস্কৃতিক বিজয়।
তাফসির মাহফিল শুনে কজন নামাজি হলো, কজন দ্বীনদার হলো এই সাবজেক্ট অনুযায়ী আমি কখনো পরিমাপ করিনি।
তাফসির মাহফিল হলো তরুণ প্রজন্মের মাঝে দ্রুত সাংস্কৃতিক, ইতিহাস, ঐতিহ্যর সাথে পরিচিত করানো ও জযবা সৃষ্টি হওয়ার এক হাতিয়ার।

বাংলাদেশ তাফসির মাহফিলের মাধ্যমে মূলত, মুফতি আমির হামজা হাফেঃ, ড.শায়েখ মিজানুর রহমান আজহারী, মাওঃ মামুনুল হক সাহেবের মাধ্যমে বিরাট এক অবস্থান গড়ে উঠেছিলো।
তরুণ প্রজন্মের ৮০% তাফসির কেন্দ্রীক ঝুকতে শুরু করেছিলো, যা ইসলামের বিজয়ের অন্যতম একটি উপাদান।

আপনারা নিজেরাই খেয়াল করুন, যেভাবে বর্তমানে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে তরুণ প্রজন্ম উন্মাদনা করছে,আপডেট রাখছে,লেখালেখি, বিভিন্ন আয়োজনে সময় ব্যয় করছে।
১ বছর আগে ঠিক প্রতিটি জেলায় তরুণ প্রজন্ম মাহফিল নিয়ে, এমন উন্মাদনা, আয়োজন, লেখালেখির, ডিটেইলস আপডেট রাখছিলো।

বাতিলপন্থী বুদ্ধিজীবীরা ঠিকই জানে, মাহফিল শুনে সাথে সাথে একজনও যদি দ্বীনদার না হয় কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কুরআন এমন এক গ্রন্থ এর প্রচার প্রসারে ও সংস্পর্শে থাকলে তরুণেরা ধীরে ধীরে শুধুমাত্র সাধারণ দ্বীনদার না একাক জন মু*জাহিদে পরিনত হয়ে যাবে।

সেজন্য একদল মূর্খ বক্তা, হিংসুক আলেম ও রাজনৈতিক শক্তির মাধ্যমে তাফসির মাহফিলের ইমেজকে যেমন নষ্ট করে দিয়েছে। তেমনি তাফসির মাহফিলের বর্তমান প্রজন্মের আইডলদেরকে বন্দি ও দেশ ছাড়া করা হয়েছে।

আমরা আশাহত নই, সকল ষড়যন্ত্র কে রুখে দিয়ে এই ময়দানে আলো আসবেই ইনশাআল্লাহ।
(সংগৃহিত)

22/09/2022

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার দোয়া

শয়তান মানুষের ঈমান ও আমল নষ্ট করার জন্য সদাতৎপর। শয়তান নিজে যেমন চিরকালের জন্য অভিশপ্ত ও জাহান্নামি, তেমনি মানুষকেও অভিশপ্ত ও জাহান্নামে তার সঙ্গী বানানোর পাঁয়তারায় ব্যস্ত। মানুষকে আল্লাহর অবাধ্য বানানোর জন্য যত প্রকার শক্তি ও সামর্থ্যরে প্রয়োজন সে আল্লাহর কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে। তাই ঈমান-আমল যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। আল্লাহতায়ালা স্বয়ং শয়তানের হামলা থেকে বাঁচার আমল শিখিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা নবীজিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আপনি বলুন, হে আমার রব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি শয়তানদের সব অমঙ্গল ও অনিষ্টতা থেকে।’ -সুরা মুমিনুন : ৯৭

নবী করিম (সা.) সাহাবাদেরকে বিভিন্ন আমল ও দোয়া শিখিয়েছেন। এমনই একটি দোয়া হলো-

উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদির।

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তারই জন্য, আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।

উপকার : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এক শ’ বার এ দোয়াটি পড়বে, সে ১০টি গোলাম আজাদ করার সমান সওয়াব পাবে। তার জন্য এক শ’ সওয়াব লেখা হবে এবং আর এক শ’ গোনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে। কোনো লোক তার চেয়ে উত্তম সওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ওই ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে বেশি ওই দোয়া পড়বে। -সহিহ বোখারি : ৩২৯৩

গোনাহ হয়ে গেলে দোয়া
উচ্চারণ : আতুবু ইলাল্লাহি মিম্মা আজনাবতু।

অর্থ : আমি যে অপরাধ করেছি, তা থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

উপকার : হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার তিনি ছবিযুক্ত গদি ক্রয় করেন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) (তা দেখে) দরজায় দাঁড়িয়ে থাকলেন, প্রবেশ করলেন না। তখন হজরত আয়েশা (রা.) এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। -সহিহ বোখারি : ৫৯৫৭

22/09/2022

আলহামদুলিল্লাহ.! ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ...!
সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১১ টি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে বাংলাদেশের এক ফুটন্ত গোলাপ হাফেজে কুরআন সালেহ আহমাদ তাকরীম ৩য় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে, এদেশের মানুষের হৃদয়ে আশার সঞ্চার করেছে এবং সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ যে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র সে কথার প্রমান দিয়েছে।

সাফ উইমেন চ্যাম্পিয়নশিপ নারী খেলোয়াড়দের বিজয়ে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকতার নগ্ন উন্মাদনায় ব্যস্ত ঠিক সে সময় বাংলাদেশী বিজয়ী হাফেজের এই কৃতিত্ব এদেশের আলেম উলামা ও ইসলাম পন্থিদের মুখে উজ্জ্বল হাসি ফুটিয়েছে।

দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, নারী খেলোয়াড়দের সংবর্ধনার জন্য মিডিয়া কর্মী, তথাকথিত সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের এয়ারপোর্টে ছুটাছুটি চোখে পরার মতই কিন্তু আন্তর্জাতিক হাফেজে কুরআন দেশে ফিরে আসে তাদের জন্য কোন সংবর্ধনার ব্যবস্থা থাকে না। জাতি হিসেবে এটা আমাদের চরম ব্যর্থতা ছাড়া আর কি হতে পারে?

হাফেজদেরকে সম্মান ও সংবর্ধনা দেওয়ার যোগ্যতা মুনাফিকদের নেই কারন মুনাফিক একটি নিকৃষ্ট চরিত্রের নাম। আমাদের সমাজে কিছু মুসলমান রয়েছে যারা ...

কিন্তু নিরাশ হবার কিছু নেই এদেশে মহা সত্য দ্বীন ইসলামের পতাকাধারী দ্বীনের লক্ষ কোটি সৈনিক দেশ ও জাতি রক্ষায় অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

05/09/2022

দোয়া ও আমল সমূহ এবং প্রতিদিনের দোয়া:

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত প্রথম দোয়াটি হলো- আল্লাহর নবী হজরত আইয়ুব আলাইহিস সালামের। তার দোয়াটি ছিলো-

أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ

উচ্চারণ: আন্নী মাচ্ছানিয়াজ্জুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমীন।

অর্থ: (হে আমার প্রতিপালক!) আমাকে দুঃখ-ক্লেশ (ব্যাধি) স্পর্শ করেছে, আর তুমি তো (দয়ালুদের মধ্যে) শ্রেষ্ঠ দয়ালু। ’ -সূরা আম্বিয়া: ৮৩

এই দোয়া প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার (সেই) আহবানে সাড়া দিলাম এবং তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিলাম এবং তার পরিবরাবর্গ ফিরিয়ে দিলাম, আর তাদের সঙ্গে তাদের সমপরিমাণ আরও দিলাম আমার পক্ষ থেকে কৃপাবশতঃ আর এটা ইবাদতকারীদের জন্যে উপদেশস্বরূপ। ’ -সূরা আম্বিয়া: ৮৪

দ্বিতীয় দোয়াটি ছিল আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামের। ওই দোয়াটি হলো-

لَّا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।

অর্থ: তুমি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গোনাহগার। -সূরা আম্বিয়া : ৮৭

এই দোয়া বর্ণনার পর আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার (সেই) আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনিভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি। ’ -সূরা আম্বিয়া : ৮৮

তৃতীয় দোয়াটি হলো হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের। বরকতময় এই দোয়ার দু’টি অংশ পবিত্র কোরআনের ভিন্ন দুই জায়গায় বর্ণিত হয়েছে।

ক. رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ

উচ্চারণ: রাব্বী লা তাযারনী ফারদান ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিসীন।

অর্থ: হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস। -সূরা আম্বিয়া : ৮৯

এই দোয়া কবুল হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে প্রসবযোগ্য করেছিলাম। ’ -সূরা আম্বিয়া : ৯০

খ. একই বিষয়ে তিনি আরেকটি দোয়া করেছিলেন। সেই দোয়ার পর আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতারা এসে তাকে দোয়া কবুলের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। যা সূরা আলে ইমরানের ৩৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে। দোয়াটি হলো-

رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء

উচ্চারণ: রাব্বী হাবলী মিল্লাদুনকা যুর্যিইয়াতান ত্বায়্যিবাতান ইন্নাকা সামিউদ্দোয়া।

অর্থ: হে আমার পালকর্তা! তোমার নিকট থেকে আমাকে পূত-পবিত্র সন্তান দান করো, নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী। -সূরা আলে ইমরান: ৩৮



رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা- লা-তুআ-খিয্না ইন্নাসী না-আও আখ্ত্বো’য়না।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। (সূরা বাকারাহ- ২৮৬)

رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা- অলা-তাহ্মিল্ ‘আলাইনায় ইছরান কামা-হামাল্তাহূ ‘আলাল্লাযীনা মিন্ ক্বাব্লিনা।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। (সূরা বাকারাহ- ২৮৬)

رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা- অলা-তুহাম্মিল্না- মা-লা-ত্বোয়া-ক্বাতা লানা-বিহ্;অ’ফু ‘আন্না-অর্গ্ফি লানা- র্অহাম্না- আন্তা মাওলা-না- ফান্ছুরনা- ‘আলাল্ ক্বাওমিল্ কা-ফিরীন্।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন। (সূরা বাকারাহ- ২৮৬)

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

আরবী উচ্চারণঃ- রাব্বানা লা তুজিগ ক্বুলুবানা বা’দা ইয হাদায়তানা ও হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাহ,ইন্নাকা আনতাল ওহ্হাব।

বাংলা অনুবাদঃ- “হে আমাদের পালনকর্তা ! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে ফিরিয়ে দিওনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা। (সূরা আল-ইমরান-০৮)

رَبَّنَآ اِنَّنَآ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

আরবি উচ্চারনঃ- রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফির লানা ওয়াক্বিনা আযাবান-নার।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। (সূরা আল-ইমরান- ১৬)

رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلَتْ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ

আরবি উচ্চারনঃ- রাব্বানা আমান্না বিমা আনযালতা ওততাবাআনার-রাসুলা ফাকতুবনা মায়শ-শাহিদিইন।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা সে বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যা তুমি নাযিল করেছ, আমরা রসূলের অনুগত হয়েছি। অতএব, আমাদিগকে মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নাও। (সূরা আল-ইমরান- ৫৩)

رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা মা খালাক্বতা হাযা বাট্বিলান্ সুবহানাকা ফাক্বিনা ‘আযাবান-নার’।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি অর্থহীন কাজ থেকে পবিত্র। তাই দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো। (সূরা আল-ইমরান- ১৯১)

رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা ফাগফির লানা যুনুবানা ওয়াকাফ্ফির আন্না সাই-ই আতিনা-ওয়া তাওয়াফ্ফানা মায়া’ল আবরার।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো। (সূরা আল-ইমরান- ১৯৩)

رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلاَ تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيعَاد

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা ওয়া ‘আতিনা মা ওয়া’আততানা’ আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখজিনা ইয়াওমাল-ক্বিয়ামাতি ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়্বা’দ।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা। (সূরা আল-ইমরান- ১৯৪)

رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা আ-মান্না- ফাক্তুব্না- মা‘আশ্ শা-হিদীন্।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আপনি আমাদেরকে সাক্ষ্য দানকারীদের সঙ্গেলিপিবদ্ধ করুন। (সূরা আল-মায়িদাহ্- ৮৩)

قَالَا رَبَّنَا ظَلَمۡنَاۤ اَنۡفُسَنَا ٜ وَ اِنۡ لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَ تَرۡحَمۡنَا لَنَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা জ্বলামনা আনঁফুসানা ওয়া-ইল্লাম তাগ্বফির লানা ওয়া তার’হামনা লা-নাকূনান্না মিনাল-খ্বাসিরীন। (আল আ’রাফ- ২৩)

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব।

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা- লা-তাজ‘আল্না- মা‘আল্ ক্বাওমিজ্বজ্বোয়া-লিমীন্।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের রব, আমাদেরকে যালিম কওমের অন্তর্ভুক্ত করবেন না। (আল আ’রাফ- ৪৭)

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা আফরিগ্ব আ’লাইনা স্ববরাওঁ ওয়া তাওয়াফ্ফানা মুসলিমীন,

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর। (সূরা আল আ’রাফ-১২৬)

أَنتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارحَمْنَا ۖ وَأَنتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- আন্বতা ওয়ালিয়্যুনা ফাগ্বফির লানা ওয়ার-’হামনা, ওয়া আনতা খ্বইরুল-গ্বাফিরীন।

বাংলা অনুবাদঃ- তুমি যে আমাদের রক্ষক-সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের উপর করুনা কর। তাছাড়া তুমিই তো সর্বাধিক ক্ষমাকারী। (সূরা আল আ’রাফ-১৫৫)

رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِر لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُن مِّنَ الْخَاسِرِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বি ইন্নী আ’ঊযু বিকা আন আসআলাকা মা লাইসা লী বিহী ‘ইল্‌ম্, ওয়া ইল্লা তাগ্বফিরলী ওয়া তার’হামনী আকুমঁ মিনাল-খ্বাসিরীন।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমার পালনকর্তা আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি আপনার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, দয়া না করেন, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব। (সূরা হূদ- ৪৭)

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানাগ্বফিরলী ওয়ালি ওয়া-লিদাইয়া ওয়া-লিল মু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াক্বূমুল-’হিসাব।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের পালনকর্তা, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে। (সূরা ইব্‌রাহীম- ৪১

-رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বির হামহু মা-কামা-রাব্বা ইয়া-নী ছ্বোয়াগীরা-।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমার রব, তাঁদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তাঁরা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন। (সূরা বনী ইসরাঈল- ২৪)

رَّبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَل لِّي مِن لَّدُنكَ سُلْطَانًا نَّصِيرًا

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বি আদখ্বিলনী মুদখ্বলা স্বিদক্বিওঁ ওয়া আখ্বরিজনী মুখ্বরজা স্বিদক্বিওঁ ওয়াজ’আললী মিন লাদুনঁকা সুলতানান-নাস্বীরা।

বাংলা অনুবাদঃ- হে পালনকর্তা! আমাকে দাখিল করুন সত্যরূপে এবং আমাকে বের করুন সত্যরূপে এবং দান করুন আমাকে নিজের কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় সাহায্য। (সূরা আল-ইসরা/বনি ইসরাঈল- ৮০)

رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা আ-তিনা মিন লাদুনঁকা রা’হমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা মিন আমরিনা রাশাদা।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন। (সূরা আল কাহ্‌ফ- ১০)

رَبِّ إِنِّي وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّي وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا وَلَمْ أَكُنْ بِدُعَائِكَ رَبِّ شَقِيًّا

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বি ইন্নী ওয়াহানাল-’আয্বমু মিন্নী ওয়াশ-তা’আলার-রা’সু শাইবাওঁ ওয়া লাম আকুমঁ বিদু‘আ-য়িকা রাব্বি শাক্বিই-ইয়্যা।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমার পালনকর্তা! আপনাকে ডেকে আমি কখনও বিফলমনোরথ হইনি। (সূরা মারইয়াম- ০৪

رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي “রাব্বিশশার’হলী ছ্বদরী” (হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন)

وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي “ওয়া ইয়াস্সিরলী আমরী” (এবং আমার কাজ সহজ করে দিন)

وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي “ওয়া’হলুল ‘উক্বদাতাম মিল্লিসানী” (আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন)

يَفْقَهُوا قَوْلِي “ইয়াফক্বাহূ ক্বাওলী” (যাতে তাঁরা আমার কথা বুঝতে পারে)

رَبُّنَا الَّذِي أَعْطَى كُلَّ شَيْءٍ خَلْقَهُ ثُمَّ هَدَى “রাব্বুনাল্লাজ্বি আ’ত্বোয়া কুল্লা শাই ইন খালক্বাহু ছুম্মা হাদা” (আমাদের পালনকর্তা তিনি, যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার যোগ্য আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন)

رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا “রাব্বি ঝিদনী ‘ইল্মা” (হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন)”

(সূরা আত-ত্বহা-২৫,২৬,২৭,২৮,৫০,১১৪)

-رَبِّ فَلَا تَجْعَلْنِي فِي الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বি ফালা-তাজ্ আ’লনী ফিল ক্বাওমিজ্ জ্বোয়ালিমীন্।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমার পালনকর্তা! তবে আপনি আমাকে গোনাহগার সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত করবেন না। (সূরা আল মু’মিনূন- ৯৪)

رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ

وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বি আ’ঊযু বিকা মিন হামাঝাতিশ-শায়তানি,- ওয়া আ’ঊযু বিকা রাব্বি আই- ইয়া’হদ্বুরূন।

বাংলা অনুবাদঃ- “হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি।

এবং হে আমার পালনকর্তা! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি। (সূরা আল মু’মিনূন- ৯৭,৯৮)

رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা আ-মান্না ফাগ্বফির লানা ওয়ার’হামনা ওয়া আনঁতা খ্বাইরুর-রা’হিমীন।

বাংলা অনুবাদঃ- “হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা আল মু’মিনূন- ১০৯)

رَّبِّ ٱغۡفِرۡ وَٱرۡحَمۡ وَأَنتَ خَيۡرُ ٱلرَّٲحِمِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বিগ ফির র্অহাম্ ওআন্তা খাইরুর-রাহিমীন্।

বাংলা অনুবাদঃ- “হে আমাদের রব, আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা আল মু’মিনূন- ১১৮

رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানাস্বরিফ ‘আন্না ‘আযাবা জাহান্নাম, ইন্নাঁ ‘আযাবাহা কানা গ্বরামা।

বাংলা অনুবাদঃ- “হে আমার পালনকর্তা, আমাদের কাছ থেকে জাহান্নামের শাস্তি হঠিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ। (সূরা আল ফুরক্বান- ৬৫)

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা হাব লানা মিন আঝওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা ক্বুর্রতা আ’য়ুনিওঁ ওয়াজ’আলনা লিল-মুত্তাক্বীনা ইমামা।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। (সূরা আল ফুরক্বান- ৭৪)

رَبِّ هَبۡ لِى حُڪۡمً۬ا وَأَلۡحِقۡنِى بِٱلصَّـٰلِحِينَ “রাব্বি হাবলী ‘হুকমাওঁ ওয়া আল’হিক্বনী বিস্ব-ছ্বোয়ালি’হীন” (হে আমার পালনকর্তা, আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর)

وَٱجۡعَل لِّى لِسَانَ صِدۡقٍ۬ فِى ٱلۡأَخِرِينَ “ওয়াজ’আল্লী লিসানা স্বিদক্বিন্ ফিলআ-খিরীন” (এবং পরবর্তীদের মধ্যে আমার সুনাম-সুখ্যাতি অব্যাহত রাখুন)

وَٱجۡعَلۡنِى مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ ٱلنَّعِيمِ “ওয়াজ’আলনী মিনওঁ ওয়ারছাতি জান্নাতিনঁ-নাঈম” (এবং আমাকে নেয়ামত উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর)

وَلَا تُخۡزِنِى يَوۡمَ يُبۡعَثُونَ “ওয়া লা তুখ্বঝিনী ইয়াওমা ইউব’আ’ছূন” (এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না)

يَوۡمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ۬ وَلَا بَنُونَ “ইয়াওমা লা ইয়ানঁফা’উ মালুওঁ ওয়া লা বানূন” (যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না) (সূরা আশ-শুয়ারা-৮৩,৮৪,৮৫,৮৭,৮৮)

-رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বি আওজি’নী আন আশকুরা নি’মাতাকাল্লাতি আন্ আমতা আলাইয়া ও আ’লা অয়ালিদাইয়া ও আন আ’মালা ছ্বলিহান্‌ তারদ-হু অ আদখিলনি বিরাহ্ মাতিকা ফি ই’বাদিকাছ ছ্বোয়ালিহী-ন্।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমার রব, তুমি আমাকে সামর্থ দাও যাতে আমি তোমার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি এবং আমাকে নিজ অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মপরায়ন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর। (সূরা না’মল- ১৯)

رَبِّ إِنِّى ظَلَمۡتُ نَفۡسِى فَٱغۡفِرۡ لِى فَغَفَرَ لَهُ ۥۤ‌ۚ إِنَّهُ ۥ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বি ইন্নী জোয়ালাম্তু নাফ্সী ফাগ্ ফিরলী ফাগফার লাহ্; ইন্নাহূ হুওয়াল্ গাফূরুর রাহীম্।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নফ্সের প্রতি জুলুম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন’। অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা কাসাস- ১৬)

رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বি নাজ্জিনী মিনাল ক্বাউমিয জ্বোয়া-লিমীন।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমার প্রতিপালক! তুমি অত্যাচারী সম্প্রদায় হতে আমাকে রক্ষা কর। (সূরা কাসাস- ২১)

-رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ

আরবি উচ্চারনঃ- রাব্বি ইন্নী- লিমা- আনঝালতা ইলাইয়া মিন্ খাইরিন ফাক্বী-র।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাযিল করবে, আমি তার মুখাপেক্ষী। (সূরা কাসাস- ২৪)

-الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنَّا الْحَزَنَ إِنَّ رَبَّنَا لَغَفُورٌ شَكُورٌ

আরবি উচ্চারণঃ- আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আজহাবা আ’ন্না-লহাযানা ইন্না রাব্বানা- লাগাফুরুন শাকূ-র।

বাংলা অনুবাদঃ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দূঃখ দূর করেছেন। নিশ্চয় আমাদের পালনকর্তা ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (সূরা আল ফাতির- ৩৪)

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বি হাব্লি মিনাস ছ্বোয়ালিহিন।

বাংলা অনুবাদঃ- হে পরওয়ারদিগার! আমাকে একটি সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দাও৷ (সূরা সফফাত- ১০০)

رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা-অসি’তা কুল্লা শাই ইন্ রাহমাতাওঁ অ‘ইল্মান্ ফাগফির লিল্লাজিনা তা-বূ অত্তাবা‘ঊ সাবীলাকা অক্বিহিম্ ‘আজ্বা-বাল্ জ্বাহীম্।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের রব, আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সব কিছুকে পরিব্যাপ্ত করে রয়েছেন। অতএব যাঁরা তাওবা করে এবং আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাঁদেরকে ক্ষমা করে দিন। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আপনি তাঁদেরকে রক্ষা করুন। (সূরা আল-মুমিন- ০৭)

رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা-অ‘আদ্ খিলহুম জ্বান্না-তি ‘আদ্’নিল্লাতী অ‘আত্তাহুম্ অমান্ ছলাহা মিন্ আ-বা-য়িহিম্ ওআয্ওয়া জ্বিহিম্ অর্যুরিয়্যা-তিহিম্; ইন্নাকা আন্তাল্ ‘আযীযুল্ হাকীম্।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের রব, আর আপনি তাঁদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান, যার ওয়াদা আপনি তাঁদেরকে দিয়েছেন। আর তাঁদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করেছে তাঁদেরকেও। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়। (সূরা আল-মুমিন- ০৮)

رَّبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানাকশিফ ‘আন্নাল-’আযাবা ইন্নাঁ মু’মিনূন।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের পালনকর্তা আমাদের উপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি। (সূরা আদ-দুখান-১২)

رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي ۖ إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বি আওঝি’নী আন আশকুরা নি’মাতাকাল্লাতী আন’আমতা ‘আলাইয়া ওয়া ‘আলা ওয়ালিদাইয়া ওয়া আন আ’মালা ছ্বোয়ালি’হান তারদ্বাহু ওয়া আস্বলি’হ লী ফী যুররিয়্যাতী, ইন্নীঁ তুবতু ইলাইকা ওয়া ইন্নীঁ মিনাল-মুসলিমীন।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমার রব, আমাকে সামর্থ্য দাও, তুমি আমার উপর ও আমার মাতা-পিতার উপর যে নিয়ামত দান করেছ, তোমার সে নিয়ামতের যেন আমি শোকর আদায় করতে পারি এবং আমি যেন সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পছন্দ কর। আর আমার জন্য তুমি আমার বংশধরদের মধ্যে সংশোধন করে দাও। নিশ্চয় আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা আল আ’হক্বাফ- ১৫)

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানাগ্বফির লানা ওয়ালি ইখ্বওয়ানিনা-ল্লাযীনা সাবাক্বূনা বিল-ঈমানি ওয়া লা তাজ’আলনা ফী ক্বুলুবিনা গ্বিল্লাল লিল্লাযীনা আ’মানূ রাব্বানা ইন্নাঁকা রাঊফুর-রা’হীম।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের রব, আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি দয়াবান, পরম দয়ালু। (সূরা আল ‘হাশ্‌র্- ১০)

رَّبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা ‘আলাইকা তাওয়াক্কালনা ওয়া ইলাইকা আনাবনা ওয়া ইলাইকাল-মাস্বির।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা আপনার ওপরই ভরসা করি, আপনারই অভিমুখী হই আর প্রত্যাবর্তন তো আপনারই কাছে। (সূরা আল মুমতা’হিনা- ০৪)

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বানা লা তাজ’আলনা ফিতনাতাল-লিল্লাযীনা কাফারূ ওয়াগ্বফির লানা রাব্বানা, ইন্নাঁকা আনঁতাল ‘আঝীঝুল-’হাকীম।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে কাফিরদেও উৎপীড়নের পাত্র বানাবেন না। হে আমাদের রব, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা আল মুমতা’হিনা- ০৫)

رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বা আতমিম লানা নূরনা ওয়াগ্বফির লানা,ইন্নাঁকা ‘আলা কুললি শাইইন ক্বাদীর।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান। (সূরা আত-তা’হরীম- ০৮)

رَّبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا

আরবি উচ্চারণঃ- রাব্বিগ্বফির লী ওয়া লিওয়ালিদাইয়া ওয়া লিমান দাখ্বালা বাইতীয়া- মূ’মিনাওঁ ওয়ালিলমূ’মিনী-না ওয়াল-মু’মিনাতি ওয়া লা তাঝিদিজ্ব জ্বোয়ালিমীনা ইল্লা তাবারা-।

বাংলা অনুবাদঃ- হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না। (সূরা নূ’হ- ২৮)

দোয়ার উপরোক্ত ভাষ্যগুলোর গ্রহণযোগ্যতা যেহেতু পরীক্ষিত, সুতরাং রোগ মু্ক্তি, বিপদমুক্তি কিংবা সন্তান লাভের জন্য এসব দোয়ার মাধ্যমে প্রার্থনা করা বুদ্ধিমানের কাজ। আল্লাহতায়ালা আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।

05/09/2022

যিনার গুনাহ কিভাবে মাফ হয়?
সুতরাং আল্লাহর ভালোবাসার পাথেয় হলো তাওবা আর এই তওবা হতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আমরা জানি যে প্রত্যেক কর্মের ফলাফল নির্ভর করে তার নিয়তের উপর। সুতরাং তওবা আল্লাহর জন্য হলেই আমরা তার কাঙ্খিত ফজিলত লাভ করতে পারব। এখন প্রশ্ন হলো তাওবা কিভাবে করতে হয়…? মহান আল্লাহর হক ও অধিকার সম্পর্কিত হলে তিনটি শর্ত বাস্তবায়ন করলেই হয়ে যাবে।

এক নাম্বারঃ পাপাচার পুরোপুরিভাবে ছেড়ে দিতে হবে।

দুইনাম্বারঃ পাপের জন্য অনুশোচনা করতে হবে, লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে।

তিন নাম্বারঃ ঐ পাপ দ্বিতীয়বার না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং দৃঢ় সংকল্প করতে হবে এবং যেনা-ব্যভিচার ইত্যাদি আর করবেন না বলে এর উপর অটল অবিচল থাকতে হবে। আর মানুষের হক বা অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলে আরো একটি শর্ত যুক্ত করতে হবে আর তা হলো যে ব্যক্তির হক নষ্ট করা হয়েছে সে ব্যক্তির কাছ থেকে মাফ চাইতে হবে অথবা তার পাওনা প্রাপ্তি এবং তার হক ফিরিয়ে দিতে হবে। এই শর্তগুলো পূরণ করলেই তওবা শুদ্ধ হবে। অন্যথায় তাওবা বিশুদ্ধ হবেনা।

তওবা করার নিয়ম বা পদ্ধতি

তওবা করার সুন্দর একটি পদ্ধতি হলোঃ তাওবা করার জন্য প্রথমে সুন্দর করে উত্তমরূপে অজু করে নিতে হবে। এরপর দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহতালার কাছে মাগফিরাত ও ক্ষমা চাইতে হবে এবং বিগত জীবনের সমস্ত পাপ সমূহ এবং আদেশ অমান্য করার অপরাধ থেকে মার্জনা চাইতে হবে।

তবে গভীর রাতে উঠে দুই রাকাআত তওব নামায পড়া সবচেয়ে উত্তম। কিভাবে তওবা নামাজ পড়বেন এই সম্পর্কিত একটি আর্টিকেল আমি অনেক আগে পোস্ট করেছি সেটি আমার প্রোফাইলে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। তওবা করার সময়সীমা হলো মৃত্যুর নিদর্শন প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত। এ সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন→ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর বান্দার তাওবা কবুল করেন যতক্ষণ না সে (মৃত্যুযন্ত্রণায়) গরগর করে। (তিরমিজি হাদিস নাম্বারঃ ৩৫৩৭)

তবে খেয়াল রাখা জরুরী তওবা মানে এই নয় যে আমরা সেই শেষ সময়ের প্রতীক্ষা করবো আর মৃত্যুর সময় কাছাকাছি এলেই তওবা করে নিব। এই ধারণা থেকে আমাদেরকে ফিরে আসতে হবে। প্রকৃত বিষয় হলো আমরা কেউই জানিনা ঠিক কখন কবে আমাদের মৃত্যুর সময় এসে পড়বে। তাই পাপে মগ্ন থাকার কোন সুযোগ নেই। আমরা যদি হাদিসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই। রাসূল সাল্লাহু সালাম বলেন→ হে মানবজাতি! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা করো। কেননা আমি প্রত্যেকদিন আল্লাহ নিকট শতবার তাঁর নিকট তওবা করি।( মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ৭০৩৪)

সুতরাং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সালাম এর সুন্নত অনুযায়ী আমাদের প্রতিনিয়ত ও সার্বক্ষণিক তওবার ওপর থাকতে হবে। তাই আসুন আমরা উপযুক্ত তাওবার শর্ত গুলো পূরণ করার মাধ্যমে সুন্নাত সম্মত তওবা করে আল্লাহর ভালবাসা হাসিল করি। আর সুযোগ পেলেই মন দিয়ে এই ইস্তেগফারটি পড়বো এবং পড়ার সময় মন দিয়ে এর অর্থের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।

তো সেই ইস্তেগফারটি হলোঃ আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতু-বু ইলাইহি অর্থাৎ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এবং তার নিকট তওবা করছি। অথবা প্রত্যেকদিন আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন এবং প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর শেষ করে(তিনবার) আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন। কারণ এটিও আমাদের রাসুলের সুন্নত।( সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৬৩০৭, মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ৭০৩৪, আবু দাউদ হাদিস নাম্বারঃ ১৫১৫)

ভালো লাগলে আমার পেইজে এবং সাইটের পোস্ট গুলি দেখে আসতে পারেন এখানে আমি প্রতিদিন নতুন নতুন আপডেট দিয়ে থাকি আজকের আপডেট

Photos from ইসলামের বাণী-IslamerBani's post 04/09/2022

ইহুদিদের দালাল, ইহুদিবাদীদের সংস্থা আমেরিকান জিউস কমিটির এজেন্ট "মোহাম্মদ আল-ইসা", ইসলামবিরোধী "মালালা ইউসুফজাইয়ের" সাথে দেখা করেছেন। শুধু তাইনা বিশ্বজুড়ে মুসলিম মেয়েদের "মালালা ইউসুফজাই" শিক্ষাকে সমর্থন করার জন্য উপর জোর দেন।

04/09/2022

আমরা অনেকেই জানি না অন্যের মাধ্যমে পাঠানো সালামের উত্তর কিভাবে দিতে হয়।

মানুষ পারস্পরিক অভিবাদনে সালাম দ্বারা ভাব বিনিময় করে থাকেন। অবশেষ বিদায় বেলায়ও সালাম আদান প্রদানের মাধ্যমে বিদায় নেয়। তখন পরিচিত লোকদেরকে সালাম পাঠান। আবার ফোনে কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে পরিচিত লোকদেরকে সালাম জানান। এই সালাম দেয়া সুন্নাত আর উত্তর দেয়া ওয়াজিব।

সুতরাং সালাম যাকে দিয়ে যেভাবেই পাঠানো হোক না কেন, সালামের উত্তর দেয়া আবশ্যক। এই যে কারো মাধ্যমে কাউকে সালাম পাঠালে, অনেকেই সালামের উত্তর না জানার কারণে সালামের উত্তর দেয়া থেকে বিরত থাকে। যা গোনাহের কাজ। তাই কারো মাধ্যমে পাঠানো সালামের উত্তর দেয়ার নিয়ম তুলে ধরা হলো-

এক সাহাবা বলেন, আমার আব্বা আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট পাঠালেন এবং বললেন, তুমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকটে যাও এবং তাঁকে সালাম প্রদান কর। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকটে গেলাম এবং বললাম, আমার আব্বা আপনাকে সালাম বলেছেন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-

عَلَيْكَ وَعَلَي اَبِيْكَ السَّلَامُ
উচ্চারণ : আলাইকা ওয়া আলা আবিকাস-সালাম।
অর্থ : তোমার প্রতি এবং তোমার পিতার প্রতি সালাম বা শান্তি বর্ষিত হোক।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)

অতএব সালাম দাতার জন্য এবং সালাম প্রেরণকারীর জন্য বলতে হবে-
عَلَيْكَ وَ عَلَيْهِ السّلَامُ
উচ্চারণ : আলাইকা ওয়া আলাইহিস সালাম)।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সালাম প্রেরণকারীর সালামের উত্তর যথাযথভাবে দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

প্রশ্ন: ডিপ্রেশন কিভাবে তৈরী হয়? 31/08/2022

প্রশ্ন: ডিপ্রেশন কিভাবে তৈরী হয়?

প্রশ্ন: ডিপ্রেশন কিভাবে তৈরী হয়? প্রশ্ন: ডিপ্রেশন কিভাবে তৈরী হয়? উত্তর: শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য অনেক ধরণের কৌশল অবলম্বন করে। তার মাঝে একট...

দ্বীন তো মুসলমানদের একত্রিত করার কথা 31/08/2022

দ্বীন তো মুসলমানদের একত্রিত করার কথা

দ্বীন তো মুসলমানদের একত্রিত করার কথা দ্বীন তো মুসলমানদের একত্রিত করার কথা। এটা তো আমাদের মাঝে বিভক্তি তৈরী করার কথা না। যদি এটা শুধু বিভক্তি নিয়ে কথা ব...

আল্লাহর নাম 'আল-ফাত্তাহ'-এর উপর বিশ্বাস 31/08/2022

আল্লাহর নাম 'আল-ফাত্তাহ'-এর উপর বিশ্বাস

আল্লাহর নাম 'আল-ফাত্তাহ'-এর উপর বিশ্বাস ইসলামের বাণী আল্লাহর নাম 'আল-ফাত্তাহ'-এর উপর বিশ্বাস করে আল্লাহর উপর আমরা আমাদের ইয়াকিন এবং তাওয়াক্কুল সীমাহীন উচ....

পুণ্যবান লোকেরা থাকবে অফুরন্ত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মাঝে। 31/08/2022

পুণ্যবান লোকেরা থাকবে অফুরন্ত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মাঝে।

পুণ্যবান লোকেরা থাকবে অফুরন্ত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মাঝে। সূরা মুতাফফিনিনে আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা বলেন- "ইন্নাল আবরারা লাফিই নাঈম- পুণ্যবান লোকেরা থাকবে অফুরন্ত সুখ-স্বা.....

05/08/2022

মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সৌজন্যপ্রবণ। এ সৌজন্যের একটি অংশ হলো সমাদর করা, তারিফ করা। একজন ভদ্র মানুষ সুন্দর কিছু দেখলে তার কদর করে। একজন শিষ্টাচারী মানুষ বিমান থেকে চমৎকার কোনো দৃশ্য দেখে বলে উঠে—ওয়াও! দৃশ্যটা খুবই সুন্দর। একজন শিষ্টাচারী মানুষ সুন্দর কোনো চিত্র, সুন্দর কোনো গাড়ি, সুন্দর কোনো বাড়ি, সুন্দর যে কোনো কিছু দেখলে বলে উঠে— হ্যাঁ, এটা খুব সুন্দর। তারা এগুলোর সমাদর করে। (মুখে না বললেও মনে মনে কদর করে।)

কিন্তু, খুবই খুবই বিকৃত মস্তিষ্কের কেউ যত সুন্দর কিছুই দেখুক না কেন, সে জানে এটা সুন্দর, তারপরেও সে সমাদরকারীদের কাঁতারে নিজেকে নামাতে চায় না। মুখ বাঁকা করে বলবে— "হুঁহ, আমার এতে কিছু যায় আসে না।" কিন্তু একজন শিষ্টাচারী মানুষ এমনটা করবে না। শিষ্টাচারী মানুষ এর প্রশংসা করবে, কদর করবে। এটা হলো একটা দিক।

শিষ্টাচারের দ্বিতীয় যে দিকটির উপর আমি ফোকাস করতে চাই তা হলো— কেউ যদি আপনার কোনো উপকার করে তাহলে শিষ্টাচারের দাবী হলো অন্তত এর জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। এটা ধর্মীয় কোনো বিষয় নয়। কোথাও যাচ্ছেন পথিমধ্যে গাড়ির চাকা নষ্ট হয়ে গেল। এখন, কেউ যদি এগিয়ে এসে চাকা লাগাতে সাহায্য করে তাহলে তাকে অন্তত বলুন— ধন্যবাদ ভাই।

তাহলে একজন শিষ্টাচারী মানুষ তারিফ করে এবং ধন্যবাদ জানায়। এই দুইটি জিনিস একজন ভদ্র মানুষের ভেতরে সেট করে দেওয়া হয়েছে। কারো যদি ধন্যবাদ জানানোর বা প্রশংসা করার সামর্থ্য না থাকে তাহলে তাকে আর যাই বলা যাক ভদ্র মানুষ বলা যায় না।

সৌজন্যতার বা ভদ্রতার কুরআনিক টার্ম হল ফিতরাহ। আল্লাহ আগে থেকেই আমাদের ভেতরে এই ভদ্রতার বৈশিষ্ট্য স্থাপন করে দিয়েছেন। সূরা ফাতিহার প্রথম শব্দ হলো—আলহামদুলিল্লাহ। প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা আল্লাহর জন্য।

একজন ভদ্র মানুষ চিন্তা করে কথা বলে। "যদি আমার স্ত্রী সুন্দর কোনো কারুকাজ/চিত্রকর্ম আমার সামনে এনে উপস্থাপন করে আমি তার প্রশংসা করি। আমার বাবা যখন পড়ার খরচ প্রদান করেন আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমার বাবার জন্য আমি কাকে ধন্যবাদ জানাবো? আমার দাদাকে। আমার দাদার জন্য কাকে?" এভাবে সে গভীরভাবে চিন্তা করে। সে ভাবে— এর শুরু কোথায়? আমি এই চিত্রকর্মের প্রশংসা করতে পারি। এই চিত্রকর্ম হলো একটি পর্বতের। কিন্তু পর্বতের জন্য আমি কার প্রশংসা করবো? আসল পর্বত দেখেই তো এই ছবি আঁকা হয়েছে। তাই না? কিভাবে আমি এর জন্য প্রশংসা করবো?

এভাবে সে প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুবে যায়। শেষে একমাত্র যে উপসংহারে সে পৌঁছে তা হল, কেউ একজন এরজন্য প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। চারপাশে নিদর্শনের সংখ্যা অগণিত।

প্রসঙ্গত, যে শিষ্টাচার হারিয়ে ফেলেছে সে কি কাউকে প্রশংসা করার জন্য খুঁজছে? না। সে কখনো গ্লাসটি অর্ধেক পূর্ণ দেখবে না। সে সবসয় দেখবে গ্লাস অর্ধেক খালি। তাই সে বিশাল পর্বত দেখে বলবে— "হ্যাঁ, সুন্দর পর্বত। কিন্তু বরফ প্রাণঘাতী। আকাশ অসাধারণ কিন্তু মেঘ দিয়ে ঢাকা।" সে সবকিছুতেই সমস্যা দেখতে পাবে। সে কোনো কিছুর তারিফ করতে পারবে না। জানেন? এই ধরণের মানুষদের সাথে থাকতে কারোই ভালো লাগে না। এটা ধর্মীয় কোনো বিষয় নয়, তাই আমি এই কথা বলতে কোন পরোয়া করি না। এই ধরণের মানুষদের আশে পাশেও কেউ থাকতে চায় না। কারণ, মনে হয় যেন তারা জীবন উপভোগ করার সকল ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছে।

একজন চিন্তাশীল ব্যক্তির সহজাত সিদ্ধান্ত হল, সমস্ত কিছুর জন্য আল্লাহ প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা পাওয়ার যোগ্য।

[রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "আল্লাহর তুলনায় আত্মপ্রশংসা বেশি পছন্দকারী কেউ নেই। এজন্যই তিনি নিজে নিজের প্রশংসা করেছেন। এমনিভাবে আল্লাহর তুলনায় বেশি আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্নও কেউ নেই। এজন্যই প্রকাশ্য এবং গোপনীয় সকল প্রকার অশ্লীলতাকে তিনি হারাম ঘোষণা করেছেন।" সহিহ মুসলিম।

নিশ্চয় সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সুন্দরভাবে প্রশংসা করা ভালবাসেন। এবং তিনি তাঁর আনুগত্য, উপাসনা এবং স্মরণের মাধ্যমে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার বিষয়টিকেও ভালবাসেন। তাই মুসলিম ব্যক্তির একটি উত্তম কাজ হলো এই যে, সে যেন তার পালনকর্তার অধিকতর সুন্দরভাবে সুন্দর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার কর্মে রত থাকে।

Want your business to be the top-listed Media Company in Dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

ঈসা মসীহ আ সব খাবার কে হালাল করেছেন ।। মুহাম্মদ সাঃ কেন অনেক খাবারকে হারাম করেছে
পাঠ্যপুস্তক থেকে রাসুলের জীবনী তুলে দেওয়া হচ্ছে। নাউজুবিল্লাহ। ।
হযরত সুলেইমান (আঃ),হযরত উমর (রাঃ),হযরত বিলাল (রাঃ),হযরত আনাস (রাঃ) এর জীবনী | মিজানুর রহমান আজহারী
জাগ্রত হও ঘুমন্ত মুসলিম জাতি। রুখে দিন ইসরায়েলকে। শেয়ায় করুন সবাই।
এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করে আল্লাহর কি উপকার হয়েছে জাকির নাইক

Category

Telephone

Address

Dhaka
Dhaka
1206

Other TV/Movie Awards in Dhaka (show all)
Movie clip Movie clip
Natore
Dhaka, 1000

follow my page

Crush queen Crush queen
Dhaka

Hi, This is ummah page.inshallah may allah help us.

Natok Entertainment Natok Entertainment
Dhaka

funny Natok to movie all connected

Md Raju Md Raju
Dhaka

Love

Raya akter Raya akter
Dhaka

Sexy Tv News Sexy Tv News
Sexy Tv News
Dhaka, SEXYTVNEWS

Ahmad Al amin Ahmad Al amin
Dhaka

12345678

Craze bangla Craze bangla
Netrakona's
Dhaka, 1207

New page.plz saport

Valo vashi ami tomi Valo vashi ami tomi
Narayanganj
Dhaka, 001122

Netflix Subscription Bangladesh - Netflix Subscription Bangladesh -
Dhaka
Dhaka, 1200

Dear sir/mam! Welcome to our page for buying Netflix subscriptions. Our store has available US & Tur

Md opu Md opu
Job
Dhaka, JOB

◢◣❍★ █❍★ █▅▅▅▅▅▅▅▅▅▅▅� ▅▅▅▅▅▅▅▅� ▅▅▅▅▅▅� ▅▅▅▅� ▅▅▅� █❍★ █❍★ █❍★ ◥মা◤ ████████ ███████ ████ ███