Royal Mart
Royal Mart is a unique online shop for quality products and services in Bangladesh.
Royalmart is committed to delivering organic and original products at fair prices at the customer's doorstep. The purpose of Royalmart is to provide the best customer experience in online shopping.
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=833891461596283&id=100049263116454&mibextid=Nif5oz
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=839310727721023&id=100049263116454&mibextid=Nif5oz
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=832466821738747&id=100049263116454&mibextid=Nif5oz
#বেলের পুষ্টিগুণ
বেল কিন্তু সেই প্রাচীন সময় থেকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উপকারী ফল হিসেবে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। এর মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান তো আছেই, তাছাড়াও আরও অনেক পুষ্টিগুণ আছে। যেমন ধরুন ১০০ গ্রাম বেলে আপনি পাবেন ১.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৩১.৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৩ গ্রাম ফ্যাট, ৫৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ, ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৮৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। তার মানে বুঝতেই পারছেন কত দিক থেকে বেল পুষ্টিকর আপনার স্বাস্থ্যের জন্য।
কী কী উপকার আছে:
চরক সংহিতায় কিন্তু বেলের উল্লেখ আছে। বেল গাছের সবকটি অংশকেই বলা হয়েছে ভেষজ গুণসম্পন্ন। তাই আজ থেকেই বেল খাওয়া শুরু করুন।
১. কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়:
আমরা সেই ছোট থেকে শুনে আসছি, পেট পরিষ্কার করার জন্য বেল খেতে হয়। এটি কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাবেও সত্য। বেল সুন্দর ভাবে মল পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। নিয়মিত রোজ টানা ৩ মাস যদি আপনি বেলের শরবৎ খেতে পারেন তাহলে আপনার মল আর কঠিন থাকবে না। কোষ্ঠকাঠিন্য আর হবে না। পাকা বেলের শাঁস বের করে চিনি দিয়ে মিশিয়ে আর জল বা দুধে ঘেঁটে শরবৎ করে খান।
২. ডায়রিয়া কমায়:
কাঁচা বেল ডায়েরিয়ার জন্য অব্যর্থ ওষুধ। যদি অনেক দিন ধরে আপনি এই সমস্যায় ভোগেন তাহলে বেল খান। কাঁচা বেল স্লাইস করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর তা গুঁড়ো করে নিন আর এই গুঁড়ো ১ চামচ নিয়ে ব্রাউন সুগার আর গরম জলে মিশিয়ে খান। দিনে দু বার খেতে হবে এই জল। আপনাকে ফল পেতে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
৩. পেপটিক আলসারের ওষুধ:
আপনার আলসার যদি দীর্ঘ দিনের হয় তাহলে তো ডাক্তার দেখাতেই হবে, ওষুধ খেতেই হবে। কিন্তু তার সঙ্গে বেল খাওয়াও কিন্তু খুব দরকার। পাকা বেলের শাঁসে সেই ফাইবার আছে যা আলসার উপশমে সাহায্য করে। সপ্তাহে তিন দিন বেলের শরবৎ করে খান আলসার কমাতে। এছাড়া বেলের পাতা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেই জল খেলেও কিন্তু অনেক কমে যায় আলসার।
৪. ডায়াবেটিস কমায়:
পাকা বেলে আছে মেথানল নামের একটি উপাদান যা ব্লাড সুগার কমাতে অনবদ্য কাজ দেয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় এটি ধরা পড়েছে। তবে ভালো ফল পেতে পাকা বেল শরবৎ করে নয়, এমনিই খেতে হবে।
৫. যক্ষ্মা কমায়:
শুনে একদমই চমকে উঠবেন না। পাকা বেলে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান, যা যক্ষ্মা কমাতে সাহায্য করে। তবে ভালো ফল পেতে আপনাকে ব্রাউন সুগারের সঙ্গে বা মধু দিয়ে বেলের শরবৎ করে রাতে খেতে হবে শুতে যাওয়ার আগে। এটি টানা চল্লিশ দিন খান। উপকার পেতে আপনি বাধ্য।
৬. আর্থ্রারাইটিস উপশম করে:
এটি একটি এমন সমস্যা যা আজকাল শুধু বয়স্কদের নয়, অনেক কম বয়সের মানুষদেরও হচ্ছে। গাঁটে গাঁটে ব্যথা, চলতে সমস্যা এই সবই এর লক্ষণ। কিন্তু বেলে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান এই ব্যথার হাত থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে। নিয়ম করে তাই বেল খান।
৭. স্কার্ভি কমায়:
স্কার্ভি হল দাঁতের একটি সমস্যা যেটি মূলত ভিটামিন সি’র অভাবে হয়। দাঁতের ক্ষয় হয় মূলত এই রোগ হলে। বেল এই রোগের প্রকোপ কমায়। আমরা দেখেইছি যে বেল হল ভিটামিন সি’র একটি অনবদ্য উৎস। তাই আমরা আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন সি’র চাহিদা বেল থেকে পূরণ করতে পারি।
৮. ক্যানসার থেকেও দূরে রাখে:
ক্যানসার আজকের দিনের এক মহামারী বলা যায়। আমরা সবাই চাই এই রোগটি থেকে দূরে থাকতে। বেল কিন্তু আমাদের এই রোগ থেকে দূরে রাখে। এতে আছে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান। এই উপাদান টিউমার হতে দেয় না সহজে। আর যেহেতু এই ফলে হাই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান আছে তাই ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
৯. আভ্যন্তরীণ সার্বিক স্বাস্থ্য ধরে রাখতে:
বেলে আছে ফেনোলিক কম্পাউন্ড যা উচ্চ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই গাছের সব অংশই অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। ড্যামেজ কোষ থেকে ফ্রি র্যাটডিকেল হওয়া কমায়। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বার্ধক্য কমায় আর ত্বকের যৌবন ধরে রাখে।
১০. ম্যালেরিয়া কমায়:
এটাও নিশ্চয়ই আগে শোনেননি? বেলের কিন্তু এই গুণটিও আছে। ম্যালেরিয়া হলে কাঁচা বেল নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এবার ১ চামচ এই বেল গুঁড়ো নিয়ে তার সঙ্গে তুলসীর রস নিন। সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন দিনে দু বার। এটি কিন্তু অসাধারণ কাজ দেয়।
১১. রক্ত শুদ্ধ করে:
আমাদের শরীরের প্রধান উপাদানই তো রক্ত । রক্তের মাধ্যমেই পুষ্টিগুণ সব অংশে পরিবাহিত হয়। তাই রক্তের শুদ্ধ থাকাটা খুব দরকার। বেল এই রক্ত শুদ্ধ করতে খুব ভালো কাজ দেয়। খানিকটা পাকা বেলের রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে এটি রক্ত শুদ্ধ করে। ট্যান দূর করে। শুধু রক্ত নয়, কিডনি ও লিভারের কাজও ঠিক করে।
১২. এনার্জি বাড়ায়:
আজকের দিনে আমাদের অনেক কাজ করতে হয়। বসে থাকার সময় নেই আমাদের। তাই এনার্জি বাড়াতেই হবে। বেল এই এনার্জি বাড়াতে অনবদ্য। ১০০ গ্রাম বেল ১৪০ ক্যালোরি এনার্জি দেয়। বেল মেটাবলিক স্পিড বাড়ায়। আর এতে হাই প্রোটিন আছে বলে পেশি তাড়াতাড়ি সজাগ হয়। তাই আমরা অনেকটা সময় জুড়ে এনার্জেটিক থাকতে পারি। অনেক কাজ করতে পারি।
১৩. লিভারের যত্ন:
বেল বিটা ক্যারোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। আর বিটা ক্যারোটিন হল লিভার ভালো রাখার অন্যতম মূল চাবিকাঠি। বেলে আছে থিয়ামিন আর রাইবোফ্লেভিন। এই দুই উপাদানই লিভারের শক্তি বাড়ায় খুব ভালো ভাবে। তাই লিভার ভালো রাখতে রোজ বেল খাওয়ার অভ্যেস করুন।
১৪. ব্লাড প্রেসার কমায়:
যদি আপনি বেলের ভক্ত নাও হন, তাও বেল খান। কারণ বেল আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখবে। সাধারণ যেমন বেলের শরবৎ খান সেভাবে খেলেই হবে। মিষ্টি এই শরবৎ কিন্তু আপনার এই চাপ থেকে আপনাকে অনেক দূরে রাখবে।
১৫. আমাশয় কমায়:
আমাশয় হলে কিন্তু আমাদের যন্ত্রণার একশেষ। নাভির কাছে চিনচিনে ব্যথা, টক বমি সব মিলে খুব বাজে ব্যাপার। কিন্তু বেলের কাছে এটি কমাবারও ম্যাজিক আছে। কচি বেল টুকরো করে কেটে জলে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সেই জল পরের দিন ছেঁকে নিয়ে খান। দেখবেন এতে খুব ভালো ফল পাবেন।
শক্ত খোলসে আবৃত টক মিষ্টি স্বাদের দেশীয় ফল #কদবেল। আমের চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ, কাঁঠালের দ্বিগুণ, আর আমলকী ও আনারসের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি পরিমাণ আমিষ রয়েছে ফলটিতে।
আসুন জেনে নিন কদবেলের আরো উপকারিতা সম্পর্কে-
✅ কদবেলের খনিজ উপাদান #ডায়াবেটিস_রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ূর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার হয়।
✅ কদবেল শরীরের #তাপমাত্রা_নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়।
✅ কদবেল উদ্দীপক ও মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় আয়ূর্বেদ শাস্ত্রে। এ ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষিত রাখে।
✅ কদবেল যকৃত ও হৃদপিণ্ডের বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
✅ কদবেল পাতার রস পানির সঙ্গে নিয়মিত পান করলে #পেপটিক_আলসার দ্রুত ভালো হয়।
✅ ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে বেশ দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
✅ কদবেল পাতার নির্যাস #শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
✅ কদবেল #রক্ত_পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। গুড় বা মিছরির সঙ্গে কদবেল মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
✅ কদবেল মহিলাদের #হরমোনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে। এমনকি স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার নিরাময় করে থাকে।
✅ কদবেলের ট্যানিন নামক উপাদান দীর্ঘস্থায়ী #ডায়রিয়া ও #পেট_ব্যথা ভালো করতে সাহায্য করে।
✅ কদবেল #কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
✅ ভিটামিন সি’য়ের ভালো উৎস বিধায় স্কার্ভি প্রতিরোধে সহায়ক হিনেবে কাজ করে।
ভীষণ টক স্বাদের ছোট ও উপকারী এই ফলটি #করমচা নামে পরিচিত সবার কাছে। এশিয়া, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ান উপমহাদেশগুলোতে এই ফলটির খোঁজ পাওয়া যায়। লালচে-সবুজ এই ফলটি আমাদের দেশে সাধারণ গ্রামাঞ্চলের দিকে বেশি সহজলভ্য।তাই হাতের কাছে যে কদিন পাওয়া যায় প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও করমচা খাওয়ার চেষ্টা করুন নিম্নোক্ত কারণগুলোর জন্য।
✅করমচা থেকে কোন ধরণের ফ্যাট এবং খারাপ কোলেস্টেরল পাওয়া যাবে না।
✅টক স্বাদের এই ফলটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ #ভিটামিন-সি। যা খাবারে রুচি ফেরাতে সাহায্য করবে। বিশেষত জ্বর, ডায়রিয়া, আমাশয়ের রোগীদের জন্য খুব ভালো কাজ করবে করমচা।
✅করমচাতে থাকা #পটাশিয়াম রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রেখে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধেও কার্যকরি এই ফল।
✅শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তপাত রোধ করতে খুব উপকারী দেশীয় এই ফল। এতে থাকা #পটাশিয়াম_ইলেক্ট্রোলাইটের কার্যকারিতাকে বৃদ্ধি করে। যা শরীরে আঘাতের ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাতকে দ্রুত কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখে।
✅লিভার ও কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করতে কাজ করবে করমচা, কারণ এতে থাকা কপার কোলাজেন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। যা লিভার ও কিডনির ক্ষতিকে দ্রুত সারিয়ে আনে।
✅কিছু ক্ষেত্রে কৃমির সমস্যা কমাতে অবদান রাখে করমচা।
✅পেটের সমস্যা দূর করতে ও কমাতে সাহায্য করে করমচা।
✅উপকারী এই ফলে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি এবং পটাশিয়াম শারীরিক ক্লান্তিভাব দূর করে। অন্যদিকে ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় দৃঢ়তা আনে।
✅ভিটামিন-সি’র পাশাপাশি করমচা থেকে আরও পাওয়া যাবে ভিটামিন-এ, যা #চোখের_স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়া এতে থাকা বেশ কিছু #অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখতে অবদান রাখে।
#ডালিম মোটামুটি সবারই পছন্দের ফল। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে অনেকেই নিয়মিত ডালিম খান। ডালিমদানা খাওয়ার পাশাপাশি এর জুসও খেতে পারেন। কারণ, ডালিমের জুসও অনেক উপকারী। জেনে নিন এর উপকারিতা সম্পর্কে-
রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখেঃ ডালিম রসে: #ফ্রুক্টোজ থাকলেও এটি অন্য ফলের রসের মতো রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ডালিম রস খেলে রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক থাকে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়ঃ শরীর থেকে মুক্ত ক্ষতিকর উপাদান কমিয়ে #ক্যানসার_ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এই মুক্ত উপাদান অন্যান্য রোগ সৃষ্টি করে। তাই রোগব্যাধি দূর করতে ডালিম রস উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী গুণাগুণ আছে ডালিমে। শরীরের ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ডালিমের রস।
হজমশক্তি বাড়ায়ঃ ডালিমে আছে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ। দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনের আঁশ থাকায় এটি #হজমশক্তি_বাড়ায় এবং অন্ত্রের নড়াচড়া নিয়মিত করে।
হিমোগ্লোবিন বাড়ায়ঃ আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ (ফাইবার) সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে #হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা এক গ্লাস ডালিমের রস
খান।
তথ্যসূত্র: জিনিউজ।
#কলমি_শাক একটি আঁশজাতীয় খাবার। পুষ্টি গুণে কলমি শাক অনন্য। এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে খাদ্যউপাদান। এই শাক দামে সস্তা ও সহজলভ্য, কিন্তু পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে থানকুনি, কচু কিংবা পুঁইশাকের চেয়েও এ শাকের পুষ্টিগুণ বেশি।
ভর্তা কিংবা ভাজি করে খাওয়া হয় কলমি শাক। এছাড়া পাকোড়া, বড়া ইত্যাদি তৈরি করেও খাওয়া যায়। এই শাকে রয়েছে অনেক ঔষধী গুণ। এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে। কলমি শাককে বসন্ত রোগের প্রতিষেধক বলা হয়। এছাড়া এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেশি।
এবার জেনে নেয়া যাক কলমি শাকের বিস্তারিত উপকারিতা সম্পর্কে-
কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ #ক্যালসিয়াম। এটি হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। ছোট শিশুদের নিয়মিত কলমি শাক খাওয়ালে তাদের হাড় মজবুত হয়।
১) কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি'। এটি #অ্যান্টি_অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
২) কলমি শাক #বসন্ত_রোগের_প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
৩) পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারি। সারা দেহে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতে এই শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে।
৪) জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে কলমি শাক রান্না করে মাকে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে। এক্ষেত্রে কলমী শাকের সঙ্গে ছোট মাছ দিয়ে রান্না
করে খেলে মায়ের দুধ বৃদ্ধি পাবে এবং তখন বাচ্চা বেশি দুধ পাবে।
৫) আঁশে ভরপুর একটি খাবার কলমি শাক। এটি খাদ্য হজম, খাদ্য পরিপাক ও বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। নিয়মিত কলমি শাক খেলে #কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।
এক্ষেত্রে কলমী শাক তুলে সেচে এক পোয়া পরিমাণ রস করে আখের গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল এক সপ্তাহ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
৬) যদি কারো বাগি বা ফোড়া হয়, তবে এই কলমী পাতা তুলে একটু আদাসহ পাটায় বেটে ফোড়ার চারপাশে লেপে দিয়ে মাঝখানে খালি রাখতে হবে। তিন দিন এইভাবে
লেপে দিলে ফোড়া গলে যাবে এবং পুঁজ বেরিয়ে শুকিয়ে যাবে।
৭) #রাত_কানা রোগে এই কলমী শাক কয়েক সপ্তাহ প্রতিদিন একবেলা ভাজি রান্না করে খেলে ভালো হয়।
৮) গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে, হাতে-পায়ে পানি আসে। সেই সময় কলমী শাক বেশি করে রসুন দিয়ে ভেজে তিন সপ্তাহ খেলে পানি কমে যায়।
৯) যদি প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালা-যন্ত্রণা হয়, সেই সময় কলমীর রস করে ৩/৪ চামচ পরিমাণ ৩ সপ্তাহ খেলে ওই জ্বালা কমে যায়।
১০) হাত-পা বা শরীর জ্বালা করলে কলমী শাকের রসের সঙ্গে একটু দুধ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
১১) পিঁপড়া, মৌমাছি, বিছা বা কোন পোকা-মাকড় কামড়ালে এই কলমী শাকের পাতা ডগাসহ রস করে লাগালে যন্ত্রণা কমে যায়।
১২) #আমাশা হলে কলমী পাতার রসের সঙ্গে আখের গুড় মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল নিয়মিত খেলে আমাশার উপশম হয়।
১৩) কলমিশাক চোখের জন্যও বিশেষ উপকারী। কলমিশাক #দৃষ্টিশক্তি_প্রখর করে।
১৪) কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। রোগীদেরকে দ্রুত সুস্থ্য হবার জন্য কলমি শাক খাওয়ানো হয়ে
থাকে।
১৫) মহিলাদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় সমস্যায় দ্রুত কাজ করে কলমিশাক। ঋতুশ্রাবের সমস্যা দূরীকরণে কলমি শাক উপকারী ভূমিকা পালন করে।
১৬) যাদের মাঝে মাঝে বিনা কারণে মাথাব্যথার সমস্যা আছে, তারা কলমি শাক খেলে উপকার পাবেন। #অনিদ্রা_দূরীকরণেও কলমি শাক খেতে পারেন।
১৭) #মাথার_খুশকি দুর করতেও কলমি শাক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
তবে #ইউরিক_এসিডিটিতে যারা ভুগছেন কিংবা কিডনিজনিত সমস্যায় আছেন, এমন ব্যক্তিরা কলমি শাক না খাওয়াই ভালো।
প্রবাদ আছে—শাকের মধ্যে পুঁই, মাছের মধ্যে রুই। দেশের জনপ্রিয়, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শাকের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে #পুঁইশাক। বাজারে সারা বছরই কমবেশি পুঁইশাক পাওয়া যায়। ইলিশ-পুঁই ও চিংড়ি-পুঁই অনেকের অতি প্রিয় খাবার। নানা ধরনের ভিটামিনসমৃদ্ধ এই শাক এক দিকে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
পুঁই লতাজাতীয় উদ্ভিদ। পুঁইগাছের পাতা ও ডাঁটা শাক হিসেবে খাওয়া হয় বলে সচরাচর একে পুঁইশাক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এটি নরম বহুশাখাযুক্ত উদ্ভিদ। এর মাংসল লতা দ্রুত বাড়ে, দৈর্ঘ্যে ১০ মিটারও হতে দেখা যায়। পুঁইয়ের মোটা, রসাল, হরতন আকৃতির পাতায় মৃদু সুগন্ধ আছে। পাতা মসৃণ, খানিকটা পিচ্ছিল ভাব আছে। এই শাক দুই ধরনের। একটি সবুজ পাতা ও ডাঁটা হালকা সবুজ। অন্যটি সবুজ পাতা কিন্তু কাণ্ড বা ডাঁটা লালচে বেগুনি রঙের, যা লাল পুঁই হিসেবে পরিচিত।
অন্যান্য শাকের মতো এতে অনেক ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, লোহা ও ক্যালসিয়াম আছে। আমিষের পরিমাণও বেশি। এ ছাড়া এর মধ্যে আঁশের পরিমাণও অনেক
পুঁইশাকের উপকারিতাঃ
✅পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে, যা #কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, দেহের বর্জ্য বের করতে সাহায্য করে।
✅পুঁইশাকে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। #চোখের_দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, সেই সঙ্গে চুল মজবুত করে।
✅নিয়মিত পুঁইশাক খেলে পাইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুবই কম।
✅পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার থাকে, যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
✅যাঁরা ত্বকে ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য পুঁইশাক খুবই ভালো।
✅বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এই শাক রোগ প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
✅পুঁইশাকের আছে #অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ। শরীরের কোনো অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফুলে গেলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম হয়।
✅শরীরে খোসপাঁচড়া কিংবা ফোঁড়ার মতো অনাবশ্যক সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়তে পারদর্শী পুঁইশাক।
✅যাঁদের প্রায় প্রতিদিনই মাথাব্যথা থাকে, নিয়মিত পুঁইশাক খেলে তাঁরা উপকার পাবেন খুব দ্রুত। তাই পরিবারের সবার স্বাস্থ্যসচেতনতায় খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখুন পুঁইশাক।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো
তেঁতুলের আচার অনেকের পছন্দ। সাধারণত টক খাওয়ার জন্য আমরা #তেঁতুল খাই। কিন্তু জানেন কি? তেঁতুলে লুকিয়ে আছে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
তেঁতুলে এমন অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে যা শরীরের একাধিক রোগ নিয়ন্ত্রণে করে। আসুন জেনে নেই যেসব রোগ নিয়ন্ত্রণ করে তেঁতুল।
১. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেঁতুল খুব ভালো কাজ করে। তাই নিয়মিত তেঁতুল খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
২. #রক্তচাপ_নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে তেঁতুল। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩. তেঁতুল রক্তে খারাপ #কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
৪. তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা ত্বকের ভালো রাখে।
৫. তেঁতুলের রস শরীরে এইচসিএ বা #হাইড্রোক্সিসিট্রিক_এসিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে।
৬. তেঁতুলে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর #অ্যান্টি_ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া যেকোনো ধরনের ক্ষত সারাতেও তেঁতুল ভালো কাজ করে।
৭. তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ম্যালিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং পটাশিয়াম থাকে। যা #কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
সূত্র : জি নিউজ
#মিষ্টি কুমড়া আমাদের দেশে বেশ পরিচিত একটি সবজি। এটি দেখতে যেমন সুন্দর, আবার খেতেও খুব সুস্বাদু। বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় এই সবজি। মিষ্টি কুমড়া কাঁচা এবং পাকা দুই ভাবেই খাওয়া হয়। ভাজা, ভর্তা, ঝোল রান্না, সুস্বাদু হালুয়া ইত্যাদি উপায়ে খাওয়া যায় এটি। সবজিটির বিভিন্ন স্বাস্থ্যোপকারিতা রয়েছে।
প্রাকৃতিক এই সবজিটি ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, কপার ও ফসফরাসসহ অন্য #অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের ধারক। এতে বিদ্যমান বিটা ক্যারোটিন শরীরে #ক্যানসার প্রতিরোধক কোষ গঠন করে থাকে। এবার তাহলে মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
১) খাদ্য হজমে সহায়কঃ
#ফাইবারজাতীয় হওয়ায় মিষ্টি কুমড়া সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এটি। এছাড়া ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও পরিপাক নালীর খাদ্য সঠিক উপায়ে সরবরাহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই সবজি।
২) ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ
মিষ্টি কুমড়া ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এতে বিদ্যমান ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি মানুষের ত্বক ও চুল ভালো রাখে। এ জন্য চকচকে চুল ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া রাখতে পারেন। নিয়মিত এই সবজি খাওয়ার ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধও হবে। এছাড়া এই সবজিতে থাকা জিংক, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখে এবং #অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৩) ওজন কমায়ঃ
মিষ্টি কুমড়া কম ক্যালোরি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন কমাতে কার্যকরী খাবার। যারা অনাকাঙ্ক্ষিত বেড়ে যাওয়া ওজন কমাতে চান তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়া উপকারী খাবার। তারা নিয়মিত খেতে পারেন এই সবজি।
৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ
বর্তমান সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি খুবই জরুরি। আর জরুরি এই কাজে মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। এতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্মিডেন্ট ভিটামিন ই মানবদেহকে ক্যানসার ও আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। আর এতে থাকা ভিটামিন সি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
মৌসুমের সবজিগুলোর মধ্যে #কাঁকরোল অন্যতম। যদিও এ সবজি অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না; কিন্তু সারা গায়ে কাঁটাযুক্ত এ সবজির বিস্ময়কর পুষ্টিগুণাগুণ ও উপকারিতার কথা বিভিন্ন গবেষণায় বারবার উঠে এসেছে। কারণ এর পুষ্টিগুণাগুণের পাশাপাশি অনেক ভেষজ গুণাগুণও আছে, যা আমাদের দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য অসম্ভব উপকারী।
জেনে অবাক হবেন, কাঁকরোলের গাছ থেকে শুরু করে পাতা, শেকড়, ফল ও বীজ সবকিছুই আমাদের দেহের জন্য উপকারী। এতে আছে #অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সর্বোচ্চ পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ আছে। বিভিন্ন খনিজপদার্থ যেমন- আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম ছাড়াও এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্রোমিয়ামের ভালো উৎস। এতে আরও থাকে ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, লুটেইন, জিয়াজেন্থিন যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাঁকরোলে টমেটোর চেয়ে ৭০ গুণ বেশি লাইকোপিন থাকে, গাজরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি বিটা ক্যারোটিন থাকে এবং ভুট্টার চেয়ে ৪০ গুণ বেশি জিয়াজেন্থিন থাকে। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কাঁকরোল রাখা ভালো। এবার কাঁকরোলের কিছু উপকারিতা জেনে নেই-
১. ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁকরোলের পুষ্টি উপাদান #ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার কোষের সংখ্যা বৃদ্ধিকে ধীর গতির করতে পারে। এতে নির্দিষ্ট একটি প্রোটিন থাকে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে পারে। এজন্য কাঁকরোলকে ‘স্বর্গীয় সবজি’ আখ্যা দেয়া হয়।
২.অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করেঃ
কাঁকরোলে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন ‘সি’ ও ফলিক এসিড থাকে; তাই এটি নিয়মিত খেলে #অ্যানেমিয়ার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
৩.কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ
এটি উচ্চমাত্রার #কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তারা নিশ্চিন্তে কাঁকরোল খেতে পারেন।
৪.স্নায়ুবিক ও জন্মগত ত্রুটি কমাতেঃ
গর্ভাবস্তায় অনেক মায়েদের স্নায়ুবিক ত্রুটি দেখা দেয়। কাঁকরোলে থাকা ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’ স্নায়ুবিক ত্রুটি কমাতে সাহায্য করে। এতে ফোলেট ও গর্ভাবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পুষ্টি উপাদান থাকে; যা গর্ভকালীন বেশ ভালো একটি খাবার।
৫.দৃষ্টিশক্তির উন্নতিঃ
কাঁকরোলে চোখের জন্য উপকারী ভিটামিন, #বিটাক্যারোটিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে, যা দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে এবং চোখের ছানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
৬. বিষণ্ণতা প্রতিহত করেঃ
কাঁকরোলে সেলেনিয়াম, মিনারেল এবং ভিটামিন থাকে, যা নার্ভাস সিস্টেমের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। তাই বিষণ্ণতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে কাঁকরোল।
৭. তারুণ্য ধরে রাখেঃ
কোষের কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে এবং স্ট্রেস কমানোর মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করতে সাহায্য করে কাঁকরোল। কোলাজেনের গঠনকে পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে বয়সের ছাপ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে এটি।
৮. হার্ট এটাকের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়ঃ
গবেষণায় পাওয়া গেছে যাদের শরীরে লাইকোপিনেরে মাত্রা বেশি, তাদের চেয়ে যাদের শরীরে এর মাত্রা কম তাদের শতকরা ৫০ ভাগ বেশি হার্ট এটাকের সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে কাঁকরোল আপনার হার্টেরও উপকার করবে নিশ্চয়ই।
আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ও সহজলভ্য একটি ফল হচ্ছে #মাল্টা। এটি প্রায় সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায় এবং দামে সস্তা। মাল্টা অনেকের কাছেই প্রিয় একটি ফল। পরিবারের শিশুরাও এটি খেতে বেশ পছন্দ করে। জনপ্রিয় এই ফলটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানি না। মাল্টাতে আছে, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, এবং চর্বিমুক্ত ক্যালরি,। এগুলো ছাড়াও মাল্টাতে আর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
আসুন তাহলে জেনে নিন মাল্টার আরও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে-
১।মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যা #অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস মূহের সমৃদ্ধ উৎস। এটি ত্বকে সজীবতা বজায় রাখে এবং ত্বকের বলি রেখা প্রতিরোধ করে লাবণ্য ধরে রাখে। মাল্টা ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি প্রদাহ জনিত রোগ সারিয়ে তোলে।
২। এক গ্লাস মাল্টার জুসকে ভিটামিন সি এর সবচেয়ে কার্যকর উৎস বলে মনে করা হয়। এটাকে #ভিটামিন_সি ট্যাবলেট হিসেবেও গ্রহণ করা যায়।
৩। মাল্টার ভিটামিন সি উপাদান আমাদের শরীরে #ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের শরীরের কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের অন্যতম সেল প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
৪। এতে উপস্থিত পটাশিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৫। মাল্টা পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত কমলা খাওয়ার অভ্যাস পাকস্থলীর আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুরক্ষা দেবে। পাকস্থলীকে রাখবে সবল।
৬। গবেষণায় জানা যায়,মাল্টাতে উপস্থিত লিমিণয়েড, মুখ,ত্বক, ফুসফুস, পাকস্থলী কোমল ও #স্তন_ক্যান্সারপ্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।
৭। মাল্টাতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, যা দাঁত ও হাঁড়ের গঠনে সাহায্য করে।
৮। প্রতিদিন একটি করে মাল্টা খাওয়ার অভ্যাস আপনার দৃষ্টিশক্তিকে ভাল রাখে। কারণ, মাল্টায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও পটাসিয়াম। এ ভিটামিনগুলো আপনার দৃষ্টিশক্তির জন্য বেশ উপকারী।
৯। এতে ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। #ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে। এন্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
১০। #জন্ডিস রোগ সারাতেও মাল্টা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। জন্ডিস লিভারজনিত একটি রোগ। আর মাল্টা হলো খুবই সহজপাচ্য খাবার। খুব সহজেই এটা হজম করা যায়। এটি লিভারকে ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে থাকে। লিভারের কার্যক্ষমতাকে স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে মাল্টা।
১১। গর্ভবতী নারীদের জন্য মালটা খুবই ভালো। এতে থাকা ভিটামিন সি গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ককে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে থাকে। প্রবীণ,মাতৃদুগ্ধদানকারী মহিলাদের নিয়মিত মাল্টা খাওয়া উচিত, কারণ এতে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
১২। সর্দি, নাক বন্ধ থাকা, টনসিলের সমস্যা, গলাব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব, হাঁচি-কাশি, মাথাব্যথা, ঠান্ডাজনিত দুর্বলতা-এজাতীয় সমস্যাগুলো দূর করে মাল্টা।
(সংগৃহীত)
#কমলা একপ্রকার লেবুজাতীয় রসালো ফল।এটি অনেক জনপ্রিয় ফল এবং #ভিটামিন_সি এর অনেক বড় একটি উৎস। এটি সরাসরি খাওয়া যায় এবং ফ্রুট সালাদে ব্যবহৃত হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কমলার উপকারিতা
কমলার পুষ্টিগুণঃ
১. কমলা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
২. কমলায় ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে থাকায় “রাতকানা” রোগ নিরাময়ে কমলা বেশ উপযোগী।
৩. কমলা #ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে।
৪. কমলায় থাকা আলফা ও বিটা ক্যারোটিনের মত ফ্ল্যাভনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৫. কমলা দাঁতের ক্যাভিটি রোধ করতে সাহায্য করে।
৬.কমলার চর্বিহীন আঁশ, সোডিয়াম ও কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদান গুলি হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে।
শীত মানেই জীবাণুদের আড্ডা। আর আমাদের আশেপাশে জীবাণুদের সংখ্যা বাড়বে মানে শরীর খারাপ তো হবেই হবে। আর ঠিক এই কারণেই গরম ভাতের সঙ্গে #মুলা তরকারি থাকা চাইই চাই!
আসলে এই সবজিটিতে উপস্থিত ফলেট, ফাইবার, রাইবোফ্লবেন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যালসিয়াম দেহে প্রবেশ করার পর ভেতর এবং বাইরে থেকে শরীরকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে ক্ষতিকর জাবীণুদের মারে কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে আরও অনেক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন-
>>হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটেঃ
এই সবজিটিতে উপস্থিত ‘ #অ্যান্থোসায়ানিন’ নামক একটি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। ফলে কোনও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
>>রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসেঃ
মুলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, যা #রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা রোজের ডায়েটে মুলাকে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন!
>>ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়ঃ
একাধিক স্টাডিতে এ কথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত মুলার রস খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিটামিন সি, জিঙ্ক এবং ফসফরাসের মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে এদের প্রভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি একাধিক ত্বকের রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, মুলার পেস্ট মুখে লাগালেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
>>ইমিউনিটির উন্নতি ঘটেঃ
মুলা এবং তার পাতায় উপস্থিত আয়রন এবং ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটাই শক্তিশালী করে তলে যে কোনও রোগই ধারে কাছে আসতে পারে না। সেই সঙ্গে শারীরিক ক্লান্তিও দূরে পালায়।
>>কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমায়ঃ
আপনি কি #কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে তো মুলার রস আপনার রোজের সঙ্গী হওয়া উচিত। আসলে এতে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি বাইলের প্রবাহ যাতে ঠিক মতো হয় সে দিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কনস্টিপেশনের প্রকোপ কমতে শুরু করে।
>>ভিটামিনের ঘাটতি দূর হয়ঃ
একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে, নিয়মিত মুলার পাতা খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে নানাবিধ ভিটামিনের পরিমাণ যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতিও দূর হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
>> #ক্যানসারের মতো মারণ রোগ দূরে পালায়ঃ
বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে শরীরকে এই মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া উচিত। আর এই কাজে আপনাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য় করতে পারে মুলা। কীভাবে? আসলে মুলার রসে উপস্থিত অ্যান্থোসায়ানিন এবং ভিটামিন সি শরীরের ভিতরে ক্যানসার সেলেরে জন্ম এবং বৃদ্ধির আটকায়। বিশেষত কোলন, ইন্টেস্টিনাল,স্টমাক এবং কিডনি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে এই পানীয়টি দারুনভাবে কাজে আসে।
>>অ্যাস্থেমার চিকিৎসায় কাজেঃ
#শ্বাস_কষ্ট, সেই সঙ্গে হাঁচি-কাশিতে একেবারে জর্জরিত হয়ে পরেছেন? ফিকার নট! আজ থেকেই মুলার রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। আসলে মুলার রস, লাং-এ জমতে থাকা মিউকাসের দেওয়ালকে ভেঙে দেয়। ফলে অল্প দিনেই অ্যাস্থেমার প্রকোপ কমতে শুরু করে। এখানেই শেষ নয়, বমি ভাব, গলার ব্যথা এবং মাথা ঘোরার মতো সমস্যা কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি সাহায্য করে।
Telephone
Website
Address
Rampura, Dhaka
Meradia
1219