Rezwanul Azad Nipun
আমি কবি নই - শব্দ শ্রমিক।শব্দের লাল হাতুড়ি পেটাই ভুল বোধে ভুল চেতনায়,হৃদয়ের কালো বেদনায়।
ধরে নিলাম,শেখ মুজিব খুব খারাপ লোক।খুব খারাপ লোক।আপনি শেখ মুজিবকে মেরে ফেললেন।কারণ, খারাপ লোক বলে।তো তার পরিবার আর চৌদ্দগুষ্টিকে মারার দরকার হলো কেন?
আপনি যদি ব্যক্তি শেখ মুজিবকে মারতেন, তাহলে আমি একভাবে বুঝতাম। কিন্তু আপনি যখন তাকে নির্বংশ করতে চাচ্ছেন, সেখানে একটা সিগনেচার আছে।
আপনি কোন ব্যক্তি শেখ মুজিবকে মারেননি। শেখ মুজিব ওয়াজ দ্য ফিজিক্যাল এমবডিম্যান্ট অফ ইন্ডিপেন্ডেন্স। আপনি স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীককে হত্যা করেছেন।
তো এর পরে, আপনার সাথে আমার কিন্তু আর হবে না। এই জায়গাটা পরিস্কার করা উচিত।
আমি আজকে আপনার সাথে বসে আছি, গুড এনাফ। আমি কালকে তো আপনাকে রাস্তায় গুলি করবো। করবো তো। আমি এই ওপেন মিটিংয়ে বলছি, করবো তো। কারণ আপনার সাথে আমার রিলেশনটা সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। ইউ আর ডিনাউন্সিং মাই ইন্ডিপেন্ডেন্স।
আপনি ভুলে যান কেন এই দেশে একটা ১৫ আগস্ট হইসে? আপনি ভুলে যান কেন এখানে ২১শে আগস্ট হইসে?
রেফারেন্স অফ ২১শে আগস্ট হ্যাজ কাম, রেফারেন্স অফ ১৫ আগস্ট হ্যাজ কাম।
কেন আসে?
পেটের ভিতরে আছে বলে আসে। হৃদয়ে আছে বলে আসে। ওইখানে বার্নিং আছে।
পৃথিবীতে ধর্ষণকারী আর ধর্ষিতা এক রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারে না। ওরে দেখার সাথে সাথে মাথায় আগুন ধরে। হত্যাকারী আর হত্যার শিকার এক রাস্তায় হাঁটে না।
আপনারা অনেক আলোচনা করছেন ইনিয়ে বিনিয়ে। আর যেই মহিলা ক্ষমতায় আছে, তার চৌদ্দগুষ্টি নির্বংশ হয়ে গেছে! এবং সেই মহিলার কাছে বাংলাদেশের আদালত স্বাক্ষী দিচ্ছে যে, হু ওয়্যার রিলেটেড উইথ দিস। সো দেয়ার ইজ আ লিমিট ইন দিস কান্ট্রি।
এইদেশে বিক্ষোভ, বিদ্রোহ সবকিছুই করছেন; এভ্রিথিং ইজ অলরাইট। কিন্তু এই অতীতটা যাতে ভুলে না যাই। অনেকে মনে করেন, এই অতীতটা কেন বারবার আলোচনায় আনছেন। এই অতীতটা বাস্তবতা বলে আনছি....
- মইন উদ্দীন খান বাদল (সংসদ সদস্য, চট্রগ্রাম-৮)। একটি টকশোতে তিনি বলেছিলেন।
মরেই বেঁচেছো তোমরা
রেখেছো আমাদের এক অন্ধকারে -
২১ আগষ্ট এর সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি
তৃণমূল নেতারা ও তৃণমূলের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যত জ্বালা ভোগ করে।উপজেলায় সাংসদ,উপজেলা চেয়ারম্যান,পৌর মেয়র,ইউপি চেয়ারম্যান এর অনুগত নাহলে পাত্তা নেই।প্রশাসনের কর্তাদের কাছে তারা গুরুত্বহীন।কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তৃণমূল অচ্ছুৎ!রাজনীতির কুলীন সমাজে তারা অনাহুত মাত্র।তবে,দলের সংকট মুহুর্তে সেই তারাই রাজপথে/অনলাইন এ মিছিলে শ্লোগানে দৃপ্ত পদক্ষেপে দূর্বার।
বিশেষ জেলার অধিবাসী,রাজনৈতিক ব্যক্তি বা প্রশাসনের কর্তা কুলীন শ্রেণী।সেই শ্রেণীর কাতারে সামিল হতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়।শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত অনুগত শ্রেণী রাজনৈতিক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পর্যায়ে পড়ে।নেতার গুণকীর্তন,নেতার প্রতি আনুগত্য তাদের উত্থানের সিঁড়ি।কিন্তু,হতভাগা নিম্ন বিত্ত তৃণমূল শ্রেণীর স্থান কোথায়?
রাজনীতিতে শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাব,দীর্ঘদিন দল ক্ষমতায় থাকা,দায়িত্বশীল নেতাদের নিরবতার মাঝে আওয়ামী লীগের বড় সম্পদ তৃণমূল।তৃণমূলকে বাঁচাতে হলে শ্রেণীভেদ প্রথা বাদ দিতে হবে,তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে হবে।হয়তো পরিবর্তন আসবে....
আজ ১৫ই আগস্ট।সেই আলোর আকাশে মন খারাপের কালো মেঘ; পুরনো ক্ষতের দাগ।যে ক্ষত আজও বয়ে বেড়ায় বাতাস- ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল!
বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ডালিমের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল কে❓
আচ্ছা বছরের পর বছর যার বউকে তুলে নিয়ে যাবার গল্প আমাদের শোনানো হয়, সেই মেজর ডালিমের এ বিষয়ে বক্তব্য কি?
নিজের লেখা "যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি" বইয়ে ডালিম বলেছে-
"... ১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি ঘটে এক বর্বরোচিত অকল্পনীয় ঘটনা। আমার খালাতো বোন তাহ্মিনার বিয়ে ঠিক হল কর্নেল রেজার সাথে। বিয়ের দু’দিন আগে ঢাকায় এলাম কুমিল্লা থেকে। ঢাকা লেডিস ক্লাবে বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠানটাই তদারক করতে হচ্ছিল নিম্মী এবং আমাকেই। আমার শ্যালক বাপ্পি ছুটিতে এসেছে ক্যানাডা থেকে। বিয়েতে সেও উপস্থিত। রেডক্রস চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফার পরিবারও উপস্থিত রয়েছেন অভ্যাগতদের মধ্যে। বাইরের হলে পুরুষদের বসার জায়গায় বাপ্পি বসেছিল। তার ঠিক পেছনের সারিতে বসেছিল গাজীর ছেলেরা। বয়সে ওরা সবাই কমবয়সী ছেলে-ছোকরা। হঠাৎ করে গাজীর ছেলেরা পেছন থেকে কৌতুকচ্ছলে বাপ্পির মাথার চুল টানে, বাপ্পি পেছনে তাকালে ওরা নির্বাক বসে থাকে। এভাবে দু’/তিনবার চুলে টান পড়ার পর বাপ্পি রাগান্বিত হয়ে ওদের জিজ্ঞেস করে- চুল টানছে কে?
'আমরা পরখ করে দেখছিলাম আপনার চুল আসল না পরচুলা' জবাব দিল একজন। পুচঁকে ছেলেদের রসিকতায় বাপ্পি যুক্তিসঙ্গত কারণেই ভীষণ ক্ষেপে যায় ও বাপ্পিকে যে ছেলেটি চুলে টান দিয়েছিল তাকে ধরে ঘর থেকে বের করে দেয় । এ ঘটনার কিছুই তখন আমি জানতাম না। বিয়ের আনুষ্ঠিকতার প্রায় সবকিছুই সুষ্ঠভাবেই হয়ে যায়। হঠাৎ দু’টো মাইক্রোবাস এবং একটা কার এসে ঢুকল লেডিস ক্লাবে। কার থেকে নামলেন স্বয়ং গাজী গোলাম মোস্তফা আর মাইক্রোবাস দু’টো থেকে নামল প্রায় ১০-১২ জন অস্ত্রধারী বেসামরিক ব্যক্তি। গাড়ি থেকেই প্রায় চিৎকার করতে করতে বেরুলেন গাজী গোলাম মোস্তফা।
'কোথায় মেজর ডালিম? বেশি বার বেড়েছে। তাকে আজ আমি শায়েস্তা করব। কোথায় সে?' ঘটনার আকস্মিকতায় আমিতো হতবাক! আমি অত্যন্ত ভদ্রভাবে তাকে জিজ্ঞেস করলাম- 'ব্যাপার কি? এ সমস্ত কিছুর মানেই বা কি?' তিনি তখন ভীষণভাবে ক্ষীপ্ত। একনাগাড়ে শুধু বলে চলেছেন- 'গাজীরে চেন না। আইজ আমি তোরে মজা দেখামু। তুই নিজেরে কি মনে করছস?'
তার ইশারায় অস্ত্রধারীরা সবাই তখন আমাকে টানা-হেচড়া করে মাইক্রোবাসের দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে বাইরে হৈ চৈ শুনে নিম্মী এবং খালাম্মা বেরিয়ে এসেছেন অন্দরমহল থেকে।আমাকে জোর করে ঠেলে উঠান হল মাইক্রোবাসে।আমাকে গাড়িতে তুলতেই খালাম্মা এবং নিম্মী দু’জনেই গাজীকে বলল, ওদের সাথে আমাদেরকেও নিতে হবে আপনাকে। ওদের একা নিয়ে যেতে দেব না আমরা। 'ঠিক আছে; তবে তাই হবে' বললেন গাজী।
গাড়ি চলছে সেকেন্ড ক্যাপিটালের দিকে। আমি তাকে বললাম- 'গাজী সাহেব আপনি আমাদের নিয়ে যাই চিন্তা করে থাকেন না কেন; লেডিস ক্লাব থেকে আমাদের উঠিয়ে আনতে কিন্তু সবাই আপনাকে দেখেছে। তাই কোন কিছু করে সেটাকে বেমালুম হজম করে যাওয়া আপনার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব হবে না'।
আমার কথা শুনে কি যেন ভেবে নিয়ে তিনি আবার তার গাড়িতে গিয়ে উঠলেন। কাফেলা আবার চলা শুরু করল। তবে এবার রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পের দিকে নয়, গাড়ি ঘুরিয়ে তিনি চললেন ৩২নং ধানমন্ডি প্রধানমন্ত্রীর বাসার দিকে। আমরা হাফ ছেড়ে বাচলাম।
কলাবাগান দিয়ে ৩২নং রোডে ঢুকে আমাদের মাইক্রোবাসটা শেখ সাহেবের বাসার গেট থেকে একটু দূরে একটা গাছের ছায়ায় থামতে ইশারা করে জনাব গাজী তার গাড়ি নিয়ে সোজা গেট দিয়ে ঢুকে গেলেন ৩২নং এর ভিতরে। সেকেন্ড ফিল্ড রেজিমেন্ট তখন শেখ সাহেবের বাড়ি পাহারা দিচ্ছে। একবার ভাবলাম ওদের ডাকি, আবার ভাবলাম এর ফলে যদি গোলাগুলি শুরু হয়ে যায় তবে ক্রস-ফায়ারে বিপদের ঝুঁকি বেশি। এ সমস্তই চিন্তা করছিলাম হঠাৎ দেখি লিটুর ঢাকা ক-৩১৫ সাদা টয়োটা কারটা পাশ দিয়ে হুস্ করে এগিয়ে গিয়ে শেখ সাহেবের বাসার গেটে গিয়ে থামল। লিটুই চালাচ্ছিল গাড়ি। গাড়ি থেকে নামল এসপি মাহবুব। নেমেই প্রায় দৌড়ে ভিতরে চলে গেল সে। লিটু একটু এগিয়ে গিয়ে রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে অপেক্ষায় রইলো সম্ভবত মাহ্বুবের ফিরে আসার প্রতীক্ষায়। লিটু এবং মাহ্বুবকে দেখে আমরা সবাই আস্বস্ত হলাম। র্নিঘাত বিপদের হাত থেকে পরম করুণাময় আল্লাহ্’তায়ালা আমাদের বাচিঁয়ে দিলেন।
লিটু যখন মাহ্বুবের বাসায় গিয়ে পৌঁছে মাহবুব তখন মানিকগঞ্জ থেকে সবেমাত্র ফিরে বিয়েতে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। হঠাৎ লিটুকে হন্তদন্ত হয়ে উপরে আসতে দেখে তার দিকে চাইতেই লিটু বলে উঠল- 'মাহবুব ভাই সর্বনাশ হয়ে গেছে। বিয়ে বাড়ি থেকে গাজী বিনা কারণে ডালিম-নিম্মীকে জবরদস্তি গান পয়েন্টে উঠিয়ে নিয়ে গেছে'।
একথা শুনে মাহবুব স্তম্ভিত হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীকেই খবরটা সবচেয়ে আগে দেওয়া দরকার কোন অঘটন ঘটে যাবার আগে। গাজীর কোন বিশ্বাস নাই; ওর দ্বারা সবকিছুই সম্ভব। মাহবুব টেলিফোনের দিকে এগিয়ে যায়। হঠাৎ টেলিফোনটাই বেজে উঠে। রেড টেলিফোন। মাহবুব ত্রস্তে উঠিয়ে নেয় রিসিভার।
প্রধানমন্ত্রী অপর প্রান্তে-
'মাহবুব তুই জলদি চলে আয় আমার বাসায়। গাজী এক মেজর আর তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের ধইরা আনছে এক বিয়ার অনুষ্ঠান থ্যাইকা। ঐ মেজর গাজীর বউ-এর সাথে ইয়ার্কি মারার চেষ্টা করছিল। উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে। বেশি বাড় বাড়ছে সেনাবাহিনীর অফিসারগুলির'।
সব শুনে মাহবুব জানতে চাইলো- 'স্যার গাজী সাহেবকে জিজ্ঞেস করুন মেজর ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের কোথায় রেখেছেন তিনি?'
'ওদের সাথে কইরা লইয়া আইছে গাজী। গেইটের বাইরেই গাড়িতে রাখা হইছে বদমাইশগুলারে' -জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
'স্যার গাজী সাহেব ডালিম আর নিম্মীকেই তুলে এনেছে লেডিস ক্লাব থেকে। ওখানে ডালিমের খালাতো বোনের বিয়ে হচ্ছিল আজ।' -জানাল মাহবুব।
'কছ কি তুই!' প্রধানমন্ত্রী অবাক হলেন।
'আমি সত্যিই বলছি স্যার। আপনি ওদের খবর নেন আমি এক্ষুণি আসছি।'
এই কথোপকথনের পরই মাহবুব লিটুকে সঙ্গে করে চলে আসে ৩২নং ধানমন্ডিতে। মাহ্বুবের ভিতরে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই রেহানা, কামাল ছুটে বাইরে এসে আমাদের ভিতরে নিয়ে যায়। আলম ও চুল্লুর রক্তক্ষরণ দেখে শেখ সাহেব ও অন্যান্য সবাই শংকিত হয়ে উঠেন।
'হারামজাদা, এইডা কি করছস তুই?' গাজীকে উদ্দেশ্য করে গর্জে উঠলেন শেখ মুজিব- 'ডালিম আর নিম্মীর কাছে মাফ চা' । আর আমারে উদ্দেশ্য কইরা শেখ মুজিব বললেন- 'তুই গাজীরে মাফ কইরা দে। আর গাজী তুই নিজে খোদ উপস্থিত থাকবি কন্যা সম্প্রদানের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত'।
অনেকটা মোড়লী কায়দায় একটা আপোষরফা করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে নিম্মী এবং আমাকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। খালাম্মা ঠিকমত হাটতে পারছিলেন না। কামাল, রেহানা ওরা সবাই ধরাধরি করে ওদের উপরে নিয়ে গেল। শেখ সাহেবের কামরায় তখন আমি, নিম্মী আর গাজী ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। নিম্মী দুঃখে-গ্ল্যানিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। শেখ সাহেব ওকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দিতে চেষ্টা করছিলেন। অদূরে গাজী ভেজা বেড়ালের মত কুকড়ে দাড়িয়ে কাঁপছিল।
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে আসছিলাম ঠিক সেই সময় শেখ সাহেব বললেন-
'আমার গাড়ি তোদের পৌঁছে দেবে'।
'তার প্রয়োজন হবে না চাচা। বাইরে লিটু-স্বপনরা রয়েছে তাদের সাথেই চলে যেতে পারব। ..."
এবার বলুন এই গল্পে শেখ কামালের ভূমিকা কি?
গোয়েবলসীয় তত্ত্বে বিশ্বাসী গুজববাজদের অন্যতম একটি টপিক - শেখ কামাল মেজর ডালিমের বৌকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। বছরের পর বছর এমন এক রূপকথার ডুগডুগি বাজিয়ে চলেছে তারা, বলাই বাহুল্য - এদের কথায় অনেকেই বিভ্রান্ত হয়, এমনকি এই তালিকায় 'হাইব্রিড' ও 'কাউয়া'র সংখ্যাটাও নিতান্ত কম নয়!
#পড়েশোনেজানা #বঙ্গবন্ধু #শেখ_কামাল
#গুজব
অতিমানবীয় বিশেষণ আরোপ করে অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন হিসেবে দেখানোর চেয়ে রক্তমাংসের মানুষকে তার সাধারণ মানবিক গুণাবলীর দ্বারা তার জীবনের বড় বড় সব স্ট্রাগলকে বুঝতে পারা বেশি জরুরী। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মানেই আটপৌড়ে বেশে একজন নারীর সরল মুখ ভেসে আসে।কিন্তু তার স্ট্রাগল মোটেও সরল ছিলো না।খুব সাধারণ একজন হয়েও এই স্ট্রাগল জীবনভর কন্টিনিউ করে যাওয়া এবং দেশের স্বার্থে জাতির পিতার রাজনৈতিক কেরিয়ার যাতে সাংসারিক টানাপোড়েনে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এই জায়গায় বিশেষ অবদানের জন্যই তিনি অসাধারণ।দেশের স্বাধীনতায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন নারীর জীবনযুদ্ধ কতখানি ভূমিকা রেখেছে সেই পঠন এখনো সেভাবে হয়নি। জাতির পিতার সহধর্মিণীর পরিচয় ছাপিয়েও প্রবল ব্যক্তিত্ববোধ এবং জাতীয়তাবাদকে ধারণ করার নজীর বিভিন্ন সময় তার কথোপকথনের মধ্যে আমরা পেয়েছি।তবুও কোথায় যেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা চ্যাপ্টার এখনো অপূর্ণ, খন্ডিত অংশ।বেচে থাকলে তার এখনকার ভূমিকা কি হতো জানা নেই।যতদিন সশরীরে জীবিত ছিলেন ততদিনেই ইতিহাসে আলাদা জায়গা করে নেবার জন্য যথেষ্ট হয়ে উঠেছিলেন।
জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমি নিরপেক্ষ নই,আওয়ামী লীগের দালাল
অনেকেই ইনবক্সে বা সরাসরি প্রশ্ন করে "আপনাকে/তোমাকে/তোকে কি আওয়ামীলীগে বেতন দেয়?
উত্তর : হ্যা ভাই, আওয়ামীলীগ সরকার আমাকে বেতন দেয়।আগে সাভার-দৌলতদিয়া ফেরি হয়ে উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিয়ে বাড়ি যেতে ন্যূনতম ১০ ঘন্টা লাগতো,এখন পদ্মা সেতু দিয়ে আরামে ৫ ঘন্টায় বাড়ি যাই।পেশাগত কাজে ২০ মিনিট এ মিরপুর থেকে উত্তরা যাচ্ছি প্রতিদিন।ফ্লাইওভারের বদৌলতে ট্রাফিক জ্যামে না ফেঁসে ১ ঘন্টার পথ মাত্র ১০ মিনিটে পাড়ি দিতে পারি।এই ফ্লাইওভার গুলো সরকারের কাছ থেকে বেতন হিসেবে পেয়েছি।
আগে ঢাকা - চট্টগ্রাম যাতায়াতে রাতের গাড়িতে মুখোমুখি সংঘর্ষের আতংকে ঘুমাতে পারতাম না। এখন মাল্টি লেনের হাইওয়েতে যাতায়াতে আমি ৪/৫ ঘন্টা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি। সেই ঘুম আমি সরকারের কাছ থেকে বেতন হিসেবে পেয়েছি।
একইভাবে বিদ্যুৎ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ বাংলাদেশ, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র বিমোচন, প্রতিটি বাড়ির সামনে পাকা রাস্তা, প্রতিটি নদী নালার উপর ব্রিজ, কালভার্ট, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, মহাকাশে নিজেদের এক টুকরো জায়গা, সমুদ্রসীমা বিজয়, স্থলসীমা বৃদ্ধি ইত্যাদি সফলতাগুলো সরকারের কাছ থেকে বেতন হিসেবে পেয়েছি।
একই বেতন আপনি ও পেয়েছেন। পার্থক্য হলো, আমি বেতনগুলো ভোগ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও নিজ দায়িত্ব পালন করছি। আর আপনি একই রকম বেতনগুলো ভোগ করে অকৃতজ্ঞদের মতো আমাকে প্রশ্ন করতে এসেছেন, "সরকার আমাকে বেতন দেয় কিনা"।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন সাফল্য প্রচার,সংসদীয় আসন ১০৮ সাতক্ষীরা-০৪(শ্যামনগর-কালীগিঞ্জ) আংশিক আসনে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার,বিভিন্ন সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করণের মাধ্যমে আগামীতে সমাধানের নিমিত্তে ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক লেখা থাকবে আমার ফেসবুক পেইজে।আপনার সুচিন্তিত মতামত,পরামর্শ,গঠনমূলক সমালোচনা ও নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আপনার অংশগ্রহণ প্রভৃতি জানাতে পারেন পেইজের ইনবক্সে অথবা [email protected]। আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।স্মার্ট বাংলাদেশে আপনার প্রত্যাশা আমাদের জন্য সুপরামর্শ হিসেবে থাকবে।সাথেই থাকুন....
কুরবাণীর মহান আদর্শ নিয়ে পবিত্র ঈদুল আয্হা আমাদের দ্বারে সমাগত।ঈদ আমাদেরকে শুধু আনন্দই দেয় না,মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও অনৈক্য ভুলে গিয়ে পরস্পরকে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ করে সামাজিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করে।ঈদ আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ঐক্যের বন্ধন শক্তিশালী করে।পবিত্র ঈদুল আযহার মহান আদর্শ ও শিক্ষা কে আমাদের চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলন করতে হবে।
ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত প্রতি বছর ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে ফিরে আসে।স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা কোরবানির শিক্ষা।হিংসা-বিদ্বেষ,লোভ-ক্রোধকে পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হওয়া আমাদের কর্তব্য।
‘‘প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে৷ তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাকে ধুয়ে মুছে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে পরস্পর প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হবো৷”
ঈদুল আয্হা উপলক্ষ্যে আমি সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করছি তিনি আমাদের সবাইকে সুন্দর পরিবেশে ঈদুল আয্হা উদ্যাপন করার ও ঈদুল আয্হার শিক্ষা বাস্তব জীবনে বাস্তবায়ন এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মমদা বিপর্যয় সরিয়ে সকলকে যেন মহান আল্লাহ হেফাজত রাখেন । ঈদ-উল-আযহা সবার জীবনে নিয়ে আসুক সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি। ঈদুল আযহা সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি, সমাজে সৃষ্টি হোক সম্প্রীতির বন্ধন, মহান আল্লাহ তালার দরবারে এ প্রার্থনা।
সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা।আপনি ও আপনার পরিজনেরা আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করুন,সে কামনা করছি৷
ঈদ মোবারক
আজ ২৩ জুন। ১৭৫৭ সালের এই দিনে ভাগীরথী নদীর তীরে অস্তমিত হয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। ১৯২ বছর পর একই দিনে বাংলার মানুষের মুক্তি আর অধিকার আদায়ের জন্য গঠিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। পুরান ঢাকার বিখ্যাত রোজ গার্ডেনে এ দলটির জন্মলাভের মধ্য দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালীর হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ। বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ-স্বাধীনতা এই তিনটি শব্দ অমলিন, অবিনশ্বর। ইতিহাসে এই তিনটি শব্দ একই সূত্রে গাঁথা। গৌরব ও ইতিহাসের নানা বাঁক পেরিয়ে আজ ৭৪ বছরে পা দিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগ।গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেওয়া মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এই দলটি উপমহাদেশের রাজনীতিতে গত ৬ দশকেরও বেশি সময় ধরে অবিভাজ্য ও অবিচ্ছেদ্য সত্তা হিসেবে নিজেদের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছে। এ দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের ভূমিকা প্রত্যুজ্জ্বল। আওয়ামী লীগ মানেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলধারা। আওয়ামী লীগ মানেই সংগ্রামী মানুষের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের কাদা-মাটি গায়ে মাখা খেটে খাওয়া মানুষের কাফেলা। আওয়ামী লীগ মানেই জাতির অর্জন, সমৃদ্ধি আর সম্ভাবনার স্বর্ণালি দিন। অতীতের মতো বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। ৪৭-এর দেশ বিভাগ, ৫২-র ভাষা আন্দোলন, ৬২-র ছাত্র আন্দোলন, ৬৬-র ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর যুগান্তকারী নির্বাচন আর ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা আন্দোলন সবখানেই সরব উপস্থিতি ছিল আওয়ামী লীগের।আওয়ামী লীগ মানেই বাঙালী জাতীয়তাবাদের মূলধারা। আওয়ামী লীগ মানেই সংগ্রামী মানুষের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের কাদা-মাটি গায়ে মাখা খেটে খাওয়া মানুষের কাফেলা। অতীতের মতো বাংলাদেশের ভবিষ্যত ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা, সর্বশেষ সামরিক স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রতিটি অর্জনের সংগ্রাম-লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী একটিই রাজনৈতিক দল, তা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাঙালী জাতির প্রতিটি অর্জনেরও দাবিদার প্রাচীন ও সুবিশাল এ রাজনৈতিক দলটি।যে মহান নেতার হাতে গড়া ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের আদর্শের বলিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লাখো বাঙালী হাসতে হাসতে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন দেশমাতৃকার জন্য, প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পর স্বভাবতই মানুষের প্রশ্ন জাগে সেই আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা কী এখনও জাগ্রত আছে দলটির কোটি কর্মী-সমর্থকদের মাঝে? নাকি সময়ের বিবর্তনে আদর্শ থেকে অনেকটাই বিচ্যুতি ঘটেছে? এত বছর পর উপমহাদেশের প্রাচীন ও বৃহত এই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলটির নীতি-আদর্শ, সাফল্যে-ব্যর্থতার হিসাব মেলাচ্ছেন দেশের মানুষ। তবে প্রায় ৩৯ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন নেতৃত্ব দিয়ে, মৃত্যুভয়কে ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ভাবধারার আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগকে কোটি কোটি মানুষের প্রাণের সংগঠনে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন।
৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা।
লোডশেডিং এর কারণ অনুসন্ধান ও শুভঙ্করের ফাঁকি
সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।প্রচণ্ড গরমে জনমনে তীব্র অসন্তোষ পরিলক্ষিত হয়েছে।অথচ বিদ্যুতের উৎপাদন যেকোনো সময় অপেক্ষা অনেক বেশি।সাব স্টেশন থাকা স্বত্তেও কেন তবে লোডশেডিং?রাজনৈতিক দায় এবং ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকে অনুসন্ধান করতে যেয়ে চমকে উঠলাম।সম্ভবত এই সমস্যা সারাদেশেই।সেটি হচ্ছে পর্যাপ্ত উৎপাদন স্বত্ত্বেও লো ভোল্টেজ এবং লোডশেডিং এর মূল কারণ সরবরাহ ব্যবস্থাপনার ত্রুটি।উৎপাদন ব্যবস্থা আধুনিক হলেও প্রায় সারাদেশেই বিতরণ ব্যবস্থা অনেকটাই মান্ধাতা আমলের।ফলে সরবরাহ পর্যায়ে সিষ্টেম লস তথা বিদ্যুৎ অবচয় খুব বেশি।অতিরিক্ত ভোল্টেজ বা অতিরিক্ত সরবরাহ হলেই সরবরাহ লাইনের সমস্যার সূত্রপাত।আবার ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত চাহিদা পূরণে ব্যার্থতায় লোডশেডিং।সবকিছুর মূলেই ত্রুটিপূর্ণ সরবরাহ ব্যবস্থা।বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিতরণের জন্য কিন্তু আলাদা আলাদা কোম্পানি রয়েছে।উৎপাদন কোম্পানির সক্ষমতা বাড়লেও,আজো বিতরণ কোম্পানিগুলো উৎপাদন বৃদ্ধির সুফল কাজে লাগাতে আধুনিক সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করতে পারে নাই।
লোডশেডিং কেন হয় এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই পুরোপুরি ভাবে পরিস্কার ধারনা নেই। এই জন্য মাঝে মাঝে দেখা যায় অনেকে বিভিন্ন রকম কথা বলেন এবং বিভিন্ন রকম অভিযোগ আসে। কিছু হলেই আমরা সরকার এবং সরকারী বিভিন্ন সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলি। আমার মতে এটা মোটেও ঠিক নয় কারণ বর্তমান সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়ণ এবং লোডশেডিং মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এটা অস্বীকার করার অবকাশ নেই যে কিছু সমস্যা এখনও আছে। এসব সমস্যা দূর করতে কিছু সময় তো লাগবেই, দীর্ঘদিনের সমস্যা একদিনে সমাধান হবে না।এখানে আমি লোডশেডিং কেন হয় তার বিভিন্ন কারিগরি কারণ গুলি তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি।
লোডশেডিং হবার অন্যতম প্রধাণ কারণ হল বিদ্যুৎ এর যা চাহিদা তার তুলনায় যদি উৎপাদন কম হয়। অর্থ্যাৎ সিস্টেমে চাহিদার তুলনায় যদি উৎপাদন কম হয় তখন সিস্টেমকে স্টেবল রাখতে এই বাড়তি চাহিদাকে উৎপাদনের সাথে সমন্বয় করা হয় লোডশেডিং এর মাধ্যমে। এই সমন্বয়টি না করলে সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি কমে পুরো গ্রীডে ব্লাক আউটের মত ঘটনা ঘটতে পারে। এই রকম পরিস্থিতিতে বিভিন্ন গ্রীড সাব-স্টেশন গুলিকে তার চাহিদা অনুপাতে একটি বরাদ্দ দেয়া হয় এবং এই বরাদ্দ অনুসরণ করতে হয় নির্দিষ্ট পরিমান লোডশেডিং করে। এই ধরনের লোডশেডিং কে শিডিউল লোডশেডিং বলা যেতে পারে।এখন একটা একটি প্রশ্ন আসতেই পারে যে এখন এত জেনারেশন থাকার পরেও কেন লোডশেডিং হচ্ছে। বাড়তি জেনারেশন মানেই যে লোডশেডিং হবে না তা নয়। কারণ লোডশেডিং বিষয়টা সম্পূর্ন টেকনিক্যাল এবং উৎপাদন তথা জেনারেশন সল্পতাই যে লোডশেডিং এর একমাত্র কারণ তা নয়।আরও কযেকটি কারনে লোডশেডিং হতে পারে, যাকে আমরা ফোর্স লোডশেডিং বলে থাকি।বিভিন্ন কারনে ফোর্স লোডশেডিং হয়ে থাকে যার প্রতিটাই টেকনিক্যাল বা কারিগরি কারণ।এই বিষয়ে যতটা জানি শেয়ার করার চেষ্টা করছি।
উৎপাদন কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রাহক পর্যায়ে পৌছানোর জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরন করা হয়। উৎপাদিত বিদ্যুৎ হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনের ( ১৩২/২৩০/৪০০ কেভি) মাধ্যমে গ্রীড সাবস্টেশন হয়ে বিতরণকারী সংস্থার সাবস্টেশনে ( ৩৩/১১ কেভি) আসে এবং সেখান থেকে লো-ভোল্টেজ (১১ কেভি) লাইন ও লোকাল ট্রান্সফরমারের (১১/০.৪ কেভিএ) মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায় পৌছায়। অনেক সময় কোন কোন স্থানে সঞ্চালন লাইন কিংবা গ্রীড সাবস্টেশনের পাওয়ার ট্রান্সফরমার কিংবা বিতরনকারী সংস্থার বিতরন লাইন অথবা লোকাল ট্রান্সফরমার ওভারলোড হয়। এই ওভারলোড জনিত সমস্যার কারনে কোন কোন সময়ে যথেষ্ট জেনারেশন থাকা সত্বেও লোডশেডিং করতে হয়।যেহেতু পর্যাপ্ত জেনারেশন থাকার পরেও ফোর্সফুলি এই শেডিং করা হয়ে থাকে তাই এই ধরনের শেডিং-কে ফোর্সশেডিং বলা যেতে পারে।
ফোর্সশেডিং এর আরও একটি কারণ আছে। কারনটি একটু জটিল এবং সিস্টেমের প্রয়োজনে ও নিরাপত্তার স্বার্থে সম্পূর্ন অনিচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের লোডশেডিং করা হয়ে থাকে।এখন প্রশ্ন হল কোন অবস্থায় এবং কি কারনে এই ধরনের লোডশেডিং করা হয়।
আমাদের দেশের পাওয়ার সিস্টেমের ফ্রিকোয়েন্সি লেভেল ৫০ হার্জ এবং গ্রীড কোড-২০১২ অনুযায়ী চেষ্টা করা হয় ফ্রিকোয়েন্সি ৪৯ থেকে ৫১ হার্জ এর মাঝে রাখার। একটা দিনের ২৪ ঘন্টায় চাহিদা সবসময় একরকম থাকে না। কখনও চাহিদা বাড়তে পারে, আবার কখনও বা কমতেও পারে। যখন জেনারেশনের তুলনায় চাহিদা কমে যায় তখন ফ্রিকোয়েন্সি বেড়ে যায় আবার যখন জেনারেশনের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যায় তখন ফ্রিকোয়েন্সি কমে যায়। এই উৎপাদন ও চাহিদার মাঝে সমন্বয় করে সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি নরমাল রাখার কাজটা করে এনএলডিসি। সিস্টেমের নিরাপত্তার স্বার্থে ফ্রিকোয়েন্সি নরমাল রাখা খুবই জরুরী। কারন ফ্রিকোয়েন্সি নির্দিষ্ট লেভেলের বাইরে চলে গেলে সিস্টেমে ব্লাক আউটের মত ঘটনা ঘটতে পারে।
তাই ফ্রিকোয়েন্সি কমে গেলে সিস্টেমের প্রয়োজনে এনএলডিসি কখনও কখনও বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
এখানে একটি বিষয় না বললেই নয় অনেক সময় জেনারেশনের ঘাটতি না থাকলেও হঠাৎ করে যেকোন জেনারেশন ইউনিট যেকোন টেকনিক্যাল কারন অথবা প্রাকৃতিক দূর্যোগে ট্রিপ তথা বন্ধ হয়ে যেতেই পারে। তখন ফ্রিকোয়েন্সি কমে গিয়ে সিস্টেম এ্যাবনরমাল হয়ে যায় এবং সিস্টেম স্টেবল রাখতে এনএলডিসি কর্তৃক বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এই রকম অবস্থায় সব সময় চেষ্টা করা হয় যত দ্রুত সম্ভব সরবরাহ ব্যবস্থা নরমাল করার।
এসবের বাইরেও বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগ জনিত কারনে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়ে থাকে।আবার দেখা যায় টেকনিক্যাল বিভিন্ন ফল্টের কারনে সঞ্চালন বা বিতরন লাইন ক্ষতিগ্রস্থ কিংবা গ্রীড ট্রান্সফরমার বা ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যেতে পারে যার ফলে দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট।সর্বোপরি যে যাই বলুক না কেন এখন বিদ্যুৎ এর অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো। অস্বীকার করার কোন কারণ নেই, লোডশেডিং এখনও আছে তবে তার পরিমান আগের থেকে অনেক কম। আমার ব্যক্তিগত অভিমত লোডশেডিং পুরোপুরি শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হয়তোবা বেশী সময় লাগবে না।
শুনতে কি পাও উপকূলের কান্না?
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি,সুন্দরবন এর নদি সমূহের নাব্যতা হারানো সহ গতিপথ পরিবর্তন,লবণাক্ততা বৃদ্ধি সহ প্রভৃতি কারণে দীর্ঘদিন উপকূলীয় অঞ্চলের শ্যামনগর,আশাশুনী ও কয়রার কয়েকটি ইউনিয়ন এর মানুষের অস্বাভাবিক জোয়ারের সাথে সংগ্রাম এর তিক্ত গল্প সবারই জানা।সিডর,আইলার পর দেশী বিদেশি অর্থায়নে দূর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে নানাবিধ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার পর্যায়েই রয়ে গেছে।অস্বাভাবিক জোয়ার হলেই রিং বাঁধ ভেঙে প্লাবিত উপকূলের মানুষের জীবন যাত্রা বিপর্যস্ত।আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে এসকল ইউনিয়নের মানুষের যথেষ্ট অবদান রয়েছে অর্থনীতিতে,রয়েছে সামাজিক উন্নয়নে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রীতিমতো ঈর্ষনীয়।স্থানীয় সংসদ সদস্য গণ দীর্ঘদিন যাবৎ বেড়িবাঁধ নির্মাণে উচ্চকণ্ঠে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী করে আসলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রিতা উপকূলীয় মানুষের জন্য হতাশার।হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভের মাধ্যমে নদীর স্রোত ও নাব্যতা চার্ট তৈরি করে একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো আইলা পরবর্তী সময়ে যা পরবর্তীতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অর্থ অনুমোদন এর জন্য একনেক এ পাঠালে তা অনুমোদন দেওয়া হলেও দেশের আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার জন্য এখনো টেণ্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরুর ব্যাপারে আশানুরূপ কোন খবর নেই।আজও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট সাইক্লোন যশ এর প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে বাঁধ ছাপিয়ে পানি ঢুকছে উপকূলীয় জনপদে।একাবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার পূর্বক টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে দীর্ঘসূত্রিতা কোনভাবেই কাম্য নয়।পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি এড়িয়ে ও বিদ্যমান বাঁধের স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে উপকূলীয় জনপদের মানুষের সচেতনতা জরুরী।অন্তত,চিংড়ী চাষের জন্য ঘের মালিকরা যেন বাঁধ কেটে/ছিদ্র করে পানির পাইপ না বসাতে পারে সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তাদের ব্রিটিশ আমলের শাসক নীতি ও অসাধু চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে সেবা ও উন্নয়নের মনোভাব নিয়ে কাজ করার সময় এসে গেছে।দায় এড়িয়ে সরকারের উপর দোষ না চাপিয়ে পাউবো এর সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার অন্তত উপকূলের মানুষের হারাম হওয়া রাতের ঘুম ফিরিয়ে দিতে পারে।
সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে উপকূলের মানুষের কান্না থামিয়ে টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ এর জোর দাবী জানাচ্ছি।
লোভ,ভোগ আর সর্বগ্রাসী আয়েশের অসুস্থ দৌড়ে ছুটতে ছুটতে আমরা টেরই পাইনি মৃত্যু কখন তার হিমশীতল নিয়ত নির্ধারণ নিয়ে আমাদের এতো কাছে চলে এসেছে...।
সুযোগের অভাবে সবাই সৎ হয়!বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা এটাই।শৈশবে বাচ্চাকে লোভনীয় খাবারের লোভ দেখিয়ে ঠান্ডা করা হয় অথবা যেকোনো প্রলোভনে দুষ্টামি থেকে বিরত রাখা হয়।অথচ নৈতিকতা শিক্ষার সূচনা পরিবার থেকে আসার কথা ছিলো।বাচ্চাকে স্কুলে দিতে যাওয়া আসার সময় ফুট ওভারব্রিজ এর নীচে বাচ্চার হাত ধরে রাস্তা পার হওয়া অভিভাবক ফেসবুকে আর আড্ডায় দেশের সমালোচনায় মুখর।বাচ্চার সামনে সিগারেট খাওয়া পিতা কিভাবে শৈশবের কৌতূহল মিটাতে সন্তানের সিগারেট খাওয়া বন্ধ করবে!সু-অভ্যাস পরিবার থেকে গড়ে উঠতে হয়।সমাজব্যবস্থাকে দায়ী করে খুব একটা লাভ নেই বর্তমান সময়ে।
কথায় কথায় ডিজিটাল বাংলাদেশ%স্মার্ট বাংলাদেশ থিম নিয়ে কটাক্ষ করি আমরা।অথচ ডিজিটাল/স্মার্ট বাংলাদেশ এর স্টেক হোল্ডার হিসেবে আপনি পুরোপুরি ব্যার্থ।ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারি সকল সেবা পাওয়ার সুযোগ থাকা স্বত্তেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অফিস সহায়ককে বখশিস দিয়ে কাজ সমাধানে অভ্যস্ত আপনি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সামাজিক ব্যবসা,সিটিজেন জার্নালিজম সহ সমাজ পরিবর্তন সর্বত্র।অথচ আপনি পড়ে আছেন ভিউ,লাইক,হিট সিকারদের গুজব আর ভূয়া নিউজ যেখানে সকাল বিকাল শাহরুখ খান,রাণু মণ্ডলদের মেরে ফেলা হচ্ছে সেটা নিয়ে।আপনি ভাইরাল গান নিয়ে করা টিকটক এর অশ্লীল অঙ্গভঙ্গীতে তৃপ্ত হয়ে যান।আপনার সন্তান কিভাবে নাসা,গুগল বা টেক-জায়ান্টদের প্রতিষ্ঠানে চাকুরির স্বপ্ন দেখবে?
বাংলাদেশের বা রাষ্ট্রের সমালোচনা করার আগে নিজে রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য পালন করেছেন কতটুকু সেই হিসেব করুন।সমাজব্যবস্থার নেতিবাচক বিষয় এড়িয়ে ইতিবাচক কিছু করতে চেষ্টা করুন।দিনবদলের শুরু হোক আপনার আমার আমাদের হাত ধরে।হয়তো আলো আসার খুব একটা বাকি নেই।
ইহুদীদের একটা জনপ্রিয় প্রবাদ আছে,তুমি যদি আমার সাথে গোলাপের ভাষায় কথা বলো আমিও তোমাকে ফুলের শুভেচ্ছা দেবো।কিন্তু তুমি যদি অস্ত্রের ভাষায় কথা বলো আমি নিশ্চয়ই ফুলের সুরভি ছড়াবো না।৭৫ এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এর পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল বিএনপি,ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে প্রথম থেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা ও নির্যাতন সহ অস্ত্রের ভাষায় রাজনীতি শুরু করেছিলো।২০০১ সালের নির্বাচনের পর সারাদেশে বিএনপি জামায়াত জোটের নৃশংসতা রাজনৈতিক ইতিহাসের কালো অধ্যায়।২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে সারাদেশে জ্বালাও পোড়াও এর গা শিউরে উঠা ইতিহাস ও তাদের নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ড জনমনে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছিলো,নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে সারাদেশ।
গত ১৯মে রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ ঔদ্ধত্যপূর্ণ কন্ঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকি দিয়েছেন,যা অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে হয়।লণ্ডনে পলাতক দুর্নীতির বরপুত্র তারেকের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের শঙ্কা ও কতিপয় দেশের অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বাধ্য করেছে ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় রাজপথে কঠোর অবস্থান নিতে।
যেখানেই ষড়যন্ত্র,সেখানেই কঠোর পঅবস্থান।আর নয় প্রতিবাদ এবার হোক প্রতিরোধ।
১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর জিয়াউর রহমানের নির্দেশে নির্মম হত্যার স্বীকার হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম।হত্যার ৪৮ বছর ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেছেন নিহতের কন্যা নাহিদ ইজাহার খান এমপি।মামলায় মেজর জলিল সহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে,হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিরা মৃত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার চাই।
ইজরাইলের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন নতুন মৌল আবিস্কার করে,তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা লাইব্রেরি চত্বরে গিয়ে আড্ডা দেয়!হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা বছরে কোন কনসার্টের খবর পাওয়া যায় না। আর আমাদের ভার্সিটিতে কত কত কনসার্ট...এল.আর.বি, জেমস, শিরোনামহীন, অ্যাশেজ,তাহসান, ওয়ারফেজ- একটার পর একটা প্রোগ্রাম হয়।
নাচ,গান,হোলি উৎসবও হয় এখন।ফাক ইউ,হট বেবি,ক্রাশ খাইছি,মাস্তি,ইয়াবা, বিয়ার,গাজা এই শব্দগুলো এখন ছেলে-মেয়েদের কাছে অতি পরিচিত।
অন্যান্য দেশে জ্ঞানী মানুষরা,বিজ্ঞানীরা কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বেশ কয়েকবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিবেটে অংশগ্রহণ করেন।আর আমাদের?
বিজ্ঞানী মকসুদুল আলম কয়টা সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যেতেন? আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানী মুহাম্মদ আশরাফুল আলম কয়টি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যান?(যিনি ব্যাক্টেরিয়া শনাক্তকরণের সেন্সর তৈরি করেছেন. "যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স" জার্নাল এ তার গবেষণা ছাপা হয়েছে) বা ‘জিন’ ত্রুটি নির্ণয়ে অভাবিত সাফল্য অর্জন করেছেন বাংলাদেশের যে তিন গবেষক। তারা হলেন— ডা. কেএম ফোরকান উদ্দিন ও ডা. মোঃ রোবেদ আমিন ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান বৈজ্ঞানিক ডক্টর মোহাম্মদ উদ্দিন ড্যাফিল। তারাও কি ভার্সিটির কোনো সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যাবেন?তাদেরকে কি বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা হবে?
তাদের কাউকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকবে না। কারণ- নাইলা নাঈম আর সানি লিওনদের দাম এখানে বেশি অথবা দালালী আর দাসত্বের বীজ বহনকারী মেরুদণ্ডহীন বুদ্ধিজীবীরা - যারা এদেশের মানুষকে রোহিঙ্গার মতো করতে চায়। স্টিভ জবসের স্পিচ পাওয়া যায় ইউটিউবে। সমাবর্তনে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি।
বিলগেটস একজন ভালো বক্তা।
মার্ক জুকারবার্গও একজন মোটিভেশনাল স্পীকার!আজকে চীন বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হতে যাচ্ছে। ইন্ডিয়া আইটি সেক্টরে ডমিনেট করছে। তাদের ছেলে মেয়েরা গুগলে কাজ করে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা মাস্তি করে আর মেয়েরা হিন্দি সিরিয়াল দেখে সময় পার করে।
ভারত যখন বসে বসে সিইও তৈরি করে আমরা তখন বসে বসে ক্যাম্পাসে ক্যাডার তৈরি করি। আমেরিকা যখন নতুন নতুন ফাইটার জেটের নকশা করে, তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন প্রতিরক্ষা-নিরাপত্তা মেলার আয়োজন করে আমরা তখন ক্যাম্পাসে মিথিলার - তাহসান ডিভোর্স নিয়ে আন্দোলন করি এবং ইউটিউবে লুল ভিডিও দেখি।
মায়ানমার যখন প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত থেকে খনিজ সম্পদ আহরণের যন্ত্র আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে - তখন আমাদের ছেলেমেয়েরা বোটানিক্যল গার্ডেনে বসে প্রেম করছে।আমাদের দেশে প্রেমের নাটক করে হিট হওয়া ছেলেটা হলো বড় সেলেব্রেটি। আর ময়দা সুন্দরী হচ্ছেন হট কেক।
এখানে লাইব্রেরিতে গিয়ে অন্তরঙ্গ হওয়ার ভিডিও ফাঁস হয়।সদ্য বিদেশ ফেরত আমাদের এক শিক্ষক বলেছিলেন, ওদের দেশে কলেজ লেভেলের ছেলে মেয়েদের যে দক্ষতা আমাদের দেশে মাস্টার্স পাস করা ছেলেমেয়রাও এতোটা ক্রিয়েটিভ এবং দক্ষ হয় না।
আমরা মাসে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ১০০ টির বেশি TV চ্যানেল (আমাদের একটা চ্যানেলও ভারতে দেখানো হয় না) সংযোগ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা দিচ্ছি----অফিস টাইমে কিভাবে মেয়ে পটাতে হয়।কিভাবে বেস্ট ফ্রেন্ডকে প্রপোজ করতে হয়।কিভাবে বন্ধুর গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে ফ্লার্ট করতে হয়।
কেন বাংলাদেশ থেকে গবেষক তৈরি হয় না?কেন আমরা ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পাই না?কেন আমাদের ইন্টারন্যাশনাল কোন সেলেব্রেটি নাই?প্রেম করার জন্য বার আছে, সী বিচ আছে, লং ড্রাইভ আছে---। বিশ্ববিদ্যালের লাইব্রেরিতো প্রেমের জায়গা না! হিন্দি চ্যানেল দেখার জায়গা এটা নয়! সবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দরকার নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় হলো সক্ষমতা অর্জনের জায়গা। মায়ানমার ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে।ভারত পারমাণবিক বোমা বানালে - আমরা কি হাইড্রোজেন বোমা বানাবো কি না?চীনের সাথে আমাদের প্রতিরক্ষানীতি কেমন হবে? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে- মেয়েদের এসব বিষয়ে ধারণা না থাকলেও- প্রশ্ন আউট করে পরীক্ষায় Golden A+ পাওয়া, ইন্টারনেটে সারারাত Girl Friend নিয়ে ডুবে থেকে জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করার পাঁয়তারা আধিপত্যবাদীরা ঠিকই ঢুকিয়ে দিতে পেরেছে!
কতটা নিশ্চিত করতে পেরেছি আমরা নারী শ্রমিকের অধিকার,নায্য মজুরি আর নিরাপত্তা!?শ্রমিকের অধিকার নিয়ে কাজ করে(!) তথাকথিত শ্রমিক নেতারা আজ নিজেদের ভাগ্যউন্নয়নে ব্যস্ত(সবাই নন)।বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্পের সেলাই দিদিমণিদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও অন্যান্য সুবিধার চেয়ে শ্রমিক নেতারা মজুরি বৃদ্ধিতেই আগ্রহী বেশী।এই ইস্যুতে সহজেই আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিশেষ দেশের মদদে অর্থনীতিককে ধ্বংস করার চক্রান্ত বন্ধ করুন।আর নায্য মজুরির পাশাপাশি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করুন।
বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে নিজে জানুন, অন্যকে জানান।
★বজ্রপাত থেকে বাঁচার যে ১৮টি উপায়,সেগুলো হলো:
> এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রবৃষ্টি বেশি হয়; বজ্রপাতের সময়সীমা সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন।
> ঘন কালাে মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাহির হবেন না; অতি জরুরি প্রয়ােজনে রবারের জুতা পড়ে বাইরে বের হতে পারেন।
> বজ্রপাতের সময় খােলা জায়গা, খােলা মাঠ অথবা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
> বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খােলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন।
> যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। টিনের চালা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
> উঁচু গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুটি, মােবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
> কালাে মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডােবা বা জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
> বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতর অবস্থান করলে, গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযােগ ঘটাবেন না; সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনাে কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
> বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি ও বারান্দায় থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
> বজ্রপাতের সময় মােবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলাে বন্ধ রাখুন।
> বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। জরুরি প্রয়ােজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারবেন।
> বজ্রপাতের সময় শিশুদের খােলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
> বজ্রপাতের সময় ছাউনি বিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না, তবে এ সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
> বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
> প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরােধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
> খােলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।
> কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
> বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়ােজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। বজ্র আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Dhaka