Bangla E-Library
Nearby government services
Dhaka University, Dhaka
Faridgonj, Dhaka
College Road, Dhaka
Vatara, Dhaka
Savar, Dhaka
Dhaka 1000
Munshigonj, Dhaka
Dhaka BOOKS
Comilla, Dhaka
Dhamrai, Dhaka
Bolok Gv Coloni High School Khilgon, Dhaka
Motijheel, Dhaka
Dhaka, Dhaka
Syed Mazharul Parvez, Dhaka
Mymensing, Dhaka
Largest Online Archive of Bengali eBooks. Go through n enjoy!!!
ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা 💐💐
শ্রদ্ধেয় রাজধানী
- হানিফ সংকেত
_________________________________________
রম্যরচনার কাজটি একটি দুরূহ কাজ। উপাদান গুরু অথচ তা দিয়ে লঘু পাক করতে হবে। অবস্থাটা সহজেই অনুমেয়। বিশ্বের সবচাইতে কঠিন কাজ হলো দর্পনের সাহায্য ছাড়া পরিপার্শ্বের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাওয়া। হানিফ সংকেত সেই দুর্লভ শক্তির অধিকারী। তার প্রতিটি লেখাতেই রয়েছে এক ধরনের আনন্দ-আর একরকম মজা। বাংলাদেশ টেলিভিশনে দীর্ঘ এগারো বছর ধরে তার পরিচালনা ও উপস্থাপনায় 'ইত্যাদি' নামে একটি বিনোদনমূলক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে। নিকট অতীতে আর কোন অনুষ্ঠান এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। এর কারণ অনুষ্ঠানটিতে রয়েছে সমাজ ও সময়ের নানান জীবন্ত ছবি। চলমান জীবনের অসংগতিগুলোর প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ। রয়েছে রঙ্গ ও ব্যাঙ্গের কষাঘাত। বিদ্রূপ বা কটাক্ষ থাকলেও তার অনুষ্ঠানে আদ্যন্ত আকর্ষণ তার রসালো উপস্থাপনা।
যেমন দর্শকপ্রিয় হয়েছে তেমনি সর্বজনভোগ্য, বুদ্ধিদীপ্ত, ঝকঝকে এই সরস গ্রন্থ শ্রদ্ধ্যেয় রাজধানী পাঠক প্রিয় হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/15tFr6tuYp2WF4CuFjnlLWT7pZ76M-Kvn/view?usp=drivesdk
_________________________________________
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
(৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮ - ৮ নভেম্বর, ১৯৭০)
_________________________________________
একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। জন্ম অবিভক্ত বাংলার (অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত) অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার বালিয়াডাঙ্গীতে (বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও)। তিন খণ্ডে প্রকাশিত তার প্রথম উপন্যাস উপনিবেশ (১৯৪২, ১৯৪৫, ১৯৪৬) পাঠকসমাজে সমাদৃত হয়। তার উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প সংকলন বীতংস (১৯৪৫), দুঃশাসন (১৯৪৫), ভোগবতী (১৯৪৭) এবং উল্লেখযোগ্য উপন্যাস বৈজ্ঞানিক (১৯৪৭), শিলালিপি (১৯৪৯), লালমাটি (১৯৫১), সম্রাট ও শ্রেষ্ঠী (১৯৫৫), পদসঞ্চার (১৯৫৪)। সাহিত্যে ছোটগল্প তার একটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ। ছোটদের জন্য তার সৃষ্ট কাল্পনিক চরিত্র টেনিদা খুবই জনপ্রিয় । তার লেখা কিছু উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প হল - ইতিহাস, নক্রচরিত, হাড়, বীতংস, রেকর্ড, টোপ, আদাব, প্রভৃতি।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ছেলেবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। তার প্রথম লেখা ছাপা হয় মাস পয়লা শিশু মাসিকে। সন্দেশ, মুকুল, পাঠশালা, শুকতারা প্রভৃতি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন। সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় সুনন্দর জার্নাল লিখে সুখ্যাতি অর্জন করেন। বাঙালির জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, রোজকার সমস্যা ও রাজনীতি নিয়ে লেখা নিয়মিত এই জার্নাল অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল বাঙালি পাঠকের কাছে। এ সময় তিনি বড়দের জন্য আনন্দবাজার, বিচিত্রা, শনিবারের চিঠি ও চতুরঙ্গে লেখালেখি করেন। তার সাহিত্য জীবন শুরু হয় কাব্যচর্চা দিয়ে। পরে তিনি গল্প-উপন্যাস লিখতে শুরু করেন। বড়দের জন্য রচিত প্রথম প্রকাশিত ‘উপনিবেশ’ ছাপা হয় মাসিক ভারতবর্ষে। ওটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে। তার উপন্যাস-গল্প রচনার অনুপ্রেরণা যোগান উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়, সুধাংশুকুমার রায় চৌধুরী, বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়, মন্মথ সান্যাল, সজনীকান্ত দাস ও ফনীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের অমর খ্যাতি বড়দের জন্য রচিত উপন্যাস ও গল্পের জন্য। কিন্তু শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনায় তার খ্যাতি বড়দের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। টেনিদা তার অনন্য সৃষ্টি। এছাড়াও শিশুদের জন্যে অজস্র ছোটগল্প লিখেছেন। তার রচিত পদ্মপাতার দিন, পঞ্চাননের হাতি, লালমাটি, তারা ফোটার সময়, ক্যাম্বের আকাশ, বাংলা গল্প বিচিত্রা, ঘণ্টাদার কাবলু কাকা, খুশির হাওয়া, কম্বল নিরুদ্দেশ, চারমূর্তির অভিযান, ঝাউবাংলার রহস্য ও ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্যে নতুন সংযোজন।
বড়দের জন্য রচিত তার উলেস্নখযোগ্য বইগুলো হলো: একতলা, কালা বদর, কৃষ্ণপক্ষ, গন্ধরাজ, পন্নন্তর, ট্রফি, তিমির তীর্থ, দুঃশাসন, গদসঞ্চার, বনজ্যোৎন্সা, বিদিশা, বীতংস, বৈতালিক, ভাঙাবন্দর, চন্দ্রমুখর, মহানন্দা, রামমোহন, শিলালিপি, শ্বেতকমল, সাগরিকা, স্বর্ণ সীতা, সূর্যসারথী, সঞ্চারিণী, সম্রাট ও শ্রেষ্ঠী, সাপের মাথায় মণি, আশিধারা, ভাটিয়ালী, আগন্তুক, অমাবস্যার গান, বিদুষক, সাহিত্যে ছোটগল্প, বাংলা সাহিত্য পরিচয়, ছোটগল্পের সীমারেখা ও কথাকোবিদ রবীন্দ্রনাথ। তিনি ছোট গল্প বিষয়ে ডি.লিট ডিগ্রি লাভ করেন।
_________________________________________
তার লেখা ৮৭টি বইয়ের পিডিএফ পাবেন এই লিংকে:
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, বই, ডাউনলোড, Narayan Gangopadhyay
ভয় ভয়ঙ্কর
- হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
_________________________________________
পাঠ প্রতিক্রিয়া: Debopom Dey
আমি ভূতের গল্পের ফ্যান নই। আমার পড়া হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্তের প্রথম বই এটা। অসাধারণ লাগলো। প্রত্যেকটা গল্পের স্বাদ ভিন্ন। শুধু ভূত নয় আরো অনেক ভয়ের গল্প আছে এতে। কিছু কিছু তো একেবারে মন ছুঁয়ে যায়..বিশেষ করে ' ডাকাতের চেয়েও ভয়ঙ্কর ' এই গল্পটা।
5 Star rating না দিলে টা অন্যায় করা হবে। আরো কিছু বই পড়বো ওনার লেখা... সত্যিই খুব ভালো লেগেছে।
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/1sanc-4XoatJuVxYmo-9pXE5TtEROQePM/view?usp=drivesdk
_________________________________________
দীনেশচন্দ্র সেন (রায়বাহাদুর)
(৩ নভেম্বর,১৮৬৬- ২০ নভেম্বর,১৯৩৯)
_________________________________________
শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোক-সাহিত্যবিশারদ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার। দীনেশচন্দ্র সেন ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ঢাকা জেলার সুয়াপুর গ্রামে। পিতা ঈশ্বরচন্দ্র সেন মানিকগঞ্জ আদালতের উকিল ছিলেন। মাতা রূপলতা দেবী। কবি ও সাংবাদিক সমর সেন তার পৌত্র।১৮৯০-এ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন কালে গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে প্রাচীন বাংলার পুঁথি সংগ্রহ করেন এবং সেসব উপকরণের সাহায্যে ১৮৯৬-এ "বঙ্গভাষা ও সাহিত্য" শিরোনামে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনা করেন। ১৯০৫ সালে বিনোদবিহারী কাব্যতীর্থের সহযোগিতায় শ্রীকর নন্দীর লেখা ‘ছুটিখানের মহাভারত’-এর পুঁথি এবং হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সহায়তায় মানিক গাঙ্গুলীর লেখা ‘শ্রীধর্মমঙ্গল’ পুঁথি দুটি দীনেশচন্দ্র সেন প্রথম প্রকাশ করেন। ১৯১১ সালে তার সুবিখ্যাত গ্রন্থ "হিস্ট্রি অব বেঙ্গলি লিটেরেচার" প্রকাশিত হলে তা সর্বমহলের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে। ১৯১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে "রামতনু লাহিড়ী রিসার্চ ফেলোসিপ" প্রদান করে এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মৈমনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা সম্পাদনা করেন। ১৯২১-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি.লিট ডিগ্রী এবং ১৯৩১-এ "জগত্তারিণী স্বর্ণপদক" প্রদান করেন। ১৯২১-এ ব্রিটিশ শাসিত ভারত সরকার তাকে "রায় বাহাদুর" উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯২৬-এ মৈমনসিংহ গীতিকা গ্রন্থটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন রচিত গবেষণাধর্মী "বৃহৎবঙ্গ" গ্রন্থটি বাঙালীর ইতিহাস চর্চায় অনন্য।
তার লেখা ৩৭টি বইয়ের পিডিএফ পাবেন এই লিংকে:
_________________________________________
দীনেশচন্দ্র সেন II DINESH CHANDRA SEN দীনেশচন্দ্র সেন, বই, ডাউনলোড, Dinesh Chandra Sen
ভয়ংকর স্বীকারোক্তি
- হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
_________________________________________
পাঠ পরিক্রমা: অরিজিৎ পাত্র
মাত্র একদিনের মধ্যে পড়ে ফেললাম হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্তের লেখা এক ডজন রহস্য রোমাঞ্চকর গল্পের সংকলন ‘ভয়ংকর স্বীকারোক্তি’। পড়বার পর একটাই কথা মুখ থেকে বেরলো, ‘অসম্ভব সুন্দর।’ রহস্য-রোমাঞ্চ যারা ভালোবাসেন তাদের জন্যে এই বইখানা অবশ্যপাঠ্য। প্রথমেই বলি, বইয়ের গল্পগুলো প্রতিটাই বেশ বড়ো। ১২টা গল্পের বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৯২টি। এবার আসি গল্পগুলোর প্রসঙ্গে -
১) অপত্য স্নেহঃ বছর খানেক আগে কিশোর ভারতীতে প্রকাশিত এই গল্পখানা মন ছুঁয়েছিল। আবার পড়লাম, আর একইরকম শিহরণ অনুভব করলাম আবার। ডাক্তার অচিন্ত্য সেনের পেশেন্ট মণিময় গুপ্ত রক্তাল্পতায় ভুগছেন। বার কয়েক রক্তও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবুও অবস্থার উন্নতির কোনও লক্ষণ নেই। সেই সাথে রয়েছে গাউটের প্রকোপ। কাজের লোক মারফত চিঠি পেয়ে ডাক্তারবাবু এলেন মণিময়বাবুর বাড়িতে, তাঁকে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে। জানা গেল, মণিময়বাবুর দুই ছেলে রয়েছে। সারাক্ষণ দোতলার ঘরে থাকে, খায় আর ঘুমায়। মাঝরাতে তারা নেমে আসে খাবার খেতে। কিন্তু কেন? কীসের এত লুকোচুরি? নাহ্, আর বলতে পারব না। তবে একটা কথাই বলব, হেমেন্দ্রকুমার রায়ের পর বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের লেখা খুব কমজনই সার্থকভাবে লিখতে পেরেছেন।
২) আসল গোয়েন্দাঃ সমুদ্র বসু সিরিজের এই গোয়েন্দা কাহিনিটিও বেশ অভিনব। ব্যাঙ্ক ডাকাতির আগাম খবর পেয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করলেন প্রাইভেট ডিটেকটিভ এজেন্সি ‘ঈগলস আই’-এর কর্ণধার মিস্টার মিত্রকে। আর মিস্টার মিত্রও ছদ্মবেশে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে শুরু করলেন। তারপর এল সেই ডাকাতির রাত। আদৌ কি ঈগল আই সফল হল? গল্পের শেষে অবধারিতভাবেই রয়েছে হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত সুলভ চমক।
৩) ভয়ংকর স্বীকারোক্তিঃ যেহেতু এই গল্পের নামেই বইয়ের নামকরণ, কাজেই এটিই যে এই সংকলনের অন্যতম সেরা গল্প, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উত্তরবঙ্গে শীতের রাতে এক সার্কাসের তাঁবুতে রাত কাটাতে গিয়ে গল্পের কথক ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসার অনিরুদ্ধের পরিচয় হল নেপালি ভদ্রলোক মিস্টার সুব্বার সাথে। আর সেই রাতেই অনিরুদ্ধের কাছে মিস্টার সুব্বা এক ‘ভয়ংকর স্বীকারোক্তি’ করলেন। যা পড়তে পড়তে পাঠক শিউরে উঠতে বাধ্য। এমন একখানা গল্পের জন্যেই পুরো বইটা কিনে ফেলা যায়।
৪) বোয়িং ২০৫০ : যতদূর মনে পড়ছে, মাস কয়েক আগে শুকতারায় প্রকাশিত হয়েছিল কল্পবিজ্ঞানের এই গল্পটি। এক দুর্লভ ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে গোটা বিশ্ব। এই প্রথমবার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সাতটি মহাদেশে পা রাখতে চলেছে পৃথিবীর মানুষ। সারা পৃথিবীর নির্বাচিত কিছু ধনী ব্যক্তিই এই সুযোগ পেয়েছেন। রয়েছেন অনেক ভিআইপিও। নির্দিষ্ট সময়ে বিমান ছাড়ল। আর তারপরই বোঝা গেল বিমান হাইজ্যাক করেছে জঙ্গীরা। তারপর? জঙ্গীদের দাবি কি পূরণ হল? নাকি অন্যরকম কিছু ঘটল?
হিমাদ্রিবাবুকে একটাই কথা বলব, আপনি মাঝে মাঝে এমন কিছু কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি লিখতেই পারেন। আপনার কলমে খুব বেশি কল্পবিজ্ঞান পাইনি আজ অবধি।
৫) সোনার কলমঃ গোয়েন্দা সমুদ্র বসু সিরিজের এই গল্পটাও ভালো। তবে অসাধারণ বলব না। সমুদ্র বসুর ক্ষুরধার বুদ্ধি আর গল্পের শেষের আকস্মিক চমক এই সিরিজের গল্পগুলোর অন্যতম সম্পদ। সেই দুটো উপাদানই সামান্য কম লাগল এই গল্পে।
বিশ্বকর্মা পূজার দিন হঠাৎ মারা যান সোনার কলম পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাহিত্যিক জলধর ঘোষাল। পুলিশের ধারণা মৃত্যুটা স্বাভাবিক নয়। স্বভাবতই রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব আসে সমুদ্র বসুর কাঁধে। আর তারপর সেই খুনের সূত্রেই সামনে আসে জলধর ঘোষালের ছেলেবেলার ইতিহাস!
৬) বান্ধবগড়ের রাজাসাহেবঃ বান্ধবগড়ের পটভূমিতে লেখা গল্প। কাজেই গল্পে বাঘ আসবেই। তিন বন্ধু মিলে বান্ধবগড় বেড়াতে গিয়ে জানতে পারে ফরেস্ট লজের কোনও রুম ফাঁকা নেই। শেষমেশ মঙ্গল সিং-এর সহযোগিতায় স্থানীয় রাজবাড়িতে থাকার সুযোগ চলে আসে। পরিচয় হয় রাজাসাহেবের সাথে। তারপর সেদিন রাতেই তাদের সামনে অভিনীত হয় পঞ্চাশ বছর আগে ঘটে যাওয়া এক কাহিনি। এই অভিনয়ের কতটা সত্যি আর কতটা কল্পনা, সেটাই এই গল্পের সবচেয়ে বড়ো চমক।
৭) এক টুকরো কাচঃ সমুদ্র বসু সিরিজের অত্যন্ত সুন্দর একখানা গোয়েন্দা গল্প। খুন হয়েছেন কৈবর্ত লেনের ব্যারিস্টার অবনী ঘোষ। আর সেই রহস্য উন্মোচনের ভার যথারীতি সমুদ্র বসুর ঘাড়ে। সামান্য এক টুকরো কাচের সূত্রকে কাজে লাগিয়ে কী করে একখানা খুনের রহস্যের কিনারা করা যায়, তা জানতে হলে পড়ে দেখতে হবে গল্পটি।
৮) চন্দ্রদেবতার মূর্তিঃ কয়েক মাস আগে শুকতারার পাতায় প্রকাশিত এই গল্পটা পাঠকদের চমকে দিয়েছিল। সেই চমকের স্বাদ আবার পেলাম গল্পটা পড়তে পড়তে। সমুদ্র-তীরবর্তী এক প্রাচীন মন্দিরে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে মহামূল্যবান চন্দ্রদেবতার মূর্তি। সেটা উদ্ধার করে নিয়ে আসতে যাচ্ছেন মিউজিয়াম অধিকর্তা ডক্টর বিনায়ক মাথুর, সঙ্গী অতনু। সেখানে গিয়ে তাদের পরিচয় হয় চন্দ্রদেবতার উপাসকের সাথে। তিনি নিষেধ করেন তাঁদের ঐ মূর্তির ব্যপারে আগ্রহ দেখাতে। এরপর কী হল? সেই নিষেধ শুনে তাঁরা কি ফিরে এলেন? নাকি...?
৯) পিশাচগড়ের পিশাচ বুরুজঃ এটিও সমুদ্র বসু সিরিজের আর একখানা গল্প। প্রকাশিত হয়েছিল গত শারদীয়া ‘ছোটদের কলরব’-এ। আগেও বলেছি, এই সিরিজের গল্পগুলোর সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমুদ্র বসুর ক্ষুরধার বুদ্ধি, আর গল্পের শেষের আকস্মিক চমক। এই গল্পে দুটোই পূর্ণমাত্রায় উপস্থিত। ব্যক্তিগতভাবে আমার সমুদ্র বসু সিরিজের সবচেয়ে পছন্দের গল্প এটি।
১০) কুৎসিত সুন্দরঃ এবারের শারদীয়া সন্দেশে প্রকাশিত হয়েছিল কাহিনিটি। শুধু ভালো বললে বোধহয় এই কাহিনিকে ছোটো করা হবে, আর অসাধারণ বললেও কিছুটা কম বলা হবে। দৈহিক সৌন্দর্য, নাকি মানসিক সৌন্দর্য - কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেই জিজ্ঞাসা ছড়িয়ে আছে গল্পজুড়ে। নিজের দৈহিক সৌন্দর্যকে বড়ো করে দেখানোর নেশায় একজন মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হয়ে উঠতে পারে সেই কাহিনিই এর মূল বিষয়। তবে গল্পের শেষের মেসেজটুকু পাঠকদের মনে যে ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি করে, তার রেশ থেকে যায় বহুক্ষণ।
১১) ব্যোমকেশ তপাদারের ডায়েরিঃ এই কাহিনিটি পড়তে পড়তে বারবার একটি নামই মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়। তিনি হলেন এক এবং অদ্বিতীয় প্রফেসর শঙ্কু। গল্প বলার ধরন এবং বিষয়বস্তু, সবক্ষেত্রেই সত্যজিৎ রায়ের সেই অনবদ্য সৃষ্টির কথা মনে পড়ে যায় বার বার। সম্ভবত লেখক সচেতনভাবেই এটা করেছেন। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই, গল্প হিসেবে এটি পড়তে দারুণ লেগেছে। আমি অপেক্ষা করে থাকব এই সিরিজের আরও কিছু গল্পের জন্যে। ব্যোমকেশ তপাদারের ডায়েরি ভরে উঠুক, প্রত্যাশা রইল।
১২) কনয়্যাকের দেশেঃ ভয়ংকর সুন্দর এই কাহিনিটি দিয়েই শেষ হয়েছে এই সংকলনটি। নাগাল্যান্ডের এক বিশেষ অঞ্চলের মানুষরা সারা শরীরে ট্যাটু আর মুন্ডু শিকার করার জন্য বিখ্যাত। মাত্র পঞ্চাশ বছর আগেও এখানকার লোকেরা দেবতাকে তুষ্ট করতে মানুষের মুন্ডু শিকার করত। যদিও এখন পুলিশের ভয়ে এসব আর হয় না। এমনই এক গা ছমছমে এলাকায় বেড়াতে আসে সুদূর ইংল্যান্ডের স্মিথ আর এক বঙ্গসন্তান আভাস। এরপর নাটকীয় মোড় নেয় পরিস্থিতি। কাহিনি সম্পর্কে এর বেশি লেখার সামর্থ আমার নেই। একবার পড়তে শুরু করলে আর না শেষ করে আর থামা যাবে না, এটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি। সংকলনের এই শেষ কাহিনিটি আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দিল।
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/1ofhEAPNIoG9Pe0vMN4Pjho2IavQQS3rr/view?usp=drivesdk
_________________________________________
দীনেন্দ্রকুমার রায়
(২৬ আগস্ট ১৮৬৯ – ২৭ জুন ১৯৪৩)
_________________________________________
একজন পত্রিকা সম্পাদক, অনুবাদক এবং বাঙালি গ্রন্থকার। দীনেন্দ্রকুমার রায় অবিভক্ত নদীয়ার মেহেরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। তার পিতার নাম ব্রজনাথ রায়। ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে মহিষাদল হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করে কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজে ভর্তি হন। ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী জেলা জজের কর্মচারী নিযুক্ত হন তিনি। ১২৯৫ বঙ্গাব্দে তার প্রথম রচনা একটি কুসুমের মর্মকথা : প্রবাদ প্রশ্নে ভারতী ও বালক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা শিক্ষক নিযুক্ত হয়ে বরোদায় দুই বছর কাটান। এসময় তিনি ঋষি অরবিন্দ ঘোষের বাংলার শিক্ষক ছিলেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে সাপ্তাহিক বসুমতী পত্রিকার সহ সম্পাদক ও পরে সম্পাদক হন। এই সময়ে নন্দন কানন মাসিক পত্রিকারও সম্পাদক ছিলেন। বাংলার পল্লীজীবন সম্পর্কিত তার লেখাগুলি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও মুগ্ধ করেছিল। সেকালের পল্লীজীবন নিয়ে লেখা তার বইগুলি (পল্লী চিত্র, পল্লী কথা, পল্লী বৈচিত্র্য) পড়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, "বাংলা দেশের হৃদয় হইতে আনন্দ ও শান্তি বহন করিয়া আনিয়া আমাকে উপহার দিয়াছেন।"
দীনেন্দ্রকুমারের অমর সৃষ্টি গোয়েন্দা রবার্ট ব্লেক ও তার সহকারী স্মিথ। আসলে এই গল্পগুলি স্যাক্সটন ব্লেকের অনুবাদ বা ভাবানুবাদ। দীনেন্দ্রকুমার ধার করেছিলেন ব্রিটিশ পপুলার সিরিজ শ্যাক্সটন ব্লেকের কাহিনী, যেগুলি প্রায় একশো বছরব্যাপী লন্ডন তথা ইংল্যান্ড এ অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। সুলেখক দীনেন্দ্রকুমার রায় নিজের ভাষায় বাঙালি পাঠকের মনের মতো করে সাজিয়েছেন কাহিনীগুলিকে। এই স্যাক্সটন গোয়েন্দার লেখক একজন নন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লেখক লিখে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন গোয়েন্দা সিরিজ। কমিক স্ট্রিপ, রেডিও প্রোগ্রাম, ইত্যাদিতে স্যাক্সটন গোয়েন্দা জনপ্রিয় ছিল. নন্দনকানন সিরিজ বা রহস্য লহরী সিরিজে ডিটেকটিভ রবার্ট ব্লেককে ইংরজি থেকে অনুবাদের মাধ্যমে বাংলার অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে পরিচিত করে তিনি প্রসিদ্ধ হন। এই সিরিজের প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ২১৭টি।
_________________________________________
তার লেখা ৪৩টি বইয়ের পিডিএফ পাবেন এই লিংকে:
https://banglaelibrary.blogspot.com/p/blog-page_20.html
________________________________________
দীনেন্দ্রকুমার রায় II Dinendrokumar Roy দীনেন্দ্রকুমার রায়, বই, ডাউনলোড, Dinendra Kumar Roy
মৎস্যকন্যার খোঁজে
- হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/14Jz0u8FSPmXoTXQ5K4cJ-MXS42KnKtSD/view?usp=drivesdk
_________________________________________
II দস্যু বনহুর II DOSSU BANHUR II
_________________________________________
দস্যু বনহুর বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক রোমেনা আফাজ কর্তৃক সৃষ্ট একটি কথাচরিত্র। দস্যু বনহুর সিরিজে এই চরিত্রভিত্তিক নিয়ে শতাধিক (১৩৮টি) গোয়েন্দা কাহনী প্রকাশিত হয়েছে। ছোটবেলা নৌদূর্ঘটনায় চৌধুরী বাড়ীর ছেলে মনির হারিয়ে যায়, দস্যু সর্দার কালু খাঁ তাঁকে কুঁড়িয়ে পান ও পরবর্তিতে তাঁকে "দস্যু বনহুর" রুপে গড়ে তোলেন। গরীবের বন্ধু ও চোরাকারবারীদের চির শত্রু দস্যু বনহুর যেমন গরীবের কাছে ছিলেন সম্মানিত, তেমনি চোরাকারবারী ও সন্ত্রাসদের কাছে ছিলেন জমদূতের মত। এই সিরিজের স্লোগান হচ্ছে 'সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক দস্যু বনহুর'।
দস্যু বনহুরের সহায়ক চরিত্র হিসেবে রয়েছে রহমান ও কায়েস, তাঁরা একাধারে বনহুরের বন্ধু ও সহযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর দু'জন স্ত্রী ছিলো একজন জঙ্গলে অন্যজন শহরে; শহুরে স্ত্রীর নাম মনিরা ও অপরজনের নাম নূরী। মনিরার গর্ভে দস্যু বনহুরে বড় ছেলে "নুরুজ্জামান নূর" এর জন্ম, যে পরবর্তীতে দেশের সৎ ও সাহসী ডিটেকটিভ হিসেবে পরিচয় লাভ করে। নূরীর গর্ভে "জাভেদ" নামে তার একটি ছেলের জন্ম হয়, যে পিতার মতই দস্যুতা করতে ভালবাসে।
"কালু খাঁ" যাঁকে দস্যু বনহুর বাপু বলে সম্বোধন করতেন, কালু খাঁ ছিলেন একজন প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন ডাকাত সর্দার। একদিন তিনি ছোট্র মনিরকে কুঁড়িয়ে পান ও পরবর্তিতে তাঁকে "দস্যু বনহুর" রুপে গড়ে তোলেন।
দস্যু বনহুর সিরিজে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের মধ্যে "আশা" নামের চরিত্রটিকে ধারণা করা হয় এই সিরিজের সবচেয়ে রহস্যময়। এছাড়া "দস্যু রানী" নামের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রয়েছে যিনি "আহাদ" নামের একজন নাম করা একজন ডিটেকটিভের স্ত্রী।
_________________________________________
দস্যু বনহুর সিরিজের ৬২টি পিডিএফ পাবেন এই লিংকে:
https://banglaelibrary.blogspot.com/p/blog-page_85.html
_________________________________________
দস্যু বনহুর II DOSSU BANHUR II ROMENA AFAZ দস্যু বনহুর, পিডিএফ, বই, ডাউনলোড, Bandit Bonhur, Dossu Bonhur
মানুষ-কুমীর
- হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
_________________________________________
এপার বাংলায় শিশু-কিশোর সাহিত্যের পাঠক মাত্রেই আনন্দমেলা, কিশোর ভারতী, শুকতারা এবং অন্যান্য পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পের মাধ্যমে হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্তের আধুনিক, গতিময়, এবং বুদ্ধিদীপ্ত লেখার সঙ্গে পরিচিত। পরশপাথর প্রকাশনার সৌজন্যে আমরা এবার পেলাম তাঁর এক ঝাঁক রোমাঞ্চকর গল্প।
যেসব গল্প এই বই-এ আছে তারা হল:
১. মানুষ কুমির: শারদীয়া আনন্দমেলায় প্রকাশিত এই কল্পবিজ্ঞান-নির্ভর বড়োগল্পটি তার হিংস্রতা আর উত্তেজনা দিয়ে এই বই-এর সুর বেঁধে দেয়। তবে গল্পটা পড়ার পর কেমন যেন “শেষ হয়েও হইল না শেষ” অনুভূতিই হয়। লেখক কি আমাদের আর একবার নিয়ে যাবেন সুন্দরবনের ওই ভয়ঙ্কর সুন্দর পরিবেশে, গল্পটা সত্যিই শেষ করতে?
২. তেজকাৎলিপোকার পিরামিড: আজটেক আর মায়াদের রক্তিম ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের পরিচয় সীমিত। কিন্তু এই রুদ্ধশ্বাস গল্পটি শেষ অবধি আমাদের ছুটিয়ে নিয়ে যায় কিংবদন্তী, কুসংস্কার, আর কল্পবিজ্ঞানের গা-ছমছমে মিশ্রণ দিয়ে| লেখক অবশ্য এই নিষিদ্ধ জগতে আবারও ফিরেছিলেন তাঁর “সূর্যমন্দিরের শেষ প্রহরী” উপন্যাসে (পারুল প্রকাশনী), তবে তার কথা আলাদাভাবে লেখা যাবে।
৩. নেকড়ের নিমন্ত্রণ: মানুষের লোভ আর রিরংসা দিয়ে রাঙানো দুটো লেখার পর বেশ একটা স্বাদ-বদলের অনুভূতি হয় এই গল্পটা পড়ে।
৪. রামেসিস রা-এর রক্তধারা: ছোটোগল্পের অতি সংক্ষিপ্ত পরিসরেও লেখক যে নিপুণতার সঙ্গে আমাদের উড়িয়ে নিয়ে গেছেন মিশরের রহস্যময় অতীতে তা পড়ার পর যদি কোন পাঠক লেখকের হাতে এই থিমের আরও পূর্নাঙ্গ চিত্রণের অভিলাষী হন, তবে তাঁকে আমি “রানি হাটশেপসুটের মমি” উপন্যাসটি (শিশু সাহিত্য সংসদ) পড়তে অনুরোধ করব।
৫. রেডিয়োর বন্ধু: কল্পবিজ্ঞান-নির্ভর এই ছোটো গল্পটা পড়ে নিলে মন ভালো হয়ে যাওয়া নিশ্চিত, তবে এই থিম নিয়েও আমরা এবার লেখকের কাছ থেকে একটা বিস্তৃততর উপন্যাস চাইতে পারি।
৬. হিরোহিতোর গবেষণা: “প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু” গল্পের পাঠক মাত্রেই আন্দাজ করতে পারবেন এই গল্পের কী পরিণতি হতে চলেছে, তবে এতে হিংস্রতা বড়ো বেশি।
৭. দেবতার চাবি: কল্পবিজ্ঞানের এই গতিময়, তবে প্রেডিক্টেবল গল্পটি দিয়ে শেষ হয় এই সংকলন।
সামগ্রিকভাবে এটাই বলার যে এই সময়ের শিশু-কিশোর সাহিত্যের ধারাটিকে যাঁরা সজীব রেখেছেন তাঁদের অন্যতম এই লেখকের এক ঝাঁক গতিময় গল্প নামমাত্র মূল্যে সংগ্রহ করার এই সুযোগ হারাবেন না। পড়ুন ও পড়ান, প্লিজ।
পাঠ পর্যালোচনা: Riju Ganguly
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/1TgJqYynojiuewrtwW-sXOJHtRhy522N1/view?usp=drivesdk
_________________________________________
তিন গোয়েন্দা
_________________________________________
তিন গোয়েন্দা বাংলাদেশের সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত জনপ্রিয় একটি কিশোর গোয়েন্দা কাহিনী সিরিজ। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাস থেকে বিদেশী কাহিনী অবলম্বনে শুরু হয় এই সিরিজটি। প্রথম থেকেই রকিব হাসানই এই বিখ্যাত সিরিজটি লেখার কাজ করেন। রকিব হাসান একটানা ২০০৩ পর্যন্ত মোট ১৫৮টি কাহিনী লেখেন। পরবর্তীতে শামসুদ্দীন নওয়াব এটি লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শামসুদ্দীন নওয়াব নামে বিভিন্ন সময় গোস্ট রাইটাররা বই লিখেছেন। এর মধ্যে অন্যতম কাজী আনোয়ার হোসেনের বড় ছেলে কাজী শাহনূর হোসেন। 'তিন গোয়েন্দা' তিনজন কিশোর গোয়েন্দার গল্প।
তিন গোয়েন্দা পুরোপুরি মৌলিক কাহিনী নয়। ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন গোয়েন্দা কাহিনীর ছায়া অবলম্বনে রচিত। বিশেষ করে প্রথম দিককার বইগুলো রবার্ট আর্থারের ইংরেজি সিরিজ "থ্রি ইনভেস্টিগেটরস" অবলম্বনে রচিত। আবার কিছু বই এনিড ব্লাইটনের "ফেমাস ফাইভ" অবলম্বনে রচিত। এই তিনজন গোয়েন্দাকে ঘিরেই 'তিন গোয়েন্দা'র শোভন প্রকাশনা বের হয় তিন বন্ধু নামে প্রজাপতি প্রকাশন থেকে। এই নামের প্রথম বইটি ছিল আমি রবিন বলছি।
দৈনিক প্রথম আলো পরিচালিত একটি জরিপে বেরিয়ে আসে, বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের পঠিত গল্পের বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বই হচ্ছে 'তিন গোয়েন্দা', আর প্রিয় চরিত্রের মধ্যে আছে যথাক্রমে কিশোর পাশা, রবিন মিলফোর্ড আর মুসা আমান। জরিপে ৪৫০ জনের মধ্যে ৮১ জনই (১৮%) তিন গোয়েন্দার পক্ষে মত দিয়েছে।
বিখ্যাত তিন গোয়েন্দা সিরিজের বিভিন্ন ভলিউম ও একক পর্ব সহ ১৫১ পিডিএফ পাবেন নিচের লিংকে:
_________________________________________
তিন গোয়েন্দা তিন গোয়েন্দা, সেবা প্রকাশনী, বাংলা, বই, ডাউনলোড
মৃত্যুর গন্ধ মিষ্টি
- হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
_________________________________________
যে প্রিয় পানীয়র গ্লাসে আপনি চুমুক দিচ্ছেন তাতে এমন কিছু নেই তো যার কথা জানলে কাঁপন ধরবে হৃদপিন্ডে?
যাকে আপনি স্পর্শ করতে চলেছেন, ঠোঁটে ঠোঁট রাখতে চলেছেন, আপনি নিশ্চিত কি সে ঠিক আপনার মতোই কোনও মানুষ?
যে মিষ্টি গন্ধের আবেশে আপনি তলিয়ে যাচ্ছেন অচেনা কোনও জগতে, সে জায়গা থেকে আপনি আবার ফিরে আসতে পারবেন তো?
কারণ, মৃত্যুর গন্ধও অনেক সময় মিষ্টি হয়!
এক মলাটে বাস্তব আর পরাবাস্তব জগতের আতঙ্ক, বীভৎস রসের কাহিনী সংকলন - মৃত্যুর গন্ধ মিষ্টি।
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/1Ib1eriYN502E7VxPhbUw-uLQYayHu4tg/view?usp=drivesdk
_________________________________________
যুদ্ধ যখন জঙ্গলে
- হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
_________________________________________
আসামের বিস্তৃত গভীর জঙ্গল। সেখানে কলকাতা থেকে বেড়াতে এসেছে পার্থ আর অনিকেত। ফরেস্ট অফিসার দুর্জয়দা ওদের পাড়ার ছেলে। পরিচয় হয় সান্যাল বাবুর মেয়ে থইয়ের সাথে। জঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে দেখা পায় বিভিন্ন পশুপাখির। পরিচয় হয় মহাকাল নামের অতিকায় হাতি আর দানবাকৃতির এক গন্ডার ইঞ্জিনের সাথে। কিন্তু এই জঙ্গলের সবচেয়ে হিংস্র প্রানী হচ্ছে মানুষ নামের পোচার। এক সময় এদের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ওরা। পার্থ আর থইকে কিডন্যাপড করে পোচাররা। ওদের উদ্ধারে জঙ্গলে নামে অনিকেত আর দুর্জয়। এদিকে মহাকাল আর ইঞ্জিন মুখোমুখি হয় যুদ্ধের জন্য। জাস্ট অসাম।
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/1mLiyAZYTsHL95OUso1dENyO1hrwXKlKd/view?usp=drivesdk
_________________________________________
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
(২৩ জুলাই, ১৮৯৮−সেপ্টেম্বর ১৪, ১৯৭১)
_________________________________________
বিংশ শতাব্দীর এক বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তিনি ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি ছোটোগল্প-সংকলন, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধ-সংকলন, ৪টি স্মৃতিকথা, ২টি ভ্রমণকাহিনি, একটি কাব্যগ্রন্থ এবং একটি প্রহসন রচনা করেন। আরোগ্য নিকেতন উপন্যাসের জন্য তারাশঙ্কর ১৯৫৫ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার ও ১৯৫৬ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার এবং ১৯৬৭ সালে গণদেবতা উপন্যাসের জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ১৯৬২ সালে তিনি পদ্মশ্রী এবং ১৯৬৮ সালে পদ্মভূষণ সম্মান অর্জন করেন।
তারাশঙ্করের উপন্যাস ও ছোটোগল্প অবলম্বনে বাংলা ভাষায় একাধিক জনপ্রিয় ও সমালোচকেদের দ্বারা প্রশংসিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সেগুলির মধ্যে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত জলসাঘর ও অভিযান, অজয় কর পরিচালিত সপ্তপদী, তরুণ মজুমদার পরিচালিত গণদেবতা, তপন সিংহ পরিচালিত হাঁসুলী বাঁকের উপকথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
_________________________________________
তার লেখা ১৩৯টি বইয়ের পিডিএফ পাবেন এই লিংকে:
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বই, ডাউনলোড, Tarasankar Bandyopadhyay
অনেকেই জীবনী/আত্মজীবনীমূলক বই পড়তে পছন্দ করেন। তাদের জন্য আমাদের আজকের পরিবেশনা এ বিষয়ক ৭১টি বইয়ের পিডিএফ লিংক:
জীবনী/আত্মজীবনী II BIOGRAPHY BOOKS জীবনী, আত্মজীবনী, বই, ডাউনলোড, Autobiography, Biography
রাক্ষুসে নেকড়ে
- হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
_________________________________________
মাদাগাস্কারের জংগলে পাওয়া যায় এক নরখাদক গাছ। সেই গাছের সন্ধানে ক্রিপ্টোজিলজিস্ট হেরম্যান আর সুদীপ্ত অভিযান চালায় জল-জংগলে ঘেরা কুমির-শিকারিদের গ্রামে। তারপর ...?
সিকিমের কুয়াশামাখা পার্বত্য অঞ্চলে প্রাচীন রেশম পথ। সেখানে তুষার নেকড়েদের পুনর্বাসন কেন্দ্র খুলেছেন জার্মান পশুপ্রেমী মিস্টার ভাইমার। ওই প্রাণীগুলো নেকড়ে, নাকি অন্য কিছু? হিমালয়ের পটভূমিতে গা-ছমছমে উপন্যাস।
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/1f3VI_vb3Q2RbAL0L-Tb0YsyGQ5r91P2X/view?usp=drivesdk
________________________________________
রানি হাটশেপসুটের মমি
- হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
____________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/10-K6Zhy7KmNGcidARvpF0jSH4pVAAJTv/view?usp=drivesdk
_________________________________________
জীবন গঠনমূলক/মোটিভেশনাল বই MOTIVATIONAL BOOKS
_________________________________________
সবাই তার নিজের কর্মে সফল হতে চায়। সফলতা আর কামিয়াবী অর্জনের জন্য কম-বেশি সবাই চেষ্টা করে, নিজের জীবনের অমূল্য সময় ব্যয় করে। আরাম-আয়েশ বিসর্জন দেয়। সুখ-শান্তি জলাঞ্জলি দিয়ে নিরন্তন প্রয়াস চালিয়ে যায় । কঠোর সাধনা করে। কিন্ত অতি নগণ্য সংখ্যক মানুষের পক্ষেই জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়। অধিকাংশের ভাগ্যেই ঘটে ব্যর্থতার বঞ্চনা । এর অনেক আমাদের সঠিক ধারণা না থাকা. দ্বিতীয়ত, সফলতা অর্জনের পথ ও পন্থা সম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞান না থাকা।
মানুষের একটা বিশেষ গুন হচ্ছে মানুষ কাজ করে। সব সময় কাজ করে। এমন কোনো মানুষ দেখানো সম্ভব না যে কিনা সারাদিনে কোনো না কোনো কাজ করেনি। তবে প্রায় সময় একই কাজ বারবার একই রুটিনে করতে থাকলে দেখা দেয় একঘেয়ামিতা। আর তখনই প্রয়োজন হয় শত শত বছর পুরনো আবিষ্কার মোটিভেশনের। আশা করি পাঠকগণ এখানে সংযোজিত বইগুলো থেকে জীবনে সফল হওয়ার অনেক উপাদান খুঁজে পাবেন।
_________________________________________
সম্মানিত পেজ ফলোয়ারগণ, ৫৭টি মোটিভেশনাল বই পাবেন এই লিংকে:
জীবন গঠনমূলক/মোটিভেশনাল বই II MOTIVATIONAL BOOKS মোটিভেশন, মেডিটেশন, জীবন গঠনমূলক বই, পিডিএফ, ডাউনলোড
লাল রক্ত কালো গোলাপ
- হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/1WNAcVMaAlTEjNcxntGoyP5ozbI7vHRMX/view?usp=drivesdk
_________________________________________
জয় গোস্বামী
(জন্ম: ১০ নভেম্বর ১৯৫৪)
________________________________________
বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন আধুনিক বাঙ্গালী কবি।ভারতীয় পশ্চিম বাংলার এই কবি বাংলা ভাষার উত্তর-জীবনানন্দ পর্বের অন্যতম জনপ্রিয় কবি হিসাবে পরিগণিত। তার কবিতা চমৎকার চিত্রকল্পে, উপমা এবং উৎপ্রেক্ষায় ঋদ্ধ। তিনি দুবার আনন্দ পুরস্কার লাভ করেছেন। বজ্রবিদ্যুৎ-ভর্তি খাতা কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তার কবিতার একটি বিখ্যাত পঙ্ক্তি ‘‘অতল তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে / হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে'’’।
জয় গোস্বামীর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কলকাতা শহরে। ছোটবেলায় তার পরিবার রানাঘাটে চলে আসে। তখন থেকেই তার স্থায়ী নিবাস সেখানে। তার পিতা মধু গোস্বামী ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী রাজনীতি করতেন। তার যখন আট বছর পাঁচ মাস বয়স তখন পিতৃহারা হন। তার মা শিক্ষকতা করে তাঁকে লালন পালন করেন। প্রথম কবিতা লিখেছিলেন ১৩-১৪ বছর বয়সে। নিয়মিত কবিতা লিখতে শুরু করেন ১৬-১৭ বছর বয়সে। তিনি ছেলেবেলা থেকে খুব গান শুনতেন। গানের সুর থেকে বাণী তাঁকে খুব আকর্ষণ করতো। এ আকর্ষণেই তার অন্তর্জগতে কবিতার জন্ম হতে থাকে। ছেলেবেলায় এক অনুষ্ঠানে বনলতা সেন কবিতাটির আবৃত্তি শুনে কবিতার গঠন, রচনাশৈলী ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে তার প্রথাগত ধারণা আমূল বদলে যায়।
জয় গোস্বামীর প্রথাগত লেখা পড়ার পরিসমাপ্তি ঘটে একাদশ শ্রেণীতে থাকার সময়। সত্তরের দশকে তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন। সাময়িকী ও সাহিত্য পত্রিকায় তিনি কবিতা লিখতেন। এভাবে অনেক দিন কাটার পর দেশ পত্রিকায় তার কবিতা ছাপা হয়। এর পরপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পরে তার প্রথম কাব্য সংকলন ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঘুমিয়েছ, ঝাউপাতা কাব্যগ্রন্থের জন্য আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন। ২০০০ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে তিনি পাগলী তোমার সঙ্গে কাব্য সংকলনের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।
জয় গোস্বামীর ভাষায়, ‘‘আমার প্রতিদিনের জীবনে মনের ভেতর যে ভাষা জন্মায়, যে অভিজ্ঞতা জন্ম নেয়, তাকে ভাষা দেওয়ার চেষ্টা করি।’’ তিনি আরো বলেন, “আমার জীবন হচ্ছে ধারাবাহিক বিচ্ছেদের মালা গাঁথার ইতিহাস। আমার মাস্টার মশাই, আমার মা, আমার ভাই, আমার বন্ধু, নারী, সহকর্মী, যাঁরা আমার জীবনে এসেছেন, তারা কেউ আমাকে নিয়ে সুখী নন। তারা কোনো না কোনো কারণে হতাশ বা আমাকে নিয়ে ক্লান্ত।” তার প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শঙ্খ ঘোষ।
তার প্রথম কবিতার বই 'ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ' প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে।এটি ছিল মাত্র আটটি কবিতার একটি ক্ষীণতনু কবিতা-সংকলন। মায়ের থেকে টাকা নিয়ে তিনি এই বইটির প্রকাশনা বাবদ মোট ১৪৫ টাকা ব্যয় হয়েছিল। মায়ের টাকাতেই ১৯৭৮-এ তিনি প্রকাশ করেছিলেন ২য় কাব্যগ্রন্থ প্রত্নজীব। অতঃপর কবি শঙ্খ ঘোষ তাকে প্রকাশক জুটিয়ে দেন এবং ১৯৮১-তে তার তৃতীয় কাব্য আলেয়া হ্রদ প্রকাশিত হয়।
তার লেখা ৬৩টি বই শেয়ার করছি আজ:
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://banglaelibrary.blogspot.com/p/blog-page_69.html
_________________________________________
জয় গোস্বামী II JOY GOSWAMI জয় গোস্বামী, বই, ডাউনলোড, Joy Goswami
রুদ্রনাথের চুনির চোখ
- হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
_________________________________________
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্তের ‘রুদ্রনাথের চুনির চোখ’ একটি অসাধারণ রহস্য কাহিনী। বইটা পড়তে পড়তে মন চলে যাবে রুদ্রপ্রয়াগে। ঘটনার পটভূমি এখানেই। এখানে বেড়াতে আসে পটাই আর শুভ্রদা। সম্পর্কে তারা শালা জামাইবাবু। শুভ্রদা কোনও সাধারণ পর্যটক নয়। পটাই মাধ্যমিক দেবে। এই রুদ্রপ্রয়াগে এক গুহার মধ্যে থাকেন এক দৃষ্টিহীন সাধুবাবা। সেই গুহায় আছেন রুদ্রনাথ। মহাদেব। রুদ্রপ্রয়াগের প্রধান দেবতা। তাঁর দুটো চোখই চুনির। এই চুনির লোভে একদিন খুন হলেন সাধুবাবা। আর আসল রুদ্রনাথকে চুরি করে তার জায়গায় বসানো হল নকল রুদ্রনাথ। শুভ্রদার অনুসন্ধিৎসু মন ঘটনার কার্যকারণ খুঁজে চলে। বহু বছর আগে জিম করবেট এই অঞ্চল থেকে শিকার করেছিলেন এক মানুষখেকো বাঘ। কিছু মানুষ বিশ্বাস করে করবেট সাহেব ভূত হয়েছেন। তাঁর হাতে শিকার হওয়া সেই বাঘটিরও প্রেত ছায়া দেখা যায় গভীর রাতে। আর আছেন এক রহস্যময় বাঙ্গালি ভদ্রলোক। কোনও এক কারণে যিনি বেছে নিয়েছেন নির্জন অজ্ঞাতবাস। শুভ্রদাকে একটি বিশেষ জিনিসের অনুরোধ করেন সেই ব্যক্তি। শুভ্রদা সব রহস্যের সমাধান করে নিখুঁতভাবে। কিশোর আর আমাদের মত বড় না হওয়া পাঠকদের জন্য একটা আদর্শ বই ‘রুদ্রনাথের চুনির চোখ’। যারা রহস্য ভালবাসেন তারা অবশ্যই একবার পড়ে দেখতে পারেন।
_________________________________________
ডাউনলোড লিংক:
https://drive.google.com/file/d/1i8GEQyT3Ko2L_G_IqJjg-WiB3K_zHQmo/view?usp=drivesdk
_________________________________________
গজেন্দ্রকুমার মিত্র
(জন্ম: ১১ নভেম্বর ১৯০৮ - মৃত্যু: ১৬ অক্টোবর ১৯৯৪)
_________________________________________
একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক, প্রকাশক ও অনুবাদক। রবীন্দ্র-শরৎ উত্তর বাংলা সাহিত্যে বিভূতিভূষণ-তারাশঙ্করের পর বাঙালী মধ্যবিত্ত সমাজকে উপজীব্য করে যে সকল কথাসাহিত্যিক সার্থক সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তাঁদের মধ্যে গজেন্দ্রকুমার মিত্র অন্যতম।
গজেন্দ্রকুমার মিত্রের জন্ম ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ১১ই নভেম্বর বৃটিশ ভারতের কলকাতা শহরে। বাল্যশিক্ষা শুরু হয় কাশীর এংলো-বেঙ্গলী স্কুলে। কলকাতায় ফিরে এসে ঢাকুরিয়া অঞ্চলে গজেন্দ্রকুমার বসবাস শুরু করেন এবং বালিগঞ্জ জগদ্বন্ধু ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন। স্কুল জীবন অতিক্রম করে অতঃপর তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। আই.এসসি পড়া অসমাপ্ত রেখে বই এর ব্যবসায় যোগ দেন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে বন্ধু সুমথনাথ ঘোষের সঙ্গে কলকাতায় "মিত্র ও ঘোষ" নামক বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা স্থাপন করেন। ১৯৪০ সাল পর্যন্ত্ বই বিক্রি করেছেন গজেন্দ্রকুমার।
স্কুল শিক্ষা সমাপ্তির কিছু পরেই বন্ধু সুমথনাথের সঙ্গে মাসিক সাহিত্যিক পত্রিকা 'কথাসাহিত্য' শুরু করেন। গজেন্দ্রকুমারের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস 'মনে ছিল আশা', গল্পগ্রন্থ 'স্ত্রিয়াশ্চরিত্রম' | ১৯৫৯ সালে তার 'কলকাতার কাছেই' উপন্যাস সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হয়। 'কলকাতার কাছেই', 'উপকন্ঠে', 'পৌষ-ফাগুনের পালা'-এই ট্রিলজিকে (ত্রয়ী উপন্যাস) আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য উপন্যাস বলে গণ্য করা হয়। পৌষ-ফাগুনের পালা ১৯৬৪ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার পায়। গজেন্দ্রকুমারের লেখনীর বিচরণক্ষেত্র বিরাট ও ব্যাপক, সামাজিক উপন্যাস, পৌরানিক উপন্যাস, ঐতিহাসিক উপন্যাস, ছোট গল্প.কিশোর সাহিত্য-সর্বত্র তার অবাধ গতি। সুদীর্ঘ ষাট বছরের অধিককাল ধরে তার কয়েক হাজার ছোটগল্প ও পঞ্চাশটিরও বেশি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য উপন্যাস গ্রন্থ গুলি হল -
'রাত্রির তপস্যা' (১৯৫০)
'পাঞ্চজন্য'(১৯৭৯)
'বহ্নিকন্যা'(১৯৬০)
'রাই জাগো রাই জাগো' প্রভৃতি। উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প গ্রন্থ হল -
'কথা কল্পনা কাহিনী'
'স্বর্ণমৃগ'
ছোটদের জন্য 'রামায়ণ'
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ-'আদি আছে অন্ত নেই
আজ তার ৭৩টি বই শেয়ার করছি আপনাদের সাথে:
________________________________________
https://banglaelibrary.blogspot.com/p/blog-page_92.html
_________________________________________
গজেন্দ্রকুমার মিত্র II GAJENDRAKUMAR MITRA গজেন্দ্রকুমার মিত্র, বাংলা, বই, ডাউনলোড, Gajendrakumar Mitra
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the organization
Telephone
Address
674, Manikdi
Manda
1206