Amatullah Waziha
It’s worth it to lose everything for Allah rather than losing Allah for something
“সেই ব্যক্তি ধ্বংস হয়ে গেছে, যার অন্তর ভালোকে ভালো মনে করে না এবং খারাপকে খারাপ মনে করে না।”
— আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদ্বি.)
[তাহযিবু হিলয়াতিল আউলিয়া, ১/১২২]
ক্বুরআন থেকে যারা হিজরত করেছে
____________________________________
যারা ক্বুরআনকে পরিত্যক্ত সাব্যস্ত করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে অভিযোগ পেশ করেছেন।
আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
وَقَالَ الرَّسُولُ يَا رَبِّ إِنَّ قَوْمِي اتَّخَذُوا هَذَا الْقُرْآنَ مَهْجُورًا
“আর রাসুল (তাঁর জাতির লোকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে) বললেন, “হে আমার পালনকর্তা! আমার সম্প্রদায় এই ক্বুরআনকে পরিত্যক্ত (প্রলাপ) সাব্যস্ত করেছে।” সুরা ফুরক্বানঃ ৩০।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে কিছু কাফের ক্বুরআনকে مَهْجُورًا মাহজুরা বা পরিত্যক্ত জিনিস মনে করে তাকে বর্জন করেছিলো। অনুরূপভাবে আজকের যুগেও কোটি কোটি মানুষ, যারা মুখে নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবী করে, কিন্তু কাজে-কর্মে তারা এই ক্বুরআনকে পরিত্যাগ করেছে।
____________________________________
হাফিজ ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাউজিয়া রহি’মাহুল্লাহ তাঁর অনন্য গ্রন্থ ‘আল-ফাওয়ায়েদ’-এ ক্বুরআনকে বর্জন করার পাঁচটি দিক বর্ণনা করেছেনঃ
(১) ক্বুরআন তিলাওয়াত না করা।
(২) ক্বুরআন শ্রবণ না করা।
(৩) ক্বুরআনের উপর আমল না করা, এর হালাল-হারামের বিধানকে বর্জন করা।
(৪) ক্বুরআন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা না করা এবং সে অনুযায়ী আদালতে বিচার-ফয়সালা না করা।
(৫) ‘রুকইয়া’ বা ক্বুরআন দিয়ে ঝাড়ফুঁক ও চিকিৎসা গ্রহণ না করা।
____________________________________
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
যে লোক আল্লাহ তা’আলা ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা নীরব থাকে।
[সুনান আত তিরমিজী: ২৫০০]
⭕ জুম'আর দিনের অত্যন্ত দামী একটি সুন্নত আমল হচ্ছে রাসূল ﷺ এর উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করা। তাই আসুন আমরা জুম'আর দিনের ফজিলতপূর্ণ সময়টুকু দুরূদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে অতিবাহিত করি ইন শা আল্লাহ।
১) “আল্ল-হুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদ, ওয়া 'আলা আ~লি মুহাম্মাদ”
২) “আল্ল-হুম্মা সল্লি'আলা মুহাম্মাদ, আল্ল-হুম্মা বা-রিক 'আলা মুহাম্মাদ”
৩) “আল্ল-হুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম 'আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ”
৪) “ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু 'আলা রসূলিল্লাহ”
৫) “সল্লল্ল-হু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম”
🔸 এই [ ' ] চিহ্নটি দ্বারা আরবী হরফ আইনের উচ্চারণ এবং এই [ - ] চিহ্নটি দ্বারা ১ আলিফ টান দিয়ে পড়াকে বুঝানো হয়েছে।
🔲 উপরোক্ত দুরূদ শরীফগুলো দৈনিক কমপক্ষে ১০০ বার করে পাঠ করার চেষ্টা করবেন ইন শা আল্লাহ।
⭕ জুম'আর দিন আসরের শেষ মূহুর্তে অর্থাৎ মাগরিবের পূর্ব মূহুর্তে দোয়া কবুল করা হয়। আর তাই আপনারা এই সময়টিতে আল্লাহর প্রশংসা এবং দুরূদ শরীফ পাঠ করে বেশি বেশি করে দোয়া করুন। আপনাদের দোয়াও কবুল করা হবে ইন শা আল্লাহ। [আবু দাউদ- ১০৪৮] 💝✅
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের পথ দেখায়, সে উক্ত কাজ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সওয়াব পায়।"
[সুনান আবূ দাউদ: ৫১২৯]
‘আর অত্যাচারীরা অচিরেই জানতে পারবে, তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়?’
(সূরা আশ-শুআরা : আয়াত ২২৭)
৩টি বিষয় মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।
১) অব্যাহত কৃপণতা;
২) নিজ প্রবৃত্তির আনুগত্য;
৩) নিজের ব্যাপারে সু-ধারণা পোষণ বা আত্মতৃপ্তি।
- নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
[ইমাম তাবরানি, মু‘জামুল আউসাত্ব: ৫৪৫২; হাদিসটি হাসান]
আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
فَٱذۡكُرُونِيٓ أَذۡكُرۡكُمۡ وَٱشۡكُرُواْ لِي وَلَا تَكۡفُرُونِ ١٥٢
“সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং তোমার আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; আমার প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ো না।
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٣
হে মুমিনগন! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন।
وَلَا تَقُولُواْ لِمَن يُقۡتَلُ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ أَمۡوَٰتُۢۚ بَلۡ أَحۡيَآءٞ وَلَٰكِنلَّا تَشۡعُرُونَ ١٥٤
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝতে পারো না।
وَلَنَبۡلُوَنَّكُم بِشَيۡءٖ مِّنَ ٱلۡخَوۡفِ وَٱلۡجُوعِ وَنَقۡصٖ مِّنَ ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَنفُسِ وَٱلثَّمَرَٰتِۗ وَبَشِّرِ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٥
এবং অবশ্যই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, তোমাদের সম্পদ ও জীবনের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীল লোকদেরকে।
ٱلَّذِينَ إِذَآ أَصَٰبَتۡهُم مُّصِيبَةٞ قَالُوٓاْ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّآ إِلَيۡهِ رَٰجِعُونَ١٥٦
(ধৈর্যশীল হচ্ছে তারাই), যখন তারা বিপদে পড়ে, তখন বলেঃ “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” - নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য, আর আমরা তাঁরই কাছে ফিরে যাবো।
أُوْلَٰٓئِكَ عَلَيۡهِمۡ صَلَوَٰتٞ مِّن رَّبِّهِمۡ وَرَحۡمَةٞۖ وَأُوْلَٰٓئِكَهُمُ ٱلۡمُهۡتَدُونَ ١٥٧
তারাই সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকেরাই হচ্ছে হেদায়েতপ্রাপ্ত।”
📘সূরা আল-বাক্বারাহঃ ১৫২-১৫৭।
তোমরা তোমাদের ঈমানকে ঠিক করো, অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।
-[সহিহ মুসলিমঃ -২৬০৪]
নিরাশ হয়ো না, দুঃখিত হয়ো না। তুমিই জয় লাভ করবে, যদি তুমি মুমিন হও!
[সূরা আল ইমরান - ১৩৯]
১ নাম্বার থেকে ৯ নাম্বার পর্যন্ত পড়ুন, আল্লাহর নেয়ামতের তথ্য পাবেন।
১. সুবহানাল্লাহ
জান্নাতে একটি ফল গাছ রোপন করে নিলেন।
২. আলহামদুলিল্লাহ
মিযানের পাল্লাটা একটু ভারি করে নিলেন।
৩. আল্লাহু আকবার
আল্লাহর নামে আর একটি তাকবির পেশ করলাম।
৪. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ
যার নেক সাত আসমান ও সাত জমিন হইতেও উত্তম।
৫. লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
জান্নাতের একটি রত্ন কুড়িয়ে পেলাম।
৬. আলিফ লাম মিম
পেয়ে গেলাম ৩০ নেকি।
৭. সুবহান্নাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি, সুবহান্নাহিল আজিম
এবার জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপন করে নিলেন।
৮. আস্তাগফিরুল্লাহ
আর একবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
৯. সুবহান্নাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি
আসমান আর জমিনের মাঝখানের ফাঁকা জায়গাটি সমান সওয়াব অর্জন করে নিলেন
আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন...আমিন।
নোটঃ আপনি যদি পুরোটা পড়ে থাকেন, তাহলে এতোক্ষণে আপনার আমলনামায় অনেক সওয়াব লেখা হয়েছে... সুবহানআল্লাহ।
Click here to claim your Sponsored Listing.