Bangladesh Hindu Students' Porishad Faridpur District
Bangladesh Hindu Students' Porishad, Faridpur District is a non-political service oriented community
আজ ৫১ তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস!🇧🇩
আজকের এই দিনে সকল জওয়ান দের শ্রদ্ধারসহিত স্মরণ করছি যারা তাদের সমস্ত জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছে শুধুমাত্র আমরা যেন নিরাপদে রাতে ঘুমাতে পারি।যাদের নাম শুনলেই সমস্ত বুক ভরসা,আস্থা ও অহংকারে ভরে উঠে।গভীর রাতে চলার পথে একা রাস্তায় ও যাদের দেখলে সমস্ত ভয় কেটে যায় এবং নিরাপদ অনুভব করি।❤️
ধন্যবাদ স্থল,জল ও আকাশপথে আমাদের দেশমাতৃকাকে সবসময় নিরাপদ রাখার জন্য। যারা শত্রুর মোকাবেলায় হাসিমুখে নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত।❤️
ওম্ কার্তিকেয় মহাভাগ দৈত্যদর্পণ নিসুদন
প্রণতার্থকং মহাবাহো নমস্তে শিখিকহন।।
সকলকে দেবসেনাপতি শ্রী শ্রী কার্তিক পূজার শুভেচ্ছা।🦚🏹🙏
প্রেস বিজ্ঞপ্তি-
শুভ প্রবারণা পূর্নিমা 🏵️
ফানুশের আলোর মতো দীপ্তিময় হোক সবার জীবন ও দূর হয়ে যাক সকল অজ্ঞতা ও কুসংস্কার ও অন্ধকার।
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক ও দুঃখ হতে মুক্তি লাভ করুক ❤️
ওম্ বিশ্বরূপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্ব্বত পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমহস্তুতে।।
শ্রী শ্রী কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা।
বিজয়ার সুরে বাঁধা থাক আগমনী🙏
আসছে বছরের প্রতীক্ষা✨
মায়ের আগমনীর ৩৫৪ দিনের প্রতীক্ষা মাত্র
শুভ বিজয়া🔱🌺
শুভ বিজয়াদশমী
নবদুর্গার নবম শক্তির নাম দেবী সিদ্ধিদাত্রী । দেবী সিদ্ধিদাত্রী সর্বপ্রকারের সিদ্ধি প্রদানকারী। মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুসারে অষ্টসিদ্ধি বা আট প্রকারের সিদ্ধি রয়েছে, যেমন- অণিমা, মহিমা, গরিমা, লঘিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, ঈশিত্ব এবং বশিত্ব। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ডে অষ্টাদশ সিদ্ধির বিষয়ে বলা হয়েছে। যেমন –
১. অণিমা ২. লঘিমা ৩. প্রাপ্তি ৪. প্রাকাম্য ৫. মহিমা ৬. ঈশিত্ব, বশিত্ব ৭. সর্বকামাবসায়িতা ৮.সর্বজ্ঞত্ব ৯. দূরশ্রবণ ১০. পরকায়প্রবেশন ১১. বাকসিদ্ধি ১২. কল্পবৃক্ষত্ব ১৩. সৃষ্টি ১৪. সংহারকরণসামর্থ্য ১৫. অমরত্ব ১৬. সর্বন্যায়কত্ব ১৭ . ভাবনা ১৮. সিদ্ধি।
মা সিদ্ধিদাত্রী ভক্ত এবং সাধককে উপরোক্ত সর্ব সিদ্ধি প্রদানে সক্ষম। তাই মায়ের অপর নাম সিদ্ধেশ্বরী।দেবীপুরাণ অনুসারে ভগবান শিব, দেবী সিদ্ধিদাত্রীর কৃপাতেই সিদ্ধি প্রাপ্ত করেছিলেন। মায়ের অনুকম্পাতেই ভগবান শিবের অর্ধেক শরীর দেবীতে পরিণত হয় এবং তিনি অর্ধনারীশ্বর নামে খ্যাত হন। দেবী সিদ্ধিদাত্রী চতুর্ভুজা ।তিনি সিংহবাহিনী । তাঁকে পদ্ম ফুলে আসীনও দেখা যায়। মায়ের দক্ষিণ দিকের দুই হস্তে রয়েছে চক্র এবং গদা। বাম দিকের দুই হস্তে আছে শঙ্খ এবং কমল পুষ্প। নবরাত্রির নবম দিনে মাদুর্গার নবম স্বরূপ দেবী সিদ্ধিদাত্রীর উপাসনা করা হয়। সেইদিন শাস্ত্রীয় বিধি – বিধান অনুসারে পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে উপাসনা করিলে সাধক সর্ব সিদ্ধি প্রাপ্ত করেন। জগতের কোনকিছুই আর তার পক্ষে অসম্ভব নয়। মা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায় সাধকের লৌকিক ও পারলৌকিক সর্ব কামনা পূর্ণ হয়। মা সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনায় এবং তাঁর কৃপায় কেতু গ্রহের অশুভ প্রভাব হ্রাস হয় ।
বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার আহবায়ক অভিক বিশ্বাস ভাঙ্গা উপজেলা হিন্দু ছাত্র পরিষদের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শুভ মহানবমী🕉️🔱🙏🌺✨
নবদুর্গার অষ্টম শক্তির নাম মহাগৌরী। নবরাত্রির অষ্টম দিনে মাতা মহাগৌরী পূজিত হন ।মায়ের বর্ণ পূর্ণতঃ গৌর। এই গৌর বা শুভ্রতার উপমা শঙ্খ, চন্দ্র এবং কুন্দ ফুলের সাথে করা হয়েছে। মায়ের বস্ত্র ও আভূষণও শ্বেতবর্ণ। দেবী সরস্বতীর মতো মাতা মহাগৌরী সম্পূর্ণ শুভ্রবর্ণা। অষ্টম দুর্গা মহাগৌরীর রূপ অত্যন্ত শান্ত ও শান্তি প্রদায়ক। তিনি নিত্যশুদ্ধা, নির্মলা এবং অখণ্ড পাতিব্রত্যের উদাহরণ। তিনি ত্রিনয়নী, বৃষভবাহিনী ও চতুর্ভুজা। তাঁর দক্ষিণ দিকের দুই হস্তে রয়েছে অভয়মুদ্রা ও ত্রিশূল এবং বাম দিকের দুই হস্তে আছে বরমুদ্রা ও ডমরু।
শিব পুরাণ অনুযায়ী শিবকে পতি রূপে লাভ করার জন্য পার্বতী কঠিন তপস্যা করেছিল । তখন তাঁর বয়স মাত্র আট বৎসর – “অষ্টবর্ষা ভবেদ্ গৌরী”। প্রখর তাপের প্রভাবে দেবীর সুকোমল শরীর ক্ষীণ ও কালো হয়ে যায়। ভগবান শিব প্রসন্ন ও সন্তুষ্ট হয়ে দেবীকে দেখা দিলেন। পবিত্র গঙ্গাজল দেবীর উপর বর্ষণ করলেন । ফলস্বরূপ দেবী হয়ে উঠলেন অদ্বিতীয় গৌরবর্ণা। বিদ্যুৎকান্তিসম বরণ ধারণ করে দেবীর নাম হল মহাগৌরী।
দুর্গা পূজার অষ্টম দিনে মাতা মহাগৌরীর উপাসনার বিধান আছে।মায়ের শক্তি অমোঘ এবং অনন্ত। মায়ের উপাসনায় ভক্তের সমস্ত পাপ ও ক্লেষ বিনষ্ট হয়। মায়ের স্মরণ, পূজন, ধ্যান ও আরাধনায় ভক্তের অতি সহজেই সিদ্ধি লাভ হয়। মাতা মহাগৌরী বুধ গ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করেন। বুধের অশুভ প্রভাব মায়ের কৃপায় হ্রাস পায়।
শুভ মহাষ্টমী🔱🌺🙏
নবদুর্গার সপ্তমরূপ হচ্ছে দেবী কালরাত্রি।
দেবী দূর্গার শুভ আগমন বার্তায় ধরণী আজ ধন্য। দিকে দিকে নিনাদিত হচ্ছে শঙ্খধ্বনি। তাঁর মুকুট গগন স্পর্শ করছে। তিনি দশপ্রহরণ ধারণ করে , দশদিক আলো করে পর্বত চূড়ায় বিরাজ করছেন স্বমহিমায়। তিনি সর্বত্র বিরাজমান। সৃষ্টির প্রতিটি অনুপরমাণুতে তাঁর চিরন্তন উপস্থিতি। তিনিই দূর্গা। তিনিই ভদ্রকালী। তিনিই সকল কর্মে সিদ্ধি প্রদায়িনী স্বয়ং সিদ্ধিদাত্রী। আজ শুভ মহাসপ্তমী। দেবী কালরাত্রি রূপে পূজিত হবেন আজ। দেবীর অপর নাম মহাকালী। মহাকালের বক্ষের ওপর তাঁর এক চরণ, অপরটি মেদিনীর ওপর। মহাকালকে জয় করে উনি মহাকালী। দেবী চতুর্ভূজা। এক হস্তে খড়্গ। এক হস্তে বজ্র। এবং বাকি দুই হস্ত বরমুদ্রা ও অভয়মুদ্রা ভঙ্গিমায় ভক্তদের নিরন্তর আশীষ বর্ষণ করে যাচ্ছেন। দেবীর বাহন গাধা। দেবী মুক্তকেশী। করালবদনা। মাতৃশক্তির এক ভয়ঙ্কর রূপ। তবে এ কথাও সত্য মায়ের ছিন্নমস্তা রূপের ন্যায় এই রূপও তাঁর এক ‘বরাভয়া’ রূপ। মা সকল অশুভ শক্তি নাশকারিনি। ভূত, প্রেত, পিশাচ ও নানা অশুভ শক্তির প্রতীক মায়ের আগমন বার্তা শ্রবণ মাত্রই সেই স্থান পরিত্যাগ করে। তিনি সকল মঙ্গলের উৎস। সকল পার্থিব কামনাপূর্তি করে থাকেন।
পুরাণ মতে দেবী কালরাত্রি ও দেবী মহাকালী, এক এবং অভিন্ন। দেবী শুম্ভ ও নিশুম্ভ এর মহাবলশালী অসুরদ্বয় চন্ড ও মুন্ডকে বধ করে দেবী চামুন্ডা রূপে বিখ্যাতা হন। উল্ল্যেখ দেবী চন্ডিকা দেবীকে এই নামে ভূষিত করেছিলেন। অন্যদিকে কৈলাশবাসিনী পার্বতী দেবী কালরাত্রির মাধ্যমে দুর্গমাসুরকে সাবধান করেছিলেন যে সে যেন কৈলাশ আক্রমন করার বাসনা পরিহার করে। কিন্তু অসুর দেবীর কথা অমান্য করে কৈলাশ আক্রমন করে এবং দেবী তাঁকে বধ করে দূর্গারূপে জগৎমাঝে পরিচিতি পান।
সকলকে দুর্গাসপ্তমীর শুভেচ্ছা।
নবপত্রিকা স্নান আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উল্লেখ্য, উদ্ভিদপূজা দুর্গাপূজার কত বড় একটা অংশ তা বোঝা যায় আজকের দিনেই।
আর অবশ্যই, নবপত্রিকা বা কলাবউ গণেশের স্ত্রী নন।
নবপত্রিকায় দেবীর আগমন ❤️🙏
নবপত্রিকা বাংলার দুর্গাপূজার একটি বিশিষ্ট অঙ্গ। নবপত্রিকা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ নয়টি গাছের পাতা। তবে বাস্তবে নবপত্রিকা নয়টি পাতা নয়, নয়টি উদ্ভিদ। এগুলি হল - কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান ও ধান।
ওম্ তৎ সৎ
ঈশ্বরস্য কৃপায়া সম্যগস্মি🙏
শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি হোক সকলের মাঝে।ছোট ভাই-বোনেদের হাসিতেই আমাদের স্বার্থকতা।
প্রত্যেক বছরের ন্যায় আজ আমরা বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ, ফরিদপুরের পক্ষ থেকে ১৫ জন ছোট ভাই-বোনের সাথে ভালোবাসা এবং দুর্গাপূজার উপহার ভাগাভাগি করতে পেরে নিজেরা অত্যান্ত আনন্দিত এবং উৎচ্ছাসিত। ছাত্র হিসেবে আমরা কতটুকু করতে পেরেছি জানি না তবে এইটুকুতে কিছুটা স্বার্থকতা খুঁজে পেয়েছি।
সমাজের সকলের পাশে দাঁড়ানো এবং আনন্দ ভাগাভাগির জন্য সকল বিত্তবানদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে।
সকলে কাছে আমরা আশীর্বাদ প্রার্থী সামনে এর থেকেও যেন বড় কিছু আমরা করতে পারি।
য়দীশ্বর ইচ্ছেৎ তর্হাবশ্যমেব ভবিষ্যতি🕉️🙏
নবদুর্গার ষষ্ঠ রূপ কাত্যায়নী। নবরাত্রি উৎসবের ষষ্ঠ দিনে তাঁর পূজা করা হয়। তিনি আজ্ঞা চক্রের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। প্রাচীন কিংবদন্তি অনুযায়ী, কাত্যবংশীয় ঋষি কাত্যায়ন দেবী দুর্গাকে কন্যারূপে লাভ করার জন্য তপস্যা করেছিলেন। তাঁর তপস্যায় তুষ্ট হয়ে দুর্গা কাত্যায়নের কন্যা রূপে জন্মগ্রহণ করে ‘কাত্যায়নী’ নামে পরিচিতা হন। অন্য মতে, ঋষি কাত্যায়ন প্রথম দুর্গাকে পূজা করেছিলেন বলে তাঁর নাম হয় ‘কাত্যায়নী’।
দেবী কাত্যায়নী চতুর্ভুজা–তাঁর ডানদিকের দুটি হাত বর ও অভয়মুদ্রা প্রদর্শন করে, বাঁ দিকের দুই হাতে পদ্ম ও খড়্গ। দেবী সিংহবাহিনী। তাঁর গায়ের রং সোনার মতো উজ্জ্বল। তন্ত্রসার-এর ধ্যানমন্ত্রে তাঁকে বর্ণনা করা হয়েছে দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী রূপে। আবার হরিবংশ গ্রন্থের বর্ণনা অনুযায়ী, তিনি অষ্টাদশভুজা।
পতঞ্জলির মহাভাষ্য ও কৃষ্ণযজুর্বেদীয় তৈত্তিরীয় আরণ্যক-এ কাত্যায়নীর উল্লেখ রয়েছে। তাঁর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে মার্কণ্ডেয় পুরাণ-এর অন্তর্গত শ্রীশ্রীচণ্ডী, দেবীভাগবত পুরাণ, কালিকা পুরাণ ও বামন পুরাণ-এ। এই কাহিনিটিই দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের কাহিনি। কাত্যায়নীই দুর্গা। একটি মতে বলে, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীর দিন দেবী কাত্যায়নীর জন্ম। তারপর শুক্লা সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিন ঋষি কাত্যায়নের পূজা গ্রহণ করে দশমীর দিন তিনি মহিষাসুর বধ করেছিলেন।
শুভ ষষ্ঠী🔱🌺🙏
বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার দাদাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ এর অন্যতম অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ,হিন্দু যুব পরিষদ বোয়ালমারী উপজেলা শাখার সহযোদ্ধাদের মাঝে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে সেচ্ছাসেবী ট্রির্শাট প্রদান করা হয়েছে।
প্রতীক্ষার প্রহর শেষ✨
রাত পোহালেই মায়ের বোধন।🕉️🔱🙏🌺
বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার দাদাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ এর অন্যতম অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার সহযোদ্ধাদের মাঝে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেচ্ছাসেবী টি-শার্ট প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে সকলকে শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাপূজার শারদীয় শুভেচ্ছা।❤️
নবদুর্গার পঞ্চম রূপ স্কন্দমাতা। নবরাত্রি উৎসবের পঞ্চম দিনে তাঁর পূজা করা হয়। দেবসেনাপতি কার্তিকের অপর নাম স্কন্দ। দেবী দুর্গা কার্তিকের মা। তাই তিনি পরিচিতা ‘স্কন্দমাতা’ নামে।
কার্তিক-জননী বেশে দুর্গার রূপটি একটু আলাদা। এই রূপে তিনি চতুর্ভুজা; উপরের দুই হাতে দুটি পদ্মফুল; নিচের এক হাতে ধরে থাকেন স্কন্দ অর্থাৎ কার্তিককে, অপর হাতে দেখান বরমুদ্রা। দেবী পদ্মাসনা, তবে দেবীর বাহন সিংহ। দেবীর কোলে স্কন্দের যে মূর্তিটি দেখা যায়, সেটি আমাদের বাংলায় সচরাচর দেখা কার্তিক মূর্তির চেয়ে একটু আলাদা। ইনি হাতে তীর-ধনুক থাকে বটে, কিন্তু এঁর ছয়টি মস্তক। ষড়ানন কার্তিকের এই শিশুমূর্তিটিই শোভা পায় দেবী স্কন্দমাতার কোলে।
দেবী স্কন্দমাতার কথা জানা যায় স্কন্দ পুরাণ থেকে। অসুররাজ তারক বরলাভ করেছিল, কেবল শিব ও দুর্গার পুত্রই তার প্রাণবধে সক্ষম হবে। তাই দেবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সে সহজেই দেবতাদের কাছ থেকে স্বর্গরাজ্য কেড়ে নিতে পেরেছিল। এই ঘটনার ঠিক আগেই সতী দেহত্যাগ করেছিলেন, শিবও হয়েছিলেন ধ্যানমগ্ন। তাই দেবতারা দুর্গাকে পুনরায় জন্মগ্রহণ করার অনুরোধ করলেন। দুর্গা শৈলপুত্রী রূপে গিরিরাজ হিমালয়ের গৃহে জন্ম নিলেন। তারপর ব্রহ্মচারিণী রূপে শিবকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য করলেন কঠোর তপস্যা। শেষে শিবের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হল। তারপর যথাসময়ে জন্ম হল শিব ও দুর্গার পুত্র কার্তিকের। কার্তিকের জন্মের বিবরণ নানা পুরাণে নানাভাবে বর্ণিত হয়েছে। সে সবের উল্লেখ এখানে না করলেও চলবে–শুধু এটুকু বলে রাখি, কার্তিকের ছিল ছয়টি মাথা। তাই তিনি পরিচিত হয়েছিলেন ষড়ানন নামে। এই ষড়ানন স্কন্দই তারককে যুদ্ধে পরাজিত করে দেবতাদের স্বর্গরাজ্য ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। স্কন্দ ও স্কন্দমাতা উভয়েই তারকাসুর বধে দেবতাদের সাহায্য করেছিলেন বলে, মাতাপুত্রের পূজা একসঙ্গে করাই নিয়ম।
দেবী স্কন্দমাতার পূজা করলে ভক্তের সকল মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়; তাঁর জীবন সুখ ও শান্তিময় হয়ে ওঠে এবং তাঁর মোক্ষের পথ সহজতর হয়। এছাড়া স্কন্দমাতার পূজা করলে, সেই সঙ্গে কার্তিকের পূজাও হয়ে যায়।
কাশীর নাগকুরার কাছে দেবী স্কন্দমাতা ও বাগেশ্বরীর মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি দোতলা, গর্ভমন্দিরটি ছোটো। সেখানে প্রমাণ আকারের স্কন্দমাতার মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত। বাগেশ্বরী সরস্বতীর মন্দিরটি স্কন্দমাতার মন্দিরের ঠিক পাশেই অবস্থিত। শারদীয়া ও বাসন্তী নবরাত্রি উৎসবের পঞ্চমীর দিন এই মন্দিরে প্রচুর জনসমাগম হয়।
ঊমার আগমনীর মাত্র ১ দিনের প্রতীক্ষা।🕉️🔱🙏🌺
বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ ফরিদপুর জেলা আওতাধীন ভাঙ্গা উপজেলা হিন্দু ছাত্র পরিষদ শাখার আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলো এবং উক্ত কমিটিকে আগামী ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে পূর্নাঙ্গ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। নিঃস্বার্থভাবে কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ ভাঙ্গা উপজেলা শাখা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
নবদূুর্গার চতুর্থ রূপ দেবী কুষ্মান্ডা।কথিত আছে দেবীর মৃদু হাসিতে ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি হয়েছে।জীবের মধ্যে যে সকল তেজ নিহিত আছে, তারই আধার তিনি।
নবরাত্রি উৎসবের চতুর্থ দিনে দেবী কুষ্মাণ্ডা রূপে পুজিতা হন, ‘উষ্মা’ শব্দের মানে তাপ। ‘কু’ মানে কুৎসিত-কষ্টদায়ক তাপ হচ্ছে ‘ত্রিতাপ’। আধিভৌতিক - আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক এই ত্রিতাপই জীবের দুঃখের কারণ। সর্বপ্রকার বন্ধনের কারণ ত্রিতাপ। জীব সদা জর্জরিত এই ত্রিতাপে। এর হাত থেকে নিষ্কৃতি লাভই জীবের চরমকাম্য। এই ত্রিতাপ ‘কুষ্মা’ যিনি উদরে ধারণ করেন গ্রাস করেন, তিনিই কুষ্মাণ্ডা দেবী ।জগতের দুঃখ গ্রাস করে নিজের উদরে ধারণ করেন দেবী, স্বামী অচ্যুতানন্দের কথায়, “যেমন মহাদেব সমুদ্রমন্থনের সময় সমস্ত হলাহল পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছেন, তেমনি জগজ্জননী দুর্গা আদ্যাশক্তি জগতের সর্বপ্রকার জ্বালা-যন্ত্রণার হাত থেকে সন্তানদের সর্বদা রক্ষা করতে করুণায় দ্রবীভূত হয়ে স্বেচ্ছায় সব তাপ নিজের শরীরে গ্রহণ করেন। দূরিতবারিণী–‘ত্রিতাপহারিণী’ মায়ের নাম তাই কুষ্মাণ্ডা।” দেবী কুষ্মাণ্ডা অষ্টভূজা–তাঁর ডান দিকের চার হাতে থাকে যথাক্রমে পদ্ম, বান, ধনুক ও কমণ্ডলু; এবং বাঁদিকের চার হাতে থাকে যথাক্রমে চক্র, গদা, অমৃতপূর্ণ কলস জপমালা। তাঁর বাহন সিংহ।
নবরাত্রির চতুর্থ দিনে সাধক তাঁর মনকে হৃদয়স্থিত অনাহত চক্রে রেখে দেবী কুষ্মাণ্ডার পূজা করেন। তাঁর পূজায় রোগশোক দূরীভূত হয়; ভক্ত আয়ু, যশ, বল ও আরোগ্য লাভ করেন। মনে করা হয়, দেবী কুষ্মাণ্ডা অল্প পূজাতেই সন্তুষ্ট হন। তাঁর পূজায় কুষ্মাণ্ড (কুমড়ো) বলি দেওয়ার রীতি আছে।
কাশীতে দেবী কুষ্মাণ্ডার মন্দির বিখ্যাত। কাশীতে তিনি দুর্গা নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি কাশীর দক্ষিণ দিকের রক্ষয়িত্রী। কাশীখণ্ড-এ রয়েছে, অসি নদীর সঙ্গমস্থলে কুষ্মাণ্ডার অধিষ্ঠান। দেবীর মন্দিরটি বেশ বড়ো ও বহুচূড়াবিশিষ্ট। লাল পাথরের তৈরি সুদৃশ্য এই মন্দিরের কাছেই কাশীর বিখ্যাত তীর্থ দুর্গাকুণ্ড।মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবী কুষ্মাণ্ডার পশ্চিমমুখী দুই হাত উঁচু বিগ্রহটি অবস্থিত।
ঊমার আগমনীর মাত্র ২ দিনের প্রতীক্ষা।🔱🌺🙏✨
আজ নবরাত্রির তৃতীয়াতে দেবী চন্দ্রঘটার আরধনা করা হয়। দেবী চন্দ্রঘণ্টা দেবী পার্বতীর তৃতীয় রূপ। দেবী চন্দ্রঘণ্টার পূজা নব রাত্রির তৃতীয় দিনে হয়। তিনি হিমালয় কন্যা শিবের স্ত্রী। শিব পার্বতীর বিবাহের সময় তারকাসুর বিবাহ রোধ করতে পিশাচ, দৈত,দানব, প্রেত কে প্রেরণ করে বিবাহ কে নির্বিঘ্ন করতে দেবী পার্বতী অষ্টভূজা বাঘ বাহিনী রূপে আবির্ভূত হন ও চন্দ্র সম বিশাল ও শুভ্র ঘণ্টা বাজিয়ে সকল দৈত ভুত প্রেত তারণ করেন। নব রাত্রির তৃতীয় দিনে এই দেবীর পুজো করলে দেবী সাধকের সকল দুর্গতি, বিঘ্ন নাশ করেন।আরেক মতে শিব বিবাহ কালে চন্ড রূপ ধারণ করলে তাকে দেখে মেনকা মূর্ছা জান তখন দেবী পার্বতী শিবের এই রূপের প্রত্যুত্তরে চন্দ্রঘণ্টা রূপ ধারণ করেন। দেবীর এই যোদ্ধা রূপ দেখে শিব ভিত হন ও চন্ড রূপ ত্যাগ করে বিবাহের জন্যে অপূর্ব বস্ত্র পরিহরিক হন।
ঊমার আগমনীর মাত্র ৩ দিনের প্রতীক্ষা।🔱🌺🙏✨
আসুন সকলে মেনে চলি।।
া_দুর্গা🕉️🔱🌺🙏
নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ ব্রহ্মচারিণী। নবরাত্রি উৎসবের দ্বিতীয় দিনে তাঁর পূজা করা হয়। ‘ব্রহ্মচারিণী’ নামের অর্থ ‘ব্রহ্মচর্য ব্রত অবলম্বনকারিণী’। তিনিই উমা।
দেবী ব্রহ্মচারিণী দ্বিভুজা; একহাতে তাঁর জপমালা, অপর হাতে কমণ্ডলু। দেবী জ্যোতির্ময়ী মূর্তিতে আবির্ভূতা; তাঁর ভৈরব চন্দ্রমৌলীশ্বর।
দেবী ব্রহ্মচারিণীর সম্পর্কে যে পৌরাণিক উপাখ্যানটি প্রচলিত, সেটি গিরিরাজ হিমালয়ের গৃহে জাত দেবী পার্বতীর শিবকে পতিরূপে লাভ করার নেপথ্য-কাহিনি। সতীর দেহত্যাগের পর শিব ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন। তাই সতী যে পুনরায় পার্বতীরূপে জন্মগ্রহণ করেছেন, সেদিকে খেয়াল ছিল না তাঁর। এদিকে তারকাসুরের অত্যাচারে দেবতারা জর্জরিত। সে বর পেয়েছিল, শিবের পুত্র ভিন্ন অপর কেউই তাকে যুদ্ধে পরাস্ত করতে পারবে। কিন্তু শিব বিবাহের নামটি করছিলেন না। তখন উপায়? অগত্যা নারদ পার্বতীকে তপস্যা করার পরামর্শ দিলেন। নারদের উপদেশ মতো প্রথমে এক হাজার বছর শুধুমাত্র ফলমূল খেয়ে, তারপর একশো বছর শুধু শাক খেয়ে, তারপর কিছুকাল উপবাস করে, তারপর তিন হাজার বছর শুধুমাত্র একটি করে বেলপাতা খেয়ে এবং শেষে কয়েক হাজার বছর নির্জলা উপবাস করে পার্বতী করলেন কঠোর তপস্যা। মা মেনকা দুর্গার তপস্যাক্লিষ্ট শরীর দেখে দুঃখিত হয়ে কন্যাকে নিরস্ত করার জন্য বললেন, “উ মা” (আর না!) সেই থেকে দেবী ব্রহ্মচারিণীর অপর নাম হল ‘উমা’। তাঁর কঠোর তপস্যায় তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা এসে তাঁকে বর দিলেন, “যাঁকে তুমি কামনা করো, সেই শিবকেই পতিরূপে পাবে।“ মহামায়া দুর্গার সেই তপস্বিনী রূপই দেবী ব্রহ্মচারিণী। দেবীপুরাণ মতে, সর্ববেদে বিচরণ করেন বলে দেবী পার্বতীর অপর নাম ‘ব্রহ্মচারিণী’। কাশীতে তাঁকে ‘ছোটি দুর্গাজি’ও (ছোটো দুর্গা) বলা হয়।
রামায়ণ অনুসারে, উমা পর্বতরাজ হিমালয়ের দ্বিতীয়া কন্যা (প্রথমা কন্যা হলেন গঙ্গা)। তিনি তপস্বিনীর জীবন যাপন করতেন। হরিবংশ মতে, হিমালয়ের ঔরসে মেনকার গর্ভে তিন কন্যার জন্ম হয়–অপর্ণা, একপর্ণা ও একপাটলা। এঁরা তিন জনই কঠোর তপস্যা করেছিলেন। একপাটলা একটি মাত্র নাগকেশর ফুল খেয়ে, একপর্ণা একটি মাত্র পাতা খেয়ে এবং অপর্ণা কিছু না খেয়ে তপস্যা করেন। অপর্ণার এহেন কঠোর তপস্যায় বিচলিত হয়ে তাঁর মা মেনকা তাঁকে বলে বসেন, ‘উ মা!’ (আর না!) সেই থেকে দেবী অপর্ণার পরিচিতা হন ‘উমা’ নামে। তিন বোনের মধ্যে উমাই ছিলেন শ্রেষ্ঠা; তিনি পতিরূপে লাভ করেন মহাদেবকে। তবে মনে হয়, তিন বোনের তপস্যার এই কাহিনি থেকেই বাংলা লৌকিক ছড়ায় শিব ঠাকুরের বিয়েতে তিন কন্যা দানের প্রসঙ্গটি এসেছে। আবার, তন্ত্রমতে, যে দেবী ব্রহ্মের প্রতিনিধিস্বরূপ দেবতাদের দর্পচূর্ণ করতে গিয়েছিলেন, তাঁরও নাম উমা হৈমবতী।
কাশীর (বারাণসী) দুর্গাঘাটের কাছে রয়েছে দেবী ব্রহ্মচারিণীর মন্দির। মন্দিরটি বেশ ছোটো। দেবীপ্রতিমার উচ্চতাও হাত খানেক। তবে পূর্বমুখী এই মূর্তির মুখে সোনার মুখোশ লাগানো থাকে। শারদীয়া ও বাসন্তী নবরাত্রি উৎসবে দ্বিতীয় দিনে এই মন্দিরে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়।
দেবী ব্রহ্মচারিণী ব্রহ্মজ্ঞান প্রদান করেন। তাঁর পূজা করলে শুধু সংযম ও মানসিক শক্তিই বৃদ্ধি পায় না, সাধক অনন্ত পুণ্যফলও লাভ করেন এবং তিনি সর্বদা সিদ্ধি ও বিজয়ও লাভ করেন। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে সাধক নিজের মনকে স্বাধিষ্ঠান চক্রে স্থিত করে ব্রহ্মচারিণীর পূজা করেন।
ঊমার আগমনীর মাত্র ৪ দিনের প্রতীক্ষা।🔱🌺🙏✨
* তিনি দুর্গতি নাশ করেন, দুর্গম নামক অসুর বধ করেছিলেন, তাই তাঁর নাম দুর্গা।
(❌দূর্গা নয়, ✅দুর্গা হবে)।
* ‘পূজা’ শব্দের ব্যুৎপত্তি: √পূজ্+অ+আ (টাপ্)। পূজা অর্থ অর্চনা, আরাধনা।
(❌পুজা নয়, ✅পূজা হবে)।
* ‘পুজো’ হলো ‘পূজা’-র কথ্য রূপ। পূজা ও পুজোর অর্থ একই।
(❌পূজো নয়, ✅পুজো হবে)।
* ‘ভুজ’ শব্দের ব্যুৎপত্তি: √ভুজ্+অ। ভুজ অর্থ হাত বা বাহু। দশভুজা অর্থ দশ সংখ্যক ভুজ বা হাত যার।
(❌দশভূজা নয়, ✅দশভুজা হবে)।
* ‘সর্বজনীন’ শব্দের ব্যুৎপত্তি: সর্বজন+ঈন। সর্বজনীন অর্থ সর্বসাধারণের জন্য অনুষ্ঠিত। আর ‘সার্বজনীন’ অর্থ সকলের মধ্যে প্রবীণ বা জ্যেষ্ঠ।
(❌সার্বজনীন নয়, ✅সর্বজনীন হবে)।
* অঞ্জলি দ্বারা গঠিত সকল শব্দে ই-কার হয়। যেমন: গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি, জলাঞ্জলি, পুষ্পাঞ্জলি।
(❌পুষ্পাঞ্জলী নয়, ✅পুষ্পাঞ্জলি হবে)।
(❌অঞ্জলি নেওয়া নয়,অঞ্জলি দেওয়া হবে)।✅
© শাস্ত্রপৃষ্ঠা
আজ থেকে শুরু হলো নবরাত্রী অর্থাৎ মাতৃপক্ষের প্রথম দিন শুভ প্রথমা। এই তিথিতে
দেবী শৈলপুত্রীর আরধনা করা হয়।
দেবী শৈলপুত্রীর বাহন বৃষ। এঁনার দক্ষিণ হস্তে ত্রিশূল আর বাম হস্তে কমল আছে তাই দেবীর অপর নাম শুল ধরিনি। শৈলপুত্রী সূর্যগ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করেন। মাতা শৈলপুত্রী গাওয়া ঘি পছন্দ করেন তাই মায়ের পূজার ভোগ সূচিতে গাওয়া ঘি প্রয়োজন।শৈলপুত্রী মেষ ও বৃষিককে নিয়ন্ত্রণ করেন। মাতা শৈলপুত্রীর কৃপায় আরোগ্য লাভ হয়।
ইনি পূর্ব জন্মে দক্ষ নন্দিনী সতী দেবী ছিলেন। দক্ষের অমতে তিনি শিব কেই বিবাহ করেন। প্রতিশোধে দক্ষ এক শিব হীন যজ্ঞের আয়োজন করেন। বিনা নিমন্ত্রণে সতী দেবী পিত্রালয়ে গিয়ে অনেক অপমানিত হলেন ও সতী রূপে আবির্ভূত মহামায়া দেহত্যাগ করলেন। এরপর ভগবান শিব দক্ষ যজ্ঞ ধ্বংস করেন। এই দেবী মহামায়া পর জন্মে হিমালয় কন্যা পার্বতী রূপে জন্ম নেন। শৈলরাজ হিমালয়ের কন্যা হবার জন্য দেবীর এক নাম শৈলপুত্রী। এবং পরজন্মে তিনি দেবাদিদেব শিবকেই পতি রূপে বরন করলেন। নবরাত্রির প্রথম দিনে মা শৈলপুত্রীর আরাধনা করা হয়। ইনি শুল ধারিনি।
এই দেবী হৈমবতী রূপে দেবতা দের গর্ব চূর্ণ করেছিলেন।
শ্রী শ্রী চন্ডী বা দূর্গা সপ্তশতীর দেবী কবচ মতে নব দূর্গা :
প্রথমং শৈলপুত্রী চ দ্বিতীয়ং ব্রহ্মচারিণী |
তৃতীয়ং চন্দ্রঘণ্টেতি কূষ্মাণ্ডেতি চতুর্থকম || ৩ ||
পঞ্চমং স্কন্দমাতেতি ষষ্ঠং কাত্য়ায়নীতি চ |
সপ্তমং কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টমম || ৪ ||
নবমং সিদ্ধিদাত্রী চ নবদুর্গাঃ প্রকীর্তিতাঃ |
উক্তান্য়েতানি নামানি ব্রহ্মণৈব মহাত্মনা || ৫ ||
হিন্দু পুরাণ অনুসারে এগুলো দেবী পার্বতীর নয়টি ভিন্ন রূপ ৷ এই নয় রূপ হল যথাক্রমে - শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী ৷ প্রতি শরৎকালে নবরাত্রির নয় দিনে প্রতিদিন দেবী দুর্গার এই নয় রূপের এক একজনকে পূজা করা হয় ৷
দেবী দুর্গা আর নবদুর্গা আদ্যাশক্তিরই অন্যরূপ । মাতা পার্বতীও আদ্যাশক্তির বহিঃপ্রকাশ । আদ্যাশক্তি ঈশ্বরের মাতৃরূপের প্রকাশ ।
নবরাত্র ব্রত আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত । মা দুর্গা এই সময় অর্থাত আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ তিথি থেকে নবমী অবধি মোট ন'দিন নয়টি রূপ ধারণ করেন। পিতামহ ব্রহ্মা দেবীর এই নয়টি রূপের নামকরণ করেছিলেন। নয়টি নামের নয়টি বৈচিত্রময় রূপভেদ। এঁরা প্রত্যেকেই দেবীর নয়টি কায়াব্যূহ মূর্তি। নবদুর্গা নামে এঁরা বিশেষ পরিচিত।
শাক্তরা বিশ্বাস করেন , "একই সত্য নয়টি ভিন্ন রূপে প্রকাশিত ; দিব্য জননী নয়টি বিশ্বরূপে দৃষ্ট ও পূজিত হয়ে থাকেন ।” এই নয়টি রূপই হল নব দুর্গা।
🌸 ।। অকালবোধন ।। 🌸
শারদীয়া দুর্গাপূজাকে "অকালবোধন" বলা হয়। কালিকা পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ অনুসারে, রাম ও রাবণের যুদ্ধের সময় শরৎকালে দুর্গাকে পূজা করা হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, শরৎকালে দেবতারা ঘুমিয়ে থাকেন। তাই এই সময়টি তাঁদের পূজা যথাযথ সময় নয়। অকালের পূজা বলে তাই এই পূজার নাম হয় "অকালবোধন"। এই দুই পুরাণ অনুসারে, রামকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা দুর্গার বোধন ও পূজা করেছিলেন। কৃত্তিবাস ওঝা তাঁর রামায়ণে লিখেছেন, রাম স্বয়ং দুর্গার বোধন ও পূজা করেছিলেন। এই জন্য স্মৃতিশাস্ত্রগুলিতে শরৎকালে দুর্গাপূজার বিধান দেওয়া হয়েছে।
বাল্মীকির রামায়ণে রামের দুর্গাপূজার কোনও বিবরণ নেই। কিন্তু রামায়ণের পদ্যানুবাদ করার সময় কৃত্তিবাস ওঝা কালিকাপুরাণ ও বৃহদ্ধর্মপুরাণ-এর কাহিনি কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করে সংযোজিত করেছেন। কৃত্তিবাসি রামায়ণ অনুসারে, রাবণ ছিলেন শিবভক্ত। শিব তাঁকে রক্ষা করতেন। তাই ব্রহ্মা রামকে পরামর্শ দেন, শিবের স্ত্রী দুর্গার পূজা করে তাঁকে তুষ্ট করতে। তাতে রাবণ বধ রামের পক্ষে সহজসাধ্য হবে। ব্রহ্মার পরামর্শে রাম শরৎকালে দুর্গার বোধন, চণ্ডীপাঠ ও মহাপূজার আয়োজন করেন। আশ্বিন মাসের শুক্লা ষষ্ঠীর দিন রাম কল্পারম্ভ করেন। তার পর সন্ধ্যায় বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস করেন। মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও সন্ধিপূজার পরেও দুর্গার আবির্ভাব না ঘটায়, রাম ১০৮টি নীল পদ্ম দিয়ে মহানবমী পূজার পরিকল্পনা করেন। হনুমান তাঁকে ১০৮টি পদ্ম জোগাড় করে দেন। দুর্গা রামকে পরীক্ষা করার জন্য একটি পদ্ম লুকিয়ে রাখেন। একটি পদ্ম না পেয়ে রাম পদ্মের বদলে নিজের একটি চোখ উপড়ে দুর্গাকে নিবেদন করতে গেলে, দুর্গা আবির্ভূত হয়ে রামকে কাঙ্ক্ষিত বর দেন।
ঊমার আগমনীর মাত্র ৫ দিনের প্রতীক্ষা।
🔱🌺✨
বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে সকলকে শুভ মহালয়ার শুভেচ্ছা।
ঊমার আগমনীর মাত্র ৬ দিনের প্রতীক্ষা।🙏🌺
ঊমার আগমনীর মাত্র ৭ দিনের প্রতীক্ষা।🙏🌺
সকল মন্দির কমিটির প্রতি আহ্বান প্রত্যেকটি মন্দিরে স্বাত্তিক ভাবে পূজা করতে হবে এবং মন্দির প্রাঙ্গন নেশামুক্ত রাখতে হবে।
আহ্বানে: বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ, ফরিদপুর ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the organization
Website
Address
Faridpur Brothers Club-FBC
Faridpur
Faridpur brothers club - Fbc South tapakhola, Rojob ali rood Faridpur.
Red Crescent Plaza, Alipur
Faridpur, 7801
Faridpur Computer Samity is the apex ICT business and trade industry association of Bangladesh.
Faridpur
পুলিশ লাইনস্ স্কুল এন্ড কলেজ, ফরিদপুর.
Faridpur
Faridpur, 7802
বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ ফরিদপুর শা?
Faridpur, 7851
It is a public page where we post all event related to Durga Puja