আড়াল - A r a l

আড়াল - A r a l

I'n need of entertainment in life, so stay with us to take entertainment...

06/12/2022

একটা মানুষ দেখাও, ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার জার্সি পরে ছবি আপলোড করেনি 🫠🙂

17/06/2022

অল্প কিছু গল্প ছিলো
সময় ছিলনা কারো
সময় ছিল বন্দী কোথাও
সীমানা ছিলো তারও।

#এস্ট্রে

11/06/2022

যার জন্য মন পোড়ে
সে জানতে চেয়েছে, 'মনে পড়ে?'

30/05/2022

সবাই ভাবছে ভালোই আছি
ভালো থাকার মন্ত্রে।
আসলে আমি নেই আমাতে,
ভালো থাকার ষড়যন্ত্রে।

21/05/2022

_যে আঁকড়ে ধরতে জানে,☺️

__সে শিকড় খুঁজে না..,,❤️

21/05/2022

কোথাও নেই
তবু আছে সবখানে।

18/05/2022

এত বড় পৃথিবী,
যার তিন ভাগ জল।
এত জল, এত জল, এত জল...
তবুও শালা,
অন্তরাত্মার আগুনে পুড়ে মরলি ।।

15/05/2022

হাসতে হাসতে ভিজে যায় চোখ😅
ঠিক ছত্রিশ সেকেন্ড আগেও মনে পড়েছিলো তুমি হারানোর শোক💔
#এস্ট্রে>_

14/05/2022

সবাই কিন্তু গলায় দড়ি দিয়েই আত্মহত্যা করে না।
আত্মহত্যা করার উপায় সবার আলাদা আলাদা।
কেউ পছন্দের খাবার ছেড়ে দেয়,কেউ কথা বলা ছেড়ে দেয়,কেউ বিশ্বাস করা ছেড়ে দেয়,কেউ গান গাওয়া ছেড়ে দেয়,কেউ ছবি তোলা,ছবি আঁকা,কেউ লেখা,কেউ স্বপ্ন দেখা,কেউ ভালোবাসা, কেউ কেউ ভালোবাসা স্বীকার করা ছেড়ে দেয়।💫💫
#এস্ট্রে>_

11/05/2022

তুমি নেই
কথাটিতেই
তুমি থাকো সবচেয়ে বেশি।

#এস্ট্রে>_

08/05/2022

আহা , কতোদিন আমরা আমাদের ভালোবাসার কথা বলিনি !

08/05/2022

এতো গুরুত্ব দেওয়া পরও যার প্রিয় হতে পারি নাই 🙂

তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই 😄

07/05/2022

একরাশ ভুলে থাকা বুক নিয়ে
ছুটছি অজানায়

04/05/2022

সম্পর্কটা ভুল ছিলো
নাকি ভুলটাই সম্পর্ক

25/04/2022

যন্ত্রনারাই আমায় দিচ্ছে,
তোমাকে পাবার তীব্র ইচ্ছে।

21/04/2022

মনের শূন্যতার বিশাল মরুভূমি জুড়ে-
তুমি, তুমি, শুধু তুমি।

20/04/2022

আর কত সইবো শোক
বিচ্ছেদ ব্যথা তোমারো হোক।

07/04/2022

অকাল মৃত্যু প্রেমিকার জন্য প্রেমিকের প্রিয় উপহার

06/04/2022

Breakup করে দিয়েছি

কারণ সে আমাকে জিজ্ঞেস না করেই
Profile পিক চেন্জ করছিলো!🙂

03/04/2022

- কিছু সম্পর্ক যোগাযোগে নয় 😥

- বেঁচে থাকে নিরবতায়!😓💔

02/04/2022

কেউ কি ভেবেছিলাে এতাে সহজে সব কিছুই
স্মৃতি হয়ে যাবে, অতীত হয়ে যাবে!

02/04/2022

প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একটা অভিযোগ করে যান!

01/04/2022

তুমি চলে যাওয়ার পর আমার যে ৪টা প্রেমিকা হয়েছিল,তারা জানতো তুমি শুক্রবারে কয়টা বাজে উঠো,তোমার প্রিয় রঙ কি,বর্ষায় কোন গানটি শুনো, একা রাতে কোন গানটি শুনো,ফার্স্ট ইয়ার এ কোন মেয়েকে থা-প্প- ড় দিয়ে ঘরে ঢুকেছো কিংবা তোমার রুমের টিকটিকি টার নাম-সব ওরা জানতো!
আর তুমি শুধু জানলে, তুমি চলে যাওয়ার পর আমার চারটে প্রেমিকা হয়েছিল"!'❤️🌸

01/04/2022

ভালোবাসার মানুষটিকে নিজ চোখে অন্যের হতে দেখাটা কেমন হতে পারে!'🖤

31/03/2022

মা ও বোনেরা! হোন্ডা , অটো , রিকশা , সি এনজিতে উঠে উড়না সামলে নিবেন। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে হেফাজত করুন। 🤝

Photos from আড়াল - A r a l's post 24/01/2022

#শেরে_বাংলার_কথামালাঃ (অমূল্য রতন)

কলকাতার বাবুরা বলেছেন , " ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। ফার্মগেট আছে, ধানমণ্ডি আছে -- পাশে একটা কৃষিকলেজ করে দাও। "

এই ধরনের কায়েমী স্বার্থবাদী আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্রিটিশ লর্ডের কাছে গিয়ে শেরে বাংলা ফজলুল হক বোঝালেন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। এবার ব্রিটিশরা কিছুটা নমনীয় হল --- কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হল একটু দেরীতে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন শেরে বাংলা ফজলুল হক ।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯১৬ সালে মুসলিম লীগ এর সভাপতি নির্বাচিত হন । পরের বছর ১৯১৭ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এর সাধারণ সম্পাদক হন । তিনিই ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি যিনি একই সময়ে মুসলিম লীগ এর প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেস এর জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন । ১৯১৮ -১৯ সালে জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ফজলুল হকের ব্যক্তিগত সচিব ।

১৯৩৭ এর নির্বাচনে শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনে জিতলে তিনি জমিদারি প্রথা চিরতরে উচ্ছেদ করবেন।
তিনি যাতে নির্বাচিত হতে না পারেন তার জন্য সারা বাংলাদেশ আর কলকাতার জমিদাররা একত্র হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। লাভ হয়নি --- কৃষকরা তাদের নেতাকে ভোট দিয়েছেন।

মুসলিম লীগ এর লাহোর অধিবেশনে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বক্তব্য দিচ্ছেন । হঠাৎ করে একটা গুঞ্জন শুরু হলো, দেখা গেল জিন্নাহর বক্তব্যের দিকে কারও মনযোগ নাই । জিন্নাহ ভাবলেন, ঘটনা কী ? এবার দেখলেন, এক কোণার দরজা দিয়ে ফজলুল হক সভামঞ্চে প্রবেশ করছেন, সবার আকর্ষণ এখন তার দিকে । জিন্নাহ তখন বললেন --- When the tiger arrives, the lamb must give away. এই সম্মেলনেই তিনি উত্থাপন করেছিলেন ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব ।

১৯৪০ সালের ২২-২৪ শে মার্চ লাহোরের ইকবাল পার্কে মুসলিম লীগের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে বাংলার বাঘ আবুল কাশেম ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বাস্তবতায় হিন্দু মুসলিম একসাথে বসবাস অসম্ভব। সমাধান হচ্ছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র এবং পূর্বাঞ্চলে বাংলা ও আসাম নিয়ে আরেকটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।

পাঞ্জাবের মওলানা জাফর আলী খান, সীমান্ত প্রদেশের সর্দার আওরঙ্গজেব, সিন্ধের স্যার আব্দুল্লাহ হারুন, বেলুচিস্তানের কাজী ঈসা ফজলুল হকের প্রস্তাব সমর্থন করেন। কনফারেন্সে এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।

লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের সময়ে হিন্দুপ্রধান প্রদেশগুলোতে মুসলিম নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকার কারণে ফজলুল হক খুবই উদ্বিগ্ন এবং কিছুটা উত্তেজিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে একবার বলেন, ‘ আমি আগে মুসলিম, পরে বাঙালী (muslim first, bengali afterwards)’। বক্তৃতার এক পর্যায়ে এসে বলেন, ‘কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে যদি আর কোনো মুসলিম নির্যাতিত হয় তাহলে আমি বাংলার হিন্দুদের উপর তার প্রতিশোধ নেব।’

যে ফজলুল হক তিন বছর আগে সোহরাওয়ার্দী, নাজিমউদ্দিনকে রেখে শ্যামাপ্রসাদের সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠন করেছেন সেই ফজলুল হকের মুখে এমন বক্তব্য তখনকার ভারতে ব্যাপক আলোড়ন সৃাষ্ট করেছিল।

বর্তমানে যে পাকিস্তান রাষ্ট্র তার ভিত্তি হচ্ছে লাহোর প্রস্তাব। তাই ২৩ শে মার্চ কে পাকিস্তানে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

কিন্তু লাহোর প্রস্তাব পাশ হওয়ার কয়েকদিন পরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চালাকির আশ্রয় নেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি টাইপ করার সময়ে ভুল করে muslim majority states লেখা হয়েছে; আসলে হবে state । জিন্নাহর ধারণা ছিল, দেন-দরবার করে দুই পাশে দুইটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তাই স্টেটস এর জায়গায় স্টেট লিখে একটা মুসলিম মেজরিটি রাষ্ট্র করতে হবে।

জিন্নাহর এই ধূর্ততার কারণে ফজলুল হক তার সাথে পাকিস্তান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হননি। তরুণ শেখ মুজিব যখন জিন্নাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তখন অভিজ্ঞ ফজলুল হক পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। 'তিঁনি অনুমান করতে পেরেছিলেন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে কী কী দুর্দশা হবে বাংলার মানুষের। তাই তিঁনি পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনী তে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন.......
"
বাংলার মাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা পেয়েছি। একদিন আমার মনে আছে একটা সভা করছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান চাননা এখন? কেন তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন? এই সমস্ত আলোচনা করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক যিনি আমার দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল সময়েই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন- দাঁড়িয়ে বললেন,”যাহা কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছুই বলবেন না। তিনি যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও চাই না। জিন্নাহ কে? তার নামও তো শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব।” এ কথার পর আমি অন্যভাবে বক্তৃতা দিতে শুরু করলাম। সোজাসুজিভাবে আর হক সাহেবকে দোষ দিতে চেষ্টা করলাম না। কেন পাকিস্তান আমাদের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে তাই বুঝালাম। শুধু এইটুকু না, যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদের মারপিট করেছে। অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি, মার খেয়ে।"

বঙ্গবন্ধু ' র বাবা বলেছেন , " বাবা তুমি যাই করো শেরে বাংলার বিরুদ্ধে কিছু বলো না। শেরে বাংলা এমনি এমনি শেরে বাংলা হয়নি। "

ফজলুল হক জানতেন মাঝখানে ভারতকে রেখে পশ্চিম আর পূর্বে জোড়া দিয়ে এক পাকিস্তান করলে তা কখনো টিকবে না। ‘ জিন্নাহ আমার লাহোর প্রস্তাবের খৎনা করে ফেলেছে -বলে ফজলুল হক পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় থাকেননি।

১৯৪৬ এ এসে জিন্নাহ সোহরাওয়ার্দীর দুই বাংলা একত্র করে স্বাধীন যুক্তবাংলার দাবী মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাও ভাগ করতে হল।

ফজলুল হক বলেছিলেন, একটি পাকিস্তান কখনও টিকবে না। বাংলা এবং আসামকে নিয়ে পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র করতে হবে।

১৯৭১ সালে এসে দেখা গেল, ফজলুল হকের আশঙ্কা এবং ভবিষ্যতবাণী সঠিক। ১৯৭১ এর মত এমন কিছু যে ঘটবে শেরে বাংলা ফজলুল হক তা আঁচ করতে পেরেছিলেন ১৯৪০ সালেই। তাই তিনি ১৯৪০ সালেই বাংলা আর আসাম নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন।

১৯৭১ এর যুদ্ধ হল ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাবের বাস্তবায়ন। লাহোর প্রস্তাব ফজলুল হক যেভাবে উত্থাপন করে ছিলেন সেভাবে মানলে একাত্তরে এই দেশে রক্তগঙ্গা বইত না।

পেশাজীবনে 'কলকাতা হাইকোর্টের নামকরা আইনজীবী ছিলেন। একদিন তাঁর জুনিয়র হাতে একগাদা পত্রিকা নিয়ে এসে বললেন, " স্যার , দেখুন , কলকাতার পত্রিকাগুলো পাতার পর পাতা লিখে আপনার দুর্নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে --- আপনি কিছু বলছেন না । " তিঁনি বললেন, " ওরা আমার বিরুদ্ধে লিখছে তার মানে হল আমি আসলেই পুর্ব বাংলার মুসলমান কৃষকদের জন্য কিছু করছি। যেদিন ওরা আমার প্রশংসা করবে সেদিন মনে করবে বাংলার কৃষক বিপদে আছে। "

মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী বরিশাল বারের নামকরা উকিল । একবার ওয়াজেদ আলী র প্রতিপক্ষ মামলার ইস্যু জটিল হওয়ার কারণে কলকাতা থেকে তরুণ উকিল ফজলুল হককে নিয়ে আসে ওয়াজেদ আলীকে মোকাবেলা করার জন্য । ফজলুল হক ওই সময়ে কেবলমাত্র ফজলুল হক , শেরে বাংলা তখনও হননি । তিনি মামলা লড়তে এসেছেন , কিন্তু বিপক্ষের উকিল কে সেই খবর জানতেন না ।

কোর্টে এসে দেখলেন বিপক্ষে তার বাবা ওয়াজেদ আলী দাঁড়িয়েছেন । ফজলুল হক স্বাভাবিকভাবে যুক্তিতর্ক শুরু করলেন ।

এক পর্যায়ে ওয়াজেদ আলী আদালতকে উদ্দেশ করে বললেন , “ ইনি যা বলছেন তা আইনসংগত না । আইনটা হল আসলে এরকম এরকম ....... ইনি নতুন উকিল তো আইন কানুন ভালো বোঝেন না । “

উত্তরে ফজলুল হক বললেন , “ তিনি পুরাতন অভিজ্ঞ উকিল হলে কী হবে ? তিনি হচ্ছেন কৃষকের ছেলে উকিল ( প্রকৃতপক্ষে তার দাদা আকরাম আলী ছিলেন ফারসি ভাষার পন্ডিত ) , তিনি আইনের কী আর বোঝেন ? আমি হচ্ছি উকিলের ছেলে উকিল , যুক্তি আমারটাই ঠিক । “

খ্যাতির সাথে ৪০ বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি করেছেন । আইন পাশ করার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্স কেমেস্ট্রি আর ম্যাথমেটিক্সে ট্রিপল অনার্স করেছেন । মাস্টার্স করেছেন ম্যাথমেটিক্স এ । ছোটবেলায় একবার পড়ে বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলার গল্প রূপকথার মত এদেশের সবার মুখে মুখে ।

বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের বাজেট অধিবেশনে একজন এম পি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিতে লাগলেন । ঐ এম পি শেরে বাংলার বিরুদ্ধে গানও লিখে এনেছেন এবং সংসদের বাজেট বক্তুতা করতে গিয়ে সেই গানটি হেলেদুলে কর্কশ কণ্ঠে গাইতে শুরু করলেন । এরকম পরিস্থিতিতে যে কারও পক্ষে মাথা ঠাণ্ডা রাখা মুশকিল ।

শেরে বাংলা ঐ এমপি র বক্তব্যের মধ্যেই বলে উঠলেন -- "Mr Speaker, I can jolly well face the music, but I cannot face a monkey."

এবার ঘটলো মারাত্মক বিপত্তি । তার মত নেতার কাছ থেকে এরকম মন্তব্য কেউ আশা করেনি । এদিকে , ঐ এম পি স্পিকারের কাছে দাবী জানালেন -- এই মুহূর্তে ক্ষমা চাইতে হবে এবং এই অসংসদীয় বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে । স্পিকার পড়লেন আরেক বিপদে -- তিনি কীভাবে এত বড় একজন নেতাকে এই আদেশ দেবেন ।

শেরে বাংলা ছিলেন ঠাণ্ডা মাথার বুদ্ধিমান মানুষ । তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন --- " Mr. Speaker, I never mentioned any honourable member of this House. But if any honourable member thinks that the cap fits him, I withdraw my remark."

'জ্ঞানতাপস প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক তাঁর জীবনী লিখতে চান জেনে বলেছিলেন, " রাজ্জাক, সত্যি বলো, তোমার মতলবটা আসলে কী ? " প্রফেসর রাজ্জাক বললেন, " আমার এই বিষয়টা খুব ভালো লাগে ---- আপনি যখন ইংরেজদের সাথে চলেন তখন মনে হয় আপনি জাত ইংরেজ। যখন বরিশালে আসেন মনে হয় আপনি বহুবছর ধরে নিজেই কৃষিকাজ করেন। আবার যখন কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ বাবুকে ভাই বলে ডাক দেন তখন আপনাকে আসলেই হিন্দু মনে হয়। আবার যখন ঢাকার নবাব বাড়িতে ঘুড়ি উড়ান তখন মনে হয় আপনিও নবাব পরিবারের একজন । নিজেকে কেউ আপনার মত এত পাল্টাতে পারে না। আপনি যাই বলেন, সত্য হোক -- মিথ্যা হোক, মানুষ বিনা দ্বিধায় তা বিশ্বাস করে। "

মহাত্মা গান্ধী র নাতি রাজমোহন গান্ধী তার বইতে লিখেছেন -- তিন নেতার মাজারে তিনজন নেতা শায়িত আছেন যার মধ্যে দুজন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন । একজনকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়নি, অথচ তিনিই ছিলেন সত্যিকারের বাঘ ।

কিন্তু এটা তার জীবনের কোনো অপূর্ণতা নয়, একমাত্র রাষ্ট্রপতি হওয়া ছাড়া সম্ভাব্য সব ধরনের পদে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে । তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব বাংলার তৃতীয় মুখ্য মন্ত্রী; পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব - পাকিস্তানের গভর্নর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ।

সর্বভারতীয় রাজনীতি ছেড়ে শুধু পূর্ববাংলার রাজনীতি কেন করছেন এই প্রশ্নের উত্তরে ফজলুল হক বলেছিলেন -- এরোপ্লেন এ উঠলে নিচের জিনিস ছোট আর ঝাপসা দেখাতে পারে, তাই আমি মাটিতেই থাকছি । রাজনীতির এরাপ্লেন এ না চড়লেও সৌদি বাদশাহ সউদ ফজলুল হকের সাথে একটা মিটিং করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত বিমান পাঠিয়েছিলেন ফজলুল হককে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।

অসীম সাহসী এই মানুষটি আমাদেরকে সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে প্রতিবাদ করার কথা বলেছেন। বাঙালী জাতিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন অনেক আগেই । তিনি বলেছেন, যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে ?

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ছিলেন ফজলুল হকের শিক্ষক। আবুল মনসুর আহমদের সাথে আলাপচারিতায় ফজলুল হক সম্পর্কে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মন্তব্য :

"ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি বাঙ্গালী।সেই সঙ্গে ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি মুসলমান।খাঁটি বাঙ্গালীত্বের সাথে খাটি মুসলমানত্বের এমন অপূর্ব সমন্বয় আমি আর দেখি নাই। ফযলুল হক আমার ছাত্র বলে বলছিনা, সত্য বলেই বলছি।খাঁটি বাঙ্গালীত্ব ও খাটি মুসলমানত্বের সমন্বয়ই ভবিষ্যৎ বাঙ্গালীর জাতীয়তা।"

রেফারেন্স: আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর।(পৃষ্ঠা ১৩৫-৩৬)

পহেলা বৈশাখের সরকারি ছুটি, বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা এই ফজলুল হকের অবদান । কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ফজলুল হক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন কারণ কৃষক--শ্রমিক সংখ্যাগরিষ্ঠ এই উপমহাদেশে মাত্র একজন ব্যক্তি কৃষকদের জন্য রাজনীতি করেছেন । তিঁনি হলেন -- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ।

১৯৪৮ সালে ঢাকায় এসেছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা বললে ছাত্ররা তীব্র প্রতিবাদ করে। জিন্নাহ ছাত্রদের সাথে বৈঠকও করেন। কিন্তু ছাত্ররা ছিল নাছোড়বান্দা। জিন্নাহর ধারণা হলো, ফজলুল হক ছাত্রদেরকে উসকানি দিচ্ছেন। ফজলুল হকের বুদ্ধিতে ছাত্ররা উর্দুর বিরোধিতা করছে। জিন্নাহ এবার ফজলুল হকের সাথে দেখা করতে চাইলেন। কিন্তু ফজলুল হক দেখা করতে রাজি হলেন না। ফজলুল হক জিন্নাহকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করতেন।

জিন্নাহর পীড়াপিড়িতে শেষ পর্যন্ত রাজি হলেন ফজলুল হক। বন্ধ দরজার আড়ালে কথা হয়েছিল দুই মহান নেতার। কিন্তু ইংরেজিতে কী ধরনের বাক্য বিনিময় হয়েছিল তাদের মধ্যে পরবর্তীতে তা লিখেছেন ফজলুল হকের একান্ত সহকারী আজিজুল হক শাহজাহান --

জিন্নাহ : পাকিস্তান তো তুমি কোনোদিন চাওনি। সব সময়ে বিরোধিতা করে এসেছো।

হক : প্রস্তাবটি তো আমিই করেছিলাম। পরে ওটার খতনা করা হয়েছে। আমি এটা চাইনি।

জিন্নাহ: পাকিস্তানের এই অংশ বেঁচে থাক তা তুমি চাও না। তাই ভারতের কংগ্রেসের টাকা এনে ছাত্রদের মাথা খারাপ করে দিয়েছ। তারা আমাকে হেস্তনেস্ত করছে।

হক: আমি এখানে কোনো রাজনীতি করি না। হাইকোর্টে শুধু মামলা নিয়ে চিন্তা করি। আইন আদালত নিয়ে থাকি ।

জিন্নাহ : জানো, তুমি কার সাথে কথা বলছো ?

হক: আমি আমার এক পুরোনো বন্ধুর সাথে কথা বলছি।

জিন্নাহ: নো নো, ইউ আর টকিং উইথ দ্য গভর্নর জেনারেল অব পাকিস্তান ।

হক: একজন কনস্টিটিউশনাল গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা আমি জানি।

জিন্নাহ: জানো, তোমাকে আমি কী করতে পারি ?

হক: (ডান হাতের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে) তুমি আমার এ্যাই করতে পারো। মিস্টার জিন্নাহ, ভুলে যাওয়া উচিত নয় এটা বাংলাদেশ এবং তুমি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে কথা বলছ।

( আজিজুল হক শাহজাহানের কলাম, অমরাবতী প্রকাশনী, ঢাকা; পৃষ্ঠা ৪৬-৪৭)

১৯২০ থেকে ১৯৪০ এর সময়কালে দখলকার ব্রিটিশ এবং কায়েমী স্বার্থবাদী পশ্চিম বাংলার নেতাদের সাথে একা লড়াই করে শেরে বাংলা ফজলুল হক এই দেশে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন সেই ইতিহাস খুঁজলে দেখা যাবে বাংলাদেশের অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ থেকে শুরু করে ডক্টরেট ডিগ্রধারী প্রত্যেকে শেরে বাংলা ফজলুল হকের কাছে ঋণী।

১৮৭৩ সালের ২৬শে অক্টোবর এই মহান নেতা জন্মগ্রহণ করেন। এবারের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকীতে তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
সংগৃহীত [ইমতিয়াজ হোসাইন ]

19/01/2022

তোমার জন্য কোনো গান লেখা হয়নি আমার,
তুমি ছাড়া হবেনা একটাও রাত্রি কাবার,
তবুও তোমার জন্য কোনো গান লেখা হয়ে ওঠেনি আমার.....

জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই,
ভালো থেকো "কলকাতার কবিয়াল"।

31/12/2021

—কখনো কি কাউকে বেহায়ার মতো মেসেজ দিছেন..! 😪

-রিপ্লাই না পাওয়ার পরেও.!💔🙂

28/12/2021

অনেক পুরুষকে দেখি একটি নারীর ভালোবাসা ভুলতে পারে না,আর এমন একটি নারী দেখি নাই যে, একটি পুরুষের জন্য সারাজীবন একা থেকে কাটিয়েছে 🥀

12/12/2021

তুমি আমার না হওয়া এক প্রিয় মানুষ!'🌸

06/12/2021

তুমি অনেক দেরি করে ফেলেছো😓

05/12/2021

আমাকে ছাড়া যার দিন সুন্দরভাবে কেটে যায়; সেই মানুষ টা আমার না হোক।! 🖤

08/11/2021

পিয়ন্তী,

তোমার সুস্হতা আমার সারা জীবনের চাওয়া ছিলো।❤️
কিন্তু র্দূভাগ্য আমার এই যে,তোমার এই জীবনে আমি একটা দাগ কেটে ভেলেছি😢
সেই দাগের গভীরতা এতই যে,একই বৃত্তে থাকা আমাদের দুটি মানুষের সম্ভব না।
তাই আমরা আজ বিপরীত মুখি।
ভালোবাসায় ভালোবেসে সব সময় সুখি থাকা যায় না প্র‍িয়ন্তী,
ভেবে নিও আমি তোমার সেই দুবছর আগের একটা অচেনা দিন
যেই দিনে আমি ছিলাম না তোমার পরিচিত
চাইলেই হয়ত একটা দিনে রং বদলানো যায়,বদলানো যায় চিন্তা, বদলানো যায় সিন্ধান্ত!
আমি চাই তোমার সেই নতুন সিন্ধান্তে,নতুন চিন্তায় আমাকে ভালোবেসে দুঃখ পাওয়ার বেদনা না থাকুক।
ভালোবাসা মানেই কেবল তুমি আমি নই,পাশাপাশি থাকা নয়,
হাজার মাইল দূরে থেকেও কাউকে ভালোবাসা যায়!!!
আমি তোমার ভালোথাকার মধ্যে সারা জীবন বেঁচে থাকতে চাই,
আমার এই ছোট্ট অনুরোধ টুকু রেখো প্লিজ,,
ভালো থেকো পিয়ন্তী নিজের যত্ন নিও.................

অমিত.....

08/10/2021

ফোন দিয়ে যদি একবার বলতে পারতাম
শুভ জন্মদিন প্র‍িয়😭😭

22/09/2021

জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত..
না হলে জীবন একদিন আমাকে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

05/09/2021

বাপের ভয়ে লুকিয়ে বিড়ি খায়
মেনশন Your Pure Smoker Friend

01/09/2021

যে মানুষটা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে পারে
সেই মানুষটা সবচেয়ে বেশি কষ্ট ও দিয়ে যেতে পারে

31/08/2021

- অথচ তার সাথে বিচ্ছেদের কোনো কথায় ছিল না.!
অতঃপর বিচ্ছেদ হয়ে গেল...। 💔

28/08/2021

কিছু বাজে স্বভাব কখনোই পরিবর্তন হবে না।
এই যেমন,তোমাকে ভালবাসি!😒

21/08/2021

পুলিশের মাইরে আমি চু...

Want your business to be the top-listed Media Company in Faridpur?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

পুলিশের মাইরে আমি চু...
Weather 🖤🖤😊
অহেতুক মুখোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা  আবৃত্তি করেছেন বিব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
খারাপ কিছু বলেনি✨💔🙂

Category

Telephone

Website

Address

Faridpur

Other Magazines in Faridpur (show all)
Rajendra college Short stories Rajendra college Short stories
Faridpur

This is a platform where you can share your feelings and experiences. But it's must be varsity relate

Gourango Gourango
Faridpur, Dhaka
Faridpur, 1000

Dailymedha Dailymedha
Faridpur
Faridpur, 7800

দৈনিক মেধা পত্রিকা

দেবী দেবী
Deora
Faridpur, 7830

নহে দেবী,নহে সামান্যা নারী�

Ki Are Bolbo vai Ki Are Bolbo vai
Tambulkhana
Faridpur

amar group a sonai ad koro

Humans of DAMC Humans of DAMC
Jhiltuli
Faridpur

Discover the colors behind those white aprons, hear out the tales of the lives of those who live for others.

V A i L E N T V A i L E N T
Faridpur

Crash, Confession & Love Story Alfadanga All College Crash, Confession & Love Story Alfadanga All College
Alfadanga
Faridpur, 7870

fell this love � [email protected]

Tumul Adda bazz Tumul Adda bazz
Faridpur, 5569089867000

like and share plzz4