জহির রায়হান পাঠশালা
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from জহির রায়হান পাঠশালা, Education, Feni.
প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার জহির রায়হানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী আজ।
বিদ্যাসাগর
বিদ্যাসাগর অসংখ্য। কারণ এটি কোনো নাম নয়, উপাধি। কিন্তু বাঙালির মনেপ্রাণে সম্ভবত বিদ্যাসাগর একজনই। তিনি হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আসল নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্য ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’- এর জায়গায় তিনি ‘শর্ম্মা’ বা ‘শর্ম্মণঃ’ লিখতেন। ৯-১০ম শ্রেণির "বাংলা সাহিত্য" বইতে উনার লেখক পরিচিত থেকে এ কথাগুলো না বললেই নয় — "তিনিই প্রথম 'বাংলা গদ্যের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবিষ্কার করেন এবং গদ্য ভাষায় যতিচিহ্ন যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন। ফলে তাঁর গদ্য হয়ে ওঠে শৈলীসম্পন্ন। এজন্য তাঁকে বলা হয় বাংলা গদ্যের জনক।' বাংলা বর্ণসমূহ সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়ে শিশুদের জন্য বাংলা বর্ণমালার প্রথম সার্থক গ্রন্থ ১৮৫৫ সালে লেখা তাঁর বর্ণ পরিচয়। এ গ্রন্থ আজও বাংলা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে পথনির্দেশক।"
বিদ্যাসাগরকে ঘিরে কবিগুরুর একটি বই আছে। বিদ্যাসাগরচরিত। বইটির অধ্যায় সংখ্যা ৫। দুই অংশে এ বই বিভক্ত। প্রথম অংশের ৩টি রচনা হলো – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বিদ্যাসাগরচরিত ও বিদ্যাসাগর। আর বাকি দুটো রচনা স্থান পেয়েছে সংযোজন অংশে – "বিদ্যাসাগর" ও "বিদ্যাসাগরস্মৃতি"।
সর্বপ্রথম অর্থাৎ "ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর" রচনাটি মূলত প্রবেশিকা রূপে কবিতা। আর "বিদ্যাসাগরচরিত" শীর্ষক রচনাটি মূলত স্মরণসভায় পঠিত। সংযোজন অংশের "বিদ্যাসাগর" রচনাটিও মূলত এক স্মরণসভায় দেয়া বক্তৃতার মর্ম। তাছাড়া, "বিদ্যাসাগরস্মৃতি" প্রবন্ধটি মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর স্মৃতিমন্দির প্রবেশ উৎসবে কবিগুরু পাঠ করেন। পক্ষান্তরে, "বিদ্যাসাগর" রচনাটি বিখ্যাত "ভারতী" পত্রিকার চরিত্রপূজা গ্রন্থে প্রকাশিত প্রবন্ধ।
এই গ্রন্থের "বিদ্যাসাগরচরিত" প্রবন্ধ থেকে কিছু অংশবিশেষ তুলে ধরতে চাই –
"আমাদের অবমানিত দেশে ঈশ্বরচন্দ্রের মতো এমন অখণ্ড পৌরুষের আদর্শ কেমন করিয়া জন্মগ্রহণ করিল, আমরা বলিতে পারি না। কাকের বাসায় কোকিল ডিম পাড়িয়া যায়— মানব ইতিহাসের বিধাতা সেইরূপ গোপনে কৌশলে বঙ্গভূমির প্রতি বিদ্যাসাগরকে মানুষ করিবার ভার দিয়াছিলেন।"
শুধুমাত্র উক্ত অংশবিশেষ থেকেই আমরা বুঝি বিদ্যাসাগর ছিলেন প্রকৃত অনন্য চরিত্রের মানুষ। (এবং কথাটি নিম্নোক্ত অংশবিশেষের জন্যও সত্য।)
তিনি আরো বলেন, "বিদ্যাসাগরের জীবনবৃত্তান্ত আলোচনা করিয়া দেখিলে এই কথাটি বারংবার মনে উদিত হয় যে, তিনি যে বাঙালি বড়লোক ছিলেন তাহা নহে, তিনি রীতিমত হিন্দু ছিলেন তাহাও নহে—তিনি তাহা অপেক্ষাও অনেক বেশ বড় ছিলেন, তিনি যথার্থ মানুষ ছিলেন। বিদ্যাসাগরের জীবনীতে এই অনন্যসুলভ মনুষ্যত্বের প্রাচুর্যই সর্বোচ্চ গৌরবের বিষয়। তাঁহার সেই পর্বতপ্রমাণ চরিত্যমাহাত্ম্য তাঁহার কৃতকীর্তিকেও খর্ব করিয়া রাখয়াছে।"
আর বাংলা ভাষা নিয়ে?
একই প্রবন্ধে কবিগুরু কহেন, "তাহার প্রধান কীর্তি বঙ্গভাষা। যদি এই ভাষা কখনো সাহিত্যসম্পদে ঐশ্বর্যশালিনী হইয়া উঠে, যদি এই ভাষা অক্ষয় ভাবজননীরূপে মানবসভ্যতার ধাত্রীগণের ও মাতৃগণের মধ্যে গণ্য হয়—যদি এই ভাষা পৃথিবীর শোক-দুঃখের মধ্যে এক নূতন সান্তনাস্থল, সংসারের তুচ্ছতা ও ক্ষুদ্র স্বার্থের মধ্যে এক মহত্ত্বের আদর্শলোক, দৈনন্দিন মানবজীবনের আবসাদ ও অস্বাস্থ্যের মধ্যে সৌন্দর্যের এক নিভৃত নিকুঞ্জবন রচনা করিতে পারে, তবেই তাহার এই কীর্তি তাহার উপযুক্ত গৌরব লাভ করিতে পারিবে।"
আহা! বিদ্যাসাগরের ভাষাকীর্তি এরচেয়ে ভালোভাবে অন্তর ছুয়ে যাওয়া ভাষায় আর কে-ইবা প্রকাশ করতে পারেন!
তিনি আরো বলেছেন, "বিদ্যাসাগর বাংলাভাষার প্রথম যথার্থ শিল্পী ছিলেন। তৎপূর্বে বাংলায় গদ্যসাহিত্যের সূচনা হইয়াছিল, কিন্তু তিনিই সর্বপ্রথমে বাংলা গদ্যে কলানৈপুণ্যের অবতারণা করেন। ভাষা যে কেবল ভাবের একটা আধারমাত্র নহে, তাহার মধ্যে যেন-তেন প্রকারের কতগুলো বক্তব্য বিষয় পুরিয়া দিলেই যে কর্তব্যসমাপন হয় না, বিদ্যাসাগর দৃষ্টান্তদ্বারা তাহাই প্রমাণ করিয়াছিলেন।"
বোধকরি, উপরিউক্ত অংশ পড়ার পর মন বিদ্যাসাগরকে বাংলা ভাষাবিজ্ঞানী বলতে চায়। তিনি বাংলা ভাষাকে একটি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দান করেছেন বললেও ভুল হবে না।
আর লেখক বিদ্যাসাগর?
বাঙালিরা লেখক হিসেবে কমবেশি শুধু বিদ্যাসাগরের নামটিই জানেন। পাঠ্যবইয়ে সুবাদে হয়তো উনার কিছু বইপত্রের নামও জানেন যথা – বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, ভ্রান্তিবিলাস, সীতার বনবাস চরিতাবলি, বাংলার ইতিহাস প্রভৃতি।
সাহিত্য কিংবা ভাষার দিকে আমি যাচ্ছি না। হয়তো অনধিকার চর্চা হতে পারে। কিন্তু ক্ষুদ্র করে বিজ্ঞানের দিকে কিছু বলতে চাই। বিশেষ করে উনার দুটি বইয়ের কথা, যথা– "জীবনচরিত" ও "বোধোদয়"।
জীবনচরিত নাম দেখেই বোঝা যায় এ হলো একটি জীবনীগ্রন্থ। এখানে বেশ কয়েকটি জীবনীর রচনা আছে, যা প্রধানত ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের জীবনী। যথা– নিকলাস কোপর্নকস, গালিলিয়, সর আইজাক নিউটন, লিনিয়স প্রমুখ। উনারা ছিলেন আধুনিক বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণার পথিকৃৎ বা উজ্জ্বল নক্ষত্র। স্বভাবতই সেখানে এ-সব বিজ্ঞানীদের তত্ত্বকথার আলোচনা বইতে স্থান পেয়েছে।
আর "বোধোদয়" বইতে স্থান পেয়েছে সহজ ভাষায় বিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা। যথা— চেতন পদার্থ, মানবজাতি, ইন্দ্রিয়, বর্ণ—রঙ্, কাল, গণন—অঙ্ক, বস্তুর আকার ও পরিমাণ, ধাতু, উদ্ভিদ প্রভৃতি। এ বইটি "জীবনচরিত" বই হতে তুলনামূলক সহজ। কারণ এটি মূলত শিশুতোষ বই।
আজ এই মহান মনীষীর প্রয়াণ দিবস। প্রয়াণ দিবসে স্মরণ করছি এই মহাপুরুষকে।
হৃদয় হক
২৯/০৭/২০২১
চট্টগ্রাম
জাহানারা ইমামঃ চিরঞ্জীব, চির ভাস্বর
সালমা বিনতে শফিক
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের (৩মে, ১৯২৯- ২৬জুন, ১৯৯৪) কলমের সঙ্গে পরিচয় তাঁর ‘একাত্তরের দিনগুলি’ দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে ঘটে যাওয়া টুকরো টুকরো মর্মন্তুদ ঘটনাবলী থেকে শুরু করে তাঁর ঘর গেরস্থালীর তেল নুনের কথাও প্রাণ দিয়ে লিখেছিলেন তিনি। তবে কৈশোরে পড়া বইটি যেকারনে সবচেয়ে বেশী নাড়া দিয়েছিল, তা হল লেখকের ব্যক্তিত্বের গভীরতা; কঠোর কর্তব্যপরায়ন, হেঁসেল থেকে রাজ্যপাট সামাল দেন নিজের সিদ্ধান্তে, নিজের বুদ্ধিতে। তাই বলে কাউকে অগ্রাহ্য বা উপেক্ষা করে নয়। পরিবার, সমাজ ও দেশের প্রতি গভীর মমতা ও দায়িত্ববোধ তাঁকে একজন মহান ‘জ্যোতির্ময়ী’র আসনে অধিষ্ঠিত করে। সত্যি বলতে কি, ‘একাত্তরের দিনগুলি’র প্রতিটি বাক্যই পাঠককে অভিভূত করার মতো। একজন মেয়ের আদর্শ, স্বপ্নের চরিত্র হতে পারেন আমৃত্যু হার-না মারা এই মানুষটি।
দুঃসময়ের দিনলিপিতে ঘরকন্যার যেসব খুঁটিনাটি তিনি তুলে ধরেছেন তা দেখে তাঁকে একজন দক্ষ গৃহ ব্যবস্থাপক বলাই চলে। তাছাড়া দিনে রাতে ঘরে-বাইরে করার পর খাতা-কলমের সঙ্গে খুন্তি- কড়াই’র যে বিরোধ নেই তাও বেশ বোঝা যায় তাঁর দিনলিপি হতে। যত ব্যস্ততাই যাক, দিনশেষে তিনি একজন মমতাময়ী মা, সন্তানদের বন্ধু সমতুল্য এবং একজন আদর্শ বন্ধুপ্রতিম স্ত্রী। চলৎশক্তিহীন বয়োবৃদ্ধ শ্বশুরের শুস্রসায় অনন্য তিনি। সামাজিক দায়দায়িত্বেও অগ্রণী। অতিথিপরায়ণতায় পারদর্শী। শিল্প, সাহিত্য, ক্রীড়া এমনকি বিশ্বসংগীত, বিশ্বরাজনীতি নিয়েও পুত্রদের সঙ্গে সমকক্ষীয় তর্ক বিতর্ক চলে পারিবারিক আবহে। পরিবারের সদস্যদের মাঝে ধার্মিকতা অটুট থাকে পুরোমাত্রায়।
এই পরিবারের মানুষগুলোর চারিত্রিক দৃঢ়তা নিঃসন্দেহে অনুসরণীয়। বড় পুত্র রুমির ভেতরটা স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ। দেশ নিয়ে ভাবনায় একালের অনেক ছাত্রনেতার মতো দেশপ্রেমিক সাজার অযথা চেষ্টা নেই, কোন ভান নেই। একুশ শতকের তরুণ তরুণী, যারা ডিজিটাল দুনিয়ার আধুনিক প্রজন্ম বলে দম্ভে ফেটে পড়ে, মাটিতে পা ফেলেনা, আলো হাওয়া গায়ে মাখেনা, চাঁদ সূর্যের পানে চেয়েও দেখেনা তাদের কাছে অনুরোধ- ‘একাত্তরের দিনগুলি’ পাঠ করে, এসো রুমির পাশে নিজেকে দাঁড় করিয়ে দেখি- অর্ধশতক পরে বিশ্বজগতকে ‘আপন হাতের মুঠোয় পুরে’ ফেলে ভাবনাচিন্তায়, কর্মোদ্দীপনায় আমরা রুমিকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছি কি না? রুমির চাইতে বেশী আধুনিক আমরা হতে পেরেছি কি?
সংগৃহীত : শহীদ রুমি স্কোয়াড
আমরা লিখতে পারি!! ✈️✈️
ব্যঞ্জণবর্ণ লিখতে পারে!!
ক্লাসে আসলো হোয়াইট বোর্ড!! 🎈🎈🎈
শিক্ষার্থীরা আম🥭🥭🥭আঁকা শিখছে।
আজ শিক্ষার্থীদের লিখার চেষ্টা 🎈
আজ পাঠশালার শিক্ষার্থীদের স্লেট বিতরণ করা হলো। শিক্ষার্থী প্রতি ২৫ টাকা চাঁদা তুলে আমরা কাজটি সম্পন্ন করলাম। আমরা পাঠশালার প্রথম ধাপের কাজ শুরু করলাম। সমাজের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি আমাদের এই মহৎ প্রচেষ্টায়।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Opening Hours
Monday | 18:00 - 20:00 |
Tuesday | 18:00 - 20:00 |
Wednesday | 18:00 - 20:00 |
Thursday | 18:00 - 20:00 |
Friday | 06:00 - 09:00 |
Saturday | 06:00 - 09:00 |
Sunday | 18:00 - 20:00 |
Feni
স্বপ্রণোদিত,আগ্রহী ও শিক্ষা আরও চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক- বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানাই।
Opposite The Alo Community Center, Hazari Road, কfeni3900, Bangladesh/আলো কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে, হাজারী রোড, ফেনী৩৯০০, বাংলাদেশ
Feni
ফেনীর একমাত্র আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিষ্ঠান/The only international Hifzul Quran institution in Feni.
SHANTI COMPANI Road
Feni
It is an onlne platform of learning and cherishing dreams of our future generation.This page is devo
Feni, 3900
Hi! This page is Educational page.I am share video please like,comment and share. My YouTube Channel
Feni Town
Feni, 710931
1. “Education is the most powerful weapon which you can use to change the world” – 2. “Teac
Feni
পেজ ও পেজের প্রতিটি পোষ্ট সম্পূর্ণ বিনোদনের জন্য।কোন ভুল হলে ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন