Kaisar Mahmood- কায়সার মাহমুদ
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র?
কার পানে চায় মন, কোথা হয়ে যায়?
দুদিনের লীলাখেলার, ভাব বোঝা দায়।।
আলহামদুলিল্লাহ, গত কয়েকবছরের মত এবারও আম চালান হচ্ছে।
প্রথমেই আসছে- খাগড়াছড়ির আম্রপালি।
(ক্রমান্বয়ে রাজশাহীর আম্রপালি ও রংপুরের হাড়িভাঙ্গার চালান হবে।)
১ম চালান: ১০/০৬/২৩ (শুক্রবার)
খাগড়াছড়ির আম্রপালির বর্তমান মূল্য: ৮০/=
(ফেনীতে ডেলিভারি ফ্রি।)
সর্বনিম্ন অর্ডার: ১০ কেজি।
অর্ডার করুন:
+8801830020476(Bkash)
+8801817067560(Bkash/Nagad)
কায়সার মাহমুদ
ছবি: গত বছরের।।
Some important rules for Math..
Kamrul Hassan Mamun
আমরা একমুখী শিক্ষা চেয়েছিলাম। এক মুখী শিক্ষা দ্বারা আমরা বুঝেছিলাম দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন ধারা যেমন মাদ্রাসা, বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের মধ্যে যেই ব্যবধান তা কমিয়ে আনা। সরকার কি বুঝলো আর কি করল? তারা একমুখী শিক্ষার নামে মাধ্যমিক শ্রেণী থেকে বিজ্ঞান, কলা, ব্যবসায় বিভাজন উঠিয়ে দিয়ে এইটাকে একমুখী শিক্ষা নামে চালিয়ে দিল। এইটা জাতির সাথে কত বড় একটা ভাওতাবাজি? এই বিভাজন উঠিয়ে দিতে গিয়ে প্রথমত মূল ধারার শিক্ষার নবম ও দশম শ্রেণী থেকে উচ্চতর গণিত উঠিয়ে দিতে হলো বা উঠিয়ে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত বিজ্ঞানের ৩টি ফান্ডামেন্টাল বিষয় যেমন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানকে একত্রিত করে একটি বিষয় বিজ্ঞান নামে পড়ানো হবে। কারণ সবাইকে এক নৌকায় আনতে হলে বিজ্ঞানকে ছাড় দিতে হবে এবং কলা-ব্যবসাকে একটু বেশি করতে হবে। যারা গণিতের ভয়ে কলা কিংবা ব্যবসা নিয়ে বিজ্ঞান একটু কম পড়তো তারা এখন বিজ্ঞান পড়বে। আর যারা আগে বিজ্ঞানে উচ্চতর গণিত পড়তো তার পরিবর্তে এখন কিছু কলা ব্যবসার বিষয় পড়বে। এতে কি হলো? এক গ্রুপকে নিচে নামতে হলো আর বাকিদের কিছুটা উপরে উঠিয়ে একটা গড় জাতি গঠনের ব্যবস্থা করা হলো। এর সাথে কিছু কারিগরি শিক্ষা যেমন ভালো থাকা, প্রযুক্তি ইত্যাদি ঢুকিয়ে দিয়ে সেই গড় মানকে আরেকটু নামিয়ে আনা হলো। বুঝতে পারছেন কি সাংঘাতিক ব্যাপার ঘটতে যাচ্ছে?
একটু আগে ইংরেজি মাধ্যমের নবম ও দশম শ্রেণীর পদার্থবিজ্ঞান বইটি দেখছিলাম। কি সুন্দর বই। সেখানে ফোর্স & মোশন নামে একটি সেকশন, ওয়েভস নামে একটি সেকশন, এনার্জি রিসৌর্স & এনার্জি ট্রান্সফার নামে একটি সেকশন, সলিড-লিকুইড ও গ্যাসেস নামে একটি সেকশ, মাগনেটিজম ও ইলেক্ট্রোমেগনেটিজম নামে একটি সেকশন, রেডিওএক্টিভিটি ও পার্টিকলেস নামে একটি সেকশনএবং এস্ট্রোফিজিক্স নামে একটি সেকশন আছে। কি অসাধারণ! এখন নতুন কনডেন্সড বিজ্ঞান বইতে কি এইসব থাকবে? উত্তর হলো সম্ভব না। একই কথা জীববিজ্ঞান ও রসায়নের ক্ষেত্রে বলা যায়। বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসাকে একমুখী করার অর্থ বুঝতে পারছেন? আর এইটা করতে গিয়ে বিজ্ঞানের আগে প্রযুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিকে এমনভাবে দেওয়া হবে যেন সবার জন্য হয়। আর সাথে এক চিমটি কারিগরি বিদ্যা ঢুকিয়ে দেওয়া হলো যাতে কেউ যদি এসএসসির পর আর নাও পড়ে সে যেন এসএসসি শেষে কিছু করে খেতে পারে। মূল ধারার শিক্ষাতো সুদূর প্রসারী হবে যার ফলতো আসবে সময় লাগবে। কারিগরি শিক্ষার উদ্যেশ্য থাকবে স্বল্পমেয়াদি ফল পাওয়া।
গত ১০০ বছরে জ্ঞানের বিস্ফোরণ ঘটেছে। জ্ঞান বিজ্ঞান এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। এখন বিজ্ঞানে নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হলে আগেকার ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে আরো বেশি জানতে হবে। অথচ আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের আরো কম জানার ব্যবস্থা করছি। এই কম জেনে, কম শিখে এরা আমলা কামলা হতে পারবে কিন্তু বড় বিজ্ঞানী বা বড় প্রযুক্তিবিদ হতে পারবে না। প্রযুক্তিবিদ হতে হলে আগে বিজ্ঞান শিখতে হবে তারপর প্রযুক্তি শিখবে। এই দুটো commutable না। অর্থাৎ আগেরটা পরে আর পরেরটা আগে করলে এক না। একমুখী এই ভাওতাবাজি শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমরা ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমের ব্যবধান আরো বাড়িয়ে দিব। ব্রিটিশরা কি আমাদের চেয়ে বেশি বলদ? তারাতো একমুখীর নামে সবাইকে একই বিষয় বাধ্যতামূলক পড়াচ্ছে না। তাদেরও নবম দশম শ্রেণীতে বিভাজন নাই। কিন্তু সবাইকে সব সাবজেক্ট পড়তে বাধ্য করার বদলে সব সাবজেক্ট উম্মুক্ত করে দিয়েছে। যে যার পছন্দমত সাবজেক্ট পড়বে। আমরা কেন সেটা করলাম না? কারণ আমাদের উদ্যেশ্য ধনী গরিবের ব্যবধান বাড়ানো, আমাদের উদ্যেশ্য (জেনে হউক না জেনে হউক) সৃষ্টিশীল দেশের বাজারে পরিণত হওয়া।
আজ হউক কাল হউক এই শিক্ষাক্রম বন্ধ করতেই হবে। তবে আজকে বন্ধ করতে বাধ্য করতে পারলে দেশের জন্য সবচেয়ে মঙ্গলজনক হতো। একেকটা দিন যোগ হওয়া মানে ক্ষতির পাল্লা ভারী হওয়া। একদিন এত ভারী হয়ে যাবে যে সেখান থেকে জাতিকে তুলতে আমাদের অনেক মাশুল গুনতে হবে। So, stop it before it is too late.
২০২৩ সালের কারিকুলামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বইয়ের কিয়দাংশ।।
এস এস সি, দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় অকৃতকার্য ও কৃতকার্য সকল শিক্ষার্থীদের জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।
নবউদ্যোমে এগিয়ে যাও সামনের উজ্জলে পথে।
অনেক অনেক দোয়া, ভালবাসা আর শুভকামনা সবার জন্য।
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
RAUFUL ALAM
আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির একটা সিম্পোজিয়ামে গিয়েছিলাম গত সপ্তাহে। এ বছর কেমেস্ট্রিতে নোবেল বিজয়ী, প্রফেসর ক্যারোলিন বার্টোজি লেকচার দিয়েছেন। তাকে সে অনুষ্ঠান থেকে সম্মাননা দেয়া হয়।
বিজ্ঞানের সব নোবেল বিজয়ীরা ভালো বক্তা হন না। কিন্তু ক্যারোলিন বার্টোজি খুবই চমৎকার বক্তা। এক ঘন্টার একটা লেকচারে তিনি তার পিএইচডি থেকে শুরু করে নোবেল পুরস্কার পাওয়া পর্যন্ত সাজিয়েছিলেন।
বার্টোজি যখন হার্ভাডে ব্যাচেলর করতে গেছেন, তখন কেমেস্ট্রি না পড়ে ব্যান্ড সঙ্গীতে জড়িয়ে পড়েন। ড্রাম বাজানো শুরু করেন। আর আমি যখন ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে ব্যান্ড মিউজিকে আসক্ত হলাম, আমাকে বাসা থেকে উদ্ভট-পাগল বলা হলো। —হোয়াট এ পিটি!
অর্গানিক কেমেস্ট্রির এক পর্বতসম ফিগার হলেন ডেভিড ইভানস। প্রফেসর ইভানস তখন হার্ভাডে পড়াতেন। ইভানসের পড়ানোতে মুগ্ধ হয়ে, বার্টোজি ব্যান্ড-ড্রাম ভুলে গিয়ে অর্গানিক কেমেস্ট্রির প্রেমে পড়লেন। আর ছেড়ে আসতে পারলেন না। তার গবেষণা জীবনে তিনি অর্গানিক কেমেস্ট্রি এবং বায়োলজিকে চমৎকার ভাবে সংযুক্ত করেছেন। তার পুরো শিক্ষা জীবনটা ছিলো খুবই ধারালো। শুধু যে বড়ো প্রতিষ্ঠানেই পড়াশুনা করেছেন তাই নয়, বড়ো বড়ো গবেষকদের সাথে কাজ করেছেন।
কফি ব্রেইকের সময়, বার্টোজির সাথে পরিচিত হতে গেলাম। নোবেল প্রাইজের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়ে কথা শুরু করলাম। পরিচয় দিলাম।
স্টকহোম ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করেছি শুনেই তিনি বললেন, ডিসেম্বরে তিনি স্টকহোম যাবেন। তাকে স্মরণ করিয়ে দিলাম, তুমি যে হলে নোবেল লেকচার দিবে, সেটার নাম “আউলা মাগনা (Aula Magna)”।
বার্টোজিকে বললাম, আমার ছেলের বয়স চার। এবং সে খুবই কিউরিয়াস! শিশুদের উৎসাহকে জাগিয়ে রাখার জন্য কি করা উচিত? তিনি বললেন, লেট দেম আস্ক কোয়েশ্চন! লেট দেম ইনভলভ উইথ এভরিথিং!
তারপর জিজ্ঞেস করলাম—What keeps you motivated at work, specially after winning the Nobel prize? সে বললো, কিউরিসিটি! আই ওয়ান্ট টু নো, হোয়াটস গোয়িং অন দেয়ার। বি কিউরিয়াস লাইক এ চাইল্ড!
মনে মনে বললাম, এগুলো তোমাদেরকেই মানায়। আমি তো ব্যাচেলর পাশ করার আগেই শুনছি—আর কতো পড়বি?
…………………..
Kamrul Hassan Mamun স্যারের লেখা।।
গত ২ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকুরী ছেড়ে কেউ বিদেশে আর কেউ বাংলাদেশেরই কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছে। যারা চাকুরী ছেড়েছে তারা তুলনামূলক বেটার শিক্ষক। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে যখন এইভাবে ভালো শিক্ষকেরা চলে যেতে থাকে তখন বুঝতে হবে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষয়ের পথে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যারা আছে তারা কি টের পাচ্ছে? ক্ষতিটা আরো ত্বরান্বিত হয় যখন নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা দলের ভিত্তিতে নিয়োগ পায়। গত দুই বছরে শুধু পদার্থবিজ্ঞানের যেকজন গেছে এবং আরো যাচ্ছে যাচ্ছে করছে তারা irreplaceable! এছাড়া অন্যান্য বিভাগেও চাকুরী ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। ঘটনাটি নীরবে ঘটছে বলে কেউ টের পাচ্ছে না। কিন্তু যখন টের পাবে তখন বড় বেশি দেরি হয়ে যাবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মানকে এই পুরোনো মানে ফিরিয়ে আনতে অনেক কাট খড় পুড়াতে হবে।
এইটা ঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যাওয়া আসা একটি ইউনিভার্সাল ফেনোমেনা। যেইটা এলার্মিং সেটা হলো যাওয়ার কারণটা এবং ক্ষতির রিপ্লেসমেন্ট হচ্ছে কিনা সেটা। এখন কেউ চলে গেলে যদি ভাবে যাক একটি পদ সৃষ্টি হলো। অর্থাৎ দলান্ধ কাউকে নেওয়া যাবে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারণের ভালো শিক্ষকের ভূমিকা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের উচিত ভালো বিশ্বমানের শিক্ষক নিয়োগের পথ সুগম করা।
বিশ্বমানের শিক্ষক নিতে হলে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা পিএইচডি করতে হবে। যাদের পিএইচডি থাকবে তাদের বড় অংকের ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে। আর যাদের পোস্ট-ডক থাকবে তাদের ও ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে। একই সাথে প্রতি বছরের পোস্ট-ডক অভিজ্ঞতাকে উন্নত এক বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা হিসাবে ধরতে হবে। ন্যূনতম গবেষণা আর্টিকেলের বেশি থাকলে প্রতিটি আর্টিকেলের জন্য ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষকরা যেন বেশি করে গবেষণা করার ইন্সেন্টিভ পায়। ভালো গবেষক, ভালো শিক্ষকদের ভালোভাবে মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা না করলে ভালো শিক্ষক তৈরী হবে না।
সম্প্রতি একজন চাকুরী ছেড়ে যাওয়া শিক্ষকের কথা একটু মনোযোগ দিয়ে শুনুন। "বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার প্রাপ্তিই বেশি। তবে একটা বড় অপ্রাপ্তি আছে। ঢাবির নিয়ম অনুযায়ী এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হতে সাধারণত তিন বছর লাগে। যারা হাউজ টিউটর থাকে তাদের আরো কম সময় লাগে। আমার নিয়োগ হয়েছিল সরাসরি স্থায়ী পদে, আমি যথাযময়ে প্রবেশনের শর্ত পূরণ করি। তিন বছর এক মাস চাকুরির পরে আমি যখন পিএইচডির উদ্দেশ্যে বাইরে আসি, ততদিনে আমার প্রমোশন হয়ে যাবার কথা ছিল। কেন, কি কারণে আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি তা বলার ইচ্ছা এখানে আমার নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সময় নিয়ম ছিল, বাইরে থাকাকালীন কোন শিক্ষকের প্রমোশনের শর্তপূরণ হলে তার প্রমোশন হয়ে যাবে, শর্ত থাকে যে সে ছুটি শেষে যেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করবে সেদিন থেকে তার প্রমোশন কার্যকর হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কোন ক্ষতি নাই, আবার শিক্ষকের কাছে ফিরে আসার একটা প্রেরণা সৃষ্টি হয়। বর্তমান উপাচার্য মহোদয় কোন বিশেষ কারণে এই নিয়ম রদ করেন। যার ফলে ফিরে আসার পর আরো ৬-১২ মাস দৌড়াদৌড়ি করে প্রমোশন পেতে হয়। যাইহোক, তো এই নিয়মের বেড়া জালে আমার সমসাময়িকরা যখন অন্য বিভাগে এসোসিয়েট প্রফেসর হচ্ছে, আমি তখনও প্রভাষকই আছি।"
শ্রদ্ধেয় Hassan Masum Sir
Dhaka University..
পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতকের তৃতীয়বর্ষে উঠলে ছাত্রছাত্রীদের কোয়ান্টাম মেকানিক্স সাবজেক্টের সাথে প্রথম পরিচয় ঘটে। এর আগে ছাত্রছাত্রীরা যা শিখে এসেছে তা হলো একটি বস্তুর আদি অবস্থা ও বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল জানা থাকলে বস্তুটির একটি নির্দিষ্ট গতিপথ বা ট্র্যাক থাকবে। যতবারই এই এক্সপেরিমেন্টটি করি বস্তুটি একই ট্রাকে চলবে যদি আদি কন্ডিশন একই থাকে। এটাই আমাদের জানা নেউটোনিয়ান জগৎ। সেই জগতের প্রথম ধাক্কা লাগে যখন আমরা কোয়ান্টাম মেকানিক্সে এসে জানি এই জগতে কোন নির্দিষ্ট ট্র্যাক নাই। আছে সম্ভবনার ট্র্যাক বা গর্তিপথ। এছাড়া এই জগতে এসে আমরা জানতে পারি আনসার্টেনটি প্রিন্সিপল, ওয়েভ পার্টিকেলের ডুয়ালিটি ইত্যাদি। এই সবগুলো ধারণাই চ্যালেঞ্জিং ও চিন্তা উদ্রেককারী। এই জন্যই মানুষ কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে এত ভালোবাসে। ১৯৮৫-৮৬ সালে আমরা যখন কোয়ান্টাম মেকানিক্স প্রথম পড়ি তখন আমরা প্রথম ধাক্কা খাই। এতদিনকার পদার্থবিজ্ঞানে যা শিখেছিলাম তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু। এরপর এখনতো কোয়ান্টাম মেকানিক্স আমাদের সংস্কৃতিতেই ঢুকে গিয়েছে। ষ্টার ট্র্যাক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সিনেমা ও টিভি সিরিজে কোয়ান্টাম শব্দটি ঢুকে গিয়েছে। শুধু তাই না বাংলাদেশের লোহার টিভি বিজ্ঞাপনেও কোয়ান্টাম শব্দটি ঢুকে গিয়েছে যেমন জিপিএস কোয়ান্টাম। তাছাড়া মেডিটেশনেও কোয়ান্টাম শব্দ ঢুকে গিয়েছে যেমন "কোয়ান্টাম মেথড"!
এত সময় আর এত কিছুর পরেও আজকের ছাত্ররা আমাদের মতোই থ্রিল অনুভব করে বলেই আমার বিশ্বাস। কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে বুঝতে হলে আমাদের একটি সাধারণ পরীক্ষা যা আমরা সবাই বুঝতে পারি, যা দ্ব্যর্থহীনভাবে মাইক্রোস্কোপিক পার্টিকেলের উপরে উল্লেখিত চ্যালেঞ্জিং ও চিন্তা উদ্রেককারী বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদর্শন করতে সক্ষম। তেমনি একটি এক্সপেরিমেন্টের নাম ইয়ং এর ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট যা পদার্থবিজ্ঞানের সকল ছাত্ররা ইতিমধ্যেই খুব ভালোভাবে পরিচিত হয়।
১৮০৩ সালে ইউংয়ের ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে আলো যে ওয়েভ সেটি প্রমাণিত হয়। ইয়ং কত চালাক ছিলেন। তিনি একটি সোর্স থেকে দুটি সোর্স বানিয়ে সেখান থেকে নির্গত আলোর ইন্টারফেরেন্স ঘটিয়ে এক গুচ্ছ পর্যায়ক্রমে ডার্ক আর ব্রাইট ফ্রিঞ্জ পান। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের wired কন্সেপ্টগুলোকে বোঝার জন্য ফাইনম্যান তারপর খুবই চমকপ্রদ একটি আইডিয়া দেন। ফাইনম্যান ইলেকট্রন দিয়ে ডাবল স্লিট পরীক্ষা করার প্রস্তাব দেন। শুধু তাই না তিনি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি করে ইলেক্ট্রন বা একটি করে ফোটন দিয়ে এটি করার প্রস্তাব দেন এবং পথিমধ্যে তাদের গতিপথ জানার জন্য তারা কোন স্লিট দিয়ে যাচ্ছে সেটি সনাক্তেরও প্রস্তাব দেন।
ফাইনম্যানের পৃথক ইলেকট্রন বা ফোটন দিয়ে ডাবল স্লিট পরীক্ষা কোয়ান্টাম পার্টিকেলের wired আচরণ বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আমাদেরকে মাইক্রোস্কোপিক কণার অদ্ভুত আচরণকে পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে সহায়তা করে। কত ভাবে ইউংয়ের এক্সপেরিমেন্ট করা যায় তা আরেকবার ব্যক্ত করা প্রয়োজন। আমরা একবার উপরের স্লিট, তারপর নিচের স্লিট বন্ধ করে ইউংয়ের পরীক্ষাটি আলো পাঠিয়ে করতে পারি। আমরা আলোর স্থলে ইলেক্ট্রন, ফোটন, বাকিবল (৬০টি কার্বন পরমাণু নিয়ে গঠিত buckyball) পাঠিয়ে করতে পারি। আমরা এইসব পার্টিকেলকে একটি একটি করে পাঠিয়েও করতে পারি। একটি স্লিট বন্ধ রেখে আলো পাঠিয়ে আমরা যেই প্যাটার্ন পাই আলোর স্থলে ইলেক্ট্রন, নিউট্রন ইত্যাদি পাঠিয়েও আমরা একই প্যাটার্ন পাই। কিন্তু এই এক্সপেরিমেন্টটি চিত্তাকর্ষক হয় আমরা যদি একটি একটি করে ইলেক্ট্রন বা ফোটন পাঠাই।
প্রথমে আমরা একটি একটি করে ইলেক্ট্রন বা ফোটন একটি স্লিট বন্ধ রেখে পাঠিয়ে দেখতে পাই আলোর সিঙ্গেল স্লিট এক্সপেরিমেন্টের প্যাটার্নের মতই প্যাটার্ন পাই। This is already WOW! এইবার দুটি স্লিটই খোলা রেখে একটি একটি করে ইলেক্ট্রন পাঠাই এবং স্ক্রিনে যদি ডিটেক্টর রাখার ব্যবস্থা রাখি যাতে কোথায় কোন ইলেক্ট্রন পড়ল তার দেখার ব্যবস্থা থাকে দেখতে পাই ইলেক্ট্রনগুলো স্ক্রিনে রেন্ডমলি বা এলোমেলো স্থানে পড়ছে। আমরা যদি কোথায় কতগুলো ইলেক্ট্রন ডিটেক্টেড হলো তা গণনা করি তাহলে দারুন মজার ব্যাপার ঘটে। দেখা যায় পর্যায়ক্রমিক ডার্ক আর ব্রাইট ফ্রিঞ্জ এর মত একটি প্যাটার্ন দাঁড়ায়। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ডার্ক সেখানে কোন ইলেক্ট্রনি এসে পৌঁছায়নি। আলো যেই প্যাটার্ন তৈরী করেছিল হুবহু সেইরকম প্যাটার্ন। এতে প্রমাণিত হয় ইলেক্ট্রন তরঙ্গের মত আচরণ করছে।
এইবার যদি স্লিটের পাশে এমনভাবে ডিটেক্ট বসাই যাতে কোন ইলেক্ট্রন কোন স্লিট দিয়ে যাচ্ছে তা দেখতে চাই তাহলে কি ঘটে? যেইমাত্র ইলেক্ট্রনের গতিপথ আমরা সনাক্ত করে ফেললাম তারপর আর আমরা এটি প্রমান করে হলো আমরা ডার্ক ব্রাইটের প্যাটার্ন পাই না। অর্থাৎ ইলেক্ট্রনের তরঙ্গ চরিত্রের বিলুপ্তি ঘটে। আবার একটা একটা ইলেক্ট্রন পাঠালে স্ক্রিনে ডিটেক্ট করলে দেখি একটা নির্দিষ্ট স্পট। অর্থাৎ ইলেক্ট্রন তখন একটা পার্টিকেল আকারে ডিটেক্টেড হয়। একটি একটি করে পাঠালে individually কোন ইলেক্ট্রন স্ক্রিনের কোথায় আসলো সেটা দেখলেও কিছু বোঝা যাবে না। অর্থাৎ ইন্ডিভিজুয়াল ঘটনা দেখে প্যাটার্ন বোঝা যাবে না। কিন্তু মিলিয়ন বিলিয়ন মিলিয়ন ইলেক্ট্রন পাঠালে একটি প্যাটার্ন emerge হয়। এটি যেন ১০০০ হাজার মানুষ বসতে পারে এমন একটি সিনেমা হলে দর্শকদের টিকিটে কোন আসন নম্বর না দিলেও সকলেই যে জানে কে কোথায় বসতে হবে এবং ১০০০ জনই একদম সুশৃঙ্খল বসে যাওয়া। ইলেক্ট্রনগুলোর এইরকম অর্কেস্ট্রেটেড আচরণ বুদ্ধিমান বাঙালি দাড়াও সম্ভব না। ওই সিনেমা হলের কথাই যদি বলি সেখানেতো কে সামনে কে পেছনে বসবে এইগুলো নিয়ে রীতিমত মারামারি বেঁধে যেত।
এই এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে আমরা বুঝলাম একা একটি বা কয়েকটি ইলেক্ট্রন নয়। আমাদের অসংখ্য ইলেক্ট্রনের ডিস্ট্রিবিউশন ফাঙ্কশন চিন্তা করতে হবে। যা ওয়েভ ফাঙ্কশনের মত। এই এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে কোয়ান্টাম entanglement ও বোঝা যায়। ইলেক্ট্রনের গতিপথ এমন যে এইটা একটা মিক্সড স্টেটে থাকে। কোনভাবে যদি আমরা একটি ইলেক্ট্রন কোন স্লিট দিয়ে যাচ্ছে জেনে যাই সাথে সাথেই অন্য স্লিট দিয়ে যে যায় নাই সেটাও নিশ্চিত হয়ে যাই। দুটো স্লিট যেন entangled স্টেটে আছে। দারুন জিনিস না?
গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের একটি বিষয় হলো কমপ্লেক্স সিস্টেম। জর্জিও পারিসি এই কমপ্লেক্স সিস্টেমের জন্যই নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। কমপ্লেক্স সিস্টেম কাকে বলে? যেই সিস্টেমে অনেক এজেন্ট বা বস্তু থাকা যারা নিজেদের মধ্যে ইন্টারেক্ট করতে পারে। এই ইন্টারঅ্যাকশনের ইন্ডিভিজুয়াল এজেন্ট বা বস্তুকে স্টাডি করে পুরো সিস্টেম সম্মন্ধে জানা যায় না। ইন্ডিভিজুয়ালের আচরণের মাধ্যমে একটি নতুন আচরণ এমার্জ করে যা ইন্ডিভিজুয়ালের আচরণে অনুপুস্থিত। ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্টে একটা একটা করে ইলেক্ট্রন ছুড়েও একটি এমার্জেন্ট behaviour এমার্জ করে যা ইন্ডিভিজুয়াল ইলেক্ট্রনের আচরণ থেকে বোঝা অসম্ভব। তাই কোয়ান্টাম মেকানিক্স একটি কমপ্লেক্স সিস্টেম।
জীবনে চলার পথে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কমনসেন্স আমাদের থাকা জরুরি। লেখাটি ফেসবুক থেকে পাওয়া, তবে লেখকের নাম পাইনি।।
- পেশাগতভাবে অত্যন্ত জরুরি না হলে অপরিচিত কাউকে রাত দশটার পরে কল দেবেন না।আপনার পার্সোনাল লাইফ না থাকতে পারে, তার আছে। সেটাকে সম্মান করুন।
-লেখকের কাছ থেকে জোর করে সৌজন্য কপি আদায় করবেন না।পরিচিত বা অপরিচিত কেউ কোনো ব্যবসা খুললেই ফট করে তার কাছে গিয়ে ডিসকাউন্ট দাবী করবেন না। সে দানছত্র খুলেনি, বা আপনি তার তালই লাগেন না যে নক করামাত্র আপনাকে ডিসকাউন্ট দেবে। যদি সে নিজে থেকে অফার করে বা প্রচার করে সেক্ষেত্রে রিকোয়েস্ট করতে পারেন। এই যে নতুন ব্যবসা দেখকেই স্ট্রেইট ডিসকাউন্ট চেয়ে বসা, এই ফকিন্নিমার্কা স্বভাব অত্যন্ত বিরক্তিকর।
-খুব ক্লোজ সম্পর্কের না হলে কারো স্ত্রী/স্বামী/পার্টনার নিয়ে কৌতুহল দেখাবেন না, এ নিয়ে জোক করবেন না।
-অনুমতি না নিয়ে অপরিচিত কাউকে মেসেঞ্জারে হুট করে অডিও/ভিডিও কল দেবেন না।
-একবার কল দিয়েছেন, কেটে দিয়েছে মানে সে ব্যস্ত আছে। একের পর এক কল দিতেই থাকবেন না, যদি না জীবন মরন সমস্যা হয়।
-কে বিয়ে করেছে, কবে করবে, কবে সন্তান নেবে, এখনও সন্তান নেয় না কেন- এইগুলা নান অফ ইয়োর বিজনেস।যাদেরটা তাদের ভাবতে দিন।
-দুই বন্ধু/বান্ধবী হয়ত খুনসুটি করছে কমেন্ট চালাচালির মাধ্যমে, এর মধ্যে বাম হাত ঢুকিয়ে উটকো মন্তব্য করবেন না। যদি তাদেরকে চেনেন এবং তাদের সাথে হাসিঠাট্টার সম্পর্ক থাকে, সেক্ষেত্রে আলাদা কথা।
-"এত শুকায়ে গেসেন/মোটা হয়ে গেসেন"- এইগুলা গ্রিটিং না, ইতরামি। অপরিচিত, এমনকি পরিচিত মানুষের ফিজিকাল ফিচার নিয়ে মন্তব্য করাও খুব নীচ কাজ। এগুলো থেকে বিরত থাকুন।
-অন্যের লেখা কপি-পেস্ট করে নিজের নামে চালিয়ে দেবেন না, লেখকের নাম জানা থাকলে একেবারে প্রথম লাইনে লিখুন যাতে লেখাতই পড়ার শুরুতেই পাঠক জানতে পারেন মূল লেখক কে। অন্যের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দেয়া আর অন্যের জমিতে নিজের নামের সাইনবোর্ড দিয়ে মালিকানা দাবী করা একই রকম অপরাধ [ কৃতজ্ঞতাঃ জাভেদ ইকবাল]
-রোজার মাসে মেয়েরা রোজা আছে কিনা, না থাকলে বাঁকা হাসি দিয়ে কেন নাই তা জিজ্ঞাসা করা যাবেনা। আমরা সবাই জানি, মেয়েরা রোজার মাসে কেন রোজা রাখেনা- আমরা কেউ পশ্চাদ্দেশ দিয়ে ভূমিষ্ট হইনি [তানিয়া আহমেদ]
-অন্যের ফ্রেন্ড লিস্টে গিয়ে সুন্দরী মেয়ে খুঁজে খুঁজে হুট করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। চেনাপরিচয় না থাকুক, অন্ততঃ কিছুটা আলাপচারিতা হবার পর বা কমেন্ট আদান প্রদান করার পর করা যেতে পারে।
-ধরা যাক দুজন বন্ধু-বান্ধবী-ক্লাসমেট কারো ওয়ালে এসে মজা করছে, ডার্লিং ইত্যাদি বলছে। এরকম আলাপচারিতায় নাক গলানোর আগে আরেকবার ভাবুন। যদি আপনার ঘনিষ্ট না হয়, ধুম করে তাদের ভেতরে না ঢোকাই ভাল।
-সদ্যবিবাহিত কিন্তু তেমন পরিচিত নয় এমন কাউকে সে কবে বাচ্চা নেবে জিজ্ঞাসা করবেন না। অপরিচিত কাউকে এই প্রশ্ন করার আরেকটা মানে হচ্ছে তাদের রতিক্রিয়া কেমন চলছে এইটা জানতে চাওয়া।মনে হয়না এইটা জানা আপনার জন্য জরুরি।
-রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করার পর কিছুদিন হাই-হেলো করে ধুম করে জিজ্ঞাসা করবেন না তার সেক্স লাইফ কেমন, শরীর জাগে কিনা, সেক্স উঠলে সে কি করে। মিউচুয়াল কনসেন্ট বা পারস্পরিক সম্মতিতে যা ইচ্ছা করা যায়, কিন্তু হুট করে করা যায়না। [অরুন্ধতী প্রমা]
-একটা জিনিস শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছি- বিবাহিতা নারীদেরকে নাকি জিজ্ঞাসা করে অনেকে তার স্বামী ঠিকমত "করতে" পারে কিনা। একজন বিবাহিতা নারীর স্বামীর পারফর্মম্যান্স নিয়ে অপরিচিত কারো আগ্রহ থাকতে হলে কোন লেভেলের পারভার্ট হতে হয় এইটা নির্ণয় করা আমার পক্ষে অসম্ভব। খুলনার ভাষায় বলতে গেলে- "এই বিটাছেলেদের জায়গামত দয়ার গুঁড়ো ঘইষে দিতি হয়" [মূলঃনাহার রুবাইয়া]
-কারো পেশা কি শুনেই অযাচিতভাবে ফ্রি সেবা নিতে চাইবেন না। বিশেষ করে ডাক্তার দেখলেই "ভাই আপনি ডাক্তার? বলেন তো ভাই এই রোগে কি করব?" বলে ওঠা ঠিক না। জিজ্ঞাসা করতে হলে বিনয়ের সাথে বলুন উনার সময় আছে কিনা, তারপর উনার চেম্বারের ঠিকানা নিয়ে সেখানে পেশাদারভাবে দেখা করুন। ডাক্তাররা অনেকেই পরিচিতদের ফ্রি-তে দেখে দেন সামাজিক অনুষ্ঠানে। মনে রাখবেন, এটা তাঁদের বদান্যতা, আপনার অধিকার না। উকিলদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। চারুকলায় পড়া বন্ধুটিকে ফ্রি-তে ডিজাইন করে দিতে বলবেন না, লেখককে ফ্রি-তে আপনার ছেলের মুসলমানির কার্ডের জন্য কবিতা লিখে দিতে বলবেন না। [মূলঃ মিতি নাজনীন]
- মেসেঞ্জারে প্রতিদিন ওয়াজ-নসিহত, পূজা-অর্চনা পদ্ধতি, "এইটা দশ জনকে না পাঠাইলে আপনার প্রজননযন্ত্র সামনে থেকে পেছনে চলে যাবে"- এইগুলো পাঠাবেন না। আজ পর্যন্ত এই জাতীয় মেসেজ ফরওয়ার্ড না করায় কারও ওইটা পেছনে চলে গিয়েছে বলে শোনা যায়নি। [মূলঃমহিউদ্দিন খালেদ]
- বইপ্রিয় মানুষের কাছে বই ধার চাইবেন না। একজন বইপড়ুয়ার কাছে তার বই সন্তানের মত প্রিয় এইটা মাথায় রাখুন। আপনি নিজেও যদি বইপড়ুয়া হওন এবং তার সাথে যদি সেরকম ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকে- সেক্ষেত্রে চাইতে পারেন, তাও চাওয়া উচিত না।
-ধরা যাক একজন ফেসবুক এবং মেসেঞ্জার ডিএকটিভ করেছিল, তখন আপনি তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নাই। সে ফেরত আসার পর ইনবক্সে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন না কেন সে আপনাকে ব্লক দিয়েছিল। সে আপনাকে ব্লক দেয়নাই, বা দিলেও আনব্লক করেনাই। তার এত সময় নাই।
-"এইটা নিয়ে লিখেছেন, ওইটা নিয়ে লিখেন নাই কেন"- এই জাতীয় প্রশ্ন করে কাউকে বিরক্ত করবেন না। যিনি লিখছেন, তিনি কি লিখবেন না লিখবেন পুরোটাই তাঁর ইচ্ছা। আপনার যদি কোনও বিষয় নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে নিজে লিখুন না! এটা ঠিক, অনুরোধ করা যেতে পারে যেন একজন লেখক একটা স্পেসিফিক বিষয় নিয়ে লিখেন। অনুরোধ আর তাগাদা এক জিনিস না, লেখক আপনার কথা শুনতে বাধ্য নন এটা মনে রাখুন।
-গভীর রাতে কাউকে অনলাইন দেখলে (যার সাথে তেমন ঘনিষ্টতা নেই) জিজ্ঞাসা করবেন না সে এত রাতে অনলাইনে কি করে। ধরা যাক সে তার প্রিয়তমের সাথে দুষ্টু দুষ্ট কথা বলছে, তাতে আপনার কিছু যাওয়া আসা উচিত না। [মূলঃ জাকিয়া সুলতানা]
-কে সারাদিন রেস্টুরেন্টে খায়, কে সারাদিন জামাইয়ের ছবি দেয়, এগুলো নিয়ে তাকে বিরক্ত করবেন না। কেউ জামাইয়ের সাথে ছবি দিলেই তার সংসার ভাল আর না হলে সে পরকীয়া করে- এই ধারণা থেকে বের হোন। কারো রেস্টুরেন্ট চেক-ইন দেখে বিরক্ত লাগলে চুপচাপ আনফলো করে রাখুন, সে তো আপনাকে বাধ্য করেনাই তার টাইমলাইন দেখতে! [ মূলঃ আদিবা ঐশী]
-লেখকের নাম জানলে কালেক্টেড/ সংগৃহীত/কপিড/ফ্রম ফেসবুক এইগুলা লিখবেন না। পোস্ট/ছবি/মিমের স্বত্বাধিকারীকে না পেলে তবেই এরকম লিখবেন এবং তার পরিচয় জানামাত্র সেটা উল্লেখ করে দিবেন।
-কিছু কিছু নির্লজ্জ্বকে দেখি অন্যের লেখা কপি করেই থামেনাই, কমেন্ট সেকশনে যখন অন্যেরা প্রশংসা করছে লেখাটির সেখানে গিয়ে নিজেই লেখক এমন ভাব নিয়ে ধন্যবাদও জানাচ্ছে। এদের ক্ষেত্রেও একই সূত্রঃ নপুংশক যেমন অন্যের রতিক্রিয়া দেখে মনকলা খায়, এরাও তাই।
-"এত বছর বাচ্চা নাওনি কেন"- বলে আপনার চোদ্দ পুরুষের কার কার বাচ্চা হয়নাই এই গল্প করতে আসবেন না। [লায়লা ফারহানা অরিন]
- বিয়ে করাটাই একজন নারী বা পুরুষের জীবনের সর্বোচ্চ মোক্ষলাভ নয়- এটা মাথায় রাখুন। অমুক মেয়ে বিয়ে না করে বিদেশ গিয়েছে মানে সারাদিন সে ইউরোপিয়ান ছেলেদের সাথে শুয়ে বেড়ায়, অমুক ছেলে এখনও বিয়ে করেনাই মানে তার ফিজিক্যাল প্রবলেম আছে- এইরকম নোংরা ইংগিত দেয়া থেকে বিরত থাকুন। যে মেয়েটাকে ভাবছেন শুয়ে বেড়াচ্ছে, দেখা যাবে সে নেচারে আর্টিকেল পাবলিশ করছে যা আপনার বাপ দাদা চোদ্দ পুরুষ করেনাই। আর যদি সে শুয়েও বেড়ায়, তাতে আপনার বলার কিছু নাই। যে ছেলেটাকে দেরিতে বিয়ে করছে দেখে নপুংশক বলে মজা নিচ্ছেন, দেখা যাবে যেই ছেলেটা হয়ত নিজের লাইফ স্যাক্রিফাইস করছে বৃদ্ধ বাবা মা ভাই বোনকে টানতে।আরেকটা কথা, ফিজিক্যাল সমস্যা কখনোই লজ্জার কিছু না। এখানে উদাহরণগুলো দিয়েছি যাতে কারো কারো মোটা খুলিতে কথাগুলো ঢোকে।
-কেউ সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যায় মানে সে পাগল না। ডিপ্রেশন ভয়াবহ জিনিস, কারো এটা হলে সে হেল্প নিতেই পারে, এতে লজ্জার কিছু নাই। এইটা নিয়ে ফাইজলামি করা বন্ধ করুন।
-ঈদ/নববর্ষ ইত্যাদির সময়ে বাল্ক মেসেজ (একসাথে একই মেসেজ দুইশ জনকে দেয়া) পাঠাবেন না। বিজনেস/অফিসিয়াল ক্ষেত্রে ঠিক আছে, কিন্তু যার সাথে আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক তাকে আরও দুইশ জনের মত করে একটা মেসেজ ছেড়ে দিলে বরং অপমানই করা হয়, ওর চাইতে না পাঠানো ভালো। দুই লাইন লেখার মত সময় যার প্রতি আপনার নাই, তাকে আলগা পিরিত না দেখালেও চলবে।
-সমমনা/পরিচিত না হলে আপনার লেখা কবিতা (যেমনঃ "তেঁতুল গাছে পড়ল ঠাডা, বন্ধু তুমি আমার কেডা?") বা ছবিতে অপরিচিত জনকে ট্যাগ করে বিরক্ত করবেন না।
-বাস/ট্রেন/প্লেনে আপনার শিশুটি যখন সর্বশক্তিতে চিল্লিয়ে বাকি সবার ঘুমের বারোটা বাজাচ্ছে তখন তাকে শান্ত করার চেষ্টা না করে নির্বিকার থাকবেন না।[বিশেষ অসুবিধা/অসুস্থতা/ক্লিনিকাল হাইপারএ্যাক্টিভিটি হলে আলাদা কথা]
-জিমে গিয়ে মেশিনের উপর বসে মোবাইল টিপে অন্যকে মেশিনটা ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবেন না।
-টয়লেট থেকে বের হবার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে টয়লেটের গায়ে আপনার রেখে যাওয়া কোনও উপহারের চিহ্ন রয়ে যায়নি।
-সবার সামনে দাঁত/কান/নাক খুঁটাবেন না।
-ডিউডোরেন্ট ব্যবহার করুন প্লিজ। আপনার গা থেকে বের হওয়া গান্ধীপোকা টাইপ গন্ধ বাকিদের জন্য অসহ্যকর।
-হুট করে একজনের বাসায় প্রথমবারের মত গিয়েই তার বেডরুমে উপস্থিত হবেন না।
-কার্পেট থাকলে জুতো খুলে বাসায় ঢুকুন।আপনার ধূলোবালিমাখা জুতো পরিষ্কারের নিমিত্তে গৃহকর্তা পাপোষ রেখেছেন, কার্পেট না।
-খাবার টেবিলে একাই বেছে বেছে কাচ্চির সব মাংস আর আলু নিয়ে নেবেন না।টেবিলে আরো মানুষ আছে এইটা মাথায় রাখুন।
-পরিচিত না হলে ফট করে কারো ম্যারিটাল স্ট্যাটাস জানতে চাবেন না।
-যখন গ্রুপে ঘুরতে গিয়েছেন, এইটা খাবেন না ওইটা খাবেন না বলে পুরো গ্রুপের ঘোরাঘুরির বারোটা বাজাবেন না।
-হালাল খেতে চান ভালো কথা, তবে হালাল মাংস খাওয়ার পর স্ট্রিপ ক্লাবে বা বিয়ারের বোতলের জন্য মুলোমুলি করবেন না।
-অনলাইনে আছে দেখেই অপরিচিত মানুষকে হুট করে কল দেবেন না।
-বয়েসে ছোট হলেই বিনা পরিচয়ে তুমি ডাকা শুরু করবেন না।
-কারো পেশা কি এইটা শোনামাত্র ওই পেশার কোন কেষ্ট বিষ্টু আপনার বাসায় চিংড়ির চচ্চড়ি খেতে আসেন সেই গল্প শোনাবেন না।
-ইনায়ে বিনায়ে অপরিচিত মেয়েদের বয়েস জিজ্ঞাসা করবেন না ( আপনার এইচ এস সি কত সালে?)
-ধুম করে ফোন নাম্বার চাইবেন না, ফেসবুকে এ্যাড করবেন না। ইমেইল এ্যাড্রেস চাওয়া যেতে পারে, সেটাও একটা সুনির্দিষ্ট পর্যায়ের পরিচয়/কথোপকথনের পরে।
-টাকলা ভাষায় মেসেজ দিবেন না, অন্ততঃ সোশাল মিডিয়াতে। মেজর টার্ন অফ।
-চেনেন না জানেন না নিয়ম করে সকাল দুপুর রাত্রে অপরিচিত কাউকে কি করেন, কই আছেন এখন, খেয়েছেন, এখন কি করবেন- এইসব আজাইরা প্রশ্ন করবেন না।
-আপনার "ওইটার" ছবি অপরিচিত মেয়েদের পাঠাবেন না। আপনার লাইফ এতই প্যাথেটিক যে অপরিচিত মেয়েদেরকে ওই জিনিস পাঠিয়ে মনে মনে সুখ নিতে হয়-এর মানে হচ্ছে ওইটা সম্ভবত মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখতে হয়।
-ইনায়ে বিনায়ে হুট করে কেউ বিবাহিত কিনা/স্বামী কি করে এইসব জানতে চাইবেন না।
-আপনার পোস্টে কমেন্ট করেছে/ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছে/লাইক/লাভ দিয়েছে মানে এই না যে আপনার সাথে শুতে চাইছে। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছে দেখেই বিয়ের বাজার বা হানিমুনের রিসর্ট বুকিং দেয়া বন্ধ করুন।
-ঘনিষ্ট না হলে ঘাড়ে/গায়ে হাত দেবেন না, ধুম ধাম হাগ দেবার চেষ্টা করবেন না।
-হাগ দেবার সময় ভদ্রতা বজায় রাখুন, বিশেষ করে মেয়েদের সাথে।একটা মেয়ে জন্ম থেকেই জানে কোনটা ভাল স্পর্শ আর কোনটা খারাপ।
-মেয়েদের সাথে হ্যান্ডশেক করতে গেলে হ্যান্ডশেকটাই করুন, হ্যান্ড "গ্র্যাব" না।খপ করে হাত ধরে বসে থাকবেন না।
-আপনি কোন দিকে চোখ দিচ্ছেন একটা মেয়ে খুব ভালভাবেই জানে।দৃষ্টি সংযত করুন।
-যদি সন্দেহ হয় বিন্দুমাত্রও যে এটা বললে/করলে কেউ অফেন্ডেড হতে পারে- বিরত থাকুন।
-অন্যের প্রফাইলে গিয়ে সেখান থেকে অপরিচিত মেয়েদের কমেন্ট দেখামাত্র ধুম করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না।
-প্রেমিক প্রেমিকা টুরিস্ট স্পটগুলোতে গিয়ে হাত /কাঁধ জড়িয়ে হাটতেই পারে।ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকবেন না।মাইন্ড ইয়োর ওউন বিজনেস।
-ডিভোর্সী মেয়ের "কেমনে চলে" এইটা তারে জিজ্ঞাসা করবেন না।সে কার সাথে কি করে তা আপনারে জানানোটা তার দায়িত্ব না।
-কে মোটা হয়ে গেসে, কারে ভয়ঙ্কর লাগতেসে এইটা তারে বলতে যাবেন না।আপনারটা খেয়ে তার ওজন বাড়েনাই।
-গুগলে জানা যায় এমন প্রশ্ন জানতে চাইবেন না।
অন্যের খেয়ে দেয়ে মেলা কাজ আছে। নিজে খেটে খেতে শিখুন।
-প্রথমদিকের ফেন্ডশিপকে আলগা ঘনিষ্ঠ করতে হুটহাঠ কোন মেয়েকে (😘😘) এই ইমোটি পাঠাবেন না। সম্পর্ক ভাল হলে পরে পাঠানো যাবে। কিন্তু এইটা দিয়ে প্রথমেই আলগা পিরিত দেখাবেন না।
-"তোমার বফ কি করে","আমি মেবি বিরক্ত করতেসি তোমার স্পেশাল কারো সাথে চ্যাট করতে" টাইপ কথা বলবেন না।
-এখনো বিয়ে করো না কেন?? বয়স চলে যাচ্ছে।কবে দাওয়াত পাবো?? এসব বলা থেকে বিরত থাকুন।সে আপনারটা খাচ্ছে না।আপনার ঘাড়ে ও বসে নাই।😡
-বাঙালি মেয়ে বিদেশে গিয়ে বিকিনি পরে ছবি দিয়েছে মানে এই না যে সে আপনার ভোগ্যপন্য। বেশি বায়ূ উঠলে হস্তরাজের স্মরণ নিন।
-কারও স্যালারি জিজ্ঞেস করবেন না।
-ধর্মীয় কাজ (নামাজ,রোজা,পুজা) এসব নিয়ম করে করে কিনা এগুলোও জানতে চাইবেন না।
-বিয়ের পর কে বাচ্চা নিবে,কে নিবে না, কোন জামাই-বউ নিজেদের সাথে থাকবে নাকি থাকবে না এসব জিজ্ঞেস করবেন না বা এসবে নাক গলাবেন না।
-অন্যের ছেলে-মেয়ে কোন জায়গায় পড়ে,কেমন রেজাল্ট করে,কী কী সার্টিফিকেট আনলো এসব নিয়ে কথা বলা বন্ধ করুন।ঘনিষ্টজনদের ক্ষেত্রে অবশ্য করা যায়।
-কে বিয়ে করবে বা কে বিয়ে করবে না এসব নিয়ে সব খানে লেকচার দেয়া থেকে বিরত থাকুন। আর আড়ালে গিয়ে বিয়ে না করে শরীরের জ্বালা কেমনে মিটায় এ জাতীয় পারভার্টেড আলাপ,আড্ডা এসব থেকে দূরে থাকুন।
-আমার খারাপ লাগছে,আমি কী করব, মন ভাল না এসব বলে জায়গায় জায়গায় মানুষজনের অ্যাটেনশন পাওয়ার চেষ্টা থামান।
-কোন ওয়ার্কশপ,সেমিনার,ফেস্ট,ট্রেনিং প্রোগ্রাম এসব জায়গাকে বিয়ে লাগানোর জায়গা, ছেলে-মেয়ে খোঁজার জায়গা বা কাউকে ধরে প্রেমে ঝুলে পড়ার জায়গা ভাবা থেকেও বিরত থাকুন,প্রফেশনাল হওয়ার চেষ্টা করুন। যে কাজে যেখানে যাচ্ছেন তার বাইরে অন্য কোন আবেগী স্রোতে ভেসে যাবার চেস্টা বন্ধ করুন।
পরিশেষে আপনার বাবা-মা হয়ত চেষ্টা করেছিলেন ভদ্রতার শিক্ষা দিতে। কাজ হয়নি দেখে ওই কাজে আমাদের মত মানুষজনকে হাত দিতে হল।
সর্বশেষ কথাঃ ভাল হোন, ভাল হইতে পয়সা লাগে না।
নিউজফিড থেকে কালেক্ট করা একট লিখা যা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে কথা বলতে হবে পবিত্র কোরআনের কাছ থেকে শিখিঃ
১. কথা বলার পূর্বে সালাম দেয়া। (নূর, ৬১)
২. সতর্কতার সাথে কথা বলা (কেননা প্রতিটি কথা রেকর্ড হয়) (ক্বফ, ১৮)
৩. সুন্দরভাবে ও উত্তমরূপে কথা বলা। (বাক্বারাহ, ৮৩)
৪. অনর্থক ও বাজে কথা পরিহার করা। (নূর, ৩)
৫. কন্ঠস্বর নিচু করে কথা বলা। (সূরা লুকমান, ১৯ ও হুজুরাত, ২ - ৩)
৬. বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলা। (নামল, ১২৫)
৭. সঠিক কথা বলা ও পাপ মোচনের দোয়ার উন্মুক্ত করা। (আহযাব, ৭১ - ৭২)
৮. গাধার মত কর্কশ স্বরে কথা না বলা। (লুকমান, ১৯)
৯. উত্তম কথা বলে শত্রুকেও বন্ধুতে পরিণত করা। (হা- মীম সাজদাহ, ৩৪)
১০. উত্তম কথায় দাওয়াত দেয়া। (হা- মীম সাজদাহ, ৩৪)
১১. ঈমানদারদের কথা ও কাজ এক হওয়া। (ছফ, ২)
১২. পরিবারের সদস্যদের প্রতি ক্ষমারনীতি অবলম্বন করা। (আ'রাফ, ১৯৯)
১৩. মেয়েরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয়ও কোমল ভাষায় কথা না বলা। (আহযাব, ৩২)
১৪. মূর্খ ও অজ্ঞদের সাধ্যমত এড়িয়ে চলা। (ফুরকান, ৬৩)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদেরকে তার নির্দেশ মোতাবেক চলার তাউফিক দান করুন, আমিন।
তিনারা রাগ করেন না।।🤦♂️🤦♂️
RAUFUL ALAM
রসায়নে এবার নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে যে তিনজনকে, তাদের একজন হলেন প্রফেসর বেরি শার্পলেস।
শার্পলেস সম্পর্কে আমি প্রথম জানতে পারি ২০০১ সালের নোবেল পুরস্কারের সংবাদ থেকে। তিনি সে বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন যে বিষয়ে, সে বিষয়টা গভীরভাবে বুঝতে পারি তার প্রায় ৮-৯ বছর পর। যখন স্টকহোম ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা শুরু করি তখন। এসিমেট্রিক ক্যাটালাইসিস—অর্গানিক কেমেস্ট্রির একটা গুরুত্বপূর্ণ শাখা। শার্পলেস ২০০১ সালে নোবেল পেয়েছিলেন সে শাখায়। গত বছর (২০২১) যে দুজন কেমিস্ট নোবেল পেয়েছেন তারাও একই শাখায় নোবেল পেয়েছেন। তবে সেটাকে আরো স্পেসিফিক ভাবে আমরা বলি “এসিমেট্রিক অর্গানো ক্যাটালাইসিস”। অর্থাৎ ধাতব মৌলের পরিবর্তে জৈব যৌগকে ক্যাটালিস্ট হিসেবে ব্যাবহার করে স্টেরিও সিলেক্টিভ বিক্রিয়ার পদ্ধতি। পিএইচডির সময় আমার শেষ দুইটা প্রজেক্ট ছিলো এসিমেট্রিক অর্গানো ক্যাটালাইসিসের উপর। একটা কাজ পাবলিশ করেছিলাম JACS এবং অন্যাটা Angewandte Chemie জার্নালে।
শার্পলেস তার যে কাজের জন্য ২০০১ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, সেগুলো (এসিমেট্রিক এপক্সিডেশন ও হাইড্রক্সিলেশন) অনেক আগেই উচ্চতর পর্যায়ের টেক্সট বইয়ে জায়গা করে নিয়েছিলো। মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে সেগুলো পড়তে হয়েছে। তখন তার কাজের সাথে পরিচয় হয়।
স্টকহোম ইউনিভার্সিটির অর্গানিক কেমেস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের সাথে বেরি শার্পলেসের একটা ভিন্ন সম্পর্ক আছে। পিএইচডির সময় সে ডিপার্টমেন্টের যিনি রিসার্চ হেড ছিলেন, প্রফেসর ইয়ান ব্যাকভাল, তিনি পোস্টডক করেছিলেন বেরি শার্পলেসের ল্যাবে। ইয়ান ব্যাকভালের স্টুডেন্ট যিনি এখন রিসার্চ হেড, তিনিও পোস্টডক করেছেন শার্পলেসের সাথে। তাছাড়া আরো দুই-তিনজন প্রফেসর ছিলেন যারা শার্পলেসের সাথে কাজ করেছেন। সুতরাং শার্পলেস সম্পর্কে যতটুকু বইয়ে পড়েছি, তারচেয়ে বেশি গল্প শুনেছি। সুপারভাইজরদের নিয়ে গল্প—সাইন্টিফিক এরিয়াতে এটা খুবই কমন একটা কালচার।
শার্পলেস কাজ করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্ট্রিটিউটে(TSRI)। স্ক্রিপস হলো বায়োম্যাডিকেল রিসার্চের জন্য জন্য দুনিয়ার বিখ্যাত এক প্রতিষ্ঠান।
২০০১ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কয়েক মাস আগে Angewandte Chemie জার্নালে তিনি একটা রিভিউ আর্টিকেল প্রকাশ করেন। সেই আর্টিকেলে প্রথম “ক্লিক বিক্রিয়া” টার্মটা ব্যবহার করেন। বুঝানো হয়, এমন রাসায়নিক বিক্রিয়া উদ্ভাবন করতে হবে, যেটা হবে খুবই সিম্পল। অপারেশন হবে সহজ। বিক্রিয়ার সময় বাই প্রোডাক্ট তৈরি হবে কম, ইত্যাদি। বিমানের সিটে বসে দুই পাশ থেকে বেল্ট নিয়ে বাঁধার সময় যেমন ক্লিক করে একটা শব্দ হয় এবং বেল্ট লেগে যায়, ঠিক তেমনই সহজ হতে হবে। সহজ কথায়, কাকলি ফার্নিচারের মতো—দামে কম মানে ভালো!
শার্পলেস ক্লিক বিক্রিয়ার স্বপ্ন দেখেছেন ঠিকই, কিন্তু তখনও (২০০১) সে ধরণের বিক্রিয়া তিনি উদ্ভাবন করতে পারেননি। ঠিক এক বছর পর (২০০২ সালের জুলাই মাসে) তার ল্যাব থেকে একটা রাসায়নিক বিক্রিয়ার পদ্ধতি Angewandte Chemie জার্নালে প্রকাশিত হয়। এবং সে বছরের এপ্রিল মাসে, ডেনমার্কের একজন কেমিস্ট, মর্টেন ম্যালডাল ঠিক একই ধরণের বিক্রিয়ার পদ্ধতি প্রকাশ করেন। সহজ ভাষায় বিক্রিটা ছিলো, কপার মৌলকে ক্যাটালিস্ট হিসেবে ব্যবহার করে, ট্রাইয়াজল নামক যৌগ তৈরির বিক্রিয়া।
২০০১ সালে শার্পলেস নোবেল পেলেন। সে বছরই ক্লিক বিক্রিয়ার স্বপ্ন দেখলেন। তার পরের বছরই একটা ক্লিক বিক্রিয়া তার ল্যাবে উদ্ভাবিত হলো। —কিএক্টাঅবস্থা!
এদিকে প্রফেসর ক্যারোলিন বার্টোজি চিন্তা করলেন, রাসায়নিক বিক্রিয়াকে শুধুমাত্র গ্লাস ভায়াল (শিশি) বা টিউবে না করে, লিভিং বডিতে করা যায় কিনা! আমাদের শরীরে তো অসংখ্য রাসায়নিক বিক্রিয়া হচ্ছেই। তাহলে ল্যাবরেটরির রাসায়নিক বিক্রিয়াকে কি করে লিভিং বডিতে করা যায়! সেটার একটা নামও তিনি দিলেন—বায়ো অর্থগোনাল (Bio-orthogonal)! অর্থাৎ যে সকল রাসায়নিক বিক্রিয়াকে কোন প্রকার সমস্যা ছাড়া লিভিং বডিতেও করা যায়, সেগুলো হলো বায়ো অর্থগোনাল রিয়েকশন। মূলত লিভিং বডি হলো গ্লাস ভায়ালের তুল্য। রিয়েকশনকে গ্লাস ভায়ালে না করে লিভিং সিস্টেমে রান করা। বার্টোজি দেখলেন, শার্পলেস এবং ম্যালডাল যে বিক্রিয়ার উদ্ভাবন করেছেন, সেটাকে লিভিং সিস্টেমে করে গবেষণার নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়।
শার্পলেস এবং ম্যালডাল ট্রাইয়াজোল নামাক রাসায়নিক যৌগ তৈরি করলেন কাঁচের শিশিতে (গ্লাস ভায়াল)। আর বার্টোজি কাঁচের শিশি ব্যবহার না করে, সে বিক্রিয়া করলেন জীবন্ত বস্তুর মধ্যে। বিশ বছর পর নোবেল পুরস্কার পেলেন তিনজন। শার্পলেস রাসায়নে দুইবার নোবেল পেলেন।
এ বছর রসায়ন নোবেল পুরস্কার ঘোষণার শিরোনামে দুইটা কি ওয়ার্ড ছিলো—ক্লিক রিয়েকশন ও বায়ো-অর্থগোনাল। ভবিষ্যতে আরো অনেক বিক্রিয়াই তৈরি হবে যেগুলোকে ক্লিক বিক্রিয়া বলা যাবে। বলা যাবে বায়ো-অর্থগোনাল বিক্রায়াও। তাদের কাজ কনসেপচুয়ালি দুইটা শাখারও জন্ম দিয়েছে।
………………………
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Feni
3900
Doctor Para, Feni Sadar
Feni, 3900
This page will provide lectures on Physics, Chemistry, Biology, General Math, Higher Math for Class (9 - 10), and Math, General Science for Class (6, 7, 8).
RANIRHAT
Feni
I am teaching what I am learning . Stay with the likes inshallah We can be a skilled freelancer.
ডাক্তারপাড়া, ফেনী
Feni
BCS Bank Primary Teacher NTRC Other Govt. Job preparation গণিত Special প্রাইভেট বেসিক Math, Class Vi, Vii, Viii, iX-X ম্যাথ IQ Dhaka University IBA MBA প্রশ্ন এবং Question Bank সল...
Biroli, Feni Sadar, Feni
Feni, 3900
যে সৎ হয়, নিন্দা তার কোনো অনিষ্ট করতে পারে না। -------- শেখ সাদী (রহ.)
Shanti Company Road, Feni Sadar, Feni
Feni, 3900
ফেনীর শহরে আপানার ছেলে বা মেয়ের জন্য শ
Feni, 3900
Assalamu Alaikum. "Read on Your God's Name,Who Created You"
Feni
Feni
পরিচালনা : ইসমাইল হোসেন রাজু, সহকারী শিক্ষক, লস্করহাট এস সি লাহা ইন্সটিটিউট, লস্করহাট, ফেনী সদর, ফেনী
Feni, 3900
টিউশন ও টিউটর খুঁজে পাওয়ার সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
In Front Of Guru Chakra Mandir, Mastar Para
Feni, 3900
Tutor:SSC ,HSC ,DEGREE ,BBA, MBA
Feni Govt Computer Institute
Feni, 3907
I'm an Instructor/Lecturer of physics in feni Govt Computer Institute.