Zahir Racer Loft
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Zahir Racer Loft, Sports Event, Bangladesh, Dhaka, feni, Feni.
স্বাস্থ্য ভাবনা
Dr Colin Walker BSc, BVSc, MRCVS, MACVSc (Avian health) এর প্রবন্ধঃ HEALTH MATTERS অবলম্বনে।
কবুতরের সুস্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের চিন্তা ভাবনার শেষ নেই। বিশেষ করে আমরা যারা বছর শেষে কবুতর উড়াই, রেস বা পাল্লা করি অথিবা প্রতিযোগীতায় অংশ নেই তাদের জন্য এই চালেঞ্জটা একটু বেশীই। যেসব লফটে কবুতরের গমানাগম খুব সীমিত অর্থাৎ নতুন কবুতর সংযোজন এবং বিক্রয়ের কারনে বহির্গমন খুব সামান্য সেসব লফটে নিয়মিত কবুতর চেক করে রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসা দেয়া যায়। রোগ সনাক্ত করা এবং চিকিৎসা দেবার এই দিকটা ঠিকমতো সামাল দেবার পর এসব লফটে উন্নত পরিচর্যা, উন্নত মানের খাবার এবনং থাকার জন্য ভালো একটি স্থানের ব্যবস্থা করা হলে স্ট্রেসের সাথে সম্পর্কযুক্ত রোগগুলো থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়। কিন্তু একটি রেসিং লফটে কিংবা ছেড়ে কবুতর পালা হয়ে এমন লফটে প্রতি সপ্তাহে যেখানে একদল কবুতর রেসিং এর উদ্দেশ্য বাইরে যাচ্ছে এবং অনান্য অনেক লফটের কবুতরের সাথে মিশছে, এমন পরিবেশে মিশে তারপর আবার লফটে ফেরত আসছে, অথবা যেসব লফটে নিয়মিত প্রচুর নতুন কবুতর কেনা হয় আবার বেচাও হয় - অর্থাৎ লফট কবুতরের বহির্গমন এবং অন্তঃগমন অনেক বেশী সেসব লফটে হঠাৎ করেই যে কোন সময় রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য খুব সহায়ক পরিবেশ বিরাজ করে।
সংগত কারনেই এসব কবুতরকে সারা বছর ধরে ঔষধ খাওয়াবার চিন্তা করাটা ঠিক নয়। তাই তাদের ভেতর একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বিকাশের চেষ্টা করাটা জরুরী। এই প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদে পাখিদের রোগ থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ভাল যত্ন এবং ওষুধের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বিকাশ লাভ করে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে বছরকে ছয়টি ধাপে ভাগ করে প্রতিটি ধাপে আলাদা আলাদা ভাবে বিশেষ যত্ন নেয়া হলে লফটের কবুতরগুলোর প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে এবং এর ফলে কবুতর পালন সহয হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি। প্রতিটি পর্যায়ের থাকবে নিজস্ব লক্ষ্য এবং প্রতিটি ধাপে ওষুধ ব্যবহারের পদ্ধতি হবে ভিন্ন। পর্যায়গুলি হ'ল:
(১) প্রাক প্রজনন পর্যায়ঃ
লক্ষ্য: স্বাস্থ্যকর স্টক কবুতর নিয়ে প্রজনন মৌসুম শুরু করা।
প্যারাসাইটিক সমস্যাবলী যেমন কৃমি, উকুন, লাইস মাইস ইত্যাদি দূর করার ব্যবস্থা করা এবং যে রোগগুলি পূর্বের প্রজনন মৌসুমে সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিলো সেগুলোর প্রতিরোধী ব্যবস্থা গ্রহন করার কাজটি করা উচিত এই সময়। প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ ভেট চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে কিছু এন্টিবাইওটিকও ব্যবহার করা যেতে পারে এ সময়।
(২) প্রজনন কালীন পর্যায়ঃ
লক্ষ্য: স্বাস্থ্যবান এবং শক্তিশালী বেবী পাওয়া, যাদেরকে জন্মের ২৮ দিনের ভেতর বাবা-মা থেকে পৃথক করা সম্ভব। পাশাপাশি স্টক পাখি বা প্যারেন্টস কবুতরের স্বাস্থ্য এবং অবস্থা বজায় রাখা।
ক্যাংকার বাদে, এ সময়ে অন্যান্য যে সকল রোগ দেখা দেয় তা প্রায়শই প্রজননের জন্য অপ্রতুল প্রস্তুতির প্রতিফলন করে। অর্থাৎ এই সময়ে হওয়া রোগ গুলো বলে দিচ্ছে এই লফট প্রজননের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয় নি।
প্রজননের স্টক পাখিদের চিকিত্সা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যবহৃত বেশিরভাগ ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আবার বাচ্চাদের বয়সের তারতম্য অনুযায়ী প্যারেন্টস কবুতরের পানি গ্রহনের পরিমানেও কম বেশী হয়। এসব কারনে সঠিক ডোজ দেয়া কঠিন হয়ে যায়।
(৩) বেবী আলাদা করন পরবর্তী পর্যায়ঃ
লক্ষ্য: বাবা-মা থেকে পৃথক হওয়া যুবাদের রোগ জীবানুর ভেতর নিয়ন্ত্রিত এক্সপোজারের মাধমে শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বিকাশ এই পর্যায়ের আসল লক্ষ। স্ট্রেস ফ্রি পরিবেশ এবং সাম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে ঔষধের ব্যবহার এড়িয়ে চলে এই লক্ষ অর্জন করা দরকার। সম্ভব হলে সব ধরনের ঔষধের ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া দরকার। এই সময় মৃদু মাত্রার রোগ অনেকটা ছোট খাট টিকা/ভ্যাক্সিনের মতো বাড়ন্ত বেবীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। কেবল মাত্র রোগের কারনে পাখির বৃদ্ধি এবং বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেই চিকিৎসার দিকে অগ্রসর হতে হবে।
এই পর্যায়টি খুব গুরুত্বপূর্ন। মূলতঃ এই সময়েই লফটের বেবীদের ভবিষ্যত সাস্থ্যমান কেমন হবে তা নির্ধারিত হয়ে যায়। এই সময় অতিরিক্ত ঔষধের ব্যবহার বেবীদের প্রাকৃতিক প্রতিরোধী ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয় বা দুর্বল করে দেয়। আবার প্রয়োজনীয় যত্ন ও ঔষধ দেয়া না হলে সুস্থ্য এবং শক্তিশালী বেবী না পাবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। দুই মেরুর পথই পারফর্মিং বেবী না পাবার সম্ভাবনা তৈরি করে। বরং মধ্যপথে পাওয়া যাবে সুস্থ্য শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন বেবী, যা ভবিষ্যতে ভালো পারফর্ম করতে সব থেকে বড় ভুমিকা রাখবে।
(৪) মোল্টিং পর্যায়ঃ
লক্ষ্য: ভালো মোল্টিং এর মাধ্যমে সুক্ষ বুননের পালক উৎপাদন এবং চলমান প্রাকৃতিক প্রতিরোধী ক্ষমতার বিকাশ। এই লক্ষ অর্জিত হয় স্ট্রেস মুক্ত পরিবেশ, ড্রাগ পরিহার, পরিজিবী মুক্তকরন এবং ব্যালেন্সড খাবার এর মাধ্যমে।
যেহেতু কয়েক মাস ধরে অবিচ্ছিন্নভাবে পালকের বৃদ্ধি ঘটে এবং পাখিরা স্বাস্থ্যবান না হলে পালকের গুণগতমান ভালো হয় না, তাই পাখির পালকের পর্যবেক্ষন যেন সময়ের বিবর্তনে পাখির স্বাস্থ্য রেখার ডায়েরী পড়া। পালকগুলি সারা বছরের জন্য স্থায়ী হতে হবে। খারাপ মোল্টিং হলে পালকের মান খারাপ হবে ফলে পুরো মৌসুমের রেস পারফরম্যান্সের বা ওড়ার পার্ফর্মেন্সের সাথে আপস হয়ে যাবে। অনেক সাধারন ড্রাগস যেমন অ্যান্টিবায়োটিক এবং কৃমি বা পরজিবীর ঔষধ পালকের মানকে প্রভাবিত করে। এই সময়ে ওষুধ ব্যবহার করার আগে প্রথমে একজন ভালো এভিয়ান ভেট চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে নেয়া ভালো।
(৫) প্রাক রেস বা উড়ানোর প্রতিযোগীতা পূর্ব পর্যায়ঃ
লক্ষ্য: লফটের বেবীদের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনের জন্য যথাসম্ভব সময় দেওয়ার পরে এই সময়টাতে মূল্যায়ন করতে হবে কোন কোন স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতীয়মান রয়ে গেছে এবং এরপরে প্রথম রেস বা প্রতিযোগীতায় উড়ানোর আগে এদেরকে পুরোপুরি সুস্থ করার জন্য কি ওষুধ ব্যবহার করা প্রয়োজন।
মজার বিষয় হল যখন এই সময় ভাল লফটের পাখিগুলি পরীক্ষা করা হয় তখন কোনও রোগ স্পষ্ট বুঝা যায় না। কিন্তু ক্লিনিকাল পরীক্ষা, কর্প ফ্লাশ এবং মল এর পরীক্ষা থেকে সাধারণ সমস্যাগুলি সনাক্ত করা সম্ভব। যদি সমস্যা উপস্থিত থাকে তবে তাদের চিকিত্সা করার এখন ভাল সময়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ক্লিনিকাল পরীক্ষা বা কর্প ফ্লাস অথবা মলের পরীক্ষা ঢাকা এবং চিটাগাং ছাড়া প্রায় অসম্ভব। তাই এসময় একজন এভিয়ান ভেট বিশেষজ্ঞ অথবা অভিজ্ঞ ফেন্সিয়ারের সাথে আলাপ করে প্রয়োজোনীয় চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।
(৬) রেস বা প্রতিযোগীতা পর্যায়ঃ
লক্ষ্য: ভালো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য রক্ষার মাধ্যমে পুরো মৌসুমে বিজয়ী ফর্ম বজায় রাখা।
এই সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার পুরো বিষয়টা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। আবার এই সময়টা এমন একটা সময় যখন বেশিরভাগ ফেন্সিয়ার গুরুতর ভুল করতে শুরু করেন।
প্রতিযোগিতার সময় ওষুধ স্বাস্থ্য মান বজায় রাখতে ব্যবহৃত হয়। এটা খুব গুরত্বপূর্ন যে তাদের সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স দেবার জন্য এই সময়ে কবুতরগুলোকে অবশ্যই সব ধরনের রোগ মুক্ত এবং ফিট থাকতে হবে। বিজয়ী পাখিরা সবসময় শুধুমাত্র ফিটই থাকে না তারা স্বাস্থ্যবানও থাকে। যদি তাদের দেহে তৈরি হওয়া প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা রেস/উড়ানোর সহজাত চাপের সময় তাদেরকে সুস্থ রাখতে না পারে, তবে স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়, যাতে সাফল্য চলমান থাকে এবং অপ্রয়োজনীয় ক্ষতি এড়ানো যায়।
প্রতিটি লফটের নিজস্ব কিছু প্যারামিটার সেট আছে যার সবগুলোই রোগকে প্রভাবিত করে। পাখির জেনেটিক বেস, লাফটের নকশা, লফটের ভৌগলিক অবস্থান এবং সাধারণ ভাবে কবুতরের পরিচালনা পদ্ধতির মতো বিষয়গুলি লফট প্যারামিটারের অন্তর্ভুক্ত।
যে সকল প্যারামিটার সেট দিয়ে একটি নির্দৃষ্ট লফট পরিচালিত হয় সেগুলো অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় পূর্ববর্তী বছরগুলিতে ঘটে যাওয়া স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো খুব সম্ভবত আবার দেখা দিবে। এই কারণেই সফল, প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য প্রোগ্রামগুলি বছরের পর বছর নির্দৃষ্ট লফ্যটে বারংবার সফল ভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
তবে, কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা একটি বিশেষ ধরণের লফটে, বা নির্দিষ্ট জায়গার লফটে হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটি ব্যাখ্যা করে যে একই প্রোগ্রাম একটি লফ্যটে ভাল কাজ করলেও অন্য লফটে ব্যার্থ কেন হয়। উদাহরণ হিসেবে জ্যান্সেনসেস ও ক্যাংকার এবং ইকোলির সাথে ঠান্ডা, স্যাঁতসেঁতে লোফটের সম্পর্ক কে দেখানো যায়। যেমন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রেইনগুলোর তুলনায় অস্ট্রেলিয়াতে জ্যান্সেন্স স্ট্রেইন সহযেই ক্যাংকারে দুর্বল হয়ে পরে। একইভাবে ঠান্ডা, স্যাঁতসেঁতে লফটে থাকা কবুতরগুলোর ইকোলাইর ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ধরনের সমস্যা নিয়েও কবুতর প্রতিযোগীতায় জিততে পারে তবে শর্ত থাকে যে ফ্যানসিয়ার এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন এবং কবুতরগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে।
এ ধরনের অবস্থায় ফ্যানসিয়ারের জন্য দু'টি বিকল্প পথ রয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে কবুতরের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনীয় যথাযথ চিকিৎসা দেয়া। অথবা বিকল্পপথে অন্ধভাবে কোন স্বাস্থ্য প্রোটোকল নিয়ে কাজ করা। কোন স্বাস্থ্য প্রটোকলের অন্ধ অনুসরনের সমস্যা হলো যে তার পাখিদের যে সমস্যাগুলি নেই সেগুলির জন্য হয়তো ওষুধ দেয়া হচ্ছে, একই সময়ে তার লফটে গুরুতর অন্য একটি সমস্যার জন্য হয়তো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। এই স্বাস্থ্য প্রোগ্রাম সম্ভবতঃ অন্য লফটে ভাল কাজ করবে, কিন্তু এই লফটে ব্যর্থ হচ্ছে৷
অবশ্যই পরীক্ষা করা এবং ওষুধের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার হচ্ছে সব থেকে ভালো পথ। মূলত আমরা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ দিতে চাই না, আবার ঔষধ উপেক্ষা করে বা ভুল ঔষধ দিয়ে স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে প্রতিযোগিতায় হারতেও চাই না। অথচ আগেই বলা হয়েছে আমাদের দেশে সে ব্যবস্থা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে লফটের কবুতরগুলোকে প্রতিদিন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করে ভবিষ্যত সমস্যা আগে থেকেই আঁচ করার অব্যাহত চেষ্টার পাশাপাশি কিছু নির্দৃষ্ট সমস্যার কথা মাথায় রেখে সেগুলোর জন্য স্বাস্থ্য প্রটোকলের অন্ধ অনুসরনের সমন্বয় একান্ত জরুরী। এখানে ফেন্সিয়ারের অভিজ্ঞতা এবং রোগ নির্নয়ের দক্ষতা অনেক বড় ভুমিকা পালন করে।
যদি আপনি দশজন ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞ ফ্যানসিয়ারকে কবুতর পরিচালনার বিষয়ে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন তবে দশটি ভিন্ন উত্তর পাবার সম্ভাবনা আছে। এটি এমন নয় যে কেউ এখানে মিথ্যা বলছেন, তারা প্রত্যেকেই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সঠিক উত্তর দিচ্ছেন। যেহেতু তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা প্যারামিটার সেট রয়েছে, যা একেক জনের লফ্যট থকে অন্যজনেরটা আলাদা, তাদের প্রত্যেকের উত্তরই সঠিক, তাদের নিজস্ব লফটের জন্য। একারনে একজন নবীন ফেন্সিয়ারের জন্য সঠিক পরামর্শটি হ'ল তার পাখিগুলি পরীক্ষা করে দেখা যে তার লফটের জন্য সর্বোত্তম পথ কোনটি।
ফেন্সিয়াররা অনেক সময় প্রশন করেন, রেসিং বা প্রতিযোগীতার সময় আমার কবুতর কেন অসুস্থ্য হয়ে পড়ে?
রোগ সব সময় দুটি অবস্থাতে দেখা দিতে পারেঃ
(১) রোগাক্রান্ত হবার অর্গানিজমের ভেতর এক্সপোজার, বিশেষকরে ক্যাংকার এবং রেসিপিটরি ইনফেকশনের নতুন স্ট্রেইন এর ভেতর এক্সপোজার।
এই স্ট্রেনগুলি তাদের নিজস্ব লফটের বাসিন্দা না হবার কারণে কবুতরের দেহে সম্ভবত তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বিকাশ করতে পারেনি ।
একারনে ভালো এবং সুন্দর ব্যবস্থাপনার লফটেও রোগ সংক্রমন ঘটতে পারে, এবং বিভিন্ন লস এর ঘটনাও ঘটতে পারে।
(২) মারাত্মক স্ট্রেস বা মানসিক চাপ থেকে লফটের নিজস্ব স্ট্রেনের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা।
খারাপ ব্যবস্থাপনার লফটগুলোতে সাধারনত অতিরিক্ত জনাকীর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের স্ট্রেস দেখা যায়। আবার সফল লফটগুলিতে অনেক প্রচ্ছন্ন অপ্রত্যাশিত চাপ, যেমন ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারনে অপ্রত্যাশিতভাবে কঠিন টস, থেকেও বাসিন্দা স্ট্রেইনের প্রভাবে রোগ দেখা দিতে পারে।
যখন এধনের অবস্থা সৃষ্টি হয় তখন ওষুধ ব্যবহার করা হয়:
(১) রোগ নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি যা এই রোগকে ডেকে এনেছে সেগুলো ঠিক করে নেয়া হয়। সাধারন ভাবে যা করনীয় অনেক সময় লং টার্মের জন্য সঠিক নাও হতে পারে। যেমন মলের পরীক্ষায় অল্প কক্সিডিয়া পাওয়া গেলে এর সমাধান এন্টি কক্সিডিয়া বেকক্স প্রয়োগ এর ভেতর নয়। বরং টস এর সংখ্যা কমানো এবং মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট দেয়ার মধ্যে সফলতা লুকানো।
(২) রেস থেকে ফেরা পাখিদের বয়ে আনা রোগ নিয়ন্ত্রন, যাতে করে পরবর্তী রেসের আগেই স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস ফেরত আসে।
এটা বেশ মজার একটা ব্যাপার। একজন ফেন্সিয়ার যদি বিশ সপ্তাহের একটি স্বাস্থ্য প্রোগ্রামের ভেতর সাতটি রেসে ভালো করতে পারে, বাতাসের গতী বা দিক অথবা এ ধরনের প্রাকৃতিক এবং পরিবেশগত ভেরিয়েবেলগুলোর কারনে, এটা প্রত্যাশিত যে তার এই সাত সাফল্য প্রোগ্রামের বিভিন্ন সময়ে ছড়ানো ছিটানো থাকবে। অথচ, বাস্তবতায় সেরকম খুব কমই দেখা যায়। বেশীরভাগক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, তার এই সাত সাফল্য এসেছে এক নাগাড়ে আট থেকে নয় সপ্তাহের ভেতর। যখন তার সফলতা আসা বন্ধ হয়ে যায়, সাধারনভাবে এটাই বলা হয় যে তার কবুতরগুলো "ফর্ম" হারিয়ে ফেলেছে। অথচ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই, আমরা যখন কবুতরগুলো পরীক্ষা করে দেখি, তখন আমরা তাদের ভেতর ক্যাংকার, ইকোলাই, ক্লামেডিয়া এগুলোর উপস্থিতি দেখতে পাই।
একটি লফটের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো একবার নির্ধারন করতে পারলে তাদের প্রতিরোধ করা সম্ভব। এরপর সেখানে ভালো ডিজাইনের আবাস, যৌক্তিক টস/ট্রেনিং, যত্ন এগুলো দেয়া হলে পুরো মৌসুম জুড়ে ধারাবাহিক ফর্ম ধরে রাখা খুবই সম্ভব।
অনুবাদ এবং সংকলনে Wahidur Rahman
Mahdi Loft - Avian Racers and beyond
Barishal Pigeon Racing Club
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Telephone
Website
Address
Feni
Fani
Feni, 3900
``’•,•’``’•,� ’•,' আসসালামু আলাইকুম `’•,,•`’�﷽Äłłāh﷽ �ī Łøvě Äłłâh� �الله عظيم� � � �الله
Stadium Road Feni Academy
Feni
ফেনী জেলার সর্বপ্রথম ক্রিকেট প্রশিক্ষণ একাডেমি FCA 🏏
Modhuai
Feni, FB.COM/CLOUDY.SKY.946517
▓▓▓ News , Jokes , Poems etc ▓▓▓▓ ♥♥ fb.com/cloudy.sky.946517