Aspect of Islam

Aspect of Islam

This page was made for educational purposes. this is impotent Page..

16/11/2023

'একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে' এই মিথ্যে সান্ত্বনা নিয়ে থাকতে থাকতে জীবনের শেষ দিন চলে আসে, কিন্তু কিছুই ঠিক হয় না।

হয়তো কিছুই ঠিক হবে না!
তবুও আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল 🙂

03/11/2023

কেউ একটু জোরে ধমক দিলে কেঁদে দেওয়া, 😢 কেউ একটু ইমোশনাল কথা বললে
কেঁদে দেওয়া, 😥
অতিরিক্ত রাগে কেঁদে দেওয়া, 😭
মুখের সামনে কঠিন কথা
বললে চোখে পানি চলে আসা, 😥
কেউ বকা দিলে কেঁদে দেওয়া,
কাউকে কিছু বলতে না পারলে কেঁদে দেওয়া 😭

এই অসাধারণ ট্যালেন্ট নিয়ে জন্মানো আমি 🙂

01/11/2023

▪️”খোদা" বলে আল্লাহকে ডাকা শিরক। মোট কথা আল্লাহর দেয়া গুনবাচক নাম ব্যাতিত অন্য কোন নামে তাকে ডাকা শিরক।
[সুরা আরাফ:১৮০, ইসরা:১১০, হাশর]
▪️কোন বিপদে পড়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে "ও মা, ও বাবা" ইত্যাদি বলে এইরকম গায়েবি ডাকা শিরক।
বিপদে পড়লে "ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন" বলতে হয়।
(সুরা বাকারাহঃ ১৫৬)
▪️তোর ভবিষ্যত অন্ধকার', 'তর কপালে বহুত কষ্ট আছে',এইধরনের গায়েবি কথা কাউকে বলা শিরক।
[সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৫-২৬, আনাম:৫৯]
▪️হোচট খেলে কিংবা পেচা ডাকলে সামনে বিপদ আছে এই ধারনা শিরক।
(সুরা আনাম:১৭, ইউনুস:১০৭)
▪️রোগ ব্যাধি বা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে শরিরে পিতলের বালা, শামুক, ঝিনুকের মালা, সুতা, কিংবা যেকোন প্রকারের বস্তু লটকানো শিরক।
[তির্মিযি, আবু দাউদ ও হাকেম]
▪️সকালে বেচাকেনা না করে কোন কাষ্টমারকে বাকি দিলে কিংবা সন্ধ্যার সময় কাউকে বাকি দিলে ব্যাবসায় অমংগল হয় এই ধারনা করা শিরক!।
(আবু দাউদঃ৩৯১০)
▪️সফলতা কিংবা মংগল লাভের জন্য এবং অমংগল থেকে রক্ষা পেতে যেকোন প্রকার আংটি ব্যাবহার করা শিরক।
[সুরা আনাম:১৭, ইউনুস :১০৭]
▪️আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো ইবাদাত করা শিরক।
[সুরা আনাম:১৬২, বাইয়িনাহঃ ৫, কাহফ:১১০,ইমরান:৬৪, ইবনে মাজাহ হা
নং৫২০৪]
▪️আল্লাহ ব্যাতিত কোন গণক বা অন্য কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস করা শিরক।
[সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৬, আনাম:৫৯]
▪️পায়রা/ কবুতর উড়িয়ে শান্তি কামনা করা শিরক,
কারন শান্তিদাতা একমাত্র আল্লাহ।
(সুরা হাশরঃ ২৩)
▪️আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আওলিয়া এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা বা কোন কিছু চাওয়া শিরক।
[সুরা ফাতিহা:৪, আশ শোআরা:২১৩, গাফির:৬০, তির্মিযি]
▪️“আপনি চাইলে এই কাজটি হবে" এই কথা বলা শিরক।
এইরকম আরো অসংখ্য শিরক সমাজে বিদ্যামান।
🔸আল্লাহ বলেন, অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।
(সুরা ইউসুফঃ ১০৬)
🔹মনে রাখবেন,,
শিরক এমন একটি গুনাহ যা করলে ঈমান এবং পূর্বের সমস্ত আমল সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবাহান্তায়ালা যেকোন গুনাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ কস্মিনকালে ও ক্ষমা করবেন না।
আল্লাহ বলেন,,
নিসন্দেহে আল্লাহ ইচ্ছা করলে যেকোন গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না।
(সুরা নিসা :৪৮,১১৬)

01/11/2023

"ঐ ব্যক্তি দূর্ভাগা যে সন্তানকে সম্পদ বানাতে পারেননি, সন্তানের জন্য সম্পদ রেখে গেছেন!"💔

🎙️শায়েখ আবু বকর মোহাম্মদ জাকারিয়া

01/11/2023

পুরুষ বুদ্ধিতে নারীর উপর শ্রেষ্ঠ!
তাই নারীদের দোষ ত্রুটিগুলো হালকাভাবে নিন, আর উপদেশ দিতে থাকুন!

[সূরা বাকারা আ-২৮২]

31/10/2023

যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে,নচেৎ চুপ থাকে।

[বুখারী ৬০১৮]

28/10/2023

~যখন ছোট ছিলাম সব কিছু ভুলে যেতাম,সবাই বলতো মনে রাখতে শিখো।

~বড় হলাম কিছু ভুলিনা এখন,কিন্তু দুনিয়া বলছে ভুলে যেতে শিখো🙂

জীবন সুন্দর..💔

24/10/2023

পূ/জায় ভ য়ংকরতম শিরক করা হয়।
সেখানে মহান ররের সাথে অংশীদার স্থাপন করে
তাঁকে অপ মান করা হয়।
আর তুমি মুসলিম হয়ে দেখতে গিয়েছো,
দেখে আনন্দ পাচ্ছ,
তোমার হৃদয় কাঁপেনা,
তোমার রবের অপ মানে তোমার হৃদয়টা ফেটে যাচ্ছেনা?

এর দ্বারা এটা প্রমাণ হচ্ছে যে,
ঈমানের যে দাবী তুমি করছো,
এটি একটি অ সার দাবী।
আসলে ঈ মানের কিছুই তোমার মধ্যে নেই।

🎙️ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)

24/10/2023

নারী তার শখের শাড়িটা
জড়িয়ে রাখার চেয়েও
বেশি চায় তার শখের পুরুষটিকে
শাড়ির মতোই গায়ে জড়িয়ে রাখতে আমরণ..🙂
কিন্তু সবার হয় না💔

24/10/2023

প্রত্যেক নিষিদ্ধ জিনিসের
প্রতি আলাদা আকর্ষণ কাজ করে‌।🙂
আল্লাহুম্মাগফিরলী

23/10/2023

হিন্দুদের পূজা: মুসলিম ভাই-বোনেরা জরুরী কিছু বিষয় জেনে নিনঃ

১) কিছুতেই হিন্দুদের পূজার মণ্ডপে যাবেন না। কারণ পূজার মণ্ডপে যাওয়া সম্পর্ণ হারাম ও ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ। মুশরিকরা চাইবে তাদের অনুষ্ঠানে আপনাকে নিয়ে যেতে। কিন্তু আপনি যাবেন না।

মনে রাখবেন- ঐ সকল মুশরিকি মূর্তি দেখিয়ে আপনার ঈমান নষ্ট করা তার উদ্দেশ্য। এ সম্পর্কে কুরআন পাকে বলা আছে- “কাফিররা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন।”
[সুরা বাকারাহ :১২০]

২) পূজার মিষ্টি খাওয়া হারাম, কারণ কুরআন শরীফে বর্ণিত মুশরিকরা হচ্ছে নাপাক
(সূরা তাওবাহ:২৮)।

হিন্দুরা তাদের মিষ্টিকে কথিত দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে। দেব-দেবীর নামে উৎসর্গকৃত মিষ্টান্ন খেলে মুসলমানরা ঈমান হারা হয়ে জাহান্নামি হয়ে যাবে। এছাড়া হিন্দুরাদের কথিত প্রসাদের সাথে গোবর-চনা মিশ্রিত করে, যা খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম।

৩) পূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো সম্পূর্ন হারাম। কারণ শুভেচ্ছা জানালে তার মুশরিকি কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জানানো হয়, অর্থাৎ শিরক হয়। মনে রাখবেন মহান আল্লাহ তায়ালা সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করেন, কিন্তু শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না।

৪) পূজা উপলক্ষে অফার গ্রহণ করা, সুবিধা নেয়া, দাওয়াত খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এতেও মুশরিকি পূজায় অংশগ্রহণ তথা শিরকী গুনাহ হয়।

৫) পূজার যেকোন কাজকে সমর্থন জানানো শিরক। অনেক মুসলিম নামধারী আছে যারা অসাম্প্রদায়িকতার নামে পূজার বিভিন্ন কাজকে সমর্থন করে।
যেমন- পূজায় ছুটি দিতে হবে, পূজায় মণ্ডপে যেতে হবে, পূজার প্রসাদ খেতে হবে, পূজায় শুভেচ্ছা দিতে হবে। ইত্যাদি।

অনেক মুসলমান পূজায় আর্থিক অনুদানও দেয়। যারা এ ধরনের কাজ করে, তারা যখন কবরে যাবে তখন ফিরিশতারা জিজ্ঞেস করবে- তোমার দ্বীন কি ?” তখন যেন সে উত্তর দেয়- “আমি অসাম্প্রদায়িক। আমার কোন দ্বীন নেই ।” নাউযুবিল্লাহ।

মুসলমানদের অনেকেই বলেন- “আমাদের নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাফিরদেরকে অধিকার দিয়েছেন, আমাদেরকেও দিতে হবে।”। যারা এ ধরনের বক্তব্য দেয়, তাদের বলতে হয়-আমাদের নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবশ্যই ইনসাফের কাজ করেছেন। তবে তিনি তো মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন, তাদের ৩৬০টি মূর্তি ভেঙ্গেছেন, মুশরিকদের কে জাজিরাতুল আবর থেকে বের করে দিতে বলেছেন, তবে আপনিও সেটা করেন।

এক অংশ করবেন, অন্য অংশ বাদ দিবেন কেন ?? আসলে বাংলাদেশ

সংগৃহীত 🌸

22/10/2023

স্বামীকে মান্য করতে হবে,
তিতা লাগলেও অথবা মিঠা লাগলেও।
🎙️শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ হাফি:

22/10/2023

মানুষ অনেক কারনেই মানুষের উপর মুগ্ধ হয় ।
কিন্তু একজন পুরুষের উপর মুগ্ধ হবার কি কি কারণ থাকা উচিত তা হয়ত জানে না অনেকেই !

উমার ইবনু খাত্তাব রাদ্বি. বলেন,

“যার তার কথায় মুগ্ধ হয়ো না। যে পুরুষ তার দায়িত্ব পালন করে, বিশ্বাস রক্ষা করে এবং অন্যের মান-সম্মানের পেছনে লাগে না, সেই আসল পুরুষ।”
[সুনানে বাইহাকি: ১২,৩৪৫]

22/10/2023

"বাবা" মানে অনেক শুন্যতা।🙂

22/10/2023

অনুমান হতে বিরত থাকুন এবং কারো সম্পর্কে খারাপ ধারণা রাখবেন না।

রাসুল ﷺ বলেছেন, না জেনে তোমরা কারোর প্রতি খারাপ ধারনা রেখো না। এটা সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
[সহীহ বুখারী-৫১৪৩ ]

21/10/2023

- Father is That person

- “যার একফোঁটা ঘামের মূল্য
দিতে আমরা অক্ষম”🙂

21/10/2023

সুদর্শনের থেকে
সুযত্নের সুপুরুষ উত্তম!!

20/10/2023

ডিভোর্সি মানে এই নয় যে,
সে একজন খারাপ মানুষ। এমনও হতে পারে সে একজন খারাপ মানুষ থেকে নিজেকে মুক্ত করেছে,অথবা কাউকে মুক্তি দিয়েছে।
💔🙂.

19/10/2023

♥আকিদা বিষয়ক ৫০টি প্রশ্নোত্তর_____

الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لانبي بعده
সুপ্রিয় দ্বীনী ভাই ও বোনেরা,

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

অত:পর ‘আকিদা বিষয়ক ৫০টি প্রশ্নোত্তর’ শীর্ষক ছোট্ট এই পুস্তিকাটিতে ইসলামের অত্যন্ত মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ৫০টি প্রশ্নোত্তর প্রস্তুত করা হয়েছে-যেগুলো সম্পর্কে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।
এখানে যে সব বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হল:
• মহান আল্লাহর পরিচয়
• ইসলাম এবং তার রোকন সমূহ
• ঈমান ও তার রোকন সমূহ
• তাওহীদ ও তার প্রকারভেদ
• শিরক ও তার প্রকারভেদ।
• কুফরী ও তার প্রকারভেদ
• মুনাফেকি এবং তার প্রকারভেদ
• কালিমার অর্থ এবং শর্তাবলী
• ইবাদতের পরিচয় এবং তা কবুলের শর্তাবলী
• তাগুতের পরিচয় ও তার প্রকারভেদ
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করে জ্ঞানের আলোকিত পথ ধরে জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
-বিনীত, আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

❖ ১ম প্রশ্ন: আমার, আপনার এবং পৃথিবীর সব কিছুর স্রষ্টা ও পালনকর্তা কে?

উত্তর: আমার, আপনার এবং সারা জাহানের একমাত্র স্রষ্টা ও পালনকর্তা হলেন মহান আল্লাহ। তিনি দয়া করে আমাকে সহ পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছু লালন-পালন করছেন।

❖ ২য় প্রশ্ন: আমাদের দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থার নাম কি?
উত্তর: আমাদের দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থার নাম হল ইসলাম। ইসলাম মানে হল, আল্লাহকে ভয় করে, তাঁর প্রতি ভালবাসা রেখে এবং তাঁর কাছেই আশা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পরিপূর্ণভাবে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।

❖ ৩য় প্রশ্ন: আমরা কিভাবে আল্লাহর পরিচয় লাভ করতে পারি?
উত্তর: আমরা এ বিশাল সৃষ্টি জগতের দিকে তাকালে আল্লাহর পরিচয় পাই। ঐ সুবিশাল আকাশ,এই বিস্তীর্ণ পৃথিবী, চাঁদ, সুরুজ, দিন ও রাতের আবর্তন ইত্যাদির দিকে গভীরভাবে তাকালে বুঝতে পারি এ বিশ্বচরাচর একাকী সৃষ্টি হয়ে যায়নি। বরং এসবের পেছনে রয়েছে একজন সুনিপুণ স্রষ্টার হাত। আর তিনি হলেন,মহান আল্লাহ তা’আলা।

❖ ৪র্থ প্রশ্ন: আল্লাহ কোথায় আছেন?
উত্তর: আল্লাহ তা’আলা সাত আসমানের উপর আরশে আযীমে অবস্থান করেন। তিনি তাঁর সব সৃষ্টি থেকে আলাদা।

❖ ৫ম প্রশ্ন: আল্লাহ কি স্বত্বাগতভাবে আমাদের সাথে থাকেন?
উত্তর: আল্লাহ স্বীয় স্বত্বায় আরশে আযীমের উপর অবস্থান করেন। কিন্তু তাঁর জ্ঞান আমাদেরকে পরিবেষ্টন করে আছে। তিনি সব কিছু দেখছেন। সব কিছু শুনছেন। তার শক্তি এবং ক্ষমতা সব জায়গায় বিরাজমান। আল্লাহ তা’আলা মূসা ও হারুন (আলাইহিমাস সালাম)কে লক্ষ্য করে বলেন, “তোমরা ভয় পেও না। আমি তোমদের সাথে আছি। সব কিছু দেখছি এবং শুনছি।” (সূরা ত্ব-হাঃ ৪৬)

❖ ৬ষ্ঠ প্রশ্ন: আল্লাহর অলি কারা?
উত্তর: অলি শব্দের অর্থ, আল্লাহর প্রিয়পাত্র বা বন্ধু। তারাই আল্লাহর প্রিয়পাত্র হন যারা সত্যিকার ভাবে আল্লাহকে ভয় করে জীবন পরিচালনা করেন, সৎ আমল করেন, তাঁর আদেশগুলো বাস-বায়ন করেন এবং নিষেধ কৃত বিষয়গুলো থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখেন এবং কুরআন ও হাদিসকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখেন।

❖ ৭ম প্রশ্ন: কি পদ্ধতিতে আমাদের আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী করা উচিৎ?
উত্তর: আমাদের কর্তব্য হল, এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী করব যাতে সবটুকু ইবাদত শুধু তাঁর জন্যই নিবেদিত হয়। অন্য কোন সৃষ্টিকে তাঁর সাথে শরীক বা অংশীদার করা না হয়।

❖ ৮ম প্রশ্ন: কি দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ তা’আলা যুগে যুগে নবীদেরকে প্রেরণ করেছিলেন?
উত্তর: যুগে যুগে সকল নবী ও রসূলগণকে প্রেরণের উদ্দেশ্য হল, তারা মানুষকে এ আহবান করবেন যে, মানুষ যেন কেবল আল্লাহর ইবাদত করে এবং তার সাথে অন্য কাউকে শরীক না করে।
আরও উদ্দেশ্য হল, কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট অজ্ঞতার অজুহাত পেশ করতে না পারে।

❖ ৯ম প্রশ্ন: ইসলাম কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহর একত্ববাদকে মেনে নিয়ে পরিপূর্ণভাবে তার আনুগত্য করা এবং শিরক ও শিরক পন্থীদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করাকেই ইসলাম বলে।

❖ ১০ম প্রশ্ন: ইসলামের মূল স্তম্ভ কয়টি ও কি কি?
উত্তর: ইসলামের মূল স্তম্ভ ৫টি। সেগুলো হল:
• ১) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল- এ কথার স্বীকৃতি প্রদান করা।
• ২) নামায প্রতিষ্ঠা করা।
• ৩) যাকাত আদায় করা।
• ৪) রামাযান মাসে রোযা পালন করা।
• ৫) যে ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম তার জন্য হজ্জ সম্পাদন করা।

❖ ১১তম প্রশ্ন: ঈমান কাকে বলে?
উত্তর: অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি এবং কাজে বাস্তবায়নকে ঈমান বলে।

❖ ১২তম প্রশ্ন: ঈমান কি বাড়ে ও কমে?
উত্তর: হ্যাঁ, কথা ও কাজ অনুযায়ী ঈমান বাড়ে ও কমে।

❖ ১৩তম প্রশ্ন: ঈমান বাড়ে ও কমে এ কথার অর্থ কি?
উত্তর: একথার অর্থ হচ্ছে, যে ব্যক্তি যত বেশী আল্লাহর আনুগত্য করবে এবং ভাল কাজ করবে তার ঈমান তত বৃদ্ধি পাবে। আর যে যত পাপ ও অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়বে তার ঈমান তত কমবে।

❖ ১৪তম প্রশ্ন: ঈমানের মূল স্তম্ভ কয়টি ও কি কি?
উত্তর: ঈমানের মূল স্তম্ভ ৬টি। যথা:
• ১) আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
• ২) ফেরেশতাগণের প্রতি বিশ্বাস
• ৩) আসমানি কিতাব সমূহের প্রতি বিশ্বাস
• ৪) নবী ও রসূলগণের প্রতি বিশ্বাস
• ৫) পরকালের প্রতি বিশ্বাস
• ৬) ভাগ্যের ভাল মন্দের প্রতি বিশ্বাস।

❖ ১৫তম প্রশ্ন: আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অর্থ কি?
উত্তর: আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অর্থ হচ্ছে, এ বিশ্বাস করা যে আল্লাহ তা’আলা রিজিক দাতা, সৃষ্টিকর্তা, সব কিছুর পরিচালক, আসমান ও জমিনের সমস্ত রাজত্ব এবং কর্তৃত্ব তাঁর হাতে। সমস্ত সৃষ্টি তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি যাবতীয় ইবাদত পাওয়ার একমাত্র অধিকারী; অন্য কেউ নয়। তাঁর রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর নাম এবং তিনি অসংখ্য পরিপূর্ণগুণের অধিকারী।

❖ ১৬তম প্রশ্ন: ফেরেশতা কারা?
উত্তর: তাঁরা আল্লাহর এমন এক সৃষ্টি যাদেরকে তিনি নূর (আলো) দ্বারা সৃষ্টি করেছে। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে যে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন বা যে সব কাজ করতে আদেশ করেছেন তা পরিপূর্ণভাবে পালন করেন। তাতে বিন্দুমাত্র অবাধ্যতা করেন না।

❖ ১৭তম প্রশ্ন: আসমানি গ্রন্থসমূহের প্রতি এবং নবী-রসূলগণের প্রতি বিশ্বাসের অর্থ কি?
উত্তর: নবী রসূলগণের প্রতি বিশ্বাসের অর্থ হল, আল্লাহ তা’আলা যুগে যুগে অনেক নবী প্রেরণ করেছেন যেমন, নূহ, ইবরাহীম, মূসা, ঈসা, (আলাইহিমুস সালাম) প্রমুখ । তাদের প্রতি আল্লাহ তা’আলা মানবজাতির দিকনির্দেশনার জন্য আসমানি গ্রন্থ নাজিল করেছেন। যেমন, তাওরাত, ইনজিল, জবুর,ইত্যাদি। নবীগণ তাদের সমসাময়িক মানবগোষ্ঠীকে এক আল্লাহর দাসত্ব করার জন্য আহবান করেছেন এবং শিরক করা থেকে নিষেধ করেছেন।
নবী-রাসূলদের ধারাবাহিকতার সব শেষে আগমন করেছেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর প্রতি আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেছেন আল কুরআন। এ কুরআনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী সকল আসমানি গ্রন্থকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। তিনি এ কুরআনকে পরিপূর্ণভাবে বাস্ববায়ন করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন তাঁর দীর্ঘ ২৩ বছরের নবুওয়তী যিন্দেগীতে। তাই যে কোন ইবাদত অবশ্যই হতে হবে কুরআনের শিক্ষা এবং নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্নাহ তথা তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসারে।

❖ ১৮তম প্রশ্ন: পরকালে বিশ্বাসের অর্থ?
উত্তর: পরকালে বিশ্বাসের অর্থ হল, একথা বিশ্বাস করা যে, মহান স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলা প্রতিটি জিনিসের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ দিয়েছেন। সে মেয়াদ শেষ হলে সবাইকে অবশ্যই মৃত্যু বরণ করতে হবে। এরপর আল্লাহ সকলকে কবর থেকে পুনরুত্থিত করবেন এবং কৃতকর্মের হিসাব-নিকাশ নেয়ার পর প্রত্যেককে তাদের কাজের যথোপযুক্ত প্রতিদান দিবেন। ভাল কাজের বিনিময়ে তাদেরকে দেয়া হবে ভাল প্রতিদান। আর পাপ ও অন্যায়ের বিনিময়ে প্রদান করবেন কঠিন শাস্তি।
আমাদেরকে এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, যে মহান স্রষ্টা এ সুন্দর দেহাবয়বকে যেমনিভাবে প্রথমবার সৃজন করেছেন তিনি পুণরায় তাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।

❖ ১৯তমঃ ভাগ্যের ভাল-মন্দের প্রাত বিশ্বাসের অর্থ কী?
এর অর্থ হল, এ জীবনে ভাল-মন্দ যাই ঘটুক না কেন এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, তা অবশ্যই আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছা ও পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে। কারণ, মহাপ্রজ্ঞাবান আল্লাহ তা’আলা প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে অনেক পূর্বেই নির্ধারণ করে রেখেছেন।

❖ ২০তম প্রশ্ন: “লা-ইলাহা ইল্লালাহ” এর ব্যাখ্যা কী?
উত্তর: ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ অর্থ হল, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নাই। বরং যাবতীয় ইবাদত ও উপাসনা পাওয়ার একমাত্র হকদার তিনি। তিনি ব্যতিরেকে যত কিছুর ইবাদত করা হচ্ছে সবই মিথ্যা এবং ভ্রান্ত।

❖ ২১তম প্রশ্ন: ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর ব্যাখ্যা কি?
‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর ব্যাখ্যা হল, নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন করা। তিনি যে সকল সংবাদ ও তথ্য দান করেছেন সেগুলোকে নির্ভুল ও সত্য বলে মেনে নেয়া। তিনি যেসকল বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন বা সতর্ক করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাকা এবং তাঁর দেখানো পদ্ধতি ব্যতিরেকে ইবাদত না করা।

❖ ২২তম প্রশ্ন: ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ এর কোন শর্ত আছে কি?
উত্তর: তাওহীদের স্বীকৃতি জ্ঞাপক এই মহান বাণীটির জন্য ৮টি শর্ত রয়েছে। সে শর্তগুলো হল:
• ১) ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ এর অর্থ জেনে-বুঝে স্বীকৃতি দেয়া। এর অর্থ বা তাৎপর্য না বুঝে পাঠ করলে কোন লাভ হবে না।
• ২) দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে স্বীকৃতি দেয়া। এতে কোন সন্দেহ ও অস্পষ্টতা রাখা যাবে না।
• ৩) নির্ভেজাল মনে স্বীকৃতি দেয়া। কোন শিরকী ধ্যান-ধারণা নিয়ে পাঠ করলে কোন লাভ নেই।
• ৪) সত্য মনে করে স্বীকৃতি দেয়া। কপটতা থেকে মুক্ত থাকা অপরিহার্য।
• ৫) ভালবাসা সহকারে স্বীকৃতি দেয়া। মনের মধ্যে ঘৃণা বা ক্রোধ জমা রেখে স্বীকৃতি দিলে কোন উপকার হবে না।
• ৬) পূর্ণ আনুগত্যের মন-মানসিকতা নিয়ে স্বীকৃতি দেয়া। পরিত্যাগ করার বা অমান্য করার মানসিকতা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
• ৭) মনেপ্রাণে নিঃশর্ত ভাবে গ্রহণ করা। এ বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করা বা প্রশ্ন তোলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
• ৮) আল্লাহ ছাড়া অন্য যত কিছুর ইবাদত করা হচ্ছে সব অস্বীকার করা।

❖ ২৩তম প্রশ্ন: আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে যে সব বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বড়?
উত্তর: সে বিষয়টি হল তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদ।

❖ ২৪তম প্রশ্ন: তাওহীদ কি?
উত্তর: তাওহীদ হল, একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করা এবং আল্লাহ তা’আলা নিজে কুরআনে বা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে তার যে সকল নাম ও গুণাবলীর কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলোকে কোনরূপ ব্যাখ্যার আশ্রয় না নিয়ে সহজভাবে মেনে নেয়া।

❖ ২৫তম প্রশ্ন: তাওহীদ কত প্রকার?
উত্তর: তাওহীদ তিন প্রকার। যথা:
• ১) প্রকার: রুবূবিয়া
• ২) তাওহীদুল উলূহিয়া
• ৩) তাওহীদুল আসমা ওয়াস্‌ সিফাত।

❖ ২৬ তম প্রশ্ন: ‘তাওহীদুর রুবূবিয়া’ কাকে বলে?
উত্তর: সৃষ্টি করা, রিজিক দান করা, বৃষ্টি বর্ষণ, জীবন দান, মৃত্যু দান ইত্যাদি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক মনে করাকে তাওহীদে রুবূবিয়া বলা হয়।

❖ ২৭তম প্রশ্ন: ‘তাওহীদুল উলূহিয়া’ কাকে বলে?
উত্তর: নামায, রোযা, যাকাত, হজ্জ, দু’আ, মানত ইত্যাদি বান্দার যত প্রকার ইবাদত-বন্দেগী হতে পারে সবকিছুর একমাত্র অধিকারী আল্লাহকে মনে করাকে তাওহীদে উলূহিয়া বলা হয়।

❖ ২৮তম প্রশ্ন: ‘তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত’ কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ তা’আলা নিজে কুরআনে অথবা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদিসে আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে যে সব কথা বলেছেন সেগুলো মনে প্রাণে মেনে নেয়া। এ ক্ষেত্রে আল্লাহর কোন গুণকে অস্বীকার করা যাবে না বা তাতে কোন শব্দগত বা অর্থগত বিকৃতি সাধন করা যাবে না। কিংবা সেগুলোর কোন ধরণ বা আকৃতি কল্পনা করা যাবেনা। বরং এ বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, এ সমস্ত গুণাবলী অবশ্যই সত্য কিন্তু তা মহান আল্লাহর জন্য যেমন হওয়া উচিৎ তেমনই।

❖ ২৯তম প্রশ্ন: ইবাদত বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: আল্লাহ তা’আলা যে সমস্ত কথা বা কাজে খুশী হন চাই তা প্রকাশ্য হোক বা অপ্রকাশ্য হোক তাকে ইবাদত বলে।

❖ ৩০তম প্রশ্ন: ইবাদতের কোন শর্ত আছে কি?
উত্তর: ইবাদতের কয়েকটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হল:
• ১) ইখলাস থাকা অর্থাৎ যে কোন কাজ নির্ভেজাল চিত্তে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় কাজ করা।
• ২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পদ্ধতি অনুসারে সে কাজটি করা।

❖ ৩১তম প্রশ্ন: ইবাদতের কতিপয় উদাহরণ দিন।
উত্তর: নামায রোযা, হজ্জ, যাকাত, ভয়, আশা, সাহায্য চাওয়া, বিপদ থেকে উদ্ধার কামনা ইত্যাদি যে সব কাজ আল্লাহ তা’আলা আমদেরকে করার জন্য আদেশ প্রদান করেছেন সবই আল্লাহর ইবাদত।

❖ ৩২তম প্রশ্ন: আল্লাহ তা’আলা আমদেরকে যে সব কাজ থেকে নিষেধ করেছেন সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ কোনটি?
উত্তর: সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মারাত্মক হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরক করা।

❖ ৩৩তম প্রশ্ন: শিরক কী?
উত্তর: কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা শিরক। যেহেতু মহান আল্লাহ তো আমাকে, আপনাকে তথা সমগ্র বিশ্বকে একাই সৃষ্টি করেছেন।

❖ ৩৪তম প্রশ্ন: শিরক কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: শিরক তিন প্রকার। যথা:
• ১) বড় শিরক
• ২) ছোট শিরক
• ৩) গোপন শিরক।

❖ ৩৫তম প্রশ্ন: বড় শিরক বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: কোন ইবাদত যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন কিছুর নামে করা হয় তবে সেটা হল বড় শিরক। কোন মুসলমান এ শিরক করলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় এবং তার পূর্বের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যায়। এমনকি তওবা না করে এ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

❖ ৩৬তম প্রশ্ন: বড় শিরক কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: বড় শিরক চার প্রকার। তা হল:
• ১) দু’আর ক্ষেত্রে শিরক করা। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট কিছু চাওয়া বা বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দুআ করা বড় শিরক।
• ২) নিয়তের ক্ষেত্রে শিরক করা। ইবাদত করতে গিয়ে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত করা।
• ৩) ইবাদতের ক্ষেত্রে শিরক। আল্লাহর আদেশ বাস্তবায়ন করার পরিবর্তে কোন পীর, অলী-আউলিয়া বা অন্য কোন সৃষ্টির উপাসনা করা।
• ৪) ভালোবাসার ক্ষেত্রে শিরক। যে ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ তা’আলা ভালবাসা পাওয়ার উপযুক্ত সে ক্ষেত্রে তাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করা।

❖ ৩৭তম প্রশ্ন: ছোট শিরক কি?
উত্তর: যে কাজ করলে বড় শিরকে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেটাই ছোট শিরক। যেমন, লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে বা মানুষের প্রশংসা পাওয়ার জন্যে কিংবা দুনিয়াবি কোন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কোন নেক কাজ করা হলে তা ছোট শিরকে রূপান্তরিত হয়।
এ জাতীয় কাজ করলে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হবে না বটে কিন্তু সে অবশ্যই একটি বড় ধরণের পাপ সম্পাদন করল। এ জন্য যে কোন ভাল কাজ করার আগে নিয়তকে পরিশুদ্ধ করার ব্যাপারে ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করে

❖ ৩৮তম প্রশ্ন: গোপন শিরক কি?
উত্তর: আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক নির্ধারিত তকদীরের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করাই হল গোপন শিরক।

❖ ৩৯তম প্রশ্ন: গোপন শিরকের প্রমাণ কি?
উত্তর: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “গভীর রাতে একখণ্ড কালো পাথরের উপর দিয়ে একটি কালো পিঁপড়া হেঁটে গেলে তার পায়ের যে আওয়াজ হয় তার চেয়ে আরও বেশী নীরবে আমার উম্মতের মধ্যে গোপন শিরক প্রবেশ করবে।” (সুনানে তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ, সহিহুল জামে-আলবানি)

❖ ৪০তম প্রশ্ন: কুফরী কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: কুফরী দু প্রকার। যথা:
• ১) বড় কুফরী। যেমন: কেউ আল্লাহ অস্তিত্বকে অস্বীকার করলে বা ইসলামী আদর্শকে ঘৃণা করলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। এ জাতীয় কুফুরী করার কারণে মানুষ ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে কাফের হয়ে যায়।
• ২) ছোট কুফরী। যেমন, কেউ আল্লাহকে অস্বীকার করল না কিন্তু সে আল্লাহর কোন অবদানকে অস্বীকার করল। এ ক্ষেত্রে সে ইসলাম থেকে বের হবে না কিন্তু তা অবশ্যই বিরাট গুনাহের কাজ করল।

❖ ৪১তম প্রশ্ন: বড় কুফরি কয় প্রকার?
উত্তর: বড় কুফরি পাঁচ প্রকার। যথা:
• ১) অস্বীকার করার মাধ্যমে কুফরি করা। আল্লাহ, রাসূল, ফেরেশতা, ইসলামী কোন বিধান যেমন, নামায, পর্দা ইত্যাদি বিষয়কে সরাসরি অস্বীকার করা বড় কুফুরী। যার কারণে একজন মানুষ নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবী করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
• ২) অহংকারের মাধ্যমে কুফুরী করা। যেমন, ইসলাম একটি ‘চিরন্তন সত্য জীবন ব্যবস্থা’ এ কথা জানার পরও অহংকার বশত: ইসলাম বা ইসলামের রীতি-নীতিকে এড়িয়ে চলা।
• ৩) সন্দেহ পোষণ করা।
• ৪) অবাধ্যতা করার মাধ্যমে কুফরি করা।
• ৫) মুনাফেকি করা তথা মনের মধ্যে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ লুকিয়ে রেখে বাহ্যিক ভাবে ইসলাম প্রকাশ করা। এটা জঘন্যতম কুফর।

❖ ৪২তম প্রশ্ন: মুনাফেকি কয় প্রকার?
উত্তর: দু প্রকার। যথা: ১) বিশ্বাসগত ও ২) কর্মগত।

❖ ৪৩তম প্রশ্ন: বিশ্বাসগত মুনাফেকির অর্থ কি? তা কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: বিশ্বাসগত মুনাফেকির অর্থ হল, মূলত সে ইসলামকে বিশ্বাসই করেনা। বরং বাহ্যিক ভাবে ইসলামকে মেনে চলে মনে হলেও বিশ্বাসগতভাবে সে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষী। ইসলামের ক্ষতি করার জন্য সে এ বেশ ধারণ করেছে।
বিশ্বাসগত মুনাফেকি ৬ প্রকার। যথা:
• ১) আল্লাহ ও রাসূলকে অস্বীকার করা।
• ২) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনিত জীবনাদর্শ ইসলাম এবং ইসলামের মৌলগ্রন্থ কুরআনকে অস্বীকার করা।
• ৩) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ঘৃণা করা।
• ৪) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনিত জীবনাদর্শকে ঘৃণা করা।
• ৫) ইসলামকে অপমান করা হলে বা ইসলামের পতন হলে মনে মনে আনন্দিত হওয়া।
• ৬) ইসলামের বিজয় বা ইসলামের বিস্তার লাভ করাকে অপছন্দ করা।

❖ ৪৪তম প্রশ্নঃ কর্মগত মুনাফেকীর বৈশিষ্টগুলো কী কী?
উত্তর: কর্মগত মুনাফেকীর চারটি বৈশিষ্ট রয়েছে। সেগুলো হলঃ
• ১) কথায় কথায় মিথ্যা বলা।
• ২) ওয়াদা ভঙ্গ করা বা কথা দিয়ে কথা না রাখা।
• ৩) আমানতের খেয়ানত করা।
• ৪) ঝগড়া করলে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা।

❖ ৪৫তম প্রশ্ন: শিরকে লিপ্ত থাকা অবস্থায় কি কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে?
উত্তর: শিরকে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আল্লাহ তা’আলার কাছে কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে না। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: “তারা যদি শিরক করত তবে তারা যত আমল করেছিল সব বরবাদ হয়ে যেত।” (সূরা আন’আমঃ ৮৮)
আল্লাহ আরও বলেন, “আল্লাহ তা’আলা তাঁর সাথে শিরক করাকে অবশ্যই ক্ষমা করবেন না এবং এর নিন্মোস্তরের যে কোন অপরাধ যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন। যে শিরক করল সে (হেদায়েতের পথ থেকে) অনেক দূরে ছিটকে পড়ল।” (সূরা নিসা: ১১৬)

❖ ৪৬তম প্রশ্ন: ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় কয়টি ও কি কি?

উত্তর: ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় দশটি। যথা:
• ১) ইবাদতে ক্ষেত্রে শিরক করা।
• ২) মুশরিকদেরকে মুশরিক মনে না করা বা তাদের কুফরির ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা কিংবা তাদেরকে সঠিক পথের অনুসারী মনে করা।
• ৩) আল্লাহ তা’আলার নিকট পৌঁছার উদ্দেশ্যে কোন ‘মাধ্যম’ ধরে তার নিকট দুআ করা বা তার নিকট সুপারিশ প্রার্থনা করা অথবা তার উপর পরকালে নাজাত পাওয়ার ভরসা করা।
• ৪) এ বিশ্বাস পোষণ করা যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শের চেয়ে অন্য কোন ব্যক্তির মতাদর্শ উত্তম বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনিত জীবন ব্যবস্থার চেয়ে অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদ শ্রেয়।
• ৫) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশিত কোন বিষয়কে মনে মনে ঘৃণা করা যদিও সে তা পালন করে।
• ৬) দ্বীন-ইসলামের কোন বিষয়কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা বা হেয় মনে করা।
• ৭) যাদু করা অথবা যাদু-তাবিজ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মনের মিলন কিংবা বিচ্ছেদ ঘটানো।
• ৮) মুসলমানদের বিরুদ্ধে অমুসলিমদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা।
• ৯) এ বিশ্বাস করা যে, বিশেষ কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শরীয়ত মেনে চলতে বাধ্য নন।
• ১০) ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে চলা, ইসলাম শিক্ষা না করা এবং ইসলাম অনুযায়ী আমল না করা।

❖ ৪৭তম প্রশ্ন: এমন তিনটি বিষয় রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক। সে বিষয় তিনটি কি?
উত্তর: সে তিনটি বিষয় হল:
• ১) আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা
• ২) দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা
• ৩) নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা।

❖ ৪৮তম প্রশ্ন: তাগুত কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ ছাড়া যত কিছুর ইবাদত করা হয় সবই তাগুতের অন্তর্ভুক্ত।

❖ ৪৯তম প্রশ্ন: তাগুত কতটি এবং মূল তাগুতগুলো কি কি?
উত্তর: তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে সেগুলোর মধ্যে প্রধান হল ৫টি।

❖ ৫০তম প্রশ্ন: প্রধান প্রধান তাগুতগুলো কি কি?
উত্তর: সেগুলো হল:
• ১) শয়তান।
• ২) যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা হলেও তার কোন প্রতিবাদ করেনা বা তাকে ঘৃণা করেনা বরং তাতে রাজি থাকে।
• ৩) যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদতের দিকে মানুষকে আহবান করে এবং এজন্য কাজ করে।
• ৪) যে ব্যক্তি ইলমে গায়ব তথা অদৃশ্যের খবর দিতে পারে বলে দাবি করে ।
• ৫) যে শাসক আল্লাহর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করেন না।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬▬◯◍◯▬▬▬▬
গ্রন্থনায়:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স,মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদী আরব।

♦♣_______♦♣__________♦♣________♦♣

★ইবলিশের আক্বীদা কি সঠিক ছিলো?____শায়খ আবু বকর মোহাম্মদ যাকারিয়া

18/10/2023

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি কারো পানিতে মাছি পড়ে যায়,তবে মাছিটিকে পানিতে চুবিয়ে তারপর পান কর,কারণ মাছির এক ডানায় আছে রোগ,অন্য ডানায় আছে প্রতিকার।

[সহীহ বুখারী-৪:৫৪:৫৩৭]

18/10/2023

তারা কতোবড় নিচু চিন্তা করেন!

জামসেদ মজুমদার ভাই তেল/ঘি/মধুর ব্যবসা করার পাশাপাশি দ্বীনচর্চা করে এবং দ্বীনের প্রচার প্রসার করে এতে তাদের জ্বলে!!!

অথচ ইমাম আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহের কাপড়ের ব্যবসা ছিল এবং তিনি দ্বীনচর্চা করতেন এবং দ্বীনের প্রচার প্রসার করতেন এতে তাদের সমস্যা হয়না!!!

অথচ তারা নিজেদেরকে হানাফি দাবী করে ইমাম আবু হানিফার আকিদা মানেনা!!

এরাই আবার শাইখ আলবানী রহিমাহুল্লাহকে ঘড়ির মেকার বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে!!!

এরা আসলে চায় কি? মানুষ হালালভাবে কাজকর্ম করে দ্বীনের উপর চলবে এটা তাদের সমস্যা!!??
তারা কি চায় যে দ্বীন ইসলাম ঠাকুর প্রথার মতো তাদের কাছে কুক্ষিগত হয়ে থাকুক?
আর মানুষ তাদেরকে অন্ধের মতো সব মেনে নিক?

17/10/2023

মেনে নাও☺️
মানিয়ে নাও☺️
তুমি বেশ ভালো প্রশংসার পাত্র.. 🥰
প্রতিবাদ করো তাহলেই তুমি নিকৃষ্টতর.. 🥹🙃

17/10/2023

রাসূল ﷺ বলেছেন, মুমিনের জীবনে যত বড় বি*প*দ আসে, প্রতিটি বিপদের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার গুনাহ মাফ করেন। এমনকি কাঁটা ফুটলেও।

༎ সহীহ বুখারী : ৫৬৪০ ༎

15/10/2023

কিছু সংসারে ডিভোর্স হয়না
নিজের সন্তান কথা ভেবে আর
বাবার সম্মানের কি হবে এই চিন্তা করে
তবুও নির্জীব নিষ্ক্রিয়
একটা সংসারের ঘানি টানতে হয়
নিরুপায় মেয়েটাকে 🙂💔

14/10/2023

আমার আর নতুন করে কিছু চাওয়ার নেই ,
কিছু পাওয়ার নেই ,
কিছু হারাবার নেই ,
কাউকে কিছু বলার ও নেই !
যত অভিযোগ সব আমার নিজের প্ৰতি !🙂

14/10/2023

ওয়াহাব ইবনু মুনাব্বিহ (রহ.) বলেন,

“মুমিন কারও সাথে মিশলে শেখার জন্য মিশে, চুপ থাকলে গুনাহ হতে বাঁচার জন্য থাকে, কথা বললে বোঝার জন্য বলে, একাকী থাকলে নিজের ভালোর জন্যই থাকে।”
সূত্র: আল-উযলাহ, ইবনু আবিদ দুনইয়া, ৯৯

14/10/2023

সব চেয়ে খারাপ চরিত্রের মানুষ কে?

যে রাগ হলে আপনার সব অবদান অস্বীকার করে,
আপনার গোপন কথা ফাঁস করে দেয়
এবং আপনার ব্যাপারে এমন সব কথা বলে যা আপনি করেননি।

-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

14/10/2023

ফোন থাকলে ভালো থাকা আসলেই কঠিন।
যারা ডিভাইসে ঘন্টার পর ঘন্টা শর্ট ভিডিও দেখে সেও আত্মতুষ্টি নিয়ে বলে আমি সিনেমা দেখিনা আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু ফোন হাতে নিয়ে থাকলে সর্ট ভিডিও রিলস ভিডিও দেখি অবসরে।
ডিভাইস হাতে থাকা 80%মানুষই এই ফেত্না থেকে নিজেকে ফেরাতে পারেনা।
ফেইসবুক স্ক্রোল করতে গিয়ে এই শর্ট ভিডিও গুলো সামনে চলে আসে আর অজান্তেই প্লে করার পরে চোখ যায় আটকে।অত:পর একেরপর এক ভিডিও চলতেই থাকে।
সিনেমা দেখেনা বলে নিজের নফসকে কন্ট্রোল রাখার জন্যে প্রাউড ফিল করে অথচ সর্ট ভিডিও দেখার ব্যাপারে কোনও অনুতপ্ততার লেশ মাত্র নেই।
অথচ শর্ট বা রিলস ভিডিও মানে কি?
নাটকের কাটিং।
বিভিন্ন অনুভূতি ছুয়ে যাওয়া মুভির কাটিং।
অযাচিত অশ্লীল ফানি ভিডিও।
তাহলে এগুলো সিনেমা দেখার চেয়ে একটু কম গুনাহ?নাকি পাগলের সুখ মনে মনে হওয়ার মতো এলো মেলো অংকে আমরা সন্তষ্ট?
এগুলোকে গুনাহ মনে না করে,নফসের সাথে যুদ্ধ না করে নিজেকে ছেড়ে দিয়েছি অবান্তর যুক্তি দেখিয়ে যে সিনেমা দেখিনা,কিন্তু দু মিনিট কখনো রিয়েলাইজ করিনা যে এই ভিডিও গুলো আসলে কি!বা কেনোইবা এগুলোতে গুনাহ কম বলে ভাবছি আমরা।

আমরা সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির কাছে আমাদের অনুভূতিকে এমন জিম্মি করেছি যে অল্প গুনাহ করার নামে আমাদের আমলনামাকে কতটা নাস্তানাবুদ করতেছি নিজেও উপলব্ধি করতে পারছিনা।
প্রকাশ্যে দেখতে মনে হতেই পারে যে ডিভাইস আমরা ব্যবহার করি।
কিন্তু আমাদের অজান্তে ডিভাইসই আমাদের ব্যবহার করে চলছে প্রতিনিয়ত,আমাদেরই দুনিয়া আখেরাত বহুমুখী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি কিন্তু উপলব্ধিতে কস্টেপ লাগিয়ে রেখেছি চোখ আর অন্তরে।

14/10/2023

— স্বামীর সাথে উচু গলায় কথা বলা,তর্কাতর্কি করা,বেয়াদবি করা,ছোট করা,খোটা দিয়ে কথা বলা,সামর্থ্যের বাহিরে জিনিস চাওয়া.....🙂

— কোনো মুমিন, দ্বীনদার নারীর বৈশিষ্ট্য হতে পারেনা....🥀

11/10/2023

PSC তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি পরে বুঝতে পারলো হুদায় এটা কিছুই ছিলনা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।।

JSC তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি জানতে পারলো, JSC রেজাল্ট নাম মাত্র। সত্যিকারের খেলা হবে SSC তে!

SSC তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি জানতে পারলো, মূল খেলা নাকি HSC তে হয়।

এদিকে HSC চলমান পরীক্ষা দেয়া ছেলেটা জানে, মূল খেলা হয় আ্যাডমিশনে~

ওই দিকে সদ্য গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করা ছেলেটি জানে, মূল খেলা তো সবেমাত্র শুরু......

সফল ক্যারিয়ার শেষে সদ্য অবসরে
গিয়ে লোকটি জানে, "এ জীবন কিছুই না, মৃ-ত্যু-র পরের জীবনই আসল জীবন।"

10/10/2023

ফিলিস্তিনে বিনামূল্য জান্নাতের টিকেট বিক্রি হচ্ছে!🙂

ইশ! যদি আমি ও পেতাম✨

09/10/2023

দোষ শুধু একার ছেলের বা মেয়ের না। উভয় সাইডে দোষ থাকে বেশিরভাগ। ১হাজারের মধ্যে ১০জনও যদি খারাপ চোখে তাকায় আপনার দিকে তাহলে সেটা আপনার আত্মসম্মানে লাগার কথা।

এখন অনেকে বলতে পারেন বোরকা পরলেও অনেকে বাজে দৃষ্টি দিতে পারে। হ্যা এটাও সম্ভব। কিন্তু এটার পার্সেন্টেজ অনেক অনেক কম। বিকৃত মস্তিষ্ক ছাড়া একচুয়াল বোরকা পরা কারো দিকে কুদৃষ্টি দেওয়া পসিবল না।

আর বোরকা পরার পরও যদি কেউ কারো কুদৃষ্টিতে পরে তাহলে আল্লাহর কাছে তার কোন জবাব দিতে হবে না। কিন্তু যে মেয়ে বেপর্দা থাকার কারনে কুদৃষ্টিতে পরছে তাকে জবাব দিতে হবে।

09/10/2023

জীবন যেখানে যেমন🙂

09/10/2023

ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে সদ্যবিবাহিতা ডাক্তার সাবাহ কারীম, প্রতিদিন ভোরে ফজর সালাত আদায় করে বেড়িয়ে পড়েন পাথর সংগ্রহের কাজে। তিনি নিজেও অংশগ্রহণ করেন পাথর ছোঁড়া যুদ্ধে।
স্থানীয় সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলোঃ আপনি তো ডাক্তার-তার উপর নববধূ? আপনি কেনো ফুলের বিছানা ছেড়ে পাথর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন?
জবাবে বলেন তিনি→ আমি শহীদ সুমাইয়া রাঃ এর উত্তরসূরী, এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে ফুলের বিছানা আমার জন্য নয়, আমার ফুলের বিছানা হবে জান্নাতে।

#সুত্র আল জাজিরা!

#বিঃদ্রঃ :আমরাই শহীদ সুমাইয়া রাঃ উত্তরসূরী!
দ্বীনের মুজাহিদা হতে চাই, শহিদী তামান্না বুকে লালন করে চলি।🖤

08/10/2023

রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন : আল্লাহ তা‘আলা বিতর (বিজোড়)। তিনি বিজোড়কে ভালোবাসেন। অতত্রব হে কুরআনের বাহকগণ! তোমরা বিতর সলাত আদায় কর।

- মিশকাতুল মাসাবিহ, ১২৬৬

Want your public figure to be the top-listed Public Figure in Feni?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

আল্লাহ তায়ালা কত মহান!!
আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠ থেকে সর্বশেষ অবস্থা।
ছেলে মেয়েদেরকে ছোট থেকে ধর্মীয় শিক্ষায় গড়ে তুলুন। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহ...
Ma sha Allah 💖💖
Ma sha Allah💖💖💖
The story of a lazy man
May Allah Forgive our Sins نستغفر الله و نتوب إليه
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী গান।
রাসূল (স.) এর উপর দরুদ পাঠ💖💖
আল্লাহ যাকে মাফ করতে চাইবেন!!

Category

Telephone

Website

Address

Feni

Other Public Figures in Feni (show all)
Feni City Feni City
Feni

simple page

Mehedi HASAN Mehedi HASAN
Feni

লাইক দিয়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ�।

Samiul Tv Samiul Tv
Feni, 3921

Hi, i Am Nazrul Islam. From Bangladesh. Welcome To My page. like | Comment | Share

দৃশ্যকথা দৃশ্যকথা
Master Para
Feni, 3900

Astagfirullah Astagfirullah
Feni Town
Feni, 4499

I am Muslim �� لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ مَحَمَّدُ رَّسُوْل?

Abu Sayeed Abu Sayeed
Feni

এডিটের মাইরে বাপ

Okay কাকা Okay কাকা
Feni

wellcome

𝙰𝙸 𝚃𝙰𝙽𝚅𝙸𝚁ツ 𝙰𝙸 𝚃𝙰𝙽𝚅𝙸𝚁ツ
Ssk Road Feni
Feni

Follow my page

All i⃫  n⃫  one All i⃫ n⃫ one
Feni

Let's play. �

Limon Deb Nath Limon Deb Nath
Mastar Para
Feni, 3900

Trying to think of something new.....🌸🧠

MH ARIF MH ARIF
Feni, 3900

𝐇𝐑𝐈𝐃𝐎𝐘 2.0 𝐇𝐑𝐈𝐃𝐎𝐘 2.0
Feni

innocent boy