Md Nurullah Hussain
Personal page of Md Nurullah Hussain. My Facebook Profile : https://www.facebook.com/mdnurullah80
কারো কোম্পানি বা পেজের জন্য পার্ট টাইম, ফুল টাইম সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার লাগলে জানাতে পারেন আমাকে ।
আমার কিছু স্টুডেন্টকে রেফার করবো ইনশাআল্লাহ।
সুন্নাহ আইটি ইনস্টিটিউটে আমার A to Z কম্পিউটার ফর ফ্রিল্যান্সিং – লেভেল ১ কোর্সটি সীমিত সময়ের জন্য পাচ্ছেন মাত্র ২১ টাকায়।
লিঙ্ক : https://sunnahit.com/courses/a-to-z-computer-for-freelancing-level-1/
বাচ্চাদের নিয়ে সেলুনে গিয়েছিলাম, গান বাজছিল সেখানে। আমার বড় ছেলে রাইয়ান বলে, ”বাবা, গান শোনা যাবে না, গান শুনলে পাপ হয়” আমি বললাম, হ্যাঁ তুমি গান শোনো না, মনযোগ অন্যদিকে দেও।
মাদ্রাসার শিশু শ্রেণীর বইতে লেখা আছে, “গান শোনা ভালো নয়, তাতে মহাপাপ হয়”
বাচ্চারা এই কথাটা শুধু শিখছে না আত্মস্থ করছে।
অথচ আমরা শেখাই, “অ’তে অজগর, অজগর ওই আসছে তেড়ে”
গান শুনলে পাপ হয়, এ বিষয়টা আমি জানি কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতিতে মিলিয়ে নেওয়া হয়নি অথচ শিশু শ্রেণীর একটা বাচ্চাও পরিস্থিতির সাথে তার শিক্ষাটাকে মিলিয়ে দেখছে। এজন্য বাচ্চাদের জন্য দরকার আদর্শ
শিক্ষা ব্যবস্থা ।
বাসায় ফিরছিলাম, রিক্সায় ওঠার আগে দেখি সিটের উপর লেখা “আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন”। দেখে ভালো লাগলো এবং চালককে বললাম,
”এটা তো আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে দিয়েছে, আপনি কি কয়েক মাস আগে পেয়েছেন এটা??
লোকটা কিঞ্চিত মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো শুধু। কিন্তু তার চোখেমুখে কোন কৃতজ্ঞতার চিহ্ন পেলাম না। আমার কাছে একটু কেমন জানি লাগলো বিষয়টা। আসার সময় রিক্সায় বসে বসেই মনে মনে ভাবছিলাম, কখনো আমরা কোন কিছু পেলে বেশিদিন মনে রাখি না, লোকটা রিক্সাটা ফ্রি পেয়েও কেন একটু উচ্ছ্বাস প্রকাশ করল না। এভাবে নানান কিছু ভাবতে ভাবতে বাসার কাছে এসে থেকে পড়লাম। নামার সময় ভাড়া দিয়ে বললাম, যেহেতু আপনি আস সুন্নাহ থেকে রিক্সাটা পেয়েছেন ভালোভাবে চালান আবার বিক্রি করে দিয়েন না।
উত্তর যেটা পেলাম সেটা হলো,
” আমি এটা আরেকজনের কাছ থেকে কিনেছি”
আমি তো একটু অবাকই হয়ে গেলাম, যাকে বললাম যে এটা কারো কাছে বিক্রি করে দিবেন না, সে নিজে আরেকজনের কাছ থেকে কিনেছে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে। অথচ লোকটার উচিত ছিল এটি যদি সে ব্যবহার করতে না পারে তাহলে টোটালি না নেওয়া, অথবা কাউকে ভাড়া দিয়ে হলেও এটা থেকে সংসার উপার্জন করার চেষ্টা করা। সে রিকশাচালক ভাই আমাকে নিজে হিসাব বুঝালেন, উনি যদি এটা আমার কাছে বিক্রি না করে নিজে ভাড়া দিতেন তাও মাসিক একটা ভালো ইনকাম করতে পারতেন। কিন্তু নগদে বিশ্বাসী আমরা তো ভবিষ্যতে কিছু হবে, আস্তে আস্তে কিছু হবে এটা ভাবার সময় পাইনা।
সালাম দিয়ে দুজনেই প্রস্থান করলাম দুটো শিক্ষা পেলাম, অতি দ্রুত মানুষকে নিজের মতো করে জাজ করা যাবে না, জানার জন্য একটু সময় দিতে হবে এবং দান করার ব্যাপার আরো সতর্ক হতে হবে।
ফেসবুকে একটা স্পন্সরড ভিডিও পোস্ট দেখতেছিলাম যেখানে যেটা আসলে একটা প্রডাক্টের পেইড বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন। ওই ভিডিওটার মধ্যে আবার ফেসবুক আরেকটা ভিডিও এ্যাড দেখিয়ে দিল। মার্কেট সাইজ বেড়েছে, মার্কেটার বেড়েছে, বিজ্ঞাপন বেড়েছে। এজন্য এখন বিজ্ঞাপনও দেখতে হয় বিজ্ঞাপন বিরতি দিয়ে।
কাস্টমার যেমন কোনো একটা প্রোডাক্ট কেনার আগে অনেক বিচার বিশ্লেষণ করবে, প্রাইস যাচাই করবে, এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একইভাবে একজন বিক্রেতারও স্বল্প সময়ে কাস্টমার একুইজিশন পাওয়ার লাগবে। একজন নতুন কাস্টমারকে খুব দ্রুত হুক করার জন্য তার এটেনশন গ্রেব করতে হবে ক্লিয়ার মেসেজ দিয়ে কেনো আপনার প্রোডাক্টটিই সেরা। নিজেকে আমার নিজের পণ্যকে এমন ভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন অন্য জায়গায় কম দামে পেলেও কাস্টমার সেখান থেকে প্রোডাক্ট না কিনে। অনেক বেশি অস্বাভাবিক অফার দেখলে আমাদের মনের মধ্যে একটা সন্দেহ তৈরি হয়, ”জিনিসটা ভালো হবে তো!”
প্রাইসিং প্রতিযোগিতার মধ্যে বিক্রেতার যেমন প্রাইসিং এর ব্যাপারটাতে খেয়াল রাখতে হবে, একইভাবে আস্থার জায়গাটিও তৈরি করতে হবে। আপনি যখন সেই আস্থার জায়গাটি তৈরি করতে পারবেন তখন দাম বেশি হলেও মানুষ আপনার প্রোডাক্ট ই কিনবে।
লিড জেনারেশন করার জন্য অবশ্যই বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে । কেউ যদি তার ইমেইল ঠিকানা লুকিয়ে রাখে সেটি খুঁজে বের করে অন্যের কাছে বিক্রি করার কাজটি করা যাবে না। আবার একইভাবে আপনি যার কাছে লিডটি বিক্রি করছেন সে যদি এটি আবার অন্য জনের কাছে বিক্রি করে এবং কোনো পক্ষ এখানে যদি ব্যক্তিটিকে হয়রানি বা উত্ত্যক্ত করে তাহলে তা জায়েজ হবে না। বিষয়টি অনেক সেনসেটিভ হলেও অনেকেই আমরা এটি বুঝতে চাই না, ”আমি যে কাজটি করে আয় করছি এটি কেন হচ্ছে? কেন আমাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে?” আমি যাকে লিড হিসেবে ইমেইল এড্রেস বা ফোন নম্বর দিলাম সে এটি কিভাবে ব্যবহার করছে এটিও জানা আমার উচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা জানার সুযোগ থাকে না, সে জন্য ওলামায়ে কেরামের একটি অংশ এ কাজটিকে নাজায়েজ বলে থাকেন।
এ সংক্রান্ত ফতোয়াগুলো দেখতে চাইলে নিচের লিংক ক্লিক করে দেখে নিন।
https://ifatwa.info/9645/?show=9645
https://ifatwa.info/10991/?show=10991
অনলাইনে লিড জেনারেশন (B2B) ও ডেটা এন্ট্রি রিলেটেড কাজ কী হালাল? লিড জেনারেশনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগ আসসালামু আলাইকুম। আমি অনলাইনে লিড জেনারেশন (B2B) ও ডেটা এন্ট্রি রিলেটেড কাজে আগ্রহী। লিড ... ডেটা সংগ্রহে ব্যক্তির পা....
Bing is going to be essential..
কখনো ই'তিকাফ করেছেন?
এখনো করা হয়নি তো??
ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকুরীর ব্যস্ততা, তাই না?
রাসূল সা, কখনো ই'তিকাফ ছাড়েন নি। আর আপনি কখনো ই'তিকাফ করেন নি। কাজটি ঠিক হলো?
নীচের ছবিটি দেখুন।
আজকের ব্যস্ত মানুষগুলো কিভাবে সারিবদ্ধ ভাবে শুয়ে আছে! ওখানে কোন ব্যস্ততা নেই!!
এই তো আমাদের জীবন!!!
--
শায়খ আবুল কালাম আজাদ (বাশার)
আপনার মোবাইলে ইন্সটল করা ইসলামিক অ্যাপ গুলো দেখতে চাই। হয়তো অনেকের কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।
আজ ২০/০৩/২০২৩ তারিখ সকাল ৭ টা ৩৮ মিনিটে ২ জন ( ৩ জনও হবে পারে) মহিলা চোর সুন্নাহ আইটি ইন্সটিটিউটে ঢুকে ক্লাসরুম থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা দামের ল্যাপটপ এবং ক্লাসরুম থেকে ভেতরের দরজা খুলে আমার বাসার বেডরুমে ঢুকে মোবাইল চুরি করে। চোরকে সনাক্তের জন্য উত্তরা ৫ নং সেক্টরের ৬/এ রোডের সে পাশের বাসার সিসি ক্যামেরা দেখার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে কারও সহযোগিতা করার সুযোগ থাকলে একটু জানাবেন। সকাল ৭টা ৪২ মিনিটের পর তারা ৫ নং সেক্টরের ৬/এ রোড দিয়ে বের হয়ে যায়।
একটা সংঘবদ্ধ চক্র মনে হচ্ছে যারা কাজের মহিলার বেশ ধরে বাসা বাড়ি, অফিসে ঢুকে যায়। চোরের এত বেশি সাহস যে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার মাথার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে যায়। পাশে আমার ৫ বছরের জমজ বাচ্চারা শুয়ে ছিল।
জিনিস চুরি হয়েছে এটা বড় কোন বিষয় না কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা ও সেক্টরের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আশা করছি চোরকে ধরতে পুলিশের সহায়তা পাবো ইনশাআল্লাহ।
দাবা, লুডু ও ক্যারাম (অথবা ক্যারোম) আমাদের সমাজে প্রচলিত তিনটি খেলার নাম। তিনটিই গুটি দিয়ে খেলা হয়। পাশা খেলা এগুলোর সমগোত্রীয় খেলা। এসকল খেলাগুলোর উৎপত্তি ভারতীয় উপমহাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায়। এ সকল খেলাগুলো সম্পূর্ণ হারাম। চাই তা জুয়ার দ্বারা হোক কিংবা জুয়া ছাড়া এমনিই হোক না কেন। সর্বাবস্থায় হারাম। হাদীসে কঠোরভাবে এ খেলাগুলো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ এসেছে। যেমন,
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أبِي هِنْدٍ, عَنْ أبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ
🔰 অর্থাৎ আবূ মূসা আশআরী (রা.) হতে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি পাশা বা দাবা খেললো, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হলো।”
[মুয়াত্তা মালিক, হা. ৭৬৯; সুনান আবূ দাউদ, হা. ৪৯৩৮]
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ : أَنَّهُ كَانَ إِذَا وَجَدَ أَحَداً مِنْ أَهْلِهِ يَلْعَبُ بِالنَّرْدِ ضَرَبَهُ وَكَسَرَهَا
🔰 অর্থাৎ “আব্দল্লাহ ইবনে উমর (রা.) যদি তাঁর পরিবারের কাউকে দাবা বা পাশা খেলা দেখতেন, তাহলে তাকে মারতেন এবং দাবা ভেঙে ফেলতেন।”
[মুয়াত্তা মালিক; আওজাযুল মাসালেক, শায়খুল হাদীস যাকারিয়া কন্ধলভী, ১৭/৫৩]
🔰 সহীহ মুসলিমের হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি পাশা বা দাবা খেললো সে যেন তার হাত শুকরের মাংস ও রক্তে ডুবালো।”
عن أبيه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال من لعب بالنردشير فكأنما صبغ يده في لحم خنزير ودمه
🔰 [সহীহ মুসলিম, হা. ২২৬০; সুনানে আবূ দাউদ, হা. ৪৯৩৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হা. ৩৭৬৩; সুনানুল কুবরা, নাসায়ী; তালখীসুল হাবীর, খ. ৪, পৃ. ৬৩]
💠 শায়খুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন,
“ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রহ.) বলেন, “দাবা বা পাশা খেলোয়ারকে সালাম দিবে না, কেননা সে প্রকাশ্যে জঘন্য পাপে লিপ্ত।”
[মজমউল ফাতাওয়া, ৩২/২৪৫]
*দাবা-লুডু-ক্যারাম একই খেলা*
ইমাম আবূ হানীফা (রহ.)’র ছাত্র ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রহ.) বলেন,
قَالَ مُحَمَّدٌ: لا خَيْرَ بِاللَّعِبِ كُلِّهَا مِنَ النَّرْدِ، وَالشِّطْرَنْجِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ
অর্থাৎ “পাশা, শতরঞ্জ (দাবা) ও এরকম অন্যান্য খেলা খেলে কোনো কল্যাণ নেই ।”
[মুয়াত্তা মুহাম্মাদ, হা. ৯০৫ এর আলোচনায়, প্র. মাকতাবাতুল ইলমিয়া]
সুতরাং এটি পরিষ্কার যে, দাবা-লুডু-ক্যারাম সব একই খেলা। এগুলো সব হারাম। আলী (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, “দাবা অনারবদের জুয়া খেলা।” এর দ্বারা দাবাসহ গুটি দিয়ে খেলা অন্যান্য অনারবীয় খেলাগুলো অর্থাৎ লুডু, ক্যারামও হারাম প্রমাণিত হচ্ছে। কেননা এগুলো অনারবীয় এবং এগুলো গুটি দিয়ে খেলা হয়।
ফুকাহায়ে কেরামগণ বলেছেন, পাশা বা দাবার ন্যায় গুটি দিয়ে খেলা অন্যান্য খেলাগুলোও হারাম।
[আল মুগনী, ১৩/১৫৪, ১৫৫; আল ফুরূ’ ৬/৫৭৩; আল ইনসাফ, ১২/৫২, ৫৩]
সুতরাং পাশা, দাবা, লুডু ও ক্যারাম এসকল হারাম খেলা থেকে আমরা নিজেরা ত বিরত থাকবোই, অন্যদেরও বিরত রাখবো। আল্লাহু আলাম
(সংগৃহীত)
একবার বন্ধু আসাদের সাথে চাচার দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। কথায় কথায় আসাদ কোন কোন ফাঁকে যেনো চাচাকে বলেছিল,
“চাচা আপনার দোকানে একটা টিভি লাগান না কেন, তাহলে তো আমরা মাঝেমধ্যে খেলা টেলা দেখতে পারি? আর তাছাড়া একটা টিভি হলে মনে হয় কাস্টমারও বেশি পাবেন।’
এই কথা শুনে করিম চাচাতো রেগে মেগে আগুন। সে বলে উঠলো,
“দেখো বাপু, চা বেচতেছি এটাই বেচতে চাই গোনাহ্ বেচতে চাই না। আর কাস্টমার বেশির কথা বলো, তকদিরে যে রিজিক আমার জন্য আছে তা আমি এমনিই পাব। ‘
সেদিন চাচার ওই দৃঢ় প্রত্যয়ী কথাটা আমার মনে ভীষভাবে চিন্তার খোরাক যুগিয়েছিলো। আসলেই তো যে রিজিকের জন্য আমরা এতো পেরেশান। তা তো আসবেই কোনো না কোনো ভাবে। আমরা অযথা পেরেশান হয়ে হারাম ভাবে তা আহরণ করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠি। সমাজের মানুষগুলো যদি সবাই করিম চাচার মতো করে চিন্তা করতো, তাহলে কতই না ভালো হতো।
------
২২/০২/২০২৩
হালালভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে জানতে হবে আপনি কোন কোম্পানির জন্য কাজ করছেন বা কিভাবে মার্কেটিং করছেন। এতো কষ্ট করে ইনকাম করছেন বা করতে চাচ্ছেন কিন্তু তা অবশ্যই হালাল হওয়াটা বাঞ্চনীয়।
📚বইটিতে হালালভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইনের পাশাপাশি টিউটোরিয়ালের মতো করে দেখানো হয়েছে। সহজে কাজ করার জন্য ২০টি ডিজিটাল মার্কেটিং টুলসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আলোচিত ChatGPT নিয়েও লেখা রয়েছে এই বইটিতে।
📙ক্যাশ অন ডেলিভারিতে "হালালভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং" বইটি অর্ডার করতে আমাদের পেজে মেসেজ করুন।
অথবা সরাসরি অর্ডার করুন :
https://www.rokomari.com/book/281033/halalvabe-digital-marketing
বাচ্চাদের জন্য খাবার জিনিস কিনতে গেলে আমরা জন প্রতি আইটেম কিনে দেই, এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা। আর বাচ্চারাও এটা পছন্দ করে একা সম্পূর্ন চিপস এর প্যাকেট টা হাতে পেতে, একা চানাচুর বা বিস্কিট এর প্যাকেট টা পেতে। কিন্তু যদি আমরা তাদেরকে আলাদা আলাদা প্যাকেট না দিয়ে একটা প্যাকেট দেই এবং ভাই বোনদের সাথে শেয়ার করে খেতে বলি। তাহলে ছোটবেলা থেকেই মানুষকে দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হবে। তা না হলে সে ভাববে এটাই নিয়ম একা সব ভোগ করা। আজকের সমাজের প্রেক্ষাপটে এই অভ্যাসটা খুবই প্রয়োজনীয় ।
ছোট শিশুটি যখন বুঝবে তার এই চিপসের প্যাকেটে ভাইয়ের হক আছে, স্বভাবতই বড় হয়ে মানুষের হকের বিষয়ে সে সচেতন থাকবে।
আমি যখন হালাল ইনকাম সিরিজের প্রথম বই ”ফ্রিল্যান্সিং: হালাল ইনকামের খোঁজে” লেখা শুরু করি, তখন চেষ্টা করেছি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে যে বিষয়গুলো মেনে হালাল ভাবে আয় করা যায় সেই বিষয়গুলো নিয়ে একটি সঠিক ও কার্যকরী ধারণা দিতে। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেই আমাকে অনুরোধ করতে থাকেন যে এই কাজগুলো আমরা কিভাবে শিখব তা আমাদেরকে দেখিয়ে দিনl তখনই হালাল ইনকাম সিরিজের দ্বিতীয় বইটি লেখা শুরু করি l ইনশাআল্লাহ এই বইটি গতানুগতিক অন্যান্য সকল বই থেকে একটু আলাদা হবে, যেখানে একজন নতুন শিক্ষার্থী যিনি অনলাইনে আয় করার কথা ভাবছেন, একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন পাওয়ার পাশাপাশি কাজগুলো শেখার পদ্ধতি টিউটোরিয়াল এর মত করে পাবেন। এক কথায় বইটি ইনশাল্লাহ এক অনবদ্য সৃষ্টি হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের জন্য। বাকিটা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা।
ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি বইটি শেষ করতে পারব। দোয়া চাই।
কেউ একজন অনেক ডলার ইনকাম করেছে এবং তা ফেসবুকে শেয়ার করেছে এটা দেখেই আমরা অনেকেই ঝাপিয়ে পড়ি সে যা করছে তা করার জন্য। এক্ষেত্রে খুব কম মানুষই বিবেচনায় আনে তার এই ইনকামটি হালালভাবে হয়েছে নাকি হারাম ভাবে হয়েছে।
ক্ষুদ্র এ জীবনে টাকা পয়সা, অর্থ সম্পদ দরকার আছে তবে তা অবশ্যই হতে হবে হালালভাবে। যে কোন বিষয় নিয়ে কাজ শেখার পূর্বে প্রথমেই জানাটা জরুরী আমি যে বিষয় নিয়ে কাজ শিখছি বা শিখব সেখানে হালাল ইনকামের সুযোগ ও সম্ভাবনা কতটুকু। আর বিষয়টি খুব বেশি যে জটিল তা কিন্তু হয়। মৌলিক কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই চলবে,
- কাজের মাধ্যমে অশ্লীলতার প্রসার ঘটাবো না
- মিথ্যা তথ্য দিবো না
- ফাঁকিবাজি করবো না
- ওয়াদার বরখেলাপ করবো না
- কারও ক্ষতি করবো না।
এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে সবসময় কাজ করতে হবে।
অনেক বেশি ইনকাম করতে পারাটা এই সমাজের মানুষদের কাছে বড় হওয়ার মাপকাঠি। একজন মানুষ হালাল হারাম বাছ বিচার না করে অনেক অঢেল টাকার সম্পত্তি করে ফেলেছে সে সমাজে বিত্তবান, তার কথায় আট দশটা মানুষ উঠবস করে, কুর্নিশ করে কথা বলে। আবার একজন মানুষ হালাল ভাবে হয়তোবা সাদাসিধে ভাবে বরকতময় জীবন যাপন করছে, সমাজে আমরা অনেক সময় এইসব সাদা মনের মানুষগুলোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি। অনেক সময় ব্যাকডেটেড ভাবি, বোকা মনে করি।