MR Mizan
I am A Professional web designer and Believer sign Partnership
MASHAAllah..
পূর্বের নেককার ব্যক্তিদের যখন জিজ্ঞাসা করা হতো—আপনার আর অমুকের বাড়ির মাঝে দূরত্ব কতটুকু? তখন তাঁদের অনেকেই উত্তর দিতেন—একশো আয়াত পরিমাণ (বা অত সংখ্যক আয়াত পরিমাণ)। অর্থাৎ, ১০০ আয়াত পড়তে যতক্ষণ সময় লাগে, এতটুকু সময় লাগে যেতে।
প্রকৃতপক্ষে তাঁরা ছিলেন এমন একটি প্রজন্ম যারা কুরআনের সাথে জীবনযাপন করেছেন। বর্তমানে যেভাবে মোবাইল আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে এবং মোবাইল ছাড়া আমরা চলতে পারি না, ঠিক সেভাবে তাঁরা কুরআনের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। কুরআন ছিলো তাঁদের ধ্যান-জ্ঞান। কুরআন তাঁদের রক্তে-মাংসে মিশে গিয়েছিলো। ইমাম সুফিয়ান সাওরি (রাহ.) কোনোদিন মাত্রাতিরিক্ত ব্যস্ততায় আটকে গেলে, অন্তত কুরআন খুলে চোখ বুলিয়ে নিতেন। এটি না করলে তাঁর ভালো লাগতো না।
আবু জাহলের ছেলে ইকরামা মক্কা বিজয়ের পর ঈমান আনেন এবং আন্তরিকতার সাথে দ্বিন মেনে চলেন। এমনকি ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি অসাধারণ বীরত্ব ও জযবা প্রদর্শন করে শাহাদাতবরণ করেন। সেই ইকরামা (রা.) কুরআনকে চেহারার সাথে লাগিয়ে রাখতেন; কাঁদতেন আর বলতেন—
كَلَامُ رَبِّي كِتَابُ رَبِّي
(কালামু রাব্বি! কিতাবু রাব্বি!)
‘আমার রবের কালাম! আমার রবের কিতাব!’ [ইমাম হাকিম, আল-মুসতাদরাক: ৫১১০]
আমরাও কি আমাদের জীবনে কুরআনকে এভাবে ফিল করি? কুরআনময় জীবনযাপন করি? কুরআনকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করি?
একটা আশ্চর্যের বিষয় খেয়াল করেছেন?
যেসব কাপলরা ভ্লগ করে, দ্বীনি লেবাসের কিংবা বেদ্বীন, দিন শেষে তাদেরকে খুব বিচ্ছিরিভাবে অপমানিত হতে হচ্ছে এই সোশাল মিডিয়াতে। উম্মু আর আবু আব্দুল্লাহের কথা মনে আছে? ট্রেন্ডটা মনে হয় সেখান থেকে শুরু হয়েছে। তাদের শেষ পরিনতি আমাদের কারই অজানা নয়। এরপরেও আরও অনেক ফুল দ্বীনি, আধা দ্বীনি, শূন্য দ্বীনি কাপল দেখেছি দিন শেষে কারও ডিভোর্স, কারও মারামারি, কারও পরকিয়ার স্ক্যান্ডাল, কারও খুনাখুনি, কারও অন্য কারও সাথে ভেগে যাওয়া, কারও ভিডিও ফাস, কারও বা পুলিশ কোট কাচারি এসব হচ্ছে।
অথচ তারা নিজেদের কতই না সুখী প্রেজেন্ট করত, কত সাজগোজ, পার্টি, কেনাকাটা, ঘুরাঘুরি, কত ভালবাসা, রোমান্স, কত লাক্সারিয়াস লাইফস্টাইল যা অসুখী, অপূর্ণ, অভাবি মানুষরা দেখে দেখে কুটে কুটে মরত৷ এসব কাপলদের এই লাক্সারিয়াস লাইফ চলেই মানুষের ইমোশন দিয়ে৷ আমরা দেখব আর তারা ইনকাম করবে। ক্যামেরা অন সাথে সাথে দুনিয়ার সুখি আর ভালবাসাপূর্ণ এক দম্পতির হাস্যজ্জল নাচানকুদান অন। ক্যামেরা অফ আর তাদের অশান্তি শুরু। অফ ক্যামেরায় কী ঘটছে আমরা তা কেউই আর জানি না৷
তাদেরকে দেখে কত মানুষ হতাশায় ভোগে! নিজেদের মাঝে আজাইরা অশান্তি সৃষ্টি করে। অথচ বোঝেনা মানুষ যা চায় তাই দেখাতে পারে, মানুষ বাস্তবে যা, তা কিন্তু দেখাতে চায় না।
বর্তমানে এই কাপল ভ্লগিং হ্যাভি একটা বিজনেস। এই বিজনেসে দ্বীনি মহলের অনেকে পা বাড়াচ্ছে। এর পরিনতি যে কতটা ভয়াবহ তা সবাই জানি। বাস্তবে সুখী মানুষ কখনো শো অফ করে না। যেগুলা অসুখী সেগুলা মুখিয়ে থাকে নিজেকে সুখী প্রমান করতে।।
টার্গেট এখন মুসলিম মেয়েরা...!!
সাম্প্রদায়িক উস্কানী নয়; বরং উম্মাহর মেয়েদের সতর্ক করাই আমাদের লক্ষ্য। বর্তমান জেনারেশনের মাঝে ফ্রি মিক্সিং বেড়েছে। বেড়েছে হারাম রিলেশন থেকে শুরু করে যি*না, ব্যভি*চার এবং প*রকীয়া।
এখন এসব সম্পর্ক কেবল নিজ ধর্মীয় লোকদের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই৷ উদার মনমানসিকতার নামে বর্তমান সময়ে তরুন প্রজন্ম সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ছে ভিন্ন ধর্মের লোকদের সাথে।
মেয়েটার সহপাঠী অমুসলিম। শুরুটা বন্ধত্ব দিয়ে। ধীরে ধীরে বহুদূর সম্পর্ক গড়ায়। একসময় অমুসলিম বন্ধুটির হাতে হয়তো হচ্ছে সংঘবদ্ধ ধ*র্ষণ কিংবা মুসলিম হয়ে যাবার নামে বিয়ে করে হচ্ছে প্রতারণার শিকার।
হে উম্মাহর মেয়েরা! ইসলাম অন্য ধর্মের লোকদের বিয়ে করা জায়েয করেনি। কোনো ছেলে আপনাকে ভালোবেসে দ্বীনে ফিরতে চাই৷ আপনি ভাবছেন এতে মন্দ কী? একজন মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আসবে!
- কী নির্বোধ বোকা আপনি! বান্দা তার রবের কাছে আসবে৷ তার জন্য আপনাকেই তাকে বিয়ে করতে হবে কেন? আপনি কি নিশ্চিত পরবর্তীতে তার ধোঁকা খাবেন না? আপনি নিশ্চিত সে আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে না? ইসলামে আপনার জন্য পরপুরুষের সাথে কথা বলা জায়েয করেনি। আপনার শুরুটাই তো অবৈধ।
আপনার বন্ধুটির কাছে তার ধর্ম ভালে লাগে না৷ সে আপনাকে বলে আপনার ধর্ম শ্রেষ্ঠ, সে যদি প্রকৃত পক্ষে ইসলাম গ্রহণ করতেই চায়; তবে তাকে আপনি নয়; বরং কোনো পুরুষের সাথে কথা বলতে বলুন। আপনার ভার্সিটি কিংবা আপনি যে পরিবেশে বাস করেন; সেখানে অনেক পুরুষ আছে। অনেক আলেম আছে, সে সবাইকে ফেলে কেবল আপনাকেই কেন বেছে নিয়েছে? বুঝে নিন নিশ্চিত এখানেও কোনো ষ*ড়যন্ত্র আছে, তাহলে চলুন বলি সে ষ*ড়যন্ত্রের কথা।
বর্তমানে এমন একটি চক্র আছে। যারা মুসলিম মেয়েদের বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে, তাদের নোংরা উদ্দেশ্য পূরণ করে। তাদের টার্গেট মুসলিম মেয়েরা এবং মুসলিম মেয়েদের জীবন নরক বানানো৷ মুসলিম মেয়েরা ধর্ম পরিবর্তন করবে না, তারা সেটা জানে৷ তাই তারাই ধর্ম পরিবর্তনের নাটক করে আপনাকে করবে সর্বশান্ত। এদের টার্গেট যেমন নিম্ন পরিবারের মেয়েরা কিংবা শ্রমজীবী নারী। তেমন করেই টার্গেটে রয়েছে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির মেয়েরা।
হে উম্মাহর মেয়েরা! আপনার জন্য অন্য পুরুষের সাথে বন্ধুত্ব করা জায়েয নেই। হোক সে মুসলিম কিংবা অমুসলিম। তাই নিজেকে হেফাজত করুন এবং শরীয়তের বিধান মেনে চলুন। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকুন এবং অন্যদেরও সতর্ক করুন।
[অন্যদের সতর্ক করার উদ্দেশ্যে পোস্টটি শেয়ার/রিপোষ্ট করে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিন, ইনশাআল্লাহ্!]
আজকাল কেউই আর
‘ব্যক্তিত্বের’
প্রশংসা করে না। যার ‘টাকা’ আছে তাকেই মানুষ ‘ব্যক্তিত্ববান' বলে স্বীকৃতি দেয়.!
মিশর এবং গ|জ|র সীমান্ত প্রাচীরে
একটি গর্ত তৈরি করে
গাজার বাসিন্দাদের কাছে
রুটি সরবরাহকারী এই মিশরীয়
কিশোর,অনেক আরব ইসলামিক
শাসকের চেয়েও অনেক ভালো!
কিশোর বলেন:
❝আমি এ পর্যন্ত
তাদের এক হাজার
রুটি পৌঁছে দিয়েছি।❞
আল্লাহু আকবর।
টেইলার্সে কাপড় বানানো :
মেয়েদের জন্য টেইলার্সে কাপড় বানাতে দেয়া উচিত নয়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, কাপড়ের মাপ দিতে হয় গাইরে মাহরাম পুরুষদের কাছে। আর কাপড় সেলাইও করে পুরুষরা। তাই একজন আত্মমর্যাদাবোধ নারী কখনোই গাইরে মাহরাম পুরুষের কাছে তার দেহের মাপ প্রকাশ করতে পারেন না। এতে পর্দারও খেলাফ হয়।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম হলো, নিজে ঘরে বসে সেলাই করা। এভাবে কাপড় বানানো নিজের জন্যও ভালো। মনমতো কাপড় তৈরি করা যায়। খরচও বেশি লাগে না। আবার প্রচুর ভিড়ের মধ্যে কাপড় বানাতেও দেরি হয় না। নিজের ইচ্ছামতো বাসায় বসে নিজের কাপড় বানালেই হয়।
তবে কেউ যদি সেলাইয়ের কাজ না পারেন, তাহলে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে সেলাইয়ের কাজ পারে এমন নারীদের দিয়েও কাপড় তৈরি করতে পারেন। অনেক নারীই এভাবে কাপড় সেলাই করেন।
তবে একান্তই যদি এই দুই পদ্ধতির কোনো পদ্ধতিতেই কাপড় বানানো সম্ভব না হয়, তাহলে প্রচলিত টেইলার্সে কাপড় বানানো যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে মাহরাম পুরুষ তার কাপড়ের মাপ নিয়ে টেইলার্সে দেবেন। অথবা আগের কোনো পোশাকের হুবহু মাপ দিয়ে আসবেন।
তবে এখন কোথাও কোথাও শুধু লেডিস টেইলার্স পাওয়া যায়। যেখানে মাপ নেয়া থেকে শুরু করে কারিগর পর্যন্ত সবাই নারী। অর্থাৎ সেখানে পর্দার খেলাফ হওয়ার কোনো শঙ্কা থাকে না। এসব টেইলার্সে চাইলে কাপড় বানানো যায়। তবে এসব টেইলার্সেও একটি সমস্যা হলো, কাপড় বানিয়ে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ধরুন এলাকার কারও সাথে আপনার পরিচয় রয়েছে এবং টেইলার্সের লোকদের সাথেও আপনাদের পরিচয় রয়েছে, এরপর সেই লোক যখন টেইলার্সে কাপড় বানাতে যাবেন, তখন টেইলার্সের লোকেরা কথায় কথায় বলেও ফেলতে পারে যে, অমুক তো তার স্ত্রীর জন্য এখানে কাপড় বানান সব সময়। কিছু দিন আগেও একটা বানাতে দিয়ে গেছেন, ওই যে দেখেন, ওটা ঝুলতেছে। তখন আপনার সেই পরিচিত লোক ঝুলন্ত কাপড় দেখলেই ঠাহর করতে পারবেন যে, আপনার স্ত্রী মোটা না কি চিকন। সে লম্বা না কি খাটো। অর্থাৎ অনিচ্ছা সত্ত্বেও আপনি আপনার স্ত্রীর আকার-আকৃতি অন্যের কাছে প্রকাশ করে দিলেন। তাই সেসব লেডিস টেইলার্সে কাপড় বানাতে হলে আগে তাদের কঠোরভাবে শর্ত দিয়ে নেবেন যে, তারা যেন আপনার কাপড় ঝুলিয়ে না রাখে।
বই : পর্দা গাইডলাইন
লেখক : তানজীল আরেফীন আদনান
উমেদ প্রকাশ থেকে প্রকাশিত..
অভাবি মানুষকে সবাই ভয় পায়,
যদি কিছু চেয়ে বসে ""!!
"ঘৃণা ও অহংকার এক নয়। আমি পাপকে ঘৃণা করি। পাপীকে অন্যায়কারী মনে করি। পাপের প্রসারে লিপ্ত ব্যক্তিকে ঘৃণা করি। কিন্তু এগুলোর অর্থ এটাই নয় যে, আমি আমার নিজেকে ব্যক্তিগতভাবে অমুক পাপীর চেয়ে উন্নত, মুত্তাকী বা ভাল মনে করি। নিজেকে কারো চেয়ে ভাল মনে করা তো দূরের কথা নিজের কাজে(আমলে) তৃপ্ত হওয়াও কঠিন কবীরা গোনাহ ও ধ্বংসের কারণ। আমি জানি না, আমার ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে কিনা, আমি জানি না আমার পরিণতি কী আর উক্ত পাপীর পরিণতি কী, কিভাবে আমি নিজেকে অন্যের চেয়ে ভাল মনে করব?"
~ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর [রাহ.]
[ রাহে বেলায়াত, পৃ: ২৭৩-৭৪, আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স, মার্চ, ২০১৩ ঈ.] p: 311
কে কার আক্রমণে
কখন কোথায় মৃত্যু বরণ করবে,
তার কোন জানাশোনা নাই!
তাই অবিবাহিত ভাইদেরকে
আত্মরক্ষার জন্য হলেও
সেল্ফ ডিফেন্স জানা জরুরি।
©
উসমানি খিলাফতকালে প্রত্যেক বাড়ির দরজায় দুটো কড়া থাকতো। একটি ছোটো, একটি বড়ো।
কোনো নারী দরজায় কড়া নাড়লে ছোটো কড়াটি নাড়তো। এতে আস্তে শব্দ হতো। ভেতরের লোকজন বুঝতে পারতো একজন নারী এসেছে। পরিবারের পুরুষ সদস্য তখন অন্য রুমে চলে যেতো। একজন নারী গিয়ে দরজা খুলে অন্য নারীকে স্বাগত জানাতো।
কোনো পুরুষ আসলে বড়ো কড়াতে নাড়তো। ভেতরের লোকজন বুঝতো একজন পুরুষ আসছে। বাড়ির নারী সদস্যরা অন্য রুমে চলে যেতো৷ একজন পুরুষ গিয়ে দরজা খুলতো।
চিন্তা করা যায়, সেই যুগে একটা বাড়িতে প্রাইভেসির কথা কীভাবে ভাবা হতো!?
©
[সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৪]
وَاِذَا لَقُوا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا قَالُوْۤا اٰمَنَّا ۚۖ وَاِذَا خَلَوْا اِلٰي شَيٰطِيْنِهِمْ ۙ قَالُوْۤا اِنَّا مَعَكُمْ ۙ اِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِءُوْنَ
আর যখন তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে ‘আমরা ঈমান এনেছি’ এবং যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে মিলিত হয়, তখন বলে, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমরা তো কেবল উপহাসকারী’।
“ পিতা যদি অন্যায়ভাবে তার সন্তানের বিরুদ্ধে বদ-দোয়া করে, তাহলে সে গুনাহগার হবে।
এই বদদোয়া সন্তানের জন্য কাফফারা হবে এবং ধৈর্যধারণের জন্য সে ( সন্তান ) নেকী অর্জন করবে। ”
— ইবনু তাইমিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ
[ মাজমুউল ফাতাওয়াঃ ৩১/৩০৩ ]
বাবা মা হিসেবে আমরা সবসময় ব্যতিব্যস্ত থাকি সন্তানদের দুনিয়াবী ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাদের জীবনধারণের জন্য যা প্রয়োজন তা নিয়ে ভাবতে আমাদের অবশ্যই হবে। কিন্তু, সেজন্য আমরা দ্বীনকে যখন ছাড় দেই, আমরা ভুলে যাই যে, একমাত্র দ্বীন এর মাধ্যমে দুনিয়া এবং আখেরাতের কল্যাণ সম্ভব।
এটা বুঝতে হলে, 'কল্যাণ' কী সেটা বুঝতে হবে। সত্যি কারের কল্যাণ অনেক টাকা-পয়সা অথবা ডিগ্রীর মাঝে নেই। দুনিয়াবী সাফল্য বেঁচে থাকার একটি মাধ্যম মাত্র। আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য নয়।
তাই, বাবা-মা হিসেবে সবার আগে আমাদের নিজেদের বুঝতে হবে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী। যেন, বাচ্চাদেরকে আমরা সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে সঠিক উদ্দেশ্যের দিকে বড় করতে পারি।
সূরা আল কাহাফে দুই এতিম সন্তানের গল্প আমরা জানি। তাদের সম্পদ আল্লাহ সংরক্ষণ করেছিলেন কারণ তাদের বাবা ছিলেন একজন সলেহ মানুষ। তাঁর আল্লাহকে মেনে চলার কারণে, আল্লাহ তাঁর সন্তানদের দুনিয়া হেফাজত করেছেন।
সন্তানের দুনিয়াবী এবং আখিরাতের সাফল্য চাইলে সত্যিকার অর্থে আমাদের নিজেদের দ্বীন সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। আমাদের নিজেদের লক্ষ্য থাকতে হবে অত্যন্ত পরিষ্কার। আমাদের সিদ্ধান্তের মানদণ্ড হবে আল্লাহর বেঁধে দেয়া সীমারেখা।
আমরা নিজেরাই যদি সীমালঙ্ঘনে অভ্যস্ত হই তাহলে সন্তানদের সামনে আমরা নিজেদেরকে উদাহরণ হিসেবে কিভাবে পেশ করব?
ফলোঃ
___তারপর এমন কেউ এসে জুটবে!
যে সালাত পড়ে না! কুর'আন পড়েনা! আল্লাহ এবং তার রাসূলের মোহাব্বতে যার চোখ ভেঁজে না! ইলমের প্রতি যার কোনো পিপাসা নেই।
হারাম থেকে নিজেকে হিফাজত করতে জানে না, তারবিয়্যাহ জানে না!
বাচ্চাদের নিয়ে মিউজিক শোনে! মা-বাবা'র দ্বায়িত্ব নিয়ে যে মাথা গামায় না!
রাতের আকাশ দেখে না, ভোরের বাতাস যার গায়ে লাগে না, বৃষ্টি পছন্দ করে না, পাহাড় পছন্দ করে না, ফুল ভালোবাসে না, বই পড়ার মতো যার সবর নেই! ঘন্টার পর ঘন্টা কুর'আন তাদাব্বুর করতে তার ধৈর্য কুলায় না!
কথায় কাজে যার হারামের আবাস, আপনার কথায় কাজেকর্মে যে বিরক্ত প্রকাশ করে !
তখন দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে কেটে যাবে পুরো জিন্দেগী!!
[ এমন কেউ জীবনে না আসুক যে রব্ব কে ভুলে গেছে]
যে সকাল শুরু হবে রবের ইবাদত ও জিকিরের মাধ্যমে অবশ্যই সেই দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক অনেক সুন্দর কাটবে।
সুন্দর দিন কাটাতে চান??
তাহলে অবশ্যই দিনের শুরুতে রবের ইবাদত ও
জিকিরকে আঁকড়ে ধরুন।
যদি আপনি একজন দানশীল ব্যক্তি হন, যদি আপনি সমাজ সেবক/সেবিকা হন তাহলে মধ্যবিত্ত পরিবারকেও অসহায় দারিদ্র পরিবারের খাতায় রাখবেন।
মধ্যবিত্ত পরিবার না পারে কারো কাছে হাত পেতে চাইতে না পারে সইতে।
দয়া করে তাদের একটু খোঁজ নিন তাহলে বুঝতে পারবেন তাদের হাহাকার!
আপনি কারোর অভাব দূর করতে পারবেন না কিন্তু আপনার একটুখানি সাহায্য একটি পরিবারে হয়ত সেইদিনের সুন্দরতম দিন হবে এবং দোয়ার অংশিদার হবেন ইনশাআল্লাহ।
❝ফি*লি*স্তিনি শহী*দের শরীর থেকে কস্তুরির ঘ্রাণ❞
এই ফিলিস্তিনি তরুনের বয়স ২০ বছর। তিনি হাফেযে কুরআন ছিলেন এবং গাজার স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন!
শাহা*দাতের পর তার শরীর থেকে কস্তুরির ঘ্রাণ বের হতে থাকে! তার শরীর স্পর্শ করে উপস্থিত সবাই কস্তুরির সেই মিষ্টি মধুর ঘ্রাণ নিতে চেষ্টা করছেন!
আল্লাহু আকবার!
সফলতার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন
এবং চেষ্টা চালিয়ে যান।
ইনশা-আল্লাহ সফলতা আসবেই।
র্যাকেট বা অন্য কোনো যে কোনো খেলা রাতে খেলার জন্য অন্য কারও বাড়ি থেকে বিনা অনুমতিতে বিদ্যুতের লাইন নেয়া জায়েয নেই। এভাবে এসব খেলা জায়েয হবে না। তবে বাড়ির মালিকের অনুমতি নিয়ে লাইন নেয়া যাবে। এমনিভাবে সরকারী বিদ্যুতের লাইন নিয়ে বাতি জ্বালিয়ে খেলাও জায়েয নেই।
শীতের মৌসুম চলছে, শহর-গ্রামের অনেক জায়গাতেই এখন র্যাকেট খেলার ধুম লেগে যাবে। একটু অসতর্কতার কারণে যেন পুরো খেলাটাই হারাম না হয়ে যায়। তাহলে খেলার প্রতিটা মুহূর্তই নাজায়েয কাজে লিপ্ত থাকা লাগবে। এমনকি এটা বান্দার হক, তাই বান্দার হক নষ্ট করে মৃত্যু হয়ে গেলে জবাবদিহিও করতে হবে। অনেক দ্বীনদার ভাই এসব খেলায় শরীক হন। তাই অংশগ্রহণের আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে, বৈধভাবে বিদ্যুতের লাইন নেয়া হয়েছে কি না, এতে কোনো ধরনের জুয়া আছে কি না। নিজের অজান্তেই যেন কোনো হারাম কাজে জড়িয়ে যেতে না হয়।- উস্তাদ তানজীল আরেফিন আদনান।
🏵️রিমাইন্ডার: ঘুমোনোর আগে অযু করে নিব ইন শা আল্লাহ। তাহাজ্জুদ এর নিয়ত করব। উম্মাহর জন্য দুআ করব ইন শা আল্লাহ। উপরের নিউজটা পড়ে একটু চিন্তা করব; আমি কি করছি আর আমার কি করা উচিত।
"তুমি যদি জানতে চাও যে যুগের মানুষের কাছে ইসলামের কী অবস্থান, তাহলে জামে মসজিদগুলোর দরজায় লোকের ভিড়ের দিকে দেখো না, লাব্বাইক বলার স্থানে তাদের কোলাহলের দিকেও দেখ না (অর্থাৎ কত লোক হজ্ব-উমরাহ করছে সেদিকে দেখো না); বরং শরীআতের দুশমনদের সাথে তাদের বোঝাপড়া কেমন সেটা দেখ।"
~ ইমাম ইবন আকীল [রাহ.]
[ ইমাম ইবন মুফলিহ (রাহ.), আল আদাবুশ শারঈয়্যাহ: ১/২৩৭, আলামুল কুতুব]
কিছু মানুষ এমন থাকেন না যারা কিনা "অলটাইম স্পেশাল?"
এরকমই কিছু "স্পেশাল" মানুষ আছেন যারা বাহ্যিকভাবে কোন স্পেশাল কাতারে পড়েন না। তাঁরা নবীও না, শহীদও না। অথচ নবী আর শহীদরা পর্যন্ত তাঁদের ব্যাপারে ঈর্ষা বোধ করবেন! কে এই মানুষগুলো? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, "আল্লাহর এমন কিছু বান্দা আছেন, যাদের ব্যাপারে নবী এবং শহীদরা পর্যন্ত ঈর্ষা করবেন।"
জিজ্ঞেস করা হলো, "তারা কারা? (আমাদেরকে বলুন), আমরা যেন তাদেরকে ভালোবাসতে পারি।"
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
"তারা হলো এমন সব লোক, যারা - না সম্পদের জন্যে, আর না আত্মীয়তার জন্যে - (বরং) শুধু আল্লাহর জন্যেই একে অপরকে ভালোবাসে। (হাশরের মাঠে) তাদের চেহারা হবে আলোর মত উজ্জ্বল। তারা দাঁড়াবে নূরের মিম্বারের ওপর। যেদিন সমস্ত মানুষ ভয়ে কাঁপতে থাকবে, সেদিন তারা ভয় পাবে না। যেদিন সমস্ত মানুষ থাকবে চিন্তিত, সেদিন তারা চিন্তিত হবে না।"
এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন -
أَلا إِنَّ أَولِياءَ اللَّهِ لا خَوفٌ عَلَيهِم وَلا هُم يَحزَنونَ
"জেনে রাখো, আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই, আর তারা চিন্তিতও হবে না।" [সূরা ইউনুস, ১০ : ৬২]
বই : সিসাঢালা প্রাচীর
যখন আমরা বাসা পরিবর্তন করি, তখন জিনিসপত্র গুছাতে গিয়ে এমন অনেককিছুই খুঁজে পাই যেগুলো সঙ্গে করে নেওয়ার চেয়ে ফেলে দেওয়াই ভালো।
যেদিন আপনি দুনিয়ার জীবন ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমাবেন, সেদিনও এমন অনেক জিনিস খুঁজে পাবেন যেগুলো সঙ্গে করে নেওয়ার উপযোগী নয়; ওপারে এগুলো কোনো কাজে আসবে না।
এমন সব ক্ষণস্থায়ী জিনিসের লোভ ছেড়ে দিয়ে পরকালে কাজে লাগবে এমন জিনিস সংগ্রহে মনোনিবেশ করুন।
ক্ষণিকের এই দুনিয়া 'ভাড়া' বাসার চেয়ে বেশি কিছু না।
- আবুল হাসনাত কাসিম
• প্রফেসর মোখতার আহমাদের টাইমলাইন থেকে -
মহল্লার মসজিদের ইমামকে পিটাতে এসেছে কিছু মাস্তান পোলাপান।
ইমাম সাহেবের সাথে ৮/১০ জন কথিত দ্বীনদার লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ইমাম সাহেবকে বাইরে নিয়ে গেল মাস্তান পোলাপান।
সেই দ্বীনদার লোকেরাও বাইরে আসলেন।
ইমামকে অপমান ও মারধর করতে লাগলো মাস্তানরা।
আর দ্বীনদার লোকেরা ধৈর্য্যের চরম পরাকাষ্ঠ প্রদর্শন করতে লাগলেন।
ইমাম সাহেব টিকতে না পেরে দৌড়াতে লাগলেন এদিক সেদিক।
মাস্তানরা তার পেছন পেছন মারতে মারতে দৌড়াচ্ছে।
দ্বীনপ্রেমিকদের ধৈর্য্য দেখে কে...!
সুবহানাল্লাহ, কি যে ধৈর্য্য ধরে তারা সবকিছু দেখছেন।
হঠাৎ দৌড়ানোর সময় ইমামের লুঙ্গি হাটুর উপরে উঠে গেল।
আর যায় কই!
এবার উঠেপড়ে লেগে গেলেন কথিত দ্বীনদার লোকেরা;
এবং ফতোয়া বর্ষণ করলেন- ওই নাদান!
ইমাম হয়ে এতটুকু জানস না যে,
হাটুর উপর লুঙ্গি উঠা নাজায়েজ, হারাম!
কি জাহেল অসচেতন ইমাম রে তুই...?
ক্যাশ অন ডেলিভারি দেওয়া মানেই কাস্টমারকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া।
কেউ হাসপাতালে আছে
কেউ লোকেশনের বাহিরে আছে
কারো আলমারির চাবি হারিয়ে গেছে
কেউ ফোন ধরে না
কারো মোবাইল চুরি হয়ে গেছে অথচ সিম একটিভ
কেউ খুবই ব্যস্ত রিসিভ করার সময় নাই
কেউবা অর্ডার করার পরে উধাও হয়ে যায়!!!
কেন???
গোলাপের বাগান নয়
তোমার জন্য বুকে বানিয়েছি অ* স্ত্রে*র কারখানা
বাগানের সবচে’ স্বাস্থ্যবতী গোলাপ দিয়ে নয়
তোমাকে প্রপোজ করবো মসৃণ শরীরের শব্দহীন রি*ভল* বার দিয়ে
ফি*লি* স্তিন, আমার প্রেমিকা হবে?
ইবাদাতে অস্থিরতা; গভীর কিছু কথা
আমরা নামাজে মজা পাই না। কখন শেষ হবে এরজন্য অস্থির হয়ে যাই৷ এর থেকে তৈরি হয় ইবাদাতে অনীহা। সমস্যাগুলো এক দুজনার না। হাজার হাজার মানুষ এমন সমস্যায় ভুগছেন।
:
এই সমস্যার বড় কারণ গোনাহ। আমরা খুব সহজে গোনাহ করে ফেলি। কারণ গোনাহের মাধ্যমগুলো এখন এতই সহজলভ্য, গোনাহ করতে করতে গোনাহকে গোনাহ মনে হয় না।
:
আমাদের মানসিক অনুভূতি শক্তি নষ্ট হয়ে গেলেও রুহের অনুভূতি নষ্ট হয় না। সালাফগণ বলেন, মানুষের শরীর ও মনের চেয়ে বেশি অনুভূতি প্রবণ রূহ। আমাদের দেহ ও মনের খারাপ চাহিদার দরুন গোনাহ হয়, শয়তানের ওয়াসওয়াসা বা অভ্যস্ততার কারণে; একটা সময় দেখা যায় গোনাহ হচ্ছে সে অনুভূতি-ই থাকে না।
:
রূহ অধিক অনুভূতিপ্রবণ। তাই এসব গোনাহ হওয়ায় খুব লজ্জিত হয়। সালাতে ও দোয়ায় মালিকের সামনে দাঁড়াতে লজ্জা পায়। ঠিক যেমন, চুরি করে ধরা পরার পর কর্মচারী তার মালিককে দেখে কাচুমাচু করে মুখবয়ব লুকায় এবং নিচের দিক তাকিয়ে থাকে। অস্থির হয়ে যায় কখন এখান থেকে সরে যাবে। একই পরিস্থিতি হয় রূহের।
:
আমরা সেটা বুঝতে পারি না। কারণ আমাদের শরীর ও মন গোনাহ করতে করতে সেটার অনুভূতিই হারিয়ে ফেলেছে। এই অনুভূতি শক্তি তৈরি করতে এবং গোনাহ থেকে মাফ পেতে বেশি বেশি ইস্তিগফার করতে হয়। দৈনিক ১২ শ বার সর্বনিম্ন সংখ্যা বলেন সালাফগণ, যা তাদাব্বুরের সাথে পাঠ করে ২০ মিনিট লাগবে। তবে মনে রাখতে হবে, নির্দিষ্ট সংখ্যা দীর্ঘ সময় ধারাবাহিক করতে হবে। অনির্দিষ্ট সংখ্যায় সারাদিন করার চেয়ে ২০ মিনিট নির্দিষ্ট পরিমাণ দীর্ঘ সময় করা উত্তম, এটা সালাফগণের অভিজ্ঞতা।
:
কিভাবে বুঝব আমার তাওবা কবুল হচ্ছে? এরজন্য সহজ কিছু বিষয়, ইবাদাতে মনযোগ বাড়বে। অল্প গোনাহকে অনেক বড় মনে হবে। কখনো মনে হবে না আমার ইস্তিগফার বন্ধ করা উচিত, পরিপূর্ণ পাপমুক্ত হয়ে গিয়েছি। বরং রূহের সাথে মনে গুড এনার্জি বুস্ট হলে, ছোট গোনাহকেও অনেক বড় মনে হবে এবং ইস্তিগফার পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকবে।
:
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার ও আমলের তাউফিক দান করুন। আমিন।
:দরসে হাদী
(শায়খ হানিফ আল হাদী হাফি.র তাসাউফ হালাকাহ'র বয়ান অনুযায়ী লেখা সিরিজ।) - সুকুন লাইফের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত।
মৃ*ত্যু তাকে হার মানাতে পারেনি, মৃ*ত্যুর পরও সে সংগ্রামের মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে রেখে বিশ্বকে ধিক্কার দিয়েছে।
এই মুষ্টিবদ্ধ হাতটি দুনিয়ার সকল মাজলুমের জন্য বিজয়ের অগ্রীম বার্তা ।
এই মুষ্টিবদ্ধ হাতটি সকল জা* লি মের অহংকার, গর্বকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে গেলো।
এই মুষ্টিবদ্ধ হাতটি সকল ভীরু, কাপুরুষের গালে থাপ্পড় দিয়ে গেলো।
এক আল্লাহর রা জ ত্ব কায়েমের প্রতীক এই মুষ্টিবদ্ধ হাতটি।
ওহে মুনা*ফিক ও জা**লিমের দল তোরা কেউ নিস্তার পাবি না।কিয়ামতের ময়দানে এ হাত সাক্ষী দিবে ইনশাআল্লাহ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Jessore