Jessore Polytechnic Institute Student Association

Jessore Polytechnic Institute Student Association

Jessore Polytechnic Institute Student Association (যশোর পলিটেকনিক ই?

14/10/2024

অর্থবিত্ত হওয়া সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো দশ টাকার বেশি টিফিন খরচ দেইনি। সে বরাবরই তার বন্ধুদের দেখিয়ে বলে বাবা দেখো আজ সে কতো ব্রাণ্ডেড ঘড়িটা পরে এসেছে। বাবা দেখো তার স্কুল ব্যাগটা ইম্পোর্টেট। সুন্দর না বাবা!
আমি মাথা নাড়িয়ে শুধু সম্মতি জানাই।
আমার ছেলের সাহস কিন্তু হয়নি কখনো সেম জিনিসটা চাওয়ার। একদিন তার পায়ে সামান্য ব্যথা। স্কুল যাওয়ার সময় বললো বাবা আমাকে তোমার সাথে অফিসের গাড়িতে নিয়ে স্কুলে নামিয়ে দেবে?
আমি তার সমস্যার কথা বিবেচনা করে বললাম ঠিক আছে। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ সে আমার সাথেই গেলো। আমি চুপচাপ তাকে নামিয়ে দিতাম। আমার ছেলের এখন দেখছি হেঁটে যেতে ইচ্ছে করছেনা। পরেরদিন সকালে আমাকে বলার আগে আমিই বলে দিলাম অফিসিয়াল জিনিস ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিষিদ্ধ। বাড়ি থেকে স্কুল দশ মিনিটের পথ নির্দিষ্ট সময়ের আরোও কিছুক্ষণ আগে বের হবে হেঁটে যেতে পারবে। ছেলে আমার প্রচন্ড মন খারাপ করে বসে রইলো।
এদিকে আমার স্ত্রীও মন খারাপ করেছে। কেনো করি এমন! এর উত্তর জানা নেই।
আজ সন্ধ্যায় ছেলে আমার বাড়িতে এসেই বলেছে জানো আমার বন্ধু শহরের সবচেয়ে সেরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমিও ………
বলার আগেই আমি তাকে থামিয়ে জানতে চাইলাম বাবা প্রতিষ্ঠান সেরা হয় নাকি ছাত্র? ধরো আমি তোমায় সে স্কুলে দিলাম কিন্তু তুমি ফেল করলে কোনো সাবজেক্টে তাহলে আমি কি বলবো তুমি ফেল নাকি স্কুল?
ছেলে বললো বুঝেছি বাবা।
আমি তার মাথায় হাত দিয়ে বললাম এই পর্যন্ত তোমার ক্লাসের কোনো ছেলেই তোমাকে টপকে যেতে পারেনি। তুমিই ফার্স্ট বয়। সুতরাং তুমি যেখানে সেরাটা দেবে সেই স্থানই সেরা তোমার মতো।
এরপর সে আর এরকম কোনো কথা বলেনি।
আজ বিকেলে ছেলে বলছে বাবা একজন এক্সট্রা টিউটর দরকার। আমার ম্যাথ ইংলিশে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি ছেলেকে বললাম বাবা একটু কষ্ট করতে হবে। আমি যখন রাত করে বাড়িতে ফিরবো ন'টা কিংবা দশটায় আমার কাছেই তোমাকে ম্যাথ আর ইংলিশ করতে হবে।
বাবা তুমি পরিশ্রম করে বাড়ি আসো তাই না?
আমি হেসে বললাম, না বাবা। আমার কাছে এতো সামর্থ্য নেই তোমাকে এক্সট্রা টিউটর দেওয়ার। আমি বরং একটু কষ্ট করি। কি বলো?
ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো ঠিক আছে বাবা।
স্ত্রী রাতেরবেলা জিজ্ঞেস করলেন তুমি এরকম দশটা টিউটর রাখতে পারো কিন্তু!
কিন্তু আমি চাই আমার সন্তান বুঝুক আরাম করে কিছু পাওয়া যায় না। মানুষের জীবনে অভাব আসলে তা কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় সে বুঝুক ও সে শিখুক। কোনো কিছুই মন্দ নয় সে বুঝুক।
আমার স্ত্রী চুপ হয়ে গেলেন।
মাঝেমাঝে আমার ছেলেকে নিয়ে আমি ফুটপাতে হাঁটি। পথশিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের সম্পর্কে জানাই। সে জানুক পৃথিবী শুধু চিন্তায় সুন্দর। বাস্তবে খুব কঠিন।
আমি চাওয়া মাত্রই তাকে কিছু দেইনি। একদিন সে বলেছিলো বাবা তুমি এরকম কেনো?
তাকে বলেছিলাম সময় হলে বুঝবে।
দুই তিন আগে সে ইলিশ ও মাংস পোলাও খাবে।
তাকে বললাম টাকাতো কম। তোমার কাছে কিছু আছে? থাকলে ইলিশ আনা যাবে। ছেলে আমার পঞ্চাশটি দশ টাকার নোট বের করে দিল। আমি অবাক হয়ে বললাম তুমি খরচ করোনি?
সে মুচকি হাসি দিয়ে বললো, না বাবা। জমিয়েছি। আমার পরিচিত এক বন্ধু স্কুলে না খেয়েই আসে। কোনো টাকাও নেই তার কাছে। আসলে সে খুব অসহায় বাবা। আমি মাঝে তাকে ক্ষুধার্ত দেখে বুঝতে পারি সেদিনই তার সাথে খাই কারন তখন সে না করে না। অন্যান্য দিনগুলো টাকা খরচ করিনা। জমিয়ে রাখি কারন বাড়ি থেকে মা যা দেয় তাতো যথেষ্ট কারন কিছু মানুষ সামান্যটুকুও পায় না।
আমি ছেলের দিকে তাকিয়ে আছি।
সেই গুছানো টাকা নিয়ে আরোও টাকা মিলিয়ে ইলিশ এনে ছেলেকে ইলিশ মাংস পোলাও খাওয়ালাম। ইচ্ছে করেই অভাব অনুভব করাই যাতে সে বুঝুক জীবনটা কঠিন। অনেক কঠিন।
পূজোর বাজারে গিয়ে তাকে বলেছি সাধ্যের মধ্যে নিতে। সে একটা প্যান্ট নিয়েছে শুধু। জানতে চাইলে বলে তোমার জন্য পাঞ্জাবি আর মায়ের জন্য শাড়ি নিয়েছি।
আমি হাসলাম।
সে বুঝতে শিখেছে টাকা কিভাবে খরচ করতে হয়।
একদিন বসে বসে বলছে বাবা সায়নটা আর মানুষ হলো না অথচ আংকেল তার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। যা চেয়েছে সে, তার সবটাই তাকে দিয়েছেন। আমি ছেলেকে বললাম আমি কি তোমাকে কিছু দিতে পারিনি?
ছেলে আমার কোলে মাথা রেখে বললো প্রতিটা চাহিদা পূরন করে শিখিয়েছ অভাবে যেন স্বভাব নষ্ট না হয়। তুমি জীবনের যে শিক্ষা দিয়েছ বাবা তা সব কিছুর উর্ধে। তুমি শিখিয়েছ অভাবকে কিভাবে ভালবাসতে হয়। আমি এখনো জানি আমার বাবার আমি ছাড়া কিছু নাই। বাকীটা আমাকে করে নিতে হবে। সবকিছু ইউটিলাইজ করতে হবে। আমি সাধারণ জামাকাপড়েও হীনমন্যতায় ভুগি না বাবা। কারন আমি জানি আমি কে!
তোমার দেয়া শিক্ষা আমি সারাজীবন ধরে রাখবো বাবা। চাওয়া মাত্রই পেয়ে গেলে আমি কখনো জানতামই না পঞ্চাশ দিন না খেয়ে টিফিন মানি জমালে পাঁচশো টাকা জমা হয়। তুমি আছো বলেই সম্ভব। আমি মানুষকে মানুষের চোখে দেখি। আমি বুঝি জীবন কতো কঠিন।
আমার স্ত্রী নিজের থেকেই আজ খুব খুশি। বুঝতে পেরেছেন আমার উদ্দেশ্যটা।
প্রায় দশ বছর পর ছেলে প্রাইভেট কার কিনেছে নিজের রোজগারে। হাসতে হাসতে বলে বিগত পাঁচ বছরে টিফিনের টাকা আর বোনাসের টাকা জমিয়ে এটা কিনেছি।
বুঝতে পেরেছিলাম ছেলে আমার সঞ্চয়ী হয়েছে। সাথে হয়েছে মানুষও।
সপ্তাহখানিক পর যাবতীয় সম্পত্তি তার নামে লিখে দিয়ে বললাম সামলে রেখো। ছেলে দলিল আমার হাতে দিয়ে বললো তোমরা সাথে থেকো। আর কিছু লাগবে না।
আজ তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমার স্ত্রী নীলিমাকে বললাম দেখেছো আমি ভুল করিনি। আমি আমার সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাটাই দিয়েছি যেমনটা আমার বাবা দিয়েছিলেন আমাকে। আমি অভাবে সন্তানকে লজ্জিত হওয়া নয় বরং দৃঢ় থাকতে শিখিয়েছি।

সংগৃহীত পোস্ট

12/10/2024

মেয়ের বাবাদের লজ্জা থাকতে নেই

দরজা খুলে নিজের জন্মদাতা পিতাকে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো! মলিন মুখে বললাম,
- বাবা, ভিতরে আসো!
বাবা ভিতরে এসে একটা বক্স বাড়িয়ে দিয়ে বললো
- “এই নে, তোর পছন্দের গুড়ের পায়েস এনেছি!”
কিছুটা অবাক হয়ে বললাম
- তুমি এই সামান্য পায়েস দেওয়ার জন্য ৬০ কিলোমিটার পথ জার্নি করে এসেছো?
বাবা হেসে বললো,
- “তোর মা রান্না করেছে। তোকে না দিয়ে কিভাবে খাই মা? তাই নিয়ে চলে আসলাম!”

রুমের ভেতর থেকে ড্রয়িংরুমের দিকে আসতে আসতে আমার শ্বাশুড়ি বললো,
- “বউ মা, কে এসেছে?”
বাবা আমার শ্বাশুড়িকে দেখে বললো
- “কেমন আছেন বেয়ান সাব?”

শ্বাশুড়ি বাবার কথার কোন উত্তর না দিয়ে আবার রুমের ভেতর চলে গেলো! বাবা আসলে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুশি হওয়ার চেয়ে বিরক্তই হয় বেশি!
হুটহাট করে যদি মেয়ের বাড়ি চলে আসে তাহলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বিরক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক! অথচ আমার অবুঝ বাবা সেটা বুঝে না। কয়েকদিন যেতে না যেতেই কিছু না কিছু একটা নিয়ে বাসায় হাজির হবেই!
বাবাকে বললাম,
- যাও বাবা, ভেতরের রুমে আপাতত বিশ্রাম নাও, তারপর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে চলে যেও।
বাবা কিছুটা অবাক হয়ে বললো
- “মা, আজকেই কি চলে যেতে হবে? তোদের বাসায় একটা দিন থাকি?”
কোনরকম কান্না চেপে রেখে চোখ-মুখ শক্ত করে বললাম,
- না বাবা, তোমার থাকতে হবে না! দুপুরের খাওয়ার পরই চলে যাবে!

কথাটা বলে আমি রান্নাঘরে এসে কাঁদতে লাগলাম। কতোটা অসহায় হলে একটা মেয়ে তার বাবাকে বাসায় একটা দিন রাখতে চায় না, সেটা কেউ বুঝবে না!
শ্বাশুড়ির রুমে এসে মাথা নিচু করে বললাম
- মা, ফ্রীজ থেকে খাসির মাংসটা বের করে রান্না করি? বাবা দুপুরে খেয়েই চলে যাবে।
শ্বাশুড়ি রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো
- “এতো মেহমানদারি করতে হবে না! তোমার বাপ তো প্রতি কয়েকদিন পর পরেই আসে! তার জন্য খাসির মাংস রান্না করতে হবে নাকি? যা আছে তা দিয়েই খাইয়ে বিদায় করো! লোকটার লাজ লজ্জা বলতে কিছুই নেই। কয়েকদিন যেতে না যেতেই মেয়ের বাড়ি এসে পড়ে ভালো-মন্দ খাওয়ার জন্য!”
শ্বাশুড়ির কাছে হাত জোর করে মিনতি করে বললাম,
- মা, আল্লাহর দোহাই লাগে, এভাবে বলবেন না! পাশের রুমে আমার বাবা আছে, শুনলে কষ্ট পাবে। কথাটা বলে আমি চলে আসলাম…

শুধু যে আমার শ্বাশুড়ি বাবাকে অপমান করে তা না। আমার স্বামীও করে। একবার আমার স্বামী বাবাকে বাজারের ব্যাগ দিয়ে বলেছিল,
- “বাসায় তো বসেই আছেন। যান বাজারটা করে নিয়ে আসুন!”
মেয়ের জামাই শ্বশুরকে বলেছে বাজার করে নিয়ে আসুন! এটা যে কতোটা অপমানজনক আমার বাবা সেটা বুঝতে পারেনি! উনি ব্যাগ নিয়ে হাসিমুখে বাজার করতে চলে গিয়েছিল!

রুমে এসে দেখি বাবা খবরের কাগজ পড়ছে। আমাকে দেখে হাসিমুখে বললো,
- “দেখলি সাকিব আবার সেঞ্চুরি করেছে। ছেলেটার ভেতর দম আছে! দেখিস সামনে আরো ভালো কিছু করবে।”
আমি বাবার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম, আমার বাবা তো এমন ছিল না। নিজের বিন্দু পরিমাণ অপমান সহ্য করতো না। সেই বাবা আমাকে বিয়ে দেওয়ার পর এমন হয়ে গেলো কেন!

দুপুরে বাবাকে খাওয়ানোর সময় মাছের মাথাটা যখন বাবার প্লেটের দিকে বাড়িয়ে দিবো, তখন শ্বাশুড়ি এসে বললো
- “তুমি জানো না, মাছের মাথা ছাড়া আমার ছেলে খেতে পারে না। কোন হিসাবে নিজের বাবাকে মাছের মাথা দিচ্ছো?”
বাবা তখন শুধু তারকারীর ঝোল মেখে খেতে খেতে বললো
- “তুই এতো ভালো রান্না করিস কিভাবে? বাড়ি গেলে তোর মাকে একদিন শেখাবি। ২৫ বছর ধরে সংসার করছে, অথচ রান্নাটা ভালো করে শিখতে পারেনি!”
আমি তখন কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে বললাম
- আল্লাহ কি তোমাকে একটু লাজ লজ্জা দেয়নি। এতো অপমানের পরেও কয়দিন পর পর মেয়ের শ্বশুড়বাড়ি এসে হাজির হও। তুমি যদি আমার ভালো চাও, তাহলে এই বাড়িতে আর এসো না!

বাবা সেদিন আমাকে আর কিছুই বলেনি। শুধু যাবার সময় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে হাসিমুখে চলে গিয়েছিল…

সেদিনের পর বাবা আর কখনো আমার শ্বশুরবাড়ি আসেনি। মাঝখানে আমার শ্বাশুড়ি অসুস্থ হলো, স্বামীর ব্যবসার অবস্থা খারাপ হলো, বাবাই সব টাকা দিয়েছে কিন্তু বাসায় আসেনি!
একদিন শ্বাশুড়ি আমাকে বললো,
- “বেয়ান মশাই তো আর আসে না!”
আমি হেসে বললাম
- “মেয়ের বাসায় এসে কি করবে? মেয়ে তো তাকে একবেলা মাছের মাথা দিয়ে খাওয়াতে পারতো না। তরকারির ঝোল দিয়েই ভাত খেতে হতো। তাই হয়তো আর আসে না!”
স্বামী একবার বললো,
- “বাবাকে বলো একবার বাসায় আসতে!”
একথা শুনে স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,
- “কেন! বাজার করার লোক আছে তো! শুধু শুধু আরেকজন লোক বাসায় আনার দরকার কি? শ্বাশুড়ি কিংবা স্বামী সেদিন কিছু বলতে পারেনি। শুধু মাথা নিচু করে ছিল…

২ বছর পর…
আমি মেয়ের মা হয়েছি। কিন্তু মেয়ের প্রতি আমার চেয়ে আমার স্বামীর দরদ বেশি! মেয়ে রাতে যতোক্ষণ সজাগ থাকে, ততোক্ষণ মেয়েকে কোলে নিয়ে হাঁটে!।মেয়ে ঘুমালে মেয়ের মুখের কাছে মুখ নিয়ে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে! মেয়ে যেদিন আধো আধো গলায় বাবা বলে ডেকেছিল, সেদিন আমার স্বামী খুশিতে বাচ্চাদের মতো কান্না করে দিয়েছিল!

একদিন মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমাকে আমার স্বামী বললো,
- “আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিবো না! সারাজীবন আমার কাছে রাখবো। মেয়েকে ছাড়া আমি থাকতেই পারবো না”!

আমি তখন স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম
- “আমার বাবাও হয়তো ঠিক এভাবে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল আমাকে বিয়ে দিবে না। আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। কিন্তু মেয়ে মানুষ বলে কথা। বিয়ে তো দিতেই হবে। মেয়েকে বিয়ে দিলো। মেয়ের বাসায় এসে প্রতিবার অপমানিত হয়ে যেতো, তবুও আবার আসতো!”

কথাগুলো শুনে আমার স্বামী যখন নিরব হয়ে রইলো তাখন আমি চোখের জল ফেলতে ফেলতে বললাম,
- তোমারা আমার বাবাকে যতোটা বেশরম ভেবেছিলে, বিশ্বাস করো আমার বাবা এমন বেশরম না! উনি সবই বুঝতো, তবুও না বুঝার অভিনয় করতো। একমাত্র মেয়ে ছিলাম তো, তাই মেয়েকে দেখার জন্য বাবার হৃদয়টা কাঁদতো। তাই কয়েকদিন পর পর এসে পড়তো।

রাতে কান্নাকাটি করে কখন ঘুমিয়েছি জানি না। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার স্বামী ল্যাগেজ গুছিয়ে তৈরি হয়ে বসে আছে!
অবাক হয়ে বললাম,
- কোথাও যাবে নাকি?
স্বামী মেয়ের দিকে তাকিয়ে কান্না ভেজা চোখেও মুখে হাসি নিয়ে বললো,
- “মেয়ের বাবা যেহেতু হয়েছি, সেহেতু শ্বুশুরের কাছে গিয়ে নির্লজ্জ হবার ট্রেনিং নিতে হবে! কারণ একদিন আমাকেও হয়তো অনেক অপমান সহ্য করতে হবে, যেমনটা আমি আমার শ্বশুরকে করেছি। মেয়ের বাবাদের তো আবার লজ্জা থাকতে নেই!”

আমি আমার স্বামীকে কিছু বলতে পারছিলাম না। শুধু দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, মেয়ের বাবা হবার পর নিজের করা ভুলের জন্য কতোটা অনুতপ্ত হলে একটা ত্রিশোর্ধ মানুষ বাচ্চার মতো কান্নাকাটি করে!
আজকের পর থেকে স্বামীর প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই…

সংগৃহীত

15/09/2024
Photos from Jessore Polytechnic Institute Student Association's post 23/08/2024

০৫ কোটি মানুষ ১০ টাকা করে অনুদান দিলে ৫০ কোটি টাকা। জাস্ট ইমাজিন!!!
আজ সকাল থেকেই একটা বিশ্বস্ত মাধ্যম খুজতেছিলাম অনুদান দেওয়ার জন্য। অনেক যাচাই বাছাই করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আমার কাছে বিশ্বস্ত মনে হয়েছে।
বন্যায় মানুষের পাশে দাড়াতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনুদান দিতে পারেন। আপনার অনুদান সঠিক মানুষের হাতে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আপনিও দিন এবং অপরকে উৎসাহিত করুন।

ওয়েবসাইট - https://assunnahfoundation.org/donation

23/08/2024

বাংলাদেশের এই দুঃসময়ে বন্যাদুর্গতদের সাহায্য করার জন্য খুবই রিলায়েবল জায়গা হল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। আপনিও যতটুকু পারেন, সাহায্য করুন প্লিজ। এভরি ডোনেশন ম্যাটারস।

https://assunnahfoundation.org/donate/flood

19/08/2024

ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্রীভাবে 'সুদখোর' ঢাকা হয় বারবার। মজার ব্যাপার হচ্ছে- মুহাম্মদ ইউনূসকে যারা পছন্দ করেন তাদের বেশীরভাগও জানেন না, মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীন ব্যাংকে তাঁর এক টাকার মালিকানাও নাই, শেয়ারও নাই। কখনোই ছিল না।

সারা পৃথিবীর ১০৭টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাঁকে এবং তাঁর গ্রামীন ব্যাংকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিল।

জিনিসটা আপনার-আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাইক্রো-ফাইনান্সের ধারণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে এটা।
এই ব্যবসার কেউ মালিক হতে পারবে না। সম্পূর্ণ নন-প্রফিট তথা অলাভজনক।
এটাকে বলে সামাজিক ব্যবসা। নির্দিষ্ট কোনো মালিক নাই। জনগণই এর মালিক।
বাইর থেকে অনুদানের টাকা এনে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। নিজে এটি প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠানে তার এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি। বরং এর ২৫% মালিকানা সরকারের, বাকি মালিকানা গরীব মানুষের। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে ড মুহাম্মদ ইউনূস মাত্র ৩০০ ডলার বেতনে চাকরী করতেন।
তিনি যে নিজের কোনো শেয়ার রাখেননি তা না, কোম্পানীকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে কেউ এর একক মালিক হতে না পারে। কোম্পানী অধ্যাদেশ ২৮ ধারা অনুযায়ী তিনি এটি রেজিস্ট্রেশন করেন।

শুধু যে গ্রামীন ব্যাংকে তিনি মালিকানা রাখেননি তা কিন্তু না। জর্জ সরোস, টেলিনরদের এনে তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর কথায় টেলিনর বাংলাদেশে আসে। তাঁর কথায় তাঁর বিলিয়নিয়ার বন্ধুরা গরীবদের উন্নতির জন্য ফান্ড দেয়। তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। সেটাও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই। অনেকেই জানেন না গ্রামীন টেলিকমকে নন ফর প্রফিট কোম্পানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও তিনি নিজের জন্য ১% মালিকানাও রাখেননি। তিনি চাইলে ইজিলি ১০-১৫ পার্সেন্ট মালিকানা নিজের জন্য রেখে দিতে পারতেন। অথচ লাভের এক টাকাও যাতে নিজের কাছে না আসে, সেটা নিশ্চিত করেন তিনি।

তাঁর প্রতিষ্ঠিত সরকার নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ ব্যাংকে এখনো সুদের হার বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। অথচ স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে হবে গ্রামীন ব্যাংকের মত সুদ বোধহয় কেউ নেয় না। আর নিশ্চয় এই টাকায় প্রফিট করেন ড ইউনূস!

আসলে আমাদের দেশের মানুষ এসব কল্পনাও করতে পারেন না, একজন মানুষ ব্যবসা করবে অথচ সেখান থেকে নিজে কোনো লাভ করবে না। এমন কথা আমরা ভাবতেই পারিনা। আমরা ভাবতে পারি কেবল টাকা কামানোর কথা।
যেমনভাবে ড মুহাম্মদ ইউনূস বলেন- টাকা কামানোতে আছে সুখশান্তি, অন্যের উপকারে আছে প্রশান্তি। ওনার ভাষায় 'নিজের জন্য টাকা কামানো হয়তো হ্যাপিনেস, অন্যের উপকার হচ্ছে সুপার হ্যাপিনেস।'

মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, সবাই এককভাবে সম্পত্তির মালিক হতে থাকলে গরীব আরো গরীব হয়ে যাবে, ধনী আরো ধনী হবে। ফলে বিশ্বব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে। এই বিশ্বাস থেকেই ওনি সব ননপ্রফিট বা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরী করে গেছেন, নিজের কোনো মালিকানা রাখেননি।
এরকমটা কি আপনি ভাবতে পারেন? আপনি বাংলাদেশের যেকোনো কোম্পানী দেখেন, তাদের সব নিজেদের মালিকানা।
কোম্পানীর কথা বাদ দেন, এনজিও ব্র‍্যাক দেখেন! মালিকানা ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের। বড় বড় পদে পরিবারের সদস্যরা আছে।
কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূস সেটা করেননি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের বা পরিবারের কাউকে রাখেননি।

অথচ ড মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে এসব ব্যবসায় নিজের মালিকানা রেখে ইজিলি বিলিয়নিয়ার হয়ে যেতে পারতেন। খুব ইজিলি।
তাঁর প্রায় সব বন্ধুবান্ধব বিলিয়নিয়ার, মাল্টি বিলিয়নিয়ার। তিনি সেদিকে যাননি।

অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে ড মুহাম্মদ ইউনূসের আয়ের উৎস কী?
আমি নিশ্চিত, এটাও অনেকে জানেন না।
ড মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর ওয়ান অব দ্যা হায়েস্ট পেইড স্পীকার। স্পীচ দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার মত। কখনো আরো বেশী।
বিশ্বের নামীদামী প্রতিষ্ঠান গুলো ওনাকে নিয়ে যান ওনার বক্তব্য শুনতে।
ওনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার জন্যও ডাকা হয়।
২০২৪ সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখ্রো।
২০২৬ ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালীয়ানরা ওনাকে পাওয়ার জন্য তদবির করছে। যাতে ওনি পরামর্শ দেন।

এদিকে আমরা মনে করি গ্রামীন ব্যাংক আর গ্রামীন টেলিকমের মত ওনার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী থেকে টাকা পান তিনি। যেন গ্রামীন ব্যাংকের সুদগুলো সরকার খায় না, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস খায়। এরা কখনো প্রকাশ্যে স্বীকারই করে না যে, এগুলোতে তার ০.০১% শেয়ারও নাই।

ওনি একটা বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশে, কিন্তু অনুমতি পাননি। একটা আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হতো। ওনি বললে পৃথিবীর সেরা সেরা প্রফেসররা সেখানে এসে ক্লাস নিয়ে যেতো। ওনি ডাকলে এমনকি বিল গেটস কিংবা আমেরিকান প্রেসিডেন্টও তাঁর ইউনিভার্সিটিতে স্পীচ দিতে চলে আসতো।
কিন্তু সেটা হতে দেয়া হয়নি। তাঁকে ইউনিভার্সিটি করতে দেয়া হয়নি।

ড মুহাম্মদ ইউনূসকে যত জানবেন, আপনার মনে হবে- দেশ এবং জাতি হিসেবে আমরা ড মুহাম্মদ ইউনূসকে ডিজার্ভই করিনা।

একটা প্রশ্ন করি, আপনি কি জানতেন মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীনব্যাংক কিংবা গ্রামীন টেলিকমের মত ওনার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের জন্য কোনো শেয়ার রাখেননি?

Photos from Jessore Polytechnic Institute Student Association's post 16/08/2024

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে “উপ-সহকারী প্রকৌশলী” পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ: ১৪/০৮/২০২৪।
আবেদনের সময় শুরু আগামী ২০/০৮/২০২৪ সকাল ০৯:০০ ঘটিকা এবং আবেদনের শেষ সময় আগামী ০৮/০৯/২০২৪ বিকাল ০৫:০০ ঘটিকা। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.bpdb.gov.bd এর নোটিশ বোর্ড এর ক্রমিক ৮২৭ হতে ডাউনলোড করা যাবে।

05/08/2024

আপনি, আপনার বন্ধু এবং আপনার পাশের মানুষটাকে বলেন সকল রকম ধ্বংসজজ্ঞ থেকে বিরত থাকতে। বুক পেতে আমাদের হিন্দু ভাই বোনদের নিরাপত্তা দিন। এই দেশটা আমাদের সকলের, আসেন নতুন করে গড়ি দেশটাকে। ✌️

05/08/2024

প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট করা, সখ্যালঘুদের উপর হামলা কখনোই কাম্য নয়।দয়া করে সবাই সহনশীল হোন।

23/04/2024

লিখিত পরীক্ষা
সহকারী প্রকৌশলী
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড....

22/04/2024

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে আজ রাত ৯টায়। এসময় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল গতকাল ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট।

18/04/2024

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসির মর্যাদা।

14/04/2024

বয়কট মুভমেন্ট একটা অন্যরকম জায়গায় পৌঁছে গেছে। গতকাল রাতে কোল্ড ড্রিংস কিনতে গিয়ে দেখি মোজো সহ সব দেশী প্রোডাক্ট সোল্ড আউট। কোক স্প্রাইট অনেক আছে, কিন্তু বিক্রি খুবই কম। পরে খুঁজে এক দোকানে আরসি আর নতুন একটা ব্র‍্যান্ড পাইলাম, মোড়কটা দেখতে কোকের মতো। দোকানদার যখন দিতেসিলো, বললাম ভাই কোক দিয়েন না। দোকানদার বললো কোক, পেপসি রাখি না; এইটা পারটেক্সের।

আর দাদাদের প্রোডাক্টের অবস্থা যে কোন সুপার শপে গেলেই বুঝবেন। দাদাদের চিহ্নিত সব পণ্যে খালি অফার আর অফার। আমাদের ফ্যামিলি বুঝ হওয়ার পর থেকে দেখছি রূপচাঁদা সয়াবিন খায়। কোনো দোকানে রূপচাঁদা না থাকলে আমরা দুই চার দোকান খুঁজে রূপচাঁদা বের করতাম। রূপচাঁদা আমি জীবনে কখনো ছাড় দিয়ে বেচতে দেখি নাই। কয়েকদিন আগে স্বপ্নে গিয়ে দেখি রূপচাঁদায় ছাড় আর রুপচাঁদা বাদে কিছু নাই(স্বপ্ন ইচ্ছে করেই হয়তো রূপচাঁদা বাদে কিছু রাখে নাই)। পরে সয়াবিন না কিনে ফিরে আসছি, অন্য দোকান থেকে পুষ্টি নিসি।

মজলুমদেরও পক্ষেও অনেক সময় একতাবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী প্রতিবাদ করা সম্ভব। বয়কটে কিছুই হবে না, অথবা আমি একা না কিনলে কি যাবে আসবে; এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন। আপনি, আমি মিলেই কোটি মানুষ। চলমান বয়কট আন্দোলন অনেক হিসেব নিকেশ চেঞ্জ করে দিবে বলে আমার বিশ্বাস। আপনাকে খুব বড় কোনো ঝুঁকি নিতে কেউ বলছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মিছিল, মিটিং করতে হবে না, আন্দোলনে গিয়ে গুম, খুন হতে হবে না। শুধু একটু দেখে কিনুন। যারা আপনার অধিকারকে রুদ্ধ করে কিংবা আপনার ভাইয়ের বুকে গুলি চালায় তাদের কাউরে ফাইন্যান্স করতেসেন কি না,এই হিসাব মিলিয়ে কিনুন।
(সংগৃহীত)

14/04/2024

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ

মুন্সি আব্দুর রউফ (৮ মে ১৯৪৩ - ৮ এপ্রিল ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীর শ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাঁদের অন্যতম। তিনি ১৯৬৩ সালের ৮ মে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে যোগদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি নিয়মিত পদাতিক সৈন্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বুড়িঘাট গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল (মতান্তরে ২০ এপ্রিল) তিনি মর্টার শেলের আঘাতে শহীদ হন। তাঁকে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে একটি টিলার ওপর সমাহিত করা হয়।

বীরশ্রেষ্ঠ
মুন্সী আবদুর রউফ

জন্ম
৮ মে ১৯৪৩
সালামতপুর (বর্তমান রউফ নগর), মধুখালি, ফরিদপুর

মৃত্যু
৮ এপ্রিল ১৯৭১ (বয়স ২৭)
বুড়িঘাট, মহালছড়ি, রাঙ্গামাটি
আনুগত্য
বাংলাদেশ

কার্যকাল
৮ মে ১৯৬৩ - ৮ এপ্রিল ১৯৭১
পদমর্যাদা
ল্যান্স নায়েক

ইউনিট
পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস

যুদ্ধ/সংগ্রাম
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

পুরস্কার
বীরশ্রেষ্ঠ

জন্ম ও শৈশব
মুন্সি আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের ৮ মে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার (পূর্বে বোয়ালমারী উপজেলার অন্তর্গত) সালামতপুর গ্রামে (বর্তমান নাম রউফ নগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মুন্সি মেহেদি হাসান ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং মাতা মুকিদুন্নেসা। তার ডাকনাম ছিলো রব। তার দুই বোনের নাম ছিল জোহরা এবং হাজেরা। তিনি সাহসী ও মেধাবী ছিলেন, কিন্তু লেখাপড়ার প্রতি তেমন ঝোঁক ছিলো না। শৈশবে তার বাবার কাছে লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়।

শিক্ষা ও কর্মজীবন
সম্পাদনা
১৯৫৫ সালে তার পিতার মৃত্যুর পর তিনি বেশিদূর লেখাপড়া করতে পারেন নি। সংসারের হাল ধরতে অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ১৯৬৩ সালের ৮ মে আব্দুর রউফ যোগ দেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে। সেসময় তাঁকে ৩ বছর বেশি বয়স দেখাতে হয়েছিলো চাকরিটা পাওয়ার জন্য। চুয়াডাঙ্গার ইপিআর ক্যাম্প থেকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করে আব্দুর রউফ উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানে যান। ছয় মাস পরে তাঁকে কুমিল্লায় নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে চট্টগ্রামে ১১ নম্বর উইং-এ তিনি কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদান করেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মুন্সি আব্দুর রউফ তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে তিনি চট্টগ্রামে ১১ উইং-এ চাকুরিরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ল্যান্স নায়েক[১২] হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মাঝারি মেশিনগান ডিপার্টমেন্টের ১ নং মেশিনগানার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি-মহালছড়ি জলপথে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এই জলপথ দিয়ে পাকিস্তানি সশস্ত্রবাহিনীর চলাচল প্রতিরোধের দায়িত্ব পড়ে তার কোম্পানির উপর। কোম্পানিটি বুড়িঘাট এলাকার চেঙ্গিখালের দুই পাড়ে অবস্থান নিয়ে গড়ে তোলে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি।

৮ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর দুই কোম্পানি সৈন্য মর্টার, মেশিনগান ও রাইফেল নিয়ে বুড়িঘাটের মুক্তিবাহিনীর নতুন প্রতিরক্ষা ঘাঁটিকে বিধ্বস্ত করতে সাতটি স্পিডবোট এবং দুইটি লঞ্চ নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। এটি ছিলো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় কমান্ডো ব্যাটালিয়নের (এসএসজি) কোম্পানি। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কাছাকাছি পৌঁছেই পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ শুরু করে। স্পিডবোট থেকে মেশিনগানের গুলি এবং আর লঞ্চ দুইটি থেকে তিন ইঞ্চি মর্টারের শেল নিক্ষেপ করছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে। পাকিস্তানি বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিলো রাঙামাটি-মহালছড়ির জলপথ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পিছু হটিয়ে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা।

যেভাবে শহীদ হন

অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারাও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পরিখায় অবস্থান নিয়ে নেন। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাগুলির তীব্রতায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে যায় এবং তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করে ফেলে। যুদ্ধের এই পর্যায়ে আব্দুর রউফ বুঝতে পারেন, এভাবে চলতে থাকলে ঘাঁটির সকলকেই পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে মৃত্যু বরণ করতে হবে। তিনি তখন কৌশলগত কারণে পশ্চাৎপসরণের সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্ত সৈন্যদের জানানো হলে সৈন্যরা পিছু হটতে শুরু করে। এদিকে পাকিস্তানি বাহিনী তখন খুব কাছে চলে আসে। ফলে সকলে একযোগে পিছু হটতে থাকলে একসাথে সকলকেই মৃত্যুবরণ করতে হতে পারে ভেবে আব্দুর রউফ পিছু হটেন নি। সহযোদ্ধাদের পিছু হটার সুযোগ করে দিতে নিজে পরিখায় দাঁড়িয়ে অনবরত গুলি করতে থাকেন পাকিস্তানি স্পিডবোটগুলোকে লক্ষ্য করে। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে একা কৌশলে লড়ছিলেন তিনি। তিনি তাদের সাতটি স্পিডবোট একে একে ডুবিয়ে দিলে তারা তাদের দুটি লঞ্চ নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। লঞ্চ দুটো পিছু হটে রউফের মেশিনগানের গুলির আওতার বাইরে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেয়। পাকিস্তানি বাহিনী এরপর লঞ্চ থেকে মর্টারের গোলাবর্ষণ শুরু করে। মর্টারের গোলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা রউফের একার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। তবু তিনি চেষ্টা চালিয়ে যান। হঠাৎ একটি মর্টারের গোলা তার বাঙ্কারে এসে পড়ে এবং তিনি শহীদ হন। কিন্তু তার মৃত্যুর আগে সহযোগী যোদ্ধারা সবাই নিরাপদ দূরত্বে পৌঁছে যেতে পেরেছিলো। সেদিন আব্দুর রউফের আত্মত্যাগে তার কোম্পানির প্রায় ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধার জীবন রক্ষা পায়।

সমাধিস্থল

রাঙামাটির নানিয়ার চরে তার কবর
শহীদ বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির নানিয়ার চরে অবস্থিত। তার অপরিসীম বীরত্ব, সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্ব্বোচ সম্মান বীর শ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে। বাংলাদেশ রাইফেলস ১৯৭৩ সালে সিপাহি মুন্সি আব্দুর রউফকে অনারারি ল্যান্স নায়েক পদে মরণোত্তর পদোন্নতি প্রদান করে।

সম্মাননা

২০১৪-এ পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলস কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ। তার স্মৃতিতে শালবাগান, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক, সাপছড়ির মধ্যবর্তী স্থানে ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ECB-16) একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছে। মানিকছড়ি, মুসলিম পাড়া, মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি এর একটি উচ্চ বিদ্যালয় তার নামে রাখা হয়েছে। সিলেটের একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তার নামে রাখা হয়েছে। ফরিদপুর জেলার একটি কলেজ তার নামে রাখা হয়েছে, যেটি সরকারিকরণ করা হয়েছে।

Collected from Wikipedia

04/04/2024

"আমি খুব শীঘ্রই তোমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছি, তোমরা তোমাদের ঈমানের যত্ন নিও"!

- মাহে রমাদান ❤️

16/03/2024

কেন ভার্সিটির শিক্ষকরা সন্তানদেরকে কওমি
মাদরাসায় পড়াচ্ছেন...!!?
(দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় কওমী মাদরাসা নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছেন সাংবাদিক এসএম মামুন হোসেন, চুম্বক অংশ তুলে ধরেছি..)

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ দেশের অনেক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার উচ্চ শিক্ষিতরা তাদের সন্তানদের সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় না পড়িয়ে বরং কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি করেছেন। এমনকি এসব উচ্চ শিক্ষিতরা অন্যদেরও নিজেদের সন্তানকে কওমি মাদ্রাসায় দেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। তাদের এমন চেষ্টার কারণ হিসেবে তারা বেশ কিছু কারণ সামনে আনছে। তারা বলছেন, পশ্চিমাদের আদলে তৈরি বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই নৈতিকতার সারসত্তা শূন্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া এ শিক্ষা মানুষকে অতি বস্তুবাদি করে তোলার পাশাপাশি সমাজের প্রতি তরুণদের দ্বায়িত্ববোধ, বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হ্রাস করাসহ নানা অবক্ষয়ের জন্ম দিয়েছে। এ কারণে তারা নিজেরা সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরে পদার্পণ করেও নিজেদের সন্তান বা পরিবারের অন্য সদস্যদের কওমি মাদ্রাসায় পড়াচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর লিয়াকত সিদ্দিকী যায়যায়দিনকে বলেন, 'আমার মাত্র একটি সন্তান (ছেলে)। তাকে আমরা সাধারণ শিক্ষায় না পড়িয়ে কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করাচ্ছি। এর ফলে আমি নিশ্চিত থাকতে পারছি যে আমার সন্তান এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে না যেখান থেকে তার চরিত্র নষ্ট হতে পারে। সে অত্যন্ত নিরাপদে থাকছে ও বেড়ে উঠছে।'

শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে ও মৃত্যুর পরের জীবনে জান্নাতের আশায় সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষায় পড়াচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইন বিভাগের সিনিয়র এ শিক্ষক বলেন, 'জান্নাত তো পরকালের বিষয়, এ কালেই আমরা আমাদের সন্তানদের যেসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়াতে দেখছি তা থেকেও তো সাধারণ শিক্ষার প্রতি আস্থা রাখতে পারছি না।

চারপাশে এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যাতে বর্তমান প্রজন্ম যুক্ত হচ্ছে না। এর বিপরীতে মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই আদর্শ চরিত্রবান হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। উচ্চ নৈতিক মান ধারণ করছে। এ কারণেই ছেলেমেয়েদের কওমি শিক্ষায় শিক্ষিত করছি।'

তবে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে ভয় ও আশাও যে এর পেছনে কাজ করছে তাও অস্বীকার করেননি এ শিক্ষক। তিনি জানান, তার জানামতে দেশের অনেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব, উপসচিবসহ শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারও তাদের সন্তানদের কওমি মাদ্রাসায় পড়াচ্ছেন, এবং এ প্রবণতা দিনে দিনে আরও বাড়ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ বিভাগের আরেক শিক্ষক ড. মো. গোলাম রব্বানী যায়যায়দিনকে বলেন, তার দুই সন্তানের ছোটজনের বয়স চার বছর। এবং বড়জন এবার নাজেরানা পর্যায়ে পড়াশোনা করছে। তিনি তার ছেলের কথা বলতে গিয়ে বলেন, তার ছেলের মাদ্রাসার খতমে বুখারির (সমাবর্তন) অনুষ্ঠানের হাদিসের সনদ বলার সময়ে শিক্ষকের নাম বলতে গিয়ে শ্রদ্ধায় শিক্ষার্থীদের তিনি কাঁদতে দেখেছেন।

আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা পত্রিকা খুললেই দেখা যায় শিক্ষক, ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার, অন্য ছাত্র সংগঠনের ওপর, অনেক সময় নিজেরা নিজেরা মারামারি করছে। পড়াশোনা করতে এসে একজন অন্যজনকে আঘাত করার মতো জঘন্য পথেও পা বাড়াতে দ্বিধাবোধ করছে না। তারা একবারও সহপাঠীর মা-বাবার কথা ভাবছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ শিক্ষক।

তিনি হতাশার সঙ্গে বলেন, 'আমরা শিক্ষক হিসেবে আদর্শ মানুষ তৈরিতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হচ্ছি। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারছি না।' এ কারণে নিজের সন্তানকেও আধুনিক শিক্ষায় না পড়িয়ে কওমি মাদ্রাসায় পড়াচ্ছেন বলে জানান বিজ্ঞান অনুষদের এ শিক্ষক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে সরকারি-বেসরকারি চাকরি না খুঁজে যোগদান করেন ময়মনসিংহের এক কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে। সেখানে বাংলা, ইংরেজি ও অংকের ক্লাস নিয়ে থাকেন তিনি।

অসাধারণ কণ্ঠের অধিকারী এ বক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, অতীতে এক সময় বড় গায়ক হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তিনি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি কওমি ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতদের সহজ সরল, কলুষমুক্ত ও আনাড়ম্বর জীবনই তার পছন্দ বলে জানান।

শুধু প্রফেসর লিয়াকত সিদ্দিকী, ড. মো. গোলাম রব্বানী বা সংগীত বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করা মুহাম্মদ হোসেনই শুধু নয়, দেশের অসংখ্য সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি ক্রমেই কওমিয়া শিক্ষার প্রতি ঝুঁকছে।

সরকারের সচিব থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকেরা এ শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। ফলে শিক্ষাবিদরা এ শিক্ষাকে আধুনিক করার জন্যও তাদের দাবি জোরদার করছে।
কপিঃ মাওঃ ফাইজুল্লাহ শেখ ভাইয়ের ওয়াল থেকে।
ফারুক ভায়ের পোস্ট থেকে সংগৃহীত।

Want your school to be the top-listed School/college in Jessore?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Jessore Polytechnic Institute

Jessore Polytechnic Institute(JPI), which is one of the leading Diploma-in-Engineering Level Education Institutes of Bangladesh, established in 1965 as Technical Institute. Later the institute was converted to Polytechnic Institute, Jessore in November 1969 to enhance teaching and learning. Presently, it comprises 7 departments including major branches of engineering and technology offering Diploma-in-Engineering.
I hope to lead through an outstanding period of progress and growth in quality education and overall teaching & learning environment of the campus. Also hope that whoever visits this renewed website will get a clear picture of JPI as a whole and will help him make the right choice.

I do look forward to welcoming you at Jessore Polytechnic Institute to experience the unique learning & sociable environment.

Videos (show all)

Do not reuse your password in 2024#shorts #password #iphone #AndroidAuto#reusepassword #safeinternet
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলেকট্রিক্যাল/মেকানিকাল/ইলেকট্রনিক্স/পাওয়ার/সিভিল পদে নিয়োগ।
ঈদ মোবারক।
বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের মহান জাতীয় সঙ্গীতের সর্বপ্রথম অর্কেস্ট্রা ভার্সন।ইউটিউবে সার্চ দিলে পৃথিবী...
শুভ জন্মদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত ও শক্তিশালী...
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা নিয়ে চক্রান্ত। Collected From Mohona TV.
দুইজন দুই ভাষায় কথা বললেন,কিছু না বুঝেও সব বুঝলেন।সকল ভাষা শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
এল পি গ্যাস ব্যবহারে সচেতন থাকুন ,এবং অন্যকে সচেতন করুন।
#Marine_Two_Stroke_Petrol_Engine#Two_stroke_engine#How_two_stroke_engine_woks
রমজানে সংযম ও সহমর্মিতা ছরিয়ে পড়ুক সবার মাঝে।