Muffinroom
It is a fuel food service provider.
For order inbox us
Order now
Gh
Hhh
S
এ পেজ থেকে কালীগঞ্জ পৌর এলাকাবাসী জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, গায়েহলুদ, কর্পোরেটসহ যে কোনো কাস্টমাইজ হোমমেইড কেক অর্ডার করাতে ____
Ok
????
হোমিওপ্যাথিক
অব্যর্থ
One syndrome One medicine
#১আঘাত পেয়ে যেকোন রোগ হলে- Arnica
#২হঠাৎ আসা তরুণ বা যেকোন রোগে- Aconite
#৩গলায় মাছের কাটা বিধলে-Silicia 200
#৪ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে গেলে-Staphysagria
#৫পিন, তারকাটা, পেরেক, লোহা বিধলে-Ledum Pal 200
#৬অতিরিক্ত হাঁচি আসলে-Natrum Mur 30
#৭যানবাহনে চড়ে বমি হলে-Cocculus Ind
#৮ঘুমের মাঝে নাক ডাকলে- O***m
#৯ঘুম না আসলে- O***m
#১০অত্যধিক ঘুমের জন্য লেখা পড়ার ক্ষতি হলে-Ferrum Phos 3x
#১১চোখের পাতায় বার বার অঞ্জলি/তেলেঙ্গা হলে-Staphysagria
#১২যেকোন স্থানে, যেকোন ব্যথায়-Mag phos 6x
#১৩ক্ষুধা ও বলশক্তি বৃদ্ধির জন্য-Nux Vom Q
#১৪খাবারে রুচি না থাকলে-Amloki Q
#১৫শরীরের কোন স্থান কেটে রক্তপাত ঘটলে-Calendula Q (বাহ্যিক)
#১৬বর্ষা/বৃষ্টির কারণে যেকোন রোগ হলে-Rhus Tox
#১৭আমাশয় হলে-Merc Sol
#১৮আমাশয়ে রক্ত গেলে-Merc Cor
#১৯শরীরের যেকোন স্থান দিয়ে টাটকা লাল রক্ত স্রাব হলে-Sinaberis
#২১কি ঔষধ প্রয়োগ করবেন না জানলে-NuxVom- 30
#২২নড়াচড়া বা চাপলে আরাম-RhusTox
#২৩চুপচাপ থাকলে আরাম-Bryonia Alb
#২৪স্কুল কলেজ/অবিবাহিত যুবকদের কামরিপু দমনের জন্য Cantharis
#২৫গায়ক/বক্তার স্বর ভেঙ্গে গেলে-Custicum/Arg Nit
#২৬স্মরণশক্তি লোপ পেলে-Anacardium
#২৭খিটখিটে মেজাজ বদ-রাগি লোকদের যেকোন রোগে-Camomila
#২৮আগুন, গরম ও রৌদ্রজনিত যেকোনো রোগে বা সমস্যায়-Glonoine
#২৯শুঁচিপায়ি রোগির জন্য- Syphillinum-10m
#৩০বাচ্চারা বিছানায় প্রস্রাব করলে-Cina
#৩১মৌমাছি হুল ফুটালে-Apis Mel
#৩২চুন খেয়ে জিহ্বা পুড়লে/সমস্যা হলে-Causticum
#৩৩পিঠে ব্যথায়-Lycopodium
#৩৪ঘাড় ব্যথার জন্য-Conium
#৩৫দুরগন্ধযুক্ত যেকোন স্রাব হলে-Achinesia
#৩৬সোরাইসিসের জন্য-Gynocardium Q
#৩৭যা খায় তাই বমি করে, কোন খাবার হজম হয়না-Symphoricur pus 30
মাথায় যন্ত্রনা বা ব্রেনের যেকোন সমস্যায়- Kali Phos 6x
#৩৮মহিলাদের জরায়ু ঝুলে গেলে-Sipia 200
#৪০মহিলাদের তল পেটে ব্যথা হলে-Colophylom Q
#৪১প্রস্রাব ধারনে অক্ষমতা-Causticum 200
#৪২গুরুপাক খাবার খেয়ে অসুখ হলে-Pulsitilla
#৪৩যেকোনো বাতের জন্য -Guacum
#৪৪শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে-Calcaria phos-6x
#৪৫শরীরে আইরনের অভাব হলে-Ferum phos-6x
#৪৬শরীরে মাল্টিভিটামিনের প্রয়োজন হলে- Five Phos
#৪৭ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে গেলে মাথাব্যথা-Calcaria phos
#৪৮রোগী কথায় কথায় “ #যদি” শব্দ থাকলে- Arg Nit 200
#৪৯মুখ ও গলার ভিতর যেকোন রোগে- Marc Sol
#৫০ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার ঔষধ- Eupatorium Perfoliatum
#৫১হৃদরোগের মহা ঔষধ- Crataegus Oxyacanth.
সংগ্রহে গুগল
এন্টিবায়োটিক
আবিষ্কার করেছিলেন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। ফ্লেমিং স্যার বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি লোক বেঁচে যাবে। অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবেনা। তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।''
:
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় "এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স''।
:
ধরি, আমার দেহে এক লক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক। খেলাম আমি ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আমি সুস্থ হয়ে গেলাম। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেলো। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করলো নিজেরা নিজেরা।
:
তারা ভাবলো, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। অতএব আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকেনা এরা, বরং সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে এই ব্যাকটেরিয়া গুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়।
এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা আর কাজ করেনা।
:
সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়া গুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকেনা। তিনি হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ঐ এন্টিবায়োটিক কাজ করেনা। যারা খুব নিয়ম করে ওষুধ খান তারাও বিপদে পড়ে যান সবার সাথে।
:
আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন 'জ্যাকেট'এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব বেশি না। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করেনা, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হসপিটাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবেনা। সামান্য সর্দীতেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে।
:
উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা। 'মেডিসিনের বাইবেল' নামে পরিচিত ডেভিডসের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের উল্লেখ আছে আলাদা করে। অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে,
"This organism is registrant against this Drugs in Indian subcontinent''
:
টিভি পত্রিকায় নানান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। বাথরুম করে হাত ধুতে হবে, কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে হবে, নিরাপদ পানি খেতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এন্টিবায়োটিক নিয়ে কোনো কিছু আজও চোখে পড়েনি। অথচ এটা অন্যগুলোর চেয়েও জরুরী। এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে এত সচেতনতা দিয়েও আর লাভ হবেনা।
আগুন নিয়ে খেলছে ফার্মেসিওয়ালারা
--------------------------------------------------
রোগী ফার্মেসীতে গিয়ে একটু জ্বরের কথা বললেই ফার্মেসীতে বসে থাকা সেই লোকটি দিয়ে দিচ্ছে Ezithromycin or,cefixime or cefuroxime or levofloxacin নামক কিছু নামকরা দামী এন্টিবায়োটিক, কিন্তুু কতো দিন খেতে হবে সেটা না জানিয়ে সুন্দর করে বলে দেয় এই ওষধটি ১ ডোজ খাবেন সব রোগ ভালো হয়ে যাবে আর এই ভাবেই আস্তে আস্তে Resistance হচ্ছে সব এন্টিবায়োটিক।
:
চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।
আমি আমার স্ত্রী নীলা কে সন্দেহ করি। কিন্তু কোন প্রমাণ পাচ্ছি না। তাই বাসার সিসি ক্যামরা লাগিয়েছি।
ব্যাপারটা শুনতে অদ্ভুত লাগছে। কিন্তু তাও আমাকে পরিবারের জন্য এইটা করতে হচ্ছে৷
নীলাদ্রীকে আমি ভালোবেসেই বিয়ে করেছি। তিন বছর প্রেম করে অনেক যুদ্ধ শেষে বিয়ে। কিন্তু আমি সংসারের জন্য দিনরাত কাজ করতে করতে আর বড় ছেলেটা আর ছোটো মেয়েটা হওয়ার পর ভালোবাসা বলতে ফেসবুকে ছবি আপলোড করে ভালোবাসি বলাতেই আটকে রইলো।
নীলাকে এখন আমি চিনতে পারি না। কি খিটখিটে আর ঝগড়াটে হয়েছে। কথায় কথায় খোটা দিয়ে কথা বলা সারাক্ষন রাগ যেন নাকের উপর৷ প্রায় দেখি সন্ধ্যা অবধি চুল ভেজা। জিজ্ঞেস করলে বলে কাজ করতে দেরীতে স্নান। কি এমন কাজ ঘরে?
মা বাবা আর দুইটা বাচ্চা। ভাব এমন যেন মায়েদের মতো পনেরো বিশ জনের কাজ করছে। কোন কাজ ঠিক মতো করে না। একটা জিনিস পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে শার্ট অবধি আয়রণ করা পাওয়া যায় না। রান্না কোন দিন ঝাল, তো কোন দিন লবণ নেই।
সারাদিন অনলাইন দেখা যায়৷ জিজ্ঞেস করলে বলে একবার হয়ত ডুকি আর অফ করা হয় না। তাই আমার সন্দেহ লাগে। তাই কাল চুপি চুপি সারাঘরে ক্যামরা লাগিয়েছি৷ অফিস থেকে বসে দেখবো।
আমি মনিটর অন করলাম। ফাইল গুলো নিয়ে চোখ বুলাচ্ছি। নীলা এখন রান্নাঘরে সকালে নাস্তার পরে থালাবাসন গুলো পরিস্কার করছে। ফাইল থেকে চোখ তুলতেই দেখি নীলা বেড়রুমে বিছানা গুছিয়ে রাখছে সব রুমের৷ অনিন্দ স্কুলে গিয়েছে। দুই বছরের মেয়ে টিয়া তখনো ঘুম।
টিয়ার জন্য চুলায় খাবার বসিয়ে রুটি সবজি নিয়ে বসলো । আমরা তো অনেক আগে করেছি নীলা এখন নাস্তা করছ। সাথে মোবাইল নিয়ে অনলাইন ঢুকল। আমি এইবার নড়েচড়ে বসলাম। এইবার বুঝি ধরা খেলো বাচাধন।
রুটি কিছুটা মুখে দেওয়ার সাথে সাথে টিয়া উঠে গেলো৷ টিয়ার কাছে গিয়ে ওকে অনেকক্ষন আদর করে ঘুম থেকে তুলে নিলো। টিভির সামনে বসিয়ে দিলো একবার ওর খাবারটা খাচ্ছে আবার রান্না ঘরে টিয়ার খাবার টা রেডি করছে।
টিয়াকে খাওয়াতে নিলো । টিভি দেখছে, দৌড়াচ্ছে। কত কিছু করছে। কিন্তু তখনো অনলাইন দেখাচ্ছে নীলাকে কিন্তু ও বাচ্চার পিছনে ছুটছে।
আমি কাজ করছি আর মনিটরে চোখ বুলাচ্ছি। মেয়ের খাবার শেষ হলো এক ঘন্টায়। নীলা আমার কালকের শার্ট প্যান্ট ছেলের ড্রেস, মেয়ের অনেকগুলো ছোট ছোট ড্রেস সব তুলছে। বাথরুম নিয়ে সব সবান পানিতে রেখে আবার রান্না ঘরে। ফ্রিজ থেকে মাছ মাংস নামিয়ে মাকে বলল তরকারী কেটে দিতে। ভাত আর টিয়ার জন্য খিচুড়ি তুলে দিয়ে একটা কাপড় নিয়ে ঘরে সব ফার্নিচার পরিস্কার করছে। তখনো অনলাইন শো করছিল নীলাকে। মোবাইলে চোখ গেলে এসে ডাটা অফ করে৷ কাজ করছে আবার রান্না ঘরে গিয়ে রান্না দেখছে৷
চুলায় একদিকে তরকারী দিলো খুব দ্রুত আবার পেয়াজ কেটে চুলায় দিচ্ছে। আবার মাংস কাটছে।
তখন বাবা এসে বলল-
- চা দাও তো একটু কড়া করে। আর একটু নাস্তা দাও৷
নীলা চুলায় তরকারী নাড়ছে আবার বাবাকে খাবার দিচ্ছে।
নীলা আবার ছুটছে টিয়া পিছনে ফ্রুটস খাওয়াচ্ছে। এরপর বাথরুমে গিয়ে কাপড় সব ধুয়ে শুকাতে দিলো। নীলা পুরো ভিজে গিয়েছে কিন্তু স্নান করে নি। এত দ্রুত কাজ করছে কেন?
নীলা রান্না শেষ করে সব গুছিয়ে ফেলেছে। তখন মা এসে বলল -
-বেগুন ভর্তা করিও তো শুটকি দিয়ে।
নীলা মায়ের দিকে তাকিয়ে রইল কিন্তু কোন কিছু বলল না। হঠাৎ আমার ব্যাপারটা চোখে লাগলো। নীলা রাগ ও দেখালো না। এইটা হয়ত প্রতিদিন চলতে চলতে নীলার রাগ হয়ত আগে করতে এখন থেতো হয়ে গেছে। অসহায় লাগছে। নীলা আবার মেয়ের খাবার নিয়ে ছুটছে। কি দুষ্টমি যখন খাচ্ছে না তখন একটা থাপ্পড় দিলো, তখন মা এসে নীলাকে উল্টা বকা দিয়ে টিয়াকে নিয়ে গেলো। খাবার রয়ে গেলো।
নীলা একটু চা খেতে নিলো তখন টিয়া আবার কান্না ওকে ঘুম পাড়িয়ে দিলো।
নীলা চুলায় বেগুন আর শুটকি দিয়ে ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে। তখন অনিন্দকে স্কুল থেকে নিয়ে এলো বাবা। অনিন্দ এসে শুরু করলো দুষ্টমি। নীলা অনিন্দ আর টিয়াকে স্নান করাতে নিলো। যেন যুদ্ধ করছে। আবার এইদিকে রান্নাঘরে ভর্তার জন্য দেওয়া বেগুন প্রায় পুড়ে গেছে।
নীলা ঘর মুছতে নিলো। রান্নাঘরে গিয়ে ভর্তা করছে আবার ঘর মুছতেছে। বাচ্চাগুলো টিভি দেখা নিয়ে মারামারি করছে। নীলার পরিস্কার করা ঘরে আবার ময়লা করছে। নীলা ওদের বকাবকি করছে। বাসায় থাকলে আমি উল্টা নীলাকে বকা দিই ওদের কিছু বললে। অদ্ভুত ব্যাপার এখন আমার স্বাভাবিক লাগছে।নীলার জায়গায় আমি হলে আরো বেশি রাগ করতাম মনে হচ্ছে। নীলা ঘর মুছে, বাথরুম গুলো পরিস্কার করছে। তখন প্রায় দুইটা।
বাবা ভাত চেয়ে যাচ্ছে। মা কিন্তু টিভি দেখছে তখন। নীলাকে ক্লান্ত লাগছে। নীলা এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার রান্না ঘরে গিয়ে ভাত তরকারী সব এনে টেবিলে রাখলো। বাচ্চাদের জন্য খাবার নিচ্ছে। বাবা চিৎকার করছে,
- ভাত দিছো পানি কে দিবে? গলায় ভাত লাগিয়ে মারতে চাও নাকি? আগে পানি দিবে।
নীলা আবার দৌড়ে এসে ফিল্টার থেকে পানি নিয়ে দিলো। এইটা তো বাবাও করতে পারতো।
আমার আবার কেমন যেন লাগছে বুকে। আমি কি করি কখনো এই কাজ টা।
নীলা টিয়াকে খাওয়াচ্ছে। অনিন্দকে বাবা মায়ের সাথে খেতে দিলেও ও খাচ্ছে না। নীলা টিয়াকে চেপে ধরে কোন মতে কার্টুন দেখিয়ে খাওয়াচ্ছে। আবার অনিন্দকে খাটের উপর থেকে ব্যালখনি থেকে ধরে এনে পিঠে একটা দিয়ে ভাত খাওয়াচ্ছে।
বাচ্চারা যখন খাচ্ছে না। নীলা অসহায় ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে। কারো দিকেই না। কিন্তু নীলা বিরক্ত ও না রাগেও না। কেমন যেন।
নীলা এখনো কিছু খায় নি। তাও বাচ্চাদের পিছনে ছুটছে। তখন মা বাবা নীলাকে আবার বকাবকি করছে।
- মাছে ঝাল বেশি হয়েছে, ভাত আরেকটু ফোটাতে পারো না শক্ত থেকে যায়, বেগুন ভর্তায় তো লবণের ছিটেফোঁটা নাই।
-সারাদিন কোন কাজ নাই। টিভি দেখো মোবাইল চালাও আর দুইটা রান্না আরকি। খাওয়া সময়ও যদি ঠিক মতো খেতে না পারি কেমন লাগে?
নীলাকে চরম বিরক্ত দেখাচ্ছে কিন্তু কিছু বলছে না। তখন ও বাচ্চাদের আরো জোরে জোরে থাপ্পড় দিয়ে ভাত খাওয়াচ্ছে।
সবার খাওয়া শেষে নীলা সব থালা বাসন তুলে পরিস্কার করল। বাচ্চাদের আরো কাপড় হয়েছে সেগুলো ধুয়ে শুকাতে দিলো। ব্যালখনির চারাগুলোর যত্ন করে নিজে স্নান করতে গেলো। ওমা নীলা দশ মিনিটে বের হয়ে গেলো। নীলা খেতে বসলো তখন প্রায় সাড়ে তিনটা। নীলা আবার মোবাইল হাতে নিলো। কিছুক্ষন ফেসবুক চালিয়ে ওর মায়ের সাথে কথা বলছে। নীলা ভাত খাচ্ছে তখন বাবা এসে টিয়াকে দিয়ে গেলো বাবা ঘুমাবে। টিয়া বিরক্ত করছে তাও খেয়ে নিলো।
নীলাকে এখন ভীষণ ক্লান্ত লাগছে কিন্তু রেস্ট নিতে পারছে না। টিয়া ঘুমাচ্ছে না। টিয়া ঘুমালো ৫ টার দিকে।
অনিন্দ তখন কি যেন ভেঙে ফেলেছে। ওটা পরিস্কার করে আবার শুয়ে পড়ল। সাড়ে পাচ টায় বাবা আবার চা চাইছে। মা চিৎকার করছে,
-এতক্ষন কিসের ঘুম? ঘরের বউ এতক্ষন ঘুমালে ঘর তো লক্ষীছাড়া হবে৷
নীলা উঠতে পারছে না। পা রাখতে পারছে না। তাও উঠে আবার ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে বাবাকে চা দিলো। সবার জন্য নুডুস বানিয়ে আমার জন্য কিছুটা রেখে দিলো। অনিন্দকে পড়াতে বসেছে আর বার বার বাইরের দিকে দেখছে। হয়ত আমার অপেক্ষায়।
তখন আমার বুকটা আবার থম দিয়ে উঠল। অফিস থেকে বের হওয়ার আগে দেখলাম শার্ট আয়রন করছে। তারপর শুয়ে আছে। কোমর ধরেছে।
বাসায় ফিরে এলাম। আজ নীলার সাথে চোখ মেলাতে পারছি না। কিন্তু এইটা নীলা দশ বছর ধরে করে আসছে। কত দিন হিসাব করলে আমি নীলার সামনে দাঁড়াতেই পারব না।
পরের দিন ও সেইম রুটিন নীলার। কোন দিন আরো বেশি। মাঝে মাঝে টিয়াকে কোলে নিয়ে কাজ করে। কারো সাথে মোবাইল কথা বললে সেটায় ওর কথা। সারাদিন আর কার সাথেই বা কথা ওর। আমিও তো দরকারি ছাড়া পাশে বসে কখন গল্প করেছি ভুলে গিয়েছি।
এইভাবে তিন চার দিন দেখার পর নিজেকে ভীষণ অপরাধী লাগছে। কত আদরের মেয়ে ছিলো নীলা। দশটায় ঘুম থেলে উঠে ভার্সিটি যেতো। আমার সাথে দেখা করতে এলে কত সেজে গুজে আসতো, অনেক লম্বা চুল ছিলোম, যত্ন করতো, আর এখন। আমার ঘর আমার সন্তাদের জন্য তো কোন শখ ওর নেই। আর আমি ওকে ভালোবাসতেই ভুলে গেছি।
তখন আমার কলিগ শফিক সাহেব এলো। ওনাকে বললাম,
-শফিক ভাই, আপনার মিসেস তো জব করে,ঘরের কাজ বাচ্চা আপনার মা বাবা কে দেখে?
- আমার মিসেস অনেক করে ভাই, সকালে উঠে রান্না টা করে আসে। দুইটা কাজের মেয়ে আছে। একটা বাচ্চা দেখে আর একটা ছুটা কাজ করে। মা বাবা অসুখ বিসুখ হলে ঝামেলায় পড়ি। নার্স আনতে হয়। বাচ্চাটা সবে স্কুলে দিয়েছি তার জন্য ও টিচার আছে।
- বেতন কেমন তাদের?
-ওরে বাবা, সেটা বলিয়েন না ভাই, ছুটা বুয়ার বেতন ২০০০ টাকা, পার্রমেন্টটা ৫০০০ টাকা। টিচার ৩০০০ টাকা। নার্স আনলে তো ডেইলি ১২০০ টাকা।
আপনার তো ভাই সেসব খরচ নেই। সব একা মিসেসেই করে ফেলে।
আর আমরা ছুটির দিনে প্রায় ঘুরতে যায়। মিসেস সারা উইকেন্ডে কাজ করে রিলেক্স চায়। সেটাও একটা খরচ।
তারপর ভাই মেয়েদের ধন্যবাদ দিতেই হয়। আমার মিসেস সারাদিন কাজ করে আবার ঘরে সব দিকে নজর। কাজের মেয়েটাকে আসলেই ধন্যবাদ এত কিছু সামলাই।
আমার নিজেকে এখন অপর্দাথ মনে হচ্ছে। টাকা দিয়ে কাজ করানো কাজের মেয়েকেও ধন্যবাদ দেওয়া যায় কিন্তু সব কিছু বির্সজন দিয়ে সে এত বছর ধরে আমার সংসার বিনা বেতনেই কাজ করে যাচ্ছে তাকে কখনো কি আমি ধন্যবাদ দিয়েছি একটা?
এখন আমি টুকটাক কাজ করে দিই নীলাকে। নিজের কাপড় নিজে ধুয়ে ফেলি। নীলাকে বলি
-আগে তো কত সেজে থাকতে। যত্নে করতে এখন করো না কেন?
-আগে তো দেখার মানুষ ছিলো এখন আছে নাকি?
-আমাকে বলো কি কি লাগবে এনে দিবো।
নীলা ভ্রু কুচকে তাকায়। আবার মিষ্টি হাসে।
খাওয়া দাওয়ার আগে টেবিলটা ঠিক করে রাখি পানি নিয়ে রাখি। মাঝেমধ্যে ফার্নিচার গুলো আমিই মুছে রাখি। খাওয়া শেষে নীলা যখন থালাবাসন পরিস্কার করে আমি তখন টেবিলটা গুছিয়ে ফেলি। নীলাকে বলেছি তোমাকে আর আয়রন করতে হবে না। ছুটির দিনে আমি দোকানে দিয়ে আসবো।
-টাকা?
- সপ্তাহে ছয়টা শার্ট আয়রন করতে যত টাকা লাগবে তত টাকার তো আমি একবারের চা নাস্তা খাই।
খেয়াল করলাম আমার ছোট্ট ছোট্ট কাজে নীলার কাজের অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে। নিজের যত্ন করে৷ এখন অত রাগারাগিও করে না। আমি ফোন দিয়ে তারাতারি খেয়ে নিতে বলি। এইটা করতে আমার সময় ব্যয় হয় না। কিন্তু নীলাকে দেখি আয়নায় সামনে গিয়ে একটু হাসে। তখন আমার বুকের থম ধরা ভাবটা একটু কাটে।
কেন ক্যামরা লাগিয়েছিলাম নিজেই ভুলে গেছি। এত কিছুর মধ্যে আমি নীলাকে কত সময় দিয়েছি। যা সন্দেহ করেছি তা যদি ঠিক ও হতো দোষটা কি আমার হতো না?
আরেক ছুটির দিনে সব ক্যামরা খুলে ফেলি। নীলাকে সব বলি। নীলা বলে - কি পেলে তো?
- তোমাকে খুজে পেলাম আবার, আমার ঘরের বউ আর বাচ্চার মা নয়। নীলা হিসেবে তোমায় পেলাম।
ধন্যবাদ তোমাকে নীলা।
-কেন?
- এই যে এত কিছু করো আমাদের সংসারের জন্য।
- ধন্যবাদ তোমাকে আকাশ। আমার মতো হাজারো নীলা তো প্রতিটি ঘরেই আছে। যারা সবটা দিয়েই সামান্য ধন্যবাদ আশা রাখেনা। কিন্তু তোমার মতো দেরীতে হলেও কয় জনে সেটা বুঝতে পারে বলো তো?
- তাই? তা তোমাকে ধন্যবাদ হিসেবে জামদানী দিবো ভাবছিলাম। তাহলে লাগবে না মনে হয়। হি হি হি।
- ওমা। কেন লাগবে না? আর আমি তোমাকে ধন্যবাদ হিসেবে তিতা করলার রস খাওয়াবো কাল থেকে।
তোমার পেট বেড়ে যাচ্ছে।
-এমা, না না।
নীলা তখন উচ্চস্বরে হেসে উঠল। ঠিক আগের প্রেমিকার মতো। ও তো প্রেমিকায় রয়ে গেছে শুধু আমি প্রেমিক হতে ভুলে গেছি।
নীলা হাসছে, তার সাথে হাসছে ঘরের দেওয়াল টা, ছবির ফ্রেমটা দেখি দুলে দুলে হাসছে, বারান্দার সিল্কের পর্দাটা খুব জোরে বাতাসে দুলছে। বারান্দার নয়নতারা ফুলের গাছটা হাওয়ার ঝোকে হাসছে নীলার হাসির সাথে।
বিদ্রঃ আমাদের পেজের পোস্ট গুলো ভালো লাগলে বা প্রতিদিন নিত্যনতুন আপডেট পোস্ট পেতে পেজটিতে লাইক ও ফলো করে রাখতে পারেন 👉 Umaiza's
বিদায় সংবর্ধনা
2022 সালের স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের জানানো যাচ্ছে যে, 14/ 6/ 2022 ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার কালিগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তোমাদের বিদায় সংবর্ধনা ও প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে। উক্ত তারিখে বেলা 2 ঘটিকায় ২০২২ সালের সকল পরিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের আসার জন্য বলা হলো ।
প্রধান শিক্ষক
কালিগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
কালীগঞ্জ গাজীপুর
পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি বাবার চিঠিঃ
মা'রে,
শুরুটা কিভাবে করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। যেদিন তুই তোর মায়ের অস্তিত্ব ছেড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলি সেদিন থেকে তোকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম। তোকে মা ডাকতে গিয়ে নিজের মা হারানোর ব্যথা ভুলেই গিয়েছিলাম। তোর মাকেও কোনদিন মা ছাড়া অন্য নামে ডাকেতে শুনিনি। বিদ্যালয়ে প্রথম দিন শিক্ষক তোর নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। তোকে মা বলে ডাকতে ডাকতে তোর ডাক নামটাও ভুলে গিয়েছিলাম। আমি তোর নাম বলতে না পারায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসতে ছিলো। তাই চিঠির উপরে তোর নামের জায়গায় মা লিখেছি। হঠাৎ করে তুই এভাবে চলে যাবি আমি তা বুঝতেই পারিনি। ছেলেটা যেদিন বাইরে ব্যাগ হাতে তোর জন্য অপেক্ষা করছিল কখন তুই দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসবি? আমি তখন ভেতরে বসে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করছিলাম আর কতটা ভালবাসতে পারলে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না। তুই ঘরে বসে ভাবছিলি আজ যেতে না পারলে ছেলেটার কাছে ছোট হয়ে যাবি। আর আমি ভাবছিলাম তুই চলে গেলে সমস্ত পিতৃজাতির কাছে কি করে মুখ দেখাবো? জানিস মা, তুই তোর তিন বছরের ভালবাসা খুঁজে পেয়েছিস। কিন্তু আমার জীবন থেকে বিশ বছরের ভালবাসা হারিয়ে গেছে। মা'রে প্রত্যেকটা বাবা জানে রক্ত পানি করে গড়ে তোলা মেয়েটা একদিন অন্যের ঘরে চলে যাবে। তারপরও একটুও কৃপণতা থাকেনা বাবাদের ভেতরে। বাবাদের ভালবাসা শামুকের খোলসের মতো মা,বাহিরটা শক্ত হলেও ভেতরটা খুব নরম হয়ে থাকে। বাবারা সন্তানদের কতোটা ভালবাসে তা বোঝাতে পারেনা, তবে অনেকটা ভালবাসতে পারে। জানি মা, আমার লেখাগুলো পড়ে তোর খারাপ লাগতে পারে। কি করবো বল? তোরা তো যৌবনে পা রাখার পর চোখ, নাক, কান সবকিছুর প্রতি বিবেচনা করে প্রেম করিস। কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম তুই তোর মায়ের গর্ভে অবস্থান করছিস সেদিন বুঝতে পারিনি তুই কালো না ফর্সা হবি, ল্যাংড়া না বোবা হবি,কোন কিছুর অপেক্ষা না করেই তোর প্রেমে পরেছিলাম তাই এতকিছু লিখলাম। আমি জানি মা তোদের সব সন্তানদের একটা প্রশ্ন বাবারা কেন তাদের ভালো লাগা টাকে সহজে মানতে চায় না? উত্তরটা তোর ঘাড়ে তোলা থাকলো,তুই যেদিন মা হবি সেদিন নিজে নিজে উত্তরটা পেয়ে যাবি। তোরা যখন একটা ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যাস তখন ওই ছেলে ছাড়া জীবনে কারও প্রয়োজন বোধ করিস না।কিন্তু একটা বাবা বোঝে তার জীবনে নিজের মেয়েটার কতটা প্রয়োজন। যেদিন তোর নানুর কাছ থেকে তোর মাকে গ্রহন করেছিলাম সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে,যদি মেয়ে হয় তাহলে নিজের মেয়েটাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দিয়ে কণ্যা দানের দায়িত্ব থেকে নিজেকে হালকা করবো। তাই তোর প্রতি এত অভিমান। মারে বাবার উপর রাগ করিসনা। তোরা যদি অল্প দিনের ভালবাসার জন্য ঘর ছেড়ে পালাতে পারিস, তবে আমরা বিশ বছরের ভালবাসার জন্য বেপরোয়া হবো না কেন? বাবারা মেয়ে সন্তানের জন্মের পর চিন্তা করতে থাকে নিজের মেয়েটাকে সুপাত্রের হাতে তুলে দিতে পারবে তো?আর যৌবনে পা রাখার পর চিন্তা করে কোনো প্রতারনার ফাঁদে পরে পালিয়ে যাবে না তো? তাই মেয়েদের প্রতি প্রত্যেকটা বাবার এতটা নজরদারি। যদি মন কাঁদে চলে আসিস বুক পেতে দেবো। হয়তো তোর মায়ের মতো তোকে পেটে ধরিনি, তবে পিঠে ধরার যন্ত্রণাটা সহ্য করতে পারছিনা।
ইতি
তোর জন্মদাতা "পিতা"
(এই চিঠিটা পড়ে অন্তত একটি মেয়ে/ছেলেও যদি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে মন্দ কি.........?(
(সংগৃহীত)
Diabex
অলীক কল্পনা আর বাস্তবের মধ্যে ফারাক করতে শিখুন এবং তাকে কাজে লাগিয়ে ডায়াবেটিস থেকে আরোগ্য লাভ করুন!
বাংলাদেশে মানুষের আয়ু কমিয়ে দেওয়া রোগ ডায়াবেটিস সম্পর্কে প্রধান ভুল ধারণা
ডাঃ প্রণব জানা একজন বিখ্যাত এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট। আজ অবধি, তাকেই বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ডায়াবেটিস চিকিৎসক হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বেশিরভাগ সেলিব্রিটিরা তার কাছেই চিকিৎসার জন্য যান। এর মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আরও অনেক দেশের রোগীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন- তারা সকলেই সবার আগে তার কাছেই উপস্থিত হন। তিনি দেশের মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট। তিনি 32টি বিজ্ঞানবিষয়ক বই লিখেছেন, এবং তার 3 গুণ সংখ্যক লেখালেখি রয়েছে বিভিন্ন চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক পত্রপত্রিকাগুলিতে।
ডাঃ প্রণব জানা কালেভদ্রেই কাউকে সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, কিন্তু তিনি আমাদের সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হয়েছিলেন। নিচে আপনি আপনার ডায়াবেটিসের মোকাবেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ পেতে চলেছেন।
ডাঃ প্রণব জানা এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টাইপ-II ডায়াবেটিস রোগ আধুনিক চিকিৎসাগত দক্ষতার সাহায্যে সারিয়ে তোলা যেতে পারে।
এই প্রবন্ধে যে সব বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
ডায়াবেটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন জিনিসটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে 95% রোগীই কেন তাদের এই রোগের মোকাবেলা করতে পারেন না?
কখন ডায়াবেটিস থেকে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করা সম্ভব
ডায়াবেটিসের মোকাবেলায় আধুনিক পদ্ধতিগুলি কী কী?
আপনার যা দরকার তা কিন্তু মেটফর্মিন নয়!
ডাক্তাররা যখন এই সাবধানবাণী শোনাচ্ছেন, তখন ওষুধের দোকানগুলিতে রোগীদের ভিড় উপচে পড়ছে
ডাঃ প্রণব জানা:
“আজ অবধি, ডায়াবেটিসের প্রায় সমস্ত চিকিৎসারই ভিত্তি হচ্ছে মেটফর্মিন-সম্বলিত ওষুধ-বিষুধ। তবে, এটা একটা ভ্রম যা অজ্ঞ রোগী এবং ডাক্তারদের দ্বারা ছড়ানো হচ্ছে। মেটফর্মিন আপনাদের সরাসরি অসুস্থতা এবং সবশেষে মৃত্যুর রাস্তায় নিয়ে যায়। ওটা কোন চিকিৎসা নয়। আপনি যদি টাইপ 2 ডায়াবেটিস নিয়ে আপনার ডাক্তারের কাছে আসেন এবং তিনি আপনাকে এই ওষুধ সম্বলিত চিকিৎসা দেন, তাহলে প্রাণ হাতে করে নিয়ে পালান। আক্ষরিক অর্থেই।
নিচে মেটফর্মিন-সম্বলিত কিছু ওষুধ-বিষুধের একটা তালিকা দেওয়া হল: ব্যাগোমেট, ভেরো-মেটফর্মিন, গ্লাইকোমেট, গ্লাইকন, গ্লাইমিনফর, গ্লাইফর্মিন, গ্লুকোফা, গ্লুকোফেজ, গ্লুকোফেজ লং, ডাইনর্মেট, ডায়াফর্মিন, ল্যাঙ্গারিন, মেটাডিয়েন, মেটোস্পানিন, মেটফোগ্যামা, মেটফর্মিন, নোভামেট, নোভাফর্মিন সিওফোর, ফর্মেটিন, সোফোর।
এই সব ওষুধই রক্তে ইনসুলিনের মাত্রাকে সংকটজনক মাত্রা অবধি বাড়িয়ে দেয়। ইনসুলিনের আধিক্যের কারণে আপনার রক্ত ঘন হয়ে ওঠে, কিছুটা কন্ডেন্সড মিল্কের মতো। অনেক বেশি পরিমাণে ইনসুলিনের উপস্থিতি আপনার শরীরের সমূহ ক্ষতিসাধন করতে পারে। এটি আক্ষরিক অর্থেই লিভার, কিডনি এবং অন্যান্য রেচন অঙ্গগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। ইনসুলিনের ঘনত্ব ও ক্রিয়া আমাদের পাকস্থলীতে উপলভ্য অ্যাসিডের মতোই। ভেবে দেখুন, আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি যদি আপনার পাকস্থলীর অ্যাসিডে পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে কী হতে পারে। এটি আপনার অঙ্গগুলিকে জ্বালিয়ে দিয়ে বেরিয়ে আসবে!
ইনসুলিনের উচ্চ মাত্রা শরীরের কোষগুলির ক্ষয়সাধন করে, যার ফলে তাদের অস্বাভাবিক বিভাজন ঘটে, আর সেটা ক্যানসারের চেয়ে কম কিছু নয়। সেই কারণেই, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডায়াবেটিস রোগীদের 28%-এর মধ্যে ক্যানসার রোগ হতে দেখা যায়।
সেই সঙ্গে, ইনসুলিনের মাত্রাধিক্যের কারণেই রক্তবাহগুলিতে কোলেস্টেরলের প্লেক জমে-জমে সেগুলি দ্রুত রুদ্ধ হয়ে যায়, কারণ ইনসুলিন-সম্বলিত রক্ত অপেক্ষাকৃত ঘন হয় এবং কম গতিতে সঞ্চালিত হয়। ফলত, কোলেস্টেরলের প্লেকে পরিপূর্ণ রক্তবাহগুলি রুদ্ধ হয়ে যায় আর তার থেকে উচ্চ রক্তাচাপ তৈরি হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের 98%-ই উচ্চ রক্তাচাপেও আক্রান্ত হন। সেই সঙ্গে আরও অনেক রকমে কার্ডিওভাসকুলার রোগেরও অবির্ভাব ঘটে।
মেটফর্মিন-সম্বলিত ওষুধ দ্বারা চিকিৎসার সম্ভাব্য পরিণামগুলির একটি তালিকা
গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল বা পাকস্থলী ও অন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত রোগসমূহ (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডায়রিয়া, বুকজ্বালা, চোঁয়া ঢেকুর, পাকস্থলীতে আলসার)
হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ - রক্তচাপ বেড়ে যায়, বিশেষ করে সন্ধ্যে ও রাতেরবেলা, মাথাব্যথা, কানবন্ধ ভাব, ভয়ের আবহ
সিরোসিস অব লিভার - লিভার একটি যোগকলায় পরিণত হয় এবং রক্তশোধনের কাজ বন্ধ করে দেয়, গোটা শরীর বিষঘটিত পদার্থে ভরে ওঠে।
নুন ও চিনির অতিরিক্ত নিঃসরণের ফলে কিডনিতে পাথর হওয়া
ক্যানসারঘটিত রোগ
ধ্বংসপ্রাপ্ত রক্তবাহের কারণে অকালমৃত্যু
বধিরত্ব
এই সব রোগ হবার বিষয়টি, অবশ্যই, নির্ভর করে ওষুধ খাওয়ার সময় ও পরিমাণের উপর, সেই সঙ্গে একজন ব্যক্তির নিজস্ব চারিত্রিকবৈশিষ্ট্যাবলীর উপরেও। যদিও, এগুলিকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলা কোনভাবেই সম্ভব নয়!
মেটফর্মিন যদি আমাদের এত ক্ষতিই করে তাহলে তার ব্যবহার করা হয় কেন?
দুর্ভাগ্যবশত, আজকাল বেশিরভাগ ডাক্তারই তাদের রোগীর স্বাস্থ্যের কোন পরোয়া করেন না। আমি আর একটু এগিয়ে গিয়ে বলব, তারা এর চেয়ে কম করতেও পারেন না। তারা তাদের কাজটা করেন এবং অর্থ উপার্জন করেন। আপনি ভাল হলেন না খারাপ তাতে তাদের কিছু এসে-যায় না। আর সেই জন্য তাদেরকে তাদের উপরে বসে থাকা চিকিৎসকেরা বা সরকার যা প্রেসক্রাইব করতে নির্দেশ দেয়, তারা দ্বিতীয়বার না ভেবে সেগুলোই আপনাদের দিয়ে দেন। আর তাদেরকে মেটফর্মিন-সম্বলিত ওষুধগুলোই দিতে বলা হয়, যেহেতু তার বিক্রি থেকে প্রচুর পরিমাণে মুনাফা আসে। আর এর প্রভাব তো আছে, অস্থায়ী হলেও।
এই ধরনের উদাসীনতা কিন্তু ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নয়! এই ধরনের ওষুধগুলি নিরন্তর ব্যবহার করে গেলে তাদের কী ক্ষতি হতে পারে সে ব্যাপারে রোগীরা কিছুই জানেন না, আর সেটাই স্বাভাবিক, এবং ডাক্তাররা সে ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বলাটা প্রয়োজন মনে করেন না।
রসায়নগতভাবে উগ্র ওষুধ ব্যবহার করে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা করাটা বেআইনি কাজ! কিন্তু টাইপ II ডায়াবেটিস থেকে আরোগ্য লাভ করা যেতে পারে! আপনাকে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতিটাকে বেছে নিতে হবে, ব্যস!
ডাঃ প্রণব জানা:
আমি প্রায়শই এমন রোগীদের দেখে থাকি যারা বছরের পর বছর ধরে মেটমর্ফিন ব্যবহার করে চিকিৎসা করাচ্ছেন। এরা সকলেই অসুস্থ মানুষজন, তারা তাদের সময়ের অনেক আগেই বুড়িয়ে গেছেন।
তা সত্ত্বেও তার চেক-আপ করালেই দেখতে পান তাদের টাইপ II ডায়াবেটিস রয়েছে। একই সাথে তারা, ওই সময় অবধিও, নিয়মমাফিকভাবেই, কখনই এমন বোধ করেননি যে তাদের উচ্চমাত্রায় ব্লাড শুগার রয়েছে। আর তারপর তাদের আবার আরও বেশি মাত্রায় মেটমর্ফিনই প্রেসক্রাইব করা হয়।
ফলস্বরূপ, তাদের শুগারের মাত্রা নেমে যায়, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে যেতে থাকে। এই সব রোগীরা দীর্ঘস্থায়ী অবসন্নতা, মোটা হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যার কথা জানাতে থাকেন। তাদের পা ফুলে যেতে থাকে এবং সকালের দিকে তাদের মুখও ফুলে যায়। তাদের মনে হয় তাদের কানের ভিতরে যেন সারাদিন একটা ঘণ্টা বেজে চলেছে। তাদের আঙ্গুলগুলো অসাড় আর অঙ্গপ্রতঙ্গগুলো ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। তাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
ডাক্তারেরা বলেন এই সব কিছুই হচ্ছে ডায়াবেটিসের কারণে। কিন্তু আসলে এই সব কিছুর কারণ হল ইনসুলিন! বা বরং বলা ভাল, মেটমর্ফিনের জন্য যা শরীরে হরমোনের উৎপাদন অস্বাভাবিক মাত্রায় বাড়িয়ে তোলে!
তবে, এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে আপনার ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করানোরই কোন দরকার নেই। আপনাকে যদি মেটমর্ফিন দিয়ে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করানো এবং একেবারেই না করানো এই দুইয়ের মধ্যে জোর করে কোন একটাকে বেছে নিতেই হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে আপনার প্রথমটাই বেছে নেওয়া উচিৎ। চিকিৎসা না করালে টাইপ 2 ডায়াবেটিস আপনাকে আরও আগেই মেরে ফেলবে। অন্যান্য একাধিক রোগলক্ষণগুলোর মাধ্যমে।
ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গগুলো ঠিক এই রকম চিনি-জারিত চেরি ফলের মতোই দেখায়। লিভার, পাকস্থলী, কিডনি, হৃদপিণ্ড এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, রক্তবাহগুলো...
রক্তবাহের ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো শর্করা-জারণ
একটা চিনি মাখানো লজেন্স বা চেরি ফলের কথা ভাবুন। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে আপনার সমস্ত রক্তবাহগুলো অবস্থায় অনেকটা সেইরকমই হয়। রক্তবাহের দেওয়ালগুলো শর্করায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। ফলত, রক্তবাহগুলোর সংকোচন ও প্রসারণের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ছোট-ছোট রক্তবাহগুলো সবার আগে ধ্বংস হয়ে যায়, আর তার ঠিক পরপরই একই পরিণাম হয়ে মাঝারি ও বড় আকারের রক্তবাহগুলোরও। আমাদের রক্তবাহগুলোই আমাদের শরীরের ভিতরের অঙ্গগুলোকে পুষ্টি জোগায়। রক্তসঞ্চালনে অবনতি ঘটলে তা একাধিক দুরারোগ্য রোগের সৃষ্টি করে।
ডায়াবেটিস কীভাবে আপনাক ভিতরে-বাইরে হত্যা করতে শুরু করে:
দৃষ্টিশক্তি হারানো।
ডায়াবেটিস আপনাকে অন্ধ করে দিতে পারে। চিরকালের জন্য। এমনকি লেজার চিকিৎসা দিয়েও ডায়াবেটিসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া চোখের দৃষ্টিশক্তির পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয় না, যেহেতু একাধিকবার রক্তক্ষরণের কারণে রেটিনা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার ঘটনা ঘটে।
কিডনি নষ্ট হয়ে যায়।
শর্করা আপনার মূত্রনালীকে রুদ্ধ করে দেয়। কিডনির ভিতরকার পরিবেশ অস্বাভাবিক রকমের মিষ্টি হয়ে ওঠে। শর্করা এক ধরনের সংরক্ষণকারী বস্তু বা প্রিজারভেটিভ। এটি কিডনিকে সংরক্ষণ করে রাখে। কালক্রমে সেগুলোর মৃত্যু ঘটে। দুরারোগ্য কিডনি বিকলত্ব হিমশৈলের চূড়াটা মাত্র। আপনি আপনার দুটো কিডনিই চিরতরে হারাতে পারেন।
আপনার সন্ধিগুলোর গতিবিধি বন্ধ হয়ে যায়।
সন্ধিগুলোকে গতিবিধি প্রদান করে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামক এক ধরনের তরল। রক্তবাহগুলো যখন সন্ধিগুলোতে পুষ্টি জোগানো বন্ধ করে দেয়, তখন আর তা থেকে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড ক্ষরিত হয় না। সন্ধগুলো শুকিয়ে যায়। পরিণামস্বরূপ রোগী দঃসহ যন্ত্রণা সহ্য করতে বাধ্য হন। কোন ব্যথার ওষুধও কোন কাজ করে না। সন্ধিগুলো পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়ে। রোগী নিজে থেকে চলাফেরা করতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে আসে।
নার্ভগুলো, অন্যান্য আরো অঙ্গগুলোর মতোই, অতিরিক্ত শর্করার চাপে ধুঁকতে থাকে। সময়ের সাথে সাথে, একজন ডায়াবেটিক রোগী মানসিকভাবে রোগগ্রস্ত হয়ে পড়েন, আবেগগতভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তারা অবসাদ বা ডিপ্রেশনে ভুগতে শুরু করেন, জীবনের কোন কিছুই তাদের আনন্দ দিতে পারে না। তারা শুধু শুয়ে-শুয়ে থাকতে চান এবং মরে যেতে চান।
তাদের ত্বক পচতে শুরু করে!
শুরুতে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে ওঠে, খড়ি উঠতে শুরু করে, তারপর তাতে এগজিমা ও আলসার সৃষ্টি হয়। মাংসাপেশি ও হাড়গুলো পচতে শুরু করে এবং সেগুলো ত্বক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে শুরু করে। গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোয়। এই সব কিছু শেষে গ্যাংগ্রিনে পর্যবসিত হয়।
আপনি এই রোগটাকে কীভাবে দেখেন তা নির্বিশেষেই, ডায়াবেটিস কিন্তু একটি অত্যন্ত ভয়ানক ব্যাধি। সম্ভবত সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাধি। যে সব মানুষের ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে বলে নির্ণীত হয় তাদের জন্য আমার দুঃখ হয়। আমি তাদের সাহায্যের চেষ্টা করি, কিন্তু সবকিছুই, সবার প্রথমে, তাদের উপরেই নির্ভর করে।
মেটমর্ফিন নিয়ে যদি সংশয় থাকে, তাহলে আমরা ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করব কীভাবে? উদাহরণস্বরূপ সেই সব বরিষ্ঠ নাগরিকদের কথা ভাবুন যারা বয়সের কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। তাদের রক্তে চিনির মাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। বলতে পারেন তারা মেটমর্ফিন নিয়েও সুস্থ বোধ করেন না। ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তাহলে তারা কী করতে পারেন? তারা কি নিজেই তা করতে পারেন?
আসুন, আরেকবার ঝালিয়ে নিই- টাইপ 2 ডায়াবেটিস একটি জটিল, ভয়ানক এবং প্রণালীবদ্ধ ব্যাধি। এটা সর্দি-কাশি বা ডাইরিয়ার মতো কোন রোগ নয়। এটা অনেক বেশি গুরুতর একটা রোগ। রোগটা গোটা শরীরকেই প্রভাবিত করে, আর তাই এর চিকিৎসাও প্রণালীবদ্ধভাবেই করা উচিৎ। শুধুমাত্র ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে ছেড়ে দেওয়াটা অপর্যাপ্ত ও ক্ষতিকারক একটা চিকিৎসা ছাড়া আর কিছুই নয়।
ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সর্বাঙ্গীন হওয়া উচিৎ এবং সেই সব ওষুধ-বিষুধ দিয়েই করা উচিৎ যেগুলো, রক্তে শর্করার মাত্রা নামানোর সাথে সাথে, শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোরও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে।
আমরা যদি সেই সব নির্দিষ্ট ওষুধগুলোর কথা বলি যেগুলো ব্যবহার করে লোকেরা নিজেরাই তাদের ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করতে পারেন, তাহলে আমি Diabex নামক একটি ওষুধের কথা বলব। এটা 2015 সালে ইনস্টিটিউট অব এন্ডোক্রাইনোলজি অব ইন্ডিয়া দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল।এটা মেটমর্ফিন গোছের আর পাঁচটা রাসায়নিক উপাদানের মতো নয়, বরং এটা একটা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক কমপ্লেক্স, যা আলাদা-আলাদা 60টি (!) সক্রিয় উপাদান নিয়ে তৈরি।
এতে ডায়াবেটিসের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় সমস্ত ভিটামিন এবং মাইক্রোএলিমেন্ট পদার্থগুলো রয়েছে। Diabex-এ 28টি ভেষজ নির্যাস থাকে যেগুলোকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়।
Diabex ভাল এই জন্যই যে এটা শরীরের কোন ক্ষতি করে না। বরং এটা শরীরকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। কিন্তু তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এর সব দিক থেকেই একটা ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
60টি সক্রিয় উপাদান অনেক বেশি কিছু। বিশ্বের আর কোন ওষুধ এতটা সমৃদ্ধ নয়।
Diabex-এর কার্যকারিতা অভূতপূর্ব! আমরা যখন আমাদের রোগীদের এই চিকিৎসা দিতে শুরু করলাম, আমরা দেখলাম এতে রোগমুক্তির শতাংশ… আমি বলতে চাইছি ডায়াবেটিস মেলিটাস থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভের হার বেড়ে 96% হয়ে গেল। এর অর্থ হল, 100 জন রোগীর মধ্যে 96 জন রোগী ডায়াবেটিসকে চিরকালের জন্য বিদায় জানাল। তাদের রক্ত শর্করার পরিমাণ আর কোনদিন বাড়েনি এবং তারা অত্যন্ত সুস্থ বোধ করতে থাকল।
ডায়াবেটিসের চিকিৎসা প্রসঙ্গে একটি অকপট চিঠি
আমি আপনাদের আমাদের দেশেরই একজন প্রবীণ নাগরিক দময়ন্তী চিটনিসের একটি চিঠি দেখাতে চাই। তিনি আমাদের ক্লিনিকে এসে চিকিৎসা নেননি (তিনি আমাদের এখানে আসার মতো সুস্থ ছিলেন না)। আমি ওনাকে টেলিফোন Diabex নিত বলি। আর তিনি তাতেই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
তিনি লিখেছেন,
অনিতা তিওয়ারি, 68। বাংলাদেশের অনিতা তিওয়ারি তার ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন।
“বাকি ডাক্তারেরা Diabex-এর মতো অসাধারণ একটা ওষুধের কথা মানুষের কাছে গোপন করেন কেন? আমার ডায়াবেটিসের অবস্থা খুব ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। বিগত 18 বছর ধরে রোগটা আমার সঙ্গী ছিল। আমি 49-এ পড়ার পর থেকেই। সম্প্রতি আমার চোখ এবং কিডনিতে গুরুতর জটিলতা দেখা দিতে শুরু করে। আমার কিডনি দুটো প্রায় বিকল হয়ে পড়েছিল এবং আমার মধ্যে থেকে অ্যাসিটোনের গন্ধ নির্গত হত। আমার মেয়ে আমার সাথে এক ঘরে থাকতে পারত না। তার সাথে আবার আমার পায়ে আলসার হয়ে গেছিল, আর পা আর আঙ্গুলের প্রান্তগুলো কালো হয়ে উঠেছিল। আমি আক্ষরিক অর্থেই একজন মৃতপ্রায় মানুষে পরিণত হয়েছিলাম। আমার ডাক্তাররা বলতেন আমি আর বেশি দিন বাঁচব না।
আমি আমার মেয়েকে তার প্রস্তুতি নেবার কথাও বলতাম। আমি জীবনটা ভালই কাটিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও আমি মরতে চাইতাম না। এমনকি যখন আমি চিৎকার করে বলতাম আমি এবার মরতে চাই, তখনও আসলে আমি মন থেকে সেটা বলতাম না। আপনার ক্লিনিকই ছিল আমার শেষ আশ্রয়। আমি জানতাম আপনি সাফল্যের সাথে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করেন, কিন্তু যে কোন কারণেই হোক তারপরও আমার পুরোপুরি বিশ্বাস ছিল না- হাজার হলেও, সকলেই তো বলত এ রোগের কোন চিকিৎসা হয় না, আপনার কাছে গিয়ে আমার সময়ই নষ্ট হবে আর কিছু নয়। আর সেই জন্যই আমি নিজে সেখানে যাইনি। কিন্তু তারপর একদিন আমি টিভিতে আপনাকে দেখলাম এবং সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে কল করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আমার সাথে কথা বলা এবং আমাকে Diabex পাঠানোর জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। আমি সঙ্গে-সঙ্গেই সেটা নিতে শুরু করে দিয়েছিলাম। সেদিন থেকে আজ 4 মাস অতিক্রান্ত হয়েছে, আর আমি এখনও বেঁচে-বর্তেই আছি। আর এখন ডাক্তাররা বলছেন আমার এখনি মরার কথা ভাবা উচিৎ নয় যেহেতু এখন আমার রক্তে শর্করার পরিমাণ একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি নিজেই সেটা অনুভব করতে পারি। গত 10 দিনেও আমি নিজেকে ততটা ডায়াবেটিসমমুক্ত ও সুস্থ বোধ করিনি যতটা এখন করছি! আমি খুব ভাল ঘুমাতে শুরু করেছি, সারাদিন যে একটা পিপাষাবোধ সেটাও চলে গেছে, ঘন-ঘট প্রস্রাব করতেও যেতে হচ্ছে না, ক্লান্তি আর সারাক্ষণের অবসন্নতাও একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। রক্তচাপ বৃদ্ধির প্রবণতাও থেমে গেছে। আমার দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়েছে। আমার চিকিৎসা এখনও শেষ হয়নি, তবে এখন আমি নিশ্চিত যে এই যুদ্ধে আমিই জিতব। আমাকে Diabex দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।"
আমাদের বলুন, Diabex নিয়ে আপনি কত দ্রুত এই রোগ থেকে সেরে উঠতে পারেন।
সত্যি কথা বলতে, এই প্রক্রিয়াটা খুব দ্রুতগতির নয় ঠিকই, কিন্তু এটা সর্বাঙ্গীন। এতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে। ছয় মাসও লেগে যেতে পারে।
আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎাসর জন্য তৈরি থাকতে হবে। কিন্তু চিকিৎসার পর, আপনার আর কখনও কোন ওষুধ নেবার দরকার পড়ে না, এবং আপনি সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন, যেমনা আপনি আপনার ডায়াবেটিস রোগ হবার আগে করতেন।
Diabex সকলেই নিতে পারেন, এমনকি তারাও যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম।
Diabex কয়েকটা কোর্সে নেওয়া উচিৎ। আপনি প্রথমে 2 সপ্তাহ এটা নেবেন, তারপর 4-5 দিনের বিরতি দেবেন, এবং আবার শুরু করবেন। আমি আপনাদের এই সেরে ওঠার প্রক্রিয়াটার ব্যাপারে ধাপে-ধাপে বলব।
শরীরের রক্তবাহগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে
Diabex-এর মূল যে প্রভাব সেটা হল, এটা শুধুমাত্র রক্ত থেকে শর্করা দূর করে গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রিত করে না। সেই সঙ্গে এটা রক্তবাহের দেওয়ালগুলোতে জমে থাকা শর্করা গলিয়ে ফেলে, আর জন্য এর অন্যতম একটি উপাদান জিঙ্কগো বিলোবা-কে ধন্যবাদ দিতে হয়। এটাকে কিছুটা এরকম ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় যে, রক্তবাহের দেওয়ালে জমে থাকা পদার্থ গলে গিয়ে রক্তবাহগুলোকে আবার সংকুচিত-প্রসারিত হবার ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে রক্তপিণ্ডগুলোও গলে যায় এবং রক্তবাহগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। সূক্ষ্ম কৈশিন নলগুলোরও পুনরুদ্ধার হয়। ফলস্বরূপ, রোগীর রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া বন্ধ হয়, ক্লান্তি আর নিদ্রালুভাব চলে যায় এবং কাটা-ছেড়া ও ক্ষতস্থানগুলো দ্রুত সেরে উঠতে শুরু করে। সেই সঙ্গে, রোগী আগের থেকে আরও অনেক বেশি প্রাণশক্তি ফিরে পায়। তারা সাথে-সাথেই তাদের বাড়ির বা বাগানের কাজকর্ম করার উদ্যম ফিরে পায়।
গ্লুকোজের মাত্রাকে স্বাভাবিক করে
Diabex ইনসুলিনের মাত্রাকে বাড়ায় না বলেই এটা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু তার সাথে-সাথে এর কিছু ইতিবাচক প্রভাবই রয়েছে- যেমন, এটা ইনসুলিন প্রতিরোধকে প্রশমিত করে। এটা সত্যিই খুব অসাধারণ একটা গুণ। এর জৈবভাবে সক্রিয় উপাদানগুলো মাংসেপেশি, চর্বি এবং লিভারের কোষগুলোর মধ্যে প্রবেশ করে এবং সেগুলোকে এমনভাবে উদ্দীপিত করে যাতে তারা রক্তস্রোতের মধ্যে উপস্থিত হরমোনগুলোর উপস্থিতিতে আরও ভাল সাড়া দিতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রক্রিয়াকে "গৌণ কোষ শিক্ষা” (সেকেন্ডারি সেল এজুকেশন) বলে। ফলত, সময়ের সাথে সাথে, কোষগুলো আরও সক্রিয়ভাবে গ্লুকোজ গ্রহণ করে, যা রক্তে গ্লুকোজ জমে যাওয়া কমায়। শরীরে গ্লুকোজ সদ্ব্যবহারের এটাই সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি।
রোগীরা দিনের সব সময়েই ভাল বোধ করেন, খাবার খাওয়ার পরবর্তী সময়েও। তারা আর তৃষ্ণার্ত অনুভব করেন না। ফোলাভাবে, ফোড়া-ফুসকুড়ি বা যৌনাঙ্গে চুলকানিও থাকে না। ঘন-ঘন বাথরুমে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
শারীরিক সূচকগুলোর ক্ষেত্রে: গ্লুকোসাইলেটেড হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নেমে আসে, মূত্রে শর্করা ও অ্যাসিটোনের মাত্রাও নেমে আসে।
অতিরিক্ত চর্বি ঝড়ে যায়!
অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিসের ভয়াবহতাকে 4-5 গুণ বাড়িয়ে তোলে। সেই জন্যই শরীরের ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও Diabex-এর একটা ভূমিকা রয়েছে। সেটা দুটো কারণে হয়। প্রথমত, কোষগুলো অধিক সক্রিয়তার সাথে শর্করাকে শক্তিতে পরিণত করতে সক্ষম হয়। আর দ্বিতীয়ত, এতে এক ধরনের লতানে ট্রিবিউলাস ভেষজের খুব গাঢ় নির্যাস থাকে, যা একটা শক্তিশালী মেদ ঝরানোর উপাদান।
10 কেজি ওজন কমাতে পারলে তা ডায়াবেটিসের জটিলতাগুলো মারাত্মক হয়ে ওঠার বিষয়টাকে 50% কমিয়ে আনে।
যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বহু ডায়াবেটিস রোগীই যৌনভাবে অক্ষম। Diabex-এর একটা অসাধারণ ফলাফল হল টেস্টোস্টেরনের মাত্রাকে স্বাভাবিক করে তোলা এবং সুস্থ-স্বাভাবিক যৌনক্ষমতার পুনরুদ্ধার করা। এমনকি 50, 60 বছরের পুরুষও যৌনসঙ্গম করার ক্ষমতা ফিরে পান।
ত্বক, হাড় এবং মাংসপেশির অবস্থার উন্নতিসাধন করে।
এমনকি অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকও পুনরুজ্জীবিত হয়। ত্বকের আলসার সেরে যায়, ত্বকে আর পচন ধরে না ও শুষ্ক হয়ে যায় না। একই ব্যাপারে হাড়ের ক্ষেত্রেও ঘটে, হাড়ের সুস্থ গঠন ফিরে আসে, সেগুলো আর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে না। শরীরের সমস্ত কোষ সেরে ওঠে, আর মাংসপেশিগুলো নমনীয় হয়ে যায়।
যে কোন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে এ যেন প্রজাপতি হয়ে ওঠার মতো ঘটনাচক্র!
Diabex যে কোন ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে প্রজাপতি ডানা ঝাপটানোর মতো একটি ক্রিয়-শৃঙ্খলকে চালু করে দেয় যা অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর স্বাভাবিক ক্রিয়াগুলোকে পুনঃস্থাপিত করে এবং শরীরের সার্বিক সুস্থতাকে উন্নত করে। রক্তবাহগুলোকে সারিয়ে তোলা থেকে শুরু করে চোখের দৃষ্টিশক্তিকে ও সন্ধিগুলোর কর্মক্ষমতাকে স্বাভাবিক করে তোলা অবধি।
সহজে ঘুম ভাঙ্গা
সকালবেলা সহজেই আপনার ঘুম ভেঙ্গে যাবে আর আপনি এক প্রকার উড়ে বিছানা ছাড়বেন- আপনাকে জোর করে বিছানা ছাড়তে হবে না, পা রগড়ে, চোখ কচলে, আড়মোড় ভেঙ্গে নয়। একেবারে শুরুর দিনের সকালগুলোতেই আপনি শক্তি আর সবলতায় পরিপূর্ণ বোধ করবেন।
শরীর ও মন-মেজাজ দুই-ই ভীষণ ভাল থাকে
সারা দিন। আপনি ভাল ঘুমাতে পারেন এবং পর্যাপ্ত ঘুম হয়। আপনার নিজেকে পুনরুজ্জীবিত মনে হয়। আপনাকে সারা রাত ধরে বারে-বারে বাথরুম যেতে হয় না। কোন ব্যথা বা চুলকানি থাকে না।
সুস্বাদু প্রাতরাশ
আপনার মেনু উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। আপনাকে আর কঠিন ডায়েট মেনে চলতে হয় না। আপনি এতদিন যে সব খাদ্যগুলো শুধুমাত্র স্বপ্নেই খাবার কথা ভেবে এসেছিলেন সেগুলোকে চেখে দেখতে পারেন।আর কম ক্যালোরিযুক্ত ডায়েট নিতে হয় না। আপনার প্রিয় খাবার-দাবারগুলোকে উপভোগ করুন!
অফুরন্ত শক্তি
বাইরে বেরোলে আপনাকে আর আপনার পায়ের কাঁপুনি নিয়ে ভাবতে হয় না, হেঁটে-চলে বেড়ানো আর আপনার কাছে খুব ক্লান্তিকর কাজ বলে মনে হয় না, আপনার পায়ে ক্লান্তি বা ফোলা ভাবে অনুভব না করেই আপনি সারা হেঁটে বা এমনকি জগিং করেও বেড়াতে পারেন। চপ্পল, জুতো, মোজা এগুলো আর আপনার ফোলা পাগুলোকে একাট কাঁটা-চামচ যেমনভাবে সসেজকে কামড়ে ধরে তেমনভাবে কামড়ে ধরে না।
চরম প্রশান্তি
আপনি পুরোপুরি শান্ত ও নিরুদ্বেগ বোধ করেন। আপনার আর এমন কোন ধারাবাহিক ব্যথা-বেদনা থাকে না যা আপনার মস্তিস্ককে কুঁড়ে-কুঁড়ে খায়, আপনার অন্য কোন কিছুতে মনোনিবেশ করাকে আটকায়। যখন আর কোন ব্যথা-বেদনা থাকে না তখন পরিচিত জিনিসগুলো, শব্দ, গন্ধ, অনেক দিনের ভুলে যাওয়া রং, সব নতুন করে ধরা দেয়।
অসাধারণ দৃষ্টিশক্তি
এমনকি খুব গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত দৃষ্টিশক্তিও ক্রমে-ক্রমে ফিরে পাওয়া যায়। যা আগে ঝাপসা লাগত এখন পরিষ্কার দেখতে পেতে পারেন। আপনি আবার অনেক দূর থেকে বাসের নম্বর দেখে ফেলতে পারবেন, আপনি আবারও প্রকৃতির সৌন্দর্যের তারিফ করবেন।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আপনি আপনার জীবনকে প্রসারিত করবেন! একইসঙ্গে, এমনকি অনেক বেশি বয়সেও, আপনি সুস্থ এবং প্রাণবন্ত বোধ করবেন। আপনাকে আপনার আত্মীয়-স্বজনের কাছে আপনার পরিচর্যার বোঝা হয়ে থাকতে হবে না। আপনি নিজেই নিজের দেখাশোনা করতে পারবেন।
ভারতীয় ওষুধের দোকানগুলোতে Diabex-এর অভাব!
যতদূর আমরা জানি, বাংলাদেশের ওষুধের দোকানগুলো থেকে Diabex কিনতে পারা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এটা প্রায় পাওয়া যায় না বললেই চলে। কথাটা কি সত্যি? আর এদেশের লোকেদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকেদের আপনি কী পরামর্শ দিতে চাইবেন?
- হ্যাঁ, তাই। Diabex খুবই কম, সীমিত পরিমাণে উৎপাদন করা হয়, এবং সেই কারণেই এটা ওষুধের দোকানগুলোতে পৌঁছায় না। এর বেশিরভাগ ব্যাচ বিদেশে বিক্রি হয়ে যায়, আর কিছু অংশ বেসরকারি ক্লিনিকগুলো কিনে নেয়।
কিন্তু আপনার পত্রিকার পাঠকদের জন্য আমি একটা ভাল খবর দিতে পারি। আমি আমার সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করেছিল, আর আমরা মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা Diabex-এর যে ব্যাচটা কিনেছি তার একটা অংশ আমরা আপনাদের পত্রিকার পাঠকদের একেবারে ন্যূনতম দামে দিয়ে দেব। আমরা ওটা সরাসরি লোকেদের বাড়িতে ডাক মারফৎ পাঠিয়ে দেব। বাংলাদেশের যে কোন জায়গায়।
আপনার এই পদ্ধতিতে Diabex পেতে পারেন।
আপনাকে যা করতে হবে:
1. আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশে বসবাস করতে হবে। আমরা দেশের বাইরে বসবাসকারী কাউকে Diabex পাঠাব না।
2. আপনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য Diabex পাবেন। আমি লোকেদের অনুরোধ করব তারা যেন তাদের অংশের Diabex বেশি দামে বাজারে বিক্রি না করে দেন। অসুস্থদের চিকিৎসা বিক্রি করে মুনাফা কামানোটা অমানবিক! একজনের চিকিৎসায় যতটা প্রয়োজন তার বেশি Diabex কাউকেই পাঠানো হবে না (অথবা দু'জন ব্যক্তিকে- যদি বাড়িতে একাধিক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী থাকে)
অন্য কেউ নিয়ে নেবার আগে আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগান!
দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশে সমস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত Diabex নেই। অতএব, আমরা তাদেরকেই এটা পাঠাব যারা আগে এই ওয়েবসাইটে দেওয়া আবেদনপত্রটি পূরণ করবেন। আপনি যদি এই অনন্য জিনিসটা দিয়ে আপনার ডায়াবেটিস রোগ সারাতে চান, তাহলে আমি বলব, স্টক থাকা অবধি যত দ্রুত সম্ভব আপনারা এটা অর্ডার করুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ!
শুধুমাত্র ওয়েব-সাইট ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর! ৫০% ডিসকাউন্টসহ আপনার আকর্ষণীয় সব অফার পেতে Diabex আজই অর্ডার করুন!শুধুমাত্র "SPIN" বাটনে ক্লিক করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে নিন, শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।হয়তো আপনি সেই ভাগ্যবান যিনি আজ অনেক সঞ্চয় করতে পারবেন! শুভকামনা রইল!
এই অফারটির সময়সীমা (এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত): 18.05.2022
আলোচনা
সুরভি
আপনার এই উদারতার জন্য ধন্যবাদ! আমি অন্য আরেকটা ক্লিনিক থেকে Diabex কেনার চেষ্টা করেছিলাম। তারা এর 10 গুণ বেশি দাম চেয়েছিল। আমি কিনতে রাজি হইনি। আর তারপর আমার এক বন্ধু আমাকে এই প্রবন্ধটার লিঙ্কটা পাঠাল। আমি আপনাদের থেকে এটা অর্ডার করলাম। আমার প্যাকেজটা তাড়াতাড়িই চলে এসেছিল। আমি ইতিমধ্যেই সেটা ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছি এবং তার কিছু ফলাফলও পেয়েছি!
রঙ্গন
ডাক্তারবাবুর এই কথাটাকে আমি পুরোপুরি সমর্থন করি! মেটফর্মিন খুব খারাপ জিনিস- ওরা সারা বিশ্বের লোকেদের বিষ বিক্রি করে তা থেকে মুনাফা কামাচ্ছে! আমি 7 বছর ধরে ওটা খেয়েছিলাম। কোন ফল হয়নি। আমি কোনভাবেই আমার রক্তে শুগারের পরিমাণ কমাতে পারিনি। পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপই হয়ে যাচ্ছিল। আর তারপর একদিন আমি Diabex সম্বন্ধে জানতে পারি। তফাৎটা দিন আর রাতের। বিপজ্জনক রাসায়নিক ওষুধগুলোর তুলনায় প্রাকৃতিক ওষুধগুলো আসলে আপনার শারীরিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে। বন্ধুরা, আমি সবাইকে এই Diabex নেবার সুপারিশ করব।
শ্রেয়া
ওঃ, Diabex-এর সন্ধান পাবার আগে অবধি আমি আমার ডায়াবেটিস নিয়ে অনেক ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে গেছি। আমার জীবনটাও এখানে বলা গল্পের সেই মহিলার মতোই দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। রক্তে শুগারের মাত্রা বেশি থাকার সাথে সাথে আমার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাই ছিল (200-230), সেই জন্যই আমি ঘন-ঘন বমি করতাম। তার সঙ্গে আমার ওজন অনেক বেশি ছিল - 120 কেজি (আমার উচ্চতা অনেকটাই কম)। এডিমা, শ্বাসকষ্ট - আমি এই সব কিছুর মধ্যে দিয়েই গেছিলাম। আমার শরীরে পচন ধরেছিল এবং অনেক সময় এমনকি পুঁজও বেরোত। কিন্তু এখন আর তা হয় না। আমি Diabex-এর একটা কোর্স নিয়েছিলাম। এখন আমি অন্তত একটা জীবিত মানুষের মতো অনুভব করি। আমার ওজন কমে গেছে, রক্তচাপ বাড়ার সমস্যা আর নেই। মোট কথা, এখন আমার সব কিছু ঠিকঠাকই রয়েছে, আমি সকলের জন্য এইরকম আশা করি।
পঙ্কজ
শুগার কমানোর ব্যাপারে দারুণ। এক মাসের মধ্যে, আমার শুগারের মাত্রা 14 mmol/l থেকে 7.9-এ নেমে এসেছিল!
মুনাফ
ধন্যবাদ, আমি একটা অর্ডার করেছি। অপারেটার যখন আমাকে কল করে, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি এর কত স্টক আর বেঁচে আছে। তিনি বলেন, আর 15 প্যাকেট বেঁচে আছে, কিন্তু একের পর এক অর্ডার এসেই চলেছে- মনে হচ্ছে, অনেক লোকেই এটার ব্যাপারে জানতে শুরু করেছেন। স্টক হয়ত শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে।
গৌরব
যে কোন রোগই কারো কাছে ভোগান্তির, আর কারো কাছে মুনাফা কামানোর জিনিস। ওষুধনির্মাতারা অনেক আগেই তাদের আসল চরিত্র দেখিয়ে দিয়েছে- তাদের শুধু আমাদের টাকা আর আমাদের স্বাস্থ্যই চাই!
প্রতাপ
আমার ডায়াবেটিস আছে। আর আমি সেটা সারিয়ে তুলেছি। এখন, আমি প্রতিবছর একবার করে Diabex-এর কোর্স নিই যাতে সেটা আবার ফিরে না আসে। যারা এখনও এটা ব্যবহার করেনি, তাদেরকে আমি এটা নেবার জন্য প্রবলভাবে সুপারিশ করব!
মৌসুমি
Diabex সব বিক্রি হয়ে গেছে!!!!!!!! আমি সময় মতো ওটার অর্ডার দিতে পারিনি। গতকালই ওরা জানিয়েছিল স্টক রয়েছে... আমি আর ডায়াবেটিস নিয়ে চলতে পারছি না। আমি বুঝতে পারছি না কীভাবে এর চিকিৎসা করব। Diabex-এর উপর আমার আশা-ভরসা ছিল। আমার কি তাহলে সত্যিই আর কিছুই করার নেই?
অনুত্তমা
আমিও ওটা পেয়ে উঠতে পারিনি। আমি এখন আমার চিকিৎসা কী দিয়ে করাব??? আমার এক বন্ধু আমাকে Diabex-এর ব্যাপারে বলেছিল। ও এটার খুব প্রশংসা করেছিল, আমিও এটার অর্ডার দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ততটা সময় পেয়ে উঠিনি। আমার ভীষণ হতাশ লাগছে।
জয়ন্তি
সবাইকে বলছি। আমার বয়স 59, আমার ওজন 124 কেজি ছিল, এখন মাত্র 80 কেজি, আমার উচ্চতা 168 সেমিঃ। আমার গ্লুকোজের মাত্রা মোটামুটি 12-18-র মধ্যে থাকত, এবং এক সময় তা এমনকি 29-এ পৌঁছেছিল। এখন সেটা 5.0। আমি 3 মাস Diabex নিয়েছিলাম। এই ফলাফলে আমি ভীষণ খুশি। আর কোন ওষুধ আমার জন্য এতটা কাজ করেনি।
শাহনাজ
এটা কি আবার বিক্রির জন্য আসবে? আর এলে, তা কবে? আমিও এটা অর্ডার দিতে চাই!!!
রত্না
Diabex আবার বিক্রির জন্য এসেছে! ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারছি, ক্লিনিকটি বাংলাদেশে বসবাসরত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আরও 1000 প্যাকেট বিক্রির জন্য আনছে। ডাক্তারদের মতে, এই শেষবারের মতো তারা এটা বিক্রির জন্য আনছে।
বাপ্পা
ধন্যবাদ! আমি এটার অর্ডার দিয়েছি। ওরা জানিয়েছে আমি 2 দিনের মধ্যেই ওটা পেয়ে যাব। আমি দ্রুত চিকিৎসা শুরুর ব্যাপারে পরিকল্পনা করেছি।
রসুল
জিনিসটা সত্যিই দুর্দান্ত। আম এক সপ্তাহ হল এটা ব্যবহার করছি এবং ইতিমধ্যেই ইতিবাচক কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। আমি দিনে একাধিকবার করে আমার শুগার মাপি। আগে যা আসত এখন তার থেকে অনেক কম আসে। এভাবে চলতে থাকলে, আমি সম্ভবত খুব শীঘ্রই শুগার থেকে মুক্তি পেয়ে যাব।
লাবণ্য
ডায়াবেটিস ভীষণ কুটিল একটা রোগ। আমার 4 বছর হয়ে গেল ডায়াবেটিস রয়েছে, কোন বাহ্যিক লক্ষণ কিন্তু ছিলনা, খালি মাঝে-মাঝে
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Telephone
Website
Address
1720
Jhenaidah Rode
Kaliganj, 7350
Assalamu Alaikum, We do business with the utmost importance to our customers, so that the customer
আরশ হোসিয়ারী
Kaliganj, 1310
Wholesale good clothes are available at Arash Hosiery.