Guardian News BD
সত্য নিউজ সবার আগে সব সময়
ন্যায় নিষ্ঠার পথে থাকি সত্য বলার সাহস রাখি
পেঁয়াজের ঝাঁজে কাঁদছে দেশ
নিয়মনীতি উপেক্ষা করে এনআরবি ব্যাংককে কুক্ষিগত করে রেখেছে মাহতাবুর রহমান
কুমারখালীতে এক ছাত্রের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২১৫ জন নেতাকর্মী আটক হয়েছেন। এসময়ে বিভিন্ন থানার ৭ টি মামলায় ৮৭৫ জনের অধিক আসামি করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ২৩ জনের নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে দলটি।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ফেনী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম অভিকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশে দেয়। জহিরুল ইসলামের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এসময়ে ফেনী বিএনপির ৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
রিজভী আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা শাখা ছাত্রদলে মিছিলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাদীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পুলিশের পিটুনিতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
খুলনা ও চট্রগ্রাম থেকেও দলের বিভিন্ন নেতাকর্মী আটকের কথা জানান এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
উল্লেখ্য, গেলো ১৫ নভেম্বর নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার পর এ পর্যন্ত বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৭ জন নেতাকর্মী নিহত এবং ৩০৯ টি মামলায় ৮ হাজার ৪৭৫ জন নেতাকর্মীর আটকের দাবি জানান রিজভী
বেগম রোকেয়ার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেগম রোকেয়ার জীবনাচরণ ও নারী শিক্ষার প্রসারে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আগামীকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস এবং বেগম রোকেয়া পদক প্রদান উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন আধুনিক নারী। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সমাজ তথা রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। তার এই উপলব্ধি ও আদর্শ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে আমি বাঙালি নারী শিক্ষার প্রসার ও নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। এ বছর যাঁরা ‘বেগম রোকেয়া পদক’ পেয়েছেন আমি তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে নারী শিক্ষার প্রসার ও নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পথিকৃত। তিনি বিশ্বাস করতেন দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এবং সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব নয়। তাই তিনি নারীর সমান অধিকার, সমমর্যাদা, সাম্য ও স্বাধীনতার অপরিসীম গুরুত্ব অনুধাবন করে সংবিধানে নারীর ক্ষমতায়নের শক্ত ভিত রচনা করেছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত রাখার বিধান করেন। ১৯৭২ সালেই চাকরিক্ষেত্রে নারীদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করেন এবং ১৯৭৩ সালে তাঁর গৃহীত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীকে সম্পৃক্ত করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ধারণা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করি। ২০০৯ সালে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা দেশে নারী শিক্ষার প্রসার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছি। বাল্যবিবাহ নির্মূলের জন্য ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, আইন প্রণয়ন, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে, সাংবাদিকতা, তথ্য-প্রযুক্তি, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং খেলাধুলাসহ পেশাভিত্তিক সকল স্তরে আজ নারীদের গর্বিত পদচারণা। এভারেস্ট বিজয় থেকে শুরু করে মানবাধিকার রক্ষা এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের কর্মকান্ডে নারীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে। জেন্ডার সমতা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান আজ বিশ্বে ৭ম। আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী, তৈরি পোশাক কর্মীদের ৮০ শতাংশের বেশি নারী। বর্তমানে সংরক্ষিত আসন ও নির্বাচিত ২২ জনসহ ৭২ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন। স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধির সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সফল বাস্তবায়নে নারীর অংশগ্রহণ এখন দৃশ্যমান। নারী উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা জাতিসংঘের ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এসডিজি অর্জনে ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে থাকায় আমরা ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ অর্জন করেছি। তাই বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশ্বের কাছে অনুকরণীয়।
তিনি ‘বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ দিল কানাডা
শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছে কানাডা। দেশটিতে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের এখন থেকে ব্যাংকে আগের তুলনায় দ্বিগুণ অর্থ দেখাতে হবে বলে জানিয়েছেন অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে।
আগে শিক্ষার্থীদের জীবন ব্যয় (কস্ট অব লিভিং) খরচ হিসেবে ব্যাংকে ১০ হাজার ডলার আছে এমন প্রমাণ দেখাতে হতো। কিন্তু এখন জীবন ব্যয়ের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এটি ২০ হাজার ৬৩৫ ডলারে উন্নীত করা হয়েছে।
কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার বলেন, কানাডায় পড়তে আসার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে জীবন ব্যয়ের বিষয়টি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমন্বয় করা হয়নি। ফলে কানাডায় আসা শিক্ষার্থীরা দেখতে পান সেখানে থাকার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে নেই।
এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার নামে প্রতারণা করছে তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি করেন মার্ক মিলার। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার যে অস্থায়ী অনুমতি রয়েছে সেটির মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করার ঘোষণা দেন তিনি।
আজ বিকাল সাড়ে চারটার দিকে। কুমারখালী সরকারী কলেজের পশ্চিমে ( ৬নং ওয়ার্ড,সেরকান্দী) এ্যাডঃ জয়দেব বিশ্বাসের বাড়ির ভাড়াটিয়া মনোরঞ্জন এর ছেলে সাগর সিলিং ফ্যানের সাথে গলাই ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রেম ঘটিত কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন গাড়িতে কোটালিপাড়ায় শেখ হাসিনা
রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়ায় গেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছান।
জানা গেছে, কোটালীপাড়ার স্থানীয় সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন তিনি। সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাহ উদ্দিন ও শেখ তন্ময় তার সঙ্গে রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছে তিনি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর সন্ধ্যায় তিনি নিজ বাসভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
নিষেধাজ্ঞার মুখে ব্রাজিলের ফুটবল!
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল বর্তমানে চরম দুঃসময় পার করছে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা তিন ম্যাচ হারের স্বাদ পেয়েছে সেলেসাওরা। পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে অবস্থান করছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এরই মধ্যে দেশটির ফুটবলে আরও বড় ধাক্কা হিসেবে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেজকে ছাঁটাই করেছে রিও ডি জেনিরোর আদালত। ধাক্কাটা এতটাই প্রকট, যেকোনো সময় নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে ব্রাজিলের ফুটবল!
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের অভ্যন্তরে বাইরের হস্তক্ষেপ বৈধ নয়। এ কারণে রদ্রিগেজকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সিবিএফ আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে।
এদনালদো রদ্রিগেজকে ছাঁটাইয়ের ঘটনায় সিবিএফকে একটি চিঠি দিয়েছে ফিফা। সেখানে সংস্থাটি জানিয়েছে, বোর্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে ব্রাজিল ফুটবল।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এদনালদো রদ্রিগেজকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছে রিও ডি জেনিরোর স্টেট কোর্ট। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সিবিএফের দায়িত্ব থেকে ছাঁটাই হলেন দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট।
২০২১ সালে রোজেরিও ক্যাবোলো যৌন কেলেঙ্কারিতে নিষেধাজ্ঞায় পড়লে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব নেন রদ্রিগেজ। পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সভাপতির দায়িত্ব পান। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত তার মেয়াদ আছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ২০২২ সালে সিবিএফ ও রিও ডি জেনিরোর কৌঁসুলিদের চুক্তির ভিত্তিতে সভাপতির দায়িত্ব পান এদনালদো রদ্রিগেজ। তবে সেই চুক্তির প্রকিয়াটি বৈধ ছিল না। মূলত কৌঁসুলিরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই চুক্তিটি করেছিলেন বলে জানিয়েছে রিও ডি জেনিরোর একটি বিচারিক আদালত।
আগামী ৩০ দিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সিবিএফের প্রধান প্রশাসক হিসেবে ব্রাজিলের সুপিরিয়র কোর্ট অব স্পোর্টস জাস্টিসের (এসটিজেডি) প্রেসিডেন্ট জোসে পেরেদিসকে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির আদালত। তবে এই সময়ের মধ্যে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন এদনালদো রদ্রিগেজ।
তবে এদনালদোকে ছাঁটাই করা হলে বড় সমস্যায় পড়বে ব্রাজিল ফুটবল। সিবিএফে তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে সদস্য দেশগুলোকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে থাকে ফিফা। এশিয়ার দেশ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এমন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ব্রাজিলও ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে।
এছাড়া এদনালদো ছাঁটাই হলে কার্লো আনচেলত্তির ব্রাজিলের কোচ হওয়ার প্রক্রিয়াতেও বড় ধাক্কা লাগতে পারে। কারণ এ সভাপতিই রিয়াল মাদ্রিদের ইতালিয়ান কোচকে ব্রাজিলে নিয়ে আসার ব্যাপারে প্রচণ্ড আগ্রহী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের ভাগ্যে কী আছে, তা নিয়েও রয়েছে গভীর সংশয়।
নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল আগামী শনিবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে। কিন্তু এর তিনদিন আগে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত করেছে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মাউশি থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদিও মাউশি থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়নি।
মাউশি থেকে টেলিফোনে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ স্থগিত রাখার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মাউশির মাধ্যমিক শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, আজ (বুধবার) দুপুরে মাউশিতে একটি সভা ছিল। ওই সভায় প্রশিক্ষণটি আপাতত স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। পরে প্রশিক্ষণের নতুন সময় জানানো হয়েছে।
এদিকে, প্রশিক্ষণ স্থগিত ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, ৯ ডিসেম্বরের প্রশিক্ষণ স্থগিত করা হয়েছে। পরে প্রশিক্ষণের তারিখ জানানো হবে।
জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আমাদের অ্যাডজাস্টমেন্টের কিছুটা সমস্যা ছিল। সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, আগামী বছর অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেণি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আগামী শনিবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ইআইআইএন-ধারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছিল। আর জানুয়ারি মাসে সুবিধাজনক সময়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে ইআইআইএন-বিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছিল।
এর আগে, ১ ডিসেম্বর থেকে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেণি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়।
ডিবি পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু
নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নুরতাজ বেগম (৬০) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে হৃদয় জানায়, পুলিশ তার মাকে বুধবার সন্ধ্যায় আটক করলেও পরিবারকে জানায়নি। এমনকি তার মা অসুস্থ হওয়ার পর মাঝরাতে হাসপাতাল ভর্তি এবং মারা যাওয়ার পরও পুলিশ তাদের কিছু জানায়নি। খবর পেয়ে সকালে জেলা হাসপাতালে গেলে পুলিশ তার মায়ের লাশ দেখতে দেয়নি।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নুরতাজকে ১০ কেজি গাঁজাসহ ভেলানগর থেকে আটক করেন ডিবি পুলিশের এস আই নাইমুল মোস্তাক। তাকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৩টার দিকে অসুস্থ বোধ করলে তাকে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান তিনি।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি॥ ০৭ ডিসেম্বর,২০২৩॥ কুষ্টিয়ার হাউজিং এলাকার ভাগার থেকে কলেজ ছাত্রীর কম্বলে মোড়ানো মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের ১৯ দিন পর উত্ত্যোক্তকারীরা কলেজ ছাত্রী রেখা(১৮)কে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ পেয়ে রেখার মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতালের মর্গে প্রেরন করেছে মডেল থানা পুািলশ। পুলিশের ধারণা পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে লাশ ফেলে গেছে খুনিরা। নিহত রেখা কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাখই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম ব্যাপারীর কণ্যা ও কুমারখালী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। পারিবারিক সিদ্ধান্তেই গত ১৮ নভেম্বর পূর্বপরিচিত হাফিজুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়। হাফিজুর রহামন একটি ঔষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরী করেন গোপালগঞ্জ জেলায়। নিহতের পিতা দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী আব্দুর রহিম ব্যাপারী বলেন, ‘রেখা বুধবার সকাল ৯টায় কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় পরিবারে লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। সম্ভাব্য সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। সন্ধার পর সংবাদ পায় যে কুষ্টিয়া হাউজিং ই-বøকের ভাগারে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় রেখার লাশ পাওয়া গেছে। গত ২০দিন পূর্বে রেখার পূর্বপরিচিত ও পছন্দের হাফিজুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু এবিয়েতে কোনমতেই আমার বড় জামায় রূপালী ব্যাংকের গাড়ি চালক কুমারখালী উপজেলার চড়াইকোল গ্রামের বাসিন্দা আওলাদ হোসেন চরম আপত্তি ও বিরোধিতা সত্তে¡ও পারিবারিক সিদ্ধান্তেই এই বিয়ে দেয়া হয়’। এঘটনায় আওয়ালাদ খুব রেগে যায়’। এমনকি রেখাকে বকাঝকাও করে’। এখন কিশের থেকে কি হয়েছে তা আল্লাহ জানে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। নিহতের স্বামী সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের বাসিন্দা মৃত: আব্দুল বারীর ছেলে হাফিজুর রহমানের বলেন, ‘প্রায় এক বছর পূর্বে ফোন কলের মাধ্যমে রেখার সাথ আমার পরিচয়। রেখার সাথে ইমু ফোন কলের মাধ্যমেই যোগাযোগ হতো। চাকরী সূত্রে দুরে থাকায় সরাসরি দেখা সাক্ষাতের কোন সুযোগ ছিলোনা। বেশ কয়েক মাস পূর্বে রেখা জানায় তাকে বড় দুলা ভাই আওলাদ হোসেন কর্তৃক উত্ত্যোক্তের বিষয়ে। রেখার বয়স ১৮ বছর পূর্ন না হওয়ায় আমি অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেখা উত্ত্যোক্তে হাত থেকে বাঁচতে আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। রেখার কথা মতো জন্ম নিবন্ধন সূত্রে প্রায় আড়াই মাস বয়স কমতি থাকলেও কুষ্টিয়াতে নোটারী পাবলিক থেকে পরিবারিক হলফনামা করে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন। কিন্তু বিয়ের ১০দিন পর রেখার বড় দুলাভাই আওলাদ হোসেন আমাদের বিয়ের ঘটনা জেনে যাওয়ার পর থেকেই চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তিনি রেখাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি রেখা তার বাবা মাকে এবং আমাকে জানায় যে আমার যখন বিয়ে হয়েই গেছে তখন আমি আমার স্বামীর কাছে চলে গেলে তো আর কোন সমস্যা থাকবে না’। কথামতো আগামী সপ্তাহেই রেখাকে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তার আগেই তো এই ঘটনা ঘটে গেলো। তবে অভিযুক্ত আওলাদ হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, রেখা ফোনে মেহেদী ও হাফিজুরসহ বিভিন্ন ছেলেদের সাথে কথা বলতো বলে আমি রাগারাগী করতাম। এছাড়া ওর বিয়ের বিপক্ষে বা বিরোধিতা করেছি এমন অভিযোগ সঠিক নয় তবে ওদের বিয়ে কবে হয়েছে তা আমি জানিনা বা আমি সেখানে উপস্থিতও ছিলাম না’। রেখা যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলেজে যায় বা বিকেলে বাড়ি ফিরেনি সেই বিষয় আমার জানা ছিলোনা। ওই সময় আমি প্রতিদিনের মতো অফিসে ডিউটিতে ছিলাম বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতালের মর্গে লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারন নির্নয়ে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সোহেল রানা বলেন, বুধবার রাতে হাউজিং এলাকায় কম্বল মোড়ানো এক নারীর মরদেহ পড়ে আছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটি একটি হত্যাকান্ড। এঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। তবে যারাই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাক তাদের গ্রেফতার করা হবে।
ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় বাসায় ডেকে পেটালেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন
চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৪৮ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের থেকে ৯৪ লাখ টাকা নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি জাকির হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি দেওয়া বা টাকা ফেরতের কোনোটিই করেননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সেই পাওয়ানাদারদের এবার বাসায় ডেকে নিজের হাতে রড দিয়ে পেটালেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ৩৫ নম্বর সরকারি বাসায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মার খেয়ে পালিয়ে আসা এক ভুক্তভোগী
জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য সুপারিশ করতে যান ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ’ এর আবু সুফিয়ান বিশ্বাসসহ কয়েকজন। আবু সুফিয়ান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও খুলনা জেলার সভাপতি। ২০২২ সালের ৮ জুন মাসে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বাসায় ওই মিটিং হয়।
আবু সুফিয়ান জানান, ওই সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ৪৮ জনকে নিয়োগের জন্য ৬ কোটি টাকায় রফা হয়। মন্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে লিটন ও ড্রাইভার মোমিনকে টাকা বুঝিয়ে দিতে বলেন। তখন অগ্রিম হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী কল্লোলের উপস্থিতিতে লিটন ও মোমিনের কাছে ৪৮ জন চাকরি প্রাথীর্র জন্য ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন আবু সুফিয়ান ও নাছির হাওলাদার নামের এক চাকরি প্রার্থী। তবে ওই ৪৮ জনের কেউই চাকরি পাননি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অগ্রীম টাকা দেওয়ার পরও চাকরি না হওয়ায় ১১ জুন প্রতিমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে দেখা করেন আবু সুফিয়ানসহ অন্যান্যরা। এ সময় মন্ত্রী তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত পাননি ভুক্তভোগীরা। ফলে গত ১৪ মে ৪৮ জনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন আবু সুফিয়ান। এতে ক্ষুব্ধ হন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
সম্প্রতি ঘোষিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি জাকির হোসেন। এতে ক্ষুব্ধ হন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের ওপর। বৃহস্পতিবার তাদের টাকা ফেরত নেওয়ার কথা বলে মন্ত্রীর বাসায় ডাকেন ব্যক্তিগত সহকারী কল্লোল। কল্লোলের কথা মতো সকাল ১১টায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডেরে ১১ নম্বর বাসায় যান আবু সুফিয়ান, নাছির হাওলাদার ও জাহিদ হাসান নামের তিনজন।
ওই তিনজন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী কল্লোলের রুমে ঢোকার কয়েক মিনিটের মধ্যেই উপর থেকে ওই রুমে চলে আসেন মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী তার কর্মকর্তা, কর্মচারি ও বাসার নিরাপত্তায় থাকা ৭ থেকে ৮ জন ওই রুমে প্রবেশ করে। এ সময় রুমের দরজা আটকে দিয়ে তিনজনকে পেটাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মন্ত্রী নিজেও রড দিয়ে পেটাতে থাকেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছোটাছুটি করে রুমের দরজা খুলে ফেলেন ভুক্তভোগীরা। তিনজন থেকে নাছির হাওলাদার ও জাহিদ হাসান প্রধান ফটক দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আবু সুফিয়ান পার্শ্ববর্তীর দেওয়াল টপকে ডিবি কার্যালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েন। পরে ডিবি কার্যালয়ের নিরাপত্তায় থাকা সদস্যরা তাকে আটক করে বলে কালবেলাকে জানিয়েছেন জাহিদ হাসান। এ সংবাদ লেখার কিছুক্ষণ আগে বেলা ২টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী কল্লোল।
মন্ত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে আসার পর জাহিদ হাসান ও নাসির হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও তার ব্যক্তিগত সহকারী কল্লোলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন কল দেওয়া হলেও দুজনের কেউ কল রিসিভ করেননি। পরে দুজনেরই মোবাইল নাম্বারে ও হটস্যাপে মেসেজ পাঠানো হয়। কিন্তু কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এদিকে আবু সুফিয়ান এখন কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছেন তা ডিবি কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
দেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।
আগামী রোববার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া, জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এসব দলিলে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২টি দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। রিট আবেদনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিধান আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশসহ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভুটান ও নেপালে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক দলিলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিষিদ্ধ করার পক্ষে বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে সেসব দলিল অনুসরণ করাই আন্তর্জাতিক আইনের রীতি। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদেও আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মুফতি আমির হামজা। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
তিনি জানান, কারাগারে মাওলানা আমির হামজার জামিনের কাগজপত্র পৌঁছানোর পর যাচাই বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ মে ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি টিম। এরপর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় মুফতি আমির হামজাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, মুফতি আমির হামজা ওয়াজ-মাহফিলে ইসলামের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে প্রকাশিত তার বেশকিছু বক্তব্য উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে। যা শুনে কোমলমতি কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযানের কারণে আত্মগোপনে ছিলেন আমির হামজা।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২১ সালের ৫ মে সংসদ ভবন এলাকা থেকে তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় সাকিব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাকিবকে গ্রেপ্তারে পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় আসামি করা হয় সাকিবসহ আলী হাসান ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান
এ ছাড়া সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিবের মোবাইল ফোনে আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদের বার্তা সম্বলিত ভিডিও পাওয়া যায়। যা দেখে সে উগ্রবাদে আসক্ত হয়। ২০২১ সালের ১৫ মে সাকিবকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানায়, এক ইসলামী বক্তার নির্দেশে সে এই পরিকল্পনা করেছিল। কয়েকজনের ওয়াজ ও বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয় বলে জানায় সে।
অল্প বয়সেই কোরআনের হাফেজ হন মুফতি আমির হামজা। এরপর তিনি কওমি মাদরাসা থেকে মুফতি হন। পাশাপাশি আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিমে অত্যন্ত ভালো ফলাফল অর্জন করেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে আল-কুরআনের ওপর অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন।
এসআইয়ের ব্ল্যাকমেল মিশন
‘তুমি টাকা দাও, আমরা রিপোর্ট পরিবর্তন করে দিব। আর তোমার ছেলেকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করবে না। জিনিস যতো কচলাইবা ততো ঝামেলা হইব। তুমি বুইঝা দেখো।’
ভুক্তভোগী এক নারীর সঙ্গে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব সাহা এবং মোহাম্মদপুর থানার এসআই পবিত্র মণ্ডলের কথোপকথন এটি। কিশোর ছেলেকে ব্ল্যাকমেইল করে ওই নারীর কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
দাবিমতো টাকা না দেওয়ায় ওই কিশোরকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে ওই দুজনসহ পুলিশের তিন উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জড়িত আরেকজন হলেন মোহাম্মদপুর থানার এসআই চয়ন।
এক কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ২৬ নভেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন এক কিশোরী। এ মামলার তদন্তভার পান এসআই পবিত্র মণ্ডল। এর আগে কিশোরীর অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্ত করেছিলেন এসআই চয়ন।
মামলা হওয়ার পর থেকেই নানা টালবাহানা শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত কিশোরের পরিবারের সঙ্গে দফায় দফায় চলে দরকষাকষি। কখনো সমঝোতা, আবার কখনো কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্ট বদলে দেওয়ার কথা বলে দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা।
কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্ট বদলে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে অভিযুক্ত কিশোরের মায়ের সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ সদস্যের কথোপকথনের একটি রেকর্ড কালবেলার হাতে এসেছে। সেখানে কিশোরের মা ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হলেও এসআই রাজিব সাহা বলেন, ‘সে (প্রাথমিক তদন্ত করা এসআই চয়ন) তো আশির নিচে রাজিই না। সে তো তোমার ছেলেকে গ্রেপ্তার করবে। চয়ন লাইগা আছে তোমার ছেলেকে ধরার জন্য। র্যাব যাইয়া তোমার ছেলেরে ধইরা নিয়ে আসবে। রিপোর্ট আসলে তখন ওই মেয়ের সঙ্গেও বইসা লাভ নাই। তুমি বুঝো না—মেয়ে কেমন বাটপার? মেয়ের সাথে বসতে চাইলে মেয়ে যদি ৫ লাখ চায়, তখন ওইটাই দিতে হবে। তোমার ছেলের জন্য ভালো হবে বলে দিলাম।’
জানা যায়, মামলার বাদী ওই কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত কিশোরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক। জন্মনিবন্ধন সনদ ও স্কুলের নথি অনুযায়ী ছেলেটির বয়স ১৫ আর মেয়েটির ১৭ বছর ৯ মাস। তবে মামলার এজাহারে মেয়ের বয়স ১৮ আর ছেলের ১৯ দেখিয়েছে থানা পুলিশ।
জানতে চাইলে মামলাটির বাদী ওই কিশোরী কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিলে আমি বিষয়টি আমার এক বান্ধবীকে বলি। এরপর সে আমার সঙ্গে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) চয়নের সোর্স হৃদয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর চয়ন স্যারের কথামতো হৃদয় আমাকে দিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ায়। ওইদিনই এসআই চয়ন স্যার আমাকে নিয়ে ওই ছেলের বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে ছেলের মাকে বিষয়টি জানাই। সব শুনে তিনি আমাকে মেনে নিতে রাজি হন। পরে আমি অভিযোগ উঠিয়ে নিতে চাইলে পুলিশ সেটা করতে দেয়নি। মেডিকেল টেস্টের নাম করে আমাকে ওইদিন সারারাত থানায় আটক করে রাখে পুলিশ। আমার বাসায় মা চিন্তা করবে বললেও তারা আমাকে ছাড়েননি। সকালে আমাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে টেস্ট করানোর পর ছাড়ে। পরে শুনি, আমার অভিযোগটি মামলা হয়ে গেছে। পরে আমি আরও জানতে পারি, তারা আমাকে হাতিয়ার বানিয়ে ওই ছেলের মায়ের কাছে টাকা দাবি করেছে।
জানা গেছে, সেই মামলার সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে এসআই পবিত্র মণ্ডলের নেতৃত্বে ওই কিশোরের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় বেডরুমে ঢুকে ছেলেটির মাকে মারধর করা হয়। তার শরীরের পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়।
সে সময়ের একটি অডিও এসেছে গার্ডিয়ান নিউজ এর হাতে। তাতে শোনা যায়, ওই কিশোরের মায়ের বেডরুমে ঢুকে তার ভিডিও নিচ্ছিলেন এসআই পবিত্র মণ্ডল। পরে ওই নারী রুম থেকে বের হতে বলেন। তবে তাতে কর্ণপাত না করে বেডরুমের ভিডিও করতে থাকে পুলিশ। এ সময় নিজের মানসম্মানের কথা বলে বারবার ভিডিও করতে নিষেধ করেন ওই নারী। এরপর ওড়না পরে বাইরে আসছেন জানিয়ে পুলিশকে রুম থেকে বের হতে বলেন ওই নারী। একপর্যায়ে অডিওতে ওই নারীর চিৎকার শোনা যায়।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কিশোরের মা আসমা আক্তার গার্ডিয়ান নিউজ কে বলেন, ‘রাতে এসআই পবিত্র আমার বাসায় গিয়ে বেডরুমে ঢোকে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক আনসার আমাকে লাথি মারে। রুমের দরজা ভেঙে ফেলা হয়। তখন আমি তাকে বলি, আপনি বাইরে যান, আমি ওড়নাটা পরে আসি। সে আমার কথা না শুনে আমার গায়ে হাত দেয়। এরপর তারা আমার ছেলেকে নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে এসআই রাজিব ও এসআই পবিত্র সমঝোতার জন্য ২ লাখ টাকা দাবি করেন। এসআই রাজিব আমার সাথে এই বিষয়ে একাধিকবার দেখা করেন। আমি টাকা না দেওয়ার আমার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা করায়। মামলার পরেও তারা সমঝোতার জন্য টাকা দাবি করে। টাকা দিলে মেয়ের মেডিকেল রিপোর্ট ঘুরিয়ে দেবে বলেও জানায় সে। না হলে আমার ছেলেকে গ্রেফতার করার হুমকি দেয়। পরে আমার বাসায় ঢুকে ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোহাম্মদপুর থানার এসআই চয়নের সোর্স হিসেবে পরিচিত হৃদয় প্রথমে বিষয়টি চয়নকে জানায়। পরে মামলা হওয়ার আগেই চয়ন ওই মেয়েকে নিয়ে ওই কিশোরের বাসায় গিয়ে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেন। সে সময় ছেলেটির মা রাজি না হওয়ার তারা ফিরে এসে মেয়েকে ফুসলিয়ে অভিযোগ করান। এর পরও ওই কিশোরের মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে সমঝোতার নামে একাধিকবার দেখা করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার এসআই চয়ন মূল ভূমিকা রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার হয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেছেন এসআই রাজিব সাহা। আর তদন্তের নামে বাসায় গিয়ে হুমকি-ধমকি দেন এসআই পবিত্র।
জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই চয়ন গার্ডিয়ান নিউজ বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আর ওইটা আমার এলাকাও না। আর ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পবিত্র মণ্ডল।’
কর্মএলাকা না হওয়া সত্ত্বেও ওই কিশোরের বাড়িতে কেন গিয়েছিলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে চয়ন বলেন, ‘আমি প্রাথমিক তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। প্রাথমিক তদন্তের পর বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে আর ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন এসআই পবিত্র মণ্ডল। এরপর ওই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ সোর্সের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আরেক এসআই রাজিব সাহা গার্ডিয়ান নিউজ কে বলেন, ‘আসলে ওই কণ্ঠটি আমার নয়। আমি টাকা-পয়সার বিষয়ে কোনো কথা বলি নাই। আর আমি এখন মোহাম্মদপুর নাই, আমি এখন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে।’
এই ঘটনায় জড়িত না থাকলে গত মঙ্গলবার ওই কিশোরের মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে রাজিব সাহা বলেন, ‘ওই মহিলা আমার পূর্বপরিচিত। ওই মহিলা ফোন দিয়ে আমার কাছে হেল্প চাইছিল। বলছে, তার ছেলের নামে একটি মামলা হয়েছে। এই বিষয়ে আমি তাকে হেল্প করতে গেছিলাম। তবে টাকা-পয়সার বিষয়ে তার সাথে আমার কোনো কথা হয় নাই।’
৮০ হাজার টাকা দাবি করার অডিও রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি কোনো
টাকা-পয়সা চাই নাই। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’
এ ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত এসআই পবিত্র মণ্ডলকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে মেসেজ পাঠানো হলেও কোনো উত্তর দেননি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা গার্ডিয়ান নিউজ কে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অভিযোগ করার পরে
বাদী-বিবাদীর মধ্যে আপস-মীমাংসা হয়ে যায়। পরে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলতে পারে। এগুলো ভিত্তিহীন কথাবার্তা। এগুলো কতখানি
সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাইয়ের বিষয় আছে।’
এবার ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে নিয়মিতই উঠে আসে। তবে এবার ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়টি উঠে এসেছে।
গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করি; তা বাস্তবায়নে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমরা অন্য দেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নিই না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক প্রত্যাশা পূরণে আমরা যা করতে পারি তা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও তার দল অব্যাহত রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, রাশিয়ার এমন অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে জন কিরবি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাশিয়ানরাও জানে যে এটি মিথ্যা। এটি শুধু উচ্চমানের রুশ অপপ্রচার। তারা জানে এটা মিথ্যা। বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তাই চাই এবং তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটাই রাষ্ট্রদূত ও তার দল করছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) এবং তার টিম আগে যেভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেইভাবে তারা বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, বিরোধী দল ও সরকারসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন। বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা পূরণ এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে যেন সম্মান করা হয় তা নিশ্চিতে তাদের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই এবং আমাদের নীতি এটিই থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে এটিই আমাদের মূল বিষয় হিসেবে রয়েছে।’
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে করা অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমরা গতকাল বা গত কয়েক দিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। সেই প্রতিবেদনে যা আছে তা ছাড়া আমার আর কোনো মন্তব্য নেই।
তার আগে ৪ ডিসেম্বর নির্বাচন নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনুমান করতে যাচ্ছি না। আমি তাই বলব, যা আগেও বেশ কয়েকবার বলেছি। আমরা বাংলাদেশি জনগণের স্বার্থে দেশের সরকার, বিরোধীদল, সুশীল সমাজ এবং সব অংশগ্রহণকারীকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাতে থাকব। যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
****কুষ্টিয়ার হাউজিং সি-ব্লক আবদার পেছনে ফেলে যাওয়া চাদরে মোড়ানো এক নারীর লাশ উদ্ধার..!!
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Telephone
Website
Address
Khustia
Opening Hours
Monday | 09:00 - 22:00 |
Tuesday | 09:00 - 22:00 |
Wednesday | 09:00 - 22:00 |
Thursday | 09:00 - 22:00 |
Friday | 09:00 - 11:30 |
Saturday | 09:00 - 22:00 |
Sunday | 09:00 - 22:00 |