BD Baqala
A trusted place for organic foods and spices.
কালোজিরার ঔষধি গুণের কারণে এটি প্রায় সবার কাছে পরিচিত বললেই চলে। কিন্তু আমরা জানি কি নির্দিষ্টভাবে কালোজিরা আসলে কি ধরণের গুরুত্ব বহন করে?
কালোজিরা বা কালোজিরার তেল ব্যবহারের ইতিহাস বেশ পুরোনো। মূলত এর ঔষধি গুনাগুনের (medicinal properties) কারণেই আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে থেকে কালোজিরার ব্যবহার হয়ে আসছে। সাধারণত দাঁতের ব্যথা, মাথা ব্যথা, অ্যাজমা ও বাতের ব্যথা উপশমে পূর্বে এর ব্যবহার হয়ে থাকতো। কিন্তু বেশ কয়েক বছরের গবেষণালব্ধ ফলাফল হতে দেখা যায় যে, বর্তমানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ওজন হ্রাসকরণেও কালোজিরা ব্যবহার হচ্ছে।
বর্তমানে আমাদের দেশে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা বেশ প্রকট। বেশির ভাগক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার জন্য খারাপ কোলেসেটেরল (bad cholesterol) বা LDL (low density lipoprotein) -কে দায়ী করা হয়ে থাকে। রক্তে LDL এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হলে, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে সহজ হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। এক্ষেত্রে কালিজিরা বেশ উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে।
এক গবেষণায়, ডায়াবেটিক ও high cholesterol আছে এমন কিছু ব্যক্তিকে ২ মাস ধরে ৫০০ মি. গ্রা. থেকে ২ গ্রামের মত কালোজিরা গুড়ো করে ক্যাপসুলে ভরে খাওয়ানো হয়। এক্ষত্রে পরীক্ষার পর তাদের মাঝে বেশ কিছু পরিবর্তন দৃশ্যমান হয় :
(১) HDL বা ভালো কোলেস্টেলের পরিমান প্রায় ৫% এর মত বেড়েছে
(২) টোটাল কোলেস্টেরল লেভেলের পরিমাণ প্রায় ৫% কমেছে
(৩) LDL বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ প্রায় ৭% কমেছে
(৪) ট্রাইগ্লিসারাইড (TG) এর পরিমাণ প্রায় ৮ থেকে ১৬% এর মধ্যে কমেছে
আরো কিছু রিসার্চ হতে দেখা যায় যে, কালোজিরার পরিমাণ হ্রাস বা বৃদ্ধি করলে রেজাল্টের পরিমাণও অনুরূপ হ্রাস বা বৃদ্ধি হবে, এবং ডোজ বন্ধ করে দিলে কোলেস্টেরল লেভেল ও অন্যান্য পরিবর্তন ধীরে ধীরে পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসে।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কালোজিরা আসলে কিভাবে এ কাজটি করে থাকে ? এ ব্যাপারে সহজ কিছু লাইন তুলে ধরার চেষ্টা করছি ইন শা আল্লাহ :
➡️ হতে পারে যে, কালোজিরা কোলেস্টেরল এর অধিশোষন কে ব্যহত করে, যা আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রে (small intestine) হয়ে থাকে
➡️ লিভারে LDL receptor বাড়ানোর মাধ্যমে, যা রক্তে LDL এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে
➡️ কালোজিরা তে স্পেশালি Thymoquinone থাকে, যেটার Lipid Lowering Effect রয়েছে
➡️ কালোজিরা তে high antioxidant রয়েছে। ফলে এটি LDL কে জারিত হতে বাধা দেয়
আপনারা যদি আস্ত কালোজিরা খেতে পছন্দ না করেন তাহলে কালোজিরা গুঁড়ো বা এর তেল খেতে পারেন। এক্ষেত্রে ডোজ টা হবে- ১০০- ২০০ মিলিগ্রাম বা হাফ চা চামচ কালোজিরা গুড়ো, অথবা হাফ চা চামচ বা ২.৫ মি. লি. কালোজিরা তেল দিনে দুবার করে। তবে ফাইবার সমৃদ্ধ আস্ত কালোজিরা বেশি উপকারী।
✅ প্র্যাকটিক্যাল টিপস :
প্রতিদিন কালোজিরা ভর্তা করে তাতে সামান্য পরিমাণে কালোজিরার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। যেকোন সবজিতে আস্ত কালোজিরা দেয়া যেতে পারে। এটা একদিকে যেমন সহজসাধ্য, তেমনি এর মাধ্যমে পরিবারের সবাই উপকৃত হবে ইন শা আল্লাহ। আবার চাইলে মধুর সাথে মিশিয়ে একবারে খেয়ে নেয়া যায়। অবশ্য অনেক গবেষক অধিক উপকারিতা পেতে সকালে বা রাতে খালি পেটে কালোজিরা খেতে বলেন।
⚠️ সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ :
কেউ blood clot এর জন্য মেডিকেশন নিয়ে থাকলে / গর্ভাবস্থায় থাকলে/ কিডনির সমস্যা থাকলে কালোজিরার ডোজ ডাক্তার কর্তৃক নির্ধারিত করে নিতে হবে।
⭐ কালোজিরা শুধু কোলেস্টেরল লেভেলকে কমাতেই সাহায্য করে না। এর আরো উপকারিতা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য গুনাবলীসমূহ হচ্ছে :
(১) এটি bacterial inflammation রোধ করতে সাহায্য করে
(২) এটি লিভারকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক
(৩) কালোজিরা রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে (ডায়াবেটিস) সহায়তা করে
(৪) stomach ulcer প্রতিরোধে সহায়তা করে
তাছাড়া, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদিস থেকেও আমরা কালোজিরার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারি। আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত :
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা এই কালো বীজ (কালোজিরা) নিজেদের জন্য ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে নাও। কেননা, মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় এর মধ্যে রয়েছে।”
(জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২০৪১)
আমরা যতটা না ওষুধের মাধ্যমে রোগ প্রতিকারে গুরুত্বারোপ করি তার কিঞ্চিৎ পরিমাণও যদি আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা) প্রদত্ত এই প্রাকৃতিক নিয়ামত ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দেই, তাহলে আমাদের সমাজে বিরাজমান ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এর মতো বিভিন্ন লাইফস্টাইল ডিজিজ (disease) প্রতিরোধ আরো সহজ হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।
তথ্য : Verywell Health, WebMD
ছবি : Pinterest
*ta_nutrition
*ta_Wellness
দৈনন্দিন জীবনে আমরা রান্না করার সময় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করি - কষানো, সেদ্ধ করা, তেলে ভাজা, গ্রিল করা আরো কত কি! আবার আমাদের প্রত্যেকেরই এক একটি খাবার প্রস্তুত করার নিজস্ব কিছু পদ্ধতি রয়েছে, তাই না?
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না রান্না করার সময় কিছু প্রসেস বা পদ্ধতি অনুসরণ না করলে যে রান্নার পুষ্টিগুণাগুণের ক্ষতি হতে পারে৷ এমনকি আপনি খুব পুষ্টিতে ভরপুর খাবারেরও সমস্ত পুষ্টি হারিয়ে ফেলতে পারেন শুধুমাত্র ভুলভাবে প্রসেসিং এর জন্য। ফলে রয়ে যায় পুষ্টি বাকি...
আজ আমরা আপনাদের সাথে ১০টি টিপস শেয়ার করবো যা রান্না করার সময় রান্নার পুষ্টিমান বজায় রাখতে সহায়তা করবে। যাতে আপনি আপনার প্রিয়জনদের কাছে অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করছেন তা নিশ্চিত করতে পারেন।
১। শাকসবজির খোসা ছাড়ানোর সময় যতটা সম্ভব পাতলা করে ছাড়ানো উচিত। শাকসবজি এবং ফলের পুষ্টিউপাদান আবরণের ঠিক নীচে থাকে, তাই সেদ্ধ করার আগে খোসা ছাড়ালে ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য বি ভিটামিনের মতো পুষ্টিগুণাগুণ হ্রাস পায়।
গাজর, মূলা, লাউ এবং আদার খোসা ছাড়ানোর পরিবর্তে স্ক্র্যাপ বা খোসা আবরণটি ঘষে নেয়া যায়। তবে অতি প্রয়োজন হলে খোসা ছাড়িয়েই নিন৷
২। সবজি খুব ছোট ছোট টুকরো করে না কাটাই উত্তম৷ কারণ এতে ভেতর থেকে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলো বের হয়ে যায়। তাছাড়া সবজির আয়তন পানি ও অক্সিজেন এর সংস্পর্শে এসে স্ফীত হতে পারে৷
তবে শাকের ক্ষেত্রে এই ফর্মুলা উল্টা, শাক ছোট কুচি করলেই উত্তম। এতে করে বড় আঁশ গুলো ভেঙে যায়, পাতার ভেতরের ক্লোরোফিল নামক জটিল যৌগ গুলোও অনেক খানি ভেঙে যায়, ফলে হজম ও মিনারেল শোষণ সহজে হয়।
৩। আজকাল ফল বা শাকসবজি থেকে ফরমালিন এর মাত্রা কমাতে আমরা প্রায়ই এগুলোকে পানিতে ভিজিয়ে রাখি৷ বেশিক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে এসবের বর্ণ ও পুষ্টি উপাদান গুলো হ্রাস পায়৷ শাকসবজিকে বেশিক্ষন পানিতে ভিজাবেন না - প্রায় ৪০% দ্রবণীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলো পানিতে হারিয়ে যায়।
৪। সালাদ পরিবেশন করার ঠিক আগমুহূর্তে প্রস্তুত করা উচিত। সরাসরি বাতাস এবং সুর্য রশ্মির অত্যধিক সংস্পর্শ এড়াতে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে পরিবেশন করা উচিত।
৫। চাল বা শাকসব্জি সেদ্ধ হওয়ার পরে অতিরিক্ত পানি, ছানা বা পনির প্রস্তুত করার পর রয়ে যাওয়া পানি - এগুলো প্রোটিন কিংবা ভিটামিনে ভরপুর। রুটি তৈরির জন্য আটা সেদ্ধ করতে এই পানিটি ব্যবহার করুন, কিংবা স্যুপ এবং ঝোল প্রস্তুত করুন৷ এতে করে আপনার ফল বা শাকসবজি থেকে হারিয়ে যাওয়া পুষ্টিউপাদান আপনার খাবারের মধ্যেই থাকবে৷ অথবা লেবুর রস, লবণ দিয়ে হালকা মরিচ গুঁড়ো দিয়ে পানীয় হিসাবে খাওয়া যেতে পারে৷
৬। দুধ কখনো খোলা বা সরাসরি আলো-বাতাসের সংস্পর্শে আসে এমন পাত্রে রাখবেন না, কারণ তাতে দুধের রিবোফ্লাভিন ও ফ্যাট নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া এতে করে দুধে খুব দ্রুত ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ ও বিস্তার করতে পারবে।
৭। পাত্র ঢেকে রেখে কম পানিতে শাকসবজি রান্না করা ভাল৷ রান্না করা শাকসবজি আবার গরম করলে খাবারের ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়।
৮। মূল জাতীয় বা মাটির নিচে উৎপন্ন হওয়া শাকসবজিগুলো খোসা সহ সেদ্ধ করতে হবে এবং সেদ্ধ করার পরে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এটি পুষ্টিউপাদান সবজিগুলির কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করতে সহায়তা করে এবং এর মান ধরে রাখতে সহায়তা করে।
৯। বেকিং সোডা রান্না পানিকে ক্ষারযুক্ত করে তোলে এবং এটি শাকসবজির রঙ ধরে রাখার পাশাপাশি রান্নার প্রক্রিয়াটি গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে এটি থায়ামিন এবং ভিটামিন সি ধ্বংস করে দেয়৷ তাই সর্বদা ব্যবহার না করাই উত্তম৷
১০। দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করা রান্না করা যথাসম্ভব এড়ানো উচিত। যদি খাদ্য উপাদানগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর উপরে উত্তপ্ত করা হয় তাহলে প্রোটিনগুলো শক্ত এবং জমাটবদ্ধ হয়ে যায়৷ এই প্রোটিন সহজে শরীরে শোষিত হয় না। তাছাড়া অনেক ভিটামিন একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। আর খাবার যদি পোড়া শুরু করে, তাহলে তো সেখানে ক্ষতিকর কারসিনোজেন তৈরি হয়, যা ক্যানসারের জন্য দায়ী।
আপনি এই ১০টি টিপস ব্যবহার করে খুব সহজেই রান্নার সময় খাবারের পুষ্টিমান বজায় রাখতে পারবেন৷ তাই আর নয় ভুল পদ্ধতিতে রান্না করে খাদ্যের পুষ্টিমান নষ্ট করা নয়৷ কারণ, স্বাস্থ্যকর খাবার = স্বাস্থ্যকর আপনি।
*ta_nutrition
মানুষের শরীরে ক্যালসিয়াম এর অনেক প্রয়োজন। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ক্ষয়ের সমস্যা দেখা যায়। আমাদের শরীরে যে হাড় তৈরি হয় তার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হয় ২০-৩০ বছর পর্যন্ত। বয়স বাড়ছে মানেই হাড় ক্ষয় হওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বয়স ৪০ এর পর থেকে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে তা একটু আগেই হয়।
অস্টিওক্লাস্ট নামে একটি কোষ হাড়ের ক্ষয় করে। নারীদের ইস্ট্রোজেন হরমোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অস্টিওক্লাস্ট বেড়ে যায়। এতে হাড় দ্রুত ক্ষয় হওয়া শুরু করে। পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় সেনাইল অস্টিওপেরোসিস।
এছাড়াও পায়ে খিচুনি ধরা, ভংগুর নখ, স্নায়ুবিক সমস্যা, স্মৃতি শক্তি হ্রাস, হ্রদস্পন্দন বৃদ্ধি ইত্যাদি লক্ষন গুলো দেখা যায়।
তাই ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে রাখার জন্য কিছু পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
National Institute of Health প্রস্তাব করে পুরুষ ও মহিলাদের প্রতিদিন ৮০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার। গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এর দরকার হয়।
অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেতে পারলে শরীরের ঘাটতি মিটিয়ে হাড় মজবুত করা সম্ভব। আসুন ক্যালসিয়াম সমদ্ধ খাদ্যের উৎস সম্পর্কে জেনে নেই।
১- দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য যেমন দই, ছানা, পনীর ইত্যাদি ক্যালসিয়াম এর উৎকৃষ্ট উৎস।
২- যেকোনো ধরনের বাদাম যেমন - কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে খুব ভালো পরিমানে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। একমুঠো (১০০ গ্রাম) কাঠ বাদামে ২৫৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই শরীরে ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরণ করতে প্রতিদিন এক মুঠো কাঠ বাদাম খেতে পারেন।
৩- টক জাতীয় ফল যেমন - কমলা লেবু, বাতাবিলেবু, পাতিলেবু থাকে ভিটামিন সি আর সাইট্রিক এসিড যা ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
৪- এছাড়াও কাটাসমেত ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ, শুটকি মাছ, তিল, সয়াবিন, ঢেড়শ, ডিম, ব্রোকলি ক্যালসিয়াম এর উল্লেখ্য যোগ্য উৎস।
৫- সবুজ শাক, কলমি শাক, কচু শাক, লাল শাক, লাউ শাক প্রভৃতিতে ভালো পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।
*ta_Nutrition
#এই সময়ের অসুখঃ ডেঙ্গু জ্বর
তীব্র জ্বরের সাথে নীচের যে কোন ২-৩টি লক্ষণ থাকলেই ডেঙ্গু সন্দেহ করবেন এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১. তীব্র মাথা ব্যাথা
২. চোখের পেছনে ব্যথা
৩. হাড় বা মাংসে ব্যাথা বা শরীরে মারাত্মক ব্যথা
৪. বমি বমি ভাব বা বমি করা
৫. চামড়ায় ফুসকূড়ি (Rash), চুলকানি, শরীরে লাল লাল দাগ
৬. অরুচি বা ক্ষুধামন্দা, কখনো ডায়রিয়া
৭. গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া
এসময়ে এসব ২-৩ টি লক্ষণ থাকলে ডেঙ্গু হবার সম্ভাবনাই বেশি।
#সতর্ক সংকেত বা ওয়ার্নিং সাইনঃ (Warning signs)
১. তীব্র পেট ব্যাথা।
২. ক্রমাগত বমি (দিনে তিনবার বা তার চেয়ে বেশি)
৩. দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত, চোখে রক্ত জমাট
৪. রক্তবমি, কালো পায়খানা
৫. শ্বাসকষ্ট বা পেটে ভারী বোধ করা
৬. ল্যাবরেটরী টেষ্টে একই সঙ্গে PCV (Hematocrit) বেড়ে যাওয়া ও Platelet দ্রুত কমতে থাকা।
এই লক্ষণগুলি থাকলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
#মারাত্মক ডেঙ্গুর সতর্ক সংকেত (Dengue Shock):
ডেঙ্গু জ্বরের প্রথম লক্ষন দেখা দেবার ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে কেউ কেউ মারাত্মক ডেঙ্গুর সংকটাপন্ন অবস্থায় চলে যেতে পারেন।
জ্বর কমে যাওয়া মানে এই নয় যে রোগ শেষ। বরং এটা হতে পারে শেষের শুরু। জ্বর ভাল হয়ে যাবার ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা পরই বরং ব্লাড প্রেসার কমতে কমতে রোগী শকে চলে যেতে পারে বা লিভার, কিডনী, ফুসফুস, ব্রেন ডেমেজ এর লক্ষন শুরু হতে পারে। এটা রক্ত ক্ষরনেরও সময়কাল। এ সময়ে তাই নিয়মিত বিরতিতে ব্লাডপ্রেসার চেক করতেই হবে।
(ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত জ্বর চলে যাবার পর ভয়টা বেশি। তখন প্লাজমা লিকেজ হয়ে রোগি শকে চলে যেতে পারে। তখন রক্তের ঘনত্ব বাড়তে থাকে। কখনো কখনো পেটে, বুকে পানি জমে। রক্তের হিমাটোক্রিট দেখে এই বিষয়টি বোঝা যায়। সেই সাথে প্লাটিলেট কমতে শুরু করে। কেউ যদি দ্বিতীয়, তৃতীয়বারের মত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে শক ও রক্তপাতের ঝুঁকি বেশি।)
#শকের লক্ষণঃ
১. অত্যধিক দূর্বলতা, অবসাদ বা অস্থিরতা।
২. ব্লাড প্রেসার ডেঙ্গু পূর্ববর্তী অবস্থা থেকে কমে যাওয়া।
৩. প্রস্রাব কমে যাওয়া
৪. শ্বাসকষ্ট, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস
এ মারাত্মক সংকেতগুলি নজরে রাখতে হবে এবং এর এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা মাত্রই দ্রুত আপনার চিকিৎসকের কাছে/ হাসপাতালের বহির্বিভাগে/ জরুরী বিভাগে যেতে হবে।
#রক্ত পরীক্ষা/ল্যাব টেষ্টঃ
> জ্বর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন ও ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করুন।
> এই সময়ে তীব্র জ্বর হলেই দিনভেদে ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করুন। জ্বর শুরু হবার পরের ৪ দিন ডেঙ্গু NS1 Antigen এবং ৫-৭ দিনের মাথায় IgM ও IgG Antibody করতে হয়।
> রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও উপসর্গগুলো খেয়াল করুন। কিন্তু এবারে এইসব রিপোর্টও মিথ্যে আসছে। অর্থাৎ কখনো কখনো এসব পরীক্ষায়ও ডেঙ্গু ধরা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে CBC রিপোর্টে টোটাল কাউন্ট কম থাকলে ডেঙ্গু সন্দেহ করে প্রয়োজনে আবার পরীক্ষা করাতে হতে পারে।
> হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের নিয়মিত CBC টেস্ট করতে হবে। HCT ও Platelet মনিটর করতে হবে।
#ডেঙ্গু প্রতিকারে করণীয় ও চিকিৎসাঃ
> জ্বরে শুধু প্যারাসিটামল ব্যবহার করুন। জ্বরের তীব্রতা ও বয়সভেদে প্যারাসিটামলের 'ডোজ ও রুট' জেনে নিন।
> কখনো কখনো চিকিৎসকেরা মুখে ওরস্যালাইন খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
> জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গুজনিত মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন ও হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করুন ও ফলোআপে থাকুন।
> কোনো কারণে মুখে খেতে না পারলে পর্যাপ্ত পানির জন্য শিরায় স্যালাইন দিতে হয়। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। চিকিৎসকের কাছ থেকে সতর্ক সংকেতগুলো জেনে নিন।
> কোনো জটিলতা থাকলে অবশ্যই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে।
πππππππππππππππππππππππππππππππππππ
#বাসায় থাকাকালীন উপদেশঃ
> জ্বর এলে তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। অস্থিরতা অনুভূত হলে পানি, খাবার স্যালাইন, শরবত, ডাব, ফলের জুস ইত্যাদি বেশী বেশী খেতে হবে।
> প্রস্রাব কম গেলো কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
> সম্ভব হলে প্রতিদিন রক্তচাপ মাপতে হবে।
#নিষেধঃ
> যেহেতু অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি পরীক্ষার উপযুক্ত সময়ের পার্থক্য আছে, তাই পরীক্ষা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শমত করতে হবে। ডেঙ্গু রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও লক্ষ্মণের সাথে CBC রিপোর্ট মিলিয়ে একজন চিকিৎসকই রোগ নির্ণয় করবেন।
> জ্বর বা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।
> কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে উল্টাপাল্টা ওষুধ (এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড) খাবেন না। ভুলেও কোন ব্যথার ওষুধ (আইবোপ্রফেন, এসপিরিন) খাবেন না।
> ডেঙ্গুতে আলাদাভাবে কোনো ওষুধ নেই। বাসায় থাকলে শুধু প্যারাসিটামল ও তরল খাদ্য গ্রহণ করুন।
> একেক রোগীর একেক রকম মাত্রার স্যালাইন লাগে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বাড়িতে শিরায় স্যালাইন দেয়া যাবে না।
#কতিপয় ভুল ধারণাঃ
> রিপোর্ট নেগেটিভ মানেই ডেঙ্গু নয়– কথাটি সঠিক নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকই লক্ষণভেদে ডেঙ্গুরোগ নিশ্চিত করবেন।
> জ্বর নেই মানে আপনি আশংকামুক্ত– কথাটি ভুল।
> সাধারণত প্লেটলেট কমলে প্লেটলেট দেয়ার দরকার নেই। রক্তপাত হলেও না। অতি মাত্রায় প্লেটলেট কমে গেলে (৫ থেকে ১০,০০০) ও মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাত থাকলে প্লেটলেট দেয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সম্ভব হলে সিঙ্গেল ডোনার প্লেটলেট।
> প্লাটিলেট যে কারণে কমে সেটা ডেঙ্গুর কারণে। অযথা প্লাটিলেট ট্রান্সফিউশন দেবার জন্য হয়রান হবেন না। যে প্লাটিলেট দেবেন সেগুলোও কিন্তু একইভাবে ভেঙে যাবে। অযথা প্লাটিলেট পরিসঞ্চালনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
> অসুখে প্লাটিলেট কমলেও পরে আবার সেটা নিজে থেকে বাড়তে থাকে। একবার বাড়তে শুরু করলে আর ভয়ের কিছু নেই।
> তরল কমাতে বা বাড়াতে হবে হিমাটোক্রিট দেখে। প্লেটলেট দেখে নয়। কাজেই প্লেটলেট নিয়ে অতি মাতামাতির কিছু নেই। ২৫-৩০,০০০ প্লেটলেট কাউন্টের রক্তক্ষরণ সহ অনেক রোগী আছে যাদের শেষ পর্যন্ত প্লেটলেট লাগে না।
> শকের রোগীর সাধারণত ২৪ ঘন্টার বেশি শিরায় স্যালাইন লাগে না। অন্যান্যদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টা।
> জন্ডিস হলে বা না হলেও হেপাটাইটিস, বুকে ব্যথা হলে মাইয়োকার্ডাইটিস, খিচুনি হলে এনকেফলাইটিসের কথা মাথায় রাখতে হবে।
> এবারের নতুন এডিস মশা খোলস পাল্টে ফেলেছে। আগেকার কথাগুলো মিথ্যে করে এখন নোংরা পানিতেও বংশবিস্তার করছে এবং দিনে-রাতে ২৪ ঘণ্টাই কামড়াচ্ছে।
> পানি এবং তরল খাবারের বিষয়ে কোনো সন্দেহ রাখবেন না।
#ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়ঃ
> বর্ষায় (এপ্রিল-অক্টোবর) ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। এসময় অধিক সতর্ক থাকুন।
> ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে বংশ বিস্তার করে।
> অফিস, ঘর ও আশেপাশে পানি জমতে দিবেন না। যে কোন পাত্রে জমিয়ে রাখা/ জমে থাকা পানি ৩ দিনের মধ্যে পরিবর্তন করুন।
> এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায়। যথাসম্ভব লম্বা হাতার জামা, ফুল প্যান্ট ও জুতা-মোজা পরুন।
> প্রয়োজনে মশা নিরোধক ক্রীম ব্যবহার করুন।
> দিনে ঘুমানোর ক্ষেত্রেও মশারী ব্যবহার করুন। এবার বাচ্চাদের ডেঙ্গু বেশি হচ্ছে। দিনেরাতে বাচ্চা যখনই ঘুমাক, মশারির নিচে রাখবেন।
> বাসায় ও হাসপাতালে রোগীদের মশারি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
> বাসা বাড়ির জানালায় নেট ব্যবহার করা।
ডেঙ্গু কিন্তু শুধু রাজধানী ও অন্যান্য শহরের আশেপাশে সীমাবদ্ধ নেই। সারাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সময়ে মফস্বল ও গ্রামে-গঞ্জে কারো জ্বর এলে এবং পরীক্ষা করার সুযোগ না থাকলে– ডেঙ্গু হিসেবেই চিকিৎসা দিতে হবে।
ইতিমধ্যে ডেঙ্গু মহামারির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে বা গেছে। এরমাঝেই মৃত্যু কয়েক'শ ছাড়িয়েছে। হাসপাতালগুলোতে বিছানা ফাঁকা নেই। নিজেদের সুরক্ষা নিজেরাই নিশ্চিত করুন। সুস্থ থাকুন পরিবার পরিজন নিয়ে। সবার আগে সুস্থতা।
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
#জনসচেতনতায়ঃ
ডা:এএসএম.মাহমুদুজ্জামান।
সহকারী অধ্যাপক (শিশু বিভাগ)
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ,
শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।
#চেম্বারঃ
সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিমিটেড,
মোহাম্মদপুর, ঢাকা -১২০৭
মোবাইল: ০১৫৩১-৯৭১০৪৮
(মঙ্গল, শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন বন্ধ)
(তথ্যসূত্রঃ জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা)
A person can live with only dates and water.
🕳মুহাররাম কেনো "আল্লাহর মাস"? করনীয় কী?
আজ শুরু হচ্ছে ইসলামী ক্যালেন্ডারের নতুন বছর। মুহাররম চান্দ্রবছরের প্রথম মাস। সম্মানিত চার মাসের তৃতীয় মাস। হাদীস শরীফে এ মাসের অনেক ফযীলতের কথা উল্লেখিত হয়েছে। এ মাসে বেশি বেশি নফল রোযা ও তাওবা ইসতিগফারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-
أَفْضَلُ الصِّيَامِ، بَعْدَ رَمَضَانَ، شَهْرُ اللهِ الْمُحَرّمُ، وَأَفْضَلُ الصَلَاةِ، بَعْدَ الْفَرِيضَةِ، صَلَاةُ اللَّيْلِ.
অর্থাৎ, রমযানের পর সবচে উত্তম রোযা হল আল্লাহর মাসে মহরমের রোযা, আর ফরয নামাযের পর সবচে উত্তম নামায হল রাতের নামায।
(-সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৩, কিতাবুস সওম, ফাযলু সওমি মুহাররম)
🕳রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাররম মাসকে বলছেন ‘শাহরুল্লাহ’ বা আল্লাহর মাস। জানা কথা, সকল মাসই আল্লাহর মাস। এর পরও কোনো এক মাসকে আল্লাহর মাস বলার রহস্য কী? রহস্য হল, এই মাসের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। সেজন্যই তাকে আল্লাহর মাস বলা হয়েছে। যেমন দুনিয়ার সব ঘরই আল্লাহর ঘর। কিন্তু সব ঘরকে বাইতুল্লাহ বলা হয় না।
🕳মুহাররমের গুরুত্বপূর্ণ একটি ফযীলত হল, এর সঙ্গে তাওবা কবুলের ইতিহাস যুক্ত। এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে জিজ্ঞেস করল,
يَا رَسُولَ اللهِ، أَيّ شَهْرٍ تَأْمُرُنِي أَنْ أَصُومَ بَعْدَ رَمَضَانَ؟
আল্লাহর রাসূল! রমযানের পর আপনি আমাকে কোন মাসে রোযা রাখার নির্দেশ দেন? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
إِنْ كُنْتَ صَائِمًا بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ فَصُم المُحَرّمَ، فَإِنّهُ شَهْرُ اللهِ، فِيهِ يَوْمٌ تَابَ فِيهِ عَلَى قَوْمٍ، وَيَتُوبُ فِيهِ عَلَى قَوْمٍ آخَرِينَ.
তুমি যদি রমযানের পর আরও কোনো মাসে রোযা রাখতে চাও তাহলে মুহাররমে রোযা রাখ। কেননা সেটি আল্লাহর মাস। সেই মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন আল্লাহ তাআলা অনেকের তাওবা কবুল করেছেন। ভবিষ্যতেও সেদিন আরও মানুষের তাওবা কবুল করবেন।
-জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৫১ (ইমাম তিরমিযী বলেন- هذا حديث حسن غريب হাসান হাদীস। ); মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৩২২, খ. ১ পৃ. ১৫৪
এই হাদীসে যেই দিনের দিকে ইশারা করা হয়েছে খুব সম্ভব সেটি আশুরার দিন। বিশেষ করে এই মাসের প্রতিটি দিনেই তাওবা ইস্তিগফারের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া। আর আশুরার দিন অনেক বেশি আল্লাহর কাছে ইসতিগফার করা।
‘ইমাম শাফিঈ (রহ.) বলেন
‘আপনার নেক কাজের সহযোগী হয়, এমন বন্ধু কখনো হারাতে দেবেন না। পৃথিবীতে সত্যিকার বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। যদি কখনো মিলে যায়, মনে রাখবেন তাকে জোটানো যত কঠিন ছিল, হারানো ততই সহজ। ছোটোখাটো বিষয়ে তাকে ছাড় দিন। হঠাত সামান্য কোনো কারণে সে ছেড়ে না যায়, খেয়াল রাখুন।’
[হিলইয়াতুল আউলিয়া, ৪/১০১]
ধীরে ধীরে দেশের মানুষেরা আবার সরিষার তেল খেতে শুরু করেছে, কিছু দিন আগেই শুধু ভর্তা ছাড়া অন্য রান্নায় সরিষার তেল খুব কম ব্যাবহার করা হতো।
কিন্তু এখন অনেক সচেতন মানুষ সয়াবিন ছেড়ে সকল রান্নায় সরিষার তেল ব্যাবহার করে, তবে অনেকে মনে করে সরিষার তেলের দাম বেশি, কিন্তু অনেকে হয়তোবা জানেনা খাঁটি সরিষার তেল যে কোন রান্নায় সয়াবিন তেলের অর্ধেক লাগে।
আর আমি দিচ্ছি ঘানিতে ভাঙ্গানো খাঁটি সরিষার তেলের নিশ্চয়তা, ঢাকা শহরে ও সারাদেশে কুরিয়ার মাধ্যমে তেল পাঠানো হয়।
ক্যাশ অন ডেলিভারিতে সরিষার তেল নিতে পারবেন।
হালালভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য রিজিক উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। আমাদের নবীজি (সা.)-ও ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। যাঁরা সত্ভাবে ব্যবসা করেন, ইসলামের দৃষ্টিতে তাঁদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সত্যবাদী ও শহীদদের সঙ্গে থাকবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১২০৯)
ব্যবসা যখন আমানতদারি, বিশ্বস্ততা ও সততার সঙ্গে করা হবে, তখন এটি নেক আমলে পরিণত হবে। কিন্তু কেউ যদি ব্যবসা-বাণিজ্যে অসততার আশ্রয় নেয়, তাহলে কিয়ামতের দিন তাকে সবচেয়ে বড় পাপিষ্ঠরূপে উঠতে হবে। তাই ব্যবসায় সততা ও তাকওয়া অবলম্বন করা আবশ্যক। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন ব্যবসায়ীদের ফাসিক বা গুনাহগাররূপে উঠানো হবে; কিন্তু যেসব ব্যবসায়ী আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে, নির্ভুলভাবে কাজ করে এবং সততা ধারণ করে তারা এর ব্যতিক্রম।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১২১০)
নবীজি (সা.)-এর নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবসা-বাণিজ্য করলে তা আল্লাহর রহমত লাভের মাধ্যম হতে পারে। যারা গুরুত্বসহকারে মহান আল্লাহর ইবাদত করার পাশাপাশি হালালভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে, গ্রাহকের প্রতি উদারচিত্ত হবে, মহান আল্লাহ তাদের উত্কৃষ্ট প্রতিদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেই সব গৃহ, যাকে মর্যাদায় সমুন্নত করতে এবং যাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। সেই সব লোক, যাদের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে এবং নামাজ কায়েম ও জাকাত প্রদান হতে বিরত রাখে না, তারা ভয় করে সেই দিনকে, যেদিন তাদের অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে, আল্লাহ তাআলা তাদের কর্মের উত্কৃষ্টতম প্রতিদান দেবেন।
অর্থাৎ শুধু কর্মের প্রতিদানই শেষ নয়; বরং আল্লাহ নিজ কৃপায় তাদের বাড়তি নেয়ামতও দান করবেন।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩৬-৩৮)
তাই ব্যবসা-বাণিজ্যে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করতে চাইলে কোরআন-হাদিসের নিদের্শনা মেনে ব্যবসা করতে হবে। ব্যবসায় বরকত লাভের আরেকটি করণীয় হলো, উদারচিত্ত হওয়া। ব্যবসা-বাণিজ্যে উদারচিত্ত হলে বেশি সফলতা পাওয়া যায়। এতে গ্রাহকরাও পরবর্তী সময়ে লেনদেন করতে আগ্রহী হয়।
মহান আল্লাহর রহমতও পাওয়া যায়। রাসুুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি বিক্রয়কালে উদারচিত্ত, ক্রয়কালেও উদারচিত্ত এবং পাওনা আদায়ের তাগাদায়ও উদারচিত্ত, আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি দয়া করুন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২২০৩)
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
লেখাঃ মাইমুনা আক্তার (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
“অভাব দূর করার ক্ষেত্রে
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِٱللَّٰهِ
[লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ]
(অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোন ক্ষমতা ও শক্তি নাই)
বলার অসাধারণ প্রভাব রয়েছে।”
(আল-ওয়াবিলুস সায়্যিব, ১০৬)
যেভাবে সাহাবীরা আয়রোজগার করতেন
👉 আবু বকর রা. বস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন।
👉 উমর রা. চামড়ার ব্যবসায়ী ছিলেন। খাইবারে উমর রা.-এর একখণ্ড জমি ছিল, নাম ছিল সামগ (Thamgh)। সেই জমি থেকে তার উপার্জন আসত।
👉 উসমান রা. খাদ্যশস্যের ব্যবসায়ী ছিলেন।
👉 আলি রা.-ও ব্যবসা করতেন, পাশাপাশি কায়িক শ্রমও দিতেন। তাদের সংসারে যখন খুব অভাব ছিল, তখন তিনি এক ইহুদির কাছ থেকে অল্প কয়েকটি খেজুরের বিনিময়ে কূপ থেকে পানি তুলতেন। যখন মুহাজির সাহাবিদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল, তখন তারা এই কাজগুলোও করতেন।
👉 সাওয়াদ এলাকায় (দক্ষিণ ইরাক) ইবনু মাসউদ রা., হাসান রা. ও আবু হুরাইরা রা.-এর শস্যক্ষেত ছিল। সেখানে তাঁরা মানুষ দিয়ে চাষাবাদ করাতেন এবং সেখান থেকে খাজনা আদায় করতেন।
👉 সাওয়াদ এলাকায় ও অন্যান্য জায়গায় ইবনে আব্বাস রা.-এর শস্যক্ষেত ছিল। সেসব স্থান থেকে তার আয়-উপার্জন আসত।
👉 সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস রা.-এর ছিল তির-বর্শার ব্যবসা।
আম্মাজান আয়িশা রা. বলেন, 'আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবিগণ শারীরিক শ্রম দিয়ে উপার্জন করতেন।' (সহীহ বুখারী, ২০৭১)
সাহাবিদের প্রত্যেকের জীবিকা ছিল। যারা সুফিবাদের নামে বলছে যে, কোনো দুনিয়াবি পেশা আমরা গ্রহণ করব না। অথচ দেখুন, সাহাবিদের চেয়ে বড় আল্লাহওয়ালা, বড় বুজুর্গ তো আর কেউ ছিলেন না। সাহাবিদের চেয়ে বড় বুজুর্গ হওয়া সম্ভবও না। সেই সাহাবিদের প্রত্যেকের জীবিকা ছিল। জীবিকাহীন জীবন কাটানোর দলিল হিসেবে আসহাবে সুফফার সাহাবিগণ বিশেষ করে আবু হুরাইরা রা. কে বারবার সামনে আনা হয়। সেই আবু হুরাইরা রা.-ও জীবিকা নিজে উপার্জন করতেন। আসহাবে সুফফার প্রত্যেকে গভর্নর ও সরকারি আমলা হয়েছিলেন পরবর্তী জীবনে, সরকারি ভাতা পেতেন। সুতরাং জীবিকা উপার্জনকে দ্বীনদারির বিরুদ্ধে দাঁড় করানো ইসলামসম্মত কথা নয়।
উমর রা. একবার মসজিদে কিছু লোক দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এরা কারা? বলা হলো, এরা তাওয়াক্কুলকারী। এরা আল্লাহর ওপর ভরসা করে থাকে, জিকির-আজকার করে, ইবাদত-বন্দেগি করে। তখন উমর রা. বললেন, এরা কিছুতেই তাওয়াক্কুলকারী নয়। বরং এরা তো বসে বসে খাওয়ার লোক। ... প্রকৃত তাওয়াক্কুলকারী তো সে, যে জমিতে বীজ বপন করার পর, রবের ওপর ভরসা করে। [ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন, ২/৬২]
তার মানে, দুনিয়াবি কোনো আয়-উপার্জনের ধান্দা করব না—এটা না রাসুলের শিক্ষা, না সাহাবায়ে কেরামের শিক্ষা। এমনকি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবির মাঝে ছয়জন তাদের যুগের শীর্ষ ধনী ছিলেন।
ডা. শামসুল আরেফীন রচিত 'মুমিনের ক্যারিয়ার ভাবনা' বই থেকে।
★ ফেইসবুকের জনপ্রিয় কিছু লেখকঃ
১. আরিফ আজাদ ( লিংক - https://www.facebook.com/arifazad.official
২. Shihab Ahmed Tuhin ( লিংক - https://www.facebook.com/shihabuddin.ahmed
৩. মুফতি তারেকুজ্জামান তারেক ( লিংক - https://www.facebook.com/tarekuzzaman.tarek.9
৪. আবদুল্লাহ আল ফারুক ( লিংক - https://www.facebook.com/profile.php?id=100008123536108
৫. Ainul Haque Qasimi ( লিংক - https://www.facebook.com/ainul.qasimi
৬. Asif Adnan (লিংক - https://www.facebook.com/AsifAdnan88
৭. Manzurul Karim (লিংক - https://www.facebook.com/shovon.raz.9
৮. ইমরান রাইহান ( লিংক - https://www.facebook.com/profile.php?id=100033644174633
৯. Enamul Hossain ( লিংক - https://www.facebook.com/enamul.hossain.7564129
১০. সাইমুম সাদী ( লিংক - https://www.facebook.com/symum.sadi
১১. Rizwanul kabir Sanin ( লিংক - https://www.facebook.com/rksanin
১২. Mainuddin Ahmad ( লিংক - https://www.facebook.com/m.a.al.athari
১৩. আবদুল্লাহ আল মাসউদ ( লিংক - https://www.facebook.com/abdullah.masud.7146
১৪. Musa Al Hafiz ( লিংক - https://www.facebook.com/poetmusaalhafiz
১৫. মহিউদ্দিন রুপম ( লিংক - https://www.facebook.com/kolamist.hujur
১৬. সাজিদ ইসলাম ( লিংক - https://www.facebook.com/profile.php?id=100035444197641
১৭. Shamsul Arefin Shakti ( লিংক - https://www.facebook.com/shamsul.shakti
১৮. Ali Hasan Osama ( লিংক - https://www.facebook.com/kazimonirulislamBD
১৯. Abdullah Al Mahmud ( লিংক - https://www.facebook.com/almahmud1234
২০. Shah Muhammad Tonmoy (লিংক - https://www.facebook.com/shah.tonmoy
২১. আরিফুল ইসলাম ( লিংক - https://www.facebook.com/profile.php?id=100006929225979
২২. Ali Azam ( লিংক - https://www.facebook.com/profile.php?id=100003440798589
২৩. S M Nahid Hasan ( লিংক - https://www.facebook.com/profile.php?id=100005435299487
২৪. জাকারিয়া মাসুদ ( লিংক - https://www.facebook.com/JakariaMasudOfficial
২৫. Munirul Islam Ibn Jakir ( লিংক - https://www.facebook.com/IbnJakir
২৬. Arju Ahmad ( লিংক - https://www.facebook.com/arju96
২৭. Mahmud Siddiqui ( লিংক - https://www.facebook.com/mahmud1.siddiqui
২৮. Rafan Ahmed ( লিংক - https://www.facebook.com/rafanahmedofficial
২৯. Mizan Harun ( লিংক - https://www.facebook.com/mizan.harun
৩০. Arshad Ansary ( লিংক - https://www.facebook.com/imarshadansary
৩১. Mushfiqur Rahman Minar ( লিংক - https://www.facebook.com/mdmushfiqur.rahmanminar
৩২. শাবীব তাশফী ( লিংক - https://www.facebook.com/ShabibTashfy1
৩৩. Nuruzzaman Nahid ( লিংক - https://www.facebook.com/nuruzzaman.nahid.35175
৩৪. Ehsanullah Farazi ( লিংক - https://www.facebook.com/ahsanullahfarazi1
৩৫. Saifur Rahman ( লিংক - https://www.facebook.com/saifurrahmanofficial
৩৬. জিয়াউর রহমান ( লিংক - https://www.facebook.com/Zia.Eshona
৩৭. Masud Alimi ( লিংক - https://www.facebook.com/masud.alimi.9
৩৮. M***i Monowar Hossen ( লিংক - https://www.facebook.com/monoarhossensumon
৩৯. Abdullah Al Mamun ( লিংক - https://www.facebook.com/abdullah.almamun.35175633
৪০. Su Tirtha ( লিংক - https://www.facebook.com/mukherjeesutirtha
৪১. আহমাদ ইউসুফ শরীফ ( লিংক - https://www.facebook.com/aysb.82
৪২. Siam Bhuiyan ( লিংক - https://www.facebook.com/Siam.Bhuiyan83
৪৩. Syed Ishaq Hossain ( লিংক -
https://www.facebook.com/dada.ishaq
৪৪. Mahbubul Hasan Arife ( লিংক - https://www.facebook.com/mahbubulhasan.arife
৪৫. Muhammad Ibrahim Shuvo ( লিংক - https://www.facebook.com/muhammadibrahimshuvo
৪৬. Majida Rifa ( লিংক - https://www.facebook.com/profile.php?id=100006986027407
৪৭. Zainab Al Gazi ( লিংক -
https://www.facebook.com/IamXyZainab
৪৮. Sharin Shafi Adrita ( লিংক - https://www.facebook.com/sharin.odrita
৪৯. Nishat Tasmim ( লিংক - https://www.facebook.com/ntammim
৫০. Anika Tuba ( লিংক - https://www.facebook.com/anika.tuba.58
[ পোস্ট টি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন ]
আমাদের দেশে সাধারণত দুই প্রজাতের ডুমুর দেখা যায়। জংলি ডুমুর এবং যজ্ঞ ডুমুর। দুইটার পুষ্টি উপাদান ও ঔষধি গুণ কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও স্বাদ, গন্ধ ও ধরনে কিছুটা পার্থক্য আছে।
জংলি ডুমুরের পাতা কিছুটা ধারালো। এটা গ্রামাঞ্চলে ছাগল ও হাঁসের মাংস থেকে লোম আলাদা করার কাজে ব্যবহার হয়। আর যজ্ঞ ডুমুরের পাতা কিছুটা জলপাই পাতার মতো, মসৃণ।
যজ্ঞ ডুমুর কিছুটা বটের ফলের মতো। ফলের ওপরের ত্বক মসৃণ, আর জংলি ডুমুরের ফলের উপরিভাগ কিছুটা অমসৃণ।
পাকলে যজ্ঞ ডুমুর লালবর্ণ ধারণ করে, খেতেও স্বাদযুক্ত। আর জংলি ডুমুর পাকলে কিছুটা হলুদবর্ণের হয় আর খেতেও কোনো স্বাদ নেই। তবে কাঁচা সবজি হিসেবে খুবই সুস্বাদু।
জংলি ডুমুর গাছ খুব একটা বড় হতে দেখা যায় না। কিন্তু যজ্ঞ ডুমুর গাছ বহু বর্ষজীবী গাছের মতো বড় হয়।
যজ্ঞ ডুমুর গাছের ছালে বট গাছের মতো কষ থাকে। যেটার অনেক ঔষধি গুণ আছে। কিন্তু জংলি ডুমুর গাছের ছালে কোনো কষ থাকে না। যজ্ঞ ডুমুর গাছের ডালপালা, কান্ড শক্ত প্রজাতের, কিন্তু জংলি ডুমুরের ডালপালা নরম প্রজাতের।
যজ্ঞ ডুমুর জাতটি বিলুপ্তপ্রায়। কিন্তু জংলি ডুমুর এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে দেখা যায়।
ইদুল ফিতরে করণীয়
১। ইদের চাঁদ দেখেই তাকবির বলতে শুরু করে দেয়া।
তাকবির : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
২। ইদের নামাজের পূর্বে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা।
৩। গোসল করা।
৪। উত্তম পোশাক পরিধান করা।
৫। সুগন্ধি লাগানো।
৬। মিসওয়াক করা।
৭। ইদুল ফিতরের পূর্বে বেজোড় সংখ্যক খেজুর খাওয়া।
৮। ইদের নামাজের জন্য ইদগাহে যাওয়া।
৯। পায়ে হেঁটে ইদগাহে যাওয়া।
১০। বন্ধুবান্ধবের সাথে মিলে ইদগাহে যাওয়া।
১১। ঘর থেকে ইদগাহ পর্যন্ত যেতে তাকবির বলতে থাকা।
১২। ইদের নামাজে যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া, ফেরার সময় ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফেরা।
১৩। ইদের শুভেচ্ছা জানানো। تقبل الله منا ومنكم (অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের আমল কবুল করুন।) বলা।
গালিচার শহর।।
ইরান।
রোজা কে সামনে রেখে অনেকেই আমাকে বলেছেন আমি পিওর বুটের ডালের বেসনের ব্যবস্থা করতে পারব কিনা। তাদের কথা রাখতে আজকে বুটের ডাল কিনে অতঃপর সেগুলি সুন্দর ভাবে রোদে শুকিয়ে ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আসা হলো। বেসনের গন্ধ টা কিন্তু বেশ সুন্দর, আলহামদুলিল্লাহ। আসলে খাঁটি জিনিসের গন্ধই অন্যরকম 💛🤎।
বুটের ডালের বেসন প্রতি কেজি ১৫০ টাকা।
অর্ডার করতে ইনবক্স করুন ।
ধনিয়া/ ধনে গুঁড়া 🌿
"তরকারি, সালাদ, স্যুপ ইত্যাদি সব কিছুতেই ব্যবহার করা হয় ধনে বীজ। এটি মসলা হিসেবে ব্যবহার করলেও এর ঔষধি গুনাগুন অনেক।
১। ত্বকের রোগে।
২। ব্রণ এর সমস্যা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
৩। চুলের বৃদ্ধিতে।
৪। হজমে।
এছাড়াও ধনে বীজ ঠান্ডা ও ফ্লু দূর করতে সাহায্য করে, অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে, কনজাংটিভাইটিস নিরাময়ে সাহায্য করে ও অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।
অর্ডার করতে ইনবক্স করুন।
চুলের জন্য চমৎকার ঘ্রাণের বিশুদ্ধ খাঁটি নারকেল তেল নিতে চাইলে ইন বক্স করুন আমাদের।
এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল,
২৫০গ্রাম =৩০০৳
ঘরে বসে বিডি বাকালা থেকে নিশ্চিন্তে বাজার করুন।
প্রোডাক্ট এর মূল্য তালিকাঃ
তেল:
নারিকেল তেল ১০০ মিলি: ১২০টাকা
সরিষা(৫লিটার): ১৪০০ টাকা
সরিষা(১লিটার): ২৮৫ টাকা
সরিষা(৫০০মিলি): ১৫০ টাকা
সরিষা (২৫০মিলি): ৭৫ টাকা
কালোজিরা তেল (১০০মিলি): ২০০ টাকা
মশলা:
হলুদ গুঁড়া(১০০গ্রাম): ৪৫ টাকা
মরিচ গুঁড়া(১০০গ্রাম): ৮০ টাকা
জিরা গুঁড়া(১০০ গ্রাম): ৮০ টাকা
ধনিয়া গুঁড়া(১০০গ্রাম): ৩০ টাকা
দারুচিনি গুঁড়া(১০০গ্রাম): ৯০ টাকা
সবুজ এলাচ আস্ত(৫০গ্রাম): ২০০ টাকা
এলাচ গুঁড়া ৫০গ্রামঃ ২০০ টাকা
জিরা আস্ত(১০০গ্রাম): ৫০ টাকা
কালোজিরা(১০০ গ্রাম): ৬০ টাকা
মেথী (১০০গ্রাম): ৩০ টাকা
মৌরি ১০০গ্রাম: ৪৫ টাকা
গোলমরিচ গুঁড়া(১০০গ্রাম): ১০০ টাকা
গোল কিশমিশ (১০০গ্রাম): ৫০ টাকা
কিশমিশ(১০০): ৪০টাকা
মধু:
প্রাকৃতিক চাকের মধু(৫০০ গ্রাম): ৬০০ টাকা
সরের ঘিঃ
ঘি (২৫০ গ্রাম): ৩৭০ টাকা
ঘি (৫০০ গ্রাম): ৭০০ টাকা
ঘি (১কেজি): ১৩৫০ টাকা
বুটের ডালের বেসন ১কেজি:১৫০৳
অন্যান্য:
ইসবগুলের ভুষি (১০০ গ্রাম): ১১০ টাকা
তোকমা (১০০ গ্রাম): ২০ টাকা
তালমিছরী (১০০ গ্রাম): ৬০ টাকা
চালের গুঁড়া ১কেজি: ১০০টাকা
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the business
Website
Address
7600