Advocate Monirul Islam Bhuiyan
Advocate
LL.B(Hon's)LL.M
I am a legal consultant of all legal activities
01711307934
সম্পত্তির দলিল লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়ে ক্রেতার লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন:
১। দলিল সম্পাদনকারী তথা জমি দাতা (বিক্রেতা) আইনের দৃষ্টিতে সাবালক ও সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন কি না, আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত কি না তা যাচাই করে নিতে হবে৷
২। দলিলের ধরন যেমন- (ক) সাফ কবলা (খ) বায়না পত্র (গ) দানপত্র (ঘ) হেবার ঘোষনাকরে টাইমলাইনে রেখে দিন।
নতুন দলিল লিখনিতে ক্রেতা বা গ্রহিতার যে বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরী...
সম্পত্তির দলিল লেখার জন্য ‘দলিল লেখক' এর কাছে দায়িত্ব দিয়েই ক্রেতার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। কেননা পরবর্তীতে দলিলে ভুল পরিলক্ষিত হলে দলিল লেখক নয় এর মাশুল গুনতে হবে ক্রেতাকেই। তাই এতে ক্রেতারপত্র ইত্যাদি খেয়াল করতে হবে৷
৩। ক্রেতা যে জমিটি কিনতে যাচ্ছেন সেই প্রস্তাবিত জমির পরিমাণ, বিক্রয় মূল্য (বায়না দলিল হলে বায়নায় পরিশোধিত টাকা এবং বাকী টাকা) ইত্যাদি দেখে নিতে হবে।
৪। পক্ষ পরিচয় তথ্য যেমন- দলিল গ্রহীতা/প্রথম পক্ষ, দলিল দাতা/দ্বিতীয় পক্ষ, উভয় পক্ষের পূর্ণ নাম, ঠিকানা, পেশা, ধর্ম ইত্যাদি। দলিল গ্রহীতার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং দাতার ক্ষেত্রে আগত খতিয়ান (সর্বশেষ জরিপ/নামজারি খতিয়ান) এর সাথে মিল রেখে নাম ঠিকানা লেখা হয়েছে কি না দেখতে হবে।
৫। স্বত্ত্বের বর্ণনা যেমন- জমি দাতার মালিকানার ভিত্তি, দলিল মূলে হলে পূর্বের দলিলের নম্বর ও তারিখ, পর্চা/খতিয়ান নম্বর ইত্যাদি৷
৬। জমির বিক্রেতা যদি জমিটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকে তাহলে মূল মালিকের সাথে বিক্রেতা যোগসূত্র/সম্পর্ক সঠিক আছে কিনা তা জেনে নিতে হবে৷
৭। দলিলে প্রস্তাবিত জমির তফশিল যেমন- জেলার নাম, উপজেলার নাম, রেজিস্ট্রি অফিসের নাম, মৌজার নাম, জেএল নম্বর, দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর এবং জমির শ্রেণি আগত খতিয়ানের সাথে মিল আছে কি না দেখে নিতে হবে। জমির তফশিল লেখার সময় প্রত্যেক দাগে মোট জমির পরিমাণ কত এবং অত্র বিক্রয় দলিলে উক্ত দাগের মধ্যে কত একর বা শতাংশ জমি বিক্রয় করা হচ্ছে তা প্রতি ক্ষেত্রে লিখে নিতে হবে৷ তবে উল্লেখ্য যে, কোন অবস্থাতেই কয়েকটি দাগের জমি একত্রে যোগ করে একর/শতাংশ লেখা উচিত হবে না৷
৮। ক্রেতা যে জমিটি ক্রয় করতে চাচ্ছে সেই জমিটির চৌহদ্দি ঠিক আছে কি না অর্থাত্ উত্তর, দক্ষিণ পূর্ব, পশ্চিম পাশের জমির বর্ণনা সহ মালিকের নাম উল্লেখ করতে হবে৷
৯। জমি বিক্রেতা বা দলিল দাতা দলিলের ১ম পৃষ্ঠার উপরের ডান পাশ্বের নীচ থেকে উপরের দিকে তার নিজ নাম স্বাক্ষর করবেন অথবা নিরক্ষর হলে নিজ নামের উপরে টিপ সহি প্রদান করেছেন কি না তা দেখতে হবে৷ এছাড়াও জমি বিক্রেতা বা দাতা দলিলের শেষ পৃষ্ঠার নীচে স্বাক্ষর বা টিপ সহি করবেন৷ তবে দলিলের প্রতি পৃষ্ঠায় দাতার স্বাক্ষর বা টিপ সহি দিলে ভালো হয়৷
১০। জমির বিক্রেতা দলিলের শেষ পৃষ্ঠার নীচে যে জায়গায় তার নিজ নাম স্বাক্ষর বা টিপ সহি করেছেন ঠিক তার নীচে উক্ত দলিলটির লেখক তার নাম স্বাক্ষর করবেন। এরপর কমপক্ষে ২ জন সাক্ষী এবং অপর একজন জমির বিক্রেতাকে সনাক্ত করে সনাক্তকারী হিসাবে স্বাক্ষর করবেন।
১১। দলিলে যতদূর সম্ভব কাটাকাটি, ঘষামাঝা, অষ্পষ্টতা এড়াতে হবে তবুও যদি কোনরূপ ভুল ক্রটি ঘষামাঝা কাটাকাটি হয়েও যায় তাহলে সেক্ষেত্রে উক্ত কাটাকাটি বা ঘষামাঝা যুক্ত লাইন ও শব্দের ক্রম উল্লেখ করে দলিলের শেষাংশে কৈফিয়ত লিখে দলিল লেখককে তার নীচে স্বাক্ষর করতে হবে৷
🤧🤣🥱
আফ্রিকার কোন এক দেশের পুলিশের এসআই পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছেন এসপি সাহেব।
শেষ প্রার্থীকে কয়েকটি প্রশ্ন করার পর এসপি জিজ্ঞেস করলেন, ‘বলুন তো গীতাঞ্জলি কে লিখেছে?’
লোকটি উত্তর দেয়ার আগেই এসপির ফোন বেজে উঠল। তিনি ফোন ধরে ’স্যার স্যার’ বলে সম্বোধন করলেন। তারপর বললেন, ‘স্যার আমি এখনই অ্যাকশন নিচ্ছি।’
ফোন রেখে তাড়াহুড়ো করে বাইরে বেরিয়ে এসে সামনে পেলেন এক ওসিকে। তাকে বললেন, ‘আমার রুমে একজনকে রেখে এসেছি, ওকে জিজ্ঞেস করবে গীতাঞ্জলি কে লিখেছে এবং উত্তরটা আমাকে জানাবে।’
ওসি বলল, ‘স্যার কোনো চিন্তা করবেন না, আমি এক্ষুনি জেনে নিচ্ছি।’
দুইঘন্টা পর এসপি ফিরে এসে তার রুমের ভেতর থেকে কান্নাকাটি, চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পেলেন। অবাক হয়ে রুমে ঢুকে দেখেন চাকরিপ্রার্থী হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে শুয়ে কাতরাচ্ছে, নাক-মুখ থেকে ঝরছে রক্ত।
এসপি বিস্মিত হয়ে ওসিকে বললেন, ‘আমি তোমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে বলেছি, আর তুমি এর কী হাল করেছো!’
ম এইমাত্র ব্যাটা স্বীকার করছে যে, কোনো রবীন্দ্রনাথ না, ও নিজে গীতাঞ্জলি লিখেছে এবং ওর ছোটো ভাইও এর সাথে জড়িত ছিলো।
মুসলিম ফারায়েজ নীতিঃ
১। স্ত্রীর দুই অবস্থাঃ
(ক) মৃত ব্যাক্তির সন্তান না থাকলে ১/৪,
( খ) আর থাকলে ১/৮ অংশ পাইবে।
২। স্বামীর দুই অবস্থাঃ
(ক) স্ত্রীর মৃত্যুর পর সন্তান না থাকলে ১/২,
( খ) আর থাকলে ১/৪ অংশ পাইবে।
৩। কন্যার তিন অবস্থাঃ
(ক) একজন মাত্র কন্যা থাকলে ১/২ ,
( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,
(গ) পুত্র কন্যা একসাথে থাকলে ২:১ অনুপাতে পাইবে।
৪। পিতার তিন অবস্থাঃ
(ক) মৃত্যু ব্যাক্তির পুত্র বা পৌত্র বা পুরুষ শ্রেনী বর্তমানে থাকলে ১/৬ অংশ পাইবে,
(খ) পুরুষ শ্রেনি না থাকলে এবং কন্যা বা পৌত্রী বা মহিলা শ্রেনী বর্তমানে থাকলে( ১/৬+অবশিষ্ট) অংশ পাইবে,
(গ)পুরুষ বা মহিলা শ্রেনী বর্তমানে না থাকলে অবশিষ্ট সকল অংশ পাইবে।
৫। মায়ের তিন অবস্থাঃ
(ক) মৃত্যু ব্যক্তির সন্তান বা একাধিক ভাইবোন থাকলে ১/৬ অংশ পাইবে,
(খ) মৃত্যু ব্যক্তির যদি কোন সন্তান না থাকে বা ভাইবোন ২ জনের কম থাকলে ১/৩ অংশ পাইবে,
(গ) স্বামী বা স্ত্রীর সাথে পিতা মাতা উভয়ে থাকলে , মৃত্যু ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে স্বামী বা স্ত্রীর অংশ দেয়ার পর বাকি সম্পত্তির ১/৩ অংশ পাইবে।
৬। বৈপিত্রীয় ভাইবোনদের তিন অবস্থাঃ
(ক) একজন মাত্র বৈপিত্রীয় ভাইবোন থাকলে ১/৬ অংশ,
(খ) একাধিক থাকলে ১/৩ অংশ পাইবে
(গ) মৃত্যু ব্যাক্তির পুত্র বা পৌত্র,পিতা বা দাদা থাকলে বঞ্ছিত হইবে।
৭। পৌত্রীগনের ছয় অবস্থাঃ
(ক) একজন মাত্র পৌত্রী থাকলে ১/২,
( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,
(গ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র কন্যা থাকে তাহলে পৌত্রীগন ১/৬ অংশ পাইবে,
(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক কন্যা থাকে তাহলে পৌত্রীগন বঞ্ছিত হইবে,
(ঙ) মৃত্যু ব্যক্তির পৌত্রী ও পৌত্র একই সাথে থাকলে অংশীদার হইবে,
(চ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির পুত্র থাকে তাহলে পৌত্রীগন বঞ্ছিত হইবে।
৮। সহোদরা বোনদের পাঁচ অবস্থাঃ
(ক) একজন মাত্র সহোদরা বোন থাকলে ১/২,
( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,
(গ) সহোদরা বোনের সাথে সহোদরা ভাই থাকলে আসাবা হইবে,
(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র কন্যা বা পৌত্রী থাকে তাহলে সহোদরা বোনগন ১/৬ অংশ পাইবে। একাধিক কন্যা বা পৌত্রী থাকলে এবং অন্য কোন ওয়ারিশ না থাকলে অংশীদার হইবে,
(ঙ) মৃত্যু ব্যাক্তির পুরুষ শ্রেনীর ওয়ারিশ থাকলে সহোদরা বোনগন বঞ্ছিত হইবে।
৯। বৈমাত্রিয় বোনদের সাত অবস্থাঃ
(ক) যদি মৃত্যু ব্যাক্তির সহোদরা বোন না থাকে ও একজন মাত্র বৈমাত্রিয় বোন থাকলে ১/২,
(খ)একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,
(গ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র সহোদরা বোন থাকে তাহলে বৈমাত্রিয় বোন ১/৬ অংশ পাইবে,
(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক সহোদরা বোন থাকে তাহলে বৈমাত্রিয় বোনগণ বঞ্ছিত হইবে,
(ঙ)যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক সহোদরা বোন থাকে এবং বৈমাত্রিয় বোনের সাথে বৈমাত্রিয় ভাই থাকলে একএে অংশীদার হইবে।
(চ) মৃত্যু ব্যাক্তির কন্যা বা পৌত্রী থাকলে এবং অন্য কোন ওয়ারিশ না থাকলে বৈমাত্রিয় বোনগণ অবশিষ্ট অংশ পাইবে,
(ছ) মৃত্যু ব্যক্তির পুরুষ ওয়ারিশ থাকলে বৈমাত্রিয় বোনগন বঞ্ছিত হইবে।
১০। দাদী নানীর ২ অবস্থাঃ
(ক) পিতৃ বা মাতৃ সম্পর্কের এক বা একাধিক যাহাই হোক ১/৬ অংশ পাইবে,
(খ) মৃত্যু ব্যক্তির মাতা জীবিত থাকলে বঞ্ছিত হইবে। তবে পিতা জীবিত থাকলে দাদী বঞ্ছিত
ঢাকার বাইরে একটি যৌতুক মামলায় সারেন্ডার দিতে গেলাম। অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবারে একটি বাচ্চা থাকাকালীন সময়ে সে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছে। এই সময়ে ডির্ভোস অবশ্যই অত্যন্ত খারাপ ও অমানবিক কাজ। স্বামীর অপরাধ সে বিগত ১৩/৫/২৩ ইং তারিখে স্ত্রীর বাসায় গিয়ে যৌতুক দাবী করে, তাই যৌতুক মামলা। অথচ স্বামী তার পূর্বেই স্ত্রীকে ডির্ভোস দিয়েছে।
এখানে বিবেচ্য বিষয়, স্বামী যৌতুক চেয়েছে কি না? যৌতুক চাইলে অবশ্যই তা একটি ফৌজদারি অপরাধ। কিন্তু ডিভোর্স দেয়া বাংলাদেশের আইনে কোন ফৌজদারি অপরাধ নয়।
বিজ্ঞ মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট বাচ্চা কোলে বাদী/স্ত্রীকে দেখে অত্যন্ত আবেগঘন হয়ে পড়েন এবং আমাদের কথা শুনতেই নারাজ। উনি আমাদের প্রশ্ন করেন, কোন মানুষ কী পারে এই বাচ্চাসহ স্ত্রীকে ডির্ভোস দিতে? আমি উত্তরে বলি, অবশ্যই এটা অত্যন্ত খারাপ ও অমানবিক কাজ, কিন্তু কোন culpable act নয়, যা আইনের চোখে অপরাধ সংঘটিত করে। আমি ম্যাজিস্ট্রেট কে বললাম, আইনের চোখ তো অন্ধ, আইন আইনের গতিতে চলবে। ঘটনার দিন আসামী তার নিজে জেলায় ছিল ও স্ত্রীর বাড়িতে যায়নি এবং সেটা স্ত্রী নিজেই স্বীকার করে নিয়েছে, এই মর্মে আমি ম্যাজিস্ট্রেটকে অনেকগুলো ডিজিটাল ডকুমেন্ট দেখাই, যা সাক্ষ্য আইনের ৬৫বি ধারা মতে admissible/ গ্রহনযোগ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কিছুই দেখলেন না ও শুনলেন না। উনি আইনুযায়ী বিচার না করে, সালিশের মতো বিচার করে আমার আসামীকে অনৈতিক ও অমানবিক কাজের জন্য জেলে প্রেরণ করেন।
আইনবিজ্ঞান বলে, আবেগ দিয়ে আইনে বিচার চলে না।
আইনের শাশ্বত বাণী, ১০ জন অপরাধীকে মুক্তি পেলেও, একজন নিরাপরাধ ব্যক্তিও যেন দোষী না হয়।
নিজের চোখের সামনে আইনের চোখে একজন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে জেলে যেতে দেখা আইনজীবী হিসেবে আমার জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক।
স্ত্রী সংসারে না ফিরতে চাইলে স্বামীর আইনানুগ করণীয়!!
স্ত্রী সংগত কারণ ছাড়া যদি স্বামীর সঙ্গে বসবাস বন্ধ করে দেয় সে ক্ষেত্রে স্বামী দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।
এ অবস্থায় অনেকে আবার তালাকও দিয়ে দেন। কিন্তু সেই তালাক কার্যকর হওয়ার আগে পারিবারিক আদালতের অধ্যাদেশ ১৯৮৫-এর বলে স্বামী বা স্ত্রীকে দাম্পত্য সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা মামলা করতে হয়।
দাম্পত্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতার ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে যে পক্ষ মামলাটি করে তাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি স্বচ্ছ মনোভাব নিয়েই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং প্রমাণ করতে হবে যে, তার জীবনসঙ্গী কোনো কারণ ছাড়াই ঘরে ফিরতে চান না। তবে স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে তালাকপ্রক্রিয়া সম্পন্নকালে তালাকের নোটিশ প্রত্যাহার করা না হলে এ মামলা চলে না। (মুলখান বিবি বনাম ওয়াজির খান, ৫৯, পি.লাহ. পৃষ্ঠা-৭১০)।
স্বামী যদি স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ সত্য প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে দাম্পত্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আদালত আদেশ বা ডিক্রি জারি করতে পারেন। (মোছা. মকবুলান বনাম রমজান, ১৯২৭, ২ লাক. পৃষ্ঠা-৪৮২)। তবে স্বামী যদি সমাজচু্যত কোনো কুখ্যাত সন্ত্রাসী বা মাস্তান হয়, সে ক্ষেত্রে স্ত্রীর বিরুদ্ধে দাম্পত্য অধিকার মামলা চলে না এবং স্ত্রী স্বামীর ঘরে ফিরতে বাধ্য নয়। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক দেনমোহর পরিশোধ করা না হলে স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য মিলনে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন স্ত্রী। এ ক্ষেত্রে স্বামী যদি দাম্পত্য অধিকার ফিরে পেতে মামলা করেন, তাহলে আনীত মামলাটি নাকচ করা হবে। (রাহিলান বনাম সানাউলস্ন্যা, ১৯৫৯, পি.লাহ. পৃষ্ঠা-৪৭০)।
#প্রেক্ষাপট_১
উচ্চ বেতনে চাকুরি করা এক যুবক আরেক গরীব যুবককে প্রশ্ন করলো,
- তুমি কোথায় চাকুরি করো?
- একটা কোম্পানিতে ।
- স্যালারি কতো?
- ১০০০০ টাকা।
- মোটে দশ হাজার? চলো কিভাবে? তোমার মালিক তোমার প্রতি অবিচার করছে। তুমি যেই ছেলে তোমার যা যোগ্যতা,তাতে হেসেখেলেই তুমি অনেক টাকা বেতন পেতে পারো।
যুবকের মেজাজ খাট্টা হয়ে গেলো। নিজের কাজের প্রতি ও বসের প্রতি
বেজায় রুষ্ট হয়ে উঠলো। পরদিন গিয়ে সরাসরি বসকে বেতন বাড়ানোর কথা। জানালো। কথা কাটাকাটি হওয়ার একপর্যায়ে বস তাকে চাকরিচ্যুত করলো।
এখন যুবকটি বেকার।
#প্রেক্ষাপট_২
- তোমার প্রথম সন্তান হলো বুঝি?
- জ্বি।
- তোমার স্বামী এ উপলক্ষ্যে তোমাকে কিছু দেয় নি? উপহার, টাকা বা এ জাতীয় কিছু?
- না। কেন দিবে? এ তো আমাদেরই সন্তান! উপহার বা টাকা দিতে হবে কেন?
- কেন তোমাকে হাত খরচার জন্যেও তো দু’চার পয়সা দিতে পারে। তার কাছে কি তোমার কোনও মূল্য নেই? তুমি চাকরানি?
স্ত্রীর মনে ধরলো কথাটা।
সারাদিন কথাটা ভাবতে ভাবতে মনটা বিষিয়ে উঠলো। সত্যিই তো! আমাকে একটা টাকাও কখনো ছোঁয়ায় না! রাতে কর্মক্লান্ত স্বামী ঘরে ফিরলো।
স্ত্রীর মুখ দিয়ে বোমা বিস্ফোরিত হলো। রেগে গেলো দু’জনে, কথা কাটাকাটি ঝগড়া আর ঝগড়া। পরে হাতাহাতি, শেষ পর্যন্ত তালাকে গিয়ে গড়ালো।
#প্রেক্ষাপট_৩
- এই বৃদ্ধ বয়েসে কষ্ট করছেন? ছেলে ঢাকায় থাকে,বড় চাকুরি করে শুনেছি। মস্ত বড় ফ্ল্যাটে বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকে। আপনাদের দু’জনকে সাথে নিয়ে যেতে পারে না? আপনাদের দেখতেও তো আসে না!
- না না, ছেলে আমার খুবই ব্যস্ত। টাকা পাঠায় তো। ফোনে ও খোঁজ-খবর নেয় নিয়মিত।
- কী এমন ব্যস্ততা তার শুনি? নিজের জন্মদাতা-জন্মদাত্রীকে দেখতে আসার সময় হয় না?
- সারাদিন অফিস-বাসা করতে করতেই তো তার সবটা সময় চলে যায়!
- আপনি খোঁজ নিয়েছেন? সে ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছে।
আর আপনারা অজপাড়াগাঁয়ে ধুঁকছেন?
বৃদ্ধ বাবা বাসায় এসে স্ত্রীকে খুলে বললো।
স্ত্রীও বাধা দিল,
- আপনি ভুল শুনেছেন। সে আসলেই ব্যস্ত।
- নাহ,সেকি কি মিথ্যা বলতে পারে ?
আহা রে! কাকে বুকের রক্ত পানি করে বড় করলাম। এটা ভেবেই করে বসলেন ব্রেইন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক!
# এবার_আসি_মূলকথায়
-কিছু নিরীহ-অযাচিত প্রশ্ন আমাদের সুখী জীবনকে ক্ষণিকের মধ্যেই দুঃখী করে দিতে সক্ষম।
-আমাদের সমাজে ছদ্মবেশী দরদীরা নিরন্তর শান্ত জীবনে অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে দেয়।
-ছদ্মবেশী ডাইন/ডাইনীগুলো নিজের থেকে কিন্তু আপনাকে কিছুই দিবেনা। কিন্তু অন্যের থেকে অবৈধভাবে আদায় করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে আপনাকে জিতিয়ে দেয়ার নামে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে।
#গল্পের_হিতোপদেশঃ
---জীবনে ৩য় ব্যাক্তি কে প্রবেশ করার সুযোগ দেবেন না। আর যদিও কোন ভাবে ঢুকে যায় তাহলে যথা সম্ভব তার কথা কানে তুলবেন না। ৩য় ব্যাক্তি হতে সাবধান।
(সংগৃহীত)
একটি হত্যা মামলায়, অহিদুন্নেসার ২০ বছর জেল ভোগের পর এখন তিনি নির্দোষ!
চাঁদপুরে একটি হত্যা মামলায় ২০ বছরের মতো কারাভোগ করার পর,
আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হয় শতবর্ষী এক নারী - অহিদুন্নেসা
তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর ছাড়া পেয়েছেন কাশিমপুর জেল থেকে ।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে,
ছাড়া পাওয়ার সময় যারা তার মুক্তির জন্য ভূমিকা রেখেছেন,অহিদুন্নেসা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, কারাগারের ভেতরেই মারা যেতে হয় কিনা এরকম একটা বিষয় তার মাথায় সবসময় কাজ করতো।
যেহেতু তার অনেক বয়স হয়েছিলো, তার চলাফেরায় অসুবিধা হতো,
কিন্তু মুক্তি পাওয়ার আগেই দৃষ্টিশক্তি প্রায় পুরোটাই হারিয়ে ফেলেছেন অহিদুন্নেসা ।
জেলে থাকা অবস্থাতেই স্বামী ও এক সন্তানকে হারিয়েছেন। তবে মৃত্যুর আগে অন্তত মুক্তির স্বাদ পেলেন ।
সোনার বাংলাদেশে অহিদুন্নেসার মতো হাজারো নিরীহ মানুষ কে, মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিদিনই ফাঁসানো হয়, অথচ মিথ্যা মামলা কারীদের কখনো শাস্তি হয় না ।
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয় কয়কজনের ।
এসব বিষয় গুলো খতিয়ে না দেখার কারনেই আজ অহিদুন্নেসার পরিণতি।
অহিদুন্নেসার একটি অভিযোগ, না জেনে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা না করা, ষড়যন্ত্রের শিকার মানুষ গুলো জীবিত অবস্থায়ই মৃত।
কারন ষড়যন্ত্রকারীর পক্ষেই বেশি লোক থাকে।
এখন শুধু ১২ ডিজিটের টিআইএন (TIN) কপি জমা দিলেই হবে না। অবশ্যই আয় ব্যয়, বিনিয়োগ, ব্যবসা, স্হাবর ও অস্হাবর সম্পদের হিসাব সম্বলিত আয়কর রিটার্ন জমার প্রাপ্তিস্বীকার পত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
২০২২-২০২৩ অর্থ বছর হতে টিআইএন (TIN) জমার পাশাপাশি যেসব সুবিধা নিতে আপনাকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন জমার প্রাপ্তিস্বীকার পত্র (Acknowledgement Slip) জমা দিতে হবেঃ
১. সঞ্চয়পত্র ক্রয়: পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রর ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণ দেখাতে হবে। যেখানে তিনি সঞ্চয়পত্র কেনার আবেদন করবেন, সেখানেই রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দিতে হবে।
২. ব্যাংক ঋণ: কোন ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেয়ার আবেদন করলে আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র দিতে হবে।
৩. ব্যাংকে জমাঃ ব্যাংক জমার সুদ আয় থেকে উৎস কর কর্তনে টিআইএন সনদ থাকলে ১০ শতাংশ কাটা হয়ে থাকে। না থাকলে ১৫ শতাংশ কাটা হয়। এখন থেকে টিআইএনের পরিবর্ততে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। তাহলেই তিনি ওই সুবিধা পাবেন। না হলে বেশি উৎস কর দিতে হবে।
৪. জমি-ফ্ল্যাট ক্রয়ঃ সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদরের পৌর এলাকা অথবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ১০ লাখ টাকা বেশি মূল্যের জমি বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি, বিক্রি, দলিল হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে হলে এতদিন শুধুমাত্র টিআইএন সার্টিফিকেট জমা দিতে হতো। কিন্তু এখন থেকে ক্রেতাকে রেজিস্ট্রি অফিসে রিটার্ন জমার স্লিপ বা সনদ জমা দিতে হবে।
৫. ক্রেডিট কার্ড গ্রহণঃ যেকোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে এখন থেকে আয়কর রিটার্নের প্রাপ্তিস্বীকার পত্র জমা দিতে হবে। নাহলে মিলবে না ক্রেডিট কার্ড।
৬. গাড়ি ক্রয়, মালিকানা পরিবর্তনঃ দুই বা তিন চাকা ছাড়া যেকোনো মোটরগাড়ি নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়ন করতে রিটার্ন জমা স্লিপ দেখাতে হবে। আগে শুধুমাত্র টিআইএন দিতে হতো, কিন্তু এখন থেকে রিটার্ন দাখিলের কপি দিতে হবে।
৭. ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ানোঃ সিটি কর্পোরেশন বা জেলা সদর, পৌরসভায় সন্তান বা পোষ্যদের আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের আওতায় ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল বা জাতীয় পাঠ্যক্রমের আওতায় ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি করাতে হলে আয়কর রিটার্ন জমার স্লিপ বা সনদ জমা দিতে হবে।
৮. গ্যাসের সংযোগঃ দেশের যেকোনো স্থানে বাণিজ্যিক বা শিল্প কারখানায় গ্যাসের সংযোগ নিতে হলে এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাসা বাড়ির গ্যাসের সংযোগ নিতে বা আগের সংযোগ বজায় রাখতে হলে রিটার্ন জমার স্লিপ বা সনদ লাগবে।
৯. বিদ্যুৎ সংযোগঃ সিটি কর্পোরেশন বা সেনানিবাস এলাকায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হলে রিটার্নের প্রাপ্তিস্বীকার পত্র জমা দিতে হবে। গ্রাম বা সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে অবশ্য এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
১০. বাড়িভাড়াঃ জমি বা বাড়ি ভাড়া দিয়ে অনেকে আয় করে থাকেন। আয় যাই হোক না কেন, এই ধরনের আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
১১. সরকারি আয়ঃ সরকার বা সরকারি কোন সংস্থা, কর্পোরেশন থেকে বেতন হিসাবে মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা বা বেশি হলেই আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
১২. বেসরকারি বেতনঃ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন নেয়ার সময় বার্ষিক আয়কর রিটার্ন প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
১৩. এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আয়ঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি অংশ বা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আয় মাসে
১৬ হাজার টাকার বেশি হলেই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে।
১৪. নকশার অনুমোদনঃ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী শহরে ভবন নির্মাণের অনুমোদন চাইলে আবেদন পত্রের সঙ্গে রিটার্ন জমার প্রমাণ পত্র দিতে হবে।
১৫. জন প্রতিনিধিঃ জাতীয় সংসদ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলায় কোন নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে আবেদন পত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
১৬. ফান্ডের রিটার্নঃ পেনশন ফান্ড, অনুমোদিত গ্র্যাচুইটি ফান্ড, স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড, অনুমোদিত সুপার এন্যুয়েশন ফান্ড এবং শ্রমিক অংশ গ্রহণ তহবিল ছাড়া অন্যান্য ফান্ডের রিটার্ন দাখিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৭. ট্রেড লাইসেন্সঃ সিটি কর্পোরেশন বা পৌর এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে হলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে এর বাইরের অন্যান্য এলাকায় এই নিয়ম প্রস্তাব করা হয়নি।
১৮. ডিজিটাল পণ্য ও সেবাঃ ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে হলে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
১৯. মোবাইল ব্যাংকিংঃ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথবা ইলেকট্রনিক উপায়ে অর্থ হস্তান্তরে কমিশন, ফি জাতীয় অর্থ পেতে হলে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
২০. সমবায় সমিতিঃ সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের আওতায় কোন সমিতি বা ক্লাব গঠিত হলে বা এ ধরণের ক্লাবের সদস্য হলে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে।
এছাড়া আরও যেসব সেবা পেতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, সেগুলো হলোঃ
# ডাক্তার, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি ইত্যাদি পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য হলে বা সদস্য হতে চাইলে।
# পরামর্শক, ক্যাটারিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, জনবল বা নিরাপত্তা সেবা দিয়ে অর্থ গ্রহণ করতে।
# বিবাহ নিবন্ধক বা কাজী হিসাবে লাইসেন্স পেতে।
# আমদানি-রপ্তানির সনদ পেতে চাইলে।
# আমদানির এলসি খুলতে চাইলে।
# কোম্পানি পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার পদ পেতে।
# ব্যবসা বা বাণিজ্য সংগঠনের বা সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ।
# বীমা কোম্পানির এজেন্ট হিসাবে তালিকাভুক্তি বা নবায়ন করতে।
# বীমা বা সার্ভেয়ার হিসাবে নিবন্ধন নিতে।
# অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়ার আবেদন করলে।
# ওষুধ ব্যবসার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স থাকলে বা করাতে।
# অগ্নি-নিরাপত্তা লাইসেন্স।
# পরিবেশ ছাড়পত্র।
# বিএসটিআই লাইসেন্স পেতে চাইলে।
# লঞ্চ, স্টিমার, ট্রলার, কার্গো, বার্জ ইত্যাদি নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেটের জন্য।
# ইটভাটার অনুমোদন নিতে হলে।
# পরিবহন সেবার ব্যবসা করলে।
# কোন কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর বা এজেন্টশিপ চাইলে।
# পণ্য সরবরাহের ঠিকাদারি কাজে টেন্ডার জমা দিতে হলে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণ দিতে হবে। তাতে ব্যর্থ হলে ৫০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
# এনজিও বা মাইক্রো ক্রেডিট সংস্থার জন্য বিদেশি অনুদানের ছাড় দেয়ার ক্ষেত্রে।
এছাড়াও এতদিন অনিবাসীদের স্থায়ী স্থাপনা না থাকলে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা ছিল না। কিন্তু নতুন বাজেটে সেই বিধান বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
চমৎকার লেখনী
এক ব্যাক্তির স্ত্রীর পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে মৃত্যু হল,সবাই যখন দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দিল।
উনি তখন বললেন স্ত্রীর সবচেয়ে বড় উপহার ছেলে আছে ওকে নিয়েই কেটে যাবে।
ছেলে যখন বয়স্ক হল ছেলেকে সব ব্যাবসা বুঝিয়ে দিয়ে কখনও নিজের আর কখনও বন্ধুর অফিসে সময় কাটাতে লাগলেন।
ছেলের বিয়ের পর উনি আরও বেশি একাকী হয়ে পড়লেন।
তখন পুরো বাসাতে বৌমার অধিকারে দিয়ে দিলেন।
ছেলের বিয়ের এক বছর পরে উনি দুপুরে খাবার খাচ্ছিলেন ছেলেও অফিস থেকে এসে হাত মুখ ধুয়ে খাবার খাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল।
ছেলে শুনতে পেল বাবা খাবার পর দই চাইল আর বৌ জবাব দিল আজকে ঘরে দই নেই!
খাবার খেয়ে বাবা বাহিরে হাটতে চলে গেল।
কিছু পরে ছেলে তার বৌয়ের সাথে খাবার খেতে বসল।
খাবারে পাত্র ভরে দই ছিল ছেলে কোন প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে খাবার খেয়ে অফিস চলে গেল।
কিছু দিন পর ছেলে নিজের বাবাকে বললেন ---"আজ আপনাকে কোর্টে যেতে হবে আর আজ আপনার বিবাহ হচ্ছে "।
পিতা আশ্চর্য হয়ে ছেলের দিকে দেখল আর বললেন "বাবা! আমার আর বিয়ের দরকার নেই, আর আমি তোমাকে এত স্নেহ দিই যে তোমারও মায়ের দরকার নেই, তো আবার বিয়ে কেন??
ছেলে বলল "বাবা, না আমি নিজের জন্য মা আনছি, না নিজের স্ত্রীর জন্য শ্বাশুড়ি আনছি!
আমি তো কেবল আপনার জন্য দই এর ব্যাবস্থা করছি! কাল থেকে আমি ভাড়া বাড়িতে আপনার বৌমার সাথে থাকব আর আপনার অফিসের এক কর্মচারীর মত বেতন নেব যাতে আপনার বৌমা জানতে পারে দই এর দাম কত।
*মা-বাবা আমাদের জন্যে ATM কার্ড হতে পারেন*
*কিন্তু তারা আমাদের দয়ায় না বরং আমরা তাদের দয়ায় বেঁচে থাকি।
________
পুলিশ রিমান্ডের ফলাফল:
জাতিসংঘের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে বাংলাদেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তা যোগ দেন। তার সঙ্গে সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স আর বৃটেনের একজন করে পুলিশ কর্মকর্তাও যোগ দেন। তাদের প্রশিক্ষণের একটি অংশ ছিল আমাজান বনে। এ বনের মধ্যে কয়েকটি হরিণের বাচ্চা ছেড়ে দেয়া হয়। কর্মকর্তাদের বলা হয় যে, এ বাচ্চাগুলোকে খুঁজে বের করে আনতে হবে। সময় দেয়া হবে একদিন। তবে এর বেশী সময় লাগলেও হরিণের বাচ্চা ছাড়া খালি হাতে ফেরা যাবেনা। সুইজারল্যান্ডের পুলিশ কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হরিণের বাচ্চা উদ্ধার করে ফিরলেন। ফ্রান্সের পুলিশ হরিণের বাচ্চা নিয়ে হাজির হন তিন দিন পর। বৃটেনের কর্মকর্তা সাত দিন পর। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ১৫ দিন পর। কিন্তু বাংলাদেশের পুলিশের কর্মকর্তার কোন খোঁজ নেই। প্রশিক্ষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। একমাস পর ব্রজিলের বিভিন্ন শহর থেকে ঘুরে ফিরে একটি ছাগলের বাচ্চা নিয়ে হাজির হলেন বাংলাদেশী পুলিশ কর্মকর্তা। প্রশিক্ষকরা প্রশ্ন করলেন, ছাগলের বাচ্চা নিয়ে আসলেন কেন? জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কে বলেছে এটা ছাগলের বাচ্চা। একে রিমান্ডে দেন। দেখবেন পরদিন এটা নিজেই স্বীকার করবে যে সে একটা হরিণের বাচ্চা।
দেশের কিছু চেয়ার এভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে...
সদ্য স্নাতক পাশ করা ছেলেকে ভাল একটা উপহার
দেয়ার জন্য বাবা তাকে নিয়ে গ্যারেজে গেলেন।
বললেন, এখানের এই গাড়িটা অনেক বছর আগে আমি নিয়েছিলাম। এখন এর অনেক বয়স হয়ে গেছে। তোমার খুশীর এই মুহূর্তে এটা আমি তোমাকে উপহার হিসেবে দিতে চাই।
তবে তার আগে তুমি এটা বিক্রির জন্য ব্যবহার করা গাড়ির শোরুমে যাও এবং দেখ তারা এটার কত দাম বলে।”
ছেলে ব্যবহৃত গাড়ির শোরুম থেকে বাবার কাছে ফিরে এসে বলল, ′′ তারা এই গাড়ির মূল্য এক হাজার ডলার বলেছে, কারণ এটি দেখতে খুব জরাজীর্ণ।”
বাবা বললেন, “এবার এটা ভাঙ্গারি দোকানে নিয়ে যাও, দেখ ওরা কি বলে!”
ছেলে ভাঙ্গারি দোকান থেকে ফিরে এসে বলল, “এটা অনেক পুরনো গাড়ি বলে ওরা মাত্র ১০০ ডলার দাম দিতে চায়।′′
বাবা তখন একটা গাড়ির ক্লাবে গিয়ে গাড়িটা দেখাতে বললেন।
ছেলে গাড়িটি ক্লাবে নিয়ে গেল এবং ফিরে এসে খুশিতে তার বাবাকে বলল, "ক্লাবে কিছু লোক খুবই কৌতূহলি হয়ে গাড়িটি পর্যবেক্ষণ করলো এবং এর জন্য এক লক্ষ ডলার অফার করেছে। যেহেতু এটি একটি Nissan Skyline R34, একটি আইকনিক গাড়ি।"
তখন বাবা তাঁর ছেলেকে বললেন, "সঠিক জায়গার সঠিক লোক তোমাকে সঠিক ভাবেই মূল্যায়ন করবে। আর যদি কোথাও তোমাকে মূল্য না দেওয়া হয়, তবে রাগ করবেনা।
বুঝে নিবে এর মানে তুমি ভুল জায়গায় আছো। তারাই তোমার মূল্য দিবে, যাদের নিজেদের মূল্যবোধ আছে, গুণের মর্ম উপলব্ধি করার মত যোগ্যতা আছে।
এমন জায়গায় কখনো থেকো না যেখানে তোমার প্রকৃত মূল্যায়ন কেউ করে না।”
নিষেধাজ্ঞা বা ইনজংশনঃ
নিষেধাজ্ঞা আদালতের একটি আদেশ। কোন ব্যক্তি বা পক্ষকে নির্দিষ্ট কোন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য আদালত যে নির্দেশ দেন তাকে নিষেধাজ্ঞা বলে।
Lord Halsbury এর মতে,
নিষেধাজ্ঞা হল বিচারবিভাগীয় একটি কার্যপদ্ধতি যার দ্বারা আদালত কর্তৃক কোন ব্যক্তি বা পক্ষকে কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নিষেধাজ্ঞা মূলত দুই প্রকার।
যথাঃ
১) আদেশ মূলক বা বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা
২) নিষেধমূলক নিষেধাজ্ঞা।
নিষেধাজ্ঞাকে আরো তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমনঃ
১) স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা,
২) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা,
৩) অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা।
# #আদেশ মূলক নিষেধাজ্ঞা বা বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা-Mandatory injunction :
যে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বা আদেশের মাধ্যমে আদালত কোন পক্ষকে কোন কাজ করতে বাধ্য করেন তাকে আদেশ মূলক বা বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা বলে।
The specific relief act এর ধারা ৫৫মতে, বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা হলো কোনো পক্ষকে একটি বাধ্যতামূলক কার্য ভঙ্গ করা থেকে বিরত রেখে কোনো নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের আদেশ দেয়া।
যেমনঃ চুক্তি পালনের নির্দেশনা। কিছু কিছু বিশেষ আইন আছে যেগুলোর বলে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায়।
এটি আদালতের একটি আদেশ। এই আদেশের মাধ্যমে আদালত বিবাদীকে কোন অবস্থার পরিসমাপ্তি না ঘটাতে কোন প্রত্যক্ষ কাজ করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
# #নিষেধ মূলক নিষেধাজ্ঞা-Prohibitory injunction:
যে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বা আদেশের মাধ্যমে আদালত কোনো পক্ষকেই কোন কাজ না করতে বা বিরত থাকতে বাধ্য করেন তাকে নিষেধ মূলক নিষেধাজ্ঞা বলে। এটিও আদালতের একটি আদেশ। এই আদেশের মাধ্যমে আদালত বিবাদীকে কোন অবস্থার পরিসমাপ্তি না ঘটাতে নির্দেশ প্রদান করেন অর্থাৎ বিবাদীকে কোন অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য আদালত যে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করেন তাকে নিষেধ মূলক নিষেধাজ্ঞা বলে।
# #স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা- Perpetual injunctioinjunction:
মোকদ্দমা শুনানির পর মোকদ্দমার গুনাগুন বিচার করে ডিক্রি প্রদানের মাধ্যমে আদালত যে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করেন, তাকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বলে। স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আদালত চিরস্থায়ীভাবে আদেশ প্রদান করেন।
# #অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা-Temporary Injunction:
১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতীকার (S.R Act) আইনের ৫৩ ধারা অনুসারে, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) হল এমন এক ধরণের নিষেধাজ্ঞা যা একটি নির্দিষ্ট সময় বা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
মামলা চলা কালীন সময়ে মামলার যে কোন অবস্থায় এই নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায়। এই নিষেধাজ্ঞা জারীর বিধান দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের আদেশ ৩৯ (order 39) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
#আন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা
আদালতের নিকট যদি প্রতিয়মান হয় যে, বিলম্বের ফলে নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে সেক্ষেত্রে বিবাদী পক্ষকে নোটিশ না দিয়েও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা যাবে । কাজেই এক্ষেত্রের জন্যে অন্যপক্ষকে পূর্বে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে একই সাথে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় সেই নিষেধাজ্ঞাকে আন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বলে।
Adv.Md Monirul Islam Bhuiyan
পরামর্শ দেওয়ার নতুন ফি নির্ধারণ করলাম !
প্রস্তাবিত হার নিম্নরূপঃ
১। মোবাইল ফোনে পরামর্শ ফিঃ ৫০০ টাকা।(ফোন ধরার সময় থাকেনা। তারপর ধরার পর মিনিমাম ৩০ মিনিট কথা বলা)
২। ফেসবুকের ইনবক্সে পরামর্শ ফিঃ ৭০০ টাকা ! (হাতে লিখে বোঝাতে হয় বলে, তাই ফি একটু বেশি)
৩। রাস্তা ঘাটে চলাফেরা অবস্থায় বা কেন অনুষ্ঠানে দেখা হলে পরামর্শ ফিঃ ৮০০ টাকা !(রাস্তা ঘাটে দৌড়ের মধ্যে থাকি। এর মাঝে থামিয়ে পরামর্শ নিলে অনেক প্রবলেম হয় তাই ফি বেশি)
৪। চেম্বারে পরামর্শ ফিঃ ৫০০ টাকা ! (ভাড়া দিয়ে কষ্ট করে চেম্বারে আসবেন তাই ফি কম!)
৫। আত্মীয়কে নিয়ে কার কাছে যাবেন, কোন আইনজীবীর পরামর্শ নিবেন এমন পরামর্শ ফিঃ ১০০০ টাকা।(রেফারেল খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই ফি বেশি)
৬। কোন আইনজীবীর পরামর্শ ঠিক আছে কিনা সে ব্যপারে পরামর্শ চাইলে ফি ১২০০ টাকা।(কেউ না জেনে এলএলবি, এলএলএম, বার কাউন্সিলের পরীক্ষা পাশ করেনা। সুতরাং অন্যের পরামর্শ যাচাই করা দুরূহ কাজ)
৭। স্যার, ভুক্তভোগী আমার নিকট আত্মীয়, প্লিজ একটু ভালোভাবে দেখবেন যেন কাজটা হয়...এমন তদ্বির ফি ২০০০ টাকা। (তদ্বির ফি বেশি হওয়াই স্বাভাবিক)
--------------------------------------------------
বিঃদ্রঃ
১। বকেয়া ফি গ্রহণ চলছে। যারা এতোদিন উপরোক্ত সুবিধা নিয়েছেন ফ্রি তে... তারা চাইলে মুক্ত হস্তে বকেয়া ফি প্রদান করতে পারেন।
২। কোন অবস্থাতেই ফলস সার্টিফিকেট দেয়া হয় না।
-----------------------------------------------—-
ভাই রাগ করলেন?
রাগ কইরেন না ভাই...
এটাই যে আমার পেশা!..
ফ্রি চাহিয়া কেন লজ্জা দিবেন??
০১। আপনি না শিক্ষক?
আমার ছেলেটাকে কি ফ্রিতে প্রাইভেট পড়ান?
০২। আপনি না ডাক্তার?
আমার মেডিকেল চেকআপ কি ফ্রি তে করে দিয়েছিলেন?
০৩। আপনি না পুলিশ?
আমার পাসপোর্টের ক্লিয়ারেন্সটা কি বিনা বকশিষে
করে দিয়েছিলেন?
০৪। আপনি না ইঞ্জিনিয়ার?
আমার বাসার ডিজাইনটা কি ফ্রিতে করে দিয়েছিলেন?
০৫। আপনি না ডিজি হেলথের কর্মচারী?
আমার ফাইলটা কি বিনা ঘুষে মুভ করিয়েছেন?
০৬। আপনি না রাজউকে আছেন?
আপনি কি বিনা ঘুষে আমার ফাইলটায় হাত দিয়েছেন?
০৭। আপনি না অমুক...আপনি না তমুক?
করেন কি কিছু আমার জন্য... ফ্রি তে???
০৮।আপনি কি দোকানী?
আমাকে এক কেজি চাল, ডাল, তেল ফ্রী দিবেন?
০৯।আপনি আমাকে একবেলা দাওয়াত খাইয়েছেন?
নিয়েছেন খোঁজ আমার?
১০। আপনি আমার আত্মীয়? কয়বার ফ্রী পরামর্শ
ছাড়া শুধু আমার খবর নেয়ার জন্য কল করেছেন?
তাহলে কেন ভাবেন...
আমি ফ্রি তে দিলেই আপনি খুশী হবেন?
কিংবা ফ্রি আইনী পরামর্শ দিলেই আমি ভাল মানুষ?
বিপদের সময়ই কেন আমাকে মনে পড়ে?
অন্য সময় আত্মীয়তার কথা কেন মনে থাকেনা?
বিঃদ্রঃ হা ভাই আমরা আইনজীবী
কেউ কিছু ফ্রি না করলেও আমরা
আইনজীবীরা এখনও ফ্রিতেই পরামর্শ দেই এবং এটার মূল্য সবার বোঝা উচিৎ,আমার সেবা করে যাচ্ছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।।।
মেয়েরা ডিভোর্সের পর ২য় সংসারে যতোটা ধৈর্য্য ধরে,
প্রথম সংসারে তার অর্ধেক ধৈর্য্য ধরলেও
সংসারটা টিকে যেতো!
আদালত
দাবা খেলা বরাবরই আমার অপছন্দের।কারন আমি শত্রুকে সামনে বসাই না,আর বন্ধুর সাথে চাল দেই না।তাই দাবা খেলা আমার জন্য না,এগুলো চালাক মানুষের কাজ।আর চালাক মানুষ তার নিজের অজান্তেই ভুল করে ফেলে।যেটা তার অনেক ক্ষতির কারন হয়।
জাপানে যুদ্ধের সময় এই ছেলেটি তার মৃত ভাইকে কবর দিতে পিঠে নিয়ে যাচ্ছিল। একজন সৈন্য তাকে লক্ষ্য করে এবং তাকে এই মৃত শিশুটিকে ফেলে দিতে বলে যাতে সে ক্লান্ত না হয়। তিনি জবাব দিলেন: সে ভারী নয়, সে আমার ভাই!
সৈনিক বুঝতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়ল। সেই থেকে এই ছবিটি জাপানে ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এটি আমাদের নীতিবাক্য হতে দিন: "সে ভারী নয়, সে আমার ভাই/সে আমার বোন।"
যদি সে পড়ে যায়, তাকে উঠান, ক্লান্ত হলেও তাকে সাহায্য করুন। এবং যদি তার সমর্থন দুর্বল হয়, আর যদি সে ভুল করে থাকে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিন। পৃথিবী যদি তাকে পরিত্যাগ করে তবে তাকে আপনার পিঠে নিয়ে যান, কারণ তিনি ভারী নন সে আপনার ভাই/বোন 😍
অতএব! দরিদ্র, অসহায়, ইয়াতীম, বিধবা, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, সংখ্যালঘু ও মজলুম মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসুন।
__________
সুখের অনুসন্ধানই দুঃখের প্রধান কারণ...
ছবি দুটো পাশাপাশি রাখি। প্রায় একই বয়স দুজনের। একজন বিয়ে করেছে একাকীত্ব দূর করতে আর একজন আত্মহত্যা করেছে একাকীত্ব দূর করার জন্য।
দুজন ব্যক্তি কিন্তু একটা কারণেই বিয়ে এবং আত্মহত্যা করেছেন।
আমরা যারা আত্মহত্যা করাটা ঘৃণিত মনে করছি, আমরা কী একাকিত্বের জন্য বিয়েটা কে সমর্থন করছি? না, আমরা ট্রল করছি। জেনে, না জেনে ট্রল করছি।
৯০ বছরে একটা পুরুষের চাহিদা থাকে কি না আমি জানি না। তবে আমি জানি ১০০ বছরের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে রাস্তার কুকুর পর্যন্ত ভালোবাসা চায়, একটু যত্ন চায়।
বেঁচে থাকতে একটু নির্ভয়ে বাঁচতে দিন না। করুক না বিয়ে ৯০ বছরের বৃদ্ধ (পুরুষ /মহিলা)। অন্তত বাঁচার একটা তো সম্বল হবে। বাঁচুক না ট্রল থেকে সবাই, একটু মানবতা দেখান না সবাই।
বেঁচে থাকতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে মৃত্যুর পর ফিলিং স্যাড দিয়ে কি হবে? বাঁচুক না সবাই ভালোবাসা নিয়ে
বাংলাদেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইবুনাল শারীরিক ও ভার্চুয়ালী পরিচালিত হইবে
বাংলাদেশের সকল অধস্তন ফৌজদারী ও দেওয়ানী আদালত এবং ট্রাইবুনাল শারীরিক ও ভার্চুয়ালী পরিচালিত হইবে। এই মর্মে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কতৃক সার্কুলার নং-২ গত ২২ জানুয়ারী ২০২২ প্রকাশ করা হয়েছে।
এদের মা হচ্ছে #রত্নগর্ভা....
ঢাকার পল্লবীর এলাকার ইরানি ক্যাম্পের একটি বাড়িতে গায়ের হলুদের অনুষ্ঠান চলছে। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান। ছেলে মেয়ে সকলেই উপস্থিত। এর মধ্যে দুই যুবক অনুষ্ঠানে আসা একটি মেয়েকে বারবার উত্যক্ত করছিল। আশেপাশে অনেকেই বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যায়।
সেই অনুষ্ঠানে জনি উপস্থিত ছিলো।
মেয়েটির হয়ে সে এগিয়ে আসে। ভদ্রভাবেই দুই যুবককে থামতে বলে। তারা বেপরোয়া। ওদের কে কি বলবে? কার এতো সাহস!
ওরা মেয়েটিকে বারবার হয়রানি করে চলে। এক পর্যায়ে জনি যুবক দুজনকে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেয়।
ঐ দুই যুবক ছিল পুলিশের সোর্স। অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেয়ার অপমানের প্রতিশোধ তুলতে তখনই তারা পল্লবী থানা থেকে পচিশ জনের একটি বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গায়ের হলুদের অনুষ্ঠান থেকে জনি আর বড় ভাই রকিকে তুলে নিয়ে যায়।
থানায় এনেই জনিকে আঘাতের পর আঘাত করা হয়। পল্লবী থানার ভিতরে টানা আড়াই ঘণ্টা চলে জনির উপর অকথ্য পুলিশি নির্যাতন। এক পর্যায়ে জনির শরীর খারাপ হতে শুরু করলে সে এক গ্লাস পানি খেতে চায়, জনির বুকে বুট জুতা রেখে এক পুলিশ সদস্য জনির মুখে থুতু ছিটিয়ে বলে - থুতু খা।
পুলিশ হেফাজতে জনির মৃত্যু হয়।
আদালতে বলা হয়, গায়ের হলুদের অনুষ্ঠানে গানের শব্দে জনি হার্ট অ্যাটাক করে মরে গেছে।
২০১৪ সালের আগস্টে জনির বড় ভাই রকি পুলিশ হেফাজতে জনির মৃত্যুর বিচার চেয়ে আদালতের সামনে দাড়ায়। সবাই বলে, পুলিশের সাথে ঝামেলা করো না। বাদ দাও।
রকি বাদ দেয় না। ভাই হত্যার বিচার চেয়ে সে মামলা দায়ের করে।
রকির দায়ের করা মামলা তুলে নিতে একের পর এক হুমকি আসতে থাকে। তাকে ভয় দেখানো হয়। রাতে ওরা ঘর থেকে বেরোতে পারে না। এক ছেলে মারা গেছে, আরেক ছেলেকেও হারাতে চাও?
রকির পরিবারকে মৃত্যু ভয় দেখানো হয়।
রকি পিছায় না_
প্রতিদিন সে ভাই হত্যার বিচারের দাবীতে আদালত পাড়ায় যায় এক কোর্ট থেকে আরেক কোর্টে ঘুরে। উকিলের পিছে পিছে ঘুরে। স্পেশাল ব্রাঞ্চে ব্রাঞ্চে ধর্না দেয়।
একদিন রকির কাছে আপোষের অফার আসে, মামলা তুলে নেয়ার বিনিময়ে বিশ লক্ষ টাকা নগদ দেয়া হবে।
রকি আপোষ করে না। ভাইয়ের হত্যাকারীদের সাথে আপোষ নয়।
বিচারের দাবীতে সে অটল থাকে।
মামলার তারিখ পিছায়, খরচ বাড়তে থাকে, একের পর এক ডেট পড়ে। এরই মধ্যে আসামী পক্ষ মামলা স্থগিদের আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে।
দুই আসামী পালায়। আরেক আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলা প্রাক্তন তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে থানায় বসে রকিকে দেখিয়ে দুপুরের খাবার খায়।
রকি লড়ে যায়।
ভাই হত্যার বিচারের দাবীতে দায়ের করা মামলায় আদালত শুনানি ও অন্যান্য কাজে গত সাড়ে ছয় বছরে রকিকে #সাড়ে_চারশ বার আদালতে আসতে। রকি আসে। একটা শুনানির ডেট সে মিস করেনি।
দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর অসংখ্য হুমকি, ভীতি, আপোষের প্রস্তাব, বিরামহীন আদালত শুনানির পর জনি হত্যার বিচার হয়।
জনি হত্যায় জড়িত তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি দুজনকে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) ২০১৩ আইনে আদালতের দেয়া এইটাই প্রথম রায়।
ঐতিহাসিক এই রায় ভবিষ্যত ইতিহাসের জন্য একটা মস্ত বড় মাইলস্টোন হয়ে রইল। পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর বিরুদ্ধে এই মামলা এক শক্তিশালী দলিল, নির্যাতিতদের জন্য ভরসার আশ্রয়।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে জনি হত্যা মামলার রায় #ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসার গল্প।
আমার কাছে রায়টি একটি #রত্নগর্ভা মায়ের গল্প যার দুই ছেলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে শেষ অবধি লড়ে গেছে।
এক ছেলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মৃত্যু বরণ করেছে, আরেক ছেলে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ঐতিহাসিক রায় ছিনিয়ে এনেছে।
প্রতিবাদী এই পরিবারটির প্রতি রইল আমার সহস্র সালাম।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Mirpur
1218
Flat 4B, 3rd Floor (Lift-3), House 1186, Mili Aureate, Avenue 11, DOHS Mirpur, Dhaka
Mirpur, 1216
The aim of BDLP is to provide honest & reliable legal services.
House # 16/2(First Floor), Road # 01, Block # E, Section/06, Dhaka
Mirpur, 1216
We help our client to get professional Accounting & Book Keeping, Tax, VAT, Legal Advice and Busines
Legal Step (Mirpur Branch), Address: Plot/40, Block/B, Road/3, Section-12, Pallabi, Dhaka
Mirpur, 1216
"Committed to Protecting Public Rights" Lawyer & Tax Consultant, Judge Court, Dhaka
37/2, Block B, Tamanna Park Housing, Goran Chatbari, Shahali
Mirpur, 1216
Intellectual Property and Business Law Firm
Mirpur, PALLABI
Legal Window is a leading law firm in Dhaka, Bangladesh having expertise in all kinds of practices.
House No. 5, Road-23, Rupnagor, Mirpur-2, Dhaka
Mirpur, 1216
From litigation to consultancy, to get an expert for your Tax, VAT, Corporate, Civil & Criminal issue
House No- 8/1, Flat No- 1/A, Block- Ka, Section-6, Boundary Road No-3
Mirpur, 1216
~Talukder Law Consortium~ is a research-based legal brokerage firm that combines expertise in law and excellent service deliver.
H#40 (2nd Floor), R#09, Block#H, Section/2
Mirpur, 1216
JuryCase Educare is an academy providing educational services like career oriented coaching & other professional courses.
Mirpur
All kinds of legal services and advises are providing here. All matters are counseled.
Mirpur, Dhaka
Mirpur, 1216
Law Firm Overview: The firm offers a full range of comprehensive legal services and study abroad, st