আহলে হাদিস - Ahlul Hadith
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from আহলে হাদিস - Ahlul Hadith, Digital creator, Mirpur.
মসজিদ আল-আকসা বিজয় হচ্ছেনা কেন? কিভাবে বিজয় আসবে?
🎙️ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক (হাফিজাহুল্লাহ)
ফুটপাতের মুহাড্ডিস জাহমি আলি হাসান ওসামা ও
দাজ্জাল খুড়ে বের করা আবু ত্বহা মূ*র্খ ও ইউটিউবের গুহাবাসী গ্রাফিক্স ডিজাইনার খারেজীদের পীরসাপ তামিম আল খারেজি কি এবার অন্যের বউ অটো তালাক দানকারী আব্বাসি সাহেবকেও পেট্রোডলার খোর বলবে???
আর এই খারেজীরা ফিলিস্তিন যাচ্ছে তো???
এদের তো আবার শাসকের অনুমতি লাগেনা!!!!!
#ফিলিস্তিন #সৌদি #মুসলিম #ইসলাম #জিহাদ
ঈদে মিলাদুন্নাবী পালন করা হারাম।
🎙️তাওসীফ উর রাহমান
মানহাজের গুরুত্ব.......
#মানহাজ #আকিদা #সহিহহাদিস
মসজিদে কাল শিন্নি আসিবে-
অঢেল হালুয়া রুটি ,
ভুরিভোজ হবে,
মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটি কুটি।
একটি কথাও কবেনা মোল্লা
কুরআন, হাদিস খুলে,
পীর-হুজুরের কিচ্ছা শোনাবে
দলিল চড়িয়ে শুলে।
একটি কথারও প্রমাণ চাইলে
মুরীদ আসিবে তেড়ে,
কাফির নাস্তিক ফেরাউন বলে
বিদায় করবে মেরে।
আরো বলিবেন প্রামানিক সাব-
তবে কি অধম ওরে,
বাপদাদা সব চৌদ্দ গুষ্টি ভুল করে গেছে মরে।
তোর চেয়ে কি বড় হুজুরের বিদ্যা বুদ্ধি কম?
ইহুদী নাসারার দালাল না হয়ে ইয়াযীদের হও যম।
...... কাজী নজরুল ইসলাম
বিদ'আতীদের উদ্দেশ্যে তার লেখা কবিতা।
ইরাকের কুফা নয়....
ভারতের দেওবন্দ, বেরেলী নয়.....
দিল্লির নিজাম উদ্দিনের গলি নয়.....
টংগির ইজতেমার মাঠ নয়....
কাকরাইলের মসজিদ নয়.....
চরমুনাইয়ের মাহফিলও নয়......
দেওয়ানবাগী, কুতুববাগি, মাইজভান্ডারি ইত্যাদি পীরের খানকাও নয়....‼️
ইসলামের মারকাজ বা কেন্দ্রস্থল হলো মক্কা ও মদিনা 💞
যেখানে কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী বিশুদ্ধ আক্কিদা লালন করা হয় এবং প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাঃ এর তরিকা পালন করা হয় ✅
মুকাল্লিদদের (অন্ধ বিশ্বাস/ভক্তি) জন্য সতর্কতা🚦
❝হে আল্লাহর রসুল! সে মাসজিদ কোনটি যার ভিত্তি তাক্বওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে❞❓
রাবী (আবু সাঈদ) বলেন, তিনি একমুষ্টি কাঁকর তুলে তা জমিনের বুকে নিক্ষেপ করলেন, অতঃপর বললেন, “তা তোমাদের এ মাসজিদ মদীনার মাসজিদ।”
রাবী (আবু সালামাহ্) বলেন, এখন আমি বললাম, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চিত আমিও আপনার পিতাকে এভাবেই ঐ মাসজিদের উল্লেখ করতে শুনেছি।
📚 সহিহ মুসলিমঃ ৩২৭৮
তিরমিজিঃ ৩২৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ سَعْدًا ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَكِيدُ أَهْلَ الْمَدِينَةِ أَحَدٌ إِلاَّ انْمَاعَ كَمَا يَنْمَاعُ الْمِلْحُ فِي الْمَاءِ ".
সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে বলতে শুনেছিঃ
'যে কেউ মদীনাবাসীর সাথে ষড়যন্ত্র করবে বা প্রতারণা করবে, সে লবণ যেভাবে পানিতে গলে যায়, সেভাবে গলে যাবে'।
📚 বুখারীঃ ১৮৭৭
মুসলিমঃ ৩২৪৯, - ৩২৫৪
ইবনে মাজাহঃ ৩১১৪
আল লুলু ওয়াল মারজানঃ ৮৭৫
মিশকাতঃ ২৭৪৩
একদিন এক প্রসিদ্ধ সাহাবী বিড়াল ছানা কোলে নিয়ে খেলছেন। তিনি নতুন না, বেশ কবার বিড়াল কোলে নিয়ে আদর করতে করতে মসজিদে আসতেন। নবী মুহাম্মদ এর কাছে ধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করতেন। কোলে বিড়ালকে আদর করতে থাকা অবস্থায় মুহাম্মদ তাকে কাছে ডাকলেন। এই বিড়ালের বাপ এদিকে আসো। ভদ্রলোকের ভ্রু কুঁচকে যায়নি, সরল বোকা মানুষের মতো মুচকি হাসলেন। প্রিয় শিক্ষকের এই ডাকটা তার মনে ধরেছে খুব। সিদ্ধান্ত নিলেন নিজের নামটাই বদলে ফেলবেন। নবীর ভালোবাসার নিদর্শনের দরুন আমরা সবাই তাকে বিড়ালের বাপ বলেই ডাকি। সহীহ হাদিসের সর্বোচ্চ পরিশুদ্ধ বর্ণনাকারী হিসেবে তিনিই 'আবু হুরায়রা' নামে পরিচিত।
আবু হুরাইরা (রা.) এর নাম ছিল 'আবদুশ শামস্ ইবনে হুখর। ইসলাম গ্রহণের পর আল্লাহর রাসূল (সা.) তাঁর নাম রাখেন 'আবদুর রাহমান।' ছোট বেলায় একটি বিড়াল শাবকের সাথে তিনি সবসময় খেলতেন। তা দেখে সাথীরা তাঁর নাম দেন আবু হুরাইরা (বিড়াল শাবকওয়ালা)। আস্তে আস্তে এ নামেই তিন সকলের মাঝে পরিচিত হন এবং তাঁর আসল নামটি ঢাকা পড়ে যায়। ইসলাম গ্রহণের পর রাসূলুল্লাহর (সা.) সাথে যখন তাঁর সম্পর্ক গভীর হয় তখন মাঝে মাঝে তিনি আদর করে ডাকতেন 'আৰু হিব্ররিন'। তাই তিনি আবু হুরাইরার পরিবর্তে আৰু হিররিন নামটিকেই প্রাধান্য দেন।
মক্কা সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে বিড়ালের অবাধ অনুপ্রবেশ । এরা প্রত্যেক ইবাদতকারীর পাশেই ঘুমায়, গা ঘেঁষে বসে থাকে যেখানে সেখানে। মানুষের আদর ভালোবাসায় লাই দিয়ে গড়া অদ্ভুত এই বিলাসপ্রবণ প্রাণী!
কাবশাহ্ বিনতু কা'ব ইবনু মালিক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি ছিলেন আবূ ক্বাতাদাহ্ (রা.)-এর পুত্রবধূ। আবূ ক্বাতাদাহ (রা.) তাঁর নিকট ছিলেন। তিনি তাঁর জন্য ওযুর পানি ঢাললেন। একটি বিড়াল এলো এবং ওযুর পাত্র হতে পানি পান করতে লাগলো। আর তিনি পাত্রটি তার জন্য কাত করে ধরলেন যে পর্যন্ত পান করা শেষ না হলো। কাবশাহ্ বলেন, তিনি আমার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, আমি তাঁর দিকে চেয়ে আছি। তিনি আমাকে বললেন, আমার ভাতিজী! তোমার কাছে আশ্চর্য লাগছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। এটা তোমাদের আশে পাশে ঘন ঘন বিচরণকারী বা বিচরণকারিণী। (সহীহ মালিক ৪৪)
আকিদা এবং মানহাজ কী?
শায়েখ আবু বকর জাকারিয়া হাফিজাহুল্লাহ
এখানে চরমোনাই-আটরশির লোক আছে!
তারপর যা বললেন শায়েখ জামশেদ মজুমদার হাফিঃ
🎤 শাইখ জামশেদ মজুমদার | Shaikh Jamshed Majumdar
#জামশেদমজুমদার
জাল জয়ীফ হাদিস ভিত্তিক ইসলাম চাইনা।....সহিহ হাদিসভিত্তিক ইসলাম চাই।
শিরিক বেদাআত যুক্ত ইসলাম চাইনা।....শিরিক বিদআত মুক্ত ইসলাম চাই
🎙️আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক
#সহিহ #হাদিস #আকিদা #মানহাজ #তাওহীদ
আকিদা/বিশ্বাস সংশোধনের বিষয়টি কেনো এতো গুরুত্বপূর্ণ?
আকিদা/বিশ্বাস বিশুদ্ধ না হলে সমস্ত আমল বাতিল।!
🎙শায়েখ মতিউর রহমান মাদানী (হাফিজাহুল্লাহ্)
📚লিসান্স, মদিনা ইউনিভার্সিটি, সৌদি আরব 🇸🇦
🎙দাঈ ও শিক্ষক, দাম্মাম ইসলামী কালচারাল সেন্টার, সৌদি আরব 🇸🇦
#আকিদা #তাওহীদ
এই পিতা পুত্রের আকিদা এবং মানহাজগত পার্থক্য দেখে পিতা আব্দুল ওয়াহাব এবং ছেলে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব (রাহিমাহুমুল্লাহ) এর কথা মনে পড়ে যায়!
দুই ক্ষেত্রেই পুত্র সঠিক এবং পিতা ভুল।
আকিদা কোনো ছোটখাটো বিষয় নয়। এটা আমাদের ঈমান এবং আমলকে যেমন খাটি করতে পারে ঠিক তেমনি ধ্বংসও করতে পারে।
বিদআতি/পথভ্রষ্ট আলেমদের বিশ্বাস হচ্ছে আল্লাহ সর্বত্র আছেন (নাউজুবিল্লাহ)। সর্বত্র বলতে ভালো এবং খারাপ উভয় জায়গাকেই বুঝায়। যেমন - মসজিদ, ঘর, মাদ্রাসা, টয়লেট, ডাস্টবিন, পতিতালয় ইত্যাদি। আপনি আল্লাহকে কোথায় দেখেন বা মানেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। কিন্তু আল্লাহ নিজে নিজেকে কোথায় রেখেছে বলেছেন এবং নবী রাসূলগন এবং সাহাবাগনরা আল্লাহর পরিচয় কিভাবে দিয়েছেন সেটা বুঝতে হবে।
অন্যথায়, কুফরি হতে বেশি সময় লাগবে না!
আল্লাহ, আমাদেরকে সঠিক পথে রাখুন। আমীন।
#তাওহীদ #আকিদা #আরশ #সহিহ
চলন্ত ধর্ম vs চূড়ান্ত ধর্ম
বিষয় : শবে বরাত
🎙মুফতি ডক্টর মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন হাফিযাহুল্লাহ্
📚পিএইচডি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া🇧🇩
📘সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর 🇧🇩
🎙️খতিব, নদ্দা সরকারবাড়ী জামে মসজিদ ও উত্তরা বায়তুন নূর জামে মসজিদ 🇧🇩
✧═══•❁❁•═══✧•✧═══•❁❁•═══✧
ড. আবুবকর মোহাম্মদ জাকারিয়া
তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যার বই সৌদি আরবের পাঠ্য পুস্তুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।✅
তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ৫ম স্থান এবং মাস্টার্সে ১ম স্থান অর্জনকারী আলেম।✅
পরবর্তীতে তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হতেও আলিম, ফাজিল ও কামিল সম্পন্ন করেন। কামিলে মাদ্রাসা-ই-আলিয়া থেকে সারা বাংলাদেশে ১ম স্থান অর্জন করেছিলেন।✅
বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ আলেম, সৌদির গ্রান্ড মুফতি বিন বাযের (রাহঃ) ছাত্র হচ্ছেন ড. আবুবকর মোহাম্মদ জাকারিয়া হাফিজাহুল্লাহ।✅
বর্তমানে তিনি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও শরী‘আহ অনুষদভুক্ত আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত আছেন।✅
তাঁর রচিত, অনুদিত ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১০০০ ছাড়িয়ে গেছে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে বেশ কিছু গবেষণা কর্মে অংশগ্রহণ করেছেন। ইসলামি ফাউন্ডেশন তাঁর একটি বইও প্রকাশ করেছে।✅
তিনি বর্তমানে সৌদী আরবস্থ আকীদা সমিতির সদস্য।✅
উনিই মদীনায় প্রথম হিন্দু ধর্মের উপরে থিসিস করেন। মদীনায় তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপরে অনেক কাজ হয়েছে। কিন্তু হিন্দু ধর্মের উপরে তখনও কোন কাজ হয়নি তাই তাঁরা হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে ভুল পড়াতো। তিনি তাঁর উস্তাদদের বললেন এগুলো তো ভুল, হিন্দুদের আকিদা তো এমন নয়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উস্তাদগণ শায়খকে হিন্দু ধর্মের উপরে লেখার অনুরোধ করে, তখন তিনি এই বইটি লিখেন এবং আরব বিশ্বে এটি হিন্দু ধর্মের রেফারেন্স বুকের খালি স্থান পূরণ করে নেয়। আলহামদুলিল্লাহ বইটি গোটা আরব বিশ্বে ব্যাপক সমাদৃত।✅
তার রচিত আরবি একটি বই বিশ্বব্যাপী পরিচিত মাকতাবাতুশ শামিলায় রয়েছে।✅
মদীনার খাদেমুল হারামাইন শারীফাইন বাদশাহ ফাহাদ কমপ্লেক্স থেকে বাংলায় ফ্রী বিতরণ যোগ্য তাফসীর লেখার জন্য মদীনার শাইখগণ তাঁকে বাছাই করে নিয়েছেন এবং তাফসীরটিতে বর্তমান সউদী গ্র্যান্ড মুফতি ও প্রায় অর্ধশতাব্দী হজ্বের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী শায়খ সালিহ বিন আবদুল আযিয হাফিঃ ভূমিকা লিখে দেন। এ থেকেও বুঝা যায় তিনি কতটা নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত আলিম হারামাইন শারীফাইনের উলামাদের নিকট। বাংলাভাষী শতশত মদীনা, মক্কা, রিয়াদ ও কিং আবদুল আযিয বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে ওনাকে বাছাই করে নিয়েছেন মদীনার শায়খগণ।✅
মহান আল্লাহতা'আলা উনার নেক হায়াতকে আরও বাড়িয়ে ইসলাম প্রচার করার তৌফিক দান করুন। আমিন। ❤️❤️
সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর একত্ববাদ এবং এর দাওয়াত যদি কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক হতো তাহলে অবশ্যই আমাদের উপর আল্লাহর রহমত বেড়ে যেতো। কালেমাকে ভিক্ষার বুলি না বানিয়ে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহন করা এবং সর্বক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করার মধ্যেই কল্যাণ বিদ্যমান।
#তাওহীদ
আমাদের সমাজের অনেক মুফতি বলে আমি দশ বিশ ষাট বছর ধরে বুখারীর দার্স দিচ্ছি....!
তো এখনো কেন তাদের আকিদা ঠিক হয়নি?!
আল্লাহর আকার আছে কি? আল্লাহর আকার থাকলে তা তাঁর ‘অসীম’ গুণ সসীম হয় না কি?
উত্তরঃ পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও ছহীহ হাদীছ সমূহে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলার আকার আছে। যেমন আল্লাহর চেহারা (আর-রহমান ২৭), তাঁর দুই হাত (ছোয়াদ ৭৫; মায়েদাহ ৬৪), তাঁর চোখ (তূর ৪৮) আছে বলে কুরআন মজীদে উল্লেখিত হয়েছে। অনুরূপভাবে হাদীছে এসেছে, আল্লাহ যখন জাহান্নামকে বলবেন, তুমি কি পূর্ণ হয়েছ? তখন সে বলবে, আরো বেশি আছে কি? তখন মহান আল্লাহ জাহান্নামে তাঁর পা রাখবেন। জাহান্নাম তখন বলবে, যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে (বুখারী হা/৪৮৪৮; মুসলিম ‘জান্নাত’ অধ্যায় হা/৩৫, ৩৭, ৩৮; মিশকাত হা/৫৬৯৪-৯৫)। তাছাড়া মুমিনগণ জান্নাতে আল্লাহর দর্শন লাভে সর্বাধিক খুশি হবেন (মুসলিম হা/৪৬৬-৬৭ ‘ঈমান’ অধ্যায়)। কুরআন ও হাদীছে এ ধরনের অনেক প্রমাণ রয়েছে।
আল্লাহর নিজস্ব আকার আছে। কিন্তু তা কারু সাথে তুলনীয় নয় (শূরা ১১; নাহল ৭৪)। আল্লাহ নিরাকার হ’লে মুমিনগণ কিভাবে তাঁকে জান্নাতে দেখতে পাবেন? ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা হ’ল, মুমিনগণ জান্নাতে আল্লাহ তা‘আলার দর্শন লাভে ধন্য হবেন। আল্লাহর দর্শনকে কেবল বিদ‘আতী মু‘তাযিলা, মাতুরিদিয়া ও কতিপয় মুর্জিয়া অস্বীকার করে।
আল্লাহর জ্ঞান ও ক্ষমতা অসীম। সুতরাং তাঁর আকার থাকা এ গুণের বিরোধী নয়। অতি যুক্তিবাদীরা আল্লাহকে অবশেষে আকার ও গুণহীন শূন্য সত্তায় পরিণত করেছে। যা নাস্তিক্যবাদের শামিল এবং কুরআন ও হাদীছের প্রকাশ্য অর্থের বিরোধী।
মানুষ মারা গেলে মাইকিং করা যাবে কিনা?
প্রত্যেক এলাকার কিছু বড় হুজুর আছে তাদের কি রহস্য শুনুন। আপনি বুঝতে পারবেন তারা কতটুকু জ্ঞানী ছিলেন।
আল্লাহ, এখন যারা বড় হুজুর আছে তাদের হেদায়েত দান করুন। নেক হায়াত দান করুন। আমীন।
[বিদআতিদের পরিচয় ও আলমত প্রসঙ্গে পূর্বসূরিদের কয়েকটি উক্তি
▬▬▬▬◍◯◍▬▬▬▬
বিদআতিদেরকে চেনার জন্য পূর্ববর্তী জগদ্বিখ্যাত আলেমগণ বিভিন্ন আলামতের কথা বলেছেন। নিম্নে তাদের বক্তব্যের আলোকে এ জাতীয় কিছু আলামত তুলে ধরা হল। এসব আলামত দেখে আমরা খুব সহজে আমাদের আশেপাশে অবস্থানকারী ইসলামের লেবাসধারী বিদআতিদেরকে চিনে নিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
✪ ১. আবু আইয়ুব সিখতিয়ানি রহ. [ জন্ম: ৬৬-মৃত্যু: ১৩১ হি.] বলেন,
لا أعلم اليوم أحداً من أهل الأهواء يخاصم إلا بالمتشابه
"আমি আজ পর্যন্ত এমন একজনও প্রবৃত্তি পূজারী (বিদআতি) এর ব্যাপারে জানি না, যে মুতাশাবিহ (অস্পষ্ট, জটিল ও ব্যাখ্যা স্বাপেক্ষ আয়াত বা হাদিস) ছাড়া ঝগড়া করে।"
✪ ২. কুতাইবা বিন সাঈদ [জন্ম: ১৫০ ও মৃত্যু: ২৪০ হি.] বলেন,
إذا رأيت الرجل يحب أهل الحديث فإنه على السنة, ومن خالف هذا فاعلم أنه مبتدع
"যখন কাউকে আহলে হাদিস (হাদিস বিশারদ ও হাদিসের অনুসারী)কে ভালবাসতে দেখবে তখন জেনে নিবে সে হল, সুন্নাহর অনুসারী আর যে এর বিরোধিতা করবে জেনে নিবে, সে বিদআতি।"
✪ ৩. আবু হাতিম আর রাযী [জন্ম: ১৭৭-মৃত্যু: ২৯৫হি.] বলেন,
علامة أهل البدع الوقيعة في أهل الأثر.
"আহলুল বিদআত (বিদআতের অনুসারী) এর আলামত হল, আহলুল আসার (হাদিসের অনুসারী)দের কুৎসা বর্ণনা করা।"
✪ ৪. ইমাম আল বার বিহারী [মৃত্যু: ৩২৯ হি.] বলেন,
إذا رأيت الرجل يطعن على أحد من أصحاب رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ فاعلم أنه صاحب قول سوء وهوى
"যখন কোন ব্যক্তিকে দেখবে যে, সাহাবিদের প্রতি আক্রমণাত্মক ও অপবাদ মূলক কথা বলছে তখন জেনে নাও সে হল, প্রবৃত্তি পূজারী ও খারাপ কথার মানুষ।"
● তিনি আরও বলেন,
إذا سمعت الرجل يطعن على الآثار, أو يرد الآثار, أو يريد غير الآثار , فاتهمه على الإسلام, ولا تشك أنه صاحب هوى مبتدع
"যখন কারো ব্যাপারে শুনবে যে, সে আসার (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস, সাহাবিদের উক্তি, অভিমত ইত্যাদি) কে আক্রমণাত্মক ভাষায় সমালোচনা করছে বা আসারের জবাব দিচ্ছে বা আসার ছাড়া অন্য কিছু চাচ্ছে তখন তার ইসলামকেই অভিযুক্ত করো আর এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ করো না যে, সে হল, প্রবৃত্তি পূজারী (বিদআতি)।"
● তিনি আরও বলেন,
إذا رأيت الرجل يدعو على السلطان فاعلم أنه صاحب هوى
"যখন তুমি দেখবে, কোন ব্যক্তি সুলতান (মুসলিম শাসক) এর উপর বদ দুআ করছে তখন জেনে নাও যে, সে ব্যক্তি হল প্রবৃত্তি পূজারী (বিদআতি)।"
✪ ৫. ইমাম আবু উসমান আস সাবুনি [জন্ম: ৩৭৩ ও মৃত্যু: ৪৪৯ হি.] বলেন,
علامات البدع على أهلها بادية ظاهرة، وأظهر آياتهم وعلاماتهم: شدة معاداتهم لحملة أخبار النبي –صلى الله عليه وسلم- واحتقارهم واستخفافهم بهم [عقيدة السلف:101]
"বিদআতিদের উপর বিদআতের আলামত অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তাদের সবচেয়ে স্পষ্ট আলামত হল, তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিসের ধারক-বাহকদের প্রতি প্রচণ্ড বিদ্বেষ পোষণ করে এবং তাদেরকে হেয় ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।" [আকিদাতুস সালাফ ১০১]
✪ ৬. ইবনুল কাত্তান [জন্ম: ৫৬২ ও মৃত্যু: ৬২৮ হি.] বলেন,
ليس في الدنيا مبتدع إلا وهو يبغض أهل الحديث
"দুনিয়াতে এমন কোনও বিদআতি নাই যে, আহলুল হাদিস (হাদিস বিশারদ ও হাদিসের অনুসারী)দের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না।"
আল্লাহ তাআলা ইসলাম ও মুসলিমদের বিদআতিদের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
▬▬▬▬◍◯◍▬▬▬▬
অনুবাদ ও গ্রন্থনা:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব]
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর পরিচিতি হয়েছিলেন তাঁর ইলমের মাধ্যমে। তিনি কারো ছিলেন না। তিনি ছিলেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দ্বীনের একনিষ্ঠ খাদেম।
🎙️ প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া হাফিযাহুল্লাহ
আসুন জেনে নেই শবে বরাতের হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা।
🎙শায়েখ মতিউর রহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ্
📚লিসান্স, মদিনা ইউনিভার্সিটি ,সৌদি আরব 🇸🇦
🎙দাঈ ও শিক্ষক ,দাম্মাম ইসলামী কালচারাল সেন্টার ,সৌদি আরব 🇸🇦
✧═══•❁❁•═══✧•✧═══•❁❁•═══✧
প্রিয় নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামাতবদ্ধ হয়ে তিন দিন কিয়ামুল লাইল এর সালাত আদায় করেছিলেন। কিন্তু এই পথভ্রষ্ট আলেম তথ্য গোপন করছে‼️
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যাক্তিগত জীবনে যা করেছেন তা এই আলেম প্রকাশ করেনি।
রমযানে আল্লাহর রাসুল সাঃ এর রাতের সালাত কিরুপ ছিলো❓
আম্মাজান আয়িশা রাঃ বললেনঃ
রমযান মাসে ও রমযানে ব্যতীত অন্য সময়ে (রাতে) তিনি এগার রাক’আত হতে বৃদ্ধি করতেন না।
📚 সহিহ বুখারীঃ ১১৪৭, ২০১৩, ৩৫৬৯,
মুসলিমঃ ১৬০৮, নাসায়ীঃ ১৬৯৭, আবু দাউদঃ ১৩৪১, তিরমিজিঃ ৪৩৯, মুয়াত্তা ইমাম মালিকঃ ২৫৫, বুলুগুল মারামঃ ৩৭৬, আল লুলু ওয়াল মারজানঃ ৪২৬,
রমাযান ও অন্যান মাসে রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) ফাজ্রের দু’ রাক‘আত (সুন্নাত) সলাত সহ রাতের বেলা মোট তের রাক‘আত সলাত আদায় করতেন।
📚 মুসলিমঃ ১৬১১,
‘উমার (রাঃ) উবাই ইবনু কা‘ব ও তামীম আদ দারী-কে আদেশ করলেন যেন তারা লোকেদেরকে নিয়ে রমাযান মাসের রাতের এগার রাকা‘আত তারাবীহের সলাত আদায় করে। এ সময় ইমাম তারাবীহের সলাতে এ সূরাগুলো পড়তেন। যে সূরার প্রত্যেকটিতে একশতের বেশী আয়াত ছিল।
📚 মিশকাতঃ ১৩০২
#সহিহ #কিয়ামুললাইল #তারাবি
📌আঁকাবির পূজা, মুরুব্বি পূজা, বাপদাদের পূজা এটা জাহান্নামিদের বৈশিষ্ট্য 🔥
এগুলো বাদ দিয়ে সরাসরি কুরআন ও সহিহ সুন্নাহর অনুসরণ করুণ তাহলেই নাজাত 🌿
🍀 কামরুল ইসলাম ওলিপুরী হা: 🌷
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন
33:21
لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰہِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰہَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰہَ کَثِیۡرًا ﴿ؕ۲۱﴾
তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।
বিদআতের ভয়াবহতা: (১৫টি পয়েন্ট)
▬▬▬▬●●●▬▬▬▬
দ্বীনের মধ্যে বিদআতের পরিণতি অতিভয়ঙ্কর। বিদআত দ্বীনকে ধ্বংস করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। নেক সুরতে শয়তানের ধোঁকা। তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকা প্রত্যেক ইমানাদারের জন্য আবশ্যক।
নিচে বিদআতের ভয়াবহতা বিষয়ে ১৫ টি পয়েন্ট (হাদিস ও সাহাবী-তাবেঈদের উক্তি) উল্লেখ করা হল:
◉ ১. বিদআতীর আমল আল্লাহর কাছে অগ্রাহ্যঃ
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ
“যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করল যা দ্বীনে নেই সে কাজটি আল্লাহর কাছে পরিত্যজ্য।” (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে:
عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم مَنْ أَحْدَثَ فِى أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ.
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছুর উদ্ভব ঘটাল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০)।
ফুযাইল ইবনু আয়ায (রহ.) বলেন, যখন তোমরা বিদআতপন্থী কোন লোক আসতে দেখবে সে রাস্তা ছেড়ে অন্য রাস্তা গ্রহণ করবে। বিদআতীর কোন আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। যে ব্যক্তি বিদআতপন্থীকে সহযোগিতা করল সে যেন দ্বীন ধ্বংস করতে সহযোগিতা করল। (খাছায়িছূ আহলিস সুন্নাহ)
◉ ২. বিদআতীর তওবা গ্রহনযোগ্য হবে না যতক্ষণ না সে বিদআত সম্পূর্ণ ছেড়ে দেয়ঃ
আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
إنَّ اللهَ حجب التوبةَ عن كلِّ صاحبِ بدعةٍ حتى يدَعَ بدعتَه
“আল্লাহ তাআলা বিদআতীদের থেকে তওবাকে আড়াল করে রাখেন যতক্ষণ না সে বিদআত পরিত্যাগ করেন।” (তবরানী, সহিহ তারগিব/৫৪, সনদ হাসান)
◉ ৩. কিয়ামতের দিন বিদআতি হাওযে কাউসারের পানি থেকে বঞ্চিত হবেঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিয়ামতের দিন বিদআতী লোকদের থেকে বেশী অসন্তুষ্টি প্রকাশ করবেন। সাহাল ইবনু সাআদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনك
إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ مَنْ مَرَّ عَلَيَّ شَرِبَ ، وَمَنْ شَرِبَ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا ، لَيَرِدَنَّ عَلَيَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونِي ، ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ ، فَأَقُولُ : إِنَّهُمْ مِنِّي ، فَيُقَالُ : إِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ ، فَأَقُولُ : سُحْقًا ، سُحْقًا ، لِمَنْ غَيَّرَ بَعْدِي
আমি হাওযে কাওসারে তোমাদের অপেক্ষায় থাকব। যে ব্যক্তি সেখানে আসবে সে পানি পান করবে। আর যে ব্যক্তি একবার পানি পান করবে তার কখনো তৃষ্ণা থাকবে না। কিছু লোক এমন আসবে যাদেরকে আমি চিনব। তারাও আমাকে চিনবে। আমি মনে করব তারা আমার উম্মত তার পরও তাদেরকে আমার নিকট পর্যন্ত পৌঁছতে দেয়া হবে না। আমি বলব এরা তো আমার উম্মত।
আমাকে বলা হবে, আপনি জানেন না আপনি দুনিয়া থেকে চলে আসার পর এসব লোকেরা কেমন কেমন বিদআত সৃষ্টি করেছে।
তার পর আমি বলব, “দূর হোক, দূর হোক সে সকল লোক যারা আমার পর দ্বীনের মধ্যে পরিবর্তন সাধন করেছে। (বুখারী ও মুসলিম)
◉ ৪. বিদআত সৃষ্টিকারীর প্রতি আল্লাহ, তার ফেরেশতা মণ্ডলী এবং সব মানুষের অভিশাপ বর্ষিত হয়:
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:
الْمَدِينَةُ حَرَمٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ إِلَى ثَوْرٍ، فَمَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا، أَوْ آوَى مُحْدِثًا، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا، وَلَا عَدْلً
মদীনা হারাম (সম্মানার্থে) আইর হতে সওর পর্যন্ত। যে তাতে কোন বিদ‘আত সৃষ্টি করবে অথবা বিদ‘আত সৃষ্টিকারীকে আশ্রয় দিবে, তার উপর আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ এবং মানুষ সকলেরই অভিসম্পাত। তার ফরয বা নফল কিছুই কবুল করা হবে না।” (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৭২৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৬০৮)।
◉ ৫. বিদআতীকে সহযোগিতাকারীর উপর আল্লাহর অভিশাপঃ
আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আল্লাহ অভিশাপ করেছেন সেই ব্যক্তিকে যে আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো নামে জন্তু জবেহ করে। আর যে জমির সীমা চুরি করে। আর যে মাতা পিতাকে অভিশাপ দেয়। আর যে বিদআতীকে আশ্রয় দেয়। (মুসলিম)
◉ ৬. বিদআত থেকে যে কোন উপায়ে বাঁচার আদেশ রয়েছেঃ
ইরবায ইবনু সারিয়া বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন.
إياكم ومحدثات الأمور
“তোমরা দ্বীনের মধ্যে নিত্য-নতুন আবিষ্কার (বিদআত) থেকে বাঁচ”। (আবু দাউদ, সহিহ। কিতাবুস সুন্নাহ ইবনু আবী আসিম)
◉ ৭. নিকৃষ্টতম কাজ হ’ল দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা (বিদআত তৈরি করা):
عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيْثِ كِتَابُ اللهِ وَخَيْرَ الْهَدْىِ هَدْىُ مُحَمَّدٍ وَشَرَّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ. وَفِيْ نَسَائِي (وَكُلُّ ضَلاَلَةٍ فِى النَّارِ).
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হামদ ও ছালাতের পর বলেন, ‘নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ বাণী হ’ল আল্লাহর কিতাব এবং শ্রেষ্ঠ হেদায়াত হ’ল মুহাম্মাদের হেদায়াত। আর নিকৃষ্টতম কাজ হ’ল দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি এবং প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই হ’ল ভ্রষ্টতা’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১)।
আর নাসাঈতে রয়েছে, ‘প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণতি জাহান্নাম’ (নাসাঈ হা/১৫৭৮)।
◉ ৮. বিদআত প্রচলনকারী নিজের গুনাহ ব্যতিত তার সৃষ্ট বিদআত মতে আমলকারী সব লোকের গুনাহের একটি ভাগ পাবেঃ
কাসীর ইবনু আব্দুল্লাহ রহঃ বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلُ أُجُوْرِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُوْرِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلاَلَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا.
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কাউকে সৎ পথের দিকে আহ্বান করে, তার জন্য সেই পরিমাণ ছওয়াব রয়েছে, যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে। অথচ এতে তাদের নিজস্ব ছওয়াবে কোনরূপ কমতি হবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কাউকে পথভ্রষ্টতার দিকে আহ্বান করে, তার জন্যও ঠিক সেই পরিমাণ গোনাহ রয়েছে, যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে। অথচ তাদের নিজস্ব গোনাহে কোনরূপ কমতি হবে না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৫৮)।
◉ ৯. ‘বিদআতি কাজে কষ্ট-পরিশ্রম করার চেয়ে মধ্যম পন্থায় সুন্নাতের উপর আমল করা অতীব উত্তম:
ইবনু মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিতঃ
الِاقْتِصَادُ فِي السُّنَّةِ أَحْسَنُ مِنَ الِاجْتِهَادِ فِي الْبِدْعَةِ.
“বিদআতি কাজে কষ্ট-পরিশ্রম করার চেয়ে মধ্যম পন্থায় সুন্নাতের উপর আমল করা অতীব উত্তম।” (আত-তারগীব হা/৬৩-সহিহ)।
◉ ১০. বিদআত ফিতনায় পতিত হওয়া বা কষ্ট দায়ক শাস্তিযোগ্য হওয়ার বড় কারণঃ
ইমাম মালেক রাহঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল, হে আবু আব্দল্লাহ! ইহরাম কোথা থেকে বাঁধব? আমি মসজিদে নববী তথা কবর শরীফের কাছ থেকে ইহরাম বাঁধতে চাই।
উত্তরে ইমাম মালেক বললেন: এরূপ কর না। আমার ভয় হয়, হয়ত তুমি ফিতনায় পতিত হবে।
লোকটি বলল, এখানে ফিতনার কী আছে? আমি তো শুধু কয়েক মাইল পূর্বে ইহরাম বাঁধতে চাইছি।
ইমাম মালেক বললেন: এর চেয়ে বড় ফিতনা আর কি হবে যে, তুমি মনে করছ যে ইহরাম বাঁধার সওয়াব রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আগে বেড়ে যাচ্ছ। আল্লাহ তাআলা বলেন, “যারা আল্লাহ তায়ালার আদেশ অমান্য করে তাদের ভয় থাকা উচিৎ যেন তারা কোন ফিতনা বা কষ্ট দায়ক শাস্তিতে পতিত না হয়। (আল ইতিসাম)
◉ ১১. বিদআত গ্রহণকারী ব্যক্তিদের কে সুন্নাহ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়ঃ
عَنْ حَسَّانَ قَالَ مَا ابْتَدَعَ قَوْمٌ بِدْعَةً فِيْ دِيْنِهِمْ إِلاَّ نَزَعَ اللهُ مِنْ سُنَّتِهِمْ مِثْلَهَا ثُمَّ لاَ يُعِيْدُهَا إِلَيْهِمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
হাসসান বিন আত্বিয়াহ মুহারেবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ “যখনই কোন সম্প্রদায় তাদের দ্বীনের মধ্যে কোন বিদ‘আত সৃষ্টি করে, তখনই আল্লাহ তাদের মধ্য হতে সেই পরিমাণ সুন্নাত উঠিয়ে নেন। অতঃপর ক্বিয়ামত অবধি তা আর তাদের মধ্যে ফিরে আসে না।” (দারেমী, মিশকাত হা/১৮৮-সহিহ)
◉ ১২. অন্য গুনাহের চেয়ে বিদআত শয়তানের কাছে অধিক প্রিয়ঃ
সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেন:
إن البدعة أحب إلى إبليس من المعصية لأن البدعة لا يُتاب منها والمعصية يُتاب منها
শয়তান পাপের পরিবর্তে বিদআতকে বেশি পছন্দ করে। কারণ পাপ থেকে তো লোকেরা তওবা করে নেয় কিন্তু বিদআত থেকে তওবা করে না। (শরহুস সুন্নাহ, আত তুহফাতুল ইরাকিয়া ফিল আমাল আল কালবিয়া, পৃষ্ঠা ১২)
◉ ১৩. বিদআতিকে সহযোগিতা করা ইসলাম ধ্বংসে সহযোগিতা করার শামিল:
ফুযাইল ইবনে ইয়ায রাহ, বলেন:
أعان صاحب بدعة فقد أعان على هدم الإسلام
“যে ব্যক্তি বিদআতপন্থীকে সহযোগিতা করল সে যেন দ্বীন ধ্বংস করতে সহযোগিতা করল।” (খাছায়িছূ আহলিস সুন্নাহ)
◉ ১৪. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাঃ বিদআতীদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছেনঃ
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) জানতে পারলেন যে, কিছু লোক মসজিদে একত্রিত হয়ে উচ্চস্বরে যিকির এবং দরুদ শরীফ পড়তে ছিলেন। তিনি তাদের কাছে আসলেন এবং বললেন, আমরা রাসূল (ﷺ) এর যামানায় এরূপভাবে যিকির করতে বা দুরূদ পড়তে কাউকে দেখিনি। অতএব আমি তোমাদেরকে বিদআতী মনে করি। তিনি এ কথাটি বারবার বলেছিলেন, এমনকি তাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দিলেন। (আবূ নুআইম)
◉ ১৫. মুহাদ্দিসগণের নিকট বিদআতীদের হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়ঃ
মুহাম্মাদ ইবনু সিরীন (রহ) বলেন, প্রথম প্রথম লোকেরা হাদীসের সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করত না কিন্তু যখন ফিতনা, বিদআত ও মন গড়া বর্ণনা প্রসার হতে লাগল তখন হাদীসের সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা অপরিহার্য হয়ে গেল। যদি হাদীস বর্ণনাকারী আহলে সুন্নাহ হয়, তাহলে তা গ্রহণ করা হয় আর যদি বর্ণনাকারী বিদআতপন্থি হয় তাহলে তার হাদীস গ্রহণ করা হয় না। (মুসলিম)
বিদআতের ভয়াবহতা বিষয়ে আরও অনেক হাদিস এবং সাহাবী ও তাবেঈ প্রমূখদের সর্তকতা মূলক উক্তি রয়েছে।
▬▬▬▬●●●▬▬▬▬
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
#বিদআত
সহিহ আকিদাহ আল্লাহর মহান একটি নিয়ামাহ্ 💝💝
🎙️ শাইখ - ড.মন্জুরে এলাহি (হাফিঃ)🥀🥀
#সহিহ #আকিদা এবং #মানহাজ
ক্ষমতার লোভ যেন আপনাকে জাহান্নামে নিয়ে না যায়‼️
কারণ এদেশের বহু নামধারী ইসলামিক রাজনৈতিক দল ক্ষমতার লোভে তাদের ইসলামিক নীতিকে পরিবর্তন করেছেন ✅
নেতৃত্বঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
তোমরা নিশ্চয়ই নেতৃত্বের লোভ কর, অথচ ক্বিয়ামাতের দিন তা লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে 💔
কত উত্তম দুগ্ধদায়িনী এবং কত মন্দ দুগ্ধ পানে বাধা দানকারিণী (এটা) (অর্থাৎ এর প্রথম দিক দুগ্ধদানের মত তৃপ্তিকর, আর পরিণাম দুধ ছাড়ানোর মত যন্ত্রণাদায়ক)।
📚 বুখারীঃ ৭১৪৮
নাসায়ীঃ ৪২১১, ৫৩৮৫
রিয়াদুস সলেহিনঃ ৬৮২
বুলুগুল মারামঃ ১৩৮৫
হাদিস সম্ভারঃ ১৭৯১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
তুমি নেতৃত্ব চেও না ☑️
কেননা, চাওয়া ছাড়া যদি তোমাকে তা দেয়া হয় তাহলে তোমাকে তাতে সাহায্য করা হবে। আর যদি চাওয়ার পর তা তোমাকে দেয়া হয়, তবে তা তোমার দায়িত্বেই ছেড়ে দেয়া হবে (অর্থাৎ এর ভাল মন্দের দায়িত্ব তোমারই থাকবে)।
তুমি যখন কোন বিষয়ে কসম কর আর অন্যটির মাঝে কল্যাণ দেখতে পাও, তখন যেটার মাঝে কল্যাণ সেটাই কর। আর তোমার কসমের কাফ্ফারা আদায় করে দাও।
📚 বুখারীঃ ৬৬২২, ৬৭২২, ৭১৪৬, ৭১৪৭
মুসলিমঃ ৪৬০৯
আবু দাউদঃ ২৯২৯
তিরমিজিঃ ১৬২৯
আল লুলু ওয়াল মারজানঃ ১০৭১, ১১৯৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম মানুষ হবে যারা নেতৃত্ব ও শাসন ক্ষমতায় জড়িয়ে না যাওয়া পর্যন্ত একে অত্যন্ত অপছন্দ করবে‼️
মানুষ খণির মত। যারা জাহিলীয়্যাতের যুগে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম, ইসলাম গ্রহনের পরও তারা শ্রেষ্ঠ ও উত্তম।
📚 সহিহ বুখারীঃ ৩৫৮৮, ৩৪৯৬,
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
#ক্ষমতা
খতমে নবুয়ত একটি প্রমাণিত বিশ্বাস।
নিচে এর দলিল দেওয়া হল:
আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করছেন,
"মুহাম্মাদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা ছিলেন না। তবে তিনি আল্লাহর রাসূল এবং সর্বশেষ নবী।
— 📗 ৩৩, সূরা আহযাব, আয়াতঃ ৪০,
তাফসীর কারক আল্লামা ইমাম ইবনে কাসীর বলেন,
“ "অত্র আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে, তার (মুহাম্মাদ) পরে কোন নবী নাই। নবী যখন আসবেন না রাসূল আসার তো কোন প্রশ্নই উঠেনা। এ ব্যাপারে রাসূল থেকে অসংখ্য মুতাওয়াতির হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ”
হাদিসের দলিল
প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাঃ বলেন,
"আমি হলাম শেষ নবী; আমার পরে কোন নবী নেই।"
📚 জামে' আত-তিরমিজি ২২১৯, ২৮৪০, ৩৭২৪, ৩৭৩০
বোখারী: ৪৪১৬, ৩৪৫৫
মুসলিম: ৪৬৬৭, ৫৯৯৯, ৬১১৪
আবু দাউদ ৪২৫২
ইবনে মাজাহঃ ১২১, ২৮৭১
মিশকাত ৫৪০৬,
রিয়াদুস সলেহিনঃ ৬৬১,
আল লুলু ওয়াল মারজান: ১৫৫৬,
হাদিস সম্ভারঃ ৩৮০, ১৮১৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সাহাবী আবু হুরাইরা হতে বর্ণিত, মুহাম্মদ বলেন:
"আমি এবং পূর্ববর্তী অন্যান্য নবীদের উদাহরণ হল, এক লোক একটি দালান অত্যন্ত সুন্দর করে তৈরী করল। কিন্তু দালানটির এক কোনে একটা ইট ফাঁকা রেখে দিল। লোকজন চর্তুদিকে ঘুরে ঘরে তার সৌন্দর্য্য দেখে বিমোহিত হচ্ছে কিন্তু বলছে, এ ফাঁকা জায়গায় একটি ইট বসালে কতই না সুন্দর হত!"
তিনি আরো বলেন, "আমি হলাম সেই ইট এবং আমি হলাম সর্বশেষ নবী।"
📚 বোখারী: ৩৫৩৫ (ইফা: ৩২৮০, আ:প্র: ৭২৩১)
হাদিস সম্ভারঃ ৮৭, ২৭১৯
আহমদ: ৭৪৯০
উক্ত হাদিস অনুযায়ী, দালানটির সর্বশেষ ইটটি লাগালেই দালানের কাজ পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। ঠিক তেমুনি, প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা) এর আগমনের ফলে নবুয়তের দায়িত্ব সমাপ্ত হলো। কাজ পরিপূর্ণ হওয়ায় দালানটিতে যেমন আর নতুন করে ইট লাগানোর প্রয়োজন নেই, ঠিক তেমুনি নবুয়তের দায়িত্ব সমাপ্ত হওয়ায় নতুন কোনো নবি বা রাসূলের আগমনেরও প্রয়োজন নেই। কারণ প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা) এর মাধ্যমেই নবুয়তের দায়িত্ব সমাপ্ত হয়েছে।
যৌক্তিক প্রমাণ
যুক্তি থেকে বিচার করলে দেখা যায় নবিরা আসতেন তিনটি কারণে:
পূর্ববর্তী নবির প্রচারিত শিক্ষা বিলুপ্ত বা বিকৃত হয়ে গেলে
পূর্ববর্তী নবি কোনো নির্দিষ্ট কাল বা স্থানের জন্য প্রেরিত হলে,
পূর্ববর্তী নবির প্রচারিত শিক্ষা অসম্পূর্ণ অথবা তাতে কোনো সংযোজন বা বিয়োজন প্রয়োজন হলে
কিন্তু মুহাম্মদের জন্য এদের একটিরও প্রয়োজন নেই। তাই আর নবী আসার প্রয়োজন নেই। কারণ-
যুক্তি ১: প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা) এর শিক্ষা ও আদর্শ এখনো বিদ্যমান।
যুক্তি ২: প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা) সর্বকালের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। তার প্রচারিত শিক্ষা ও আদর্শ কিয়ামত পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে।
যুক্তি ৩: প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা) এর প্রচারিত শিক্ষা ও আদর্শ পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ। এতে বিন্দুমাত্র অসম্পূর্ণতা নেই।
কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,
"আজ আমি (আল্লাহ) তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের উপর আমার নিয়ামতকে সম্পূর্ণ করলাম ও ইসলামকে তোমাদের ধর্ম হিসাবে মনোনীত করলাম।"
(📗 ৫, সূরা আল মায়িদাহঃ ০৩)
মক্কা ও মদিনার ইমামগণ আহলুল হাদীস এর মর্যাদা সম্পর্কে কি বললেন।
আল্লাহ যার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন তাকে অপমানিত করার কেউ নেই।
সশব্দে জিকির করা কেন বিদআত...?
হানাফী আলোচক (কামরুল ইসলাম ওলীপুরী)
সবাই মিলে চিল্লাফাল্লা করে জিকির করা সুন্নাহভিত্তিক নয়।
প্রশ্ন-৬২ : সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
🌸শাইখ ড. ছলিহ ইবনে ফাওযান আল ফাওযান🌸
উত্তর : সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফযীলত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।[1]
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَالسَّابِقُونَ الأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آمَنُوا
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين من بعدي تمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ، وإياكم ومحدثات الأمور، فإن كل محدثة بدعة، وكل بدعة ضلالة
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।’’[2]
[1]. বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
من كان مستناً فليستن بمن قد مات، فإن الحيّ لا تؤمن عليه الفتنة، أولئك أصحاب رسول الله - صلى الله عليه وسلم -؛ أَبَرَّ الناس قلوبًا، وأغزرهم علماً، وأقلّهم تكلّفًا
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
আল-লাজনাতুদ দাইমাহ-বা সাউদী স্টান্ডিং ফাতওয়া কমিটির ফাতওয়া: ‘সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধকৃত। আর সালাফে সালেহীন হলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছাহাবীগণ এবং প্রথম তিন যুগের ইমামগণ (রহ.)। আর সালাফী হলো, যারা সালাফে সালেহীনের পদ্ধতির উপর চলে, কিতাবুল্লাহ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাহর অনুসরণ করে, সে পথে দাওয়াত দেয় এবং এর উপর আমল করে। আর উল্লেখিত কাজ-কর্ম যারাই সম্পাদন করে তারা সবাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত হবেন। (ফাতওয়া-লাজনাহ দায়িমাহ খ. ০২ পৃ. ১৬৫. ফাতওয়া নং ১৩৬১)।
[2]. সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬, তিরামিযী ২৬৭৬-হাকীম, খ.০১ হা.৯৬ বাগাভী, শারহুস সুন্নাহ হা. ১০২। (আল-ইরওয়া-হা.২৪৫৫ শায়খ আলবানী এ হাদীছকে সহীহ বলেছেন-অনুবাদক)।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
1216
Dhaka
Mirpur, 1216
🎀 As a Digital Marketer SEO is my passion. Growing an SEO agency & Shopify Dropshipping businesses.
Mirpur
Mirpur, 1216
Hallow their , I am Manab Talukder I am full time Digital Markater.I do all my work with care .
Tinsed Colony, Mirpur 14, Dhaka
Mirpur
আসসালামু আলাইকুম সাধারণ উপকরণে সহজে লোভনীয় রেসিপি পেতে আমার পেইজটির সাথেই থাকুন।