সুন্নতের আমল
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ?
নফসকে,
পোষ মানানো, সিংহকে পোষ মানানোর থেকেও কঠিন..
-রাসাইল ইবনে হাযম ১/৩৯৪
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির জন্য জায়েয নেই, সে তার মুমিন ভাইয়ের সাথে কথা বলা বন্ধ করে রাখবে।’ এজন্য উত্তম হলো, রাগ ঝগড়া ইত্যাদি কারণে যদি কারো সাথে কথা বলা বন্ধও হয়ে যায়, তাহলে সুযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই সালাম-কালামের মাধ্যমে স্বাভাবিক হয়ে যাওয়া। এটাই সুন্নত।
বই: অটুট রাখুন আত্মীয়তার বন্ধন
লেখক: কাযি আবদুল হাই কাসেমি
অনুবাদক: হুসাইন আহমাদ খান
🔻কবীরাহ গুনাহকারীকে কাফের বলা যাবে না‼️
🔷 ইমাম আবু হানিফা আবু যুবাইর থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি হযরত জাবির (رضي الله عنه) থেকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা কি কবীরা গুনাহকে শিরক মনে করেন? উত্তরে তিনি বললেন, না। হযরত আবু সাঈদ (رضي الله عنه) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল! এই উম্মতের মধ্যে কি এমন কোন গুনাহ আছে যা মানুষকে কুফুরী পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়? অর্থাৎ কাফের বানিয়ে দেয়। উত্তরে তিনি বলেন, না, তবে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করলে কাফের হয়ে যায়।
⚫ব্যাখ্যা: মূলত উক্ত হাদিস দ্বারা দু’টি গোমরাহ ফেরকার আকীদা খণ্ডন হয়ে যায়। এক খারেজী সম্প্রদায়। তাদের আকীদা হল মুসলমান কবীরাহ গুনাহের দ্বারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়। যেমন ব্যাভিচার, চুরি, হত্যা ইত্যাদি দ্বারা মুসলমান কাফের হয়ে যায়। দুই. মুতাযিলা সম্প্রদায়। তাদের আকীদা হল মু’মিন ব্যক্তি কবীরাহ গুনাহের দ্বারা মু’মিনও থাকেনা কাফেরও হয়না বরং কাফের ও মু’মিনের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে। উক্ত হাদিস উভয় সম্প্রদায়ের আকীদা খণ্ডন করত: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা বিশ্বাসকে সুদৃঢ় করছে। এদের আকীদা হল আল্লাহর সাথে শরীক করা ব্যতীত কোন কবীরাহ গুনাহের কারণে মু’মিন কাফের হয় না বরং মু’মিনে ফাসিক তথা গুনাহগার মু’মিন হবে। পরকালে গুনাহের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে প্রবেশ করবে। কেননা বিশুদ্ধ হাদিসে আছে, “যে কেউ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
(শরহে মুসনাদে ইমাম আ'যম আবু হানিফা)
Page :- প্রজ্ঞার দিকে আহব্বান
Group :- প্রজ্ঞার দিকে আহ্বান
আজ ১৯ যিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী ফিলিস্তিন স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি পাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ 💝
-আপনার ভবিষ্যৎ আপনার অতীতের চেয়েও উত্তম হবে, ইনশাআল্লাহ🌸
[সূরা আদ-দুহা-০৪]❤️
আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহর রাসূলের সহি হাদিস.
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত সমস্ত উঁচু মাজার ভেঙ্গে সমান করে দাও...
আপনার মেয়েকে/বোনকে অবশ্যই শেখাবেন:🥀💝
১- মাটি থেকে কখনও কোনো কিছু উঠাতে গেলে অবশ্যই বুকের উপর এক হাত দিয়ে তারপর উঠাতে যাবে।
সতর ঢাকার সতর্কতা স্বরুপ এটা করা উচিত।
২- পুরুষ মানুষের সামনে কখনও পায়ের উপর পা তুলে বসবে না, দুই পা'কে মিলিয়ে বা খুব কাছাকাছি রেখে বসবে।
৩- সিঁড়িতে উপরের দিকে উঠার সময় যদি পেছনে কোনো পুরুষ মানুষ থাকে, তাহলে এক কোনায় গিয়ে কিছুক্ষণ স্থির হয়ে দাঁড়াবে, পুরুষ লোকটি চলে গেলে তারপর উঠবে।
৪- লিপ্টে ওঠার সময় যদি অপরিচিত পুরুষ মানুষ থাকে এবং মাত্র একজনই থাকে, তাহলে তার সাথে ওঠবে না, অপেক্ষা করবে, সেই অপরিচিত লোকটি বের হলে তারপর উঠবে।
৫- সবসময় মুচকি হাসার অভ্যাস করবে, উঁচু আওয়াজে অট্টহাসি হাসবে না।
৬- তোমার চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই বা ফুফাতো ভাইদের সাথে মুসাফাহা করবে না, যদিও তোমার কাছে তাদের ছোট মনে হয়।
৭- কোনো প্রয়োজনে পুরুষ মানুষের সাথে কথা বলতে হলে, অবশ্যই শারীরিকভাবে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলবে।
৮- নিকটাত্মীয় হলেও কাজকর্মে বা কথা বার্তায় অবশ্যই একটা সীমারেখা বজায় রাখবে। নিজের ভাবগাম্ভীর্য এমনভাবে বজায় রাখবে, যেন তোমার প্রতি তার ভিতরে খারাপ কল্পনা তৈরি না হয়।
৯- রাস্তাঘাটে নিজ বান্ধবীদের সাথে হাসি ঠাট্টা করবে না, রাস্তার শিষ্টাচার বজায় রাখবে।
১০- তারা যেন বেপর্দা না করে এবং বেপর্দা করে যেন বাহির না হয় ! যেমন- চুল খোলা রাখা অতিরিক্ত ফিটিং কাপড় পড়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
* মহান আল্লাহ নারীদেরকে এবং আমাদেরকে সংশোধন হবার তাওফিক দান করুন!
আমীন🥀💝
🌟🌟 ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন ধন্যবাদ 😊
এক মহিলা ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানী রাহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞেস করেন-
ফদ্বীলাতুশ শাইখ, আমি বিয়ের আগে বেশি বেশি নামাজ, রোজা আদায় করতাম, কুরআন তিলাওয়াত করে শান্তি অনুভব করতাম, নেক আমলে শান্তি পেতাম কিন্তু এখন আমি সেসব বিষয়ে ঈমানের স্বাদ খুঁজে পাই না..
ইমাম আলবানী রহিমাহুল্লাহ ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করেন, হে আমার মুসলিম বোন, তুমি তোমার স্বামীর হক আদায় করা এবং তাঁর কথা শোনার ব্যাপারে কতটুকু মনোযোগী?
মহিলা একটু বিরক্তবোধ করে বলে, শাইখ আমি আপনাকে নামাজ, রোজা, কুরআন তিলাওয়াত আর আল্লাহর আনুগত্যের কথা জিজ্ঞেস করছি, আর আপনি আমাকে আমার স্বামীর ব্যাপারে বলছেন!
শাইখ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমার বোন, অধিকাংশ মেয়ে এই কারণে ঈমানের স্বাদ, আল্লাহর আনুগত্যে ইবাদতে তৃপ্তি পায় না। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মহিলা ঐ সময় অবধি ঈমানের স্বাদ বা তৃপ্তি পাবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের স্বামীর হক্ব আদায় করবে। [সহীহ আত তারগীব, ১৯৩৯]
জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিবে। কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেওয়া হইবে। যাহাকে অগ্নি হইতে দূরে রাখা হইবে এবং জান্নাতে দাখিল করা হইবে সেই সফলকাম এবং পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়।
كُلُّ نَفْسٍ ذَآٮِٕقَةُ الْمَوْتِؕ وَاِنَّمَا تُوَفَّوْنَ اُجُوْرَكُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِؕ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَاُدْخِلَ الْجَـنَّةَ فَقَدْ فَازَ ؕ وَمَا الْحَيٰوةُ الدُّنْيَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الْغُرُوْرِ
সূরা নম্বরঃ আল ইমরান, আয়াত নম্বরঃ ১৮৫
পুরুষের বাবরি চুল (রাসূল ﷺ এর হারিয়ে যাওয়া একটি সুন্নাহ)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আরব পুরুষদের রীতি ছিল লম্বা চুল রাখা। রাসুল (ﷺ) নিজেও লম্বা চুল রাখতেন। তার চুল কখনো কানের মাঝামাঝি, কানের লতি কিংবা দুই কাঁধ পর্যন্ত লম্বা থাকতো। তার চুল কাঁধ ছাড়িয়ে আরো লম্বা হত বলে জানা যায়। [১]
কখনো এতদূর অবধি লম্বা হত যে তা বিনুনি/গুচ্ছ করে রাখতেন। তার চাচাতো বোন উম্মে হানী রা. বলেন,
"(মক্কা বিজয়ের সময়) রাসুলুল্লাহ (ﷺ) যখন মক্কায় আগমন করলেন তখন তাঁর (ﷺ) চুলে চারটি গুচ্ছ বা বিনুনি ছিল" [২]
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম বলেন, "তাঁর (ﷺ) চুল যখন লম্বা হতো তখন তিঁনি তা চারটি গুচ্ছে বিভক্ত রাখতেন।" [৩]
*আরবীতে চুল জড়িয়ে বা বিনুনি করাকে "গাদীরাহ" বলে। হাদীসে "আরবায়ু গাদায়ের" চারটি গুচ্ছ ভাষাটি ব্যাবহার হয়েছে।
ইবনু হাজার আসকালানী (রহ.) বলেন, "অধিকাংশ সময়ে তাঁর (ﷺ) চুল এরূপ কাঁধের কাছাকাছি থাকত। কখনো তা আরো লম্বা হতো এবং ঝুলন্ত গুচ্ছে পরিনত হতো। তিঁনি সেগুলোকে বিনুনি বানিয়ে রাখতেন" তবে কাঁধ অবধি থাকা তাঁর স্বাভাবিকতা ছিল।[৪]
হজ্জ বা উমরা ব্যতীত তিঁনি (ﷺ) কখনো মাথার চুল মুন্ডন করেছেন বলে জানা যায় না। [৫]
সেজন্যই এ নিয়ে মতভেদ আছে মুন্ডন করা যাবে কি যাবে না। কোনো কোনো ফকীহ হজ্জ উমরা ছাড়া মাথা মুন্ডন কে মাকরুহ বলেছেন। দু কারনে তাদের মতের পক্ষে এ প্রমান পেশ করেন। প্রথমত, রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজে কখনোই হজ্জ উমরা ছাড়া মাথা মুন্ডন করেন নি। দ্বিতীয়ত - বিভিন্ন হাদীস থেকে মাথা মুন্ডন আপত্তিকর বলে জানা যায়। সাহাবীগন ছোট চুল রাখতেন। নেড়া পরিহার করতেন।
জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "হজ্জে বা উমরা ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না" (দূর্বল সনদ) [৬]
*দূর্বল হলেও বেশ কয়েক সনদে হাদীসটি উল্লেখ আছে। (তবে হাদীসের বর্ননা সূত্রের কেউ মিথ্যায় অভিযুক্ত নন)। আবু নু'আইমের বর্ণনায় হাদিসটি হলো,
"হজ্জে বা উমরা ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না। এছাড়া তা সৃষ্টি বিকৃতি করা বলে গণ্য হবে।" [৭]
অন্য হাদীসে জাবির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
"যে ব্যক্তি (মাথার চুল) মুন্ডন করে, (পোশাক পরিচ্ছদ) ছিড়ে ফেলে বা চিৎকার করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।" (সহীহ সনদ)
আমার সবচেয়ে পছন্দের ৩টি লাইন...!
১."ফা ইন্না মা'আল উসরি ইউসরা"
- নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে।
২."হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল"
- আমার জন্য আমার আল্লাহ'ই যথেষ্ট।
৩."ইন্নাল্লাহা মা'আস সাবিরিন"
- নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীল'দের সাথে আছেন।
আলহামদুলিল্লাহ🥀
আল্লাহ বলেন, আমি ৬টি জিনিসকে লুকিয়ে রেখেছি ৬টি স্থানে। কিন্তু মানুষ তা খুঁজে বেড়ায় ভিন্ন জায়গায়।
১. আমি দ্বীন ইসলামকে রেখেছি ক্ষুধা, দারিদ্রতা ও ধৈর্যের মধ্যে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে উদরপূর্তি ও দুনিয়ার স্বচ্ছলতার মধ্যে।
২. আমি সম্মান রেখেছি শেষ রাতের ইবাদতে, কিন্তু মানুষ খোঁজে, শাসক ও ক্ষমতাবানের সাহচর্যে।
৩. আমি সুখ স্বাচ্ছন্দ্য রেখেছি জান্নাতে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে দুনিয়াতে।
৪. আমি বড়ত্ব রেখেছি বিনয় ও নম্রে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে অহংকারে।
৫. আমি ধনী হওয়া রেখেছি অল্প তুষ্টিতে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে লোভ- লালসার মধ্যে।
৬. আমি দোয়া কবুল হওয়াকে নিহিত রেখেছি হালাল উপার্জনের মধ্যে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে হারাম উপার্জনে।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে সঠিকভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন,
আ-মীন।
(সংগৃহীত)
চেয়েছিলাম একটুখানি! অথচ আমার রব আমাকে এক সমুদ্র সমান নেয়ামত দিয়ে আবারও বুঝিয়ে দিলেন তার পরিকল্পনা সবচেয়ে উত্তম!
আলহামদুলিল্লাহ!🧡
মুসলিম নারীর অমুসলিম পুরুষের সঙ্গে বিয়ে
প্রশ্ন : কোনো মুসলিম নারী অমুসলিম পুরুষের সঙ্গে বিয়ে করার হুকুম। কী? এ ক্ষেত্রে যদি নারীর এমন আশা থাকে যে, বিয়ে করার মাধ্যমে পুরুষ মুসলিম হয়ে যাবে, তাহলে এমন আশায় অমুসলিম পুরুষের সঙ্গে মুসলিম নারীর বিয়ে করা সহিহ হবে কি না? অন্যদিকে ওই মুসলিম নারী বিয়ে করার মতো তার সমপর্যায়ের কোনো মুসলিম পুরুষ পাচ্ছে না আবার জীবন পরিচালনায় অর্থনৈতিক সংকীর্ণতার কারণে সে নিজেও দীন থেকে বিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিয়ে জায়েজ বলার কোনো সুযোগ আছে কি না?
উত্তর : কোনো অবস্থাতেই কোনো মুসলিম নারীর জন্য অনুসলিম পুরুষের সঙ্গে বিয়ে করা জায়েজ নেই। পবিত্র কুরআনের স্পষ্ট হুকুম রয়েছে-
‘ঈমান আনা ছাড়া মুশরিক পুরুষদের সঙ্গে নিজেদের নারীদের বিয়ে দিয়ো না। অবশ্যই মুশরিক অপেক্ষা মুসলিম দাস উত্তম। যদিও তোমাদের কাছে মুশরিক ভালো লাগে।’[১] অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে-
‘মুসলিম নারীরা মুশরিক পুরুষদের জন্য বৈধ না। আর মুশরিক পুরুষরাও মুসলিম নারীদের জন্য বৈধ নয়।’
কেবল কোনো অমুসলিমের ইসলাম গ্রহনের আশা বা সম্ভাবনা কোনো মুসলিম নারীর জন্য তার সঙ্গে বিয়ে করা জায়েজের কারণ হতে পারে না। আর না এ ধরনের আশা ও সম্ভাবনা কোনো হারামকে হালাল করতে পারে। অনুরূপভাবে কোনো নারী যদি ইসলাম গ্রহন করে, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের অভিমত অনুযায়ী শুধু তার ইসলাম গ্রহণের দ্বারাই তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। অবশ্য ইমাম আবু হানিফা রহ এর অভিমত অনুযায়ী শুধু ইসলাম গ্রহণের কারণেই বৈবাহিক সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে না। বরং স্ত্রী ইসলাম গ্রহণের পর স্বামীকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া হবে। দাওয়াত দেওয়ার পর সে যদি ইসলাম গ্রহণ করে নো, তাহলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে। আর সে যদি ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি ঘটবে।
আর যদি কিছু দিন পর স্বামী ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে দেখতে হবে যে, স্ত্রীর ইদ্দত শেষ হয়েছে কি না? স্বামী যদি স্ত্রীর ইদ্দতকালীন ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে তাদের প্রথম বৈবাহিক সম্পর্কটি ফিরে আসবে। আর যদি ইদ্দত শেষ হওয়ার পর স্বামী ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে নতুন করে তাদেরকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। নতুন করে বিয়ে করার পর তারা আগের মতো স্বামী-স্ত্রী থাকবে। এ মাসআলার ব্যাপারে সব ফকিহ একমত। সুতরাং স্বামীর ইসলাম গ্রহণের আশা বা সম্ভাবনার ভিত্তিতে ইসলামের একটি অকাট্য হুকুম পরিবর্তিত হতে পারে না।
[১] [সুরা বাকারা, আয়াত 221
[২] সূরা মুমতাহিনা আয়াত 10
[3] ফিকহি মাকালাত 1/236
হে আমার রব! একমাত্র আপনিই'তো আমার মনের অবস্থার ব্যাপারে জানেন। পৃথিবীতে একমাত্র আপনিই গোপন-প্রকাশিত, দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান সব বিষয় সম্পর্কে অবগত আছেন।🖤
আপনি (আল্লাহ) ছাড়া আর কে আছে যে আমার অন্তরে লুকায়িত বিষয় সম্পর্কে খবর নিবে...? একমাত্র আপনিই পারেন আমার মনের অবস্থার পরিবর্তন করতে। আর আমি আপনার উত্তম ফয়সালার জন্য অপেক্ষমান।
নিশ্চয়ই আপনি উত্তম পরিকল্পনাকারী এবং গোপন বিষয় সম্পর্কে খবর রাখেন।💚
“চিনোস আমারে” বলে গত ১০০ বছর আগে যারা বাজার আর রাস্তা গরম করতো, তারা আজ একাকী শুয়ে আছে কবরে। আজ তাদের সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মতও কেউ নেই। আসলেই তাদের কেউ চিনে না আর।
গোরস্থানের সারি সারি কবরের মাঝে তার কবর কোনটা? খুঁজে বের করতে পারে না তার বংশধরেরাও। অথচ তাদের নাম শুনলে একসময় থরথর করে কাপতো মানুষ। তাদের কবরের উপর দিয়েই আজ শিয়াল কু*কু*র হেঁটে যায়।
খাটের এক কোনে শুয়ে থাকা প্য্যরালাইজড লিকলিকে বৃদ্ধ মানুষটিও একদিন কথায় কথায় “দেখে নেয়ার” হুমকি দিতো। অথচ আজ তাকেই দেখার কেউ নেই। সন্তানেরাও তার খোঁজ নেয় না।
ভুলে যায় মানুষ তার অতীত, ভুলে যায় ভবিষ্যত। এটাই নিয়ম। তারপর ও মানুষের কতো ক্ষমতার দাপট? মৃ*ত্যুতে সব ধুয়ে মুছে বিলীন হয়ে যায়।
ইবলিশ নাকি একবার মূসা (আ.)-কে বলেছিল:
‘মূসা, রাগের সময় সাবধান থেকো! শিশুরা যেভাবে বল নিয়ে খেলে, রাগান্বিত ব্যক্তিদের নিয়ে আমি সেভাবে খেলি। নারীদের ব্যাপারেও সাবধান। কারণ, আমি নারীদের দিয়েই সবচেয়ে গভীর ফাঁদ পাতি। কিপটামি থেকেও সাবধান। কারণ, কিপটে ব্যক্তির দুনিয়া-আখিরাত দুটোই আমি বরবাদ করি।’
— ইমাম গাযালী (রহ.)
সূত্র: মনের ওপর লাগাম ২, পৃঃ ৭৮
আপনার জীবন অনেকবেশি সহজ হয়েছে আপনার যোগ্যতার কারণে নয়, সম্ভবত আপনার বাবা-মা’র দোয়ার কারণে।🥀💔
ঈদ মুবারাক🌙
তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
#ইন্না-লিল্লাহ 😭😢
পাকিস্তানের বিশ্ববিখ্যাত আলেমেদ্বীন, মাওলানা তারেক জামিল সাহেব, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হসপিটাল ভর্তি আছেন। হে আল্লাহ শায়েখ কে আপনি দ্রুত সুস্থতা দান করুন।..................আমিন 🤲🤲
যে ব্যাক্তি ঈমানসহ পূণ্যের আশায় রামাদান এর রাতে কিয়াম করে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
(সহীহ বুখারী, ৩৭)
আমি রাহমানের বান্দা। কৃতজ্ঞ হওয়ার জন্যে এরচেয়ে বড় কারণ আর কী লাগে!
-আরিফ আজাদ
যে ব্যক্তি সওয়াবের আশায় রমজানে রোজা রাখবে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হবে। সহীহ বুখারী ১৯০১।
কবরবাসীরা দীর্ঘ ১১ মাস অপেক্ষা করেছেন এই রমজান মাসের জন্য। আল্লাহ তুমি সকল কবরবাসীকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করো। (আমিন)
রমজানের কারনে একমাসের ছুটিতে যাচ্ছেন ইবলিশ,
সেই সাথে নিজের দায়িত্ব বাংলাদেশের ব্যবসায়ীকে বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন,
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِير
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিন ফাকির।
অর্থ : ‘হে আমার আল্লাহ! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাজিল করবেন, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।
(সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)
আমাদের কী? আমরা তো খেতে পাচ্ছি!
যতক্ষন পর্যন্ত গোটা উম্মতকে আমার দেহের মত মনে না করব ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহর দরদ আমার ভিতর আসবে না।
আল্লাহ তায়ালা গায়েবিভাবে মাযলুমদের সাহায্য করুন আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
Allahu akbar
১) ওর এমন মৃত্যু মনে নিতে পারছি না।
২) অকালে ঝরে গেল এক তাজা প্রাণ।
কারও অপ্রত্যাশিত মৃত্যু দেখলে অনেকে এভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকি। এ জাতীয় কথা যে ঈমানের জন্য কতো বড়ো ঝুঁকির, সে চিন্তাও করি না।
* আল্লাহ তাআলা বলেন–
هُوَ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
তিনিই জীবন দান করেন, তিনিই মৃত্যু দান করেন, তাঁর কাছেই তোমরা ফিরে যাবে'। (সূরা ইউনুস : ৫৬)
যেখানে মৃত্যুর ফায়সালা দিচ্ছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা, সেখানে আমি কী করে বলি–''ওর এমন মৃত্যু মনে নিতে পারছি না'?
প্রশ্ন হতে পারে–তাহলে কি কারও মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা যাবে না?
উত্তরে সহীহ বুখারীর একটি হাদীস আপনার সামনে রাখি।.. তখন (নবীজীর পুত্র) ইব্রাহীম রাযি. মুমূর্ষু অবস্থায়। এতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উভয় চক্ষু হতে অশ্রু ঝরতে লাগল। আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাযি. বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনিও (দুঃখে ক্রন্দন করছেন?)
তখন তিনি বললেন–(দুঃখে শোকে) চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হয়, হৃদয় হয় ব্যথিত। তবে আমরা মুখে তাই বলি যা আমাদের রব পছন্দ করেন। হে ইব্রাহীম! তোমার বিচ্ছেদে নিঃসন্দেহে আমরা শোকসন্তপ্ত। (সহীহ বুখারী : ১৩০৩)
অকাল মৃত্যু বলতে কিছু আছে?
* আল্লাহ তাআলা বলেন–
لِکُلِّ اُمَّۃٍ اَجَلٌ ؕ اِذَا جَآءَ اَجَلُهُمۡ فَلَا یَسۡتَاۡخِرُوۡنَ سَاعَۃً وَّ لَا یَسۡتَقۡدِمُوۡنَ
প্রত্যেক উম্মতের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট সময়। যখন তাদের নির্দিষ্ট সময় চলে আসবে, তারা তার একমুহূর্তও আগপাছ করতে পারবে না। (সূরা ইউনুস : ৪৯)
তাহলে বলুন–অকাল মৃত্যু বলতে কিছু আছে? নাকি প্রতিটি মৃত্যুই তার যথাযথ সময়ে? যে সময় নির্ধারণ করে রেখেছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা।
অতএব আমাদের কর্তব্য হবে, আমরা আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্তের সামনে মাথানত করব। নিজেদের মানবীয় দুঃখ-শোক সেভাবে ব্যক্ত করব, যেভাবে করার অনুমোদন দেয় ইসলাম।
الَّذِیۡنَ اِذَاۤ اَصَابَتۡهُمۡ مُّصِیۡبَۃٌ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّا لِلّٰهِ وَ اِنَّاۤ اِلَیۡهِ رٰجِعُوۡنَ
اُولٰٓئِکَ عَلَیۡهِمۡ صَلَوٰتٌ مِّنۡ رَّبِّهِمۡ وَ رَحۡمَۃٌ ۟ وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡمُهۡتَدُوۡنَ
যারা বিপদ আক্রান্ত হলে বলে 'নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী'।
তাদের উপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।
(সূরা বাকারাহ : ১৫৬-১৫৭)
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Website
Address
Dhaka
Mirpur, 1216
🎀 As a Digital Marketer SEO is my passion. Growing an SEO agency & Shopify Dropshipping businesses.
Mirpur
Mirpur, 1216
Hallow their , I am Manab Talukder I am full time Digital Markater.I do all my work with care .
Tinsed Colony, Mirpur 14, Dhaka
Mirpur
আসসালামু আলাইকুম সাধারণ উপকরণে সহজে লোভনীয় রেসিপি পেতে আমার পেইজটির সাথেই থাকুন।