MOHAMMAD RABIUL HOSSEN SHAHROUF
I'm Mohammad Rabiul Hossen Shahrouf. Telecom/Network System And Security Engineer. Security Research I'm Mohammad Shahrouf .
I'm Professional Telecom/Network System and Security Engineer and Security Researcher , IoT Researcher , Surveillance System and Security Engineer .
অসম্ভব রকমের ভালো কেউ কখনোই আমায় বাসে নি,
কারো পছন্দের শীর্ষ তালিকায় আমি কখনোই নিজের নাম লেখাতে পারিনি!
আমায় ঝাপটে ধরে কেউ কোনোদিন বলে নি তুমিই আমার সব,আমায় নিজের করে পাওয়ার জন্য কেউ কখনো মরিয়া হয়ে ওঠেনি!
কারো চোখেই আমি পৃথিবীর একমাত্র সুদর্শনা হতে পারে নি,আমার জন্য কেঁদেকেটে কখনো কেউ বুক ভাসায় নি।
আমি কখনো কারো একান্ত আপন মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি,কারো জন্য আমি তাঁর ব্যক্তিগত সুখ নামে পরিচিতি পাইনি।
আমায় ভেবে কেউ কখনো নির্ঘুম রাত কাটায় নি।
আমার অপেক্ষায় কেউ কখনো প্রহর গোনে নি।
আমায় হারানোর ভয়ে কেউ কখনো কুঁকড়ে রয় নি।
এক জীবনে এসে ছিলো তো অনেকেই।
যে যার মতো ব্যবহার করেছে আমায় আর ব্যবহার শেষে ছুড়ে ফেলেছে অপ্রয়োজনীয় বস্তুর মতো পথের মাঝে! শেষবার ঘাড় টুকু ফিরিয়ে আমার অবস্থা দেখা'র প্রয়োজনটুকুও বোধ করনি তাঁদের কেউই!
এই ভ্রম্মান্ড জুড়ে আমি একা হতে চাই এক্কেবারে একা।দূর আকাশের সেই শুকতারার মতো একা যার কোনো উপগ্রহ নেই,যার মাঝে নেই পাওয়ার আকাঙ্খা না হারানোর ভয়!
লেখাাঃরুসমিতা বিনতে মেহেদী
#সাহরুফ
আমার অনেক মানুষের প্রয়োজন নেই।
আমার খুব কম সংখ্যক মানুষই থাকুক,যারা আমায় বুঝবে!আমি হারিয়ে গেলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রটিয়ে দিবে পুরো পৃথিবী!
আমার অনেক মানুষের প্রয়োজন নেই।
আমার অন্তত একটা মানুষই থাকুক,যে কিনা আমি না থাকলে,শোক পালন করবে।অসুস্থ থাকলে সেবা না করুক,অন্তত অসুস্থতার খবর শুনে যার মন ব্যকুল হয়ে থাকবে এই সাধারণ আমিটার জন্য।
আমার অনেক মানুষের প্রয়োজন নেই।
আমার অন্তত খুব কম সংখ্যক মানুষই থাকুক,যারা আমায় শুধু ভালোবাসবে,যারা ভরসা দিবে খারাপ সময়ে।
পৃথিবীর এই শত-কোটি মানুষের ভীড়ে আমার অনেক মানুষের প্রয়োজন নেই।
আমার খুব কম মানুষই থাকুক,যারা মানসিক শান্তি দিবে,যারা আমায় হাসাবে।
আমার সত্যিই অনেক মানুষের প্রয়োজন নেই।
আমার প্রয়োজন খুব অল্প সংখ্যক মানুষ,যারা শুধু নিজেরাই ভালো থাকতে নয়,আমাকেও ভালো রাখতে আসবে।
কিছু সংখ্যক থাকুক,তাও যদি না থাকে,তবে অন্তত একটা মানুষই না হয় থাকুক;যে আমায় আমার মতো করেই বুঝবে!ভালো আর মন্দের সংমিশ্রণের এই ‘আমিটাকে’ ভালোবাসবে।
অন্তত একটা মানুষই থাকুক,আমায় প্রচন্ড ভালোবাসুক,আমাকে আমার মতো করে বুঝুক।
তবুও অন্তত একটা মানুষই থাকুক-আমার জীবনের জন্য আশির্বাদ হয়ে।
[Published:16 Jul,2022]
লেখায়ঃ Md. Shahrouf🌼
📸Shahrouf404(Instagram)
যে মার্কেটিং ষ্টাটেজির কারনে ফেসবুক বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি!
২০১৭ সালে ফ্সেবুকের বাৎসরিক ব্যয় ছিল বিশ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার কোটি ডলার। কিন্তু আমরা তো ফ্রিতে ফেসবুক ব্যাবহার করে থাকি। তাহলে ফেসবুক কিভাবে এই বিশাল টাকা সংগ্রহ করে। আর তার আয়ের বিশাল অংশ কোথায় খরচ করে।
প্রথমত, আমরা যখন কোনো ছবি বা ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করি, তা একটি সার্ভারের মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রদর্শিত হয়। ধরেন, আপনার মোবাইলে একটি ছবি তুলবেন, তখন যদি আপনার মোবাইলে মেমরি কার্ড বা ফোন মেমরি না থাকে তাহলে কি হবে? আপনি ছবিটি তুলতে পারবেন না বা সংরক্ষণ করতে পারবেন না।
ঠিক তেমনি আপনি ফেসবুকে আপলোড করা ছবি দেখতে হলে, সেটা একটা সার্ভারে সংরক্ষিত থাকতে হবে। আপনি যখন লগ ইন করেন তখন সেটা আপনার কাছ থেকে রিকুয়েস্ট পেয়ে, বলতে পারেন, আলোর গতির কাছাকাছি গতিতে ঐ সার্ভারে মধ্যে রাখা আপনার তথ্য আপনাকে প্রদর্শন করে। এই প্রক্রিয়াটা এতই দ্রুত হয়, যা থেকে বুঝা যায় না যে এই ছবি বা ভিডিওটি হাজার মাইল দূরে কোন বড় সার্ভারে মেমরি কার্ডে রয়েছে। আপনি জানলে হয়ত আবাক হবেন, ফেসবুকের ব্যয়ের বেশির ভাগই এই সার্ভার রক্ষনাবেক্ষণ করতে গিয়ে খরচ হয় ।
কিন্তু ফেসবুক তো আর ছোট কোম্পানি না যা মোটামুটি একটা সাইজের সার্ভার হলেই হবে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফেসবুকের ২.৩ বিলিয়ন গ্রাহক রয়েছে। ফেইসবুকে প্রতিদিন ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ভিডিও দেখা হয়। এখানে প্রতি মিনিটে ৩,১৭,০০০ স্ট্যাটাস আপডেট হয় । প্রতি মিনিটে ৪০০ নতুন গ্রাহক নিবন্ধিত হয়। প্রতি মিনিটে ১,৪৭,০০০ ছবি আপলোড হয় এবং ৫৪০০০ লিঙ্ক শেয়ার হয়। এই বিশাল পরিমান ডাটা সংরক্ষন করতে গিয়ে ফেবুকের প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হয়।
২০১৭ সালে ফেসবুকের সর্বমোট খরচ ছিল ২০,৪৫০ মিলিওন ডলার বা ২০ বিলিয়ন ডলার। এখন এই বিশাল পরিমাণ টাকা কোথা হতে আসে? আমরা জানি এটা সাধারণত বিজ্ঞাপন থেকে আসে। কিন্তু , প্রশ্ন হচ্ছে বিজ্ঞাপন মার্কেটে তো ফেইসবুক একা নয়, গুগল, ইয়াহু সহ আরও শতাধিক বিভিন্ন বড় বড় এ্যাড নেটওয়ার্ক রয়েছ। তাহলে মানুষ ফেসবুকেই কেন বেছে নেবে।
মুলত ফেইসবুক কোন কোন ক্ষত্রে আপনার সম্বন্ধে আপনার থেকে বেশি জানে। আপনার নাম। ঠিকানা, জন্ম তারিখ তো খুবই সাধারন! আপনি কি পছন্দ করেন? আপনি কোন রেস্টুরেন্টে খেয়েছেন? আপনার প্রিয় হোটেল কি? আপনার জন্মদিন কবে? আপনার বন্ধুর জন্মদিন কবে? আপনার গার্লফ্রেন্ড এর জন্মদিন কবে? ফেসবুক সবই জানে। তারা আপনার এই ডাটাগুলা বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে শেয়ার করা মাধমে বিজ্ঞাপনদাতাদের একটি সংকীর্ণ টার্গেট করে দেয়।
ফেসবুক মুলত দুইটি ইন্টারেস্টিং ষ্টাটেজি ব্যবহার করে থাকে। একটি হচ্ছে, গ্রাভিং স্টেটেজি এবং অপরটি কপিকাট স্টেটেজি দেখুন, ২০১৪ সালে একটি ভিসি কোম্পানি (বিনিয়োগকারী) হোয়াটস-আপ কে ১.৫ বিলিয়ন ডলার ভ্যালুয়েশন করে বিনিয়োগ করে, তার ঠিক এক মাসের মধ্যে ফেসবুক হোয়াটস-আপ কে ১৯ বিলিয়ন ডলার এর বিনিময়ে ক্রয় করে। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন!
যেখানে ১.৫ বিলিয়ন ডলার ভ্যালু মেনে বিনিয়োগ করা হয়েছিল, সেখানে ১৯ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ফেসবুক হোয়াটস-আপ ক্রয় করে। কারন কি? কারন হোয়াটস-আপ ফেসবুকের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল হোয়াটস-আপ কিছুদিনের মধ্যে ফেসবুককে পিছনে ফেলে দিবে, ব্যবহারকারীদের জন্য হোয়াটস-আপ ফেসবুক থেকে বেশি নিরাপদ ছিল। এক জায়গায় কথা বলা ও মেসেজ ছিল দেওয়া এবং ফেসবুক থেকে দ্রুত লোড হত।
ফেসবুক কিনে তার গতি স্টপ করে দিয়েছে। ফেসবুক না কিনলে হয়ত, হোয়াটস-আপ আজকের মত থাকত না, নতুন নতুন ফিচার আসত। আপনারা হয়ত তখন হোয়াটস-আপ এর ওয়ালে – স্ট্যাটাস, ভিডিও, লিঙ্ক শেয়ারিং, নিউজ শেয়ারিং সবই দেখতে পেতেন। টুইটার হ্যাস ট্যাগ নিয়ে এসেছে, ফেসবুক চেষ্টা করেছে টুইটারকে ক্রয় করার জন্য যখন পারেনাই তখন টুইটারের হ্যাস ট্যাগ কপি করে ফেলেছে।
স্নেপচ্যাট স্টরি দিয়ে জনপ্রিয়তা পায়, ফেসবুক সেই স্টরি কপি করে নিয়ে এসেছে। ইনস্টাগ্রামকে তো কিনে হোয়াটস-আপ এর মত গতি স্টপ করে দিয়েছে। মুলত ফেসবুক চায় মানুষ যেন তার প্লাটফর্ম থেকে শিফট না হয়। অন্য সামাজিক সাইটের যে ফিচার তা মানুষের জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সেটা তারা কপি বা ক্রয় করে, যাতে মানুষ ঐ সুবিধাটা ফেসবুকেও পেতে পারে ।
আসলে এই শতাব্দীতে শুধু গ্রেট প্রডাক্ট হলেই ব্যবসা সাফল্য পাওয়া যাবে না, সাথে গ্রেট বিজনেস ষ্টাটেজি থাকতে হবে যা আপনার ব্যবসাকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আপনাকে লিডার বানিয়ে রাখবে।
ব্যবসায় প্রতিযোগীতায় টিকতে কিভাবে ক্রেতার কাছে উপস্থাপন করবেন
উদ্যোক্তা হয়ে সবাই জন্মগ্রহণ করেন না, কখনো ভাবেনও না যে তিনি ব্যবসা চালাবেন। তাই থাকে না কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতাও। তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি জায়গাতেই প্রতিযোগিতার সীমা নেই। যে কাজই করতে ইচ্ছুক হোন না কেনও আপনাকে সবার সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে।
তবে সবার মাঝে টিকে থাকাটা অনেক কঠিন এবং সেটি সবার দ্বারা সম্ভবও হয়না। কারণ, প্রতিযোগিতার বাজারে যারা নিজেকে একটি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে পারেন কেবল তারাই সফলতার সাথে টিকে থাকে। এখন কথা হচ্ছে কিভাবে আপনি নিজেকে, নিজের সেবাকে অন্য সকলের থেকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে ব্যবসায় আপনার সফলতাকে এগিয়ে নিবেন। তাই পাঠকদের জন্য এবার ১০টি উপায় উপস্থাপন করছে। যেগুলো ব্যবহারে আপনি ব্যবসায় সফলতা পাবেন।
১. আই কনট্যাক্ট: উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি যখন কোনো কোম্পানির কাজে মিটিংয়ে যাচ্ছেন তখন আপনাকে মুখের ভাষার পাশাপাশি শারীরিক অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ করতে হবে। যা আপনার বক্তব্য উপস্থাপনে বিশ্বাস ও সততা বাড়াবে। তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি মঞ্চে ওঠে অভিনয় করবেন। বরং অতিরিক্ত পরিমাণ আই কনট্যাক্ট আবার আক্রমণাত্মক ভাব প্রকাশ করতে পারে। তাই যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই আই কনট্যাক্ট করতে হবে। কথা বলার সময় কারও প্রতি অপলক নয়নে তাকিয়ে থেকে কথা বলা উচিত নয়। সব ধরনের দর্শক ও শ্রোতাদের প্রতি নজর দিতে হবে। তাহলে এদিক থেকে আপনার সফলতা আসবেই।
২. ধ্যান করা: ব্যবসায়িক উন্নতির জন্য প্রচুর পরিমাণে নিজেকে ধ্যানে মগ্ন রাখুন। ব্যবসায়িক কাজে তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার নেই। মেডিটেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি বিষয় বহু ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
৩. কুশল বিনিময়ের ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন: ব্যবসায়িক সফলতা পেতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যে জিনিসটা দরকার তা হলো- অন্যান্য ব্যবসায়িক কর্মকর্তাদের কুশল বিনিময়ের ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন। যাতে তাদের মধ্যে আপনার সম্পর্কে কোনো ধরনের নেতিবাচক ধারণা জন্ম না নেয়। এজন্য হ্যান্ডশেক হতে পারে অন্যতম মাধ্যম। তবে এক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। কারণ এর মাধ্যমেই অন্যর সাথে পরিচয়টা বাড়ানো যায়।
৪. কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি করুন: প্রতিষ্ঠানে আপনি যে স্থানে অবস্থান করছেন। কেউ যদি সেই স্থানে আপনার কাজে সাহায্য করার নাম করে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে তবে আপনার অবস্থান হারাতে পারে। তাই এটিকে কখনই প্রশ্রয় দেবেন না। এটা না করে বরং তাদের সাহায্য নিয়ে আপনার কাজের ক্ষেত্র আপনিই প্রসার করুন। তাহলে দেখবেন সফলতা আসবে।
৫. প্রতিষ্ঠানে কখনও অস্থির হবেন না: অস্থিরতা কাজের প্রধান অন্তরায়। তাই কর্মরত অবস্থায় আপনার অস্থিরতা এড়িয়ে চলুন। এটা আপনার কাজের পরিবেশকে নষ্ট করতে পারে। এছাড়া কখনও টেবিলে আঙ্গুল বাজাবেন না, বসের সামনে মাথার চুল আচড়াবেন না, কোনো দুশ্চিতা করবেন না। সবসময় আত্মবিশ্বাসী থাকুন, তবেই দেখবেন সফলতা আপনার কাছে ধরা দেবে।
৬. অতিরিক্ত হাসি বন্ধ করুন: কর্মরত অবস্থায় আপনি হাসতেই পারেন। তবে সেটা যেন অন্যর বিরক্তির কারণ হয়ে না দাড়ায়। তাই হাসার আগে সেখানে নিজের অবস্থানটা তৈরি করে নিন। যাতে কোন অবস্থাতেই আপনার ওপর কেউ অখুশি না হয়।
৭. সবকিছুই পরিচালনা করুন আত্মবিশ্বাসের সাথে: যে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস একটি বড় জিনিস। যা আপনাকে কাজের শক্তি যোগায়। তাই সবকিছু পরিচালনার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী থাকুন। যাতে এটা ছাড়া অন্য কেউ আপনার সম্পর্কে দ্বিতীয় মন্তব্য না করতে পারেন। এমনকি যদি রাগান্বিত থাকেন তারপরেই নিজেকে স্বাভাবিক রাখূন। কখনও উত্তেজিত হবেন না।
৮. নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করুন: যখন আপনি কারো সাথে যোগাযোগ করছেন তখন তার কাছ থেকে বেশি দুরে থাকবেন না বা অতিরিক্ত কাছে আসারও দরকার নাই। বাচনিক যোগাযোগের সাথে তার সাথে অবাচনিক যোগাযোগও রক্ষা করে চলুন। দেখবেন ওই কাজে আপনার সফলতা আসবে।
৯. মুখের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করুন: কোনো স্থানে যদি কিছু উপস্থাপন করেন তবে সাধারণত মানুষ আপনার মুখের দিকেই তাকিয়ে থাকে। তাই যদি যোগাযোগ করার সময় কোনো কারনে আপনার মুখের অভিব্যক্তি খারাপভাবে প্রকাশ করেন। তবে তার দর্শক ও শ্রোতার সাথে যোগাযোগের ওপর্ও বর্তায়। ফলে ফলপ্রসূ যোগাযোগ ব্যর্থ হতে পারে। তাই সর্বদা হাস্যউজ্জ্বল থাকুন। মুখের অভিব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রন করুন।
১০. যোগাযোগ করার সময় চোখ খোলা রাখুন: কারো সাথে যোগাযোগ করার সময় নিজের চোখ খোলা রাখুন। কারণ আপনার চোখের অভিব্যক্তি তার সাথে যোগাযোগকে ফলপ্রসূ করে। কখনই নিচু হয়ে বা নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন না।
সল্প বাজেটে যেভাবে ব্যবসায় মার্কেটিং করবেন
ব্যবসার জন্য মার্কেটিং-এর পেছনে সবসময়ই যে অনেক টাকা খরচ করতে হবে, সেটি একটি ভুল ধারণা। আজকাল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের মার্কেটিং-এ নানা ধরণের বুদ্ধিদীপ্ত আইডিয়া প্রয়োগ করছেন এবং তাতে বেশ সাড়াও পাচ্ছেন। তাই আপনার মার্কেটিং বাজেট যদি কম হয়ে থাকে, তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। কম বাজেটের অথচ ফলপ্রসূ কিছু টিপস নিয়েই সাজানো আজকের এই আর্টিকেল। চলুন জেনে নেয়া যাক টিপসগুলো:
০১। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ নজর দিন: সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করুন। ফেসবুক, টুইটার, লিংকড ইন, পিন্টারেস্ট, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি সাইটগুলোতে বিজনেস অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন এবং সরব থাকুন। অনলাইনেই তৈরি করুন একটি শক্তিশালী ও সুবিশাল নেটওয়ার্ক।
০২। ইনফোগ্রাফিক্স ব্যবহার করুন: ইনফোগ্রাফিক্স মার্কেটং-এর খুবই শক্তিশালী একটি টুল, কারণ অল্প জায়গায় খুব চমৎকারভাবে অনেক তথ্য উপস্থাপন করা যায়। এটি খুব সহজেই সবার দৃষ্টিগোচর হয়, বোঝা সহজ এবং মানুষ শেয়ারও করে প্রচুর!
০৩। ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করুন: পণ্যের ছবি দেয়ার পাশাপাশি ছোট নির্দেশনামূলক কিংবা প্রচারমূলক ভিডিও-ও তৈরি করুন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিডিও খুব ভাল দর্শক তৈরি করে।
০৪। বিজ্ঞাপন দিন: অনলাইনে মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন দেয়ার চেষ্টা করুন। যেমন, বিশেষ কোন প্রদর্শনী বা ইভেন্টের আগে দিয়ে এক সপ্তাহ বা এক মাসের জন্য স্পন্সর্ড অ্যাড দিতে পারেন।
০৫। লিংকড ইন প্রোফাইল তৈরি করুন: বিজনেস নেটওয়ার্কিং-এর জন্য লিংকড ইন একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সাইট। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে এর ব্যবহার তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। লিংকড ইন-এ চমৎকার একটি প্রোফাইল তৈরি করুন। শুধুমাত্র কানেকশন তৈরি করলেই হবে না, গ্রুপগুলোতে যোগ দিন, ডায়লগে অংশ নিন, ব্যক্তিগত বার্তা পাঠান কানেকশনগুলোকে এবং ব্লগ পোস্ট শেয়ার করুন। প্রচার এবং আইডিয়া শেয়ারের জন্য এটি দারুণ কাজে দেয়।
০৬। কাস্টমার রেফারেল প্রোগ্রাম অফার করুন: ফ্রি স্যাম্পলিং-এর মাধ্যমে কাস্টমারদের ফিডব্যাক নিন। মার্কেটিং-এ ওয়ার্ড অভ মাউথ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কাস্টমারদের ফিডব্যাকসমূহ আসলে ওয়ার্ড অভ মাউথ হিসেবেই কাজ করে।
০৭। অনলাইন কন্টেস্টের আয়োজন করুন: অনলাইনে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে কন্টেস্টসমূহ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। একই সাথে প্রচার এবং কাস্টমারকে নিজেদের পণ্য ব্যবহার করতে দিয়ে তাদের মনোভাব সম্বন্ধে ধারণা নেয়া ও সন্তুষ্টি তৈরি করা যায় এই কন্টেস্টেগুলোর মধ্য দিয়ে।
০৮। ইন্ডাস্ট্রি পার্টনারশিপ তৈরি করুন: আপনার ইন্ডাস্ট্রির মধ্যকার এমন কারও সাথে পার্টনারশিপ তৈরি করুন, যে বা যারা আপনার সরাসরি প্রতিযোগী নয়। এটি করলে সম্পূর্ণ নতুন একটি অডিয়েন্স তৈরি হয়। এটি অফলাইনে কোন ইভেন্ট কিংবা অনলাইনেও করা যায়। যেমন: আপনি যদি ওয়েডিং প্ল্যানার হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি কোন বেকারি শপ কিংবা বিউটি পার্লারের সাথে পার্টনারশিপে যেতে পারেন।
০৯। সৃজনশীল বিজনেস কার্ড তৈরি করুন: কথায় বলে, “First impression is the best impression”. একটি চমৎকার বিজনেস কার্ড কিন্তু হতে পারে আপনার ছোট্ট ব্যবসাটির জন্য একটি মাইলফলক!
১০। ই-মেইল মার্কেটিং: নতুন নতুন সংযোগ তৈরি এবং ক্রেতা আকর্ষণে ই-মেইল মার্কেটিং হতে পারে একটি দারুণ লো-বাজেট মার্কেটিং টুল। এই ছিল স্বল্প বাজেটে ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু মার্কেটিং টিপস। শুভ কামনা রইল আপনার ব্যবসার জন্য।
ব্যবসার প্রচার-প্রসারের ৭১ টি কৌশল!
আপনাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা তাদের বিজনেস শুরুর পর কি ভাবে তারা তাদের বিজনেস প্রচার ও প্রসার করা যায় সেই সম্পর্কে জানতে চান । তাই আজকে প্রচলিত কিন্তু খুব এফেক্টিভ এমন ৭১ টি বিজনেস এর প্রচার ও প্রসার এর কৌশল সম্মূহ আপনাদের জন্য দেয়া হল। এখান থেকে কোনটা আপনাদের জন্য বেস্ট হবে আপনারা সেটা নির্বাচন করে সেটা নিয়ে সহজেই কাজ করতে পারবেন । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আসল কাজে ফিরে যায় ।
১. আপনার প্রতিষ্ঠানের সামনে সাইনবোর্ড দিন। প্রতিদিন ১০০ লোকে দেখলে বছরে ৩৬,৫০০ লোকের চোখে পড়বে। ২. গলির মাথায়ও একটা ইন্ডিকেটর দিন, কাজে লাগবে। ৩. ব্যবসাটা যতি সিজনাল হয়, সিজনের শুরুতে এবং মাঝামাঝি সময়ে পোস্টারিং করুন। ৪. সার্ভিসটা যদি এলাকাভিত্তিক হয় কেবল টিভিতে বিজ্ঞাপন দিন। ৫. জাতীয় ব্যবসা হলে টিভিতে এড দিন। এডটা যেন মানসম্পন্ন হয়। ৬. শহরের সর্বত্র যদি সার্ভিস দিতে পারেন। লোকাল বাসে স্টিকার লাগান।
৭. ব্যবসার ভাব বাড়াতে চাইলে বিলবোর্ডে এড দিন। ৮. শুরুতে ব্যাপক প্রচার চাইলে ছোট ছোট ফেস্টুন লাগান। ডিজিটাল ব্যানারে। ৯. যে এলাকায় সার্ভিস দিচ্ছেন সে এ এলাকায় লিপলেট বিতরণ করুন। ১০. শুক্রবারে জুমার নামায শেষে মসজিদের সামনে প্রচারপত্র বিলি করুন, যদি শোভনীয় হয়। ১১. জরুরী হলে আপনার এলাকায় পত্রিকার হকারদের সাথে কন্টাক্ট করুন তারা কাগজের সাথে একটা করে ছোট বিজ্ঞাপন দিয়ে দেবে। ১২. আরো জরুরী প্রচার প্রয়োজন হলে সংক্ষেপে ছোট ছোট বাক্যে মাইকিং করুন।
১৩. ভিজিটিং কার্ড করুন। নিজের নামে, অফিসের নামে এবং সার্ভিসের নামে আলাদা আলাদা। ১৪. লেটারপ্যাড ছাপুন। ১৫. ছোট ছোট প্যাড করুন। বিভিন্ন নোট লেখার জন্য ব্যবহার করুন। কাউকে কোন নোট দিলে সাথে প্রচারটাও হবে। ১৬. অফিসের নামে খাম বানান। কোথাও চিঠি ডকুমেন্ট পাঠালে উপরে নামটা থাকলে তা প্রচার পাবে। ১৭. ক্যালেন্ডার ছাপুন। এক বছরের জন্য ঘরে ঘরে বিজ্ঞাপন চলে গেল। ১৮. নোটবুক ছেপে গিফট করুন। হাতে হাতে প্রচার হলো। ১৯. ডায়রী ছেপে উপহার দিন। জনে জনে প্রচার হলো।
২০. টেলিফোন ডাইরেক্টরী অফিসের নামে বানিয়ে ভিতরে বিজ্ঞাপন দিয়ে গিফট করুন। আপনার নাম অনেকদিন বিভিন্ন লোকের কাছে থেকে যাবে। ২১. ইয়ার প্লানার ছাপুন। টেবিলে রাখবে। লিখতে গেলেই আপনার পন্যের এড দেখবে। ২২. পেপার অয়েট উপহার দিন নাম লোগেসহ। আপনাকে তার মনে থাকবে। ২৩. বিজ্ঞাপনসহ মগ দিন, পানি খেতে গেলে চোখে পড়বে। ২৪. বিজ্ঞাপন সহ পেনস্ট্যান্ড দিন, কলম রাখতে গেলে চোখও রাখবে।
২৫. ফেইসবুকে এড দিন, নতুন প্রজন্ম আকৃষ্ট হবে। ২৬. বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এড দিন, যারা নেট ব্যবহার করে তারা দেখতে পাবে। ২৭. নতুন কোনো অফার এলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন, লোকে জানবে। ২৮. ম্যাগাজিন রঙীন বিজ্ঞাপন দিন, সমঝদার পাঠকের চোখে পড়বে।২৯. বিভিন্ন স্থানে সরাসরি গিয়ে পন্যের কথা বলতে প্রতিনিধি নিয়োগ করুন। ৩০. চিঠি দিন, যাদের আপনি কাস্টমার হিসেবে চান, তাদের কাছে। ৩১. ইমেইল করুন, টার্গেট পিপলসদের মেইলে।
৩২. এসএমএস পাঠান বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষের কাছে। ৩৩. ফেইসবুকে পেইজখুলুন, সেখানে প্রচার করুন। ৩৪. নিজের একটা ওয়েবসাইট খুলন বিস্তারিত তুলে ধরুন। ৩৫. ইউটিউবে ভিডিও এড বানিয়ে তুলে ধরুন। ৩৬. বিভিন্ন মেলায় অংশ নিন। ৩৭. বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অফার দিন। ৩৮. ছাড় দিন কখনো কখনো ৩৯. একটি পন্যের সাথে কিছু একটা ফ্রি দিন।
৪০. পন্যের বা সেবার মান, কর্মীদের আচরণ, প্যাকিং রং এসব সুন্দর করুন। ৪১. সুন্দর একটা স্লোগান নিন। সেটা প্রচার করুন। ৪২. বিভিন্ন বড়ো বড়ো পার্টি ধরুন, সরাসরি কথা বলে। ৪৩. নিজে একটি পত্রিকা বাইর করুন, সেটা যে ব্যবসা করেন সেটার সাথে সম্পৃক্ত হলে ভালো। যেমন ইকমার্স বিষয়ক বা সবজি বেচলে সবজি বিষয়ক। ৪৪. ছাড় দিয়ে কুপন ছাড়–ন, যে বা যারা এ কুপন দিয়ে আসবে তারা বিশেষ ছাড় পাবে। ৪৫. বিজ্ঞাপনসহ শপিং ব্যাগ ছাপুন।
৪৬. নতুন ধরনের কোনো আকষর্ণীয় পাবলিক ইন্টারেস্টের জিনিস বিষয় হলে পত্রিকায় প্রেস রিলিজ পাঠান। ৪৭. বিভিন্ন ব্লগে আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত লেখা পোস্ট করুন। পরোক্ষভাবে আপনার প্রচারণা অব্যাহত রাখুন। ৪৮. আপনার ই শপ হলেও আপনার একটা আউটলেট থাকতে পারে। আপনার মার্কেটে দোকান থাকলেও আপনার একটা ই কমার্স সাইট থাকতে পারে।
৪৯. আপনি আপনার শপেই বিভিন্ন অকেশানে ছাড় দিয়ে ক্রেতা আকর্ষণ করতে পারেন। ৫০. আপনি আপনার কমাশিয়াল সার্ভিসের পাশাপাশি একটা ফ্রি সার্ভিস দিতে পারেন। যা আপনার ব্যবসার সহায়ক হবে। মনে করুন আপনি অনলাইনে ওষুধ বিক্রি করবেন। তাহলে কলসেন্টারের মাধ্যমে ফ্রি টেলিমেডিসিনের একটা অপশন রাখতে পারেন।
নতুন এবং আধুনিক কৌশল: ১. কর্পোরেট কন্টাক্ট: আপনি চেস্টা করুন কোনো বড়ো গ্রুপ কন্টাক্ট করতে। যেমন ধরুন আপনি ডাচবাংলা ব্যাংকের সাথে কন্টাক্ট করলেন যে তাদের কাস্টমারকে বা একাউন্ট হোল্ডারদের আপনি বিশেষ ছাড় দেবেন আবার তারা আপনার ক্লায়েন্টকে তোনো সুবিধা দিলো। আবার এমনও হতে পারে, ব্যাংকের সাথে কন্টাক্ট করলেন যে তাদের কাস্টমারকে বা একাউন্ট হোল্ডারদের আপনি ৭% কমিশন দেবেন। এর বিনিময়ে তাদের সব ব্রাঞ্চে আপনার একটা এড লাগানো থাকবে।
২. কুপন: আপনি যেকোনো ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন দিন এমনভাবে যে বিজ্ঞাপনের একটি কুপন অংশ থাকবে তা যে কাস্টমার সাথে নিয়ে আসবেন তাকে আপনি একটা ছাড় দেবেন। ৩. টিকেট: বাস বা লঞ্চের টিকেট ছেপে দিন। শর্ত হলো টিকেটের একপাশে আপনার বিজ্ঞাপন থাকবে।
৪. প্রচারমূখি পন্য: এমন একটা পন্য চাড়–ন বাজারে যাতে ব্যবসা এবং বিজ্ঞাপন যেন দুটোই হয়। যেমন শপিং ব্যাগ, খাতা যাতে অন্তত একটা অংশে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে। ৫. এসএমএস অফার: এসএমএসে অফার দিন। যেমন এই এসএমএস শো করলে আপনি ৫% ছাড় পাবেন। অথবা আপনার অর্ডার নিশ্চিত করতে ফিরতি এসএমএস দিন। আপনি বিশেষ ছাড় পাবেন।
৬. ওয়েব ইনফো: পরোক্ষ ওয়েব মার্কেটিং । যেমন ধরুন আপনি টুপির ব্যবসা করবেন। অনলাইনে। আপনার নিজস্ব অফিস শোরুম ওয়েবসাইট ফেইসবুক পেইজ আছে। সেখানে কিন্তু তারাই আসবে যারা আপনার পন্যটি কিনতে চান। কিন্তু আপনাকে বাইরের কাস্টমার আনার একটা জন্য এটা একটা উপায় হতে পারে টুপির উপর আপনি একটা তথ্যবহুল ওয়েবসাইট বানালেন।
সেখানে টুপির ইতিহাস নানারকম টুপি থাকলো। তথ্যবহুল হবে। প্রচুর কনটেন্ট থাকবে। দেশে কোথায় কি টুপি পাওয়া যায়। সব তথ্য থাকলো। সাথে আপনার বিজ্ঞাপনটাও ভালো করে থাকলো। এতে করে একজন ভিজিটর টুপির জন্য আসলে আপনাকে পেয়ে যাবে।
৭. মেলায় টিকেট: বিভিন্ন মেলায়ও বিজ্ঞাপন শর্তে টিকেট দিতে পারেন। ৮. আপনি যে পন্য নিয়ে ব্যবসা করছেন সে সম্পর্কে ২/৪ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারী তৈরী করুন। সেটা ইউটিউবে ছেড়ে দিন। বিভিন্ন সিডেতে বিজ্ঞাপন দিন। পরোক্ষভাবে আপনার তথ্য দিন। ৯. এ বিষয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করুন। ব্লগে লিখুন। লেখাগুলো এসইও করুন। পরোক্ষভাবে প্রচারণার কাজ করুন। ১০. বিভিন্ন লোকদের সৌজন্যে দিন। যেমন একজন ব্যাংক ম্যানেজারকে একটি বডি স্প্রে সৌজন্যে দিলে ৫টি বিক্রয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১১. অবৈতনিক মার্কেটিং প্রতিনিধি নিয়োগ দিন কমিশনের ভিত্তিতে। ১২. বিভিন্ন আউটলেট ও শোরুমে ধারে পন্য রাখুন। বিক্রয়ের পর মূল্য সংগ্রহ করুন। ১৩. বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে সরাসরি এবং ভ্রাম্যমান বিজ্ঞাপনও দিতে পারেন। ১৪. ফেইসবুকে আপনার ব্যবসাসংক্রান্ত একটা এডভাইস পেইজ খুলুন। যারা জানতে চায় তাদেরকে জানান।
১৫. কমদামী কিছু পন্য ছাড়–ন যেগুলো আপনার পন্যকে মানুষের মাঝে নিয়ে যাবে আপনার নামটিসহ। ১৬. আপনার পন্য রিলেটেড ব্যবসা নিয়ে একটি টিভি প্রোগ্রাম করুন। ১৭. পন্য ডেলিভারির পর কাস্টমারের সন্তুস্টি সাক্ষাৎকারের নিয়ে ৩০ সেকেন্ডর ২০ টি ভিডিও ছাড়–ন। ১৮. মাউসপ্যাড গিফটকরুন, বিজ্ঞাপন সংযুক্ত থাকবে। ১৯. বিভিন্ন পাবলিক প্রোগ্রামে কোনকিছু স্পন্সর করার মাধ্যমে প্রসার করুন।
২০. আপনি আপনার ব্যবসায়িক বিষয়ে প্রশিক্ষনের মাধমে তা ছড়িয়ে দিতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি অনলাইনে স্কুল মানেজমেন্ট সফটওয়ার সেল করেন। আপনার মার্কেটিং এর জন্য আপনি সারাদেশের বিভিন্ন স্কুলের ১০০০ একাউন্টস অফিসারকে যদি ফ্রি অপারেটিং প্রশিক্ষণ দিতে পারেন তাহলে আপনার পন্য বিপনন অনেক অংশেই সহজ হয়ে যাবে।
২১. আপনি কো স্পন্সর হোন। নগদ টাকা দিয়ে নয় সার্ভিস দিয়ে। যেমন ধরুন আপনি ইলেট্রনিক গেজেট সেল করেন। সেক্ষেত্রে আপনি ক্লোজআপ ওয়ানের প্রতিযোগীদের সেরা ২০ জনকে একটি করে গেজেট দেবেন। শর্ত হলো প্রতিটি কাগজপত্রে গেজেট স্পন্সর বা কো স্পন্সর হিসেবে আপনার নাম লোগে স্থান পাবে। এতে আপনার ব্রান্ডিং হবে।
ব্যবসায়ে ইমোশনাল মার্কেটিং
বাঙালী জাতি হিসেবে একটু আধটু নয় বেশ বড় ধরনের ইমোশনাল আমরা। আর যাই হোক সহজে বিশ্বাস যোগ্যতার কারনে ইমোশন ব্যাপারটা আমাদের মধ্যে খুব সহজে প্রভাব বিস্তার করে। আর সেটাকে একটু দক্ষতার সাথে কাজে লাগাতে পারলে মার্কেটিংয়ে সফলতা পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। তবে অবশ্যই কাজটি নির্ভুল হওয়া চাই। সেই সাথে সাবধানতা ও দক্ষতার সাথে করতে হবে কাজটি।
কর্পোরেট এবং রিটেইল মার্কেটিং উভয় ক্ষেত্রেই ইমোশন কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করাটা বেশ কার্যকর। আর ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরীর ক্ষেত্রে ইমোশোনাল প্রসার কার্যক্রমে সফলতা বেশী পাওয়া যায়। প্রতি ঈদের আগে প্রচারিত গ্রামীন ফোনের ’স্বপ্ন যাবে বাড়ী আমার’ গানের সাথে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটির কথা মনে আছে নিশ্চয়। ভুলে যাবার কথা নয়। কারন এই বিজ্ঞাপনটি যে পরিমান ইমোশনাল ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরী করেছে তা অকল্পনীয়। ঈদে বাড়ি ফেরার আনন্দের সাথে যত দূরে যান সাথে থাকুন। আপনার ইমোশনকে সঠিক প্রক্রিয়ায় কাজে লাগিয়ে ব্যবসা জমজমাট।
কাজলের ভাত বিক্রি(বাংলালিংক) , মাঝির বেটার শিক্ষা(বিজিএমইএ), ইয়োর কান্ট্রি বিল্ডিং মাই মাই কান্টির সিমেন্ট, (ক্রাউন সিমেন্ট), আমি যখন জিতে যাই জিতে যায় মা (ফ্রেস ফুলক্রিম মিল্ক পাউডার), আমরা পৃথিবীটাকে জানতে চাই, পড়ালেখা করে বড় মানুষ হতে চাই (গুডলাক বলপেন), আব্বা হেলিকপ্টার কিনে দিবে (মাইক্যাশ), খেটে খাওয়া দু হাত আর দুপা (ভ্যাসলিন) এমন অসংখ্য ইমোশনাল বিজ্ঞাপন শুধু মাত্র মানুষের ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে মার্কেট শেয়ার দখল করে চলেছে। ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে আপনি ক্রেতার গ্যাপ পার্টনার হতে পারলে সফলতা পাওয়ার রাস্তাটা সহজ হয়ে যাবে।
আপনি ক্রেতার কাছে আপনার সফলতার চেয়ে প্ররিশ্রমী ও উদ্যোমী মানুষ হিসেবে পরিচিত পারলে গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে। আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই আপনাকে উপস্থাপন করতে পারেন সেক্ষেত্রে সেলস নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। সমস্ত বিশ্বের প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় অনুভুতি সেলসের ক্ষেত্রে বেশ বড় একটা প্রভাব বিস্তার করে আছে। এ্যারোমেটিক বিউটি সোপের কথা মনে আছে কি? শুধুমাত্র ১০০ ভাগ হালাল সোপ কথাটি ব্যবহার করে মার্কেটের অধিকাংশ শেয়ার দখল করেছিল কোম্পানীটি। এবং সেটি সম্ভব হয়েছিল শুধুমাত্র রিলেজিয়াস ইমোশন থেকে।
আমাদের দেশে যে সমস্ত হারবাল পন্যের হকারের দেখা পাওয়া যায় তারা আসলে ঠিক কতটুকু পরিমান সেবা বিক্রি করছে তা একটু খানি চিন্তা করলে আমার থেকে আপনি ভাল বুঝতে পারবেন। শুধুমাত্র মানুষের ইমোশনকে পুঁজি করে তারা ব্যবসায় করে চলেছে। আর মাজার পূজারী ভন্ডদের কথা না হয় নাই বললাম।
সত্য সুন্দর উপস্থাপনায় আপনি একজন মানুষের ফোকাস আপনার পণ্যের দিকে ধাবিত করতে পারলেই ব্যবসায়িক সফলতা। মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতার ব্যাক্তিগত বিষয় সম্পর্কে জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে ক্রেতার ধ্যান ধারণা বিশ্বাস মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে হবে। শুধুমাত্র ক্রেতার পছন্দ অপছন্দ নয় তার ব্যাক্তিগত বেশ কিছু সহজ বিষয়ও কৌশলে জেনে নিতে হবে। বিষয়টি আরও একটু পরিস্কার করি। একজন ক্রেতার সাথে ব্যবসায়িক লেনদেনের সম্পর্ক সৃষ্টিই আপনার মূখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ নয়।
মানবিক, স্পর্শকাতর ও ভালবাসার দিকগুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে আপনাকে। এটা একটি সফট কর্ণার। ক্রেতার সাথে পরিচয়ের প্রথম দিকে পারলে তার পরিবার সম্পর্কে জেনে নিন। নিয়মিত খোঁজ খবর করুন তাদের সুস্থ্যতা, পড়াশুনা সহ অন্যান্য ইতিবাচক দিকগুলো কেমন চলছে সে বিষয়ে। কোন সমস্যায় থাকলে সাহায্য করার চেষ্টা করুন একান্ত না পারলে সমাধানযোগ্য পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করুন। তাকে আশ্বস্ত করুন আপনি তার পাশে আছেন যে কোন বিপদে।
আপনার প্রতি আপনার ক্রেতার মনে একটা সফট কর্ণার সৃষ্টি হবে। আপনাকে তাদের পরিবারেরই একজন মনে করতে শুরু করবে। ইতিবাচক সফলতার সাথে সেলস বাড়তে থাকবে। ক্রেতার কাছে আপনার ব্যক্তিগত একটা সুন্দর ইমেজ তৈরী হবে, গ্রহন যোগ্যতা বাড়বে। ক্রেতা আপনার প্রতিযোগীর পন্যের থেকে আপনার পন্যে বেশী বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে। এবং সেটা শুধুমাত্র আপনার ব্যক্তিক রিলেশনের উপরেই।
মার্কেটিং দক্ষতায় ব্যবসার সফলতা
বর্তমান প্রতিযোগীতার বাজারে ব্যবসায় বানিজ্য আগের থেকে অনেক বেশী কঠিন। যদিও বা তথ্য প্রযুক্তির যুগে এসে কিছু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আর নতুন করে যারা ব্যবসায়ে আসতে চাইছেন তাদের ক্ষেত্রে আগের থেকে অধিক ঝুঁকি বহন করতে হচ্ছে। তবে ব্যবসা বানিজ্যের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে নতুন নতুন সুযোগের দুয়ারও খুলছে প্রতিনিয়ত।
সেই সাথে কৌশলগত দিকগুলোতে নিয়মিত একটু নজর দিতে পারলে ব্যবসায়ে সফলতা খুব কঠিন কিছু নয়। পন্য বা সেবা বিক্রয়ের মাধ্যমে কোন একটি ব্যবসায়ের আয় আসে। আর এই আয়কে নিয়মিত করতে সঠিক উপায়ে দক্ষতার সাথে মার্কেটিং করতে হয়। এজন্য কোন একটি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগটি হয় সেলস এন্ড মার্কেটিং।
কারন আয়ের উপরেই কোন একটি ব্যবসায়ের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। আর আয় না থাকলে সে ব্যবসায়টি মুখ থুবরে পড়তে খুব বেশী সময় লাগে না। সঠিক পন্থায় দক্ষতার সাথে মার্কেটিং পরিচালনা করতে পারলেই আয়ের সঞ্চালন নিয়মিত হয়। আমাদের অধিকাংশ ষ্টার্ট আপগুলো ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারন মার্কেটিং।
অধিকাংশ ব্যবসায়ের মার্কেটিং বিফল হওয়ার পেছনে অতি সাধারন কিছু কারন আছে।বিষয়গুলো সত্যিই খুব সাধারন যা গুরুত্বসহকারে না দেখার কারনে আমরা সফলতার খুব কাছ থেকে ফিরে আসছি। টার্গেট কাষ্টমারের পছন্দ অপছন্দ ও চাহিদা চিহ্নিত করতে পারছেন না। টার্গেট কাষ্টমারের কাছে পৌছানোর জন্য সঠিক পন্থা অবলম্বন করতে পারছেন না। টার্গেট কাষ্টমারের পেছনে লেগে থাকতে পারছেন না।
আপনার পন্য বা সেবার টার্গেট কাষ্টমারকে সঠিক উপায়ে বিশ্লেষন করতে পারলে প্রথম সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। দ্বিতীয় সমস্যার সমাধান আরও সহজ। ব্যবসায়ের ধরন অনুযায়ী আপনাকে কৌশলের প্রয়োগ করতে হবে। আর পরের ব্যাপারটি ফলোআপ।
টিন এইজ বয়সের প্রেম আর কি! পছন্দের মানুষের বাড়ির আশেপাশে কিংবা তার আসা যাওয়ার পথে তাকে লক্ষ রাখার মত ব্যাপার! কোন একটি ব্যবসায়ে সফলতা পেতে হলে উদ্যোম বিক্রি করতে হবে আপনাকে। একটা পন্যের ফিচার যতটা না বিক্রয়কে প্রভাবিত করে তার থেকে বেশী আপনার উদ্যোম বিক্রয়কে সহায়তা করে।
আর পন্যমান ও যৌক্তিক মুল্য তো অবশ্যই থাকতে হবে। আজকের একজন সন্তুষ্ট ক্রেতা আপনার ব্যবসার জন্য আগামীর সমৃদ্ধি। যারা ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করছেন অবশ্যই আগে থেকে বাজার বিশ্লেষন করুন। যা আপনার ব্যবসায়িক ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
সেই সাথে প্রতিযোগীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি প্রতিযোগীতা মোকাবেলার কৌশল ও ধরন বুঝতে সহায়তা করবে। আর হ্যা অবশ্যই আপনার ব্যবসায়ের মুল বাজেটের একটি বড় অংশ বাজেট করুন ব্যবসায়ের মার্কেটিংয়ের জন্য। শুভকামনা আপনার ব্যবসায়ের সফলতার পথে।
প্রতিযোগীর ধরণ বুঝে মার্কেটিং!
ব্যবসা করার জন্য পরিকল্পনা করছেন কিন্তু জানেন না আপনার জন্য মার্কেট থেকে তাড়াতে কোন ধরনের অস্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করছে। আবার অনেকেই ব্যবসায় পরিচালনা করছেন কিন্তু প্রতিযোগীদের কৌশলের কাছে কোন ভাবেই ব্যবসায়কে এগিয়ে রাখতে পারছেন না। আপনি সহজ ও সরল ভাবে ব্যবসায় করতে মার্কেটে আসছেন। আর আপনার প্রতিযোগী সেই মার্কেটের দখল নিয়ে অলরেডী ব্যবসা করছে।
একটা কথা আছে অবস্থান কেউ কাউকে করে দেয় না। নিজের অবস্থান নিজেকেই নির্ধারন করে নিতে হয়। প্রতিযোগীর কাছ সহযোগীতার আশা করা বৃথা হবে। আপনার প্রতিযোগীকে অনুসরন না করে কৌশলে বাজার অংশ দখল করতে পারাটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আর আপনাকে এজন্য বাজারে থাকা আপনার পন্যের প্রতিযোগী বিশ্লেষন করতে হবে খুব সুক্ষ দৃষ্টিতে।
বাজারে আপনি যে সকল পন্য বিক্রি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একই পন্য আগে থেকে অনেকেই বাজারজাত করছে। আপনার থেকে তার অভিজ্ঞ। সে ক্ষেত্রে আপনার পন্যটির অবস্থান খুব সুদৃঢ় হতে হবে। না হলে মার্কেটে প্রবেশের কিছু দিনের মধ্যে আপনাকে বিদায়ের ঘন্টা বাজাতে হবে।
একটি বাজারে বেশ কিছু প্রতিযোগী পাবেন। যাদের একটি পক্ষ বাজারের খুব বড় অংশ দখল করে নিয়ে মার্কেট লিডার হিসেবে বাজারে অবস্থান করছে। তারই খুব কাছাকাছি কোন কোম্পানী বাজারের সেই বড় অংশ দখলকারী মার্কেট লিডারকে পেছনে ফেলার জন্য প্রতিনিয়ত ধাওয়া করছে। সেই সাথে বাজারে আরও কিছু ছোট ছোট কোম্পানীর দেখা পাবেন যারা নীরবে তাদেরকে দেখছে। তাদের কৌশলগুলো পর্যবেক্ষন করছে। সেই সাথে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করে বাজারে নিজের অবস্থানকে শক্ত করছে।
বাজারে প্রবেশ ও আপনার পন্যের বাজার অবস্থান তৈরীর জন্য মার্কেটে প্রবেশের আগে-পরে বাজার ও প্রতিযোগী বিশ্লেষনের কাজ করতে হবে। আপনি যদি চিন্তা করেন বাজারে দশ বা পনেরটি পন্য বাজারজাত করবেন দেশ ব্যাপী তবে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে সবকটি পন্যই সব স্থানে সব সপরিমান বাজার অংশ দখল করতে পারবে না। কোন কোন স্থানে এমন হবে যে আপনার কোন একটি পন্য নুন্যতম বিক্রয় নাও হতে পারে। আবার অন্য কোন স্থানে সেই পণ্যেরই ব্যাপক চাহিদা পেয়ে যেতে পারেন।
আপনার প্রতিযোগী আপনার সমজাতীয় পন্য কি দামে বিক্রয় করছে? বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ডিলার অথবা ক্রেতাকে কি কি অফার প্রদান করছে? কোন একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাজারে প্রবেশ নিশ্চিত করছে? বিক্রয় পরবর্তী সেবার মান কেমন? ক্রেতা কেন তার পন্যটি বাজারে এসে খুজছে? ক্রেতা কেন সন্তুষ্ট আপনার প্রতিযোগীর পন্যটি ব্যবহার করে? আপনার প্রতিযোগীর পন্য ও আপনার পন্যের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? ক্রেতা যা চায় তা কি আপনার পণ্যে আছে? খুঁজুন প্রশ্নগুলোর উত্তর।
মার্কেট থেকে প্রাপ্ত সঠিক উত্তরের বিশ্লেষন করুন এবং সেই হিসেবে আপনার সামর্থ্য বিবেচনা করে কৌশল নির্ধারন করুন। কৌশল নির্ধারনের ক্ষেত্রে একটি বিষয় সব সময় মাথায় রাখবেন। আপনি অন্যের কৌশল কপি বা অনুকরন করবেন না। নিজেই কৌশল উদ্ভাবন করবেন। অন্যদের কৌশল বিচার বিবেচনা করে আপনি ধারনা নিতে পারেন।
বাজারে প্রবেশের নির্ধারিত কৌশল ধরে রাখুন। এক ধাপে নয় কয়েক ধাপে পরিকল্পনা করুন। একটি স্থায়ী পরিকল্পনার সাথে সাথে কয়েকটি অস্থায়ী পরিকল্পনা করে রাখুন। সততার সাথে সুনাম অর্জনের জন্য ব্যবসা পরিচালনা করুন। আপনার পন্যকে ব্রান্ডে পরিনত করতে খুব বেশী সময় লাগবে না।
কৌশলগত বাজারজাতকরনে নিশ্চিত সফলতা
কৌশলগত বাজারজাতকরণ হলো বাজারজাতকরণের এমন একটি প্রক্রিয়া, যা দ্বারা বিভিন্নরকম কৌশল উন্নয়ন করে পরিবর্তনশীল বাজার অবস্থায় কোম্পানীর সম্পদ, সামর্থ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে কিভাবে আলাদা অবস্থান গ্রহণ করা যায়, তার রূপরেখা তৈরি করে।
অর্থাৎ কৌশলগত বাজারজাতকরণ হলো সম্ভাব্য অথবা প্রকৃত বাজারের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা খুঁজে বের করা ও সম্পদের বণ্টন নিশ্চিতকরত তা সে সুবিধা গ্রহণ করা। কৌশলগত বাজারজাতকরণে যেসকল কৌশল উন্নয়ন করা হয় সেগুলো হলো: পণ্য কৌশল, মূল্য কৌশল, বন্টন কৌশল এবং প্রসার কৌশল। কৌশলগত বাজারজাতকরণ একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে:
ধাপ ১: কৌশলগত অবস্থা বিশ্লেষণ: একটি প্রতিষ্ঠান যখন বাজার উপযোগী বাজারজাতকরণ কৌশল গ্রহণের উদ্যোগ নেয়, তখন কয়েকটি বিষয়কে বিবেচনা করা জরুরি। পণ্যবাজারকে জানা ও বোঝা খুবই জরুরি। এতে বাজার সম্পর্কিত পরিকল্পনায় বাস্তবতা প্রাধান্য পাবে। এছাড়া এতে প্রতিযোগীদের শক্তি-সামর্থ, সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এসময় প্রতিষ্ঠানের SWOT Analysis বা শক্তি-দুর্বলতা-সুযোগ-হুমকি বিশ্লেষণ করা জরুরি। বাজারের সমস্ত ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করা সম্ভব হয় না বলে নির্দিষ্ট ক্রেতাদেরকে সকল ক্রেতা থেকে আলাদা করে নেয়া (বাজার বিভাজন) জরুরি। কেননা সঠিক ক্রেতাদের চিহ্নিত না করতে পারলে বাজারে টিকে থাকাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
সব সময় বাজার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। কেননা প্রতিনিয়ত বাজার পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বাজারের ক্রেতাদের চাহিদায়ও পরিবর্তন আসছে। তাই পরিবর্তনশীল বাজার সম্পর্কে যত বেশি জানা যায়, তত বেশি বাজারে অবস্থান গ্রহণ সহজ হয়।
ধাপ ২: বাজার কৌশলের নকশা প্রণয়ন: কৌশলগত বাজারজাতকরণে কৌশলের নকশা প্রণয়ন সবচেয়ে বেশি জরুরি। কারণ এই নকশার ভিত্তিতেই কৌশলগত বাজারজাতকরণের রূপরেখা নিশ্চিত হবে। এক্ষেত্রে করণীয় কাজগুলো হলো: লক্ষ্য-বাজার উপযোগী কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে একদিকে যেমন পণ্য ভ্যালু পরিবর্তন বিবেচনা করতে হয়, তেমনি অন্যদিকে ক্রেতার নিকট পণ্য যেন সমস্যা সমাধানের বস্তুতে পরিণত হয়, তার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
বাজারজাতকরণের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন পক্ষগুলো, তথা সরবরাহকারী, বণ্টনকারী, ক্রেতা প্রভৃতি সকল পক্ষগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কৌশল প্রণয়ন করতে হয়। পণ্যের জীবনচক্রের পতনস্তরে যেন কোম্পানী নতুন নতুন পণ্য বাজারজাত করতে পারে, তজ্জন্য নতুন পণ্যের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি।
ধাপ ৩: বাজারমুখী কার্যক্রম উন্নয়ন: বাজারমুখী কার্যক্রম উন্নয়ন বেশ জটিল এবং এপর্যায়ে বাজারজাতকারী বাজার অবস্থান গ্রহণে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করে থাকেন। শুরুতেই পণ্য কৌশল গ্রহণ করতে হয়। পণ্য কৌশল নির্ধারণ করে তা বণ্টনের কৌশল নির্ধারণ করতে হয়। বণ্টন কৌশল অবশ্যই সহজতর উপায়ে বণ্টনকে নিশ্চিত করবে।
এরপর পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। পণ্যের মূল্য নির্ধারণ কৌশলে অবশ্যই মানসম্মত কিন্তু ক্রেতা-উপযোগী মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। এই পণ্যটি লক্ষ্য-বাজারে যথোপযুক্ততায় পৌঁছে দিতে প্রসার কৌশল গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে ক্রেতার নিকট ব্র্যান্ডকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার কৌশল গ্রহণ করা হয়।
ধাপ ৪: বাজারমুখী কৌশল প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা: বাজারমুখী কৌশল প্রণীত হবার পর তা থেকে প্রতিষ্ঠান সুফল পায় যখন তা প্রয়োগ ও পরিচালনা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে দুটো বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়: বাজারমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো সফলতা পায় তখনই যখন প্রয়োজনীয় কাজে লোক নিয়োজিত করা যায়।
প্রতিষ্ঠানের কাজের উপযোগী লোক নিয়োগ করার মাধ্যমে একটি কার্যকরী বাজারমুখী সংগঠন তৈরি করা বাজারমুখী কৌশল প্রয়োগের অন্যতম একটি ধাপ। বাজারমুখী কৌশল প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে বাজারজাতকরণ পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন করতে হয়। পরিকল্পনা প্রয়োগ করার পাশাপাশি তা নিয়ন্ত্রণও করতে হয়।
পরিকল্পনার যাবতীয় বিচ্যুতি সংশোধনের ব্যবস্থা থাকতে হয়। যারা ব্যবসায়ে নতুন তাদের জন্য বাজারজাত করন বেশ চ্যালেজিং। তবে উপরের উল্লেখিত যাবতীয় পদক্ষেপ অনুসরণের মাধ্যমে কোম্পানী তার প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করে সাফল্যের সাথে বাজারজাতকরণ সম্পন্ন করতে পারে।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Muradpur
4317
Muradpur
My goal is to establish Peace and order in society by propagating the peaceful rules of Islam.
Muradpur Chittagong
Muradpur
YouTube - Md sayeed Hossain. Instagram - Md Sayeed Hossain Subscribe my Chenla....
Muradpur
�السلام عليكم ورحمة الله وبركاته ومغفرته� Let's do something excellent. ��
Muradpur, 4200
চির স্থির হয়ে যাবার আগে, ভালো কিছু করে যেতে হবে, যাতে বিস্ময় জাগে!!� want to show my creativity.�
Muradpur
এখানে নতুন বাম্পার বানানো এবং বাম্পার মেরামত করা হয় । নোহা এবং টি আর এক্স সি কন্ডিশন এর কাজ করা হয়।