English Learning Center by Nirob sir
I want to serve the human beings through my profession
TAG Question Exceptional Exercise
English grammar, there are 10 variations of Tag questions which help you to work out the advanced questions on Tag Questions. In these 10 rules or variations, you are going to learn the shortcut strategy of answering tag question in your academic exams such as J.S.C, S.S.C, H.S.C, University Admission, and various job exams.
ইংরেজি ব্যকারনে Tag Question এর উপর ১০ টি ভিন্ন নিয়ম কানুন রয়েছে যা তোমাকে Tag এর উপর আগত কঠিন প্রশ্নের সমাধান করতে সাহায্য করবে। এই ১০ টি নিয়মের মধ্যে তুমি শিখতে যাচ্ছ Tag questions এর সহজ কৌশল যা ব্যবহার করে তুমি বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষায় যেমন জে.এস.সি, এস.এস.সি, এইচ.এস.সি, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা বা বিভিন্ন চাকুরীরপরীক্ষায় Tag এর উপর প্রশ্ন সুমুহের উত্তর করতে পারবে।
Before this lesson, i had published another one lesson Tag Questions in English Grammar in which i had discussed over the
primary facts of tag questions along with the structure. If you have not read that lesson before this lesson, you must read that first. Otherwise, you may face difficulties in understanding this lesson.
এর পূর্বে আমি এর উপর আরও একটি অধ্যায় প্রকাশ করেছিলাম যেখানে Tag Questions এর মৌলিক বিষয়বস্তু আলোচনা করা হয়েছে এবং এর গঠনতত্ত্ব। যদি তুমি পূর্বে সেই অধ্যায়টি Tag Questions in English Grammar না পড়ে এই অধ্যায়টি পড় তবে অনেক কিছুই বুঝতে সমস্যা হতে পারে।
However, now i want to start my discussion. Below, i have given a chart on the 10 Rules of tag questions and i have also explained those elaborately.
যাইহোক, এখন আমি আমার আলোচনা শুরু করতে চাই। নিম্নে আমি একটি ছক দিয়েছি যেখানে ১০ টি কৌশল সংক্ষেপে দেখানো হয়েছে এবং নিম্নে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
10 Variations in Tag Questions
Tag Questions এ ১০ টি ভিন্নতা
No.
Forms of Sentences
Tag Questions
1.
Let`s
Shall we?
2.
Don`t/let him,me,her
Will you?
3.
Request/order/advice
Will you/would you/can you/could you?
4.
Someone/somebody/everyone/everybody/none/nobody/anyone/anybody
Auxiliary Verb+they?
5.
Something/everything/anything/
nothing
Auxiliary Verb+it?
6.
Here/there/it
Auxiliary Verb+here/there/it?
7.
Negative word-(few/little/bit/never/hardly/scarcely/
barely/rarely/seldom/no sooner had/nobody/none/no one/nothing/without)
Affirmative form of auxiliary verb+ pronoun?
8.
Complex sentence
(principal clause+sub-ordinate clause)
Verb & subject from principal clause.
9.
All of us/some of them/none of you(as subject)
Auxiliary Verb+we/they/you?
10.
summer/fire/sun/moon/ship/country/river
(as a subject)
(summer/fire/sun=he)
(moon/ship/country/river=she)
Explanation of the Rules in Chart
ছকের নিয়মগুলোর ব্যাখাঃ
Variation-01:
If an imperative sentence starts with the word (let’s), the tag will be ‘Shall we?’.
যদি একটি imperative বাক্য (let’s) শব্দ দিয়ে শুরু হয় তবে tag হবে ‘Shall we?’
Example:
Let`s play football, shall we?
Variation-02:
If an imperative sentence starts with the word ‘don’t/let him/let me/let her/let them, the tag will be ‘will you?’.
যদি একটি imperative বাক্য (don’t/let him/let me/let her/let them) শব্দ দিয়ে শুরু হয় তবে tag হবে ‘will you?’
Examples:
Don`t run in the sun, will you?
Let him play the cricket now, will you?
Variation-03:
If an imperative sentence starts with a verb and indicates Request/order/advice, you will use one of the ‘Will you/would you/can you/could you?’ in answer.
যদি একটি imperative বাক্য verb শব্দ দিয়ে শুরু হয় এবং তা দিয়ে আদেশ,অনুরধ বা উপদেশ বোঝায় তবে ‘Will you/would you/can you/could you?’ হবে উত্তরে।
Examples:
Finish the work as soon as possible, will you?
Please stay here for them, will you?
Variation-04:
If the subject of the sentence is ‘Someone/somebody/everyone/everybody/none/nobody/anyone/anybody’, you will use the pronoun ‘they’ in tag question.
যদি বাক্যের subject হিসেবে ‘Someone/somebody/everyone/everybody/none/nobody/anyone/anybody’ থাকে তবে তুমি pronoun হিসেবে ‘they’ বসাবে।
Examples:
Somebody came here, didn`t they?
Everybody wants to be happy in life, don’t they?
Variation-05:
If the subject of the sentence is ‘Something/everything/anything/nothing’, you will use the pronoun ‘it’ in tag question.
যদি বাক্যের subject হিসেবে ‘Something/everything/anything/nothing’ থাকে তবে তুমি pronoun হিসেবে ‘it’ বসাবে।
Examples:
Everything is similar to you, isn`t it?
Something is similar to it, isn’t it?
Variation-06:
If the subject of the sentence is ‘Here/there/it’, you will use the same pronoun in tag question.
যদি বাক্যের subject হিসেবে ‘Here/there/it’ থাকে তবে এদের pronoun একই হবে tag question এর ক্ষেত্রে।
Examples:
There was a pond, wasn`t there?
Here is your new note-book, isn’t here?
Variation-07:
In English sentences, only ‘no or not’ is not the sign of negative sentences. There are some other negative words which make sentences negative. The negative words are: few/little/bit/never/hardly/scarcely/barely/rarely/seldom/no sooner had/nobody/none/no one/nothing/without. In this case, you will make the tag in affirmative form.
ইংরেজিতে শুধুমাত্র ‘no বা not’ না-বোধক বাক্যের চিহ্ন নয়। আরও কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলো থাকলে সেই বাক্যটিকে না-বোধক রূপে গণ্য করতে হবে এবং তখন tag এর উত্তর হাঁ-বোধকে হবে। (few/little/bit/never/hardly/scarcely/barely/rarely/seldom/no sooner had/nobody/none/no one/nothing/without)
Examples:
They hardly come here, do they?
I have few tickets now, have I?
You never study hard, do you?
Variation-08:
If the sentence is a complex sentence, you will get two clauses or sentences in it. Definitely, you will be confused in this situation. But remember, for making tags, you have to follow the tense and subject of the principal clause. There is an easy method of recognizing the principal clause in a complex sentence. If there is a comma (,) between the two clauses, the last one is principal clause. But if there is no comma (,) between the two clauses, the first one is principal clause
Complex sentence এর ক্ষেত্রে তুমি দুটি বাক্য পাবে যার একটি হল principal clause এবং অপরটি হল sub-ordinate clause । মনে রাখবে tags করার জন্য তোমাকে সবসময় principal clause টি অনুসরন করতে হবে। principal clause চেনার একটি সহজ উপায় রয়েছে। যদি তুমি দুটি বাক্যের মাঝে কোন কমা(,) পাও তবে ২য় বাক্যটি principal clause এবং তার subject এবং tense অনুসরন করে করতে হবে। কিন্তু যদি কোন কমা না থাকে তবে ১ম বাক্যটি principal clause হবে।
Examples:
As they phoned me, I went there, didn`t i?
The boy waits here though I have ordered him to leave, doesn’t he?
Variation-09:
If the sentence starts with ‘All of us/some of them/none of you’, you will use the subjective form of the pronoun in tag such as (All of us=we)/(some of them=they)/(none of you=you).
যদি বাক্যটি ‘All of us/some of them/none of you’ দিয়ে শুরু হয় তবে tag করার সময় এদের subjective রূপটি ব্যবহার করতে হবে যেমনঃ (All of us=we)/(some of them=they)/(none of you=you)
Examples:
None of us can buy it, can we?
All of us were present in the last class, weren’t we?
Variation-10:
If we get the words ‘summer/fire/sun’ as a subject in the sentence, we use the pronoun ‘he’ in the subject of tag question but if we get the words ‘moon/ship/country/river’ as a subject in the sentence, we use the pronoun ‘she’ in the subject of tag question
যদি আমরা বাক্যের subject হিসেবে ‘summer/fire/sun’ পাই তবে এর pronoun হিসেবে ‘he’ বসাতে হবে কিন্তু যদি আমরা ‘moon/ship/country/river’ পাই তবে এর pronoun হিসেবে ‘she’ বসাতে হবে
Examples:
Summer is a hard time, isn’t it?
The country has developed, hasn’t she?
An exceptional form of tag!
Tag এর একটি ব্যতিক্রম রূপ!
Yes, there is an exceptional structure in a tag question if the verb is ‘am’. You can not use the form (am’nt) in tag. If there is the verb ‘am’, you will use the form ‘are/aren’t’ in that place.
হ্যাঁ, Tag এর গঠনে একটি ব্যতিক্রম নিয়ম রয়েছে। এটি হল ‘am’ এর ক্ষেত্রে। তুমি কখনোই ‘am’ রূপটি Tag এ ব্যবহার করতে পারবেনা। যখন তুমি verb হিসেবে ‘am’ পাবে তখন তাকে ‘are/aren’t’ এ পরিবর্তন করে বসাতে হবে।
See the examples:
I am writing a report for the project, aren’t I?
I am not aware of the fact, are I?
Finally, I want to show you some confused usages of tag questions in English grammar.
সবশেষে, আমি তোমাকে tag questions এর কিছু দ্বিধাযুক্ত ব্যবহারগুলো দেখাতে চাই।
Confusion-01:
You know, now-a-days, some learners follow British English and some follow American English.
তুমি জানো যে এখন শিক্ষার্থীদের মাঝে কেও British English অনুসরন করে আবার কেও American English অনুসরন করে।
See the examples:
He had a nice book, hadn`t he? (British style)
He had a nice book, didn`t he? (American style)
Confusion-02:
(The short form ‘d’ may indicate the verb ‘would/had’. If the form of principal verb after it is in base form, it indicates ‘would’. But If the form of principal verb after it is in past participle form, it indicates ‘had’
‘d’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ দুটি verb কে বোঝাতে পারে যেমনঃ ‘would/had’ যদি তুমি ‘d’ এর পড়ে verb এর মূল রূপ পাও তবে সেটি ‘would’ কে বোঝায় আর যদি রূপ past participle পাও তবে সেটি ‘had’ কে বোঝায়।
See the examples:
I`d meet you in time, wouldn`t I?
I`d completed the task, hadn`t I?
Confusion-03:
Except assertive sentences, you may get also exclamatory sentences or different forms of subject. You will make tag of those sentences following these examples:
সাধারণ বাক্য ছাড়াও তুমি বিস্ময়মূলক বাক্য পেতে পারো বা subject এর ভিন্ন রূপ পেতে পারো। সেক্ষেত্রে বিষয়গুলো বোঝার জন্য নিম্নের উদাহরণগুলো লক্ষ্য করো।
See the examples:
How fine the morning is,isn`t it? (Exclamatory sentence)
Birds fly in the sky,don`t they? (Different subject)
Kindly do me a favour,will you? (Requesting words in Imperative sentence)
Tag Question এর উপর আর তেমন কিছু বলার নেই। যদি তুমি এই নিয়ম কানুনগুলো অনুসরন করো তবে তুমি Tag Question এর উপর যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবে। আমি আশা করছি যে এই অধ্যায়টি তোমাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে সাহায্য করবে। Tag Question এর উপর তোমার চিন্তাধারা কি তা আমাকে জানিও। ধন্যবাদ!
There is nothing more in tag questions. You will be able to work out any question on tag if you study all of these rules and variations. I hope, this lesson 10 Rules of Tag Questions in English will help you a lot to do better in your academic exams. Let me know about your thoughts on tag questions.
Thank you very much.
01. No living being is above death, are they?
02. A boy like you should not do this,should he?
03. Allah may excuse a sinner,mayn’t He?
04. Barking dogs seldom bite,do they?
05. Be dignified,will you?
06. Every action has an equal and opposite reaction,hasn’t it?
07. Good bye,don’t I?
08. He’s reading yesterday,wasn’t he?
09. Men who live long grow old,don’t they?
10. Morning shows the day,doesn’t it?
11. My friends and I hardly go there,do we?
12. My name and address he took with him,didn’t he?
13. My parents and I are happy,aren’t we?
14. Neither of them is guilty,are they?
15. Study hard to succeed in life,will you?
16. The sooner,the better,isn’t it?
17. Who dares to disobey the law,don’t they?
18. You and he went there,didn’t you?
19. You and I came to terms,didn’t we?
20. Many a man will come,won’t they?
21. The little girl knew a little of the matter,did she?
22. A barking dog seldom bites,does it?
23. The Headmaster and the secretary said many things,didn’t they?
24. The oldest of the men little thinks about death,does he?
25. Some one is crying,aren’t they?
26. What a same,isn’t it?
27. Slow and steady win the race,don’t they?
28. All that glitters is not gold,is it?
29. Look here he comes,doesn’t he?
30. The brother in him rose,didn’t it?
31. He set up a school in his village,didn’t he?
32. You never say what you are thinking,do you?
33. Who cares,doesn’t he?
34. Who dares to disobey the law,does he?
35. What a pity,isn’t it?
36. The will of people prevails,doesn’t it?
37. One should do one’s duty,shouldn’t they?
38. The girl in her will surprise you,won’t it?
39. That he is honest is known to all,isn’t it?
40. The tree has borne fruits,hasn’t it?
41. The girl in her pleased us all,didn’t she?
42. He spent few hours with us,didn’t he?
43. I think that he is right,don’t I?
44. The brother in him arose,didn’t it?
45. Everybody desires success,don’t they?
46. The pupil cut a sorry figure in the exam,didn’t they?
47. Many a rose is born to blush unseen,aren’t they?
48. The prime minister with all the members of the cabinet went to the U.S.A,didn’t they?
49. It ‘s hardly rained at all this summer,has it?
50. Your honesty charmed us,didn’t it?
51. A lie never lies hidden for long,does it?
52. The strong always oppress the weak,don’t they?
53. This book is rare now,is it?
54. When he came,I was sleeping,wasn’t I?
55. Pray to Almighty for me,won’t you?
56. The teacher as well as the workers may come,mayn’t they?
57. How time does fly,doesn’t it?
58. Something is better than nothing,isn’t it?
59. That sounds good,doesn’t it?
60. An ideal student hardly studies,does he?
61. To err is human,isn’t it?
62. The girl who came to me is my sister,isn’t she?
63. Death knows no time,does it?
64. That sounds great,doesn’t it?
65. How awful,isn’t it?
66. Good morning,isn’t it?
67. No,there’s too much work to do,is there?
68. He’d finished the work,hadn’t he?
69. His economical policy played a vital role in our economy,didn’t it?
70. Beacutiful secenary,isn’t it?
71. It is man who pollutes the environment,isn’t it?
72. A healthy man can reside only in a healthy body,can’t it?
73. Every action has got an equal and opposite reaction,hasn’t it?
74. No one knows what’ll happen next,do they?
75. How odd! Isn’t it?
76. The helpless will be helped,won’t they?
77. Two and two make four,don’t they?
More exercise
01. Nothing is impossible, is it?
02. I think everybody knows it, don’t they?
03. The idle always lag behind, don’t they?
04. Let’s motivate them, shall we?
05. Motivation seldom goes in vain, does it?
06. Congratulations, you have made an excellent result, haven’t you?
07. Thanks. But my parents and teachers also deserve the credit, don’t they?
08. We ought to remain grateful them, oughtn’t we?
09. You too studied hard, didn’t you?
10. It is our duty to study in a disciplined way, isn’t it?
11. Let us start our journey, shall we?
12. They used to play football in the afternoon, didn’t they?
13. Nobody should laugh at the blind. Should they?
14. There is nothing for her to eat, is there?
15. Mina had better to stay at home, hadn’t she?
16. You aren’t doing the work, are you?
17. Somebody left their house yesterday, didn’t they?
18. What a beautiful day it is, isn’t it?
19. A cat catches a mouse, doesn’t it?
20. Bangladesh is our motherland, isn’t she?
21. Something is burning, aren’t they?
22. Rahim as well as his friends was present, wasn’t he?
23. He did it, didn’t he?
24. I know nothing about him, do I?
25. Let’s arrange a class party, shall we?
26. The moon shines at night, isn’t it?
27. Everybody loves flower, don’t they?
28. Nothing can satisfy him, can it?
29. He has few reasons for waiting, hasn’t he?
30. That was my pen, wasn’t it/ that?
31. Nobody believes a liar, do they?
32. We have to study English, haven’t we?
33. Let her solve the matter, will you?
34. You had better leave now, hadn’t you?
35. We ought to love our motherland, oughtn’t we?
36. Look at this paper, will you?
37. Let’s phone, shall we?
38. It is a beautiful afternoon, isn’t it?
39. Let’s go out for a walk, shall we?
40. The police arrested him, didn’t they?
41. Both are responsible, aren’t they?
42. Let’s take an oath today, shall we?
43. This is the right way to do it, isn’t this?
44. Life is very busy in the big cities, isn’t it?
45. We needed a change in thoughts, didn’t we?
46. Let us make them realize it, shall we?
47. Man is a social being, isn’t he?
48. He cannot live alone, can he?
49. It is man, who pollutes his environment, isn’t it?
50. Every mother loves her child, don’t they?
51. Don’t forget me, will you?
52. My father and I are happy, aren’t we?
53. Men should not tell a lie, should they?
54. We live in Bangladesh, don’t we?
55. The weather was fine yesterday, wasn’t it
স্বপ্ন সেটাই যা পাওয়ার আশায় আমরা ঘুমাতে পারি না
আমার দাদার ১০০ বিঘা জমি ছিলো। আমার বাবার ১০ বিঘা।
এর কারণ এই নয় যে বাবারা ১০ ভাই ছিলেন। কারণ এই যে, বাবা জানতেন দাদা তার জন্য ১০ বিঘা জমি রেখে যাবেন। তাই তিনি ঘুম আর খাওয়া ছাড়া পরিশ্রমের কোনো কাজ করেনি।
যে বাবা-মা সন্তানের জন্য নিরাপদ পরিমান সম্পদ রেখে যান তাদের সন্তানদের আমি দিনে দিনে নিঃশেষ হতে দেখেছি। জমিদারের ৩য় জেনারেশন তাই না খেয়ে মরে।
নিশ্চয়তা মানুষকে অলস থেকে অলসতর করে।
আপনি ভাবছেন আপনার রেখে যাওয়া অর্থ আপনার সন্তানকে নিরাপদ আগামী দেবে? ভুল।
আপনার অর্থ আপনার ৫ বছরের বাচ্চাকে দামী খেলনা দাবী করার মানসিকতা দেবে। ক্লাস টেনে পড়তেই সে চাইবে আই ফোন। ইন্টারে বাইক। অনার্সে গাড়ি, বিস্তর পকেটমানি, সেশন গ্যাপ দেয়ার অধিকার, দামী ঘড়ি আর শুধু জাংক ফুডেই মাসে ১০ হাজার টাকা।
আপনি না দিলে সে বিরক্ত হবে, আপনাকে কৃপণ আর সন্তানের ইমোশোনের গুরুত্ব না দেয়া হার্টলেস বাবা-মা মনে করবে।
আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীটা পরকালের হাশরের ময়দানের মতোই হওয়া উচিত। যার যার পাপ-পূণ্যের মতোই যার যার অর্থ, পরিশ্রমের প্রাপ্তি শুধু তারই হওয়া উচিত।
আপনার কিছু স্বপ্ন ছিলো! আপনি কলেজে পড়ার সময় ভেবেছিলেন দুটো মেয়ের পড়ার খরচ চালাবেন, আমেরিকা না হোক অন্তত নেপাল ঘুরে আসবেন, হজ্জে যাবেন। সেই স্বপ্ন আপনি ভুলে গেছেন সন্তানের নিশ্চিত ভবিষ্যতের ভাবনায়। আপনার এই ত্যাগ সন্তানের কাছে শুধুই দায়িত্ব পালন। অপরাধ সন্তানের নয় কিন্তু। ভুল আপনার। আপনি তাকে জানিয়েছেন 'যা আমার তার সবই তোমার!'
আমি তা করিনি, করবো না। যা আমার তা শুধুই আমার। আমার মৃত্যুর পর তারা পেলেও পেতে পারে, নাও পেতে পারে৷ আমার যদি কঠিন কোনো অসুখ হয় আমি ওয়ার্ল্ড ক্লাস ট্রিটমেন্ট নেবো সমস্ত প্রোপার্টি বিক্রি করে। মাত্র ৫ দিন বেশি বেঁচে থাকার জন্য হলেও এটা আমি করব। আমার সন্তানেরা সেটা জানে। তাই তাদের কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই তারা সারভাইভ করা শিখছে, আমি শিখিয়েছি।
আমি শুধু তাদের পড়া আর চিকিৎসা নিয়ে কোনো প্রকার কার্পণ্য করিনি, করবো না। মা হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে অন্য একজন মানুষ যাকে আমি এ ধরণীতে এনেছি তার প্রতি আমার এটুকুই দায়িত্ব। তারপর সে পৃথিবীর সন্তান। তারপর তাকে আরো লক্ষ সন্তানের সাথে দৌঁড় দিতে হবে, রোদে-ঘামে পুড়ে প্রতিযোগীতা করতে হবে, নিজের জায়গা নিজেকে তৈরী করতে হবে। যদি সে তা করতে সক্ষম হয়, তবেই সে পাবে জীবনের প্রকৃত আনন্দ।
আমার রেখে যাওয়া অর্থ দিয়ে সুখে থাকা আর অন্যের আন্ডারওয়্যার পরে ইজ্জত ঢাকা একই জিনিস৷
আমার সন্তানেরা অন্তত এইটুকু বুঝুক, এইটুকু মেরুদণ্ড তাদের হোক।
সত্যিই যদি সন্তানের ভালো চান তবে তাকে বুঝতে দিন সে একজন পূর্ণ মানুষ। তার দায়িত্ব তার। আপনি তার নির্দিষ্ট দায়িত্ব পাওয়া একজন আপনজন। সন্তানকে আন্তরিকতা দেখান, অর্থ নয়।
যদি পারেন, জেনে রাখবেন আপনার ১০ বিঘা জমি ছিলো আপনার সন্তানের ১২ বিঘা হবে। আপনারটুকু না নিয়েই হবে।
ইতি
একজন মা
©
Collected
নতুন MPO কলেজ শিক্ষক/কর্মচারীদের অনলাইন এমপিও আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রঃ
১। প্রতিষ্ঠানের প্যাডে আবেদন লিখতে হবে। যাতে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতির স্বাক্ষর থাকতে হবে।
২। নিয়োগ ও যোগদান পত্রের স্ক্যান কপি।
৩। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় প্রত্রিকার স্ক্যান কপি।
৪। নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলপত্র।
৫। গর্ভনিং বডি/কমিটির কপি (নিয়োগকালীন ও সর্বশেষ)
৬। প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার প্রথম ও শেষ স্বীকৃতির কপি
৭। প্রতিষ্ঠানের প্রথম ও শেষ MPO এর কপি
৮। রেজুলেশন (১. নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ২. নিয়োগবোর্ড গঠন, ৩. নিয়োগ সুপারিশ, ৪. নিয়োগ অনুমোদন ৫. যোগদান অনুমোদন)
৯। শেষ বেতন বিলের কপি ( যদি স্কুল & কলেজ হয় তবে স্কুলের বেতন বিল দিতে হবে সাথে)
১০। শিক্ষকদের তালিকা প্রত্যেকের স্বাক্ষর সহ।
১১। প্রতিষ্ঠানেরর অবস্হান সর্ম্পকিত স্হানীয় চেয়ারম্যান/ মেয়রের সনদ।
১২। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও শেষ পরীক্ষার মার্কশীট
১৩। বিষয় অনুমোদনের কপি।
১৪। পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
১৫। mpo আবেদন নিজ হাতে পূরন ও প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতির স্বাক্ষর গ্রহন করে তার স্ক্যান কপি।
১৬। জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
১৭। শাখা (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অনুমোদন কপি
১৮। ব্যাংক হিসাব নম্বর ও হিসাব খোলার সময় প্রথম টাকা জমাদানের রশিদ।
১৯। শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ
২০। কলেজ শাখার প্রথম ও শেষ পাঠদানের অনুমতির কপি
২১। বিষয়ভিত্তিক একাদশ ও দ্বাদশ শিক্ষার্থীর তালিকা
২২। শাখাভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) শিক্ষার্থীর তালিকা
বিঃ দ্রঃ সকল কাগজপত্রই স্ক্যান করা লাগবে। যেহেতু অনলাইন আবেদন। আপনার প্রতিষ্ঠানে শুধু হার্ডকপি জমাদিতে হবে।
#সন্তান_ও_শিক্ষা
অর্থবিত্ত হওয়া সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো দশ টাকার বেশি টিফিন খরচ দেইনি। সে বরাবরই তার বন্ধুদের দেখিয়ে বলে বাবা দেখো আজ সে কতো ব্রাণ্ডেড ঘড়িটা পরে এসেছে। বাবা দেখো তার স্কুল ব্যাগটা ইম্পোর্টেট। সুন্দর না বাবা!
আমি মাথা নাড়িয়ে শুধু সম্মতি দেই।
আমার ছেলের সাহস কিন্তু হয়নি কখনো সেম জিনিসটা চাওয়ার। একদিন তার পায়ে সামান্য ব্যথা। স্কুল যাওয়ার সময় বললো বাবা আমাকে তোমার সাথে অফিসের গাড়িতে নিয়ে স্কুলে নামিয়ে দিবে?
আমি তার সমস্যার কথা বিবেচনা করে বললাম ঠিক আছে। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ সে আমার সাথেই গেলো। আমি চুপচাপ তাকে নামিয়ে দিতাম। আমার ছেলের এখন দেখছি হেঁটে যেতে ইচ্ছে করছেনা। পরেরদিন সকালে আমাকে বলার আগে আমিই বলে দিলাম অফিসিয়াল জিনিস ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিষিদ্ধ। বাড়ি থেকে স্কুল দশ মিনিটের পথ নির্দিষ্ট সময়ের আরোও কিছুক্ষণ আগে বের হবে হেঁটে যেতে পারবে। ছেলে আমার প্রচন্ড মন খারাপ করে বসে রইলো।
এদিকে আমার স্ত্রীও মন খারাপ করেছে। কেনো করি এমন! এর উত্তর জানা নেই।
আজ সন্ধ্যায় ছেলে আমার বাড়িতে এসেই বলেছে জানো আমার বন্ধু শহরের সবচেয়ে সেরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমিও ………
বলার আগেই আমি তাকে থামিয়ে জানতে চাইলাম বাবা প্রতিষ্ঠান সেরা হয় নাকি ছাত্র? ধরো আমি তোমায় সে স্কুলে দিলাম কিন্তু তুমি ফেইল করলে কোনো সাবজেক্টে তাহলে আমি কি বলবো তুমি ফেইল নাকি স্কুল?
ছেলে বললো বুঝেছি বাবা।
আমি তার মাথায় হাত দিয়ে বললাম এই পর্যন্ত তোমার ক্লাসের কোনো ছেলেই তোমাকে কাটাতে পারেনি। তুমিই ফার্স্ট বয়। সুতরাং তুমি যেখানে সেরাটা দিবে সেই স্থানই সেরা তোমার মতো।
এরপর সে আর এরকম কোনো কথা বলেনি।
আজ বিকেলে ছেলে বলছে বাবা একজন এক্সট্রা টিউটর দরকার। আমার ম্যাথ ইংলিশে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি ছেলেকে বললাম বাবা একটু কষ্ট করতে হবে। আমি যখন রাত করে বাসায় ফিরবো ন'টা কিংবা দশটায় আমার কাছেই তোমাকে ম্যাথ আর ইংলিশ করতে হবে।
বাবা তুমি টায়ার্ড থাকো না?
আমি হেসে বললাম, না বাবা। আমার কাছে এতো সামর্থ্য নেই তোমাকে এক্সট্রা টিউটর দেওয়ার। আমি বরং একটু কষ্ট করি। কি বলো?
ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো ঠিক আছে বাবা।
স্ত্রী রাতেরবেলা জিজ্ঞেস করলেন তুমি এরকম দশটা টিউটর রাখতে পারো কিন্তু!
কিন্তু আমি চাই আমার সন্তান বুঝুক আরাম করে কিছু পাওয়া যায় না। মানুষের জীবনে অভাব আসলে তা কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় সে সিস্টেম সে শিখুক। কোনো কিছুই মন্দ নয় সে বুঝুক।
আমার স্ত্রী চুপ হয়ে গেলেন।
মাঝেমাঝে আমার ছেলেকে নিয়ে আমি ফুটপাতে হাঁটি। পথশিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের সম্পর্কে জানাই। সে জানুক পৃথিবী শুধু চিন্তায় সুন্দর। বাস্তবে খুব কঠিন।
আমি চাওয়া মাত্রই তাকে কিছু দেইনি। একদিন সে বলেছিলো বাবা তুমি এরকম কেনো?
তাকে বলেছিলাম সময় হলে বুঝবে।
দুই তিন আগে সে ইলিশ পোলাও খাবে।
তাকে বললাম টাকাতো কম। তোমার কাছে কিছু আছে? থাকলে ইলিশ আনা যাবে। ছেলে আমার পঞ্চাশটি দশ টাকার নোট বের করে দিল। আমি অবাক হয়ে বললাম তুমি খরচ করোনি?
সে মুচকি হাসি দিয়ে বললো, না বাবা। জমিয়েছি। আমার পরিচিত এক ভাই স্কুলে না খেয়েই আসে। কোনো টাকাও নেই তার কাছে। আসলে সে খুব অসহায় বাবা। আমি মাঝে তাকে ক্ষুধার্ত দেখে বুঝতে পারি সেদিনই তার সাথে খাই কারন তখন সে না করে না। অন্যান্য দিনগুলো টাকা খরচ করিনা। জমিয়ে রাখি কারন বাসা থেকে মা যা দেয় তাতো যথেষ্ট কারন কিছু মানুষ সামান্যটুকুও পায় না।
আমি ছেলের দিকে তাকিয়ে আছি।
সেই গুছানো টাকা নিয়ে আরোও টাকা মিলিয়ে ইলিশ এনে ছেলেকে ইলিশ পোলাও খাওয়ালাম। ইচ্ছে করেই অভাব ফিল করাই যাতে সে বুঝুক জীবনটা কঠিন। অনেক কঠিন।
ঈদের বাজারে গিয়ে তাকে বলেছি সাধ্যের মধ্যে নিতে। সে একটা প্যান্ট নিয়েছে শুধু। জানতে চাইলে বলে তোমার জন্য পাঞ্জাবি আর মায়ের জন্য শাড়ি নিয়েছি।
আমি হাসলাম।
সে বুঝতে শিখেছে টাকা কিভাবে খরচ করতে হয়।
একদিন বসে বসে বলছে বাবা সায়েমটা আর মানুষ হলো না অথচ আংকেল তার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। যা চেয়েছে সে, তার সবটাই তাকে দিয়েছেন। আমি ছেলেকে বললাম আমি কি তোমাকে কিছু দিতে পারিনি?
ছেলে আমার কোলে মাথা রেখে বললো প্রতিটা চাহিদা পূরন করে শিখিয়েছ অভাবে যেন স্বভাব নষ্ট না হয়। তুমি জীবনের যে শিক্ষা দিয়েছ বাবা তা সব কিছুর উর্ধে। তুমি শিখিয়েছ অভাবকে কিভাবে ভালবাসতে হয়। আমি এখনো জানি আমার বাবার আমি ছাড়া কিছু নাই। বাকীটা আমাকে করে নিতে হবে। সবকিছু ইউটিলাইজ করতে হবে। আমি সাধারণ জামাকাপড়েও হীনমন্যতায় ভুগি না বাবা। কারন আমি জানি আমি কে!
তোমার দেয়া শিক্ষা আমি সারাজীবন ধরে রাখবো বাবা। চাওয়া মাত্রই পেয়ে গেলে আমি কখনো জানতামই না পঞ্চাশ দিন না খেয়ে টিফিন মানি জমালে পাঁচশো টাকা জমা হয়। তুমি আছো বলেই সম্ভব। আমি মানুষকে মানুষের চোখে দেখি। আমি বুঝি জীবন কতো কঠিন।
আমার স্ত্রী আমাকে আজ খুব খুশি। বুঝতে পেরেছেন আমার উদ্দেশ্যটা।
প্রায় দশ বছর পর ছেলে প্রাইভেট কার কিনেছে নিজ ইনকামে। হাসতে হাসতে বলে বিগত পাঁচ বছরে টিফিন মানি আর বোনাসের জমিয়ে এটা কিনেছি।
বুঝতে পেরেছিলাম ছেলে আমার সঞ্চয়ী হয়েছে। সাথে হয়েছে মানুষও।
সপ্তাহখানিক পর যাবতীয় সম্পত্তি তার নামে লিখে দিয়ে বললাম সামলে রেখো। ছেলে দলিল আমার হাতে দিয়ে বললো তোমরা সাথে থেকো। আর কিছু লাগবে না।
আজ তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমার স্ত্রী নীলিমাকে বললাম দেখেছো আমি ভুল করিনি। আমি আমার সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাটাই দিয়েছি যেমনটা আমার বাবা দিয়েছিলেন আমাকে। আমি অভাবে সন্তানকে লজ্জিত হওয়া নয় বরং দৃঢ় থাকতে শিখিয়েছি।
সংগৃহীত
একদিন সক্রেটিসের কাছে তার এক পরিচিত লোক এসে বলল, আপনি কি জানেন আপনার বন্ধু সম্পর্কে আমি কি শুনেছি?
সক্রেটিস তেমন আগ্রহী না হয়ে বললেন, এক মিনিট থামেন।
আমাকে কিছু বলার আগে আপনাকে ছোট্ট একটা পরীক্ষা পার হতে হবে; এই পরীক্ষার নাম ‘ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট’।
লোকটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করল, ট্রিপল ফিল্টার!!!
এইটা আবার কি জিনিস?
সক্রেটিস বললেন, আমার বন্ধু সম্পর্কে আমাকে কিছু বলার আগে আপনি যা বলবেন তা ফিল্টার করে নেওয়া ভালো।
তিন ধাপে ফিল্টার হবে বলে আমি এটাকে 'ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট' বলি।
প্রথম ফিল্টার হলো ‘সত্যবাদিতা/Truthfulness.
আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি যা বলবেন তা সত্য?
লোকটা বলল, না, আমি শুধু শুনেছি জাস্ট এতটুকুই।
পুরোপুরি সত্য কিনা, তা নিশ্চিত নই।
সক্রেটিস বললেন, ঠিক আছে।
তাহলে আপনি জানেন না এটা সত্য কিনা?
এবার দ্বিতীয় ফিল্টার। এই ফিল্টারের নাম হল ‘ভালোত্ব/Goodness.
আমার বন্ধু সম্পর্কে আপনি যা বলবেন তা কি ভালো কোনো বিষয়?
লোকটা একটু আমতা আমতা করে বলল,
না, ভালো নয়, খারাপ কিছু।
সক্রেটিস বললেন, তার মানে আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে এমন একটা খারাপ কথা বলতে এসেছেন যা আদৌ সত্য কিনা সে ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত নন।
আচ্ছা, আপনি হয়ত এখনো পরীক্ষায় পাস করতে পারেন। কারণ তিন নাম্বার ফিল্টার বাকি আছে।
এটা হল ‘উপকারিতা/Usefulness.
আমার বন্ধু সম্পর্কে আপনি যা বলবেন তা কি আমার বা আপনার কোনো উপকারে লাগবে?
লোকটি বলল, না, সেরকম না। এতে আমার বা আপনার কারোই উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সক্রেটিস তখন শান্তভাবে বললেন বেশ, আপনি যা বলতে চান তা-
সত্য না,
ভালো কিছুও না,
আবার আমার বা আপনার কোনো উপকারেও আসবে না।
তাহলে কেনইবা আমরা এসব অহেতুক কাজে সময় নষ্ট করব? We shall try to use our time truthfulness, goodness and usefulness.
চলুন, সময়টাকে একটা ভালো কাজে ব্যয় করি।
লোকটা তাই আর কিছু না বলে চলে গেল।
সংগৃহিত
এস এস সি পরীক্ষর সময়সূচি
বলবেন কিন্তু অসাধারণ 👌
ভালো লেগেছে কথা গুলো ❤️
১. মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।
২। মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।
৩. মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।
৪. ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না? ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।
৫. আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।
৬. মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।
৭. বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে, কেন জানি না তিনি সবসময় পিছিয়ে থাকেন।
৮. মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে, দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি। দুজনেরই ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছে জানি না।
৯. বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী, কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।
১০. বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড। আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে। অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি। সম্ভবত, এই কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন...!!!!
*জানিনা কে লিখেছে, কুড়িয়ে পাওয়া।
সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি *
সালাম জানাই পৃথিবীর সকল বাবাদেরকে!!!
বিশ্বকে কাঁদিয়ে বিদায় নিয়েছিল ওমায়রা, দিয়ে গিয়েছিল ইতিহাসের সবথেকে মর্মান্তিক ছবিটি।
১৯৮৫ সালের ১৩ নভেম্বর। কলম্বিয়ার মফঃস্বল শহর আর্মেরোর (Armero) আকাশ সকাল থেকেই ছিল মেঘলা। ঝেঁপে বৃষ্টি আসছিল মাঝে মাঝে। তখন বিকেল চারটে। বাবা আলভেরো ও ভাই আলভেইরোর সঙ্গে জমি থেকে তুলে আনা ধান গোলায় তুলছিল তেরো বছরের ফুটফুটে বালিকা ওমায়রা স্যাঞ্চেজ (Omayra Sánchez)। মা মারিয়া আলেইডা গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে থাকা কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায়। সেখানে তিনি নার্সের কাজ করেন।
হঠাৎ পশ্চিম দিক থেকে ভেসে এসেছিল ‘গুম’ ‘গুম’ আওয়াজ। চমকে উঠেছিল ওমায়রা। মেঘ ডাকার আওয়াজ ভেবে আবার মন দিয়েছিল কাজে। সব ধান গোলায় তুলে বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে বাড়িতে ফিরে এসেছিল ওমায়রা। কাকিমা মারিয়া আডেলার সঙ্গে রাতের খাবার তৈরির তোড়জোড় শুরু করেছিল।
যে শব্দকে মেঘের আওয়াজ ভেবেছিল ওমায়রা, আসলে সেটি ৭৯ বছর পর জেগে ওঠা নেভাডো ডেল রুইজ আগ্নেয়গিরির ( ১৭৫০০ ফুট) আড়মোড়া ভাঙার আওয়াজ। যে আগ্নেয়গিরিকে স্থানীয়রা চেনেন ‘ঘুমন্ত সিংহ’ নামে। ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও একবার উশখুশ করে উঠেছিল নেভাডো ডেল রুইজ আগ্নেয়গিরি। কলম্বিয়ার ইন্সটিটিউট অফ মাইনিং অ্যান্ড জিওলজি অক্টোবর মাসেই বানিয়ে দিয়েছিল আসন্ন ভয়াবহ বিপর্যয়ের একটি ম্যাপ। সেই ম্যাপে বলাও হয়েছিল সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে চলেছে ওমায়রাদের আর্মেরো শহর। কান দেয়নি কলম্বিয়া সরকার।
ঘড়িতে তখন রাত ৯.০৯
বিকট আওয়াজে কেঁপে উঠেছিল আশেপাশের প্রায় একশো কিলোমিটার এলাকা। এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল আর্মেরো শহর থেকে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার দূরে থাকা নেভাডো ডেল রুইজের তুষারাচ্ছাদিত চূড়া। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে বেরিয়ে এসেছিল উত্তপ্ত লাভার স্রোত। লাল ছাইয়ে ঢেকে গিয়েছিল আকাশ।
ফুটন্ত লাভার উত্তাপে গলে গিয়েছিল আগ্নেয়গিরির চুড়ায় থাকা বরফ ও পাদদেশে থাকা হিমবাহগুলি। বিশাল জলরাশি তিনটে সর্বগ্রাসী ঢেউ তুলে, ঘন্টায় বাইশ কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলেছিল গুয়ালি নদীর খাত ধরে। সঙ্গে নিয়ে চলেছিল হাজার হাজার বোল্ডার, পাথর, গাছ ও কাদা। ঢেউগুলি ছুটে চলেছিল চোদ্দটি জনপদের দিকে। প্রথম ও সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আক্রমণটি হেনেছিল সামনে থাকা আর্মেরো শহরের ওপর।
কোটি কোটি টন কাদা, গাছ ও পাথর নিয়ে আসা প্রথম ঢেউটি, আঘাত হানার তিরিশ মিনিট আগেই অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল আর্মেরো। শহরবাসীদের কানে আসছিল রক্তজল করে দেওয়া কিছু আওয়াজ। কিন্তু কী হচ্ছে, কেউ কিছু বুঝতে পারছিল না। তাই টর্চ নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছিল হাজার হাজার মানুষ। বাবা, ভাই ও কাকিমার সঙ্গে বাড়ির ছাদে উঠে পড়েছিল ওমায়রা। অন্ধকারে জোনাকির মত ছোটাছুটি করতে থাকা টর্চগুলি ছাড়া অন্য কিছু নজরে আসছিল না ওমায়রার।
হঠাৎ একই সঙ্গে নিভে গিয়েছিল কয়েক হাজার টর্চ। আর্ত চিৎকার ভেসে এসেছিল চারদিক থেকে। শহরবাসীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই, আর্মেরোকে আঘাত করেছিল পাথর, গাছের গুঁড়ি বয়ে আনা কাদার প্রথম ঢেউটি। ওমায়রাদের বাড়ির ছাদের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুড়ি ফুট উচ্চতার ঢেউটি ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ওমায়রার বাবা ও ভাইকে।
ভেঙে পড়া ছাদের বিম ও লোহার কাঠামোয় আটকে গিয়েছিল ওমায়রা ও কাকিমা আলেইডা। ওমায়রাকে বুকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন কাকিমা। কিন্তু কাদার ঢেউ ক্রমশ গিলে নিতে শুরু করেছিল কাকিমাকে। কাদার স্রোতের নিচে তলিয়ে যেতে যেতে দুই হাত দিয়ে কাকিমা ধরে ফেলেছিলেন ওমায়রার পা দু’টি। ঘটনার আকস্মিকতায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল ওমায়রা।
বৃষ্টি শুরু হয়েছিল আবার। বৃষ্টির ছাট গায়ে লাগায় জ্ঞান ফিরে এসেছিল ওমায়রার। সে বুঝতে পেরেছিল, থিকথিকে কাদার মধ্যে গলা অবধি ডুবে আছে। কাদার নিচে কোথাও আটকে গিয়েছে হাত পা। চারদিকে থেকে ভেসে আসছিল আর্তনাদ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে সে সব আর্তনাদও আর শোনা যাচ্ছিল না। বিধ্বস্ত আর্মেরোর বুকে নেমে এসেছিল শ্মশানের নীরবতা। সত্যিই আর্মেরো তখন মৃত্যুপুরী। কাদার নিচে শেষ ঘুমে ঘুমিয়ে পড়েছিল প্রায় পঁচিশ হাজার আর্মেরোবাসী।
কাদার ওপর জমতে শুরু করেছিল বৃষ্টির জল। সেই ছুঁয়েছিল গলা অবধি কাদায় গেঁথে থাকা ওমায়রার চিবুক। পাগলের মত চিৎকার করতে শুরু করেছিল ওমায়রা, “ও বাবা তুমি কোথায়?”,”ভাইরে তুই কই?”,”কাকিমা তুমি কোথায়? আমাকে বাঁচাও আমি যে তলিয়ে যাচ্ছি কাকিমা।” একসময় জল উঠে এসেছিল ওমায়রার নাকের কাছাকাছি। দুঃসাহসী ওমায়রা প্রায় অবিশ্বাস্যভাবে ডান হাতটা কাদা ও জঞ্জালের ভেতর থেকে মুক্ত করে নিয়েছিল। ডান হাত দিয়ে জঞ্জাল আঁকড়ে ভেসে থাকার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল রাতভর। নির্মম রাত এগিয়ে চলেছিল এক আশা জাগানিয়া ভোরের দিকে।
১৪ নভেম্বর,১৯৮৫
দুর্ঘটনার প্রায় দশ ঘন্টা পরে এসেছিল রেডক্রসের উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছিল, বেঁচে যাওয়া স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। গোটা আর্মেরো জুড়ে ছড়িয়ে ছিল কাদায় গেঁথে যাওয়া হতভাগ্য শহরবাসীদের শব। উদ্ধারকারী দলের গলার আওয়াজ পেয়ে, দেহের সর্বশক্তি একত্রিত করে ওমায়রা চিৎকার করে উঠেছিল, “আমাকে বাঁচাও”,”আমাকে বাঁচাও”।
মৃতের স্তুপে বালিকার গলার আওয়াজ পেয়ে চমকে উঠছিলেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর দলটির এক সদস্য দেখতে পেয়েছিলেন ওমায়রাকে। হাত ধরে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। প্রবল যন্ত্রণায় আর্ত চিৎকার করে উঠেছিল ওমায়রা। উদ্ধারকারীরা বুঝতে পেরেছিলেন, ওমেইরার পা আটকে গিয়েছে কাদার নিচে।
সারাটা দিন ধরে ওমায়রাকে ঘিরে থাকা কাদা, পাথর, কাঠ, টালি ও কংক্রিটের ভাঙা টুকরো সরিয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা। মুক্ত করে ফেলেছিলেন ওমায়রার বাম হাত ও কোমর। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও মুক্ত করা যায়নি পা দুটিকে। দেখা দিয়েছিল আর এক বিপত্তি। ওমায়রার চারপাশ থেকে জঞ্জাল সরানো মাত্রই গর্তটি ভরে যেতে শুরু করেছিল চারদিক থেকে ধেয়ে আসা জলে। আবার জলের নিচে তলিয়ে যেতে শুরু করেছিল ওমায়রা। তাকে ভাসিয়ে রাখার জন্য বুকের নিচে পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাতাস ভরা টিউব। সামনে রাখা হয়েছিল লম্বা একটি ডাল। যাতে সে ডালটি ধরে ভেসে থাকতে পারে।
১৫ নভেম্বর, ১৯৮৫
দুর্ঘটনার ছত্রিশ ঘন্টা পর এক ডুবরী জলের নিচে গিয়েছিলেন। দেখেছিলেন এক শিউরে দেওয়া দৃশ্য। গলা অবধি জলে হাঁটু মুড়ে বসে আছে ওমায়রা। তার দুটি পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ পিষে দিয়েছে কংক্রিটের একটি বিম। পিষে যাওয়া পা দুটি চেপে ধরে আছেন এক মৃতা মহিলা (কাকিমা)। দ্রুত উঠে এসেছিল আতঙ্কিত ডুবরী।
ওয়াকি টকির মাধ্যমে উদ্ধারকারী দলটি বার বার একটি পাম্প ও গ্যাসকাটার পাঠানোর আবেদন জানিয়েছিল কলম্বিয়া সরকারের কাছে। কারণ বেলচা, স্ট্রেচার, গাঁইতি ছাড়া অন্য কোনও সরঞ্জাম ছিল না তাদের কাছে। হেলিকপ্টারে ঝুলিয়ে একটি বুলডোজার পাঠানোর আবেদনও করেছিল তারা। যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে আর্মেরোতে সেনা নামানোর কথাও বলেছিল উদ্ধারকারী দলটি। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি অমানবিক কলম্বিয়া সরকার। কারণ কলম্বিয়ার সেনারা তখন এম-নাইন্টিন গেরিলাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিল রাজধানী বোগাটার আশেপাশে।
জারি হয়েছিল মৃত্যু পরোয়ানা
সব রকম চেষ্টা করেও ওমায়রাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়া রেড ক্রস নিয়েছিল এক অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত। কাদার নিচে আটকে থাকা ওমায়রার পা দুটি অপারেশনের মাধ্যমে বাদ দিয়ে ওমেইরাকে তুলে আনা হবে। প্রায় একঘন্টা ধরে আলোচনা করেছিলেন চিকিৎসকেরা। তারপর উদ্ধারকারী দলের নেতাকে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, কাদা জলের নিচে গিয়ে এই অপারেশন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া অপারেশন করলে নারকীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে বালিকাটিকে।অপারেশন করে বাঁচানো যাবে না ওমায়রাকে। বিষাক্ত জলের কারণে গ্যাংগ্রিন হবেই।
তার থেকে বরং ওমায়রাকে উপহার দেওয়া হোক স্বাভাবিক মৃত্যু। পঞ্চাশ ঘন্টারও বেশি এক গলা কাদায় দাঁড়িয়ে আছে ফুটফুটে মেয়েটি। অস্বাভাবিক হারে কমতে শুরু করেছে তার শরীরের তাপমাত্রা। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। প্রকৃতি নিজেই ব্যথাহীন মৃত্যু উপহার দেবে ওমায়রাকে। এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্তই মেনে নিয়েছিলেন সবাই। যদিও তাঁরা জানতেন এক নির্মম ও যন্ত্রণাময় মৃত্যুই উপহার পেতে চলেছে ওমায়রা।
ওমায়রা জানত না তার মৃত্যু পরোয়ানায় সই হয়ে গিয়েছে। তাই বুঝি সে একবুক বাঁচার আশা নিয়ে গল্প শুরু করেছিল কলম্বিয়ার সাংবাদিক সান্টা মারিয়া বাররাগানের সঙ্গে। ওমেইরার পাশে সান্টা মারিয়া ঠায় বসেছিলেন, সেই ১৪ তারিখ সকাল থেকেই। তেরো বছরের বালিকাটির টিকে থাকার লড়াই দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন। টানা দুই দিন ধরে ওমেইরার সাথে গল্প করে, বালিকাটিকে অন্যমনস্ক রাখার চেষ্টা করে চলেছিলেন। মারিয়ার কাছে ওমায়রা খেতে চেয়েছিল মিষ্টি ও সফট ড্রিঙ্কস। অনেক দূর থেকে খাবার দুটি জোগাড় করে এনেছিলেন মারিয়া। মিটিয়েছিলেন ওমায়রার শেষ ইচ্ছা। এরই মাঝে ওমায়রার একটি ইন্টারভিউও নিয়েছিলেন সান্টা মারিয়া। যে ইন্টারভিউ থেকে বিশ্ব জেনেছিল ১৩ নভেম্বরের ভয়াবহ সেই রাতের কথা।
মৃত্যুকূপে জীবনের গান গাইছিল ওমায়রা (Omayra Sanchez)
গলা অবধি ডুবে থাকা ওমায়রা মারিয়াকে শুনিয়েছিল বেশ কয়েকটি গান। যে গানগুলি সে শিখেছিল তার মায়ের কাছে। সূর্য ওঠার গান, সবুজ মাঠে সোনার ফসল ফলানোর গান। চোখে জল চলে আসছিল মারিয়ার। তখনও বাঁচার আশা নিয়ে লড়তে থাকা ওমায়রা জানত না, তার জীবন সূর্য চিরতরে নিভিয়ে দিতে চলেছে তারই দেশের অমানবিক সরকার। নির্মম মৃত্যুর দিকে তাকে এক পা এক পা করে এগিয়ে দিচ্ছে বিবেকহীন সমাজ।
ফরাসি চিত্রসাংবাদিক ফ্র্যাঙ্ক ফোর্নিয়ার এসেছিলেন বোগোটায়। পাঁচ ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে, আড়াই ঘন্টা পায়ে হেঁটে ওমায়রার কাছে পৌঁছেছিলেন, ১৫ নভেম্বর রাতে। শক্তিশালী টর্চের আলো ফেলে রাখা হয়েছিল ওমায়রার ওপর। সবাইকে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করছিল ওমায়রা। সবাই তার পাশ থেকে সরে গেলে সে একটু ঘুমাতে পারবে।
সেদিন মাঝরাত থেকেই ভুল বকতে শুরু করেছিল ওমায়রা। জড়ানো গলায় সে বলেছিল, “দু’দিন আমি স্কুলে যাইনি। আমায় স্কুলে দিয়ে এসো। নাহলে অঙ্ক পরীক্ষা দিতে পারব না। একটা বছর নষ্ট হবে আমার।” ওমায়রার কথা শুনে, দূরে সরে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন মারিয়া। সবাই আবার ঘিরে ধরেছিল ওমায়রাকে। কেউ মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন। কেউ কেউ চুমু খাচ্ছিলেন জলে ভিজে কাগজের মত সাদা হয়ে যাওয়া ঠাণ্ডা হাত দুটিতে।
মুক্তি মুক্তি মুক্তি
১৬ তারিখ সকাল থেকেই ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ছিল ওমায়রা। হারিয়েছিল কথা বলার শক্তি। তবু বাঁচার আশা ছাড়েনি। তাই বুঝি বার বার ডান হাতটা এগিয়ে দিচ্ছিল মারিয়ার দিকে। যেন সে বলতে চাইছিল, শেষবারের মত আমায় টেনে তোলার চেষ্টা করো না। মারিয়া লক্ষ্য করেছিলেন, ওমায়রার টানা টানা চোখ দুটিতে রক্ত জমতে শুরু করেছে। মুখের রঙ দ্রুত কালচে বাদামী হতে শুরু করেছে।
ওমায়রার জীবনের অন্তিম মুহূর্তগুলি ক্যামেরায় ধরে রাখছিলেন চিত্রসাংবাদিক ফ্র্যাঙ্ক ফোর্নিয়ার। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি অমানবিক মনে হতে পারে। কিন্তু বর্বর কলম্বিয়া সরকারের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য ক্যামেরা ছাড়া আর কোনও অস্ত্র ছিল না ফোর্নিয়ারের কাছে।
বেলা তখন দশটা। ওমায়রার মাথা পিছন দিকে হেলে গিয়েছিল। বড় বড় শ্বাস নিচ্ছিল ওমায়রা। রক্ত জমা চোখ দুটো ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসছিল অসীম ক্লান্তিতে। সর্বশক্তি একত্রিত করে মৃত্যুকূপ থেকে শেষবারের মত বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল ওমায়রা। শেষবারের মত চোখ খুলে, সুন্দর এই পৃথিবীটাকে দেখে নিতে চেয়েছিল। ওমায়রার শেষ চাউনিও ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন ফোর্নিয়ার। যে চাউনিতে ছিল অপরিসীম ঘৃণা।
এরপর কোঁকড়া কালো চুলে ভর্তি ওমায়রার মাথাটা ডুবে গিয়েছিল জলের ভেতর। কেবল নাক মুখ ও একটি চোখ দেখা যাচ্ছিল ওপর থেকে। তখন ঘড়িতে সকাল ১০.০৫। শেষ হয়েছিল দুঃসাহসী ওমায়রার টানা ষাট ঘণ্টার লড়াই। অমানুষিক যন্ত্রণা নিয়ে নিজেকে চিরতরে মুক্ত করে নিয়েছিল সে। ওমায়রা স্যাঞ্চেজের নিথর শরীর ঢেকে দেওয়া হয়েছিল নীল সাদা চাদর দিয়ে।
ফ্র্যাঙ্ক ফোর্নিয়ারের তোলা ওমায়রার শেষ ছবিটি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল বিশ্ব। কলম্বিয়ার রাস্তায় রাস্তায় লক্ষ লক্ষ মানুষ তুলে ধরেছিলেন প্ল্যাকার্ড। সেগুলিতে লেখাছিল, “আগ্নেয়গিরি নয়, পঁচিশ হাজার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে অপদার্থ সরকার।”
ফুটফুটে ওমায়রা চির শান্তির দেশে চলে গিয়েছে সাইত্রিশ বছর আগে। কিন্তু জানেনকি, আজও সে উড়ে বেড়ায় পরিত্যক্ত আর্মেরো শহরের আনাচে কানাচে। ঝোপে ঝাড়ে। পরীর মত ডানা মেলে। হ্যাঁ কথাটা সত্যি। ২০২০ সালে পরিত্যক্ত আর্মেরো শহরে পাওয়া গিয়েছিল নতুন এক ঝিঁঝিপোকার প্রজাতি। ওমায়রাকে চিরকালের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে, বিজ্ঞানীরা প্রজাতিটির নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন ওমায়রার নাম। নতুন প্রজাতিটির নাম রাখা হয়েছিল ‘গিগাগ্রিলাস ওমায়রাই‘। আজও হয়ত প্রতি সন্ধ্যায়, পরিত্যক্ত আর্মেরো শহরে, রাতজাগা ঝিঁঝিপোকা হয়ে, কান্না ভেজা গলায় ওমেইরা চিৎকার করে চলেছে,”ও বাবা তুমি কোথায়?”,”ভাইরে তুই কই?”,”কাকিমা তুমি কোথায়? আমাকে বাঁচাও আমি যে তলিয়ে যাচ্ছি কাকিমা।”
কলমে- রূপাঞ্জন গোস্বামী
The Wall থেকে প্রকাশিত।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Mymensingh
জিলা স্কুল মোড়, ময়মনসিংহ
Mymensingh, 2230
kid's English language courses
Mymensingh
সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর অনলাইন ক্লাস এর বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম।
Mymensingh, 2200
Premier Ideal Online School will be run to conduct online teaching activities among the students. It is ready as schools across the country are closed to deal with the Corona disas...
Opposite Of Zilla School Gate
Mymensingh, 2200
To help others means to help urself.
Mymensingh
Mymensingh, 2200
বিভিন্ন চাকরি সহায়ক প্রশ্ন ও সাধারণ জ্ঞান পেতে পেজটি ফলো করে সাথে থাকবেন।
College Road
Mymensingh, 2200
Muslim Girls' College online classes