Noyon's Leisure
Passing my leisure
These are the Russian submarines which protected the Indian Navy by becoming a shield against America in the 1971 Liberation War which eventually helped Bangladesh to pound towards a victory.
Regional Comprehensive Economic Partnership (RCEP):
RCEP হলো এশিয়া-প্যাসিফিক দেশগুলির মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। 15টি সদস্য দেশ বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় 30% (2.2 বিলিয়ন মানুষ) এবং বৈশ্বিক জিডিপির 30% ($29.7 ট্রিলিয়ন), এটিকে ইতিহাসের বৃহত্তম বাণিজ্য ব্লক বানিয়েছে।
2020 সালের নভেম্বরে স্বাক্ষরিত RCEP ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কার্যক্রম শুরু করে। এটিকে WTO এর বিকল্প গণ্য করা হচ্ছে।
Membership:
*All ten members of ASEAN:
Brunei
Cambodia
Indonesia
Laos
Malaysia
Myanmar
Philippines
Singapore
Thailand
Vietnam
*The three East Asian members of ASEAN Plus Three:
China
Japan
South Korea
*The two Oceanian members:
Australia
New Zealand
Indo-Pacific Economic Framework for Prosperity (IPEF/ IPEP):
ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটি (IPEF) হল একটি অর্থনৈতিক উদ্যোগ যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বিডেন দ্বারা 23 মে, 2022-এ চালু করা হয়। ফ্রেমওয়ার্কটি মোট চৌদ্দটি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশগুলির সাথে চালু হয়েছে, অন্য দেশগুলিকে যে কোনও সময় যোগদানের জন্য একটি উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছে।
মেম্বেরশিপঃ
Australia
Brunei
Fiji
India
Indonesia
Japan
South Korea
Malaysia
New Zealand
Philippines
Singapore
Thailand
United States
Vietnam
বাইডেন এই উদ্যোগটিকে "21 শতকের অর্থনীতির জন্য নতুন নিয়ম লেখা" হিসাবে বর্ণনা করেছেন, উল্লেখ করেছেন যে চুক্তিটি অংশগ্রহণকারীদের অর্থনীতিকে "দ্রুত এবং ন্যায্যভাবে বৃদ্ধি পাবে"।
প্রস্তাবিত IPEF এর চারটি থিম হল:
•ন্যায্য এবং স্থিতিস্থাপক বাণিজ্য
•সাপ্লাই চেইন স্থিতিস্থাপকতা
•অবকাঠামো, পরিচ্ছন্ন শক্তি এবং ডিকার্বনাইজেশন
•কর এবং দুর্নীতি বিরোধী
Truman Doctrine/ট্রুম্যান নীতি :
হ্যারি ট্রুম্যান ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি। ১৯৪৭ সালে ১২ মার্চ তিনি ঘোষণা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন বিশ্বরাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতার নীতি ( মনরো নীতি ) অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু সোভিয়েত সাম্যবাদের প্রসার রোধ করার উদ্দেশ্যে সেই নীতি থেকে তারা সরে আসবে। তিনি আরও বলেন, যেসব জাতি সশস্ত্র সংখ্যালঘুদের কিংবা কোনো
বিদেশী রাষ্ট্রের আক্রমণের স্বীকার হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আর্থিক ও সামরিক সাহায্য দেবে। এভাবে বিচ্ছিন্নতার নীতির পরিবর্তে পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ট্রুম্যান এই যে সামরিক সক্রিয়তার নীতি নিলেন তা-ই ইতিহাসে 'ট্রুম্যান নীতি' (ট্রুম্যান ডক্ট্রিন ) নামে পরিচিত।
ট্রুম্যান নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
ট্রুম্যান তাঁর নীতিতে দুর্বল দেশগুলিকে আর্থিক সাহায্যের কথা বললেও এই প্রতিশ্রুতির পিছনে ছিল কিছু গোপন উদ্দেশ্য।
যেমনঃ
1. দুর্বল দেশগুলিতে মার্কিন অস্ত্র ও শিল্পোৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির বাজার দখল করা।
2. মার্কিন শিল্প ও ব্যবসাবাণিজ্যের পুনরুজ্জীবন
ঘটানো।
3. বিশ্বজুড়ে সোভিয়েত প্রভাব ও প্রতিপত্তির বিরুদ্ধে
প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
4. সোভিয়েত শক্তিবলয়ের পাল্টা পুঁজিবাদী জোট গঠন করা।
সার্কেল ইকোনমিঃ
সার্কেল ইকোনমি হলো উৎপাদন এবং খরচের একটি মডেল যার মধ্যে ভাগ করা, লিজ দেওয়া, পুনঃব্যবহার, মেরামত, পুনর্নবীকরণ এবং যতদিন সম্ভব বিদ্যমান সামগ্রী এবং পণ্য পুনর্ব্যবহার করা জড়িত।
সার্কুলার ইকোনমি হল একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যা সমস্ত জড়িত বাস্তুতন্ত্রের জন্য প্রয়োগ হয়। এটি পরিবেশ নিষ্কাশন থেকে শিল্প রূপান্তর এবং চূড়ান্ত ভোক্তাদের সমস্ত উপাদানের জীবনচক্র জুড়ে শূন্য বর্জ্য এবং দূষণকে নিশ্চিত করে।
জীবদ্দশায় শেষ হওয়ার পরে, উপকরণগুলি হয় একটি শিল্প প্রক্রিয়ায় ফিরে আসে বা, একটি চিকিত্সা করা জৈব অবশিষ্টাংশের ক্ষেত্রে, প্রাকৃতিক পুনর্জন্ম চক্রের মতো নিরাপদে পরিবেশে ফিরে আসে।
দারিদ্র্যের কষাঘাত বনলতা সেন বা সুরঞ্জনার প্রেমিক জীবনানন্দ দাসকেও ক্ষমা করে নি!
১. ১৮ বছর আগে, মার্ক জাকারবার্গ তার হার্ভার্ড কক্ষে ৫ বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো একটি ব্যবসা শুরু করা নিয়ে কথা বলতে। মাত্র ২ জন তাকে পাত্তা দিয়েছিলো।
আজ, দুজনেই বিলিয়নিয়ার! ডাস্টিন মস্কোভিটজ $১০.৯ বিলিয়ন এবং এডুয়ার্ডো সেভেরিন $৯.৭ বিলিয়ন। আর যেই ৩ জন পাত্তা দেয় নি তাদের আমরা কেও চিনি না। 😜
২. অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে এই ৩ জন যদি ফেসবুক তৈরী করে থাকে তাহলে কেন মার্ক জাকারবার্গ সিংহভাগের মালিক এবং সিইও।
কারণ, মার্ক জুকারবার্গ প্রকল্পটি শুরু করেছিলেন। ফেসবুকের পেছনের পুরো ধারণাটি তার দেওয়া।
ডাস্টিন একজন সহকর্মী ছিলেন যিনি ফেসবুক কোডিং করতে সাহায্য করেছিলেন এবং এডুয়ার্ডো প্রয়োজনে অর্থ যোগান দিয়েছিলেন।
বেশিরভাগ কোম্পানির সিংহভাগ সাধারণত সেই লোকের কাছে যায় যে এটির ধারণা নিয়ে আসে। ঠিক সেই কারণেই ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশ্ব মার্ক জাকারবার্গকেই চিনে।
জুন, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন(বর্তমানও) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা "যমুনা বহুমুখী সেতু" উদ্বোধন করেন।
ভাইভার ২০০ মার্কস নিয়ে চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গেঃ
প্রথমে বলি মোবাইল প্রসঙ্গেঃ
চাকরির পরীক্ষাগুলোতে কেন্দ্রে মোবাইল নেয়া নিষেধ করা হয় মূলত এই কারণেই যে অসাধু প্রার্থীরা যেন লুকিয়ে মোবাইল ইউজ করতে না পারে। এই দিক থেকে এই ব্যবস্থাটি খুবই যৌক্তিক। কিন্তু অপরদিকে সাধারণ সাধু প্রার্থীরা যারা দূরদূরান্ত থেকে পরীক্ষা দিতে ঢাকা যায় তাদের মোবাইল গেইটে আটকে দেয়া খুবই অযৌক্তিক। এখন প্রাথমিকভাবে কর্তৃপক্ষ কী করতে পারে? To be or not to be that is the question.
আমি কিছুদিন আগে ময়মনসিংহে একটি প্রিলি পরীক্ষা দিয়েছি, কোন প্রিলি সেটা বলে আর বিতর্ক বাড়াতে চাই না। আমার সামনের বেঞ্চে একজন পরিপাটি ভদ্রলোক বসেছিলেন, পাঞ্জাবি পরিহিত। পরীক্ষার হলে সবসময়ই আমি পা রাখি সামনের জনের বসার বেঞ্চের নিচের কাঠে। পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট পরই হঠাৎ আমার পা কেঁপে উঠলো ভাইব্রেশনে। সত্যি বলতে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম উনি হয়তো পাদ দিয়েছেন তাই বেঞ্চ কেঁপেছে একটু। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পর এই ভাইব্রেশন রিপিট হচ্ছিলো। কারো পক্ষে তো ২ মিনিট পর পর পাদা সম্ভব নয়। তখন বুঝতে পারলাম তার পাঞ্জাবির পকেটে কোন ভারী বাটন মোবাইল। পাঞ্জাবির পকেটে হওয়ার কারণে মোবাইলটা বেঞ্চটার উপরে ফ্রিলি বসে আছে। মেসেজ আসতেছে আর আমি ভাইব্রেশন টের পাচ্ছি। সম্পূর্ণ পরীক্ষা জুড়ে ভাইব্রেশন কনটিনিউ ছিলো। আর অই কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যাওয়াটা একদমই স্বাভাবিক ছিলো। কারণ আমি যখন ঢুকেছি তখন গেইটে কোন চেকিং হয় নাই, এক্সাম শুরুর আগে শুধু ইনভেজিলিটর বলেছিলেন যে কেও কি মোবাইল এনেছেন? সবাই বলল না স্যার। এইটুকুই। আমরা মোবাইল নিয়ে যাই না পারতে, আর এইসব বাটপাররা মোবাইল নিয়ে যায় দুর্নীতি করতে। কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার আগের ৩০ মিনিটে এত বাছাই কিভাবে করবে যে কে মোবাইল দিয়ে দুর্নীতি করবে আর কে করবে না। তাই সবার জন্য এক সাজা, নো মোবাইল।
এবার বলি ভাইভা প্রসঙ্গেঃ
১. আমার পরিচিত একাধিক ক্যান্ডিডেট আছে যাদের লেইমনেস চূড়ান্ত পর্যায়ের, তাদের সাথে আপনি ১০ মিনিট কথা বললেই বুঝবেন এদের স্মার্টনেস আর লেইমনেস কোন পর্যায়ে আছে। এরা রিটেনে ৫৫০+ পাওয়া কোন ব্যাপারই না, তবে ভাইভা বোর্ডে এরা ১০০ পেলেও জাতির প্রতি অবিচার করা হবে।
২. আরেকজন পরিচিত আছে, যে হলো পৃথিবীর একমাত্র সঠিক ব্যক্তি, সে হলো একমাত্র স্মার্ট ব্যক্তি, সে যা বলবে সেটাই ঠিক। ধরেন সে বললো চট্টগ্রাম বাংলাদেশের রাজধানী, আপনি বললেন যে ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী, সে এইটা মানবে না। সে একপর্যায়ে বলবে "তুমি আমার h*da জানো"। ব্যাপার হলো সে রিটেনে ৫৭০ পাওয়া কোন ব্যাপার না, কিন্তু ভাইভা বোর্ডের চৌকস বোদ্ধারা কি তার এই পার্সোনালিটি উদ্ধার করতে পারবেন না?
৩. আরো কয়েকজন পরিচিত আছে যারা সুযোগ পেলেই সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধাচারণ করে। সুযোগ পেলেই দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগাতে এক সেকেন্ডও দেরী করবে না, তারাও রিটেনে ৫৬০-৭০ পাওয়ার এবিলিটি রাখে। কিন্তু ভাইভায় তারা পাশ করে যখন নীতিনির্ধারকের ভূমিকা পালন করবে তখন সমাজের সার্বিক অবস্থাটা কী হতে পারে!!
৪. এবার বলি দুর্ভাগা প্রার্থীদের গল্প। আমার পরিচিত কয়েকজন বড় ভাই, ১০ বছর ধরে তাদের দেখছি। খুবই স্মার্ট, খুবই পোলাইট এবং খুবই ব্রিলিয়ান্ট। উনাদের সাথে কথা বললে অনেকেই তাদেরকে মেন্টর হিসেবে ফলো করবেন এটা আমি ১০০% নিশ্চিত। দুঃখের বিষয় তাদের মধে একজন ৩৬ তম হতে, একজন ৩৭ তম হতে, একজন ৩৮ তম হতে টানা প্রিলি-রিটেন-ভাইভা দিচ্ছেন। তাদের ভাগ্যে সর্বোচ্চ জুটেছে নবম গ্রেডের নন-ক্যাডার।
৪ নাম্বার পয়েন্টের জন্য আমার খুব মন কাঁদে। কিন্তু উপরের ৩ টা পয়েন্টও অবিবেচ্য থাকা উচিৎ নয়। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে একটা কমন লাইন আছে যে "একশত জন অপরাধীও সাজামুক্ত থাকুক, তবু যেন একজনও নির্দোষ সাজাপ্রাপ্ত না হয়।" এখানে ঠিক উল্টাটা হবে হয়তো। যে একজন ব্যক্তিত্বহীন নীতিনির্ধারকও যদি রাষ্ট্রব্যবস্থায় ঢুকে যায় তাহলে রাষ্ট্রকে অনেক ভুগতে হবে। আবার এটাও হতে পারে যে ঠগ বাঁছতে গা উজাড়। এখানেও মনে হয় To be or not to be that is the question.
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর বর্তমান অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। ৩ জুলাই বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১২তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন রউফ তালুকদার।
তিনি ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে (বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। উনার বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলায়। তিনি ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই অর্থ সচিবের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
বি.দ্র: বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর ছিলেন জনাব এ.এন.এম হামিদুল্লাহ।
[আজ ৭ই জুন –৬ দফা দিবস ]
ছয়-দফাঃ
“সাঁকো দিলাম, স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতায় উন্নীত হওয়ার জন্য।”
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
“ছয় দফা” বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ২৩ মার্চ, ১৯৪০ লাহোরে মুসলিম লীগ নেতা শের-ই বাংলা “পাকিস্তান প্রস্তাব” উত্থাপন করেন।
এই প্রস্তাবে বলা হয় ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চল নিয়ে হবে একটি রাষ্ট্র এবং পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে হবে আর একটি রাষ্ট্র। অর্থাৎ "Independent States" হবে। কিন্তু ১৯৪৬ সালে জিন্নাহ্ সাহেব এটি পরিবর্তন করে খুবই সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে। উনি "Independent States"- এর "s" মুছে দিয়ে করে ফেললেন "Independent State"। এটা সত্য হয় যে ১৯৪৭ সালে জিন্নাহ্র প্রস্তাবের আলোকে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হয় কিন্তু এর ফলে পূর্ব বাংলা স্বায়ত্তশাসন পায়নি। একদিকে পূর্ব বাংলাকে রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয় এবং অন্যদিকে অর্থনীতিসহ প্রশাসনে শোষণ অব্যাহত থাকে।
প্রকৃত অর্থে শেখ মুজিবের নেতৃত্বেই শোষণবিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। এটিরই এক পর্যায়ে ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ লাহোরে নিজামে ইসলামি নেতা চৌধুরী মুহাম্মদ আলীর বাসভবনে বিরোধী দলগুলোর কনভেনশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ‘ছয় দফা দাবি
উত্থাপন করেন। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেন:
“জনগণের মুক্তির জন্য কাউকে না কাউকে তো ফাঁসির ঝুঁকি নিতে হবে।”
ছয় দফা কর্মসূচি বাঙালি জাতির ‘মুক্তির সনদ’ (Charter of Freedom) বা ‘ম্যাগনাকাটা’ হিসাবে পরিচিত।
ছয় দফায় বিধৃত দাবিসমূহ নিম্নরূপ:
১. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনঃ
পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে;
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাঃ
প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্ক ব্যতীত অন্য সব বিষয় ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত রাজ্যসমূহের হাতে ন্যস্ত থাকবে;
৩. পৃথক মুদ্রা ব্যবস্থাঃ
পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু করতে হবে;
৪. রাজস্ব ব্যবস্থাঃ
দুই অঞ্চলের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পৃথক হিসাব থাকবে এবং অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা রাজ্যের হাতে থাকবে;
৫. বৈদেশিক বানিজ্যঃ
বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাজ্যসমূহের হাতে ন্যস্ত থাকবে;
৬. আঞ্চলিক বাহিনীঃ
প্রতিরক্ষায় পূর্ব পাকিস্তানের আধা-সামরিক রক্ষীবাহিনী থাকবে।
১৯৬৬ সালে ছয় দফার আদ্যোপান্তঃ
•৫ ফেব্রুয়ারিঃ লাহোরে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় জাতীয় সংহতি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ (ছয়) দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
•১১ ফেব্রুয়ারিঃ লাহোর বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ মুজিব বলেন, “ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।”
•২১ ফেব্রুয়ারিঃ বঙ্গবন্ধুর নামে ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ছয় দফা কর্মসূচি’ শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রচার করা হয়।
•২৩ মার্চঃ লাহোরের এক সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ দফা ঘোষণা করেন।
•৮ মেঃ ছয়-দফার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পাকিস্তান দেশরক্ষা আইনের ৩২(১)ক ধারা বলে গ্রেপ্তার করা হয়।
•৩০ মেঃ আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ৭ই জুন হরতাল আহ্বান করা হয়।
•৭ জুনঃ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতাল পালিত হয়। পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নেতা মনু মিয়া-সহ ১১ জন নেতা কর্মী নিহত হয়। প্রতিবছর ৭ জুন ‘ছয় দফা দিবস' পালিত হয়।
Inverse Function
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আর্থিক ক্ষতি কত হতে পারে?
সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত অর্ধশত মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। শুধু মৃত্যুই নয়, পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালামাল।
অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) জানিয়েছে, শনিবার (৪ জুন) রাতে বিএম ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১১০ মিলিয়ন ডলারেরও (৯ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা) বেশি আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
বিকডার দেয়া তথ্যানুযায়ী, রফতানির জন্য ৮০০ টিইইউস (২০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনার) বোঝাই তৈরি পোশাক এবং হিমায়িত খাদ্যপণ্য ছিল। আমদানি করা পণ্যবোঝাই কনটেইনার ছিল ৫০০টি এবং খালি কনটেইনার ছিল ৩ হাজার।
বিকডার সচিব রুহুল আমিন সিকদার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ১১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রফতানি কনটেইনারে ৪৫ মিলিয়ন ও আমদানি পণ্যের কনটেইনারের ক্ষেত্রেও ৪৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি এবং অন্তত ২০ মিলিয়ন ডলারের খালি কনটেইনারের ক্ষতি হয়েছে।
বিজিএমইএর সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী জানান, ডিপোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে রফতানির জন্য পণ্যের চালান বোঝাই করা হয়েছে। বেশির ভাগ পণ্য ছিল 'প্রাণ' ও 'অনন্ত' গ্রুপের।
মোট বিভাজ্য সংখ্যা নির্ণয়
একটা চিপ লাইন প্রচলিত আছে - "এটা করলে আমারে কি কেউ 5 টাকা দিবে?" বিশ্বাস করেন এখন এই 5 টাকাই অনেক ইম্পরট্যান্ট। বাজার থেকে হঠাৎ করেই যেন 5 টাকা উধাও হয়ে গেছে।
দোকানদাররা 5 টাকার কোন একটা জিনিস বিক্রি করতে চায় না, বলে ভাঙ্গতি দেন না হয় 5 টাকা দুই টা কিনে দশ টাকা মিল করেন। 5 টাকার অটো ভাড়ায় ১০ টাকার নোট দিলে অটো ড্রাইভাররা 5 টাকা ফেরত দিতে চায় না, বলে ভাঙ্গতি দেন না হয় ১০ টা দেন।
অনেক দিন অটো ড্রাইভারদের 5 টাকার ভাড়া আমি 10 টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। ভাঙ্গতির অভাবে অতিষ্ট হয়ে শেষে আমি ব্যাংকেও গিয়েছি। 100 টাকার নোটে লেখা "বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিবামাত্র ইহার বাহককে একশত টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে", কিন্তু সেদিন ব্যাংকও আমাকে ৫ টাকায় ১০০ টাকা পরিবর্তন করে দিতে পারে নাই। বলে যে আজকাল ৫ টাকা পাওয়াই মুশকিল, কিভাবে দিবো?
সেদিন রাতে অটো থেকে নামলাম, 5 টাকা ভাড়া, 10 টাকার নোট দিলাম। অটোওয়ালা আমাকে 5 টাকা ফেরত না দিয়েই গাড়ি চালানো শুরু করেছে। আমি বললাম 5 টাকা দেন, বলে যে ভাংতি নাই। আমি বললাম ভাংতি নাই তাহলে 5 টাকা ভাড়ার যাত্রী তুলছেন কেন, হয় 5 টাকা ফেরত দেন না হয় আমার 10 টাকার নোটটা দিয়ে দেন। নিলে 5 টাকা না হলে এক টাকাও না। আমার নাছোড়বান্দা ভাব দেখে অটোওয়ালা তার পকেট একটু হাতিয়ে বললো, "পাইছি মামা পাইছি, এই নেন ৫ টাকার কয়েন।" অন্ধকারে আমিও আর অত চেক করি নাই, পরে রুমে এসে দেখি এই ব্যাটা আমাকে 5 টাকার বদলে 1 টাকার কয়েন দিছে। আর আপনারা অটোওয়ালা, রিক্সাওয়ালাদের অসহায় বলেন। ওরা গরীব হতে পারে, কিন্তু মোটেও অসহায় নয়। এরা সুযোগ পেলেই জুলুম করা শুরু করে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ঢাকায় যখন বাস চলাচল বন্ধ ছিলো তখন আমাদের একটা চাকরির পরীক্ষা ছিলো। রিক্সা দিয়ে সেন্টারে যেতে হইছিলো। রিক্সাওয়ালারা সেদিন ৫০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা নিয়েছিলো। সব শালা বাটপার। সুযোগের অভাবে সবাই অসহায় ভাব ধরে থাকে।
অটোওয়ালা থেকে দোকানদার, সবাই হঠাৎ 5 টাকার ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছে। কয়দিন পরে দেখা যাবে 5 টাকার বদলে একটা করে চকলেট ধরিয়ে দিচ্ছে এরা।
between and
Area of ungrazed field
ঘাসযুক্ত মাঠের ক্ষেত্রফল
চারণকৃত মাঠের ক্ষেত্রফল
অচারিত মাঠের ক্ষেত্রফল
মানসিক দক্ষতা
ত্রিভুজের সংখ্যা নির্ণয়
আয়নায় প্রতিচ্ছবি
কবিতায় ইংরেজি মাস গণনা...
জটিল সংখ্যার সমাধানঃ
i^(-49)=?
পিচ্চিটার প্রচুর কনফিডেন্স। এটাই হলো প্রোপার কনফিডেন্সের ফলাফল।
Proper technique + Proper Confidence = Win
"হুতম পেঁচা" ছিল বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন সিংহ এর ছদ্মনাম, যিনি মহাভারত বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন।
কালীপ্রসন্ন বাবু ছিলেন একজন সমাজসেবী এবং প্রকৃত ব্রাহ্মণ। যখনি কোনও ব্রাহ্মণকে অব্রাহ্মণসুলভ আচরণ করতে দেখতেন, যেমন - শিক্ষায় গাফিলতি, শিষ্যদের সাথে খারাপ ব্যবহার, মহিলাদের সাথে অসম্মানজনক ব্যবহার ইত্যাদি, তখন সেই সব ব্রাহ্মণদের টিকি কেটে নিতেন এবং নিজের ঘরের শোকেসে সাজিয়ে রাখতেন। সাথে সেই ব্রাহ্মণের নাম আর দোষ লিখে রাখতেন। এইভাবে তিনি মোট ৫১ টি টিকি সংগ্রহ করেছিলেন।
এজন্যই বলা হয় "হুতম পেঁচার একান্ন টি টিকি।"
মালয়েশিয়াকে বলা হয় সেকেন্ড হোম। কারণ আপনি যে দেশেরই নাগরিক হোন না কেন, মালয়েশিয়াতে আপনি ইচ্ছামত টাকা পাঠাতে পারবেন, ব্যাংকে জমা রাখতে পারবেন, ক্ষেত্রবিশেষে বাড়ি-গাড়িও করতে পারবেন। কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার জানতেও চাইবে না এই টাকা পেলেন কিভাবে। সেজন্য পৃথিবীর অনেক টাকাওয়ালারা, হোক কালো টাকা বা সাদা, মালয়েশিয়াতে অর্থপ্রেরণ করে। এইজন্যই মালয়েশিয়া হলো সেকেন্ড হোম। লাভ কিন্তু মালয়েশিয়ারই, তাদের ফরেইন রিজার্ভ বাড়ছে।
আগে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার বা পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় পাঠাতে আয়ের নথিপত্র জমা দিতে হতো। যে কারণে এর চেয়ে বেশি অর্থ একবারে পাঠাতে পারতেন না বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা।
গতকাল থেকে বিদেশ থেকে ডলার আনার প্রক্রিয়া উদার করে দিয়েছে সরকার। ফলে প্রবাসী আয় বাবদ দেশে যত পরিমাণ ডলার পাঠানো হোক না কেন, তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো। আবার এর বিপরীতে আড়াই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনাও দেওয়া হবে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশ থেকে তাঁদের অবাধে টাকা আনতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
এখন দেশ থেকে যেসব টাকা পাচার হয়ে বাইরে চলে গেছে তা আবার ফেরত আসবে। বিদেশে টাকা রাখলে ব্যাংকগুলোকে সার্ভিস চার্জ বাবদ টাকা দিতে হয়। এতে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি হয়। যদিও পাচারকারীদের কালোটাকা এইভাবে বৈধ চ্যানেলে দেশে এসে সাদা হয়ে যাবে। তবে সংকট কাটাতে এই অর্থ দেশের জন্য উপকারে আসবে। কারণ, ডলারের ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে ডলার প্রয়োজন।
NB: পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে দেশীয় আইনের শিথিলতা আছে। সে অঞ্চলে দেশীয় আইনে অবৈধ অনেক জিনিসই বৈধ। শুধু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেই সেরকম কোন অঞ্চল নেই।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের পরিমাণ ৪১ বিলিয়ন থেকে বেড়ে এখন ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
যদি রিজার্ভে নতুন করে ১ ডলারও যুক্ত না হয় তবুও রিজার্ভের এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে বর্তমান আমদানির ধারা অনুযায়ী ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। তবে এই ছয় মাসে রিজার্ভে রপ্তানি আয়ের অর্থও যোগ হতে থাকবে।
বিদেশি পণ্য ব্যবহার করে পরোক্ষভাবে বৈদেশিক রিজার্ভ খরচ করা সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। টাকা আছে দেখেই আলিবাবা, অ্যামাজনে অর্ডার মারা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিদেশী পণ্যের বিকল্পে ভাল দেশী পণ্য খুঁজে বের করতে হবে।
ময়মনসিংহে আজাদ নামে জুতার একটা ব্র্যান্ড আছে। একজোড়া জুতা কিনে পড়তে পড়তে আপনার পায়ের আকার বড় হয়ে যেতে পারে কিন্তু জুতার তেমন কোন ক্ষয় হবে না। ২-৩ বছর পর এমনেই বিরক্ত হয়ে ঐ জুতা বাদ দিয়ে নতুন আরেক জোড়া কিনবেন আপনি। অর্থাৎ এই জুতার সার্ভিস খুবই ভাল, তবে দাম বাটা/এপেক্সের তুলনায় বেশ সস্তা। আজাদের একজোড়া স্যু আপনি ২০০০ টাকার মধ্যে পেলে মোটামুটি ঐ মানের জুতার দাম বাটা/এপেক্সে ৩৫০০+- হবে।
Click here to claim your Sponsored Listing.