Rofikul 5R

Rofikul 5R

❥❥━──➸➽সব স্বপ্ন কি আর পূরণ হয়
🚫মাঝে মাঝে অপূর্ণতা নিয়ে বাঁচতে হয়❂❥❥━──➸ SK ROFIKUL official

12/01/2024

Good morning friends 💖💖💖💋💋💋💞

11/01/2024

সমস্ত বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি রুমের দরজা, প্রতিটি রুমের জানালা, সিড়ি, আমার পিয়ানো, সব কিছু। সব কিছু লাল গোলাপ দিয়ে সাজানো হয়েছে। বাড়ির সবাই কাজে খুব ব্যস্ত। সবাই বাইরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। বিয়ে বাড়ি বলে কথা। আর আমি? আমি তো আমার রুমে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে আছি। চোখে কাজল দিচ্ছি। কি ভাবছেন? আমি বিয়েতে আমন্ত্রিত কোনো অতিথি? না না। আমি কোনো অতিথি নই। আর এই বিয়েটা আমার কোনো ভাই বা বোনের ও নয়। এই বিয়েটা আমার। এটাই ভাবছেন তাই না? এই মেয়েটি পাগল। পাগল না হলে কেউ নিজের বিয়েতে নিজেই সাজে??? আরে না না। আমি কোনো পাগলও নই। আমাকে সাজিয়েছে অন্যরা ঠিক।

শুধু কাজলটা আমি নিজে পড়ছিলাম। আসলে আমার হবু বর মানে কিছুক্ষণ পর যিনি হবু শব্দটি বাদ দিয়ে আমার বর হবেন উনার ইচ্ছা আমি যেন নিজেই কাজলটা পড়ি। এই তো!! কাজল পড়া শেষ হয়েছে। লাল বেনারশি, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, হাতে কাচের চুড়ি, পায়ে নূপুর, আর গা ভর্তি গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুলের গহনা। আশ্চর্য হচ্ছেন? এ কেমন বিয়ের সাজ? এই সবকিছু উনার পছন্দ। উনি মানে ফাহিম। আমার হবু বর। যার সাথে কিছুক্ষণ পর বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবো। আসলে ফাহিমের ইচ্ছা আমাদের বিয়েতে আমি যেন অন্য রকম সাজি। ফাহিম বলে ফুল পবিত্র। একটা সম্পর্ক অবশ্যই পবিত্রতার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা উচিত। তাই সে চায় বিয়ের দিন আমাকে যেন ফুলের গহনা দিয়ে সাজানো হয়। কাচের চুড়ির ঝন ঝন শব্দে নাকি মেয়েদের সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়। ভাবছেন ছেলেটি নিশ্চয়ই কিপটা। তাই না? জ্বি না। ফাহিম মোটেনা। ফাহিম মোটেও সে রকম ছেলে নয়। সে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভালোবাসে। তাই তো আমাকে পার্লারে নয় ঘরে সাজানো হলো। উফ!! পায়ে আলতা তো পড়লামই না। ওহ আলতা তো ফাহিম পড়িয়ে দিবে বলেছিল। সে চায় আমি প্রথম পায়ে আলতা তার হাতেই পড়ি। অবশ্য এর আগে কখনো আলতা পড়ি নি আমি। এই প্রথম পড়বো। তাও ফাহিমের হাতে। আমার ভালোবাসার মানুষটির হাতে। হ্যা ফাহিমকে আমি ভালোবাসি। ফাহিম সাথে আমার প্রথম দেখা ভার্সিটিতে।

সেদিন ভার্সিটিতে আমার প্রথম দিন ছিল। সকাল থেকেই প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। ভার্সিটির ক্যাম্পাসের সামনে রিকশা থেকে নেমে এক প্রকার দৌড়েই বারান্দায় দাঁড়াই। বৃষ্টিতে আমি প্রায় ভিজেই গিয়েছিলাম। চুল থেকে ক্লিপ খুলে ভেজা চুল ঝাড়ছি। হঠাৎই কোনো ছেলের কন্ঠ কানে ভেসে আসে।

“এই যে মিস, আপনি চুল ঝাড়ছেন নাকি ভেজা কাপড় ঝাড়ছেন?” পেছনে তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।

— জ্বি!!! আমাকে বলছেন?

— আপনি ছাড়া কেউ আর আছে?

— জ্বি বলুন।

— আপনার চুল ঝাড়ার কথা বলছিলাম। আপনি চুল ঝাড়ছেন? নাকি কাপড় ঝাড়ছেন?

— কেন? কি হয়েছে?

— কি হয়েছে মানে? দু দুটো চোখ লাগিয়েছেন। তাও দেখতে পাচ্ছেন না?

— আশ্চর্য!!! আপনি কি ঠিক করে বলবেন আপনার সমস্যা কি?

— সমস্যা আমার নয়। সমস্যা তো আপনার মিস চশমিস। দু দুটো চোখ লাগিয়েও আমার মতো এতো বড় একটা ছেলেকে দেখতে পাচ্ছেন না? আমার উপরে চুল ঝাড়ছেন।

— আরে? আপনি পেছনে দাঁড়িয়েছে আমি কি করে জানবো?আর আমি যখন এখানে এসেছিলাম তখন তো আপনি ছিলেন না এখানে। আপনি তো পরে এসেছেন। আপনি সরে দাঁড়াতে পারলেন না???

— আমি ঠিক ভাবেই দাঁড়িয়েছিলাম। আপনি চুল ঝাড়তে ঝাড়তে আমার কাছে এসেছেন।

— দেখুন গায়ে পড়ে ঝগড়া করবেন না।

— ঝগড়া??? আমি আপনার সাথে ঝগড়া করতে যাবো কোন দুঃখে???? আর ঝগড়া তো মেয়েরা করে। আমাদের বাসায় যে কাজের মহিলা কাজ করে তাকে প্রতিদিন দেখি চুল তেরেং বেরেং। যদি জিজ্ঞেস করি “কি গো খালা, তোমার চুল এমন কেন? কি হয়েছে?

” সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিবে ” আরে আমাগো বস্তির কুসুমের মার লগে যে কাইজ্জা হইছে। আর সুকুনির মা,,, — স্টপ!!!! আপনার ফালতু কথা শুনার আমার কাছে সময় নেই। যত্তসব।

সেখান থেকে গিয়ে নিজের ক্লাস খুঁজে বের করলাম। নতুন পরিবেশ, নতুন মুখ। কারো সাথে বন্ধুত্বও হবে না এতো তাড়াতাড়ি। প্রতিটি টেবিলে ২জন করেবসে আছে। আমি বসবো কোথায়? হুউউউউউউউমমমমমম এই তো একটা টেবিলে খালি আছে। সেটাতেই বসি। সেই টেবিলে গিয়েই বসলাম। টেবিলটি জানালার পাশে। বাইরের বৃষ্টি খুব ভালোই উপভোগ করা যাবে।

. ক্লাসে স্যার এলেন। আমাদের সাথে তিনি ভালো মন্দ কথা বলছেন এমন সময় একটা ছেলে বাইরে থেকে বলল,

” May I Coming Sir ”

দরজার দিকে তাকালাম। উফ এ তো সেই ঝগড়াটে ছেলেটা। ও এখানে কি করছে?

— Yes Coming. যাও গিয়ে বস।

. ছেলেটা এদিক সেদিক তাকাচ্ছে। ছেলেটাকে দেখেই আমি আমার ব্যাগটা টেবিলের ওপর পাশে রাখলাম আর ওড়নাটা বেঞ্চের খালি অংশে ছড়িয়ে দিলাম। যাতে আমার পাশে বসতে না পারে।

— এই যে মিস চশমিস। আপনার ব্যাগ আর ওড়নাটা সাইডে নিন। আমি বসবো এখানে।

— আপনি এখানে কেন বসবেন? আর কোনো জায়গা দেখছেন না চোখে????

— না দেখছি না। আমি এখানেই বসবো। এখানেই বসবো।

উফ পারা গেল না ছেলেটার সাথে। আমার পাশেই বসলো। কি ঝগড়াটে ছেলেরে বাবা। কথায় কথায় ঝগড়া করে। যার সাথে এই ঝগড়াটে ছেলেটার বিয়ে হবে তার জীবনটা একদম তেজপাতা করে দেবে। ক্লাসে স্যার সবার সাথে পরিচিত হলেন। সবার নাম জিজ্ঞেস করলেন। তখন জানতে পারলাম সেই ঝগড়াটে ছেলেটির নাম ফাহিম। যাই হোক প্রথম দিন ক্লাস শেষে বাসায় চলে এলাম।

পরদিন ক্লাসে এসে দেখি ফাহিম আগেই এসে বসে আছে। আমি অন্য একটা মেয়ের পাশে বসে পড়লাম। যে মেয়েটির পাশে বসে ছিলাম তার নাম আলফি। সেই দিনই আলফির সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে গেল।এভাবেই কেটে যাচ্ছিল আমার সময় গুলো।

একদিন বিকেলে ছাদে হাঁটছিলাম। হঠাৎই একটা ঘুড়ি এসে পড়লো আমাদের ছাদে। ঘুড়িটা গিয়ে তুললাম। ঘুড়িটা বেশ সুন্দর। অন্য রকম একটা ঘুড়ি। কিন্তু এই ঘুড়ি এখানে এলো কিভাবে?

“হ্যালো? প্লিজ ঘুড়িটা দিবেন? এটা আমার। আমার ভাই ঘুড়ি কেটে দিয়েছে। প্লিজ দিয়ে দিন। ”

কন্ঠটা খুব চেনা মনে হচ্ছে। পেছন ঘুরে দেখি ফাহিম।

— আপনি!!!!!! (দুজন এক সাথে)

— আপনি এখানে কি করছেন? হ্যাঁ? ভার্সিটিতে তো শান্তি দেন না। পিছু করতে করতে শেষ পর্যন্ত এখানেও। (আমি)

— হ্যালো মিস চশমিস। আমার পিছু নিয়ে আপনি এখানে এসেছেন। আমি আসি নি। বুঝতে পেরেছেন? আর আপনি এখানে কি করছেন?

— আমার বাসায় আমি থাকবো না তো কি আপনি থাকবেন?

— আমার বাসায় আমি থাকবো না তো কি আপনি থাকবেন মিস চশমিস? এবার কথা না বাড়িয়ে আমার ঘুড়ি ফেরত দিন।

— আপনার ঘুড়ি আমার ছাদে এসেছে কেন?

— সেটা ঘুড়িকে জিজ্ঞেস করুন না। আমার ছাদ হয়তো ঘুড়ির পছন্দ হয়নি তাই লাফ দিয়ে আপনার ছাদে চলে গিয়েছে। এবার দিন।

— Next time ঘুড়ি যেন না আসে।

— সেটা ঘুড়ি বলুন আমাকে নয়। ঘুড়িকে আমি পাঠাই নি আপনার ছাদে।

— ঠিক আছে, ঠিক আছে। আমি দারোয়ানকে দিয়ে পাঠাচ্ছি। এরপর যদি আসে তাহলে আর পাবেন না।

এই বলে ছাদ থেকে নেমে দারোয়ানের কাছে ঘুড়িটা দিয়ে ফাহিমকে দিতে বললাম। এরপর প্রায় দেখতাম ফাহিমকে ছাদে। ফাহিমকে ছাদে দেখলে আমি আর ছাদে যেতাম না। আমার ঝগড়া করতে বিরক্ত লাগতো। দেখতে দেখতে আমাদের পরীক্ষা শুরু হলো।

একদিন পরীক্ষার হলে ফাইমকে অনেক চিন্তিত দেখলাম। এতো ভালো একটা ছাত্র আজ প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর থেকেই চিন্তিত? অন্য সময় তো ঝড়ের বেগে লিখতে শুরু করে। আজ এদিক ওদিক কি দেখছে?

— Any Problem? (আমি)

— না মানে হ্যাঁ। আমার কলমের কালি শেষ। কারো কাছেও নেই। (ফাহিম)

— নিন।

— এঁ?

— নিন ধরুন।

— ওহ

পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে একটা গাছের নিচে বসলাম। আলফি পরীক্ষা শেষ করে অনেক আগেই চলে গিয়েছে। বাসায় যেতেও এখন ইচ্ছা করছে না। তাই একাই বসে রইলাম গাছের নিচে।

“আপনার কলমটা” মুখ তুলে তাকিয়ে দেখি ফাহিম। কলম ধরে দাঁড়িয়ে আছে। হাত বাড়িয়ে কলমটা নিলাম।

— এখানে বসতে পারি? (ফাহিম)

— Sure (আমি)

— Thank you.

— Welcome.

— প্লিজ কিছু মনে করবেন না। এতদিন শুধু শুধু ঝগড়া করছি আপনার সাথে।

— না ঠিক আছে। সমস্যা নেই।

— আমরা কি বন্ধু হতে পারি?

— হ্যাঁ নিশ্চয়ই।

— তাহলে আপনি থেকে তুমি তে আসা যাক? তাছাড়া আমরা তো একসাথেই পড়াশোনা করি।

— হ্যাঁ হ্যাঁ।

এই প্রথম ফাহিমের সাথে ঝগড়া ছাড়া কথা হলো। অনেক গুছিয়ে কথা বলে ছেলেটা। ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে আমরা একসাথেই বাসায় ফিরলাম। রাতে বিছানায় গিয়ে ভাবলাম ছেলেটাকে যতটা খারাপ ভাবতাম ততটা খারাপ সে নয়। যাই হোক আস্তে আস্তে আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠলাম।

একদিন বিকেলে ছাদে উঠলাম। খুব সুন্দর বাতাস দিচ্ছিল। কোনো রোদও ছিল না। ছাদে থাকা দোলনাতে বসে ছিলাম।

— পিউ!!!

— তুমি??

— হ্যাঁ। হাওয়া খেতে উঠলাম। এসে দেখি তুমিও এখানে। ভালোই হলো গল্প করতে পারবো।

— হ্যাঁ। আমিও একাই বসে ছিলাম। তুমি আসায় ভালো হলো।

— একটা কথা বলবো?

— হ্যাঁ বল।

— তোমাকে আজকে অন্য রকম লাগছে। একদম অন্য রকম।

— অন্য রকম মানে?

— পড়নে সেলোয়ার কামিজ, চুলে বেণী, চোখে মায়াবি কাজল সাথে চশমা। সত্যি অসাধারণ লাগছে।

— তাই বুঝি!

— সত্যি মিথ্যা বলছি না। দেখ বাতাসে তোমার সামনের চুল গুলো কেমন সুন্দর উড়ছে।

— এমনভাবে কথা বলছো যে তুমি কোনো কবি।

— হতে— হতেও পারি যদি তুমি চাও।

10/01/2024

Rofikul 5R Follow Me
এলাকার যে ছেলেটি কখনো খারাপ কাজ বা নেশা করে নি,

আজকে সে এখন নাম কড়া নেশাখোর আর খারাপ কাজে লিপ্ত। যে ছেলেটি সিগারেটে থাকা নিকোটিনের ধোঁয়া সহ্য করতে পারতো না,

আজ সে সেই নিকোটিন তার চলার পথের সঙ্গী।

. সে এখন প্রতি রাতেই ছাদের কোণে গিয়ে নিকোটিনের আগুনে নিজেকে পুড়তে বসে।

যে ছেলেটি কলেজ, কোচিং, কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে সবাইকে মাতিয়ে রাখতো, আজ সে একদম চুপ।

কারো সাথে কোনো কথা বলে না সব সময় একা থাকে।

. যে ছেলে অন্ধকার কে এবং কালো জিনিস অপছন্দ করতো,

আজ সে শপিং এ গেলে সবথেকে আগে কালো রঙটাকে চয়েজ করে আর প্রায় সময়টাই অন্ধকারের মধ্যে থাকতে চায়।

এছাড়াও আরো অনেক ঘটনা আছে যা আমাদের চারপাশে ঘটে চলছে।

হয়তো কারোটা প্রকাশ পায় আবার কারো টা প্রকাশ পায় না।

. সমাজের ছোট বড় প্রত্যেকেই ভাবে হয়তো খারাপ সঙ্গ পেয়েই ভালো খারাপ হয়েছে।

এভাবেই আমাদের সামনে ঘটে যাওয়া কর্মকাণ্ড গুলোর প্রতিক্রিয়া জানাই।

প্রতিক্রিয়া গুলো হয় সাধারনত এরকমঃ-

. ★ ছেলেটা ভালো ছিল, কিন্তু এখন রোজ সিগারেট খায়।

★ ছেলেটা একদম নষ্ট হয়ে গেছে, রোজ মারপিট আর নেশা করে।

★ এই ছেলে ছোট থেকে অনেক সম্মান করতো, কিন্তু এখন সামনে বসে সিগারেট ধরায়।

★ ছেলেটা খারাপ হবে কখনোই ভাবি নি।…. ইত্যাদি।

. আমরা ভেবে থাকি এসব ছেলেগুলো এভাবে নষ্ট হওয়া আর বিগড়ে যাওয়ার পিছনে খারাপ সঙ্গ একমাত্র দায়ী।

কিন্তু কখনো কি জানতে চেয়েছি বা চেয়েছেন তাদের এই খারাপ হওয়ার পিছনের কারনটা। কিসের জন্য তারা এ পথে এসেছে…??

. একটা ছেলে শুধু খারাপ সঙ্গ পেয়ে নেশার জগতে পা দেয় না।

এর পিছনে জড়িয়ে থাকে পারিবারিক সমস্যা না হয় কাছের মানুষের দেয়া কষ্ট আর অবহেলা।

আমাদের সমাজের প্রায় অর্ধেকের বেশি ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয় প্রেম বিচ্ছেদে। আর অল্প কিছু ছেলেরা হয় পারিবারিক কারনে।

তখন এরা বেঁচে থাকার জন্য এবং পুরাতন স্মৃতি গুলো মুছে ফেলার জন্য নেশার জগতে পা দেয়।

. আচ্ছা কতটা কষ্ট পেয়ে একটা ছেলে তার চোখের পানি ফেলে…!!

হ্যাঁ, আপনাকেই জিজ্ঞাস করছি যিনি বা যে এই গল্পটাকে পড়ছেন।

আমার জানা মতে, একটা ছেলেকে কখনো আপনি সামনে বসে তেমন একটা কান্না করতে দেখবেন না।

কারন সে জানে সবার সামনে বসে কান্না করতে দেখলে তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, তামাশা করবে।

. তাই সে নিরবে তার কষ্টটাকে বুকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। কারন ওখানে লুকিয়ে রাখলে কেউ দেখতে পাবে না, একমাত্র স্রষ্টা আর নিজে ছাড়া।

রাতে অন্ধকারে ঘরের কোনো এক কোণে বসে বা বিছানায় শুয়ে নিঃশব্দে দু’চোখের পানি ফেলে কেঁদে যাবে।

চিৎকার দিয়েও সে তখন কাঁদতে পারে না, যদি তার বাসার কেউ কান্নার শব্দ শুনে যায়।

. বাসার যে ছেলেটি খুব হাসি খুঁশি থাকতো, প্রাইভেট বা আড্ডা দিয়ে সবাইকে মাতিয়ে রাখতে পারতো। আজ হয়তো তার ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে অবহেলা পেতে পেতে সে দিনদিন এতো বদলে গেছে বা যাচ্ছে।

. আগের মত আর কারো সাথে মিশে না, মন মরা আর সবসময় একা থাকতে চায়।

কারন, সে জানে বন্ধুদের সাথে চলতে হলে তাকে হাসি-খুঁশি থাকতে হবে।

যদিও ক্ষেত্রবিশেষ চলতে হয় তখন তাকে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে জীবন কাটাতে হয়।

. যখন একটা ছেলের জীবনে কোনো মেয়ে আসে, তখন তাকে নিয়েই জীবনটাকে রঙ্গিন করতে চায়।

কিন্তু হঠাৎ করে সেই রঙ্গিন কে কালো করে দিয়ে অন্য ছেলের হাত ধরে চলে যায়, তখন শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়।

সে ভাবতে থাকে এই কি সেই মেয়ে যে কোনো একসময় আমায় নিয়ে ভালোবাসার স্বপ্ন বুনতো।

. আপনি যদি একটা ছেলের একদম কাছের বা ভালোবাসার মানুষ হয়ে তাকে কষ্ট দিতে চান বা তাকে কাঁদাতে চান। তাহলে তাকে কোনো ভরা জনসম্মুখে এনে চড় মারুন, তাকে বেশি করে গালাগালি করুন বা তাকে অপমান করুন।

দেখবেন নিরবে কোনো প্রতিবাদ না করে আপনার সামনে থেকে মাথা নিচু করে চলে যাবে তবুও কাঁদবে না।

. কিন্তু তাকে সামান্য পরিমান অবহেলা করুন, তার সাথে একটু কথা বলা কমিয়ে দিন,

খোঁজ-খবর নেয়া কিছুদিনের জন্য বাদ দিয়ে দিন বা তার সাথে কম যোগাযোগ করুন।

তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে তার চোখের নিচটা কালো হয়ে গেছে আর আগের থেকে অনেকটা শুকিয়েও গেছে।

কারন সারারাত কেঁদে নির্ঘুমে কাটানো রাত আর ঠিকভাবে নিয়মিত না খাওয়ার ফলে এ অবস্থা তার।

. ছেলেরা অনেক কিছু সহ্য করতে পারে, কিন্তু কাছের মানুষদের অবহেলা সহ্য করতে পারে না।

একটা ছেলের সাজানো জীবনকে এলোমেলো করে দিতে তার ভালোবাসার মানুষের অল্প অবহেলাই যথেষ্ট।

. ছাদে বসে নীল আকাশকে দেখতে থাকা ছেলেটিও কোনো একসময় রাতের আধারে ছাদের কোনো এক কোণে বসে তারা গুনে,

আর নিজের বুকটাকে একের পর এক সিগারেটের ধোঁয়ায় পুড়তে থাকে।

. বাড়ির ছেলের কোনো একসময় পছন্দ ছিলো নীল আর লাল।

কিন্তু এখন তার পছন্দের রঙ বদলে গিয়েছে। সে এখন আর নীল আর লাল রঙের কিছু পড়ে না।

কারন ওটা ছিল তার পুরনো ভালোবাসার মানুষেরও পছন্দ।

তাই আজ এসব বাদ দিয়ে তার একমাত্র পছন্দ রঙ হল কালো।

. একটা ছেলে যে কখনো অন্ধকারে থাকতে পারতো না। সবসময় বন্ধুদের সাথে বাহিরে ঘোরাঘুরি করতো।

কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে সে এখন অন্ধকারকে নিজের আপন করে নিয়েছে।

সে এখন দিনের বেশির ভাগ সময়টাও অন্ধকার রুমেই কাটিয়ে দেয়, তবুও বাহিরে বের হয় না।

. একটা ছেলে কখনোই চায় না খারাপ হতে, কিন্তু আমাদের সমাজ, পরিবেশ আর পরিস্থিতি তাকে খারাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়।

দশটা খারাপ ছেলের সাথে চলতে গিয়ে একটা ভালো ছেলেও কোনো একসময় খারাপ হয়ে যায়।

আর দশটা ভালো ছেলের সাথে একটা খারাপ ছেলে চললে একসময় নেশা করা ছেড়ে দিয়ে সে ভালো হয়ে যায়।

. সবশেষে সেই সকল কাছের বা ভালোবাসার মানুষদের একটা কথাই বলবো যে, কোনো ছেলেকে ভালোবাসলে তাকে মন দিয়ে ভালোবাসবেন।

কোনো প্রকার ছলনা বা মিথ্যের আশ্রয় না নিয়ে ভালোবাসুন দেখবেন সে আগের থেকে আরো দ্রুত ভালো কিছু করার জন্য এগিয়ে যাবে।

. আর তাকে যদি আপনি নাই ভালোবাসেন তাহলে দয়া করে তার সাজানো সুন্দর ভবিষ্যতটাকে নষ্ট করে দিবেন না।

কারন আপনার একটু একটু করে দেয়া অবহেলা আর কষ্ট একটা ছেলের স্বপ্ন গুলো মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে যে কোনো মুহূর্তে।

. একটা ছেলে খারাপ হলে তার পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে মা আর বাবা বড্ড অসহায় হয়ে পড়ে।

তখন সমাজে তাদের মুখ দেখাতে কতটুকু কষ্ট পেতে হয় তা হয়তো আপনি অথবা আমি জানি না আর বুজতেও পারি না।

কোনো একসময় পরে যখন আপনি আর আমি কোনো সন্তানের মা বাবা হব তখন এর উপলব্ধি করতে পারবো।

10/01/2024
29/12/2023

ভালোবাসা ভালোবাসা প্রেম

23/12/2023

5RRofikul IslamAFR TechnologyGMA Public AffairsAamir AzizMohammad Abdul Kaium SirajiProthom AloMst Rina 󱢏followersققناة الحدث Al HadathHadathققناة الغد Alghad TVTVققناة الجزيرة مباشر - Aljazeera Mubasher ChannelChannelققناة العربية Al Arabiya Aقناة العربية Al ArabiyaArabiya@followersAAl Jazeera Channel - قناة الجزيرةOye Dilshad MewatiMewati@followersWWEWWEWWEWWEWWalmartBangladesh the is Blackr and follow me to page

23/12/2023

Rofikul 5R

23/12/2023

মোনাজাতে ঝড়ে পড়া চোখের পানি কখনো বিফলে যায়না,

হযরত মুহাম্মদ (সঃ)

22/12/2023

17/12/2023

আমার প্রিয় নবী কে কে কে ভালোবাসো কমেন্ট করে জানাবে

14/12/2023

আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন

17/07/2023

পেলাম তোমায় এখনি কেন যাবে হারিয়ে?
কি করে বল রব একা? ফিরে দেখো এখনও আছি দাড়িয়ে।।
কেন হটাৎ তুমি এলে নয় কেন তবে পুরটা জুড়ে ?
আজ পেয়েও হারানো যায় না মানা
বাঁচার মানে টা যাবে হারিয়ে।
শুনছো কি তুমি আমায়?

Moner Ghor Lyrics (মনের ঘর) By Imran Mahmudul । Official Music Video । Bangla Songs 2023 #imran SK 21/03/2023

https://youtube.com/

Moner Ghor Lyrics (মনের ঘর) By Imran Mahmudul । Official Music Video । Bangla Songs 2023 #imran SK . . #মনের_ঘরে_লিরিক্সSong : Moner Ghor - মনের ঘরSinger : Imran MahmudulLyric : Robiul Islam JibonTune ...

19/02/2023
Want your establishment to be the top-listed Arts & Entertainment in Mymensingh?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

বাবার কষ্ট কতো সন্তান বোঝে
#entertainment #viralvideo
Respect 🔥💯 real #youthsports
#bhalobasarbandhan01
আসসালামু আলাইকুম
#work #quotes #explore #reelsfb #trending #Youtube #usa #instagood #ootd #photo #AmaZing #shorts #dance #funny #gym #hap...
বাশির সুর Rofikul Islam 001 #xo #quotes #Wow #trending #fypシ゚ #fypシ゚viral
আল্লাহর নিয়ামত
Love 💕💕 you
বন্ধুরে তোর বুকের ভেতর সখের বসে বানাইয়াছি আমার বসত বাড়ি ঘর #music #song #Official (⁠-̩̩̩⁠-̩̩̩⁠-̩̩̩⁠-̩̩̩⁠-̩̩̩⁠_মাহিয়া_⁠_...

Telephone

Website

Address

Mymensingh

Other Arts & Entertainment in Mymensingh (show all)
Reflection Reflection
Mymensingh, 2200

Only For Entertainment

Sheikh Rasel Molla Sokal Sheikh Rasel Molla Sokal
Mymensingh

Managing Director & Owner Md. Rasel Miah

Alokito Golpo Alokito Golpo
Mymensingh, 2300

গল্প মানুষের টনক নাড়িয়ে দেয়।

Husss Babyy Husss Babyy
Mymensingh

Where ?

VIRAL MMS VIRAL MMS
Fulpur
Mymensingh, 2340

শুধু মাএ অবসর মুহূর্তকে আনন্দদায়ক কর?

Ciney Adda Ciney Adda
Dhaka
Mymensingh

Being myself – Everyone else is taken. Time is precious, waste it wisely.

বিশেষ দ্রষ্টব্য-Bishesh Droshtobbo বিশেষ দ্রষ্টব্য-Bishesh Droshtobbo
Mymensingh
Mymensingh, 2411

This not a world in which we wish to live.

Binodon  sobsomoy. Binodon sobsomoy.
Jamalpur To Madargonj
Mymensingh, 2040

this page is an entertainment page

Kilding Crafts Kilding Crafts
Mymensingh

We make a variety of bags for men and women with woven fabrics and traditional Dakamanda saris of the Garos.

RM entertainment RM entertainment
Vhaloka
Mymensingh

𝐒𝐏𝐘 𝐇𝐄𝐀𝐑𝐓 𝐒𝐏𝐘 𝐇𝐄𝐀𝐑𝐓
Jamalpur
Mymensingh

Best funny video, just for fun, funny video, funny,

Lamp乂Post Lamp乂Post
Seedstore Bazar
Mymensingh

Entertainment,people and bolgs