M U S L I M
ইসলামেরর পথে চলতে হলে সঠিক ভাবে ইসলামকে জানতে হবে
We try to be the processed Muslim Ummah
ইজতেমায় অংশ নেওয়া তাবলিগের সাথীরা যে সমস্ত খিত্তায় অবস্থান করবেন তা হলো- গাজীপুর (খিত্তা-১), টঙ্গী (খিত্তা-২, ৩ ও ৪), মিরপুর (খিত্তা-৫-৬), সাভার (খিত্তা-৭-৮), মোহাম্মদপুর (খিত্তা-৯), কেরানীগঞ্জ (খিত্তা-১০-১১), কাকরাইল (খিত্তা-১২,১৩,১৪,১৫, ১৮,২০, ২১), যাত্রাবাড়ী (খিত্তা-১৬,২৬,২৮), ডেমরা (খিত্তা-১৭) ধামরাই (খিত্তা-২৭), দোহার (খিত্তা-৩০)।
রাজশাহী (খিত্তা-১৯), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (খিত্তা-২২), নাটোর (খিত্তা-২৪), নওগাঁ (খিত্তা-২৩), নড়াইল (খিত্তা-৪০), সিরাজগঞ্জ (খিত্তা-২৯), টাঙ্গাইল (খিত্তা-২৫)।
রংপুর (খিত্তা-৩১), গাইবান্ধা (খিত্তা-৩৪), লালমনিরহাট (খিত্তা-৩৬), মুন্সীগঞ্জ (খিত্তা-৪১), যশোর (খিত্তা-৪৬), নীলফামারী (খিত্তা-৩২), বগুড়া (খিত্তা-৩৫), জয়পুরহাট (খিত্তা-৩৩), নারায়ণগঞ্জ (খিত্তা-৩৮-৩৯),
ফরিদপুর (খিত্তা-৬২), ভোলা (খিত্তা-৪৪), নরসিংদী (খিত্তা-৪৫), সাতক্ষীরা (খিত্তা-৪৭), বাগেরহাট (খিত্তা-৪৮), কুষ্টিয়া (খিত্তা-৫৪), মেহেরপুর (খিত্তা-৪৭), চুয়াডাঙ্গা (খিত্তা-৪৯), ময়মনসিংহ (খিত্তা-৫৫,৫৩), শেরপুর (খিত্তা-৫৬), জামালপুর (খিত্তা-৫১,৫২), গোপালগঞ্জ (খিত্তা-৫৯), কিশোরগঞ্জ (খিত্তা-৫৮), নেত্রকোনা (খিত্তা-৫৭), ঝালকাঠি (খিত্তা-৪৩), বান্দরবান (খিত্তা-৫৭), বরিশাল (খিত্তা-৪২)।
পিরোজপুর (খিত্তা-৬৫), হবিগঞ্জ (খিত্তা-৬৬), কক্সবাজার (খিত্তা-৬৪), সিলেট (খিত্তা-৬৭), সুনামগঞ্জ (খিত্তা-৬৮), ফেনী (খিত্তা-৬৯), নোয়াখালী (খিত্তা-৭০), লক্ষ্মীপুর (খিত্তা-৭১), চাঁদপুর (খিত্তা-৭২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া (খিত্তা-৭৩)।ি
খুলনা (খিত্তা-৭৪), পটুয়াখালী (খিত্তা-৭৫), বরগুনা (খিত্তা-৭৬), চট্টগ্রাম (খিত্তা-৭৭-৭৮), কুমিল্লা (খিত্তা-৭৯), মৌলভীবাজার (খিত্তা-৭৬), রাজবাড়ী (খিত্তা-৯০), মাদারীপুর (খিত্তা-৮৮), শরীয়তপুর (খিত্তা-৮৯), মানিকগঞ্জ (খিত্তা-৮৫), রাঙ্গামাটি (খিত্তা-৮১), দিনাজপুর (খিত্তা-৩৭), পাবনা (খিত্তা-৮৪), পঞ্চগড় (খিত্তা-৮৭)
অসহায় কিংবা ভিক্ষুক সাহায্য চাইতে এলে তাদের সাহায্য করতে পারলে ভালো লাগে তাই বেশিরভাগ সময়ই সাহায্য করার চেষ্টা করি।
তবুও মাঝে মধ্যে মুড ভালো না থাকলে তাদের কে খালি হাতে ফিরিয়ে দেই আবার কখনো ঝাড়িও দিয়ে ফেলি। পরোক্ষনেই আবার খারাপ লাগে, কষ্ট পাই।
একবার এক ভাই বলেছিলো, "আল্লাহ তার প্রিয় সৃষ্টিকে তোমার কাছে হাত পেতে চাইতে পাঠিয়েছেন মানে তো অনেক বড় সৌভাগ্যের কথা। আল্লাহ চাইলে অন্যভাবেও তাঁর বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করতে পারতেন। কিন্তু এত সব উপায় থাকতেও তিঁনি তোমাকেই তার সাহায্যকারী হিসেবে মনোনিত করেছেন।খেয়াল রাখবে তোমার কাছে আল্লাহর প্রিয় সৃষ্টির যেন কখনো কোনো অমর্যাদা না হয় "।
আমি জানি অনেক মানুষ পেটের তাগিদে ভিক্ষা করলেও কিছু মানুষ অভ্যাসবশত অগৌরবের কাজ ভিক্ষা করছে, কাজের সামর্থ্য থাকার পরও ভিক্ষা করছে, এটাকেই অনেকে পেশা হিসেবে নিয়েছে ।তবুও উনার ওই কথা শুনার পর থেকে সাহায্যের সামর্থ বা ইচ্ছা না হলেও হাসিমুখে বিদায় দেয়ার চেষ্টা করি।
স্রষ্টার সৃষ্টি এসে আমার কাছে হাত পাতছে? এটা তো আমার জন্য পরীক্ষা৷ সাহায্য করতে না পারলেও আমার দ্বারা যেনো কোন কষ্ট সে না পায়।
ক্যাফেটেরিয়া নিয়ে যত কথা, প্রশ্ন এবং তার জবাবঃ
১. ক্যাফেটেরিয়ায় খাওয়া অপচয় কেন?
উত্তর: আগেই একটা উদাহারন পেশ করা হয়েছে যে, আপনি চাইলেই ১০-১৫ টাকা খরচ করে বাসায় এক কাপ কফি বানিয়ে খেতে পারবেন। ঠিক একই কফি যদি আপনি ক্যাফেতে খান তাহলে পার কাপ মিনিমাম ৮০-১০০৳ হবে।
যদি এখানে তুলনা করা হয়, তাহলে আপনি এক কাপ কফিই খাচ্ছেন কিন্তু অপ্রয়োজনে(অতিরিক্ত) ৫০+ টাকা খরচ করছেন। এদিক থেকে এটা নিঃসন্দেহে অপচয়ের কাতারে পড়ে। এখানে যেহেতু খাওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য, সেহেতু একই খাবারে অর্থ সাশ্রয়ের বিকল্প উপায় থাকার পরেও আপনি অতিরিক্ত অর্থ খরচ করছেন। অথচ আপনি এ অর্থ সাশ্রয় করে তা দ্বারা অন্য কোনো প্রয়োজন মেটাতে পারতেন। কিংবা সাদাকাহর মাধ্যমে আখিরাতের পাথেয় জোগাড় করতে পারতেন।
২. আমার টাকা আমি খরচ করব তাতে দোষ কোথায়?
উত্তর: আপনার টাকা আপনি যেকোনো ভাবে খরচ করতে পারেন, সেই ক্ষমতা আপনার অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও চাইলেই যে-কোন ভাবে টাকা খরচ করার এখতিয়ার আসমান থেকে আপনাকে দিয়ে দেওয়া হয়নি। আপনার টাকা হলেও তা খরচের জন্য একটা নির্দিষ্ট বিধি নিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যেমন ধরুন, আপনার কাছে টাকা আছে তা দিয়ে আপনি আপনার পানির বিল প্রদান করে পানি ক্রয় করেছেন, বিদ্যুৎ খরচের বিনিময়ে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করেছেন, গ্যাস ব্যবহারের বিনিময়ে চুলার সংখ্যা অনুযায়ী আপনি গ্যাস বিলও দিয়েছেন, এখন আপনার টাকা দিয়ে আপনি সবকিছু কিনে নিয়েছেন তাই এই সবকিছু এখন আপনার, একান্তই আপনার। আপনার জিনিস এখন আপনি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী খরচ করবেন এই ক্ষমতা আপনাকে দেওয়া হল। কিন্তু তাই বলে কি আপনি প্রয়োজন না হলেও সারাদিন ফ্যান চালিয়ে রাখবেন?
চুলা জ্বালিয়ে রেখে গ্যাস খরচ করবেন?
ইচ্ছেমতো পানি ফেলবেন?
যেহেতু, আপনার নিজের ইচ্ছামতো খরচ করার ক্ষমতা আছে তাই? ধরুন আপনার এখন ফ্যান না হলেও চলবে তবুও আপনি ফ্যান চালিয়ে রেখেছেন, এটা কি অপচয় নয়? কিংবা ধরুন, ৫ মগ পানিতে আপনার সহজেই গোসল হয়ে যাবে তবুও অতিরিক্ত দশ মগ পানি ঢাললেন শরীর পরিষ্কারের জন্য! এই অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত পানি ঢালা কি অপচয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে না?
সিমিলারলি হাশরের ময়দানে যদি আল্লাহ ﷻ জিজ্ঞেস করেন, কেন আপনি একটি জিনিস খাওয়ার পিছনে অতিরিক্ত টাকা খরচ করেছেন? কেন অতিরিক্ত দশ মগ পানি বেশি ঢেলেছেন? তখন কি বলবেন, "আমার টাকা ছিল, আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই করেছি?"
৩. ইচ্ছে হলেই কিছু খাওয়া কি অপচয়?
উত্তর: আমাদেরকে বিপদগামী করায় শাইত্বান। আর শাইত্বান বিপদগামী হয়েছে নিজের নাফসের প্ররোচনায়। নাফসকে লাগাম টানা জরুরী। উদাহরণস্বরূপ ধরুন, এখন আপনার চা খেতে ইচ্ছে করলো আর আপনি নিজের মনের ইচ্ছে পূরণ করতে চা বানাতে চলে গেলেন, চা খেলেন। কতক্ষণ পর আবার খেতে ইচ্ছে করলো, তাই আবার খেলেন! এমন করতে করতে একটা সময় আপনার চা'য়ের নেশা হয়ে যাবে। তখন লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনি চাইলেও আর চা না খেয়ে থাকতে পারছেন না। একই জিনিস ফোন, পিসি, টিভি বা অন্য কোন খাদ্যাভ্যাসেও হতে পারে।
বিশেষত মন চাইলেই খেতে বসে যাওয়ার একপ্রকার অর্থ হচ্ছে আমার পেটে খাবার আছে এবং বিন্দুমাত্রও ক্ষুধা নেই কিন্তু হুট করে ইচ্ছে হলো আমি এখন ওটা খাবো বা ওটা খেতে আমার ইচ্ছে করছে; আর ইচ্ছে হওয়া মাত্র তক্ষুনি তা খেতে বসে যাওয়াটা সাহাবায়ে কেরাম (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম)দের নজরে অনুচিত, কোনো কোনো বুযুর্গ (রাহিমাহুল্লাহ্) ক্ষুধা নিবারণ ব্যতীত অতিরিক্ত কিছু খাওয়াকেও অপচয় বলে মনে করতেন। কারণ, এসবে ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আপনার শরীরের জন্য ওটা খাওয়া জরুরী না, শুধু আপনার মন বা নাফস্ চাইলো আর আপনি তা পূরণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। এটা নাফস্কে লেলিয়ে দেওয়ার মতোই। সামর্থ্য থাকলেও শুধুমাত্র নিজের স্বার্থে নিজের মনের ইচ্ছে পূরণ করতে নিজের জন্য সবকিছু খাওয়ার জারুরাত কী? এজন্য কখনো কখনো নাফসকে কন্ট্রোল করার জন্য জিহ্বাতেও লাগাম টানতে হয়, চাইলেই সব কিছু খাওয়া জরুরি নয়!
এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘটনা,
হাসান বসরি (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন, একবার উমর ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর পুত্র আবদুল্লাহর কাছে গেলেন এবং তার কাছে গোশত দেখতে পেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “এই গোশত কিসের জন্য?” আব্দুল্লাহ্ বললেন, “আমার গোশত খেতে মন চেয়েছে।” উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, “তোমার যখন যা মন চায় তখনই কি সেটা খাও? কোনো বাক্তির পক্ষে অপচয়ের জন্য এ-বিষয়টাই যথেষ্ট যে, তার যখন যা মন চায় তখনই সে ওটা খায়।”
[সাহাবিদের চোখে দুনিয়া; পৃষ্ঠা: ৪১/৪]
৪. ক্যাফেতে খেলে তো অনেকের আয়ের রাস্তা খুলে যায়, এটা কি পজিটিভ দিক নয়?
উত্তর: জ্বি, নিঃসন্দেহে এটা পজিটিভ সাইন। কিন্তু মুদ্রার এপিঠের পেছনে ওপিঠ হাতড়ানোও জরুরী। যেহেতু, এটা একটু গভীর প্রশ্ন; তাই আমিও প্রশ্ন-উত্তরের স্বার্থে আরো একটু গভীরে প্রবেশ করছি ইন শা আল্লাহ।
ক্যাফেতে খেলে আপনার টাকার উসিলায় কারোর রিজ্বক আসছে। কিন্তু একই টাকার একটা অংশ যে ক্যাফের মিউজিক সিস্টেম এর কারেন্ট বিলে ইনভেস্ট করা হচ্ছে না, তার কি কোন গ্যারান্টি আছে? এদেশের অধিকাংশ ক্যাফেতে প্রেমলীলা এবং হারাম গান-বাজনা চলে, সেক্ষেত্রে 'ক্যাফে' ওয়ার্ডের পক্ষে বেশি গভীর চিন্তা ভাবনা করে দয়া প্রদর্শন করাটা একটু অদ্ভুত। আমাদের টাকা ক্যাফের মালিক এবং স্টাফদের আয়ের খাতে ব্যয় হচ্ছে কিনা সেই চিন্তা করার পাশাপাশি ক্যাফের অন্যান্য হারাম বা অপ্রয়োজনীয় খাতেও ব্যয় করা হচ্ছে কিনা সে চিন্তা করাও অধিক জরুরী। তাদের রিজ্বকের জবাবদিহিতা আমাদেরকে দিতে হবে না। এছাড়াও আমি-আপনি যদি ক্যাফেতে না খাই তাহলে তাদের রিজ্বক বন্ধও হয়ে যাবে না; বরং তাদের রিজিকের কথা চিন্তা না করে অতিরিক্ত কিছু অভুক্ত মানুষদের খাদ্যের যোগানের জন্য চিন্তা করা অধিক শ্রেয়।
আপনার সকল প্রতিবেশীর খবর কি আপনি রাখেন? আপনি যখন ক্যাফেতে খেতে যান তখন কি এই নিয়্যাতে যান যে, আপনি খেলে তাদের আয় হবে?
আপনাকে কি রোজ হাশরে এই প্রশ্ন করা হবে যে, 'আপনি ক্যাফেতে খেয়ে অন্যের রিজ্বকের উসিলা হননি কেন?'
অন্যের আয়ের ক্ষেত্র পজিটিভলি ভাবতে যেয়ে যেন নিজের ব্যয়ের দিকেৱ নেগেটিভিটির পাল্লাই উল্টো ভারী না হয়ে যায়, সেদিকেই বেশী লক্ষ্য রাখা উচিত নয় কি?
৫. তাহলে কী ক্যাফেটেরিয়ায় খাওয়া প্রত্যেকে তাক্বওয়াহীন? দ্বীনদার নয়?
উত্তর: নিশ্চয়ই তা নয়! কোন লেখাতেই এসব কর্মকান্ডের জন্য কাউকে তাক্বওয়াহীন বলা হয়নি। যদি কারোর তা মনে হয়ে থাকে তাহলে সেটা হচ্ছে নিতান্তই ভুল বোঝাবুঝি বা মেইন কনসেপ্ট ধরতে না পারা বা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা। এটা তাকওয়া আছে কি নেই সেই প্রসঙ্গ নয় বরং তাকওয়া অবলম্বনের ক্ষেত্রে উত্তম বা অনুত্তম পন্থা গ্রহণের প্রসঙ্গ। যিনি পর্দা করেও ইচ্ছাকৃতভাবে চোখ খুলে রাখেন আর যিনি রাখেন না বরং ঢেকে রাখেন, উভয়ের তাকওয়া ও গাইরত এক নয়। যিনি শুধুমাত্র হালাল-হারাম মেনটেইন করে খান আর যিনি শুধুমাত্র হারাম-হালাল মেনটেইন'ই করেন না বরং হালালের ক্ষেত্রেও কোনটা উত্তম ও অধিক প্রয়োজনীয় তা বেছে বেছে গ্রহণ করেন এবং অপ্রয়োজনীয়, অনুত্তম অংশ ত্যাগ করে চলার চেষ্টা করেন, উভয়ের তাকওয়া সমান নয়! এজন্য কিন্তু প্রথমজন তাক্বওয়াহীন হয়ে যান নি কিন্তু প্রথম জনের তুলনায় দ্বিতীয় জন যে অধিক তাক্বওয়াবান তা স্বীকার করাই বাহুল্য! সিমিলারলি, ক্যাফেতে খেয়ে সাশ্রয় না করাৱ চেয়ে অল্টারনেটিভ হিসেবে বাসা বা অন্য কোথাও স্বল্প মূল্যেরটা খেয়ে অতিরিক্ত টাকা সাশ্রয় করা কিংবা কখনো কখনো সেক্রিফাইস করা নিঃসন্দেহে উত্তম! আর অপচয়ের সূত্রানুযায়ী এটাই উচিত! তবে, যাদেরকে কোনো প্রয়োজনে বাধ্যতামূলক ক্যাফেতে খাওয়া দাওয়া করতে হয় তারা এর আওতাভুক্ত নন।
৬. ক্যাফের মালিক ও স্টাফদের আয় কি তবে হারাম?
উত্তর: অবশ্যই না! লেখার কোনো অংশেই তাদের আয় সম্পর্কিত কোনোকিছুই উল্লেখ করা হয় নি। তাদের আয় হারাম নাকি হালাল তাও পর্যালোচনা করা হয় নি। একটা ক্যাফের ভাড়া, স্টাফদের স্যালারি, কারেন্ট বিল, খাবারের খরচসহ আনুষাঙ্গিক বহু খরচ রয়েছে। যাবতীয় খরচাপাতি অনুযায়ী প্রতি খাবারের মূল্য যদি মাত্রাতিরিক্ত বেশি ধার্য করা না হয় তাহলে শুধুমাত্র খাদ্য মূল্যের সূত্রে তাদের আয়কে হারাম সাব্যস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। তারা তাদের খরচ অনুযায়ী'ই খাদ্যের মূল্য ধার্য করেন; আর তা তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, উক্ত খাদ্যদ্রব্য ক্রয় না করে অল্টারনেটিভ গ্রহণ করার মাধ্যমে শুধুমাত্র নিজেদের ব্যয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে মাত্র। এ ব্যতীত আর কিছুই নয়। তবুও যদি জোরপূর্বক এমন কিছু দাবী করা হয় বা এহেন মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয় তাহলে তা নিঃসন্দেহে অপব্যাখ্যার অন্তর্ভুক্ত হবে।
৭. কে কতটুকু খরচ করলো, সাদাকাহ্ আদায় করলো কিনা, কারোর হক্ব আদায় করছে কিনা এসব ব্যাপারে কথা বলা কি গায়েব নিয়ে কথা বলার মধ্যে পড়ে না? মুসলিমদের প্রতি কুধারণা পোষণ করা হয় না?
উত্তর: নাহ্, কক্ষোনোই না! পূর্বের সিরিজে যা যা কিছু উল্লেখিত আছে তা শুধুই উদাহরণস্বরূপ পেশ করা হয়েছে। উল্লেখিত প্রত্যেকটি লাইন দ্বারা পাঠকদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে। যেন তারা প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধানের মাধ্যমে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সত্য, হক্ব ও উত্তম উপলব্ধি করতে পারেন এবং নিজেদের মধ্যে তার পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম হন।
এ-ছাড়া কাউকে আঘাত করা, গায়েবি কথাবার্তা বলা কিংবা কারোর প্রতি কুধারণা পোষণ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
আল্লাহ ﷻ আমাদেরকে এসব বোঝার এবং আমল করার তাওফিক্ব দান করুন!
আমিন ইয়া রাব্বাল আল-আমীন!
#ধোঁয়াশা_বিভ্রম ০৩
পৃথিবীতেই জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া একজন সাহাবি ছিলেন আবু উবাইদা ؓ । তিনি ছিলেন সিরিয়ার গভর্নরের দায়িত্বে। সে সময়ের খলিফা উমর ؓ তাঁর কাজকর্ম দেখতে সিরিয়ায় গেলেন।
তাঁর রুমে ঢুকে উমর ؓ দেখলেন, যে তাঁর রুমে কিছুই নেই। কোনো ফার্নিচার নেই। স্থায়ী কিছুই নেই। আছে শুধু একটি তরবারি, একটা বাটি, কিছু তীর এবং ছোটখাটো কয়েকটা জিনিস।
উমর ؓ অবাক হলেন।
এ ব্যক্তি সিরিয়া জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর তিনি এভাবে?
উমর ؓ অনেক দূর থেকে এসেছিলেন। তাই তিনি আবু উবাইদার কাছে কিছু খাবার চাইলেন। আবু উবাইদা ؓ তাঁকে একটি বাস্কেটে কিছু শুকনো পুরোনো রুটি এনে দিলেন। উমর ؓ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি এসব খান?"
"জী", ছোট করে উত্তর দিলেন আবু উবাইদা।
১৪টি তালি লাগানো জামা পরে মদীনা থেকে জেরুজালেমে যাওয়া উমর ؓ কেঁদে দিলেন। তিনি বললেন, "দুনিয়া সবাইকে বদলে দিয়েছে। কিন্তু আবু উবাইদাকে ؓ তা স্পর্শ করতে পারেনি।"
🌺ডেইলি আমল চার্ট🥰
১) ইস্তেগফার -১০০
২) সুবহানাল্লাহ-১০০
৩) আলহামদুলিল্লাহ-১০০
৪) আল্লাহু আকবার-১০০
৫) লা ইলাহা ইলল্লাল্লহ-১০০
৬) "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি
সুবহানাল্লাহিল আযীম"
[ ফজিলতঃ এটা মিযানের পাল্লাকে ভারী করবে।]
মানুষের আমল গননা করা হবেনা, বরং ওজন করা হবে, তাই এই আমলটা বেশি বেশি করা জরুরী
৭)লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম-(৫০ বার)
[জান্নাতে গাছ রোপণ]
৮)সূরা ইখলাস-১০ বার
(অত্যাধিক ফজিলত)
৯) ফজরের নামায পরে সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত। (অত্যাধিক ফজিলজ)
১০) দরুদঃ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)- (১০০ বার)
১১) আসর পর, (সূরা আর রহমান)
[যারা ফ্রি থাকো, অবশ্যই পড়ার চেষ্টা করবে]♥️
(১২)মাগরিবের পরে সুরা ওয়াক্বিয়া এবং মাসনুন দোয়া ও জিকির।
"লা ইলাহা ইললালল্লহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া 'আলা কুল্লি শ্যায়ইন ক্বদীর"-(১০০)♥️
[🥰হাদীসে এসেছে যে ব্যক্তি উক্ত দোয়া প্রতিদিন একশত বার পড়বে এ দিন তার চেয়ে আমলে কেউ আর এগিয়ে যেতে পারবে না তবে সে ছাড়া যে এই দোয়া তার থেকেও বেশি পড়েছেন,, তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না ইনশাআল্লহ, আল্লাহ তাওফিক দিন]♥️
🌺রাতে সূরা মুলক পড়া। (ঘুমানোর আগে)
🥰আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সকলকে বেশি বেশি নেক আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেনঃ
আমি ১০ জন লোকের একটি জামাতের সহিত রসূলুল্লহ্ (সঃ)- এর নিকট উপস্থিত হইলাম। একজন আনসার দাঁড়াইয়া বলিল, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ), মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান কে? রসূলুল্লহ্ (সঃ) বলিলেন, যেই ব্যক্তি মৃত্যুকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে এবং মৃত্যু আসার আগেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এই শ্রেণীর লোকই দুনিয়ায় ও আখেরাতে সম্মান লাভ করিয়াছে।
(তিবরানী, মাজমাউজ জাওয়ায়েদ)
❝
ভালোবাসাকে নানা অপাত্রে বিলানোর চেয়ে
একটা হালাল পাত্রের জন্য জমা করে রাখাই উত্তম।
- শায়খ আতিক উল্লাহ (হাফি.)
উমর (রাদ্বি.)-এর প্রজ্ঞাপূর্ণ বাণী
সাইদ ইবনে মুসাইয়াব (রহ.) বলেন, হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. মানুষের জন্য কিছু বাণী তৈরি করেছিলেন, যার সবগুলোই প্রজ্ঞাপূর্ণ। তা হচ্ছে,
• মুসলমানের মুখ থেকে বের হওয়া কোনো কথার যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো উদ্দেশ্য নেওয়া যাবে ততক্ষণ তুমি তার ব্যাপারে মন্দ ধারণা করবে না।
• কোনো ব্যক্তি নিন্দনীয় কর্মে লিপ্ত হওয়ার ফলে তার প্রতি যদি কেউ মন্দ ধারণা করে তাহলে এর জন্য সে যেন তাকে তিরস্কার না করে, বরং নিজেকেই যেন দোষারোপ করে।
• যে ব্যক্তি নিজের গোপন বিষয় গোপন রাখতে পারে, তার কল্যাণ তার নিজের হাতেই থাকে।
• সত্যবাদী মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করবে। কারণ তোমার অবস্থা যখন ভালো থাকবে তখন তারা হবে তোমার সৌন্দর্য আর যখন তোমার অবস্থা বিপন্ন হবে তখন তারা হবে সাহায্যকারী।
• সবসময় সত্যকে আঁকড়ে থাকবে। যদিও এ কারণে তোমাকে মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়।
• অনর্থক কাজ করবে না।
• যা এখনো ঘটেনি সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করবে না। কারণ যা ঘটেছে, সেটাই মূলত আমাদের আলোচ্য বিষয়, যা এখনো ঘটেনি তা নয়।
• ওই ব্যক্তির নিকট তোমার প্রয়োজন পূরণের আবেদন করবে না, যে চায় না ওই প্রয়োজনটা পূরণ হোক।
• মিথ্যা শপথকে সাধারণ কিছু মনে করবে না। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তোমাকে ধ্বংস করে দেবেন।
• পাপাচারীদের সাথে ওঠাবসা করবে না। তা না হলে তাদের পাপাচার তোমার মধ্যে চলে আসবে।
• শত্রু থেকে দূরে থাকবে।
• বিশ্বস্ত ছাড়া সকল বন্ধুর ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। আর বিশ্বস্ত তো হলো ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে।
• কবরস্থানে গেলে আল্লাহর প্রতি একাগ্র হয়ে ওঠো।
• আল্লাহর আনুগত্য করার সময় তাঁর প্রতি বিনয়ী হও।
• তাঁর অবাধ্যতা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখো।
• তোমার বিষয়ে ওই সকল লোকদের সাথে পরামর্শ করো, যারা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, 'আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবল আলেমরাই তাকে ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।' (সুরা ফাতির, ২৮)
© 'মাওয়ায়েজে সাহাবা' বই থেকে চয়িত
যে ৭ টি গুণকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন।
১. তওবা
"আল্লাহ তওবাকারীকে ভালোবাসেন"
(বাকারাহ, ২২২)
২. তাহারাত (পবিত্রতা)
"যারা পবিত্র থাকে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন"
(বাকারাহ, ২২২)
৩. তাক্বওয়া (আল্লাহ ভীতি)
"নিশ্চই আল্লাহ মুওাকিদের ভালোবাসেন"
(তওবাহ, ৪)
৪. ইহসান
"আল্লাহ নেককারদের ভালোবাসেন"
(আল ইমরান, ১৩৪)
৫. তাওয়াক্কুল
"নিশ্চই আল্লাহ ভালোবাসেন তার উপর ভরসাকারীদের"
(আল ইমরান, ১৫৯)
৬. ন্যায়বিচার
"আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের ভালোবাসেন"
(মায়িদাহ, ৪২)
৭. সবর
"আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন"
(আল ইমরান, ১৪৬ )
সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর ভালোবাসার বান্দা হওয়ার তাওফিক দান করুক৷ (আমিন)
রাতের আকাশের সবচেয়ে জ্বলজ্বল করা ভরা চাঁদটাকে দেখলে আপনার কথাই আমার সর্বপ্রথম মনে পড়ে, ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ! যখন সুঁইয়ে সুতো গাঁথতে যাই তখন মনে পড়ে, আম্মাজান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা যখন অন্ধকারে সুঁই হারিয়ে ফেলেছিলেন তখন আপনি মুখ এগিয়ে দিয়েছিলেন আর আপনার মুখ মোবারকের আলোয় তিনি সেই সুঁই খুঁজে পেয়েছিলেন। যখন কানে আসে অমুক খুব্ব সুন্দর তখন মনে পড়ে আম্মাজান আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার সেই কথা ❝ওহে মিশরের নারীরা, তোমরা যদি আমার স্বামী আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ কে দেখতে তাহলে হাতের আঙুলের বদলে নিজেদের কলিজাটাই কেটে খান খান করে ফেলতে!❞ না জানি আপনি কতটা সুন্দর ছিলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ! কিন্তু, এই অধমের তুচ্ছ চোখ দুনিয়ার সব দেখতে পেলেও আপনাকে দেখার সৌভাগ্য সে পায় নি। যখন খেতে বসলে লাউয়ের তরকারি আমার সামনে আসে তখন মনে পড়ে, তরকারি থেকে আপনার লাউ খুঁজে খুঁজে খাওয়ার ঘটনা। যখন এই অধমের জিহ্বা থেকে আপনার নামে দরূদ উচ্চারিত হয় তখন ইয়াদ আসে, আপনি স্বয়ং নিজে এই অধমের পড়া দরূদ শুনছেন! সালাতে যখন সিজদাহ্য় যাই তখন মনে পড়ে আল্লাহর ভালোবাসায় আপনার লম্বা সিজদাহ্য় মগ্ন থাকার কথা। যেদিন প্রথম শুনেছি আপনি মিষ্টি ভালোবাসতেন, সেদিন থেকে আমিও মিষ্টি পছন্দ করতে শুরু করেছি। যেদিন প্রথম জেনেছি আপনার পছন্দের রঙ সবুজ, সেদিন থেকেই আমি সবুজকে আঁকড়ে ধরেছি। যখন সীরাহ্তে আপনার ওপর করা অত্যাচারের বর্ণনা আসে তখন আমার সর্বাঙ্গে জ্বলা ক্রোধের আগুন আমাকে অস্থির করে তোলে! যখন পড়তে পড়তে আপনার কান্নার বর্ণনায় এসে আঁটকে যায় তখন শুধুমাত্র 'আপনি কেঁদেছিলেন' এতটুকু শব্দগাঁথুনির প্রতিধ্বনিতেই আমার নিজের কান্নার হেঁচকি বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়ে! যখন হঠাৎ মনে পড়ে ক্ষুধার যন্ত্রণায় আপনি পেটে পাথর বেঁধেছিলেন, তখন আমার গলা আঁটকে আসে ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ! যখন মনে পড়ে আপনাকে চিনেও একটিবার আপনাকে দেখার তাওফিক আমার হয় নি, শুধুমাত্র একটাবার আপনার অমায়িক অতুলনীয় কণ্ঠের আওয়াজ আমার কান অব্ধি পৌঁছায় নি, এই গোটা দুনিয়ায় আমার প্রায় সবকিছু থাকলেও শুধুমাত্র আপনি নেই; তখন এই সম্পূর্ণ পৃথিবীটাকেই আমার আস্ত গোরস্থান বলে মনে হয় ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ! যখন কাঁদতে কাঁদতে আমার শ্বাস আঁটকে যাওয়ার উপক্রম হয় অথচ আমি ছুট্টে যেয়ে আপনার কাছে বলতে পারি না "হে আল্লাহর রাসূল ﷺ, অমুক আমার সঙ্গে এরূপ এরূপ করেছে; আমার সঙ্গে এরূপ এরূপ হয়েছে; আপনি আমার জন্য আল্লাহর নিকট দু'আ করুন।" তখন আমার নিজেকে এই দুনিয়ার সবচেয়ে নিঃস্ব বলে মনে হয়! আপনাকে আমি আমার অন্তরের প্রতিটি প্রান্তরে প্রান্তরে অলিতে গলিতে খুঁজে বেড়াই। যখন আমি কারোর সঙ্গে মুসাফাহ্র জন্য হাত বাড়াই তখন মনে পড়ে, আপনার হাত রেশমের ন্যায় এতো কোমল ছিল যে কেউই সহজে আপনার হাত ছাড়তে চাইতো না। যখন শরীরে আতর লাগাতে যাই তখন মনে পড়ে আপনি সুগন্ধি কতটা পছন্দ করতেন! যখন প্রথম শুনেছি আপনার মুখে সবসময় মুচকি হাসি লেগে থাকতো তখন থেকেই আমি মুচকি হাসিকে নিজের সঙ্গী বানিয়ে নিয়েছি। প্রচন্ড খারাপ লাগলে যখন আকাশের দিকে তাকাই তখন আকাশ পানে আপনার তাকিয়ে থাকার প্রতিচ্ছবি'ই প্রথম আমার অন্তরে ভেসে ওঠে।
আচ্ছা, ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ!
এটাকেই কি প্রেম বলে? ভালোবাসার মানে কি তবে এটাই যা আমি আপনার প্রতি অনুভব করি? এতটুকুকে সম্বল বানিয়েই কী আমি আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারবো, 'আমি নিঃস্ব আমার রাব্ব! আমার কাছে কিচ্ছু নেই! শুধু আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের ﷺ প্রতি ভালোবাসা আছে আর তা নিয়েই আমি এখানে এসেছি?'
#ক্বলবনামা
রাসূল (সঃ) বলেছেন,
কিয়ামতের দিন মানুষকে উলঙ্গ দেহে ও খাতনাহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে জমায়েত করা হবে।'
একথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম,
'হে আল্লাহর রাসুল!
নারী পুরুষ সকলেই কি উলঙ্গ হবে?
তারা কি একে অপরের প্রতি তাকাবে? (এরূপ হলে তো খুবই লজ্জার বিষয়)।'
উত্তরে তিনি বললেন, 'হে আয়েশা! কিয়ামতের দিনটি এত কঠিন ও বিপদময় হবে যে,
মানুষের মনে একে অপরের প্রতি তাকাবারও খেয়াল হবে না।’
(বুখারি-মুসলিম)
কিয়ামতের দিন
রাসূল (স:) থাকবেন সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষ। পুলসিরাত, মিযানের পাল্লা,হাউসে কাউসার একসাথে ছুটাছুটি করতে থাকবেন 'ইয়া উম্মাতি'! 'ইয়া উম্মাতি'! বলে।
জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে তুলবেন কবর থেকে।
রাসূল (স:) জিজ্ঞেস করবেন,'কী ব্যাপার জিব্রাইল! আমার উম্মাত কী উঠেছে?'
ওইদিকে আবার মূসা (আঃ) কালিমুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরশের খুটি ধরে আছেন আর বলছেন 'ইয়া নাফসি! ইয়া নাফসি!'
সেদিন ইমামুল আম্বিয়ার মুখে থাকবে 'উম্মাতি! উম্মাতি!' আর, সেদিন তাঁর পায়ে থাকবে দৌড় আর মুখে থাকবে আওয়াজ!
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইসি ওয়াসাল্লাম খুব অশান্ত ছোটাছুটি করছেন। হঠাৎ উনার মনে পড়ে, আমার উম্মাত ক্লান্ত, পিপাসার্ত নয়তো! ছুটে যান হাউজে কাউসারে। হ্যাঁ, এইতো পিপাসার্ত উম্মাত। নিজের হাতে হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করাবেন আর বলবেন পান করো। আর কখনো তৃষ্ণার্থ হবে না।
হঠাৎ মনে হবে মিযানের সামনে দাড়ানো উম্মাতের কথা। ছুটে যাবেন সেখানে। দেখবেন উম্মাতের বাম পাল্লা ভারি হয়ে যাচ্ছে।
পেরেশান, তিনি হয়রান!!!
অতঃপর দৌড়ে যাবেন দুরূদের পিটারার সামনে। যেখানে তাঁর জন্য পড়া দুরূদ উম্মাতের নামসহ একটা বক্সের মধ্যে জমা আছে। সেখান থেকে দুরূদ নিয়ে ডান পাল্লায় দিতে থাকবেন যতক্ষণ না তা বাম পাল্লা থেকে ভারি হয়ে যায়।
মাক্বামে মাহমুদের পাশে উনার জন্য আসন পাতা থাকবে৷
আল্লাহ বলবেন۔ 'হে নবী বসুন।'
তিনি উত্তরে বলবেন, 'না বসবো না।'
আল্লাহ্ বলবেন - 'জান্নাতে যান!'
নবী (স:) বলবেন- 'না, যাবো না!'
আল্লাহ্ বলবেন- 'জান্নাতের পোশাক পরুন!'
নবী (স:) বলবেন- 'না, পরবো না!'
আল্লাহ্ বলবেন - 'বোরাকে উঠুন!'
নবী (স:) বলবেন- 'না, উঠবো না। আমি চলে গেলে উম্মাতের কী হবে?'
কিয়ামতের দিন মানুষ তার ভাই থেকে, সন্তান থেকে, পিতা-মাতা থেকে পালিয়ে বেড়াবে।
কিয়ামতের দিন এক রাসূল (স:) ছাড়া কেউ কাউকে চিনবেনা।
অতএব রাসূল এর সূন্নাত ও আদর্শ অনুসারে জীবন তৈরি করে তাঁর সুপারিশ পাওয়ার যোগ্য উম্মত হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
এছাড়া কোন গত্যন্তর নেই। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
একই জমিনে একই আকাশের নিচে,
একটা চাঁদই দুজনে দেখছি;
অথচ তুমি বসিয়েছ হাসির পসরা
আর আমি একা বসে কাঁদছি।
কাঁদতে কাঁদতে চোখের জ্যোতি হারিয়েছি,
কলিজাটাও পুড়ে দগ্ধ!
পাষাণ পৃথিবীর পৈশাচিক হাসিতে
প্রাচীরগুলোও আজ স্তব্ধ;
কাঁধে মাথা, হাতে হাত রেখে
চলার ওয়াদা ছিল পাশাপাশি।
ভুলগুলোই শেষে চূড়ান্ত হলো,
বলা হলো না আর 'ভালোবাসি'!
আজ এ পানে তুমি ফিরেও তাকালে না,
এড়ালে জীবন্ত লাশের গন্ধ;
একদিন সময় ফুরোবে, হাত বাড়াবে
কিন্তু, ফেরার রাস্তা হবে বন্ধ!
সেদিন আমার কবরেও, জ্বলবে জোনাকি
হাসনা-বকুল ফুটবে;
স্মৃতির চাপা গন্ধে তুমি,
আমার সুবাস'ই খুঁজবে।
শিউলি তলায়, রৌদ্রছায়ায়
উন্মাদের ন্যায় ছুটবে;
যেদিন হাজার ডেকেও সাড়া পাবে না,
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
#ক্বলবনামা
ইমাম আল-গাযালী (র) তাকওয়ার চারটি স্তর বর্ণনা করেছেনঃ
১. শারী'আহ্-তে যে সকল বস্তুকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে, আল্লাহ্র ভয়ে সে সকল বস্তু থেকে বিরত থাকা। যেমন: মদ্যপান, ব্যভিচার, সহশিক্ষা, জুয়াখেলা ও সুদ খাওয়া প্রভৃতি হারাম কাজ থেকে আত্মরক্ষা করা। এটি সাধারণ মুমিনের তাকওয়া। এ শ্রেণীর মুত্তাকীকে বলা হয় 'মু'মিন'।
২. হারাম বস্তুসমূহ হতে বিরত থাকার পর সন্দেহযুক্ত হালাল বস্তুসমূহ হতেও দূরে থাকেন যারা, এ শ্রেণীর মুত্তাকীকে বলা হয় সালিহ।
৩. সকল হারাম বস্তু ও সন্দেহযুক্ত হালাল বস্তুসমূহ হতে দূরে থাকার পর আল্লাহ্র ভয়ে অনেক সন্দেহবিহীন হালাল বস্তুও পরিত্যাগ করেন এরূপ আল্লাহর বান্দাদেরকে বলা হয় 'মুত্তাকী'।
৪. উপরোক্ত তিন শ্রেণীর তাকওয়া আয়ত্ত করার পর এমন সকল হালাল বস্তুও পরিত্যাগ করা যা ইবাদাতে কোনরূপ সহায়তা করে না। এ শ্রেণীর মুত্তাকীকে বলা হয় ‘সিদ্দীক'।
[ইসলামী বিশ্বকোষ, প্রাগুক্ত, পৃ. ১০৮-১০৯।]
আর আমাদের অবস্থান? আমরা তো পুরোপুরি হারাম ছাড়তে পেরেছি কিনা তাও গলা উঁচিয়ে বলার হিম্মাত আমাদের নেই। আবার, নিজের স্বার্থে হারাম-সন্দেহপূর্ণ কাজকে গ্লোরিফাইও করি। কেউ সতর্ক করলে তাকে ভুল আর দোষী সাব্যস্ত করতে করতে দেওয়ালে ঠেকিয়ে পর্যন্ত দেই; অপমানিত-নিচু করতে করতে মাটিতে একদম মিশিয়ে ফেলি। বলে বসি, Islam is not so hard. Just ignore, Oil Your Own Machine!
হায় আফসোস!
সময় বাকি নেই কিন্তু সফর অনেক বাকি! অনেক.......
১০০ তে যদি পাসমার্ক ৩৩ ওঠাতে হয় তাহলে অ্যান্সার করতে হবে মিনিমাম ৪৫-৫০ এর। আর যদি টার্গেট এ+ হয় তাহলে মাস্টলি অ্যান্সার মার্ক হতে হবে গোল্ডেনের। কিন্তু, আপার অ্যান্সার না করে টার্গেটের গন্ডি অব্ধি আঁটকে থেকে কখনোই টার্গেট ক্যাচআপ করা পসিবল না। অর্থাৎ আপনি ৮০ মার্কের এক্সাম দিয়ে কখনোই ৮০ পাওয়ার এক্সপেক্টেশন রাখতে পারবেন না।
সিমিলারলি, সাধারণ ঈমানদার মুমিন হয়ে উতরে যাওয়ার তাগিদ থাকলে তাক্বওয়ার ভার এই পর্যায়ের চেয়ে বেশিই রাখতে হবে বা রাখা উচিত। সেক্ষেত্রে মুমিন হতে চাইলে টার্গেট রাখা উচিত 'সালিহ্' হওয়ার। সালিহ্ হতে চাইলে টার্গেট রাখা উচিত 'তাক্বওয়াবান মুত্তাকী'র স্তরে। আর মুত্তাকীর টার্গেট রাখলে অবলম্বন করার চেষ্টা করতে হবে 'সিদ্দীক'এর পথ।
এজন্য সাধারণ মুমিন স্তরে টার্গেট রাখা আল্লাহর বান্দা-বান্দীরা কখনোই হালাল শুনেই যেকোনো কিছু লুফে নিতে পারে না; সে তাক্বওয়া অবলম্বন করে, কোনোকিছু নিয়ে সতর্ক করা হলে তা নিয়ে চিন্তা করে; বিরত থাকার প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু, নিজের সুবিধায় নাফসের মোহ মেটাতে পক্ষপাতিত্ব স্বরূপ যুক্তি উপস্থাপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে না।
সে রাব্ব আল্লাহর ভয়ে সন্তুষ্টচিত্তে বলে ওঠে,
❝আমি শুনলাম এবং মানলাম!❞
সামনে পূজায় অনেক "মুসলিম" নামধারী ভাইয়েরা মণ্ডপে যাইতে চাইবে। তাদেরকে হাতজোড় করে বলি,
❝ভাইয়েরা, আল্লাহর গযব নাযিলের জায়গায় কিজন্যে যাবো? আল্লাহর গযব আমার উপরও পড়ুক, এটা কী আমি চাই? একটু চিন্তা করি... একটু চিন্তা করি...❞
আপনি যদি ফজরের সালাতের জন্য ঘুম থেকে জাগতে না পারেন , তাহলে নিজের জীবনের দিকে তাকান এবং জলদি নিজেকে সংশোধন করুন , কেননা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ফজর সালাতের জন্য কেবল তার প্রিয় বান্দাদেরকেই জাগ্রত করান ।
ঠিক এজন্যেই মুনাফিকদের জন্য ফজরের সালাত এত কঠিন ! ’
আমার কোন সে পাপ যা আমাকে হতে দেয় না ফজরের পাখি ?
— আরিফ আজাদ
হাদীসটি প্রতিদিন নিয়মিত স্মরণ করা চাই....
আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) বলেছেনঃ
মহাপবিত্র আল্লাহ তা'আলা (ﷻ) বলেনঃ
❝হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি নিজেকে ফারেগ করে নাও আমি তোমার অন্তরকে অভাব মুক্ততা দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিব এবং তোমার অভাব বন্ধ করে দিব। আর তা যদি না কর তবে তোমার দু’ হাত আমি ব্যস্ততা দিয়ে ভরে দিব আর তোমার অভাব দূর করব না❞
— [সহীহ, ইবনু মাজাহ- ৪১০৭, তিরমিজী- ২৪৬৬]
বুজতে পারলে নিজের অনেক কিছু বদলাতে ইচ্ছা করবে।
২২৮ টি দেশ নিয়ে এই পৃথিবী।
পৃথিবী থেকে সুর্য ১৩ লক্ষ গুন বড়।
ব্যাটেল জুইস নামে একটি তারা আছে, যা সূর্যের চেয়ে ৩৩ কোটি গুণ বড়। আল্লাহু আকবর।
প্রক্সিমা সেন্ট্রাই, আলফা সেন্ট্রাই, ব্যাটেল জুইস এরকম ৫০০ বিলিয়ন তারকা নিয়ে গঠিত গ্যালাক্সি।
আল্লাহ তায়ালা কোটি কোটি গ্যালাক্সি সৃষ্টি করেছেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রতগামী যান Apollo 11. সেকেন্ডে চলে ১১ কিঃমিঃ বেগে। মিনিটে চলে ৬৬০ কিঃ মিঃ বেগে, ঘন্টায় চলে ৩৯ হাজার কিঃমিঃ বেগে। যদি কেউ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের তারকা প্রক্সিমা সেন্ট্রাই Apollo 11 তে চড়ে যেতে চায়, সময় লাগবে ১ লক্ষ ১৫ হাজার বছর। যাহা কোন ক্রমেই সম্ভব নহে।
গ্যালাক্সি, সুপার নোভা, ব্লাক হোল এগুলো ১ম আকাশ নয়।
* ১ম আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ১ম আকাশ।
*তারপর ২য় আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ২য় আকাশ।
*তারপর ৩য় আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ৩য় আকাশ।
*তারপর ৪র্থ আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ৪র্থ আকাশ।
*তারপর ৫ম আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ৫ম আকাশ।
*৬ষ্ঠ আসমানে একটা গাছ আছে।
গাছটির নাম সিদরাতুলমুনতাহা।
বিশ্ব নবী হরত মুহাম্মদ ( সাঃ) বলেছেন, তোমার আংটি যদি সাহারা মরুভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়, বিশাল মরুভূমির তুলনায় আংটিটা যত ছোট, আল্লাহর ২য় আসমানের তুলনায় ১ম আসমান ততো ছোট। আল্লাহু আকবর।
*৭ম আসমানে আছে বিশাল সমুদ্র জগৎ ও আল্লাহর আরশ। আরশের ভিতর আছে আল্লাহর কুরশি, আল্লাহর সিংহাসন। একটি বার চিন্তা করে দেখুন আল্লাহর সিংহাসন কত বড়?
আল্লাহর সিংহাসনের উপর যদি সাত আসমান, সাত জমিন রাখা হয়, বিশাল মরুভূমিতে আংটি ফেলে দিলে যেমন হারিয়ে যাবে, সাত আসমান, সাত জমিনও তদ্রূপ হারিয়ে যাবে। আল্লাহু আকবর।
মালিক তোমার সৃষ্টি সম্পর্কে জানা ও বোঝার তাওফিক নসিব দান করুন।
আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন।
ফেরেশতা সর্দার জিবরাঈল (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা তৈরী করলেন।
তিনি আল্লাহ তায়ালাকে জিজ্ঞাসা করলেন আল্লাহ আপনি কিসে খুশি হন??
আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিলেন আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই আমার বান্দা যখন আমাকে সিজদা করে।
অত:পর জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালা কে সিজদা করলেন ৩০ হাজার বছর ধরে।
জিবরাঈল (আঃ) মনে মনে খেয়াল করলেন আমার থেকে এত বড় দামি, এত বড় লম্বা সিজদা দুনিয়ার আর কেউ করতে পারবে না।
আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয় আমার প্রতি খুশি হবেন।
জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালার দিকে মুতাহজ্জির হয়ে রইলেন কিন্তু আল্লা তায়ালার পক্ষ থেকে কোন খুশির বাণী জানান হল না,
জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালা কে জিজ্ঞাসা করলেন আল্লাহ আমি যে এত লম্বা সিজদা করলাম আপনি কি আমার সিজদার প্রতি কোন খুশি হন নাই?
আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিলেন - জিবরাঈল তোমার জবাব আমি দেব তার আগে তুমি একটু আরশে আজিমের দিকে তাকাও, জিবরাঈল (আঃ) তাকিয়ে দেখলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরশে আল্লাহর কুদরতী নূর দ্বারা লিখা রয়েছে- ''লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ''
জিবরাইল (আঃ) জিজ্ঞাসা করলেন- হে আল্লাহ্!! আমার সিজদার সংগে এই কালিমার কি মিল??
আল্লাহ তায়ালা বললেন, ও জিবরাইল শোন আমি আল্লাহ এ দুনিয়া তৈরী করব ওই দুনিয়ার মানব জাতি ও জিন জাতির হিদায়াতের জন্য লক্ষাধিক নবি-রাসূলগনকে পাঠাব সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে পাঠাব
এই নবীর উম্মতের উপরে আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরয করব আর প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে সতেরটা করে রাকাত আমার জন্য ফরয করব প্রত্যেকটা রাকাতের মধ্যে দুটি করে সিজদা হবে আর প্রত্যেকটা সিজদার মধ্যে ওই নবির উম্মত তিনবার করে "সুবহা-না রাব্বিয়াল আলা-" পাঠ করবে। জিবরাইল তুমি জেনে রাখ আমার ওই মাহবুব নবীর উম্মত যখন সিজদায় গিয়ে "সুবহা-না রাব্বিয়াল আলা-" বলে আমাকে ডাক দিবে, জিবরাইল তুমি ৩০ হাজার বছর সিজদা করে যে নেকি পেয়েছ, আমি আল্লাহ্ আমার বান্দার আমল নামায় এর থেকেও ৪০ হাজার গুন বেশি নেকি লিখে দিব, সুবহানাল্লাহ...!!
এই জন্য মুসা (আঃ) কাঁদছেন, আল্লাহ!! আমাকে ওই নবীর উম্মত বানাইয়া দাও, যে নবীর উম্মত এক সিজদায় জিবরাঈল (আঃ) এর সারা জীবনের ৩০ হাজার বছরের সিজদার নেকি নিয়ে গেল।।
আমরা সেই নবীর উম্মত আমাদের কি করা উচিত আর আমরা কি করছি...?
{দাওয়াত ও তবলীগ থেকে সংগৃহীত}
''
আল্লাহ হাফেজ।
আমাদের ভোরের পাখিরা।সবাই ফজরের আযানের পূর্বেই উঠে পড়ে, মানুষ ব্যতীত। প্রকৃতির (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা) নিয়মের ব্যতিক্রম কখনো নিজ শরীর,মনের জন্য ভালো না।
একবার নবিজি (সাঃ)কে খুবই প্রফুল্ল দেখে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনি তো খুবই খোশ মেজাজে আছেন, আমার জন্য এখন একটু দুআ করুন না.!💝
আয়িশা (রাঃ) এমন আবদারে মুচকি হেসে রাসুল (সাঃ)আল্লাহকে বলতে লাগলেন -ইয়া আল্লাহ্, আয়িশা পূর্বে করেছে এমন সকল গুনাহ আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা পরে করবে এমন সকল গুনাহও আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা প্রকাশ্যে করেছে এমন গুনাহ আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা গোপনে করেছে এমন গুনাহও আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা বুঝে করেছে এমন গুনাহ আপনি ক্ষমা করে দিন, না-বুঝে করেছে এমন গুনাহও আপনি ক্ষমা করে দিন।🤲
নবিজি (সাঃ) এর মুখে নিজের জন্য এত সুন্দর দু'আ শুনে খুশিতে আয়িশা (রাঃ) আত্মহারা। আম্মাজান আয়িশা (রাঃ) কে খুশি হতে দেখে প্রীত হলেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও।🖤
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, 'আয়িশা, আমার দু'আয় তুমি খুশি হয়েছো.? আয়িশা (রাঃ) বললেন, 'আমি খুবই খুশি হয়েছি ইয়া রাসুলাল্লাহ।'
তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, জানো আয়িশা! তোমার জন্য যে দু'আ করলাম, ঠিক একই দুআ প্রতি সালাতের পর আমি আমার প্রতিটা উম্মতের জন্যই করি।' ❤️
(সহিহু ইবনি হিব্বান ৭১১১; মুসনাদুল বাযযার ২৬৫৮)
ফজরের পরের সময় একজন মুসলিমের জন্য খুবই অর্থবহ হওয়া উচিত। আল্লাহ আমাদের বোঝা এবং মানার তৌফিক দিক।
"(হায়!) মানুষ (অনেক সময়) যাতে তার অকল্যাণ হবে, এমন বিষয়ের জন্যে এত একাগ্রভাবে প্রার্থনা করে যেন সে কল্যাণের জন্যে প্রার্থনা করছে। আসলে মানুষ (সিদ্ধান্ত নিতে) অতিমাত্রায় তাড়াহুড়ো করে।" (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত ১১)
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Contact the business
Telephone
Website
Address
Mymensingh
2200