Hafej Maulana Ariful Islam

👉ঈমান ভাঙ্গার কারণ👈🌹

পর্ব- ০২ শিরক্ ফিযযাত অর্থ - আল্লাহর যাত ও সত্তার মধ্যে একাধিক সত্তাকে আল্লাহ মনে করা এবং একাধিক সত্তার ইবাদত করা। পক্ষান্তরে আল্লাহকে এক বলে বিশ্বাস করা এবং এক আল্লাহর এবাদত করাকে তাওহীদ বা একত্ববাদ বলে।আর যারা তিন খোদা বলে বিশ্বাস করে তাকে ত্রিত্ববাদ বলে। যেমনটা বিশ্বাস করে খ্রিস্টানরা। কোরআনের ভাষায়,لقد كفر الذين قالوا ان الله ' ثالث ثلاثه' অর্থাৎ কাফেররা বলে আল্লাহ হলেন তিন খোদার তৃতীয় খোদা (নাউজুবিল্লাহ) হিন্দুরা তেত্রিশ কোটি দেবতা আছে বলে বিশ্বাস করে, একে বলে বহুত্ববাদ। তাই তারা যেটাকে অদ্ভুত মনে করে সেটা কেই পূজা করে। আরেকটা দল আছে যারা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর মেয়ে বলে বিশ্বাস করে, যেমন আল্লাহ বলেন, ويجعلون لله البنات سبحانه ولهم ما' يشتهون' (আর তারা আল্লাহর জন্য কন্যাদল সাব্যস্ত করে। তিনিতো তা থেকে পবিত্র,অথচ নিজেদের জন্য সাব্যস্ত করে ঐ বিষয় যা তারা পছন্দ করে। অর্থাৎ পুত্রসন্তান। আরেকটা জাতি আছে, নাম তার ইহুদি তারাও দুই খোদা বলে বিশ্বাস করে তাকে বলে দিত্ববাদ। যেমন কোরআনে এসেছে, ইহুদিরা বলে ওযাযইর আল্লাহর পত্র। অথচ তিনি আল্লাহর নবী ছিলেন। শিরকের ধারাবাহিক আলোচনা চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ। লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

👉 ঈমান ভাঙ্গার কারণ👈

পর্ব ০২ গতকালের পোস্ট অনেকেই পড়েছেন। এটি বুঝতে পেরেছি, অনেকগুলো লাইক কমেন্ট দ্বারা। তো আজকে ঈমান ভাঙ্গার দ্বিতীয় কারণ হিসেবে যে আলোচনা করতে চাচ্ছি তাহলো শিরক্। আগে আমরা তার পরিচয়জানি তারপর প্রকার সম্পর্কে আলোচনায় যায়। আলিমগন শিরকের যে সংঙ্গা নির্ধারণ করেছেন তার খোলাছা এই-
আল্লাহ তা আ'লার জাত ও ছিফাত এবং ছিফাতের লাযিম( অনিবার্য দাবী সমূহ)এর ক্ষেত্রে কোন মাখলুক কে তার সমকক্ষ বা অংশীদার মনে করা।
সুতরাং, শিরক হলো তিন প্রকার
১. শিরক ফিয যাত ২. শিরক ফিস সিফাত ৩. শিরক ফী লাযিমিছ ছিফাত।
প্রথমত আল্লাহ তা'আলার জাত ও সত্তার ক্ষেত্রে কাউকে শরীক করা। দ্বিতীয়তঃ আল্লাহ তা'আলার গুণাবলীর সাথে কাউকে শরিক করা। তৃতীয়তঃ সিফাতের লাযিম বা অনিবার্য দাবী যে বিষয়গুলো তাতে কাউকে শরিক করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন আল্লাহ কখনো মাফ করবেন না তার সঙ্গে শিরক করাকে। এছাড়া অন্য গুনাহ মাফ করে দেন যাকে ইচ্ছা করেন।আর যে আল্লাহর সাথে শিরক করে সে তো বিরাট পাপ সংঘটন করলো,( সূরা নিসা, আয়াত ৪৮) ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে আরো বিশদ আলোচনার ইচ্ছা আছে।

✂️ ঈমান ভঙ্গের কারণ✂

পর্ব - ০১
বিগত আলোচনায় ঈমানের আংশিক কিছু আলোচনা হয়েছে। তাতে ছিল অহঙ্কার এর কারণে ঈমান বিনষ্ট হয়ে যায়। তো আজকে আমরা কিবির / তাকাব্বুরের কিছু আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। প্রথমেই আমরা কিবিরের তারিফ জেনে নেই। কিবির বা অহঙ্কার হলো প্রশংসনীয় গুণাবলীর ক্ষেত্রে নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করা আর অন্যকে নিজের তুলনায় ছোট মনে করা, হক্ব ও সত্যকে অস্বীকার করা।কোরআন ও হাদিসে এর অনেক নিন্দাবাদ করা হয়েছে। যেমন ইবলিশের আলোচনা কোরআনে এসেছে যে, তাকে আল্লাহ তা' আলা আদম আ. কে সেজদার হুকুম করলে উত্তরে বলল، 'قال انا خير منه خلقتني من نار وخلقته من طين আমি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কারণ আমাকে সৃষ্টি করেছেন আগুন থেকে আর তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে। তখন আল্লাহ তা'য়ালা রাগান্বিত হয়ে বললেন, 'فانك رجيم' তুই আমার রহমত থেকে চিরবঞ্চিত। ফলে তার হাজার হাজার বছরের নষ্ট হয়ে যায়। আরেকটা উদাহরণ হলো আবু জাহেল শুধু অহঙ্কার এর কারণে ঈমান থেকে মাহরূম হয়েছে।
নতুবা রাসুল সা. এর রিসালাত সম্পর্কে তার পূর্ণ অবগতি ছিল। আমরা যেন এ ঈমান ধ্বংসকারী কিবির থেকে বাঁচতে পারি,, আল্লাহ তৌফিক দান করুন🤲🤲 আমিন।

Help to like me

Hafej Maulana Ariful Islam assalamu alaikum wa rahmatullah. this is a islamic page, I shall try to described for islam. please

হিজরী সনের গুরুত্ব ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
মুসলমানদের অনেকগুলো এবাদত চন্দ্রমাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন, হজ্ব, রোজা ও যাকাত। আরও সহজে বলতে গেলে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের তিনটিই হিজরি সনের উপর নির্ভরশীল। তাই এটিকে ফরজে কেফায়া রূপে হুকুম করা হয়েছে। তাই এক এলাকার কিছু লোকের জানা থাকলেই বাকিরা গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে। অন্যতায় সবাই গুনাহগার হবে। আর যদি সবারই জানা থাকে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। আফসোস! তারিখ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে প্রথমেই ইংরেজি তারিখটা বলে। হিজরী সন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে নেতিবাচক উত্তর আসে।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
যুগ ছিল সোনালী যুগ। সবকিছু ছিল অপূর্ব। তবে একটি জায়গায় এসে থমকে যেতে হয়। মুসলিমদের স্বতন্ত্র কোন তারিখ নেই'। তখন দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর রা.সাহাবীদের নিয়ে পরামর্শ করেন। তাতে অনেকে অনেক মতামত প্রকাশ করেছেন। একজন বললেন খ্রিস্টানরা হযরত ঈসা আ.এর জন্ম তারিখটিকে চির স্মরণীয় করার জন্য নির্বাচন করেছেন। অতএব আমরা ও আমাদের নবীজির হিজরত কে চির স্মরণীয় করার জন্য এ দিনটি নির্বাচন করতে পারি। কেননা এর মাধ্যমে আমাদের ইসলাম ধর্ম বিজয়ী ধর্ম হিসেবে সমুজ্জ্বল হয়েছে। পরে ওমর রা.এ মতটিই পছন্দ করেন। সেখান থেকেই আজ পর্যন্ত এভাবে চলে আসে। আমার লেখাটিকেমন হয়েছে কমেন্ট এ জানাবেন আর একটি লাইক দিয়ে যাবেন।

"ফেসবুক বন্ধুদের জন্য নতুন আয়োজন''

ঈমান হলো সবচেয়ে দামি বস্তু। ঈমান ব্যতীত ইহকাল ও পরকালে আল্লাহর নিকট কোন বান্দার দাম ও কীমত নেই। এজন্যেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন" 'ঐ জাতের কসম, যার হাতে আমার জান, তোমরা মুমিন হওয়া ছাড়া জান্নাতে দাখেল হতে পারবে না।( মুসলিম, হাদিস নং ৯৫)

আর সেই ঈমান এত দামি যে, সরষের দানা পরিমাণ ঈমান থাকলেও আল্লাহ তা'আলা একদিন না একদিন জান্নাতে দাখিল করবেনই। তবে এ ঈমান ছোট্ট একটা জিনিসের দ্বারা বাতিল হয়ে যায়, সেটা হলো কিবির অর্থাৎ অহঙ্কার। এই মর্মে নবীজি এরশাদ করেছেন, ' এমন কেউ জাহান্নামে যাবে না যার কলবে সরষের দানা পরিমাণ ঈমান রয়েছে, আর এমন কেউ জান্নাতে যাবে না যার কলবে সরষের দানা পরিমাণ অহঙ্কার রয়েছে।( মুসলিম, ১৪৯) ঈমান বিনাশকারী এ কিবির সম্পর্কে আগামীবার কিছু লিখার জন্য আবার আসবো, ইনশাআল্লাহ। সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, ফেসবুক বন্ধুগণ! অনেক আগে পড়েছিলাম, শায়েখ যাকারিয়া রহ. 'ফাযায়েলে আমলে' লিখেছেন, কিতাবটি বড় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বিস্তারিত লেখা হয়নি। তাছাড়া ধর্মীয় কিতাবাদি কেনার টাকা- পয়সাইবা কার আছে? থাকলেও সময়ইবা কার আছে? আমিও বলতে চাচ্ছি যে, টাকা-পয়সা থাকলেও পড়ারইবা সময় আছে কার? কারণ, এখন তো ইন্টারনেট এর যমানা। পক্ষান্তরে 'তাদের মতো আলেমদের' যোগ্যতার কোন কমতি ছিলনা আর আমার অযোগ্যতার কোন কমতি নেই। তবু এ অধমের, 'বাল্লিগু আন্নি ওয়ালাও আয়া' (আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও অপরের নিকট পৌঁছে দাও) এই হাদীসের জিম্মাদারী হিসেবে উম্মতের মাঝে কিছু বলার ইচ্ছা রইল ইনশাআল্লাহ।