Iqra Qawmi Institute
ইলমে নববীর প্রাঙ্গণে আপনাকে স্বাগতম!!
কোরআনের আঙ্গিকে জীবন সাজাতে এটিই দারুণ সুযোগ।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইক্বরা পরিবারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
রমযানের রোযা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ঈমান, নামায ও যাকাতের পরই রোযার স্থান। রোযার আরবি শব্দ সওম, যার আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। পরিভাষায় সওম বলা হয়-প্রত্যেক সজ্ঞান, বালেগ মুসলমান নর-নারীর সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযার নিয়তে পানাহার,সঙ্গম ও রোযাভঙ্গকারী সকল কাজ থেকে বিরত থাকা। সুতরাং রমযান মাসের চাঁদ উদিত হলেই প্রত্যেক সুস্থ, মুকীম প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং হায়েয-নেফাসমুক্ত প্রাপ্তবয়স্কা নারীর উপর পূর্ণ রমযান রোযা রাখা ফরয। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
(তরজমা) হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।-সূরা বাকারা (২) : ১৮৩
📢📢ভর্তি চলছে!!📢📢ভর্তি চলছে!!📢📢
সহিহ কোরআন শেখার আসর-(ব্যাচ ও প্রাইভেট সিস্টেম)
পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যাচে ভর্তি চলছে।
==============================
◾ ক্বায়দা শেষ করে কোরআন পড়তে পারে এমন যোগ্য করে তোলা হবে।
◾নামাজ শিক্ষা
◾দৈনন্দিন দোয়া মুখস্ত করানো
◾নামাজের মাসলা মাসায়েল
🔻ক্লাস শুরুঃ- পহেলা রমযান
সন্ধ্যা : ৭ টা থেকে (মহিলা ও পুরুষ দুইটি ব্যাচ আলাদা আলাদা ভাবে চলবে)
সকাল : ১০ টা থেকে (শুধুমাত্র মহিলাদের ব্যাচ)
রাত : ১০ টা থেকে (মহিলা ও পুরুষ দুইটি ব্যাচ আলাদা আলাদা ভাবে চলবে)।
মেয়াদঃ-২৫ টি ক্লাস
বয়স-(৫বছর থেকে শুরু)।(মহিলা পুরুষ সকলের জন্যই প্রযোজ্য)
#ক্লাস _যেভাবে_হবে ∆
★একেবারে আরবী হরফ থেকে পড়ানো হবে ।
★উস্তায ZOOM বা MEET মাধ্যমে সরাসরি পড়াবেন।
★তাজবীদ পুরোপুরি শিখানো এবং প্রেক্টিকাল ধরিয়ে দেয়া হবে।
★পাঠ্যপুস্তক হিসাবে পিডিএফ দেয়া হবে।
★প্রতিদিন অল্প করে হোমওয়ার্ক দিবেন ও পরের ক্লাসে হোমওয়ার্ক শুনবেন।
★মাসিক পরিক্ষা নেয়া হবে।
🎓কোর্স ফি ৫০০ টাকা ।(কোনো হিডেন চার্জ বা ভর্তি ফি নেই)
(কেউ প্রাইভেট সিস্টেমে পড়লে সেক্ষেত্রে আলাদা ফি প্রযোজ্য হবে)।
যোগাযোগ : 01737774298 ,01919465871
ঘরে বসে কোরআন শিক্ষা 🕌
আমরা অনেকেই আছি যারা এখনো ঠিকমতো কোরআন পড়তে পারি না।
কিংবা কোরআন পড়তে পারি কিন্তু কোথায় কোন মদ কোন গুন্নাহ হবে কিংবা কোন শব্দের কি উচ্চারণ তা আমরা অনেকেই জানিনা।
তাই আপনাদের জন্য ইক্বরা কওমী ইন্সটিটিউট নিয়ে এসেছে অনলাইনে ঘরে বসে কোরআন শিক্ষা ব্যবস্থা।
ইনশাআল্লাহ রমজানের পূর্বেই কোরআন তেলাওয়াত হবে আরো সহীহ ও সুন্দর।
📢📢ভর্তি চলছে!!📢📢ভর্তি চলছে!!📢📢
সহিহ কোরআন শিক্ষা কোর্সঃ-(ব্যাচ ও প্রাইভেট সিস্টেম)
পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যাচে ভর্তি চলছে।
==============================
◾ ক্বায়দা শেষ করে কোরআন পড়তে পারে এমন যোগ্য করে তোলা হবে।
◾নামাজ শিক্ষা
◾হাদিস শিক্ষা
◾দৈনন্দিন দোয়া মুখস্ত করানো
◾নামাজের মাসলা মাসায়েল
🔻ক্লাস শুরুঃ- ২১ শে জানুয়ারি থেকে।
সন্ধ্যা ৭ টা বা রাত ৯ টা
সপ্তাহেঃ-৪দিন ।
মেয়াদঃ-২৫ টি ক্লাস
বয়স-(৪বছর থেকে শুরু)।
#ক্লাস _নেয়ার_ধরনঃ-
★একদম আলিফ বা থেকে পড়ানো হবে।
★উস্তায ZOOM বা MEET মাধ্যমে সরাসরি পড়াবেন।
★তাজবীদ পুরোপুরি শিখানো এবং প্রেক্টিকাল ধরিয়ে দেয়া হবে।
★পাঠ্যপুস্তক হিসাবে পিডিএফ দেয়া হবে।
★প্রতিদিন অল্প করে হোমওয়ার্ক দিবেন।পরের ক্লাসে সে হোমওয়ার্ক শুনবেন।
★ প্রতি ১মাস পর পর পরিক্ষা নেয়া হবে।
🎓কোর্স ফি ১ হাজার টাকা
যোগাযোগ : 01737774298 ,01919465871
আসসলামু আলাইকুম
মহান আল্লাহ তাআলার অসীম দয়া ও তাওফিকের কল্যাণে আমাদের অনলাইন ইসলামী প্ল্যাটফর্মটি এগিয়ে যাচ্ছে সুদূর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
তারই ধারাবাহিকতায় কোরআন শিক্ষা কোর্সের পাশাপাশি আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোরআনুল কারীমের একটি বিশেষ হিফজ কোর্সের আয়োজন করা হচ্ছে । আমাদের টার্গেট প্রতিটি মুসলিমকে কোরআনের সুশীতল ছায়াতলে একত্রিত করা। একজন দ্বীনি ভাই ও বোনও যেন কোরআন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, মুসলিমের পরিচায়ক হিসেবে কোরআন পাঠ যেন অশুদ্ধ ও দুর্বল না হয় সেদিকে আমরা বিশেষ লক্ষ্য রাখছি। বাচ্চাদের একাডেমিক ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি কোরআন শিক্ষা,হিফজ এগুলোর প্রতি গুরুত্বারোপকারী অভিভাবকদের জন্য আমাদের এই বিশেষ আয়োজন।এছাড়াও যে সকল ভাই হিফজ করার এক সৎ স্বপ্ন ও সাহস দীর্ঘদিন বুকে লালন করেছেন সময়,সুযোগ আর শয়তানের ধোঁকায় বিভ্রান্ত হয়ে আছেন তারাও আমাদের এই কোর্সটিতে ভর্তি হতে পারেন।
কোর্সের বিবরণ : হিফজ কোর্স
কোর্স ডিউরেশন : তিন বছর (কায়দা থেকে শুরু করে যদি কেউ হিফজ পড়তে চান তাহলে তাদের জন্য মোট ৫ বছর)।
কোর্সের সময় : ১ দিনে দুইবার ক্লাস হবে প্রতি ক্লাসের সময় সীমা নির্ধারণ হবে শিক্ষার্থীর পড়া অনুযায়ী। সপ্তাহে ৪ দিন আসরের পরে মাশকের ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
১/ফজরের পর
২/দুপুর ২.৩০ মিনিট
৩/ সপ্তাহে সুবিধামত চারদিন আসরের পরে মাশকের ক্লাস করানো হবে।
প্রয়োজনীয় যাবতীয় কায়দা কানুন এর পিডিএফ দেয়া হবে।
সরাসরি জুম এপের মাধ্যমে বা গুগল মিটে ক্লাস নেয়া হবে ।
আসন সংখ্যা: ১০ জন।(বাচ্চা ও পুরুষের জন্য শুধু)মহিলাদের মধ্যে কেউ কোরআন শিখতে চাইলে আলাদা ভাবে মহিলা শিক্ষিকা দ্বারা পড়ানো হবে ।
ক্লাস শুরু : ১ ই সেপ্টেম্বর।
কোর্স শেষে থাকবে বেফাক বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা ও সার্টিফিকেট প্রদান।
ভর্তির জন্য পেইজে নক করুন
অথবা সরাসরি নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করুন
01737774298(পুরুষ সাপোর্ট)(what's app)
01919465871(মহিলা সাপোর্ট)(what's app)
রাসূল (স.) বলেন, ‘মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর ৪ টি আমলের সাওয়াব অব্যাহত থাকে : ১. যে ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারা দিল তার সাওয়াব, ২. ভাল কাজ চালু করার ফলে তাকে যারা অনুসরণ করল তার সাওয়াব, ৩. যে ব্যক্তি এমন সাদাকাহ করলো, যা প্রবাহমান থাকে তার সাওয়াব, ও ৪. এমন নেক সন্তান রেখে যাওয়া- যে তার জন্য দোয়া করে। ’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং : ২২২৪৭)
কাজেই আপনার হাফেজে কোরআন সন্তান হতে পারে আপনার নাজাতের উসীলা ও পরকালে শান্তি লাভের অন্যতম মাধ্যম।
পবিত্র কোরআন হিফজ করা, চর্চা করা এতটাই ফজিলতপূর্ণ কাজ যে, রাসূল (স.) তার হিফজকারীদের ফেরেশতাদের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (স.) থেকে বর্ণনা করেছেন, কোরআনের হাফেজ, পাঠক ও লিপিকর সম্মানিত ফেরেশতাদের মতো। খুব কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও যে বারবার কোরআন পাঠ করে, সে দ্বিগুণ পুরষ্কার পাবে। (বুখারি: ৪৯৩৭)
দুনিয়াতে যারা কোরআন শিখবে এবং কোরআন অনুযায়ী আমল করবে, হিফজ করবে, কিয়ামতের দিন তাদের বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেছেন, কোরআন কেয়ামত দিবসে হাজির হয়ে বলবে, হে আমার প্রভূ , একে (কোরআনের বাহককে) অলংকার পরিয়ে দিন। তারপর তাকে সম্মান ও মর্যাদার মুকুট পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার প্রভূ, তাকে আরো পোশাক দিন। সুতরাং তাকে মর্যাদার পোশাক পরানো হবে।
সে আবার বলবে, হে আমার প্রভূ, তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন। কাজেই তিনি তার ওপর সন্তুষ্ট হবেন। তারপর তাকে বলা হবে, তুমি একেক আয়াত পাঠ করতে থাকো এবং ওপরের দিকে উঠতে থাকো। এমনিভাবে প্রতি আয়াতের বিনিময়ে তার একটি করে সওয়াব (মর্যাদা) বাড়ানো হবে। (তিরমিজি: ২৯১৫)
কেয়ামতের দিন কোরআনের হাফেজদের মা-বাবাকে বিশেষ সম্মান দেবেন মহান আল্লাহ তায়ালা। এ বিষয়ে হযরত সাহল ইবনু মুআজ আল-জুহানি (রহ.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন-
রাসূল (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করে এবং তা অনুযায়ী আমল করে, কেয়ামতের দিন তার মা-বাবাকে এমন মুকুট পরানো হবে যার আলো সূর্যের আলোর চেয়েও উজ্জ্বল হবে। ধরে নাও, যদি সূর্য তোমাদের ঘরে বিদ্যমান থাকে (তাহলে তার আলো কিরূপ হবে?)। তাহলে যে ব্যক্তি কোরআন অনুযায়ী আমল করে তার ব্যাপারটি কেমন হবে, তোমরা ধারণা করো তো!’ (আবু দাউদ: ১৪৫৩; শুআবুল ঈমান: ১৭৯৭)
নবীজি (স.) সাহাবায়ে কেরামকে কোরআনের ধারক-বাহকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। যারা ৩০ পারা কোরআন হেফজ করে তা ধরে রাখে, তার ওপর আমল করে, তারাও সেই সম্মানের যোগ্য। আবু মুসা আল-আশআরি (রহ.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, নিশ্চয়ই বৃদ্ধ মুসলিমকে সম্মান করা, কোরআনের ধারক-বাহক ও ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান দেখানো মহান আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।’ (আবু দাউদ: ৪৮৪৩)
" ইক্বরা কওমী ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন "
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
🌹প্রিয় দ্বীন পিপাসু ভাই ও বোনেরা !
দ্বীনি শিক্ষা প্রচার প্রসারের ব্যাপক বিস্তৃতি আর বিপ্লব ঘটাতে আপনাদের সহযোগিতায় যাত্রা শুরু করলো ইক্বরা কওমী ইন্সটিটিউট ।❣️
আমাদের এই অনলাইন প্রতিষ্ঠানে রয়েছে বাংলাদেশ সহ,যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,অস্ট্রেলিয়া,কানাডা ও জাপান প্রবাসী পরিবারের জন্য কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি নূরানী/নাযেরা/হিফয পড়ার এবং আলেম/আলেমা হবার এক বিশেষ ব্যবস্থাপনা।
আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে সাজানো হয়েছে এক অভূতপূর্ব অভিনব পদ্ধতিতে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী অতি সহজে নিত্যদিনের পাঠ ক্লাসেই আয়ত্ব করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।
👉আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমে যা যা থাকছেঃ-
✅বেসিক কোরআন অর্থাৎ নূরানী কায়দা থেকে শুরু করে আমপারা পর্যন্ত ।
✅তাজবীদ শিক্ষা।
✅ নাযেরা অর্থাৎ কোরআন দেখে পড়ার যোগ্যতা তৈরি করা ।
✅মহান আল্লাহর ৯৯ নাম,দোয়া দুরুদ,যাবতীয় প্রয়োজনীয় মাসআলা মাসায়েল শিক্ষার বিশেষ ব্যবস্থাপনা।
✅ফজিলত পূর্ণ ৪০ হাদিস মুখস্তকরণের ব্যবস্থা।
✅হিফজুল কোরআন অর্থাৎ কোরআন মুখস্থকরণ ।
✅ভুলে যাওয়া হিফজ পুনরায় আয়ত্বের সুযোগ।
✅ ইনকমপ্লিট হিফজ কমপ্লিট করার ব্যবস্থা।
✅কোরআনের তরজমা ও তাফসীর পড়ার সুযোগ।
✅ শুধুমাত্র কোরআনের ফযীলতের সূরা সমূহ মুখস্থ করার সুযোগ।
✅সূরা ফাতিহাসহ কোরআনের শেষ ১০ সূরা মুখস্থকরণ ।
✅সহীহ শুদ্ধ ভাবে নামায শিক্ষা কার্যক্রম।
✅ কওমী মাদ্রাসার যাবতীয় কিতাবসমূহ প্রাইভেট ভাবে পড়ার সুব্যবস্থা।
✅মাদানী নেসাবের যাবতীয় সিলেবাসের পাঠদান।
✅অল্প সময়ে আলেম/আলেমা হবার সকল গাইডলাইন এবং বিশেষ সুবিধা।
👉আমাদের ক্লাসের নিয়ম ও বৈশিষ্ট্য সমূহঃ-
✅আমাদের সিস্টেমটি সম্পূর্ণ প্রাইভেট।প্রতিটি আলাদা স্টুডেন্টের জন্য আলাদা শিক্ষকের ব্যবস্থা ।
✅আমরা দক্ষ,পরিশ্রমী,দায়িত্ববান শিক্ষক/শিক্ষিকার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকি সর্বোচ্চ পরিসেবা।
✅শিক্ষার্থীর সুবিধা অনুযায়ী সময়ে ক্লাস করার সুযোগ।
✅ক্লাসের শিডিউল শিক্ষার্থীর নিজের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।
✅ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শিখিয়ে দেয়া।
✅শিক্ষার্থী বা শিক্ষকের অসুবিধার কারণে মিসিং ক্লাস রিপিট করা হয়ে থাকে।
✅সপ্তাহে একদিন থেকে সর্বোচ্চ ছয় দিন পর্যন্ত ক্লাস করার সুযোগ আছে,কারণ মানুষের প্রতিবন্ধকতা,অসুবিধা যেনো তার আখেরাত ধ্বংসের কারণ না হয়।
আজই যোগ দিন ইলমে নববী আহরণের এই মহতী উদ্যোগে । যোগাযোগ করুন আমাদের পেইজে দেয়া নাম্বারে অথবা মেসেজ করুন আমাদের পেইজের ইনবক্সে।
ফোন : 01737-77 42 98 , 01919-46 58 71.
মহান আল্লাহ তা'য়ালা সকলকে দ্বীনের যথাযথ হক আদায়ের তওফীক দান করুন।আমীন🤲
ইক্বরা কওমী ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন ❣️❣️❣️
'ক্বদরের রজনী হাজার মাস অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ।'
আল-কুরআন।
শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। তাই এই রাতটি মুসলমানদের জন্য ভাগ্য রজনী হিসেবে সম্মানিত।
শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদাপূর্ণ রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। লাইলাতুল কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত।
পবিত্র কুরআনুল কারিম নাযিলের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই রাতকে হাজারের মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উত্তম ও মহা সম্মানিত রাত হিসেবে আমারদের জন্য দান করেছেন। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ দশকের রাতগুলোর মধ্যে কোনো এক বিজোড় রাত হলো ভাগ্য নির্ধারণ বা লাইলাতুল কদরের রাত।
যে রাতে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে, সে রাতই লাইলাতুল কদর। আল্লাহতায়ালা বলেন: ‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি মর্যাদাপূর্ণ কদর রজনীতে। আপনি কি জানেন, মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামকে সমভিব্যহারে অবতরণ করেন; তাঁদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষা বা ফজর পর্যন্ত। (আল কুরআন, সুরা-৯৭ [২৫] আল কদর)
রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস। শবে কদর কুরআন নাযিলের রাত। এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে ফেরেশতাদের সরদার হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে রাহমতুল্লিল আলামিন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করেন।
এ কারণে আল্লাহ তায়ালা এ রাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ রাতে মহান আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদিকে হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগি ও আমলের সমান সাওয়াব দান করে। কুরআনুল কারিমের অন্য স্থানে এ রাতটিকে বরকতময় রাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন- হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমি একে (কুরআন) এক বরকতময় রাতে নাজিল করেছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা দুখান : আয়াত ১-৬)
কুরআন নাযিলের কারণে মর্যাদার এ রাতের কথা উল্লেখ করার পর যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে সে মাসের কথাও আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে উল্লেখ করেছেন এভাবে-
আল্লাহ তায়ালা বলেন: ‘রমজান মাস! এমন একটি মাস যে মাসে কোরআন নাযিল হয়েছে মানবের মুক্তির দিশারি ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনরূপে। ’ (সুরা-২ আল বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।
সুতরাং লাইলাতুল ক্বদরের রাতে আল্লাহর ওইসব বান্দারা সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ও মর্যাদার অধিকারী হবেন, যাদের সঙ্গে কুরআনের সম্পর্ক বেশি। যিনি কুরআন-সুন্নাহর আলোকেই নিজের জীবন পরিচালিত করবেন। বাস্তবজীবনে কোরআন-সুন্নাহর আমলে সাজাবেন জীবন। আর তারাই হবেন সফল।
রমজানের শেষ দশদিনের যেকোনো বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করা যায়, অর্থাৎ ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ রমজান দিবাগত রাতগুলো। তবে অনেক আলেমদের গবেষণা ও ব্যাখ্যায় এবং বুজুর্গানেদ্বীনের মতে ২৬ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ সাতাশ তারিখে পবিত্র শবে কদরের অন্যতম সম্ভাব্য রাত।
মর্যাদার এ রাত পেলে মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবেন? কী চাইবেন? এ সম্পর্কে হাদিসের একটি বর্ণনা এভাবে এসেছে- হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে-
উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ'ফুয়্যুন; তুহিব্বুল আ'ফওয়া; ফা'ফু আ'ন্নী।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
লাইলাতুল কদরের মর্যাদা
লাইলাতুল কদরের মর্যাদা এত বেশি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতটি পাওয়ার জন্য শেষ দশকে আজীবন ইতেকাফ করেছেন।
উম্মতে মুহাম্মদীর উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি কদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাযিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তাঁর সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়।’ (মুসলিম শরীফ)
কদর রাতের ফজিলত
মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হওয়ার কারণে অন্যসব মাসের চেয়ে রমজান মাস বেশি ফজিলত ও বরকতময় হয়েছে। আর রমজানের রাতগুলোর মধ্যে কোরআন নাযিলের রাত লাইলাতুল ক্বদর সবচেয়ে তাৎপর্যমণ্ডিত একটি রাত।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি একে নাযিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জান ক্বদরের রাত কি? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। (সূরা: কদর, আয়াত: ১-৩)।
এ আয়াতের ব্যাখায় মুফাসসিরকুল শিরোমণি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম’। (তানবিরুল মিকবাস মিন তাফসিরে ইবনে আব্বাসঃ ৬৫৪ পৃষ্ঠা)।
তাবেয়ি মুজাহিদ (র.) বলেন, এর ভাবার্থ হলো, ‘এ রাতের ইবাদত, তেলাওয়াত, দরুদ কিয়াম ও অন্যান্য আমল হাজার মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম। ’
মুফাসসিররা এমনই ব্যাখ্যা করেছেন। আর এটিই সঠিক ব্যাখ্যা। (ইবনে কাসির: ১৮ খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা)।
শবে কদরের আমল
সুতরাং লাইলাতুল কদর পেলে এ আমল ও দোয়া রাত অতিবাহিত করা জরুরি। তা হলো-
১. নফল নামাজ পড়া।
২. মসজিদে ঢুকেই ২ রাকাত (দুখুলিল মাসজিদ) নামাজ পড়া।
৩. দুই দুই রাকাত করে (মাগরিবের পর ৬ রাকাত) আউওয়াবিনের নামাজ পড়া।
৪. রাতে তারাবির নামাজ পড়া।
৫. শেষ রাতে সাহরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
৬. সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহ পড়া।
৬. সম্ভব হলে তাওবার নামাজ পড়া।
৭. সম্ভব হলে সালাতুল হাজাত পড়া।
৮. সম্ভব হলে সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া।
৯. কুরআন তেলাওয়াত করা। সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুয্যাম্মিল, সুরা মুদ্দাসির, সুরা ইয়াসিন, সুরা ত্বহা, সুরা আর-রাহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা কুরাইশ এবং ৪ কুল পড়া।
১০. দরূদ শরিফ পড়া।
১১. তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া। সাইয়্যেদুল ইসতেগফার পড়া।
১১. জিকির-আজকার করা।
১২. কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত দোয়াপড়া।
১৩. পরিবার পরিজন, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা, কবর জেয়ারত করা।
১৪. বেশি বেশি দান-সদকা করা।
_কপি পোস্ট
'অশ্লীলতা সবকিছুকে বিকৃত করে,আর হায়া বা লজ্জা সবকিছুকে আকর্ষণ করে।'
-তিরমিজি
'প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জ্ঞান অর্জন বাধ্যতামূলক।'
-তিরমিজি
'সহজ করো,কঠিন করো না;
সুসংবাদ দাও,দুঃসংবাদ দিয়ো না।'
-সহিহ বুখারি
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
'আল্লাহ পবিত্র এবং তিনি পবিত্র জিনিসই গ্রহণ করেন।'
মুসনাদে আহমদ
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
' উত্তম আচরণ,স্থিরতা ও মধ্যমপন্থা নবুয়তের ২৫ ভাগের ২৪ ভাগ। '
আবু দাউদ ও তিরমিজি
' আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর সাধ্যাতীত বোঝা চাপিয়ে দেন না। '
সূরা বাকারা : ২৮৬
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
' তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককেই তাদের দায়িত্বের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। '
- বুখারী ও মুসলিম
'বনি আদমের মৃত্যুর পর তার আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়,তবে তিন ধরনের আমল ছাড়া -
১. সাদকায়ে জারিয়া।
২. উত্তম জ্ঞান, যার মাধ্যমে মানবজাতি উপকৃত হয়।
৩. উত্তম সন্তান, যে মৃত্যুর পর তার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে। '
- মুসলিম ও মুসনাদে আহমদ
' ধর্ম ও নৈতিকতার শিক্ষা সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদ। '
আল-কুরআন।
শেখাতে গেলেই শেখা হয়। – জাপানী প্রবাদ
পড়ালেখা করে যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত, কিন্তু জ্ঞানী হলো সেই ব্যক্তি যে নিজেকে জানে | জ্ঞান ছাড়া পড়ালেখা কোনো কাজেই আসেনা।
— এপিজে আবুল কালাম আজাদ
ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-03-08 19:55:14
কোরআন শিক্ষা ও তেলাওয়াতের ফজিলত
কোরআনে কারিম মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান। প্রত্যেক নবী ও রাসুলকে আল্লাহতায়ালা মানবজাতির হেদায়েতের জন্য কিতাব দান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দান করা হয় কোরআন মাজিদ। সৃষ্টিকূলের ওপর যেমন স্রষ্টার সম্মান ও মর্যাদা অপরিসীম, তেমনি সব বাণীর ওপর পবিত্র কোরআনের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব অতুলনীয়।
মানুষের মুখ থেকে যা উচ্চারিত হয়, তার মধ্যে কোরআন তেলাওয়াত সর্বাধিক উত্তম। কোরআনে কারিম বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পঠিত পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। কোরআন মাজিদ তেলাওয়াত ও শিক্ষার অনেক গুরুত্ব অনেক। কোরআনের আয়াত ও হাদিসের একাধিক জায়গায় এর ফজিলতের কথা আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নে কোরআন-হাদিসের আলোকে বর্ণনা করা হলো-
কোরআন তেলাওয়াত একটি লাভজনক ব্যবসা
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত আল্লাহর সঙ্গে একটি লাভজনক ব্যবসা। বিভিন্ন ব্যবসায় লাভ এবং ক্ষতি দু’টিরই সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখানে লাভ ছাড়া কোনো প্রকার ক্ষতির আশঙ্কা নেই। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা করে, যাতে কখনও লোকসান হবে না।’
কোরআনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সর্বোত্তম ব্যক্তি
পরবর্তী আয়াতে আরও বলা হয়েছে, ‘পরিণামে তাদেরকে আল্লাহ তাদের সওয়াব পুরোপুরি দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ -সুরা ফাতির : ২৯-৩০
প্রত্যেক হরফের জন্য সওয়াব লাভ
কোরআনে কারিম তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিরাট সওয়াব অর্জন করার সুযোগ রয়েছে। এর সঙ্গে অনেক উপকারিতাও রয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।’ -তিরমিজি : ২৯১০
কোরআনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সর্বোত্তম ব্যক্তি
পবিত্র কোরআন শিক্ষার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা যায়। হজরত উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই, যে নিজে কোরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।’ -সহিহ বোখারি : ৫০২৭
কোরআন তেলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবে
কেয়ামতের ভয়াবহ অবস্থার সময় কোরআন তেলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবে। এটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কোরআন তেলাওয়াত করো, কারণ, কোরআন কেয়ামতের দিন তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে।’ -সহিহ মুসলিম : ১৯১০
কোরআন পড়া উত্তম সম্পদ অর্জন
কোরআন পড়া বা শিক্ষা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকা উত্তম সম্পদ অর্জন করার অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়ে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কেন সকালে মসজিদে গিয়ে আল্লাহর কোরআন হতে দু’টি আয়াত পড়ে না বা শিক্ষা দেয় না?
কোরআন তেলাওয়াত ঈমান বাড়ায়
তাহলে সেটি তার জন্য দু’টি উট লাভ করার চেয়ে উত্তম হবে। তিনটি আয়াত তিনটি উট অপেক্ষা উত্তম। চারটি আয়ত চার উট অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপ আয়াতের সংখ্যা অনুপাতে উটের সংখ্যা অপেক্ষা উত্তম। -সহিহ মুসলিম : ১৩৩৬
কোরআন তেলাওয়াত ঈমান বাড়ায়
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বান্দার জন্য এমন উপকারী যে, তা তেলাওয়াত করলে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেওয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ারদেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে।’ -সুরা আনফাল : ২
কোরআনের ধারক-বাহক ঈর্ষণীয় ব্যক্তি
কোনো ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে তার হক আদায় করে তেলাওয়াত করলে তার সঙ্গে ঈর্ষা কিংবা তার মতো হওয়ার আকাঙ্খা করা যাবে।
ইসলামি শরিয়তে একমাত্র দুই ব্যক্তির ওপর ঈর্ষা করা যায়। এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহতায়ালা কোরআনের ইলম দান করেছেন, সে দিবা-রাত্রি ওই কোরআন তেলাওয়াতে ব্যস্ত থাকে। দ্বিতীয় সে ব্যক্তি, যাকে আল্লাহতায়ালা ধন-সম্পদ দান করেছেন। সে তা দিনরাত (বৈধ কাজে) খরচ করে। -সহিহ বোখারি : ৭৫২৯
শুক্রবারের কিছু আমল ও ফজিলত
শুক্রবার দিনকে জুমার দিন বলা হয়। জুমা এটি আরবি শব্দ। বাংলায় এর আভিধানিক অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া ইত্যাদি। পরিভাষায় জুমা বলে, প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার দিনে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানরা একটি নির্দিষ্ট সময়ে মসজিদে একত্র হয়ে জামাতের সঙ্গে সেদিনের জোহর নামাজের পরিবর্তে যে নামাজ ফরজরূপে আদায় করে, সেই নামাজকে ‘জুমার নামাজ’ বলা হয়।
ইসলামি শরিয়তে এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয়। এ দিনের নামে কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা (সুরা জুমা) নাজিল করা হয়েছে। যে সুরার মধ্যে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর ও আল্লাহকে অধিকরূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’- সুরা জুমা, আয়াত ১০।
শুক্রবারের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যার ওপর সূর্য উদিত হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং এই দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’- সহিহ মুসলিম,হাদিস নং ১৪১০।
জুমার নামাজের এই প্রচলন ইসলামের শুরুর যুগ থেকে চলে আসছে। মুসলমানদের ওপর প্রথম হিজরিতে জুমার নামাজ ফরজ হয়। যার প্রেক্ষাপট এমন ছিল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার দিনে মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় অবতরণ করেন জোহরের ওয়াক্তের সময়। সেখানেই সর্বপ্রথম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার নামাজ আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার নামাজ। তারপর থেকে অদ্যাবধি চলে আসছে এ নামাজ।
অন্যান্য নামাজ থেকে এ নামাজের ফজিলত অত্যধিক, মর্যাদাও সীমাহীন। এমনকি এই নামাজের কারণে এ দিনের সম্মান বেড়ে গেছে বহু গুণ। হাদিসে এসেছে এ দিনের শ্রেষ্ঠত্বের কথা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে সবার আগে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল, দ্বিতীয়তে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কোরবানি করল, তৃতীয়তে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কোরবানি করল। অতঃপর চতুর্থতে যে ব্যক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগি কোরবানি করল। আর পঞ্চমে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কোরবানি করল। অতঃপর ইমাম যখন বের হয়ে এসে মিম্বরে বসেন খুতবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে বসে যান।-সহিহ বুখারি, হাদিস-নং ৮৮১।
অন্য একটি হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, আগে আগে মসজিদে গমন করল, হেঁটে মসজিদে গেল, ইমামের কাছাকাছি বসল, মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল, কোনো কথা বলল না, আল্লাহ তায়ালা তাকে প্রতি কদমে এক বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব দান করবেন। - মুসনাদে আহমাদ, হাদিস-নং ৫৮১।
জুমার দিন যেহেতু ফজিলতপূর্ণ তাই এ দিনের অনেক আমলের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মুসলমানদের জন্য যে আমলগুলো করা জরুরি। নিম্নের হাদিসের মধ্যে কয়েকটি আমলের কথা বলা হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত তার সব সগিরা গুনাহর জন্য কাফফারা হবে। -আবু দাউদ, হাদিস-নং ৩৪৩।
মোট কথা, জুমার দিন ফজিলতপূর্ণ হওয়ার কারণে তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল। মিশে আছে ইসলামের অনেক বিধিবিধান। আমলের সুবিধার্থে সেগুলো ধারাবাহিকভাবে সংক্ষিপ্ত আকারে নিচে উল্লেখ করা হলো;
১. জুমার দিন ফজরের ফরজ নামাজে সুরা সাজদা ও সুরা দাহর/ইনসান তেলাওয়াত করা।
২. জুমার দিন ভালোভাবে গোসল করা।
৩. নিজের সবচেয়ে উত্তম পোশাক পরা।
৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা, যদি থাকে।
৫. জুমার নামাজের জন্য আগেভাগে মসজিদে যাওয়া।
৬. শুক্রবার দিন সুরা কাহফ তেলাওয়াত করা।
৭. মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজের আগে কমপক্ষে ৪ রাকাত সুন্নত আদায় করা।
৮. জুমার নামাজে ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসা।
৯. মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা। খুতবা চলাকালে কোনো কথা না বলা।
১০. দুই খুতবার মাঝের সময়ে বেশি বেশি দোয়া করা এবং জুমার দিনের অন্য সময়ও দোয়া করা। কারণ এদিনে দোয়া কবুল হয়।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সবাইকে জুমার দিনের হক আদায় করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
শাবান থেকে প্রস্তুতিমূলক দৌড় শুরু করলে, রমজানে ইবাদতে সহজে গতি আনা যায়। রমজানের আগমনি সুসংবাদ প্রচার করা সুন্নত।
-শাইখ আতিকুল্লাহ
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Mymensingh
2200
Mymensingh
Do you want to improve your Programming Skills? Do you want to feel more confident? Do you want thes
Jatiya Kabi Kazi Nazrul Islam University
Mymensingh, 2224
EEE Club is an organization of the Electrical and Electronic Engineering department students.
Sherpur
Mymensingh
“Energy is liberated matter, matter is energy waiting to happen.”
Mymensingh
The official page. For news, events, and admissions information, please visit our page...
Abul Hossain Chairman Plaza
Mymensingh, 2220
Available Course: Android Apps Development with JAVA
Bangladesh Agriculture University Shes Moor
Mymensingh, 2202
Learn it, live it, earn it.
107/B Kalibari Road, Bridge Moor
Mymensingh, 2200
Welcome to Royal Media College, Mymensingh.
Mirbari Mor, College Road
Mymensingh
A teaching arena for intermediate Physics & ICT.