Guraba Life style
ফ্রি মিক্সিং নিয়ে এত লাফালাফি কেন!!?
আপনি প্রকৃত মুসলমান হলে পর্দা মেনে চলবেন,
যদি আপনি ১২ ভাতারী হোন, বেশ্যাখানা ইজ ওপেন ফর ইউ।
বর্তমানের বাস্তবতা।
সুন্দরবন এলাকাতে বাঘের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছিল, তাই সরকার পুলিশকে হুকুম দিলেন,
১ দিনের মধ্যে যেন সমস্ত সুন্দরবনের বাঘকে বন্দী করা হয়।
এ কথা শুনে বাঘ বিশাল টেনশনে পড়ে গেল, বাঘ এক মহিষের সাথে বিষয়টি শেয়ার করল,
হঠাৎ পিছন থেকে পুলিশের বাঁশির আওয়াজ।
যেইনা আওয়াজ বাঘ ছুটছে তো ছুটছেই সাথে সাথে মহিষও,
দৌড়ানির ফাঁকে বাঘ মহিষকে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
ঃকিরে ভাই! ওয়ারেন্ট তো আমার নামে তুমি কেন দৌড়াচ্ছে!?
মহিষ তখন মৃদু হেঁসে বলল!
ঃআহ! ভাই বাঘ! তুমি কি জানোনা, আমরা এমন এক রাষ্ট্রে বসবাস করি, যেখানে আমি যে মহিষ এটা প্রমান করতে করতেই জীবন জেলে খেটে যাবে।
বা আমাকে তোমরা চামড়া পরিধান করিয়ে বাঘ বানিয়ে দিবে, যেন সারাদিন তোমাকে দৌড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে, আমাকে দিয়ে তাদের পেট ভড়াতে পারে।
Afghan war in 1988
কেউ খাবার যোগাতে কাজের সন্ধানে দৌড়াচ্ছে, আবার কেউ অতিরিক্ত খেয়ে, খাবার হজমের জন্য দৌড়াচ্ছে.
গভীর রাতে কারো বিলাসবহুল গাড়ি থামছে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে!
কেউ ভাঙা ঘরে থেকেও স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত সুখের স্বপ্ন বুনছে!
কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি!! কেউ একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ করে চলছে.
কেউ সন্তান ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে. কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!
কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে ভাত খেতে পারছেনা!
কেউ পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কচলিয়ে গোগ্ৰাসে ভাত গিলছে.
কারো দামি খাটে শুয়েও আবার ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! কেউ আবার হিমেল হাওয়ায়,রাস্তায়,ওভার ব্রিজে অঘোরে ঘুমোচ্ছে.
কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়তে ইচ্ছে করছেনা.
কেউ পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে!
কেউ দামী গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তানগুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো?
কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, মনে মনে ভাবছে সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি! আল্লাহ চাইলে, ওরাই জীবনটা এখন গড়ে নিবে.
সত্যিই নানান রঙের মানুষ, নানান রঙের স্বপ্নের ঘুড়ি...!
তবে শেষ ঠিকানা সাড়ে তিন হাত মাটি।
হাসান আল বসরি (র.) কে একবার তার খোদাভীরুতার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি চারটি বিষয় উল্লেখ করেন ।
১ আমি বুঝেছি যে আমার রিজিক কেউ নিয়ে যেতে পারবেনা, আমার হৃদয় তাই সবসময় সন্তুষ্ট থেকেছে ।
২ আমি বুঝেছি অন্য কেউ আমার হয়ে ইবাদত করবেনা, তাই আমি আমার নিজের ইবাদত নিজেই করতে শুরু করি ।
৩ আমি বুঝেছি যে আল্লাহ আমাকে দেখছেন, তাই কোনো ভুল করতে আমি লজ্জিত বোধ করি।
৪ আমি বুঝেছি আমার মৃত্যু আমার জন্য অপেক্ষা করছে, তাই আমি আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করি ।
ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় ও সুন্দর করতে এ ২০টি নিয়ম মেনে চলুন।
মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী
১। আগে সালাম দিন।
২। হাসিমুখে কথা বলুন। দুঃখ কষ্ট চেপে রেখে মুখের হাসি ধরে রাখতে চেষ্টা করবেন।
৩। বেশি শুনবেন, কম বলবেন।
৪। তামাশার ছলেও কখনো মিথ্যা বলবেন না।
৫। ভুল হলে বিনয়ের সাথে ক্ষমা চেয়ে নিন বা দুঃখ প্রকাশ করুন।
৬। অকারণে বেশি হাসি বা ঠাট্টা মশকরা করবেন না।
৭। ধীরে ধীরে বুঝিয়ে কথা বলুন।
৮। আগে অন্যের কথা শুনুন, তারপর নিজে বলুন।
৯। কোনো বিষয়ে তর্কে জড়াবেন না। মনে রাখবেন, তর্কে জিতা নয় বরং তর্কে না জড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
১০। কারো কাছে নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন না।
১১। ধৈর্য ধরে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
১২। কেউ ভুল করলে ক্ষমা করুন। অন্যের দোষ ঢেকে রাখুন। মানুষের প্রতি সুধারণা রাখুন।
১৩। ছোট বড়ো সবাইকে প্রাপ্য সম্মান দিন।
১৪। কথা দিয়ে কথা রাখবেন।
১৫। পোশাকে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, সম্ভব হলে সুবাসিত রাখতে চেষ্টা করবেন।
১৬। পারলে খাওয়ান, জোর করে খাবেন না। অন্যের জিনিসে লোভ করবেন না।
১৭। খাবার সামনে এলে আগে অন্যকে দিন। সুযোগ সুবিধা নিজে না নিয়ে অন্যদের দিয়ে দিন।
১৮। মুখ ও শরীর দুর্গন্ধমুক্ত রাখুন। আপনার যা কিছুই আছে, পরিচ্ছন্ন পরিপাটি রাখুুন।
১৯। চরিত্র ও নৈতিকতা উন্নত রাখুন। নিজের অপারগতার কথা কাউকে জানাবেন না। প্রার্থনায়, সাজদায় পড়ে শুধু আল্লাহকেই বলুন।
২০। আচার ব্যবহারে বিনয়, ভদ্রতা ও নম্রতা বজায় রাখুন।
ইনশাআল্লাহ, ব্যক্তিত্ববান বলে গণ্য হবেন। মানুষের শ্রদ্ধা সম্মান সমীহ ও ভালোবাসা লাভ করবেন।
চট্টগ্রাম শহরের আহাজারি!
ভাসছে চট্টগ্রাম শহর সহ আরো অনেক গ্রাম।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা সবাই মাঠে নেমে কাজ করছে, আর আমরা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত! আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই এখনো এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবগতই না, আর যারা জানে তারা শুধু গ্রুপ/পেইজের পোস্ট দেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শুধু ট্রল করাই যেনো আমাদের দায়িত্ব।
এসব নিয়ে আমরা যারা কাজ করছি এটা মোটেও শুধু আমাদের এই কয়জনের দায়িত্ব না। এটা আমাদের সকল মুসলিমদের দায়িত্ব!
আমরা আর কিছু করতে পারি বা না পারি, অন্তত এই গ্রুপের পোস্ট গুলো কপি করে নিজের টাইমলাইনে ও বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করতে পারি, পেইজের পোস্ট শেয়ার করতে পারি। আমাদের এই গ্রুপটা প্রমোট করতে পারি। আমাদের গ্রুপ দুটির লিংক কপি করে যে সকল পোস্টে মুসলিম মেয়েদের কমেন্ট বেশি সেসব পোস্টে কমেন্ট করে গ্রুপের মেম্বার বাড়তে সহযোগিতা করতে পারি। অনেক কিছুই করতে পারি আমরা চাইলে!
সকলে মিলে মিশে সহযোগিতা করলে আমরা আরো দ্রুত সচেতনতা ছড়াতে পারবো। কিন্তু আমরা শুধু গ্রুপের পোস্ট দেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছি।
Like & Follow: Save Our Sisters
Join: Save Our Sisters (Official)
©️
পরিপূর্ণ এ ফিৎনার জামানায়,
একাকীত্ব জীবন গ্রহন ছাড়া ভিন্ন আরকি উপায়!!!
اللهم اني اعودبك من فتنة الدجال..
পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন যন্ত্র, যা সার্ভিসং ছাড়াই চলে আসছে যুগের পর যুগ।
অতি পুরনো তারপরও মানুষ তাকে পছন্দ করে।
হ্যাঁ ভাই! তার নামই ষড়যন্ত্র।
জীবনযুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার গোপন রহস্য
বুক ফেটে কান্না আসছে, জায়নামাজে চোখের পানি ফেলুন। মনের দমবন্ধ কথা কাউকে বলতে চাচ্ছেন, বিগলিত প্রার্থনায় মালিককে বলুন। বৃথা যাবে না।
১.কেউ যন্ত্রণা দিচ্ছে?
- আল্লাহ ভরসা করে চুপ হয়ে যান।
২.কেউ অনেক ত্যাগ ও শ্রমের পরও প্রাপ্যটা দেয়নি?
- আল্লাহ ভরসা করে চুপ হয়ে যান।
৩.কোন মানুষ অনেক অপমান করেছে?
-আল্লাহর নাম স্মরণ করে চুপ হয়ে যান।
৪.কেউ ঠকিয়ে গেছে?
- আল্লাহর নাম স্মরণ করে চুপ হয়ে যান।
৫.কেউ আপনাকে মিথ্যা দোষারোপ করেছে?
- আল্লাহর দিকে চেয়ে চুপ হয়ে যান।
৬. কেউ আপনার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ভুলে যাওয়া পুরোনো কোন স্মৃতি টেনে আঘাত করেছে?
- আল্লাহর কথা ভেবে চুপ হয়ে যান।
৭. কেউ চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে?
- আল্লাহর কথা ভেবে চুপ হয়ে যান।
এই চুপ থাকা আপনার জন্য সুরক্ষার পর্বত হয়ে দাঁড়াবে। এই ধৈর্য আপনাকে আল্লাহর সান্নিধ্য পাইয়ে দেবে।
এমন নিরব হয়ে যান যে সে মানুষগুলো যেনো আর কখনোই আপনার শব্দ না শোনে। মৃত হয়ে যান তাদের কাছে। প্রতিজ্ঞা করুন আর কখনোই ফিরে তাকাবেন না। শুধু এই প্রতিজ্ঞাটা করতে পারলে আপনি কষ্ট পাবেন না । এই নিরবতা আপনাকে কষ্টকর অনুভূতি দিবে কিন্তু অপর পক্ষকে দিবে চরম শিক্ষা ও চির আফসোস।
আসলে আমরা ঠকবার কিংবা হারাবার ভয়ে শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করি।
কিন্তু আপনি কি জানেন, যে মানুষগুলো আপনাকে মূল্যায়ন করেনি, আপনাকে দমবন্ধ কান্নার অনুভূতি দিয়েছে তারা আপনার কেউ না। তাই শব্দ দিয়ে, কান্না দিয়ে, যুক্তি দিয়ে বললেও অথবা দুনিয়ার সমস্ত ত্যাগ ও কোরবানি দিলেও ওরা আপনার মূল্য বুঝবে না।
তাই নিজের স্বার্থে বাঁচুন।
নিজেকে ভালোবাসুন।
যেসব মানুষ থেকে কিছু আশা করেন না, আল্লাহর জন্য তাদের ভালোবাসুন।
দুনিয়ায় যে সময়টুকু থাকবেন, এর জন্য ততটুকুই মেহনত করুন।
আখিরাতে যতদিন থাকবেন, এর জন্য সে পরিমাণ মনযোগী হয়ে মেহনত করুন।
তওবা জিকির সাদকা ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে পরকালের প্রস্তুতি নিন।
দেহ মন প্রাণ দিয়ে আল্লাহর ইবাদত করুন।
আপনার একজন 'রব' আছেন।
সেজদায় গিয়ে সকল দুঃখ, কষ্ট, চাওয়া, পাওয়ার কথা 'রব'কে বলুন। তিনি আপনাকে ভালোবেসে গ্রহণ করে আপনার অস্তিত্বকে শীতল ও প্রশান্ত করে সব কিছুর সমাধান করবেন। আপনি ঈমান আমলের ফলে তার ক্ষমা, রহমত ও অতুলনীয় মায়া মমতা লাভ করবেন। তারই তত্ত্বাবধানে ইহ ও পরকালে বিজয়ী জীবন যাপন করবেন ইনশাআল্লাহ।
أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَتَكُونُ فِتَنٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ وَالْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي مَنْ تَشَرَّفَ لَهَا تَسْتَشْرِفُهُ وَمَنْ وَجَدَ فِيهَا مَلْجَأً فَلْيَعُذْ بِهِ "
অর্থঃআমর আন নাকিদ, হাসান আল হুলওয়ানী ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অচিরেই এমন ফিতনাহর আত্মপ্রকাশ হবে, যখন উপবিষ্ট ব্যক্তি দণ্ডায়মান ব্যক্তি হতে উত্তম থাকবে। আর দণ্ডায়মান ব্যক্তি তখন চলমান ব্যক্তি হতে উত্তম থাকবে। আর চলমান ব্যক্তি তখন দ্রুতগামী ব্যক্তি হতে ভাল থাকবে। যে ব্যক্তি সে ফিতনায় যখন জড়িয়ে পড়বে তাকে সে ফিতনাহ ধ্বংস করে দিবে। আর যে ব্যক্তি কোন আশ্রয়স্থল পাবে, তার সেটা দ্বারা আশ্রয় নেয়া বাঞ্ছনীয়। (মুসলিম ৭১৩৯)
⭕ ঘটনা - ১
ইন্টারভিউ টেবিলের স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন । তারপর, ভারী গলায় বললেন - বাহ ! তোমার সার্টিফিকেট তো বেশ ভালো ! তোমাকে আর প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না ! ধরে নাও তুমি চাকরিটি পেয়ে গেছো ! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে ! এক সপ্তাহের মধ্যে টাকাটা জমা করে দাও ! তারপর তোমার নিয়োগ হবে ! ছেলেটি ইন্টারভিউ রুম থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানালো, ৫ লাখ টাকা না হলে তার চাকরিটা হবে না ! গ্রামের সহজ সরল বাবা নিজের ছেলের চাকরির জন্য ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা জোগাড় করলেন ! তারপর বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেটি চাকরি পেয়ে গেলো !
⭕ ঘটনা - ২
আজ বড় স্যারের ছেলের জন্মদিন ! বাড়িতে বিশাল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে ! তিনি বাড়িতে ঢুকেই তার ছেলের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন ! ছেলে কাছে আসতেই বড় স্যার “হ্যাপি বার্থডে মাই সান” বলতে বলতে ছেলের হাতে ৫ লাখ টাকার বাইকের চাবি তুলে দিলেন ! বাইক পেয়ে ছেলেটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বললো - আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা !
⭕ ঘটনা - ৩
বড় স্যারের ছেলে আজ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে রাজপথে ছুটে চলেছে বাইক ! হঠাৎ ট্রাকের সাথে ধাক্কা সবকিছু থেমে গেলো ! বড় স্যারের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো হাসপাতালের বড় ডাক্তার সাহেব জানালেন আপনার ছেলের অবস্থা ভালো না, খুব জটিল একটা অপারেশন করাতে হবে, কাউন্টারে ১০ লাখ টাকা জমা করে দিন ! বড় স্যার কোনও উপায় না দেখে মেয়ের বিয়ের জন্যে ব্যাংকে জমিয়ে রাখা টাকাটা কাউন্টারে জমা করে দিলেন !
⭕ ঘটনা - ৪
বড় ডাক্তার সাহেব আজ খুব খুশি ! ৩-৪ লাখ টাকার অপারেশনের জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন, পুরোটাই লাভ ! খুশিতে তিনি তার একমাত্র মেয়ের জন্য স্বর্ণের নেকলেস কিনে বাসায় ফিরলেন ! বাসায় ঢুকেই তিনি তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে মামুনি মামুনি বলে ডাকতে শুরু করলেন ! ডাক্তার সাহেবের বউ কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাদের মেয়ে এখনও বাসায় ফেরেনি ! বড় ডাক্তার সাহেব তার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন, কোথাও কোনও খোঁজ না পেয়ে তিনি যখন দিশেহারা হয়ে পড়লেন, ঠিক তখনই অপরিচিত এক নাম্বার থেকে ফোন এলো ! ফোনেও ঐ প্রান্ত থেকে জানালো, আপনার মেয়ে আমাদের কাছে, মেয়েকে ফেরত পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে ! কথাটা শুনে বড় ডাক্তার সাহেবের স্ত্রী স্ট্রোক করলেন !
⚫🔴 শিক্ষাঃ আপনি অতীতে যা করেছেন, বর্তমানে যা করছেন, ভবিষ্যৎ তার চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপে আপনার কাছে ফিরে আসবেই !!
প্রত্যেক ক্রিয়ার-ই একটা সমান ও বিপরীতমূখী প্রতিক্রিয়া আছে! (নিউটনের গতিবিষয়ক তৃতীয় সূত্র)
সুতরাং সময় থাকতেই সাবধান থাকুন!!
সৎ পথে চলার অভ্যাস করতে হবে। ভালো কাজে অংশ গ্রহন ও মানুষের উপকারে আসলেই তাহলে ভালো থাকতে পারবেন।
কথিত ঈদে মীলাদুন্নবী: ইসলামে অস্তিত্বহীন ও পরিত্যাজ্য
-----------------------
আখেরী নবী সরদারে দোজাহান রাহমাতুল্লিল- আলামীন আফযালুর রাসূলুল্লাহ ওয়াল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্ম সমস্ত পৃথিবীর জন্য রহমত স্বরূপ ও বরকতময়। তাই রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্ম আমাদের জন্য পরম গর্বের এবং আমাদের প্রত্যেকটি কাজ রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সুন্নাতের গন্ডিতে করতে হবে। কীভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর উপর সালাম প্রদান করবেন আর কীভাবে রাসূলের উপর দরূদ পাঠ করবেন, তা রাসূলুল্লাহ (সা.) শিক্ষা দিয়েছেন। যদি রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্মদিনে উল্লাস ও ঈদ যাপন করা ইবাদত হত, অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (সা.) তা বলতেন।
ইসলাম হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ও শান্তি-শৃঙ্খলার নাম। আর শরীয়ত হল সমগ্র জাহানের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামীনের মনোনীত পবিত্র বিধান। এই পবিত্র বিধানের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ কম-বেশি করার অধিকার কারো নেই। মূর্খতার বশবর্তী হয়ে যদি কেউ এদিক-সেদিক কিছু করে বসে, তবে মনে রাখতে হবে তা ইসলাম নয়, বরং ইসলামের নামে ভিন্ন কিছু। শরীয়তে ইসলামীতে ঈদ হল দুটি, ঈদুল-ফিতর ও ঈদুল-আযহা। এছাড়া তৃতীয় কোন ঈদ ইসলামী শরীয়তে নেই।
বছর ঘুরে আমাদের দুয়ারে মাহে রবিউল আউয়াল সমুস্থিত। এ মাসেই বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে ধরণীর বুকে আগমন করেন দোজাহানের সরদার, বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত (সা.)। আবার এ মাসেই আপন রবের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
নিঃসন্দেহে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের শুভাগমন বিশ্ববাসীর জন্য বরকতময় এবং একটি অবিস্বরণীয় ঘটনা। যাঁর জন্মের পূর্বাভাস অনেক পূর্ব থেকেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বহু অলৌকিক ঘটনার মাধ্যমে পৃথিবীবাসীকে জানিয়ে ছিলেন।
প্রসঙ্গত সর্বপ্রথম বলতে হয়, এ মাসের একটি বিশেষ দিনের কথা অর্থাৎ ১২ই রবিউল আউয়াল। যেদিন এক শ্রেণির লোক বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্মকে কেন্দ্র করে মনগড়া তামাশায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। অথচ শরীয়তে ইসলামিয়্যাতে যার কোনো অস্থিত্বই নেই।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে-
عن أنس قال : قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة ولهم يومان يلعبون فيهما ، فقال : «ما هذان اليومان» ؟ قالوا : كنا نلعب فيهما في الجاهلية فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «إن الله قد أبدلكم بهما خيرا منهما : يوم الاضحى ، ويوم الفطر» .
হযরত আনাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) মদীনায় আসার পর দেখলেন মদীনাবাসী দু’টি দিনে খেলাধূলা করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘আল্লাহ তা’আলা জাহিলিয়্যাতের দু’টি দিনের পরিবর্তে উত্তম দু’টি দিন তোমাদেরকে দান করেছেন। একটি হল ঈদুল-ফিতর অপরটি হল ঈদুল-আযহা। (আবু দাউদ- ১১৩৪)।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আজ এক শ্রেণির লোক স্বাচ্ছন্দমতো শরীয়তের বিধান তৈরি করছে। ঈদে মিলাদুন্নবী নামে তৃতীয় এক ঈদের আবিষ্কার করেছে। মুখে তারা খুব নবী প্রেমের দাবি করে, কিন্তু বাস্তবে তাদের মাঝে নবীর আদর্শ বলতে কিছুই নেই। নবীর আদর্শ তো এটাই, যা সাহাবায়ে কিরাম করে গেছেন। অথচ কোন সাহাবী থেকে এই ঈদের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। জন্মদিন পালন করার মধ্যে যদি কোন ধরনের কল্যাণ থাকতো, অথবা জন্মদিন পালন করা যদি প্রেম-ভালবাসা বহিঃপ্রকাশের মাধ্যম হত, তাহলে তো সাহাবায়ে কেরামগণ (রাযি.)এর বেশি হক্বদার ছিলেন। কেননা, পৃথিবীতে সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) থেকে বেশি নবীপ্রেমিক কেউ নেই। আর হবেই বা কেমন করে? যেখানে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রূহের জগতে সমস্ত কায়েনাত থেকে এই সাহাবাদেরকে তার হাবীবের জন্য নির্বাচিত করেছেন। সুতরাং একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, আল্লাহ তাআলার নির্বাচিত সাহাবাদের থেকে বেশি নবীপ্রেমিক হওয়ার দাবি করা মূলত আল্লাহর পছন্দের প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন।
আসলেই কি সেই ১২ই রবিউল আউয়াল নবীর জন্মদিন? ১২ই রবিউল আউয়াল নবী (সা.)এর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে জশনে জুলুসে ঈদে মীলাদুন্নবী নামে যে শোভাযাত্রা বের করা হয়, সে দিনই রাসূল (সা.) হয়েছেন, ইতিহাসে এর অকাট্য প্রমাণ নেই। বিশেষভাবে মহানবীর জীবন চরিত্র তথা সীরাতুন্নবী (সা.) সম্বলিত সব গ্রন্থেই এই নিয়ে মতভেদ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থের প্রায় সবগুলোতেই উল্লেখ আছে যে, মহানবী (সা.)এর জন্ম তারিখের ব্যাপারে ইতিহাসবিদদের মাঝে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। বিরোধপূর্ণ বর্ণনাগুলোতে ১/২/৮/৯/১০/১১/১২/১৭/ ১৮/২২ রবীউল আউয়ালের তারিখের উপর মতামত পাওয়া যায়। উক্ত তারিখ সমূহের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে কোন একটি তারিখকে মহানবী (সা.)এর জন্মদিনের জন্য নির্ধারণ করা শুধু দুষ্করই নয়, বরং অসম্ভবও বটে। তবে বিজ্ঞ মুহাক্কিক ও প্রসিদ্ধ ইতিহাসবিদগণের কাছে ৮ ও ৯ তারিখের মতামতটি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। সুতরাং একথা পরিষ্কার হয়ে গেল যে, ঈদে মীলাদুন্নবী নামে যে জসনে জুলুস ও শোভাযাত্রা বের করা হয়, তার সাথে মহানবী (সা.)এর জন্মের নিশ্চিত কোনও সম্পর্ক নেই।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
“হে নবী, আপনি বলে দিন তোমরা যদি আল্লাহকে মুহাব্বাত কর তাহলে আমার অনুসরণ কর। এতে আল্লাহ তোমাদেরকে মুহাব্বাত করবেন”। (আলে-ইমরান- ৩১)।
উক্ত আয়াত দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় যে, নবীর অনুসরণই আল্লাহর অনুসরণ এবং নবীর মুহাব্বতই আল্লাহর মুহাব্বত। কেননা আল্লাহ পাক নিরাকার ও অদৃশ্য, যে কারণে আল্লাহকে স্বচক্ষে অবলোকন করে মুহাব্বত ও অনুসরণ করার সুযোগ নেই। তাই তাঁর হাবীব (সা.)এর মুহাব্বত ও তাঁর আদর্শের অনুসরণ-অনুকরণ আল্লাহর প্রকৃত আনুগত্য রূপে আখ্যা দেয়া হয়েছে। আর প্রেমিকের প্রেমের প্রমাণ হচ্ছে প্রেমাস্পদের আদর্শের অনুসরণ করা।
তাই রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে আমার আদর্শকে (সুন্নাত) মুহাব্বাত করল, প্রকৃতপক্ষে সে আমাকেই মুহাব্বত করল। কাজেই রাসূলের মুহাব্বত শুধুমাত্র মুখে মুহাব্বতের শ্লোগান দেয়ার নাম নয়; বরং প্রকৃত মুহাব্বাত হচ্ছে রাসূলের আদর্শের বাস্তব অনুসরণের নাম। রাসূলে কারীম (সা.)এর তেইশ বৎসরের যিন্দেগীর প্রতিটি কাজ উম্মতের জন্য স্মরণীয় ও করণীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জীবনালোচনা করা বরকতময় ও সাওয়াবের কাজ। রাসূলুল্লাহ (সা.)এর মুহাব্বত ঈমানের অঙ্গ। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.)এর প্রতি মুহাব্বত, সম্মান প্রদর্শন, রাসূলের জীবনী আলোচনা এমনকি রাসূলের সুন্নাতের অনুসরণসহ প্রত্যেকটি কাজ ঐ নিয়ম-পদ্ধতিতে করতে হবে, যেভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত সাহাবায়ে কেরামকে শিক্ষা দিয়েছেন। যেমন- রাসূলুল্লাহ (সা.)কে কীভাবে সালাম করতে হবে, কী পদ্ধতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর উপর দুরূদ পাঠ করতে হবে, সেগুলোও রাসূলুল্লাহ (সা.) শিক্ষা দিয়ে গেছেন। এজন্যই রাসূলুল্লাহ (সা.)কে যখন শরীয়ত পরিপন্থি সম্মান প্রদর্শন করা হতো, তখন তিনি বাঁধা প্রদান করতেন।
হাদীস শরীফে আছে-
হযরত আবু উমামা (রাযি.) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি লাঠির উপর ভর দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে আমরা তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে পড়ি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা আজমী (অনারব) লোকদের মত (অন্যকে সম্মান দেখানোর জন্য) দাঁড়িয়ো না। যেমনিভাবে তারা অপরকে সম্মান দেখানোর জন্য দাঁড়ায়। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ৫২৩০)।
এক রেওয়াতে আছে, একবার এক সাহাবী (রাযি.) রাসূলুল্লাহ (সা.)কে সিজদা করতে অনুমতি চাইলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তা অস্বীকার করে ইরশাদ করলেন-
হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে সিজদা করা জায়েয হত, তাহলে নারীদেরকে বলা হত তাদের স্বামীকে সিজদা করার জন্য। (তিরমিযী শরীফ- ১১৫৯)।
রাসূলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও মুহাব্বত রাখা ঈমানের দাবি ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কিন্তু এই ইবাদত রাসূলের বাতানো পদ্ধতি ও সাহাবীদের পদাঙ্কের অনুসরণ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে আমার আনীত ধর্মের মধ্যে ইবাদত হিসেবে নতুন কিছু সংযোজন করবে তা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য হবে। যে কারণে সাহাবায়ে কেরাম দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সংযোজনকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতেন। যেমন এক ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.)এর সম্মুখে বসে হাঁচির পর বললেন- ‘আলহামদুলিল্লাহ ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আ’লা রাসূলিল্লাহ’, সাথে সাথে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) বললেন আমরা রাসূলের যামানায় শুধু ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলেছি ‘ওয়াসসালাতু ওয়াসসামু আ’লা রাসূলিল্লাহ বলিনি। অতএব, তুমি বিদআত করেছ। (তিরমিযী শরীফ- ২৭৩৮)।
উম্মতের সকল ব্যক্তির জন্য রাসূলের জীবনী জানা ও আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রাসূলের প্রতি মুহাব্বত রাখা ও তা’যীম করা জরুরি। কিন্তু তার পদ্ধতি কুরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস বা সাহাবা, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈনের আমল দ্বারা প্রমাণিত হতে হবে। বর্তমানে প্রচলিত মীলাদ মাহফিল, ঈদে মিলাদুন্নবী, জশনে-জুলুস ইত্যাদি কুরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস এবং অনুসরণীয় তিন স¦র্ণালী যুগ তথা মহান চার খলিফা, সাহাবা, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈনদের আমল দ্বারা প্রমাণিত নয়। এমনকি উম্মতের পরবর্তী চার বড় বড় ইমাম, আয়িম্মায়ে মুহাদ্দিসীন এবং যুগ শ্রেষ্ঠ বুযুর্গানে দ্বীনের আমলেও এগুলোর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।
এখন প্রশ্ন হল, তাহলে এই মীলাদ কোথা থেকে আসলো? এ ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে, ৬০৪ হিজরীতে ইরাকের মসুল শহরের অপব্যয়ী বাদশাহ আবু সাঈদ মোযাফ্ফার উদ্দীন কাওকারী ইবনে আরবল (মৃত্যু ৬৩০ হিজরী) সর্বপ্রথম আবুল খাত্তাব ওমর ইবনে দিহইয়া ( মৃত্যু ৬৩৩ হিজরী) নামক জনৈক দরবারী আলেম দ্বারা প্রচলিত পদ্ধতির মীলাদ চালু করেন। আর এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল আনন্দ-উৎসব করা এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)এর উপর ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে যিয়াফতের ব্যবস্থা করা। (তারিখে ইবনে কাছির- ১৩/১৩৬, তারিখে ইবনে খাল্লেকান- ৪/১১৭)।
দরবারী আলেম সম্পর্কে হাফেয ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহ.) বর্ণনা করেন, সে উলামায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীনের মহাত্মার ব্যাপারে বেয়াদবী মূলক অচরণ করতো। তার ভাষা অশ্লীল এবং নির্বোধ ও অহংকারী মেজাযের ছিল। দ্বীনি বিষয়ে ছিল বেপরোয়া ও চরম উদাসীন। (লিসানুল মীযান- ৪/২৯৬)।
পরবর্তীতে কিছু সরলমনা মুসলমান এবং অপরিণামদর্শী আলেম মীলাদের এই রসমের সাথে জড়িয়ে পড়েন। মূলতঃ এটা কোন সাওয়াবের কাজ নয়; বরং বিদআত। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহ.) খুবই আক্ষেপের সাথে বলেছেন, বাদশাহ এবং ধর্মজ্ঞানে অন্ধ সূফী ও অসৎ উলামারা দ্বীনের ক্ষতিসাধন করেছে।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে জুলুস ও মিছিলের আয়োজন করে লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করা হচ্ছে। যুক্তি দেখানো হয়, এতে ইসলামের শান-শাওকাত প্রকাশ পায় এবং মুসলিম সমাজে নবচেতনা আসে। অথচ ইসলামের মহান দুই ঈদের দিনে তারা কোন জুলুস বা মিছিলের আয়োজন করে না।
ঈদে মিলাদুন্নবীর নামে প্রচলিত কার্যক্রম কখনোই নবী প্রেমের নিদর্শন নয়। বরং তা সম্পূর্ণরূপে বিদআত, নাজায়েয, হারাম ও অবশ্যই পরিত্যাজ্য। তাই আসুন, আমরা বিদআত বর্জন করি এবং সুন্নাহ আঁকড়ে ধরি। প্রকৃত নবী প্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন । আমীন।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরংদলের সন্ত্রাসীরা সম্মানিত একজন আলেমকে আগুনে পুড়িয়ে খুন করেছে। গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের বাসিন্দা মাওলানা আতাউল্লাহ কাসেমী নামক সম্মানিত ঐ আলেমকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরংদলের সন্ত্রাসীরা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। পরে আগুনে পোড়া দেহকে জঙ্গলে নিক্ষেপ করে।
হিন্দুত্ববাদী উগ্র কর্মী-জনতা এখন এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে, কি আলেম কি আওয়াম- কাউকেই তারা ছাড় দিচ্ছে না। কেউই তাদের হাত থেকে নিরাপদ নয়। তারা জানে মুসলিমদের উপর যতই অত্যাচার করুক, তাদের কোন বিচার হবে না। গত মাসেও বিলকিস বানু ধর্ষণ ও ১৪ মুসলিম হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আত্মস্বীকৃত ১১ খুনিকে মুক্তি দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীদের প্রহসনের আদালত। মুসলিম হত্যায় এমন দায়মুক্তির ঘটনা রয়েছে আরও শত শত। তাই নিশ্চিত মনেই উগ্র হিন্দুরা এখন পুড়িয়ে হত্যার মতো বর্বর কাজ করছে, এবং এর মাধ্যমে মুসলিম গণহত্যার মাঠ প্রস্তুতের চূড়ান্ত স্তরে প্রবেশ করেছে তারা।
একজন সম্মানিত আলেমকে আগুনে পুড়িয়ে খুন করার পরও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন অপরাধীদের আটক করেনি। হিন্দুত্ববাদীদের দালাল মিডিয়াগুলো এনিয়ে কোন কথা বলেনি। কথিত কোন মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকেও কোন প্রতিবাদ আসেনি। এটা এখন ওপেন সিক্রেট যে, এতদিন ধরে মুসলিমদের পিটিয়ে মারার ঘটনায় দায়িত্বশীল সব পক্ষ নীরব থেকে আর অপরাধিদের দায়মুক্তি দিয়ে সেটাকে সাধারণ গ্রহণযোগ্য ঘটনা বানিয়ে ফেলেছে। আর এখন মুসলিম আলেমদের পর্যন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এর কোন বিচার হচ্ছে না; সুতরাং এই ঘটনাও এখন সহজ স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়াবে। আর এভাবে এখন তারা মুসলিম গণহত্যা শুরুর চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ পুড়িয়ে মারার ঘটনায় কাউকে আটক বা বিচার না করায় সারা ভারতেই উগ্র হিন্দুরা এখন একই কাজ করতে উৎসাহিত বোধ করবে অহরহ।
বেশ কিছু বছর ধরে চলমান উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসী অত্যাচার এবং কথিত দায়িত্বশীল-প্রশাসনের নীরব ভূমিকা গোটা উপমহাদেশে হিন্দুত্ববাদের উগ্র অভ্যুত্থানকে ত্বরান্বিত করেছে; যা ক্রমেই এখন চূড়ান্ত মুসলিম গণহত্যায় রপ লাভ করছে। এটাও স্পষ্ট যে, প্রচলিত কোন আইন-আদালত বা পশ্চিমা গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা কেউই মুসলিমদের রক্ষায় এগিয়ে আসবেনা।
কথিত সুপার পাওয়াররা আসলে এসব ক্ষেত্রে একে অপরকে চাপে ফেলে সুবিধা আদায় করতে মুসলিমদের প্রতি সুর নরম করার সাময়িক অভিনয় করে থাকে; যেমনটা করা হয়েছে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ক্ষেত্রে আর উইঘুর মুসলিমদের ক্ষেত্রে। কিংবা তারা বড়জোর একেকটি পক্ষকে উস্কে দিয়ে অস্ত্র বাণিজ্য করতে পারে; তবে মুসলিমদের জীবন-মরন বা নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কিছুই যায়-আসে না।
উপমহাদেশের মুসলিমদের ক্ষেত্রেও কথিত বিশ্বমোড়লদের অবস্থান এর থেকে ভিন্ন হবেনা বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। হক্কপন্থী উলামাগণও তাই বরাবরই মুসলিমদেরকে পরিস্থিতির নাজুকতা উপলব্ধি করতে এবং সেই অনুযায়ী নিজ ও পরিবারের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতের প্রস্তুতি নিতে বলে আসছেন নববী মানহাজ অনুযায়ী।
আরাকানে যুদ্ধ পরিস্তিতির ভয়াবহতার মধ্যেও থেমে নেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সামরিক আগ্রাসন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ৪ জন রোহিঙ্গা টেক্সি ড্রাইভারকে গুম করে হত্যা করেছে।
জানা যায়, ঐদিন দুপুরের দিকে সামরিক জান্তারা ৪ জন রোহিঙ্গা ড্রাইভারকে জোরপূর্বক বাধ্য করে সেনাদের একটি সামরিক চৌকিতে পৌঁছে দেয়ার জন্য। সেনাদের সেখানে পৌঁছে দিতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি রোহিঙ্গা ড্রাইভাররা। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তারা ফিরে আসেনি এবং তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদেরকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
অন্যদিকে জান্তা বাহিনী ইয়াঙ্গুন থেকে নতুন করে আরও ৩৭ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে নারী-শিশু রয়েছে। বর্তমানে তাদের সবাইকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
যুগ যুগ ধরে নিপিড়নের শিকার মাজলুম রোহিঙ্গা মুসলিমদের উদ্ধারে তাই মুসলিম জাতিকে তাদের সর্বাগ্রে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন হকপন্থী আলেম-উলামাগণ।
সতর্ক থাকতে হবে আমাদের!!!
বিশ্বের অবস্থা খুব ভয়াবহ। হঠাৎ করে উত্তাল ইরান। লাখ লাখ নারী শিকল ভেঙে বেরিয়ে গেছে। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হিজাব। অর্ধনগ্ন নাচে আত্মহারা। প্রতিটি রাস্তায় রাস্তায় নারীদের গণ বিস্ফোরণ। হিজাব কে ছিন্নভিন্ন করে নগ্ন দেহ কে প্রতিবাদ স্বরূপ প্রদর্শন করছে। জঘন্য ভাষায় হিজাব কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। এক ভয়ংকর ম্যাসেজ দিচ্ছে দা-জ্জাল। সারা বিশ্বে যে গোপনে তার অনুসারী তৈরী করে ফেলেছে তার জানান দিচ্ছে দা-জ্জাল। এখন শুধু আত্মপ্রকাশের বাকি।
- ইসহাক ইবনে আব্দুল্লাহ বর্ণনা করেন, আমি আনাস ইবনে মালেক কে বলতে শুনেছি, ইসফাহানের (ইরান) ৭০ হাজার ইহুদী দা-জ্জালের অনুসারী হবে৷ তাদের গায়ে সবুজ রঙের চাদর থাকবে। ( সহীহ মুসলিম ;৪ খন্ড, পৃ, ২২৬৬)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দা-জ্জালের যখন আগমন ঘটবে তখন নারীরা তার নিকট চলে যাবে। আতংকে মুমিন পুরুষ ঘরে গিয়ে তার মা,বোন,চাচি কে শিকল দিয়ে ঘরের খুটিতে বেধে রাখবে।
দা-জ্জালের সিংহভাগ অনুসারী হবে নারী। দা-জ্জাল যেহেতু ইরানের ইসফাহানে আগমন করবে তাই তার সিংহভাগ অনুসারী ইহুদী ও নারী তার পিছনে পিছনে ছুটবে। আজকে ইরানের নারীদের দেখে মনে হচ্ছে প্রতীক্ষিত সেই সময় দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। ইরানের নারীরা শিকল ভেঙে এভাবেই বেরিয়ে গেছে। শুধু ইরান নয় সমগ্র মুসলিম বিশ্বের নারীদের অবস্থা একই হবে। যেহেতু ইরানের ইসফাহান হবে তার নারী ও ইহুদী অনুসারীর ঘাটি। তাই ইরানেই এসব ঘটনা এক ভয়াবহ ইঙ্গিত দিচ্ছে। সে যে নারীদের হাতের মুঠোয় বন্দি করে ফেলেছে তার জ্বলন্ত প্রমাণ আজকের ইরান৷
চিন্তা করুন দা-জ্জালের ফিতনা কত ভয়ংকর হবে। আয়েশা (রা) স্বয়ং দা-জ্জালের কথা মনে পড়ায় তিনি একদা কান্নায় ভেঙে পড়েন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দা-জ্জাল নিয়ে আলোচনা করতেন তখন ভয়ে তার চেহেরা লাল হয়ে যেতো।
আর আজকে আমরা যেন বেখবর হয়ে, দুনিয়ার মোহে ডুবে আছি।😭
আমরা বেশি বেশি এই দোয়া টি পড়তে পারি।
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।🤲
"যিনা (ব্যভিচার) একটি ঋণ, যা অবশ্যই পূরণ করা হবে।"
অতি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি কথা বেশ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শাইখ যুলফিকার আহমাদ নকশবন্দী রচিত ও উমেদ থেকে প্রকাশিত ‘এখন যৌবন যার’ বইটিতে বিষয়টি নিয়ে কিছু আলোচনাও রয়েছে। কথাটি হল, "যিনা একটি ঋণ যা অবশ্যই পূরণ করা হবে।" শাইখের বইয়ে ব্যাপারটা আরও কঠিনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আবার মদীনা ভার্সিটি পড়ুয়া একজন শাইখ এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে কিছু দালিলিক আলোচনাও করেছেন। চলুন আমরাও এ ব্যাপারে কিছু আলাপ করি।
১. শাইখ নকশবন্দীর এই আলোচনার ভিত্তি কী?
শাইখের আলোচনার মূলভিত্তি হল একটি হাদিস। জাবির ইবনু আব্দিল্লাহ রা. হতে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন,
بَرُّوا آبَاءَكُمْ تَبَرَّكُمْ أَبْنَاؤُكُمْ وَعِفِّوا عَنْ نِسَاءِ النَّاسِ تَعِفَّ نِسَاؤُكُمْ
“তোমরা তোমাদের পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর, তোমাদের সন্তান-সন্ততি তোমাদের সাথে উত্তম আচরণ করবে। তোমরা অন্যের নারীদের প্রতি শালীন আচরণ কর, তোমাদের নারীগণও শালীন আচরণ পাবেন। ”[1]
আলী রা. বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুল সা. বলেছেন,
لَا تَزْنُوا فَتَذْهَبْ لَذَّةُ نِسَائِكُمْ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ وَعِفُّوا تَعِفَّ نِسَاؤُكُمْ إِنَّ بَنِي فُلَانٍ زَنَوْا فَزَنَتْ نِسَاؤُهُمْ
“তোমরা যিনা করো না। যিনা করলে তোমাদের নারীদের মধ্য হতে আপন স্বামীর প্রতি অনুরাগ হারিয়ে যাবে। তোমরা অন্যের নারীদের প্রতি শালীন আচরণ কর, তোমাদের নারীগণও শালীন আচরণ পাবেন। অমুক সম্প্রদায়ের পুরুষরা যিনায় লিপ্ত হয়েছে। আর এতে তাদের নারীগণও যিনায় লিপ্ত হয়েছে। ” [2]
এ ধরণের আরও কিছু হাদিস আছে। এসব হাদিসের সবক’টির সনদই দুর্বল। শুধু দুর্বল না। বেশ দুর্বল। তবে মুহাদ্দিস ও দাঈ আলিমগণ নসীহত ও সতর্কতার ক্ষেত্রে নিজ নিজ গ্রন্থে এসব বর্ণনা উল্লেখ করেছেন।
২. ‘যিনা হল ঋণ’ কথাটা আসলে কার?
অনেকের মতেই এটি ইমাম শাফিঈ রহ.-এর কবিতার অংশ। খোদ সালিহ আল মুনাযযিদ হাফিজাহুল্লাহ তার মাওকাউল ইসলাম গ্রন্থে এদিকে ইঙ্গিত করেছেন [3]
তবে কোনো নাম উল্লেখ না ইমাম সুয়ুতী রহ. প্রথমে উল্লিখিত হাদিসটির আলোচনায় একটি কবিতা উল্লেখ করেন। যার মধ্যে এই পংক্তিটিও রয়েছে,
إن الزِّنَا دَيْنٌ فَإنَّ أَقْرَضْتَهُ … كان الْوَفَا مِنْ أَهْلِ بيتِك فَاعْلَمِ
যিনা হল ঋণ, যদি তুমি তাতে জড়াও, তবে জেনে রেখো, তোমার পরিবার-পরিজনকে এর দায় নিতে হবে। [4]
কথা হল, কবিতা সবসময়ই ব্যাখ্যা দাবী করে।
৩. ঋণ পরিশোধের পদ্ধতি ও দায়।
ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে যে জিনিস ঋণ হিসেবে নেয়া হয়েছে, তা দিয়েই পরিশোধ করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। মানুষ দোকানে বাকি খায়। বাকিতে কাপড় কেনে। অনেক কিছু করে। এগুলো সবই ঋণ। এসব ঋণ সে অর্থ দিয়ে পরিশোধ করে। অনেক সময় অর্থের ঋণ জায়গা সম্পত্তি, বস্তু বা শ্রম দিয়েও পরিশোধ করে।
আবার অপরিণামদর্শী পুত্র, পিতা বা ভাইয়ের ঋণের দায় ও অসম্মান অনেক সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিতে হয়। দায় না নিলেও কটুক্তি ও অসম্মান এমনিতেই চেপে বসে।
এক্ষেত্রে এসে কথাটা কুরআনের আয়াত বিরোধি মনে হতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزۡرَ أُخۡرَى
"একজনের (অপরাধের) বোঝা আরেকজন বহন করবে না।" [5]
এখানে আয়াতটির ব্যাখ্যায় গেলে দেখবেন, মূলত এই দায় না নেয়ার বিষয়টি আখিরাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। পার্থিব জীবনে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার হয়। তবে আয়াতের চুড়ান্ত উদ্দেশ্য হল আখিরাত। [6]
দুনিয়াতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একের অপরাধের বোঝা অন্যকে কিছুটা হলেও বহন করতে হয়। এটাও একটা পরীক্ষা। একজন জারজ সন্তানের যিনার কোনো দায় নেই। কিন্তু ইসলামী শরীয়তের কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাকে তার মা বাবার অপরাধের কিছুটা দায় ভোগ করতে হয়। যেমন ইমামতির ক্ষেত্রে। ফকিহগণ জারজ সন্তানের ইমামতির ক্ষেত্রে মতভেদ করেছেন। অনেকেই মাকরুহ বলেছেন। এখন দুনিয়ার জীবনে পরীক্ষা হিসেবে এই গ্লানি তাকে নিতে হচ্ছে। [7]
৪. পুরুষের যিনার ঋণ ঘরের পূত-পবিত্র নারী কেনো পরিশোধ করবে? এর ব্যখ্যা কী?
এর ব্যাখ্যা প্রথমে ইমাম ইবনু তাইমিয়ার কাছ থেকে জেনে নেই। তিনি লিখেছেন,
“একজন পুরুষ যখন অন্য পুরুষের নারীর (মা-বোন, মেয়ে ইত্যাদির) সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য পুরুষও এই ব্যভিচারির ঘরের নারীদের সাথে যিনায় লিপ্ত হতে চায়।” অর্থাৎ একজন যিনাকারীর বন্ধু বান্ধব এই আশায় বা সুযোগের সন্ধানে থাকে। তিনি আরও বলেন, “ব্যভিচারী পুরুষের স্ত্রী ব্যভিচারী হওয়ার বিষয়টা কয়েকরকম হতে পারে। যেমন- সে যদি মনে করে, স্বামী যদি অন্য নারীর সাথে যিনা করতে পারে তাহলেও আমিও পারি। আর একে যদি সে নিজের জন্য হালাল মনে করে তাহলে ঈমান চলে যাবে। তবে সরাসরি যিনায় লিপ্ত না হয়ে চোখ-কান ইত্যাদির যিনায় লিপ্ত হলে এই হুকুম প্রযোজ্য নয়। তবে নিজে গুনাহগার হবে।” [8]
অধমের মতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমনটা হয় না। বরং এটা যিনার চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্ষতির দিক তুলে ধরতে গিয়ে বলা হয়েছে। তবে ইবনু তাইমিয়া রহ.-এর প্রথম উক্তিটি কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। যিনার ঋণ যিনা দিয়ে শোধ না করলেও ঘরের নারীদের এ জন্য বেশ বিব্রত হতে হয়। মাকে কথা শুনতে হয়। স্ত্রীকে কটুক্তি শুনতে হয়। বোন-মেয়েদের বিয়ে শাদির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে অপমানজনক পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হয়। আর পরিবারে দীন না থাকলে বা ঘরের নারীদের মধ্যে দীন ও চারিত্রিক পবিত্রতার বোধ না থাকলে বিষয়টা শাইখের আলোচনার বাস্তবতা পর্যন্ত গড়াতে পারে। এরকম অনেক উদাহরণ আছে।
তাই এই কথা মনে রাখতে হবে যে দাঈ ও নসীহতকারী আলিমগণ বিস্তৃত বাস্তবতা ও অভিজ্ঞতা সামনে রেখে কথা বলে থাকেন। অভিজ্ঞতালদ্ধ এসব কথাবার্তা যেমন সবার ক্ষেত্রে, মুত্তাকী ও দীনদারদের ক্ষেত্রে তেমন প্রযোজ্য নয়, আবার সমাজের চিত্র অনুযায়ী একেবারে ফেলে দেয়ার মত নয়।
ইসলামী শরীয়ত একজন যিনাকারীর ঘরের নারীদেরকে বা নারীদের সাথে যিনা করার অনুমতি দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বা একে সমর্থন করারও প্রশ্ন আসে না। বা যিনার পরিণাম এমন হবেই হবে ব্যাপারটা তাও না। পুরো ব্যাপারটা হল, যিনার কুফল যিনাকারীর পরিবারকে আক্রান্ত করার আশঙ্কা প্রকাশ। যার শুরুটা মনোমালিন্য, ঝগড়া, বিবাদ থেকে শুরু করে।
গিবত ও সমালোচনা কারীর মুখ বন্ধ করার এবং তা থেকে বাঁচার সহজ উপায়
▬▬▬▬✪✪✪▬▬▬▬
প্রশ্ন: আমাদের বেশিরভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব ইসলামিক নয়। ফলে তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাতের সময় ইচ্ছায় বা অনিচ্ছাকৃত অন্যদের গিবত শুনতে হয় বা অনেক সময় গিবত করা হয়ে যায়। এ থেকে বাঁচার উপায় কি?
উত্তর:
গিবত তথা অসাক্ষাতে কারও দোষত্রুটি সমালোচনা করা কবিরা গুনাহ। তদ্রূপ গিবত শুনা ও গিবতকে প্রশ্রয় দেয়াও গুনাহের শামিল।
গিবত শোনা উচিৎ নয় এ কারণে যে, এতে গিবত কারী প্রশ্রয় পায়। তাই হয় তাকে বাধা দিতে হবে অথবা তার নিকট থেকে সরে যেতে হবে এবং যে বৈঠকে পরচর্চা হয় সেখান থেকে উঠে যেতে হবে; অন্যথায় গুনাহের ভাগীদার হতে হবে।
- কেউ গিবত করতে চাইলে তাকে প্রথমে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন যে, আপনি যার ব্যাপারে সমালোচনা করছেন, বিষয়টি সরাসরি তাকেই বলা উচিত। তাহলে হয়ত সে সংশোধন হওয়ার সুযোগ পাবে।
- তাকে বলুন, কারো ব্যাপারে ভালো কিছু জানলে বলুন আর খারাপ কিছু জানলে দয়া করে চুপ থাকুন।
- অথবা সম্ভব হলে যার সমালোচনা করা হচ্ছে তার পক্ষ থেকে জবাব দিন।
- তাও সম্ভব না হলে তার নিকট থেকে দূরে সরে যান।
-যে বৈঠকে গিবত হচ্ছে সেখান থেকে উঠে যান। চুপচাপ বসে মানুষের দোষ-ত্রুটি ও সমালোচনা শুনবেন না। এতে গিবত কারী আরও উৎসাহ পাবে এবং আপনিও গুনাহে শরিক হবেন। আল্লাহ ক্ষমা করুন।
গিবত বা পরচর্চা কুরআন ও সুন্নায় কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। তাই এ বিষয়টিকে হালকা ভাবে গ্রহণ করার কোন সুযোগ নাই।
💠 যে বৈঠকে আল্লাহর বিধানকে অবজ্ঞা করা হয় সেখান থেকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللَّـهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلَا تَقْعُدُوا مَعَهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ إِنَّكُمْ إِذًا مِّثْلُهُمْ ۗ
“যখন আল্লাহ তাআলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে।” [সূরা নিসা: ১৪০]
💠 আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,
وَإِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَىٰ مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
“যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভুলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না। ” [সূরা আনআম: ৬৮]
পরিশেষে, মানুষের অসাক্ষাতে কারো দোষ-ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা ও বদনাম করার ব্যাপারে যেমন আমাদের সতর্ক হওয়া কর্তব্য ঠিক তেমনি এগুলোকে প্রশ্রয় দেয়া বা শোনার ব্যাপারেও সতর্ক হব। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন। আমীন।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Haluaghat
Mymensingh, 1520
▣ Bike Rider. ▣ Video Creator. ▣ Travelling Video Vlog. ▣ Personal Video Vlog.
Mymensingh, 2280
🎨✨I'm here to share my passion with you! 🎨 Let the colors of creativity paint our world! 🎨 #TukTakGian #ArtisticAdventures
Sualok
Mymensingh, MANDON
Hello views follow our page and give the Encouragement
Mymensingh
Mymensingh, 2400
This page will help you to find yourselfe in the stream of laughter. Keep up with the page and don't give up��
48, A Bagmara
Mymensingh, 2200
Ruba's workshop provide digital marketing service to grow your online shop
Mymensingh
সবাই সাপোর্ট করো প্লিজ ❤️❤️❤️❤️আমার পেজে আসার জন্য ধন্যবাদ❤️❤️সবাই ফলো করে পাশে থাক ❤️❤️
Mymynsingh , Sadar
Mymensingh, 2200
নিজের পছন্দমতো চলতে বড্ড ভালবাসি। কারণ, Life টা আমার নিজের।
Fulbaria
Mymensingh, 2216
খামারির বাড়তি খরচ কমিয়ে অধিক লাভবান করে তোলার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে Poultry Bangla