Green life medical services
It is a place of digital diagnostic facilities with doctors chamber. Address : Sentu Mia Super Marke Help Line : +88 01300-886220, +88 01846-179345.
in Address : Sentu Mia Super Market, (2nd floor) (in front of Nura Bepari's house) Mograpara, Chowrasta, Degree College Road Sonargaon, Narayanganj. E-mail : [email protected] ঠিকানাঃ সেন্টু মিয়া সুপার মার্কেট, (২য় তলা ) (নুরা বেপারীর বাড়ির সামনে) মোগড়াপাড়া, চৌরাস্তা, ডিগ্রী কলেজ রোড সোনারগাও, নারায়ণগঞ্জ।
জেনে রাখা ভালো ( #জনস্বার্থে #প্রচারিত)
⚕️1) সকালের খাবার না খেলে পেট ভয় পায়।
⚕️(২) 24 ঘন্টায় 10 গ্লাস জল না খেলে কিডনি ভয় পায়।
⚕️[৩] গলব্লাডার ভয় পায় যখন আপনি রাত ১১টা পর্যন্ত ঘুমান না এবং সূর্যোদয়ের সময় জেগে উঠবেন না।
⚕️[৪] তৈলাক্ত, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার খেলে ক্ষুদ্রান্ত্র ভয় পায়।
⚕️[৫] ভাজা ও মশলাদার খাবার বেশি খেলে অন্ত্র ভয় পায়।
⚕️[৬] সিগারেট ও বিড়ির দূষিত ধোঁয়া, ময়লা পরিবেশে নিঃশ্বাস নিলে ফুসফুস ভয় পায়।
⚕️[৭] ভাজা ভাজা খাবার, জাঙ্ক এবং ফাস্ট ফুড খেলে লিভার ভয় পায়। ইয়েডো [ বেশি লবণ এবং কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খেলে হৃদয় ভয় পায়।
⚕️[9] দ্রুত এবং অবাধে পাওয়া যায় বলে বেশি চিনি খেলে অগ্ন্যাশয় ভয় পায়।
⚕️[ 10 ] আপনি যখন মোবাইলের স্ক্রিনের আলোতে এবং অন্ধকারে কম্পিউটারে কাজ করেন তখন চোখ ভয় পায় এবং
⚕️[ 11 ] নেতিবাচক চিন্তাভাবনা শুরু করলে মস্তিষ্ক ভয় পায়।
⚕️ (12) যতটা পারবেন ভোরে ঘুম থেকে উঠে শরীর চর্চা ব্যায়াম করুন এবং ক্যাপসুল থেকে দূরে থাকুন তাহলে আমাদের শরীরের সব রোগ ভয় পাবে।
প্রশ্ন আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশের যত্ন নিন এবং তাদের ভয় পাবেন না। এই সমস্ত অঙ্গ বাজারে পাওয়া যায় না. উপলব্ধগুলি খুব ব্যয়বহুল এবং সম্ভবত আপনার শরীরে ফিট করতে পারে না৷ তাই আপনার অঙ্গগুলিকে সুস্থ রাখুন।
সংগৃহীত
বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি
গ্লুকোমা সম্পর্কে রোগীদের কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১. গ্লুকোমা কি?
উত্তর : গ্লুকোমা চোখের নার্ভ এর রোগ। সাধারণ দীর্ঘদিন চোখের প্রেশার বেড়ে গিয়ে ধীরে ধীরে নার্ভটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শুকিয়ে যায়। এতে দৃষ্টি চারপাশের দেখার সীমা সংকুচিত হতে থাকে।
২. গ্লুকোমা কাদের হয়?
গ্লুকোমা যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে। তবে চল্লিশের পরে বেশি হতে দেখা যায়। পরিবারের কারো এই রোগ থাকলে হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩.গ্লুকোমা কত প্রকার?
গ্লুকোমা দুই ধরনের। এংগেল বন্ধ গ্লুকোমা (angle closure glaucoma) ও এংগেল উন্মুক্ত গ্লুকোমা (open angle glaucoma) ।
এছাড়াও চোখের অন্য কোনো রোগ থেকে গ্লুকোমা তৈরি হতে পারে। একে secondary glaucoma বলে।
৪. কোন ধরণের গ্লুকোমা খারাপ?
উভয়েই বেশ খারাপ। কিন্তু এংগেল উন্মুক্ত গ্লুকোমা (Open angle glaucoma) এর ক্ষেত্রে রোগী কিছুই বুঝতে পারে না। ব্যাথা বা লাল কিছুই হয়না। তাই একে নীরব ঘাতক বলে।
৫. চোখের নীরব ঘাতক কাকে বলে ও কেন?
Open angle glaucoma কে চোখের নীরব ঘাতক বলে। অনেক ক্ষেত্রে এংগেল closure glaucoma ও নীরবে দৃষ্টি নষ্ট করে দিতে পারে।
৬. গ্লুকোমা রোগের লক্ষণ কি?
সাধারণত ওপেন এংগেল গ্লুকোমা তে রোগীর কোনো লক্ষণ থাকে না। বলা হয় প্রতি বছর একবার চোখ পরীক্ষা করে চোখের রেটিনা ও নার্ভ পরীক্ষা করতে এ কারণে।
তবে রোগীর বারবার চশমা পরিবর্তন বা সামনে তাকালে আশে পাশে কিছু না দেখতে পারা, শুধু সোজা দেখতে পারা, চোখের সামনে রংধনু দেখা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি।
হঠাৎ করে গ্লুকোমা এটাক হতে পারে। একে Acute congestive glaucoma বলে । এতে এক চোখে প্রচন্ড ব্যাথা, লাল, পানি পড়া ও কম দেখার সমস্যা হয়। সাথে মাথা ব্যথা ও বমি হতে পারে।
৭. গ্লুকোমা রোগীর চিকিৎসা কি?
ঔষধ, ড্রপ, লেজার ও অপারেশন। একেকজন এর চিকিৎসা একেক ধরণের । কারো যেকোনো একটি লাগে কারো একাধিক। সব চিকিৎসার উদ্দেশ্য প্রেশার কমানো। চোখের প্রেশার কমানো।
৮. ঔষধ কি আজীবন ব্যবহার করতে হবে?
ঔষধ সাধারণত আজীবন ব্যবহার করতে হবে। তবে লেজার বা অপারেশন করে ফেললে ঔষধ আর নাও লাগতে পারে।
৯. অপারেশন কি কি আছে গ্লুকোমার জন্য?
Trabeculectomy, Glaucoma Drainage Device implant ইত্যাদি ।
১০. কিভাবে প্রতিরোধ করতে হবে?
গ্লুকোমা প্রতিরোধের উপায় একটি। তা হলো আগে ভাগে রোগ নির্ণয়। অর্থাৎ আপনার চোখের নার্ভ বিশ ভাগ নষ্ট হয়েছে এ অবস্থায় যদি রোগ নির্ণয় হয় ও চিকিৎসা হয়, তবে এটাই আপনার জন্য প্রতিরোধ।
(জনস্বার্থে পোস্টটা শেয়ার করুন)
১১. শিশুদের হতে পারে?
হতে পারে। একে congenital glaucoma বলে। এক্ষেত্রে চিকিৎসা না হলে রোগীর অন্ধত্ব শতভাগ । চোখ লাল, পানি পড়া, চোখ বড় হয়ে যাওয়া ও আলো সহ্য করতে না পারা হচ্ছে শিশুর গ্লুকোমার লক্ষণ।
১২. কোন বয়সে বেশি হয়?
সব বয়সে গ্লুকোমা হতে পারে। শিশু বয়সে দশ হাজারে তিন জন এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বয়স চল্লিশের বেশি যত হবে তত এই রোগ হতে পারে।
১৩. গ্লুকোমা ধরা পরলে করণীয় কি?
চক্ষু বিশেষজ্ঞ এর অধীনে চিকিৎসা নিতে হবে। নিয়মিত ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে চোখের রোগের পরিস্থিতি নির্ণয় করতে হবে। মনে রাখতে হবে গ্লুকোমা একটি ক্রম পরিবর্তনশীল রোগ। দিনে দিনে চোখের রেটিনা ও নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। তাই অন্ত ছয় মাস এক বছর পরপর রোগের অবস্থা ফলোআপ করতে হবে।
১৫. আজীবন কি গ্লুকোমার চিকিৎসা করাতে হবে?
আজীবন করতে হবে। যদিও ঔষধ বা অপারেশনে নিয়ন্ত্রণে থাকে তবুও ছয় মাস একবছর অন্তর চক্ষু বিশেষজ্ঞ বা গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শে থাকতে হবে।
১৬. গ্লুকোমা নির্ণয় করতে কি কি টেস্ট আছে?
চোখের প্রেশার পরিমাপ, চোখের নার্ভ পরীক্ষা (Ophthalmoscopy), চোখের এংগেল পরীক্ষা (gonioscopy) Visual field analysis বা perimetry, OCT,CCT বা কর্নিয়ার পুরত্ব পরিমাপ ইত্যাদি
১৭. টেস্টে ধরা না পড়লেও কি গ্লুকোমা হতে পারে?
পারে। অনেক সময় চিকিৎসক তার চেম্বারের যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে গ্লুকোমা সন্দেহ করেন। কিন্তু উপরের পরীক্ষা যেমন Perimetry তে রোগ নাও ধরা পড়তে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে চিকিৎসক এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
১৮. টেস্ট কি একবার করলেই হবে?
না। টেস্ট রিপিট করতে হবে। দুটো কারণে। রোগ সঠিক ভাবে নির্ণয়ে এবং ভবিষ্যতে রোগের অবনতি বা স্থিতি নির্ণয়ে।
১৯. গ্লুকোমা কি একেবারে ভালো হয়?
না। গ্লুকোমা ডায়াবেটিস বা হাইপ্রেসারের মতো। আজীবন ম্যানেজাবল কন্ডিশন। চিকিৎসায় ভালো থাকা যায়।
২০. কোন খাবার খেলে গ্লুকোমা হবে না?
এমন কোনো খাবার নেই যাতে গ্লুকোমা প্রতিরোধ করতে পারে।
(চোখের যাবতীয় সমস্যার সম্পর্কে জানতে পেজটি ফলো /লাইক করুন)
২১. গ্লুকোমা ঔষধের সাইড এফেক্ট কি কি?
গ্লুকোমা ঔষধের খুব সামান্য সাইড এফেক্ট। আবার সবার ক্ষেত্রে তা হয় না।
চোখের ড্রপে চোখ লাল হওয়া, চোখের পাপড়ী বড় হয়ে যাওয়া। ইত্যাদি।
২২. কোন ঔষধ ব্যবহার করলে গ্লুকোমা হতে পারে?
চোখের স্টেরয়েড ড্রপ বা মুখে স্টেরয়েড খেলে গ্লুকোমা হতে পারে। এই ধরনের গ্লুকোমা খুব মারাত্মক। সাধারণত চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন চোখের ড্রপ ব্যবহারে এই ধরনের গ্লুকোমার প্রধান কারণ।
২৩. চোখের প্রেশার কি?
মানুষের শরীরের যেমন প্রেশার থাকে, চোখের ভেতরেও প্রেশার আছে। চোখের প্রেশার স্বাভাবিক সীমা হচ্ছে 11 mm পারদ থেকে 21 Mm পারদ। চোখের ভেতরে একটা পানি থাকে। একে বলে Aqueous humor.
এটা সর্বদা চোখের ভেতরে তৈরি হতে থাকে ও নির্গমন হতে থাকে। কোনো কারণে এই পানির চোখ থেকে নির্গমন পথ বন্ধ হয়ে যায়, পরিমান যদি বেড়ে যায় তবেই চোখের প্রেশার বেড়ে যায়।
২৪. চোখের এংগেল কি?
চোখের এংগেল বলতে সেই অংশকে বোঝায় যেখান থেকে চোখের ভেতরের পানি (aqueous humor outflow) বের হয়ে রক্তের সাথে মিশে যায়। এটা চোখের কালো মনির নিচে অবস্থান করে।
২৫. চোখের শিরা শুকানোর মানে কি?
Optic atrophy কে অনেকেই চোখের শিরা শুকিয়ে যাওয়া বলে। চোখের নার্ভ হচ্ছে optic nerve.
©
এ রোগী পাওয়া যায় ১ লাখে মাত্র ১ জন!
রোগীর বাড়ি দূর অজ পাড়াগাঁয়ে। বয়স মাত্র ১৫।
মেয়েটির সমস্যা ছিল মাথা ব্যথা, বমি। যা তার মাঝেই হয়। গাঁও গ্রামে চিকিৎসা নিছে, খেয়েছে অনেক ব্যথার বড়ি, সাময়িক কমে, কিন্তু বারবার ভোগে মাথা ব্যথায়।
সে এখন যে সমস্যা নিয়ে আসছে তা তার মাথাব্যথা না, অন্য কিছু, আরো বড় কিছু!
তার heart এত জোরে পাম্প করে যেন খাঁচা ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসবে! বুকের ভিতর যেন ঢোলের বাড়ি!
examination এর শুরুতে হাত দেখা গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যাসবশত তাই হাত উঁচু করতে বললাম। কম্বলের ভিতর থেকে যখন সে হাত দুটি বের করলো অবাক হয়ে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলাম! সম্ভাব্য অতি দূর্লভ ডায়াগনোসিস মাথায় তখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
ছবিতেই দেখতে পাচ্ছেন রোগীর polydactyly আছে, দুই হাতেই একটি করে অতিরিক্ত আঙুল, small finger এর পরে একটা করে extra smaller finger!
আর যা আছে, তার thumb ঠিক thumb এর মত না, বরং দেখতে অন্য finger গুলোর মতই লম্বা ও চিকন! Fingerized thumb.
সাথে সাথে বললাম, পা বের করেন তো। আহ! বাম পায়েও polydactyly!
আপাতত দেখা শেষ, এবার আসল জায়গা দেখার পালা। precordium palpate করতে গিয়ে দেখি palpable P2, left parasternal heave অর্থাৎ features of Pulmonary HTN আছে। thrill in pulmonary area - PS (Pulmonary Stenosis) এ থাকে, কিন্তু এতে এতদিনে রোগীর cyanosis, clubbing থাকার কথা, কিন্তু তার নাই। তাই এটা অন্য কিছু, PS না।
auscultation এ a systolic murmur in left lower sternal area, হতে পারে VSD (ventricular septal defect).
pulmonary area তে stetho রাখতেই loud S2 (second heart sound), এতই loud মনে হচ্ছে জোরে ঢোল পিটাচ্ছে। second heart sound splitting আশা করছিলাম ASD (Atrial septal defect) মাথায় রেখে, কিন্তু ক্লিয়ার বুঝতে পারছিলাম না। যেটা মনে হল pulmonary valve দিয়ে hyperdynamic circulation হচ্ছে যার একটি কারণ ASD, তাই loud S2 পাওয়া যাচ্ছে।
অর্থাৎ আপাতত ধরে নিচ্ছি তার ASD আছে, সাথে VSD, pulmonary HTN আছে। আর এই সমস্যাই তার হাসপাতালে ভর্তির বর্তমান কারণ।
এরপর কিছু হিস্ট্রি নেয়ার পালা। বাবা মা কাছেই আছে, জিজ্ঞাসা করলাম কি সমস্যা ছিল আপনার মেয়ের? তারা ঘুরেফিরে মাথা ব্যথা ও বমির কথা বললো বারবার। জিজ্ঞাসা করলাম জ্বর ছিল কিনা? উত্তরে না বললো। আগে কখনো হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগেনি। শরীরের কোন দিক অবশ হয়নি।
জ্বর জিজ্ঞাস করার কারণ, ASD তে atrial defect দিয়ে right atrim থেকে thrombus যেতে পারে left atrium এ, left atrium থেকে left ventricle, এরপর left ventricle থেকে aorta হয়ে সোজা মস্তিষ্কে। আর এতে হতে পারে cerebral abscess, ischaemic stroke. হিস্ট্রিতে রোগীর এমন কিছু মিললো না।
খারাপ সম্ভাবনা শেষে এবার আর একটি সম্ভাবনা যাচাই করার পালা আর সেটি হল Migraine. ASD রোগীর 25-35% এর Migraine থাকতে পারে। রোগীর headache প্যাটার্ন শুনে তেমনটাই মনে হল।
সে যাই হোক, এই আপাতত Dx: Holt Oram Syndrome with Migraine
Holt Oram Syndrome এ Cardio Skeletal Deformity থাকে। এই রোগীর আছে।
এটি একটি AD (Autosomal Dominant) disease. ভাষ্যমতে রোগীর অন্য ভাইবোনদের এমন অতিরিক্ত আঙুল বা অন্য কোন সমস্যা নেই। বাবা মা কাছে আছে তাই তাদের হাত পা নেড়েচেড়ে দেখলাম, কিন্তু কিছু পেলাম না। হয়তো এটি একটি novel mutation.
Master Physician Course On GP
#হঠাৎ_মৃত্যুভীতি
কামাল ( ছদ্মনাম) সাহেব পেশায় ব্যাংকার। বয়স ২৭ বছর।গত তিন মাস ধরে কখন ও রাতের বেলায় কখন ও দিনে অফিসে এমন প্রচন্ড অস্থিরতা, বুক ধরফর,শ্বাসকষ্ট ও মৃত্যুভয় অনুভব করেন যে প্রতিবার ই হাসপাতালের ইমার্জেন্সি তে যেতে হচ্ছে। প্রত্যেকবার ই ইসিজি, ট্রপোনিন আই, ইকো ইত্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে কিন্তু হার্টে যে কোন সমস্যা ধরা পড়ছেনা। প্রতিবার ই, 'গ্যাস্ট্রিক' এর ইনজেকশন আর ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং একবেলা বা একদিন পর আবার ভাল লাগতে থাকে। এন্ডোস্কপি সহ 'গ্যাস্ট্রিক' এর যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষাও যে নরমাল! কিন্তু এই সমস্যা যে বার বার হচ্ছে! তাহলে সমস্যা কোথায়!! কিছু পাওয়া যাচ্ছেনা জন্যে কামাল সাহেব আরও অস্থির হয়ে উঠছেন ক্রমাগত।
অবশেষে তিনি দ্বারস্থ হলেন একজন সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর। রোগের বিস্তারিত ইতিহাস জেনে নিশ্চিত হওয়া গেল তিনি যে রোগে ভুগছেন তার নাম প্যানিক ডিসঅর্ডার এবং তার হঠাৎ যে লক্ষ্মণসমূহ দেখা যায় তা আসলে হার্ট এর বা এসিডিটির কোন সমস্যা থেকে হচ্ছেনা। সেটি আসলে 'প্যানিক এটাক' যা একটি অস্থিরতা জনিত সমস্যা।
* কি এই প্যানিক এটাক?
প্যানিক এটাকের বেশ কিছু ব্যাখা আছে। হঠাৎ করে মস্তিষ্কে নরএড্রেনালিন, 5HT ইত্যাদি নিউরোট্রান্সমিটার এর তারতম্য হলে শারীরিক ও মানসিক প্রচন্ড অস্থিরতা হয় যা রীতিমত মৃত্যুভীতি সঞ্চার করে। আবার অতিরিক্ত টেনশনজনিত কারণে যখন মানুষ ছোট ছোটদ্রুত শ্বাস নিতে থাকে তখন শরীরে কার্বনডাই অক্সাইড গ্যাসের তারতম্যের কারণে প্যানিক এটাকের লক্ষণগুলো তীব্র আকার ধারণ করে। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে টেনশন যায় আরও বেড়ে, শ্বাসের গতি যায় আর ও বেড়ে, লক্ষণগুলো তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। সব মিলিয়ে রুগী এক দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়ে যায় যা থেকে বের হওয়ার জন্য হাসপাতালে দৌঁড়ে যেতে হয়।
* লক্ষণসমূহ
হঠাৎ মৃত্যু ভয় ও ভীতিজাগানিয়া এক অবস্থা যা নিম্নলিখিত উপসর্গ নিয়ে উপস্থিত হতে পারে-
১) মাথা ঝিম ঝিম করা বা শূন্য শূন্য লাগা
২) গলায় কিছু আটকে গেছে বা গলা চেপে আসছে এমন অনুভূতি
৩) বুক ধরফর
৪) বুকে চাপ
৫) শ্বাসকষ্ট
৬) ঘাম হওয়া
৭) হঠাৎ ঠান্ডা বা গরম অনুভূত হওয়া
৮) হাত পা অবশ অবশ ভাব বা বোধশক্তিহীন মনে হওয়া বা ঝিন ঝিন করে উঠা
৯) মনে হয় আমার মধ্যে আমি আর নাই বা আশে পাশে সব কিছু কেমন নির্জীব বা অবাস্তব
১০)মনে হয় মরণ বুঝি এসেই গেল
১১) মনে হয় আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি বা আত্ননিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছি
১২) বমি বমি ভাব বা পেটে মোচড়
১৩) হাত পা কাপুনি
উপর্যুক্ত ১৩ টি উপসর্গের মধ্যে চারটি উপস্থিত থাকলেই প্যানিক এটাক বলা যায়। প্যানিক এটাক ১০মিনিটের মাথায় তীব্র আকার ধারণ করে এবং সাধারণত আধঘন্টার মধ্যে তীব্রতা কমে আসতে থাকে।
* চিকিৎসা
চিকিৎসা মূলত দুইটি ভাগে বিভক্ত।
১) ঔষধ
২) সাইকোথেরাপি
এস এস আর আই জাতীয় ঔষধে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া ইমিপ্রামিন ক্লোমিপ্রামিন এও ভাল ফল আছে বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে।
স্বল্প মেয়াদী ক্লোনাজিপাম বা আল্প্রাজোলাম রুগীকে খুব আরাম দেয়। এর সাথে
কগনিটিভ বিহ্যাভিয়ার থেরাপি, রিল্যাক্সেশন এক্সারসাইজ (ডিপ ব্রিদিং) যুক্ত হলে রুগী সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে যায়।
Green life medical services
It is a place of digital diagnostic facilities with doctors chamber.
Address : Sentu Mia Super Marke
আপনার প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে এমন মনে হলে~
১. নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
২. মরে যাবেন এমন ভয় আসার পরও প্যানিক অ্যাটাক এ আপনার জীবনহানি বা মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হবার সম্ভবনা নেই। নিজেকে বার বার এটা বলে আশ্বস্ত করুন।
৩. যেখানে আছেন সেখানেই অবস্থান করুন। তাড়াহুড়া করে কোন কিছু করতে গেলে আপনার মনের অশান্তি ও ভীতি বাড়তেই থাকবে।
৪. নিশ্বাসের ব্যায়াম করুন। ধীরে ধীরে গভীর নিশ্বাস নিন। কিছুক্ষণ রেখে আবার ধীরে ধীরে ছাড়ুন। আবার করুন।
৫. নিজেকে বার বার বলুন—এই ভীতি, অশান্তি ও কষ্টকর অবস্থাটা সাময়িক। এটা নিজে থেকেই কমে আসবে এবং আপনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবেন।
৬. পজিটিভ, রিল্যাক্সিং ও পিসফুল কোন ইমেজ মনের মধ্যে আনার চেষ্টা করুন।
চোখের জন্য কোনটি বেশি ভয়ানক? এসিড না ক্ষার(চুন)?
এসিড শব্দটির সাথে একটা হিংস্রতা আছে। একটা সময় ছিলো যখন ভায়োলেন্সের একটা অংশ ছিলো এসিড ছোড়া। মানুষ এখন অনেক সভ্য হয়েছে। তবে যারা বিভিন্ন ওয়ার্কশপে কাজ করেন এক্সিডেন্টালি ব্যাটারির এসিড তাদের চোখে লাগে।
বাসাবাড়িতে যে চুন থাকে সেটা অনেক সময় ভুলবশত আমাদের চোখে যেতে পারে। চুন যেহেতু পানের সাথে মানুষ খেয়ে থাকে তাই তাকে খুব ভয়ংকর মনে হয় না।এসিডের সাথে তুলনায় সেটা টেকে না।
প্রশ্ন আসে,চোখের জন্য কোনটা বেশি ক্ষতিকারক?
আপনার কি মনে হয়?
দুটোই ক্ষতিকারক কিন্তু চুন আপাতদৃষ্টিতে কম ক্ষতিকারক মনে হলেও সত্যিকার অর্থে চুনে ক্ষতি বেশি। কারন এসিডে চোখ পুড়লে সেটা একটা দেয়াল তৈরী করে (Coagulative Necrosis) ফলে এসিড চোখের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু চুনে পুড়লে এরকম কোন দেয়াল তৈরী হয় না (Liquefactive Necrosis)। ফলে সেটা আস্তে আস্তে চোখের ভেতরে প্রবেশ করে চোখকে চিরদিনের জন্য নষ্ট করে।
01
বিরক্তিকর উপসর্গ গুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা হচ্ছে কাশি,
কাশিকে আমরা দুইভাগে ভাগ করতে পারি,
শুকনা কাশি বা Dry cough,
Productive cough বা কফ যুক্ত কাশি,
productive cough এর মূল কারণ থাকে infectious cause,
আর Dry cough মূলত হয়ে থাকে
Allergic cause,,, post viral fever, তথা ইনফ্লুয়েঞ্জা জনিত জ্বর ভালো হবার পরে ধারাবাহিক ভাবে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত কাশি হতে পারে, এইভাবে যে কোনো ভাইরাস জ্বর কিংবা সর্দি জ্বরের পরে দীর্ঘদিন কাশি হতে পারে
ঠান্ডা জনিত কাশ allergic cause এর অন্তর্ভুক্ত,
এলার্জিক জনিত কাশি মাঝেমধ্যে আসবে, যখন Respiratory tract triggered by Any Allergen like dust, cold water, cold drink etc.
কাশির পিছনের কারণ জানা গেলে অবশ্যই সেই কারণের চিকিৎসা দিতে হবে, আর সাথে symptomatic treatment দিতে হবে।
ধরুন, কাশির কারণ যদি নিউমোনিয়া হয়ে থাকে, তাহলে নিউমোনিয়ার চিকিৎসার সাথে সাথে কাশির উপসর্গমূলক চিকিৎসা ও দিতে হবে।
কাশির চিকিৎসাকে আমরা দুইভাগে ভাগ করতে পারি
তার আগে আমাদের বুঝতে হবে,
কাশি কি?
কাশি হচ্ছে শ্বাসনালী থেকে একটা রিফ্লেক্স, শ্বাসনালী যখন তার মিউকাস মেম্ব্রেনে কোনো ফরেন পার্টিকেল এর উপস্থিতি টের পায়, তখন শ্বাসনালী চায় তা ক্লিয়ার করে দিতে, তাই মেডুলা অবলাঙ্গাটা অফ ব্রেইন স্টিম থেকে এক প্রকার কফ রিফ্লেক্স এর মাধ্যমে শ্বাস নালী সব ধরনের ফরেন পার্টিকেল বাহিরে বের করে নিজে ক্লিয়ার হয়ে যায়।
উদাহরণস্বরুপঃ
আপনি যদি ধুলাবালির মধ্যে যান, তখন শ্বাসনালী তে ধুলাবালি প্রবেশ করলে কাশি আসবে, কাশির মাধ্যমে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়ে যাবে,
ধরুন, আপনার সর্দি লেগেছে, নাক দিয়ে বাহিরে পানি বের হচ্ছে, তাহলে কিছু নাকের পানি post nasal drip হিসাবে respiratory tract এ যাবে, এই নাকের পানিকে শ্বাসনালী ফরেন পার্টিকেল হিসাবে চিহ্নিত করবে, এবং কফিং রিফ্লেক্স শুরু হবে, আর কাশির মাধ্যমে তা ক্লিয়ার করে দিবে।
আবার লিউকোট্রিন সিক্রেশনের মাধ্যমেও শুকনা কাশি তৈরি হতে পারে,,, লিউকোট্রিন নিয়ে আরেকটা আর্টিকেলে বিস্তারিত লিখেছিলাম।
তাহলে কাশির মেকানিজম বুঝার পর এখন আমাদের যেই বিষয় বুঝতে হবে, তা হচ্ছে
কাশির চিকিৎসা,
কাশির চিকিৎসা করতে হলে যা করতে হবে,,,
১..ব্রেইনের যে cough producing center রয়েছে, সেখান থেকে যেনো coughing reflex উৎপন্ন না হয়, তাই Cough centre কে suppression করে দিতে হবে,
যেই সব মেডিসিন দিয়ে cough center কে সাপ্রেশন করা যায়, সেই সব মেডিসিন কে Anti-Tussive বা Cough suppressant drugs বলে,
মূলত শুকনা কাশির ক্ষেত্রে এই Cough Suppressant ব্যবহার হয়ে থাকে। এন্টি হিস্টামিন গুলিও cough suppressant হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
২৷
কারো ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিশেষ করে productive cough এর ক্ষেত্রে দেখা যায়, শ্বাসনালী mucous fluid /sputum দিয়ে ভরপুর থাকে, তাই শ্বাসনালী খুব চেষ্টা করে, কফ রিফ্লেক্স এর মাধ্যমে যেনো শ্বাসনালীতে জমা হয়ে থাকা মিউকাস গুলি বের করে দিতে,, এই মুহুর্তে যদি কফ সেন্টার কে আমরা সাপ্রেশন করে দিই, তাহলে শ্বাসনালীতে জমা হয়ে থাকা মিউকাস ফ্লুইড গুলি বের হয়ে আসতে পারবেনা, তখন কাশি আরো দীর্ঘস্থায়ী হবে,
তাহলে তখন করনীয় কি?
তখন করনীয় হচ্ছে,
এমন একটা মেডিসিন দিতে হবে, যেই মেডিসিনের মাধ্যমে শ্বাসনালীতে জমা হয়ে থাকা সব মিউকাস /ফ্লুইড ইত্যাদি যেনো কাশির সাথে বের হয়ে চলে আসে, তাই এই produtive cough এর ক্ষেত্রে এমন মেডিসিন লাগবে, যা শ্বাসনালীতে জমা হয়ে থাকা কফ গুলিকে ভেংগে পাতলা করে বাহির করে নিয়ে আসবে
এই জন্য যেই মেডিসিন ব্যবহার হবে,
তাকে Cough Expectorant বলে,
এদের কাজ হচ্ছে জমা হওয়া কফ কে বের করে নিয়ে আসা।।।
productive cough এর ক্ষেত্রে এই মেডিসিন ব্যবহার হয়।
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম,
কাশির মেডিসিন ২ প্রকার,
১..Cough Suppressant : যা কফ সেন্টার কে suppress করার মাধ্যমে কাশি কমাবে,,, শুকনা কাশির চিকিৎসায় এইটা ব্যবহার হয়ে থাকে।
শুকনা কাশি হয় মূলত কোনো ভাইরাস জ্বরের পরে, কিংবা এলার্জি জনিত কারণে,
উদাহরণঃ
ক...
Dextromethorphan = ( সিরাপ Brofex নামে পাওয়া যায় স্কয়ার কোম্পানি, )
খ...Butamirate (Mirakof, Bukof, সিরাপ নামে বাজারে পাওয়া যায়)
আবার এলার্জিক জনিত শুকনা কাশি হলে সেই ক্ষেত্রে cough suffressant সিরাপের সাথে anti histamine tablet ও দেওয়া যেতে পারে।
কাশিতে এন্টি হিস্টামিন কাজ করতে ২১ দিন সময় লাগে, তাই এই সময় পেশেন্ট কাউন্সেলিং করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪.. Cough variant Asthma Or
Allergic Dry cough ইত্যাদিতে
Montelukast 0+0+1 ব্যবহার হয়, মন্টিলুকাস্ট কখন, কি জন্য ব্যবহার করবেন, সেটা জানতে
আর্টিকেল টা পড়ুন-
https://m.facebook.com/groups/518369652915768/permalink/795272168558847/
২.. কাশির ২য় প্রকার মেডিসিন তথা যেই কাশের সাথে কফ যায়, বা productive cough এর চিকিৎসার জন্য Cough Expectorant দিতে হবে, এইটার কাজ হচ্ছে কফ কে পাতলা করে বের করে নিয়ে আসবে, এবং শ্বাসনালী ক্লিয়ার হয়ে যাবে,,যেহেতু এই মেডিসিন ঘণ মিউকাস কে ভেংগে পাতলা করে বের করে নিয়ে আসে, তাই এই ড্রাগস কে মিউকোলাইটিক ড্রাগস ও বলা হয়।
Cough Expectorant এর মোট ৪ টা ড্রাগস রয়েছে,
সহজে মনে রাখার জন্য,
AB>AG
A=Ambroxol, বাজারে Ambrox নামে পাওয়া যায়,
B=Bromohexine বাজারে সিরাপ, Mucolyt, সিরাপ Mucospel নামে পাওয়া যায়,
A=Acetylecysteine,
বাজারে capsule, Viscotine 600 mg/Mucomist 600 mg নামে পাওয়া যায়, productive cough এ খুব ভালো কাজ করে,
একটা ক্যাপসুল আধা গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দিনে ২ বার খাবে। করোনাভাইরাস জনিত কাশিতে প্রথম চয়েজ।
G=Guaiphenesin আগে অনেক ব্যবহার হলেও এখন তেমন একটা ব্যবহার নাই। থাকলেও কম্বাইন্ড ফর্মে ব্যবহার হয়ে থাকে।।।।
এলার্জি জনিত কাশিতে বা শুকনা কাশিতে এখন Montelukast, ও ব্যবহার হয়ে থাকে,
আবার কেউ কেই salbutamol, levosalbutamol ইত্যাদিও দিয়ে থাকেন।। এইগুলিও শুকনা কাশিতে দেওয় হয়।
যেন কাশির পরিমান কমে।
বিঃদ্রঃ.. সর্দি হলে আমরা সাধারণত এন্টি হিস্টামিন দিয়ে থাকি, তবে এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সর্দির পরে যদি productive cough শুরু হয়, তাহলে এন্টি হিস্টামিন চলমান থাকলে তা দ্রুত বন্ধ করতে হবে, কারণ তখন এন্টি হিস্টামিন চলমান থাকলে কফ আরো ঘন হয়ে যাবে, এবং ফুসফুসে জমে যেতে পারে, কারণ এন্টি হিস্টামিন ভ্যাসো কন্সট্রিকশন হিসাবে কাজ করে।
#ডাঃইসমাইল_আজহারি
📌সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে একটি আরামদায়ক গোসল। অনেকে বরফ শীতল পানিতে গোসল করতে পছন্দ করেন। কেউ কেউ আবার সারা বছরই কুসুম গরম পানিতে গোসল করেন। ঠান্ডা পানি ও গরম পানিতে গোসলের রয়েছে আলাদা আলাদা উপকারিতা।
ছানি পরলে তা ম্যাচিউর/পাঁকার জন্য অপেক্ষা করা কি উচিত?
এমন কথা অনেকেই শুনে থাকবেন যে,ম্যাচিউর হবার আগে ছানি অপারেশন করলে চোখ ভালো হয় না। আসলে সেটা কতটুকু সত্য?
একটা সময় ছিলো ,যাদের ছানি বেশি ম্যাচিউর হয়েছে,কোন কিছু দেখতে পায় না ,এমন রোগীদের ছানি অপারেশন করা হতো। অনেক সময় অপারেশনের পর হাই পাওয়ারের মোটা চশমা পরতে দেয়া হতো। এতে দৃষ্টিশক্তি কিছুটা বাড়তো।
তখন ছানি অপারেশনের পদ্ধতি এবং টেকনোলজি উন্নত ছিলো না তাই যাদের ছানি ম্যাচুউর হয়নি তাদের অপারেশন করে অনেক সময় দৃষ্টিশক্তির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হতো না। তাই যাদের ছানি ম্যাচুউর হয়নি তাদের ছানি অপারেশনে নিরুৎসাহিত করা হতো।
আজ মর্ডান টেকনোলজির ফ্যাকো অপারেশেনের ক্ষেত্রে বিষয়টা পুরো উল্টো।এখন ছানি পরার পর প্রথম দিকেই অপারেশন করার কথা বলা হয়, ছানি ম্যাচুউর হবার জন্য অপেক্ষা করতে নিরুৎসাহিত করা হয়।
ছানি ম্যাচউর হবার জন্য অপেক্ষা করলে যে দুটি প্রধান সমস্যা--
১)ছানি পেকে শক্ত হয়ে গেলে অপারেশনে ঝুকি বেড়ে যায়।
২)অনেক সময় ছানি থেকে চোখের প্রেশার হয় (Phacomorphic/Phacolytic Glaucoma) যা দৃষ্টিশক্তি চিরদিনের জন্য নষ্ট করতে পারে।
তবে যদি বিশেষ পদ্ধতিতে অবলম্বন করে (Phaco plus surgically corrected astigmatism) প্রাথমিক দিকে ছানি অপারেশন করা যায় তবে রোগী এতটা স্পষ্ট দেখে যেটা সে কখনো দেখেনি।
#স্তন_ক্যান্সারে_শুরুতে_কোন_ব্যথা_থাকে_না
ব্রেস্ট টিউমার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার...
আজ ব্রেস্ট টিউমার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার এর ভয়াবহতা অনেক বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সার এ আক্রান্ত হচ্ছেন। ব্রেস্ট টিউমার এ আক্রান্ত আরো বেশি। এদের মধ্যে শতকরা ৯৮ শতাংশের বেশি নারী, তবে খুব অল্প সংখ্যক পুরুষ ব্রেস্ট ক্যান্সার আক্রান্ত হন। প্রতি বছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ এ রোগে মারা যান। তবে প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত হলে স্তন ক্যান্সার ১০০ ভাগ নিরাময়যোগ্য।
ব্রেস্ট টিউমার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার কিঃ
আমাদের শরীরে সর্বদায় স্বাভাবিক নিয়মে নতুন নতুন কোষ প্রয়োজন মোতাবেক সৃষ্টি হয়, স্তন এর বাইরে নয়। যদি কোন কারণে ব্রেস্টে নতুন অপ্রয়োজনীয় কোষ সৃষ্টি হয়, আর তা অ-স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি ঘটতে থাকে এবং চাকা বা পিণ্ড আকার ধারণ করতে থাকে, তবে একে স্তন টিউমার বলা হয়। এ টিউমারটি যদি স্বাভাবিক কোষ দ্বারা হয়ে থাকে তবে তাকে অ-ক্ষতিকর বা বিনাইন টিউমার বলে যা ক্যান্সার নয়। আর যদি অ-স্বাভাবিক কোষ দ্বারা তৈরি হয়ে অ-স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটতে থাকে, তবেই তাকে ক্যান্সার বা ম্যালিগন্যান্ট বলা হয়। এর সূত্রপাত কোষে হয়ে গ্ল্যানডিউলার টিস্যুসহ স্তনের সবকটি লোবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে ডাক্টস এবং লবিউলসে।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর দেড় লাখের বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার শীর্ষে রয়েছে।
সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে বাংলাদেশের নারীরা যেখানে প্রকাশ্যে স্তন শব্দটি উচ্চারণ পর্যন্ত করতে চান না, সেখানে শরীরে প্রাথমিক কোন লক্ষণ দেখা গেলেও তারা সেসব গোপন রাখেন, যে কারণে বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন , স্তন ক্যান্সারে শুধু নারীরা নন, পুরুষেরাও আক্রান্ত হতে পারেন। তবে নারীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে।
"যেহেতু বাংলাদেশে ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতার অভাব আছে। দেখা যায়, যারা চিকিৎসা নিতে আসেন, তাদের বেশির ভাগই আসেন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অধিকাংশ সময় তারা স্তনে একটি চাকা নিয়ে আসেন। অনেকে স্তনের বোঁটায় ঘা বা ক্ষত বা বোঁটার চারপাশে কালো অংশে চুলকানির লক্ষণ নিয়ে আসেন।"
আপনি যেভাবে বুঝবেন ব্রেস্ট টিউমার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়েছেঃ
যেকোনো স্তনে প্রথমে এক বা একাধিক ছোট আকারে টিউমার বা চাকা বা ছোট গোটা আকারে দেখা দেয়-.. মাসিক ঋতুস্রাবের সময় বেশি অনুভব হতে থাকে।.. স্তনের বোঁটা হতে রস নিঃসৃত হতে পারে, তা পরিষ্কার বা রক্তের মতো হতে পারে।.. প্রথমপর্যায়ে স্থানীয় লসিকা গ্রন্থিতে থাকে, তেমন বেদনা থাকে না।.. চাকা বা গুঁটি নড়াচড়া করানো যায়।.. পরবর্তীতে নড়াচড়া না করে স্থির থাকে।.. ব্যথা-বেদনা হতে থাকে, ব্যথার ধরন বিভিন্ন রকম হতে পারে। চিড়িক মারা ব্যথা, ঝিমধরা ব্যথা বা সর্বদায় ব্যথা থাকা।.. অস্বাবধানতায়, চাপে, রিকশার ঝাঁকিতে ব্যথা হতে পারে।.. ব্রেস্টের আকার-আকৃতির পরিবর্তন হতে পারে।.. স্তনের ত্বকের কালার পরিবর্তন হতে পারে।
ব্রেস্ট টিউমার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার যে সব কারণে হতে পারেঃ
ব্রেস্ট টিউমার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার এর প্রকৃত কারণ কারো জানা নেই। তবে কিছু কিছু ফ্যাক্টরকে জোরালোভাবে দায়ী করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যেমন ৪০ ঊর্ধ্ব বয়সে এর ঝুঁকিটা বেশি দেখা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য, বর্তমানে ১৮ এবং ২৬ বছরের মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সারসহ আসতে দেখা যায়।
বংশানুক্রমেঃ- মা, বোন, খালা, ফুফুদের থাকলে ঝুঁকিটা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। রক্তের সম্পর্কিত কোনো পুরুষের ক্যান্সার থাকলেও ওই মহিলার ঝুঁকি থাকে।
ফ্যামিলিয়াল বা জেনিটিকঃ- ব্রেস্ট ক্যান্সার জিন বিআরসিএ-১ বা বিআরসিএ-২ যেকোনোটা বহন করলে ঝুঁকি থাকে।
মা হওয়ার বয়সঃ- ৩০ বছরের বেশি বয়সে যদি কেউ মা হয় তবে তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মদ্যপানঃ- মদ্যপান স্তন ক্যান্সার, মুখ, গলাসহ অন্যান্য অর্গানের ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ায়।
ধূমপানঃ- যে মায়েরা ধূমপানের সাথে জড়িত বা যাদের ঘরে ধূমপায়ী আছে, তাদের থেকেও আক্রান্ত হতে পারেন।
সাদা জর্দা বা পানমশলাঃ- এক গবেষণায় দেখা গেছে, সুপারি তা বাড়িয়ে দিতে পারে। আর ধূমপানের চেয়ে সাদা জর্দা বেশি ক্ষতি করতে পারে।
অতিরিক্ত ওজনঃ- যাদের শারীরিক ওজন বেশি থাকে, তাদের ঝুঁকি বেশি।
অতিরিক্ত ফ্যাটি খাবারঃ- যাদের অভ্যাস আছে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাদ্য বেশি খাওয়া, যারা শাকজাতীয় খাবার কম খায়, গোশতজাতীয় খাবার বেশি খায়।
অতিরিক্ত রেডিয়েশনঃ- যাদের শরীরে খুব বেশি এক্স-রে করা হয়েছে, যারা খুব বেশি রেডিয়েশন চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের এ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে অন্যদের তুলনায়।
মেনোপজঃ- দেরিতে মেনোপজ হলেও ঝুঁকি আছে। আবার কেউ মনে করে, মেনোপজ আসা মানে যৌন জীবনের পরিসমাপ্তি। তাই হরমোন জাতীয় ঔষধ খেয়ে মাসিক স্রাব দীর্ঘায়িত করতে চান। যা স্তন ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়িকেও এভাবে দায়ী করা হয়ে থাকে।
স্তন সিস্ট বা চাকাঃ- দীর্ঘ দিন স্তনে সিস্ট থাকলে, যদি বড় হয়ে যায় সাথে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি থাকে। স্তনের চাকা বা বিনাইন টিউমার যদি এমনি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পাশাপাশি অস্বাভাবিক থাকে।
স্টেজ ১- ১ ইঞ্চির কম বটে কিন্তু লসিকা গ্রস্থিতে ছড়িয়েছে বা দুই ইঞ্চি পরিমাণে কিন্তু কোথাও ছড়ায়নি।
স্টেজ ২- টিউমারের আকার দুই ইঞ্চির বেশি হলে এবং লসিকা গ্রন্থিতে ছড়িয়ে পড়লে বা যেকোনো আকারের টিউমার গ্রন্থিগুলোর একে অপরের সাথে লেগে গেলে।
স্টেজ ৩- যেকোনো আকারের টিউমার, ত্বকে, স্তনের নিচে, বুকে ছড়িয়ে পড়লে বা ইন্টারনাল মেমারি লসিকা গ্রন্থিতে অবস্থান করে।
স্টেজ ৪- এ অবস্থায় ক্যান্সার আর স্তনে সীমাবদ্ধ না থেকে দূরবর্তী স্থানে যেমন- দূরবর্তী লসিকা গ্রন্থি, ফুসফুস, বুকে, হাড়ে ছড়িয়ে যায়।
স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ঃ
আপনি নিজেই আপনার স্তন পরীক্ষা করে দেখেন কোনো রকম অ-সাধারণতা পরিলক্ষিত হয় কি না এবং আজকের লিখিত উপসর্গের কোনোটা উপস্থিত আছে কি না। শুধু টিউমার হলেই ক্যান্সার নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এ ব্যাপারে। আক্রান্ত ব্রেস্টের এক্স-রে করে। আলট্রাসনোগ্রাফি করে, মেমোগ্রাফি করে, এফএনএসি করে, বায়োপসি করে জানতে পারেন কোন অবস্থায় বা কোন স্টেজে
সৌজন্যে Dr-Gm Abdus Salam
for
Skin Series : 04
Alopecia মানে কোনো জায়গায় হেয়ার লস হওয়া। এটা small patches of hair fall যেটা অনেক সময় আমরা লক্ষ নাও করতে পারি। আমাদের immune system যখন hair follicle কে attack করে তখন সেখান থেকে হেয়ার ফল হয়।
Alopecia দুই টাইপের হতে পারে localised & diffuse.
এছাড়াscarring & non scaring type হতে পারে।
সাধারণত Lichen planus,Discoid Lupus এসব কন্ডিশনে Scaring type alopecia হয় এবং Tinea Capitis,Psoriasis,Eczema এসব কন্ডিশনে non scaring type Alopecia হয়ে থাকে।
আমরা দুই ধরনের Alopecia পেতে পারি। Alopecia Areata যেটা auto immune basis এবং strong genetic component থাকে। Family History তে এই সমস্যা থাকলে Alopecia Areata হতে পারে। এছাড়াও thyroid disease, Down syndrome এ Alopecia Areata খবুই কমন।
আরো একটি Alopecia হচ্ছে Androgenic Alopecia যেটার কারণ আসলে unknown তবে genetic,hormonal অথবা end organ receptor এর কারণে হতে পারে।
C/F:
সাধারণত localized,non-inflammatory, non scaring হয় এবং Scalp এ বেশি হয়। Broken hairs পেতে পারি আমরা। Eyebrows,eyelashes, beard & body hair ও affected হতে পারে।
অনেক সময় nail pitting ও পাওয়া যায়।
Usually Sudden onset হয়।
: সাধারণত পুরুষের male pattern baldness ২০ বছরের পর হতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে menopause এর পর হতে পারে।
:
* Full blood count
* Renal function test
* Liver function test
* Iron studies ( iron deficiency থাকতে পারে)
* Thyroid function test ( Hypothyroidism থাকতে পারে)
* Autoantibody Screen
* Hair pull test
* Scalp biopsy
* Scaring & pluckings should be sent for mycology if localized infection.
***তবে GP তে সাধারণত তেমন টেস্ট করা হয় না। তবে যেনে রাখা ভালো।
:
* এই সমস্যা কোয়ালিটি অফ লাইফে অনেক ইমপ্যাক্ট ফেলে তাই রোগীকে প্রথমত psychological সাপোর্ট দিতে হবে।
কিছু ট্রিটমেন্ট সামান্য hair regrowth করলেও course of disease alters এর জন্য তেমন কোনো এভিডেন্স পাওয়া যায়নি।
* Topical or intralesional glucocorticoids সামান্য response করে। Systemic glucocorticoids মাঝে মাঝে ব্যবহৃত হয় তবে বেশিদিন ইউজ করা ঠিক না।
* PUVA or immunotherapy ও অনেক সময় দেওয়া হয়।
* JAK inhibitors নিয়ে গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে এটি আশার আলো হতে পারে।
* In case of male Systemic finasteride হেল্পফুল এবং Minoxidil দেওয়া হয় তবে এটা বেশি দামী।
* In case of female cyproterone acetate anti androgen হিসেবে ইউজ হয়।
👴 Scalp Surgery & hair transplantation অনেক বেশি ব্যয়বহুল তবে ইফেক্টিভ।
(সাধারণত যা প্রেস্ক্রাইব করা হয়) :
* Remus ointment
আক্রান্ত জায়গায় দিনে ২ বার - ২ মাস।
* Dermasol cream
আক্রান্ত জায়গায় দিনে ২ বার - ২ মাস।
* Tab. E-cap 400mg
০+০+১ - ২ মাস।
* Tab. Xinc (Zinc)/ Folison (Folic acid)
১+০+১ - ২ মাস।
রেস্পপন্স না করলে,
* Splendora Scalp lotion / Spray (Minoxidil 5%)
দিনে ২ বার ৬মাস/চলবে
* Inj. Trialon ( Triamcinolone Acetonide) 1 vial intradermal ১ মাস পর পর ৩ মাস।
উপদেশঃ
* নিয়মিত চুলের যত্ন নিন।
* পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমান।
* মানসিক চিন্তা মুক্ত থাকুন।
* বেশি করে পানি পান করুন।
* চুল পড়া রোধে ঘরোয়া নিয়ম-কানুন মেনে চলুন।
বি.দ্র- ৪০ বছরেরে বেশি কোন রোগীর জন্য উপরোক্ত চিকিৎসা কার্যকরী নয়।
***Minoxidil 5% এর ক্ষেত্রে বাস্তব কথা হচ্ছে একজন রোগী ৪০ বছরের আগ পর্যন্ত কম বেশি সবসময় এটা ব্যবহার করে চলতে হবে। কারণ এটা বন্ধ করলে আবার আগের মত অবস্হা হয়ে যায়।
Dr. Md. Enamul Hasan
MBBS (CMC)
for
: 03
স্কিনের অন্যতম একটি কন্টাজিয়াস রোগ হচ্ছে . Scabies sarcoptes scabiei দিয়ে হয়ে থাকে৷
কিভাবে চিনবো?
* Intense itching থাকে যেটা রাতে অনেক বেশি হয়। Scabies burrow থাকে যেটা Scabies mites দিয়ে হয় এবং দেখতে অনেকটা পেন্সিলের মার্কের মতো যেখান থেকে ডিম ডিপোজিট হয় এবং ২১ দিনে ডিমগুলো ম্যাচুউর হয়।
* সাধারণত বাচ্চাদের Palm,soles,trunk,genitalia এ Scabies rash থাকে এবং young children দের neck,soulder এ ও rash গুলো কভার করতে পারে।
✅মনে রাখতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এটা পরিবারের অন্যদেরও হতে পারে।
যেসব সাইটে scabies হয়:
* Anterior Axillary folds
* Ar**la & ni**le
* Inter digital clefts
* Genitelia & buttock
* Flexor aspect of forearm & elbow
* umbilical & paraumblical region
* বাচ্চাদের ক্ষেত্রে face & scalp এ ও হতে পারে।
ট্রিটমেন্ট :
> Lorix 5%/Lotrix 5% ( Permethrin 5%)
গোসলের পর মুখ,মাথা বাদে পুরো শরীরে পরিমাণমত মাখবেন। ৮-১২ ঘন্টা পর হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন। সাইন সিম্পটম না থাকলেও একই নিয়মে পরিবারের বাকি সদস্যদেরও সেইম চিকিৎসা চলবে।
৭ দিন পর একই নিয়মে আরেকবার ক্রিমটি ব্যবহার করবেন।
> Tab. Alatrol 10mg
0+0+১ - ১০ দিন। (চুলকানির তীব্রতা অনুযায়ী)
যদি ৩ মাসের মধ্যে Anti-helminthic না নিয়ে থাকে তাহলে,
> Tab. Solas 100mg
১+০+১ - ৩ দিন।
যদি infected scabies হয় সেক্ষেত্রে infection control এর জন্য
Tab. Flucloxacillin ( Fluclox 500mg)
১+১+১+১ - ৭ দিন।
ইনফেকশন সাবসাইড হলে পূর্বের ন্যায় scabies এর ট্রিটমেন্ট দিবেন।
যদি উপরোক্ত ট্রিটমেন্ট এ কাজ না হয় বা Recurrent /crusted scabies হয় সেক্ষেত্রে,
Tab. Ivermectin ( Alice 6mg)
২টি ট্যাবলেট একবারে দিবেন।
কাজ না হলে ৭ দিন পর আরেকবার সেইম ট্রিটমেন্ট রিপিট করবেন।
উপদেশঃ
* আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কাপড়চোপড় গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
* পরিবারের সবাইকে অবশ্যই ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।
* আক্রান্ত ব্যক্তির ও বাচ্চার বেডিং, তোশক রোদে শুকাতে দিবেন।
Dr. Md. Enamul Hasan
MBBS (CMC)
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Narayanganj