ভয়ের আহ্বান

ভয়ের আহ্বান

it's a horror story page

25/12/2022

গল্পের নাম:-ভয়ংকর একটি রাত।
লেখক:- মোঃ কাশেম আহমেদ।

আমি আরিয়ান
আমি ঢাকার মিরপুরে একটি VFX কোম্পানিতে চাকরি করি।
একা একটি ফ্ল্যাটে থাকি

সে যাই হোক, একদিন বাড়ি থেকে আমাকে ফোন করে বললো যে গ্রাম এ গিয়ে থেকে আসতে কিছু দিন। আমি হ্যা বলে দিলাম ভাবলাম অনেক দিন তো হলো গ্রাম এ যাইনা। তো পরের দিন সকালে আমি অফিস থেকে কিছু দিন এর জন্য ছুটি নিয়ে বিকেলেই রওনা দিলাম গ্রাম এর উদ্দেশে।

তো যেতে যেতে অনেকটা রাত হয়ে গেলো আমি আমার মোবাইলটা বের করে দেখি রাত ১১:৩০ বাজে আমি অনেক খুঁজেও কোনো গাড়ি পেলাম না অনেক কষ্ট করে আমি একটি ব্যান পেলাম অনেক রাত হওয়াতে সে যেতে চাইছিলো না আমি তাকে বেশি ভাড়া দিবো বলার পরে সে রাজি হয়ে যায়।

রাত ১২:৩০ হটাৎ একটি ভয়ংকর হাসি শুনতে পেলাম আমরা।

আমি ব্যান চালককে বললাম যে আপনি কী শুনেছেন শব্দটা?

ব্যান চালক বললো যে হ্যা সে ও শুনেছে।

হটাৎ আমাদের সামনে চলে আসলো একটি বিশাল বড় আকারের মানুষ। খুব ভয়ঙ্কর তার চেহারা, হাত গুলো ছিল অনেক বড় আমরা তা দেখে দৌড়ে পালতে থাকলাম আর সেই বড় আকৃতির মানুষ টা আমাদের দিকে আসতে থাকলো গ্রাম এর মসজিদ এর সামনে এসে থেমে যাই তার পর পিছে তাকিয়ে দেখি যে সেই বড় আকৃতির মানুষ টা আমাদের আর পিছু করছে না তার পরে আমি সামনে তাকিয়ে দেখি যে আমাদের গ্রাম এর একজন আহমেদ চাচা আমি তাকে চিনি গ্রাম এ থাকতে রোজ মসজিদ এ তার সাথে কথা হতো সে খুব ভালো মানুষ।

আমাকে দেখে চাচা বললো তুমি এইখানে কি করছো ?

আমি সব কিছু তাকে খুলে বললাম সে সব শুনে আমাকে সে বাড়ির কাছাকাছি নিয়ে এগিয়ে দিয়ে আসলো।

আমি ও তার কথা মতো বাড়ি চলে আসলাম। বাড়ি গিয়ে সবাই কে সব ঘটনা খুলে বললাম সবাই আমার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো আর আমার ভাই আমাকে বললো যে তুই যে আহমেদ চাচা এর কথা বলছিস সে তো আজ থেকে আরো ৩ মাস আগে মারা গিয়েছেন। আমি এই কথা শুনে পুরো হতবাগ হয়ে যাই।

23/12/2022

গল্পের নাম:- অভিশপ্ত জঙ্গল।
লেখক:- কাশেম আহমেদ।

# #আমার নাম শিবলু , আমি সদরের কড়াইল ডিগ্রি কলেজ এ পড়ি ইন্টার ১Year এ।

# # #আমার বাবা সরকারি চাকুরী জিবি হওয়াতে আমি SSC পর্যন্ত মানিকগঞ্জ লেখাপড়া করে এখানে আসে ইন্টার এ ভর্তি হয়েছি। সো আমার পরিচিত বন্ধু বলতে এখানে কেউ ই নেই। একটা ছেলের সাথে আজ কলেজ এর প্রথম দিন পরিচিত হলাম ছেলেটার নাম রাকিব। ধীরে ধীরে আমরা ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম। হটাৎ রাকিব একদিন বললো শিবলু চল আমরা ওই কলেজ এর পিছনের বড় জঙ্গলটায় যাই একদিন রাতে।
আমাদের একটা এডভেঞ্চার এডভেঞ্চার ফীল হবে।

শিবলু :- আমি ওকে বললাম আরে তুই কি পাগল হয়ে গেলি নাকি ? সেই জঙ্গল এ যেতে চাচ্ছিস। তুই জানিস না এই জঙ্গলে কত ধরণের ভোউতিক ঘটনা ঘটে।

রাকিব:- এই সব মানুষ মন বানানো কথা আর আমি ভূত প্রেত এই সব কিছু এই বিশ্বাস করি না। চল তো কিচ্ছু হবেনা।

শিবলু:- আচ্ছা ঠিক আছে কালকে বিকালে আমরা বের হবো।

# #পরের দিন বিকেলে আমি আর রাকিব রওনা দিলাম সেই জঙ্গল এর উদ্যেশে আমাদের যেতে যেতে সন্দে হয়ে গেলো আমরা জঙ্গলে গিয়ে তাড়াতাড়ি আমাদের টেন্ট গুলো সেট করে ফেললাম তার পর আমরা আগুন জালাম।পরে আমরা ২ বন্ধু মাইল অনেক্ষন আড্ডা দিচ্ছিলাম হটাৎ কিসের যেন একটা চিৎকার ভেসে আসলো কানে আমরা ২ বন্ধু কিচুটা এগিয়ে গিয়ে দেখলাম কিছুইনা।

রাকিব:-অরে চল কিছুনা এমনি হয়তো কোনো জন্তু জানোয়ার হবে।

শিবলু;-আমি মাথা নেড়ে সে দিয়ে টেন্ট এ চলে আসলাম আমরা
তাও আমার কেন জানি মনের মদদে একটু ভয় লাগছিলো।

পরে টেন্ট এ এসে রাতের খাবার খেলাম।

রাকিব:-চল জঙ্গল তা একটু গুড়ে দেখি

শিলবু:-আচ্ছা চল বের হই।

# #তখন রাত ঠিক ১২ টা বাজতে ৫ মিনিট বাকি আমি র রাকিব টেন্ট থেকে আমাদের টর্চ গুলা নিয়ে জঙ্গল গুরতে বের হয়ে গেলাম আমরা অনেক্ষন হাটলাম পরে একটা গাছের গুড়ির উপরে বসে রেস্ট নিচ্ছিলাম তখন ১:১৫ বাজে।

# # #এমন সময় আমরা আবার হাটতে থাকি আমরা টেন্ট এ ফিরে যাবো এখন কিন্তু আমরা জঙ্গল গুরতে গুরতে অনেকটা ভিতরে চলে যাই সেই দিকে আমার আর রাকিব এর কোনো খেয়াল ই ছিল না অনেক গুরা গুড়ি এর পর আমরা যখন বের হবো আমরা আমাদের ফেরার পথ খুজে পাচ্ছি না।

হটাৎ আমরা দেখি যে আমাদের সামনে অনেক লম্বা বড় একটা মানুষ এর মতো আমাদের দিকে আসছে আমি টর্চ লাইট টা সেই মানুষ এর মতো জিনিস টার উপর ফেলতেই আমরা দেখলাম যে চেহারা টা ফেকাসে চোখ গুলো বের হয়ে আসছে তার হাতে বড় বড় নক আর আমরা এই দেখে পালতে থাকলাম আর দুয়া পড়তে থাকলাম। আর সেই মানুষ এর মতো দেখতে পিষাস টা আমাদের দিকে আসছে আমরা তাও নিজের সর্বোচ চেষ্টা দিয়ে পালতে থাকলাম একটা সময় গিয়ে আমি আর রাকিব অন্ধকারে গাছের সাথে বাড়ি লেগে অজ্ঞান হয়ে গেলাম।

সকালে আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম জঙ্গল থেকে কিছুটা দূরে একটা বাড়িতে আমার পাশে রাকিব ও শুয়ে আছে আর সামনে বসে আছে একজন ইমাম সাহেব সে এই জঙ্গল এর পাশের মসজিদ এর ইমাম সে আমাদের থেকে জানতে চাইলো আসলে কি হয়ে ছিল আমাদের সাথে আমি আর রাকিব সব কথা খুলে বললাম।

তার পরে ইমাম সাহেব সব শুনে বললেন যে আজ থেকে অনেক বছর আগে এই জঙ্গলে একজন লোক ছিল তার নাম ছিল আকবর সে কালো জাদু এর চর্চা করতো সে অনেক মানুষ কে কালো জাদু শিখাতো একটা সময় এই এলাকার সবাই এই কথা জানতে পারে তারপরে সবাই মিলে জঙ্গলে আসে তার পরে আকবরকে আগুনে ফেলে তাকে হত্যা করে তারপরে শুরু হয় আকবর এর প্ৰতিশোধ এর আগুন যে ওই জঙ্গলে যেত তাকে এই সে হত্যা করে ফেলতো তাদের লাশ গুলো ছিন্ন বিছিন্ন ভাবে পাওয়া এই কথা শুনে আমি আর রাকিব পুরো হতবাগ(যে এতদিন যে সবাই জঙ্গল তা খারাপ বলতো তাহলে এজন্যই) হয়ে যাই তার পর ইমাম সাহেব আমাদের ২ জনকে যার ফুঁক দিয়ে দেন এবং বলেন আর কোনোদিন এই জঙ্গল এর ভিতরে যাবেনা তোমরা। সেদিনের পর থেকে আমরা আর কোনো দিন ওই জঙ্গলের ভিতরে যায়নি।

ঘটনাটি আমার মনে পড়লে এখন ও ভয়ে শরীরে কাটা দিয়ে উঠে।

Want your public figure to be the top-listed Public Figure in Narayanganj?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Website

Address

Narayanganj