Tanzeem Rahman Tisha

Tanzeem Rahman Tisha

story fair

25/07/2023

জানিনা শব্দটা অনেক ভারি। যার পরিমাপ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
এই শব্দটা পারে জীবনটাকে সম্পূর্ণরূপে গুছিয়ে দিতে। আবার এই শব্দটাই পারে জীবনের প্রতিটা নিঃশ্বাসকে রিক্ত করতে। আর, যাদের এই শব্দটাকে ব্যবহার করেছে তারাই জানে এর অপেক্ষা কতোটা ভয়ানক রূপ ধারণ করে।

14/11/2022

কোনো এক ১৪ নভেম্বর আমার কাছে খুশির ঝুলি ছিল। কিন্তু, আজ সেইখান থেকে অনেক কিছুই হারিয়েছি।

04/11/2022

কে থাকে ওই গাছতলায় দাঁড়িয়ে,
দেখা তো যায় না তাকে,
মুখে তার রহস্য ঘেরা হাসি
শুধু মাথায় ঘুরে একটি বাণী
তবে কি মিম্মো এবার
ফিরল নিজের নীড়ে

#মিম্মো
#আসছে

(অনেক লম্বা একটা ছুটির পর আবার লেখালেখিতে ফিরা। আর আমি চাইছি যে এই গল্পটা একবারে দিতে পর্ব আকারে নয়। আর, এই গল্পটাতে চাইছি অন্যরকম কিছু একটা আনার। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনাই করি, আল্লাহ হাফেজ।)

16/03/2022

#হ্যাঁ_তোকেই_ভালোবাসি
#পর্বঃ৪৫এবংশেষ
#জান্নাতুল_তানজীম_রহমান_তিশা

ঝুমের কথা শুনে নীলা কথা বলতে রাজি হয় এবং সবার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এক সাইডে চলে যায়।
নীলাঃ জ্বী বলুন। কি বলতে চান আপনি।
অপরপাশেঃ বাহ মেয়ের কথা বলতেই। কথা বলতে রাজি হয়ে গেলেন।
নীলাঃ ফালতু কথা বাদ দিয়ে যা বলার জন্য ফোন করেছিস তা বল।
অপর পাশেঃ
কিছু একটা বলার সাথে সাথে নীলার হাত থেকে ফোন টা পরে যায়, নীলার হুশ আসতেই ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে কল টা কেটে গেছে ' নীলা সাথে সাথে নীলের মাকে ফোন দেয়,
নীলঃ হ্যালো মামনি ঝুম কোথায়? ওকে একটু ফোন টা দেয়া যাবে।
নীলের মাঃ ঝুম তো এখন স্কুলে ওকে আনতে বের হচ্ছি কেনো নীলা কিছু কি হয়েছে? তোমার কন্ঠটাও কেমন জানি শুনাচ্ছে।
নীলাঃ আমি এখনো সিওর না। তোমকে আমি পরে ফোন করছি।
এই বলে নীলা ফোন কেটে দেয়' নীলা ঝুমের স্কুলে ফোন দিয়ে খবর নেয় যে ঝুম তো আজ স্কুলেই আসেনি এই কথা শুনে নীলা অবাক হয়ে গেছে তাদের আজ কাজের চাপ থাকায় নীলা আর নীল দুজনেই তাড়াতাড়ি করে অফিসে চলে আসে। নীলের মা আজ নিজে ঝুমকে স্কুলে নিয়ে যায়৷ এতে কোনো সন্দেহ নেই যে নীলের মা ঝুমকে ঠিক করে না পৌছেঁ বাড়ি ফিরবে না। তার মানে যা হওয়ার স্কুলের ভিতর থেকেই হয়েছে। নিরবের কাছে বলে,
নীলঃ ভাইয়া আমার মেয়েকে আমার কাছে এনে দাও, কখনো তুমার থেকে কিছু চাইনি আজ আমার মেয়েকে তুমার কাছে চাইছি ভাইয়া প্লিজ এনে দাও।

ঝুমকে না পেয়ে নীলা প্রায় পাগল পাগল অবস্থা। নিজের বোনের এই অবস্থা দেখে সেখানে উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। তারপর নিরব জিজ্ঞেস করে ঝুমের কি হয়েছে নীল তার পর সব বলে এইশুনে নিরব বলে,
নিরবঃ আমি নিশ্চিত এটা ওই সৌরভ ও জ্যাসের কাজ।
নীলাঃ তার সাথে আরো একজন আছে যে সব জামেলার গুরু নয়তো ওদের ক্ষমতা নেই যে এতো কড়া পাহারার মধ্যে থেকা ঝুমকে বের করা!

নীল নীলা ও নিরবের কথা গুলো চুপচাপ শুনছিলো। কারণ তার কাছে সব কিছু যেন ধোয়াশা মনে হচ্ছে নীলা ও নীলের বাবা যেহেতু আগে থেকে সব জানে তাই তাদের কাছে বেপারটা পরিস্কার, কিছুক্ষণ পরে নিরব নীলা নীল রাফিন বেরিয়ে পরে ঝুম কে খুজতে,
নীলার পাশে SA মাথা নিচু করে বসে আছে SA ও নীলার কথার এক পর্যায়ে নীলা বলে।
নীলাঃ ওদের খোঁজ বের কর যে করে হোক, এবার এই নোংরা খেলা বন্ধ করা হোক,
SA: তুই যা এখন আমি ব্যবস্থা করছি ওরা চাইছে আমাকে সবার সমনে আনতে, কিন্তু এটা ওদের সব থেকে বড় ভুল, আমি এবার সবার সামনে যাবই, তুমি শুধু ওই নাটের গুরু কে বের কর যে ঝুম কে নিয়ে গেছে।
নীলাঃ ওকে নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না ওকে আনতে লোক পাঠানো হয়েছে, এখন উঠি চলি আমি আদ্র
আদ্রঃ হুম
নীল ও নিরব নীলার জন্য বসার ঘরে অপেক্ষা করছিলো নীলা আসতেই নিরব তার কাছে যায়,
নিরবঃ সব ঠিক আছে
নীলাঃ হুম, এখন আমাদের কাজ শেষ করা যাক
নীলা নীলের দিকে তাকিয়ে বলে,
নীলাঃ এতো চিন্তা এক সাথে মাথায় নেওয়া দরকার নেই,আর কিছু দিন তারপর সব সত্যি আপনা আপনি সামনে আসবে নীল অবাক হয় নীলার কথায় কারণ নীলা যে তার ভাবনার কারণ এতো নিখুঁত ভাবে ধরতে পারলো। নীলা কিছু না বলে সেখান থেকে বের হয়ে যায় তা দেখে নিরব বলে -
নিরবঃ সব কি ঠিক আছে নীলা। তুই কি নীল কে সবটা বলিসনি?
নীলাঃ না
নিরবঃ কিন্তু কেনো?
নীলাঃ ও কখনো জানতে চায়নি যে সত্যিটা কি। বাদ দেয় এইসব কথা কিছুদিন পর তো সত্যিটা সবার সামনে আসবেই।

এই বলে নীলা ও বাইরে বেড়িয়ে পরে। নীল আগেই চলে গেছে। নীলাও তার দাভাইকে নিয়ে যায় ঝুমকে খোঁজার উদ্দেশ্যে।

৪ দিনপর,

একটা চেয়ারের সাথে একটা মেয়েকে বেধেঁ রাখা হয়েছে। মেয়েটার এখনো নিস্তেজ হয়ে পরে আছে। হঠাৎ করে চোখে মুখে পানির ছিটেঁ পরতেই আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকালো। যদিও, তার চোখ খুলতে অনেকটাই সময় লাগে। তাও সে চোখ মেলে তাকাতেই দুটা পরিচিত মুখ চোখের সামনে আসতেই মেয়েটার ঠোঁট বাকিঁয়ে সামান্য হাসল।দুইজনের মধ্যে যার বয়সটা একটু কম সে বলে উঠল,

ঃ নীলা তোর সাহস আছে বলতে হবে। মেয়ের জন্য একই বিপদের দিকে পা বাড়ালি। আর একটা জিনিস কি বলতো তোর ভাগ্যটাও অনেক ভালো যে এতো কিছু করলাম তোকে সরানোর জন্য কিন্তু কি হলো দেখতো সেই তুই বারবার বেচেঁ গেলি৷ কিন্তু এবার যে তোকে মরতে হবেই। তবে এই কাজটা কিন্তু আমি করব না, এটা আমার দা করবে। একটা সময় ভালোত বেসেছিলাম তাই এটা আমি করব না, যতই খারাপ হই না কেনো ভালোবাসাকে তো আর নিজের হাতে হত্যা করতে পারি না তাই না।

ঃজ্যাস। এবার থাম ভাই। থাক কষ্ট নিস না আমি তোর জন্য আরো সুন্দর দেখে মেয়ে এনে দিব কেমন। আর রইল একে মারা সে তো ওকে আমি এত সহজে মারব না। কারণ, ওকে দিয়েই তো আমাদের শত্রুকে আমাদের কাছে পাব। একটা কথা কি জানিস ওদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক না থাকা শর্তেও, এদের একজনকে পাওয়া গেলে অন্যজনকেও পাওয়া যায়। কিন্তু, একটাই আপসোস হয় যে আমার শত্রুকে এখনো আমি দেখিনি। ব্যাপারটা অনেক আশ্চর্যের বিষয় নায় কি???

জ্যাসঃ এবার মারার আগে দেখে নিও।

(হ্যাঁ এতক্ষন জ্যাস আর সৌরভ বেধেঁ রাখা নীলাকে উদ্দ্যেশে কথাগুলো বলেছিল।)
ওদের কথা শুনে নীলা জোড়ে জোড়ে হাসতে থাকে। নিজেকে সামলে বলে,

নীলাঃ বিপক্ষ দলকে তো চিনিস না তাহলে না জেনে নিজেকে বিজয়ই ঘোষণা কি করে দিচ্ছিস। এমনো তো হতে পারে যে তোদের শত্রু তোদের পাশেই ঘুরছে।

জ্যাসঃ হুম তাই তো তোকে আনা এইখানে। কারণ, তোদের দুইজনের একটা অদ্ভুত কানেকশন আছে। কিন্তু, নীলা একটা বলতো ঝুম তোমার কি হয়। আমি যতটুকু জানি তোমার অন্য কোনো ছেলের সাথে তো সম্পর্ক ছিল না। তাহলে ঝুমটা আসল কোথায় থেকে ওকে কোথায় থেকে কুড়িয়ে এনেছ।
এর মাঝে সৌরভ বলে,

সৌরভঃ জ্যাস একটা জিনিস খেয়াল করেছিস। নীলার সাথে কিন্তু ঝুমের চেহারার বেশ মিল। কিন্তু, নীলার বাবার আমি যতটুকু জানি তাহলো ও একাই মেয়ে ছিল। তাহলে এই ঝুমটা আসল কোথায় থেকে।

জ্যাসঃ হুম যাই হোক। SA নিজে এসে আমাদের সাথে শত্রুতা করেছে। তার ব্যবস্থা পরে করা যাবে। কিন্তু আমাদের সাথে তো নীলার অনেক আগের শত্রুতা। সেটা শেষ করি কি বলো?? কাগজ তো সব তৈরি আছে।

সৌরভঃ হ্যাঁ তা করাই যায়।

নীলাঃ তোরা জীবনের সব থেকে বড় ভুল কি করেছিস জানিস। আমার জীবন থেকে আমার বাবা- মাকে কেড়ে নিয়ে। তোর বাবা ভেবেছিল আমাকেও মেরে ফেলবে। কিন্তু, তার ভাগ্য বরাবরি খারাপ যার সুবাদে আমি আজ তোদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।

সৌরাভঃ তারা নিজেদের দোষে মারা গিয়েছে। বাবা তো ভালোভাবেই প্রথমে বুঝিয়েছিল। কিন্তু তোর বাবা সেটা মেনে নিতে চায়নি। আর, সব কিছুর পরও চাচা হিসাবে তোর দায়িত্ব নিতে চেয়েছিল। কিন্তু, তাকেও তুই ধোকা দিয়ে সেইখান থেকে চলে আসলি। সেদিন যদি পালিয়ে না আসতি তাহলে আজ এইখানে এইভাবে পরে থাকতি না। আর না তোর মৃত্যু এইভাবে হতো।

(রাগে নীলার চুলে মুঠি টেনে ধরে আর নীলার গালে থাপ্পড় দিতে থাকে। এবং হুংকার দিয়ে কথা গুলো বলে)

নীলাঃ( হুংকার দিয়ে বলে) চাচা! চাচা ডাক শুনার যোগ্যটা উনার নেই। আর না তোদের ভাই হওয়ার যোগ্যতা আছে। যে নিজের ভাইকে সম্পত্তির লোভে খুন করতে পারে। যে নিজের বড় ভাবির দিকে খারাপ দৃষ্টি দিতে পারে, সে তার ভাতিজিদের কথা ভাববে তা ভাবাও ভুল।...
নীলা সামনের দিকে তাকিয়ে হাল্কা হাসে এবং সেইদিকে তাকিয়ে বলে।
আমার মৃত্যু চিন্তা তোদের করতে হবে। নিজেরা কীভাবে বাচবি তার চিন্তা কর। ওই দিকে তাকিয়ে দেখ নিজেদের মৃত্যু আরিয়ানা আয়মান নীলাকে দেখতে পারবি।

এই কথা শুনে সৌরভ ও জ্যাস। হেসে বলে নিজেকে এখানে বন্ধী অবস্থায় রেখে আমাদের পিছনে নিজেকে আবিষ্কার করছিস।

নীলাঃ দি ওরা তো জানেই তুই কে বা কাকে ওরা আটকিয়ে রেখেছে।

কথাটা শুনে সৌরভ পিছনে তাকিয়ে দেখে আদ্র নীল নিরব আর রিয়াদ দাড়িয়ে আছে। তাদের পাশে আরো অনেক গার্ড এবং তাদের সব গার্ডদের হাত পা বেধে কপালে গান তাক করা। আর সবার মাঝেই নীলা দাঁড়িয়ে আছে। জ্যাস একবার সামনে আর পিছনে তাকাচ্ছে একি ব্যক্তি ২ জায়গায় কি করে। নিরব গিয়ে ঝুমকে নিয়ে আসে আর আদ্র চেয়ারের বাধন থেকে মেয়েটাকে মুক্ত করে।

নীলাঃ সাদিয়া আয়মান কে আটকিয়ে রেখে SA কে খুজে বেরাচ্ছিস।

জ্যাসঃ এইসব এর মানে কি??

সাদিয়াঃ আমরা জমজ বোন বাবা আমাদের সুরক্ষার জন্য আমাদের ২ জনকে কখনো একসাথে সবার সামনে আসতে দিত না।

নীলাঃ আহা। দি ওদের এসব বলে কি লাভ বলো ওদেরকে ওদের পাপের শাস্তিটা দিয়ে নেই।

রিয়াদঃ SA বললে এখনি ২টার মাথা বন্ধুকের সবগুলা গুলি চালিয়ে দেই।

নীলাঃ না। ওর সাথে আমার হিসাব বাকি আছে। আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া এক একটা কাজের শাস্তি দেব। আদ্র ঝুমকে বাড়িতে দিয়ে আয়।

আদ্রঃ ওকে। ( বলে ঝুমকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে)

নীলাঃ দি ওকেও আনার ব্যবস্থা করো। প্ল্যান যেহেতু তিনজন মিলে করেছে তাহলে শাস্তিও তিনজন একি সাথে পাবে।

SA ইশারা করতেই কিছু মহিলা গার্ড পুফিকে নিয়ে আসে। আর কিছু গার্ড ইলেকট্রিক চেয়ার এনে ওদের তিনজনকেই সেখানে বেধে ফেলে।

নীলাঃ পানি আনো।

পুফি নীলার কথায় বেশ ঘাবড়ে যায়। তাই বলে,

পুফিঃ প্লিজ নীলা এমন করিস না প্লিজ। এইবারের মতো মাফ করে দে আর কখনো তোদের জীবনে আসব না আমি। প্লিজ আমাকে যেতে দেয়।

নীলা পুফির গায়ে পানি ফেলে দিয়ে চুলের মুঠি টেনে ধরে বলে,

নীলাঃ তোকে আর বিশ্বাস কোনো দিনো না। এর আগের বার তোকে সাবধান করে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তখনো তুই এই কথা গুলোই বলেছিলি। তাও তুই আমার সাথে লাগলি তাও তোকে আমি কিছু বলিনি। কিন্তু, তুই কি করলি তোর সার্থের জন্য তুই আমার ঝুমকে এর মধ্যে কেনো আনলি। ঝুমের নামে মিথ্যা বললি নীলের কাছে সেইদিন রেস্টুরেন্টে তুই নীলকে যা যা বলেছিস সব আনি জানি৷ তাও আমি চুপ ছিলাম। তারপরে তুই শান্ত হলি না ঝুমকে তুলে নিয়ে এলি সেখান থেকে। তাও বলছিস তোকে ছেড়ে দিব মাফ করে দিব?? অসম্ভব। তা আমি কোনো দিনো করব না।

বলে পুফিকে কারেন্টের শক দেয়। কিছুক্ষন শক দেওয়ার পর পুফিকে ছেড়ে জ্যাস ও সৌরভের কাছে যায় এবং একটা ছুড়ি চায়। একজন গার্ড এসে একটা বক্স সামনে রাখে নীলার। যা দেখে নীলা এবং সাদিয়া দুইজনেরই চোখে পানি আসে।

নীলাঃ এটার কথা মনে আছে ( চাকুটা তাদের সামনে ঘুরাতে ঘুরাতে বলল) জানিস কত বছর ধরে এটাকে আগলে রেখেছি। কি শুধুমাত্র তোদের মারার জন্য। আমাদের সামনে আমাদের দা কে যেইভাবে মেরেছিলি তার থেকেও ভয়ানক মৃত্যু আমি তোদের দিব। কি দোষ করেছিল যে তোরা আমার বাবা-মা আর দা কে মেরে ফেললি।

সাদিয়াঃ ওরা আর কি বলবে বা কি আসা করিস ওদের কাছে। ওরা ওদের মাকে মারতে ওদের বাবাকে সাহায্য করেছে সেখানে কার কাছে কি জিজ্ঞেসা করিস তুই।

নীলা সাথে সাথে ওদের কারেন্টের শক দেয়। অল্প অল্প করে ৫ বার শক দেয় ওদের। তারপর হাতের চাকুটা দিয়ে ২ জনের গাল কেটে দেয়। হাতে পায়ে বিভিন্ন জায়গায় কেটে দেয়। জ্যাসের বুক থেকে অনেকটা মাংস কেটে নেয়। জ্যাস আর সৌরভের চিৎকারে চারপাশে কেপে উঠে। তাই নিরব ওদের মুখ বেধে দেওয়ার জন্য বলে। সাদিয়া লবণ ও মরিচের গুড়া নিয়ে আসে। সাদিয়াকে থামিয়ে গার্ডকে বলে পুফিকে উঠাতে। পুফিকে উঠিয়ে তার মুখ বেধে দেয় তারপর নীলা ওর হাতের আঙুল গুলো কেটে দেয়। সাদিয়া বলে,

সাদিয়াঃ এই হাত দিয়েই মেয়েদের পাচার করার জন্য ইঞ্জেকশন পুশ করতি আর এই আঙুল গুলো দিয়েই তো কোন কোন মেয়েকে পাচার করবি তাই দেখিয়ে দিতি।

নীলা সাথে সাথে কাটা হাতাটা লবনের মধ্যে চেপে ধরে তারপর মরিচ গুঁড়ো দিয়ে দেয় পুফি গলা কাটা মুরগির মতো ছটফট করতে থাকে। তা দেখে নীলা বলে,

নীলাঃ তোরা তিনজনেই মৃত্যু ভিক্ষা চাইবি আমার কাছে। প্রমিজ।

বাকি দুইজনেরও কাটা জায়গায় লবণ মরিচ লাগিয়ে দেয়। জ্যাসের কাছে গিয়ে বলে,

নীলাঃ এই হাত দিয়ে খারাপভাবে স্পর্শ করেছিলি না প্রিয়ালিকে ( হাতটা ভেঙে দেয়) । এই ঠোঁট আর জিহ্বা দ্বারা ওকে ধর্ষণ করার আদেশ দিয়েছিলি না ( বলতে বলতে জিহ্বা আর ঠোঁটটা কেটে নেয়।

নীলা আপু এইবার তোমরা সরে দাড়া আমাদের বোনকে খুন করার শাস্তিটা আমরা একটু দেই। নীলা মাথা দুলিয়ে সরে দাঁড়ায় নীল গার্ডকে বলে এসিড আনায় এবং ড্রপ দিয়ে একটু একটু করে এসিড ফেলে ওদের গায়ে।

ওরা এইখানে আসতে আসতে নিরব আর রিয়াদ সবটা নীলকে বলে তার সাথে এইও বলে যে ঝুম আসলে সাদিয়ার মেয়ে সাদিয়া নীলাকে আড়াল করে ওদের ধরার চেষ্টা করছিল। এতে ওর মেয়ের বিপদ অনেক আর এই কাজে যেহেতু ঝুমের বাবাও সাহায্য করছিল তাই ঝুমের সেফটির জন্য নীলা ওকে নিজের কাছে নিয়ে আসে। আর নীলা আর সাদিয়া যেহেতু দেখতে একি রকম তাই ঝুম নীলাকেই মাম্মা বলে চিনে। আর নীলা বাবা নীলের বাবা আর নিরবের বাবা তিনজন ভালো বন্ধু ও বিজনেস পার্টনার ছিলেন। আর নিরবের বাবার খারাপ সময় নীলার বাবা তাদের সাহায্য করে তাই তাদের মৃত্যুর পর নীলা আর সাদিয়াকে তার কাছে নিয়ে আসেন। কিন্তু, আয়ানকে আনতে পারেনি। কারণ ওকে আগেই মেরে ফেলা হয়েছিল।

নীলের রাগে চোখ লাল হয়ে গিয়েছে। ওদের বিভিন্নভাবে অত্যাচার করার পর ওদের কে এসিডে ডুবিয়ে দিয়ে তারা সেইখান থেকে চলে আসে।

৮বছর পর,

অরি মা দাড়া খাবারটা খেয়েনে এমন করে না। ২বছরে বাচ্চা মেয়েটি তার ছোট ছোট পায়ে তার দাদির পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,

অরিঃ আমি কাবো না কাবাল পতা। বাবাকে বলে দিব তকন বাবা কুব বকবে তোমাকে।
নীলা তবে রে,

নীলের মাঃ থাক না জোড় করছিস কেনো। পরে খেয়ে নিবে

নীলাঃ পরে ও আর খাবে না মা তুমি তা জানো তাও তুমি বারবার এই কথা বলো। বাপ মেয়ে মিলে আমাকে জ্বালিয়ে শেষ করে দিল।

বলে সে রুমে চলে যায়। আর নীলের মা নাতিন কে নিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে খেলতে থাকে। নীল রুমে এসে দেখে নীলা ল্যাপটপে কাজ করছে। নীল গিয়ে নীলার মাথায় চুমু খায় সাথে সাথে অরি বলে,

অরিঃ তুমি মাম্মা কে তুমু দিয়েছ আমাকেও তুমু দেও। বলেই নীলের কাছে যায় নীল মেয়েকে নিয়ে বসে পরে আর গল্প করতে থাকে। নীলা ভ্রু কুচকে বলে,

নীলাঃ অরি তোমাকে না কত দিন বলেছি বাবা আসলে আগে তাকে ফ্রেশ হতে দিবে যাও দিদার কাছে যাও বাবা ফ্রেশ হয়ে তোমার সাথে খেলবে।

অরিঃ তলি মাম্মা। নীলের গালে একটা চুমু দিয়ে দিদা দিদা বলতে বলতে চলে যায়। নীল আবারও নীলার কপালে চুমু দিয়ে বলে #হ্যাঁ_তোকেই_ভালোবাসি
তারপর ফ্রেশ হতে যায়। ৫ বছর অপেক্ষা করে সে তার প্রিয়শীর রাগ ভাঙ্গিয়েছে। নীল নীলা আর তাদের রাজ কন্যা নিয়ে তারা ভালোই আছে সাথে সাদিয়া তার হাসবেন্ড ও ঝুম। ঝুম এখনো নীলাকে মাম্মাম আর নীলকে পাপা বলে ডাকে নীলও সবার কাছে ঝুমকে নিজের মেয়ে বলেই পরিচয় দেয়। ভালো থাকুক সবাই সবার ভালোবাসা নিয়ে। সুখে থাকুক। পৃথিবীতে ভালোবাসা আছে বলেই পৃথিবীটা সুন্দর আছে।

------ সমাপ্ত------

[জানি না এই গল্পটা কার কেমন লেগেছে। কারণ, সেইভাবে কমেন্ট পাইনি। সুতরাং নিজের ভুল গুলো সংশোধন করতে পারিনি৷ এখানেই গল্পের যেহেতু শেষ তাই এর জন্য না হয় কমেন্ট গল্প সম্পর্কে কিছু জানাবেন।। যাতে আগামী তে লেখার সময় নিজের ভুলগুলোকে শুধরে নিতে পারি। আপনাদের পছন্দ অপছন্দের ফলেই লেখার উৎসাহ আসে। আল্লাহ হাফেজ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। 🙂🙂]

23/12/2021

#হ্যাঁ_তোকেই_ভালোবাসি
#পর্বঃ৪৪
#জান্নাতুল_তানজীম_রহমান_তিশা

নীলা ঝুমকে খাওয়ানো শেষ হলে ঝুমকে খেলতে বলে আর নীলা গীয়ে নীলের আম্মুকে কাজে সাহায্য করতে থাকে। কিছুক্ষন, বাদে নীল নিচে নামে এবং খেয়ে বেরিয়ে পরে। নীলা সেই দিকে না ভেবে নিজের কাজে মনোযোগ দেয়। কাজ করার সময় নীলের মা নীলাকে বলে,

নীলের মাঃ নীলা মামনি।

নীলাঃ জ্বি, আন্টি।

নীলের মাঃ দেখো মামনি তোমাদের বিয়েটা এতো তাড়াতাড়ি হয়ে গেল যে তেমনভাবে কিছুই করতে পারলাম না। আর আজ তোমাদের বউভাতের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, উনাদের সবার প্রোজেক্টটা থাকার কারনে অনুষ্ঠানটা হচ্ছে না।

নীলাঃ আন্টি কোনো সমস্যা নেই। সবার যখন সময় হবে তখন না হয় আবার
আন্টি হই। নাকি মায়ের মতো ভাবতে পারছিস না কোনটা??

নীলাঃ তেমন কিছু না আন্টি আসলে অনেক দিনের অভ্যাস তো তাই আর কি। একটু সময় লাগবে।

নীলের মাঃ তা ঠিক আছে।

এইভাবে তারা ২ জন কথা বলতে বলতে কাজ শেষ করল। সন্ধ্যায়, নীলের বাবা বাড়ি ফিরে। নীলের মা নীলের কথা জিজ্ঞেসা করলে বলে নীলের নাকি কাজ আছে সে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরবে।

নীলা রাতে ঝুমকে খাইয়ে দিয়ে ঘুম পারিয়ে দেয়। এবং নিচে এসে দেখে যে নীলের মা নীলের জন্য অপেক্ষা করছে তাই নীলা নীচে গিয়ে তাকে বলে,

নীলাঃ মামনি

নীলের মাঃ আরে নীলা তুমি। তুমি আবার নিচে আসতে গেলে কেনো ঝুম ঘরে একা আছে। যাও ওর কাছে যাও

নীলাঃ ঝুম ঘুমিয়ে পরেছে। রাফিন আসলে আমি দরজা খুলে দিব।

নীলের মাঃ নীলের উপর এখনো রেগে আছো। আমি মানছি নীল না যেনে তাড়াহুড়ো করে একটা....

নীলাঃ থাক না মামনি। আগের কথা টেনে কি লাভ বল। যা হওয়ার হয়ে গেছে। আর সত্য একদিন সামনে আসবেই। এইসব নিয়ে আর চিন্তা করো না। অনেক রাত হয়ে গিয়েছে তুমি ঘরে গিয়ে শুয়ে পর।

নীলা জোর করে নীলের মাকে তার ঘরে পাঠিয়ে দেয় এবং নিজের রুম থেকে ল্যাপটপ আর কিছু ফাইল এনে সেইগুলো দেখতে থাকে। রাত ৩ টার দিকে নীল বাড়ি ফিরে নীল মনে করেছিল বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পরেছে। তাই সে তার কাছে থাকা বাড়ির ডুব্লিকেট চাবি দিয়ে বাড়ির মধ্যে ডুকে এবং নীলাকে দরজার সামনের সোফায় বসে থাকতে দেখে নীল অবাক হয়ে ঘড়ির দিকে তাকায় এবং দেখে রাত ৩ টা বাজে। নীল নীলাকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই নীলা বলে,

নীলাঃ ফ্রেশ হয়ে এসো খাবার দিচ্ছি।

নীলঃ আমার খিদে নেই। আমি খাবো না।

নীলা কিছু না বলে রান্না ঘরে যায় এবং খাবার গরম করতে থাকে। তা দেখে নীল অবাক হয়। তারপরও, কিছু না বলে নিজের রুমে যায় এবং সেখানে ঝুম কে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে ঝুমের কপালে চুমু দিয়ে ফ্রেশ হতে যায়। বেরিয়ে এসে দেখে নীলা তার জন্য খাবার গরম করে এনে রেখেছে টেবিলে আর নিজে সোফায় শুয়ে আছে। খাবার এর পাশে একটা চিরকুট রাখাছিল তাতে লিখা,

রাফিন,

খাবারটা খেয়ে নিন। আমি জানি আপনি না খেয়ে আছেন।

চিরকুটটা পরে অবাক হয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকল নীলার দিকে। তারপর, খেয়ে লাইটা অফ করে ঝুমের পাশে গিয়ে ঝুমকে নিয়ে শুয়ে থাকল।

নীল নীলার উপর রাগ দেখালেও ঝুমের সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করে না বা ঝুমের কোনো রাগ রাখে না। নীল মনে করে ঝুমের এখানে কোনো দোষ নেই যা অন্যায় করার নীলা করেছে আর তার শাস্তিও নীলাকে পেতে হবে।

এভাবে দেখতে দেখতে ৩ মাস কেটে যায়। ঝুম এখন স্কুলে যায়। সকালে নীল অথবা নীলা ওকে ওর স্কুলে নিয়ে যায় এবং দুপুরে নীলের মা গিয়ে নিয়ে আসে। নীলাও এখন ওর বাবার কোম্পানিতে ওর দাভাই এবং ওর বাবাইয়ের সাথে কাজ করে। একদিন দুপুরে নীলা মিটিং রুম এ কোম্পানির একটা প্রোজেক্ট নিয়ে কথা বলছিল। সেখানে নীলের কোম্পানি লোক এবং নীল ওর বাবা ২ জন উপস্থিত ছিল৷ তখন নীলার এসিস্ট্যান্ট তাড়াতাড়ি মিটিং রুমে ডুকে বলে

ঃ ম্যাম, আপনার একটা জরুড়ি কল এসেছে।

নীলাঃ আমি এখন কাজ করছি। যাও বলো পরে কথা বলব।
এটা বলে নীলা আবার মিটিং করতে নিলে। এসিস্ট্যান্ট বলে উঠে,

ঃ ম্যাম, উনি বলছেন, উনি ঝুম ম্যাম এর ব্যাপারে কিছু বলতে চায় আপনাকে।

ঝুমের কথা শুনে নীলা কথা বলতে রাজি হয় এবং ফোনটা নিয়ে এক সাইডে চলে আসে।

নীলাঃ হ্যালো। কে

অপরপাশেঃ.................

কিছু একটা বলার সাথে সাথে নীলার হাত থেকে ফোনটা পরে যায়। নীলার হুশ আসতেই নীলা ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে। কলটা কেটে গেছে। নীলা সাথে সাথে নীলের মাকে ফোন করে
.............

#চলবে

20/12/2021

#হ্যাঁ_তোকেই_ভালোবাসি
#পর্বঃ৪৩
#জান্নাতুল_তানজীম_রহমান_তিশা

নীলঃ এই যে আবার শুরু হয়ে গেল

বলেই ২ জনেই দৌড়াতে লাগল, নীল সামনে আর নীলা তার পিছনে।

নীলের বাবাঃরাফিন এইদিকে একটু আসো। আর নীলা মামনি তুমি একটু তোমার মামনির কাছে যাও। আমি রাফিনের সাথে কথা বলব।

নীলাঃ আচ্ছা।

নীলা চলে যেতেই নীলও ওর বাবার সাথে নীলের বাবার ঘরে গেল। নীলের বাবা নিজে বসে নীলকেও বসতে বলেন। নীল তার বাবার কথায় তারপাশে গিয়ে বসল। নীলের বাবা কিছুক্ষন চুপ থেকে একটা কাগজের খাম নীলের হাতে দিলেন। খাম দেখে নীল তার বাবাকে বলল,

নীলঃ এটাতে কি আছে বাবা।

নীলের বাবাঃ তোমার জন্য টিকেট।

নীল খামটা খুলে দেখল একটা পাসপোর্ট আর একটা টিকেট। নীল কিছু না বলে খামের মধ্যে আবার পাসপোর্ট আর টিকেটা ঢুকিয়ে পাশের টেবিলে রেখে উঠে গেল। আর বলল

নীলঃ আমার পক্ষে কোথাও যাওয়া সম্ভব না বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও।

ঃ তোমাকে যেতে হবে নীল। জিদ দেখিও না।

নীল পিছনে ফিরে দেখল নীলার বাবা দাড়িয়ে আছেন।

নীলঃ আঙ্কেল আমার পক্ষে নীলাকে ফেলে যাওয়া সম্ভব নয়।

নীলের বাবাঃ নীলা মামনি তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না।

নীলঃ তাও বাবা।

নীলের বাবা আর নীলার বাবা অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, নীল কিছুতেই যেতে রাজি হয় না। টানা৷ ২ দিন ধরে বুঝানোর পর একপ্রকার জোড় করেই বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এইসবের কিছুই নীলা জানতে পারে না। নীলা যখন নীলের খোঁজ করে তখন ওকে জানানো হয়। নীলের পরীক্ষার জন্য নীলকে তার স্কুল থেকে অন্য স্কুলে পাঠানো হয়। নীলা তখন এইসবের কিছু বুঝতো না তাই নীলাকে যা বুঝানো হতো ও তাই সত্যি মেনে নিত। আস্তে আস্তে নীলা বড় হয় তখন ও বুঝতে পারে যে এতো দিন সবাই তাকে মিথ্যা কথা বলে এসেছে। তখন সত্যিটা জানতে চাইলে কেউ তাকে বলে না। তারপর একদিন ও সব কিছু ওর দা ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারে। এর পর থেকে নীলা আর এই বেপারে কাউকে কিছু বলেনি।

বর্তমান,

ভোরে দরজা খোলার শব্দে নীলা অতীত থেকে বাস্তবে ফিরে আসে। নীলা বারান্দায় দাঁড়িয়েই বুঝতেই পারছে যে, নীল ঘরে ঢুকে ফ্রেশ হতে চলে গেছে। নীল ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে নীলা এখনো ঘরে নেই বারান্দার দিকে তাকিয়ে দেখে নীলা এখনো সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। এখনো গায়ে বিয়ের সাজ দেখেই বুঝা যাচ্ছে সারা রাত বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল। নীল ও আর কিছু না বলে বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পরে। নীল ঘুমানোর কিছুক্ষন পর নীলা একটা লম্বা শাওয়ার নিয়ে বের হয়। তারপর নিজের ফোন বের করে কাউকে একটা ফোন করে। বেশ কিছুক্ষন কথা বলতে ঘরে আসতেই দরজায় কেউ নক করে নীলা ফোনটা রেখে দরজা খুলতেই নীলা পুফিকে দেখতে পায়। আর সাথে সাথে নীলার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায় তাও নিজেকে সামলে বলে,

নীলাঃ কি হয়েছে?

পুফি নীলাকে সরিয়ে ভিতরে ঢুকতে গেলে নীলা হাত দিয়ে আটটা দেয়।

নীলাঃ যা বলার এখান থেকেই বল। ভিতরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

পূফি কিছু বলার আগে নীলের দুইজন কাজিন এসে নীলাকে বলল যে, নীচে সবায় তার জন্য অপেক্ষা করছে। এটা বলে চলে যেতে নিলে নীলা বলে,

নীলাঃ এই শুনো। এই মেয়েটাকেও সাথে নিয়ে যেও।

বলে মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দেয়। আর দরজার অপরপাশে দাঁড়িয়ে পুফি রাগতে থাকে।এবং বলতে থাকে,

পুফিঃ এর শোধ তো আমি নিবোই। এখন কিছু তোমাকে করব না। কিন্তু, দেখো আমি তোমার কি হাল করি। বলে পুফি সেইখান থেকে চলে যায়

নীলা নীলকে উঠাতে চাইলো। কিন্তু, গত রাতের কথা মনে হতেই নীলা আর কিছু বলল না। চুপচাপ নিজের রেডি হয়ে নিচে চলে গেল। নিচে গিয়ে দেখে ঝুম নিচে বসে আছে। তাই নীলা ঝুমের কাছে গেল বলল,

নীলাঃ ঝুম,

ঝুমঃহুম, মাম্মাম বলো।

নীলের মাঃ নীলা মা এসেছিস। এখন একটু ঝুম কে খাইয়ে দেত। কত চেষ্টা করলাম কিন্তু তার এক কথা। মাম্মামকে ছাড়া খাব না।

নীলা কিছু বলল না হালকা হেসে ঝুমকে খাইয়ে দিতে লাগল।
.....................

#চলবে

26/07/2021

#হ্যাঁ_তোকেই_ভালোবাসি
#পর্বঃ৪২
#জান্নাতুল_তানজীম_রহমান_তিশা

নীলঃ তোকে বুঝতে হবে সব শিখতে হবে। তুই বড় হচ্ছিস। এইগুলো না জানলে পরে তোরই সমস্যা হবে। তাই ( নীলার দিকে তাকাতেই নীল থেমে যায় কারণ নীলার চোখ অসম্ভব রকমের লাল হয়ে আছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে নীলার তাকিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে।) নীল আর কিছু বলবে তার আগেই নীলা চোখ বন্ধ করে নেয়। তাই নীল নীলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

নীলের বাসায়,

নীলের মাঃ কিরে নীল আজ ফিরতে দেড়ি হলো যে?

নীলঃ নীলার বাসায় গিয়েছিলাম, নীলাকে দেখতে।

নীলের মাঃ ও আচ্ছা ঠিক না। কিন্তু, কেনো?

নীলঃ নীলা অসুস্থ তাই ও কেমন আছে তা দেখে আসলাম। গা

নীলের মাঃ নীলা কেমন আছে এখন?

নীলঃ এখনো জ্বর আছে। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।

জতিওনীলের মাঃ আচ্ছা যা।

ঃ আসসালামু আলাইকুম ভাবি। কেমন আছেন?

ঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাবি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনারা কেমন আছেন?

ঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো। নীল বলল নীলা অসুস্থ।

নীলার আম্মুঃ হ্যাঁ। কিন্তু, নীল জানলো কীভাবে?

নীলের মাঃ কেনো নীল তো গিয়েছিল আপনাদের বাসায় ও দেখা করেনি আপনাদের সাথে?

নীলার আম্মুঃ কই নাতো আমরা তো কেউ ওকে দেখলাম না।

নীলের মাঃ ও। আমি ওর হয়ে ক্ষমা চাইছি। এরপর থেকে ও আর এমন করবে না ।

নীলার আম্মুঃ আরে ভাবি এইভাবে কেনো বলছেন। নীল নীলাকে নিয়ে চিন্তিত ছিল, তাই হয়তোবা আমদের কারো সাথে দেখা করতে পারেনি।

নীলের মাঃ তাও ভাবি

নীলার আম্মুঃ আর কিছু না এই নিয়ে ছেলেটার সাথে রাগারাগি করবেন না।

এরপর তারা আর কিছুক্ষন কথা বলে ফোন রেখে দিল। নীলের মা নীলের ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কিছু একটা ভাবছিল। নীল সেটা খেয়াল করে ওর মাকে ভিতরে আসতে বলল,

নীলঃ কিছু কি বলবে?

নীলের মাঃ তুই নীলার বাসায় গেলি অথচ নীলার বাবা মার সাথে দেখা করে আসলি না কেনো?

নীলঃ সরি মা। আমি নীলাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম তাই ওর মা-বাবার সাথে দেখা করার কথা মনে ছিল না। আমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিব।

নীলের মাঃ ঠিক আছে। কিন্তু, পরবর্তীতে এই বিষয়টা খেয়াল রাখবে।

নীলঃ ঠিক আছে আম্মু।

নীলের মাঃ আমি খাবার দিচ্ছি নিচে এসে খেয়ে যাও।

বলে তিনি বেরিয়ে গেলেন। এরপর আরো চারদিন কেটে গেল। নীল প্রতিদিন ছুটির পর নীলাকে দেখে আসত। নীলাও এখন অনেকটা সুস্থ। পরেরদিন সকাল বেলা নীলা নীলের বাসায় গিয়ে সোজা নীলের ঘরে চলে যায়।

নীলাঃ নীল তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছো?( কাদোকাদো মুখ করে বলল)

নীল নীলার এমন কথায় কিছুটা অবাক হয়,

নীলঃ মানে, কি পাগলের মতো কথা বলছিস। আর যদি যাইও তাতে তোর কি আসে যায়, তোর জন্য তো ভালোই কেও আর তোকে শাসন করতে পারবে না, বকা দিবে না, তোর সাথে কেও ঝগড়া করবে না। ইস, তোর এই কথাটা যদি সত্যি হতো।

নীলাঃ ( নীলকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলল) না তুমি যাবে না আমি আর কখনো তোমার কথার অবাধ্য হবো না। তোমাকে জ্বালাবো না তুমি যাবে না, প্লিজ।

নীলা কান্না করলে নীলাকে দেখতে আরো সুন্দর লাগে। কিন্তু, নীলার চোখের পানি নীল সহ্য করতে পারে না। তাই ওকে কোলে নিয়ে সোফায় বসে চোখ মুছে বলে,

নীলঃ আমি কোথাও যাবো না তোকে ছাড়া। আমার নীলাকে ছাড়া আমি কি করে থাকব। এবার থাম আর কান্না করিস না। কান্না করলে তোকে শাকচুন্নির মতো লাগে।

নীলাঃ কি বললে? আমাকে শাকচুন্নির মতো লাগে। তোমাকে বাদরের মতো লাগে বাদরের মতো।

নীলঃ এই যে আবার শুরু হয়ে গেল

বলেই ২ জনেই দৌড়াতে লাগল, নীল সামনে আর নীলা তার পিছনে।

নীলের বাবাঃরাফিন এইদিকে একটু আসো। আর নীলা মামনি তুমি একটু তোমার মামনির কাছে যাও। আমি রাফিনের সাথে কথা বলব।
......................

#চলবে

14/07/2021

#পদ্মপাতা
#পর্বঃ১৪
#জান্নাতুল_তানজীম_রহমান_তিশা

তিশার বড়বোনঃ আম্মু,,,,,

তিশার আম্মুঃ এখন বাদ দে তোর আব্বু আসলে দেখা যাবে।

রাতে, খাবার টেবিলে

তিশার আব্বুঃ তিশা

তিশাঃ আমার যা বলার আমি কালকেই বলে দিয়েছি এই নিয়ে কিছু শুনতে বা বলতে চাই না।

তিশার আব্বুঃ আমি তাও শুধু তোমাকে ডাক দিয়েছি।

তিশাঃ হুম আমি জানি তাই তো সারা এবং তোমার প্রশ্নের উত্তর ২ টাই দিয়ে দিলাম। ( খাবার এর দিকে তাকিয়ে)

তিশার আব্বুঃ তুমি আজকের পর থেকে আর কখনো তোমার বড়বোনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিবে না।

তিশাঃ আমি এর উত্তর আগেও দিয়েছি।

তিশার আব্বুঃ তিশা তোমার স্পর্ধা দেখে আমি অবাক হচ্ছি। তোমাকে আমি কিছু বলছি না তাই তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারো না। আমি যখন বলেছি তখন তুমি ওর ব্যাপারে কথা বলবে না। ( চেচিয়ে বলল)

তিশাঃ কিন্তু, বাবা ও যাদের সাথে চলছে তারা ভালো না।

তিশার আব্বুঃ তাও ভালো তাও তো তোমার জন্য আমাদের কথা শুনতে হয়েছে।ওইটা আমি ভুলে যাইনি, আর তুমি কি

তিশাঃ ব্যস , আর কিছু আমি শুনতে চাই না। ওই কথার প্রমাণ আমি করতে চেয়েছি ভুলে যাবেন না সেদিন আমাকে কিছু বলার সুযোগ দেননি। বেশ বলব না কিন্তু, ভুলবশত যদি কোনো দিন আমাকে এই নিয়ে একটাও কথা শুনতে হয় তাহলে সেইদিন আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। ( বলে তিশা খাবার ছেড়ে চলে যায়)

সেইদিন সারারাত তিশা জানালার পাশে বসেছিল। তারপর ২দিন ও ওর ঘর থেকে বের হয়নি এবং ওর পরিবারের সাথে কথা বলা কমিয়ে দেয়। নিজেকে সব সময় এইসব থেকে দূরে রাখে।

২ বছরপর,

নদীর পারে,

তিশা খেয়াল করে সাজ্জাদ অনেক্ষন ধরে ওর দিকে তাকিয়ে আছে তাই ও নদীর দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে সাজ্জাদের দিকে তাকায় এবং বলে,

তিশাঃ কি হয়েছে এভাবে কি দেখছ??

সাজ্জাদঃ দেখছি না মিলানোর চেষ্টা করছি।

তিশাঃ কি?

সাজ্জাদঃ ১ বছর আগের তিশা আর এখন কার তিশা।

তিশাঃ সেই তিশা আর এই তিশা একি আছে। শুধু একটাই তফাত সেটা হলো তখন সবাই তিশার এক রুপেই তিশাকে চিনে। কিন্তু এখন কেউ একজন আছে যে তিশাকে তিশার ২ রুপেই চিনে।

সাজ্জাদঃ ১ বছর আগেও আমি ভাবতাম। আসলেই কি আমি ঠিক মানুষটাকে পছন্দমতো করেছি নাকি ভুল। সবার মতো আমার ও ধারণা ছিল তুমি বদমেজাজি খিটখিটে টাইপের মেয়ে। কিন্তু এই একটা বছরে আমার ধারণা পাল্টে গিয়েছে। এখন বলতে সমস্যা নেই যে, আমি একজন ঠিক মানুষকে ভালোবেসেছি।

সাজ্জাদের কথায় তিশা একটা মুচকি হাসি উপহার দেয়। হ্যাঁ তিশা আর সাজ্জাদের সম্পর্কে ১ বছর হয়ে গিয়েছে।

১ বছর আগে,

হঠাৎ রাত ৩ টায় সাজ্জাদের ফোন বাজতে থাকে সাজ্জাদ অনেক কষ্টে চোখ মেলে দেখার চেষ্টা করে যে কে এতো রাতে ফোন করেছে। তিশার নাম দেখেই ওর ঘুম উরে যায়। তাড়াতাড়ি ফোন রিসিভ করে। কিন্তু ওপর পাশ থেকে কোনো শব্দ শুনতে না পেয়ে অনেক চিন্তাই হয়ে পরে। কিছুক্ষন পর, তিশা বলে

তিশাঃ i love u Sazzad.

সাজ্জাদঃ সাথে সাথে বলে মজা করছিস আমার সাথে। তিশা মাঝরাতে এই ধরনের মজা ভালো লাগছে না।

তিশাঃ আমি অনেক খারাপ তাই না। আমাকে ভালোবাসা যায় না আমাকে বিশ্বাস করা যায়না তাই না। বেশ আমি আর তোকে ফোন করে বিরক্ত করব না।

সাজ্জাদ তিশার কথায় এতোটাই অবাক হয়ে গিয়েছে যে কিছু বলতেও পারছে না। সে যেই কথা শুনার জন্য গত ৪ বছর এতো কষ্ট করেছে সেই কথাটা শুনে ও কথা খুশিতে কিছু বলার সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু হঠাৎ খেয়াল করল তিশার ভয়েজটা কেমন জানি শুনাচ্ছে।

সাজ্জাদঃ তিশা কি হয়েছে তোর তুই কান্না করছিস কেনো।

তিশাঃ কই না তো।

সাজ্জাদঃ তিশা তুই সত্যি আমাকে ভালোবাসিস তো নাকি কাল সকালে আবার বলবি যে সব নাটক ছিল।

তিশাঃ তোর কি মনে হয়।

সাজ্জাদঃ আমার তো মনে হচ্ছে তুই মিথ্যা বলছিস।

তিশাঃ এতোগুলো বছর যখন না বলাম তখন বিশ্বাস করলি না এখন যখন স্বীকার করছি তখন মিথ্যা মনে হচ্ছে।

সাজ্জাদঃ কাল আমার সাথে দেখা করতে পারবি।

তিশাঃ ঠিক আছে।

সাজ্জাদঃ তাহলে এখন একটু ঘুমা কাল তোর সাথে কথা বলব।

তিশাঃ ঠিক আছে। ( বলে কল কেটে দেয় )

#সমাপ্ত

[কিছু রহস্য হিসাবেই রেখে দিলাম। ইনশাল্লাহ ২য় খন্ড নিয়ে আসব। আল্লাহ হাফেজ ]

03/06/2021

#হ্যাঁ_তোকেই_ভালোবাসি
#পর্বঃ৪১
#জান্নাতুল_তানজীম_রহমান_তিশা

নীলের বাড়িতে,

নীলাকে নীলের কাজিনরা রুমে রেখে গিয়েছে। কিছুক্ষন পরেই নীল রুমে আসে। নীলা সেইদিকে একবার তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে নেয়। সারা ঘরে নিরবতা বিরাজ করছে। নিরবতা ভেঙে নীল বলল,

নীলঃ কেনো করলে এমন। কি দোষ করেছিলাম আমি।

নীলাঃ নিশ্চুপ

নীলঃ এবার কিছুটা রেগে নীলার বাহু চেপে জিজ্ঞেসা করে। কেনো এমন করলি কি দোষ ছিল আমার। কেনো কথার খেলাপ করলি। কথা দিয়েছিলি তো ছোটবেলায় খেলার সময় কখনো আমাকে ছেড়ে যাবি না কখনো অন্য কারো হবি না। তারপরও, কেনো এমন করলি। আসলে তোকে বিশ্বাস করাই ভুল হয়েছে আমার। ( নীলাকে ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়) । আমি তো ভুলেই গেছিলাম তোর থেকে আর কি আসা করা যায়। তোর ফুপি ঠিকি বলে তুই নিজেরটা ছাড়া আর কারোটা বুঝিস না। যেমন আমাকে বুঝিসনি। ঐ দিনও তুই আমাকে বুঝিসনি। আমি যাওয়ার আগে একটিবার তোর সাথে দেখা করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু,তুই দেখা করিসনি। চলে যাওয়ার পর অনেকভাবে চেষ্টা করেছি যোগাযোগ করার কিন্তু তাও তুই যোগাযোগ করিসনি। তুই একবারও জানতে চেয়েছিলি আমি কেমন আছি ওইখানে আমার কি অবস্থা ছিল। তুই চাইলেই জানতে পারতি কিন্তু না তুই তা করিস নি। এইসব বাদ দিয়ে দিয়েছি কারণ তখন তুই ছোট ছিলি তাই। কিন্তু যখন এতোগুলো বছর পর আমি যখন এলাম তখন কি করলি আমাকে ইগনোর করা শুরু করলি। কেনো তুই তো আমাকে ওইদিনই চিনতে পেরেছিলি আমি না হয় তোকে চিনতে পারিনি কিন্তু তুই তো পেরেছিল। সব কিছু পাল্টে দিলি তুই তোকে আমি ভালোবেসে আপন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুই তা করতে দিলি না। আমার কথা হয়তোবা নাই ভাবলি। কিন্তু ঝুমের কথাটা তো একবার ভাবতে পারতি। নিজের সুখের জন্য একটা বাচ্চা মেয়েটার জীবনটা নষ্ট করতে একবার তোর বিবেকে বাধলো না। ঝুমের সকল দায়িত্ব আমি নিব কিন্তু আমি তোকে কোনোদিন ক্ষমা করব না।

নীলাকে কিছু বলতে না দিয়ে ছাদে চলে যায়। নীলা সেখানেই থ মেরে বসে থাকে। নীলা আগে থেকেই জানত নীল ওকে এইরকম কিছু বলবে। অন্যদিন হলে নীলা প্রতিবাদ করত কিন্তু নীলার হাতে প্রমাণ না থাকায় নীলা কিছু বলতে পারছে না। এই মুহুর্তে চুপচাপ সহ্য করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু, নীলা যতই এইসব মাথা থেকে ঝেরে ফেলার চেষ্টা করছে ততই নীলের প্রতিটা কথা ওর কানে বেজে চলেছে। ও না চাইতেও ওর চোখ থেকে কয়েক ফোটা পানি গরিয়ে পরে। আজ নীলার মনে তার অতীতে হানা দিচ্ছে যা এতো দিন তা নিজের মধ্যে দমিয়ে রেখেছে।

অতীত,

ঃনীল, নীল এই নীল।

নীলঃ এই নীলা আমি তোকে কতো দিন বলেছি আমাকে নাম ধরে ডাকবি না। আমি তোর থেকে বয়সে অনেক বড়।

নীলাঃ তো কি হয়েছে আমি তো তোমাকে নীল বলেই ডাকব। আর আমি ছাড়া তো তোমাকে আর কেও নীল বলে ডাকে না সবাই তোমাকে রাফিন বলেই ডাকে। আর পাশের বাসার ওই উমা যে তোমাকে রাফিন বলে ডাকে ও তো আমার সমান তাহলে আমি নীল বলে ডাকলে তোমার কি সমস্যা হয়। ও ডাকলে কিছু না আমি ডাকলেই সব দোষ।যাও কথাই বলব না তোমার সাথে।

বলে নীলা বেরিয়ে পরে। নীল নীলার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে নিজেকেই বলে,

নীলঃ পাগলি একটা। এখন কান্না করতে করতে আম্মুর কাছে যাবে আমার নামে এতোগুলা বিচার দিবে। তারপর, কিছুক্ষন পর আবারও আসবে।

রাতে খাবারের সময়,

নীলের আম্মুঃ রাফিন, নীলা মামনি কোথায়।

নীলঃ দেখো হয়তো বা কোথাও মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।

নীলের আম্মুঃ কেনো মুখ ফুলিয়ে বসে থাকবে???

নীলঃ ও তো প্রতিবারই এমন করে এ আর নতুন কি। প্রতিবার আসবে আমাকে নাম ধরে ডাকার জন্য বকা খাবে আবার তোমার কাছে এসে বিচার দিবে তারপর কোথাও মুখ ফুলিয়ে বসে থাকবে। কেনো তোমার কাছে আজ বিচার দিতে আসেনি। ( ভাতের লোকমা তুলতে তুলতে বলল)

নীলের আম্মুঃ কই নাতো আমাকে তো আজ কিছু বলে নাই। আর তাছাড়া তুই ওকে বারবার কেনো বকিস বলতো। ( নীলের দিকে তাকাতেই দেখে নীল নেই) এটা আবার কোথায় গেলে।

রিয়াদঃ তুমি যখন ভাইয়াকে বকা দিতে ব্যস্ত তখনই ভাইয়া নীলাকে খুজতে বেরিয়ে গেছে।

অন্যদিকে,

নীলঃ হ্যালো আন্টি নীলা কোথায়।

নীলার আম্মুঃ ও তো বিকালেই বাসায় এসে রুমে দরজা বন্ধ করে বসে আছে। কতোবার করে ডেকে আসলাম কিন্তু সে এক কথা বলেই রেখেছে সে আসবে না নিচে। একটু আগে তোমার আঙ্কেল ওকে একটু খাইয়ে দিয়ে এসেছে।

নীলঃ ও আচ্ছা। আমি কাল এসে ওর সাথে দেখা করে যাবো।

নীলার আম্মুঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

নীলঃ এখন আমি রাখছি আন্টি। আল্লাহ হাফেজ
বলে নীল ফোন রেখে দে।

পরেরদিন, নীল স্কুলে গিয়ে জানতে পারে নীলা আজ স্কুলে আসেনি। তা শুনে নীল কিছুটা অবাক হলেও নীল কাউকে কিছু বলে না। স্কুল শেষে নীল বাড়িতে না গিয়ে সোজা নীলার বাড়িতে যায়। কাউকে কিছু না বলে নীলার রুমে চলে যায় গিয়ে দেখে যে নীলা শুয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে আছে।

নীলঃ আজ স্কুলে যাসনি কেনো৷ আর কালই বা ওইভাবে চলে আসলি কেনো।

নীলা তাকিয়ে দেখে নীল দরজায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে। নীলা চোখ ফিরিয়ে নেয়। নীল তা দেখে নীলার পাশে বসে অন্যদিকে তাকিয়ে বলে,

নীলঃ তোকে বুঝতে হবে সব শিখতে হবে। তুই বড় হচ্ছিস। এইগুলো না জানলে পরে তোরই সমস্যা হবে। তাই ( নীলার দিকে তাকাতেই নীল থেমে যায় কারণ নীলার চোখ অসম্ভব রকমের লাল হয়ে আছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে নীলার তাকিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে।) নীল আর কিছু বলবে তার আগেই নীলা চোখ বন্ধ করে নেয়। তাই নীল নীলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
...........
#চলবে

( জানি লেখাটা অগোছালো হয়ে গেছে। অনেক দিনপর লিখলাম তো তাই। ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন আর কেমন হচ্ছে তা জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।)

Want your public figure to be the top-listed Public Figure in Narayanganj?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Website

Address

Narayanganj