Sandip Chandra Das
মোহগ্রস্ত সন্যাসী আপনার কথা আর আমার কথা ভিন্ন কিছু অথবা বিশেষ কিছু নয়। শুধু তফাৎ এতটুকুই যে তা আমি লিখে প্রকাশ করি আর আপনি সেই কথাগুলো পড়েন।
আরেকটি ডিসেম্বর কি আমি পাবো? 🍂
আমি আমার মনের কথা বলতেও ইতস্তত বোধকরি। তো চোখের ভাষা আপনি পড়তে পারবেন না? 🙃
জানিনা কখন, কোথায়, কিভাবে আর কোন চোখের জুয়ায় নিজেকে আমি, তোমার কাছে খুয়ে ফেলেছি। নাহলে কেনই বা আমি আমার থেকে বেশি তোমার হয়ে গিয়েছি। 💗
৯'ই ডিসেম্বর ২০২৩ইং
শনিবার, এক শীত বিকেল।
নতুন সম্বোধন। মনে হলো কিছু বলি।
প্রিয় মনসুদর্শনী 🥀
হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেলেন। তাই সুন্দর ভাবনারাও একসাথে দল পাকিয়ে মনের আনাচে-কানাচে ঘোরাঘুরি করতে লাগলো। যেন ফুলের মিষ্টি সুগন্ধ পেয়ে চলে আসে ফড়িং, প্রজাপতি আর মৌমাছি। হুট করেই আরেকটি বিষয় হলো। খুঁজে পেলাম এক অদ্ভুত সুন্দর নাম। হয়তো এই শব্দই নেই শব্দকোষে অথবা আমি খুঁজেই পাইনি আজ অবধি। শুধু আজ এভাবেই মনে ভেসে উঠলো "মনসুদর্শণী"। অর্থাৎ যার মন সুন্দর আর যিনি নিজেও সুদর্শনা। সময়ের কারসাজি হলে কিছু, হয়তো আবার কথা হবে। সেদিন এই নামেই সম্বোধন করব সরাসরি। সেদিন মুঠোফোনের টাইপিং এ সুন্দর মুহুর্তের আগমন হবে। আবার হয়তো নাও হতে পারে। কেননা যে সুযোগ চলে যায়, তা একেবারের জন্যই চলে যায়। ফিরে যা আসে তা আফসোস। টুকিটাকি পাওয়ার আফসোস। যাক্ সেই আফসোসটাও নেহাতি মন্দ নয়৷ তো অপেক্ষায় রইলাম। আর হ্যাঁ আপনার কাছে এই লেখা পৌঁছে গেলে আপনি হয়তো ভেবে নিবেন এটা অন্য কাউকে বলা। কিন্তু, আদৌতেও কিন্তু তা নয়। আপনাকেই লেখা। তবে যদি এমনটা ভেবে ভালো লাগে, এমনটাই নাহয় ভাববেন, এতে সমস্যা নেই। কেননা আমিও তো ভেবে নিব এখন যে, এই লেখাটি আপনার অবধি পৌছাতেই পারেনি যেহেতু আপনার হতে কোনো জবাব অথবা প্রশ্ন কিংবা প্রতিক্রিয়া কিছুই আসবে না ফিরে। তো ব্যাপার না। আমি জানি সময় কোনো কারসাজি আবার করবে। প্রকৃতি নতুন কিছু তৈরি করবে। তাই অপেক্ষায় রইলাম।
তাহলে শীতের কুয়াশার মতোই এখন ভালো থাকুন আর নিজের মতোই সুন্দর থাকুন, প্রিয় মনসুদর্শণী! 🥀
ইতি
- অপেক্ষারত কেউ।
আমার এক অসম্পূর্ন লেখা বই। আসলে যখনই লিখতে যাই শব্দের, ভাবনা, অনুভূতির, সাহসের ঘাটতি পড়ে যায়। তাই বোধহয় কয়েকটা হাবিজাবি লিখে আর লেখা সম্ভব হয়নি। তবে আমার অজস্র ইচ্ছের মধ্যে এটাও একটা ইচ্ছে যে আমার লেখা দিয়ে আমার পরিচয় হবে। একজন কাল্পনিক লেখক হবো। তবে এটা অন্য বিষয় যে, লেখক হওয়ার যোগ্যতা কিংবা ক্ষমতা আমার মাঝে আমি কোনোভাবেই খুঁজে পাইনা। তাই কোনো এক সময়ে শুরু করে এখন অবধি বাকি রাখা লেখার একটি বই যার নাম রেখেছি "হাবিজাবি" তা এভাবেই আজ এখানে ছেঁড়ে দিলাম। কেন ছাড়লাম এই প্রশ্নের জবাব আমার কাছেও নেই। শুধু মনে হলো প্রকাশ করি। এখন খারপ কিংবা খুব খারাপ লাগতেই পারে। তার জন্য আমায় ক্ষমা করবেন।
হাবিজাবি !
PDF - https://drive.google.com/file/d/1slEps9ePlltH3lBrUIS9fTbZM40JMIIr/view?usp=drivesdk
মহাকাশে সফলতার গৌরব নিয়ে উড়ে যাওয়া মহাকাশযান আমি। এবার আমায় ফিরতে হবে ভেঙ্গেচুড়ে, শূন্যে চুরমার হয়ে। 💔
ছোটখাটো অসুখের গুজব হোক ;
অন্তত এই কারণেই প্রথম তোমার আমার আলাপ হোক।🙃
বাকি রেখেছি 💔
instagram.com/sandipchandradas_official
বদলে যাচ্ছি আমি ।
instagram.com/sandipchandradas_official
কেউই জানেনা তুমি জেগে আছো ঘুমন্ত শহরে ,
আর ভেবে যাচ্ছো আমাকে।
তুমি জাগে আছো চাঁদ হয়ে
আর পাহারায় আমি, হয়ে লক্ষ কিলোমিটার দূরের নিকটস্থ তারা।
কেউই জানেনা তুমি জেগে আছো ঘুমন্ত শহরে।
শূন্য পথে পথচারী আমি
তুমি না বললে বলো কি বলি আমি?
তুমি হাসছো ভীষণ দারুণভাবে
আর সময় হয়ে দেখছি আমি।
কেউই জানেনা এই ঘুমন্ত শহরে জেগে তুমি।
পুড়ে যাচ্ছো মনের মাঝের সব কবিতা
আমি উষ্ণতা পাচ্ছি ।
তুমি জেগে আছো এই ঘুমন্ত শহরে
তোমার স্বপ্নে পেয়ে গিয়েছি আমি!!
শহর জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল
তুমি রাত জেগে মনের সাথে করছো শান্তিচুক্তি
খোলা মাঠের কারাগার হতে বলছি আমি
আমার একমাত্র দাবী তুমি।
কেউই জানেনা তুমি জেগে আছো ঘুমন্ত শহরে।
ডিসেম্বরের শীত তোমায় যাচ্ছে ছুঁয়ে
আমি সেই ছুঁয়ে যাওয়া শীতের কুয়াশায় ভিজে বিভোর,
আমার ভীষণ জ্বর তোমায় ভেবে ভেবে
আমি চলে যাচ্ছি ঘুমের শহরে ।
তুমি জেগে কেন এই ঘুমন্ত শহরে?
ছেড়ে দিয়েছেন নেওয়া খোঁজখবর। আমি দেখা দেই তাহলে কি করে? 🙃
এসব কি জানতে চাচ্ছেন প্রিয়!! ছাড়ুন এই অংক, সংখ্যা, ইংরেজি ফিংরাজি,বিজ্ঞান-অজ্ঞান ইত্যাদি। সম্ভাবনা আছে পুরো বছর পড়েও, কিছু জিজ্ঞাসা করলে নাও বলতে পারার। আপনি বরং জিজ্ঞাসা করুন নিজের বিষয়ে। সম্ভবনা আছে আলোর গতিকে হারিয়ে মানিয়ে দিব। আপনাকে আপনি জানেন এটাকে ভুল প্রমাণ করে দিব। 💗
তার চোখের ভাষা নিমিষেই পড়ে ফেলতে পারি; ব্যাস্ এতটুকুই শিক্ষিত এই আমি। ❣️
হঠাৎ করেই তার আজ আমার স্বপ্নে আসার ইচ্ছে হলো। আমার ভোরের স্বপ্নে উনি আসবেন তাও আবার নীল শাড়িতে নিজেকে জড়িয়ে ! এখন আসবে বলেছে! নাহ্ তো করতে পারিনা তাই অনুমতি দিলাম। হুট করে আমি আমার বিছানা হতে গভীর ঘুমের পথ ধরে পৌঁছে গেলাম তার বাছাই করা নদীরধারের জায়গায় । ( জায়গাটা কোথায় নিজেও জানিনা তবে ভীষণ সুন্দর ) । তীব্র ভালো লাগায় মানুষকে সবথেকে আর সবার থেকে সুন্দর লাগে। রূপকথার পরীর মতো। সেও নীল পরী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর
আমি সেই এক রঙ্গা সাদা রঙ্গের পাঞ্জাবী যাকিনা একেবারেই তার সাথে আমাকে বেমানান লাগাচ্ছে। এর মধ্যে আবার একটু আকটু কুঁচি পরাও বটে ।(হুম আপনি যা ভাবছেন আমিও তাই ভাবছিলাম যে স্বপ্নটাতো আমিই দেখছিলাম তো চাইলেই নিজের পোশাকের মাঝে পরিবর্তন আনতে পারতাম তবে ইচ্ছে করে আনি নি কেননা স্বপ্নের মাঝে এতো কষ্ট করে ভাবতে মনে চাচ্ছিলো না !! )
যাইহোক। সবসময়ের ব্যস্ত শহর আজ অনেকটাই নিস্তব্ধ মনে হচ্ছে ! তবে তার ভয় - ডর নেই । সে হাসিমাখা মুখ নিয়ে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের এক গুচ্ছ নিয়ে বিশাল বট গাছের ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে আছে । বাঁধা চুলগুলোর মধ্যে থাকা কয়েকটা অবাধ্য চুল কানের পাশ হয়ে বাতাসের মধ্যে ভাসছে।
আমি হাজির এর মধ্যেই !!!
সে জানে আমি আবার ততোটা গুছিয়ে প্রেমটেম করতে পারিনা। তাই বোধহয় আমার কাছে কিছু দাবি না করেই ...... আস্তে করে ফুলের গুচ্ছটা ধরিয়ে দিয়ে বললো এই নাও তোমার প্রিয় ফুল ।
আমিতো ভেবেছিলাম আমার জন্যই এনেছে। তাই কিছুটা লজ্জাও লাগছে কারণ আমার হাতে কিছুই নেই। তার সাথে দেখা করতে এসেছি একেবারে শূন্য হাতে। কাজটা একেবারেই ঠিক হয়নি। কিন্তু কিচ্ছুক্ষন পরেই সে মুগ্ধকরা কন্ঠে বলে উঠলো ' ধরে নাও তুমি তোমার সবচেয়ে প্রিয় ফুলগুলো আমাকে দেওয়ার জন্যই এনেছ আর এখন তুমি সেগুলো আমাকে দিবে ! ( ঘুম ভাঙ্গার পর চেষ্টা করব আসলে ফুল কি সে দেওয়ার জন্য এনেছিল নাকি নেওয়ার জন্য )
তাকে প্রশ্ন করা কেন জানি আমার প্রাকৃতিক স্বভাব বিরুদ্ধ কাজ তাই প্রতিবারের মতো এবারও আমি কিছু দ্বিমত প্রকাশ না করে চটপট দিয়ে দিলাম আর সেও একেবারে মহা আনন্দে খান-খান হয়ে, টান দিয়ে নিয়ে নিল। আবার সাথে বললোও এত কষ্ট করে তোমার পছন্দের ফুল আমার জন্য আনার জন্য ...... ধন্যবাদ !
আমি বললাম তোমাকে ও ধন্যবাদ নিজের দেওয়া ফুল নিজেই আবার এতোটা আনন্দের সাথে গ্রহন করার জন্য । সে একটু হেসে বললো এনেছি তো আমি তবে পছন্দ তোমার আর নিয়েছিও তোমার হতে । 🙂
চলো হাটি , বাস্তবতায় তো অনেক হাটি তবে আজ কল্পনায় হাটি অনেক দূর অবধি নিজের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে । আমিও কিছু আর বলতে পারলাম তাই ঘুমিয়ে আছি ...... ঘুমিয়ে আছি । আর এক অশেষ পথে হাটছি। প্রিয় মানুষের সাথে হাটছি। নিজের একটা একেবারে নিজস্ব জগতে হাটছি।
কল্পনাতে বাস্তবতা উপভোগ করছি। 🌻
প্রিয় তোমার খোঁজ কেউ একজন মরিয়া হয়ে করছে! আমি বারবার আয়নার সামনাসামনি হলেই সে, আমায় তোমার কথা জিজ্ঞাসা করছে। 🥀
মৃত্যু ।
এটা কি খুব বড় একটি বিষয় ?
অন্তত ততটা, যতটা না মরে গিয়ে ভেবে রেখেছি!
যতক্ষন অবধি বেঁচে আছি ততক্ষন অবধি মৃত্যু কি?
যদি মরেই যাই তাহলে আর ভাববার থাকবে কি ?
আমার নাম থাকবে এক। সেই নামেই আমায় ডাকবে।
যার যার সাথে সম্পর্ক যা তাই থেকে যাবে। ছেলে যার ছিলাম ছেলেই থাকব। ভাই যার ছিলাম ভাই'ই থেকে যাব। বন্ধু যার ছিলাম বন্ধুই থেকে যাব। ভালো যাদের কাছে ছিলাম তাদের মনে ভালোই থেকে যাব। যারা অপরিচিত তারা অপরিচিতই থেকে যাবে। যা জানিনা তা না জানাই থেকে যাবে।
মৃত্যু কি বদলাবে?
মৃত্যুতে কি বদলে যাবে?
যদি বলো মনে কম করবে সবাই তাহলে সত্যি বলতে তাও মনে হয়না।
কেননা রোজ রোজ মনে করে এমন কেউ আদৌও হয় না।
জন্মদিনে আমায় সবাই অনুভব করবে,বরং এখন সাথে মৃত্যু নামক আরেকটি দিন বেড়ে যাবে।
মৃত্যুতে কি বদলে যাবে? হয়তো কিছু না।
আমার বিছানা। আমার পড়ার টেবিল । আমার কলম । আমার খাতা। আমার পোশাক। আমার কবিতা । সবই নষ্ট হয়ে যাওয়া অবধি আমারই নামে থাকবে। যদিও অন্য কেউ ব্যবহার করে তবুও আমারই থাকবে।
দিন গিয়ে রাত হবে। রাত পেড়িয়ে আবার দিন।
শীত কেটে গরম আসবে। আজকের মঙ্গলবার আসবে আরেকদিন। বন্ধুদের আড্ডা চলতে থাকবে। ছুটির কাটানোর পরিকল্পনা গড়তে ভাঙ্গতে তখনও থাকবে।
মৃত্যুতে কি বদলে যাবে?
যেই ফুল প্রিয় ছিল সেটা আমার চলে যাওয়ার সাথে থেকে যাবে, ফুটতে থাকবে।
যেই খাবার প্রিয় তা আজীবন আমার কাছের মানুষের জানা থেকে যাবে। কেউ না কেউ তা রেঁধে যাবে।
যেই রঙ্গ আমার ভালো লাগে, সেই রঙ্গটাও পৃথিবী হতে অদৃশ্য হয়ে যাবেনা।
মৃত্যুতে কি বদলে যাবে?
ঝগড়া ঘরে তখনও হবে।
আনন্দ তারপরেও হবে।
চায়ের আমেজ তখনও হবে।
কান্না হবে। হাসাহাসি হবে।
আমার থাকা না থাকায় কি বদলাবে?
মৃত্যুতে কি বদলে যাবে?
কেউ চিঠি লিখলে তখনও আসবে । পড়াও হবে,হয়তো অন্য কেউ পড়বে।
মুঠোফোনে কল তখনও বাজবে। কেউ না কেউ তখনও ধরবে।
আমার নামে কথা তখনও হবে।
মৃত্যু তে কি হবে?
মৃত্যুতে কি বদলে যাবে?
জীবন অনেক বড় । আবার ছোটও । কখনো এক মুহুর্তের মতো বড় । কখনো সহস্র যুগের মতো ছোট।
https://sandipchandradas1.blogspot.com/
ঐ একটি নম্বর খুব শখ করে সংগ্রহে রাখা হয়েছে । কিন্তু অদ্ভুত যে , সেই নম্বরে কখনো কলই করা হয়নি ।🙂
আজকের চাঁদের মতো আপনি।
অর্থাৎ - অতি সুন্দরী, ভীষণ অহংকারী আর খুব দূরে থাকা কেউ।🙂
আজ তোমায় অনেক সুন্দর লাগছে প্রিয়। শিউলি ফুলের মতো সুন্দর লাগছে। কবিতার পঙক্তির মতো লাগছে। খুব ইচ্ছে হচ্ছে অনেকক্ষণ ধরে বসে বসে আমি তোমায় শুনি। যদিও আমার জোট পাকিয়ে যাচ্ছে ধ্বনি উচ্চারণের প্রণালী। উল্টপাল্ট হয়ে যাছে, নিশ্বাস ছাড়ার পর নিশ্বাস নেওয়ার তাল। জ্বলছে ত্বক, যেন আনন্দের উত্তাপে পুড়ে যাচ্ছে হাঁড়ের উপরের ত্বক। ভালো লাগছে আলো দেখতে। যেই আলো বাহির হচ্ছে তোমার শরীর হয়ে চোখ সহানো আলো হয়ে। যেই আলো কাটিয়ে দিচ্ছে অন্ধত্বের অন্ধকার। অন্যদিকে অনুভব হচ্ছে তৃপ্তির। এমন তৃপ্তি, যেন হিমালয়ের চূড়ায় চড়ে পান করছি ঠোট জ্বালানো উষ্ণ চা। ভালো লাগছে। এমন ভালো যেন ঘুম ভাঙ্গার পর আলসেমো ভাঙ্গার শরীরের টান। প্রিয়, তোমায় দেখে মাটির মানুষ হতে, মাটির পুতুল হয়ে জমে যাচ্ছি।
প্রিয় আজ তোমায় অনেক সুন্দর লাগছে। প্রিয় তোমার কাছে অনুরোধ। অনুরোধ আমায়, তোমায় দেখার অনুমতি দাও। কথা দিচ্ছি চলে যাব। চলে যাব ; আমি আমার মত করে তোমায় দেখে, তোমার সুগন্ধে মো-মো করা এই শহর ছেড়ে। চলে যাব।
অনুমতি দাও! অনাধিকারীকে ব্যাস্ এই অধিকার-খানি দাও। তারপর চলে যাব, উল্টো না আসা ট্রেনের মতো। চলে যাব অতীতের সময়ের মতো৷ চলে যাব বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাওয়া কালো মেঘের মতো।
অনুমতি দাও প্রিয়! 🖤
একদিন প্রার্থনা করেছিলাম ঈশ্বর বড় বানিয়ে দাও। ঈশ্বর শুনে নিয়েছিলেন। তখন ছোট ছিলাম মন পরিষ্কার ছিল। এখন প্রার্থনা করছি ছোট বানিয়ে দাও। ঈশ্বর শুনছেনই না। বড় হয়ে মন অপরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। 💔
লুকিয়ে আছি আমি আপনার না দেখাতে!! যেইদিন দেখা হবে সেইদিন হুট করে অবচেতন মন জানান দিবে, কোথাও হয়তো দেখা হয়েছিল। ❤️
এতটাই নজরকাঁড়া আপনি যে,
নজরে পড়লেই নজর কাড়েন।
instagram.com/sandipchandradas_official
চোখে মৃত্যু নিয়ে জন্ম নিয়েছেন উনি। প্রতিদিন দেখে আমায় আর প্রত্যেকবার নতুন করে একটু একটু করে মারে আমায়। 💗
নীলাদ্রি - মুগ্ধ সাহেব একটি কথা বলব?
মুগ্ধ - একটি কথা মানে, কতগুলো শব্দ সংবলিত কথা বলতে চাচ্ছেন?
নীলাদ্রি- এখনো গুনে দেখিনি। বলার পর গুনে বলা যাবে। তবে আমার ধারনা খুব বেশি বড় হবে না।
মুগ্ধ - বলা ভীষণ জরুরি।
নীলাদ্রি - হয়তো আপনার জন্য নয়।
মুগ্ধ - আপনার জন্য?
নীলাদ্রি - অনেক জরুরী।
মুগ্ধ - আচ্ছা বলুন।
নীলাদ্রি - আপনাকে আজ কেন জানি অনেক সুন্দর লাগছে। যদিও আজই লাগছে এমন নয়। সব সময়ই লাগে। ব্যাস্ আজ মনে হলো বলা উচিত। আপনাকে ফুলের মত আজ সুন্দর লাগছে মুগ্ধ সাহেব! আপনি বোধহয় গত জীবনে ফুল ছিলেন। কিছু মনে করবেন না ফুল দিয়ে হয়তো ছেলে মানুষের সুন্দরতার প্রশংসা হয় না। তবুও কেন জানি আজ আমি আপনাকে ফুলের সাথে কল্পনা করছি।
মুগ্ধ- ফুল।
নীলাদ্রি - হ্যাঁ ফুল। ঐ যে দেখছেন বাগানের সেই একেবারে শেষের দিকে, বাম পাশের সবথেকে সুন্দর ফুলটি। ঠিক সেটার মতো।
মুগ্ধ - হয়তো। ধন্যবাদ।
কি সুন্দর ফুল। তবে বেশিদিন চারাগাছে থাকলে ঝরে মরে যাবে। আর ছিড়লে পঁচে মরে যাবে।
নীলাদ্রি - এর মানে?
মুগ্ধ - খুব সহজ। সুন্দরতা কাউকে টিকে থাকতে দেয় না। সুন্দরতা শুধু শেষের দিকে যায়।
instagram.com/sandipchandradas_official
জনাব! ভালোবেসেছেন কাউকে?
- হ্যাঁ বেসেছি! শুধু বেসেছি নাহ্ বরং ভালোবেসে যাচ্ছি।
কি উনার নাম?
- আছে সেই সুন্দরীর এক অসম্ভব সুন্দর নাম উনার। ওহ আচ্ছা বুঝলাম। আচ্ছা ভালোবাসার মানুষ ভালোবাসায় কি করে? কিভাবে ভালোবাসা বুঝায়?
- এইতো যতক্ষণ ভালোবাসা সামনে থাকে, ভালাবাসার দিকে ভালোবেসে তাকিয়ে থাকে।
এখন যেভাবে তাকিয়ে আছেন সেভাবে?
- হুম!!! হয়তো 😊
instagram.com/sandipchandradas_official
যদি আমি বোকার মতো ড্যাবড্যাব করে চোখের দিকে অপলক তাকিয়ে, বোকার মতোই জিজ্ঞাসা করি; আপনি সবসময়ই এমন শীতের সকালের ভেজা ঘাসের মতো সুন্দর ছিলেন নাকি আজই বরং একটু বেশি সুন্দরী লাগছেন! তাহলে কি হবে? 🙂
এক গোটা উপন্যাস আমি মাথায় নিয়ে ঘুরছি। ব্যাস্ উৎসর্গের পাতায় আপনাকে মনের মতো করে গুছিয়ে বুঝাতে পারব ওমন কিছু শব্দ লিখতে পারছিনা ৷ 🙃
কেন জানি হচ্ছে না!
instagram.com/sandipchandradas_official
২২ নভেম্বর ২০২৩ ইং
রাত গভীর হচ্ছে আর চাঁদ স্পষ্ট।
আমি পাহারায় আছি তারা হয়ে৷
প্রিয় নীলাদ্রি
আপনার না লেখা আর না পাঠানো চিঠির উত্তরে আমি পুরো এক খালিপাতার মধ্যে আগাম উত্তর লিখে পাঠালাম একটিমাত্র শব্দ ' হ্যাঁ '। এখন আপনি নিজের মতো করে প্রশ্নবোধক করে কিছু পাঠিয়ে দিন।
আশা করছি শীগ্রই আপনার না লেখা আর না পাঠানো চিঠিটি পেয়ে যাব, যার উত্তর কিনা আমি আগাম লিখে পাঠাচ্ছি৷ তো ভালো থাকবেন। আর নিজের অযত্ন করবেন না। আপনি কিন্তু আমার খুব প্রিয়।
ইতি
অপেক্ষারত কেউ৷ 🥀
এমন নয় যে মনে চায় না!
ব্যাস্ আমি মনকে বুঝিয়ে দেই এটা থাক্। 🙂
বরবাদ নিজেও বরবাদ হয়েছে আমায় পেয়ে৷ 🙂
instagram.com/sandipchandradas_official
আমি দেখতাম উনার সেই নদীর জলের মতো জলজল করা চোখ দুটোকে, যেমন হাজারো বছর পর কোনো পিপাসু খুঁজে দেখতে পেয়েছে জল। 🖤
দেখুন আজ হাঁটতে গিয়ে আপনার মতো কাউকে পেয়েছি। আপনার মতো হুবুহু যদিও নয় তবে খুব সুন্দর, আর অনেক দূরেরও সাথে । আমার সাধ্যের বাহিরে। চাইলে ধরে নিতে পারেন এখানের এই গাছটা আমি। আমি দেখতে পারব। পেতে পারবনা।
📷 সন্দীপ চন্দ্র দাস
নিজের প্রতি থাকা উনার তীব্র অনিহা, আমায় তীব্রভাবে আকৃষ্ট করেছিল।
নিজের অবকাঠামো কিংবা আদলে যে ছিলনা বিন্দুমাত্রও মোহগ্রস্ত, আমি উনাতে মারাত্মক মোহগ্রস্ত হয়েছিলাম।
যিনি জানতো;
লেখায় কাউকে আড়াল করতে, কবিতায় প্রকাশ করতে, সঙ্গীতে মনে করাতে, আমি তাতে মত্য হয়েছিলাম।
যিনি পারতো মন খুলে হাসতে, মন ভরে কাঁদতে, কল্পনায় বাস্তবতায় উড়তে; পারতো নিজেকে অনুবাদ করতে;
আমার সেই তাকে ভালো লেগেছিল।
লেগেছিল? নাকি লাগে? 🍂
instagram.com/sandipchandradas_official
দেখুন!! কিছু অনেক সুন্দর । কিছু আবার অসম্ভব সুন্দর। কিছুতো আবার অসংজ্ঞায়িত সুন্দর। এমন পয়তাল্লিশটি আপনার ছবি আমার ব্যক্তিগত সংরক্ষণে আছে। যেখানে কিছু ছবিতে আপনি শাড়ি পরেছেন। কিছুতে চুল খোপা বেধেছেন। কিছুতে ছেড়ে রেখেছেন। দু-চারটে ছবিতে হাতে সুন্দর সুন্দর চুড়ি। কপালে টিপ, চোখে কাজলের ছোয়া, আহা অনবদ্য। একেবারে চোখের ও মনের জন্য এক কথায় অমৃত। কয়েকটা রঙ্গিন ছবি, কয়েকটা সাদা-কালো। কিছুতে হাসিমুখে এদিকে তাকিয়ে আছেন, কিছুতে অন্যদিকে। কয়েকটাতে তো সাথে প্রকৃতি আছে, কয়েকটা ছবি এমনও যার মধ্যে ফোকাসে শুধু আপনি। সব মিলিয়ে এখন অবধি পয়তাল্লিশটি। তো বলছিলাম যে আর ছবি ছাড়ছেন না কেন? আপনাকে সংগ্রহ করার শখের তাহলে কি হবে? 🖤
আমার ভীষণ ভালো লাগে যাকে, তাকে তুমি রোজ আয়নায় দেখো। ঐ যে! যেকিনা তোমায় হুবুহু অনুকরণ করে। আ্যরে আমি সেই তার কথা বলছি - যেকিনা, তুমি যখন হাসো সেও হাসে। শাড়ি মুড়ি ঠিক করার সময় যখন আয়নার সামনে আসো; সেও আসে। তুমি চুল বাঁধলে বা ছাড়লে ; সেও বাঁধে বা ছাড়ে।
আমি সেই তার কথাই লিখছি, যেকিনা হুবুহু তোমার মতো নিখুঁত। যেকিনা তোমায় অনুকরণ করে।❤️
বলছি আরো সাবধানে আসবেন আপনি। এতটাই চাই আপনাকে যে চুরিও করে ফেলতে পারি আপনাকে। 🌻
হায়! বেহায়া হয়ে বেহাল সময় রোজ রোজ আমিই কাটিয়েই বদনাম হয়ে যাই। উনি তো অহংকারের অলংকারে নিজেকে জড়িয়ে সামনে দিয়ে পাশকাটিয়ে চলে গিয়েও সুনাম কুড়ায়।
instagram.com/sandipchandradas_official
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Address
Narayanganj
1432