Mithun
Bijoyer aj 38 bochor por o nije ke monehoy amra poradhin, Asolai ki amra sadin hote parchi? Ai sadinotar jonnoi ki 30 lak muktijodda okatore pran die chilo?
Ajker ai bangladesh dekar jonnoi ki jiboner mayea tag kore judde japie porechilo bir muktijod
বিজয়ের ৫২ বছর পরে। কাঙ্খিত বিজয় অধারা।
আজ ছোট্ট একটা গল্প বলি। কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী অবস্থিত প্রত্যন্ত একটি গ্রাম সুখিপুর। দক্ষিণবঙ্গের ছোট্ট একটি ছিমছাম গ্রাম। যেখানে প্রকৃতির সকল সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে স্রষ্টা। আধুনিকতা বা তথাকথিত উন্নয়ন যে এলাকায় বা এলাকার মানুষকে স্পর্শ করে নাই। খুব সহজ সরল মানুষের চলাফেরা আর দিনযাপন । কৃষি কাজই ছিল এ অঞ্চলের মানুষের মূল পেশা। হাতে গোনা কিছু ছেলে-মেয়ে এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত মাস্টারমশাই এর নিবিড় যত্নে,। মাঝে মাঝে শোনা যেতো কোনো কোনো ছাত্র বা ছাত্রী বৃত্তি পেয়েছে। হাইস্কুল ছিল পাশের গ্রামে। যারা সত্যিই পড়াশোনায় ভালো, তারা সেই হাইস্কুলে যেত । কিছু ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করতে স্থানীয় মাদ্রাসাতে। সর্বজনীন ধর্ম শিক্ষা ছিল মসজিদ / মন্দির ভিত্তিক। বিনামূল্যে পাঠদান হতো মক্তবে। মুসলমান ছাড়াও এই এলাকাতে বেশ কিছু হিন্দু বসতি ছিল। সকলেই নির্বিঘ্নে স্ব স্ব ধর্ম পালন করতো এবং অসাম্প্রদায়িক ভাবে বসবাস করতো । কারো মাঝে ছিল না কোন হিংসা অথবা ভেদাভেদ ।সচ্ছলতা না থাকলেও সুখ ছিল গ্রামবাসীর মনে ।
ছিল ছোট্ট একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অসুখে বিশুকে গ্রামের গরিব মানুষের ভরসা ছিল ঐ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। স্বাস্থ্যকেন্দ্রর দায়িত্ব ছিল ডাক্তার আপার উপর। আপার নাম ছিল নীলা। অপর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও লোকবল নিয়ে যতটুকু সেবা করা সম্ভব চেষ্টা করতেন ডাক্তার আপা। তিনি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তার রোগীদের স্বাস্থ্য পরিচর্যায় ব্যাস্ত থাকতেন । তিনি গুরুতর রোগিদের শহরের হাসপাতালে পাঠাতেন ।
এলাকার চেয়ারম্যানের নাম ছিল কাসেম আলী। তার এলাকার উন্নয়নের দিকে ছিল না কোনরকম মনোযোগ। যা সরকারি বরাদ্দ আসতো এলাকার মানুষের পিছে ব্যয় না করে নিজের সম্পদ বৃদ্ধিতে বেশি মনোযোগী ছিল । এলাকাতে না ছিল অবকাঠামগত উন্নয়ন,না, ছিল বিদ্যুৎ অথবা সেচ সুবিধা। কপোতাক্ষ নদ থেকে ছোট্ট একটি খাল দিয়ে পানি আসতো এলাকাতে এবং খরার সময় ওই পানি দিয়েই চলত সেচ কাজ। আর খালের মাছ ছিল গ্রামবাসীর আমিষের অভাব পূরণের প্রধান উৎস। এমন অবস্থায় এলাকার মানুষজন স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপর ছিল অত্যন্ত বিরক্ত।
একই এলাকায় আরেকজন সম্ভ্রান্ত গৃহস্থ ছিল হেলাল সাহেব। সে এলাকাবাসীকে বোঝাতে শুরু করলো যে কাসেম সাহেব তাদের সরকারি ভাবে আগতো বরাদ্দের টাকা মেরে এলাকার উন্নয়ন না করে তার নিজের আখের গোছাচ্ছে । এই টাকা দিয়ে সে নাকি শহরে একটি বাড়িও করেছে। গ্রামের সহজ সরল জনগণ এই কথা শুনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। হেলাল সাহেবের সাথে শলা পরামর্শ করে ঠিক করল যে এইবার কিছু একটা করতেই হবে । এমন ভাবে চলতে দেওয়া যায় না। হেলাল সাহেব বলল আগামী নির্বাচনে তাহলে আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানান এবং আমি আপনাদের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন করে দেখাবো। উন্নয়ন করে দেখাবো এই সুখিপুর গ্রামে।
দেখতে দেখতে পরবর্তী নির্বাচন চলে এলো, এবং গ্রামবাসী সবাই মিলে হেলাল সাহেবকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করল। নির্বাচনে জয়লাভের সাথে সাথে কাশেম সাহেবকে দুর্নীতির দ্বায়ে প্রথমে গ্রাম ছাড়া করা হলো।
যেহেতু এলাকাটা ছিল অত্যন্ত প্রত্যন্ত, তাই হেলাল সাহেব সবাইকে বলল যে শহর থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে আসতে অনেক সময় লাগবে তার চেয়ে একটা জেনারেটর বসালেই ভালো হয়, খুব সহজেই বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে । সবাই মাসে একটা নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। এই জেনারেটর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হল চেয়ারম্যানের ছেলেকে। ব্যা……স যেই কথা সেই কাজ, চেয়ারম্যানের ছেলে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করল ঠিকই কিন্তু ধার্য করা হলো, যে ব্যবহার হোক বা না হোক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল স্বরূপ চেয়ারম্যানের ছেলেকে দিতেই হবে। সহজ সরল মানুষ কিছু না বুঝে মেনে নিল সেই কথা । এরপর বুঝানো হলো যে গ্রামের খালটাকে বন্ধ করতে হবে। গ্রামের মাঝখান দিয়ে এই খালটা একদমই নিষ্প্রয়োজন এবং গ্রামের উন্নয়নের অন্তরায়। খাল যদি বন্ধ করা হয় বর্ষাকালে গ্রামে আর পানি ঢুকতে পারবে না। সেটের জন্য আছে বিদ্যুৎ। বোকা মানুষগুলো এবারও মেনে নিল। বন্ধ হয়ে গেল গ্রামের একমাত্র প্রাকৃতিক খাল আর ভরাট কৃত জায়গা চেয়ারম্যান দখল করলো।গ্রামবাসীকে বোঝানো হলো এখন তো বিদ্যুৎ আছেই ,পানির দরকার পড়লেই, সেচের মাধ্যমে পানি দেওয়া হবে জমিতে । উচ্চ সুদে টাকা নিয়ে এসে গ্রামের রাস্তার সংস্কার করা হলো। যে রাস্তা মেরামতের খরচ হবার কথা দশ টাকা সেই রাস্তা সংস্কারের জন্য ঋণ নেওয়া হলো ৩০ টাকা। আর ঋণের বোঝা চাপলো গ্রামবাসীর ঘরে।
গ্রামের স্কুল ঘর আর মাস্টার মশাই কে বলা হলো আধুনিক হতে হবে। বেচারা মাস্টারমশাই চক্ষুলজ্জায় স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করল। আর স্কুলের মাস্টার হল চেয়ারম্যানের ছেলের বন্ধু। নতুন শিক্ষক পড়াশোনা আধুনিকতার নামে মূল বই পড়ানো বাদ দিয়ে শারীরিক শিক্ষা এবং চারুকলার প্রতি বেশি জোর দিল। ধর্মীয় শিক্ষা নিষ্প্রয়োজন বলে বন্ধ করা হলো এলাকার মাদ্রাসাটা।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখন আর চিকিৎসা দেওয়া হয় না। কোন রোগী গেলে তাকে শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যাদের টাকা আছে তারা শহরে যে চিকিৎসা নিতে পারে আর যার টাকা নাই, তারা ধুঁকেধুকে গ্রামেই মৃত্যুর প্রহর গোনে। ডাক্তার আপার বদলি হয়ে গেছে। ডাক্তার আপার জায়গায় এসেছে এক নতুন ডাক্তার। সে আবার প্রাইভেটে রোগী দেখে। নিরীহ গ্রামবাসীর পক্ষে সে প্রাইভেটের ফিস জোগাড় করাই দুরহ ।
কোন কৃষক বিদ্যুতের টাকা দিতে বিলম্ব করলে,তার বিদ্যুতের লাইন বন্ধ রাখা হতো। বিদ্যুত বন্ধ পক্ষান্তরে সেচ বন্ধ ।প্রাকৃতিক সেচের খালটা আগেই ভরাট ।ফসলের মাঠ সেচের অভাবে খা খা করে। খাল বন্ধ হওয়াতে মাছের প্রাকৃতিক উৎসব বন্ধ।
আর এদিকে কৃষকের ঘরের ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। সেচের অভাবে বেড়েই চলেছে অনাবাদি জন্য। কৃষি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ।গরিব মানুষ হয়েছে আরো গরিব আর ধনীর ধন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। শোনা যায় যে এখন চেয়ারম্যানের আশেপাশের মানুষজনও বাড়ি করেছে শহরে। আর চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। হেলাল সাহেবকে এখন গ্রামের মানুষের পাশে পাওয়া যায় কদাচি। শুধু নিজ স্বার্থে গ্রামবাসীকে ব্যবহার করে এবং কার্যসিদ্ধি হলেই গ্রামবাসীর কথা আর মনে রাখেনা।
দিনদিন সুখিপুরকে দুঃখের কালো মেঘে গ্রাস করে ফেলেছে ।সহজ সরল জনগণ নির্বাক হয়ে গিয়েছে। যখন নিজেদের ভুল বুঝতে পারে ততদিনে চেয়ারম্যান এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে গ্রামবাসী তার সাথে আর পেরে ওঠে না। হেলাল চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে কিছু বললেই গ্রামবাসীর উপর নেমে আসে নির্যাতনের খর্ব। গ্রামবাসীর উপলব্ধি, “উন্নয়নের আশায় কড়াই থেকে লাফ দিয়ে জ্বলন্ত চুলায় পড়েছে”। এখন স্বপ্নভঙ্গ, আশাহত গ্রামবাসীর প্রার্থনা স্রষ্টা একদিন এই জুলুমের হাত থেকে রক্ষা করে সুখিপুরের সুখ আবার ফিরিয়ে দিবে।
Mango People.
Hope you all are good & keeping well..
With buddies.. ❤️❤️
আমার মনেরই শুন্ন খাতাতে, থাকবে তোমার নামটি লিখা।
For 100 followers.. 😑
দুখিনী দুঃখ করো না / Dukhini dukkho kotona cover by Kabir দুখিনী দুঃখ করো না। Cover by Kabir. গেয়েছেনঃ জেমসঅ্যালবামঃ দুখিনী দুঃখ করো নাচেয়ে দেখ উঠেছে নতুন সূর্যপথে পথে রাজপথে চেয়ে ...
I have reached 100 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉
Relax.
ডুব খাই..
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Address
Natore
Anando Nagor
Natore
হতাশ হয়ো না আল্লাহ তালা তোমাকে এত দেবে যা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না