Mijankhan blogs

বিনোদন,প্রকৃতি �

14/08/2023

আল্লামা সাঈদী দুনিয়ার কারাগার থেকে এখন মুক্ত।
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আল্লাহ আপনাকে জান্নাতের পাখি হিসেবে ক্ববুল করুন।

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ - Muslims Day 10/08/2023

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপন: সাদাকা

এখন গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময় চলছে

বৃক্ষরাজি আল্লাহর একটি নেয়ামত। আমাদের বোনা বীজ কিংবা রোপন করা চারা গাছকে আল্লাহ তাআলা বড় করে তোলেন, একে ফুলে-ফলে সমৃদ্ধ করেন। এরপর আমরা সেখান থেকে আমাদের রিজিক সংগ্রহ করি। এতটুকুই তো ছিল আমাদের জন্যে একে মহা নেয়ামত। কিন্তু আল্লাহ তাআলার দয়া ও মেহেরবানি যে এখানেই শেষ নয়। নিজ দয়ায় তিনি আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, আমাদের আবহাওয়ার ভারসাম্য রক্ষা করছেন, শীতল ছায়ার ব্যবস্থা করেছেন, আরও কত কী! এগুলো তো দুনিয়ার পুরস্কার। এর পাশাপাশি বৃক্ষরোপনের জন্যে আল্লাহ তাআলা নির্ধারিত করে রেখেছেন আখিরাতেরও অনিঃশেষ পুরস্কার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا ، أَوْ يَزْرَعُ زَرْعًا فَيَأْكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ ، أَوْ إِنْسَانٌ ، أَوْ بَهِيمَةٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ بِهِ صَدَقَةٌ

অর্থ : কোনো মুসলমান যখন কোনো গাছ রোপন করে, কিংবা কোনো ফসল ফলায়, আর তা থেকে কোনো পাখি, মানুষ কিংবা কোনো চতুষ্পদ জন্তু খায়, তখন তা তার জন্যে সদকা হিসেবে বিবেচিত হয়। [সহীহ বুখারী, হাদীস ২৩২০]

মানুষ গাছ লাগায় নিজে তা থেকে ফল ভোগ করার জন্যে, কিংবা নিজের স্ত্রী-সন্তানাদির ভবিষ্যত সুখের কথা চিন্তা করে। তাই নিজ হাতে লাগানো গাছের ফল নিজে খাবে—এটাই তো স্বাভাবিক। এটা তার একটি চাহিদাও। কিন্তু এ চাহিদা পূরণ করে হলেও যখন সে নিজে তা থেকে খাবে, কিংবা অন্য যে কোনো মানুষ তা খাবে, এটি তার জন্যে একটি সদকা হিসেবে গণ্য হবে। এমনকি যদি কেউ কোনো গাছের ফল চুরি করে নিয়ে যায়, এতেও গাছের মালিক ও রোপনকারী সদকার সওয়াব পাবে।

হাদীসের ভাষ্য এমন—

مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا إِلاَّ كَانَ مَا أُكِلَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا سُرِقَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ مِنْهُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا أَكَلَتِ الطَّيْرُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةً وَلاَ يَرْزَؤُهُ أَحَدٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقَةٌ

অর্থ : কোনো মুসলমান যখন কোনো গাছ লাগায়, এরপর যা কিছু সেখান থেকে খাওয়া হয়, তা তার জন্যে সদকাস্বরূপ; যা সেখান থেকে চুরি হয়, তা তার জন্যে সদকাস্বরূপ; হিংস্রপশু যা খেয়ে ফেলে তা তার জন্যে সদকাস্বরূপ; পাখি যা খায় তা তার জন্যে সদকাস্বরূপ এবং কেউ যদি কিছু নিয়ে যায় তবে তাও তার জন্যে সদকাস্বরূপ। [সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৫২]

ভাবা যায়, একটি গাছ লাগালে কতভাবে তা সদকার উপলক্ষ হয়! কাউকে খাওয়ালে তো সওয়াব হবেই, নিজে খেলেও সওয়াব হবে, এমনকি অনাকাঙ্খিতভাবে যদি কেউ চুরি করে নিয়ে যায়, পশুপাখি খেয়ে নষ্ট করে দেয়, তবুও সওয়াব পাওয়া যাবে!

সওয়াবপ্রাপ্তির এ এমন এক ধারা, যা মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। একটি গাছ লাগিয়ে কেউ যদি মারা যায়, যতদিন সে গাছ ফল দেবে ততদিন সে সদকার সওয়াব পেতে থাকবে। এও যেন এক সদকায়ে জারিয়া।

এখন চলছে আগস্ট মাস। আমরা জানি বর্ষার শেষ দিকে বা জুন-জুলাই-আগস্ট বৃক্ষরোপনের জন্য মাটি ও আবহাওয়া অধিক উপযোগি থাকে। তাই আসুন এই মাসে আমাদের সাধ্যমত বেশি বেশি গাছ লাগাই। অন্যদেরকেও উৎসাহ দেই।

বৃক্ষরোপন হতে পারে সৃষ্টিসেবার এক অনন্য মাধ্যম। সামাজিক এ আন্দোলন শুরু হোক এখন থেকেই। এক কোটি চারা হয়তো একজন বা দশজনের লাগানো কঠিন। কিন্তু এক কোটি মানুষের জন্যে কঠিন নয়। তাই আসুন, গাছ লাগাই, সৃষ্টির সেবা করি, পরিবেশ রক্ষা করি।

ইসলামের দৃষ্টিতে বৃক্ষরোপণ - Muslims Day বৃক্ষ আমাদের জন্য আল্লাহর এক মহান নিয়ামত। বৃক্ষরোপন করলে সেখান থেকে মানুষ বা পশুপাখি খাদ্য গ্রহন করলে তা সাদাকা।...

09/08/2023

কোনো জালিম যদি, রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে গালি দেয় তখন প্রত্যেক মুসলমানের উপরে তাকে হত্যা করা জায়েজ হয়ে যায়।

02/08/2023

I've received 600 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

17/07/2023

আলহামদুলিল্লাহ❤️❤️❤️

Send a message to learn more

28/06/2023

সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক🐪🐪

13/06/2023

আজকের আয়াত/হাদীস

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ

তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবে। দাঁড়ি লম্বা করবে আর গোঁফ ছোট করবে। ইবনে উমর (রা.) যখন হজ বা উমরা করতেন, তখন তিনি তার দাঁড়ি মুঠ করে ধরতেন এবং মুঠের বাইরে যতটুকু অতিরিক্ত থাকত তা কেটে ফেলতেন।

রেফারেন্সঃ
সহীহ বুখারী ৫৪৭২

পাদটীকাঃ
দাঁড়ি লম্বা করা কোনো অপশনাল বা ঐচ্ছিক সুন্নত নয়। এটা ওয়াজিব। একমুষ্ঠির চেয়ে কম রেখে দাঁড়ি ছাটা কিংবা একেবারেই মুণ্ডিয়ে ফেলা, দুটোই গোনাহের কাজ। আর এ গোনাহটি এমন, যা প্রতিমুহূর্তে হতে থাকে।
অনেককেই বলতে শোনা যায়, দাঁড়ি রাখা তো সুন্নত, তাই না রাখলেও অসুবিধা নেই। এ কথা ঠিক নয়।

26/05/2023

খুবই মিষ্টি একটা গ্রানের ফুল। 😲

Photos from Mijankhan blogs's post 18/05/2023

প্রশান্তির একটি জায়গা, মরিয়ম ভিলা মসজিদ,🕌সনমানিয়া, কাপাসিয়া গাজীপুর।

01/05/2023
শাওয়ালের ছয় রোজা: ঈদ পরবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল - Muslims Day 28/04/2023

শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখছেন তো?

জেনে নিন এ রোজার ফজিলত ও মাসআলা

আজ বাংলাদেশে হিজরি ১৪৪৪ সালের ৬ শাওয়াল (২৭ এপ্রিল ২০২৩)। শাওয়াল মাসের প্রথম দশক চলছে।

রমজানের ১ মাস রোজা রাখার পর ইবাদতের এ ধারাবাহিকতায় শাওয়াল মাসেও কয়েকটি নফল রোজা রাখার বিধান রয়েছে। শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সুন্নত বা মুস্তাহাব। শাওয়াল মাসে ছয়দিন রোজা রাখার অনেক ফজিলত, মর্যাদা ও সওয়াব রয়েছে।

নবী (সা) বলেনঃ "যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের পর ছয় দিন রোজা রাখলো, তা পূর্ণ বছর রোজা রাখার সমতুল্য। “কেউ কোন সৎকাজ করলে, সে তার দশ গুণ পাবে” (সূরা আনআমঃ ১৬০)।
(ইবনে মাজাহ ১৭১৫)

শাওয়ালের ৬টি রোজা বিষয়ে জ্ঞাতব্য:
-----------------------------------------------
# রমজানের রোজা কাজা থাকলে আগে সেগুলো রেখে এরপর শাওয়ালের নফলগুলো রাখা ভালো। তবে কাজা রোজা আগে রাখলে যদি শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখা না যায়। তাহলে চাইলে শাওয়ালের ৬টি নফল রোজা আগে রাখতে পারবে। এরপর পরবর্তীতে রমজানের কাজাগুলো আদায় করতে হবে। শাওয়ালের রোজাগুলো নফল আর রমজানের কাজা রোজা আদায় করা ফরজ। তাই নফল রাখতে গিয়ে কোনো ক্রমেই যেন রমজানের কাজা রোজা ছুটে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

# এ ছয়টি রোজা শাওয়ালের ২ তারিখ থেকে নিয়ে শেষ দিন পর্যন্ত যে কোনো ৬ দিন রাখা যাবে

# এক টানা ৬দিন বা মাঝে গ্যাপ দিয়ে ৬টি রোজা রাখা যাবে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই

# এ রোজার আলাদা কোনো নিয়ম নাই। রমজানের রোজার মতই সাহরি খাব এবং ইফতার করব

# রমজানের রোজার মত এ রোজার ক্ষেত্রেও সাহরি খাওয়া সুন্নত। আমাদের উচিত সাহরি খাওয়া। কিন্তু কোনো কারণে সাহরি খেতে না পারলেও রোজা হয়ে যাবে

# শাওয়ালের ৬ রোজার জন্য তারাবীহ নামাজ আদায় করতে হয় না। অবশ্য তারাবীর নামাজের সাথে রমজানের রোজারও কোনো সম্পর্ক নেই। রমজানের রোজা একটি স্বতন্ত্র ইবাদত এবং তারাবীহ নামাজ আরেকটি ভিন্ন ইবাদত

# শাওয়ালের রোজার জন্য বিশেষ কোনো নিয়ত নাই। শুধু নফল রোজার নিয়ত করবেন। আর নিয়ত মুখে উচ্চারণ করে পড়াও জরুরি নয়। মনের intention থাকাই যথেষ্ট

# শাওয়ালের রোজাগুলো ফরজ বা ওয়াজিব নয়। অর্থাৎ রোজাগুলো রাখলে সওয়াব আছে, কিন্তু না রাখলে গুনাহ নাই। এর ফজিলতের কথা চিন্তা করে সবারই উচিত রোজাগুলো রাখা

# অনেক আলেমের মতে সোমবার, বৃহস্পতিবার বা আইয়ামে বীজের ৩ দিন (হিজরি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) শাওয়ালের রোজাগুলো রাখলে উভয় সুন্নত আদায়ের সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। তাই সম্ভব হলে আইয়ামে বীজ ও শাওয়ালের ৬টি রোজা আলাদা ভাবে রাখি। অন্যথায় আইয়ামে বীজের ৩ দিন ও সোম-বৃহস্পতিবার মিলিয়ে শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখি। এতে আমরা আশা করতে পারি আল্লাহ উভয় সুন্নাহ পালনের সওয়াব দিবেন

# অজ্ঞতা বশত অনেকে এই রোজাকে "সাক্ষী রোজা" বলে থাকেন। তারা মনে করেন এই ৬টি রোজা রাখলে এগুলো রমজানের রোজার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দিবে। এটাও পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট একটি বিশ্বাস। তাই শাওয়ালের ৬ রোজাকে আমরা সাক্ষী রোজা বলব না

# ফজরের আযানের সাথে সাহরির শেষ সময়ের কোনো সম্পর্ক নাই। রমজান মাসের তুলনায় অন্য সময়ে ফজরের আযান দেয়া হয় সাহরির সময় শেষ হওয়ারও প্রায় আধা ঘন্টা পর। তাই ফজরের আযান পর্যন্ত সাহরি খেতে থাকলে রোজা হবে না এটা শতভাগ নিশ্চিত। তাই কোনো ক্রমেই ফজরের আযান পর্যন্ত সাহরি খাওয়া যাবে না। অ্যাপে দেখানো সাহরির শেষ সময়ের মধ্যেই খাওয়া শেষ করতে হবে। আযান পর্যন্ত সাহরি খেলে রোজা হবে না

আমাদের সকলের উচিত শাওয়ালের সিয়ামগুলো পালন করা। কেননা, মানবিক ত্রুটির কারণে রমাদানের ফরজ রোজাগুলোতে ভুল হয়ে থাকলে আল্লাহ নফল রোজার মাধ্যমে কিয়ামতের দিন তা ব্যালেন্স করে দিতে পারেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমীন

শাওয়ালের ছয় রোজা: ঈদ পরবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল - Muslims Day রমজানের পর শাওয়াল মাসে ৬টি নফল রোজা রাখার ফজিলত হচ্ছে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব লাভ করা। ঈদের দিন বাদে শাওয়ালের যে...

ঈদ - Muslims Day 21/04/2023

ঈদ উল ফিতরের কয়েকটি মাসনূন আমল

ঈদ একটি ইবাদত, পালন করা চাই সুন্নাহ পদ্ধতিতে

আগামীকাল হতে পারে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। আল্লাহ প্রদত্ত মু'মিন মুসলিমের জন্য আনন্দের দিন। আনন্দের এই দিনটি উদযাপনের জন্য নবীজি (সা) যে কাজগুলো করতেন সেগুলো করার মাধ্যমে আমরা বাড়তি সওয়াব লাভ করতে পারি। দিনটি আমাদের জন্য ইবাদতে পরিণত করতে পারি। চলুন জেনে নিই ঈদের দিনের সুন্নাহসমূহ।

ঈদ উল ফিতরের দিনের ১০টি সুন্নাহ:
--------------------------------------
১। ঈদের দিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ও ঈদগাহে দ্রুত যাওয়া
২। খেজুর বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ঈদগায়ে যাওয়া
৩। গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও মিসওয়াক করা
৪। উত্তম কাপড় পরিধান করা (নতুন কাপড় আবশ্যক নয়)
৫। ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া (যদি অসুস্থ্যতা বা অন্য কোনো সমস্যা না থাকে)
৬। তাকবীর বলতে বলতে ঈদগাহে যাওয়া (আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ)
৭। যে পথে ঈদগাহে যাওয়া হয় সেটা বাদ দিয়ে অন্য পথে বাড়ি ফিরে আসা। বিকল্প রাস্তা না থাকলে রাস্তার যে পাশ দিয়ে ঈদগাহে গিয়েছি তার বিপরীত পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরব
৮। ঈদের দিন যথা সম্ভব হাসিখুশি ও আনন্দিত থাকা
৯। উন্মুক্ত স্থানে ঈদের সালাত আদায় করা। তবে সেরকম কোনো জায়গা পাওয়া না গেলে আবদ্ধ বা মসজিদেও সালাত আদায় করা যাবে
১০। একে অন্যকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানানো। সাহাবাগণ ঈদের দিন একজনের সাথে অন্যজনের সাক্ষাতে এভাবে শুভেচ্ছা জানাতেনঃ
تَقَبَّلَ اللّهُ مِنَّا وَ مِنْكُمْ
আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের পক্ষ থেকে সকল নেক আমলগুলোকে কবুল করে নিন।

আমাদের সমাজে ঈদ মুবারক কথাটি প্রচলিত রয়েছে। এটিও বলা যাবে। তবে অভিবাদন জানানোর পূর্বে সালাম দিতে হবে।

ঈদের নামাজের নিয়ম, ঈদের নামাজের কিছু সাধারণ ভুল, ঈদের নামাজের এক বা একাধিক রাকাত মিস করলে করণীয়, ঈদের দিনের করণীয়-বর্জনীয় ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে এই লিংকের পোস্টগুলো পড়তে পারেন:
https://muslimsday.com/tag/ঈদ

আমাদের উচিত ঈদকে কেন্দ্র করে সকল রকম অপসংস্কৃতি ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ থেকে নিজেদের বিরত রাখা। আতশবাজি, পটকাবাজি সহ এমন কিছু যেন আমাদের দ্বারা না ঘটে যার দ্বারা মানুষের কষ্ট হয়। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মসজিদের জুমআর খুতবায় ও অন্যান্য সময় আলোচনা করা যেতে পারে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঈদের দিনকে তার আনুগত্যের মধ্যে থেকে উদযাপনের তাওফিক দান করুন। আমীন।

ঈদ - Muslims Day ঈদের নামাজের নিয়ম, ঈদের দিনের সুন্নাহ, ঈদের দিনের করণীয় ও বর্জনীয় কাজ। সালাফগণ ঈদ কিভাবে উদযাপন করতেন? ঈদের দিনের .....

ঈদের নামাজের নিয়ম (অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সাথে) - Muslims Day 21/04/2023

জেনে নিন ঈদের নামাজের নিয়ম

সুন্নাহের আলোকে অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সাথে

ঈদের দিন জামাআতের সাথে ২ রাকাত সালাত আদায় করা ওয়াজিব। এই সালাতে অতিরিক্ত ৬টি তাকবীর দেয়া হয়ে থাকে। বছর ঘুরে ২ বার আমাদের জীবনে ঈদ আসে। তাই ঈদের সালাতের নিয়মটি ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। আসন্ন ঈদুল ফিতরের দিন যেন আমরা জেনে বুঝে ঈদের সালাত আদায় করতে পারি এজন্য ঈদের ২ রাকাত সালাতের নিয়মটি ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরা হলো।

====================
লেখাটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পড়তে ভিজিট করুন:
https://muslimsday.com/ঈদের-নামাজের-নিয়ম
====================

নিয়ত করা
----------------
অন্যান্য সালাতের ন্যায় এই সালাতের জন্যও নিয়ত করা ফরজ। আমরা ঈদুল ফিতরের ২ রাকাত ওয়াজিব সালাত আদায় করার জন্য কাতারবদ্ধ হয়েছি - মনে মনে এই সংকল্প বা intention থাকাই যথেষ্ট। আরবি বা বাংলায় নির্দিষ্ট শব্দ ও বাক্যে মুখে উচ্চারণ করে "নিয়ত পড়া" জরুরি নয়।

তাকবীরে তাহরিমা বলে সালাত শুরু করা
-----------------------------
ইমাম সাহেব তাকবীরে তাহরিমা "আল্লাহু আকবার" বলে সালাত শুরু করবেন। এরপর অন্যান্য সালাতের ন্যায় ইমাম সাহেব ও আমরা মনে মনে "সানা" পড়ব।

১ম রাকাতঃ অতিরিক্ত ৩টি তাকবীর
-----------------------------
"সানা" পড়া শেষ হলে ইমাম সাহেব ৩ বার "আল্লাহু আকবার" বলে তাকবীর দিবেন।

প্রথম তাকবীরের সময় কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত ছেড়ে দিব।
দ্বিতীয় তাকবীরের সময় কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত ছেড়ে দিব।
তৃতীয় তাকবীরের সময় কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত নাভির নিচে বাঁধবো। (প্রথম ২ তাকবীরের মত হাত ছেড়ে দিব না)

এরপর ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহা পড়বেন। অন্য কোনো সূরা মিলাবেন। এরপর অন্যান্য সালাতের ন্যায় রুকু সিজদা আদায় করে ইমাম সাহেব ১ম রাকাত শেষ করে ২য় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা যথারীতি ইমামের অনুসরণ করব।

২য় রাকাতঃ অতিরিক্ত ৩টি তাকবীর
--------------------------------
২য় রাকাতের শুরুতে ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহা পড়বেন। এরপর অন্য কোনো সূরা বা সূরার অংশ তিলাওয়াত করবেন। রুকুতে যাওয়ার আগে ইমাম সাহেব ৩টি অতিরিক্ত তাকবীর দিবেন।

প্রথম তাকবীরের সময় কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত ছেড়ে দিব।
দ্বিতীয় তাকবীরের সময় কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত ছেড়ে দিব।
তৃতীয় তাকবীরের সময়েও কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত ছেড়ে দিব। (১ম রাকাতের ৩য় তাকবীরের মত হাত বাঁধব না। বরং হাত ছেড়ে দিব)।

এরপর ইমাম সাহেব চতুর্থ তাকবীর বলবেন। এটি হচ্ছে রুকুতে যাওয়ার জন্য তাকবীর। চতুর্থ তাকবীর শুনে আমরা রুকুতে চলে যাব। এরপর বাকি সকল নিয়মকানুন অন্যান্য সালাতের মতই। আমরা ইমামকে অনুসরণ করে ২ রাকাত সালাত শেষ করব।

সালতের পরে ইমাম সাহেব ২টি খুতবা দিবেন। যা শোনা ওয়াজিব। অনেককেই দেখা যায় সালাত শেষে উঠে চলে যান। এটি গর্হিত অন্যায় একটি কাজ।

ঈদের সালাতে আমরা মূলত অতিরিক্ত তাকবীর নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে থাকি। অতিরিক্ত তাকবীরের সময় দেখা যায় কেউ হাত তুলে হাত ছেড়ে দেন, কেউ বা আবার বেঁধে ফেলেন। কেউ বা আবার ভুলে রুকুতে চলে যান। আশা করি আসন্ন ঈদের সালাতে আমাদের এই ভুলগুলো হবে না। সংক্ষেপে তাকবীরের নিয়মটা বলা যায় এভাবেঃ
প্রথম রাকাতের সানার পরে ২ বার কান পর্যন্ত হাত তুলে ছেড়ে দিব। ৩য় তাকবীরে হাত বেঁধে ফেলব। আর ২য় রাকাতে রুকুর আগে ৩বার তাকবীরের সময়ই কান পর্যন্ত হাত তুলে হাত ছেড়ে দিব। চতুর্থ তাকবীরের সময় রুকুতে যাব। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক ভাবে ঈদের সালাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

তথ্যসূত্রঃ
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
পৃষ্ঠাঃ ২৫৮
প্রকাশকালঃ জুন ২০০০

(বিঃ দ্রঃ
ঈদের সালাতে অতিরিক্ত তাকবীর কয়টি হবে বা এর নিয়ম কী হবে এ বিষয়ে হাদীসের মাঝে ভিন্নতা রয়েছে। সুন্নাহের আলোকে হানাফী মাযহাবের মত অনুসারে উপরের পদ্ধতিটি লিখা হয়েছে। আপনি যদি ভিন্ন মাযহাবের অনুসারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মাযহাবের আলেমদের থেকে জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী আমল করতে পারেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার বা আলোচনার প্রয়োজন হলে অনুগ্রহ পূর্বক আলেমদের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো। জাযাকাল্লাহু খাইর।)

ঈদের নামাজের নিয়ম (অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সাথে) - Muslims Day অতিরিক্ত ৬ তাকবীর সহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম। হানাফী ফিকহের মতানুসারে সুন্নত মোতাবেক ঈদের নামাজের নি...

Muslims Day - নামাজ রোজার সময় 10/04/2023

আজ ১৭ রমাদান, ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের দিন

কুরআনের ভাষায়: এটি সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী দিন

আজ ১৭ রমজান, ইয়াউমুল ফুরকান বা সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী দিন। ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের দিন। দ্বিতীয় হিজরীর আজকের এই দিনে সঙ্ঘটিত হয়েছিল ইসলামের প্রথম ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ। আল্লাহ সেদিন তাঁর রাসূল (সা) ও মুমিনদের বিজয়ী এবং কাফির ও মুশরিকদের পরাজিত করার মাধ্যমে হক ও বাতিলের প্রভেদ প্রতিভাত করে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ দিবসটিকে ‘ইয়াওমুল ফুরকান’ তথা সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরূপণের দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন।

বদর যুদ্ধের প্রেক্ষাপট
---------------

নবুওয়াত লাভের পর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা মুকাররমায় থেকেছিলেন তের বছর। সুদীর্ঘ এ সময়কালে মক্কার কাফেরগণ তাঁকে ও তাঁর নিবেদিতপ্রাণ সাহাবীদেরকে অসহনীয়, অবর্ণনীয় কষ্ট দিয়েছে। এমনকি হিজরতের সামান্য পূর্বে তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনাও করেছিল, যা এ সূরায় বর্ণিত হয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরত করে মদীনায় চলে আসার পর মক্কার কাফেরগণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকল, যাতে মদীনায়ও তিনি স্বস্তিতে থাকতে না পারেন। তারা আবদুল্লাহ ইবনে উবাঈকে চিঠি লিখল, 'তোমরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সঙ্গীদেরকে আশ্রয় দিয়েছ। আমাদের সাফ কথা, তোমরা আশ্রয় প্রত্যাহার করে নাও। নয়ত আমরা তোমাদের উপরই আক্রমণ চালাব। (আবু দাউদ, অধ্যায়- আল-খারাজ, পরিচ্ছেদ ২৩ হাদীস নং ৩০০৪)

আনসার সম্প্রদায়ের আউস গোত্রীয় নেতা হযরত সাদ ইবনে মুয়াজ (রাযি.) একবার মক্কা মুকাররমায় গেলে ঠিক তাওয়াফের সময় আবু জাহল তাকে বলল, তোমরা আমাদের শত্রুদেরকে আশ্রয় দিয়েছ। এখন যদি তুমি আমাদের এক সর্দারের আশ্রয়ে না থাকতে, তবে তোমাকে জীবিত ফিরে যেতে দেওয়া হত না। বোঝাতে চাচ্ছিল যে, আগামীতে মদীনা মুনাওয়ারার কোন লোক মক্কা মুকাররমা আসলে তাকে হত্যা করা হবে। হযরত সাদ ইবনে মুয়াজ (রাযি.) এর উত্তরে আবু জাহলকে বললেন, তোমরা যদি আমাদেরকে মক্কা মুকাররমায় আসতে বাধা দাও, তবে আমরা তোমাদের পক্ষে এর চেয়ে আরও কঠিন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করব। তোমাদের বাণিজ্য কাফেলা যখন শামের দিকে যায়, তখন মদীনার উপর দিয়েই তো যায়। এখন থেকে তোমাদের যে-কোনও বাণিজ্য কাফেলাকে মদীনার উপর দিয়ে যাতায়াতে বাধা দিতে এবং কোনও কাফেলাকে দেখামাত্র তাদের উপর হামলা চালাতে আমাদের কোন বাধা থাকবে না। (দেখুন, সহীহ বুখারী, আল-মাগাযী অধ্যায়, পরিচ্ছেদ-২, হাদীস নং ৩৯৫০)। এর পরপরই মক্কার কাফেরদের একটি বাহিনী মদীনা মুনাওয়ারার নিকটবর্তী এলাকায় পৌঁছে মুসলিমদের গবাদি পশু লুট করে নিয়ে গেল। এহেন পরিস্থিতিতে কাফেরদের তৎকালীন নেতা আবু সুফিয়ান একটি বিশাল বাণিজ্য কাফেলা নিয়ে শামে গেল। মক্কার সকল নারী-পুরুষ নিজেদের সোনা-রুপা দিয়ে এ ব্যবসায় পুঁজি সরবরাহ করেছিল। কাফেলাটি শামে পৌঁছে বেচাকেনা করল এবং তাতে তাদের দ্বিগুণ মুনাফা হল। অতঃপর তারা পঁচিশ হাজার দীনার (গিনি)-এর মালামাল নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল । কাফেলায় ছিল এক হাজার মালবাহী উট। চল্লিশজন সশস্ত্র লোক তার পাহারায় নিযুক্ত ছিল। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কাফেলার প্রত্যাবর্তনের খবর পেলেন, তখন হযরত সাদ ইবনে মুয়াজ (রাযি.)-এর চ্যালেঞ্জ মোতাবেক তাদের উপর হামলা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণে যথারীতি সৈন্য সংগ্রহের সুযোগ ছিল না। উপস্থিতমত যত জন সাহাবী তৈরি হতে পেরেছিলেন, ব্যস তাদেরকে নিয়েই তিনি মদীনা মুনাওয়ারা থেকে বের হয়ে পড়লেন। সর্বসাকুল্যে লোকসংখ্যা ছিল তিনশ' তেরজন। তাদের সাথে ছিল সত্তরটি উট, দু'টি ঘোড়া ও ষাটটি বর্ম।

উল্লেখ্য, কোনও কোনও অমুসলিম লেখক এ ঘটনা সম্পর্কে আপত্তি তুলেছেন যে, একটি শান্তিপূর্ণ বাণিজ্য দলের উপর আক্রমণ করার কী বৈধতা থাকতে পারে? সমকালীন কিছু মুসলিম গ্রন্থকারও তাদের এ আপত্তিতে প্রভাবিত হয়ে দাবী করার চেষ্টা করেছেন যে, সে কাফেলার উপর কোনও রকম আক্রমণ চালানো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উদ্দেশ্য ছিল না। বরং আবু সুফিয়ান নিজের থেকেই বিপদের আশঙ্কায় আবু জাহলের বাহিনীকে আসতে বলেছিল। কিন্তু সহীহ হাদীস ও কুরআনী ইশারা-ইঙ্গিতের প্রতি লক্ষ্য করলে ঘটনার এরূপ ব্যাখ্যা ধোপে টেকে না। বস্তুত সেই সময়কার পরিবেশ-পরিস্থিতি, সে কালের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত রীতি-রেওয়াজ সম্পর্কে জানা না থাকার কারণে এ আপত্তির সৃষ্টি হয়েছে । প্রথম কথা হচ্ছে, আমরা উপরে যে সব ঘটনা উল্লেখ করেছি, তা দ্বারা পরিষ্কার -

বোঝা যায় তখন উভয় পক্ষের মধ্যে এক নিরবচ্ছিন্ন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিল। উভয় পক্ষ যে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে রেখেছিল কেবল তাই নয়; বরং কাফেরদের পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক তৎপরতাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ত হযরত সাদ ইবনে মুয়া (রাখি) আগেই তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে এসেছিলেন যে, এখন থেকে আর তাদের বাণিজ্য কাফেলার উপর হামলা চালাতে মুসলিমদের কোন বাধা থাকবে না। তৃতীয়ত সে যুগে সামরিক ও বেসামরিকের মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকত না। সমাজের সমস্ত সাবালক পুরুষকেই 'মুকাতিলা' (যোদ্ধা) বলা হত। এতদসঙ্গে লক্ষ্য করুন কাফেলার অবস্থা। নেতৃত্ব ছিল আবু সুফিয়ানের হাতে। তখন সে ছিল মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোর শত্রু। তার সাথে ছিল চল্লিশ জন সশস্ত্র লোক, যারা কুরাইশের সেই সব লোকের অন্যতম, যারা মুসলিমদের প্রতি জুলুম-নির্যাতনে অগ্রণী ভূমিকা রাখত। কুরাইশের লোকজন তখন মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আশঙ্কা ছিল, এই কাফেলা নিরাপদে মক্কায় পৌঁছতে সক্ষম হলে তাদের সমরশক্তি আরও অনেক বেড়ে যাবে। এসবের পরও যদি এ যুদ্ধকে একটি শান্তিপূর্ণ বাণিজ্য দলের উপর আক্রমণ নামে অভিহিত করা হয়, তবে সেটা পরিস্থিতি সম্পর্কে অজ্ঞতা অথবা একদেশদর্শী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এ কারণে সহীহ হাদীসে বর্ণিত ঘটনাসমূহকে অস্বীকার করা কিছুতেই বৈধ হতে পারে না।

যাই হোক, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উদ্দেশ্য অনুমান করতে পেরে আবু সুফিয়ান দু'টি কাজ করল, একদিকে তো সে একজন দ্রুতগামী অশ্বারোহীকে আবু জাহলের কাছে এই সংবাদ দিয়ে পাঠালো যে, তার কাফেলা বিপদের সম্মুখীন। সে যেন পূর্ণাঙ্গ এক বাহিনী নিয়ে শীঘ্র চলে আসে। অপর দিকে সে রাস্তা বদল করে নিজ কাফেলাকে লোহিত সাগরের দিকে নিয়ে গেল, যাতে সে দিকের ঘুর পথে নিরাপদে মক্কায় পৌঁছানো যায় ।

আবু জাহল এটাকে এক সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করল। পত্রপাঠ সে একটি বড়-সড় বাহিনী প্রস্তুত করে ফেলল এবং অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মদীনা মুনাওয়ারার দিকে অগ্রসর হল । মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন জানতে পারলেন, আবু সুফিয়ানের কাফেলা সটকে পড়েছে এবং অন্য দিক থেকে আবু জাহেলের বাহিনী এগিয়ে আসছে, তখন তিনি সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। সকলে যুদ্ধের পক্ষেই রায় দিলেন, যাতে এর দ্বারা আবু জাহেলের সাথে চূড়ান্ত ফায়সালা হয়ে যায়। সুতরাং বদর নামক স্থানে উভয় দল মুখোমুখি হল। মুসলিমদের সৈন্য সংখ্যা ও অস্ত্রশস্ত্র আবু জাহেলের বাহিনীর সাথে কোনও তুলনায় আসে না। তা সত্ত্বেও আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে মুসলিমদেরকে গৌরবময় বিজয় দান করলেন। আবু জাহেলসহ কুরাইশের সত্তরজন সর্দার নিহত হল। মুসলিমদের সাথে শত্রুতায় এ সকল সর্দারই সব সময় নেতৃত্ব দিত। এছাড়া তাদের আরও সত্তরজন বন্দী হল। অবশিষ্টরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গেল।

রেফারেন্স:
তাওযীহুল কুরআন ১/৫৪৬-৫৪৮

Muslims Day - নামাজ রোজার সময়

Muslims Day - নামাজ রোজার সময় 06/04/2023

আজকের আয়াত/হাদীস

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা আর মূর্খতা পরিত্যাগ করলো না, আল্লাহর নিকট (সিয়ামের নামে) তার পানাহার ত্যাগের কোন প্রয়োজন নেই।

রেফারেন্সঃ
সহিহ বুখারী ৫৬৩১
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

Muslims Day - নামাজ রোজার সময়

Muslims Day - নামাজ রোজার সময় 06/04/2023

অযুর সময় যে পাপটি আমরা অনেকেই করি

অযু, গোসল সহ সকল ক্ষেত্রে পানির অপচয় বন্ধ করি

অযু করার সময় আমরা কতটুকু পানি ব্যবহার করি? আমাদের অ্যাপের ইউজারদের ফেসবুক গ্রুপে (https://www.facebook.com/groups/muslimsday) এমন প্রশ্নের জবাবে বেশির ভাগ ইউজার বলেছিলেন ২-৩ লিটার পানি ব্যবহারের কথা। কিন্তু রাসূল (সা) অযুতে কতটুকু পানি ব্যবহার করতেন? উত্তর হচ্ছে বর্তমান সময়ের মাপে "আধা লিটারের কম" পানি দিয়ে নবীজি (সা) অযু করতেন। আর নবী (সা) এর অযু ছিল সবচেয়ে সুন্দর অযু। আমরা যারা ২-৩ লিটার বা ৪-৫ লিটার পানি অযুতে ব্যবহার করি তারা নিঃসন্দেহে অপচয় করার কঠিন গুনাহে লিপ্ত।

মসজিদের অযুখানায় গেলে অনেক সময় দেখা যায় মুসল্লিগণ পানির ট্যাপ ছেড়ে দিয়ে একেকটি হাত ৫-৭ বার বা আরো বেশিবার ধুয়েই যাচ্ছেন। ফুল স্পিডে ট্যাপের পানি পড়ছে, আর আমরা তার নিচে হাত বা পা ধুচ্ছি। যখন কুলি করি বা নাকে পানি দিই অথবা মাথা, কান ও ঘাড় মাসেহ করি তখনও ট্যাপ চালু অবস্থায় পানি পড়তেই থাকে। একেক বার অযু করার জন্য আমরা যে পরিমাণ পানি অপচয় করি সে পরিমাণ পানি দিয়ে রাসূল (সা) গোসল করতেন। তাই পানি অপচয়ের মত কঠিন গুনাহের থেকে আমাদের অযুকে নিরাপদ রাখা জরুরি। অযুর মাধ্যমে আমাদের গুনাহ মাফ হয়। কিন্তু সেই অযু করার সময়েই যদি আমরা আরেকটা গুনাহ করে ফেলি তাহলে বিষয়টা দুঃখজনক।

ট্যাপে অযু করার সময় নিচে একটা বালতি দিয়ে রাখলে অযু শেষে দেখতে পাব কতটা পানি আমরা ব্যবহার করলাম। অপরপক্ষে মগ, বদনা ব্যবহার করলে বা বারবার ট্যাপ বন্ধ-চালু করে অযু করলে দেখব অতি অল্প পানি দিয়েই আমাদের অযু হয়ে গেছে।

তাই যেখানে সুযোগ আছে, সেখানে যদি আমরা মগ বা বদনা ব্যবহার করে অযু করি; তাহলে পানির অপচয় রোধ করা সম্ভব। এক বদনা পানি দিয়েই সকল অঙ্গ তিনবার করে ধুয়ে পরিপূর্ণ ভাবে অযু করা সম্ভব। এমন কি এক বদনা পানি দিয়ে ২ বার অযু করা যায়। যেখানে ট্যাপ ছেড়ে অযু করা ছাড়া উপায় নাই, সেখানে আমাদের উচিত হবে ফুল স্পিডে ট্যাপ না ছেড়ে অল্প পানি বের হয় এমন ভাবে ট্যাপ ছাড়া। হাতের আজলায় পানি নিয়ে ট্যাপ বন্ধ করে এরপর হাত-মুখ-পা ইত্যাদি ধোয়া। পুরো অযুর সময় ট্যাপ চালু না রেখে প্রতি অঙ্গ ধোয়ার আগে অল্প করে পানি হাতে নিয়ে, সঙ্গে সঙ্গে ট্যাপ বন্ধ করা।

আধা লিটারের কম পরিমাণ পানি দিয়ে পরিপূর্ণ ভাবে কিভাবে অযু করা যায় তা আমরা নিচের ভিডিও থেকে দেখতে পারি। প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন শায়খ হাসান জামিল হাফিজাহুল্লাহ এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিও লিংকটি দেয়া হলো। এখানে শায়খ দেখিয়েছেন রাসূল (সা) কিভাবে অযু করতেন। আর কিভাবে আমরা আমাদের অযুতে পানি অপচয় বন্ধ করতে পারি।

রাসূল কীভাবে, কতটুকু পানি দিয়ে ওযু করতেন? শায়খ হাসান জামিলের ভিডিওঃ https://youtu.be/3Q1gwLrVnoo

প্রকৃতিতে ব্যবহারযোগ্য মিঠাপানির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে এক কঠিন ভবিষ্যৎ। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারণ হতে পারে এই নিরাপদ পানির দখল নিয়ে।

আসুন আজ থেকে আমরা প্রত্যেকে পানি ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতন হই। আমাদের অ্যাপের ১০ লক্ষ ইউজার প্রতিদিন অন্তত ৫ বার অযু করে থাকেন বলে আমরা মনে করি। প্রত্যেকে যদি অযুতে নূন্যতম ১ লিটার পানি কম খরচ করি তাহলে দৈনিক আমরা সবাই মিলে প্রায় ৫০ লাখ লিটার পানি অপচয় রোধ করতে পারব। মাসে প্রায় ১৫ কোটি লিটার! এভাবে প্রতিটি কাজে পরিমিত পানির ব্যবহার নিশ্চিত করলে দেশের ও পৃথিবীর জন্য আমরা একটা সুন্দর পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারব ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ আমাদেরকে সকল ধরনের অপচয় থেকে হেফাজত করুন। আমিন।।।।

Muslims Day - নামাজ রোজার সময়

Muslims Day - নামাজ রোজার সময় 01/04/2023

আজকের আয়াত/হাদীস

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

তাঁর মহিমান্বিত বরকতময় পরওয়ারদিগার বলেন, আমি আমার নিজের উপর ও বান্দাদের উপর জুলুমকে হারাম করে নিয়েছি। অতএব তোমরা পরস্পর পরস্পরকে জুলুম করো না।

রেফারেন্সঃ
সহীহ মুসলিম ৬৩৩৯
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

Muslims Day - নামাজ রোজার সময়

জুমআর দিনের সুন্নাহ ভিত্তিক কিছু আমল - জুমার দিনের ফজিলত ও আমল 31/03/2023

জুমআর দিনের ফজিলত ও আমল

প্রতি কদমে ১ বছর নফল সালাত ও সিয়ামের সওয়াব

যদি এমন একটা অফার পাওয়া যায় যে,

"প্রতি কদমে এক বছর নফল রোজা, আর এক বছর নফল নামাজের সওয়াব আমাদের আমলনামায় লেখা হবে"

আমরা কি কেউ তা মিস করব? নিশ্চয়ই না!

জুমআর দিন ৫টি কাজের মাধ্যমে জুমআর নামাজে অংশ নিলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি কদমে কদমে এক বছরের নফল রোজা ও এক বছরের নফল সালাতের সওয়াব দান করেন। সুবহানাল্লাহ!!!
অর্থাৎ কারো বাসা থেকে মসজিদের দূরত্ব যদি ১০০ কদম হয়, তাহলে এই পাঁচটা কাজ করলে সে ব্যক্তি ১০০ বছর নফল রোজা ও ১০০ বছর নফল সালাতের সওয়াব পেয়ে যাবে।

পাঁচটি কাজ হচ্ছেঃ

১। গোসল করা
২। আগে আগে মসজিদে আসা
৩। পায়ে হেটে মসজিদে আসা
৪। ইমামের কাছাকাছি বসা।
৫। অনর্থক কথা না বলে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা।

রেফারেন্সঃ
==========
আওস ইবনু আওস আস-সাক্বাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ

যে ব্যক্তি জুমু’আহ্‌র দিন গোসল করবে এবং (স্ত্রীকেও) গোসল করাবে, প্রত্যুষে ঘুম থেকে জাগবে এবং জাগাবে (সকাল-সকাল ও আগে-আগে (মসজিদে যাওয়ার জন্য) প্রস্তুত হবে), জুমু’আহ্‌র জন্য বাহনে চড়ে নয় বরং পায়ে হেঁটে মাসজিদে যাবে এবং কোনরূপ অনর্থক কথা না বলে ইমামের নিকটে বসে খুতবা শুনবে, তার (মাসজিদে যাওয়ার) প্রতিটি পদক্ষেপ সুন্নাত হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে সে এক বছর যাবত সিয়াম পালন ও রাতভর সলাত আদায়ের (সমান) সাওয়াব পাবে।

(হাদীসের মানঃ সহীহ। আবু দাউদ ৩৪৫)

আল্লাহ আমাদেরকে প্রতিটা জুমআতেই এই সওয়াব লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

জুমআর দিনের মাসনূন কিছু আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এখান থেকেঃ
https://hellohasan.com/2021/06/11/জুমার-দিনের-আমল

আমাদের পরিবারের নারী সদস্যগণ, যারা জুমআয় অংশ নিতে পারেন না। তাদের জন্য আলেমগণ পরামর্শ দেন তারা যেন বাসার পুরুষদেরকে এই আমলগুলো করতে উৎসাহ দেন ও উদ্বুদ্ধ করেন। পুরুষদেরকে এই ভাল কাজগুলোতে সহযোগিতা করার মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ নারীরাও এই সওয়াবের অংশীদার হতে পারবেন।

জুমআর দিনের আরো কিছু সুন্নাহ সমর্থিত আমলঃ
- গোসল করা
- ফজরের ফরজ সালাতে সূরা সাজদা ও সূরা দাহর/ইনসান তিলাওয়াত করা
- উত্তম পোশাক পরা
- সুগন্ধি ব্যবহার করা
- আগে আগে মসজিদে যাওয়া
- সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা (বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে)
- জুমআর সালাতে মসজিদে গিয়ে কমপক্ষে দুই রাকাত সালাত আদায় করা
- দুই খুতবার মাঝে দুআ করা। এসময় দুআ কবুল হয়। এছাড়াও সারা দিন সাধ্য মত দুআ করা
- বেশি বেশি দরূদ পড়া
- মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা, খুতবার সময় কথা না বলা বা কোনো অনর্থক কাজ না করা। মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকা এমন কি এ সময়ে মসজিদের দানবাক্স চালানোও অনর্থক কাজের অন্তর্ভুক্ত। খুতবার সময় কেউ কথা বলতে থাকলে তাকে নিষেধ করলেও তা অনর্থক কাজ হিসাবে গণ্য। আর খুতবার সময় অনর্থক কাজ করলে তা জুমআকে বরবাদ করে দেয়। তাই খুতবার খুতবা শোনা ব্যতীত সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো ক্রমেই এ সময় মসজিদের দানবাক্স চালানো যাবে না। খুতবার আগে বা সালাতের পরে দানবাক্স চালানো যেতে পারে। (https://www.alkawsar.com/bn/article/804/)

আবু হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করার পর জুমু‘আর সলাতে এলো, নীরবে মনোযোগ সহকারে খুতবাহ্‌ শুনল, তার পরবর্তী জুমু‘আহ্‌ পযর্ন্ত এবং আরো অতিরিক্ত তিন দিনের পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি (অহেতুক) কঙ্কর স্পর্শ করল সে অনর্থক, বাতিল, ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য কাজ করল।
(সহীহ মুসলিম ১৮৭৩)

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জুমু’আর দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লীকে চুপ থাক বলবে, অথচ ইমাম খুত্‌বা দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে।
(বুখারী ৯৩৪)

আল্লাহ আমাদেরকে জুমআর সময় সকল অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।

জুমআর দিনের সুন্নাহ ভিত্তিক কিছু আমল - জুমার দিনের ফজিলত ও আমল শুক্রবারের আমলঃ গোসল করা, সুগন্ধি লাগানো, আগে আগে মসজিদে যাওয়া, ঈমামের কাছাকাছি বসা, মনযোগ দিয়ে খুতবা শোনা, সূরা কা....

মুসলিমস ডে - ফিকহুস সিয়াম প্রতিযোগিতা ২০২৩ 29/03/2023

যে সকল কারণে রোজা ভাঙে না

এ কাজগুলো সম্পাদন হলে রোজা চালিয়ে নিতে হবে। ভাঙা যাবে না

কিছু কাজ এমন আছে যার কারণে রোজা ভাঙে না। এ কার্যগুলো সম্পাদন হলে রোজা চালিয়ে নিতে হবে। রোজা ভেঙে গেছে মনে করে পানাহার করা যাবে না। এরকম কিছু কাজ নিচে সংক্ষেপে দেয়া হলো। যেগুলোর কারণে রোজা নষ্ট হয় না।

# রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করলে রোজা ভাঙে না। তবে স্মরণ হওয়া মাত্রই পানাহার ছেড়ে দিতে হবে।

# চোখে ওষুধ-সুরমা, মাথায় বা শরীরে তেল লাগালে রোযার কোনো ক্ষতি হয় না। আতর-সুগন্ধি ব্যবহার করলেও অসুবিধা নেই।

# অনিচ্ছাকৃত বমি হলে (মুখ ভরে হলেও) রোযা ভাঙ্গবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজে ভেতরে চলে গেলেও রোযা ভাঙ্গবে না।

# মশা-মাছি, কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃত পেটের ভেতর ঢুকে গেলেও রোযা ভাঙ্গবে না। অনুরূপভাবে ধোঁয়া বা ধুলোবালি অনিচ্ছাকৃতভাবে গলা বা পেটের ভেতর ঢুকে গেলে রোযা ভাঙ্গবে না।

# স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভাঙ্গবে না।

# চোখের দু’ এক ফোটা পানি মুখে চলে গেলে রোযার ক্ষতি হয় না। তবে তা যদি গলার ভেতর চলে যায় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

# সুস্থ অবস্থায় রোযার নিয়ত করার পর যদি অজ্ঞান বা অচেতন হয়ে যায় তাহলে রোযা নষ্ট হবে না।

# রোজা অবস্থায় ইনসুলিন নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

# রোযা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের হলে বা ইনজেকশন ইত্যাদি দ্বারা রক্ত বের করলে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এ পরিমাণ রক্ত বের করা মাকরূহ, যার দ্বারা রোযাদার খুব দুর্বল হয়ে যায়।

# রাত্রে স্ত্রী সহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হলে সুবহে সাদিকের আগে গোসল করতে না পারলেও রোযার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে কোনো ওযর ছাড়া, বিশেষত রোযার হালতে দীর্ঘ সময় অপবিত্র থাকা অনুচিত।

# বীর্যপাত ঘটা বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া জায়েয। তবে কামভাবের সাথে চুমু খাওয়া যাবে না। আর তরুণদের যেহেতু এ আশঙ্কা বেশি থাকে তাই তাদের এ থেকে বেঁচে থাকা উচিত।

# শুধু যৌন চিন্তার কারণে বীর্যপাত হলে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে এ কথা বলাই বাহুল্য যে, সব ধরনের কুচিন্তা তো এমনিতেই গুনাহ আর রোযার হালতে তো তা আরো বড় অপরাধ।

# কামভাবের সাথে কোনো মহিলার দিকে তাকানোর ফলে কোনো ক্রিয়া-কর্ম ছাড়াই বীর্যপাত হলে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে রোযা অবস্থায় স্ত্রীর দিকেও এমন দৃষ্টি দেওয়া অনুচিত। আর অপাত্রে কু-দৃষ্টি তো গুনাহ। যা রোযা অবস্থায় আরো ভয়াবহ। এতে ঐ ব্যক্তি রোযার ফযীলত ও বরকত থেকে মাহরূম হয়ে যায়।

এসব বিষয়ে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। অনেকেই অজ্ঞতাবশত এগুলোকে রোজা ভঙ্গের কারণ মনে করে থাকেন। ফলে এসবের কোনো কিছু ঘটে গেলে রোজা ভেঙ্গে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত পানাহার করেন। আবার কেউ কেউ এসব থেকে বেঁচে থাকার জন্যে অযথা কষ্ট করেন। আশা করি, ছোট এ পোস্টের মাধ্যমে উভয় শ্রেণির ভুল দূর হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

লেখাটি সংকলন করেছেন মুসলিমস ডে অ্যাপের শরয়ী সম্পাদক মাওলানা শিব্বীর আহমদ। উসতাযুল হাদীস, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকা, মোহাম্মদপুর।

মুসলিমস ডে - ফিকহুস সিয়াম প্রতিযোগিতা ২০২৩ আসসালামু আলাইকুম। আপনার প্রিয় মুসলিমস ডে অ্যাপের প্ল্যাটফর্ম থেকে আয়োজিত ফিকহুস সিয়াম প্রতিযোগিতায় আপনাকে স্ব....

Muslims Day - নামাজ রোজার সময় 27/03/2023

আজকের আয়াত/হাদীস

পবিত্র কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

(হে মুসলিমগণ!) তোমরা সেই শ্রেষ্ঠতম দল, মানুষের কল্যাণের জন্য যাদের অস্তিত্ব দান করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ করে থাক ও অন্যায় কাজে বাধা দিয়ে থাক এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ। কিতাবীগণ (ইহুদী ও খৃষ্টান সম্প্রদায়) যদি ঈমান আনত, তবে তাদের পক্ষে তা কতই না ভালো হত। তাদের মধ্যে কতক তো ঈমানদার, কিন্তু তাদের অধিকাংশই নাফরমান।

রেফারেন্সঃ
সূরা আলে ইমরানঃ ১১০
সূত্রঃ তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন

Muslims Day - নামাজ রোজার সময়

Muslims Day - নামাজ রোজার সময় 26/03/2023

আজকের আয়াত/হাদীস

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

সে ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক, আবারও সে ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক, আবারও সে ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক! (অর্থাৎ দুঃখ-লজ্জায় মরে যাক!) জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কার? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে বার্ধক্য অবস্থায় পেল অথচ সে জান্নাতে প্রবেশ করার সুযোগ লাভ করতে পারল না।

রেফারেন্সঃ
সহীহ মুসলিম ৬২৭৯
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

Muslims Day - নামাজ রোজার সময়

Muslims Day - মুসলিমস ডে 25/03/2023

শুরু হলো পবিত্র রামাদান মাস

আল্লাহ আমাদের সবাইকে মুত্তাকী বানিয়ে দিন

আলহামদুলিল্লাহ। শুরু হলো ১৪৪৪ হিজরির পবিত্র রমাদান মাস। আল্লাহ আমাদের এই রমাদানকে বিগত বছরগুলোর রামাদানের চেয়ে বেশি কামিয়াবী দান করুন। আমীন।

Muslims Day - মুসলিমস ডে সালাত ও সাহরি-ইফতারের সময়সূচীর অ্যাপ মুসলিমস ডে। এতে আরো আছে একজন মুসলিমের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজীয় বিশুদ্ধ ইসলা....

Want your public figure to be the top-listed Public Figure in Noakhali?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Website

Address

Noakhali Sador
Noakhali

Other Bloggers in Noakhali (show all)
༒︎𝑺𝒐𝒖𝒍𝐋𝕚𝗳𝗲" ༒︎𝑺𝒐𝒖𝒍𝐋𝕚𝗳𝗲"
Noakhali
Noakhali

This is my page. You guys will be see latest Amazing Photography and Status Video on it..Thank you

Ronok Hasan Ronok Hasan
Sonaimuri
Noakhali

Never Give up

Mos. Baina Akter Purnima Mos. Baina Akter Purnima
Senbag
Noakhali, 3860

This is a digital learning platform

Jahidul Islam Jibon 2 Jahidul Islam Jibon 2
Khilpara, Chatkhil
Noakhali

বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে ️🌸 Welcome To My Page 🤍

The Psycho Bro The Psycho Bro
Noakhali
Noakhali, 3843

Hey what’s up guys .This is Psycho The Bro.

Mr.& Mrs. Noakhaillaa Mr.& Mrs. Noakhaillaa
Luxminarayanpur, Maijdee Court
Noakhali, 3800

আঁঙগো বাড়ী নোয়াখালী রয়েল ডিস্ট্রিক্ট ভাই

Jaker Hossain Sumon Jaker Hossain Sumon
Noakhali
Noakhali, 3860

কেউ কাউকে বাঁধেনি সুতোয়, অথচ দিব্যি একটু দূরে গেলেই, টান পড়ে যায় বুকে। জে এইচ সুমন

Sopner Raj potro Sopner Raj potro
পশ্চিম ভোজপুর
Noakhali, ৬৬৯৯

sk Sazzad sk Sazzad
Noakhali
Noakhali, 3860

বিনোদন আর বিনোদন ��

Tanvir Ripon Tanvir Ripon
Noakhali
Noakhali

আমি চলি কিন্তু চালাই না আমি জ্বলি কিন্তু জ্বালাই না

Anamika blog Anamika blog
Companyganj
Noakhali, 3850

মন আমার যা চায় তায় করি

Fun Video Fun Video
Sonapure Noakhali
Noakhali

bike ride sharing..