MARUF TRADE

মহা বিজ্ঞানী আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা, নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা ছাড়া সবকিছুর মধ্যে এই পারস্পরিক যোগাযোগ ও একে অপরের এই সহযোগিতা সম্ভব নয়। হৃদয়, মন ও অনুভূতি দিয়ে যখন কেউ এগুলো বুঝার চেষ্টা করে, তখন এসব রহস্যের দ্বার তার সামনে উদঘাটিত হয়ে যায় এবং পর্যায়ক্রমে সৃষ্টি রহস্যের সুক্ষ তথ্য ও জ্ঞান তাকে অভিভূত করে ফেলে।

তাফসীর ফি যিলালিল কোরআন।

যতই জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার ঘটছে এবং মানুষ প্রকৃতির বিভিন্ন রহস্য ও বিশ্বপ্রকৃতি সম্পর্কে উন্নততর প্রজ্ঞার অধিকারী হচ্ছে ততই দুটি জিনিস সম্পর্কে ( একটি ভালো কাজের পুরস্কার অন্যটি পাপ কাজের শাস্তি) তার বুঝ শক্তি বেড়ে যাচ্ছে।
তাফসীর ফি যিলালিল কোরআন।

ইবাদত ১০ প্রকার

শুধু নামাজ রোজারই নাম ইবাদত নয়। ইমাম গাজ্জালী (রঃ) স্বীয় গ্রন্থ আরাবাইন এ দশ প্রকার ইবাদ‌তের কথা লি‌খে‌ছেন। যথা -
১, নামাজ
২,যাকাত
৩,রোজা
৪, কোরআন তিলাওয়াত
৫, সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণ
৬, হালাল উপার্জনের চেষ্টা করা
৭, প্রতি‌বেশী এবং সাথী‌দের প্রাপ‌্য প‌রি‌শোধ করা
৮, মানুষ‌কে সৎ কা‌জের আ‌দেশ দেয়া
৯, মানুষ‌কে খারাপ কাজ থে‌কে বিরত রাখা
১০, রাসু‌লের সুন্নাত পালন। করা।

এই ১০ প্রকার ইবাদ‌তের মাধ‌্যমেই একজন মানু‌ষের জীব‌নে সফলতা আস‌তে পা‌রে।

গোমরাহী‌তে লিপ্ত হওয়ার ব‌্যাপা‌রে সদা সতক,এমন একটা মন নি‌য়ে ক‌োরআন পড়‌তে হ‌বে। তা হলেই কোরাআন তার রহস‌্য উ‌ম্মোচন ও তার আ‌লোক বি‌কির‌ণের পথ উম্মুক্ত ক‌রে দে‌বে।

ইসলাম এই ভূখণ্ডে মানুষকে এবং তার ক্রিয়াকান্ডকে কখনো হীন করে দেখে না।ব‍্যক্তিগত,সামষ্টিক কিংবা কোন ক্ষেত্রেই তার গুরুত্বকে খাটো করে তাকে জন্তু-জানোয়ারের স্তরে নামিয়ে দেয় না। আবার তার উপর তার যোগ্যতা,প্রতিভা ও ক্ষমতার ভাইরে অতিরিক্ত কোনো দায়িত্ব ও চাপিয়ে দেয় না।ইসলামের মতে মানুষের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য এতো ঠুনকো নয় যে,মনগড়া কতিপয় দর্শন তৈরী করে তাকে পাল্টে ফেলা যাবে।

রাসুল (সা) বলেছেনঃ এক ব্যক্তি মানুষকে ঋণ দিত। তারপর সে প্রদত্ত ঋণ আদায় করতে একজন আদায়কারী পাঠাতো। আদায়কারীকে সে বলে দিত যে, অত্যধিক অভাবী কোন ব্যক্তি পেলে তাকে মাফ করে দিও। হয়তো এর কল্যাণে আল্লাহ আমাদেরকেও মাফ করে দেবেন। রাসূল (সা) বলেছেনঃ এই লোকটি যখন আল্লাহর সাথে মিলিত হলো, তখন আল্লাহ তাকে গুনাহ মাফ করে দিলেন। (বোখারী, মুসলিম)