Legal valley and law views

Legal valley and law views

You may also like

Md nazmul foot agency
Md nazmul foot agency

It is legal help for people

হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে নারী-পুরুষ সমান অধিকার 12/04/2023

https://www.facebook.com/100071574451546/posts/252842480444899/?mibextid=Nif5oz

হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে নারী-পুরুষ সমান অধিকার সম্প্রতি আপীল বিভাগ কর্তৃক প্রচারিত সিভিল আপীল নং ৫৫/২০০৩ এর রায়ে হিন্দু উত্তরাধীকার আইনে স্ত্রীধন সম্পত্তিতে ন....

22/04/2022

জুডিসিয়ারীর মর্যাদার গল্প।

১৯-০৬-২০০৩ তারিখে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর মাননীয় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সরকারী গাড়িযোগে বনানী কামাল আর্তাতুক এলাকা অতিক্রম করছিলেন।

সে সময় পুলিশ সার্জেন্ট বিচারপতি মহোদয়ের গাড়ি থামিয়ে পুলিশের নীল রঙের একটা জীপগাড়ি আগে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন৷

একই সাথে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে স্যালুট প্রদান করেন। বিষয়টি লক্ষ্য করে বিচারপতি মহোদয় গাড়ি থেকে নেমে সার্জেন্ট এর কাছে জিজ্ঞেস করেন, সুপ্রিম কোর্টের লোগো সম্বলিত গাড়ি দেখে সালাম না করার কারন কি?

সার্জেন্ট বলে যে, আমরা সুপ্রিমকোর্ট এর পতাকা স্যালুট করতে বাধ্য নই। আমাদের অত ঠ্যাকা পড়ে নাই!

বিষয়টি নিয়ে সার্জেন্ট সোয়েবুর রহমান বিচারপতি মহোদয়ের সাথে তর্কে জড়ান। পরবর্তীতে আশেপাশে থাকা আরো কয়েকজন পুলিশ সার্জেন্ট কে ডাকেন সোয়েবুর রহমান।

৫ জন পুলিশ অফিসার জুডিসিয়ারী নিয়ে নানা ভাবে কটুক্তি করেন।

মাননীয় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ৩০ জুন ২০০৩ ঐ পাচ জন পুলিশ অফিসার কে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন।

একইসাথে IGP, এবং Principal police training College কে ১২ জুলাই ২০০৩ তারিখের মধ্যে নির্দেশ দেন নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য.........

( 1)Does the derogatory expression of sergeant shoaib, echo what the members of police forces are given to understand their training?

(2)Are the police officials of all ranks trained to understand that every person in uniform is under indispensable legal obligation to show utmost respect to the Supreme court saluting the august body's flag?

(3) Are the police officials briefed on the warrant of precedence and trained to follow them at all events?

(4)Are they trained to learn that it is internecinely contumacious to the solemn grandeur of the Apex court to hold back a car with its flag in order to allow the passage of a vehicle which carries a person of lesser importance in the warrant of precedence?


এই নির্দেশনা দেওয়ার কিছুদিন পরে অস্থায়ী বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এর চাকুরী স্থায়ী না হওয়ায় আর সার্ভিসে ছিলেন না।

পুলিশ প্রধান চারটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যে ডিউটিরত অবস্থায় পুলিশ সার্জেন্ট বিচারপতি কে সালাম দিতে বাধ্য ছিলেন না। যে বিচারপতি ঐ আদেশ দিয়েছিলেন সে এখন আর সার্ভিসে নেই। ঐ বিচারপতি কেই বরং দেশের প্রচলিত আইনে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ও পুলিশ অফিসার কে হুমকি দেওয়ার জন্য বিচার করা উচিত।

একইসাথে আইজি বিচার বিভাগ ও সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে কটুক্তি করেন।

জবাবের কপি আমলে নিয়ে বিচারপতি এম,এ আজিজ এবং বিচারপতি রিফাত আহম্মেদ স্বপ্রনোদিতভাবে আইজিপির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করেন।একইসাথে আইজিপিকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন।

আইজিপি স্বশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন।

হাইকোর্ট ডিভিশন আইজিপি শাহাদুল হক সহ চার জন পুলিশ অফিসার এর জবাবে সন্তুষ্টি না হওয়ায় তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা প্রদান করেন।


High Court Division observed that "His apology has come from his pen and is a product of after thought and cannot be accepted. The opposite party in criminal Miscellaneous suo moto Rule No. 12166 of 2003 is found guilty of gross contempt of court and he is fined Taka 2000 in default to suffer imprisonment for one month.


হাইকোর্ট ডিভিশন এর আদেশের পরে দেশের বিশিষ্ট আইনজ্ঞরা অভিমত দেন যে, The public servant (Dismissal on conviction) ordinance 1985 অনুযায়ী পুলিশ প্রধান শাহাদুল হকের চাকুরী থাকার সুযোগ নেই।

রায় প্রদানের সময় আইজিপি ফ্রান্সে ইন্টারপোলের সদর দপ্তরে ছিলেন একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে।

সে যখন দেশে আসেন সে সময় তাকে বিমানবন্দরে পুলিশ প্রধান হিসাবে প্রোটোকল দেওয়া হয়নি।

তাকে সাময়িক পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ডিএমপির কমিশনার কে চার্জে রাখা হয়।পরবর্তীতে সাসপেন্ড করা হয়।

হাইকোর্ট ডিভিশন এই রায়ে জুডিশিয়ারির মর্যাদা ও অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অবজারভেশন প্রদান করেন।

High court division observed that, In a welfare state in order to administer of justice lawfully, judicially and without fear on favour, certain protection is required for the court of law and the process engaged in the administration of Justice from insult, annoyance, obstruction and wilful disobedience in order to maintain its honour, dignity, prestige and authority and thus law of contempt is the indispensible protection as a legal concept has evolved though ages as protection against signifying disrespect to that which is entitled to legal regard.


High court division also observed that "No agencies of the state will be allowed to attack and defame the honour, prestige and Independence of judiciary of the Republic ”.


High court Division also observed that " the police is duty bound to obey and comply with any order including judicial orders of the Republic and is not permitted to question the order as to why and how "


রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংবিধান বিশেষজ্ঞ এম জহির বলেন " The high ups in the executives should now understand that the judiciary is determined to protect the rights of people. Those who show disrespect to the judiciary and the rule of law must be punished ".


মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন সুস্পষ্ট বলেন যে, সংবিধানের ১১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পুলিশ সহ নির্বাহী বিভাগ আদালত কে সহায়তা করতে বাধ্য।

তাছাড়া আদালত বলতে কেবল গম্বুজাকৃতির বিল্ডিংকেই বুঝাবে না, বরং ফৌজদারি কার্যবিধি এর ২৫ ধারা অনুয়ায়ী সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির এখতিয়ার সমগ্র বাংলাদেশ।

সমগ্র বাংলাদেশেই এখতিয়ার প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে।


এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় পুলিশ প্রধান সহ বিবাদপক্ষ।

আপিল বিভাগ হাইকোর্ট এর রায়ে হস্তক্ষেপে কোন যুক্তি না থাকায় আপিল খারিজ করে দেন।

বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায়, ১৮৯৮ সালে The Code of Criminal Procedure প্রণয়নের সময় ২২-২৫ ধারায় জাস্টিস অব পিস সংক্রান্ত বিধান আলোচনা করা হয়। Criminal Law Amendment Act, 1923 এর ৪ ধারার বিধান অনুযায়ী ১৯২৩ সালে ২৩ ও ২৪ ধারা বাতিল করা হয়। ২৫ ধারায় পদাধিকারবলে জাস্টিস অব পিস হিসেবে কাজ করার বিধান রাখা হয়।


The Code of Criminal Procedure, 1898 এর ২৫ ধারায় রয়েছে-

In virtue of their respective offices, the Judges of the Supreme Court are Justices of the Peace within and for of the whole of Bangladesh, Sessions Judges, Chief Judicial Magistrate and Metropolitan Magistrates are Justices of the Peace within their respective jurisdictions.


এই ধারার বিধান অনুযায়ী, পদাধিকারবলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ সারা বাংলাদেশের জন্য, দায়রা বিচার, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের মধ্যে জাস্টিস অব পিস হিসেবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।


The Code of Criminal Procedure, 1898 এ জাস্টিস অব পিস সম্পর্কে এই বিধানগুলো উল্লেখ থাকলেও জাস্টিস অব পিস এর ক্ষমতা কিভাবে প্রয়োগ করা হবে তার উল্লেখ নেই। পাকিস্তান সিআরপিসি সংশোধন করে 22-A ও 22-B নামে দুটি আলাদা ধারা যুক্ত করেছে। এরমধ্যে ২২এ ধারায় জাস্টিস অব পিসের ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে।


ফৌজধারী কার্যবিধিতে জাস্টিস অব পিসগণের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারিত না থাকায় এ সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রয়োগের নজির আমাদের দেশে খুবই কম। ফৌজধারী কার্যবিধিতে জাস্টিস অব পিস সংক্রান্ত ধারা ২২ ও ২৫ এর বিধান বহাল রয়েছে।

তাই জাস্টিস অব পিসগণ বিশেষ করে বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ ও বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গন শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং বিশেষ ক্ষেত্রে সামগ্রিক জুডিসিয়ারীর ভাবমূর্তি ও মর্যাদা রক্ষায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেজন্য তাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ফৌজধারী কার্যবিধিতে জাস্টিস অফ পিস বিষয়ে সংশোধন আবশ্যক।

জাস্টিস অব পিস এর ক্ষমতা একধরনের বিশেষ ক্ষমতা।এই বিধানের যথাযথ প্রয়োগ বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মানের সাথে সম্পর্কিত। আশার কথা হলো সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকা সত্ত্বেও করোনা কালীন সময়ে ত্রানের চাউল সহ কিছু বিষয়ে বিভিন্ন জেলায় জাস্টিস অব দি পিস এর ক্ষমতার প্রয়োগে সাধারন জনগনের মাঝে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি হয়।

#তথ্যসূত্র ঃ
*Shahudul Haque, IGP, police and others Vs state, 35 CLC (AD) (1092)

*Government of Bangladesh Vs Sergeant Shoaibur Rahman and others 10 BLC 325.

*Miscellaneous Suo moto Rule No. 12166 of 2003 (HCD)

star Newspaper.
Courtesy: Jamiul Hoque Faisal

02/04/2022

আগাম জামিন কি??কখন মঞ্জুর হবে বা হবে না??

🔳বাংলাদেশের সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ প্রত্যেক নাগরিককে জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা সংরক্ষণের অধিকার প্রদান করেছে, উক্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনে বর্নিত বিধান ব্যতীত জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার থেকে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না।
আইনের আরেকটি সাধারণ নীতি হল- “Everyone shall be presumed to be innocent unless he is found guilty by a competent court” অর্থাৎ আইন দ্বারা গঠিত উপযুক্ত আদালত যতক্ষন না কাউকে দোষী বলে রায় দিচ্ছে ততক্ষণ তাকে আইনের চোখে অপরাধী বলার সুযোগ নেই। সুতরাং, অপরাধে অভিযুক্ত হলেই কোন ব্যক্তিকে দোষী বলা যায় না। খুব গুরুতর অবস্থা না হলে কোন ব্যক্তির স্বাধীনতা নষ্ট করা উচিৎ নয়। আইনের চোখে অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী নয়, আসামী মাত্র। সুতরাং বিশেষ কোন হেতু ভিন্ন কোন ব্যক্তিকে আটকের পর আদালত আইন ও তার সু-বিবেচনা মূলক এখতিয়ার প্রয়োগের মাধ্যমে আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতের আদেশমত নিদৃষ্ট স্থানে এবং নিদৃষ্ট সময়ে আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে সাময়িক মুক্তির ব্যবস্থা করতে পারেন যাকে আইনের চোখে জামিন বলা হয়। ফৌজদারী কার্যবিধিতে জামিন প্রসঙ্গে ২ ধরনের অপরাধের কথা সু-স্পষ্ট ভাবে বর্ণিত হয়েছে—১) জামিনযোগ্য অপরাধ(৪৯৬ ধারা); এবং ২) জামিন অ-যোগ্য অপরাধ।
(৪৯৭ ধারা)। জামিন যোগ্য মামলায় জামিন পাওয়া আসামীর অধিকার অন্যদিকে জামিন অযোগ্য মামলায় আদালত ইচ্ছাধীন ক্ষমতার ব্যবহারে আসামির বয়স, শারীরিক অবস্থা,লিঙ্গ ও অন্যান্য মানবিক দিক বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুর করতে পারেন। এছাড়া, গ্রেফতার পূর্ব জামিন বা anticipatory bail নামীয় আরেক ধরনের জামিনের চর্চা হাইকোর্ট সহ দায়রা আদালতে হতে দেখা যায়।

🔳আগাম জামিন
ফৌজদারী কার্যবিধির অধীনে দুই ধরনের জামিনের চর্চা আছে, সাধারণ জামিন(Regular Bail) যা আসামীর আটকের পর আদালত কর্তৃক মঞ্জুর হয়; আর আরেক ধরনের জামিন হল আগাম জামিন (Anticipatory Bail) যা আসামীর গ্রেফতারের পূর্বে আদালত মঞ্জুর করে থাকেন। আগাম জামিনের আভিধানিক অর্থ গ্রেফতারের পূর্বেই প্রাপ্ত জামিন। আর্থাৎ গ্রেফতারের পূর্বে উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় কোন ব্যাক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালত আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতের সামনে সময় সময় হাজির হবার শর্তে যে জামিন মঞ্জুর করে থাকেন তাকেই আগাম জামিন বলা হয়।

🔳বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারী কার্যবিধি,১৮৯৮-এ আগাম জামিন সম্পর্কে সু-স্পষ্ট বিধান নেই। কিন্তু ৪৯৮ ধারায় উল্লেখিত “হাইকোর্ট বিভাগ ও দায়রা আদালত যে কোন ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তিকে জামিন মঞ্জুর ও ---- নির্দেশ দিতে পারেন।“- শব্দগুলোর সম্প্রসারিত অর্থ দ্বারা আসামীকে ক্ষেত্রে বিশেষ জামিন প্রদান করে থাকেন।
মূলতঃ আমাদের দেশের আগাম জামিন সম্পর্কিত ৪৯৮ ধারার শিরোনামের দিকে তাকালে দেখা যাবে, “৪৯৮। জামিন মঞ্জুর ও জামিনের অর্থের পরিমাণ হ্রাসের ক্ষমতা”-র কথা বলা হয়েছে।অর্থাৎ ওই ধারাতে আগাম জামিনের বিধানের চেয়ে ’জামিনের অর্থের পরিমাণ হ্রাসের ক্ষমতা’-কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারত,শ্রীলংকা সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ এদিক থেকে অনেক এগিয়ে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ভারতীয় ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩৮/৪৩৯ ধারায় আগাম জামিন সম্প্রর্কে সু-স্পষ্ট ও কমপ্রিহেন্সিভ বিধান রয়েছে। অন্যদিকে শ্রীলংকায় জামিন সংক্রান্ত ব্যাপার দেখার জন্য বেইল এ্যাক্ট, ১৯৯৭ নামীয় পৃথক এক আইন রয়েছে।
ভারতীয় ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে আগাম জামিন সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, হাইকোর্ট বা দায়রা আদালত কোন ব্যক্তিকে তার আটকের পূর্বেই জামিনে মুক্তির নির্দেশনা দিতে পারেন। আগাম জামিন কোন ব্যক্তি অধিকার হিসাবে দাবী করতে পারেন না। কোন মামলায় আগাম জামিন মঞ্জুর করা হবে কিনা এটা আদলতের

🔳সু-বিবেচনার উপর নির্ভর করে।
কখন আদালত আসামীর আগাম জামিন মঞ্জুর করে থাকেন?
যখন কোন ব্যক্তির এরুপ আশংকা থাকে যে, কোন অ-জামিন যোগ্য মামলায় জড়িত থাকার থাকার অভিযোগে উক্ত ব্যক্তি গ্রেফতার হতে পারেন, তখন তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত কিছু বিষয় বিবেচনায় তার আগাম জামিন মঞ্জুর করতে পারেন। উল্লেখ্য,আদালত কোন ব্যক্তির পক্ষে আগাম জামিন মামলার তদন্ত পর্যায় থেকে শুরু করে মামলার চার্জশিট দেওয়ার পরে ও অনুমোদন করতে পারেন। তবে আসামী একবার গ্রেফতার হলে তখন আর আগাম জামিন মঞ্জুর করা যায় না; তখন তাকে নিয়মিত জামিনের জন্য দরখাস্ত করতে হয়।
আগাম জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আদালতের বিবেচ্য বিষয়াবলী
সাধারণভাবে, জামিন অযোগ্য মামলায় জামিন আবেদনের শুনানী প্রসঙ্গে আদালত যে সকল বিষয় বিবেচনা করবেন আগাম জামিনের ক্ষেত্রে ও আদালত একই বিষয় সমূহ বিবেচনা করবেন। [19 DLR 39 (SC)] যাই হোক,আগাম জামিনের বিষয় সাধারণ জামিনের বিষয় থেকে একটু হলেও ভিন্ন এবং আগাম জামিনের আবেদন

🔳বিবেচনাকালে আদালত নিন্ম লিখিত বিষয় সমূহ বিবেচনা করতে পারেনঃ
১। উত্থাপিত আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং তর্কিত অভিযোগের নিবিড় বিবেচনায় আদালতের কাছে যদি এটি প্রতীয়মান হয় যে, আসামীকে উক্ত মামলায় কোন খারাপ উদ্দেশ্যে জড়ানো হয়েছে এবং ওই মামলায় গ্রেফতারের মাধ্যমে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে অথবা আসামীকে উক্ত মামলার মাধ্যমে ক্ষতির মুখোমুখি করাই একমাত্র উদ্দেশ্য তাহলে আদালত তাঁকে গ্রেফতারের পূর্বেই নিজ বিবেচনায় জামিন মঞ্জুর করতে পারেন।
২। আদালত আগাম জামিনের ক্ষেত্রে একটা অ-স্পষ্ট ও অ-নিদৃষ্ট(Blanket Order) মঞ্জুর নামা জারি করবেন না। আদালত এক্ষেত্রে সুনিদৃষ্ট অপরাধ ও অভিযোগ ও তৎপ্রসঙ্গে আবেদননামা বিবেচনা করতঃ শ্বুধুমাত্র তার ভিত্তিতেই জামিন মঞ্জুর করবেন।
৩। আগাম জামিন মঞ্জুরের পূর্বে আদালত এটিই বিবেচনায় রাখবেন যে, উক্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ বা তথ্য উধঘাটনের জন্য আসামিকে পুলীশ হেফাজতে নেবার প্রয়োজন রয়েছে কিনা? যদি এরুপ প্রয়োজন বিবেচিত হয় তাহলে আদালত জামিন না-মঞ্জুর করতে পারেন।
৪। আদালতের আগাম

🔳জামিনের ক্ষমতাকে বলা হয় ‘Power of Extra Ordinary Nature’। সুতরাং, এটি বিশেষ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ব্যবহার করা উচিৎ। যদি আদালত এটি উপলব্ধি করেন যে, আসামী তার জামিনের সুযোগের অপব্যবহার করবেন না বা মামলা প্রভাবিত করবেন না সে ক্ষেত্রে আদালত আগাম জামিন মঞ্জুর করতে পারেন।
৫। আগাম জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আসামীকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে। আগাম জামিনের আবেদন সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে না-মঞ্জুর করা হয় যারা তদন্তকারী সংস্থাকে সহায়তা করেন না বা করার সম্ভাবনাও ক্ষীন, অথবা যাদেরকে ‘Custodial Interrogation’ প্রয়োজন অথবা যারা জামিনে মুক্ত থেকে মামলা প্রভাবিত করতে পারেন।
৬। কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধের আমল গ্রহণ করার পর এমন কি চার্জশীট দেওয়ার পরও আগাম জামিন মঞ্জুর করা যায় [Ravindra Saxena’s Case(2010) 1 SCC 684]। যদিও ভারতে H.D.F.C-মামলায় (2009) Reported as 2010 1 SCC 679 মামলায় ভিন্নমত পাওয়া যায়। এই মামলায় আদালত মন্তব্য করেন, “Once the accused in the Charge Sheet, he has to surrender to the custody of the Court and pray for regular bail.” অর্থাৎ, একবার আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়া হলে তাকে নিন্ম আদালতে আত্নসমর্পন পূর্বক নিয়মিত জামিন চাইতে হবে। আমদের দেশে অবশ্য মামলার উভয় পর্যায়ে আদালত বিবেচনা প্রসূত আগাম জামিন মঞ্জুর করতে পারেন।
৭। এজাহার দায়ের করা আগাম জামিনের পূর্ব শর্ত নয়। মামলায় চার্জশীট প্রদান করা হয়েছে বা আসামীকে গ্রেফতারের জন্য ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে- শুধুমাত্র এই গ্রাউন্ডেই আসামীর আগাম জামিনের অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলা যাবে না।

🔳উপরোক্ত বিষয়সমূহ সহ অন্য অনেক বিষয়ের মধ্যে আগাম জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আদালত প্রধাণত নিন্মলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে থাকেন—
১। অভিযোগের প্রকৃতি ও ভয়াবহতা;
২। আবেদনকারীর পূর্বপরিচয় সেই সাথে আবেদনকারী পূর্বে কখনও আমলযোগ্য অপরাধে দন্ডিত হয়েছিল কিনা সেম্পর্কে তথ্যাদি;
৩। জামিন পেলে আসামীর পলায়নের কোন সুযোগ ও সন্দেহ আছে কিনা?
৪। আসামীর গ্রেফতারের মাধ্যমে তাকে সমাজের চোখে হেয় করা হবে- এমন উদ্দেশ্য নিয়ে উক্ত মামলায় তাকে জড়িত করা হয়েছে কিনা এ মর্মে অভিমত।
অন্যান্য বিষয়ের সাথে উপরোল্লিখিত নিয়ামক সমূহ বিবেচনা পূর্বক পরিস্থিতি বিবেচনায় আদালত কোন মামলায় আসামীর আগাম জামিন মঞ্জুর বা না- মঞ্জুর করে থাকেন। এবং যেক্ষেত্রে আসামীর আগাম জামিনের দরখাস্ত না-মঞ্জুর করেন সেক্ষত্রে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসামীকে গ্রেফতার করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ভারতীয় অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায়,আগাম জামিন মঞ্জুরকালে হাইকোর্ট বা দায়রা আদালত আসামীর জামিনে মুক্তির পেছনে যে কোন যুক্তিসংগত শর্ত আরোপ করতে পারেন যেমন-
· মামলা সম্পর্কিত তদন্ত বিষয়ে আসামী পুলিশকে তার উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ সহ অন্যভাবে সহায়তা করবে;
· আসামী জামিনে মুক্তির পর মামলার ঘটনার সাথে পরিচিত এমন কোন ব্যক্তিকে প্ররোচনা, ভয়ভীতি প্রদান বা অন্য কোন ভাবে মামলা প্রভাবিত করবে না বা করার চেষ্টা করবে না;
· জামিনে মুক্তির পর আসামী আদালতের অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশের বাইরে যাবে না।
কে আগাম জামিনের জন্য দরখাস্ত করতে পারেন?
সাধারণভাবে, যে ব্যক্তির এরুপ কোন আশঙ্কা থাকে যে কোন অ-জামিনযোগ্য মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জড়িয়ে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে যার মাধ্যমে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় করা হবে বা বিদ্বেষপূর্ণভাবে তাকে এমন ভাবে জড়ানো হবে বা হয়েছে যাতে তার সামাজিকভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়, সে ক্ষেত্রে উক্ত স্নগক্ষুব্ধ ব্যক্তি হাইকোর্টে বা দায়রা আদালতে এসে জামিনের দরখাস্ত করতে পারেন। উল্লেখ্য, জামিনের দরখাস্ত শুনানীর সময় তাকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়।[PLD (1983) AJK. Sh. C.6] যেখানে তার গ্রেফতারের আশঙ্কা রয়েছে এমন যে কোন দায়রা এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে উক্ত ব্যক্তি জামিনের দরখাস্ত করতে পারেন, যদিও উক্ত দায়রা এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের সীমার মধ্যে কথিত অপরাধটি সংঘটিত হয় নি। আর্থাৎ, জামিনের দরখাস্ত দরখাস্তকারীর গ্রেফতারের আশঙ্কার উপর নির্ভরশীল, এখতিয়ার প্রশ্নে অপরাধ অনুষ্ঠানের স্থানের উপর নয়।[Salauddin Abdul Salam Sheikh v. State of Maharashtra, (1996) 1 SCC 667]

জামিনের দরখাস্ত ও পুনঃ দরখাস্ত
জামিনের দরখাস্তের শুনানিঅন্তে মেরিট যাচাইয়ে আদালত যদি দেখেন যে, আগাম জামিন গ্রাহ্য করার মত যুক্তি সঙ্গত কোন কারণ নেই সেক্ষেত্রে জামিন আবেদন না মঞ্জুরক্রমে দরখাস্তটি খারিজ করে দিতে পারেন।

🔳প্রশ্ন উঠতে পারে, উক্ত না-মঞ্জুরকৃত দরখাস্তের ভিত্তিতে পুনরায় আগাম জামিনের আবেদন বারিত হবে কিনা?
এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, যেহেতু দায়রা আদালত এবং হাইকোর্ট- এই দুই আদালতকেই আগাম জামিন শুনানি ও আদেশ প্রদানের বিষয়ে সমগোত্রীয় (Concurrent) এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে সুতরাং, এটা প্রত্যাশিত যে, প্রথমে দায়রা আদালতের প্রতিকার আবেদনকারী Exhaust করবে এবং পরে হাইকোর্টে আবির্ভূত হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে, আবেদনকারী প্রায়শঃই হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য হাজির হন বিশেষকরে রাজনৈতিক মামলা সমূহে আবেদনকারী বোধকরি হাইকোর্টে আসতে বেশি স্বাচ্ছন্দ করেন।

🔳হাইকোর্ট বা দায়রা আদালতকে আগাম জামিন মঞ্জুরের ক্ষমতা দিলেও আদালত খামখেয়ালিপূর্ণ ভাবে এটি প্রয়োগ করেন না বরং এক্ষেত্রে State v. Zakaria Pintu, 62 DLR (AD) 420 মামলায় আপীল বিভাগের মত হচ্ছে, “It is the first legal duty of the accused to surrender either before the police or the concerned magistrate…” জামিনের পুনঃ দরখাস্তের শুনানী ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে সু-স্পষ্ট কোন সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না। Zubair Ahamed Bhat V. State of J. & K., 1990 Cri LJ 103 (HCD) মামলায় আদালত স্থির করেন যে, যে ক্ষেত্রে দায়রা আদালত কোন আবেদনকারীর দরখাস্ত একবার খারিজ করে দিয়েছেন সেক্ষেত্রে একই ঘটনার উপর উপর হাইকোর্টে আগাম জামিনের দরখাস্ত হাজির করা যাবে না; তবে দায়রা আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন চলবে।
জম্মু-কাশ্মির হাইকোর্টের উক্তরুপ সিদ্ধান্তের সাথে বোম্বে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে দ্বিমত পাওয়া যায় Jagannath V. State of Maharasrhtra, (1989)- মামলায় যেখানে বলা হয় যে, দায়রা আদালত কর্তৃক কোন আবেদন খারিজ করার কারণেই শুধুমাত্র হাইকোর্ট একই ঘটনার উপর উত্থাপিত কোন আবেদন গ্রহণ অস্বীকার করবেন না।
অর্থাৎ, দায়রা আদালত কোন আবেদন খারিজ করার পরও হাইকোর্ট একই বিষয়ের উপর আবেদন গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু হাইকোর্ট একবার কোন আদেশ খারিজ করলে একই ঘটনার উপর দায়রা আদলত সেটি গ্রহণ করতে পারবেন না। যাইহোক, একই আদালতের নিকট একবার দরখাস্ত অগ্রাহ্য হবার পরও বিবেচনার জন্য পুনরায় সেটি উপস্থাপন করা যেতে পারে।[Ranu Rey V. State of Assam, 2006 (37) AIC 742] । তবে দায়রা আদালত কর্তৃক মঞ্জুরকৃত জামিন আদেশ হাইকোর্ট বাতিল করতে পারেন। তবে ক্ষেত্র বিশেষ এটি ও দেখা যায় যে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্তরুপ আগাম জামিন মঞ্জুর না করে আসামিকে নিন্ম আদালতে আত্নসমর্পনের আদেশ দেন। এরুপ আদেশ বৈধ; কিন্তু যদি এটি দেখা যায় যে, উক্ত আসামিকে আত্নসমর্পনের আদেশ দানের পাশাপাশি নিন্ম আদালতকে উক্ত জামিন আবেদন মঞ্জুরের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাহলে সেই নির্দেশনা Improper. আপীল বিভাগ এক্ষেত্রে মন্তব্য করেছেন, “This kind of direction is very much improper and tantamount to interfering with the discretion of the sessions judge…” [15 MLR (AD) 445]
আগাম জামিন আদেশের বলবতযোগ্যতার মেয়াদকাল
আমাদের দেশে সাধারণত জামিন মঞ্জুর কালে আগাম জামিনের মেয়াদ উল্লেখ করে দেওয়া হয় উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ৪ বা ৬ সপ্তাহের জন্য ইত্যাদি। সুতরাং মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে জামিনের মেয়াদ আদালত কর্তৃক বৃদ্ধি করা না হলে উক্ত মেয়াদান্তে জামিন বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়া, আদালত ইচ্ছা করলে এবং যুক্তি সঙ্গত মনে করলে মঞ্জুরকৃত জামিন আদেশ বাতিল করতে পারেন।
আগাম জামিনের কার্যকারিতা ও প্রয়োগযোগ্যতা
যখন কোন ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ মনে করে কিন্তু তার মনের মধ্যে এই আশঙ্কা বিদ্যমান যে তাকে কোন মামলায় জেলে যেতে হতে পারে এরুপ পরিস্থিতিতে তাকে রক্ষার জন্য ফৌজদারী কার্যবিধির ছায়াতলে আমাদের আদালত সমূহ আগাম জামিন মঞ্জুরের মাধ্যমে ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষায় ভূমিকা পালন করেন। আগাম জামিন সংক্রান্ত ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৮ ধারার মূল উদ্দেশ্য হল আটকের শঙ্কা প্রকাশকৃত ব্যক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হবার সুযোগ পাবেন ততক্ষন তাকে কারাগারের কঠোর জীবন যাপনে বাধ্য করা যাবে না- সেক্ষেত্রে সেটি যদি অল্প সময়ের জন্য হয় তবুও নয়।
সুতরাং, উক্ত মামালায় আবেদনকারী যখনই গ্রেফতার হবেন, তখনই তাকে মুক্তি দিতে হবে, যদি আদালত তার পক্ষে আগাম জামিন মঞ্জুর করে থাকেন। সুতরাং আগাম জামিনের ব্যবহার ও কার্যকারিতা তখনই শুরু হবে যখন উক্ত ব্যক্তি অন্যায় গ্রেফতারের শিকার হবেন। যাই হোক, আগাম জামিনের ক্ষেত্রে আবেদন কারীকে দেখাতে হবে যে, তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খারাপ উদ্দেশ্যে ও সমাজের চোখে তাকে হেয় প্রতিপ্নন করার জন্য এবং সর্বোপরী তাকে পুলিশ বা আদালতের মাধ্যমে তাকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে (The charge leveled against him is malafide and stems from ulterior motive)। যাইহোক, সকল পরিস্থিতি বিবেচনার পরে ও অভিযোগ গুরুতর-শুধুমাত্র এই কারণে কার্যত আগাম জামিন মঞ্জুর করা থেকে আদালত বিরত থাকবেন না,যদিও আবেদনকারী ব্যক্তি এটিকে অধিকার (As of right) হিসাবে দাবী করতে পারেন না।
মামলার কোন পর্যায়ে আগাম জামিন মঞ্জুর করা যায় এর কোন বাঁধা ধরা নিয়ম নেই। অপরাধ আমলে নেওয়ার পর বা আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়ার পর ও আদালত আগাম জামিন মঞ্জুর করতে পারেন। [Bharat Chowdhury v. State of Bihar, (2003) 8 SCC 77]
আসামী ৪৯৮ ধারায় উল্লেখিত আগাম জামিনের বিধান শুধুমাত্র তার গ্রেফতারের পূর্বেই প্রয়োগ করতে পারবেন। অর্থাৎ, আসামী যদি ৪৯৮ ধারার অধীনে পিটিশন দেওয়ার পূর্বেই গ্রেফতার হন সেখানে তাকে নিয়মিত জামিন চাইতে হবে।
এক অপরাধের জন্য আগাম জামিন পেলে আসামীকে অন্য অপরাধের জন্য গ্রেফতার করা যাবে কিনা?
পূর্বেই বলা হয়েছে, আগাম জামিনের আবেদন করা হয় সু-নিদৃষ্ট কোন মামলা বা ঘটনা থেকে উদ্ভূত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারের আশঙ্কা থেকে। সুতরাং, আগাম জামিন কোন এক বিশেষ ঘটনা বা মামলাকে সামনে রেখে আদালত কর্তৃক মঞ্জুর হয়। সুতরাং, সুস্পষ্টভাবে আসামীর যদি অন্য কোন আমল যোগ্য অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় যার জন্য তাকে জামিন মঞ্জুর করা হয় নি – এমন মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে কোন আইনী বাঁধা নেই। Gurbaksh Sing Sibia v. State of Panjab, AIR (1978) P&H 1 মামলায় আদালত বলেন যে, “The exercise of power under this section is with regard to a specific accusation and cannot be extended in blanket fashion to cover all offences which the petitioner may come to be charged.”
কপি পোস্ট

দেনমোহর নিয়ে হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায় 22/03/2022

http://lawyersclubbangladesh.com/2022/03/22/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%b9%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0/

দেনমোহর নিয়ে হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায় জমি মোহরানা হিসেবে গ্রহণ নিয়ে ‘জিয়াউল হক ও অন্যান্য বনাম ফারহানা ফেরদৌসী ও অন্যান্য’ নামে আদালতে একটি মামলা হয়। .....

17/12/2021

এক নজরে দন্ডবিধিঃ

১২১, ১৩২, ১৯৪, ৩০২, ৩০৩, ৩০৫,৩০৭, ৩২৬-ক, ৩৬৪-ক, ৩৯৬ দন্ডবিধির মোট ১০ টি ধারায় এবং আরো কয়েকটি বিশেষ আইনের ধারায়ও মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে যেমন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২, ইত্যাদি।

****যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ধারাসমূহ:***

১২১, ১২১-ক, ১২২, ১২৪-ক, ১২৫, ১২৮, ১৩০, ১৩২, ১৯৪, ১৯৫, ২২২, ২২৫ (মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তিকে আইনসঙ্গত হেফাজতে বাধা দিলে), ২৩২, ২৩৮, ২৫৫, ৩০২, ৩০৪, ৩০৫, ৩০৭, ৩১১, ৩১৩, ৩২৬, ৩২৬-ক, ৩২৯, ৩৬৪, ৩৬৪-ক, ৩৭১, ৩৭৬, ৩৭৭, ৩৮৭, ৩৮৮, ৩৮৯ (সম্পত্তি আদায়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধে অভিযুক্ত করার অস্বাভাবিক ভয় দেখালে), ৩৯৪-৩৯৬, ৪০০, ৪০৯, ৪১২, ৪১৩, ৪৩৬, ৪৩৮, ৪৪৯, ৪৫৯, ৪৬০, ৪৬৭, ৪৭২, ৪৭৪, ৪৭৫, ৪৭৭, ৪৮৯-ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯-ঘ, ধারা। এছাড়া বিশেষ কয়েকটি আইনের ধারায়ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।

****শুধুমাত্র বিনাশ্রম কারাদন্ডের ধারাসমূহ:***

১৬৩, ১৬৬, ১৬৮, ১৬৯, ১৭২, ১৭৩, ১৭৪, ১৭৫, ১৭৬, ১৭৮, ১৭৯, ১৮০, ১৮৭, ১৮৮, ২২৩, ২২৫-ক(খ), ২২৮, ২৯১, ৩০৯, ৩৪১, ৩৫৮, ৫০৯, ৫১০ শুধুমাত্র জরিমানা দন্ডের ধারাসমূহ: ১৩৭, ১৫৪, ১৫৫, ১৫৬, ১৭১ছ, ১৭১জ, ১৭১ঝ, ২৬৩ক, ২৭৮, ২৮৩, ২৯০।

দণ্ডবিধি"(The Penal Code), ১৮৬০।
***গুরুত্বপূর্ণ ধারাসমূহ:- (প্রিলি,লিখিত, ভাইভা)
দন্ডবিধি ১৮৬০ সালের ৪৫ নং আইন। ইহা একটি তত্ত্বগত আইন।১৮৩৪ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম আইন কমিশন গঠিত হয়। উক্ত কমিশনের চেয়ারম্যান থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলে। অত্র আইন অপরাধের বিবরণ, অপরাধ সংঘটনের বিভিন্ন উপদান এবং অপরাধের সহায়তা, অপরাধের উদ্যোগ, অপরাধ সংঘটনের তৎ বিষয়ে শাস্তির বিধান নিয়ে আলোচনা করে। দন্ডবিধি ১৮৬০ সালের ৬ অক্টোবর পাস হলেও কার্যকর হয় ১৮৬২ সালের পহেলা জানুয়ারি। অত্র আইনের ৫১১ টি ধারা, ২৩ টি অধ্যায় রয়েছে।অত্র আইন সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য।

*সাধারণ অভিপ্রায়:- ধারা-৩৪; যৌথ অপরাধের দায়ের নীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। সর্বনিম্ন ২ জন ব্যক্তি থাকতে হবে এমনকি ৪ জনও হতে পারে তবে ৫ জনের অধিক হবে না।

*শাস্তির প্রকারভেদ:- ধারা-৫৩; ৫ প্রকারের শাস্তির বিধান রয়েছে।
*মৃত্যুদণ্ড,
*যাবজ্জীবন কারাদণ্ড,
*কারাদণ্ড যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম হতে পারে।
*সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত,
*অর্থদণ্ড বা জরিমানা।

*মৃত্যুদন্ড হ্রাসকরণ:- ধারা-৫৪; মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির সম্মতি ব্যতীত সরকার চাইলে মৃত্যুদণ্ড হ্রাস করতে পারে।

*যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হ্রাসকরণ:- ধারা-৫৫; যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির সম্মতি ব্যতীত সরকার চাইলে উক্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রদবদল, হ্রাস করে ২০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়েদের কারাদণ্ড দিতে পারে।
*
*রাষ্ট্রপতির বিশেষ অধিকার:- ধারা-৫৫ক;
দন্ডবিধির ৫৪,৫৫ ধারার কোন কিছু রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন, দন্ড লাঘব,দন্ড বিলম্ব, দন্ড মওকুবের অধিকার খর্ব করবে না।

*দন্ডের মেয়াদসমূহের ভগ্নাংশ:- ধারা-৫৭; যাবজ্জীবন কারাবাসকে ৩০ বছরের মেয়াদে কারাদণ্ড সমতুল্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

*কারাদন্ড সশ্রম বা বিনাশ্রম হইতে পারে:- ধারা-৬০;

*অর্থদন্ডের পরিমান:- ধারা-৬৩;যেক্ষেত্রে অর্থদণ্ডের পরিমাণ উল্লেখ থাকবে না সেক্ষেত্রে অপরাধকারী কর্তৃক প্রদেয় অর্থদণ্ডের কোন সীমা থাকবেনা, তবে এটা অতিরিক্ত ও অত্যাধিক হবে না।

*অর্থদণ্ড অনাদায়ে কারাদণ্ড:- ধারা-৬৪;
*শুধুমাত্র অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইলে:- ধারা-৬৭;
*নির্জন কারাবাস:- ধারা-৭৩;
*নির্জন কারাবাসের সীমা:- ধারা -৭৪;

*ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার:- ধারা-৯৬- ১০৬ ধারা পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ও ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার অধিকার এর বিধান বর্ণিত হয়েছে।৯৬ ধারায় ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ কৃত কোন কিছু অপরাধ নয়

*শরীর ও সম্পত্তির প্রতিরক্ষার অধিকার:-ধারা-৯৭;
*ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার অধিকার দুই ভাবে প্রয়োগ করা যায়
* 1 নিজের ও অন্যের দেহ রক্ষার ক্ষেত্রে,
* 2 নিজের ও অন্যের সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে।

*যে সকল ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করা যায়:- ধারা-৯৮;
*অপ্রকৃতিস্থ, অপরিণত বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তির কার্যের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করা যায়।
*আত্মরক্ষার ব্যতিক্রম:- ধারা-৯৯;
*আত্মরক্ষার অধিকার ৯৯ ধারার বিধান সাপেক্ষে প্রয়োগ করতে হবে।
*যে সকলক্ষেত্রে দেহের প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যায়:- ধারা-১০০;নিজের এবং অন্যের দেহরক্ষার' ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে ৬ টি ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যায়।
*এমন আক্রমণ যাহা মৃত্যু ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
*এমন আক্রমণ যাহা গুরুতর আঘাত ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
*অপ্রকৃতস্থ, কাম লালসার অভিপ্রায় নিয়ে আক্রমণ।
*ধর্ষণের অভিপ্রায় নিয়ে আক্রমণ।
*মনুষ্য হরণের অভিপ্রায় নিয়ে আক্রমণ।
*অবৈধ আটকের অভিপ্রায় নিয়ে আক্রমণ, যে ক্ষেত্রে মুক্তির জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষের আশ্রয় নিতে অসমর্থ হবে।

*যে ক্ষেত্রে সম্পত্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যায় ১০৩;
*সম্পত্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগে ৪ টি ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যায়।
*দস্যুতা
*রাত্রিবেলায় অপথে গৃহে প্রবেশ।
*বাসগৃহ বা সম্পত্তির সংরক্ষণের ব্যবহারের স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধন।
*চুরি, অনিষ্টকারী, অনধিকার গৃহে প্রবেশ করে মৃত্যু বা গুরুত্ব আঘাতের ভয়ের সৃষ্টি করা।

*অপরাধে সহায়তা:- ধারা-১০৭;তিনটি ক্ষেত্রে অপরাধে সহায়তা করা যায়।
*প্ররোচনা দিয়ে,ষড়যন্ত্র করে, অন্যয় ভাবে কোন কার্য করা হতে বিরত রাখতে।
প্ররোচনাদাতা:- ধারা-১০৮;

*প্ররোচনার শাস্তি:- ধারা-১০৯;দুষ্কর্মে সহায়তার জন্য দণ্ডদানের কোন বিধান না থাকে, এরূপ দণ্ডিত হবে যেন সে অনুরুপ অপরাধে সহায়তা করেছে।
*অপরাধ্মুলক ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা:- ধারা-১২০-ক;
দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কোন অবৈধ কার্য অথবা অবৈধ নয় এমন কোন কার্য অবৈধ উপায়ে সম্পাদন করা।
*অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের শাস্তি:- ধারা-১২০-খ;উক্ত অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের শাস্তির বিধান অত্র বিধিতে স্পষ্ট উল্লেখ না থাকলে, এরূপ দন্ডিত হবে যেন সে অনুরূপ অপরাধে সহায়তা করেছে।
*রাষ্ট্রদ্রোহিতা:- ধারা-১২৪-ক;

*বেআইনি সমাবেশ:- ধারা-১৪১;
৫ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ বেআইনি সমাবেশ বলে গণ্য হবে যদি উক্ত সমাবেশকারী সাধারণ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কার্যসমূহের যেকোনো একটি কার্য সম্পাদন করেন।

১.অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগের হুমকি প্রদান করে সরকার কিংবা আইন পরিষদ বা সরকারী কর্মকর্তাকে আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভীতি করে তোলে।
২. কোন আইন বা আইনানুগ বাস্তবায়নে বাধা প্রদান করা।
৩.অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ বা অন্য কোনো অপরাধ সংঘটন করা।
৪.কোন ব্যক্তির প্রতি অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগের ভান করে সম্পত্তি অর্জন করা।
৫.কোন ব্যক্তির প্রতি অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে উক্ত ব্যক্তি আইনত যা করতে বাধ্য নয় তা করতে বাধ্য করা।

*বেআইনি সমাবেশে যোগদান ১৪২,কোন ব্যক্তি বেআইনি সমাবেশ পরিণত হবে এরূপ জেনেও, অবহিত থাকার পরেও উক্ত সমাবেশে অংশগ্রহণ করলে, উক্ত ব্যক্তি বেআইনি সমাবেশের সদস্য বলে গণ্য হবে।

*বেআইনি সমাবেশের শাস্তি:- ধারা-১৪৩;
যে ব্যক্তি বেআইনি সমাবেশের সদস্য হবে, সে ব্যক্তি যেকোনো বর্ণনার সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড যার মেয়াদ ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।

*মারাত্নক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি সমাবেশে যোগদানঃ১৪৪,যে ব্যক্তি মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি সমাবেশে যোগদান করে, যে ব্যক্তি যেকোনো বর্ণানার কারাদণ্ড যার মেয়াদ, ২ বৎসর পযন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

*কোন বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে জেনেও তাতে অংশগ্রহণ করাঃ ১৪৫, কোন ব্যক্তি কোন বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেনেও,অবহিত হওয়ার পরও অংশগ্রহণ করে, সে ব্যক্তি যে কোন বর্ণানার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ২ বৎসর পযন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।
*
*দাঙ্গা:- ধারা-১৪৬,
কোন বেআইনী সমাবেশ কর্তৃক বা কোন বেআইনী সমাবেশের সদস্য কর্তৃক অনুরুপ সমাবেশের সাধারণ উদ্দেশ্যে বাস্তাবায়নের লক্ষে বল বা হিংস্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলে,তাহলে সমাবেশের প্রত্যেক সদস্য দাঙ্গার অপারাধে দোষী সাব্যস্ত হইবে।

*
*দাঙ্গার শাস্তি:- ধারা-১৪৭;
যে ব্যক্তি দাঙ্গার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে, সে ব্যক্তি যে কোন বর্ণানার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ২ বৎসর পযন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ড এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।
* মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা করা ১৪৮ঃ
যে ব্যক্তি মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী সমাবেশে অংশ গ্রহন করে, সে ব্যক্তি যে কোন বর্ণানার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ৩ বৎসর পযন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ড এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।

*সাধারণ উদ্দেশ্য:- ধারা-১৪৯;
৫ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রিত হয়ে দণ্ডবিধির ১৪১ ধারায় উল্লেখিত উপাদান গুলোর যেকোন একটি কার্য সম্পাদন করলে সাধারণ উদ্দেশ্যে করেছে বলে গণ্য হইবে। সাধারণ উদ্দেশ্যে বাস্তায়নের জন্য কোন অপরাধ সংঘটিত হলে, প্রত্যেকে বেআইনী সমাবেশ জন্য দায়ী হবে।
*মারামারি:- ধারা-১৫৯;
দুই বা ততোধিক ব্যাক্তি প্রকাশ্য স্থানে ঝগড়া করে গনশান্তি ভঙ্গ করে, তাহলে মারামারি করে বলে গন্য হইবে।
*মারামারির শাস্তি:- ধারা-১৬০;
যে ব্যাক্তি মারামারি সংঘটন করে সে ব্যাক্তি যে কোন বর্ণানার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ১ মাস পর্যন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ড যার পরিমাণ ১০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
* মিথ্যা সাক্ষ্যদান:- ধারা-১৯১;
*মিথ্যা সাক্ষ্য সৃষ্টি করা:- ধারা-১৯২;
*নিন্দনীয় নরহত্যা:- ধারা-২৯৯;
*খুন:- ধারা-৩০০;
*খুনের শাস্তি:- ধারা-৩০২;
* যাবজ্জীবন দণ্ডিত ব্যক্তি কতৃক খুনের শাস্তি:-
-- ধারা-৩০৩;
*নিন্দনীয় নরহত্যার শাস্তি:- ধারা-৩০৪;
*অবহেলার কারণে মৃত্যুর শাস্তি:-ধারা-৩০৪-ক;
*বেপরোয়া যান চালানোর মাধ্যমে মৃত্যু ঘটানোর শাস্তি:- ধারা-৩০৪-খ;
*আত্মহত্যায় সহায়তার শাস্তি:- ধারা-৩০৬;
*খুনের চেষ্টার শাস্তি:- ধারা-৩০৭;
*আত্মহত্যা চেষ্টার শাস্তি:- ধারা ৩০৯;
*আঘাত:- ধারা-৩১৯;
*গুরুতর আঘাত (৮টি):-- ধারা-৩২০;
*আঘাতের শাস্তি:- ধারা-৩২৩;
*গুরুতর আঘাতের শাস্তি:- ধারা-৩২৬;
*অবৈধ বাধা:- ধারা-৩৩৯;
*অবৈধ বাধাদানের শাস্তি:- ধারা-৩৪১;
*অবৈধ আটক:- ধারা-৩৪০;
*অবৈধ আটকের শাস্তি:- ধারা-৩৪২;
*অপহরণ:- ধারা-৩৫৯;
*বাংলাদেশ থেকে অপহরণ:- ধারা-৩৬০;
*আইনানুগ অভিভাবক হইতে অপহরণ:- ধারা-৩৬১;
*আপবাহন:- ধারা-৩৬২;
*মানুষ অপহরনের শাস্তি:- ধারা-৩৬৩;
*ধর্ষণ:- ধারা-৩৭৫;
*ধর্ষণের শাস্তি:- ধারা-৩৭৬;
*চুরি:- ধারা-৩৭৮;
*চুরির শাস্তি:- ধারা-৩৭৯;
*বাসগৃহ হইতে চুরি:- ধারা-৩৮০;
*কেরানি বা চাকর কতৃক চুরি:- ধারা-৩৮১;
*বলপূর্বক গ্রহণ:- ধারা-৩৮৩;
*বলপূর্বক গ্রহণের শাস্তি:- ধারা-৩৮৪;
*দস্যুতা:- ধারা-৩৯০;
*দস্যুতার শাস্তি:- ধারা-৩৯২;
*ডাকাতি:- ধারা-৩৯১;
*ডাকাতির শাস্তি:- ধারা-৩৯৫;
*খুনসহ ডাকাতির শাস্তি:- ধারা-৩৯৬;
*অসাধুভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎ:- ধারা-৪০৩;
*অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ:- ধারা-৪০৫;
*অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি:- ধারা-৪০৬;
*প্রতারণা:- ধারা-৪১৫;
*প্রতারণার শাস্তি:- ধারা-৪১৭;
*অনিষ্ঠ:- ধারা-৪২৫;
*অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ:- ধারা-৪৪১;
*মানহানি (defamation):- ধারা-৪৯৯;
*মানহানির শাস্তি:- ধারা-৫০০

Want your practice to be the top-listed Law Practice in Noakhali?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Telephone

Website

Address

Maijdee Court Noakhali
Noakhali
3838

Other Lawyers & Law Firms in Noakhali (show all)
Golden friends Golden friends
Noakhail,maijdee
Noakhali, 3800

All kinds of help will be held on this golden friends