Vet point
This page is a media to contact with us. we are veterinarian, we are here to help your animals and yo
আজ থেকে সাড়ে তিন বছর আগে আমি অনেক সহজ ভাবে বিষয়টা তুলে ধরেছিলাম। যা আজকে অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন। অনেক আগের লেখা কিন্তু এটা এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আমি চাই আপনি ও আপনার পোষ্য সুস্থ্য থাকুন সব সময়। তাই এই লেখাটা আজকে আবার শেয়ার দিলাম।
ভয় কে জয় করে এগিয়ে যেতে হবে।
#বিড়াল ও একটি মানুষের প্যারাসাইট😼🐱🐱🐱🐱
মূদ্রার যেমন এপিঠ আছে তেমনি ওপিঠ ও থাকে। আজ আমরা যে সুখে আদুরে বিড়াল কে কোলে তুলে আদর করি। অসাবধানতার জন্য হয়ত সেটি আমাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আজকে এরকম একটি বিষয় নিয়ে কথা বলব। আপনার আদুরে পোষ্য বিড়াল টির প্রতি উদাসীনতা আপনার অনাগত সন্তানের জন্য কাল হয়ে দাড়াতে পারে।
Toxoplasma gondii..... একটি জুনোটিক প্যারাসাইট। গবেষনায় দেখা গেছে বিশ্বের প্রায় ৬০-৯০% বিড়াল এই প্যারাসাইট দ্বারা আক্রান্ত হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক বিড়ালে আক্রান্ত হবার হার বেশি। গ্রীষ্ম কালে এটি বেশি হয়। বিড়াল হলো এই প্যারাসাইটের প্রধান বাহক। গবাদী পশু ও মানুষ হলো অন্তর্বর্তীকালীন বাহক। মূলত আক্রান্ত বিড়ালের মল থেকে এটি পরিবেশে আসে, ড্রেনের পানি, ঘাস এসবে এটির বীজ অনেক দিন অবধি থাকে, গবাদিপশু ঘাস বা পানি খাওয়ার সময় আক্রান্ত হয়। আর গবাদিপশুর মাংস ভালো মত সেদ্ধ করে না খেলে যেমন বার বি কিউ বা অধোয়া সবজি বা আক্রান্ত বিড়ালের মল হতে মানুষ ও আক্রান্ত হতে পারে। মানুষে গর্ভপাত, অন্ধত্ব সহ আরো অনেক শারীরিক সমস্যার কারণ হয় এই প্যারাসাইট।
তাই আপনাকে আপনার পোষ্য বিড়ালের প্রতি আরো মনোযোগী হতে হবে। আক্রান্ত গবাদিপশুর কাচা মাংস থেকে বিড়াল আক্রান্ত হয়, আক্রান্ত বিড়াল থেকে সুস্থ্য বিড়াল আক্রান্ত হয়। তাই বিড়াল এর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখুন।
নিয়মিত আপনার ভেটের পরামর্শ মত কৃমি নাশক দিন।
নিজে সুস্থ্য থাকুন, আপনার বিড়াল কে সুস্থ্য রাখুন।
জনস্বার্থে
Vet point
আসন্ন শীত কে সামনে রেখে পূর্ব ঘোষিত আমাদের চিকিৎসা সেবা ও ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন আজকে সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিশোরগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গুরু দয়াল কলেজ সংলগ্ন মুক্তমঞ্চের পাশে।
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাই কিশোরগঞ্জবাসী দের , এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য অপূর্ব এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কে।
ইনশাআল্লাহ সামনে আবারো দেখা হবে। দেশের প্রতিটা প্রান্তে যেতে ইচ্ছা করে শুধু আপনাদের সাথে দেখা করতে। আল্লাহ একদিন সে তৌফিক দেবেন আশা রাখি।
আজকের আয়োজনের কিছু স্থিরচিত্র যুক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস কে সামনে রেখে পূর্ব ঘোষিত আমাদের চিকিৎসা সেবা ও ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন আজকে সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জয়নুল আবেদীন পার্কে।
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাই ময়মনসিংহবাসী, এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য অপূর্ব এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কে।
ইনশাআল্লাহ জলাতঙ্ক কে বিদায় দিয়ে নির্ভয়ে পালিত হবে সকল প্রাণি নিরাপদে থাকবে মানুষ ও প্রানিকূল।
আজকের আয়োজনের কিছু স্থিরচিত্র যুক্ত করা হয়েছে।
জলাতংক টিকা: মৃত্যুকে জয় করার অস্ত্র
জলাতংক একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ যা একবার শরীরে প্রবেশ করলে প্রায় সবসময় মৃত্যু ডেকে আনে। কিন্তু এই মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে রয়েছে একটি শক্তিশালী অস্ত্র - জলাতংক টিকা।
কেন জলাতংক টিকা গুরুত্বপূর্ণ:
👉 প্রাণরক্ষাকারী টিকা: জলাতংকের টিকা হল একমাত্র নিশ্চিত উপায় যা এই মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচতে পারে। যদি কেউ কোনো সংক্রমিত প্রাণীর কামড় খায় এবং সময়মতো টিকা নেয়, তাহলে জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।
# সম্পূর্ণ নিরাপদ: আধুনিক জলাতংক টিকা খুবই নিরাপদ। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম এবং সাধারণত হালকা হয়।
# সারা জীবনের জন্য সুরক্ষা: টিকা নেওয়ার পরে শরীরে জলাতঙ্কের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, যা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়।
# জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: জলাতঙ্ক টিকা কেবল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্যই নয়, সম্পূর্ণ সমাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এটি জলাতঙ্কের প্রাদুর্ভাব রোধ করতে সাহায্য করে।
ময়মনসিংহবাসী এই দিন আসুন পোষা প্রাণি নিয়ে। র্যাবিস টিকা নিয়ে নিজের পোষা প্রাণি ও নিজে সুরক্ষিত থাকুন।
বন্যার সময় কুকুর-বিড়ালের যত্ন:
বন্যা এক বিশাল দুর্যোগ। এই সময় মানুষের পাশাপাশি আমাদের পোষা প্রাণীদের যত্ন নেওয়াও খুব জরুরি। কুকুর-বিড়ালের বেলায় বিশেষ করে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
* উঁচু জায়গায় নিয়ে যান: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার পোষা প্রাণীকে উঁচু জায়গায় নিয়ে যান, যাতে পানি তাদের না ডুবিয়ে দেয়।
* খাবার ও পানি: নিশ্চিত করুন যে তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও তাজা পানি আছে।
* ওষুধ: যদি আপনার পোষা প্রাণীর কোনো রোগ থাকে এবং সে ওষুধ খায়, তাহলে সেগুলো সঙ্গে রাখুন।
* পরিচয়পত্র: আপনার পোষা প্রাণীর পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখুন যাতে সে হারিয়ে গেলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়।
* মাইক্রোচিপ: যদি আপনার পোষা প্রাণীর শরীরে মাইক্রোচিপ থাকে, তাহলে তা আপনার যোগাযোগের তথ্য সঠিক রাখুন।
* পোষাক: ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য হালকা পোষাক রাখতে পারেন।
* পোষাক: যদি আপনার পোষা প্রাণীকে বহন করতে হয়, তাহলে একটি নিরাপদ বহনযোগ্য বাক্স ব্যবহার করুন।
* চিকিৎসা: যদি আপনার পোষা প্রাণী কোনো আঘাত পায় বা অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে অবিলম্বে একজন vet এর সাথে যোগাযোগ করুন।
* শান্ত থাকুন: আপনার পোষা প্রাণী আপনার আচরণ থেকে অনেক কিছু বুঝতে পারে। তাই শান্ত থাকুন এবং তাদেরকে আশ্বাস দিন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
* জোর করে পানিতে নামাবেন না: অনেক সময় পোষা প্রাণীরা ভয়ে পানিতে নামতে চায় না। তাদের জোর করে নামাবেন না।
* অন্য পশুর সাথে মিশ্রণ: অন্যান্য পশুর সাথে মিশ্রণ করার সময় সাবধান থাকুন, কারণ তারা রোগ ছড়াতে পারে।
* বিষাক্ত পদার্থ: বন্যার পানিতে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থাকতে পারে। তাই আপনার পোষা প্রাণী যাতে সেই পানি না খায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার পোষা প্রাণীকে বন্যার সময় নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে।
যদি আপনার আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করুন।
আপনার পোষা প্রাণীর জন্য শুভকামনা!
প্রত্যাশিত বন্যার চেয়ে আকস্মিক বন্যা বেশি বেশি ক্ষতি করে।
লেখাসত্ব
Vet point
The best place for Animal's care.
Eid mubarak to All
কুরবানীর মৌলিক বিধান:
কুরবানী কার উপর ওয়াজিব?
* ন্যূনতম সামর্থ্যবান মুসলিমের উপর কুরবানী ওয়াজিব।
* ন্যূনতম সামর্থ্য বলতে বোঝায়, যদি একজন ব্যক্তির কাছে স্বাধীনভাবে ব্যয় করার জন্য ৫২.৫ ভরি রূপা (৭.৫ ভরি সোনার মূল্য) বা তার সমমানের সম্পদ থাকে।
কুরবানীর সময়:
* **জুলহজ্জ মাসের (১০-১১-১২) থেকে ঈদুল আযহার দিন পর্যন্ত কুরবানী দেওয়া যায়।
* ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পর কুরবানী দেওয়া মাকরুহ।
কুরবানীর পশু:
* গরু, ছাগল, ভেড়া - এই তিন প্রকারের পশুই কুরবানীর জন্য উত্তম।
* একটি গরু সাতজনের জন্য, একটি ছাগল এবং একটি ভেড়া একজনের জন্য যথেষ্ট।
* এছাড়া ও উট কুরবানীর জন্য উত্তম এবং বৈধ।
কুরবানীর পশুর বৈশিষ্ট্য:
* পশু সুস্থ, সবল, বয়স্ক এবং খুঁতহীন হতে হবে।
* গরু - দু'বছরের বেশি
* ছাগল - এক বছরের বেশি
* ভেড়া - ছয় মাসের বেশি
কুরবানীর নিয়ম:
* কুরবানীর পশু কিবলামুখী করে আল্লাহর নামে জবাই করতে হবে।
* চারপাশের অভাবী লোকদের কুরবানীর মাংস বিতরণ করা উত্তম ।
* নিজের জন্য এক তৃতীয়াংশ, স্বজনবান্ধবদের জন্য এক তৃতীয়াংশ এবং গরিবদের জন্য এক তৃতীয়াংশ মাংস রাখা উত্তম।
কুরবানীর ফজিলত:
* কুরবানী আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভয় প্রকাশের মাধ্যম।
* পাপের প্রায়শ্চিত্ত ও মাফ পাওয়ার উসিলা হিসেবে কাজ করে।
* আখেরাতের জন্য উত্তম কাজ হিসেবে জমা থাকে।।
এছড়াও দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে এর অনেক বড় অবদান রয়েছে।
কুরবানী সম্পর্কে আরও জানতে:
* আপনার এলাকার মসজিদের ইমাম ও ইসলামিক স্কলার এর সাথে যোগাযোগ করুন।
* ইসলামী বইপত্র পড়ুন।
* অনলাইনে তথ্য অনুসন্ধান করুন।
কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্য থাকলে সকল মুসলিমের উচিত নিয়ম মেনে কুরবানী আদায় করা।
আল্লাহ সকলের কুরবানি ও হজ্জ কবুল করুন।
Eib mubarak to All
লেখাস্বত্ব
point
The best place for Animal's care.
বিড়ালের আঁচড় দিলে অনেকেই আতংকিত হয়ে যান আজকে যারা এরুপ সমস্যায় পরবেন তাদের জন্য বিশেষ এই লেখাটি:
বিড়াল বিভিন্ন কারণে আঁচড় কাটে। এর প্রভাব হতে পারে শারীরিক ও মানসিক উভয়দিক থেকেই।
শারীরিক প্রভাব:
ক্ষত: বিড়ালের নখ ধারালো হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। আঁচড়ের ফলে ত্বকে ক্ষত হতে পারে যা ব্যথা, লালভাব, ফোলাভাব, পুঁস, জ্বর, এমনকি সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
এলার্জি: কিছু লোক বিড়ালের লোমের প্রতি এলার্জিক হয়। আঁচড়ের মাধ্যমে লোম ত্বকে ঢুকলে ত্বকের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যেমন ফোলাভাব, চুলকানি, লালভাব, শ্বাসকষ্ট।
অন্যান্য: বিরল ক্ষেত্রে, বিড়ালের আঁচড় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নির্দেশ করতে পারে, যেমন রেবিস বা
"cat-scratch disease" এই রোগ টা হলো একটা ব্যাক্টেরিয়া জনিত রোগ যেখানে এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে এবং জ্বর, গলা ফুলে যাওয়া, শরীর ব্যাথা, স্কিনে ব্লিস্টার এর মতন লক্ষণ দেখা দেয়, অনেকেই এরকম লক্ষণ প্রকাশে প্যানিক হয়ে যান এবং জলাতংকের সাথে গুলিয়ে ফেলেন ।
মানসিক প্রভাব:
ভয় ও উদ্বেগ: বিড়ালের আঁচড় ভয় ও উদ্বেগের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে।
মানসিক আঘাত: বারবার আঁচড় খাওয়া আত্ম-সম্মান ও আত্মবিশ্বাসের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সামাজিক সমস্যা: আঁচড়ের ভয়ে অনেকে বিড়ালের সংস্পর্শে যেতে ভয় পায়, যার ফলে তাদের সামাজিক জীবনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার:
ক্ষতের যত্ন: আঁচড়ের ক্ষত পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখুন। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক মলম ব্যবহার করুন।
এলার্জির চিকিৎসা: এলার্জির লক্ষণ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বিড়ালের আচরণ নিয়ন্ত্রণ: বিড়ালকে নিয়মিত নখ কেটে দিন। স্ক্র্যাচিং ম্যাট ব্যবহার করে আঁচড় কাটার জন্য বিকল্প জায়গা প্রদান করুন।
পেশাদার সাহায্য: গুরুতর ক্ষত, এলার্জি বা মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে ডাক্তার বা মনোবিদের পরামর্শ নিন।
বিড়ালের আঁচড় এড়ানোর জন্য:
বিড়ালের সাথে খেলার সময় সতর্ক থাকুন।
বিড়ালকে জোর করে স্পর্শ করবেন না।
বিড়াল যখন বিরক্ত বা উত্তেজিত বোধ করছে তখন তার কাছ থেকে দূরে থাকুন।
আপনার বাড়িতে পর্যাপ্ত স্ক্র্যাচিং ম্যাট রাখুন।
নিয়মিতভাবে বিড়ালের নখ কেটে দিন।
** মনে রাখবেন:** বিড়ালের আঁচড় একটি স্বাভাবিক আচরণ। ধৈর্য ধরে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে আপনি এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন এবং আপনার বিড়ালের সাথে একটি সুখী ও স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন।
লেখাস্বত্ব
Vet point
The Best place for Animal's care
Pic from google.
বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস: প্রাণীদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব
প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হয়। এই দিবসটি প্রাণিদের স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রাণী নিষ্ঠুরতা রোধের গুরুত্বের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উদযাপিত হয়।
গুরুত্ব:
* প্রাণিদের সুস্থ রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
* প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতি ও দায়িত্বশীল আচরণ গুরুত্বপূর্ণ।
* প্রাণিদের স্বাস্থ্য মানুষের স্বাস্থ্যের সাথেও সম্পর্কিত।
বাংলাদেশে:
* দেশ ও বিশ্ব ব্যাপী বিভিন্ন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হয়।
* এই দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ, এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পশুদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব:
* পশুদের যত্ন নেওয়া
* তাদের খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা
* তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখা
* পশু নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো
পশুদের স্বাস্থ্য আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই দিবসে আসুন আমরা সকলেই পশুদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি নেই।
সকলকে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা।
সামনে কুরবানী ঈদ। অনেকেই ছোট বা বড় পরিসরে ফার্মিং করছেন বা করবেন। কিন্তু এই স্বল্প সময়ে কিভাবে গরূ কে লালন পালন করবেন তা নিয়ে একটা ধারণা আজকে দেবো।
এই গরমে - গরুকে তার প্রয়োজন মত পানি খাওয়ানোর অভ্যেস করুন।
২ gallon water per 100 pound weight of Animal ( lactating cow)
1-1.5 gallon water per 100 pound weight of Animal ( non lactating cow)
দানাদার খাবার বা আশঁ জাতীয় খাবার খাওয়ানোর ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি নিশ্চিত করুন। গরুর খামারে এই গরমে সবসময় পরিষ্কার পানি নিশ্চিত করুন।
মনে রাখবেন, পানি খাওয়ানোর সাথে গরুর পেট মোটা বা বড় হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।
বেশি পানি খেলে গরুর পেট বড় হবে; এটি ভ্রান্ত ধারনা।
- ১০০ কেজি ওজনের একটি গরুকে (২৪ ঘন্টায়):
> ঘাস= ৪.৫-৫ কেজি
> খড়= ১.৫-২ কেজি
> সাইলেজ= ৩-৪ কেজি (ঘাসের বিকল্প হিসেবে সাইলেজ খাওয়ালে খড় না খাওয়ালেও চলবে)।
জাবরকাটা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলে খাবারের হজম প্রক্রিয়া ভাল হয়। তাই গরুকে ভাল হজমপ্রক্রিয়ার জন্য জাবরকাটা ও বিশ্রামের জন্য সময় দিতে হবে। একটি গরু দিনে ৮ ঘন্টা জাবরকাটার কাজটি করে থাকে।
গরুকে দিনে ৩ বেলা খাবার খাওয়াবেন ।
> সকালে- ৪০% ( সম্পুর্ণ খাবার এর)
> দুপুরে (১২টা)- ২০%
> বিকেলে> ৪০%
রাতে পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ দিতে হবে। মনে রাখবেন বেশি খাবার দিলেই গরুর মাংস বা দুধ বৃদ্ধি পাবে না বরং ভাল হজম প্রক্রিয়া গরুর দুধ ও মাংস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- গরুর খাবারের পরিমান হিসাব করে সেটি ২/৩ বেলায় গরুকে সরবরাহ করুন। বাকি সময় গরুকে জাবরকাটা ও বিশ্রামের জন্য দিয়ে দিন। রাতে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা গরুকে বিশ্রামের ব্যবস্থা করুন।
চাল ভাঙ্গা বা খুদে ভাত, আলু,আটা, অর্ধসিদ্ধ করে খাওয়ানো যাবে না
- মানুষের খাবার গরুকে খাওয়ানোর ভুল পন্থাগুলো বন্ধ করুন। মানুষের হজম প্রক্রিয়া ও গরুর হজম প্রক্রিয়া সম্পুর্ন ভিন্ন।
আমরা জেনেছি যে গরু জাবরকাটা প্রানী। এরা আশঁজাতীয় খাবারের সেলুলোজ থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি তৈরি করে যাহা Volatile Fatty Acid (VFA) হয়ে রুমিনাল ওয়ালে শোষিত হয়। চালভাঙ্গা স্টার্চ জাতীয় খাবার; যা অর্ধসিদ্ধ করে গরুকে খাওয়ালে তা গাজঁন প্রক্রিয়ায় রুমেনে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করবে ফলে রুমিনাল PH এর তারতম্য ঘটে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে ব্লট (Frothy Gas) হবে। এতে গরু মারাও যেতে পারে।
গরুর হজমশক্তি কেন ভাল না হওয়ার কারণ হলো
-গরুর হজম শক্তি ভাল না হওয়ার কিছু কারন-
> গরুকে পরিমানের থেকে বেশি খাবার সরবরাহ করা হলে।
> খাবার খাওয়ানোর পন্থা সঠিক না হলে।
> গরুকে নিয়মিত সঠিক ডোজে কৃমিনাশক প্রয়োগ করে কৃমিমুক্তকরণ না করলে।
> গরুর রেশনে প্রোবায়োটিক না রাখলে।
গরু প্রচুর খায় কিন্তু স্বাস্থ্য/মাংস ভাল হয় না এর কিছু কারণ আছে যেমন।
- পুষ্টিমান ব্যালেন্স রেশন খাবার গরুকে সরবরাহ করতে হবে।
- আশঁজাতীয় খাবার; যেমন ঘাস ও খড় একসাথে ও ফিড মিক্স করে একসাথে গরুকে সরবরাহ করুন। খাবার খাওয়ানো ১৫-২০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি গরুকে দিন।
এতে গাভীর দুধ বৃদ্ধি পাবে তেমনি মাংসের গরুর দ্রুত মাংস বৃদ্ধি পাবে। এই পদ্ধতিকে Total Mixed Ration (TMR) বলে। ডেইরী শিল্পে উন্নত বিশ্বে এই TMR মেথডে গাভীকে/ষাঁড় কে খাবার খাওয়ানো হয়।
এ ছাড়াও যেকোন সমস্যায় পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
ফার্মিং হোক স্মার্ট ফার্মিং।
লেখাস্বত্ব
Vet point
Best place for Animal's care
জন্মদান প্রতিটা প্রাণির জন্যই একটা অতি সংবেদনশীল বিষয়। মহান সৃষ্টিকর্তা এইসময় মনে হয় প্রসুতি মায়ের অতি নিকটে থাকেন না হলে এই কষ্ট নেয়ার সমর্থ্য হয়ত কারো হতো না। কিন্তু বিশেষ কিছু মুহুর্ত এমন আসে যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। জন্মদান হয়ে ওঠে অনেক কঠিন। অনেক বিপদ হতে পারে এই সময়। আজ কিছু আলোচনা এখান থেকে হবে।
সম্ভাব্য সমস্যা:
* প্রসবের জটিলতা:
* বাচ্চার অবস্থান ভুল হলে,
* বাচ্চা বড় হলে,
* বা মা বিড়ালের শারীরিক সমস্যা থাকলে প্রসবের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
* হরমোনের সমস্যা:
* হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
* বা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে বাচ্চা নাও হতে পারে।
* গর্ভাবস্থার সমস্যা:
* সংক্রমণ,
* পুষ্টির ঘাটতি,
* বা পরিবেশগত কারণে গর্ভাবস্থার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
👉কিছু টিপস:
* মা বিড়ালকে সুষম খাবার খাওয়ান:
* প্রচুর পরিমাণে পানি
* এবং ভিটামিন D সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান।
* মা বিড়ালকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন:
* শান্ত পরিবেশে
* এবং আরামদায়ক বিছানা
* প্রদান করুন।
* ভেটের পরামর্শ মেনে চলুন:
* প্রয়োজনে ওষুধ
* এবং অন্যান্য চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
মনে রাখবেন:
* প্রতিটি বিড়ালের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে।
* ভেটের পরামর্শই সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ।
*
👉কখোন ভেট এরসাথে যোগাযোগ করবেন :
* বাচ্চাদের জন্ম না হলে,
* অতিরিক্ত রক্তপাত,
* জ্বর,
* অল্প শ্বাস-প্রশ্বাস
* বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে।
যেকোন পরামর্শ নিতে মেসেজ/ কল করুন
কোন অবস্থাতেই বাচ্চা কে ধরে টানবেন না।
লেখাস্বত্ব
Vet point.
Best place for Animal's care
Pic from google
আজকে দেশের সকলের জন্য একটা মন খারাপের দিন। গত রাতে রাজধানীর বিখ্যাত এক রেস্তোরাঁয় আগুন লেগে প্রায় ৪৪ জন মানুষ মারা গেছেন। এই আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া অনেক কষ্টের একটা বিষয়। কিন্তু এই দুর্ঘটনা শুধু মানুষের সাথে না ঘটতে পারে আপনার পোষা প্রাণির সাথেও। কি করবেন এমন ঘটনা হলে সে টা নিয়ে আজকে কিছু লিখব।
প্রথমেই বলে রাখি এই আগুনে পূড়ে শরীরে যে ক্ষত হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাকে ৩ টা ডিগ্রী তে ভাগ করে। এটা না জানলেও চলবে। করনীয় কি --
ভেট এর শরণাপন্ন হওয়া। এছাড়া
১) আগুন নেভানো ও আগুন এর উৎস থেকে প্রাণী কে দূরে রাখা
২) একদম নরমাল তাপমাত্রার চলমান পানির নিচে পোড়া অংশ রাখা।
৩) ঢিলেঢালা কাপড় ও জুয়েলারি খুলে ফেলা
৪) পোড়া অংশ কে আঠাহীন ক্লিন কাপড় ও ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢাকা।
৫) পুড়ে যাওয়া অংশকে শরীর থেকে উচু তে রাখা
৬) পর্যাপ্ত পরিমাণে লিকুইড জাতীয় খাবার। প্রদান করা।
৭) একজন ভেট এর সাথে যোগাযোগ করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা।
এটা একটা বিপদ। বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখা হলো সবচেয়ে জরুরী। এরকরম ঘটনা ঘটলে এই পয়েন্ট ধরে ব্যবস্থা নেবেন এতে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়ানো সম্ভব
এখন অনেকেই জিজ্ঞাসা করবেন।কিভাবে এই burn wound হতে পারে।
আগুন থেকে বেশি হয়, এছাড়া গরম চা পানি লিকুইড পরে, গরম মেটাল এর সংস্পর্শ পেলে, সূর্যের আলোতে লম্বা সময় থাকলে।
কেমিক্যাল এর দ্বারা হতে পারে, ইলেকট্রিক শক খেয়ে হয়।
ঘর্ষণ, কোন শক্ত অমসৃণ কিছুর সাথে শরীর ঘসে এরকম হতে পারে। তাই এইসব থেকে সাবধান থাকতে হবে।
এরকম কিছু হলে যোগাযোগ করতে পারেন।
লেখাস্বত্ব
Vet point
The best place for Animal's care
বেইলি রোডের অগ্নিদগ্ধে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ।
জনস্বার্থে আজকের এই লেখা।
মন টা বেশ কিছুদিন ধরে অস্থির হয়ে আছে। আমার চোখের সামনে কিছু বীভৎস চিত্র ভেসে আসছে। আমরা জীবন বাচাতে ওষুধ নিয়ে থাকি। এবং আমাদের আদরের প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে ঔষধ প্রয়োগ করে থাকি।
এই ওষুধগুলি সরল বিশ্বাসে আমরা বাজার থেকে ক্রয় করে থাকে। সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার বাংলাদেশ দ্বারা বেশ কিছু ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা হতে দেখলাম। যেখানে নামি দামি ব্রান্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিপুল পরিমাণে জব্দ করা হয়েছে। এর ভেতরে এমন কিছু গ্রুপের ওষুধ ছিল যা আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের পোষা প্রানী তে ব্যবহার করি।
গ্রীক একটা উক্তি আছে, ঔষধ ও বিষ এর ভেতর তফাৎ শুধু একটাই সেটা তার ডোজ। অর্থাৎ আপনি যদি সঠিক ডোজে মেডিসিন দেন সেটি পথ্য হিসেবে কাজ করে কিন্তু সেম মেডিসিন যদি আপনি অতিমাত্রায় বা ভুল মাত্রায় প্রয়োগ করেন সেটি বিষ হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এই ঔষধ যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় তবে যে ডোজেই আপনি দেন না কেন সেটি বিষক্রিয়া করবে। ফলাফল মৃত্যু।
এইটা আমি আপনার সাথে শেয়ার করছি কারণ, ব্যস্ততা থাকবে ক্লান্তি থাকবে চিন্তা থাকবে কিন্তু সতর্কতা ও থাকতে হবে। যেই মেডিসিন কিনবেন সেটির এক্সপায়ারি ডেট দেখে নেবেন। এছাড়া ব্র্যান্ডের লোগো এবং নাম এর ফন্ট দেখে নেবেন।
প্যাকেট খুলে এর গঠন রঙ এবং গন্ধ ও ঘনত্ব নিয়ে সন্দেহ হলে ডাক্তার কে জানাবেন। আমাদের জানাবেন। এটা যাচাই করে সঠিক গুণগত মাণসম্মত মেডিসিন প্রয়োগ করবেন।
লেখাস্বত্ব
point
Best place for Animals care.
শেষ পোস্টে আমি একটু ছবি যুক্ত করে জানতে চেয়েছিলাম এটা কি বলে আপনাদের মত? আমার উক্ত পোস্টে প্রায় ১০০ জন কমেন্ট করেছেন।
প্রথমেই আপনাদের অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সামর্থ থাকলে আপনাদের নাম উল্লেখ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতাম।
আসি মুল কথায়। উক্ত ছবিতে যা ছিলো তা ফ্লি এগস। হ্যা ফ্লি এর ডিম। tape worm না৷ এই দুইটা জিনিস এতই মিল দেখতে যে খুব ভালো অভিজ্ঞ মানুষ ও ভরকে যেতে পারে। কিন্তু একটু বিবেচনা করলে ধরে ফেলবেন। যেমন এইগুলি রাউন্ড শেইপ, এবং জীবন্ত না। এইগুলি বেডে সংখ্যায় অনেক পরিমাণে থাকে এবং এইগুলি কে মারতে গেলে ফুটবে শব্দ করে।
কিভাবে তাড়াবেন এইগুলি, আজকের পোস্টে আমি এদের জীবনচক্র দেখালাম দেখেন তারা পোষক হিসেবে কুকুর, বিড়াল ও মানুষ কে বেছে নিচ্ছে। এবং পুরো জীবন চক্র এই পোষক দেহে শেষ করছে। আপনার কাজ এদের জীবন চক্রের মাঝে যেকোনো একটা স্টেজ কে বাধা দেয়া।।
এটা অনেক ভাবে করা সম্ভব
১) নিয়মিত গ্রুমিং
২) ভেট ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন দেয়া
৩) থাকার স্থান নিয়মিত ক্লিন করা।
এবং মাঝে মাঝে কিছু ন্যাচারাল ফ্লাই রেপিলেন্টের সাহায্য নেয়া যেমন নিম পাতা।
যেহেতু মানুষের শরীরে আশ্রয় নেয়ার ক্ষমতা রাখে তাই আপনারা যারা বাসায় পেট ডগ ক্যাট রাখেন শরীর চুলকালে আগেই ভাববেন না এটা এলার্জির সমস্যা। ফ্লি র কামড় গুলি এলার্জি র সাথে সাদৃশ্য।
কথা বলে সাহায্য নিতে পারেন।
সবাই কে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।। এ বছর যাদের হারালাম তাদের স্মৃতি আজীবন আমাদের হৃদয় অক্ষুন্ন থাকুক। এবং অনাগত ভবিষ্যৎ আরো আনন্দদায়ক হোক এই প্রত্যয়ে আমরা শুরু করব ২০২৪ সাল।
লেখাস্বত্ব
point
Best place for Animal's care.
Cat and Dog শুয়ে থাকার পরে যখন উঠে এরকম কিছু তার বেডে পরে থাকতে দেখা যায়।
আপনার কি ধারণা এটা কি?
১) Tape worm
2) flea
3) Others
উত্তর টি কমেন্টে লিখেদিন।
আপনার উত্তরের উপর পরবর্তীতে এনালাইটিক্যাল নিবন্ধন আসবে। সহযোগিতা করুন।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা সাহস করে পোল ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রায় ৭২ ঘন্টা আমরা এই ভোট ওপেন রেখেছিলাম এবং ২০০+ সম্মানিত পেট ওনার ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন।
এখানে প্রশ্ন ছিলো বিড়ালের প্রেগন্যান্সির সময় ফ্লু ভ্যাক্সিন দেয়া যাবে কি না?
৯০% ভোট দিয়েছেন যাবে না। ১০% ভোট পরেছে যাবে।
এছাড়া কমেন্টে প্রায় ৩% মানুষ মত দিয়েছেন যারা প্রায় সবাই যাবে না বলেছেন শুধু একজন তার সন্দেহাতীত ভাবে হ্যা সূচক উত্তর দিয়েছেন।
ব্যবধান অনেক বেশি হলেও এখনো একটা বিরাট বড় অংশ মনে করে থাকেন দেয়া যাবে এবং দিলে ভালো হয়।কারণ আমাদের এই পোল দেখেছেন এরকম অনেকেই কোন উত্তর দেন নাই
সঠিক উত্তর হলো প্রেগন্যান্সির সময় ফ্লু কম্বাইন্ড ভ্যাকক্সিন দেয়া যাবে না।৷
এই ভ্যাক্সিন একটি বিশেষ প্রসেস এর ভেতর দিয়ে বানানো হয়।
এখানে ফ্লু এর জীবাণু গুলিকে ল্যাবে বিশেষ প্রক্রিয়ায় এটেনুয়েটেড করে মানে তার ভিরুলেন্সি কে কমিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ পেলে এটা আবার রোগ করতে সক্ষম।
এবং মা ও সন্তান এর মাঝে প্ল্যাসেন্টা থাকে সেই ব্যারিয়ার কেও এটা সহজে পাস করতে সক্ষম ও পেটে থাকা বাচ্চার শরীরে রোগ বিস্তারে ও জটিলতা তৈরিতে সক্ষম।
তাই এটা দেয়া যাবে না। ঠিক আমাদের মা রা যেমন প্রেগন্যান্সির সময় হাম, মিজলস ও মাম্পস এর টিকা নিতে পারেন না।
বিষয় টা সকলের সাথে শেয়ার করুন। নিরাপদ থাকুক আমাদের পোষা প্রাণি।
লেখাসত্ব
Vet point
Best place for Animal's care.
How to take your pet to Abroad
আমাদের অনেক সম্মানিত পেট ওনার জিজ্ঞাসা করে থাকেন। স্থায়ী ভাবে বিদেশে তাদের পোষা প্রাণি কি ভাবে নেয়া যায়।
আশা করি এই আর্টিকেল টা আপনাকে একটু সাহায্য করবে।
১) যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সে দেশের সম্ভাব্য ফ্লাইট গুলি তে মেইল করুন। দেখুন কোন ফ্লাইটে পেট ক্যারী করে। এবং কোন ফ্লাইটে এই সম্পর্কিত ছাড়পত্র দিয়ে থাকে। এখানে আপনার প্রতি পেট এনিমেল এর জন্য আলাদা টিকিট লাগবে যা ডলারে কাউন্ট হবে তাই এটা আগেই শুনে নেবেন।
২) মাইক্রোচিপ : নিকটস্থ ভেটেরিনারি হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। সেখান থেকে আপনার পোষা প্রাণিকে মাইক্রোচিপ দিয়ে দেবেন।
৩) স্বাস্থ্য সনদ ও টিকা কার্ড : একজন রেজি: ভেটেরিনারি ডাক্তার এর নিকট হতে স্বাস্থ্য ও টিকা সনদ কালেক্ট করুন।
৪) এন ও সি : এই অনাপত্তি ছাড়পত্র একটি এজেন্সি থেকে করে নিতে হবে যারা আন্তর্জাতিক পণ্য আদান প্রদানের কাজ করে থাকেন উদাহরণ MAERSK, Navana, Bongo express, TTA, partex aeromarine logistics, Home bound logistics etc
৫) পেট পাসপোর্ট : এই পাসপোর্ট টা আপনাকে নিকটস্থ ভেটেরিনারি হাসপাতালে যোগাযোগ করে নিতে হবে তবে সবাই এটা প্রোভাইড করবে না তাই খোজ নিয়ে এরকম প্রোভাইডার হাসপাতাল খুজে বের করবেন।।
৬) ছাড়পত্র সংগ্রহ: এইবার আপনি যে ফ্লাইটে যাচ্ছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং বিদেশ যাত্রার ছাড়পত্র সংগ্রহ করে ফেলুন
৭) বিশেষ খাচা : ফ্লাইটে নেয়ার জন্য এবং প্রাণির ধরণ অনুযায়ী একটি কাস্টমাইজ খাচা বানাতে হবে। এই সংক্রন্ত কাজ যারা করেন তাদের কে অর্ডার দিয়ে হাল্কা মজবুত আরামদায়ক খাচা বানিয়ে নিন।
সব শেষে ভালোবাসার প্রাণি কে নিয়ে যান আপনার গন্তব্যে।
লেখাস্বত্ত্ব
Vet point
Best place for animal's care
Pic from google
পোষা প্রাণিকে খুব কষ্ট করে যায়গা মত পি করা শেখালেন। কিন্তু পরে দেখলেন সে এখানে সেখানে পি করা শুরু করলো। ফোটা ফোটা করছে। অথবা একটু পর পর করছে আবার একদম করছেই না।। অনেক কারণ থাকে এর পেছনে। কোনটা স্বভাব গত কোনটা রোগ গত।
রুগীর বয়স, তার প্রজনন স্ট্যাটাস এরকম কিছু বিষয়ের উপর এটা নির্ভর করে।
দেখলেন প্রাণি স্বজ্ঞানে লিটার এর বাহিরে পি করে দিচ্ছে হতে পারে এটা তার স্মৃতি ভ্রম এর জন্য, হিটের জন্য।
দেখলেন সে একটু পর পর পি করছে হতে পারে লোয়ার ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ইনফেকশন। ।
দেখলেন সে ফোটা ফোটা পি করছে হতে পারে এটা, ইউরিনারি ট্র্যাক্টে স্টোন, টিউমার অথবা ইনফেকশন।
দেখলেন তার তলপেটে বলের মতন কিছু একটা ফুলে উঠেছে সাথে সে অনেক চেষ্টা করছে পি করার হতে পারে এটা, পুরো পি করার রাস্তাটায় ব্লকেজ এর জন্য।
এসব বলার উদ্দেশ্য এক্টাই এইগুলির ভেতর যেটায় হোক সেটা একটা মেডিক্যাল ইমারজেন্সি।
আপনাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হ্যা আপনার ভেট এর পরামর্শ লাগবে। প্রপার ডায়াগনোসিস লাগবে। এবং তার সঠিক পরিচর্যা লাগবে।
গরমে প্রাণিদের ভিটামিন সি ও ঠান্ডা স্থানে রাখুন এবং ফ্রেশ পানি দিন
৬ মাসের আগে স্পে নিউটার করায়েন না।
ড্রাই ফুড দিলে সাথে ফ্লুইড ও দিন।
খেলাধুলায় ব্যাস্ত রাখুন। ইনব্রিডিং করাবেন না।
ভেট এর পরামর্শ মেনে চলুন
লেখাস্বত্ব
Vet point
Best place for Animal's care
Pic From Google
How to response to accidental Hazards for your pet Animal?
আমাদের অনেক সাবধানতার পরেও দেখা যায় পোষা প্রাণি অনেক উচু থেকে পরে যায়। মারাত্মক ভাবে আঘাত পায়। অনেক সময় কিছুই তেমন হয় না বেশির ভাগ সময় দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায় তাদের শরীরের। এটাত একটা বিপদ এবং এটার জন্য কেউ প্রস্তুত থাকে না। কিন্তু কি করবেন এরকম হলে। আসুন জেনে নেয়া যাক
১) বিপদ চিহ্নিত করণ : আপনি যখন দেখবেন ও পরে গেছে। সাথে সাথে কাছে যাবেন কিন্তু উদ্ধার করার আগে চারপাশ ভালো করে দেখে নেবেন। সেই স্থান টা মাঝ রাস্তা হতে পারে্, কোন একটা ঝোপ ঝাড় বা জলাশয় হতে পারে। সম্ভাব্য বিপদ চিহ্নিত করে তার পর এগোবেন।
২) মাত্রই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাই আপনার প্রাণি অনেক ভয়ে আছে এরকম পরিস্থিতিতে সে আক্রমণাত্মক হতে পারে। কাছে যান সফটলি কথা বলুন। আদর দিন এবং তার মুভমেন্ট বুঝে উদ্ধার করুন।
৩) তার শ্বাস নেয়াটা পর্যবেক্ষণ করুন। দেখুন তার শ্বাস কেমন ভাবে চলছে একটু দ্রুত চলবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি দেখেন শ্বাস নিচ্ছে না বা অনেক আস্তে আস্তে নিচ্ছে CPR দেয়ার চেষ্টা করবেন।
৪) সে কোন অংশে ব্যাথা পেয়েছে তা ত আপনি জানেন না। তাই বেশি মুভ করতে দেবেন না বা বেশি বডিতে প্রেশার দেবেন না। রেস্ট এ রাখেন নরম বিছানা করে দিন।। নরম কাপড় দিয়ে মুরিয়ে নিতে পারেন।
৫)রক্ত পড়া বন্ধ করতে হবে। অনেক সময় মুখ নাক প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে রক্ত আসতে পারে। এটাকে বন্ধ করতে একটা সুতি ক্লিন কাপড় দিয়ে চেপে ধরুন। এবং আপনার নিকটস্থ ভেট ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করুন।
৬) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ : শরীর টা সুতি কাপড় দিয়ে মুরিয়ে রেখে তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করেন।
৭) শান্ত থাকুন: আপনি প্যানিক হয়ে গেলে আপনাকে দেখে সেও ভয় বেশি পাবে। মাথা ঠান্ডা রাখবেন এবং দ্রুত ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ এর চেষ্টা করবেন। প্রয়োজন এ আমাদের অনলাইন টেলিমেডিসিন সেবা নিতে পারেন যা সব সময় ওপেন থাকে।
লেখাস্বত্ব
Vet point
Best place for Animal's care
Pic from google.
সাদা ধব ধবে চেহারা কিন্তু মুখের কিছু অংশে কালো কালো ময়লা। যতই করেন ক্লিন যেনো যেতেই চায় না। এটা কিন্তু Feline acne হতেই পারে। হতে পারে বললাম কারণ একি রকম দেখতে অনেক রোগ আছে।
এটা হবার পেছনে অনেক কারণ থাকে। সেটা খুজে বের করার দায়িত্ব আমাদের ভেট দের।
এটা হলে দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললে এটা হবার ঝুকি কমে আসে। চলুন জেনে নেই।
১) নিয়মিত গরম পানিতে কাপর ভিজিয়ে মুখমন্ডল ও থুতনি পরিষ্কার করবেন
২) stainless steel বা কাচের পাত্রে খেতে দেবেন। প্লাস্টিক এর পাত্র এড়িয়ে যাবেন। কারণ প্লাস্টিকের পাত্রে সহজে জীবানূ আটকে থাকতে পারে।
৩) সঠিক খাবার নির্ধারণ : দেখুন আপনার পোষা প্রাণি নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি সংবেদনশীল হতে পারে। এই সকল খাবার নির্ণয় করে সেগুলি খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
৪) বিড়ালের বা পোষা প্রাণির থাকার স্থান পরিষ্কার রাখবেন। ময়লা যেনো না থাকে খেয়াল রাখবেন
৫) আশ পাশের পরিবেশ সুন্দর ও পরিষ্কার রাখবেন ( ব্যাচেলর যারা আছেন তাদের জন্য বিশেষ ভাবে বলছি)
৬) সব ধরণের stress, থেকে নিরাপদ রাখা।
৭) যদি হয়েই যায়, তবে দ্রুত আসুন চিকিৎসা নিন
আশা করি এই তথ্য গুলি আপনাদের কাজে আসবে এই রোগ হতে নিরাপদ থাকতে।
লেখাস্বত্ব
Vet point
Best place for Animal's care
Pic from google.
Otodectic Ascariasis .... হা হা হা কি নাম শুনে অনেক কঠিন কিছু মনে হচ্ছে! নাহ সবাই এটা চেনেন। প্রায় সবাই এটা দেখলেই চিনবেন। ইতমধ্যে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় এটা সম্পর্কে কিছু জেনেছেন ও। এটা কে Ear mite বলে।
হ্যা। দেখবেন হঠাৎ করে বিড়াল টা বা কুকুর টা আগের মতন সাড়া দিচ্ছে না। কান নিয়ে অনেক ব্যাস্ত। মাথা ঝাকি দিচ্ছে কান এ হাত দিয়ে সরি প দিয়ে চুলকাচ্ছে। আপনি দেখলেন ভেতরে বেশ ময়লা সময় নিয়ে ক্লিন করলেন কিন্তু কিছু ঘন্টা পরে দেখলেন সেগুলি আবার হাজির। মুশকিল।
এই Ear mite একবার হলে সহজে যায় না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আবার কানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজেই এদের জ্বব্দ করে ফেলে।
কি ভাবে এটা প্রতিরোধ করবেন?
১) নিয়মিত কান ক্লিন করা : বাজারে অনেক পেট শপ আছে। সেখানে নিয়মিত কান ক্লিন করার বিভিন্ন আইটেম পেয়ে যাবেন। রিভিউ দেখে একটা ব্যবহার শুরু করতে পারেন।
২) নিয়মিত গ্রুমিং: কুকুর ও বিড়াল কে নিয়মিত ক্লিন রাখলে অনেক রোগ বালাই থেকে বেচে থাকা যায় সত্যি। এর ভেতর এটা একটা।
৩) পরিবেশ ক্লিন রাখা : তাদের থাকার বেড, খেলনা ও জামা কাপড় সব নিয়মিত ক্লিন করতে হবে।
৪) আক্রান্ত থেকে আলাদা রাখা : এটা অনেক জরুরি । নতুবা দ্রুত ছড়াবে।
৫) হলে চিকিৎসা করা : যদি এত কিছুর পরেও হয়ে যায়। দ্রুত আসুন আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন চিকিৎসা নিন ইনশাল্লাহ চিকিৎসা তে এটা পুরোপুরি ভালো হয়।
সর্বোপরি, সঠিক সময়ে সঠিক স্বিদ্ধান্ত নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে আশু রোগ মুক্তি মিলে।
লেখাস্বত্য
Vet point
The Best place for Animal's care
welfare
মানবাধিকার যেমন একটি সার্বজনীন বিষয়। প্রাণি অধিকার ও একটা সর্বজনীন বিষয়। এই পৃথিবীতে প্রাণীদের ও আমাদের সমান অধিকার রয়েছে নিজস্ব সুযোগ সুবিধা ভোগ করে বেঁচে থাকার। এই পৃথিবী হোক সকলের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল।
১) ক্ষুধাও পিপাসা থেকে নিরাপদ ২) অস্বস্তি থেকে নিরাপদ ৩) ব্যাথা ক্ষত ও রোগ থেকে নিরাপদ ৪) নিজের স্বাধিন আচার ব্যবহার এর প্রকাশ ৫) ভয় ও আতংক থেকে নিরাপদ। এই ৫ টা অধিকার প্রত্যেক প্রাণির জন্য প্রতিষ্ঠিত করা আমাদের দায়িত্ব।
আজকে Animal welfare বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক কর্মশালায় আমাদের কিছু মূহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম কারণ এটা অনেক সংবেদনশীল বিষয়।
ভ্যাক্সিন বা টিকা, এটা নিয়ে অনেক মাথা ব্যাথা আমাদের থাকে। সামনে শীতকাল আসছে, যখন সবচেয়ে বেশি আপসোস হবে এই ভ্যাক্সিন এর জন্য। এটা একটা সুরক্ষা ব্যবস্থা। যেমন প্রাণিকে সুরক্ষিত রাখে তেমনি মানুষকেও। তবে আপনার এই সুরক্ষিত দুর্গ কতটা মজবুত হচ্ছে তা ভেবে দেখা দরকার। নাহলে সবার হিসেব মিলবে আপনার টা নাও মিলতে পারে। প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাণি ভ্যাক্সিন দেয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এমনকি মারাও যাচ্ছে। তবে কি কি কারন হতে পারে এসবের পেছনে!
১) অসুস্থ্য অবস্থায় ভ্যাক্সিন দিচ্ছেন। মূলত ভ্যাক্সিন এর জন্য আপনার প্রাণিকে সুস্থ্য হতে হবে। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকতে হবে। কিছু ভ্যাক্সিন আছে যা অসুস্থ্য অবস্থায় দেয়া হয়ে থাকে, যেমন র্যাবিস ভ্যাক্সিন, কুকুর বা বাহিরের বিড়াল কামড় দিলো এই অবস্থাতেও দেয়া যায়। কিন্তু এ ছাড়া অন্য ভ্যাক্সিন দেয়ার আগে ভাবতে হবে। এছাড়া আবহাওয়া একটা বড় নিয়ামক অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা তে না দেয়া। দিনের ভেতর তুলনামূলক সহনীয় সময়ে দেয়া। প্রাণি ভয়ে আছে অনেক বা স্ট্রেসে আছে লম্বা ভ্রমণ করে এসেছে এরকম সময় গুলিতে না দেয়া উত্তম।
২) ভ্যাক্সিন সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা। কুল চেইন বা সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করলে সেই ভ্যাক্সিন না দেয়াই ভালো। এই ক্ষেত্রে আপনাকে সচেতন হতে হবে। ভ্যাক্সিন সাধারণত ফ্রিজে থাকবে। বের করার ১০ মিনিট এর ভেতরে দিবেন এরূপ না হলে দেবেন না।
৩) বুস্টার ডোজ : কমন প্রশ্ন ১ মাস পরে যে বুস্টার ডোজ আছে এটা না দিলে কিছু হবে কি!!! হ্যা হবে যেখানে ১ বছর পর পর ভ্যাক্সিন দিতেন এখন সেখানে ৬-৭ মাস পর পর দিতে হবে। লম্বা সময় ইমিউনিটি পাবেন না। নতুন ভাইরাস এর ভ্যারিয়েন্ট আসলে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আশেপাশের প্রাণি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে আসবে।
৪) ভ্যাক্সিন এর মেয়াদ: এটা একটা সাধারণ সচেতনতার বিষয়। বেশিরভাগ ভ্যাক্সিন চড়া মুল্যে বাহিরের দেশ থেকে আমদানি করা হয় সেগুলির যদি মেয়াদ শেষ দিকে থাকে তবে না দেয়াই উত্তম।
৫) সঠিক রুটে দেয়া। ভ্যাক্সিন দেয়ার আগে জেনে নেবেন এটা কোন রুটে দেয়া যাবে। কিছু ভ্যাক্সিন আছে যা মাংশে দেয়া হয়, কিছু আছে চামড়ার নীচে। কিছু আছে চোখে কিছূ আছে স্প্রে করা হয় আবার মুখেও দেয়ার আছে। জেনে বুঝে সঠিক রুটে দিতে হবে।
আরেকটা বিষয়, ভ্যাক্সিন শরীর এ যাওয়ার পরে কিছুদিন সময় নিবে এন্টিবডি তৈরিতে। আপনি হাসপাতালে আপনার সুস্থ্য প্রাণিকে নেবেন সেখানে অনেক জটিল রোগের রুগী ও ত যায়। ভ্যাক্সিন দেয়ার আগেই জীবাণু যদি আপনার প্রাণিতে এসে যায় ব্যাপার টা জটিলতা তৈরি করবে। কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিন এর কার্যকারিতা শুরুর আগেই সেই রোগে আক্রান্ত হতেও দেখা যায়। তাই যথাসম্ভব সাবধান থাকবেন। প্রয়োজনে হাসপাতালের নিরাপদ স্থানে এই ভ্যাক্সিন দেয়ার কাজ করা যেতে পারে।
সবশেষে ভ্যাক্সিন দেয়ার কিছু দিন এর মধ্যেও প্রাণি কে কোন স্ট্রেস দেবেন না। তার পরিচিত স্থানে রাখবেন। যত্ন নেবেন।
আপনাদের প্রাণির সঠিক সুরক্ষায় নিয়মিত ভ্যাক্সিন দেবেন। এটা তাদের জন্য ও আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
লেখাস্বত্ব
Vet point
Best place for Animal's care
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Rajshahi
Rajshahi, 76248
Assalamu alaikum ETA awadhesh Islamic paceg akhna .scoll poker Islamic gajial . Islamic song . Islamic paceg
Seroil Kacha Bazar (Near Hotel Haven), Old Bus Terminal, Ghoramara, Boalia Rajshahi
Rajshahi, 6100
people are treated here by alternative medicine & Hijama therapy
ইয়াশ বিডি হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টার, , মোল্লাপাড়া (বড় মসজিদ মোড়), কোর্ট ষ্টেশন, রাজশাহী, বাংলাদেশ।
Rajshahi, 6201
নিরাপদ আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও হার্বাল চিকিৎসা কেন্দ্র।