Faatiha Homoeo Pharmacy
সঠিক পরামর্শ, আন্তরিকতা ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য
পার্টনারের যদি ক্লান্ত অনুভূত হয় এবং মিলনে অনীহা প্রকাশ করে তবে সেই মুহূর্তে ঘনিষ্ঠ না হওয়া উচিত। নচেৎ পরবর্তী সময়ে এই বাজে অভিজ্ঞতা সে ভুলতে পারেনা, আগ্রহ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা প্রবল। সুতরাং ছাড় দিন-সংসার সুন্দর হবে।
💠স্ত-ন ক্যা-ন্সার হওয়ার কারণ, সচেতনতা এবং চিকিৎসা:
ব্রে-স্ট বা স্ত-ন ক্যা-ন্সার নারীদের জন্য এক আ-ত-ঙ্কের নাম। সমগ্র বিশ্বে নারীদের ক্যা-ন্সার জনিত কারণে মৃ-ত্যু-বরণের অন্যতম প্রধান কারণ ব্রে-স্ট ক্যা-ন্সার। পশ্চিম বিশ্বে এর প্রাদুর্ভাব বেশী থাকলেও এখন সাউথ ইস্ট এশিয়ান দেশে এই রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। স্ত-ন ক্যা-ন্সার বাংলাদেশে আগের চেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে। আগে ৪০-এর কম বয়সী রোগী বিরল ছিল। অথচ আজ ১৭ বছরের বালিকাও এ রোগের করুণ শিকার হচ্ছে।
📍স্ত-ন ক্যা-ন্সার কী?
স্ত-নের কিছু কোষ যখন অ-স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে তখন স্ত-ন ক্যা-ন্সার হতে দেখা যায়। তখন এই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিন্ডে পরিনত হয় এবং রক্তনালী লসিকা ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যা-ন্সার রোগের বিষয়ে আ-তঙ্কের কারণ।
📍কেন বাড়ছে স্ত-ন ক্যা-ন্সার?
স্ত-ন ক্যা-ন্সারে আ-ক্রান্তের মূলত দুই ধরনের কারণ দেখা যায়। প্রথমত, অপরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ এবং দ্বিতীয়ত, পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ। অপরিবর্তনযোগ্য এই কারণে বলা হচ্ছে যে এই ঝুঁ-কিসমূহ জেনেটিক, বংশ এবং হরমোনের কারণে হয়ে থাকে, যা আমরা পরিবর্তন করতে পারি না। আর পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁ-কিসমূহ পুরোপুরি আমাদের নিজেদের হাতে থাকে, যা ইচ্ছে করলেই আর একটু সাবধান থাকলেই আমরা এড়িয়ে যেতে পারি। চলুন তবে এই স্ত+ন ক্যা-ন্সারে আ-ক্রান্তের কারণগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
📍স্ত-ন ক্যা-ন্সার এর পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহঃ
১) অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত বিয়ে না করা এবং ৩০ বছর বয়সের পর নারীদের প্রথম সন্তানের মা হওয়া কিংবা সন্তান না নেয়া মহিলাদের স্ত-ন ক্যা-ন্সারের ঝুঁ-কি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
২) সন্তানকে নিয়মিত বুকের দুধ না খাওয়ানোর অভ্যাসের কারণে স্ত-ন ক্যা-ন্সারে আ-ক্রান্ত হতে দেখা যায়।
৩) যারা অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার খান এবং খাদ্যতালিকায় একেবারেই শাক সবজি রাখেন না তাদের ক্ষেত্রে স্ত-ন ক্যা-ন্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এছাড়াও দীর্ঘসময় টিনজাত খাবার খাওয়া, প্রিজারভড খাবার, কৃত্তিম মিষ্টি ও রঙযুক্ত খাবার খাওয়া নারী ও পুরুষের স্ত-ন ক্যা+ন্সারে আ-ক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী।
৪) অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া এবং শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই না করা স্ত-ন ক্যা-ন্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৫) দীর্ঘদিন এয়ার ফ্রেশনার, কীটনাশক, অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত কসমেটিকস, ডিওডোরেন্ট এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থের ব্যবহার স্ত-ন ক্যা-ন্সারের কারণ হতে পারে।
৬) যারা অল্প বয়সে ডায়াবেটিস আ-ক্রান্ত হন, তাদের স্ত-ন ক্যা-ন্সার হওয়ার ঝুঁ-কি বেশি থাকে।
৭) কিছু কিছু ঔষধ নিয়মিত বা মাঝেমধ্যে গ্রহণ করার অভ্যাস থাকলে স্ত-ন ক্যা-ন্সার হওয়া ঝু-কি বেশি থাকে। যেমন: #এলোপ্যাথিক_স্টেরয়েড_গ্রুপের_ওষুধ_ব্যথা_নাশক__ট্যাবলেট_ডিপ্রেশনের_ঔষধ_উচ্চ_রক্তচাপের_ওষুধ।
📍স্ত-ন ক্যা-ন্সার থেকে বাঁচার উপায়:
১. উপরে বর্ণিত যে সকল কারণগুলো স্ত-ন ক্যা-ন্সারের জন্য দায়ী সেই সকল কাজ এবং অভ্যাস থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
২. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
📍 স্ত-ন ক্যা-ন্সার এর চিকিৎসা:
স্ত-ন টিউমার এবং স্ত-ন ক্যান্সারের হোমিওপ্যাথিতে খুবই কার্যকরী এবং ভালো চিকিৎসা রয়েছে। তাই আপনার আশেপাশের কারো স্ত-ন টিউমার বা স্ত-ন ক্যান্সার হয়ে থাকলে অথবা স্ত-নে চাকার মতো মনে হলে দ্রুত একজন অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে হবে।
Faatiha Homoeo Pharmacy
#আপনি_কি_হাঁপানি_বা_শ্বাসকষ্টে_ভুগতেছেন..??
#কোন_ঔষধে_ভালো_হচ্ছে_না..
#হাঁপানি_বা_শ্বাসকষ্ট_যে_কত_কষ্টকর
#তা_ভুক্তভোগী_ছাড়া_কেউ_বলতে_পারবে_না..
সম্পূর্ণ অরিজিনাল জার্মানি হোমিও ঔষধের মাধ্যমে নতুন এবং পুরাতন শ্বাসকষ্ট সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।।
সম্পূর্ণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া মুক্ত, শতভাগ নিরাপদ ও কার্যকরী জার্মানী হোমিও ঔষধ।
#হাঁপানির_জন্য_হোমিওপ্যাথি_সঠিক_এবং_সেরা #হোমিও_চিকিৎসা_নিন
#সুস্থ_ও_সুন্দর_জীবন_উপভোগ_করুন
চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন
ফাতিহা হোমিও ফার্মেসী
☎️01794-617173 (WhatsApp)
✅আপনার কি স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে..?
✅অল্পতেই ঠান্ডা লেগে কাশি বা বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই করে শব্দ হয়..?
✅রাত বাড়লে কি সমস্যাও বেড়ে যায়..?
এগুলি অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রধান উপসর্গ..!
#চিকিৎসকদের_মতে, এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। তবে ইদানীংকালের মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে অনেকের মধ্যেই বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা।
📍 #অ্যাজমা_কী
অ্যাজমা অর্থ দ্রুত নিঃশ্বাস নেয়া। হাঁপানি বা অ্যাজমা একটি ফুসফুসজনিত ভয়ানক রোগ। আমাদের ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী সরু সরু অজস্র নালী পথ রয়েছে। ধুলো, অ্যালার্জি বা অন্যান্য নানা কারণে শ্বাসনালীর পেশি ফুলে ওঠে এবং অক্সিজেন বহনকারী নালী পথ সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। আর এর থেকেই নিঃশ্বাসের কষ্ট-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। এর ফলে রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। হাঁপানি অনেক সময় দেখা যায় তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। ফুসফুসে বায়ু প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হলেই হাঁপানির আক্রমণ হতে পারে। এটা সাধারনত এলার্জি, বায়ু দূষণ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রামণ, অতিরিক্ত ডিপ্রেশন, আবহাওয়া, খাদ্য ও নির্দিষ্ট ওষুধের কারনেও হতে পারে। এছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণের কারণেও এজমা বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এখন বর্তমান সময়ে প্রকৃতিতে যেহেতু ধুলাবালির পরিমাণ বেশি তাই হাঁপানি রোগীদের একটু সাবধানতা অবলম্বন করে চলাই ভালো। কারন #হাঁপানি_রোগীদের_জন্যে_ধুলাবালি_অত্যন্ত_ক্ষতিকর একটি বিষয়।
📍 #ঠিক_কী_কী_কারণে_হাঁপানি_হয়?
✅ অ্যালার্জি এই অসুখের এক অন্যতম কারণ। ধুলো, ধোঁয়া, তুলোর আঁশ, পশুপাখির লোম, রান্নাঘর ও বিছানার ধুলো, বাতাসে ভেসে থাকা ফুলের রেণু ইত্যাদি শ্বাসনালীর সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলি ‘অ্যাজমা অ্যাটাক’-এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও রাসায়ানিকের উগ্র গন্ধ, গ্যাস হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
✅ কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যাজমার অ্যাটাক হতে পারে।
✅ ধূমপান এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ। তা হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সন্তানসম্ভবা কোনও মহিলা ধূমপান করলে তাঁর গর্ভজাত শিশুর হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
✅ ঋতুপরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি-কাশি হাঁপানির প্রবণতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
✅ পরিবারে কারও হাঁপানির সমস্যা থাকলে এই অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
✅ অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অবসাদ হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
✅ অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া, কনকনে ঠান্ডা জল বা ঠান্ডা পানীয় খাবার অভ্যাস হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
📍 #হাঁপানি_থেকে_রক্ষার_প্রাকৃতিক_উপায়ঃ
➡️ বিছানা ও বালিশ প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে নিতে হবে বা বালিশে বিশেষ ধরনের কভার লাগিয়ে নিতে হবে।
➡️ ধুলো ঝাড়াঝাড়ি করা চলবে না।
➡️ ধোঁয়াযুক্ত বা খুব কড়া গন্ধওয়ালা কোনো পরিবেশে থাকা চলবে না।
➡️ আলো-হাওয়াযুক্ত, দূষণমুক্ত খোলামেলা পরিবেশে থাকা দরকার। কারণ স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ফাঙ্গাল স্পোর অনেক সময় হাঁপানির কারণ হয়।
➡️ হাঁপানি রোগীর আশপাশে ধূমপান বর্জনীয় ও মশার কয়েল জ্বালানো যাবে না।
➡️ অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্যও হাঁপানি রোগীরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাই নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে পরিশ্রমের ঝুঁকি নেয়া উচিত।
➡️ হালকা খাওয়া-দাওয়া করা উচিত যাতে হজমের কোনো অসুবিধা না হয়। কারণ বদহজম এবং অম্বল থেকেও হাঁপানি হতে পারে। যে খাবারে অ্যালার্জি আছে তা বর্জন করে চলতে হবে।
➡️ নিয়ম মেনে চললেই এই ধরনের রোগীরা শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ভালো থাকেন।
➡️ সঠিক হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী সুস্থ থাকতে পারেন।
📍 #হাঁপানি_রোগীর_যত্ন
➡️কটন জাতীয় গরম ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।
➡️সিল্ক, সিনথেটিক, পশমি কাপড় পরিধান না করাই উত্তম।
➡️পাতলা বালিশ ও নরম বিছানায় শোয়া উচিত।
➡️বাসস্থান শুষ্ক ও পর্যাপ্ত সূর্যের আলো-বাতাসসম্পন্ন হওয়া উচিত।
#হাঁপানি_বা_শ্বাসকষ্ট_প্রতিরোধের_উপায়ঃ
#কফি: কফি হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত গরম কফি পান করলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়। সারাদিনে ২-৩ কাপের বেশি ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত না।
#সরিষার_তেল: যখনই অ্যাজমা বা হাঁপানির আক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে তখন একটি বাটি মধ্যে একটু কর্পূর এবং সরিষার তেল নিয়ে গরম করুন। এরপর আলতো করে বুকে এবং পিঠে ম্যাসেজ করতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত উপসর্গ প্রশমিত হয় ততোক্ষণ ম্যাসেজ করতে হবে। এর ফলে শ্বাসনালীর প্যাসেজ পরিষ্কার এবং স্বাভাবিক শ্বাস ফিরে পেতে সাহায্য করবে। ঘরোয়া উপায়ে হাঁপানি প্রতিকারের এটি খুবই কার্যকরি পদ্ধতি।
#রসুন: রসুন হাঁপানি প্রতিরোধে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। হাঁপানির একটি বিকল্প চিকিৎসা হিসাবে রসুন ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই অ্যাজমা রোগীদের পরিমিত মাত্রায় রসুন খাওয়া উচিত।
#ডুমুর: ডুমুর কফ ড্রেন এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা উপশমে সাহায্য করে। তিনটি শুকনো ডুমুর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে একটি পাত্রে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে খালি পেটে সে ডুমুর ভিজানো পানি এবং ডুমুর খেয়ে নিতে পারেন। কয়েক মাস বাড়িতেই এ চিকিৎসা চালিয়ে গেলে অবশ্যই ফল পাবেন।
#আদা: আদা হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগের জন্য একটি সুপরিচিত প্রাকৃতিক চিকিৎসা। গবেষকদের মতে, আদা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং শ্বাসনালী সংকোচন রোধে সাহায্য করে।
📣শ্বাসকষ্ট অ্যাজমা সহ সকল জটিল রোগের হোমিও চিকিৎসা নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
📣এছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পেতে আমাদের আইডি ফলো করুন।
Faatiha Homoeo-Pharmacy
দ্রুত বী-র্য-পাত এবং উ-ত্থান-জনিত সমস্যা ভালো করতে সাহায্য করে "কেগেল এক্সারসাইজ"। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ মিনিট হলেও কেগেল এক্সারসাইজ করুন।
উত্তেজনা বশত নারী পুরুষের বিশেষ অঙ্গ দিয়ে কামরস নিসৃত হওয়া কোন অসুস্থতা নয়।
Faatiha Homoeo Pharmacy
📣📣অতিরিক্ত মাত্রায় হ-স্ত-মৈথুন মানবদেহে নানা ধরণের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত হস্ত-মৈ-থুনের ফলে নিচের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে:
📍লি-ঙ্গে-র শিথিলতা।
📍দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
📍স্মৃতিশক্তি কমে যায়। ফলে যেকোনো ব্যাপার মানুষ দ্রুতই ভুলে যায়।
📍পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজে মনোনিবেশ করা যায় না।
📍খাবার হজম ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ফলে ক্ষুধামন্দা দেখা যায়।
📍শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি এসে বাসা বাঁধে।
📍দ্রুত বী-র্য-পাত ঘটতে দেখা যায়, যার ফলে সংসারে নেমে আসে অশান্তি।
📍শরীরের নার্ভাস সিস্টেম এবং ডাইজেস্ট সিস্টেমের কার্যক্ষমতা হারাতেই থাকে।
📍শরীরের ওজন কমতেই থাকে।
📍মানসিক বিকৃতি ও অস্থিতিশীলতা দেখা যায়।
📍শরীরে সর্বদা ঝিম ঝিম বা ঝিমুনি ভাব চলে আসে।
📍গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত হস্ত-মৈ-থুনে বী-র্যে শু-ক্রা-ণুর সংখ্যা কমে যায়। জেনে রাখা ভালো যে, সন্তান জন্মদানের জন্য বী-র্যে শু-ক্রা-ণু দরকার হয় প্রায় ২০ কোটি।
📍শু-ক্রা-ণুর সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে মেল ইনফারটিলিটি দেখা দেয়।
📍সবসময়ই মাথা ব্যাথা অনুভূত হয়।
📍শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা।
📍ই-রে-ক্টা-ইল ডি-স-ফাংশন।
📍বী-র্য একেবারে পাতলা হয়ে যায়। অল্প একটু উত্তেজনার বী-র্য বের হয়ে আসে।
Faatiha Homoeo-Pharmacy
⭐⭐লি-ঙ্গে-র আকৃতি ছোট হলে করনীয়:⭐⭐
১.বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ তার মানসিক হীনমন্যতার কারনে নিজের বিশেষ অঙ্গকে ছোট মনে করে।
২.বিভিন্ন জায়গায় চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে নিজে চরমভাবে বিভ্রান্ত হয় যার শতভাগ এড ই মিথ্যা বানোয়াট।
৩.যারা দীর্ঘদিন ধরে লি-ঙ্গে-র আকৃতি নিয়ে মানসিক কষ্টে আছেন তাদের উচিত সরাসরি একজন হোমিও চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এবং ফিটনেস পরীক্ষা করা। সত্যি কি আপনার লি-ঙ্গ ছোট। চিকিৎসক ই একমাত্র সঠিক তথ্য দিতে পারবে লি-ঙ্গ ছোট না বড়,নাকি ঠিক আছে।
৪.লি-ঙ্গে-র সঠিক মাপ ধরা হয় শক্ত বা উত্থান অবস্থায় তিন থেকে ছয় ইঞ্চির মধ্যে থাকবে। (গড়ে ৪+-)
৫.যখন আপনার টা সঠিক আছে তারপরও ডিপ্রেশনে থাকা মানে আপনার মানসিক সমস্যা আছে।
৬.স-হ-বা-সের সময়ে বিভিন্ন আসনে মিলন করলে অর্গাজম নিশ্চিত করা যায়।
৭.আকৃতি একটু ছোট হলেও নারীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেওয়া সম্ভব।
৮.আকৃতি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে দৃঢ়তা এবং সময় বৃদ্ধি নিয়ে চেষ্টা করা ভালো।
৯.অতিরিক্ত হ-স্ত-মৈ-থুন ই যে এর প্রধান কারন বিষয়টা এমন নয়, এটা অনেকটা জেনেটিকাল। তবে দীর্ঘদিন বাজে নে-শা-য় আসক্ত হলে যৌ-ন শক্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
১০. সেক্স হরমোন টেস্টস্টেরন এর ঘাটতি থাকলে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার, ব্যায়াম এবং সঠিক হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে হরমোন লেভেল বুস্ট করা সম্ভব।
১১.পুষ্টিজনিত ঘাটতি থাকলে সাপ্লিমেন্টারি খাবার এবং ব্যায়াম অনেক ভালো কাজ করে।
Faatiha Homoeo Pharmacy
📣📣রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে করনীয়:📣📣
১. মোবাইল, ল্যাপটপ সহ সকল প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে রাতে দূরে থাকুন।
২. সুন্দর করে দাঁত ব্রাশ করুন
৩. ওজু করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করুন এবং সূরা মূলক তিলাওয়াত করুন।
৪. ঘুম না আসলে আপনার পছন্দের বই পড়ুন যেমন বিজনেস, স্টার্ট আপ, মোটিভেশনাল বই ইত্যাদি।
৫. সারাদিনে যে কাজ করলেন কি কি ভুল ছিল একটু চিন্তা করুন আর কিভাবে করলে কাজগুলো সুন্দর হতো চিন্তা করুন।
৬. আগামীকালে কি কি করতে চান তার একটা রুটিন করুন (ইনশাআল্লাহ্)। আজকে দিন থেকে আগামীকাল যেন সুন্দর হোক এই দোআ করবেন।
৭. ঘুমানোর দোআ পড়ুন, সবাইকে মাফকরে ঘুমান, জিকির করতে করতে ঘুম দিন।
বারাকাল্লাহ ফি হায়াতি।।
Faatiha Homoeo Pharmacy
উত্তম স্ত্রী সে যার দিকে তাকিয়ে স্বামী আনন্দিত হয়, স্বামী কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং স্বামী যা অপছন্দ করেন, স্ত্রী তা করে না।
আমার ওমান প্রবাসী রোগীর রিভিউ।
চিকিৎসা এবং চিকিৎসার পাশাপাশি এক্সারসাইজের কারণে উনি এতটা সুস্থ হয়েছেন এখন যে নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে উনার উত্তেজনা বেড়ে যাচ্ছে আপাতত এক্সারসাইজটা বন্ধ রেখেছেন।।
এখানে সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা হলো আমাদের রোগীদের জন্য, এক্সারসাইজ ওষুধের পাশাপাশি সমান গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার একটা বড় অংশ হচ্ছে এক্সারসাইজ।
যারা অলস তাদের জন্য সতর্কবাণী হচ্ছে, বসে না থেকে এক্সারসাইজ শুরু করুন। যেটাতে কোন টাকা পয়সা খরচ হয় না।
যে জাতী অলস সে জাতির দ্বারা উন্নতি সম্ভব না।
একই রকম ভাবে, আমি বলি, "যে রোগী অলস সে রোগীর সুস্থতা সম্ভব না"
Faatiha Homoeo Pharmacy
⭐পাঁচটি জিনিসের আগে পাঁচটি জিনিসকে মূল্যায়ন করো।
🖍️১. যৌবনকে মূল্যায়ন করো বার্ধক্যের আগে;
🖍️২. সুস্থতাকে মূল্যায়ন করো অসুস্থতা আসার আগে;
🖍️৩. সচ্ছলতাকে মূল্যায়ন করো দারিদ্র্য আসার আগে;
🖍️৪. অবসরকে মূল্যায়ন করো ব্যস্ততা আসার আগে এবং
🖍️৫. জীবনকে মূল্যায়ন করো মৃত্যু আসার আগে।
মুস্তাদরাকে হাকেম-৭৮৪৬, বাইহাকির শুআবুল ঈমান-১০২৪৮, সহিহুল জামে-১০৭৭
Faatiha Homoeo Pharmacy
১. লি-ঙ্গে-র শীতলতা কয় ধরনের?
উঃ দুইধরনের
📌প্রাইমারি ( জীবনের শুরুতে)
📌সেকেন্ডারি বা টেম্পোরারি (কোন এক সময় হয়েছে।)
২. মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে কি এমন হতে পারে?
উঃ জি,হতে পারে।
৩.কোন যৌ-ন হরমোন লি-ঙ্গের উথানে ভূমিকা রাখে?
উঃ টে-স্টোস্টে-রন ।
৪.কোন এক্সারসাইজ নিয়মিত অনুশীলন করলে লি-ঙ্গে-র শীতলতা দূর হয়?
উঃ কেগেল এক্সারসাইজ।
৫.কোন কোন খাবারে লি-ঙ্গের দৃঢ়তা ফিরে আসে?
উঃ ডিম, দুধ, ঘি, খাঁটি মধু, এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল, গরুর গোশত, খেঁজুর, বাদাম, কালোজিরা ইত্যাদি।
৬.একবার মিলনের কতক্ষণ পর লি-ঙ্গ শক্ত হয়?
উঃ ঠিক নেই। একএক জনের একএক রকম।
তবে কারও কারও ২ ঘন্টা আবার কারও ১০ মিনিট আবার কারও দুইদিন ও লাগতে পারে।
৭. স-হ-বা-সের মাঝখানে লি-ঙ্গ শীতল হয়ে যায় এটা কি বড় ধরনের অসুখ?
উঃ না।
৮.আগের মতো লি-ঙ্গ শক্ত হয়না?
উঃ জি বয়ঃসন্ধি কালে বেশি ই শক্ত হয় আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বা যখন প্রয়োজন তখন শক্ত হয়।
৯.হ-স্ত-মৈ-থুন প-র্ণসি-নেমা দেখার কারনে কি লি-ঙ্গ নরম হ'য়ে যায়?
উঃ অতিরিক্ত হ-স্ত-মৈ-থুন এবং অতিরিক্ত সিনেমা দেখলে এমন হতে পারে।
১০. যৌ-ন ঔষধের সাইড ইফেক্টে কি লি-ঙ্গ নরম হ'য়ে যায়?
উঃ জি, এ-লো-প্যা-থি ঔষুধে কখনও কখনও এমন হয়। কিন্তু এই দিক দিয়ে হোমিও চিকিৎসা সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত এবং নিরাপদ।
১১. লি-ঙ্গ কয়েক সেকেন্ড পর আবার নরম হয়ে যায় করনীয় কি?
উঃ অবিবাহিত হলে ভয়ের কিছু নেই।
বিবাহিত হলে মিলন করতে অসুবিধা হলে চিকিৎসা নেওয়া উত্তম।
১২. সকালে ঘুম থেকে উঠলে লি-ঙ্গ শক্ত হয়ে যায় এটা কি খারাপ?
উঃ খারাপ না। এটা অনেকেরই এমন হয় যেটাকে মর্নিং ইরেকশন বলে।
সকালে যৌ-ন হরমোন টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা রক্তে বেশি থাকে।
Faatiha Homoeo Pharmacy
অনেক পুরুষ ই বিশেষ অঙ্গের সাইজ ঠিক থাকার পরেও নিজেকে রোগী মনে করে।
শক্ত অবস্থায় ৩-৬ ইঞ্চির মধ্যে থাকলেই শুকরিয়া আদায় করুন।
Faatiha Homoeo Pharmacy
📌📌📌স্ত্রী অতিরিক্ত সন্দেহ করলে করনীয়:
📌 মাথা ঠান্ডা রাখুন, তাকে বুঝিয়ে বলুন। এমন কোন কাজ করবেন না যেন সন্দেহ তৈরি হয়, নিজের দিক থেকে শতভাগ সৎ থাকুন এবং মেয়েলি ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক থাকুন।
📌 আপনাকে অনেক ভালোবাসে তাই সন্দেহ করে বা হারানোর ভয়! এজন্য এটাকে পজেটিভলি নিন।
📌 সামান্য সন্দেহ হলে হেঁসে উড়িয়ে দিন তবে অতিরিক্ত পর্যায়ে গেলে চিকিৎসা নেওয়া উত্তম। কারো কারো বংশগতভাবে মাত্রাতিরিক্ত সন্দেহ রোগ থাকতে পারে।
📌 স্ত্রীর সাথে সবকথা মন খুলে শেয়ার করুন।কোন কিছু গোপন রাখবেন না পারতপক্ষে, সারাদিন কি কি করলেন তাকে সুন্দর করে বলুন।
📌 তাকে যথেষ্ট প্রশ্ন করার সুযোগ দিন এবং সঠিক উত্তর সময়মতো দিন।
📌 কাউকে উপকার করতে চাইলে স্ত্রীর সহযোগিতা নিতে পারেন এতে করে সে মানসিক শান্তি পাবে।
📌 কারও সামনে স্ত্রীকে ছোট করবেন না।
📌 সাধ্যমতো ছোট খাট গিফট করুন।
📌 স্ত্রীকে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসুন।
#স্যার_ভুলে_গেলেন_নাকি_কোন_রিভিউ_নিচ্ছেন_না
আমার শ্বাসকষ্টের পেশেন্ট। অনেকদিন আগে রিভিউটা পাঠিয়েছিল। আসলে ব্যস্ততার কারণে বেশ কয়েকদিন থেকেই নিয়মিত পোস্ট আপলোড করা হচ্ছে না।
সকলের জন্য দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
সম্পূর্ণ অরিজিনাল জার্মানি হোমিও মেডিসিন দ্বারা চিকিৎসা নিতে চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এছাড়াও নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের পেজটা ফলো দিয়ে রাখুন।
Faatiha Homoeo Pharmacy
📌বিয়ের পূর্বে জেনে রাখা উচিৎ:
১.যৌবন বা বয়ঃ সন্ধিকালে পুরুষের কোন নারীর প্রতি যৌ-ন-বা-সনা উদ্রেক হলে লি-ঙ্গে-র মাথায় পানি আসে যা অনেকটা স্বাভাবিক। এটাকে কা-ম-রস বা ম-যি বলে। এটা পরিমান কম বেশি হয়, যাদের শারীরিক মানসিক উত্তেজনা একটু বেশি হয় তাদের কা-ম-রস সহজে এবং একটু বেশি পরিমানে বের হয়।
এটা বের হলে অজু নষ্ট হয় তবে গোসল ফরজ হয়না।
এটা অল্পতেই বের হলে অনেক যুবক ই দিশেহারা হয়ে অস্থির হয়ে যায় (চিকিৎসা না করলেও ক্ষতি নেই)।
তবে ভিটামিন ই এবং উত্তেজনা কম হবে এমন খাবার, ঔষধ সেবনে এটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।সাথে খেজুর, কিসমিস, তালমাখনা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২.যৌবন শুরু হওয়ার আগে থেকেই বালকদের মনে যৌ-ন বিষয়ে কৌতুহল জাগতে পারে, এটা স্বাভাবিক। যৌবন আসার আগেই অনেকেই বিপথে চলে যায় বা কারো দ্বারা যৌ-ন নির্যাতনের শিকার হয়। ছোট বেলায় খারাপ স্মৃতি তৈরি হয়।
৩.পুরুষের লি-ঙ্গে-র মাথার অংশটুকু সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল হয়।আর যারা অতিরিক্ত হ-স্ত-মৈ-থুন করে তাদেরটা বেশি এবং যারা ঘর্ষন করে তাদের আরও বেশি হয়।
৪.নরম অবস্থায় হ-স্ত-মৈ-থুন করা বা জোরপূর্বক করলে আরও বেশি লিঙ্গের ক্ষতি হয়।
৫.প্রসাবের রাস্তা আর বী-র্যে-র রাস্তা একই হওয়ায় মিলনের পর ধৌত করা ও প্রসাব করে নেওয়া উত্তম।অন্যথায় ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে।
৬.বী-র্য বের হওয়ার সময় অটোমেটিকালি প্রসাবের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, কেউ চাইলেও একই সাথে প্রসাব এবং বী-র্য বের করতে পারেনা।
৭.নারীদের শরীরেও সামান্য পরিমানে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি হয়।
Faatiha Homoeo Pharmacy
যাদের যৌ--ন হরমোন বেশি তাদের ঘামও বেশি হয় শরীরে শক্তিও বেশি হয়। শুধু তাই নয় তারা হয় কর্মঠ।
📌বাচ্চার মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশঃ
আমাদের বাচ্চাদের ব্রেইনের ৯৫% গঠন হয় প্রথম ৫ বছরে। বাকি ৫% গঠন হয় পরের ৩ বছরে। তাই প্রথম ৮ বছর আপনার সন্তানের জন্য - সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এর ভিতর ৫ বছর বেশী গুরুত্বপূর্ণ!
ফলে এই সময়ে সবচেয়ে careful থাকা উচিৎ! এই গঠন বলতে বুঝায় - ব্রেইনের connection তৈরী হওয়া।
যার যত connection তৈরী হবে, সে তত ব্রিলিয়ান্ট হবে!
এই connection তৈরীতে রঙিন খেলনা, পুষ্টিকর খাবার, বাচ্চার সাথে খেলা করা, গল্প বলা - এমনই অনেক কিছু নির্ভরশীল!
কিন্তু আমাদের দেশে - বাচ্চা কথা বলা শেখার আগেই - সবাই লাঠি নিয়ে বসে - ঠিকমত পড়ালেখা শিখছে তো?
📌খাবারঃ
একসময় এদেশে মায়েদের বাচ্চার খাবারই ছিল - বার্লি আর সাগু!
তখন বার্লি Face বলে, একটা অপুষ্টির লক্ষ্মণ দেখা যেত। বাচ্চা হতো মোটাতাজা, মা মনে করতো - বেশ ভাল স্বাস্থ্য হয়েছে!
আজ সেই জায়গাটা নিয়েছে, সুজি! সুজি হয় চালের গুড়া, নাহলে গমের।
আবার এর সাথে কোন না কোন দুধ মিশ্রিত করে, সাথে থাকে চিনি। অথচ এর সবগুলোই অপুষ্টির জন্য যথেষ্ট।
কারণ গরীব হলে, গরুর দুধ মিশ্রিত করে - আর টাকা থাকলে infant formula. অথচ দুটোই বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক!
Infant formula'তে কোন কিছু মিশানো নিষেধ। আবার কোন চিকিৎসক লিখে দিলে - শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আমরা জানি সবসময়ই সুষম খাবার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে খিচুড়ি হলো, বাচ্চার সুষম খাবার।
অথচ মা'দের বুঝানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাথে যোগ হয়েছে - দাদা/দাদি, নানা/নানি।
মুরুব্বিদের ধারণা - তারাও তো বাচ্চা মানুষ করেছে, কখনো তো সমস্যা হয় নাই!
এর উত্তরে অনেক সময় বলি, দেশ যে ব্রিলিয়ান্ট জনসংখ্যার সংকটে ভুগছে, তা আপনাদের দান!
জাপানে প্রাইমারি স্কুলে কোন পরীক্ষা নেয় না! ওরা এই early childhood development এর উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
আর তাই সেরা ব্রিলিয়ান্ট ঐদেশে তৈরী হয়। আমাদের মত লাঠি হাতে নিয়ে শিক্ষা দেয় না।
📌কেন_খিচুড়ি_সেরা?
আমরা সবাই বা অনেকেই জানি essential amino acid বলে, একটা শব্দ আছে। যা শরীর তৈরী করতে পারে না। ফলে বাহিরের খাবার খেয়ে সেই অভাব পূরণ করতে হয়।
একমাত্র খিচুড়িতেই সবগুলো পাওয়া সম্ভব (চালে আটটি আর বাকিগুলো ডালে থাকে)। ফলে চাল-ডাল একসাথে থাকলেই শুধু সবগুলো essential amino acid পাওয়া সম্ভব!
এছাড়াও ডিমে এইসবগুলো essential amino acid থাকে।
📌 #ফলে_বাচ্চার_খাবার_হওয়া_উচিৎঃ
১) মায়ের বুকের দুধ ২ বছর পর্যন্ত, এর বাহিরে আর কোন দুধ নয়।
২) খিচুড়ি (চাল+ডাল+সয়াবিন/অলিভ ওয়েল+সবজি)
৩) ডিম
৪) মা যখন যা খাবেন - সেখান থেকে মাছ/মাংস/সবজি বাচ্চাকে দিবেন। (ফ্রেশ হতে হবে)
৫) সারাদিনে একবার ফল খাবে।
বাচ্চা সকাল/দুপুর/রাত, প্রচুর ফল খায় - এটাও ভাল লক্ষ্মণ নয়। কারণ পেট ভরা থাকায়, অন্য প্রয়োজনীয় খাবার খাবে না।
সবশেষে মা'দের বলি - আপনার সন্তান যদি পড়ালেখা নাও করে - Early Childhood Development ঠিক থাকলে, সে যাই হোক সেরাটাই হবে।
তাই সবাই Early Childhood Development এর উপর সময় দিন। সঠিক খাবার নিশ্চিত করুন! সুজি/গরু/ছাগলের (২ বছর বয়স পর্যন্ত) দূধ খাওয়ানো বন্ধ করুন।
📌📌ডাউন সিনড্রোম📌📌
📌📌জেনেটিক রোগ📌📌
📌ডাউন সিনড্রোম: (ইংরেজি: Down syndrome)( সংক্ষেপে DS বা DNS), এটা ট্রাইসোমি ২১ নামেও পরিচিত। এটি একটি জেনেটিক রোগ যেখানে ২১ নং ক্রোমোজোমে আরেকটি অতিরিক্ত ক্রোমোজোম বিদ্যমান। এই রোগে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক তরুণের গড় আইকিউ (IQ) ৫০ যা ৮-৯ বছরের সুস্থ শিশুর সমান।
📌বিশেষত্ব: মেডিকেল জেনেটিক্স, পেডিয়েট্রিকস
📌লক্ষণ: ধীর শারিরীক বৃদ্ধি, বিশেষ মুখের বৈশিষ্ট্য, হালকা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা
📌কারণ: ক্রোমোজোম২১ এর ৩য় অনুলীপি
📌ঝুঁকির সম্ভবনা: বয়স্ক মা
📌আরোগ্যসম্ভাবনা: আয়ু ৫০-৬০ (উন্নত বিশ্বে)
সংঘটনের হার: [৫৪ লাখ (০.১%)]
📌মৃতের সংখ্যা: [২৬,৫০০(২০১৫)]
আক্রান্ত শিশুর পিতামাতা জেনেটিকভাবে স্বাভাবিক থাকে। অতিরিক্ত ক্রোমোজোমের ঘটনা দৈবক্রমে ঘটে থাকে, এরকম সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা ২০ বছর বয়সী মায়েদের ক্ষেত্রে ০.১% এরও কম এবং ৪৫ বছর বয়সী মায়েদের ক্ষেত্রে তা ৩% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এই সম্ভাবনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এরকম আচরণগত কার্যক্রম বা পরিবেশগত বিষয়াবলী সম্পর্কে জানা যায় নি। বাচ্চা গর্ভে থাকা অবস্থায় স্ক্রিনিং পরীক্ষার মাধ্যমে অথবা জন্মের পর সরাসরি পর্যবেক্ষণ ও জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ শনাক্ত করা যায়। গর্ভাবস্থায় ভ্রুণটি ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হলে গর্ভপাতের পরামর্শ দেয়া হয়। ডাউন সিনড্রোমের রোগীকে সারাজীবন কিছু রোগের স্ক্রিনিং পরীক্ষা করাতে হয়।
এলোপ্যাথি চিকিৎসায় এই রোগের কোনো প্রতিকার নেই। জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ১০০% আরোগ্য সম্ভব।
শিক্ষা, যথাযথ যত্ন ও ভালোবাসা রোগীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। কিছু কিছু ডাউন সিনড্রোমের শিশুকে স্বাভাবিক বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষে শিক্ষা দেওয়া গেলেও অন্যের ক্ষেত্রে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দিতে হয়। কেউ কেউ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শেষ করতে পারে, খুব অল্পসংখ্যক উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত যেতে পারে। উন্নত বিশ্বে এই রোগীরা ৫০-৬০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
ক্রোমোজোম সংক্রান্ত রোগের মধ্যে ডাউন সিনড্রোম প্রথম সারির একটি রোগ। প্রতিবছর জন্মগ্রহণকারী ১০০০ হাজার শিশুর মধ্যে ১ জন ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্মায়। ২০১৩ সালে ডাউন সিনড্রোমের রোগী ছিল প্রায় ৮.৫ মিলিয়ন এবং মৃত্যুবরণ করে ২৭০০০ জন যেখানে ১৯৯০ সালে মারা গিয়েছিলো ৪৩০০০ জন। জন ল্যাংডন ডাউন (John Langdon Down) নামে একজন ব্রিটিশ ডাক্তার ১৮৬৬ সালে প্রথমবার এই রোগের পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দেন তাই তার নামে এই রোগের নামকরণ করা হয়। ১৮৩৮ সালে Jean-Étienne Dominique Esquirol ও ১৮৪৪ সালে Édouard Séguin এই রোগ সম্পর্কে অল্পবিস্তর বর্ণনা করেন। Jérôme Lejeune নামে ফ্রান্সের গবেষক ১৯৫৯ সালে আবিষ্কার করেন যে ২১ নং ক্রোমোজোমে দুটির স্থলে তিনটি ক্রোমোজোম বিদ্যমান।
📍জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পৃথিবীর সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, এই পদ্ধতিতে আপনকে ঔষধ সেবন করিয়ে বা দূর থেকে ডি এন এ এর মাধ্যমে ড্রাগ এনার্জি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েব এর দ্বারা মানব শরীরে ট্রান্সমিশন করে চিকিৎসা করা হয়, এতে আরোগ্য হয় দ্রুত, ভদ্রোচিত,বিনাকষ্টে।
📍জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন সুস্থ থাকুন।
জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা করলে যে কোন রোগ তো নির্মূল হয়ই পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে করা যায় সুস্থ,সবল,নীরোগ। বলা যায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ও নিজের তেমন কোন রোগ হবে না বা মরিচা ধরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে মরবে না। মৃত্যু হবে কিন্তু তা একেবারেই স্বাভাবিক, রোগ ভোগ করে নয়।
Faatiha Homoeo Pharmacy
📌এনাল ফিসার , ফিস্টুলা এবং পাইলস এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান কারন।
এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যাবস্থায় সার্জারি দ্বারা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সার্জারি ছাড়াই সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়।
📍এনাল ফিসারঃ
মলদ্বারের ব্যথায় অনেক লোক ভুগে থাকেন। যে রোগে মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হয় তার নাম এনাল ফিসার। সাধারণত শক্ত মল হলে বা ঘন ঘন মলত্যাগের কারণে মলদ্বার ফেটে ঘা হয়ে যায়। সমস্যা হল এই যে, এই ঘা শুকাতে চায় না সহজে। আবার কিছু কিছু রোগীর এই ঘা শুকিয়ে গেলেও কিছু দিন পর আবার মল শক্ত হলে একই সমস্যা আবার দেখা দেয়। এই রোগ একজন রোগীর বছরের পরবছর এমনকি ৩০-৪০ বছর থাকতে দেখেছি। এ রোগের উপসর্গেরও বেশ তারতম্য হয়। কোন কোন রোগীর মলত্যাগের পর সামান্য জ্বালা পোড়া হয় এবং তা ৫ থেকে ১৫ মি: পর্যন্ত চলে। আবার কখনও কখনও ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে এবং কয়েক ঘন্টা এমনকি সারাদিন চলতে থাকে। কারো কারো মাথা ধরে যায়। আবার দীর্ঘস্থায়ী এনাল ফিসারে মাঝে মাঝে মোটেই ব্যথা থাকে না। আমার ব্যক্তিগত মতে মলদ্বারের রোগের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি হয়। আমি দেড় মাসের বাচ্চাকে এ রোগ হতে দেখেছি। তবে তরুণ ও যুবকদের বেশী হয়। পুরুষ অথবা নারী উভয়ের এ রোগটি সমান ভাবে হয়ে থাকে।
📍পাইলস বা অর্শ্বঃ
পাইলস বা গেজ হলো মলদ্বারের এক ধরনের রোগ যেখানে রক্তনালীগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে। অর্শ্ব বা পাইলস হলে নিচের সাধারণতঃ যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়ঃ
মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাতপায়ুপথ চুলকানো অথবা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া ব্যথাপায়ুপথ থেকে বাইরের দিকে ফোলা ও ব্যথা লাগাপায়ুপথের মুখে চাকা অনুভব করা ও ব্যথা লাগাতবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাইলসের রোগীদের কোনো লক্ষণ থাকে না।
📍ফেস্টুলা/ভগন্দরঃ
ফেস্টুলা একটি নালী যা মলদ্বারের ভেতরে শুরু হয়ে মাংসের ভেতর দিয়ে মলদ্বারের পাশে একটি মুখ হয়ে বেরিয়ে আসে এবং মাঝে মাঝে এখান থেকে পুঁজ পড়েও ব্যথা হয়। পেরিএনাল এবসেস বা ফোঁড়া যদি নিজে নিজে ফেটে যায় কিংবা অসম্পূর্ণভাবে অপারেশনের মাধ্যমে পুঁজ বের করা হয় তাহলে এই রোগের উত্পত্তি হয়ে থাকে। এ রোগের দুটি মুখ থাকে। একটি থাকে মলদ্বারের ভেতরে এবং অন্যটি বাইরের স্কিনে। মাঝে মাঝে মলদ্বারের বাইরে ও ভেতরে একাধিক মুখও থাকতে পারে। যাকে আমরা বহুমুখী ফেস্টুলা বলে থাকি। বেশ কিছুদিন স্কিনের মুখটি বন্ধ থাকে এবং ভেতরে পুঁজ ও ময়লা জমতে থাকে। ফলেমুখ ও আশপাশ ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। এক সময় মুখ ফেটে পুঁজ ও ময়লা জাতীয় আঠালো পদার্থ বের হয়ে আসে এবং রোগী সুস্থ অনুভব করে, ভাবে ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে এবং রোগটি জটিলতর হতে থাকে।
📍রোগের কারণ এবং কি করে ঘটেঃ
এটি হওয়ার জন্য সাধারণতঃ দায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা মলত্যাগের সময় কুথুনি দেয়া। শক্ত মল বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে মনে করা হয়।ঘন ঘন মলত্যাগ বা ডায়রিয়া হলে ফিসারহওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করলে মলদ্বার অতিরিক্ত সংকুচিত বলে মনে হয়।গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকে ফিসার এর সম্মুখীন হতে পারেন। বাচ্চার গ্রোথ এর সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পরে ফিসার হয়।= পায়ুপথে যৌনমিলনে অভস্ততা ফিসার এর সূত্রপাত ঘটাতে পারে।মলদ্বারের ভিতর সাপোজিটরী জাতীয় ওষুধ দেয়ার সময় অনেকের মলদ্বারে যে ঘা হয় তা থেকেও অনেক রোগীর বিশেষ করে মহিলাদের এ জাতীয় রোগ হতে পারে।
📍উপসর্গ ও লক্ষণসমূহঃ
মলদ্বারে ফিসারের প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও রক্তক্ষরণ। এ ধরণের ব্যথা সাধারণত মল ত্যাগের অব্যবহিত পরে হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে বহু ঘন্টা এমনকি সারাদিনও চলতে পারে। ‘প্রকটালজিয়া ফিউগাঙ্’ নামক এক ধরনের রোগেও মলদ্বারে ব্যথা হয় কিন্তু তা মলত্যাগের অব্যবহিত পরেই হয় না, দিনের যে কোন সময় হতে পারে। পাইলসের জটিলতা যেমন রক্ত জমাট বাধা, আলসার বা গ্যাংগ্রীন হলেও মলদ্বারে প্রচুর ব্যথা হয় কিন্তু তখন রোগী মলদ্বারে বড় একটি মাংসপিন্ড আছে বলে অভিযোগ করেন। মলদ্বারে সংক্রমণ হয়ে ফোড়া হলে, ফিষ্টুলা বা ভগন্দর এবং দুরারোগ্য ক্যান্সারেও ব্যথা হয়। এসব ক্ষেত্রে রোগের ইতিহাস ও রোগীকে ফিজিক্যাল পরীক্ষা করে রোগ সনাক্ত করতে হয়। এই রোগে রক্তক্ষরণের পরিমাণ সাধারণতঃ কম। তবে আমি অনেক রোগী দেখেছি যারা বলেন মুরগী জবাই করলে যেরূপ রক্ত পড়ে তেমন রক্ত যায়। কিছুদিন পূর্বে অল্প বয়সী এক অফিসারকে চিকিত্সা করেছি যার তীব্র রক্ত শূন্যতা হয়েছিল।
দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) মলদ্বারের ফিসারের রোগী একটু ভিন্ন ধরনের উপসর্গের কথা বলেন। তাদের অভিযোগের মধ্যে থাকে মলদ্বারে অতিরিক্ত মাংসপিন্ড, পুঁজ পড়া, চুলকানি ইত্যাদি। এসব উপসর্গ একত্রে অথবা আলাদা আলাদাভাবে হতে পারে। এক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।ব্যথা সাধারণতঃ তীব্র হয় না, আবার অনেক সময় ব্যথা একেবারেই থাকে না।ফিসারের রোগীরা অনেক সময় প্রস্রাবেরসমস্যায় ভোগেন। অনেকে বহুদিন ধরে প্রস্রাব করতে কষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ রোগে মহিলারা কখনো কখনো যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। যদিও রোগীরা বুঝতে পারেন যে কোষ্টকাঠিণ্যের কারণে এ সমস্যাটির উদ্ভব হয়েছে তবু ব্যথার ভয়ে রোগীরা টয়লেটে যেতে চান না। এভাবে কোন কোন রোগী ৫-১০ দিন পর একবার টয়লেটে যান।
📍তীব্র ব্যথা সম্পন্ন ঘা বা একিউট এনাল ফিসারঃ
এ অবস্থায় রোগীরা ভীষণ ব্যথায় ভোগেন। কয়েক ঘন্টা থেকে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকেন। এসময় মলদ্বার পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে, সেটি খুবই সংকুচিত অবস্থায় আছে। তীব্র ব্যথার কারণে ভিতরের ঘা দেখা দু:সাধ্য। কোন যন্ত্রও প্রবেশ করানো যায় না। অনেক রোগী তীব্র ব্যথার জন্য মলদ্বার স্পর্শ করতে দিতে চান না।দীর্ঘস্থায়ী মলদ্বারের ঘা বা ক্রনিকএনাল ফিসারঃ ক্রনিক ফিসার বলা হয় যখন একটি সঠিক ভাবে চিহ্নিত সীমানার মধ্যে ঘা দেখা যায়। এক্ষেত্রে একটি বাড়ন্ত মাংশপিন্ড বা গেজ দেখা যায়। এটিকে বলা হয় ‘সেন্টিনেল পাইলস’।
📍প্রতিরোধঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করা উচিত এবং বেশী শক্তি প্রয়োগে মলত্যাগ করা উচিত নয়। বারে বারে মলত্যাগের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎ্সা করতে হবে।
📍কি কি খাবেন!!!
যারা আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের এ রোগ কম হয়। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক-সবজি, কাঁচা ফলমূল, আলুর ছোলা, ইসুপগুলের ভূষি ইত্যাদি। এতে থাকা আঁশ মলে পানি ধরে রেখে মলকে নরম করে। ফলে কোষ্টকাঠিন্য এর সম্ভাবনা থাকেনা।ডাল জাতীয় খাবার খান। এক কাপ ডালে ১৫-১৬ গ্রাম আঁশ থাকে। দিনে অন্তত দুই কাপ ডাল খান। খোসাহীন শস্যের চাইতে খোসা যুক্ত শস্য খান। সাদা চাল বা আটা এর বদলে লাল চাল বা আটা খান। খোসা, প্রচুর পরিমানে আশ ও ভিটামিন সরবরাহ করে।নিয়মিত দই খান। এতে থাকা উপকারী ব্যক্টেরিয়া কোষ্টকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খান।
📍কি কি খাবেন না!!!
পাস্তা, ক্র্যাকার, ভাত, বিস্কিট, রুটি ইত্যাদিতে আঁশ অনেক কম। ধরুন আপনি এক বেলার খাবারে নিয়মিত পাস্তা খান বা এক প্যাকেট বিস্কিট খান বা অল্প পরিমান সব্জী দিয়ে বা সব্জী ছাড়া প্রচুর পরিমাণে রুটি বা ভাত খান- এই ধরণের খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত থাকলে কিন্তু আপনার শরীরে আঁশ গ্রহণ কম হচ্ছে। ফলে দেখা দিতে পারে কোষ্টকাঠিন্য। মোটকথা কোষ্টকাঠিন্য নিরোধে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আঁশ এর অনুপাত ঠিক থাকতে হবে। ফ্যাটি ও উচ্চ সুগার যুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণের অভ্যাস ও কোষ্টকাঠিন্য ঘটাতে পারে। যেমন, গরুর মাংস, চীজ, মাখন, ফ্রাইড খাবার, চকোলেট, আইস্ক্রীম, কোমল পানীয় ইত্যাদি।
📍ব্যায়ামঃ
যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তারা ব্যায়ামের মাধ্যমে কোষ্টকাঠিন্য কমাতে পারেন। ফলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। মাটিতে সোজা শুয়ে পরুন, পা মাটিতে মেশানো থাকবে, পায়েরপাতা ছাদমুখী থাকবে। এবার পেটের পেষী ভিতরে দিকে টেনে ধরে আস্তে আস্তে শ্বাস নিন ও ডান পা টা আস্তে আস্তে দূরে নিন। যতদূর পারেন করুন, এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা আগের জায়গায় আনুন। এরপর বাম পা ব্যবহার করে একি ব্যায়াম করুন।
📍মলদ্বার এর যত্নঃ
মলদ্বার ও প্বার্শবর্তী অঞ্চল যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখুন। সুতী ও ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরিধান করুন। অন্তর্বাসের ভিতরে নরম কোন প্যাড ব্যবহার আপনাকে স্বস্তি দেবে। মাঝে মাঝেই সিজ বাথ (Sitz Bath) নিন, এটির নিয়ম হচ্ছে আধ গামলা লবণ মিশ্রিত গরম পানিতে নিতম্ব ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।
📍সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
এ রোগের জন্য অপারেশন করতে হতে পারে একথা শুনলেই রোগীদের আত্মা শুকিয়ে যায়। এমনকি বায়ু বের করতেও কষ্ট হয়। ওষুধে না সারলে অপারেশনই এই ঘা শুকাবার একমাত্র পথ মনে করলেও তা কিন্তু নয়। এটা বারবার ফিরে আসে।
📍হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান কারন।
এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক র্সাজারি ছাড়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়। সার্জারি চিকিৎসায় এক.দুই বছর পর পুনরায় এ রোগ দেখা দেয় কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সম্পূর্ন নির্মূল হয়ে যায় তবে চিকিৎসা নিতে হয় দীর্ঘ দিন যাবত।
Faatiha Homoeo Pharmacy
Click here to claim your Sponsored Listing.