পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখা।
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখা।, Political organisation, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, Rajshahi.
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
রাবিতে পিসিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবারের উদ্দ্যোগে নবীন বরণ, বিদায় সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান -২০২৩ অনুষ্ঠিত
আজ ১৭ নভেম্বর ২০২৩, রোজ শুক্রবার “উজ্জীবিত হোক সকল তরুণ প্রাণ,চেতনাতে মিশে যাক জুম পাহাড়ের ঘ্রাণ" স্লোগানকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবারের উদ্দ্যোগে “নবীন বরণ,বিদায় সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান -২০২৩ সম্পন্ন হয়৷ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ণরত ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ এবং ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়ণরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান -২০২৩ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়৷
অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ- উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সহ- সাধারণ সম্পাদক প্রমিত চাকমা, রমেন প্লাস কোচিং সেন্টারের পরিচালক রমেন্টু চাকমা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষার্থী ত্রিপিকা চাকমা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখার সংগ্রামী সভপতি জীনিচ চাকমা এবং সঞ্চালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুরেন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী অতিশ চাকমা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীনদের উদ্দেশ্যে বরণমাল্য পাঠ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুইরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মার্টিনা দেবী তঞ্চঙ্গ্যা এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সুস্মিতা চাকমা। এসময় আলোচনা সভায় নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জেমি সাইলুক এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল চাকমা এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অনাবিল চাকমা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ একটি বহুজাতির বহুসংস্কৃতির দেশ৷ এদেশে বাঙালি জনগোষ্ঠী ছাড়াও ভিন্ন ভাষাভাষীর বহু আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে৷ এই আদিবাসী জনগোষ্ঠী থেকে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক আদিবাসী শিক্ষার্থী আমাদের এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকে৷ আমি প্রত্যাশা করি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত এ সকল আদিবাসী শিক্ষার্থী তাদের মেধা-মনন এবং সৃজনশীল কর্মের মাধ্যমে তাদের নিজ জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করবে।
তিনি আরো বলেন,আদিবাসী যে সকল শিক্ষার্থী রয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির পর প্রধানত আবাসন সংকটের সম্মুখীন হয়ে থাকে৷ আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যতটা সম্ভব আদিবাসী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটের পাশাপাশি অন্যান্য যেসকল সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করার।
এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের কোটার সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা সহ যেকোনো সমস্যার সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশা ব্যক্ত করেন৷
বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রমিত চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক আদিবাসী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকে৷ তার মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান৷ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নিজ শেকড়ের টানে,নিজ জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান৷ এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের পুঁথিগত বিদ্যায় সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবতার নিরিখে যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার কথা বলেন।
তিনি তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সকল আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত ৫% আদিবাসী কোটা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রমেন্টু চাকমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্ন সবারই থাকে৷ কিন্ত সবাই উচ্চশিক্ষার যে স্বাদ তা পায় না৷ আজকে আপনারা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছেন এবং যারা চলে যাবেন আপানারা খুবই ভাগ্যবান৷ আমি আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আপনাদের অর্জিত জ্ঞান অবশ্যই দেশ ও জাতি গঠনের ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদান রাখবে৷
এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে বলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা থাকলেও চাকরিতে কোটা বাতিল করা হয়েছে। আদিবাসীরা সংখ্যায় তুলনামূলক কম হওয়ার কারণে এবং দুর্গম প্রান্তিক অঞ্চলে বসবাস করার কারণে স্বাভাবিকভাবেই পিছিয়ে রয়েছে৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্রে ও আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫% কোটা পূণর্বহাল করার দাবি জানান৷
সমাপনী বক্তব্য পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখার সংগ্রামী সভাপতি জীনিচ চাকমা বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ জন্ম থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার রক্ষার আন্দোলনের পাশাপাশি আদিবাসী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে৷ আজকে এই নবীন বরণ, বিদায় সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তারই একটি অংশ। তিনি তার বক্তব্যে এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য এসেছে সকল শিক্ষার্থীকে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মুক্তির সনদ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান৷
পরিশেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মাধ্যমে নবীন বরণ, বিদায়ী সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান -২০২৩ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়৷
বার্তা প্রেরক
তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখা।
পাবর্ত্য চট্রগ্রামের জুম্ম জাতীয় জাগরণের অগ্রদূত মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ,রাজশাহী মহানগর শাখার উদ্দ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্মরণ সভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত ৷
মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমাসহ ১০ই নভেম্বর ১৯৮৩ সালের সকল শহীদদের স্মরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখা উদ্দ্যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মহান নেতার প্রতিকৃতিতে সকালবেলা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়৷
সন্ধ্যায় আবারো মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লাারমাসহ সকল শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পুষ্পস্তবক অর্পণ,স্মরণ সভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন৷
প্রেস বিজ্ঞপ্তি...
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস -২০২৩
"আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আদিবাসী তরুণরাই মূল শক্তি"
জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ ৯ আগষ্ট ২০২৩ ইং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আদিবাসী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে আদিবাসী দিবস পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আদিবাসী সংগঠনগুলোর সাথে একাত্মতা পোষন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র থেকে র্যালি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান জায়গা ঘুরে ডিনস কমপ্লেক্স ভবনে গিয়ে র্যালিটি শেষ হয় এবং ডিনস কমপ্লেক্স মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম কনক। সভায় সঞ্চালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাজশাহী মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জেন্টল চাকমা। সভায় সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী ছাত্র পরিষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সুশান্তো মাহাতো। এছাড়াও উপস্থিত থাকেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি জীনিচ চাকমা, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তরুন মুন্ডা, আদিবাসী ছাত্র সংঘ,বশেমুরপ্রবি এর সভাপতি তপন চাকমা প্রমুখ সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাজশাহী মহানগর শাখার তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক বিজয় চাকমা। আলোচনা সভায় আদিবাসী বিষয়ক প্রমাণপত্র পাঠ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চেসি ত্রিপুরা।
স্বাগত বক্তব্যে বিজয় চাকমা বলেন, জাতিসংঘ ১৯৯৪ সাল থেকে ৯ আগষ্ট'কে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে পালনের স্বীকৃতি প্রদান করে এই মর্মে যে, যাহাতে প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র তাদের রাষ্ট্রে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সুবিধাসহ মৌলিক অধিকার বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে সোচ্চার হয় এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ভোট প্রদানে বিরত থাকার পরও দেশে কোন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস নেই এই মর্মে নানা ধরনের ফাঁক-ফোকড় কথাবার্তা, প্রোপাগাণ্ডার আশ্রয় গ্রহণ করে প্রতিনিয়ত আদিবাসী নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তিনি তারুণ্যকে যেকোনো ধরনের অন্যায় -অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান৷
প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রফেসর ড.সফিকুন্নবী সামাদী বাংলাদেশে বসবাসরত সকল আদিবাসীদের অধিকার আন্দোলনে সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এরপর বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি জীনিচ চাকমা। তিনি বলেন, পৃথিবীতে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর স্বাধীনভাবে,নিজ আত্মপরিচয়ের মাধ্যেমে বাঁচবার অধিকার রয়েছে। নিজ আত্মপরিচয়, স্বাতন্ত্র্যবোধ,আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামে যুগে যুগে প্রত্যেক নিপীড়িত, শোষিত,বঞ্চনার স্বীকার হওয়া জাতিগোষ্ঠীগুলো একদিন স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার মুক্তির স্বাদ পেয়েছে৷ তাই আমি বিশ্বাস করি পাহাড় এবং সমতলের যে সকল আদিবাসী জনগোষ্ঠী আজ নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছে তারা কোন একদিন পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবে৷ আজ পাহাড় এবং সমতলের সকল আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী একে-অপরের প্রতি সংহতি জোরদারকরে৷ আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শামিল হওয়ার যথোপযুক্ত সময় এসেছে৷
আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুন মুন্ডা তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বসবাসরত সকল আদিবাসী অধিকার আদায়ের স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আদিবাসী ছাত্র সংঘ বশেমুরপ্রবি এর সভাপতি তপন চাকমা বলেন "অস্তিত্ব রক্ষার্থে তরুণ সমাজের ঐক্যতা অপরিসীম। ৯ আগস্ট আদিবাসী দিবসটি বিশ্বের সকল আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার্থে গুরুত্ব বহন করে। আর এই অধিকার আদায়ের জন্য তরুণ সমাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ তরুণরাই পারে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে। তাই তরুণ সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, মহাবিশ্বের একটা নক্ষত্র যা আলো দিতে পারে তার চাইতে অনেকগুলো নক্ষত্র একত্রিত হয়ে হয়ে আরও বেশি আলো দিতে পারবে। তেমনি আমরা শিক্ষিত তরুণ সমাজ একত্রিত হয়ে কাজ করলে জাতির জন্য অধিকার আদায় করে আলো জ্বালিয়ে দিতে পারব। আমরা জানি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা সমতল সহ যে আদিবাসী জাতি বসবাস করি তা প্রতিনিয়ত সরকার কর্তৃক নিপীড়ন নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছি। আমাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই এইসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার জন্য তরুণ সমাজের ঐক্যের বিকল্প নেই।
এরপর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আমিরুল ইসলাম কনক, আদিবাসীদের মৌলিক অধিকার আদায় করার লক্ষ্যে সকল আদিবাসী গোষ্ঠীকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান এবং সরকারকে আরও আন্তরিক হবার আহবান জানান।
শেষে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সুশান্তো মাহাতোর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভাটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে বিকেল ৫ ঘটিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়।
রাবিতে শহীদ ছাত্রনেতা ক্যজাই মারমা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৩ অনুষ্ঠিত
আজ ২৯ জুলাই ২০২৩ ইং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং ঐক্য ও সংহতি জোরদারকরণের লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখা কর্তৃক "শহীদ ছাত্রনেতা ক্যজাই মারমা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৩ " অনুষ্ঠিত হয়৷
টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখার সংগ্রামী সভাপতি জীনিচ চাকমা, সিনিয়র শিক্ষর্থী শোভন ত্রিপুরা,নিকেল ত্রিপুরা, সোহেল চাকমা সহ বিভিন্ন বর্ষে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে নিকেল ত্রিপুরা বলেন, রাবিতে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার পারস্পরিক সম্পর্ক বৃ্দ্ধিতে এ ধরনের কার্যক্রম খুবই জরুরি৷ তিনি পিসিপি'কে এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান৷
শোভন ত্রিপুরা তার বক্তব্যে বলেন, একজন মানুষের শারীরিক - মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য খেলাধুলা অপরিহার্য একটি মাধ্যম৷ খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষের সৃজনশীল মানসিকতার বিকাশ হয়৷ তিনি পিসিপি'কে এ ধরনের কার্যক্রমে ভূমিকা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরেক সিনিয়র শিক্ষার্থী সোহেল চাকমা বলেন, উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করার জন্য যেমন অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই ঠিক তেমনি আমাদের মাঝে পারস্পারিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য এ ধরণের ইভেন্টর গুরুত্ব অনেক বেশি৷ এ ধরনের ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যেমে আমাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র একাডেমিকভাবে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজের যে উৎপত্তির শিকড় তার অস্তিত্ব রক্ষার্থে চিন্তা-ভাবনা এবং জাতির স্বার্থে কাজ করার আহবান জানান৷
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে, জীনিচ চাকমা বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের যে ভিন্ন ভাষাভাষী আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের মধ্যেকার পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং ঐক্য ও সংহতি জোরদারকরণে পিসিপি তার প্রতিষ্ঠার পর থেকে কাজ করে আসছে৷ তারই অংশ হিসেবে পিসিপি প্রতিবছর নানা ধরনের কর্মপন্থা গ্রহন করে থাকে। খেলাধুলা তার মধ্যে অন্যতম৷ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীদের টুর্নামেন্টে স্বতস্ফুর্তভাবে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷ পরবর্তীতে পিসিপি'র যেকোনো কার্যক্রমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা-সহযোগিতায় পিসিপি সবসময়ই পাশে থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন৷
উল্লেখ্য যে, উক্ত টুর্নামেন্টে মোট চারটি দল অংশগ্রহণ করে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় সাটলট (২০২০-২১) বনাম সূর্যশিখা (২০২১-২২) মুখোমুখি হয়৷ সাটলট ৩-১ গোলে সুর্যশিখা দলকে পরাজিত করে ফাইনাল খেলায় বিজয়ী হয়৷ পরে উভয় দলকে পুরষ্কার প্রদানের মাধ্যেমে উক্ত টুর্নামেন্টের সমাপনী ঘোষনা করা হয়।
শহীদ ছাত্রনেতা ক্যজাই মারমা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ আজকের খেলার ফলাফল
১ম ম্যাচ :
Satlot - 4 VS The Magnum Opus -02
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ: সোহেল চাকমা।
২য় ম্যাচ:
Surjoshikha - 02 VS Labarong - 0
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : জসিময় চাকমা।
আগামীকাল ২৯ জুলাই ২০২৩ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শেখ কামাল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে৷ ফাইনাল খেলায় টিম সাটলট (২০২০-২১) এবং টিম সুর্যশিখা (২০২১-২২) মুখোমুখি হবে। উক্ত টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য আপনারা সকলে আমন্ত্রিত ।
আয়োজনে: পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখা।
শহীদ ছাত্রনেতা ক্যজাই মারমা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট - ২০২৩ দ্বিতীয় দিনের খেলার ফলাফল:
৩য় ম্যাচ:
Surjoshikha - 02 VS The Magnum Opus - 0
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : এমং মারমা।
৪র্থ ম্যাচ :
Satlot - 01 VS Labarong -0
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : থোইহ্লাচিং মারমা।
খেলা শেষে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরস্কার প্রদান করেন আদিবাসী স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি (আসারু) - এর সভাপতি সিলভেস্টার রুবেল মুরমু৷
উল্লেখ্য যে, উক্ত টুর্নামেন্টে মোট চারটি দল অংশগ্রহণ করেছে। টুর্নামেন্টটি ২১ জুলাই ২০২৩ থেকে ২৯ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত চলবে৷
আয়োজনে: পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখা।
শহীদ ছাত্রনেতা ক্যজাই মারমা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট - ২০২৩
প্রথম ম্যাচ :
The Magnum Opus - 0 VS Labarong -1
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : চন্দ্রলাল ত্রিপুরা
দ্বিতীয় ম্যাচ :
Satlot - 0 VS Surjoshikha - 0
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : ইমন পঃস্নেম
উল্লেখ্য যে,শহীদ কমরেড ক্যজাই মারমা
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নিবেদিত কর্মী ক্যজাই মারমা ১৯৯৬ সালের ৩১ মার্চ খাগড়াছড়ি সদরের পানখাইয়া পাড়া এলাকায় এপিবিএন সদস্যদের গুলিতে শহীদ হন।
রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক পিসিপি নেতা চাথোয়াই প্রু মারমাকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়। তারই প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবীতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১ এপ্রিল ১৯৯৬ইং সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। অবরোধ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ৩১ মার্চ সন্ধ্যা ৬:৪৫ টার দিকে ক্যজাই মারমাসহ পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কর্মী সমর্থকরা প্রচারণায় নামেন। প্রচারণার সময় এপি ব্যাটালিয়ানের সদস্যরা বাঁধা দেয়। এ সময় অবরোধ ও অবরোধের পক্ষে প্রচারণা গণতান্ত্রিক, মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের কথা তুলে ধরেন কর্মীরা। একপর্যায়ে যুক্তিতে না পেরে এপি ব্যাটালিয়ানের সদস্যরা পিসিপি কর্মীদের উপর গুলিবর্ষণ করে। এপি ব্যাটালিয়নের সদস্যদের ছোড়া গুলি ক্যজাই মারমা'র বুকে লাগে। এতে তিনিসহ আরও অনেকেই আহত হন।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সহযোদ্ধাদের সাথে কিছুদূর দৌড়ে যেতে সক্ষম হন। এরপর প্রচন্ড রক্তক্ষরণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ক্যজাই মারমা। ঘটনার রাতে ক্যজাই মারমা'র মৃতদেহটি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য এপি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পানখাইয়া পাড়ার প্রতিটি জুম্ম ঘরে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায়। পরের দিন ১ এপ্রিল হাজার হাজার শোকার্ত জনতা শহীদ ক্যজাই মারমার লাশ নিয়ে রাজপথে নেমে আসে। মিছিলটি পানখাইয়া পাড়া থেকে চেঙ্গী স্কোয়ার হয়ে ঘুরে এসে শাপলা চত্বরে পৌঁছালে পুলিশের সদস্যরা লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটসহ ছোড়ে। এতে শত শত লোক আহত হয়। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের অনেক নেতাকর্মীকে আটকসহ শহীদ ক্যজাই মারমার লাশও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ছাত্র নেতার হত্যাকান্ডসহ পুলিশি বর্বরতার প্রতিবাদে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ঢাকা—চট্টগ্রামসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবী জানায়। কিন্তু দীর্ঘ ২৭ বছরেরও ক্যজাই মারমা হত্যাকারী দোষী এপিবিএন সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শহীদ ক্যজাই মারমা'র আত্মবলিদান বৃথা যেতে পারেনা।
সুখবর সুখবর সুখবর
শহীদ ছাত্রনেতা ক্যজাই মারমা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট - ২০২৩
অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানানো যাচ্ছে যে,শহীদ ছাত্রনেতা ক্যজাই মারমার স্মৃতির স্মরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যকার পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্য- সংহতি সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শেখ কামাল স্টেডিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখার উদ্দ্যোগে " শহীদ ছাত্রনেতা ক্যজাই মারমা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩" আয়োজন করতে যাচ্ছি৷ উক্ত টুর্নামেন্টটি আগামী ২১ জুলাই ২০২৩ থেকে শুরু হবে এবং ২৯ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত চলবে।
রাজশাহীতে বসবাসরত সকল আদিবাসীদেরকে মাঠে উপস্থিত থেকে খেলার দেখার আমন্ত্রণ রইল৷
আয়োজনে: পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখা।।
"পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সম্মিলিত বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলুন"
গণসংগীত, ছাত্র-যুব সংহতি সমাবেশ ও মিছিলে
দলে দলে যোগ দিন
২২জুলাই, শনিবার, বিকাল ৩ টা
স্থান: প্রজন্ম চত্বর, শাহবাগ, ঢাকা।
তারিখ: ৩০/০৬/২৩
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
রাঙ্গামাটির লংগদুতে দুইজন সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক জুম্ম নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দুই সংগঠনের
যৌথ বিবৃতি
কোরবানির ঈদে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে গতকাল ২৯ জুন ২০২৩ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলার ১নং আটারকছড়া ইউনিয়নের ডানে আটারকছড়া বাঙালি পাড়ায় দুইজন সেটেলার বাঙালি মোঃ মনজুর (২৬) ও মোঃ রুবেল (২৬) কর্তৃক এক জুম্ম নারী(৩৫) ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ চিহ্নিত ধর্ষক মোঃ মনজুর ও মোঃ রুবেলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নারী তার দাদা—দাদী এবং মামাসহ তাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী ডানে আটারকছড়া বাঙালি পাড়ার মোঃ সিদ্দিক নামে একজনের বাড়িতে ঈদের দাওয়াত খেতে যায়। একই সময়ে উক্ত বাড়িতে আটারকছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মনজুর (২৬), পিতা: মোঃ কামাল এবং একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ রুবেল (২৬), পিতা: আব্বাস; উপস্থিত হয়। তারা দুইজনই পেশায় মোটরসাইকেল চালক। এর কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগী নারী তার দাদা—দাদীর সাথে পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সাথে সাথে মোঃ মনজুর ও মোঃ রুবেল তাদের পিছনে পিছনে গিয়ে তাদের গতিরোধ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভুক্তভোগীর দাদা—দাদীকে বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং এরপর চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে দিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়। ভুক্তভোগীর দাদা—দাদী গ্রামে পৌঁছে আত্মীয় ও গ্রামবাসীদের ঘটনাটি জানালে তারা ওই নারীর খোঁজে বের হন এবং একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারীকে প্রায় অচেতন অবস্থায় খুঁজে পান।
নেতৃদ্বয় এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা রোধ ও জুম্ম নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়নসহ অবিলম্বে চিহ্নিত ধর্ষক মোঃ মনজুর ও মোঃ রুবেল সহ বিগত ঘটনাগুলোর প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদানের জোর দাবি জানান।
বার্তা প্রেরক
অন্তর চাকমা
তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ
যোগযোগ— ০১৮৫৭৪৪৪৭৬৫
শিক্ষা সংহতি সাম্য প্রগতি
"পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রী দল
জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে নিয়ে এগিয়ে চল "
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু পাহাড়ের জুম্ম শিক্ষার্থীদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
শুভেচ্ছান্তে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে রোহিঙ্গা মুসলিম কর্তৃক এক বাক প্রতিবন্ধী জুম্ম কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে যৌথ বিবৃতি
গত ২৫ মে ২০২৩ রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার ০৩নং ফারুয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তাংকুইতাং পাড়ায় জুমঘরে এক বাক প্রতিবন্ধী জুম্ম কিশোরী আনুমানিক সকাল ১১:০০ ঘটিকার দিকে রোহিঙ্গা মুসলিম মো: হাসান (৪৮) কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং চিহ্নিত ধর্ষক মো: হাসানকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে।
ঘটনার দিন পরিবারের লোকজন প্রতিদিনের ন্যায় জুমে কাজ করতে যায়। এই সুযোগে রোহিঙ্গা মুসলিম মো: হাসান (৪৮) আনুমানিক ১১:০০ ঘটিকায় জুম্ম কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে হাত বেঁধে ধর্ষণ করে। পরিবারের লোকজন ঘরে ফিরে ঘটনাটি জানার পর স্থানীয় হেডম্যান ও বাজার কমিটিকে অবগত করে। পরে পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের দাবির মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধর্ষক মো: হাসানকে তাংকুইতাং পাড়া থেকে আটক করতে বাধ্য হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত সেটেলার কর্তৃক জুম্ম নারী ধর্ষণ, অপহরণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা সংগঠিত হলেও সে ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা শাস্তির আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে। প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় অপরাধীরা বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলছে। এমনকি নিজ বাড়িতেও জুম্ম নারীরা অনিরাপদ। শুধু তাই নয়, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ মনে করে।
তাই, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ অবিলম্বে আটককৃত ধর্ষক মো: হাসানসহ বিগত ঘটনাগুলোর প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছে।
বার্তা প্রেরক
অন্তর চাকমা
তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ
আজ শহীদ কমরেড মংচসিং মারমা'র ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী
২০১২ সালের ২০ মে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ (প্রসীত পন্থী) সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কাপ্তাই সুইডিস পলিটেকনিক শাখার সক্রিয় সদস্য শহীদ মংচসিং মারমা শহীদ হন। আজ তার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
শহীদ মংচসিং মারমা পিসিপি কাপ্তাই সুইডিস পলিটেকনিক শাখার সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১২ সালের ২০শে মে পিসিপির কেন্দ্রীয় ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশগ্রহণ শেষে বাড়িতে ফেরার জন্য রাঙ্গামাটির কল্যাণপুরস্থ পেট্রোল পাম্পে সহকর্মী ও বন্ধুদের অপেক্ষা করছিলেন। বিকাল ৩ঃ৩০ টার দিকে অপেক্ষামান বাসের পাশ ঘেষে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি চলমান সিএনজি গতি কমিয়ে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ (প্রসীত পন্থী) সন্ত্রাসীরা আকস্মিক গ্রেনেড ছুড়ে মেরে দ্রুত চলে যায়। সেই গ্রেনেড হামলায় তিনিসহ ১৩ জন সহযোদ্ধা মারাত্মকভাবে আহত হন। অনেকের হাত, কারোর পা, কারোর শরীর কিংবা কারোর চোখে আঘাত পান এবং মাংস পিন্ড ছিটকে পড়ে। সহপাঠীরা তাদেরকে দ্রুত রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মংচসিং মারমা চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ২৭তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মাধ্যেমে নবনির্বাচিত সভাপতি নিপন ত্রিপুরা সাধারণ সম্পাদক থোয়াইক্য জাই চাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুপ্রিয় তঞ্চঙ্গ্যাঁকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখার পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
পিসিপি’র ২৭তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্পন্ন: নেতৃত্বে নিপন ত্রিপুরা ও থোয়াইক্য জাই চাক | Hill Voice আদিবাসী অধিকারপার্বত্য চট্টগ্রাম পিসিপি’র ২৭তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্পন্ন: নেতৃত্বে নিপন ত্রিপুরা ও থোয়াইক.....
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
২১ মে ২০২৩
পিসিপি'র ২৭তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্পন্ন: নেতৃত্বে নিপন ত্রিপুরা ও থোয়াইক্য জাই চাক
আজ ২১ মে ২০২৩ ইং (রবিবার) রাঙ্গামাটির সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলনে ছাত্র-যুব সমাজ অধিকতর সামিল হউন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রামের অগ্রগামী ও জুম্ম ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র প্রগতিশীল ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের দিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি শ্রী ঊষাতন তালুকদার। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি, রাঙ্গামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্রীমতি সুবীণা চাকমা।
কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সামগ্রিক প্রতিবেদন পাঠ করেন বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা এবং আর্থিক প্রতিবেদন পাঠ করেন অর্থ সম্পাদক মিলন কুসুম তঞ্চঙ্গ্যা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রী ঊষাতন তালুকদার বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির শত প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও পিসিপি’র প্রত্যেক নেতা কর্মী জুম্ম জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করে চলেছে এটাই আমাদের আশা-ভরসার জায়গা। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী এমন আচরণ করছে যেন জনসংহতি সমিতি বা পিসিপি নিষিদ্ধ কোন সংগঠন।”
তিনি আরও বলেন, “অধিকারের প্রশ্নে আমরা কতটুকু অসহায় তা আমাদের অনুধাবন করতে হবে। বাস্তবতা বিশ্লেষণ করার মধ্য দিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রবীণ নেতারা ছাত্র অবস্থা থেকেই প্রগতিশীলতার সঙ্গে জুম্ম সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। বর্তমান সময়ের ছাত্র সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে।”
শ্রী তালুকদার আরও বলেন, “ছাত্র সমাজ প্রত্যেক সমাজের সচেতন অগ্রগামী শ্রেণী, তাই যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে তারা অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য রাখতে হবে। সততা, একাগ্রতা, জ্ঞানে গুণে প্রমাণ করে তবেই এই ছাত্র সমাজ সবার কাছে পৌঁছাতে সক্ষম। অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যে সততা, জ্ঞান ও সাহসিকতার সাথে কাজ করলেই জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভব।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুবীণা চাকমা বলেন, “আমরা বাঙালি নই, আমাদেরকে কেন বাঙালি বানাতে চায় সরকার। আমাদের পূর্বপুরুষের জমি-ভূমি বহিরাগতদের হাতে চলে যাবে কেন! আমরা নিজ নিজ অধিকার নিয়ে শান্তিতে বেঁচে থাকতে চাই। জন্মলগ্ন থেকেই আমি এই পাহাড়ে সেনাশাসন দেখে আসছি। এখনো পর্যন্ত জুম্মদের নানা অনিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক প্রতিনিয়ত ধরপাকড়, হয়রানি, অত্যাচারে এই জুম্ম জনগণ আজ অতিষ্ঠ।
জুম্ম জনগণের মুক্তির এই আন্দোলনে পাহাড়ের জুম্ম নারী সমাজকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।”
বিদায়ী কমিটির পক্ষ থেকে সহ-সভাপতি শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, “পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ একটা শিক্ষা ভান্ডার, পাঠশালা ও কান্ডারি সংগঠন। এই সংগঠন প্রগতিশীলতার মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনতে নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে জুম্ম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামে মূখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।”
সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্য সংগ্রামী সভাপতি শ্রী সুমন মারমা তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পথচলা স্মৃতিচারণ করেন বলেন, “একটি সংগঠন কাজে-কর্মে যদি কৌশলী হতে না পারে তবে সে সংগঠন নিষ্প্রাণ হয়ে থাকে। নেতৃবৃন্দকে ত্যাগ-শ্রমের মধ্য দিয়ে তত্ত্ব ও প্রয়োগের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেই সংগঠনের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মেনে চলে এবং নীতি আদর্শের কথা আমাদের বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে। আগামীতে নানা সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে জুম্ম ছাত্র সমাজের মাঝে পার্টির বার্তা পৌঁছিয়ে দিতে হবে। রাজনৈতিক অধ্যয়ন ছাড়া একজন মানুষ পরিপূর্ণভাবে বিকাশ লাভ করতে পারে না।
জুম্ম জনগণের অস্তিত্বের এই ক্রান্তিলগ্নে নীতি আদর্শকে ধারণ করে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রাম করতে হবে।”
কাউন্সিল অধিবেশনে প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষকদের আকুন্ঠ সমর্থনে নিপন ত্রিপুরাকে সভাপতি, থোয়াইক্য জাই চাককে সাধারণ সম্পাদক এবং সুপ্রিয় তঞ্চঙ্গ্যাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট ২৭তম কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান বিদায়ী কমিটির সংগ্রামী সভাপতি সুমন মারমা।
উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিলে পিসিপি'র বিভিন্ন কলেজ, পলিটেকনিক, থানা, শহর, ইউনিয়ন, জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং জনসংহতি সমিতি, মহিলা সমিতি, যুব সমিতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন থেকে তিন শতাধিক প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক অংশগ্রহণ করে।
বার্তা প্রেরক
ম্যাকলিন চাকমা
তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা রাজনৈতিক : ঊষাতন তালুকদার
২১ মে ২০২৩
আজকের পত্রিকা
৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের দাবি -
১. পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা কর।
২. আদিবাসীদের স্ব স্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকুরীতে ৫% আদিবাসী কোটা চালু কর।
৩. পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের নামে দেয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
Voice Of P*P - কেওক্রডং
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা কর
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জুম্ম জনগণসহ দুনিয়ার শোষিত -নিপীড়িত জনতাকে জানাই পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা।
Voice Of P*P - কেওক্রডং
আগামীকাল ঐতিহাসিক ২০ মে; বারুদের ন্যায় জ্বলে উঠা জুম্ম জনগণের মুক্তির সংগ্রামে কান্ডারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। ১৯৮৯ সালের ৪ঠা মে লংগদুতে সংগঠিত বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথ প্রকম্পিত করে ১৯৮৯ সালের ২০শে মে প্রতিষ্ঠা লাভ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা পেরিয়ে শত ত্যাগী নেতাকর্মীর ত্যাগ তিতিক্ষায় গৌরবময় সংগ্রামের ৩৪ বছর অতিক্রম করতে যাচ্ছে। জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া অবধি পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ইস্পাত কঠিন লড়াই সংগ্রাম চলবে।
এই লড়াই বাঁচার লড়াই,
এই লড়াইয়ে জিততে হবে।
ভিডিও চিত্র: ২০২০ সালের ২০শে মে, পিসিপি’র ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নির্মিত ডকুমেন্টারি।
গৌরবময় সংগ্রামের ৩৪ বছর
‘‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলনে ছাত্র-যুব সমাজ অধিকতর সামিল হউন”
ছাত্র ও জনসমাবেশ
জমায়েত: সকাল ৯:৩০ ঘটিকা
তারিখ: ২০ মে ২০২৩ খ্রি:
স্থান: জিমনেসিয়াম মাঠ, রাঙ্গামাটি
উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি : শ্রী ঊষাতন তালুকদার, সহসভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।
সভাপতিত্ব করবেন: সুমন মারমা, সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ।
দলে দলে যোগ দিন সফল করুন।
"হয় চুক্তি বাস্তবায়ন নয় মরণপণ লড়াই "
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২৭তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উপলক্ষে পিসিপি,রাজশাহী মহানগর শাখা কর্তৃক 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়' ক্যাম্পাসে পোস্টারিং এর কিছু স্থিরচিত্র।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the organization
Website
Address
Rajshahi
Zero Point
Rajshahi
Bangladesh Islami Chhatrashibir is an Islamic student organization working in Bangladesh. It envisag
Rajshahi University
Rajshahi
বাংলাদেশের বৃহত্তর সংগঠন বা*লের ছাত্র অঙ্গ সংগঠন বদরুল লীগের রাবি শাখার অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ।
Nondoil, Dharanjee, Panchbibi, Joypurhat
Rajshahi, 5900
smat Foundation is research, write and going to implement swsnirvar gram project to make financial e
Rajshahi
On this page,all the activities of former BNP mayor of Rajshahi division Mosaddek Hossain Bulbul wil
Mohanpur
Rajshahi, 6220
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মোহনপুর উপজেলা শাখা।
Rajshahi
Welcome to page of Bangladesh Jamaat-e-Islami Rajshahi City. Follow me
Rajshahi
Our Rajshahi daily news almost publics by this page.If you interested to Rajshahi to follow page.